Ajker Patrika

ইন্টার্নদের হাতে মার খাওয়া সুমন ৩ হাসপাতাল ঘুরে চিকিৎসা নিলেন মুখ ঢেকে

রিমন রহমান, রাজশাহী
আপডেট : ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯: ৪১
ইন্টার্নদের হাতে মার খাওয়া সুমন ৩ হাসপাতাল ঘুরে চিকিৎসা নিলেন মুখ ঢেকে

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের হাতে নির্মম নির্যাতনের শিকার সুমন পারভেজ রিপন (৩০) প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ তুলেছেন। তাঁর দাবি, চিকিৎসা নেওয়ার জন্য তিনি গতকাল বৃহস্পতিবার রাজশাহীর তিনটি হাসপাতাল-ক্লিনিকে গিয়েছিলেন। তবে চিকিৎসকেরা তাঁর চিকিৎসা করতে চাননি। পরে একটি সামাজিক সংগঠনের নেতার পরামর্শে মুখ ঢেকে একটি হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন।

আজ শুক্রবার বিকেলে আজকের পত্রিকাকে এসব তথ্য জানিয়েছেন সুমন পারভেজ রিপন। তবে যে হাসপাতাল, ক্লিনিকগুলো চিকিৎসা করেনি এবং যেখানে মুখ ঢেকে চিকিৎসা করেছেন, সেই প্রতিষ্ঠানগুলোর নাম জানাতে চাননি সুমন। তিনি বলেন, ‘এমনিতেই বিপদের মধ্যে আছি। আমি সবাইকে জড়িয়ে আরও বিপদ বাড়াতে চাই না।’ তিনি বিচার দাবি করে বলেছেন, ‘আমি কোনো অন্যায় করিনি। সুষ্ঠু বিচার চাই। বিচার না পেলে হাসপাতালের সামনে গিয়ে আত্মহত্যা ছাড়া কোনো পথ থাকবে না।’ 

সুমন পারভেজ নগরীর বোসপাড়া এলাকার বাসিন্দা। তাঁর মা পিয়ারা বেগম (৬০) সিওপিডি (ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ) রোগে আক্রান্ত। এ জন্য ২ ফেব্রুয়ারি তাঁকে রামেক হাসপাতালের ৪৯ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছিল। বুধবার দুপুরে পরীক্ষা-নিরীক্ষার রিপোর্ট দেখাকে কেন্দ্র করে বাগ্‌বিতণ্ডার জেরে হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা তাঁদের কক্ষে ডেকে নিয়ে দরজা বন্ধ করে সুমনকে বেধড়ক পেটান।

এ ঘটনার পর নিরাপত্তার সংকটে পরদিন বৃহস্পতিবার চিকিৎসা শেষ না করেই পিয়ারা বেগমকে হাসপাতাল থেকে বাড়ি নিয়ে যান স্বজনেরা। এই ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। আলমগীর হোসেন ও ফরহাদ হাসান নামে দুজন ইন্টার্ন চিকিৎসককেও সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। 

সুমন পারভেজ বলেন, ‘প্রায় ৩০ মিনিট ধরে তারা আমাকে বেধড়ক পিটিয়েছে। তারা ১০-১৫ জনের মতো ছিল। সবার হাত-পা চলেছে। আমার সারা শরীরে ব্যথা। বুকের ব্যথা অসহনীয়। এ জন্য চিকিৎসা দরকার। তার জন্য বৃহস্পতিবার লক্ষ্মীপুর এলাকার দুটি ক্লিনিক আর একটি বেসরকারি হাসপাতালে যাই। কিন্তু ডাক্তাররা আমাকে চিনতে পেরেছেন। সে জন্য তারা আমার চিকিৎসা করতে চায়নি। হাসপাতালেও ভর্তি নেওয়া হয়নি। ডাক্তারদের গ্রুপে হয়তো আমাকে চিকিৎসা না করানোর ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। 

‘পরে রাজশাহীর একটি সামাজিক সংগঠনের এক নেতার পরামর্শে মুখ ঢেকে অন্য একটি হাসপাতালে যাই। ওই নেতা নিজে সেখানকার ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলেন। পরে আমাকে ভর্তি নেওয়া হয়। আমার শরীরের অবস্থা দেখেই ডাক্তার বলেছেন, “এগুলো তো মারধরের দাগ।” তখন বলেছি, পারিবারিক বিরোধে আমাকে মারধর করা হয়েছে। এভাবে মিথ্যা কথা বলে চিকিৎসা নিই। পরে মনে হলো, ডাক্তাররা আমার পরিচয় জেনে গেছেন। তাই চলে এসেছি।’ 

সুমন বলেন, গতকাল রাতে ওই হাসপাতালে ভর্তির পর এক্স-রে করা হয়েছে। এতে বুকের ডান দিকের একটি হাড় ক্ষতিগ্রস্ত বলে দেখা গেছে। এক দিনেই হাসপাতালে চার হাজার টাকা বিল হয়েছে। কয়েকজনের কাছ থেকে ধার করে এই বিল পরিশোধ করেছেন। তারপর ব্যবস্থাপত্র লিখে নিয়ে আজ দুপুরে হাসপাতাল থেকে চলে এসেছেন। 

এ ঘটনায় কোনো অভিযোগ করেছেন কি না জানতে চাইলে সুমন বলেন, ‘অভিযোগ করার জন্য থানায় গিয়েছিলাম। ওই সময়ই মাকে হাসপাতাল থেকে আনার জন্য চলে যাই। অভিযোগ করা হয়নি। এখনো আমার মা অসুস্থ। প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট আছে। আজও বাসায় নেবুলাইজার দেওয়া হয়েছে। আমি নিজেও অসুস্থ। তাই অভিযোগ করতে যাওয়া হয়নি। আমি অবশ্যই অভিযোগ করতে চাই। 

‘হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তদন্ত কমিটি করেছে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই। বিচার না পেলে হাসপাতালের সামনে গিয়ে আমি আত্মহত্যা করব। কারণ, আমি কোনো অপরাধ করিনি। সৎ সাহস থাকলে কর্তৃপক্ষ সিসি ক্যামেরার ফুটেজ প্রকাশ করুক। তারা তো এটা করছে না। আমার দোষ থাকলে তারাই ফুটেজ বের করে দিত।’ 

তিনটি হাসপাতাল-ক্লিনিকে সুমনের চিকিৎসা না করার তীব্র সমালোচনা করে সামাজিক সংগঠন রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জামাত খান বলেন, ‘চিকিৎসা পাওয়া মানুষের মৌলিক অধিকার। এই অধিকার থেকে চিকিৎসকেরা সুমনকে বঞ্চিত করেছেন। এই ঘটনারও যথাযথ তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। যারা চিকিৎসা দেয়নি, তাদের লাইসেন্স বাতিল করা দরকার। নইলে ভবিষ্যতেও এমনটা ঘটবে। মানুষ বিনা চিকিৎসায় মারা যাবে।’ 

জানতে চাইলে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) রাজশাহী জেলার সভাপতি ডা. চিন্ময় কান্তি দাস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কোন কোন হাসপাতাল-ক্লিনিক সুমনকে চিকিৎসা দেয়নি, তাদের নাম বলতে হবে। নাম না বলে এ ধরনের অভিযোগ গ্রহণযোগ্য নয়। সুমনের সঙ্গে আসলেই কী ঘটেছে, তা আমি জানি না। তবে কেউ যদি তার চিকিৎসা না করেন, তাহলে এটা ঠিক হয়নি। কারণ, শত্রু হলেও তার চিকিৎসা করতে হবে। এটাই চিকিৎসাবিদ্যার এথিকস।’

রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ এফ এম শামীম আহম্মদ বলেন, ‘বুধবার মারধরের ঘটনার পরই একজন আবাসিক সার্জনকে দিয়ে সুমনের চিকিৎসা করিয়েছি। ওটিতে নিয়ে তার ক্ষতস্থানের ড্রেসিং করে দেওয়া হয়েছিল। এক্স-রে করেও দেখা হয়েছিল। পরে ব্যবস্থাপত্র দিয়ে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। সুমনের শারীরিক অবস্থা এতটা খারাপ ছিল না যে তাকে হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা করানোর দরকার ছিল।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চাঁদপুরে নতুন ভোটারদের নিয়ে ‘নির্বাচনী অলিম্পিয়াড’

চাঁদপুর প্রতিনিধি
চাঁদপুর সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে নির্বাচনী অলিম্পিয়াডের আয়োজন করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
চাঁদপুর সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে নির্বাচনী অলিম্পিয়াডের আয়োজন করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

‘গণতন্ত্র শক্তিশালীকরণ’ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে চাঁদপুরে শতাধিক নতুন ভোটারের অংশগ্রহণে ‘নির্বাচনী অলিম্পিয়াড’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে চাঁদপুর সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে দ্য হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশের আয়োজনে এবং সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) চাঁদপুর জেলা কমিটির সহযোগিতায় অনুষ্ঠানটি হয়।

আজ সকাল সাড়ে ৯টায় চাঁদপুর সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে জাতীয় সংগীত পরিবেশন ও বেলুন উড়িয়ে নির্বাচনী অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান মিয়া। নতুন ভোটারদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘এই অংশগ্রহণের মাধ্যমে নির্বাচনী আচরণবিধি, গণতন্ত্রের মূল্যবোধ, স্বচ্ছতা, জবাবদিহি, সুশাসন ইত্যাদি সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার সুযোগ হয়েছে। সুজনের সহযোগিতায় এই আয়োজন অবশ্যই অংশগ্রহণকারীদের অনেক সমৃদ্ধ করবে এবং সচেতন নাগরিক তৈরি হবে।’

পরে কলেজের অডিটরিয়ামে ৫০টি এমসিকিউ পদ্ধতির প্রশ্নের মাধ্যমে ৩০ মিনিটের পরীক্ষা হয়। অংশগ্রহণকারীদের মধ্য থেকে সর্বোচ্চ নম্বরপ্রাপ্ত ১০ জনকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। তাঁদের মধ্য থেকে প্রথম থেকে তৃতীয় স্থান অর্জনকারী তিনজন জাতীয় নির্বাচনী অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পাবেন। পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের সনদ দেওয়া হয়।

পরীক্ষা শেষে সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য ও বিজয়ীদের হাতে সনদ তুলে দেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. নাজমুল ইসলাম সরকার। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সুজন চাঁদপুরের সভাপতি অধ্যক্ষ মোশারফ হোসেন। সঞ্চালনায় ছিলেন সুজনের আঞ্চলিক সমন্বয়ক নাছির উদ্দিন।

সুজন চাঁদপুর জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রহিব বাদশা, শিক্ষক ওমর ফারুক, সংগঠক সালাউদ্দিন, কর আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল ফারুক, সাংবাদিক আলম পলাশ, জাকির হোসেন, শোভন আল-ইমরান, মোরশেদ আলম রোকন, মো. মাসুদ আলম, শরীফুল ইসলামসহ সুজন জেলা কমিটির সদস্যরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চায়ের দোকানে চলে একটি বাতি-ফ্যান, বিদ্যুৎ বিল এল সাড়ে ৫৫ হাজার টাকা

টঙ্গিবাড়ী (মুন্সিগঞ্জ) প্রতিনিধি 
বিদ্যুৎ বিলের কাগজ হাতে লিটুখান বাজারের দুই দোকানদার। ছবি: আজকের পত্রিকা
বিদ্যুৎ বিলের কাগজ হাতে লিটুখান বাজারের দুই দোকানদার। ছবি: আজকের পত্রিকা

বাজারে ছোট একটি চায়ের দোকান চালান বাদশা ব্যাপারী। দোকানে কেবল একটি বাতি ও একটি ফ্যান চালানো হয়। সাধারণত তাঁর মাসিক বিল ২০০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে আসে। কিন্তু চলতি মাসে তাঁর হাতে এসেছে ৫৫ হাজার ৫৫০ টাকার বিদ্যুৎ বিল। বিল হাতে পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তিনি।

মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার দিঘিরপাড় ইউনিয়নের লিটুখান বাজারের দোকানদার বাদশা ব্যাপারী। বিদ্যুৎ বিলের ব্যাপারে বাদশা বলেন, ‘এটা অসম্ভব। আমার দোকানে এত বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগই নেই। বিলের নম্বরে ফোন করলে শুধু অফিসে যেতে বলে।’

এমন ‘ভুতুড়ে’ বিদ্যুৎ বিল পেয়েছেন লিটুখান বাজারের আরেক দোকানদার শহীদ খান। বাজারে খাবারের দোকান রয়েছে তাঁর। দোকানে দুটি বাতি, একটি ফ্যান ও একটি ছোট ফ্রিজ ব্যবহার করা হয়। প্রতি মাসে যেখানে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা বিল দিতেন, সেখানে এবার বিল এসেছে ২৪ হাজার ২১৬ টাকা। শহীদ বলেন, ‘বিলটা দেখে দাঁড়াতেই পারছিলাম না। এমন বিল হলে দোকান চালানোই কঠিন হয়ে যাবে।’

বাজারের অন্য ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে বলেন, কয়েক মাস ধরে এলাকায় এমন অস্বাভাবিক বিল আসছে। তাঁদের ধারণা, মিটার রিডিং অথবা বিলিং পদ্ধতিতে গুরুতর ত্রুটি রয়েছে। দ্রুত তদন্ত করে সঠিক হিসাব ঠিক করার পাশাপাশি দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

বিল প্রস্তুতকারী কর্মী সুমি রানী দাস বলেন, সংশ্লিষ্ট গ্রাহকদের অফিসে যোগাযোগের পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘তারা অফিসে এলে আমরা সরেজমিন যাচাই করে বিল পুনরায় বিবেচনা করব।’

টঙ্গিবাড়ী পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডিজিএম মো. আব্দুস ছালাম বলেন, ‘মিটার রিডিং বা বিলিং সিস্টেমে ত্রুটি থাকতে পারে। আমরা সরেজমিন যাচাই করে দ্রুত সমাধানের পদক্ষেপ নেব। ভোক্তাদের অফিসে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাসার বাথরুমে পড়ে ছিল নারী প্রভাষকের লাশ, মাথায় আঘাতের চিহ্ন

বগুড়া প্রতিনিধি
ফাবিয়া তাসনিম সিধি। ছবি: সংগৃহীত
ফাবিয়া তাসনিম সিধি। ছবি: সংগৃহীত

বগুড়ার এক বাসা থেকে ফাবিয়া তাসনিম সিধি (২৯) নামের এক প্রভাষকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে বগুড়া শহরের চক ফরিদ এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।

মৃত ফাবিয়া বগুড়ার সরকারি শাহ সুলতান কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক। বছর দেড়েক আগে তিনি কলেজটিতে যোগদান করেন।

এই তথ্য নিশ্চিত করে বগুড়া সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজার রহমান জানান, ফাবিয়া অবিবাহিত। তিনি বগুড়া শহরের চক ফরিদ এলাকায় ডা. রাশেদুল হাসানের বাড়ির তিনতলায় ভাড়া বাসায় তাঁর মায়ের সঙ্গে থাকতেন। কয়েক দিন আগে তাঁর মা গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহে যান। গতকাল দুপুরের পর থেকে মেয়েকে ফোনে না পাওয়ায় তাঁর মা রাত ১০টার দিকে বগুড়া আসেন। অনেক ডাকাডাকি করে দরজা না খোলায় পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পরে পুলিশ সেখানে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের উপস্থিতিতে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে বাসার বাথরুমে ফাবিয়ার লাশ দেখতে পায়।

পুলিশ জানায়, মৃত ব্যক্তির নাক দিয়ে রক্ত ঝরছিল এবং মাথার পেছনে আঘাতের চিহ্ন ছাড়াও জিবে দাঁত দিয়ে কামড় দেওয়া ছিল। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজার রহমান বলেন, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

অটোরিকশাকে চাপা দিল বাস, প্রাণ গেল শিশুসহ চারজনের

ফরিদপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫: ১৬
বাসচাপায় অটোরিকশাটি ভেঙেচুরে গেছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
বাসচাপায় অটোরিকশাটি ভেঙেচুরে গেছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় বাসের চাপায় একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চার যাত্রী নিহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে ফরিদপুর-ভাঙ্গা-বরিশাল মহাসড়কের কৈডুবী সদরদি রেলক্রসিং এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতদের মধ্যে দুজন নারী, একজন পুরুষ ও তিন বছর বয়সী এক শিশু রয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁদের পরিচয় জানা যায়নি।

খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার অভিযান চালান। বাসচাপায় ঘটনাস্থলে তিনজন মারা যান। আহত চারজনকে উদ্ধার করে ভাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক শিশুর মৃত্যু হয়।

ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার এসআই সোহেল মিয়া বলেন, অটোরিকশাটি ভাঙ্গা থেকে টেকেরহাটের উদ্দেশে যাচ্ছিল। কৈডুবী সদরদি রেলক্রসিং এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা নিউ মডার্ন পরিবহনের একটি বাস অটোরিকশাটিকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে তিনজন মারা যান। পরবর্তীতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও একজনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেন ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশরাফ হোসেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত