Ajker Patrika

রামেক হাসপাতালে ইন্টার্ন থাকতেও অস্ত্র নিয়ে রোগী দেখতেন রায়হান

রিমন রহমান, রাজশাহী
আপডেট : ০৬ মার্চ ২০২৪, ১৪: ৩০
রামেক হাসপাতালে ইন্টার্ন থাকতেও অস্ত্র নিয়ে রোগী দেখতেন রায়হান

শ্রেণিকক্ষে ছাত্রকে গুলি করার ঘটনায় গ্রেপ্তার সিরাজগঞ্জের এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের শিক্ষক ডা. রায়হান শরীফ পড়াশোনা করেছেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজে (রামেক)। তিনি ছিলেন রামেক শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি। তিনি রামেক হাসপাতালে ইন্টার্নশিপ করেছেন। এ ছাড়া পরে কিছুদিন গোদাগাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ছিলেন। এসব হাসপাতালে তিনি অস্ত্র নিয়েই রোগী দেখতেন। অস্ত্র দেখিয়ে অনেককে ভয়ভীতিও দেখিয়েছেন। 

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালে তিনি রামেক হাসপাতালে ইন্টার্নশিপ করেন। ওই সময়ই তাঁর হাতে একাধিকবার আগ্নেয়াস্ত্র দেখা গেছে। একাধিকবার তিনি অস্ত্র উঁচিয়েছেন রোগীর স্বজনদের দিকে। তবে কথায় কথায় ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ধর্মঘট কর্মসূচির কারণে জিম্মি হাসপাতাল কিংবা কলেজ কর্তৃপক্ষ তাঁর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেনি। যদিও রায়হান শরীফের কারণে রামেক হাসপাতাল উত্তপ্ত হয়েছে বারবার। 

অনুসন্ধানে জানা গেছে, ২০১৬ সালে রামেক ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন শফিকুল ইসলাম অপু। আর সাধারণ সম্পাদক ছিলেন কামাল হোসেন। তাদের কমিটিরই সহসভাপতি ছিলেন রায়হান শরীফ। রায়হান শরীফ সভাপতি শফিকুল ইসলামের অনুসারী ছিলেন। সে সময় রামেক হাসপাতাল ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের নিয়ন্ত্রণ ছিল ছাত্রলীগের হাতে। ছাত্রলীগ আর ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদ এক হয়ে হাসপাতালে কথায় কথায় রোগীর স্বজনদের পেটাত। ওই সময় ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের মুখপাত্রও ছিলেন ডা. রায়হান শরীফ। 

অস্ত্রবাজ রায়হান ২০১৬ সালের ৬ নভেম্বর রামেক হাসপাতালের একটি ওয়ার্ডে ইন্টার্ন চিকিৎসক হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন। সেদিন ওই ওয়ার্ডে জয় (১৮) নামের এক রোগী মারা যান। তখন রোগীর স্বজনেরা অভিযোগ করেন, জয়কে হাসপাতালে ভর্তির পর সেখানে কর্তব্যরত ইন্টার্ন চিকিৎসকদের বারবার ডাকা হলেও কেউ যাননি। 

বিনা চিকিৎসায় জয়ের মৃত্যুর পর স্বজনেরা ইন্টার্ন চিকিৎসক ও রামেক ছাত্রলীগের সহসভাপতি রায়হান শরীফের সঙ্গে কথা বলতে গেলে তিনি তাঁদের ওপর চড়াও হন। একপর্যায়ে অস্ত্র বের করেন। এরই মধ্যে ছাত্রলীগের আরও ১০-১২ জন নেতা-কর্মী চলে আসেন। তাঁরা রোগীর স্বজনদের জিম্মি করেন। 

এর এক সপ্তাহ পর ১৩ নভেম্বর হাসপাতালের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে মহসিন আলী (৭৫) নামের এক রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ ওঠে বিনা চিকিৎসায়। এই ওয়ার্ডে দায়িত্বে ছিলেন রামেক ছাত্রলীগের তৎকালীন সভাপতি শফিকুল ইসলাম অপু। মহসিনের মৃত্যুর পর তাঁর দুই ছেলে রফিকুল ইসলাম (৪০) ও আনারুল ইসলাম (৩০) হাসপাতালে আহাজারির সঙ্গে চিকিৎসকদের অভিশাপ দেন। 

এ সময় শফিকুল ইসলাম অপু এই রায়হান শরীফসহ আরও ১০-১২ জন ইন্টার্ন চিকিৎসককে ফোন করে ডাকেন। রায়হান শরীফ সেদিনও দুই ভাইয়ের দিকে অস্ত্র তাক করেন। এ সময় তাঁদের মা রহিমা বিবি (৬৫) দুই ছেলের মাঝে দাঁড়িয়ে যান। পরে দুই ভাইকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে সেদিন পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। 

পরে সামাজিক সংগঠন রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে সেদিনের ঘটনার বিবরণ দিয়ে রহিমা বিবি বলেছিলেন, ‘একজন ইন্টার্নির হাতে পিস্তল ছিল। সে আমার ছেলেকে গুলি করে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। তখন ছেলেরা বলছে, ‘মারেন, বাপরে মারলেন, আমরাকেও মারেন।’ ’ পরে গুলি না করে আমার ছেলেদের পিটিয়ে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়। এরপর তাদের পুলিশে দেওয়া হয়। তাদের বাবার লাশ মর্গে পড়ে থাকে।’ 

এ ঘটনার দুই দিন পর ১৫ নভেম্বর হাসপাতালের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে নাহিদ হোসেন (২৬) ও সাদ্দাম হোসেন (৩০) নামে রোগীর দুই স্বজনকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখমের পর পুলিশের হাতে তুলে দেন ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা। ভর্তির এক দিন পরও রোগী জয়নাল হোসেনের (৭০) চিকিৎসা হচ্ছিল না বলে সেদিন ওই দুজন ওয়ার্ডের ইন্টার্ন চিকিৎসক ও ছাত্রলীগের কর্মী কে এম সালাউদ্দিনের সঙ্গে কথা বলতে গিয়েছিলেন। এ সময় তর্কবিতর্কের একপর্যায়ে তাঁদের মারধর করা হয়। সেদিনও সালাউদ্দিনের পক্ষে ওয়ার্ডে গিয়ে দুজনকে মারধর করেন রায়হান শরীফ। 

রাজশাহী মহানগর ছাত্রলীগের এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘রায়হান শরীফ ছাত্রজীবনেই একটা মেশিন (অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র) সংগ্রহ করে কাছে রাখত। ওই সময় শিবির দমনে তার অবদান ছিল। সে কারণে ছাত্রলীগের তৎকালীন নেতাদের সুনজরে থাকত। রায়হানের সাহসে সে সময় ইন্টার্ন চিকিৎসকেরাও খুব বেপরোয়া ছিল। কয়েক দিন পরপরই রোগীর স্বজনদের সঙ্গে ঝামেলা হতো। রায়হান অস্ত্র দেখিয়ে বেড়াত। কলেজেও তখন শিক্ষকদের মধ্যে গ্রুপিং ছিল। ছাত্রলীগের এই গ্রুপটা প্রভাবশালী এক চিকিৎসক ও শিক্ষককে সমর্থন দিত। তাই হাসপাতালে যত ঝামেলা হতো ওই শিক্ষকই সব ম্যানেজ করতেন।’ 

রামেক ছাত্রলীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন এখন সরকারি চাকরিজীবী। গতকাল মঙ্গলবার ছাত্রজীবনে রায়হানের অবৈধ অস্ত্রের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘রায়হান ভাই আমার এক ব্যাচ সিনিয়র ছিলেন। তাই আমি বেশি কিছু জানি না। তবে সংগঠন করতে গেলে অনেক কিছুই রাখা লাগে। তিনি একটু পাগলাটে-রগচটা টাইপের মানুষ ছিলেন। পার্টি টাইমে মজা-মাস্তি করতেন। পরে বিসিএস দিয়ে তো স্বাভাবিক হচ্ছিলেন। হঠাৎ কাল নিউজে দেখলাম মেডিকেল কলেজে ছাত্রকে গুলি করার ঘটনা।’ 

রামেক ছাত্রলীগের তৎকালীন সভাপতি শফিকুল ইসলাম অপু বলেন, ‘রায়হান শরীফ ছাত্রলীগের জন্য নিবেদিত ছিলেন। ছাত্রজীবনে সবারই কিছু না কিছু ঘটনা থাকে। পরে তো রায়হান বিসিএস ক্যাডার হলেন। বিয়েও করেছিলেন। পরে বিয়েটা ডিভোর্স হয়ে যায়। অনেক দিন তাঁর সঙ্গে আমার যোগাযোগ নেই। এখন তাঁকে নিয়ে সারা দেশে আলোচনা হচ্ছে দেখছি।’ 

রায়হান শরীফ ২০২১ সালে বিশেষ বিসিএস দিয়ে সিরাজগঞ্জের এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের শিক্ষক হন। সেখানে শুরু থেকেই তিনি অস্ত্র দেখিয়ে বেড়াতেন। প্রকাশ্যেই চলাফেরা করতেন অস্ত্র নিয়ে। গত সোমবার শ্রেণিকক্ষে তিনি আরাফাত আমিন তমাল (২২) নামের এক ছাত্রকে গুলি করেন। মঙ্গলবার তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। 

এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ আমিরুল হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘আমরা ভেবেছিলাম তাঁর অস্ত্রটি লাইসেন্স করা। সে জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে বিষয়টি অবহিত করার প্রয়োজন মনে করিনি। ছাত্রকে গুলির ঘটনায় গ্রেপ্তারের পর এখন শুনছি তার অস্ত্র অবৈধ।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চাঁদপুরে নতুন ভোটারদের নিয়ে ‘নির্বাচনী অলিম্পিয়াড’

চাঁদপুর প্রতিনিধি
চাঁদপুর সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে নির্বাচনী অলিম্পিয়াডের আয়োজন করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
চাঁদপুর সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে নির্বাচনী অলিম্পিয়াডের আয়োজন করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

‘গণতন্ত্র শক্তিশালীকরণ’ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে চাঁদপুরে শতাধিক নতুন ভোটারের অংশগ্রহণে ‘নির্বাচনী অলিম্পিয়াড’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে চাঁদপুর সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে দ্য হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশের আয়োজনে এবং সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) চাঁদপুর জেলা কমিটির সহযোগিতায় অনুষ্ঠানটি হয়।

আজ সকাল সাড়ে ৯টায় চাঁদপুর সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে জাতীয় সংগীত পরিবেশন ও বেলুন উড়িয়ে নির্বাচনী অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান মিয়া। নতুন ভোটারদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘এই অংশগ্রহণের মাধ্যমে নির্বাচনী আচরণবিধি, গণতন্ত্রের মূল্যবোধ, স্বচ্ছতা, জবাবদিহি, সুশাসন ইত্যাদি সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার সুযোগ হয়েছে। সুজনের সহযোগিতায় এই আয়োজন অবশ্যই অংশগ্রহণকারীদের অনেক সমৃদ্ধ করবে এবং সচেতন নাগরিক তৈরি হবে।’

পরে কলেজের অডিটরিয়ামে ৫০টি এমসিকিউ পদ্ধতির প্রশ্নের মাধ্যমে ৩০ মিনিটের পরীক্ষা হয়। অংশগ্রহণকারীদের মধ্য থেকে সর্বোচ্চ নম্বরপ্রাপ্ত ১০ জনকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। তাঁদের মধ্য থেকে প্রথম থেকে তৃতীয় স্থান অর্জনকারী তিনজন জাতীয় নির্বাচনী অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পাবেন। পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের সনদ দেওয়া হয়।

পরীক্ষা শেষে সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য ও বিজয়ীদের হাতে সনদ তুলে দেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. নাজমুল ইসলাম সরকার। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সুজন চাঁদপুরের সভাপতি অধ্যক্ষ মোশারফ হোসেন। সঞ্চালনায় ছিলেন সুজনের আঞ্চলিক সমন্বয়ক নাছির উদ্দিন।

সুজন চাঁদপুর জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রহিব বাদশা, শিক্ষক ওমর ফারুক, সংগঠক সালাউদ্দিন, কর আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল ফারুক, সাংবাদিক আলম পলাশ, জাকির হোসেন, শোভন আল-ইমরান, মোরশেদ আলম রোকন, মো. মাসুদ আলম, শরীফুল ইসলামসহ সুজন জেলা কমিটির সদস্যরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চায়ের দোকানে চলে একটি বাতি-ফ্যান, বিদ্যুৎ বিল এল সাড়ে ৫৫ হাজার টাকা

টঙ্গিবাড়ী (মুন্সিগঞ্জ) প্রতিনিধি 
বিদ্যুৎ বিলের কাগজ হাতে লিটুখান বাজারের দুই দোকানদার। ছবি: আজকের পত্রিকা
বিদ্যুৎ বিলের কাগজ হাতে লিটুখান বাজারের দুই দোকানদার। ছবি: আজকের পত্রিকা

বাজারে ছোট একটি চায়ের দোকান চালান বাদশা ব্যাপারী। দোকানে কেবল একটি বাতি ও একটি ফ্যান চালানো হয়। সাধারণত তাঁর মাসিক বিল ২০০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে আসে। কিন্তু চলতি মাসে তাঁর হাতে এসেছে ৫৫ হাজার ৫৫০ টাকার বিদ্যুৎ বিল। বিল হাতে পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তিনি।

মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার দিঘিরপাড় ইউনিয়নের লিটুখান বাজারের দোকানদার বাদশা ব্যাপারী। বিদ্যুৎ বিলের ব্যাপারে বাদশা বলেন, ‘এটা অসম্ভব। আমার দোকানে এত বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগই নেই। বিলের নম্বরে ফোন করলে শুধু অফিসে যেতে বলে।’

এমন ‘ভুতুড়ে’ বিদ্যুৎ বিল পেয়েছেন লিটুখান বাজারের আরেক দোকানদার শহীদ খান। বাজারে খাবারের দোকান রয়েছে তাঁর। দোকানে দুটি বাতি, একটি ফ্যান ও একটি ছোট ফ্রিজ ব্যবহার করা হয়। প্রতি মাসে যেখানে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা বিল দিতেন, সেখানে এবার বিল এসেছে ২৪ হাজার ২১৬ টাকা। শহীদ বলেন, ‘বিলটা দেখে দাঁড়াতেই পারছিলাম না। এমন বিল হলে দোকান চালানোই কঠিন হয়ে যাবে।’

বাজারের অন্য ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে বলেন, কয়েক মাস ধরে এলাকায় এমন অস্বাভাবিক বিল আসছে। তাঁদের ধারণা, মিটার রিডিং অথবা বিলিং পদ্ধতিতে গুরুতর ত্রুটি রয়েছে। দ্রুত তদন্ত করে সঠিক হিসাব ঠিক করার পাশাপাশি দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

বিল প্রস্তুতকারী কর্মী সুমি রানী দাস বলেন, সংশ্লিষ্ট গ্রাহকদের অফিসে যোগাযোগের পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘তারা অফিসে এলে আমরা সরেজমিন যাচাই করে বিল পুনরায় বিবেচনা করব।’

টঙ্গিবাড়ী পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডিজিএম মো. আব্দুস ছালাম বলেন, ‘মিটার রিডিং বা বিলিং সিস্টেমে ত্রুটি থাকতে পারে। আমরা সরেজমিন যাচাই করে দ্রুত সমাধানের পদক্ষেপ নেব। ভোক্তাদের অফিসে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাসার বাথরুমে পড়ে ছিল নারী প্রভাষকের লাশ, মাথায় আঘাতের চিহ্ন

বগুড়া প্রতিনিধি
ফাবিয়া তাসনিম সিধি। ছবি: সংগৃহীত
ফাবিয়া তাসনিম সিধি। ছবি: সংগৃহীত

বগুড়ার এক বাসা থেকে ফাবিয়া তাসনিম সিধি (২৯) নামের এক প্রভাষকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে বগুড়া শহরের চক ফরিদ এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।

মৃত ফাবিয়া বগুড়ার সরকারি শাহ সুলতান কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক। বছর দেড়েক আগে তিনি কলেজটিতে যোগদান করেন।

এই তথ্য নিশ্চিত করে বগুড়া সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজার রহমান জানান, ফাবিয়া অবিবাহিত। তিনি বগুড়া শহরের চক ফরিদ এলাকায় ডা. রাশেদুল হাসানের বাড়ির তিনতলায় ভাড়া বাসায় তাঁর মায়ের সঙ্গে থাকতেন। কয়েক দিন আগে তাঁর মা গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহে যান। গতকাল দুপুরের পর থেকে মেয়েকে ফোনে না পাওয়ায় তাঁর মা রাত ১০টার দিকে বগুড়া আসেন। অনেক ডাকাডাকি করে দরজা না খোলায় পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পরে পুলিশ সেখানে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের উপস্থিতিতে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে বাসার বাথরুমে ফাবিয়ার লাশ দেখতে পায়।

পুলিশ জানায়, মৃত ব্যক্তির নাক দিয়ে রক্ত ঝরছিল এবং মাথার পেছনে আঘাতের চিহ্ন ছাড়াও জিবে দাঁত দিয়ে কামড় দেওয়া ছিল। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজার রহমান বলেন, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

অটোরিকশাকে চাপা দিল বাস, প্রাণ গেল শিশুসহ চারজনের

ফরিদপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫: ১৬
বাসচাপায় অটোরিকশাটি ভেঙেচুরে গেছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
বাসচাপায় অটোরিকশাটি ভেঙেচুরে গেছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় বাসের চাপায় একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চার যাত্রী নিহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে ফরিদপুর-ভাঙ্গা-বরিশাল মহাসড়কের কৈডুবী সদরদি রেলক্রসিং এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতদের মধ্যে দুজন নারী, একজন পুরুষ ও তিন বছর বয়সী এক শিশু রয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁদের পরিচয় জানা যায়নি।

খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার অভিযান চালান। বাসচাপায় ঘটনাস্থলে তিনজন মারা যান। আহত চারজনকে উদ্ধার করে ভাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক শিশুর মৃত্যু হয়।

ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার এসআই সোহেল মিয়া বলেন, অটোরিকশাটি ভাঙ্গা থেকে টেকেরহাটের উদ্দেশে যাচ্ছিল। কৈডুবী সদরদি রেলক্রসিং এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা নিউ মডার্ন পরিবহনের একটি বাস অটোরিকশাটিকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে তিনজন মারা যান। পরবর্তীতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও একজনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেন ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশরাফ হোসেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত