Ajker Patrika

ভূগর্ভস্থ পানি তুলে নিচ্ছে কাফকো, নলকূপে পানি পাচ্ছে না দুই ইউনিয়নের মানুষ

মো. ইমরান হোসাইন, কর্ণফুলী
আপডেট : ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ১৪: ৫৮
ভূগর্ভস্থ পানি তুলে নিচ্ছে কাফকো, নলকূপে পানি পাচ্ছে না দুই ইউনিয়নের মানুষ

খাওয়ার পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে চট্টগ্রামের আনোয়ারা ও কর্ণফুলীর দুই ইউনিয়নে। দুই ইউনিয়নে অধিকাংশ নলকূপে পানি উঠছে না। আনোয়ারা উপজেলার বৈরাগ ইউনিয়ন ও কর্ণফুলী উপজেলার বড় উঠান ইউনিয়নের অংশ থেকে কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড গভীর নলকূপ স্থাপন করে পানি তুলে নেওয়ায় এসব এলাকার সাধারণ মানুষের নলকূপগুলোতে পানির সংকট চলছে। 

এলাকাবাসীর অভিযোগ, বহুজাতিক কোম্পানি কাফকো প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে ভূগর্ভস্থ পানি উঠিয়ে নেওয়ার ফলে উপজেলার বৈরাগসহ বিভিন্ন ইউনিয়নে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর কমে সংকট দেখা দিয়েছে। বর্তমানে আনোয়ারা ও কর্ণফুলীর বড় উঠানের হাজারের বেশি টিউবওয়েলে পানি পাওয়া যাচ্ছে না। 

এলাকাবাসী অভিযোগ করে আরও বলেন, কাফকোর উৎপাদন অব্যাহত রাখার জন্য অতিরিক্ত পরিমাণে ভূগর্ভস্থ পানি তুলে ফেলায় পানির স্তর অনেক নিচে নেমে গেছে, যার কারণে অগভীর নলকূপগুলোতে পানি মিলছে না। সাধারণ মানুষ বাধ্য হয়ে বছর দুয়েক ধরে পুকুর থেকে পানি নিয়ে ফুটিয়ে পান করে আসছিলেন। কিন্তু এখন আর পুকুরেও ঠিকমতো পানি থাকছে না। এমনকি পুকুরের পানি শুকিয়ে গেছে। 

এ ছাড়া প্রচণ্ড গরমে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে উঠেছে। সঙ্গে দেখা দিয়েছে খাওয়ার পানির তীব্র সংকট। এ ছাড়া ভয়াবহ লোডশেডিং আরও ১০ গুণ কষ্ট বাড়িয়ে দিয়েছে। ফলে মানুষের জীবনমান চরম কষ্টের দিকে ধাবিত হচ্ছে। 

গত বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলার বৈরাগ ইউনিয়নে গুয়াপঞ্চক, বৈরাগ ও উত্তর বন্দর এলাকায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইশতিয়াক ইমন ও বৈরাগ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নোয়াব আলী পরিদর্শন করেন এবং নলকূপ দেখে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। 

বৈরাগ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নোয়াব আলী বলেন, ‘কাফকো শুরু থেকে ভূগর্ভস্থ পানি ব্যবহারের মাধ্যমে কারখানা পরিচালনা করে। এর ফলে আনোয়ারার ভূগর্ভস্থ পানির স্তর দিনে দিনে কমছে। ১০ বছর আগেও স্থানীয়রা কাফকোর পানি উত্তোলন নিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে, কিন্তু তার সুরাহা হয়নি। বর্তমানে বৈরাগ ইউনিয়নে পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। বলতে গেলে খাওয়ার পানির জন্য হাহাকার চলছে। এলাকার শত শত টিউবওয়েলে পানি উঠছে না। আমি এ বিষয়ে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীকে অবহিত করেছি। পাশাপাশি সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের সুদৃষ্টি কামনা করছি।’ 

নোয়াব আলী আরও বলেন, ‘সব পুকুর শুকিয়ে যাচ্ছে। সিইউএফএল রাষ্ট্রীয় কোম্পানি হয়ে কালুরঘাটের কর্ণফুলী নদী এলাকা থেকে যদি মিঠাপানি আনতে পারে, তাহলে কাফকো কেন পারবে না?’ 

কেইপিজেডের ডিজিএম মুশফিকুর রহমান বলেন, কেইপিজেড প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এলাকার ভূগর্ভস্থ পানির লেয়ার বাড়ানোর জন্য কেইপিজেডে বনায়নের পাশাপাশি বড় বড় লেক তৈরি করে পানি ধরে রাখার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। কেইপিজেডের ইন্ডাস্ট্রিয়াল কাজে ব্যবহারের জন্য ভূগর্ভস্থ পানি ব্যবহারের প্রয়োজন হয় না। শুধু শ্রমিকদের খাওয়া ও পরিচ্ছন্নতার জন্য প্রয়োজনীয় পানি ভূগর্ভ থেকে উত্তোলন করে। 

মুশফিকুর রহমান আরও বলেন, কেইপিজেডের উদ্যোগে চট্টগ্রাম ওয়াসার যে পানি সরবরাহ লাইন স্থাপন করা হয়েছে, সেটির সুফল পুরো দক্ষিণ চট্টগ্রামবাসী ভোগ করবে। ইতিমধ্যে কেইপিজেডের কর্ণফুলীর দৌলতপুর প্রধান গেটে ওয়াসা পানি সংরক্ষণাগার স্থাপন করেছে। আগামী জুনে এটি চালু হলে ভূগর্ভস্থ কোনো পানি কেইপিজেড ব্যবহার করবে না। 

আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইশতিয়াক ইমন সাংবাদিকদের বলেেন, ‘বৈরাগ ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় টিউবওয়েলে ভূগর্ভস্থ পানি পাওয়া যাচ্ছে না বলে স্থানীয়দের অভিযোগ সরেজমিনে তদন্ত করে সত্যতা পেয়েছি। এ বিষয়ে কাফকো ও কেইপিজেডের সঙ্গে কথা বলে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করব।’ 

সূত্র জানায়, কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেডে (কাফকো) উৎপাদন চালু রাখতে হলে ঘণ্টায় ৮০০ মেট্রিক টন মিঠাপানির প্রয়োজন হয়। এসব পানি পাশের কর্ণফুলী নদী থেকে নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নদীর পানিতে লবণাক্ততা বেড়ে গেলে চাহিদামতো পানি পাচ্ছে না কাফকো। ফলে প্রতিষ্ঠানটি সাতটি গভীর নলকূপ স্থাপন করে পানি তুলে নিচ্ছে কারখানায়। এ কারণে উপজেলার বৈরাগ, চাতরী, বারশত ইউনিয়ন ও কর্ণফুলী উপজেলার বড় উঠান ইউনিয়নের লক্ষাধিক সাধারণ মানুষ বিগত কয়েক বছর ধরে তাদের নলকূপগুলোতে পানি পাচ্ছে না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হাদি হত্যা: ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ ছাত্র-জনতার

গাজীপুর ও শ্রীপুর প্রতিনিধি 
মাওনা চৌরাস্তা এলাকায় মহাসড়ক অবরোধ। ছবি: আজকের পত্রিকা
মাওনা চৌরাস্তা এলাকায় মহাসড়ক অবরোধ। ছবি: আজকের পত্রিকা

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির খুনিদের বিচার দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ছাত্র-জনতা। এতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) বেলা আড়াইটা থেকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের মাওনা চৌরাস্তা এলাকার পল্লী বিদ্যুৎ মোড়ে অবরোধ কর্মসূচি শুরু হয়।

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) শ্রীপুর শাখার সমন্বয়ক আবু রায়হান মিসবাহ্ বলেন, ‘ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান হাদির খুনিদের বিচার দাবিতে আমরা সড়ক অবরোধ করছি। আমরা চাই, দ্রুত সময়ের মধ্যে যেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী খুনিদের আইনের আওতায় আনে।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্রনেতা কাইফাত মোড়ল বলেন, ‘একজন জুলাই যোদ্ধাকে যেভাবে গুলি করে খুন করল, এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত খুনিদের আজও গ্রেপ্তার করতে পারল না আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। যারা খুনিদের পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করল, তাদেরও বিচার দাবি করছি।’

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নাছির আহমদ বলেন, মহাসড়ক অবরোধের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

গাজীপুরজুড়ে বিক্ষোভ

গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাদির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর রাতেই গাজীপুরে বিক্ষোভ শুরু হয়। রাতে মহানগরীর শিববাড়ী, টঙ্গীসহ বিভিন্ন এলাকায় মহাসড়ক অবরোধ করেন আন্দোলনকারীরা। গভীর রাত পর্যন্ত তাঁরা আগুন জ্বালিয়ে প্রতিবাদ জানান। বিক্ষোভকারীরা হত্যার ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দায়ীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানান।

এসব আন্দোলনে অংশ নেয় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় সংগঠক আবদুল্লাহ আল মুহিম, গাজীপুর মহানগর জাতীয় যুবশক্তির সদস্যসচিব মো. ওমর ফারুক, গাজীপুর মহানগর এনসিপির সংগঠক নাবিল ইউসুফ, জাতীয় যুবশক্তির কেন্দ্রীয় সংগঠক মো. মোহসিন, সোহানুর রহমান শুভসহ এনসিপি, যুবশক্তি ও সাধারণ ছাত্র-জনতা।

পরে আজ সকাল ১০টার দিকে আবারও মহানগরীর চান্দনা চৌরাস্তায় বিক্ষোভ শুরু করেন এনসিপির নেতা-কর্মীরা। স্লোগানে ও প্রতিবাদে মুখর হয় পুরো এলাকা। এ সময় আন্দোলনকারীরা বলেন, শহীদ শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যু কোনোভাবেই স্বাভাবিক নয়, এটি একটি পরিকল্পিত ও নৃশংস হত্যাকাণ্ড। তাঁরা হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করা না হলে আরও কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেন।

ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট) এলাকায়ও ইনকিলাব মঞ্চসহ বিভিন্ন সংগঠনের উদ্যোগে শত শত শিক্ষার্থী ক্যাম্পাস থেকে বিক্ষোভ-মিছিল বের করে শিববাড়ী মোড় গিয়ে সড়ক অবরোধ করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।

একই দাবিতে টঙ্গীর কলেজগেট এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ বিক্ষোভ করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হাদি হত্যা: ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ

ফেনী প্রতিনিধি
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ বিক্ষোভকারীদের। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ বিক্ষোভকারীদের। ছবি: আজকের পত্রিকা

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যার বিচারের দাবিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন সাধারণ ছাত্র-জনতা। আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে মহাসড়কের ফেনী মহিপাল ফ্লাইওভারের দক্ষিণ দিকের অংশে অবস্থান নেন বিক্ষোভকারীরা। প্রায় আধা ঘণ্টা চলা অবরোধে ঢাকা-চট্টগ্রামমুখী উভয় লেনে যানজটের সৃষ্টি হয়।

সরেজমিন দেখা যায়, আন্দোলনকারীরা জুমার নামাজের পর শহরের জহিরিয়া মসজিদ থেকে একটি মিছিল নিয়ে শহীদ শহীদুল্লা সড়ক প্রদক্ষিণ করে মহাসড়কে এসে বিক্ষোভ শুরু করেন। এই সময় হাদি হত্যার বিচারের দাবিতে স্লোগান দেন তাঁরা।

রাশেদুল ইসলাম নামে এক আন্দোলনকারী বলেন, ‘জুলাইয়ের সম্মুখসারির এক যোদ্ধাকে গুলির ঘটনার এক সপ্তাহ পার হতে চললেও প্রশাসন দৃশ্যমান কোনো ভূমিকা নিতে পারেনি। এ সরকার আমাদের ভাইদের রক্তের ওপর দিয়ে চেয়ারে বসেও তাঁদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। এ ছাড়া মানুষকে কষ্ট দেওয়া আমাদের উদ্দেশ্য নয়। এ হত্যার বিচারের দাবিতে বাধ্য হয়ে আমরা প্রায় আধা ঘণ্টা সময়ের জন্য মহাসড়ক অবরোধ করেছি। শিগগিরই জড়িতদের আইনের আওতায় না আনলে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।’

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সাবেক জেলা সমন্বয়ক আবদুল আজিজ বলেন, ‘ভারতীয় আধিপত্যবাদবিরোধী আন্দোলনে হাদি আমাদের যে পথ দেখিয়েছেন, সেই পথে হাঁটতে আমরা লাখো হাদি প্রস্তুত। যত দিন এ দেশে ভারতীয় আধিপত্যবাদ থাকবে, তত দিন রাজপথে আমাদের লড়াই চলবে। হাদির খুনিরা যেখানেই থাকুক, অবিলম্বে তাদের গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।’

ফেনী মডেল থানা-পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) সজল কান্তি দাশ বলেন, ‘অবরোধের খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে যাই। এখন আন্দোলনকারীরা মহাসড়ক থেকে সরে দাঁড়িয়েছে। সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের নতুন কমিটি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের নতুন কমিটি

দেশের স্বাস্থ্যখাতের সাংবাদিকদের সংগঠন বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের কার্যনির্বাহী পরিষদ ২০২৬–২৭ এর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সভাপতি পদে প্রতীক ইজাজ (দেশ রূপান্তর) এবং সাধারণ সম্পাদক পদে মো. মোজাহিদুল ইসলাম শুভ (এখন টেলিভিশন) নির্বাচিত হয়েছেন।

শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর একটি রেস্টুরেন্টে সংগঠনের বার্ষিক সাধারণ সভা ও নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে বিএইচআরএফ নির্বাচন–২০২৬ এর চেয়ারম্যান আবুল খায়ের নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন। এবারের নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেন সংগঠনের জ্যেষ্ঠ সদস্য মনিরুজ্জামান উজ্জ্বল ও কবির আহমেদ খান। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী পরিষদ ২০২৬–২৭ আগামী দুই বছরের জন্য দায়িত্ব পালন করবে।

কমিটিতে সহসভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন—মোহাম্মদ আয়নাল হোসেন (সিটিজেন জার্নাল) ও মোহাম্মদ আল আমিন (ডেইলি সান)। যুগ্ম সম্পাদক হয়েছেন মাহমুদ কমল (মাছরাঙা টিভি)। অর্থ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন আজাদুল আদনান (আমার দেশ), সাংগঠনিক সম্পাদক তবিবুর রহমান (সমকাল), দপ্তর সম্পাদক তানভীরুল ইসলাম (ঢাকা পোস্ট) এবং প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন মাহমুদুল হাসান (কালবেলা)।

কার্যনির্বাহী সদস্য পদে নির্বাচিত হয়েছেন শামিমুজ্জামান চৌধুরী (মোহনা টিভি), বুদ্ধদেব কুন্ডু (ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভি), তাওসিয়া তাজমিম (দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড—টিবিএস) এবং নেসার উদ্দিন আহাম্মদ।

এর আগে, বিএইচআরএফের সদ্য বিদায়ী সভাপতি রাশেদ রাব্বির সভাপতিত্বে সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল ও সাবেক অর্থ সম্পাদক মো. বায়েজদী মুন্সী বার্ষিক প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

প্রথম আলোর কার্যালয়ের সামনে কর্মীদের মানববন্ধন

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭: ২৩
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে আজ শুক্রবার বিকেল পৌনে ৪টার দিকে মানববন্ধন শুরু হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে আজ শুক্রবার বিকেল পৌনে ৪টার দিকে মানববন্ধন শুরু হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পরপরই রাজধানীর কারওয়ান বাজারে দৈনিক প্রথম আলোর কার্যালয়ে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মানববন্ধন করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মীরা।

আজ শুক্রবার বিকেল পৌনে ৪টার দিকে কার্যালয়ের সামনে ‘প্রথম আলোর ওপর আক্রমণের প্রতিবাদ’ লেখা ব্যানার হাতে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।

এতে অংশ নেন প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক কথাসাহিত্যিক আনিসুল হকসহ সাংবাদিক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।

প্রথম আলোর ওপর হামলার নিন্দা ও সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে জড়িত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে এর নির্বাহী সম্পাদক সাজ্জাদ শরিফ বলেন, ‘গত ২৭ বছরে এই প্রথম আজকে আমাদের পত্রিকা প্রকাশিত হয়নি। পত্রিকার অনলাইন ভার্সনও বন্ধ রয়েছে। প্রথম আলোর ওপরে হামলাকে আমরা বাংলাদেশের বাক্‌স্বাধীনতা, ভিন্নমতের প্রকাশ ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপরে কঠিন আক্রমণ হিসেবেই দেখছি।’

সাজ্জাদ শরিফ বলেন, ‘আমরা স্পষ্ট করেই বলতে চাই, বাংলাদেশ, বাংলাদেশ সরকারের ভাবমূর্তি আন্তর্জাতিকভাবে নস্যাৎ ও ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্য এবং আগামী নির্বাচনকে পথভ্রষ্ট করার জন্য এই হামলা চালানো হয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত হোক। হামলায় জড়িতদের শনাক্ত করে খুঁজে বের করা হোক।’

মানববন্ধন কর্মসূচিতে সাজ্জাদ শরিফ বক্তব্য দেওয়ার সময় কয়েকজন ব্যক্তি হট্টগোল শুরু করেন। তাঁরা প্রথম আলোর উদ্দেশে গালিগালাজ করেন।

এ পরিস্থিতিতে কর্মসূচি দ্রুত শেষ করে প্রথম আলোর কর্মীরা বিক্ষোভস্থল থেকে চলে যান। এরপর পুলিশ হট্টগোলকারীদের কারওয়ান বাজারের কাঁচাবাজারের দিকে সরিয়ে দেয়।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার পরদিন ১২ ডিসেম্বর ঢাকার পুরানা পল্টনের বক্স-কালভার্ট রোডে শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করা হয়। প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে তাঁকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে ১৫ ডিসেম্বর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাঁকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত