সাভারের আশুলিয়ায় একটি কাভার্ডভ্যানে অভিযান চালিয়ে লবণের আড়ালে লুকিয়ে রাখা ৬০ কেজি গাঁজা জব্দ করেছে র্যাব। সেই সঙ্গে দুই মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করে আশুলিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। আজ রোববার আজকের পত্রিকাকে এসব তথ্য জানিয়েছেন র্যাব ৪ সিপিসি ২ এর কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার রাকিব মাহমুদ খাঁন। এর আগে রোববার ভোর ৫টার দিকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—কাভার্ডভ্যানের চালক ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভাদুঘর গ্রামের মো. জুয়েল মিয়া (৩৫) ও কাউতলী গ্রামের মো. আওলাদ মিয়া (২৭)।
কাভার্ডভ্যানে লবণ শুধুই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দেওয়ার জন্য ব্যবহার করা হতো বলে র্যাবকে জানিয়েছেন গ্রেপ্তারকৃতরা। তাঁরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে গাঁজা এনে গাজীপুরে সরবরাহ করতে চেয়েছিলেন।
র্যাব বলছে, আশুলিয়ার বাইপাইল-আব্দুল্লাহপুর মহাসড়কের জামগড়ায় টহল দেওয়ার সময় কাভার্ডভ্যানটিকে থামার জন্য ইশারা দিলে ভ্যান থামিয়ে পালানোর চেষ্টা করে দুই আসামি। পরে তাদের আটক করা হলে তাঁরা স্বীকার করে যে গাড়িতে গাঁজা আছে। পরে তাদের কাছ থেকে স্কচটেপ দিয়ে প্যাঁচানো একাধিক বান্ডিলে ৬০ কেজি গাঁজা ও কাভার্ড ভ্যানটি জব্দ করা হয়। জব্দকৃত মাদকের আনুমানিক বাজার মূল্য ১৫ লাখ টাকা।
র্যাব ৪ এর কোম্পানি কমান্ডার রাকিব মাহমুদ খাঁন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তাদের গাড়িতে লবণ ছিল শুধুমাত্র লোক দেখানোর জন্য। মূলত তাঁরা মাদক কারবারি। কাভার্ডভ্যানে করেই মাদক সরবরাহ করে তাঁরা। আশুলিয়া থানায় হস্তান্তর করে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।’
এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আওয়াল হোসেন রানা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গাড়িতে লবণের আড়ালে গাঁজার চালান নিয়ে এসেছিল তাঁরা। ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে গাঁজা এনে গাজীপুরে সরবরাহ করার কথা ছিল তাঁদের। কিন্তু গাজীপুরে নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে খুঁজে না পেয়ে ফিরে যাচ্ছিল তাঁরা। পরে জামগড়া এলাকায় র্যাবের হাতে ধরা পড়ে। তাদের আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।’
মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে