Ajker Patrika

বিদেশে উচ্চশিক্ষা: ইরাসমুস মুন্ডুস স্কলারশিপ পেতে চাইলে

আপডেট : ১০ জুলাই ২০২৩, ০৮: ৫৩
বিদেশে উচ্চশিক্ষা: ইরাসমুস মুন্ডুস স্কলারশিপ পেতে চাইলে

ইউরোপের মর্যাদাপূর্ণ ইরাসমুস মুন্ডুস স্কলারশিপ নিয়ে পড়াশোনা করছেন বাংলাদেশের আসিফ মাহমুদ। মানিকগঞ্জে তাঁর জন্ম হলেও বেড়ে ওঠা ঢাকায়। তিনি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিষয়ে সয়েল, ওয়াটার অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট ডিসিপ্লিনে স্নাতক সম্পন্ন করেন। ইরাসমুস মুন্ডুস স্কলারশিপে ‘এনভায়রনমেন্টাল কন্টামিনেশন অ্যান্ড টক্সিকোলজি’ প্রোগ্রামে ফ্রান্স, নরওয়ে ও স্পেনের ভিন্ন ভিন্ন ইউনিভার্সিটিতে জয়েন্ট মাস্টার্স সম্পন্ন করবেন তিনি। স্কলারশিপ পাওয়ার যোগ্যতা, আবেদন প্রক্রিয়া এবং নতুনদের জন্য তাঁর পরামর্শ নিয়ে থাকছে আজকের আয়োজন। 

ইরাসমুস মুন্ডুস স্কলারশিপ কী
ইরাসমুস মুন্ডুস স্কলারশিপ হলো আন্তর্জাতিক ছাত্রদের জন্য দেওয়া একটি বৃত্তি প্রোগ্রাম। এই বৃত্তিগুলো ইউরোপীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর যৌথ প্রযোজিত মাস্টার্স প্রোগ্রামের আওতায় ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনার সুযোগ দিয়ে থাকে। মূলত ইউরোপীয় ইউনিয়ন এই প্রোগ্রামে অর্থায়ন করে থাকে এবং এর মূল লক্ষ্য হচ্ছে উচ্চশিক্ষা অর্জনে সহযোগিতা করা। স্কলারশিপের আওতায় টিউশন ফি, ভ্রমণ খরচ, বাসস্থানের খরচসহ যাবতীয় ব্যয় বহন করা হয়ে থাকে, যা শিক্ষার্থীদের দেশের বাইরে উচ্চশিক্ষা অর্জন করার পথ সুগম করে। বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বৈচিত্র্যপূর্ণ শিক্ষামূলক অভিজ্ঞতা, সাংস্কৃতিক আদান-প্রদানসহ বিশ্বের খ্যাতনামা গবেষকদের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ করে দেয় স্কলারশিপটি। 

যেসব বিষয়ে পড়া যাবে
ইরাসমুস মুন্ডুস স্কলারশিপের মাধ্যমে অনেক বিষয়ে অধ্যয়নের সুযোগ রয়েছে। এই স্কলারশিপের অধীনে বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে সামাজিক বিজ্ঞান, পরিবেশ বিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান, তথ্যপ্রযুক্তি, আইন, গণিত, প্রকৌশল, শিল্প, মানবিক, ব্যবসাসহ আরও অনেক বিষয়।ইরাসমুস মুন্ডুস স্কলারশিপের আওতায় মোট ১৯৩টি মাস্টার্স প্রোগ্রাম চালু রয়েছে। স্নাতক, স্নাতকোত্তর ডিগ্রির বিষয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে একের অধিক প্রোগ্রামে আবেদন করা যায়। যদিও আগে শুধু তিনটি প্রোগ্রামে আবেদন করা যেত। তবে এখন শিক্ষার্থীদের জন্য নিজের পছন্দমতো সাবজেক্টে উচ্চশিক্ষা অর্জনের সুযোগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে এই বাধানিষেধ তুলে নেওয়া হয়েছে। 

আবেদনের যোগ্যতা
প্রতিটি প্রোগ্রামের আবেদনের পদ্ধতি আলাদা। তবে কিছু ডকুমেন্ট সব প্রোগ্রামেই দরকার হয়। যেমন আবেদনকারীর কাছে উচ্চমাধ্যমিক ও স্নাতকের সনদপত্র থাকতে হয়, ভাষাগত দক্ষতা (আইইএলটিএস, টোফেল, পিটিই ইত্যাদি)। তবে স্নাতক শেষ বর্ষের শিক্ষার্থীরা ট্রান্সক্রিপ্ট দিয়েও আবেদন করতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে প্রোগ্রাম শুরু হওয়ার আগে স্নাতক ডিগ্রি শেষ হওয়ার নিশ্চয়তা দিতে হবে। এগুলোর বাইরে আন্তর্জাতিক জার্নালে এবং আন্তর্জাতিক কনফারেন্সে প্রকাশিত গবেষণাপত্রসহ বিভিন্ন গবেষণা কাজের অভিজ্ঞতা স্কলারশিপ লাভে বেশ গুরুত্ব বহন করে। 

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
প্রতিটি প্রোগ্রামের জন্য আবেদন প্রক্রিয়া আলাদা হয়ে থাকে। তবে সব প্রোগ্রামের জন্যই কিছু অত্যাবশ্যক কাগজপত্র দরকার হয়। যেমন স্নাতক কিংবা স্নাতকোত্তর (যদি থাকে) সনদ এবং ট্রান্সক্রিপ্ট অব রেকর্ডস (স্নাতক অধ্যয়নরত থাকলে আগের সেমিস্টার পর্যন্ত ট্রান্সক্রিপ্ট), রিকমেন্ডেশন লেটার (বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অথবা কর্মরত প্রতিষ্ঠানপ্রধানের স্বাক্ষর করা), মোটিভেশন লেটার, ইউরোপাস ফরমেটেড সিভি, পাসপোর্ট (কমপক্ষে এক বছরের মেয়াদ থাকতে হবে), ভাষাগত যোগ্যতার সনদ (আইইএলটিএস, টোফেল, পিটিই)। তা ছাড়া সিভিতে এক্সট্রা কারিকুলার, কো-কারিকুলার অ্যাকটিভিটিস, চাকরির অভিজ্ঞতা যোগ করে তার সনদ সাবমিট করতে হয়। 

আবেদনের প্রক্রিয়া
প্রথমে এই ওয়েবসাইট থেকে নিজের স্নাতকের বিষয় অথবা পূর্ববর্তী গবেষণার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ প্রোগ্রামগুলো বাছাই করতে হবে। এসব প্রোগ্রামের নিজস্ব ওয়েবসাইট ভিজিট করে তাদের আবেদন করার নিয়ম দেখে নিতে হবে। যেহেতু সব প্রোগ্রামের ডেডলাইন আলাদা, তাই সেই বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে হবে। 

স্কলারশিপের সুযোগ-সুবিধা
স্কলারশিপের আওতায় পূর্ণ বা আংশিক আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়। এতে অধ্যয়ন ও জীবনযাপনের খরচ দেওয়া হয়। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে, ইরাসমুস মুন্ডুস স্কলারশিপ পাওয়ার মাধ্যমে ইউরোপীয় নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অধ্যয়ন করা যায়। এ ছাড়া একাধিক ইনস্টিটিউশনে ইন্টার্ন করার সুযোগ রয়েছে। এর ফলে বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীর সঙ্গে নেটওয়ার্কিংয়ের সুযোগ থাকে। প্রোগ্রাম শেষে 
অনেক দেশে এক বছরের জব সার্চিং ভিসা দিয়ে থাকে। এই সময়কে কাজে লাগিয়ে অনেকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের গবেষক হিসেবে যোগদান করেন এবং অনেকে ডক্টরেট ডিগ্রিতে আবেদন করে থাকেন। এ ছাড়া ইউরোপের অনেক দেশে লম্বা সময় নিয়ে চাকরি করলে সে দেশের নিয়মকানুন অনুযায়ী নাগরিকত্ব পাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়। 

নতুনদের জন্য পরামর্শ 
যারা দেশের বাইরে উচ্চশিক্ষা নিতে আগ্রহী, তাদের জন্য স্নাতকের প্রথম বর্ষ থেকেই সিজিপিএ ভালো রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে মাথায় রাখতে হবে, শুধু সিজিপিএ নয়, এর সঙ্গে বিভিন্ন একাডেমিক এক্সট্রা কারিকুলামের সঙ্গে যুক্ত থাকাটাও জরুরি। যেমন বিভিন্ন ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্সে উপস্থিত থাকা, একাডেমিক স্কিলের সঙ্গে সঙ্গে অ্যানালিটিক্যাল স্কিল বাড়ে, এমন সব প্রোগ্রামের সঙ্গে থেকে নিজের স্কিল ডেভেলপ করা। সর্বোপরি একাডেমিক দক্ষতা বাড়ানো যায়, এমন কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকা। 

অনুলিখন: আনিসুল ইসলাম নাঈম

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঢাবির বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২: ৩৪
ঢাবির বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের বিজ্ঞান শাখার প্রথম বর্ষের আন্ডারগ্র‍্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। সকল জুলাই যোদ্ধা, শরিফ ওসমান হাদি ও শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধার নিদর্শন হিসেবে আগামীকাল শনিবার অনুষ্ঠেয় এই পরীক্ষা স্থগিত করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

আজ শুক্রবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলামের পাঠানো এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানা গেছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালনের অংশ হিসেবে আগামীকাল শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শোক দিবস পালন করা হবে।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘সাহসী জুলাই যোদ্ধা শরিফ ওসমান হাদি এবং ২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী সকল জুলাই যোদ্ধা ও শহীদের প্রতি শ্রদ্ধার নিদর্শন হিসেবে আগামীকাল ২০ ডিসেম্বর শনিবার অনুষ্ঠেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২০২৬ শিক্ষাবর্ষের বিজ্ঞান ইউনিটের প্রথম বর্ষ আন্ডারগ্র‍্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। স্থগিত ভর্তি পরীক্ষার সময়সূচি শিগগিরই ঘোষণা করা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

এসএসসির ফরম পূরণ শুরু ৩১ ডিসেম্বর

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

আগামী বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফরম পূরণ শুরু হবে ৩১ ডিসেম্বর থেকে। যা চলবে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত। ফি জমা দেওয়া যাবে ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ফরম পূরণের বিজ্ঞপ্তি থেকে এসব তথ্য জানা যায়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রেজিস্ট্রেশনের মেয়াদ থাকা সাপেক্ষে জিপিএ উন্নয়ন পরীক্ষার্থীসহ আবশ্যিক ও নৈর্বাচনিক বিষয় ও বিষয়গুলো এক থেকে চার বিষয়ে ২০২৫ সালে অকৃতকার্য পরীক্ষার্থীদের ২০২৬ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষায় অকৃতকার্য বিষয় ও বিষয়গুলোতে অংশ নেওয়ার জন্য নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধান বরাবরে সাদা কাগজে ২৪ ডিসেম্বরের মধ্যে আবেদন করতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো নির্বাচনী পরীক্ষা নিয়ে ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে ফল প্রকাশ করবে।

আরও বলা হয়, বিলম্ব ফিসহ অনলাইনে ফরম পূরণ করা যাবে ২০২৬ সালের ১২ থেকে ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত। পরীক্ষার্থী প্রতি ১০০ টাকা হারে বিলম্ব ফিসহ অনলাইনে ফি জমা দেওয়া যাবে ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত।

আরও বলা হয়, বিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন ফি (চতুর্থ বিষয় ছাড়া) ২ হাজার ৪৩৫ টাকা, ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিকে ২ হাজার ৩১৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। পরীক্ষার্থীদের বেতন ও সেশন চার্জ হিসেবে ২০২৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পরিশোধ করতে হবে।কোনো শিক্ষার্থীর নবম ও দশম শ্রেণির মোট ২৪ মাসের বেশি বেতন নেওয়া যাবে না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিইউবিটিতে চতুর্থবারের মতো ‘আইসিপিসি এশিয়া ঢাকা রিজিওনাল কনটেস্ট’ আয়োজিত

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
বিইউবিটিতে চতুর্থবারের মতো ‘আইসিপিসি এশিয়া ঢাকা রিজিওনাল কনটেস্ট’ আয়োজিত হচ্ছে। এই উপলক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলন। ছবি: বিজ্ঞপ্তি
বিইউবিটিতে চতুর্থবারের মতো ‘আইসিপিসি এশিয়া ঢাকা রিজিওনাল কনটেস্ট’ আয়োজিত হচ্ছে। এই উপলক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলন। ছবি: বিজ্ঞপ্তি

বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির (বিইউবিটি) স্থায়ী ক্যাম্পাসের ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স হলে গতকাল বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) ‘আইসিপিসি এশিয়া ঢাকা রিজিওনাল কনটেস্ট ২০২৫’ উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত সংবাদ সম্মেলনে দেশের বিভিন্ন স্বনামধন্য জাতীয় দৈনিক, টেলিভিশন চ্যানেল, অনলাইন পোর্টাল এবং ডিজিটাল মিডিয়ার সাংবাদিকেরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন।

বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা, যা ‘প্রোগ্রামিংয়ের অলিম্পিক’ খ্যাত—আইসিপিসির এই রিজিওনাল পর্বটি ২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ বিইউবিটি ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হবে। উল্লেখ্য, বিইউবিটি এ নিয়ে চতুর্থবারের মতো এই মর্যাদাপূর্ণ আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা আয়োজন করার গৌরব অর্জন করেছে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বিইউবিটির উপাচার্য ড. এ বি এম শওকত আলী উপস্থিত সাংবাদিকদের এবং এই আয়োজনের গর্বিত স্পনসরদের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন, ‘এই প্রতিযোগিতার মূল লক্ষ্য হলো সারা দেশ থেকে বাংলাদেশের সেরা প্রোগ্রামারদের খুঁজে বের করা এবং তাঁদের মেধা বিকাশের মাধ্যমে বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ করে দেওয়া।’

শওকত আলী আরও জানান, এবারের আয়োজনে সারা বাংলাদেশ থেকে রেকর্ড সংখ্যক প্রতিযোগী অংশ নিচ্ছেন। মোট ৩১৩টি টিমের ৯৩৯ জন মেধাবী প্রোগ্রামার এই চূড়ান্ত পর্বে লড়বেন, যা বাংলাদেশে আইসিপিসির ইতিহাসে সর্বোচ্চ।

সংবাদ সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিইউবিটি ট্রাস্টি বোর্ডের সম্মানিত সদস্য মো. শামসুল হুদা এফসিএ।

এ ছাড়া সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন এবং টেকনিক্যাল বিষয়গুলো তুলে ধরেন আইসিপিসি এশিয়া ঢাকা সাইট ২০২৫-এর আরসিডি (RCD) এবং বিইউবিটির সিএসই বিভাগের চেয়ারম্যান মো. সাইফুর রহমান এবং আইসিপিসি এশিয়া ঢাকা সাইট ২০২৫-এর অ্যাসোসিয়েট ডিরেক্টর ও এনএসইউর ইসিই বিভাগের অধ্যাপক ড. আবুল লায়েস এম এস হক।

এ সময় মঞ্চে আরও উপস্থিত ছিলেন আইসিপিসি ওয়ার্ল্ড ফাইনালস বিচারক (২০০৩-২০১৮) শাহরিয়ার মঞ্জুর এবং বিইউবিটির প্রকৌশল ও ফলিতবিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. মুন্সী মাহবুবুর রহমান। সম্পূর্ণ অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিইউবিটির সিএসই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. আশরাফুল ইসলাম।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জকসু নির্বাচন: তিন দিনেও প্রকাশ করা হয়নি ব্যালট নম্বর, প্রচারে নেমে বিপাকে প্রার্থীরা

  জবি প্রতিনিধি
আপডেট : ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০: ৪৫
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদের ‎আসন্ন নির্বাচনে ক্যাম্পাসে প্রচার শুরু হয়েছে ১৫ ডিসেম্বর থেকে। তফসিল অনুযায়ী টানা ১৩ দিন চলবে এই প্রচার। তবে প্রচার শুরুর পর তিন দিন পার হলেও প্রার্থীদের ব্যালট নম্বর প্রকাশ করেনি নির্বাচন কমিশন। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন প্রার্থীরা।

‎‎তফসিল সূত্রে জানা যায়, নির্বাচনী প্রচারণার সময় নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫ থেকে ২৭ ডিসেম্বর। প্রচারণার ১৩ দিন সময়ের ৩ দিন পেরিয়ে গেলেও ব্যালট নম্বর প্রকাশ না করায় প্রচারণায় বাধার অভিযোগ তুলেছেন প্রার্থীরা।

‎‎শিবির-সমর্থিত ‘অদম্য জবিয়ান ঐক্য প্যানেল’ থেকে ভিপি প্রার্থী রিয়াজুল ইসলাম বলেন, ব্যালট নম্বর না থাকায় প্রচার ও পেপার ছাপাতে জটিলতা তৈরি হয়েছে। একই সঙ্গে নাম সংশোধনের বিজ্ঞপ্তি দিয়ে একটি বিশেষ গোষ্ঠীকে সুবিধা দেওয়া হচ্ছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।

‎ছাত্রদল-সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেল’ থেকে জিএস প্রার্থী খাদিজাতুল কোবরা বলেন, ব্যালট নম্বর প্রকাশ না করায় প্রচার ব্যাহত হচ্ছে এবং এতে নির্বাচন কমিশনের অদক্ষতা ও স্বচ্ছতা প্রমাণিত হয়। দ্রুত ব্যালট নম্বর প্রকাশের দাবি জানান তিনি।

‎স্বতন্ত্র ভিপি প্রার্থী চন্দন কুমার দাস বলেন, শুরু থেকেই নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা দায়িত্বহীন। প্রার্থিতা ও আচরণবিধি-সংক্রান্ত অভিযোগে কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়ার পাশাপাশি ব্যালট নম্বর না দেওয়ায় প্রচার বাধাগ্রস্ত হচ্ছে, যা কোনো পক্ষকে সুবিধা দেওয়ার ইঙ্গিত দেয়।

‎‎এসব অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে জকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান বলেন, ‘আমাদের কার্যক্রম চলছে। প্রার্থীদের নাম সংশোধনের জন্য আমাদের কাছে আবেদন এসেছে অনেকগুলো। তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা নাম সংশোধন বা নিকনেম রাখার জন্য কাজ করছি। ফলে আমাদের কিছুটা সময় বেশি লাগছে।’

‎এর আগে ৪ ডিসেম্বর সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সংশোধিত তফসিল ঘোষণা করা হয়। সেই তফসিল অনুযায়ী ৯ ও ১০ ডিসেম্বর প্রার্থীদের ডোপ টেস্ট সম্পন্ন হয়। নির্ধারিত তফসিল অনুযায়ী ১১ ডিসেম্বর চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হয়। ১৩ ও ১৪ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার, ১৪ ডিসেম্বর প্রত্যাহারকৃত তালিকা প্রকাশ করা হয়। ভোট গ্রহণের তারিখ ৩০ ডিসেম্বর, ভোট গণনা ৩০ ডিসেম্বর (ভোট গ্রহণ শেষে) এবং ফলাফল ঘোষণা ৩০ অথবা ৩১ ডিসেম্বর।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত