নদী সুরক্ষায় অনেক প্রকল্প থাকলেও এতে জন-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন নেই। স্বাধীনতার এত বছর পরও নদী রক্ষায় সরকার জোরালো পদক্ষেপ নিতে পারেনি। তাছাড়া নদী দখল যারা করছে, তারা সকলেই সরকারের কাঁধে ভর করে এ কাজ করছে।
আজ শনিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘প্রস্তাবিত নাগরিক সুপারিশ: নদী সুরক্ষায় রাজনৈতিক অঙ্গীকারের গুরুত্ব’-শীর্ষক নাগরিক সংলাপে আলোচকেরা এসব কথা বলেন।
আয়োজক সংস্থা ওয়াটারকিপার্স থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
নাগরিক সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাকা-২ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের দুর্ভাগ্য যে আজকে বাংলাদেশ ৫৪ বছর পার করছে কিন্তু আমরা আমাদের পরিবেশ রক্ষায় তেমন কোনো গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারিনি। ঢাকায় আগে যে সকল খাল ছিল তা আর নেই। যার ফলে এখন একটুখানি বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতা তৈরি হয়। আজকে সিটি করপোরেশন উদ্ধারের চেষ্টা করছে। নদী দখল যারা করছে তারা সকলেই সরকারের কাঁধে ভর করে এ কাজ করছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আগে আমরা বজরায় চড়ে মিরপুরে পিকনিকে যেতাম। কিন্তু এখন তা আর সম্ভব নয়। কারণ বুড়িগঙ্গা অনেক বড় একটি নদী ছিল যা বর্তমানে সরুখাল হয়ে এসেছে।’
ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশের সমন্বয়ক শরীফ জামিল বলেন, ‘আজকের এই সংলাপ অনুষ্ঠানে আমরা জানতে পারলাম ঢাকা শহর এবং তার আশপাশের নদী সুরক্ষায় ৫০টি প্রকল্প গ্রহণ করেছে সরকার। এই প্রকল্পগুলোতে জন-সম্পৃক্ততা ও জন-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন দেখতে চাই আমরা।’
সংলাপে আরও আলোচনায় অংশ নেন খুলনার সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার, ইউএসএইড বাংলাদেশের ডিআরজি অফিস ডিরেক্টর অ্যালেনা ট্যানসি, কাউন্টারপার্ট ইন্টারন্যাশনালের চিফ অব পার্টি কেটি ক্রোক, সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল অ্যান্ড জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (সিইজিআইএসএস) নির্বাহী পরিচালক মালিক ফিদা এ খান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনর ৫৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. নূরে আলম প্রমুখ।
মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে