Ajker Patrika

আ.লীগ নেতাকে হত্যার সময় বলা হয় ‘তোকে মারলে কিছুই হবে না, নেতার নির্দেশ’

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি
আপডেট : ২৬ জুন ২০২৩, ১৬: ২৫
আ.লীগ নেতাকে হত্যার সময় বলা হয় ‘তোকে মারলে কিছুই হবে না, নেতার নির্দেশ’

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ওই নেতাকে তাঁর শ্বশুরবাড়িতে স্ত্রী-সন্তানের সামনেই কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। আজ সোমবার দুপুরে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হলে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয় তাঁকে।

এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

নিহত আওয়ামী লীগ নেতার নাম দুরুল হোদা (৪০)। তিনি উপজেলার নয়ালাভাঙ্গা ইউনিয়নের মিরাটুলি বাবুপুর গ্রামের চাঁন মণ্ডলের ছেলে এবং ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য।

গতকাল রোববার সন্ধ্যায় উপজেলার ঢুলঢুলিপাড়া এলাকায় তাঁর শ্বশুরবাড়িতে দুরুলের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে।

আজ দুপুরে সরেজমিন ঘটনাস্থলে দেখা যায়, বাড়ির ভেতর ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে রক্তের দাগ। জীবন বাঁচাতে আশ্রয় নেওয়া ঘরের কাপড়চোপড়ে লেগে আছে রক্ত। বাড়ির পেছনের দরজার কাছে পড়ে রয়েছে দুটি বাঁশ ও রক্তমাখা দুটি হাঁসুয়া। আহাজারি করছেন স্বজনেরা। বাকরুদ্ধ দুরুলের স্ত্রী-সন্তানেরা। 

নিহতের পরিবার জানায়, নিহত দুরুলের তিন সন্তান রয়েছেন। তাদের মধ্যে বড় মেয়ে (১৫) নবম শ্রেণির ছাত্রী, মেজো ছেলে (১১) মাদ্রাসার চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী। এ ছাড়া রয়েছে দেড় বছর বয়সী আরও একটি মেয়ে।

দুরুল হোদার শ্বশুর আনারুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রোববার সন্ধ্যা পৌনে ৭টায় মিরাটুলি বাবুপুর গ্রামের বাবু ঝাপড়ার নেতৃত্বে ১০টা মোটরসাইকেলে প্রায় ২০ জন ও পায়ে হেঁটে বাড়ির পেছন দিয়ে আরও ১০ জনের একটি দল অস্ত্র হাতে আমার বাড়ি ঘিরে ফেলে। এরপর আমার বাড়িতে পেছনের দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে লুটপাট করে এবং আমার মেয়েসহ ছোট বাচ্চাদের অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। এ সময় আমাকেও গাছের ডাল দিয়ে পেটাতে থাকে তারা। অবস্থা বেগতিক দেখে আমার জামাই পাশে আমার ভাই মনিরুলের বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেয়। পরে আমার বাড়িতে দুরুলকে না পেয়ে মনিরুলের বাড়ির দরজা ভেঙে তার বাড়িতে প্রবেশ করে। প্রায় ৪০ মিনিট ধরে তাণ্ডব চালায় সন্ত্রাসীরা। তারা এতটাই বেপরোয়া ছিল, তাদের দেখে কেউ বাঁচাতে এগিয়ে যেতে সাহস পাইনি।’

ঘটনার অপর প্রত্যক্ষদর্শী দুরুল হোদার চাচি শাশুড়ি তাজকেরা বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সন্ত্রাসীদের হাতে অস্ত্র দেখে, ভয়ে আমরা বাড়ির সবগুলো দরজা বন্ধ করে দিই। এরপর তারা দরজা ভেঙে বাড়িতে ঢুকে এলোপাতাড়ি আসবাব ও দরজা ভাঙতে থাকে। এ সময় দুরুলকে বাঁচাতে একটি ঘরে রেখে বাইরে থেকে তালা লাগিয়ে রাখি। সেই ঘরে ঢুকে খাটের নিচ থেকে দুরুলকে টেনে বের করে কোপাতে থাকে।’ 

চাচি শাশুড়ি আরও বলেন, ‘এ সময় সন্ত্রাসীরা বলে “তোকে মেরে ফেললে কিছুই হবে না, নেতার নির্দেশ আছে”। আমাদের কিছুই হবে না। পরে বাড়ির পেছনে নিয়ে চায়নিজ কুড়াল, হাঁসুয়া দিয়ে কুপিয়ে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরে লোকজনের সহায়তায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে রাস্তায় দুরুলের মৃত্যু হয়। সন্ত্রাসীরা যাওয়ার সময় মনিরুল ইসলামের ঘর থেকে কাপড় ব্যবসা ও ছাগল বিক্রির ৭০ হাজার টাকা নিয়ে গেছে।’

দুরুল হোদার মেয়ে দিশা মনি আজকের পত্রিকাকে বলে, ‘আমার আব্বু, আম্মুসহ আমরা তিন ভাইবোন নানার বাড়িতেই ছিলাম। সন্ত্রাসীদের দেখে আব্বু ছাদ দিয়ে পাশের বাড়ির নানার বাড়িতে চলে যায়। তারা এসে আমাদের সবাইকে মেরে ফেলবে বলে গালাগালি করতে থাকে।’

এর মধ্যে বাবু ঝাপড়া, খাইরুলসহ বেশ কয়েকজনকে চিনতে পেরেছে সে। সন্ত্রাসীরা সবাই সুন্দরপুর ও ঝাপড়াপাড়ার বাসিন্দা ছিল বলে জানায় সে।

দুরুল হোদার স্ত্রী তোহমিনা বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘একটি হত্যা মামলার আসামি ছিলেন আমার স্বামী। কয়েক দিন আগে জামিনে ছাড়া পেয়ে সন্ত্রাসীদের ভয়ে, নিজ বাড়ি বাবুপুরে যেতে পারিনি আমরা। বাধ্য হয়ে আশ্রয় নিয়েছি বাবার বাড়িতে। তারপরেও খুন হতে হলো আমার স্বামীকে। এখন তিন শিশু সন্তান নিয়ে জীবন বাঁচাব কীভাবে।’

স্থানীয় বাসিন্দা ও ইউপি সদস্য বিএনপি নেতা আলম হোসেন হত্যা মামলার আসামি আবু হেনা বলেন, ‘আলম হত্যা মামলায় চলতি মাসের ৪ তারিখে আমি আর দুরুল কারাগারে যাই। গত ২২ তারিখ জামিনে ছাড়া পাই। এর পর থেকেই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিলাম আমরা।’

আবু হেনা আরও বলেন, ‘নিরাপত্তার বিষয়টা শনিবার রাতে শিবগঞ্জ থানায় গিয়ে ওসিকে জানানো হইছিল। এরপর ওসি নিজেই আলম হোসেন হত্যা মামলার বাদী বাবুল আলীর সঙ্গে ফোনে কথা বলেছে। কোনো ঝামেলা করতে নিষেধ করেছেন। তারপরেও বাবুর নেতৃত্বে হামলা হলো।’

এ বিষয়ে শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চৌধুরী জোবায়ের আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। হত্যাকারীদের ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।’

প্রসঙ্গত, গত ১৩ এপ্রিল মোটরসাইকেলে করে বাড়ি ফিরছিলেন নয়ালাভাঙ্গা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের বিএনপির সভাপতি আলম হোসেন। এ সময় দুর্বৃত্তরা ককটেল ফাটিয়ে গতিরোধ করে তাঁকে কুপিয়ে হত্যা করে। এই ঘটনায় নিহতের ভাই বাবুল আলী শিবগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় এজাহারভুক্ত ১২ নম্বর আসামি ছিলেন দুরুল হোদা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

আমি লজ্জিত, নিজেকে মাটিতে পুঁতে দিতে ইচ্ছে করছে—ফেসবুকে প্রেস সচিব

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

৭ ঘণ্টা পর ঝালকাঠির অবরোধ প্রত্যাহার, যান চলাচল স্বাভাবিক

ঝালকাঠি প্রতিনিধি  
বরিশাল–খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কের ঝালকাঠি অংশে অবরোধ সাত ঘণ্টা পর প্রত্যাহার করে নিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
বরিশাল–খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কের ঝালকাঠি অংশে অবরোধ সাত ঘণ্টা পর প্রত্যাহার করে নিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

ইনকিলাব মঞ্চের প্রতিষ্ঠাতা ও মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যার প্রতিবাদে এবং খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে তাঁর নিজ জেলা ঝালকাঠিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ছাত্র-জনতা। সাত ঘণ্টা পর পুলিশের অনুরোধে আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করা হলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

আজ জুমার নামাজ শেষে বেলা আড়াইটার দিকে বরিশাল–খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কের ঝালকাঠি কলেজ মোড় এলাকায় অবরোধ শুরু করেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ। অবরোধ চলাকালে মহাসড়কের উভয় পাশে বিপুলসংখ্যক যানবাহন আটকে পড়ে। ফলে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। তবে রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, জরুরি ওষুধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় কাঁচামাল বহনকারী যান চলাচলের সুযোগ দেওয়া হয়।

অবরোধ কর্মসূচিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, এনসিপি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, গণঅধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন। এ সময় মহাসড়কে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করা হয়।

বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন এনসিপির ঝালকাঠি জেলা আহ্বায়ক মাইনুল ইসলাম মান্না, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঝালকাঠি জেলা আহ্বায়ক আল তৌফিক লিখন, যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াসিন ফেরদৌস ইফতি, সদস্যসচিব রাইয়ান বিন কামাল, গণঅধিকার পরিষদ ঝালকাঠি জেলা যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঝালকাঠি-২ আসনের মনোনীত প্রার্থী মাহমুদুল ইসলাম সাগরসহ অন্য নেতারা।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঝালকাঠি জেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াসিন ফেরদৌস ইফতি বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের একজন গুরুত্বপূর্ণ সহযোদ্ধাকে দুর্বৃত্তরা গুলি করে হত্যা করেছে। তিনি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। হামলাকারীদের ইন্টারপোলের মাধ্যমে দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। তা না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

ঝালকাঠি সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বেলায়েত হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, বেলা আড়াইটায় অবরোধ শুরু হওয়ায় বরিশাল–খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কে ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হয়। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনা করে পরিস্থিতি শান্ত করা হলে তাঁরা রাত সাড়ে ৯টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহারে সম্মত হন। পরে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

আমি লজ্জিত, নিজেকে মাটিতে পুঁতে দিতে ইচ্ছে করছে—ফেসবুকে প্রেস সচিব

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ ও সাবেক মেয়রের বাড়িতে আগুন

দিনাজপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২: ৪৪
সাবেক প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বোচাগঞ্জের বাড়িতে আগুন দিয়েছেন একদল লোক। ছবি: আজকের পত্রিকা
সাবেক প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বোচাগঞ্জের বাড়িতে আগুন দিয়েছেন একদল লোক। ছবি: আজকের পত্রিকা

সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বোচাগঞ্জের বাড়িতে আগুন দিয়েছে একদল লোক। আজ শুক্রবার রাতে দুজনের বাড়িতে আগুন লাগার সংবাদ পেয়ে বোচাগঞ্জ থানা-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেখানে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

স্থানীয় জনতা ও বোচাগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। তবে কারা আগুন দিয়েছে, এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি।

বোচাগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের সাব-অফিসার শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘রাত সোয়া ৮টার দিকে সাবেক মেয়র আসলামের বাড়িতে আগুন লাগার খবর পেয়ে আমরা সেখানে পৌঁছাই। বর্তমানে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা হয়েছে।’

এ ছাড়া খালিদ মাহমুদের বাড়ির আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে জানার জন্য বোচাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও কোনো সাড়া মেলেনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

আমি লজ্জিত, নিজেকে মাটিতে পুঁতে দিতে ইচ্ছে করছে—ফেসবুকে প্রেস সচিব

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ময়মনসিংহে যুবককে পিটিয়ে হত্যা: অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মামলা

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২: ১৮
দিপু চন্দ্র দাস। ছবি: সংগৃহীত
দিপু চন্দ্র দাস। ছবি: সংগৃহীত

ময়মনসিংহের ভালুকায় দিপু চন্দ্র দাস (২৮) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা ও মরদেহে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আজ শুক্রবার নিহত দিপুর ছোট ভাই অপু চন্দ্র দাস বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহেদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিক্ষুব্ধ জনতার হাতে নিহত হন দিপু চন্দ্র দাস। এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা হয়েছে।

এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার ডুবালিয়াপাড়া এলাকার পাইওনিয়ার নিট কম্পোজিট কারখানা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত দিপু চন্দ্র দাস জেলার তারাকান্দা উপজেলার মোকামিয়া কান্দা গ্রামের রবি চন্দ্র দাসের ছেলে। তিনি ওই কোম্পানির শ্রমিক ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

আমি লজ্জিত, নিজেকে মাটিতে পুঁতে দিতে ইচ্ছে করছে—ফেসবুকে প্রেস সচিব

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে হামলায় র‍্যাকের নিন্দা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে হামলায় র‍্যাকের নিন্দা

কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তি দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে যে হামলা চালিয়েছে, তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে রিপোর্টার্স অ্যাগেইনস্ট করাপশন (র‍্যাক)।

অন্যদিকে, দুই গণমাধ্যমে আটকে পড়া সাংবাদিকদের উদ্ধার করতে গিয়ে নাজেহাল ও হেনস্তার শিকার হয়েছেন ইংরেজি দৈনিক দ্য নিউ এজের সম্পাদক প্রবীণ সাংবাদিক নূরুল কবীর। এ ঘটনারও তীব্র নিন্দা ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে র‍্যাক। অবিলম্বে এসব ঘটনার সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও দ্রুত তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানিয়েছে র‍্যাক।

শুক্রবার এক বিবৃতিতে সভাপতি আলাউদ্দিন আরিফ ও সাধারণ সম্পাদক তাবারুল হক বলেন, সংবাদমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের অন্যতম প্রধান ভিত্তি। গণমাধ্যমের কণ্ঠ রুদ্ধ করতে সহিংসতা, ভয়ভীতি প্রদর্শন, হামলা কিংবা হেনস্তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এ ধরনের কর্মকাণ্ড গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, মতপ্রকাশের সাংবিধানিক অধিকার এবং আইনের শাসনের সম্পূর্ণ পরিপন্থী।

১৮ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) রাত ১২টার দিকে উচ্ছৃঙ্খল কতিপয় ব্যক্তি প্রথমে দৈনিক প্রথম আলো, তারপর দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে। এ সময় পত্রিকা দুটির অনেক সাংবাদিক ভবনের ভেতরে আটকা পড়েছিলেন। খবর পেয়ে সেনা, পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে হামলাকারীদের সরিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে ভবনের ভেতরে আটকে পড়া সাংবাদিকদের উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

পত্রিকা দুটির শীর্ষ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাতে আকস্মিক হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার পর কর্মীদের সবাইকে দ্রুত অফিস ত্যাগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ফলে শুক্রবার ছাপা পত্রিকা বের করা সম্ভব হয়নি।

র‍্যাক নেতারা বলেন, মনে হচ্ছে একটি গোষ্ঠী অত্যন্ত সচেতনভাবে প্রতিপক্ষ বানাতে গণমাধ্যমকে টার্গেট করে হামলা চালিয়েছে। এটা খুবই দুঃখজনক ও মর্মান্তিক। স্বাধীন সাংবাদিকতায় বিশ্বাসী বর্তমান সরকারের সময় এমন ঘটনা ন্যক্কারজনক। ডিআরইউ মনে করে, ওসমান হাদি একজন দেশপ্রেমিক জুলাই যোদ্ধা ছিলেন। শহীদ ওসমান হাদিসহ ছাত্র-জনতার ত্যাগের কারণে তৎকালীন ফ্যাসিস্ট সরকার দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে।

হাদির মৃত্যুকে পুঁজি করে যারা গণমাধ্যমের ওপর হামলা করেছে, তারা হাদির অনুসারী নয়, এটা স্পষ্ট। কতিপয় মহল হাদির মৃত্যুকে ব্যবহার করে নিজেদের কদর্য চেহারা প্রকাশ করেছে। অবিলম্বে এসব ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে দৃস্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান নেতারা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

আমি লজ্জিত, নিজেকে মাটিতে পুঁতে দিতে ইচ্ছে করছে—ফেসবুকে প্রেস সচিব

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত