মঙ্গলবার, ৩০ মে ২০২৩

সেকশন

 

সীমা লঙ্ঘনই যেন রীতি

আপডেট : ২৪ মে ২০২৩, ০৯:৩৫

সীমা লঙ্ঘনই যেন রীতি ধর্মের প্রতি নাকি এখন মানুষের আগ্রহ বেড়েছে। একই সঙ্গে বেড়েছে সীমা লঙ্ঘনের প্রবণতাও। অথচ বিভিন্ন ধর্মীয় বাণীতে সীমা লঙ্ঘন না করারই পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তারপরও বিপরীতমুখীআচরণ একশ্রেণির মানুষের মধ্যে এখন প্রবল। যেটা করা উচিত, সেটা না করে যা না করাই ভালো, সেটা করার দিকে কেন আগ্রহ বাড়ছে, এর আর্থসামাজিক কিংবা মনো-দৈহিক কারণ অনুসন্ধানে কোনো গবেষণা হয়েছে বলে জানা নেই।  

তবে সংবাদপত্রে প্রতিদিন এমন অনেক খবর বের হয়, যেগুলো সীমা লঙ্ঘনের প্রকৃষ্ট উদাহরণ। পারিবারিক কলহে-বিবাদে নৃশংস হত্যার ঘটনা এখন আর বিরল নয়। রাজনৈতিক কারণে সহিংসতা তো লেগেই আছে। ব্যবসায়ীদের কেউ কেউ ভোক্তাদের ঘাড় মটকানোর কাজে সীমাহীন স্বাধীনতা ভোগ করছেন। ইচ্ছে হলেই যে কেউ জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে মুনাফা অর্জনের স্বেচ্ছাচারিতায় মেতে উঠতে পারেন। আইন অমান্য করা তো এখন কোনো ধর্তব্যের বিষয়ই নয়।

দেশে গণতন্ত্র নেই বলে হাহাকার করছে সরকারবিরোধী কিছু রাজনৈতিক দল ও পেশাজীবী সংগঠন। রাজশাহী জেলা বিএনপির একজন নেতা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছেন, আকারে-ইঙ্গিতে নয়, প্রকাশ্য সমাবেশে, সরাসরি। কাউকে হত্যা করা, কবরে পাঠানো কি গণতান্ত্রিক রীতি-পদ্ধতির মধ্যে পড়ে? গণতন্ত্র তো একটি নিয়মতান্ত্রিক ব্যবস্থা। যা খুশি তা-ই বলা কিংবা যা খুশি তা করার নাম গণতন্ত্র নয়। অথচ আমাদের দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার নামেও সরকারপ্রধানকে হত্যার হুমকি দেওয়া হচ্ছে।

আবার এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ ডেকে আওয়ামী লীগও উত্তেজনা ছড়াতে দেরি করেনি। শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকিদাতার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা না নিয়ে আওয়ামী লীগ বিক্ষোভ মিছিলের দিকে কেন গেল? শুধু কি তা-ই, চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী একটি মিছিলে নেতৃত্ব দেন হাতে রিভলবার নিয়ে, যার ছবি মঙ্গলবার আজকের পত্রিকার প্রথম পৃষ্ঠায় ছাপা হয়েছে। এই সংসদ সদস্য কি জানেন না, এভাবে অস্ত্র হাতে মিছিল করা আইনসম্মত নয়? একজন আইনপ্রণেতা হিসেবে তাঁর তো কোনটা আইনি আর কোনটা বেআইনি, তা ভালো জানার কথা।

প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি দিয়ে বিএনপির একজন নেতা যেমন সীমা লঙ্ঘন করেছেন, তেমনি আওয়ামী লীগের একজন সংসদ সদস্য রিভলবার হাতে প্রকাশ্যে মিছিল করে সীমার মধ্যে থাকেননি। রাজশাহীর বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি উঠলে এই সংসদ সদস্য কেন আইনের আওতার বাইরে থাকবেন?

সীমা লঙ্ঘনের আরও একটি খবর আছে মঙ্গলবারের আজকের পত্রিকায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের একজন অধ্যাপক নির্বাচন ছাড়াই বর্তমান সংসদ ও সরকারের মেয়াদ আরও পাঁচ বছর, নিদেনপক্ষে দুই বছর বাড়ানোর প্রস্তাব করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষকের মাথায় নির্বাচন এড়ানোর এই দুর্বুদ্ধি এসেছে নিশ্চয়ই চারদিকে সীমা লঙ্ঘনের ঘটনা দেখেই। কিন্তু সীমার মধ্যে না থাকলে পরিস্থিতি একপর্যায়ে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে, যা আমাদের কাম্য নয়। তাই এখনই লাগাম টানা দরকার।

মন্তব্য

আপনার পরিচয় গোপন রাখতে
আমি নীতিমালা মেনে মন্তব্য করছি।
Show
 
    সব মন্তব্য

    ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে

    এলাকার খবর

     
     

    গাজীপুরে কি তবে হলো নতুন যাত্রার শুরু

    ভয়কে জয় করে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশের উন্নতি

    ফুটবলে নতুন একটা জোয়ার আসুক

    নৈতিক অধঃপতনে সংস্কৃতির বিপর্যয়

    দ্বিজেন শর্মা প্রকৃতির পরম্পরা

    জীবন অগাধ

    আলাউদ্দিন খাঁর রাগ

    মধ্যরাতে ফাঁস হওয়া রা‌জের ভিডিওতে সুনেরাহ, তিশা

    জাদেজার জাদুতে রোমাঞ্চ জিতে চেন্নাইয়ের পাঁচ

    সিলেটে কিশোরী মাকে দলবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৫

    সংসদে বাজেট অধিবেশন উপলক্ষে ডিএমপির নিষেধাজ্ঞা

    মূলধন ঘাটতিতে আট ব্যাংক

    ‘ডা. জাফরুল্লাহ দেশ ও সমাজ গঠনে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত যুদ্ধ করে গেছেন’