পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার বেড়েরধন নদে একটি বালুবাহী জাহাজের কেবিন থেকে এক যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) সকালে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ।
ওই যুবকের নাম মো. শাকিল আকন (২০)। তিনি বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার পাদ্রীশিবপুর গ্রামের বাসিন্দা মো. তোফাজ্জেল হোসেনের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শাকিল ‘মেসার্স নাঈম প্লাস’ নামে একটি বালুবাগী জাহাজে বাবুর্চির কাজ করতেন। একই জাহাজে তাঁর খালাতো ভগ্নিপতি মো. সোহাগ সিকদারও সুকানি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। সোমবার (১৩ মার্চ) রাত ৯টার দিকে ভগ্নিপতি সোহাগ সিকদার সুবিদখালী ঘাটে আল-আমিন ট্রেডার্সের অফিস কক্ষে হিসাব-নিকাশ করছিলেন। হিসাব নিকাশ শেষে রাত ১১টার দিকে সোহাগ সিকদার জাহাজে ফিরে জাহাজের কেবিনের ভেতর শাকিলকে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলে থাকতে পান। পরে আশপাশের লোকজনকে খবর দেন। এরপর রাত ১২টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় শাকিলের মরদেহ উদ্ধার করে।
শাকিলের ভগ্নিপতি মো. সোহাগ সিকদার বলেন, ‘আমি সুবিদখালী ঘাটে আল-আমিন ট্রেডার্স এ হিসাব নিকাশের কাজ করছিলাম তখন শাকিল আমার কাছ থেকে চা খাওয়ার কথা বলে ১০ টাকা নিয়ে জাহাজে চলে আসে। আমি কিছুক্ষণ পর জাহাজে ফিরে তাকে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেই। কেন শাকিল আত্মহত্যা করেছে তা আমি বলতে পারব না।’
মির্জাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘প্রেম ঘটিত কোনো ঘটনায় শাকিল আত্মহত্যা করতে পারে। জাহাজে অন্যান্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে আত্মহত্যার আগে ছেলেটি নাকি মোবাইলে কোনো মেয়ের সঙ্গে কথা বলছিল। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি।’
মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে