
‘পাপ্পু’, ‘শেহজাদে’ এমন অনেক বিশেষণে বারবার উপহাস করেছেন বিজেপি নেতারা। এমনকি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও রাহুল গান্ধীকে এভাবে ব্যঙ্গ-বিদ্রূপে বারবার বিদ্ধ করেছেন। বছরের পর বছর ধরে বিজেপির উপহাসের প্রধান লক্ষ্য ছিলেন তিনি। এক দশক ধরে প্রতিটি নির্বাচনেই প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের গান্ধী পরিবারের বিরুদ্ধে বিজেপি নেতারা নানাভাবে আক্রমণ করেছেন। তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করেছেন তাঁরা।
বলতে গেলে গান্ধীদের কল্যাণেই কংগ্রেস এই লোকসভা নির্বাচনে ১০০ আসনে বিজয়ের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। এমনকি ইন্ডিয়া ব্লক যেভাবে সমস্ত বুথফেরত জরিপের ফলাফলকে মিথ্যা প্রমাণিত করছে, তার পেছনে রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা—এই গান্ধী ভাইবোনের কেন্দ্রীয় ভূমিকা রয়েছে।
রাহুল গান্ধী কার্যত সারা দেশে ‘ভারত জোড়ো’ যাত্রার মাধ্যমে তাঁর প্রচার শুরু করেছিলেন। এই কর্মসূচিতে নানা স্থানে নানাভাবে বাধার মুখে পড়েছেন তিনি। যদিও লোকসভা আসনে ইন্ডিয়া জোটের জয়ের পেছনে এই যাত্রার প্রভাব কতখানি, সেটি এখনো মূল্যায়ন করার বিষয়।
তবে, এতে কোনো সন্দেহ নেই যে এই পদযাত্রায় জনসাধারণের সঙ্গে তাঁর মিথস্ক্রিয়া তাঁকে টেলিভিশনের পর্দা থেকে মানুষের কাছাকাছি নিয়ে গেছে। তাঁর সম্পর্কে বিজেপির সব ধারণা ও অপপ্রচারকে ভেঙে দিতে ভূমিকা রেখেছে এই পদযাত্রা।
রাহুল গান্ধীর কুকুরছানা কোলে নেওয়া দৃশ্য, মানুষকে আলিঙ্গন করা এবং সমাজের প্রতিটি স্তরের লোকেদের সঙ্গে কথা বলা, শিক্ষার্থী থেকে ট্রাকচালক, শ্রমিক, মেকানিক সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে সহজভাবে মেলামেশা—এমনটি দেশবাসী আগে কখনো দেখেনি।
অনেকেই আশা করেছিলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর এবার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। শেষ সময়ে তিনি কেন প্রার্থী হলেন না, তা নিয়েও অনেকে প্রশ্ন তুলেছিলেন। এর প্রতিক্রিয়ায় প্রিয়াঙ্কা বেশ কয়েকটি সাক্ষাৎকারে বলেছেন, সচেতনভাবে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। তিনি এবং রাহুল উভয়েই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলে তাঁদের একটি নির্বাচনী এলাকায় প্রচারের ব্যস্ত থাকতে হবে—এটি তাঁরা চাননি। তাঁদের পরিকল্পনাটি ছিল দেশব্যাপী নির্বাচনী প্রচার সমাবেশের জন্য তিনি মুক্ত থাকবেন। এই পদক্ষেপটি স্পষ্টতই কাজে দিয়েছে বলে মনে হচ্ছে।
রাহুল গান্ধী ইন্ডিয়া ব্লকের সমাবেশে ভাষণ দেওয়ার জন্য দেশব্যাপী ভ্রমণ করেছেন। আর প্রিয়াঙ্কা গান্ধী পারিবারিক দুর্গ আমেথি ও রায়বেরেলিতে কংগ্রেসের প্রচারে নেতৃত্ব দিয়েছেন। গণনার নয় ঘণ্টার মধ্যে, কংগ্রেস উভয় আসনেই জয়ের দিকে বড় ব্যবধানে এগিয়ে গেছে। গান্ধী পরিবারের অনুগত কিশোরী লাল শর্মা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানিকে পরাজিত করে বড় জয় পেয়েছেন আমেথিতে। এই আসনে ২০১৯ সালে রাহুল গান্ধীর পরাজয়ের একটি মধুর প্রতিশোধ বলে মনে করছেন অনেকে।
২০১৯ সালে এই দুই আসনে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী দলের মুখের মতোই ছিলেন। নির্বাচনী সভাগুলোতে বক্তব্য দেওয়া থেকে শুরু করে পার্টির পদক্ষেপের পরিকল্পনা করা পর্যন্ত, লড়াইয়ের প্রতিটি পদক্ষেপে তিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন।
২০২৪ সালের নির্বাচনেও একজন তুখোড় বক্তা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন প্রিয়াঙ্কা। জনসংযোগগুলোতে দর্শকদের মোহিত করেছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অভিযোগের বিরুদ্ধে তাঁর পাল্টা আঘাত মানুষের মনে ধরেছে। কংগ্রেসের ইশতেহারে হিন্দুদের সম্পদ কেড়ে নিয়ে মুসলিমদের মধ্যে বণ্টনের পরিকল্পনার কথা বলেছে এবং তারা মঙ্গলসূত্র কেড়ে নেবে—প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এমন প্রচারণার বিপরীতে তাঁর কড়া বক্তব্য জাতীয় শিরোনাম হয়েছে।
প্রিয়াঙ্কা বলেছিলেন, ‘তিনি (মোদি) বলেছেন, কংগ্রেস আপনার সোনা, আপনার মঙ্গলসূত্র কেড়ে নিতে চায়। দেশ স্বাধীন হয়েছে ৭০ বছর হলো। কংগ্রেস ৫৫ বছর শাসন করেছে। কেউ কি আপনার সোনা বা আপনার মঙ্গলসূত্র কেড়ে নিয়েছে? যখন যুদ্ধ চলছিল তখন ইন্দিরা গান্ধী তাঁর সোনা দেশকে দিয়ে দিয়েছেন। আমার মায়ের মঙ্গলসূত্রটি দেশের জন্য উৎসর্গ করেছি।’
বার্তা সংস্থা পিটিআইয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, কংগ্রেস নেত্রী আমেথিতে একটি দলীয় সভায় শ্রোতাদের বলেছিলেন, তাঁদের মধ্যে এমন একজন নারী রয়েছে, যিনি তাঁর মেয়েকে শিক্ষিত করতে চান, কিন্তু তাঁর শ্বশুর এর বিরুদ্ধে ছিলেন। তাই, নারীটি টাকা বাঁচাতে শাড়ির ফলস সেলাই করে তাঁর মেয়েকে স্নাতক পর্যন্ত পড়িয়েছেন। এই গল্প শুনে দর্শকেরা উল্লাস করতে থাকে। তখন সেই নারীকে তিনি মঞ্চে ডেকে নেন।
সাধারণ মানুষের সঙ্গে এই ধরনের মিথস্ক্রিয়া গান্ধী ভাইবোনদের জন্য বিজেপি যে ভাবমূর্তি তৈরি করতে চেয়েছিল তা ভেঙে দিয়েছে। তাঁদের কারণেই শাসক দল অনেক ঘাঁটিতেই ধরাশায়ী হয়েছে।
এ ছাড়া তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হলো, কংগ্রেস এবার ৫৪৩ আসনের মধ্যে মাত্র ৩২৮টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে। ভারতের নির্বাচনের ইতিহাসে তাদের জন্য এটি সর্বনিম্ন। বাকি ২১৫টি আসন ইন্ডিয়া জোটের শরিকদের মধ্যে বণ্টন করা হয়েছে। আসন নিয়ে কঠিন দর-কষাকষি এবং শেষ পর্যন্ত ব্যর্থতা বারবার কংগ্রেসকে নেতৃত্ব থেকে পিছিয়ে দিয়েছে। এবার গান্ধী ভাইবোনের কল্যাণে তার একটা পরিশোধ নেওয়া গেল!
এরপরও কংগ্রেস এবার বিজেপির তুলনায় অর্ধেক আসনে জয় পেতে পারে। কিন্তু নির্বাচনের মাঠে গান্ধী ভাইবোনে দুর্দান্ত উপস্থিতি ও উজ্জ্বলতা সবকিছুকে ছাপিয়ে গেছে। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কংগ্রেসের প্রেস মিটেও রাহুল গান্ধী দলের এমন দারুণ পারফরম্যান্সে বোন প্রিয়াঙ্কার অবদানের কথা তুলে ধরেছেন।

‘পাপ্পু’, ‘শেহজাদে’ এমন অনেক বিশেষণে বারবার উপহাস করেছেন বিজেপি নেতারা। এমনকি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও রাহুল গান্ধীকে এভাবে ব্যঙ্গ-বিদ্রূপে বারবার বিদ্ধ করেছেন। বছরের পর বছর ধরে বিজেপির উপহাসের প্রধান লক্ষ্য ছিলেন তিনি। এক দশক ধরে প্রতিটি নির্বাচনেই প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের গান্ধী পরিবারের বিরুদ্ধে বিজেপি নেতারা নানাভাবে আক্রমণ করেছেন। তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করেছেন তাঁরা।
বলতে গেলে গান্ধীদের কল্যাণেই কংগ্রেস এই লোকসভা নির্বাচনে ১০০ আসনে বিজয়ের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। এমনকি ইন্ডিয়া ব্লক যেভাবে সমস্ত বুথফেরত জরিপের ফলাফলকে মিথ্যা প্রমাণিত করছে, তার পেছনে রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা—এই গান্ধী ভাইবোনের কেন্দ্রীয় ভূমিকা রয়েছে।
রাহুল গান্ধী কার্যত সারা দেশে ‘ভারত জোড়ো’ যাত্রার মাধ্যমে তাঁর প্রচার শুরু করেছিলেন। এই কর্মসূচিতে নানা স্থানে নানাভাবে বাধার মুখে পড়েছেন তিনি। যদিও লোকসভা আসনে ইন্ডিয়া জোটের জয়ের পেছনে এই যাত্রার প্রভাব কতখানি, সেটি এখনো মূল্যায়ন করার বিষয়।
তবে, এতে কোনো সন্দেহ নেই যে এই পদযাত্রায় জনসাধারণের সঙ্গে তাঁর মিথস্ক্রিয়া তাঁকে টেলিভিশনের পর্দা থেকে মানুষের কাছাকাছি নিয়ে গেছে। তাঁর সম্পর্কে বিজেপির সব ধারণা ও অপপ্রচারকে ভেঙে দিতে ভূমিকা রেখেছে এই পদযাত্রা।
রাহুল গান্ধীর কুকুরছানা কোলে নেওয়া দৃশ্য, মানুষকে আলিঙ্গন করা এবং সমাজের প্রতিটি স্তরের লোকেদের সঙ্গে কথা বলা, শিক্ষার্থী থেকে ট্রাকচালক, শ্রমিক, মেকানিক সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে সহজভাবে মেলামেশা—এমনটি দেশবাসী আগে কখনো দেখেনি।
অনেকেই আশা করেছিলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর এবার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। শেষ সময়ে তিনি কেন প্রার্থী হলেন না, তা নিয়েও অনেকে প্রশ্ন তুলেছিলেন। এর প্রতিক্রিয়ায় প্রিয়াঙ্কা বেশ কয়েকটি সাক্ষাৎকারে বলেছেন, সচেতনভাবে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। তিনি এবং রাহুল উভয়েই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলে তাঁদের একটি নির্বাচনী এলাকায় প্রচারের ব্যস্ত থাকতে হবে—এটি তাঁরা চাননি। তাঁদের পরিকল্পনাটি ছিল দেশব্যাপী নির্বাচনী প্রচার সমাবেশের জন্য তিনি মুক্ত থাকবেন। এই পদক্ষেপটি স্পষ্টতই কাজে দিয়েছে বলে মনে হচ্ছে।
রাহুল গান্ধী ইন্ডিয়া ব্লকের সমাবেশে ভাষণ দেওয়ার জন্য দেশব্যাপী ভ্রমণ করেছেন। আর প্রিয়াঙ্কা গান্ধী পারিবারিক দুর্গ আমেথি ও রায়বেরেলিতে কংগ্রেসের প্রচারে নেতৃত্ব দিয়েছেন। গণনার নয় ঘণ্টার মধ্যে, কংগ্রেস উভয় আসনেই জয়ের দিকে বড় ব্যবধানে এগিয়ে গেছে। গান্ধী পরিবারের অনুগত কিশোরী লাল শর্মা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানিকে পরাজিত করে বড় জয় পেয়েছেন আমেথিতে। এই আসনে ২০১৯ সালে রাহুল গান্ধীর পরাজয়ের একটি মধুর প্রতিশোধ বলে মনে করছেন অনেকে।
২০১৯ সালে এই দুই আসনে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী দলের মুখের মতোই ছিলেন। নির্বাচনী সভাগুলোতে বক্তব্য দেওয়া থেকে শুরু করে পার্টির পদক্ষেপের পরিকল্পনা করা পর্যন্ত, লড়াইয়ের প্রতিটি পদক্ষেপে তিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন।
২০২৪ সালের নির্বাচনেও একজন তুখোড় বক্তা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন প্রিয়াঙ্কা। জনসংযোগগুলোতে দর্শকদের মোহিত করেছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অভিযোগের বিরুদ্ধে তাঁর পাল্টা আঘাত মানুষের মনে ধরেছে। কংগ্রেসের ইশতেহারে হিন্দুদের সম্পদ কেড়ে নিয়ে মুসলিমদের মধ্যে বণ্টনের পরিকল্পনার কথা বলেছে এবং তারা মঙ্গলসূত্র কেড়ে নেবে—প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এমন প্রচারণার বিপরীতে তাঁর কড়া বক্তব্য জাতীয় শিরোনাম হয়েছে।
প্রিয়াঙ্কা বলেছিলেন, ‘তিনি (মোদি) বলেছেন, কংগ্রেস আপনার সোনা, আপনার মঙ্গলসূত্র কেড়ে নিতে চায়। দেশ স্বাধীন হয়েছে ৭০ বছর হলো। কংগ্রেস ৫৫ বছর শাসন করেছে। কেউ কি আপনার সোনা বা আপনার মঙ্গলসূত্র কেড়ে নিয়েছে? যখন যুদ্ধ চলছিল তখন ইন্দিরা গান্ধী তাঁর সোনা দেশকে দিয়ে দিয়েছেন। আমার মায়ের মঙ্গলসূত্রটি দেশের জন্য উৎসর্গ করেছি।’
বার্তা সংস্থা পিটিআইয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, কংগ্রেস নেত্রী আমেথিতে একটি দলীয় সভায় শ্রোতাদের বলেছিলেন, তাঁদের মধ্যে এমন একজন নারী রয়েছে, যিনি তাঁর মেয়েকে শিক্ষিত করতে চান, কিন্তু তাঁর শ্বশুর এর বিরুদ্ধে ছিলেন। তাই, নারীটি টাকা বাঁচাতে শাড়ির ফলস সেলাই করে তাঁর মেয়েকে স্নাতক পর্যন্ত পড়িয়েছেন। এই গল্প শুনে দর্শকেরা উল্লাস করতে থাকে। তখন সেই নারীকে তিনি মঞ্চে ডেকে নেন।
সাধারণ মানুষের সঙ্গে এই ধরনের মিথস্ক্রিয়া গান্ধী ভাইবোনদের জন্য বিজেপি যে ভাবমূর্তি তৈরি করতে চেয়েছিল তা ভেঙে দিয়েছে। তাঁদের কারণেই শাসক দল অনেক ঘাঁটিতেই ধরাশায়ী হয়েছে।
এ ছাড়া তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হলো, কংগ্রেস এবার ৫৪৩ আসনের মধ্যে মাত্র ৩২৮টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে। ভারতের নির্বাচনের ইতিহাসে তাদের জন্য এটি সর্বনিম্ন। বাকি ২১৫টি আসন ইন্ডিয়া জোটের শরিকদের মধ্যে বণ্টন করা হয়েছে। আসন নিয়ে কঠিন দর-কষাকষি এবং শেষ পর্যন্ত ব্যর্থতা বারবার কংগ্রেসকে নেতৃত্ব থেকে পিছিয়ে দিয়েছে। এবার গান্ধী ভাইবোনের কল্যাণে তার একটা পরিশোধ নেওয়া গেল!
এরপরও কংগ্রেস এবার বিজেপির তুলনায় অর্ধেক আসনে জয় পেতে পারে। কিন্তু নির্বাচনের মাঠে গান্ধী ভাইবোনে দুর্দান্ত উপস্থিতি ও উজ্জ্বলতা সবকিছুকে ছাপিয়ে গেছে। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কংগ্রেসের প্রেস মিটেও রাহুল গান্ধী দলের এমন দারুণ পারফরম্যান্সে বোন প্রিয়াঙ্কার অবদানের কথা তুলে ধরেছেন।

‘পাপ্পু’, ‘শেহজাদে’ এমন অনেক বিশেষণে বারবার উপহাস করেছেন বিজেপি নেতারা। এমনকি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও রাহুল গান্ধীকে এভাবে ব্যঙ্গ-বিদ্রূপে বারবার বিদ্ধ করেছেন। বছরের পর বছর ধরে বিজেপির উপহাসের প্রধান লক্ষ্য ছিলেন তিনি। এক দশক ধরে প্রতিটি নির্বাচনেই প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের গান্ধী পরিবারের বিরুদ্ধে বিজেপি নেতারা নানাভাবে আক্রমণ করেছেন। তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করেছেন তাঁরা।
বলতে গেলে গান্ধীদের কল্যাণেই কংগ্রেস এই লোকসভা নির্বাচনে ১০০ আসনে বিজয়ের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। এমনকি ইন্ডিয়া ব্লক যেভাবে সমস্ত বুথফেরত জরিপের ফলাফলকে মিথ্যা প্রমাণিত করছে, তার পেছনে রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা—এই গান্ধী ভাইবোনের কেন্দ্রীয় ভূমিকা রয়েছে।
রাহুল গান্ধী কার্যত সারা দেশে ‘ভারত জোড়ো’ যাত্রার মাধ্যমে তাঁর প্রচার শুরু করেছিলেন। এই কর্মসূচিতে নানা স্থানে নানাভাবে বাধার মুখে পড়েছেন তিনি। যদিও লোকসভা আসনে ইন্ডিয়া জোটের জয়ের পেছনে এই যাত্রার প্রভাব কতখানি, সেটি এখনো মূল্যায়ন করার বিষয়।
তবে, এতে কোনো সন্দেহ নেই যে এই পদযাত্রায় জনসাধারণের সঙ্গে তাঁর মিথস্ক্রিয়া তাঁকে টেলিভিশনের পর্দা থেকে মানুষের কাছাকাছি নিয়ে গেছে। তাঁর সম্পর্কে বিজেপির সব ধারণা ও অপপ্রচারকে ভেঙে দিতে ভূমিকা রেখেছে এই পদযাত্রা।
রাহুল গান্ধীর কুকুরছানা কোলে নেওয়া দৃশ্য, মানুষকে আলিঙ্গন করা এবং সমাজের প্রতিটি স্তরের লোকেদের সঙ্গে কথা বলা, শিক্ষার্থী থেকে ট্রাকচালক, শ্রমিক, মেকানিক সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে সহজভাবে মেলামেশা—এমনটি দেশবাসী আগে কখনো দেখেনি।
অনেকেই আশা করেছিলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর এবার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। শেষ সময়ে তিনি কেন প্রার্থী হলেন না, তা নিয়েও অনেকে প্রশ্ন তুলেছিলেন। এর প্রতিক্রিয়ায় প্রিয়াঙ্কা বেশ কয়েকটি সাক্ষাৎকারে বলেছেন, সচেতনভাবে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। তিনি এবং রাহুল উভয়েই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলে তাঁদের একটি নির্বাচনী এলাকায় প্রচারের ব্যস্ত থাকতে হবে—এটি তাঁরা চাননি। তাঁদের পরিকল্পনাটি ছিল দেশব্যাপী নির্বাচনী প্রচার সমাবেশের জন্য তিনি মুক্ত থাকবেন। এই পদক্ষেপটি স্পষ্টতই কাজে দিয়েছে বলে মনে হচ্ছে।
রাহুল গান্ধী ইন্ডিয়া ব্লকের সমাবেশে ভাষণ দেওয়ার জন্য দেশব্যাপী ভ্রমণ করেছেন। আর প্রিয়াঙ্কা গান্ধী পারিবারিক দুর্গ আমেথি ও রায়বেরেলিতে কংগ্রেসের প্রচারে নেতৃত্ব দিয়েছেন। গণনার নয় ঘণ্টার মধ্যে, কংগ্রেস উভয় আসনেই জয়ের দিকে বড় ব্যবধানে এগিয়ে গেছে। গান্ধী পরিবারের অনুগত কিশোরী লাল শর্মা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানিকে পরাজিত করে বড় জয় পেয়েছেন আমেথিতে। এই আসনে ২০১৯ সালে রাহুল গান্ধীর পরাজয়ের একটি মধুর প্রতিশোধ বলে মনে করছেন অনেকে।
২০১৯ সালে এই দুই আসনে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী দলের মুখের মতোই ছিলেন। নির্বাচনী সভাগুলোতে বক্তব্য দেওয়া থেকে শুরু করে পার্টির পদক্ষেপের পরিকল্পনা করা পর্যন্ত, লড়াইয়ের প্রতিটি পদক্ষেপে তিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন।
২০২৪ সালের নির্বাচনেও একজন তুখোড় বক্তা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন প্রিয়াঙ্কা। জনসংযোগগুলোতে দর্শকদের মোহিত করেছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অভিযোগের বিরুদ্ধে তাঁর পাল্টা আঘাত মানুষের মনে ধরেছে। কংগ্রেসের ইশতেহারে হিন্দুদের সম্পদ কেড়ে নিয়ে মুসলিমদের মধ্যে বণ্টনের পরিকল্পনার কথা বলেছে এবং তারা মঙ্গলসূত্র কেড়ে নেবে—প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এমন প্রচারণার বিপরীতে তাঁর কড়া বক্তব্য জাতীয় শিরোনাম হয়েছে।
প্রিয়াঙ্কা বলেছিলেন, ‘তিনি (মোদি) বলেছেন, কংগ্রেস আপনার সোনা, আপনার মঙ্গলসূত্র কেড়ে নিতে চায়। দেশ স্বাধীন হয়েছে ৭০ বছর হলো। কংগ্রেস ৫৫ বছর শাসন করেছে। কেউ কি আপনার সোনা বা আপনার মঙ্গলসূত্র কেড়ে নিয়েছে? যখন যুদ্ধ চলছিল তখন ইন্দিরা গান্ধী তাঁর সোনা দেশকে দিয়ে দিয়েছেন। আমার মায়ের মঙ্গলসূত্রটি দেশের জন্য উৎসর্গ করেছি।’
বার্তা সংস্থা পিটিআইয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, কংগ্রেস নেত্রী আমেথিতে একটি দলীয় সভায় শ্রোতাদের বলেছিলেন, তাঁদের মধ্যে এমন একজন নারী রয়েছে, যিনি তাঁর মেয়েকে শিক্ষিত করতে চান, কিন্তু তাঁর শ্বশুর এর বিরুদ্ধে ছিলেন। তাই, নারীটি টাকা বাঁচাতে শাড়ির ফলস সেলাই করে তাঁর মেয়েকে স্নাতক পর্যন্ত পড়িয়েছেন। এই গল্প শুনে দর্শকেরা উল্লাস করতে থাকে। তখন সেই নারীকে তিনি মঞ্চে ডেকে নেন।
সাধারণ মানুষের সঙ্গে এই ধরনের মিথস্ক্রিয়া গান্ধী ভাইবোনদের জন্য বিজেপি যে ভাবমূর্তি তৈরি করতে চেয়েছিল তা ভেঙে দিয়েছে। তাঁদের কারণেই শাসক দল অনেক ঘাঁটিতেই ধরাশায়ী হয়েছে।
এ ছাড়া তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হলো, কংগ্রেস এবার ৫৪৩ আসনের মধ্যে মাত্র ৩২৮টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে। ভারতের নির্বাচনের ইতিহাসে তাদের জন্য এটি সর্বনিম্ন। বাকি ২১৫টি আসন ইন্ডিয়া জোটের শরিকদের মধ্যে বণ্টন করা হয়েছে। আসন নিয়ে কঠিন দর-কষাকষি এবং শেষ পর্যন্ত ব্যর্থতা বারবার কংগ্রেসকে নেতৃত্ব থেকে পিছিয়ে দিয়েছে। এবার গান্ধী ভাইবোনের কল্যাণে তার একটা পরিশোধ নেওয়া গেল!
এরপরও কংগ্রেস এবার বিজেপির তুলনায় অর্ধেক আসনে জয় পেতে পারে। কিন্তু নির্বাচনের মাঠে গান্ধী ভাইবোনে দুর্দান্ত উপস্থিতি ও উজ্জ্বলতা সবকিছুকে ছাপিয়ে গেছে। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কংগ্রেসের প্রেস মিটেও রাহুল গান্ধী দলের এমন দারুণ পারফরম্যান্সে বোন প্রিয়াঙ্কার অবদানের কথা তুলে ধরেছেন।

‘পাপ্পু’, ‘শেহজাদে’ এমন অনেক বিশেষণে বারবার উপহাস করেছেন বিজেপি নেতারা। এমনকি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও রাহুল গান্ধীকে এভাবে ব্যঙ্গ-বিদ্রূপে বারবার বিদ্ধ করেছেন। বছরের পর বছর ধরে বিজেপির উপহাসের প্রধান লক্ষ্য ছিলেন তিনি। এক দশক ধরে প্রতিটি নির্বাচনেই প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের গান্ধী পরিবারের বিরুদ্ধে বিজেপি নেতারা নানাভাবে আক্রমণ করেছেন। তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করেছেন তাঁরা।
বলতে গেলে গান্ধীদের কল্যাণেই কংগ্রেস এই লোকসভা নির্বাচনে ১০০ আসনে বিজয়ের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। এমনকি ইন্ডিয়া ব্লক যেভাবে সমস্ত বুথফেরত জরিপের ফলাফলকে মিথ্যা প্রমাণিত করছে, তার পেছনে রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা—এই গান্ধী ভাইবোনের কেন্দ্রীয় ভূমিকা রয়েছে।
রাহুল গান্ধী কার্যত সারা দেশে ‘ভারত জোড়ো’ যাত্রার মাধ্যমে তাঁর প্রচার শুরু করেছিলেন। এই কর্মসূচিতে নানা স্থানে নানাভাবে বাধার মুখে পড়েছেন তিনি। যদিও লোকসভা আসনে ইন্ডিয়া জোটের জয়ের পেছনে এই যাত্রার প্রভাব কতখানি, সেটি এখনো মূল্যায়ন করার বিষয়।
তবে, এতে কোনো সন্দেহ নেই যে এই পদযাত্রায় জনসাধারণের সঙ্গে তাঁর মিথস্ক্রিয়া তাঁকে টেলিভিশনের পর্দা থেকে মানুষের কাছাকাছি নিয়ে গেছে। তাঁর সম্পর্কে বিজেপির সব ধারণা ও অপপ্রচারকে ভেঙে দিতে ভূমিকা রেখেছে এই পদযাত্রা।
রাহুল গান্ধীর কুকুরছানা কোলে নেওয়া দৃশ্য, মানুষকে আলিঙ্গন করা এবং সমাজের প্রতিটি স্তরের লোকেদের সঙ্গে কথা বলা, শিক্ষার্থী থেকে ট্রাকচালক, শ্রমিক, মেকানিক সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে সহজভাবে মেলামেশা—এমনটি দেশবাসী আগে কখনো দেখেনি।
অনেকেই আশা করেছিলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর এবার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। শেষ সময়ে তিনি কেন প্রার্থী হলেন না, তা নিয়েও অনেকে প্রশ্ন তুলেছিলেন। এর প্রতিক্রিয়ায় প্রিয়াঙ্কা বেশ কয়েকটি সাক্ষাৎকারে বলেছেন, সচেতনভাবে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। তিনি এবং রাহুল উভয়েই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলে তাঁদের একটি নির্বাচনী এলাকায় প্রচারের ব্যস্ত থাকতে হবে—এটি তাঁরা চাননি। তাঁদের পরিকল্পনাটি ছিল দেশব্যাপী নির্বাচনী প্রচার সমাবেশের জন্য তিনি মুক্ত থাকবেন। এই পদক্ষেপটি স্পষ্টতই কাজে দিয়েছে বলে মনে হচ্ছে।
রাহুল গান্ধী ইন্ডিয়া ব্লকের সমাবেশে ভাষণ দেওয়ার জন্য দেশব্যাপী ভ্রমণ করেছেন। আর প্রিয়াঙ্কা গান্ধী পারিবারিক দুর্গ আমেথি ও রায়বেরেলিতে কংগ্রেসের প্রচারে নেতৃত্ব দিয়েছেন। গণনার নয় ঘণ্টার মধ্যে, কংগ্রেস উভয় আসনেই জয়ের দিকে বড় ব্যবধানে এগিয়ে গেছে। গান্ধী পরিবারের অনুগত কিশোরী লাল শর্মা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানিকে পরাজিত করে বড় জয় পেয়েছেন আমেথিতে। এই আসনে ২০১৯ সালে রাহুল গান্ধীর পরাজয়ের একটি মধুর প্রতিশোধ বলে মনে করছেন অনেকে।
২০১৯ সালে এই দুই আসনে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী দলের মুখের মতোই ছিলেন। নির্বাচনী সভাগুলোতে বক্তব্য দেওয়া থেকে শুরু করে পার্টির পদক্ষেপের পরিকল্পনা করা পর্যন্ত, লড়াইয়ের প্রতিটি পদক্ষেপে তিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন।
২০২৪ সালের নির্বাচনেও একজন তুখোড় বক্তা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন প্রিয়াঙ্কা। জনসংযোগগুলোতে দর্শকদের মোহিত করেছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অভিযোগের বিরুদ্ধে তাঁর পাল্টা আঘাত মানুষের মনে ধরেছে। কংগ্রেসের ইশতেহারে হিন্দুদের সম্পদ কেড়ে নিয়ে মুসলিমদের মধ্যে বণ্টনের পরিকল্পনার কথা বলেছে এবং তারা মঙ্গলসূত্র কেড়ে নেবে—প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এমন প্রচারণার বিপরীতে তাঁর কড়া বক্তব্য জাতীয় শিরোনাম হয়েছে।
প্রিয়াঙ্কা বলেছিলেন, ‘তিনি (মোদি) বলেছেন, কংগ্রেস আপনার সোনা, আপনার মঙ্গলসূত্র কেড়ে নিতে চায়। দেশ স্বাধীন হয়েছে ৭০ বছর হলো। কংগ্রেস ৫৫ বছর শাসন করেছে। কেউ কি আপনার সোনা বা আপনার মঙ্গলসূত্র কেড়ে নিয়েছে? যখন যুদ্ধ চলছিল তখন ইন্দিরা গান্ধী তাঁর সোনা দেশকে দিয়ে দিয়েছেন। আমার মায়ের মঙ্গলসূত্রটি দেশের জন্য উৎসর্গ করেছি।’
বার্তা সংস্থা পিটিআইয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, কংগ্রেস নেত্রী আমেথিতে একটি দলীয় সভায় শ্রোতাদের বলেছিলেন, তাঁদের মধ্যে এমন একজন নারী রয়েছে, যিনি তাঁর মেয়েকে শিক্ষিত করতে চান, কিন্তু তাঁর শ্বশুর এর বিরুদ্ধে ছিলেন। তাই, নারীটি টাকা বাঁচাতে শাড়ির ফলস সেলাই করে তাঁর মেয়েকে স্নাতক পর্যন্ত পড়িয়েছেন। এই গল্প শুনে দর্শকেরা উল্লাস করতে থাকে। তখন সেই নারীকে তিনি মঞ্চে ডেকে নেন।
সাধারণ মানুষের সঙ্গে এই ধরনের মিথস্ক্রিয়া গান্ধী ভাইবোনদের জন্য বিজেপি যে ভাবমূর্তি তৈরি করতে চেয়েছিল তা ভেঙে দিয়েছে। তাঁদের কারণেই শাসক দল অনেক ঘাঁটিতেই ধরাশায়ী হয়েছে।
এ ছাড়া তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হলো, কংগ্রেস এবার ৫৪৩ আসনের মধ্যে মাত্র ৩২৮টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে। ভারতের নির্বাচনের ইতিহাসে তাদের জন্য এটি সর্বনিম্ন। বাকি ২১৫টি আসন ইন্ডিয়া জোটের শরিকদের মধ্যে বণ্টন করা হয়েছে। আসন নিয়ে কঠিন দর-কষাকষি এবং শেষ পর্যন্ত ব্যর্থতা বারবার কংগ্রেসকে নেতৃত্ব থেকে পিছিয়ে দিয়েছে। এবার গান্ধী ভাইবোনের কল্যাণে তার একটা পরিশোধ নেওয়া গেল!
এরপরও কংগ্রেস এবার বিজেপির তুলনায় অর্ধেক আসনে জয় পেতে পারে। কিন্তু নির্বাচনের মাঠে গান্ধী ভাইবোনে দুর্দান্ত উপস্থিতি ও উজ্জ্বলতা সবকিছুকে ছাপিয়ে গেছে। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কংগ্রেসের প্রেস মিটেও রাহুল গান্ধী দলের এমন দারুণ পারফরম্যান্সে বোন প্রিয়াঙ্কার অবদানের কথা তুলে ধরেছেন।

ইউক্রেনের সামরিক ও অর্থনৈতিক প্রয়োজন মেটাতে আগামী ২ বছরের জন্য বড় অঙ্কের সুদহীন ঋণ দিতে রাজি হয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নেতারা। ইইউ কাউন্সিল প্রেসিডেন্ট আন্তোনিও কস্তা আজ শুক্রবার ভোরের দিকে এই ঘোষণা দেন। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৫ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি অত্যাধুনিক এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান ক্রয়ের পথ সুগম করতে তুরস্ক রাশিয়ার কাছে তাদের সরবরাহ করা এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ফেরত নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে লন্ডন থেকে প্রকাশিত মধ্যপ্রাচ্যকেন্দ্রিক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট আই।
৬ ঘণ্টা আগে
গাজার সমুদ্রতীরবর্তী গ্যাসক্ষেত্র থেকে প্রাপ্ত লভ্যাংশ ব্যবহার করে ধ্বংসপ্রাপ্ত এই উপত্যকার পুনর্গঠন কাজে ব্যয় করার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত আলোচনা করেছে। সাবেক এক পশ্চিমা কর্মকর্তা এবং বর্তমানে কর্মরত এক পশ্চিমা ও এক আরব কর্মকর্তা লন্ডন থেকে প্রকাশিত...
৭ ঘণ্টা আগে
সংগঠিত ভিক্ষাবৃত্তি ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড নিয়ে ক্রমবর্ধমান উদ্বেগের মধ্যে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত পাকিস্তানি নাগরিকদের ওপর নজরদারি জোরদার করেছে। শুধু তা-ই নয়, চলতি বছর এখন পর্যন্ত ৩২ হাজারের বেশি পাকিস্তানিকে ভিক্ষাবৃত্তির অভিযোগে বিভিন্ন দেশ বহিষ্কার করেছে।
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইউক্রেনের সামরিক ও অর্থনৈতিক প্রয়োজন মেটাতে আগামী ২ বছরের জন্য বড় অঙ্কের সুদহীন ঋণ দিতে রাজি হয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নেতারা। ইইউ কাউন্সিল প্রেসিডেন্ট আন্তোনিও কস্তা আজ শুক্রবার ভোরের দিকে এই ঘোষণা দেন। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
গত বৃহস্পতিবার গভীর রাত পর্যন্ত চলা বৈঠকে নেতারা সিদ্ধান্ত নেন, রাশিয়ার জব্দ করা সম্পদ আপাতত ব্যবহার না করে বরং পুঁজিবাজার থেকে অর্থ ধার করে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা তহবিলের জোগান দেওয়া হবে। কূটনীতিকদের ভাষ্যমতে, বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে নানা আইনি ও রাজনৈতিক জটিলতা কাটানোর চেষ্টা চলেছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আন্তোনিও কস্তা লিখেছেন, ‘চুক্তি হয়ে গেছে। ২০২৬-২৭ সালের জন্য ইউক্রেনকে প্রায় ১০৫ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার সহায়তা দেওয়ার সিদ্ধান্তটি চূড়ান্ত হলো। আমরা কথা দিয়েছিলাম, আমরা তা রেখেছি।’
তহবিলের উৎস নিয়ে কস্তা বিস্তারিত কিছু না জানালেও রয়টার্সের কাছে আসা এক খসড়া নথি বলছে, এই অর্থ আসবে সরাসরি পুঁজিবাজার থেকে এবং এর নিশ্চয়তা থাকবে ইইউ বাজেটের ওপর। রাশিয়ার সম্পদ ব্যবহারের যে বিতর্কিত পরিকল্পনা নিয়ে আগে আলোচনা হচ্ছিল, তা থেকে আপাতত সরে আসা হয়েছে। তবে রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সম্পদকে ভিত্তি করে কোনো ঋণ দেওয়া যায় কি না, তা নিয়ে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট ও সরকারগুলোর মধ্যে আলোচনা চলবে।
এই চুক্তিতে হাঙ্গেরি, স্লোভাকিয়া ও চেক প্রজাতন্ত্রের ওপর কোনো আর্থিক দায় চাপানো হয়নি। কারণ দেশগুলো এই অর্থায়নে অংশ নিতে রাজি ছিল না। শর্ত অনুযায়ী, ইউক্রেন এই ঋণ তখনই শোধ করবে যখন তারা মস্কোর কাছ থেকে যুদ্ধের ক্ষতিপূরণ বা ‘ওয়ার রিপারেশন’ পাবে। ততক্ষণ পর্যন্ত রাশিয়ার সম্পদগুলো অচল অবস্থায় পড়ে থাকবে। তবে প্রয়োজনে সেই সম্পদ থেকে ঋণ শোধ করার অধিকারও ইইউ নিজের হাতে রেখেছে।
এক ইইউ কূটনীতিক রয়টার্সকে বলেন, ‘ইউক্রেনের জন্য অন্তত আগামী দুই বছরের অর্থের সংস্থান নিশ্চিত হওয়াটা একটা ইতিবাচক দিক।’ তবে অন্য একজন কূটনীতিকের মন্তব্য ছিল খানিকটা তির্যক। তিনি বলেন, ‘আমরা এখন ইউক্রেনকে বাঁচানোর চেয়ে বরং নিজেদের মান বাঁচানোর চেষ্টা করছি।’
রাশিয়ার টাকা ব্যবহারের ক্ষেত্রে মূল বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল বেলজিয়াম। রাশিয়ার জব্দ করা ২১০ বিলিয়ন ইউরোর মধ্যে ১৮৫ বিলিয়ন ইউরোই আছে বেলজিয়ামের ইউরোক্লিয়ার নামক প্রতিষ্ঠানে। মস্কোর আইনি ও আর্থিক পাল্টা আঘাতের ভয়ে বেলজিয়াম সরকার বেশ আতঙ্কিত ছিল। ক্রেমলিন আগেই জানিয়ে রেখেছে, তাদের সম্পদ ধরা হলে তারা আদালতে যাবে এবং রাশিয়ায় থাকা বিদেশি সম্পদ বাজেয়াপ্ত করবে।
এই বৈঠকের আগে জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ ম্যার্ৎস সতর্ক করে বলেছিলেন, চুক্তির সম্ভাবনা ছিল ‘ফিফটি-ফিফটি।’ বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রী বার্ট ডি ওয়েভারও আইনি ও আর্থিক ঝুঁকি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। তিনি চেয়েছিলেন অন্য ইইউ দেশগুলো যেন সম্ভাব্য সব ক্ষতির দায়ভার নিতে লিখিত প্রতিশ্রুতি দেয়।
শুক্রবার সকালে অবশ্য ডি ওয়েভার বেশ স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, পুঁজিবাজার থেকে ঋণ নেওয়ার এই সিদ্ধান্তের ফলে ইইউ দেশগুলোর মধ্যে অন্তত বড় কোনো ‘বিশৃঙ্খলা বা বিভাজন’ তৈরি হয়নি।
রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, এই সম্পদ ব্যবহারের যেকোনো চেষ্টা হলে তারা ইউরোপীয় ব্যাংকগুলোর বিরুদ্ধে মামলা করবে। বিশ্লেষক ক্রিস উইফার মনে করেন, মস্কো বিষয়টিকে একটি ‘আর্থিক যুদ্ধ’ হিসেবে দেখবে এবং কড়া প্রতিশোধ নেবে। তিনি বলেন, অনেক ইইউ রাষ্ট্রই এখন সরাসরি ইউক্রেনকে অর্থ দিতে হিমশিম খাচ্ছে, তাই তারা মরিয়া হয়ে বিকল্প কোনো উৎসের সন্ধান করছে।

ইউক্রেনের সামরিক ও অর্থনৈতিক প্রয়োজন মেটাতে আগামী ২ বছরের জন্য বড় অঙ্কের সুদহীন ঋণ দিতে রাজি হয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নেতারা। ইইউ কাউন্সিল প্রেসিডেন্ট আন্তোনিও কস্তা আজ শুক্রবার ভোরের দিকে এই ঘোষণা দেন। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
গত বৃহস্পতিবার গভীর রাত পর্যন্ত চলা বৈঠকে নেতারা সিদ্ধান্ত নেন, রাশিয়ার জব্দ করা সম্পদ আপাতত ব্যবহার না করে বরং পুঁজিবাজার থেকে অর্থ ধার করে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা তহবিলের জোগান দেওয়া হবে। কূটনীতিকদের ভাষ্যমতে, বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে নানা আইনি ও রাজনৈতিক জটিলতা কাটানোর চেষ্টা চলেছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আন্তোনিও কস্তা লিখেছেন, ‘চুক্তি হয়ে গেছে। ২০২৬-২৭ সালের জন্য ইউক্রেনকে প্রায় ১০৫ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার সহায়তা দেওয়ার সিদ্ধান্তটি চূড়ান্ত হলো। আমরা কথা দিয়েছিলাম, আমরা তা রেখেছি।’
তহবিলের উৎস নিয়ে কস্তা বিস্তারিত কিছু না জানালেও রয়টার্সের কাছে আসা এক খসড়া নথি বলছে, এই অর্থ আসবে সরাসরি পুঁজিবাজার থেকে এবং এর নিশ্চয়তা থাকবে ইইউ বাজেটের ওপর। রাশিয়ার সম্পদ ব্যবহারের যে বিতর্কিত পরিকল্পনা নিয়ে আগে আলোচনা হচ্ছিল, তা থেকে আপাতত সরে আসা হয়েছে। তবে রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সম্পদকে ভিত্তি করে কোনো ঋণ দেওয়া যায় কি না, তা নিয়ে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট ও সরকারগুলোর মধ্যে আলোচনা চলবে।
এই চুক্তিতে হাঙ্গেরি, স্লোভাকিয়া ও চেক প্রজাতন্ত্রের ওপর কোনো আর্থিক দায় চাপানো হয়নি। কারণ দেশগুলো এই অর্থায়নে অংশ নিতে রাজি ছিল না। শর্ত অনুযায়ী, ইউক্রেন এই ঋণ তখনই শোধ করবে যখন তারা মস্কোর কাছ থেকে যুদ্ধের ক্ষতিপূরণ বা ‘ওয়ার রিপারেশন’ পাবে। ততক্ষণ পর্যন্ত রাশিয়ার সম্পদগুলো অচল অবস্থায় পড়ে থাকবে। তবে প্রয়োজনে সেই সম্পদ থেকে ঋণ শোধ করার অধিকারও ইইউ নিজের হাতে রেখেছে।
এক ইইউ কূটনীতিক রয়টার্সকে বলেন, ‘ইউক্রেনের জন্য অন্তত আগামী দুই বছরের অর্থের সংস্থান নিশ্চিত হওয়াটা একটা ইতিবাচক দিক।’ তবে অন্য একজন কূটনীতিকের মন্তব্য ছিল খানিকটা তির্যক। তিনি বলেন, ‘আমরা এখন ইউক্রেনকে বাঁচানোর চেয়ে বরং নিজেদের মান বাঁচানোর চেষ্টা করছি।’
রাশিয়ার টাকা ব্যবহারের ক্ষেত্রে মূল বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল বেলজিয়াম। রাশিয়ার জব্দ করা ২১০ বিলিয়ন ইউরোর মধ্যে ১৮৫ বিলিয়ন ইউরোই আছে বেলজিয়ামের ইউরোক্লিয়ার নামক প্রতিষ্ঠানে। মস্কোর আইনি ও আর্থিক পাল্টা আঘাতের ভয়ে বেলজিয়াম সরকার বেশ আতঙ্কিত ছিল। ক্রেমলিন আগেই জানিয়ে রেখেছে, তাদের সম্পদ ধরা হলে তারা আদালতে যাবে এবং রাশিয়ায় থাকা বিদেশি সম্পদ বাজেয়াপ্ত করবে।
এই বৈঠকের আগে জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ ম্যার্ৎস সতর্ক করে বলেছিলেন, চুক্তির সম্ভাবনা ছিল ‘ফিফটি-ফিফটি।’ বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রী বার্ট ডি ওয়েভারও আইনি ও আর্থিক ঝুঁকি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। তিনি চেয়েছিলেন অন্য ইইউ দেশগুলো যেন সম্ভাব্য সব ক্ষতির দায়ভার নিতে লিখিত প্রতিশ্রুতি দেয়।
শুক্রবার সকালে অবশ্য ডি ওয়েভার বেশ স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, পুঁজিবাজার থেকে ঋণ নেওয়ার এই সিদ্ধান্তের ফলে ইইউ দেশগুলোর মধ্যে অন্তত বড় কোনো ‘বিশৃঙ্খলা বা বিভাজন’ তৈরি হয়নি।
রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, এই সম্পদ ব্যবহারের যেকোনো চেষ্টা হলে তারা ইউরোপীয় ব্যাংকগুলোর বিরুদ্ধে মামলা করবে। বিশ্লেষক ক্রিস উইফার মনে করেন, মস্কো বিষয়টিকে একটি ‘আর্থিক যুদ্ধ’ হিসেবে দেখবে এবং কড়া প্রতিশোধ নেবে। তিনি বলেন, অনেক ইইউ রাষ্ট্রই এখন সরাসরি ইউক্রেনকে অর্থ দিতে হিমশিম খাচ্ছে, তাই তারা মরিয়া হয়ে বিকল্প কোনো উৎসের সন্ধান করছে।

‘পাপ্পু’, ‘শেহজাদে’ এমন অনেক বিশেষণে বারবার উপহাস করেছেন বিজেপি নেতারা। এমনকি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও রাহুল গান্ধীকে এভাবে ব্যঙ্গ-বিদ্রূপে বারবার বিদ্ধ করেছেন। বছরের পর বছর ধরে বিজেপির উপহাসের প্রধান লক্ষ্য ছিলেন তিনি। এক দশক ধরে প্রতিটি নির্বাচনেই প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের গান্ধী পরিবারের বির
০৪ জুন ২০২৪
যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি অত্যাধুনিক এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান ক্রয়ের পথ সুগম করতে তুরস্ক রাশিয়ার কাছে তাদের সরবরাহ করা এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ফেরত নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে লন্ডন থেকে প্রকাশিত মধ্যপ্রাচ্যকেন্দ্রিক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট আই।
৬ ঘণ্টা আগে
গাজার সমুদ্রতীরবর্তী গ্যাসক্ষেত্র থেকে প্রাপ্ত লভ্যাংশ ব্যবহার করে ধ্বংসপ্রাপ্ত এই উপত্যকার পুনর্গঠন কাজে ব্যয় করার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত আলোচনা করেছে। সাবেক এক পশ্চিমা কর্মকর্তা এবং বর্তমানে কর্মরত এক পশ্চিমা ও এক আরব কর্মকর্তা লন্ডন থেকে প্রকাশিত...
৭ ঘণ্টা আগে
সংগঠিত ভিক্ষাবৃত্তি ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড নিয়ে ক্রমবর্ধমান উদ্বেগের মধ্যে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত পাকিস্তানি নাগরিকদের ওপর নজরদারি জোরদার করেছে। শুধু তা-ই নয়, চলতি বছর এখন পর্যন্ত ৩২ হাজারের বেশি পাকিস্তানিকে ভিক্ষাবৃত্তির অভিযোগে বিভিন্ন দেশ বহিষ্কার করেছে।
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি অত্যাধুনিক এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান ক্রয়ের পথ সুগম করতে তুরস্ক রাশিয়ার কাছে তাদের সরবরাহ করা এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ফেরত নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে লন্ডন থেকে প্রকাশিত মধ্যপ্রাচ্যকেন্দ্রিক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট আই।
গত বুধবার ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান গত সপ্তাহে তুর্কমেনিস্তান এক বৈঠকে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে এই অনুরোধ করেন। রুশ ও তুর্কি কর্মকর্তাদের মধ্যে প্রাথমিক আলোচনার পর এই শীর্ষ বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।
বিষয়টি এমন এক সময়ে প্রকাশ্যে এল, যার কয়েক দিন আগে তুরস্কে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত টম বারাক জানান, আঙ্কারা এবং ওয়াশিংটন পুনরায় এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান উৎপাদন ব্যবস্থায় তুরস্কের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে আলোচনা করছে। বারাক এক পোস্টে লেখেন, ‘তুরস্কের এফ-৩৫ প্রোগ্রামে পুনরায় যোগদানের ইচ্ছা এবং তাদের কাছে থাকা রুশ নির্মিত এস-৪০০ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে।’
তুরস্ক কখনোই এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান নিজ বিমানবহরে যুক্ত করেনি, তবে ২০১৯ সালে রাশিয়ার কাছ থেকে এস-৪০০ কেনার পর এই যুদ্ধবিমানের যৌথ উৎপাদন কর্মসূচি থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল দেশটিকে। সিরিয়ায় তুরস্কের সামরিক অভিযান এবং গ্রিসের আকাশসীমা লঙ্ঘনের কারণে মার্কিন কংগ্রেস আগে থেকেই তুরস্কের ওপর ক্ষুব্ধ ছিল এবং এই ক্রয়ের ফলে আঙ্কারার ওপর বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
২০২০ সালে এক প্রতিরক্ষা বিলে সংশোধনীর মাধ্যমে তুরস্ককে এফ-৩৫ দেওয়া নিষিদ্ধ করা হয়। সে সময় শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছিল যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট যদি নিশ্চিত করেন যে তুরস্কের কাছে এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা নেই, তাহলে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান দেওয়া যেতে পারে। এ ছাড়া নিষেধাজ্ঞার ফলে মার্কিন ও তুর্কি প্রতিরক্ষা সংস্থার মধ্যে সহযোগিতাও স্থবির হয়ে পড়ে।
রাশিয়ার কাছে এস-৪০০ ফেরত নেওয়ার অনুরোধ এরদোয়ানের আগের অবস্থান থেকে এক বড় ধরনের প্যারাডাইম শিফট। আগে তুরস্ক চেয়েছিল এস-৪০০ নিজের কাছেই রাখতে (হয়তো অকেজো অবস্থায়) এবং সেই সঙ্গে এফ-৩৫ ক্রয় করতে। বিশ্লেষকদের মতে, একটি সম্ভাব্য সমাধান হতে পারে তুরস্ক এস-৪০০ কোনো গুদামে রাখবে এবং এটি ব্যবহার করবে না, যা ন্যাটো পরিদর্শকেরা নিয়মিত যাচাই করবেন। এর আগে তুরস্ক এই ব্যবস্থা অন্য কোনো দেশে পাঠাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের অধীনে যুক্তরাষ্ট্র ও তুরস্কের সম্পর্কের উন্নতি হয়েছে। ট্রাম্প সিরিয়ার ইস্যুতে এবং গাজায় হামাসকে যুদ্ধবিরতিতে রাজি করানোর ক্ষেত্রে তুরস্কের প্রভাবের ওপর নির্ভর করছেন। মার্কিন থিংকট্যাংক ফরেন পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের প্রেসিডেন্ট অ্যারন স্টেইন এর আগে বলেছিলেন, ট্রাম্প তুরস্কের সঙ্গে চুক্তিতে পৌঁছাতে আগ্রহী। তিনি বলেন, ‘এফ-৩৫-এর প্রধান গ্রাহক হলো তুরস্ক, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং সৌদি আরব। ট্রাম্প তুরস্কের কাছে এফ-৩৫ বিক্রি করতে অত্যন্ত আগ্রহী। আমার ধারণা, তিনি প্রয়োজনে ইসরায়েলিদের আপত্তির বিরুদ্ধেও যেতে পারেন। ৪০টি জেটের অর্ডার অনেক বড় একটি বিষয়।’

যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি অত্যাধুনিক এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান ক্রয়ের পথ সুগম করতে তুরস্ক রাশিয়ার কাছে তাদের সরবরাহ করা এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ফেরত নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে লন্ডন থেকে প্রকাশিত মধ্যপ্রাচ্যকেন্দ্রিক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট আই।
গত বুধবার ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান গত সপ্তাহে তুর্কমেনিস্তান এক বৈঠকে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে এই অনুরোধ করেন। রুশ ও তুর্কি কর্মকর্তাদের মধ্যে প্রাথমিক আলোচনার পর এই শীর্ষ বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।
বিষয়টি এমন এক সময়ে প্রকাশ্যে এল, যার কয়েক দিন আগে তুরস্কে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত টম বারাক জানান, আঙ্কারা এবং ওয়াশিংটন পুনরায় এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান উৎপাদন ব্যবস্থায় তুরস্কের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে আলোচনা করছে। বারাক এক পোস্টে লেখেন, ‘তুরস্কের এফ-৩৫ প্রোগ্রামে পুনরায় যোগদানের ইচ্ছা এবং তাদের কাছে থাকা রুশ নির্মিত এস-৪০০ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে।’
তুরস্ক কখনোই এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান নিজ বিমানবহরে যুক্ত করেনি, তবে ২০১৯ সালে রাশিয়ার কাছ থেকে এস-৪০০ কেনার পর এই যুদ্ধবিমানের যৌথ উৎপাদন কর্মসূচি থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল দেশটিকে। সিরিয়ায় তুরস্কের সামরিক অভিযান এবং গ্রিসের আকাশসীমা লঙ্ঘনের কারণে মার্কিন কংগ্রেস আগে থেকেই তুরস্কের ওপর ক্ষুব্ধ ছিল এবং এই ক্রয়ের ফলে আঙ্কারার ওপর বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
২০২০ সালে এক প্রতিরক্ষা বিলে সংশোধনীর মাধ্যমে তুরস্ককে এফ-৩৫ দেওয়া নিষিদ্ধ করা হয়। সে সময় শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছিল যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট যদি নিশ্চিত করেন যে তুরস্কের কাছে এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা নেই, তাহলে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান দেওয়া যেতে পারে। এ ছাড়া নিষেধাজ্ঞার ফলে মার্কিন ও তুর্কি প্রতিরক্ষা সংস্থার মধ্যে সহযোগিতাও স্থবির হয়ে পড়ে।
রাশিয়ার কাছে এস-৪০০ ফেরত নেওয়ার অনুরোধ এরদোয়ানের আগের অবস্থান থেকে এক বড় ধরনের প্যারাডাইম শিফট। আগে তুরস্ক চেয়েছিল এস-৪০০ নিজের কাছেই রাখতে (হয়তো অকেজো অবস্থায়) এবং সেই সঙ্গে এফ-৩৫ ক্রয় করতে। বিশ্লেষকদের মতে, একটি সম্ভাব্য সমাধান হতে পারে তুরস্ক এস-৪০০ কোনো গুদামে রাখবে এবং এটি ব্যবহার করবে না, যা ন্যাটো পরিদর্শকেরা নিয়মিত যাচাই করবেন। এর আগে তুরস্ক এই ব্যবস্থা অন্য কোনো দেশে পাঠাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের অধীনে যুক্তরাষ্ট্র ও তুরস্কের সম্পর্কের উন্নতি হয়েছে। ট্রাম্প সিরিয়ার ইস্যুতে এবং গাজায় হামাসকে যুদ্ধবিরতিতে রাজি করানোর ক্ষেত্রে তুরস্কের প্রভাবের ওপর নির্ভর করছেন। মার্কিন থিংকট্যাংক ফরেন পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের প্রেসিডেন্ট অ্যারন স্টেইন এর আগে বলেছিলেন, ট্রাম্প তুরস্কের সঙ্গে চুক্তিতে পৌঁছাতে আগ্রহী। তিনি বলেন, ‘এফ-৩৫-এর প্রধান গ্রাহক হলো তুরস্ক, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং সৌদি আরব। ট্রাম্প তুরস্কের কাছে এফ-৩৫ বিক্রি করতে অত্যন্ত আগ্রহী। আমার ধারণা, তিনি প্রয়োজনে ইসরায়েলিদের আপত্তির বিরুদ্ধেও যেতে পারেন। ৪০টি জেটের অর্ডার অনেক বড় একটি বিষয়।’

‘পাপ্পু’, ‘শেহজাদে’ এমন অনেক বিশেষণে বারবার উপহাস করেছেন বিজেপি নেতারা। এমনকি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও রাহুল গান্ধীকে এভাবে ব্যঙ্গ-বিদ্রূপে বারবার বিদ্ধ করেছেন। বছরের পর বছর ধরে বিজেপির উপহাসের প্রধান লক্ষ্য ছিলেন তিনি। এক দশক ধরে প্রতিটি নির্বাচনেই প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের গান্ধী পরিবারের বির
০৪ জুন ২০২৪
ইউক্রেনের সামরিক ও অর্থনৈতিক প্রয়োজন মেটাতে আগামী ২ বছরের জন্য বড় অঙ্কের সুদহীন ঋণ দিতে রাজি হয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নেতারা। ইইউ কাউন্সিল প্রেসিডেন্ট আন্তোনিও কস্তা আজ শুক্রবার ভোরের দিকে এই ঘোষণা দেন। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৫ ঘণ্টা আগে
গাজার সমুদ্রতীরবর্তী গ্যাসক্ষেত্র থেকে প্রাপ্ত লভ্যাংশ ব্যবহার করে ধ্বংসপ্রাপ্ত এই উপত্যকার পুনর্গঠন কাজে ব্যয় করার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত আলোচনা করেছে। সাবেক এক পশ্চিমা কর্মকর্তা এবং বর্তমানে কর্মরত এক পশ্চিমা ও এক আরব কর্মকর্তা লন্ডন থেকে প্রকাশিত...
৭ ঘণ্টা আগে
সংগঠিত ভিক্ষাবৃত্তি ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড নিয়ে ক্রমবর্ধমান উদ্বেগের মধ্যে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত পাকিস্তানি নাগরিকদের ওপর নজরদারি জোরদার করেছে। শুধু তা-ই নয়, চলতি বছর এখন পর্যন্ত ৩২ হাজারের বেশি পাকিস্তানিকে ভিক্ষাবৃত্তির অভিযোগে বিভিন্ন দেশ বহিষ্কার করেছে।
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

গাজার সমুদ্রতীরবর্তী গ্যাসক্ষেত্র থেকে প্রাপ্ত লভ্যাংশ ব্যবহার করে ধ্বংসপ্রাপ্ত এই উপত্যকার পুনর্গঠন কাজে ব্যয় করার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত আলোচনা করেছে। সাবেক এক পশ্চিমা কর্মকর্তা এবং বর্তমানে কর্মরত এক পশ্চিমা ও এক আরব কর্মকর্তা লন্ডন থেকে প্রকাশিত মধ্যপ্রাচ্যকেন্দ্রিক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট আইকে এই তথ্য জানিয়েছেন।
সূত্রগুলো জানিয়েছে, এই আলোচনা বিভিন্ন আঙ্গিকে হয়েছে। এর মধ্যে একটি প্রস্তাব হলো—আবুধাবি ন্যাশনাল অয়েল কোম্পানি (এডনক) গাজার এখনো ব্যবহৃত হয়নি এমন গ্যাসক্ষেত্রগুলোর মালিকানায় অংশ নেবে এবং সেখান থেকে প্রাপ্ত অর্থ গাজার পুনর্গঠনে ব্যয় করা হবে।
আলোচনা এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। যুদ্ধবিরতি স্বাক্ষরের আগেই যুক্তরাষ্ট্র গাজার যুদ্ধোত্তর যে পরিকল্পনা শুরু করেছিল, তার অধিকাংশের মতোই এখানেও কোনো চূড়ান্ত প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়নি। তবে সাবেক ওই পশ্চিমা কর্মকর্তা জানান, ডিসেম্বরে গাজার গ্যাস থেকে অর্থ উপার্জনের ধারণাটি পুনরায় আলোচনায় আসে।
২০০০ সালে গাজার সামুদ্রিক এলাকায় গ্যাস আবিষ্কৃত হয়। এই গ্যাসক্ষেত্র উন্নয়নের অধিকার দুটি প্রতিষ্ঠানের হাতে রয়েছে: ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের সার্বভৌম তহবিল প্যালেস্টাইন ইনভেস্টমেন্ট ফোরাম এবং কনসোলিডেটেড কন্ট্রাক্টরস কোম্পানি। এটি একটি নির্মাণ ও জ্বালানি গোষ্ঠী, যার মালিক গ্রিসভিত্তিক এক প্রবাসী ফিলিস্তিনি পরিবার।
এই প্রকল্পের প্রায় ৪৫ শতাংশ মালিকানা একজন আন্তর্জাতিক অংশীদারের জন্য সংরক্ষিত। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ওপর হামাসের হামলা এবং পরবর্তী যুদ্ধের আগে মিসর এই মালিকানায় অংশ নিতে আগ্রহী ছিল। জাতিসংঘ বর্তমান এই যুদ্ধকে ‘গণহত্যা’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
পূর্ব ভূমধ্যসাগরীয় গ্যাস বিশেষজ্ঞ এবং দ্য গাজা মেরিন স্টোরি বইয়ের লেখক মাইকেল ব্যারন বলেন, ‘প্রকল্পটি বাণিজ্যিকভাবে অত্যন্ত লাভজনক।’
ব্যারন যখন ১৫ বছর আগে এই প্রকল্পে কাজ করেছিলেন, তখন গ্যাসক্ষেত্রটি উন্নয়নের খরচ ধরা হয়েছিল ৭৫ কোটি ডলার। এটি থেকে প্রায় ৪০০ কোটি ডলার আয় হওয়ার কথা ছিল, যার মধ্যে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ ১৫ বছর ধরে বছরে ১০ কোটি ডলার করে লভ্যাংশ পেত। তিনি বলেন, ‘বর্তমানে এটি ফিলিস্তিনিদের সবচেয়ে মূল্যবান প্রাকৃতিক সম্পদ। এর উন্নয়ন পুনর্গঠন কাজে বড় অবদান রাখতে পারে।’
জাতিসংঘের অনুমান অনুযায়ী, গাজার পূর্ণ পুনর্গঠন খরচ অনেক বেশি—প্রায় ৭ হাজার কোটি ডলার। তবে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েল এই উপত্যকাকে সম্পূর্ণরূপে পুনর্নির্মাণের ধারেকাছেও নেই। বরং ডোনাল্ড ট্রাম্পের জামাতা জ্যারেড কুশনারের ঘনিষ্ঠ একদল মার্কিন প্রতিনিধি ইসরায়েল-অধিকৃত গাজার অর্ধাংশে অস্থায়ী আবাসন নির্মাণের একটি ছোট পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছেন।
সাবেক পশ্চিমা কর্মকর্তা জানান, তিনি মিসর ও সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ উপসাগরীয় দেশগুলোর উচ্চপদস্থ কূটনীতিকদের সাথে কথা বলেছেন। তারা সবাই গাজাকে বিভক্ত রাখার এই পরিকল্পনার বিরোধিতা করেছেন। ট্রাম্পের আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েনের পরিকল্পনাটিও থমকে আছে, কারণ আরব ও মুসলিম দেশগুলো হামাস এবং ইসরায়েলি সেনাদের মাঝখানে পড়ে যাওয়ার ভয়ে সেনা পাঠাতে ইচ্ছুক নয়।
কাতার এবং সৌদি আরব গাজার পুনর্গঠনে অর্থায়ন করার ব্যাপারে অনাগ্রহ প্রকাশ করেছে। কাতারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আবদুর রহমান আল-থানি জানিয়েছেন, অন্যরা যা ধ্বংস করেছে তা পুনর্নির্মাণের জন্য তারা চেক লিখবেন না। অন্যদিকে, সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানও ট্রাম্পের সাথে বৈঠকে কোনো তহবিলের প্রতিশ্রুতি দেননি।
এই পরিস্থিতিতে সংযুক্ত আরব আমিরাত গাজায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের প্রধান উপসাগরীয় অংশীদার হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। আবুধাবি বর্তমানে গাজায় বৃহত্তম মানবিক ত্রাণ দাতা।
ট্রাম্প প্রশাসন ইতিমধ্যে ইউক্রেনের যুদ্ধ এবং রুয়ান্ডা-কঙ্গো শান্তি চুক্তিকে যেভাবে ব্যবসায়িক লেনদেনের সাথে যুক্ত করেছে, গাজার ক্ষেত্রেও প্রাকৃতিক সম্পদ (গ্যাস) ব্যবহারের মাধ্যমে তারা একই পথে হাঁটতে চাইছে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।

গাজার সমুদ্রতীরবর্তী গ্যাসক্ষেত্র থেকে প্রাপ্ত লভ্যাংশ ব্যবহার করে ধ্বংসপ্রাপ্ত এই উপত্যকার পুনর্গঠন কাজে ব্যয় করার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত আলোচনা করেছে। সাবেক এক পশ্চিমা কর্মকর্তা এবং বর্তমানে কর্মরত এক পশ্চিমা ও এক আরব কর্মকর্তা লন্ডন থেকে প্রকাশিত মধ্যপ্রাচ্যকেন্দ্রিক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট আইকে এই তথ্য জানিয়েছেন।
সূত্রগুলো জানিয়েছে, এই আলোচনা বিভিন্ন আঙ্গিকে হয়েছে। এর মধ্যে একটি প্রস্তাব হলো—আবুধাবি ন্যাশনাল অয়েল কোম্পানি (এডনক) গাজার এখনো ব্যবহৃত হয়নি এমন গ্যাসক্ষেত্রগুলোর মালিকানায় অংশ নেবে এবং সেখান থেকে প্রাপ্ত অর্থ গাজার পুনর্গঠনে ব্যয় করা হবে।
আলোচনা এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। যুদ্ধবিরতি স্বাক্ষরের আগেই যুক্তরাষ্ট্র গাজার যুদ্ধোত্তর যে পরিকল্পনা শুরু করেছিল, তার অধিকাংশের মতোই এখানেও কোনো চূড়ান্ত প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়নি। তবে সাবেক ওই পশ্চিমা কর্মকর্তা জানান, ডিসেম্বরে গাজার গ্যাস থেকে অর্থ উপার্জনের ধারণাটি পুনরায় আলোচনায় আসে।
২০০০ সালে গাজার সামুদ্রিক এলাকায় গ্যাস আবিষ্কৃত হয়। এই গ্যাসক্ষেত্র উন্নয়নের অধিকার দুটি প্রতিষ্ঠানের হাতে রয়েছে: ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের সার্বভৌম তহবিল প্যালেস্টাইন ইনভেস্টমেন্ট ফোরাম এবং কনসোলিডেটেড কন্ট্রাক্টরস কোম্পানি। এটি একটি নির্মাণ ও জ্বালানি গোষ্ঠী, যার মালিক গ্রিসভিত্তিক এক প্রবাসী ফিলিস্তিনি পরিবার।
এই প্রকল্পের প্রায় ৪৫ শতাংশ মালিকানা একজন আন্তর্জাতিক অংশীদারের জন্য সংরক্ষিত। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ওপর হামাসের হামলা এবং পরবর্তী যুদ্ধের আগে মিসর এই মালিকানায় অংশ নিতে আগ্রহী ছিল। জাতিসংঘ বর্তমান এই যুদ্ধকে ‘গণহত্যা’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
পূর্ব ভূমধ্যসাগরীয় গ্যাস বিশেষজ্ঞ এবং দ্য গাজা মেরিন স্টোরি বইয়ের লেখক মাইকেল ব্যারন বলেন, ‘প্রকল্পটি বাণিজ্যিকভাবে অত্যন্ত লাভজনক।’
ব্যারন যখন ১৫ বছর আগে এই প্রকল্পে কাজ করেছিলেন, তখন গ্যাসক্ষেত্রটি উন্নয়নের খরচ ধরা হয়েছিল ৭৫ কোটি ডলার। এটি থেকে প্রায় ৪০০ কোটি ডলার আয় হওয়ার কথা ছিল, যার মধ্যে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ ১৫ বছর ধরে বছরে ১০ কোটি ডলার করে লভ্যাংশ পেত। তিনি বলেন, ‘বর্তমানে এটি ফিলিস্তিনিদের সবচেয়ে মূল্যবান প্রাকৃতিক সম্পদ। এর উন্নয়ন পুনর্গঠন কাজে বড় অবদান রাখতে পারে।’
জাতিসংঘের অনুমান অনুযায়ী, গাজার পূর্ণ পুনর্গঠন খরচ অনেক বেশি—প্রায় ৭ হাজার কোটি ডলার। তবে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েল এই উপত্যকাকে সম্পূর্ণরূপে পুনর্নির্মাণের ধারেকাছেও নেই। বরং ডোনাল্ড ট্রাম্পের জামাতা জ্যারেড কুশনারের ঘনিষ্ঠ একদল মার্কিন প্রতিনিধি ইসরায়েল-অধিকৃত গাজার অর্ধাংশে অস্থায়ী আবাসন নির্মাণের একটি ছোট পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছেন।
সাবেক পশ্চিমা কর্মকর্তা জানান, তিনি মিসর ও সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ উপসাগরীয় দেশগুলোর উচ্চপদস্থ কূটনীতিকদের সাথে কথা বলেছেন। তারা সবাই গাজাকে বিভক্ত রাখার এই পরিকল্পনার বিরোধিতা করেছেন। ট্রাম্পের আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েনের পরিকল্পনাটিও থমকে আছে, কারণ আরব ও মুসলিম দেশগুলো হামাস এবং ইসরায়েলি সেনাদের মাঝখানে পড়ে যাওয়ার ভয়ে সেনা পাঠাতে ইচ্ছুক নয়।
কাতার এবং সৌদি আরব গাজার পুনর্গঠনে অর্থায়ন করার ব্যাপারে অনাগ্রহ প্রকাশ করেছে। কাতারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আবদুর রহমান আল-থানি জানিয়েছেন, অন্যরা যা ধ্বংস করেছে তা পুনর্নির্মাণের জন্য তারা চেক লিখবেন না। অন্যদিকে, সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানও ট্রাম্পের সাথে বৈঠকে কোনো তহবিলের প্রতিশ্রুতি দেননি।
এই পরিস্থিতিতে সংযুক্ত আরব আমিরাত গাজায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের প্রধান উপসাগরীয় অংশীদার হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। আবুধাবি বর্তমানে গাজায় বৃহত্তম মানবিক ত্রাণ দাতা।
ট্রাম্প প্রশাসন ইতিমধ্যে ইউক্রেনের যুদ্ধ এবং রুয়ান্ডা-কঙ্গো শান্তি চুক্তিকে যেভাবে ব্যবসায়িক লেনদেনের সাথে যুক্ত করেছে, গাজার ক্ষেত্রেও প্রাকৃতিক সম্পদ (গ্যাস) ব্যবহারের মাধ্যমে তারা একই পথে হাঁটতে চাইছে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।

‘পাপ্পু’, ‘শেহজাদে’ এমন অনেক বিশেষণে বারবার উপহাস করেছেন বিজেপি নেতারা। এমনকি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও রাহুল গান্ধীকে এভাবে ব্যঙ্গ-বিদ্রূপে বারবার বিদ্ধ করেছেন। বছরের পর বছর ধরে বিজেপির উপহাসের প্রধান লক্ষ্য ছিলেন তিনি। এক দশক ধরে প্রতিটি নির্বাচনেই প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের গান্ধী পরিবারের বির
০৪ জুন ২০২৪
ইউক্রেনের সামরিক ও অর্থনৈতিক প্রয়োজন মেটাতে আগামী ২ বছরের জন্য বড় অঙ্কের সুদহীন ঋণ দিতে রাজি হয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নেতারা। ইইউ কাউন্সিল প্রেসিডেন্ট আন্তোনিও কস্তা আজ শুক্রবার ভোরের দিকে এই ঘোষণা দেন। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৫ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি অত্যাধুনিক এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান ক্রয়ের পথ সুগম করতে তুরস্ক রাশিয়ার কাছে তাদের সরবরাহ করা এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ফেরত নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে লন্ডন থেকে প্রকাশিত মধ্যপ্রাচ্যকেন্দ্রিক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট আই।
৬ ঘণ্টা আগে
সংগঠিত ভিক্ষাবৃত্তি ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড নিয়ে ক্রমবর্ধমান উদ্বেগের মধ্যে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত পাকিস্তানি নাগরিকদের ওপর নজরদারি জোরদার করেছে। শুধু তা-ই নয়, চলতি বছর এখন পর্যন্ত ৩২ হাজারের বেশি পাকিস্তানিকে ভিক্ষাবৃত্তির অভিযোগে বিভিন্ন দেশ বহিষ্কার করেছে।
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সংগঠিত ভিক্ষাবৃত্তি ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড নিয়ে ক্রমবর্ধমান উদ্বেগের মধ্যে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত পাকিস্তানি নাগরিকদের ওপর নজরদারি জোরদার করেছে। শুধু তা-ই নয়, চলতি বছর এখন পর্যন্ত ৩২ হাজারের বেশি পাকিস্তানিকে ভিক্ষাবৃত্তির অভিযোগে বিভিন্ন দেশ বহিষ্কার করেছে। পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষের মতে, এই প্রবণতা দেশটির আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে।
চলতি বছর ভিক্ষাবৃত্তির অভিযোগে সৌদি আরব ২৪ হাজার পাকিস্তানিকে বহিষ্কার করেছে। অন্যদিকে সংযুক্ত আরব আমিরাত অধিকাংশ পাকিস্তানি নাগরিকের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। দেশটির দাবি, অনেকে সে দেশে পৌঁছানোর পর ‘অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছে।’
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি পাকিস্তানের ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির (এফআইএ) বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে। সংস্থাটি বলেছে, ২০২৫ সালে সংগঠিত ভিক্ষুক সিন্ডিকেট নির্মূল এবং অবৈধ অভিবাসন ঠেকাতে কর্তৃপক্ষ বিমানবন্দরগুলোতে ৬৬ হাজার ১৫৪ জন যাত্রীকে নামিয়ে দিয়েছে (অফলোড করেছে)।
এফআইএর মহাপরিচালক রিফাত মুখতার বলেন, এই নেটওয়ার্কগুলো পাকিস্তানের সুনাম নষ্ট করছে। তিনি উল্লেখ করেন, এই প্রবণতা শুধু উপসাগরীয় দেশগুলোর মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। আফ্রিকা ও ইউরোপ ভ্রমণের ক্ষেত্রেও একই ধরনের ঘটনা শনাক্ত হয়েছে এবং কম্বোডিয়া ও থাইল্যান্ডের মতো দেশে পর্যটন ভিসার অপব্যবহারের প্রমাণ পাওয়া গেছে।
মুখতারের তথ্য অনুযায়ী, ভিক্ষাবৃত্তির অভিযোগে সৌদি আরব এ বছর ২৪ হাজার পাকিস্তানিকে ফেরত পাঠিয়েছে। দুবাই প্রায় ৬ হাজার ব্যক্তিকে এবং আজারবাইজান প্রায় আড়াই হাজার পাকিস্তানি ভিক্ষুককে বহিষ্কার করেছে। অর্থ্যাৎ ৩২ হাজারের বেশি পাকিস্তানিকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বিষয়টি গত বছরই সৌদি কর্তৃপক্ষের বিশেষ দৃষ্টি আকর্ষণ করে। ২০২৪ সালে রিয়াদ আনুষ্ঠানিকভাবে পাকিস্তানকে অনুরোধ করেছিল, যেন ভিক্ষুকেরা মক্কা ও মদিনায় ওমরাহ ভিসার অপব্যবহার করে ভিক্ষা করতে না পারে। সৌদি আরবের ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় তখন সতর্ক করে দিয়েছিল যে এই চর্চা বন্ধে ব্যর্থ হলে তা পাকিস্তানের ওমরাহ ও হজযাত্রীদের জন্য বিরূপ পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে পারে।
পাকিস্তানের আইন বিশেষজ্ঞরা বিষয়টিকে বিশ্লেষণ করেছেন। গত বছর দ্য ডন পত্রিকায় অ্যাটর্নি রাফিয়া জাকারিয়া ভিক্ষাবৃত্তিকে নিছক অভাবের তাড়না নয়, বরং একটি সুসংগঠিত উদ্যোগ হিসেবে বর্ণনা করেন।
তিনি লিখেছিলেন, ‘পাকিস্তানের একটি শিল্প, যা অত্যন্ত সুসংগঠিত এবং এর সদস্যদের কাজ নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে বেশ সফল, তা হলো ভিক্ষাবৃত্তি। এটি এখন এতই সফল একটি উদ্যোগ যে এটি অন্য দেশে রপ্তানি এবং সম্প্রসারণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘অনেক পাকিস্তানি হয়তো হজের সময় নিজের চোখে দেখেছেন, এই ভিক্ষুকেরা মক্কা ও মদিনার পবিত্র স্থানগুলোর বাইরে আস্তানা গড়ে তোলে। তারা সেখানে বিদেশি হজযাত্রীদের টাকার জন্য সেভাবেই হয়রানি করে, যেভাবে পাকিস্তানের বাজারগুলোতে ক্রেতাদের করে থাকে।’

সংগঠিত ভিক্ষাবৃত্তি ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড নিয়ে ক্রমবর্ধমান উদ্বেগের মধ্যে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত পাকিস্তানি নাগরিকদের ওপর নজরদারি জোরদার করেছে। শুধু তা-ই নয়, চলতি বছর এখন পর্যন্ত ৩২ হাজারের বেশি পাকিস্তানিকে ভিক্ষাবৃত্তির অভিযোগে বিভিন্ন দেশ বহিষ্কার করেছে। পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষের মতে, এই প্রবণতা দেশটির আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে।
চলতি বছর ভিক্ষাবৃত্তির অভিযোগে সৌদি আরব ২৪ হাজার পাকিস্তানিকে বহিষ্কার করেছে। অন্যদিকে সংযুক্ত আরব আমিরাত অধিকাংশ পাকিস্তানি নাগরিকের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। দেশটির দাবি, অনেকে সে দেশে পৌঁছানোর পর ‘অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছে।’
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি পাকিস্তানের ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির (এফআইএ) বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে। সংস্থাটি বলেছে, ২০২৫ সালে সংগঠিত ভিক্ষুক সিন্ডিকেট নির্মূল এবং অবৈধ অভিবাসন ঠেকাতে কর্তৃপক্ষ বিমানবন্দরগুলোতে ৬৬ হাজার ১৫৪ জন যাত্রীকে নামিয়ে দিয়েছে (অফলোড করেছে)।
এফআইএর মহাপরিচালক রিফাত মুখতার বলেন, এই নেটওয়ার্কগুলো পাকিস্তানের সুনাম নষ্ট করছে। তিনি উল্লেখ করেন, এই প্রবণতা শুধু উপসাগরীয় দেশগুলোর মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। আফ্রিকা ও ইউরোপ ভ্রমণের ক্ষেত্রেও একই ধরনের ঘটনা শনাক্ত হয়েছে এবং কম্বোডিয়া ও থাইল্যান্ডের মতো দেশে পর্যটন ভিসার অপব্যবহারের প্রমাণ পাওয়া গেছে।
মুখতারের তথ্য অনুযায়ী, ভিক্ষাবৃত্তির অভিযোগে সৌদি আরব এ বছর ২৪ হাজার পাকিস্তানিকে ফেরত পাঠিয়েছে। দুবাই প্রায় ৬ হাজার ব্যক্তিকে এবং আজারবাইজান প্রায় আড়াই হাজার পাকিস্তানি ভিক্ষুককে বহিষ্কার করেছে। অর্থ্যাৎ ৩২ হাজারের বেশি পাকিস্তানিকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বিষয়টি গত বছরই সৌদি কর্তৃপক্ষের বিশেষ দৃষ্টি আকর্ষণ করে। ২০২৪ সালে রিয়াদ আনুষ্ঠানিকভাবে পাকিস্তানকে অনুরোধ করেছিল, যেন ভিক্ষুকেরা মক্কা ও মদিনায় ওমরাহ ভিসার অপব্যবহার করে ভিক্ষা করতে না পারে। সৌদি আরবের ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় তখন সতর্ক করে দিয়েছিল যে এই চর্চা বন্ধে ব্যর্থ হলে তা পাকিস্তানের ওমরাহ ও হজযাত্রীদের জন্য বিরূপ পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে পারে।
পাকিস্তানের আইন বিশেষজ্ঞরা বিষয়টিকে বিশ্লেষণ করেছেন। গত বছর দ্য ডন পত্রিকায় অ্যাটর্নি রাফিয়া জাকারিয়া ভিক্ষাবৃত্তিকে নিছক অভাবের তাড়না নয়, বরং একটি সুসংগঠিত উদ্যোগ হিসেবে বর্ণনা করেন।
তিনি লিখেছিলেন, ‘পাকিস্তানের একটি শিল্প, যা অত্যন্ত সুসংগঠিত এবং এর সদস্যদের কাজ নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে বেশ সফল, তা হলো ভিক্ষাবৃত্তি। এটি এখন এতই সফল একটি উদ্যোগ যে এটি অন্য দেশে রপ্তানি এবং সম্প্রসারণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘অনেক পাকিস্তানি হয়তো হজের সময় নিজের চোখে দেখেছেন, এই ভিক্ষুকেরা মক্কা ও মদিনার পবিত্র স্থানগুলোর বাইরে আস্তানা গড়ে তোলে। তারা সেখানে বিদেশি হজযাত্রীদের টাকার জন্য সেভাবেই হয়রানি করে, যেভাবে পাকিস্তানের বাজারগুলোতে ক্রেতাদের করে থাকে।’

‘পাপ্পু’, ‘শেহজাদে’ এমন অনেক বিশেষণে বারবার উপহাস করেছেন বিজেপি নেতারা। এমনকি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও রাহুল গান্ধীকে এভাবে ব্যঙ্গ-বিদ্রূপে বারবার বিদ্ধ করেছেন। বছরের পর বছর ধরে বিজেপির উপহাসের প্রধান লক্ষ্য ছিলেন তিনি। এক দশক ধরে প্রতিটি নির্বাচনেই প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের গান্ধী পরিবারের বির
০৪ জুন ২০২৪
ইউক্রেনের সামরিক ও অর্থনৈতিক প্রয়োজন মেটাতে আগামী ২ বছরের জন্য বড় অঙ্কের সুদহীন ঋণ দিতে রাজি হয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নেতারা। ইইউ কাউন্সিল প্রেসিডেন্ট আন্তোনিও কস্তা আজ শুক্রবার ভোরের দিকে এই ঘোষণা দেন। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৫ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি অত্যাধুনিক এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান ক্রয়ের পথ সুগম করতে তুরস্ক রাশিয়ার কাছে তাদের সরবরাহ করা এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ফেরত নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে লন্ডন থেকে প্রকাশিত মধ্যপ্রাচ্যকেন্দ্রিক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট আই।
৬ ঘণ্টা আগে
গাজার সমুদ্রতীরবর্তী গ্যাসক্ষেত্র থেকে প্রাপ্ত লভ্যাংশ ব্যবহার করে ধ্বংসপ্রাপ্ত এই উপত্যকার পুনর্গঠন কাজে ব্যয় করার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত আলোচনা করেছে। সাবেক এক পশ্চিমা কর্মকর্তা এবং বর্তমানে কর্মরত এক পশ্চিমা ও এক আরব কর্মকর্তা লন্ডন থেকে প্রকাশিত...
৭ ঘণ্টা আগে