রাজশাহীর দুর্গাপুরে দুই দফা মেয়াদ বাড়ালেও সরকারি খাদ্যগুদামে ধান-চাল সংগ্রহের পরিমাণ শূন্য। বাজারে দাম বেশি পাওয়ায় সরকারি খাদ্যগুদামে ধান দেননি বলে জানিয়েছেন কৃষকেরা। ফলে পরপর দুই দফা মেয়াদ বাড়ায় সরকার। তারপরও ধান দিতে অনাগ্রহ দেখান কৃষকেরা।
উপজেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রক কার্যালয় জানায়, ২০২২ সালে ১৭ নভেম্বর থেকে সরকারিভাবে ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়। চলে ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এতেও সংগ্রহ হয়নি ধান। পরে মেয়াদ বাড়িয়ে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত করা হয়। কিন্তু দীর্ঘ চার মাস পার হলেও সরকারি গুদামে ধান সরবরাহের কোনো সাড়া মেলেনি।
এর কারণ হিসেবে উপজেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রক কার্যালয় জানায়, পাইকারি বাজারে দাম বেশি হওয়ায় কৃষকেরা ধান বাইরে বিক্রি করছেন। এ উপজেলায় আটটি মিল রয়েছে, এর মধ্যে ধান ও চাল দিতে পারবে তিনটি মিলের মালিকেরা।
উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (গুদাম) মইনুল ইসলাম বলেন, চলতি মৌসুমে সরকারি খাদ্যগুদামে ধান প্রতি কেজি ২৮ টাকা এবং চাল ৪২ টাকা দরে ৩১২ টন ধান ও ৯৭ টন চাল কেনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু মেয়াদ বাড়িয়েও ধান সংগ্রহ করা যায়নি। তবে ৯৭ টন চালের লক্ষ্যমাত্রায় সংগ্রহ ৮০ টন।
দুর্গাপুর পৌর এলাকার দেবীপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল আলীম বলেন, সরকারি নির্ধারিত দামের চেয়ে বাজারে ধানের দাম বেশি। বাজারে এখন মোটা ধান প্রতি কেজি ৩৪ টাকা, মোটা চাল প্রতি কেজি ৫২ টাকা এবং চিকন চাল ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এ বিষয়ে উপজেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা মোহাম্মাদ আলী বলেন, কিছুটা চাল সংগ্রহ হয়েছে। বর্তমানে বাজারে ধানের দাম বেশি হওয়ায় কৃষকেরা গুদামে ধান দিতে অনাগ্রহ দেখাচ্ছেন। এ কারণে ধান সংগ্রহ হয়নি।
মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে