Ajker Patrika

বিজয় সুনিশ্চিত, এবার কোনো কিছুই আন্দোলন আটকাতে পারবে না: মির্জা ফখরুল 

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২৪ অক্টোবর ২০২৩, ১৩: ৩৫
বিজয় সুনিশ্চিত, এবার কোনো কিছুই আন্দোলন আটকাতে পারবে না: মির্জা ফখরুল 

চলমান এক দফা আন্দোলনের বিজয় সুনিশ্চিত বলে দৃঢ় প্রত্যয়ের কথা জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ক্ষমতাসীনদের পাল্টা কর্মসূচির সমালোচনা করে তিনি বলেছেন, ‘একটা কথা পরিষ্কার করে বলতে চাই, কোনো কিছুই আটকে রাখতে পারবে না (আন্দোলন)।’

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ভয়ভীতি, সভা-সমিতি যত কিছুই করুক, এবার বাংলাদেশের মানুষকে কোনো কিছু করেই তাদের দাবি আদায় থেকে আটকাতে পারবে না। গ্রেপ্তার করেন, মামলা করেন আর রাত্রিবেলা মামলা পরিচালনা করেন, কোনো কিছুই আটকে রাখতে পারবে না। এবারের আন্দোলনে জনগণের বিজয় হবে।’ 

২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশ প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, ‘এক দফা আদায়ের লক্ষ্যে আমরা একটা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি দিয়েছি। এটা শুধু বিএনপির বিষয় নয়। এ কারণে আমরা এটাকে বলি আরেকটা স্বাধীনতার যুদ্ধ, মুক্তির যুদ্ধ। যে কারণে আমরা বলছি, এবারের লড়াই হচ্ছে মুক্তির সংগ্রাম।’

ক্ষমতাসীনদের কর্মসূচি পালনের দিনে বিএনপির মহাসমাবেশ ঝুঁকিপূর্ণ কি না জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আওয়ামী লীগ যদি ক্ষমতায় থাকে, প্রতিটি পদক্ষেপই ঝুঁকিপূর্ণ। ওই ঝুঁকি নিয়ে চিন্তা করে লাভ নেই। মানুষ জেগে উঠেছে, দাবি আদায়ে মানুষ একটার পর একটা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করে এগিয়ে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগের এই কর্মসূচির মানে সম্পূর্ণভাবে শান্তির নামে অশান্তি সৃষ্টি করা।’

আওয়ামী লীগকে ‘সন্ত্রাসী দল’ আখ্যা দিয়ে বিএনপির মহাসচিব আরও বলেন, ‘যেকোনো সন্ত্রাসের ঘটনায় নেতৃত্ব দেয় আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ একটি সন্ত্রাসী দল। প্রথম থেকেই তারা সন্ত্রাস করে আসছে। তারা সন্ত্রাস করে টিকে আছে এবং টিকে থাকতে চায়। সন্ত্রাস করে ক্ষমতায় আসা এবং টিকে থাকা তাদের মজ্জাগত। এখনো তারা একই কাজ করছে। সারা দেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। তারা বলছে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। এখন থেকেই তারা এমন অবস্থা তৈরি করেছে, যাতে নির্বাচনের পরিবেশ না থাকে এবং তাতে বিরোধী দল যাতে অংশ নিতে না পারে। ভোটাররা যাতে ভোট দিতে না যান তার ব্যবস্থা তারা করে ফেলেছে। আসন্ন নির্বাচনের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আবার তারা ক্ষমতায় আসবে—এই পরিকল্পনা তারা করে ফেলেছে।’

আনসারকে গ্রেপ্তার ও তল্লাশি করার ক্ষমতা দিয়ে সংসদে উত্থাপিত বিলের সমালোচনা করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, ‘বিষয়টি শুধু দুশ্চিন্তার নয়, আতঙ্কের। এখানে আনসারকে গ্রেপ্তার করার ক্ষমতা দেওয়া হবে, যাদের বেসিক ট্রেনিং পর্যন্ত নেই। এই প্রতিষ্ঠানকে (আনসার) রাজনীতিকীকরণ করার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে আইন করে।’ এমন আইন না করার জন্য জোর দাবি জানান তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

গুলিবিদ্ধ হাদিকে দেখতে গেলেন ফখরুল

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফাইল ছবি
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফাইল ছবি

গুলিবিদ্ধ ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদিকে দেখতে গেলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শুক্রবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে এভারকেয়ার হাসপাতালে যান তিনি। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানান।

হাদিকে দেখার আগে শুরুতে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে দেখতে যান মির্জা ফখরুল। এসময় বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এজেডএম জাহিদ হোসেনও ছিলেন বলে জানান শায়রুল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আসিফ মাহমুদের র‍্যালি পরিণত হলো হাদির ওপর হামলার প্রতিবাদ মিছিলে

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আসিফ মাহমুদের বিজয় মিছিল। ছবি: সংগৃহীত
আসিফ মাহমুদের বিজয় মিছিল। ছবি: সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকার থেকে পদত্যাগ করে ঢাকা-১০ আসনে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। এ উপলক্ষে শুক্রবার বিজয় র‍্যালির প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তিনি। ঠিক সে সময় তিনি ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পান। এরপর বিজয় র‍্যালি পরিণত হয় প্রতিবাদ মিছিলে। শুক্রবার বিকেলে আসিফ মাহমুদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে এ কথা জানানো হয়।

আজ শুক্রবার বিকেলে হাদির ওপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে ধানমন্ডি, নিউমার্কেট, কলাবাগান ও হাজারীবাগ এলাকায় প্রতিবাদ মিছিল করেন তিনি।

প্রতিবাদ মিছিলে আসিফ মাহমুদ নিজেই ‘হাদির গায়ে গুলি কেন, প্রশাসন জবাব চাই; লাগছে গুলি হাদির গায়, আমরা আছি লাখো ভাই’ স্লোগান দেন।

এরপর হামলার শিকার স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী ওসমান হাদির শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান আসিফ মাহমুদ। এ সময় তিনি চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন।

পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তিনি দেশবাসীর কাছে দোয়ার আহ্বান জানান। সংকট মোকাবিলায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হাদির গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনা গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে চক্রান্ত: তারেক রহমান

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনাকে ‘গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে চক্রান্ত’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর খামারবাড়িতে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে বিএনপির ‘দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এই মন্তব্য করেন।

তারেক রহমান বলেন, ‘আজ শরিফ ওসমান বিন হাদির যে দুর্ঘটনা ঘটেছে, এই দুর্ঘটনা আরও ঘটেছে। কিছুদিন আগে চট্টগ্রামে আমাদের এক এমপি প্রার্থীর ওপরে যা হয়েছে, এটা ষড়যন্ত্র। এটার বিরুদ্ধে যদি আমাদের অবস্থান নিতে হয়, এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে যদি অবস্থান নিতে হয়, যেকোনো মূল্যে আমাদের গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে, যেকোনো মূল্যে আমাদের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে ফিরিয়ে আনতে হবে, গণতান্ত্রিক অধিকারকে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।’

জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলকে আগামী দিনের ভবিষ্যৎ হিসেবে দায়িত্ব পালনের জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তারেক বলেন, ‘এই ষড়যন্ত্র বন্ধ করতে পারে এই দেশের মানুষ, এই ষড়যন্ত্র দমিয়ে দিতে পারে, রুখে দিতে পারে গণতন্ত্র।’

‘দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ শীর্ষক সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচির ষষ্ঠদিনে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের বিভিন্ন স্তরের নেতাদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। তাঁদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমাদের দলের পরিকল্পনাগুলো তোমাদের কাছে অর্পণ করছি। আমি বিশ্বাস করি, আজকে যে দায়িত্ব তোমাদের দিলাম মানুষকে বোঝানোর জন্য, যে দায়িত্ব দিলাম মানুষের সমর্থন জোগাড়ের জন্য, সেটি তোমরা করতে সফল হবে। কারণ, তোমাদের সেই যোগ্যতা আছে, তোমাদের সেই মেধা আছে। ফার্মার্স কার্ড, ফ্যামিলি কার্ড, হেলথ কার্ড প্রভৃতি বিষয়ে তোমাদের সামনে উপস্থাপন করা হয়েছে ঘরে ঘরে মানুষের কাছে পৌঁছে দেবে।’

দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সভাপতিত্ব ও যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খানের সঞ্চালনায় ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব, সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির প্রমুখ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।

এর আগে শুক্রবার সকালে অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী ভাষণে তফসিল ঘোষণা প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘তফসিল ঘোষণায় অনেকে ভারাক্রান্ত হয়েছে। কিন্তু স্বাগত জানাতে বাধ্য হয়েছে। আমরা স্বাগত জানিয়েছি, সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছি। আমরা বলেছি, এ জন্যই গণ-অভ্যুত্থানের যত প্রত্যাশা, তার মধ্যে প্রধান ও প্রাথমিক প্রত্যাশা ছিল জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা, ভোটাধিকার প্রয়োগ করা, এই তফসিল ঘোষণা করা।’ তিনি বলেন, ‘কেউ কেউ বলেছে নো পিআর, নো ইলেকশন, কেউ কেউ বলেছে, আগে স্থানীয় সরকার ইলেকশন না হলে নো ইলেকশন। আর কেউ কেউ বলেছে, একই দিনে গণভোট আর সংসদ নির্বাচন হলে আমরা মানি না। কেউ কেউ বলেছে, ২০২৯ সালের দিকে নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা করেন। এরা সবাই....আমি কারও নাম নিতে চাই না...গণতন্ত্রের বিপক্ষের শিবির। তারা নিজেদের মত করে গণতন্ত্র চায়, তাদের গণতন্ত্রের সংজ্ঞা আলাদা।’

কোন দলের নাম উচ্চারণ না করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘একটি দল আওয়ামী লীগের ভোটপ্রাপ্তির জন্য আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে একটি শব্দও উচ্চারণ করে না। আমাদের গ্রামের ভাষায় কথা বলে যে ভাশুরের নাম মুখে নেওয়া যায় না। এখন সেই দল আওয়ামী লীগের ভোট টানার জন্য তাদের যে ভূমিকা, সেটা জনগণের সামনে উন্মোচন করেছে।’

দলটির উদ্দেশে সালাহউদ্দিন আরও বলেন, ‘যাদের ইতিহাস হচ্ছে সব সময় বাংলাদেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে, যাদের ইতিহাস হচ্ছে ১৯৪৭ সাল থেকে ১৯৭১ পর্যন্ত বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিপক্ষে, তাদের কথাও আমাদের বলতে হবে। যারা ইনিয়ে-বিনিয়ে বলছে, তারা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে ছিল, তা আমরা মাঝেমধ্যে জিজ্ঞেস করি, সেই মুক্তিযুদ্ধটা কি পাকিস্তানের পক্ষে ছিল?’ তিনি বলেন, ‘কিছুদিন পরে তারা হয়তো বলবে, তারাই একমাত্র মুক্তিযুদ্ধ করেছিল, আমরা করি নাই। এ রকম অনেক বক্তব্য আপনারা ভোটের ময়দানে শুনতে পাবেন।’

সালাহ উদ্দিন বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ অনেক সচেতন। এখন আর ধর্মের বিড়ি বিক্রি করে বাংলাদেশের জনগণের সামনে ভোট চাওয়া যাবে না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়াকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে: শামসুজ্জামান দুদু

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। ছবি: সংগৃহীত
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, খালেদা জিয়াকে তিলে তিলে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। এক দিনে তিনি এতটা অসুস্থ হননি।

আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয়তাবাদী নবীন দলের উদ্যোগে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় আয়োজিত দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।

আওয়ামী লীগের প্রতি অভিযোগ করে শামসুজ্জামান দুদু বলেন, দীর্ঘদিন ধরে তাঁকে (খালেদা জিয়াকে) যথাযথ চিকিৎসা দেওয়া হয়নি। তিনি হঠাৎ হাসপাতালে, এটি সত্য নয়। তাঁকে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ, যা কোনো সভ্য সমাজেই কাম্য নয়।

শামসুজ্জামান দুদু বলেন, খালেদা জিয়াকে রক্ষা করাই গণতন্ত্র রক্ষার পথ। তাঁকে যদি সুস্থ করা যায়, বাংলাদেশও সুস্থ হবে। তাঁর জীবন গণতন্ত্রের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। বাংলাদেশের আপসহীন নেত্রী এবং বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আজীবন গণতন্ত্র, স্বাধীনতা ও দেশের সার্বভৌমত্বের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করেছেন। অথচ তিনি এখন হাসপাতালে জীবন-মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন।

ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, ‘শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমান আমাদের আদর্শ। তাঁরা গণতন্ত্রের জন্য দীর্ঘ লড়াই করেছেন। তাই বাংলাদেশকে কেউ পরাধীন রাখতে পারবে না, যদি আমরা সবাই এক থাকি।’

বিএনপির এই ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, খালেদা জিয়া নির্বাচনে যেখানেই দাঁড়িয়েছেন, জনগণ তাঁকে সমর্থন দিয়েছেন। তিনি কখনো পরাজিত হননি।

শামসুজ্জামান দুদু দলের নেতা-কর্মীদের খালেদা জিয়ার সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনায় নিয়মিত দোয়া করার আহ্বান জানান।

দোয়া মাহফিলে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, স্বনির্ভরবিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপুসহ বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত