কোনো একটা সভা বা সমাবেশে কথা বলার পর এখন মনে হয় নতুন একটা মামলা হবে কি না। সরকারের বিরুদ্ধে কথা বললেই মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। আজ সোমবার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ছাত্রদলের সাবেক নেতাদের উদ্যোগে আটক নেতাদের মুক্তির দাবিতে আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, এই যে সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রিজভীকে কোনো কারণ ছাড়া সাজানো-গোছানো মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এভাবে অসংখ্য নেতা-কর্মীকে হয়রানি করা হচ্ছে। সুপ্রিম কোর্ট তো সভ্য, শিক্ষিত লোকদের জায়গা, নির্বাচন নিয়ে সেখানে যা হলো, তা কোনো আমলেই হয়নি। সব জায়গা এভাবে দখল হয়ে গেছছে। এখন সব জায়গায় চাঁদাবাজি। এমনকি বাচ্চাকে স্কুলে ভর্তি করতে যাবেন, সেখানেও চাঁদাবাজি। সুতরাং এই অবস্থায় দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। তাই শেখ হাসিনার সরকারকে পদত্যাগ করে নির্বাচন দিতে হবে। আন্দোলনের মাধ্যমেই এই দাবি আদায় করতে হবে।
ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি শহীদ উদ্দীন চৌধুরী অ্যানি বলেন, ‘সব সময় মাঠে আন্দোলন করে যে সফলতা আসবে তা নয়। সে জন্য আমরা নিজেদের মধ্যে বৈঠক করে কর্মপরিকল্পনা ও কৌশল নিচ্ছি, যাতে মাঠকে আরও শক্তিশালী করা যায়। আমরা এই যে প্রতিবাদসভা করছি, জেলে বসে রিজভী ভাইয়েরা যাতে বুঝতে পারেন আমরা তাদের মুক্তির জন্য কাজ করছি।’
বিএনপির বিশেষ সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, ‘আগামী জাতীয় নির্বাচন কেমন হবে তা সুপ্রিম কোর্টে নির্বাচন দেখেই বোঝা যায়। জাতীয় নির্বাচনও কিন্তু একই স্টাইলে হবে। সুতরাং বিএনপি আগামী নির্বাচনে যাবে না। আর নির্বাচন যে করব, সেই টাকাও তো নাই। ঘরবাড়ি যে বিক্রি করব, তাও তো নাই।’
প্রতিবাদ সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া, ছাত্রদলের সাবেক নেত্রী হেলেনা জেরিন খানসহ ছাত্রদলের সাবেক নেতারা।
মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে