Ajker Patrika

রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড: ৫ বছর পর ৯ কর্মকর্তার পদোন্নতি বাতিল, অর্থ ফেরতের নির্দেশ 

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড: ৫ বছর পর ৯ কর্মকর্তার পদোন্নতি বাতিল, অর্থ ফেরতের নির্দেশ 

রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের ১৫ জন কর্মকর্তার পদোন্নতি স্থগিত করা হয়েছে। এর মধ্যে ৯ কর্মকর্তার পদোন্নতি স্থগিত করা হয় ৫ বছর পর। শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্মকর্তাদের এই পদোন্নতির আদেশ স্থগিত করেছে। এ ছাড়া পদোন্নতির পর এ পর্যন্ত তাঁদের গ্রহণ করা অতিরিক্ত অর্থ ফেরত দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

৫ মার্চ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপসচিব আক্তার উননেছা শিউলী এক চিঠিতে প্রথমে ৬ জন কর্মকর্তার পদোন্নতি স্থগিত করে তাঁদের গ্রহণ করা অতিরিক্ত অর্থ ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। পরে ১৯ মার্চ আরও ৯ জনের ব্যাপারে তিনি একই নির্দেশনা দিয়ে চিঠি ইস্যু করেন। গতকাল সোমবার এই চিঠি পেয়েছেন রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের সচিব মো. হুমায়ুন কবীর।

এর আগে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের এক তদন্তে ১৫ কর্মকর্তার পদোন্নতিতে অসংগতি উঠে আসে। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা (মাউশি) বিভাগের আলাদা দুই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে ২০২১ সালের ২৩ থেকে ২৫ নভেম্বর পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে গিয়ে সরেজমিনে এ বিষয়ে তদন্ত করে।

গত বছরের জানুয়ারিতে এ কমিটি দুদক ও মাউশিতে প্রতিবেদন জমা দেয়। প্রতিবেদনে ওই ১৫ কর্মকর্তার পদোন্নতি স্থগিত এবং গ্রহণ করা অতিরিক্ত অর্থ ফেরত নেওয়ার সুপারিশ করা হয়। তদন্ত প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ে যাওয়ার পর পদোন্নতি স্থগিত এবং গ্রহণ করা অতিরিক্ত অর্থ ফেরত নেওয়ার সিদ্ধান্ত দেওয়া হলো।

তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী, রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের সাবেক দুই চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ ও অধ্যাপক মো. মোকবুল হোসেনের আমলে পদোন্নতির এসব অনিয়ম ঘটে। দুদফায় ১৫ কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দিতে নানা অনিয়ম করেছেন তাঁরা। সিলেকশন কমিটিও নিয়ম না মেনে তাঁদের পদোন্নতির সুপারিশ করেছিল বলে তদন্তে উঠে আসে।

প্রথমে ৯ জন সপ্তম গ্রেড থেকে ষষ্ঠ গ্রেডে পদোন্নতি পান ২০১৭ সালে। এঁদের পদোন্নতি দিতে সিলেকশন কমিটি ২০১৭ সালের ২১ এপ্রিল বোর্ডের চেয়ারম্যানের কক্ষে ৪৮ জন কর্মকর্তার মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণ করে। কমিটির সভাপতি ছিলেন বোর্ডের তৎকালীন চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ। ৪৮ জনের মধ্যে কমিটি ৯ জনকে পদোন্নতির সুপারিশ করলে ২০১৭ সালের ৯ জুলাই তাঁদের পদোন্নতি দেওয়া হয়।

শুধু মৌখিক পরীক্ষার ভিত্তিতে ৯ জনের পদোন্নতির তালিকাটি করা হয়। ওই মেধাতালিকা থেকে ২০২০ সালের ১৫ জানুয়ারি বোর্ডের তৎকালীন চেয়ারম্যান মোকবুল হোসেন আরও ৬ জনকে পঞ্চম গ্রেডে পদোন্নতি দেন। প্রথমে বিতর্কিত ওই মেধাতালিকার ১ থেকে ৯ নম্বর ক্রমিকের কর্মকর্তাদের পদোন্নতি দেওয়া হলেও দ্বিতীয় পদোন্নতির ক্ষেত্রে এ ক্রমিক অনুসরণ করা হয়নি।

এই ৬ জনের ব্যাপারে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে শিক্ষা বোর্ডকে বলা হয়েছে, এঁদের পদোন্নতির আদেশ স্থগিত করে তার প্রমাণক মন্ত্রণালয়ের এই বিভাগে পাঠাতে হবে। পদোন্নতি পাওয়ার পর এই কর্মকর্তারা পঞ্চম গ্রেডে বেতন নিলে গৃহীত অতিরিক্ত অর্থ তাঁদের কাছ থেকে আদায় করে শিক্ষা বোর্ডের কোষাগারে জমা করতে হবে। এই কর্মকর্তারা বাড়তি কত টাকা নিয়েছেনম তা চিঠিতে উল্লেখ নেই।

তবে আগের ৯ জনের ব্যাপারে মন্ত্রণালয়ের চিঠিতেই বলা হয়েছে, ২০১৭ সালের জুলাই থেকে ২০২২ সালের এপ্রিল পর্যন্ত প্রত্যেকে ৩৭ হাজার ১০৮ টাকা অতিরিক্ত নিয়েছেন। মোট টাকার পরিমাণ ৩ লাখ ৩৩ হাজার ৯৭২। তাঁদেরও পদোন্নতি স্থগিত করে সমুদয় অর্থ ফেরত নিয়ে বোর্ডের কোষাগারে জমা করতে হবে।

বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের সচিব মো. হুমায়ুন কবীর আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গতকাল সোমবার আমি ই-মেইলে মন্ত্রণালয়ের চিঠি পেয়েছি। এটি এখন আমি ফাইলে তুলব। চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে প্রশাসনিক যে পদক্ষেপ, সেটা আমরা গ্রহণ করব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তারেক রহমানের জন্য নির্ধারিত ফ্লাইটের দুই কেবিন ক্রুকে প্রত্যাহার

‘আমি তো মামলা করি না, ডাইরেক্ট ওয়ারেন্ট করাই’

কুকুর লেলিয়ে পুরুষ ফিলিস্তিনিকে ধর্ষণ—বিবিসির প্রতিবেদনে ইসরায়েলি কারাগারে নির্যাতনের চিত্র

পত্রিকা অফিসে হামলার গোয়েন্দা তথ্য ছিল, আমলে নেওয়া হয়নি: সালাহউদ্দিন

ভালুকায় কারখানার শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ওসমান হাদি ভোটের রাজনীতিতে বিশ্বাস করতেন: তারেক রহমান

বগুড়া প্রতিনিধি
ভার্চুয়ালি বক্তব্য দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত
ভার্চুয়ালি বক্তব্য দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ ওসমান বিন হাদি গণতন্ত্রের পক্ষে ছিলেন এবং ভোটের রাজনীতিতে বিশ্বাস করতেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) বগুড়ায় জুলাই আন্দোলনে শহীদদের স্মরণে ডিজিটাল স্মৃতিস্তম্ভ ভার্চুয়ালি উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।

তারেক রহমান বলেন, ‘শহীদ ওসমান হাদি গণতন্ত্রের পথেই ছিলেন, ভোটের রাজনীতিতে বিশ্বাস করতেন। শহীদ ওসমান হাদি, জুলাই শহীদ ও একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি যদি সম্মান রাখতে হয়, তাহলে আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠায় এবং দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য কাজ করতে হবে।’

তারেক রহমান বিএনপিসহ যেসব দল গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে, তাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘সামনের দিনগুলো আমাদের খুব ভালো দিন নয়। দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভেঙে পড়েছে। দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন ধরনের অরাজকতা শুরু হয়েছে বা কেউ কেউ করার চেষ্টা করছে। এ বিষয়ে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।’

শহরের শহীদ টিটু মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম বাদশা। ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে আরও বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় বিএনপির তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক এ কে এম ওয়াহিদুজ্জামান, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এ কে এম মাহবুবর রহমান, হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু, সাবেক সংসদ সদস্য কাজী রফিকুল ইসলাম, গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ, মোশারফ হোসেন, সাইফুল ইসলাম ও আলী আজগর হেনা।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘দেশের লাখ লাখ মানুষ বেকার হয়ে যাচ্ছে। তাদের কর্মসংস্থানের উপায় বের করতে হবে। কৃষকেরা নাজেহাল অবস্থার মধ্যে আছে। তারা তাদের ফসলের ন্যায্যমূল্য পায় না। বাজারব্যবস্থায় দুষ্টচক্র ঢুকে পড়েছে, তাদের থেকে বের হতে হবে। মানুষ যাতে সহজেই ন্যায্যমূল্যে তাদের নিত্যপণ্য সংগ্রহ করতে পারে। এগুলো নিশ্চিত করতে হলে অনেক কাজ করতে হবে।’

প্রায় ২০ মিনিটের বক্তব্যে তারেক রহমান বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ১৯৭৫ সালের পর দেশকে ধ্বংসের কিনারা থেকে উদ্ধার করেছিলেন। একইভাবে বিএনপি চেয়ারপারসনও স্বৈরাচারের কবলে পড়া দেশকে উদ্ধার করে উন্নয়নের দিকে নিয়ে এসেছিলেন। এই দুই নেতার সৈনিকদের সামনে আবার সুযোগ এসেছে দেশটাকে ধ্বংসের কিনারা থেকে গড়ে তোলার।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তারেক রহমানের জন্য নির্ধারিত ফ্লাইটের দুই কেবিন ক্রুকে প্রত্যাহার

‘আমি তো মামলা করি না, ডাইরেক্ট ওয়ারেন্ট করাই’

কুকুর লেলিয়ে পুরুষ ফিলিস্তিনিকে ধর্ষণ—বিবিসির প্রতিবেদনে ইসরায়েলি কারাগারে নির্যাতনের চিত্র

পত্রিকা অফিসে হামলার গোয়েন্দা তথ্য ছিল, আমলে নেওয়া হয়নি: সালাহউদ্দিন

ভালুকায় কারখানার শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

অনুপ্রবেশকারী বিএসএফ সদস্যকে ফেরত দিল বিজিবি

পাটগ্রাম (লালমনিরহাট) প্রতিনিধি
আপডেট : ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০: ১৭
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকারী ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সদস্য বেদ প্রকাশকে ফেরত দিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে ব্যাটালিয়ন পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের পর তাঁকে বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করেছে বিজিবি।

এর আগে আজ ভোর ৫টার দিকে বাংলাদেশের প্রায় ১০০ গজ ভেতরে বেদ প্রকাশ নামের ওই বিএসএফ সদস্যকে আটক করে বিজিবি। পরে তাঁকে দহগ্রাম-আঙ্গরপোতা বিজিবি ক্যাম্পে হেফাজতে রাখা হয়। এ ঘটনায় বিজিবি পতাকা বৈঠকের জন্য বিএসএফকে আহ্বান জানায়।

বিজিবি ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের এক পাশে ডিএএমপি প্রধান পিলার ১ নম্বরের উপপিলার ৭ নম্বরসংলগ্ন লালমনিরহাটের পাটগ্রামের দহগ্রাম ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া এলাকা, অপর পাশে ভারতের কোচবিহার রাজ্যের কচুলিবাড়ী থানার কারেঙ্গাতলী এলাকা। আজ ভোরে ভারতের ১৭৪ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের অর্জুন ক্যাম্পের টহল দলের সদস্য বেদ প্রকাশ ভারতীয় শূন্যরেখা অতিক্রম করে বাংলাদেশের প্রায় ১০০ গজ ভেতরে ডাঙ্গাপাড়া এলাকায় প্রবেশ করেন। এ সময় ৫১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের দহগ্রাম-আঙ্গরপোতা ক্যাম্পের টহল দলের সদস্যরা তাঁকে আটক করে ক্যাম্পে নিয়ে যান। বিএসএফ সদস্যের ব্যবহৃত একটি অস্ত্র (শটগান), দুটি গুলি, একটি ওয়্যারলেস সেট ও একটি অ্যান্ড্রয়েট মোবাইল ফোন জব্দ করে বিজিবি।

এ ঘটনায় বিজিবি ব্যাটালিয়ন বিএসএফ ব্যাটালিয়নকে পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানালে বেলা ২টা ৩০ মিনিটে উভয় দেশের সীমান্তের প্রধান পিলার ৮১২ নম্বর থেকে প্রায় ২৫ গজ ভারতের ভেতরে তিনবিঘা করিডর নামের স্থানে ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক পর্যায়ে পতাকা বৈঠক করা হয়। এতে ভারতের পক্ষে অংশ নেন ১৭৪ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের উপ-অধিনায়ক বিজয় প্রকাশ সুকলা এবং বাংলাদেশের পক্ষে ছিলেন ৫১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল সেলিম আলদীন। বৈঠকে উভয় দেশের বিভিন্ন স্তরের অন্তত ১০ জন করে সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, বিএসএফ সদস্যের বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের ঘটনায় বিএসএফের ১৭৪ ব্যাটালিয়নের উপ-অধিনায়ক দুঃখ প্রকাশ করেন। ভবিষ্যতে এমন ঘটনা আর ঘটবে না বলে আশ্বস্ত করেন তিনি। এ সময় বিজিবির অধিনায়ক বাংলাদেশের কোনো নাগরিক ভারতের সীমান্তে বা ভেতরে প্রবেশ করলে গুলি না করে আটক করে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করার অনুরোধ করেন। এতে বিএসএফের উপ-অধিনায়ক একমত পোষণ করেন এবং গুলি না করার আশ্বাস দেন।

এ ব্যাপারে আঙ্গরপোতা বিজিবি ক্যাম্পের কমান্ডার নায়েব সুবেদার রফিকুজ্জামানের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তিনি কোনো কথা বলতে রাজি হননি।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বিজিবি রংপুর ৫১ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল সেলিম আলদীন বলেন, ‘জিজ্ঞাসাবাদে বিএসএফ সদস্য কনস্টেবল বেদ প্রকাশ বলেছেন, কুয়াশায় গরু পাচারকারীদের পিছু নিয়ে ধাওয়া করতে গিয়ে ভুল করে বাংলাদেশে ঢুকেছেন। এ ঘটনায় বিজিবি-বিএসএফ ব্যাটালিয়ন পর্যায়ে পতাকা বৈঠক করা হয়েছে। বিএসএফের উপ-অধিনায়ক দুঃখ প্রকাশ করে আটক বিএসএফ সদস্যকে ফেরত দেওয়ার অনুরোধ করেন এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা হবে না বলে জানান। আমরা বলেছি, সীমান্তে কোনো বাংলাদেশি নাগরিক গেলে গুলি না করে আটক করে আমাদের নিকট ফেরত দিতে। শীত মৌসুমে উভয় দেশের চোরাকারবারীদের রোধে টহল জোরদার করতে একমত হয়েছি। পরে অস্ত্র-গোলাবারুদসহ বিএসএফ সদস্যকে হস্তান্তর করা হয়।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তারেক রহমানের জন্য নির্ধারিত ফ্লাইটের দুই কেবিন ক্রুকে প্রত্যাহার

‘আমি তো মামলা করি না, ডাইরেক্ট ওয়ারেন্ট করাই’

কুকুর লেলিয়ে পুরুষ ফিলিস্তিনিকে ধর্ষণ—বিবিসির প্রতিবেদনে ইসরায়েলি কারাগারে নির্যাতনের চিত্র

পত্রিকা অফিসে হামলার গোয়েন্দা তথ্য ছিল, আমলে নেওয়া হয়নি: সালাহউদ্দিন

ভালুকায় কারখানার শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

হাদি হত্যা: মোটরসাইকেলের মালিক সন্দেহে গ্রেপ্তার সেই হান্নানের জামিন

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০: ১৮
হাদিকে হত্যায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ও এর মালিক সন্দেহে গ্রেপ্তার আব্দুল হান্নান। ছবি: ফাইল ছবি
হাদিকে হত্যায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ও এর মালিক সন্দেহে গ্রেপ্তার আব্দুল হান্নান। ছবি: ফাইল ছবি

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যার ঘটনায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক সন্দেহে গ্রেপ্তার মো. আব্দুল হান্নানকে জামিন দেওয়া হয়েছে। আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. হাসান শাহাদাত তাঁকে জামিন দেন।

ডিএমপির প্রসিকিউশন বিভাগের ডিসি মিয়া মোহাম্মদ আশিস বিন হাছান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

১২ ডিসেম্বর হাদিকে গুলি করার পর ১৩ ডিসেম্বর মোটরসাইকেলের মালিক সন্দেহে আব্দুল হান্নানকে আটক করে র‍্যাব-২। পরবর্তী তাঁকে পল্টন মডেল থানায় সোপর্দ করা হয়। ১৪ ডিসেম্বর তাঁকে ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তিন দিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়। তিন দিনের ডিমান্ড শেষে ১৭ ডিসেম্বর তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।

আব্দুল হান্নানের আইনজীবী তখন আদালতের কাছে নিবেদন করেন যে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ওই মোটরসাইকেলের মালিক আব্দুল হান্নান নন। আদালত তদন্ত কর্মকর্তার কাছে তখন প্রতিবেদন চান।

তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পরিদর্শক ফয়সাল আহমেদ প্রতিবেদন দাখিল করে জানান, রিমান্ডকালে আব্দুল হান্নানকে শোরুম মালিকের মুখোমুখি করা হয় এবং বিআরটিএ থেকে তাঁর নামে নিবন্ধিত দুটি মোটরসাইকেলের তথ্য পাওয়া যায়। এর মধ্যে একটি সুজুকি জিক্সার ও অন্যটি ইয়ামাহা। তবে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি হোন্ডা হর্নেট মডেলের। হান্নানের মোটরসাইকেলের নম্বর ঢাকা মেট্রো-ল ৫৪-৬৩৭৫, যা সুজুকি জিক্সার। হত্যায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের নম্বরের সঙ্গে এক অঙ্কের অমিল রয়েছে। ওই মোটরসাইকেলের শেষ সংখ্যা ৬, আর হান্নানের মোটরসাইকেলের শেষ সংখ্যা ৫ শনাক্ত হয়েছে। অর্থাৎ হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত মোটরসাইকেল আব্দুল হান্নানের নয়।

উল্লেখ্য, ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর পুরানা পল্টনে নির্বাচনী প্রচারণার সময় গুলিবিদ্ধ হন ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদি। প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের পর বসুন্ধরার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয় তাঁকে। অবস্থার অবনতি হলে ১৫ ডিসেম্বর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার মারা যান তিনি। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় তাঁর মরদেহ বাংলাদেশে আসে। সেদিন হাদির মরদেহ জাতীয় হৃদ্‌রোগ ইনস্টিটিউটের হিমঘরে রাখা হয়। গতকাল জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় জানাজার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মসজিদসংলগ্ন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধির পাশে তাঁকে দাফন করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তারেক রহমানের জন্য নির্ধারিত ফ্লাইটের দুই কেবিন ক্রুকে প্রত্যাহার

‘আমি তো মামলা করি না, ডাইরেক্ট ওয়ারেন্ট করাই’

কুকুর লেলিয়ে পুরুষ ফিলিস্তিনিকে ধর্ষণ—বিবিসির প্রতিবেদনে ইসরায়েলি কারাগারে নির্যাতনের চিত্র

পত্রিকা অফিসে হামলার গোয়েন্দা তথ্য ছিল, আমলে নেওয়া হয়নি: সালাহউদ্দিন

ভালুকায় কারখানার শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বরিশাল বিমানবন্দর ওসমান হাদির নামে নামকরণের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ। ছবি: আজকের পত্রিকা

বরিশাল বিমানবন্দরের নাম ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান হাদির নামে নামকরণের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা।

আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে বরিশাল–ঢাকা মহাসড়কের বাবুগঞ্জ উপজেলার রহমতপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

ঘণ্টাব্যাপী মহাসড়ক অবরোধ করে রাখায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে যাত্রী ও সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েন।

এ কর্মসূচিতে আরও দাবি জানানো হয়, শহীদ শরিফ ওসমান হাদির হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।

বরিশাল জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি মো. সবুজ আকনের নেতৃত্বে আয়োজিত বিক্ষোভ-মিছিল ও সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বরিশাল জেলা ছাত্রদলের সহসাংগঠনিক সম্পাদক মো. সাব্বির রহমান, যুবদল নেতা মো. জাকারিয়া সেতুসহ বিভিন্ন ছাত্র ও যুবসংগঠনের নেতা-কর্মীরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তারেক রহমানের জন্য নির্ধারিত ফ্লাইটের দুই কেবিন ক্রুকে প্রত্যাহার

‘আমি তো মামলা করি না, ডাইরেক্ট ওয়ারেন্ট করাই’

কুকুর লেলিয়ে পুরুষ ফিলিস্তিনিকে ধর্ষণ—বিবিসির প্রতিবেদনে ইসরায়েলি কারাগারে নির্যাতনের চিত্র

পত্রিকা অফিসে হামলার গোয়েন্দা তথ্য ছিল, আমলে নেওয়া হয়নি: সালাহউদ্দিন

ভালুকায় কারখানার শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত