বৃহস্পতিবার, ০১ জুন ২০২৩

সেকশন

 

সুরমা নদী খনন প্রকল্পের নকশা থেকে বাদ দুই কিলোমিটার, ক্ষোভ

আপডেট : ২২ মে ২০২৩, ০৮:৪২

সুরমা নদী। ছবি: সংগৃহীত সুরমা নদীর নাব্য ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে সিলেট নগরীর কুশিঘাট থেকে বিশ্বনাথ উপজেলার লামাকাজি সেতু পর্যন্ত প্রথম দফায় প্রায় ১৮ কিলোমিটার নদী খনন করা হচ্ছে। তবে অদৃশ্য কারণে খননের বাইরে রাখা হয়েছে লামাকাজী এলাকার গুরুত্বপূর্ণ প্রায় দুই কিলোমিটার চর। এতে বর্ষা মৌসুমে পাহাড়ি ঢল ও তীব্র স্রোতে নদী ভাঙন আরও প্রকট আকার ধারণ করবে বলে আশঙ্কা কর হচ্ছে। আর ক্ষোভ বিরাজ করছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে।

পাহাড়ি ঢলে ভরাট হওয়ার কারণে শীত মৌসুমে সুরমা নদী শুকিয়ে নালায় পরিণত হয়। বর্ষায় তীর উপচে পানি ঢোকে সিলেট নগরীসহ নদী তীরবর্তী এলাকায়।গত বছর দুই দফা বন্যায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় সিলেটবাসীকে। তাই নদীর নাব্য ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে কুশিঘাট থেকে লামাকাজি সেতু পর্যন্ত প্রথম দফায় প্রায় ১৮ কিলোমিটার নদী খনন প্রকল্প গ্রহণ করে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

চলতি বছরের ২১ জানুয়ারি খনন কাজের উদ্বোধন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও ও সিলেট-১ আসনের সংসদ সদস্য এ কে আব্দুল মোমেন। আগামী জুন মাসের মধ্যেই খননকাজ সম্পন্ন হওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু খনন কাজের নকশায় বাদ দেওয়া হয়েছে লামাকাজী সেতুর দক্ষিণ থেকে পরগনা বাজারের পশ্চিম পর্যন্ত তিলকপুর ও হেরাখলা মৌজার প্রায় দুই কিলোমিটার নদী।

জানা গেছে, ওই দুই কিলোমিটারের মধ্যে দুটি বড় চর রয়েছে। বালুখেকো কতিপয় দুর্বৃত্ত ওই দুটি চর থেকে রাতের আঁধারে লুকিয়ে অপরিকল্পিতভাবে নদী থেকে বালু উত্তোলনের ফলে পশ্চিম পাড় ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। এতে মারাত্মক হুমকির মুখে জনগুরুত্বপূর্ণ লামাকাজী-বিশ্বনাথ সড়ক, লামাকাজী রাগীব-রাবেয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মুন একাডেমি ও মসজিদসহ বেশ কয়েকটি গ্রাম। লামাকাজী সেতুর দক্ষিণ থেকে পরগনা বাজারের পশ্চিম পর্যন্ত দুই কিলোমিটার চর খনন করা না হলে বর্ষা মৌসুমে পাহাড়ি ঢলে ও তীব্র স্রোতে নদীভাঙন আরও প্রকট আকার ধারণ করবে।

সুরমা নদীর লামাকাজী এলাকার ওই দুটি গুরুত্বপূর্ণ চর খনন কাজের আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানিয়ে ইতিমধ্যে লামাকাজী এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর কাছে লিখিত আবেদন করেছেন বঙ্গবন্ধু পেশাজীবী পরিষদ সিলেট বিভাগীয় কমিটির সভাপতি ও রাগীব-রাবেয়া ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক 
আমিনুল ইসলাম।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী আসিফ আহমেদ বলেন, ‘নদীর খনন কাজের প্রকল্প নেওয়ার আগে সমীক্ষার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয় ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার মডেলিংকে (আইডব্লিউএম)। তারা সমীক্ষা করে নদীর যে সব স্থানে খনন করার জন্য নকশা তৈরি করেছে আমরা তা খনন করছি। এখানে আমাদের কিছু করার নেই।’ 

মন্তব্য

আপনার পরিচয় গোপন রাখতে
আমি নীতিমালা মেনে মন্তব্য করছি।
Show
 
    সব মন্তব্য

    ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে

    পঠিতসর্বশেষ

    এলাকার খবর

     
     

    ফ্লাইটে অনিয়ম ও প্রবাসীর মৃত্যু: বৈমানিক তোফায়েল চাকরিচ্যুত

    ভোটের মাঠে

    লালমনিরহাট-৩: জাপা-বিএনপিতে একক, আ.লীগে ছড়াছড়ি

    এসবিএসি ব্যাংকের সিএফওকে শোকজ

    সোয়া আট কোটি টাকা মূলধন ঘাটতিতে অগ্রণী ইনস্যুরেন্স

    ইসলাম

    ভুল শুধরে দেওয়ার আদব

    সার কেলেঙ্কারি: পোটনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান দ্রুত শেষ করতে চায় দুদক

    জ্যৈষ্ঠের গরমে ভোগান্তি বাড়াচ্ছে লোডশেডিং

    গাজীপুর মেট্রোপলিটন থেকে ব্যাটালিয়নে বদলি মোল্যা নজরুল

    শীতলক্ষ্যায় পড়ে নিরাপত্তা প্রহরী নিখোঁজ

    দক্ষিণখানে পুঁতে রাখা কানাডা প্রবাসী নারীর লাশ উদ্ধার, স্বামী পলাতক  

    ‘ঘুষ দিয়ে চেয়ারে বসেছি, ফ্রিতে সেবা দিতে আসিনি’ সংবাদ মিথ্যা বলে দাবি সিএমপির