ইশতিয়াক হাসান

দার্জিলিং সব সময় বাংলাদেশের মানুষের প্রিয় ভ্রমণ গন্তব্যের একটি। সহজে ও কম খরচে যাতায়াতের পাশাপাশি বই, সিনেমার কল্যাণে দার্জিলিংয়ের প্রতি অন্যরকম এক টান আমাদের। আমার যেমন দার্জিলিংয়ের প্রতি ভালোবাসা ও দার্জিলিংকে চেনা শুরু সত্যজিৎ রায়ের ফেলুদা সিরিজের ‘দার্জিলিং জমজমাট’ বইটি দিয়ে। তারপর অঞ্জন দত্তের গানেসহ আরও কত ভাবে যে পেলাম দার্জিলিং আর কাঞ্চনজঙ্ঘাকে। তাই ২০১৭-তে প্রথমবার ভারত সফরে ওটি, শিমলা, মসুরির মতো লোভনীয় হিল স্টেশনগুলোকে বাদ দিয়ে দার্জিলিংকেই বেছে নেই। আজ পাঠকদের পরিচয় করিয়ে দেব দার্জিলিংয়ের জনপ্রিয় কিছু ভ্রমণগন্তব্যের সঙ্গে।
টাইগার হিল
টাইগার হিল থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখার রোমাঞ্চই আলাদা। শহর থেকে টাইগার হিলের দূরত্ব এগারো-বারো কিলোমিটার। সাগর সমতল থেকে উচ্চতা ২৫৯০ মিটার। কাঞ্চনজঙ্ঘার দর্শন পেতে অন্ধকার থাকতে থাকতে বেরিয়ে পড়তে হবে আপনাকে। আমরাও তাই করেছিলাম। গাড়িতে মিনিট চল্লিশেক লাগবে পাহাড়ি রাস্তায় পাহাড়চূড়ার কাছাকাছি পৌঁছাতে। গাড়ি থেকে নেমে কিছুটা পথ হেঁটে যেতে হবে।
ভিড়-বাট্টায় ভালো একটা জায়গা পাওয়াটা মুশকিল হবে। আমরা যখন গিয়েছিলাম শুরুতে মেঘের ছিটেফোঁটা না থাকলেও আকাশ ফরসা হতে শুরু করার আগেই চারপাশে বিশেষ করে ডানে উঁচু সব মেঘের পাহাড় সত্যিকারের পাহাড়দের ঢেকে দিতে লাগল। কতক্ষণ পর বলতে পারব না, হঠাৎ একজনের চিৎকারে চোখ গেল সোজাসুজি সামনে। মেঘের ফাঁক গলে দিগন্তে দেখা যাচ্ছে উঁচু এক পর্বত, মাথার শ্বেতশুভ্র টুপি, সূর্যের কাঁচা রোদে সোনা রং ধারণ করেছে। কাঞ্চনজঙ্ঘা। মিনিট পনেরো অপলক চোখে দেখলাম তার রূপ। তবে অদ্ভুত সুন্দর পাহাড়টি তার একটা পাশের অবগুণ্ঠনই কেবল মেলে আমাদের সামনে। তবে ভাগ্য যাদের ভালো তাঁরা টাইগার হিল থেকে আরও চমৎকারভাবে উপভোগ করতে পারবেন কাঞ্চনজঙ্ঘার রূপ।
একটি তথ্য দিয়ে রাখছি, ১৮৫২ সাল পর্যন্ত ধারণা করা হতো এটিই পৃথিবীর উচ্চতম চূড়া। পরে নিশ্চিত হয় ৮৫৮৬ মিটার উঁচু কাঞ্চনজঙ্ঘার অবস্থান তিনে।
দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে
দার্জিলিংয়ে ঘুরতে যাওয়া পর্যটকদের কাছে বড় আকর্ষণ দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে। এতে চলা ট্রেনগুলো অবশ্য টয় ট্রেন নামেই পরিচিত। দার্জিলিং থেকে নিউ জলপাইগুড়ি পর্যন্ত চলে যাওয়া দুই ফুট চওড়া ন্যারো গেজ লাইন এটি। ১৮৭৯ থেকে ১৮৮১ সালের মধ্যে তৈরি হয় এটি। ১৯৯৯ সালে দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়েকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট ঘোষণা করে ইউনেসকো। নিউ জলপাইগুড়ি থেকে টয় ট্রেনে দার্জিলিং ভ্রমণের সময় দুই পাশের পাহাড়, জঙ্গলের অসাধারণ দৃশ্য উপভোগের সুযোগ মিলবে। আবার দার্জিলিং রেলওয়ে স্টেশন থেকে ঘুম পর্যন্ত টয় ট্রেন ভ্রমণের সুযোগও আছে পর্যটকদের জন্য।
ম্যাল রোড
দার্জিলিংয়ের বড় আকর্ষণ বলতে পারেন ম্যাল বা ম্যাল রোডকে। সূর্যাস্তের ঠিক আগে ম্যালের দিকে রওনা দিয়েছিলাম। যারা জানেন না তাদের বলছি খোলামেলা একটা চত্বরমতো জায়গা এই ম্যাল। বলতে পারেন দার্জিলিংয়ের প্রতীকে পরিণত হয়েছে এটি। গন্তব্যে পৌঁছানোর ঠিক আগেই হয়তো পথের ঢালে দেখা পেয়ে যাবেন হাসি-খুশি এক নারীর, দুটো আলাদা হট পটে ভেজিটেবল ও চিকেন মেমো বিক্রি করছেন গরম গরম। দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে আচ্ছাসে মেমো খাবেন, আর তারিফ করবেন ভারি সুস্বাদু মোমোর। মানে আমরা তাঁর দেখা পেয়েছিলাম, মোমোও খেয়েছিলাম।
বইয়ে ম্যালের বর্ণনা পড়েছি বহুবার, সিনেমায় দেখেছিও। সেবার চর্মচক্ষে দেখলাম, চারটা পথ এসে এক হয়েছে এখানে। আসলে ম্যাল হলে চৌরাস্তা। একপাশে কিওরিও, রেস্ট্যুরেন্ট, চা পাতার বনেদি সব দোকান। বসার ব্যবস্থা আছে চত্বরের এক পাশে। ম্যাল থেকেও ভোরে অনেক সময়ই কাঞ্চনজঙ্ঘার দেখা মেলে।
পদ্মজা নাইডু জুওলজিক্যাল ন্যাশনাল পার্কে
ভারতের উচ্চতম চিড়িয়াখানাটি সাগর সমতল থেকে গড়ে ৭০০০ ফুট উঁচুতে অবস্থিত। সার্কভক্ত দেশগুলোর পর্যটকদের জন্য টিকিটে ছাড় আছে। ভেতরে ঢুকে গোর্খাদের ঐতিহ্যবাহী পোশাকে ছবি তুলতে পারেন।
বড় বড় বেষ্টনীর মধ্যে রাখা বুনো জন্তুগুলো। হিমালয়ের উঁচু এলাকায় বাস করা নানান দুর্লভ প্রাণীদের সংরক্ষণ করা হয়েছে। তুষার চিতা, তিব্বতি নেকড়ে, লাল পান্ডা দেখছিলাম প্রথমবারের মতো মুগ্ধ বিস্ময়ে। এখানে নাকি তুষার চিতার সফল ব্রিডিংও হয়েছে। জঙ্গলে কালো চিতা দেখার সাধ অনেক দিনের, এখানে বন্দী অবস্থায় দেখার সুযোগ মিলে। এই চিড়িয়াখানার ভেতরের পথ ধরেই চলে যাই হিমালয়ান মাউন্টেরিয়ান ইন্সটিটিউটে।
হিমালয়ান মাউন্টেরিয়ান ইনস্টিটিউট
হিমালয়ান মাউন্টেরিয়ান ইনস্টিটিউটকে (এইচএমআই) বলা হয় দুনিয়ার পর্বতারোহীদের তীর্থস্থান। আমরা যখন গিয়েছিলাম সংস্কার কাজ চলছে দালানগুলোর। ওখানকার রেস্তোঁরাটি মশহুর। হালকা নাশতা সারতে পারেন চত্বরে বসে চারপাশের দৃশ্য দেখতে দেখতে।
জাদুঘরটিতে পর্বতারোহণের কাজে ব্যবহার করা নানা ধরনের সামগ্রী প্রদর্শন করা হয়। পর্বতারোহীদের নানান স্মারকও সাজানো আছে এখানে। এখানে পর্বতারোহণ নিয়ে প্রশিক্ষণ নিতে চায় এমন শিক্ষার্থীদের জন্য বোর্ডিং স্কুলের ব্যবস্থাও আছে। এইচএমআইয়ে ফিল্ড ট্রেইনিং বিভাগের প্রথম পরিচালক ছিলেন তেনজিং নোরগে।
তেনজিং রক
হ্যাপি ভ্যালি টি স্টেট যাওয়ার পথে ছোট্ট একটা যাত্রা বিরতি নেবেন। ওখানে দুই পাশে দুটো বিশাল পাথর। বামের পাথরটি তেনজিং নোরগের নামে তেনজিং রক। আর পাহাড়ের গায়ে ডানেরটা গমবু রক। তেনজিংয়ের ভাতিজা নাওয়াং গমবুর নামে এর নাম, প্রথম ব্যক্তি হিসাবে দু-বার এভারেস্টের চূড়ায় ওঠেন গমবু। এই অতিকায় পাথরদুটোতে চড়ে প্রশিক্ষণ চলে হিমালয়ান মাউন্টেরিয়ান ইনস্টিটিউটের পর্বতারোহীদের।
হ্যাপি ভ্যালি টি স্টেট
হ্যাপি ভ্যালি টি স্টেট, প্রতিষ্ঠা করেন ব্রিটিশ প্ল্যান্টাররা। ৪৩৭ একরের চা বাগানটি সাগর সমতল থেকে ২ হাজার ১০০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত। সিলেট, চট্টগ্রামে চা বাগান দেখেছি বিস্তর, তবে এর বিশেষত্ব উচ্চতায়, পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু চা বাগানগুলোর একটি এটি। এখানে প্রায় এক শ বছরের পুরোনো কিছু চা ঝাড় আছে। বাংলাদেশের বেশির ভাগ চা বাগানেই এখন আর চিতা বাঘদের দেখা না গেলেও এই বাগানে হঠাৎ হঠাৎ হাজির হয় অদ্ভুত সুন্দর এই প্রাণীটি, অবশ্য ভারতের অনেক বাগানের বেলাতেই কথাটা খাটে।
বাতাসিয়া লুপ
বেশ অনেকটা ঢাল বেয়ে নেমে বিখ্যাত টয় ট্রেন চক্রাকার একটি পথে ঘুরে বলে এই নাম। একটা সুড়ঙ্গ পথও পেরোতে হয় এখানে ট্রেনকে। তাই এই জায়গা থেকে ট্রেনের কুউউ ঝিক ঝিক শব্দে চলা দেখা ভারি আনন্দময় অভিজ্ঞতা। তেমনি গোটা জায়গাটির সবুজ লন, নানান ধরনের গাছগাছালি মিলিয়ে বাগানের মতো। বাগানটির আকার ৫০ হাজার বর্গফুট। উঁচু থেকে চারপাশের পাহাড়সারির দৃশ্য আর গোটা দার্জিলিং দেখে মুগ্ধ হবেন। এখান থেকেও নাকি কাঞ্চনজঙ্ঘাসহ হিমালয়ের চূড়াগুলোর ঠাহর পাওয়া যায় কখনো-সখনো। গোর্খা সেনাদের সম্মান জানিয়ে বানানো ওয়ার মেমোরিয়ালটাও দেখবেন ঘুরে ঘুরে।
দার্জিলিং রোপওয়ে
দার্জিলিংয়ে ঘুরতে যাওয়া পর্যটকদের জন্য বড় আকর্ষণ রোপওয়ের বা ক্যাবল কার। আমরা যখন গিয়েছিলাম তখন অবশ্য এটি সাময়িকভাবে বন্ধ ছিল। এতে চড়ে রঙ্গিত নদী ও রঙ্গিত উপত্যকার অসাধারণ দৃশ্য উপভোগের সুযোগ মেলে। মোটামুটি ৪৫ মিনিট ভ্রমণের সময় চা বাগান ও আশপাশের জঙ্গলও নজর কাড়বে।
ঘুম মনাস্ট্রি
বাতাসিয়া লুপের ধারেই ঘুম মনাস্ট্রি। এটিই দার্জিলিংয়ের প্রথম তিব্বতি গুম্ফা বা বৌদ্ধ মন্দির। ১৮৭৫ সালের দিকে তৈরি করা হয় ঘুম মনাস্ট্রি। আমরা এখানে বুদ্ধ মূর্তি দেখি, গোটা গুম্ফা ঘুরে দেখি। বের হয়ে কয়েকটা খুদে প্রেয়ার হুইল আর কিওরিও কিনেছিলাম সামনে বসা এক নারী দোকানদারের কাছ থেকে।
রক গার্ডেন
শহর থেকে রক গার্ডেনের দূরত্ব দশ কিলোমিটার। একজন নেপালি চালককে ঠিক করেছিলাম আমরা। ঘুমে পৌঁছার আগেই ডানে ঢালু এক পথ ধরে নামতে শুরু করে গাড়ি। পথ ভয়ানক খাড়া, আর একটু পর পর সে কী বাঁক। এক দিকে পাহাড়ের গায়ে গাছপালা, আরেক দিকে খাদ। মাঝে মাঝে পাথরের স্ল্যাব বসানো হয়েছে রাস্তার কিনারে। কোনো ভাবে ভারসাম্য হারালে এই স্ল্যাব আটকানোর জন্য মোটেই যথেষ্ট নয়। তবে পাহাড়ের গায়ে চা বাগান, গাছপালা দেখতে দেখতে চড়াই-ওতরাই উপভোগই করবেন।
পাকদণ্ডী এই পথ শেষে যখন রক গার্ডেনে পৌঁছাবেন তখন খুশি হয়ে উঠবেন। বড় একটা জায়গা নিয়ে পাহাড়ের মধ্যে একটা বাগানের মতো। এখানে সেখানে হাতি, বানরসহ নানা প্রাণীর মূর্তি, বসার ব্যবস্থা। রেলিং দেওয়া আঁকাবাঁকা পথ ধরে এগিয়ে যেতে হয়। রক গার্ডেনের সেরা আকর্ষণ চুন্নু নামের আশ্চর্য সুন্দর এক জলপ্রপাত। প্রাকৃতিক জলপ্রপাতটিকে নিয়ন্ত্রণ করে পাথরের মাঝখান দিয়ে ধাপে ধাপে প্রবাহিত করা হয়েছে।
গঙ্গামায়া পার্ক
রক গার্ডেন থেকে গঙ্গামায়া যাওয়ার পথটা ঢালু, এবড়োখেবড়ো, তবে সুন্দর। স্থানীয়দের কয়েকটা বসতি পড়বে। সুন্দর সুন্দর বাড়ি, ক্যাফে, হোম স্টেগুলো নজর কাড়বে। এক সময় পৌঁছাবেন গাছপালা ঘেরা একটা জায়গায়। পার্কের বাম পাশে পাথরের বুকে তর তর করে বয়ে চলেছে, মিষ্টি একটা জলের ধারা। সুন্দর সুন্দর ফুল ফুটে থাকতে দেখবেন। নানা জাতের পাখির কল-কাকলিতে মুখর থাকে জায়গাটি।
অবজারভেটরি হিল
দার্জিলিংয়ের একটি বিখ্যাত ভিউ পয়েন্ট ও পর্যটকদের পছন্দের জায়গা অবজারভেটরি হিল। এখান থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘার দেখা মেলে। সত্যজিৎ রায়ের ফেলুদার বইয়ে অবজারভেটরি হিল থেকেও কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখার বর্ণনা দেওয়া হয়েছিল, ওখান থেকেও সূর্যোদয়টা দেখতে পারেন!
সূত্র: ট্রান্স ইন্ডিয়া ট্রাভেল ডট কম, নোমাডিক উইকএন্ডস ডট কম

দার্জিলিং সব সময় বাংলাদেশের মানুষের প্রিয় ভ্রমণ গন্তব্যের একটি। সহজে ও কম খরচে যাতায়াতের পাশাপাশি বই, সিনেমার কল্যাণে দার্জিলিংয়ের প্রতি অন্যরকম এক টান আমাদের। আমার যেমন দার্জিলিংয়ের প্রতি ভালোবাসা ও দার্জিলিংকে চেনা শুরু সত্যজিৎ রায়ের ফেলুদা সিরিজের ‘দার্জিলিং জমজমাট’ বইটি দিয়ে। তারপর অঞ্জন দত্তের গানেসহ আরও কত ভাবে যে পেলাম দার্জিলিং আর কাঞ্চনজঙ্ঘাকে। তাই ২০১৭-তে প্রথমবার ভারত সফরে ওটি, শিমলা, মসুরির মতো লোভনীয় হিল স্টেশনগুলোকে বাদ দিয়ে দার্জিলিংকেই বেছে নেই। আজ পাঠকদের পরিচয় করিয়ে দেব দার্জিলিংয়ের জনপ্রিয় কিছু ভ্রমণগন্তব্যের সঙ্গে।
টাইগার হিল
টাইগার হিল থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখার রোমাঞ্চই আলাদা। শহর থেকে টাইগার হিলের দূরত্ব এগারো-বারো কিলোমিটার। সাগর সমতল থেকে উচ্চতা ২৫৯০ মিটার। কাঞ্চনজঙ্ঘার দর্শন পেতে অন্ধকার থাকতে থাকতে বেরিয়ে পড়তে হবে আপনাকে। আমরাও তাই করেছিলাম। গাড়িতে মিনিট চল্লিশেক লাগবে পাহাড়ি রাস্তায় পাহাড়চূড়ার কাছাকাছি পৌঁছাতে। গাড়ি থেকে নেমে কিছুটা পথ হেঁটে যেতে হবে।
ভিড়-বাট্টায় ভালো একটা জায়গা পাওয়াটা মুশকিল হবে। আমরা যখন গিয়েছিলাম শুরুতে মেঘের ছিটেফোঁটা না থাকলেও আকাশ ফরসা হতে শুরু করার আগেই চারপাশে বিশেষ করে ডানে উঁচু সব মেঘের পাহাড় সত্যিকারের পাহাড়দের ঢেকে দিতে লাগল। কতক্ষণ পর বলতে পারব না, হঠাৎ একজনের চিৎকারে চোখ গেল সোজাসুজি সামনে। মেঘের ফাঁক গলে দিগন্তে দেখা যাচ্ছে উঁচু এক পর্বত, মাথার শ্বেতশুভ্র টুপি, সূর্যের কাঁচা রোদে সোনা রং ধারণ করেছে। কাঞ্চনজঙ্ঘা। মিনিট পনেরো অপলক চোখে দেখলাম তার রূপ। তবে অদ্ভুত সুন্দর পাহাড়টি তার একটা পাশের অবগুণ্ঠনই কেবল মেলে আমাদের সামনে। তবে ভাগ্য যাদের ভালো তাঁরা টাইগার হিল থেকে আরও চমৎকারভাবে উপভোগ করতে পারবেন কাঞ্চনজঙ্ঘার রূপ।
একটি তথ্য দিয়ে রাখছি, ১৮৫২ সাল পর্যন্ত ধারণা করা হতো এটিই পৃথিবীর উচ্চতম চূড়া। পরে নিশ্চিত হয় ৮৫৮৬ মিটার উঁচু কাঞ্চনজঙ্ঘার অবস্থান তিনে।
দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে
দার্জিলিংয়ে ঘুরতে যাওয়া পর্যটকদের কাছে বড় আকর্ষণ দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে। এতে চলা ট্রেনগুলো অবশ্য টয় ট্রেন নামেই পরিচিত। দার্জিলিং থেকে নিউ জলপাইগুড়ি পর্যন্ত চলে যাওয়া দুই ফুট চওড়া ন্যারো গেজ লাইন এটি। ১৮৭৯ থেকে ১৮৮১ সালের মধ্যে তৈরি হয় এটি। ১৯৯৯ সালে দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়েকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট ঘোষণা করে ইউনেসকো। নিউ জলপাইগুড়ি থেকে টয় ট্রেনে দার্জিলিং ভ্রমণের সময় দুই পাশের পাহাড়, জঙ্গলের অসাধারণ দৃশ্য উপভোগের সুযোগ মিলবে। আবার দার্জিলিং রেলওয়ে স্টেশন থেকে ঘুম পর্যন্ত টয় ট্রেন ভ্রমণের সুযোগও আছে পর্যটকদের জন্য।
ম্যাল রোড
দার্জিলিংয়ের বড় আকর্ষণ বলতে পারেন ম্যাল বা ম্যাল রোডকে। সূর্যাস্তের ঠিক আগে ম্যালের দিকে রওনা দিয়েছিলাম। যারা জানেন না তাদের বলছি খোলামেলা একটা চত্বরমতো জায়গা এই ম্যাল। বলতে পারেন দার্জিলিংয়ের প্রতীকে পরিণত হয়েছে এটি। গন্তব্যে পৌঁছানোর ঠিক আগেই হয়তো পথের ঢালে দেখা পেয়ে যাবেন হাসি-খুশি এক নারীর, দুটো আলাদা হট পটে ভেজিটেবল ও চিকেন মেমো বিক্রি করছেন গরম গরম। দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে আচ্ছাসে মেমো খাবেন, আর তারিফ করবেন ভারি সুস্বাদু মোমোর। মানে আমরা তাঁর দেখা পেয়েছিলাম, মোমোও খেয়েছিলাম।
বইয়ে ম্যালের বর্ণনা পড়েছি বহুবার, সিনেমায় দেখেছিও। সেবার চর্মচক্ষে দেখলাম, চারটা পথ এসে এক হয়েছে এখানে। আসলে ম্যাল হলে চৌরাস্তা। একপাশে কিওরিও, রেস্ট্যুরেন্ট, চা পাতার বনেদি সব দোকান। বসার ব্যবস্থা আছে চত্বরের এক পাশে। ম্যাল থেকেও ভোরে অনেক সময়ই কাঞ্চনজঙ্ঘার দেখা মেলে।
পদ্মজা নাইডু জুওলজিক্যাল ন্যাশনাল পার্কে
ভারতের উচ্চতম চিড়িয়াখানাটি সাগর সমতল থেকে গড়ে ৭০০০ ফুট উঁচুতে অবস্থিত। সার্কভক্ত দেশগুলোর পর্যটকদের জন্য টিকিটে ছাড় আছে। ভেতরে ঢুকে গোর্খাদের ঐতিহ্যবাহী পোশাকে ছবি তুলতে পারেন।
বড় বড় বেষ্টনীর মধ্যে রাখা বুনো জন্তুগুলো। হিমালয়ের উঁচু এলাকায় বাস করা নানান দুর্লভ প্রাণীদের সংরক্ষণ করা হয়েছে। তুষার চিতা, তিব্বতি নেকড়ে, লাল পান্ডা দেখছিলাম প্রথমবারের মতো মুগ্ধ বিস্ময়ে। এখানে নাকি তুষার চিতার সফল ব্রিডিংও হয়েছে। জঙ্গলে কালো চিতা দেখার সাধ অনেক দিনের, এখানে বন্দী অবস্থায় দেখার সুযোগ মিলে। এই চিড়িয়াখানার ভেতরের পথ ধরেই চলে যাই হিমালয়ান মাউন্টেরিয়ান ইন্সটিটিউটে।
হিমালয়ান মাউন্টেরিয়ান ইনস্টিটিউট
হিমালয়ান মাউন্টেরিয়ান ইনস্টিটিউটকে (এইচএমআই) বলা হয় দুনিয়ার পর্বতারোহীদের তীর্থস্থান। আমরা যখন গিয়েছিলাম সংস্কার কাজ চলছে দালানগুলোর। ওখানকার রেস্তোঁরাটি মশহুর। হালকা নাশতা সারতে পারেন চত্বরে বসে চারপাশের দৃশ্য দেখতে দেখতে।
জাদুঘরটিতে পর্বতারোহণের কাজে ব্যবহার করা নানা ধরনের সামগ্রী প্রদর্শন করা হয়। পর্বতারোহীদের নানান স্মারকও সাজানো আছে এখানে। এখানে পর্বতারোহণ নিয়ে প্রশিক্ষণ নিতে চায় এমন শিক্ষার্থীদের জন্য বোর্ডিং স্কুলের ব্যবস্থাও আছে। এইচএমআইয়ে ফিল্ড ট্রেইনিং বিভাগের প্রথম পরিচালক ছিলেন তেনজিং নোরগে।
তেনজিং রক
হ্যাপি ভ্যালি টি স্টেট যাওয়ার পথে ছোট্ট একটা যাত্রা বিরতি নেবেন। ওখানে দুই পাশে দুটো বিশাল পাথর। বামের পাথরটি তেনজিং নোরগের নামে তেনজিং রক। আর পাহাড়ের গায়ে ডানেরটা গমবু রক। তেনজিংয়ের ভাতিজা নাওয়াং গমবুর নামে এর নাম, প্রথম ব্যক্তি হিসাবে দু-বার এভারেস্টের চূড়ায় ওঠেন গমবু। এই অতিকায় পাথরদুটোতে চড়ে প্রশিক্ষণ চলে হিমালয়ান মাউন্টেরিয়ান ইনস্টিটিউটের পর্বতারোহীদের।
হ্যাপি ভ্যালি টি স্টেট
হ্যাপি ভ্যালি টি স্টেট, প্রতিষ্ঠা করেন ব্রিটিশ প্ল্যান্টাররা। ৪৩৭ একরের চা বাগানটি সাগর সমতল থেকে ২ হাজার ১০০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত। সিলেট, চট্টগ্রামে চা বাগান দেখেছি বিস্তর, তবে এর বিশেষত্ব উচ্চতায়, পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু চা বাগানগুলোর একটি এটি। এখানে প্রায় এক শ বছরের পুরোনো কিছু চা ঝাড় আছে। বাংলাদেশের বেশির ভাগ চা বাগানেই এখন আর চিতা বাঘদের দেখা না গেলেও এই বাগানে হঠাৎ হঠাৎ হাজির হয় অদ্ভুত সুন্দর এই প্রাণীটি, অবশ্য ভারতের অনেক বাগানের বেলাতেই কথাটা খাটে।
বাতাসিয়া লুপ
বেশ অনেকটা ঢাল বেয়ে নেমে বিখ্যাত টয় ট্রেন চক্রাকার একটি পথে ঘুরে বলে এই নাম। একটা সুড়ঙ্গ পথও পেরোতে হয় এখানে ট্রেনকে। তাই এই জায়গা থেকে ট্রেনের কুউউ ঝিক ঝিক শব্দে চলা দেখা ভারি আনন্দময় অভিজ্ঞতা। তেমনি গোটা জায়গাটির সবুজ লন, নানান ধরনের গাছগাছালি মিলিয়ে বাগানের মতো। বাগানটির আকার ৫০ হাজার বর্গফুট। উঁচু থেকে চারপাশের পাহাড়সারির দৃশ্য আর গোটা দার্জিলিং দেখে মুগ্ধ হবেন। এখান থেকেও নাকি কাঞ্চনজঙ্ঘাসহ হিমালয়ের চূড়াগুলোর ঠাহর পাওয়া যায় কখনো-সখনো। গোর্খা সেনাদের সম্মান জানিয়ে বানানো ওয়ার মেমোরিয়ালটাও দেখবেন ঘুরে ঘুরে।
দার্জিলিং রোপওয়ে
দার্জিলিংয়ে ঘুরতে যাওয়া পর্যটকদের জন্য বড় আকর্ষণ রোপওয়ের বা ক্যাবল কার। আমরা যখন গিয়েছিলাম তখন অবশ্য এটি সাময়িকভাবে বন্ধ ছিল। এতে চড়ে রঙ্গিত নদী ও রঙ্গিত উপত্যকার অসাধারণ দৃশ্য উপভোগের সুযোগ মেলে। মোটামুটি ৪৫ মিনিট ভ্রমণের সময় চা বাগান ও আশপাশের জঙ্গলও নজর কাড়বে।
ঘুম মনাস্ট্রি
বাতাসিয়া লুপের ধারেই ঘুম মনাস্ট্রি। এটিই দার্জিলিংয়ের প্রথম তিব্বতি গুম্ফা বা বৌদ্ধ মন্দির। ১৮৭৫ সালের দিকে তৈরি করা হয় ঘুম মনাস্ট্রি। আমরা এখানে বুদ্ধ মূর্তি দেখি, গোটা গুম্ফা ঘুরে দেখি। বের হয়ে কয়েকটা খুদে প্রেয়ার হুইল আর কিওরিও কিনেছিলাম সামনে বসা এক নারী দোকানদারের কাছ থেকে।
রক গার্ডেন
শহর থেকে রক গার্ডেনের দূরত্ব দশ কিলোমিটার। একজন নেপালি চালককে ঠিক করেছিলাম আমরা। ঘুমে পৌঁছার আগেই ডানে ঢালু এক পথ ধরে নামতে শুরু করে গাড়ি। পথ ভয়ানক খাড়া, আর একটু পর পর সে কী বাঁক। এক দিকে পাহাড়ের গায়ে গাছপালা, আরেক দিকে খাদ। মাঝে মাঝে পাথরের স্ল্যাব বসানো হয়েছে রাস্তার কিনারে। কোনো ভাবে ভারসাম্য হারালে এই স্ল্যাব আটকানোর জন্য মোটেই যথেষ্ট নয়। তবে পাহাড়ের গায়ে চা বাগান, গাছপালা দেখতে দেখতে চড়াই-ওতরাই উপভোগই করবেন।
পাকদণ্ডী এই পথ শেষে যখন রক গার্ডেনে পৌঁছাবেন তখন খুশি হয়ে উঠবেন। বড় একটা জায়গা নিয়ে পাহাড়ের মধ্যে একটা বাগানের মতো। এখানে সেখানে হাতি, বানরসহ নানা প্রাণীর মূর্তি, বসার ব্যবস্থা। রেলিং দেওয়া আঁকাবাঁকা পথ ধরে এগিয়ে যেতে হয়। রক গার্ডেনের সেরা আকর্ষণ চুন্নু নামের আশ্চর্য সুন্দর এক জলপ্রপাত। প্রাকৃতিক জলপ্রপাতটিকে নিয়ন্ত্রণ করে পাথরের মাঝখান দিয়ে ধাপে ধাপে প্রবাহিত করা হয়েছে।
গঙ্গামায়া পার্ক
রক গার্ডেন থেকে গঙ্গামায়া যাওয়ার পথটা ঢালু, এবড়োখেবড়ো, তবে সুন্দর। স্থানীয়দের কয়েকটা বসতি পড়বে। সুন্দর সুন্দর বাড়ি, ক্যাফে, হোম স্টেগুলো নজর কাড়বে। এক সময় পৌঁছাবেন গাছপালা ঘেরা একটা জায়গায়। পার্কের বাম পাশে পাথরের বুকে তর তর করে বয়ে চলেছে, মিষ্টি একটা জলের ধারা। সুন্দর সুন্দর ফুল ফুটে থাকতে দেখবেন। নানা জাতের পাখির কল-কাকলিতে মুখর থাকে জায়গাটি।
অবজারভেটরি হিল
দার্জিলিংয়ের একটি বিখ্যাত ভিউ পয়েন্ট ও পর্যটকদের পছন্দের জায়গা অবজারভেটরি হিল। এখান থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘার দেখা মেলে। সত্যজিৎ রায়ের ফেলুদার বইয়ে অবজারভেটরি হিল থেকেও কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখার বর্ণনা দেওয়া হয়েছিল, ওখান থেকেও সূর্যোদয়টা দেখতে পারেন!
সূত্র: ট্রান্স ইন্ডিয়া ট্রাভেল ডট কম, নোমাডিক উইকএন্ডস ডট কম
ইশতিয়াক হাসান

দার্জিলিং সব সময় বাংলাদেশের মানুষের প্রিয় ভ্রমণ গন্তব্যের একটি। সহজে ও কম খরচে যাতায়াতের পাশাপাশি বই, সিনেমার কল্যাণে দার্জিলিংয়ের প্রতি অন্যরকম এক টান আমাদের। আমার যেমন দার্জিলিংয়ের প্রতি ভালোবাসা ও দার্জিলিংকে চেনা শুরু সত্যজিৎ রায়ের ফেলুদা সিরিজের ‘দার্জিলিং জমজমাট’ বইটি দিয়ে। তারপর অঞ্জন দত্তের গানেসহ আরও কত ভাবে যে পেলাম দার্জিলিং আর কাঞ্চনজঙ্ঘাকে। তাই ২০১৭-তে প্রথমবার ভারত সফরে ওটি, শিমলা, মসুরির মতো লোভনীয় হিল স্টেশনগুলোকে বাদ দিয়ে দার্জিলিংকেই বেছে নেই। আজ পাঠকদের পরিচয় করিয়ে দেব দার্জিলিংয়ের জনপ্রিয় কিছু ভ্রমণগন্তব্যের সঙ্গে।
টাইগার হিল
টাইগার হিল থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখার রোমাঞ্চই আলাদা। শহর থেকে টাইগার হিলের দূরত্ব এগারো-বারো কিলোমিটার। সাগর সমতল থেকে উচ্চতা ২৫৯০ মিটার। কাঞ্চনজঙ্ঘার দর্শন পেতে অন্ধকার থাকতে থাকতে বেরিয়ে পড়তে হবে আপনাকে। আমরাও তাই করেছিলাম। গাড়িতে মিনিট চল্লিশেক লাগবে পাহাড়ি রাস্তায় পাহাড়চূড়ার কাছাকাছি পৌঁছাতে। গাড়ি থেকে নেমে কিছুটা পথ হেঁটে যেতে হবে।
ভিড়-বাট্টায় ভালো একটা জায়গা পাওয়াটা মুশকিল হবে। আমরা যখন গিয়েছিলাম শুরুতে মেঘের ছিটেফোঁটা না থাকলেও আকাশ ফরসা হতে শুরু করার আগেই চারপাশে বিশেষ করে ডানে উঁচু সব মেঘের পাহাড় সত্যিকারের পাহাড়দের ঢেকে দিতে লাগল। কতক্ষণ পর বলতে পারব না, হঠাৎ একজনের চিৎকারে চোখ গেল সোজাসুজি সামনে। মেঘের ফাঁক গলে দিগন্তে দেখা যাচ্ছে উঁচু এক পর্বত, মাথার শ্বেতশুভ্র টুপি, সূর্যের কাঁচা রোদে সোনা রং ধারণ করেছে। কাঞ্চনজঙ্ঘা। মিনিট পনেরো অপলক চোখে দেখলাম তার রূপ। তবে অদ্ভুত সুন্দর পাহাড়টি তার একটা পাশের অবগুণ্ঠনই কেবল মেলে আমাদের সামনে। তবে ভাগ্য যাদের ভালো তাঁরা টাইগার হিল থেকে আরও চমৎকারভাবে উপভোগ করতে পারবেন কাঞ্চনজঙ্ঘার রূপ।
একটি তথ্য দিয়ে রাখছি, ১৮৫২ সাল পর্যন্ত ধারণা করা হতো এটিই পৃথিবীর উচ্চতম চূড়া। পরে নিশ্চিত হয় ৮৫৮৬ মিটার উঁচু কাঞ্চনজঙ্ঘার অবস্থান তিনে।
দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে
দার্জিলিংয়ে ঘুরতে যাওয়া পর্যটকদের কাছে বড় আকর্ষণ দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে। এতে চলা ট্রেনগুলো অবশ্য টয় ট্রেন নামেই পরিচিত। দার্জিলিং থেকে নিউ জলপাইগুড়ি পর্যন্ত চলে যাওয়া দুই ফুট চওড়া ন্যারো গেজ লাইন এটি। ১৮৭৯ থেকে ১৮৮১ সালের মধ্যে তৈরি হয় এটি। ১৯৯৯ সালে দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়েকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট ঘোষণা করে ইউনেসকো। নিউ জলপাইগুড়ি থেকে টয় ট্রেনে দার্জিলিং ভ্রমণের সময় দুই পাশের পাহাড়, জঙ্গলের অসাধারণ দৃশ্য উপভোগের সুযোগ মিলবে। আবার দার্জিলিং রেলওয়ে স্টেশন থেকে ঘুম পর্যন্ত টয় ট্রেন ভ্রমণের সুযোগও আছে পর্যটকদের জন্য।
ম্যাল রোড
দার্জিলিংয়ের বড় আকর্ষণ বলতে পারেন ম্যাল বা ম্যাল রোডকে। সূর্যাস্তের ঠিক আগে ম্যালের দিকে রওনা দিয়েছিলাম। যারা জানেন না তাদের বলছি খোলামেলা একটা চত্বরমতো জায়গা এই ম্যাল। বলতে পারেন দার্জিলিংয়ের প্রতীকে পরিণত হয়েছে এটি। গন্তব্যে পৌঁছানোর ঠিক আগেই হয়তো পথের ঢালে দেখা পেয়ে যাবেন হাসি-খুশি এক নারীর, দুটো আলাদা হট পটে ভেজিটেবল ও চিকেন মেমো বিক্রি করছেন গরম গরম। দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে আচ্ছাসে মেমো খাবেন, আর তারিফ করবেন ভারি সুস্বাদু মোমোর। মানে আমরা তাঁর দেখা পেয়েছিলাম, মোমোও খেয়েছিলাম।
বইয়ে ম্যালের বর্ণনা পড়েছি বহুবার, সিনেমায় দেখেছিও। সেবার চর্মচক্ষে দেখলাম, চারটা পথ এসে এক হয়েছে এখানে। আসলে ম্যাল হলে চৌরাস্তা। একপাশে কিওরিও, রেস্ট্যুরেন্ট, চা পাতার বনেদি সব দোকান। বসার ব্যবস্থা আছে চত্বরের এক পাশে। ম্যাল থেকেও ভোরে অনেক সময়ই কাঞ্চনজঙ্ঘার দেখা মেলে।
পদ্মজা নাইডু জুওলজিক্যাল ন্যাশনাল পার্কে
ভারতের উচ্চতম চিড়িয়াখানাটি সাগর সমতল থেকে গড়ে ৭০০০ ফুট উঁচুতে অবস্থিত। সার্কভক্ত দেশগুলোর পর্যটকদের জন্য টিকিটে ছাড় আছে। ভেতরে ঢুকে গোর্খাদের ঐতিহ্যবাহী পোশাকে ছবি তুলতে পারেন।
বড় বড় বেষ্টনীর মধ্যে রাখা বুনো জন্তুগুলো। হিমালয়ের উঁচু এলাকায় বাস করা নানান দুর্লভ প্রাণীদের সংরক্ষণ করা হয়েছে। তুষার চিতা, তিব্বতি নেকড়ে, লাল পান্ডা দেখছিলাম প্রথমবারের মতো মুগ্ধ বিস্ময়ে। এখানে নাকি তুষার চিতার সফল ব্রিডিংও হয়েছে। জঙ্গলে কালো চিতা দেখার সাধ অনেক দিনের, এখানে বন্দী অবস্থায় দেখার সুযোগ মিলে। এই চিড়িয়াখানার ভেতরের পথ ধরেই চলে যাই হিমালয়ান মাউন্টেরিয়ান ইন্সটিটিউটে।
হিমালয়ান মাউন্টেরিয়ান ইনস্টিটিউট
হিমালয়ান মাউন্টেরিয়ান ইনস্টিটিউটকে (এইচএমআই) বলা হয় দুনিয়ার পর্বতারোহীদের তীর্থস্থান। আমরা যখন গিয়েছিলাম সংস্কার কাজ চলছে দালানগুলোর। ওখানকার রেস্তোঁরাটি মশহুর। হালকা নাশতা সারতে পারেন চত্বরে বসে চারপাশের দৃশ্য দেখতে দেখতে।
জাদুঘরটিতে পর্বতারোহণের কাজে ব্যবহার করা নানা ধরনের সামগ্রী প্রদর্শন করা হয়। পর্বতারোহীদের নানান স্মারকও সাজানো আছে এখানে। এখানে পর্বতারোহণ নিয়ে প্রশিক্ষণ নিতে চায় এমন শিক্ষার্থীদের জন্য বোর্ডিং স্কুলের ব্যবস্থাও আছে। এইচএমআইয়ে ফিল্ড ট্রেইনিং বিভাগের প্রথম পরিচালক ছিলেন তেনজিং নোরগে।
তেনজিং রক
হ্যাপি ভ্যালি টি স্টেট যাওয়ার পথে ছোট্ট একটা যাত্রা বিরতি নেবেন। ওখানে দুই পাশে দুটো বিশাল পাথর। বামের পাথরটি তেনজিং নোরগের নামে তেনজিং রক। আর পাহাড়ের গায়ে ডানেরটা গমবু রক। তেনজিংয়ের ভাতিজা নাওয়াং গমবুর নামে এর নাম, প্রথম ব্যক্তি হিসাবে দু-বার এভারেস্টের চূড়ায় ওঠেন গমবু। এই অতিকায় পাথরদুটোতে চড়ে প্রশিক্ষণ চলে হিমালয়ান মাউন্টেরিয়ান ইনস্টিটিউটের পর্বতারোহীদের।
হ্যাপি ভ্যালি টি স্টেট
হ্যাপি ভ্যালি টি স্টেট, প্রতিষ্ঠা করেন ব্রিটিশ প্ল্যান্টাররা। ৪৩৭ একরের চা বাগানটি সাগর সমতল থেকে ২ হাজার ১০০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত। সিলেট, চট্টগ্রামে চা বাগান দেখেছি বিস্তর, তবে এর বিশেষত্ব উচ্চতায়, পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু চা বাগানগুলোর একটি এটি। এখানে প্রায় এক শ বছরের পুরোনো কিছু চা ঝাড় আছে। বাংলাদেশের বেশির ভাগ চা বাগানেই এখন আর চিতা বাঘদের দেখা না গেলেও এই বাগানে হঠাৎ হঠাৎ হাজির হয় অদ্ভুত সুন্দর এই প্রাণীটি, অবশ্য ভারতের অনেক বাগানের বেলাতেই কথাটা খাটে।
বাতাসিয়া লুপ
বেশ অনেকটা ঢাল বেয়ে নেমে বিখ্যাত টয় ট্রেন চক্রাকার একটি পথে ঘুরে বলে এই নাম। একটা সুড়ঙ্গ পথও পেরোতে হয় এখানে ট্রেনকে। তাই এই জায়গা থেকে ট্রেনের কুউউ ঝিক ঝিক শব্দে চলা দেখা ভারি আনন্দময় অভিজ্ঞতা। তেমনি গোটা জায়গাটির সবুজ লন, নানান ধরনের গাছগাছালি মিলিয়ে বাগানের মতো। বাগানটির আকার ৫০ হাজার বর্গফুট। উঁচু থেকে চারপাশের পাহাড়সারির দৃশ্য আর গোটা দার্জিলিং দেখে মুগ্ধ হবেন। এখান থেকেও নাকি কাঞ্চনজঙ্ঘাসহ হিমালয়ের চূড়াগুলোর ঠাহর পাওয়া যায় কখনো-সখনো। গোর্খা সেনাদের সম্মান জানিয়ে বানানো ওয়ার মেমোরিয়ালটাও দেখবেন ঘুরে ঘুরে।
দার্জিলিং রোপওয়ে
দার্জিলিংয়ে ঘুরতে যাওয়া পর্যটকদের জন্য বড় আকর্ষণ রোপওয়ের বা ক্যাবল কার। আমরা যখন গিয়েছিলাম তখন অবশ্য এটি সাময়িকভাবে বন্ধ ছিল। এতে চড়ে রঙ্গিত নদী ও রঙ্গিত উপত্যকার অসাধারণ দৃশ্য উপভোগের সুযোগ মেলে। মোটামুটি ৪৫ মিনিট ভ্রমণের সময় চা বাগান ও আশপাশের জঙ্গলও নজর কাড়বে।
ঘুম মনাস্ট্রি
বাতাসিয়া লুপের ধারেই ঘুম মনাস্ট্রি। এটিই দার্জিলিংয়ের প্রথম তিব্বতি গুম্ফা বা বৌদ্ধ মন্দির। ১৮৭৫ সালের দিকে তৈরি করা হয় ঘুম মনাস্ট্রি। আমরা এখানে বুদ্ধ মূর্তি দেখি, গোটা গুম্ফা ঘুরে দেখি। বের হয়ে কয়েকটা খুদে প্রেয়ার হুইল আর কিওরিও কিনেছিলাম সামনে বসা এক নারী দোকানদারের কাছ থেকে।
রক গার্ডেন
শহর থেকে রক গার্ডেনের দূরত্ব দশ কিলোমিটার। একজন নেপালি চালককে ঠিক করেছিলাম আমরা। ঘুমে পৌঁছার আগেই ডানে ঢালু এক পথ ধরে নামতে শুরু করে গাড়ি। পথ ভয়ানক খাড়া, আর একটু পর পর সে কী বাঁক। এক দিকে পাহাড়ের গায়ে গাছপালা, আরেক দিকে খাদ। মাঝে মাঝে পাথরের স্ল্যাব বসানো হয়েছে রাস্তার কিনারে। কোনো ভাবে ভারসাম্য হারালে এই স্ল্যাব আটকানোর জন্য মোটেই যথেষ্ট নয়। তবে পাহাড়ের গায়ে চা বাগান, গাছপালা দেখতে দেখতে চড়াই-ওতরাই উপভোগই করবেন।
পাকদণ্ডী এই পথ শেষে যখন রক গার্ডেনে পৌঁছাবেন তখন খুশি হয়ে উঠবেন। বড় একটা জায়গা নিয়ে পাহাড়ের মধ্যে একটা বাগানের মতো। এখানে সেখানে হাতি, বানরসহ নানা প্রাণীর মূর্তি, বসার ব্যবস্থা। রেলিং দেওয়া আঁকাবাঁকা পথ ধরে এগিয়ে যেতে হয়। রক গার্ডেনের সেরা আকর্ষণ চুন্নু নামের আশ্চর্য সুন্দর এক জলপ্রপাত। প্রাকৃতিক জলপ্রপাতটিকে নিয়ন্ত্রণ করে পাথরের মাঝখান দিয়ে ধাপে ধাপে প্রবাহিত করা হয়েছে।
গঙ্গামায়া পার্ক
রক গার্ডেন থেকে গঙ্গামায়া যাওয়ার পথটা ঢালু, এবড়োখেবড়ো, তবে সুন্দর। স্থানীয়দের কয়েকটা বসতি পড়বে। সুন্দর সুন্দর বাড়ি, ক্যাফে, হোম স্টেগুলো নজর কাড়বে। এক সময় পৌঁছাবেন গাছপালা ঘেরা একটা জায়গায়। পার্কের বাম পাশে পাথরের বুকে তর তর করে বয়ে চলেছে, মিষ্টি একটা জলের ধারা। সুন্দর সুন্দর ফুল ফুটে থাকতে দেখবেন। নানা জাতের পাখির কল-কাকলিতে মুখর থাকে জায়গাটি।
অবজারভেটরি হিল
দার্জিলিংয়ের একটি বিখ্যাত ভিউ পয়েন্ট ও পর্যটকদের পছন্দের জায়গা অবজারভেটরি হিল। এখান থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘার দেখা মেলে। সত্যজিৎ রায়ের ফেলুদার বইয়ে অবজারভেটরি হিল থেকেও কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখার বর্ণনা দেওয়া হয়েছিল, ওখান থেকেও সূর্যোদয়টা দেখতে পারেন!
সূত্র: ট্রান্স ইন্ডিয়া ট্রাভেল ডট কম, নোমাডিক উইকএন্ডস ডট কম

দার্জিলিং সব সময় বাংলাদেশের মানুষের প্রিয় ভ্রমণ গন্তব্যের একটি। সহজে ও কম খরচে যাতায়াতের পাশাপাশি বই, সিনেমার কল্যাণে দার্জিলিংয়ের প্রতি অন্যরকম এক টান আমাদের। আমার যেমন দার্জিলিংয়ের প্রতি ভালোবাসা ও দার্জিলিংকে চেনা শুরু সত্যজিৎ রায়ের ফেলুদা সিরিজের ‘দার্জিলিং জমজমাট’ বইটি দিয়ে। তারপর অঞ্জন দত্তের গানেসহ আরও কত ভাবে যে পেলাম দার্জিলিং আর কাঞ্চনজঙ্ঘাকে। তাই ২০১৭-তে প্রথমবার ভারত সফরে ওটি, শিমলা, মসুরির মতো লোভনীয় হিল স্টেশনগুলোকে বাদ দিয়ে দার্জিলিংকেই বেছে নেই। আজ পাঠকদের পরিচয় করিয়ে দেব দার্জিলিংয়ের জনপ্রিয় কিছু ভ্রমণগন্তব্যের সঙ্গে।
টাইগার হিল
টাইগার হিল থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখার রোমাঞ্চই আলাদা। শহর থেকে টাইগার হিলের দূরত্ব এগারো-বারো কিলোমিটার। সাগর সমতল থেকে উচ্চতা ২৫৯০ মিটার। কাঞ্চনজঙ্ঘার দর্শন পেতে অন্ধকার থাকতে থাকতে বেরিয়ে পড়তে হবে আপনাকে। আমরাও তাই করেছিলাম। গাড়িতে মিনিট চল্লিশেক লাগবে পাহাড়ি রাস্তায় পাহাড়চূড়ার কাছাকাছি পৌঁছাতে। গাড়ি থেকে নেমে কিছুটা পথ হেঁটে যেতে হবে।
ভিড়-বাট্টায় ভালো একটা জায়গা পাওয়াটা মুশকিল হবে। আমরা যখন গিয়েছিলাম শুরুতে মেঘের ছিটেফোঁটা না থাকলেও আকাশ ফরসা হতে শুরু করার আগেই চারপাশে বিশেষ করে ডানে উঁচু সব মেঘের পাহাড় সত্যিকারের পাহাড়দের ঢেকে দিতে লাগল। কতক্ষণ পর বলতে পারব না, হঠাৎ একজনের চিৎকারে চোখ গেল সোজাসুজি সামনে। মেঘের ফাঁক গলে দিগন্তে দেখা যাচ্ছে উঁচু এক পর্বত, মাথার শ্বেতশুভ্র টুপি, সূর্যের কাঁচা রোদে সোনা রং ধারণ করেছে। কাঞ্চনজঙ্ঘা। মিনিট পনেরো অপলক চোখে দেখলাম তার রূপ। তবে অদ্ভুত সুন্দর পাহাড়টি তার একটা পাশের অবগুণ্ঠনই কেবল মেলে আমাদের সামনে। তবে ভাগ্য যাদের ভালো তাঁরা টাইগার হিল থেকে আরও চমৎকারভাবে উপভোগ করতে পারবেন কাঞ্চনজঙ্ঘার রূপ।
একটি তথ্য দিয়ে রাখছি, ১৮৫২ সাল পর্যন্ত ধারণা করা হতো এটিই পৃথিবীর উচ্চতম চূড়া। পরে নিশ্চিত হয় ৮৫৮৬ মিটার উঁচু কাঞ্চনজঙ্ঘার অবস্থান তিনে।
দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে
দার্জিলিংয়ে ঘুরতে যাওয়া পর্যটকদের কাছে বড় আকর্ষণ দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে। এতে চলা ট্রেনগুলো অবশ্য টয় ট্রেন নামেই পরিচিত। দার্জিলিং থেকে নিউ জলপাইগুড়ি পর্যন্ত চলে যাওয়া দুই ফুট চওড়া ন্যারো গেজ লাইন এটি। ১৮৭৯ থেকে ১৮৮১ সালের মধ্যে তৈরি হয় এটি। ১৯৯৯ সালে দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়েকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট ঘোষণা করে ইউনেসকো। নিউ জলপাইগুড়ি থেকে টয় ট্রেনে দার্জিলিং ভ্রমণের সময় দুই পাশের পাহাড়, জঙ্গলের অসাধারণ দৃশ্য উপভোগের সুযোগ মিলবে। আবার দার্জিলিং রেলওয়ে স্টেশন থেকে ঘুম পর্যন্ত টয় ট্রেন ভ্রমণের সুযোগও আছে পর্যটকদের জন্য।
ম্যাল রোড
দার্জিলিংয়ের বড় আকর্ষণ বলতে পারেন ম্যাল বা ম্যাল রোডকে। সূর্যাস্তের ঠিক আগে ম্যালের দিকে রওনা দিয়েছিলাম। যারা জানেন না তাদের বলছি খোলামেলা একটা চত্বরমতো জায়গা এই ম্যাল। বলতে পারেন দার্জিলিংয়ের প্রতীকে পরিণত হয়েছে এটি। গন্তব্যে পৌঁছানোর ঠিক আগেই হয়তো পথের ঢালে দেখা পেয়ে যাবেন হাসি-খুশি এক নারীর, দুটো আলাদা হট পটে ভেজিটেবল ও চিকেন মেমো বিক্রি করছেন গরম গরম। দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে আচ্ছাসে মেমো খাবেন, আর তারিফ করবেন ভারি সুস্বাদু মোমোর। মানে আমরা তাঁর দেখা পেয়েছিলাম, মোমোও খেয়েছিলাম।
বইয়ে ম্যালের বর্ণনা পড়েছি বহুবার, সিনেমায় দেখেছিও। সেবার চর্মচক্ষে দেখলাম, চারটা পথ এসে এক হয়েছে এখানে। আসলে ম্যাল হলে চৌরাস্তা। একপাশে কিওরিও, রেস্ট্যুরেন্ট, চা পাতার বনেদি সব দোকান। বসার ব্যবস্থা আছে চত্বরের এক পাশে। ম্যাল থেকেও ভোরে অনেক সময়ই কাঞ্চনজঙ্ঘার দেখা মেলে।
পদ্মজা নাইডু জুওলজিক্যাল ন্যাশনাল পার্কে
ভারতের উচ্চতম চিড়িয়াখানাটি সাগর সমতল থেকে গড়ে ৭০০০ ফুট উঁচুতে অবস্থিত। সার্কভক্ত দেশগুলোর পর্যটকদের জন্য টিকিটে ছাড় আছে। ভেতরে ঢুকে গোর্খাদের ঐতিহ্যবাহী পোশাকে ছবি তুলতে পারেন।
বড় বড় বেষ্টনীর মধ্যে রাখা বুনো জন্তুগুলো। হিমালয়ের উঁচু এলাকায় বাস করা নানান দুর্লভ প্রাণীদের সংরক্ষণ করা হয়েছে। তুষার চিতা, তিব্বতি নেকড়ে, লাল পান্ডা দেখছিলাম প্রথমবারের মতো মুগ্ধ বিস্ময়ে। এখানে নাকি তুষার চিতার সফল ব্রিডিংও হয়েছে। জঙ্গলে কালো চিতা দেখার সাধ অনেক দিনের, এখানে বন্দী অবস্থায় দেখার সুযোগ মিলে। এই চিড়িয়াখানার ভেতরের পথ ধরেই চলে যাই হিমালয়ান মাউন্টেরিয়ান ইন্সটিটিউটে।
হিমালয়ান মাউন্টেরিয়ান ইনস্টিটিউট
হিমালয়ান মাউন্টেরিয়ান ইনস্টিটিউটকে (এইচএমআই) বলা হয় দুনিয়ার পর্বতারোহীদের তীর্থস্থান। আমরা যখন গিয়েছিলাম সংস্কার কাজ চলছে দালানগুলোর। ওখানকার রেস্তোঁরাটি মশহুর। হালকা নাশতা সারতে পারেন চত্বরে বসে চারপাশের দৃশ্য দেখতে দেখতে।
জাদুঘরটিতে পর্বতারোহণের কাজে ব্যবহার করা নানা ধরনের সামগ্রী প্রদর্শন করা হয়। পর্বতারোহীদের নানান স্মারকও সাজানো আছে এখানে। এখানে পর্বতারোহণ নিয়ে প্রশিক্ষণ নিতে চায় এমন শিক্ষার্থীদের জন্য বোর্ডিং স্কুলের ব্যবস্থাও আছে। এইচএমআইয়ে ফিল্ড ট্রেইনিং বিভাগের প্রথম পরিচালক ছিলেন তেনজিং নোরগে।
তেনজিং রক
হ্যাপি ভ্যালি টি স্টেট যাওয়ার পথে ছোট্ট একটা যাত্রা বিরতি নেবেন। ওখানে দুই পাশে দুটো বিশাল পাথর। বামের পাথরটি তেনজিং নোরগের নামে তেনজিং রক। আর পাহাড়ের গায়ে ডানেরটা গমবু রক। তেনজিংয়ের ভাতিজা নাওয়াং গমবুর নামে এর নাম, প্রথম ব্যক্তি হিসাবে দু-বার এভারেস্টের চূড়ায় ওঠেন গমবু। এই অতিকায় পাথরদুটোতে চড়ে প্রশিক্ষণ চলে হিমালয়ান মাউন্টেরিয়ান ইনস্টিটিউটের পর্বতারোহীদের।
হ্যাপি ভ্যালি টি স্টেট
হ্যাপি ভ্যালি টি স্টেট, প্রতিষ্ঠা করেন ব্রিটিশ প্ল্যান্টাররা। ৪৩৭ একরের চা বাগানটি সাগর সমতল থেকে ২ হাজার ১০০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত। সিলেট, চট্টগ্রামে চা বাগান দেখেছি বিস্তর, তবে এর বিশেষত্ব উচ্চতায়, পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু চা বাগানগুলোর একটি এটি। এখানে প্রায় এক শ বছরের পুরোনো কিছু চা ঝাড় আছে। বাংলাদেশের বেশির ভাগ চা বাগানেই এখন আর চিতা বাঘদের দেখা না গেলেও এই বাগানে হঠাৎ হঠাৎ হাজির হয় অদ্ভুত সুন্দর এই প্রাণীটি, অবশ্য ভারতের অনেক বাগানের বেলাতেই কথাটা খাটে।
বাতাসিয়া লুপ
বেশ অনেকটা ঢাল বেয়ে নেমে বিখ্যাত টয় ট্রেন চক্রাকার একটি পথে ঘুরে বলে এই নাম। একটা সুড়ঙ্গ পথও পেরোতে হয় এখানে ট্রেনকে। তাই এই জায়গা থেকে ট্রেনের কুউউ ঝিক ঝিক শব্দে চলা দেখা ভারি আনন্দময় অভিজ্ঞতা। তেমনি গোটা জায়গাটির সবুজ লন, নানান ধরনের গাছগাছালি মিলিয়ে বাগানের মতো। বাগানটির আকার ৫০ হাজার বর্গফুট। উঁচু থেকে চারপাশের পাহাড়সারির দৃশ্য আর গোটা দার্জিলিং দেখে মুগ্ধ হবেন। এখান থেকেও নাকি কাঞ্চনজঙ্ঘাসহ হিমালয়ের চূড়াগুলোর ঠাহর পাওয়া যায় কখনো-সখনো। গোর্খা সেনাদের সম্মান জানিয়ে বানানো ওয়ার মেমোরিয়ালটাও দেখবেন ঘুরে ঘুরে।
দার্জিলিং রোপওয়ে
দার্জিলিংয়ে ঘুরতে যাওয়া পর্যটকদের জন্য বড় আকর্ষণ রোপওয়ের বা ক্যাবল কার। আমরা যখন গিয়েছিলাম তখন অবশ্য এটি সাময়িকভাবে বন্ধ ছিল। এতে চড়ে রঙ্গিত নদী ও রঙ্গিত উপত্যকার অসাধারণ দৃশ্য উপভোগের সুযোগ মেলে। মোটামুটি ৪৫ মিনিট ভ্রমণের সময় চা বাগান ও আশপাশের জঙ্গলও নজর কাড়বে।
ঘুম মনাস্ট্রি
বাতাসিয়া লুপের ধারেই ঘুম মনাস্ট্রি। এটিই দার্জিলিংয়ের প্রথম তিব্বতি গুম্ফা বা বৌদ্ধ মন্দির। ১৮৭৫ সালের দিকে তৈরি করা হয় ঘুম মনাস্ট্রি। আমরা এখানে বুদ্ধ মূর্তি দেখি, গোটা গুম্ফা ঘুরে দেখি। বের হয়ে কয়েকটা খুদে প্রেয়ার হুইল আর কিওরিও কিনেছিলাম সামনে বসা এক নারী দোকানদারের কাছ থেকে।
রক গার্ডেন
শহর থেকে রক গার্ডেনের দূরত্ব দশ কিলোমিটার। একজন নেপালি চালককে ঠিক করেছিলাম আমরা। ঘুমে পৌঁছার আগেই ডানে ঢালু এক পথ ধরে নামতে শুরু করে গাড়ি। পথ ভয়ানক খাড়া, আর একটু পর পর সে কী বাঁক। এক দিকে পাহাড়ের গায়ে গাছপালা, আরেক দিকে খাদ। মাঝে মাঝে পাথরের স্ল্যাব বসানো হয়েছে রাস্তার কিনারে। কোনো ভাবে ভারসাম্য হারালে এই স্ল্যাব আটকানোর জন্য মোটেই যথেষ্ট নয়। তবে পাহাড়ের গায়ে চা বাগান, গাছপালা দেখতে দেখতে চড়াই-ওতরাই উপভোগই করবেন।
পাকদণ্ডী এই পথ শেষে যখন রক গার্ডেনে পৌঁছাবেন তখন খুশি হয়ে উঠবেন। বড় একটা জায়গা নিয়ে পাহাড়ের মধ্যে একটা বাগানের মতো। এখানে সেখানে হাতি, বানরসহ নানা প্রাণীর মূর্তি, বসার ব্যবস্থা। রেলিং দেওয়া আঁকাবাঁকা পথ ধরে এগিয়ে যেতে হয়। রক গার্ডেনের সেরা আকর্ষণ চুন্নু নামের আশ্চর্য সুন্দর এক জলপ্রপাত। প্রাকৃতিক জলপ্রপাতটিকে নিয়ন্ত্রণ করে পাথরের মাঝখান দিয়ে ধাপে ধাপে প্রবাহিত করা হয়েছে।
গঙ্গামায়া পার্ক
রক গার্ডেন থেকে গঙ্গামায়া যাওয়ার পথটা ঢালু, এবড়োখেবড়ো, তবে সুন্দর। স্থানীয়দের কয়েকটা বসতি পড়বে। সুন্দর সুন্দর বাড়ি, ক্যাফে, হোম স্টেগুলো নজর কাড়বে। এক সময় পৌঁছাবেন গাছপালা ঘেরা একটা জায়গায়। পার্কের বাম পাশে পাথরের বুকে তর তর করে বয়ে চলেছে, মিষ্টি একটা জলের ধারা। সুন্দর সুন্দর ফুল ফুটে থাকতে দেখবেন। নানা জাতের পাখির কল-কাকলিতে মুখর থাকে জায়গাটি।
অবজারভেটরি হিল
দার্জিলিংয়ের একটি বিখ্যাত ভিউ পয়েন্ট ও পর্যটকদের পছন্দের জায়গা অবজারভেটরি হিল। এখান থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘার দেখা মেলে। সত্যজিৎ রায়ের ফেলুদার বইয়ে অবজারভেটরি হিল থেকেও কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখার বর্ণনা দেওয়া হয়েছিল, ওখান থেকেও সূর্যোদয়টা দেখতে পারেন!
সূত্র: ট্রান্স ইন্ডিয়া ট্রাভেল ডট কম, নোমাডিক উইকএন্ডস ডট কম

সুস্থ, সচেতন ও সক্রিয় নগরজীবন গঠনের বিভিন্ন আন্দোলন আছে ঢাকা শহরে। আছে তাদের নিয়মিত ইভেন্ট। এ ইতিহাসে যুক্ত হলো ‘ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে’ ম্যারাথন। এর আয়োজক ছিল ক্রীড়া প্রতিষ্ঠান ট্রায়াথলন ড্রিমার্স। আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, এটি ছিল ঢাকায় অনুষ্ঠিত দেশের প্রথম এআইএমএস সার্টিফায়েড ৩০ কিলোমিটার ম্যারাথন।...
৬ ঘণ্টা আগে
আমাদের শরীর ও মন পরস্পর ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত। আমরা যখন দুশ্চিন্তা করি বা মানসিক চাপে থাকি, তখন শরীরে এর প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়; যা আমাদের স্নায়ুতন্ত্রকে প্রভাবিত করে এবং এর ফলে অনেক সময় শরীরে চুলকানি বা জ্বালাপোড়ার মতো হতে পারে। এই অবস্থাকেই বলে ‘অ্যাংজাইটি ইচিং’ বা উদ্বেগজনিত চুলকানি।...
৮ ঘণ্টা আগে
বিলাসিতা কেমন হতে পারে? এর উত্তর খুঁজতে গেলে আমাদের চোখ চলে যায় পৃথিবীর সেই সব বিরল উপাদানের দিকে, যেগুলোর মূল্য প্রায় আকাশছোঁয়া। এই উপাদানগুলোর দুর্লভতা এবং অনন্যতাই তাদের করে তুলেছে বিশেষ। যারা জীবনের সেরা জিনিসগুলোর খোঁজ করেন তাদের জন্য এই ধরনের খাবার উপভোগ করতে পারা একটি বিশেষ চাহিদা হতে পারে।
১৪ ঘণ্টা আগে
আপনি যদি ২৫ সালের শেষে এসে বারবার ভাবেন, "সময় কোথায় গেল? " তবে জেনে রাখুন, এই অনুভূতি কেবল আপনার একার নয়। সময় মুহূর্তের মধ্যে ফুরিয়ে যায় নদীর স্রোতের মতন। দেখতে দেখতে আমরা আরও একটি বছরের প্রায় শেষ প্রান্তে পৌঁছে গেছি। তবে চিন্তার কিছু নেই, কারণ নতুন বছর আমাদের জন্য নতুন করে ঘুরে দেখার আর
১৬ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

সুস্থ, সচেতন ও সক্রিয় নগরজীবন গঠনের বিভিন্ন আন্দোলন আছে ঢাকা শহরে। আছে তাদের নিয়মিত ইভেন্ট। এ ইতিহাসে যুক্ত হলো ‘ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে’ ম্যারাথন। এর আয়োজক ছিল ক্রীড়া প্রতিষ্ঠান ট্রায়াথলন ড্রিমার্স। আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, এটি ছিল ঢাকায় অনুষ্ঠিত দেশের প্রথম এআইএমএস সার্টিফায়েড ৩০ কিলোমিটার ম্যারাথন।
গতকাল ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর হাতিরঝিলে অনুষ্ঠিত হয়েছে ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে নামের এই ম্যারাথনটি। ‘এক শহর, এক দৌড়, এক ইতিহাস’ স্লোগানে আয়োজিত এ আন্তর্জাতিক রোড রেসে অংশ নেন হাজারো দৌড়বিদ। এদের মধ্যে ছিলেন দেশ-বিদেশের অভিজ্ঞ রানার ও শৌখিন অ্যাথলেটরা।

ঢাকার হাতিরঝিল অ্যাম্ফিথিয়েটার থেকে ভোর ৪টা ৩০ মিনিটে ৩০ কিলোমিটার ক্যাটাগির এ ম্যারাথনের উদ্বোধন করা হয়। এ ছাড়া ১৫ এবং ৭ দশমিক ৫ কিলোমিটার রেসের উদ্বোধন হয় ভোর ৫টা। অংশগ্রহণকারী দৌড়বিদেরা হাতিরঝিলের চারপাশে বিস্তৃত একটি চ্যালেঞ্জিং ও মনোরম ট্র্যাকে তাঁদের দৌড় সম্পন্ন করেন।
আয়োজকেরা জানিয়েছেন, এ ইভেন্টে অন্তর্ভুক্ত ছিল চারটি প্রতিযোগিতা ক্যাটাগরি। এগুলো হলো,
৩০ কিলোমিটার ম্যারাথনে ছেলেদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হন মামুন আহম্মেদ। দৌড়ের পথ শেষ করতে তিনি সময় নেন ১ ঘণ্টা ৫৩ মিনিট ৪৭ সেকেন্ড। একই ইভেন্টে মেয়েদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হন হামিদা আক্তার জেবা। তিনি শেষ করতে সময় নিয়েছে ২ ঘণ্টা ৪৪ মিনিট ৫৩ সেকেন্ড।
এদিকে ১৫ কিলোমিটার ম্যারাথনে ছেলেদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হন পলাশ শেখ। এ পথ শেষ করতে তিনি সময় নেন ৫৩ মিনিট ৩৭ সেকেন্ড। একই ইভেন্টে মেয়েদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হন সাজিয়া হেপ্পি। তিনি দৌড় শেষ করতে সময় নেন ১ ঘণ্টা ২১ মিনিট ৭ সেকেন্ড।

৭ দশমিক ৫ কিলোমিটার ম্যারাথনে ছেলেদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হন মোস্তাক আহমেদ আভিন। দৌড় শেষ করতে তিনি সময় নেন ২৬ মিনিট ৫৭ সেকেন্ড। একই ইভেন্টে মেয়েদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হন সাবরিনা আক্তার স্বর্ণা। তিনি ৭ দশমিক ৫ কিলোমিটার দৌড় শেষ করতে সময় নিয়েছেন ৪৩ মিনিট ৫৩ সেকেন্ড।
এ ছাড়া এক কিলোমিটার ওভারল চ্যাম্পিয়ন হয় সাইফান ওময়ের।
দৌড়বিদদের সুবিধার্থে ইভেন্ট এরিয়ায় স্থাপন করা হয়েছিল মেডিকেল সাপোর্ট সিস্টেম, একাধিক হাইড্রেশন ও কুলিং জোন, লাইভ টাইমিং সুবিধা। ইভেন্ট নিরাপদ করতে ছিল শক্তিশালী নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এ ইভেন্টে কাজ করেন শতাধিক প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবক। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিবিড় সহযোগিতায় ইভেন্ট ব্যবস্থাপনা ছিল অত্যন্ত সমন্বিত।

ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে ম্যারাথন রেস ডিরেক্টর মো. আল-আমীন বলেন, ‘ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে শুধু একটি রেস নয়, এটি একটি সুস্থ, সচেতন ও সক্রিয় নগরজীবন গঠনের আন্দোলন। আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে, দৌড়ের পাশাপাশি আমরা চাই ঢাকাকে একটি প্রাণবন্ত ও ইতিবাচক শহরে রূপান্তরিত করতে।’
আন্তর্জাতিক সার্টিফিকেশন, বিশাল অংশগ্রহণ, পেশাদার ব্যবস্থাপনা এবং নিরাপদ আয়োজন, সব মিলিয়ে ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে আজ বাংলাদেশের দৌড় ইতিহাসে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করল।

সুস্থ, সচেতন ও সক্রিয় নগরজীবন গঠনের বিভিন্ন আন্দোলন আছে ঢাকা শহরে। আছে তাদের নিয়মিত ইভেন্ট। এ ইতিহাসে যুক্ত হলো ‘ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে’ ম্যারাথন। এর আয়োজক ছিল ক্রীড়া প্রতিষ্ঠান ট্রায়াথলন ড্রিমার্স। আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, এটি ছিল ঢাকায় অনুষ্ঠিত দেশের প্রথম এআইএমএস সার্টিফায়েড ৩০ কিলোমিটার ম্যারাথন।
গতকাল ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর হাতিরঝিলে অনুষ্ঠিত হয়েছে ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে নামের এই ম্যারাথনটি। ‘এক শহর, এক দৌড়, এক ইতিহাস’ স্লোগানে আয়োজিত এ আন্তর্জাতিক রোড রেসে অংশ নেন হাজারো দৌড়বিদ। এদের মধ্যে ছিলেন দেশ-বিদেশের অভিজ্ঞ রানার ও শৌখিন অ্যাথলেটরা।

ঢাকার হাতিরঝিল অ্যাম্ফিথিয়েটার থেকে ভোর ৪টা ৩০ মিনিটে ৩০ কিলোমিটার ক্যাটাগির এ ম্যারাথনের উদ্বোধন করা হয়। এ ছাড়া ১৫ এবং ৭ দশমিক ৫ কিলোমিটার রেসের উদ্বোধন হয় ভোর ৫টা। অংশগ্রহণকারী দৌড়বিদেরা হাতিরঝিলের চারপাশে বিস্তৃত একটি চ্যালেঞ্জিং ও মনোরম ট্র্যাকে তাঁদের দৌড় সম্পন্ন করেন।
আয়োজকেরা জানিয়েছেন, এ ইভেন্টে অন্তর্ভুক্ত ছিল চারটি প্রতিযোগিতা ক্যাটাগরি। এগুলো হলো,
৩০ কিলোমিটার ম্যারাথনে ছেলেদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হন মামুন আহম্মেদ। দৌড়ের পথ শেষ করতে তিনি সময় নেন ১ ঘণ্টা ৫৩ মিনিট ৪৭ সেকেন্ড। একই ইভেন্টে মেয়েদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হন হামিদা আক্তার জেবা। তিনি শেষ করতে সময় নিয়েছে ২ ঘণ্টা ৪৪ মিনিট ৫৩ সেকেন্ড।
এদিকে ১৫ কিলোমিটার ম্যারাথনে ছেলেদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হন পলাশ শেখ। এ পথ শেষ করতে তিনি সময় নেন ৫৩ মিনিট ৩৭ সেকেন্ড। একই ইভেন্টে মেয়েদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হন সাজিয়া হেপ্পি। তিনি দৌড় শেষ করতে সময় নেন ১ ঘণ্টা ২১ মিনিট ৭ সেকেন্ড।

৭ দশমিক ৫ কিলোমিটার ম্যারাথনে ছেলেদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হন মোস্তাক আহমেদ আভিন। দৌড় শেষ করতে তিনি সময় নেন ২৬ মিনিট ৫৭ সেকেন্ড। একই ইভেন্টে মেয়েদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হন সাবরিনা আক্তার স্বর্ণা। তিনি ৭ দশমিক ৫ কিলোমিটার দৌড় শেষ করতে সময় নিয়েছেন ৪৩ মিনিট ৫৩ সেকেন্ড।
এ ছাড়া এক কিলোমিটার ওভারল চ্যাম্পিয়ন হয় সাইফান ওময়ের।
দৌড়বিদদের সুবিধার্থে ইভেন্ট এরিয়ায় স্থাপন করা হয়েছিল মেডিকেল সাপোর্ট সিস্টেম, একাধিক হাইড্রেশন ও কুলিং জোন, লাইভ টাইমিং সুবিধা। ইভেন্ট নিরাপদ করতে ছিল শক্তিশালী নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এ ইভেন্টে কাজ করেন শতাধিক প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবক। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিবিড় সহযোগিতায় ইভেন্ট ব্যবস্থাপনা ছিল অত্যন্ত সমন্বিত।

ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে ম্যারাথন রেস ডিরেক্টর মো. আল-আমীন বলেন, ‘ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে শুধু একটি রেস নয়, এটি একটি সুস্থ, সচেতন ও সক্রিয় নগরজীবন গঠনের আন্দোলন। আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে, দৌড়ের পাশাপাশি আমরা চাই ঢাকাকে একটি প্রাণবন্ত ও ইতিবাচক শহরে রূপান্তরিত করতে।’
আন্তর্জাতিক সার্টিফিকেশন, বিশাল অংশগ্রহণ, পেশাদার ব্যবস্থাপনা এবং নিরাপদ আয়োজন, সব মিলিয়ে ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে আজ বাংলাদেশের দৌড় ইতিহাসে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করল।

দার্জিলিং সব সময় বাংলাদেশের মানুষের প্রিয় ভ্রমণ গন্তব্যগুলোর একটি। সহজে ও কম খরচে যাতায়াতের পাশাপাশি বই, সিনেমার বদৌলতে আমরা ভালোই চিনি দার্জিলিংকে। আমার যেমন দার্জিলিংয়ের প্রতি ভালোবাসা ও দার্জিলিংকে চেনা শুরু ফেলুদার ‘দার্জিলিং জমজমাট’ বইটি দিয়ে। তারপর অঞ্জন দত্তের গানেসহ আরও কত ভাবে যে পেলাম দার্
১০ মার্চ ২০২৩
আমাদের শরীর ও মন পরস্পর ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত। আমরা যখন দুশ্চিন্তা করি বা মানসিক চাপে থাকি, তখন শরীরে এর প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়; যা আমাদের স্নায়ুতন্ত্রকে প্রভাবিত করে এবং এর ফলে অনেক সময় শরীরে চুলকানি বা জ্বালাপোড়ার মতো হতে পারে। এই অবস্থাকেই বলে ‘অ্যাংজাইটি ইচিং’ বা উদ্বেগজনিত চুলকানি।...
৮ ঘণ্টা আগে
বিলাসিতা কেমন হতে পারে? এর উত্তর খুঁজতে গেলে আমাদের চোখ চলে যায় পৃথিবীর সেই সব বিরল উপাদানের দিকে, যেগুলোর মূল্য প্রায় আকাশছোঁয়া। এই উপাদানগুলোর দুর্লভতা এবং অনন্যতাই তাদের করে তুলেছে বিশেষ। যারা জীবনের সেরা জিনিসগুলোর খোঁজ করেন তাদের জন্য এই ধরনের খাবার উপভোগ করতে পারা একটি বিশেষ চাহিদা হতে পারে।
১৪ ঘণ্টা আগে
আপনি যদি ২৫ সালের শেষে এসে বারবার ভাবেন, "সময় কোথায় গেল? " তবে জেনে রাখুন, এই অনুভূতি কেবল আপনার একার নয়। সময় মুহূর্তের মধ্যে ফুরিয়ে যায় নদীর স্রোতের মতন। দেখতে দেখতে আমরা আরও একটি বছরের প্রায় শেষ প্রান্তে পৌঁছে গেছি। তবে চিন্তার কিছু নেই, কারণ নতুন বছর আমাদের জন্য নতুন করে ঘুরে দেখার আর
১৬ ঘণ্টা আগেফারিয়া রহমান খান

আমাদের শরীর ও মন পরস্পর ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত। আমরা যখন দুশ্চিন্তা করি বা মানসিক চাপে থাকি, তখন শরীরে এর প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়; যা আমাদের স্নায়ুতন্ত্রকে প্রভাবিত করে এবং এর ফলে অনেক সময় শরীরে চুলকানি বা জ্বালাপোড়ার মতো হতে পারে। এই অবস্থাকেই বলে ‘অ্যাংজাইটি ইচিং’ বা উদ্বেগজনিত চুলকানি।
অতিরিক্ত উদ্বেগ থেকে হওয়া ‘সোমাটিক সিম্পটম’ বা শারীরিক প্রতিক্রিয়াগুলোর মধ্যে একটি হলো অ্যাংজাইটি ইচিং বা সাইকোজেনিক চুলকানি। উদ্বিগ্নতার তীব্রতা বেশি হলে করটিসল হরমোনের মাত্রা বেড়ে যায়। এর কারণে ত্বকে প্রদাহ সৃষ্টি হয়। পাশাপাশি সেরোটোনিন বা ডোপামিনের মতো নিউরোট্রান্সমিটারের ভারসাম্যহীনতার ফলেও অনেক সময় চুলকানি শুরু হয়। এই সমস্যা সাধারণত মাথার তালু, মুখ বা পিঠের উপরিভাগে বেশি দেখা যায়। তাই মানসিক চাপের কারণ খুঁজে বের করে চিকিৎসকের সহায়তা নিয়ে তা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। তা ছাড়া মেডিটেশন বা ইয়োগা করা যেতে পারে; পাশাপাশি চুলকানি কমাতে ভালো মানের ময়শ্চরাইজার ব্যবহার করতে হবে, পর্যাপ্ত পানি পান করাসহ অতিরিক্ত ঠান্ডা বা গরম পানি দিয়ে গোসল এড়াতে হবে। ডা. তাহরিয়াত আহমেদ শরীফ, সহকারী রেজিস্ট্রার, মেডিসিন বিভাগ, কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল, ঢাকা
মানসিক চাপের কারণে চুলকানি কেন হয়
উদ্বেগ ও চুলকানি আপাতদৃষ্টে সম্পর্কহীন মনে হলেও এই দুটি একে অপরের সঙ্গে বেশ কিছু বিষয়ে জড়িত। মানসিক চাপের প্রভাবে শরীরে কিছু সমস্যা দেখা দেয়, যেগুলোর ফলে চুলকানি হয়। যেমন—
স্ট্রেস হাইভস: মানসিক চাপের কারণে অনেক সময় শরীরের রোগ প্রতিরোধব্যবস্থার প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারে। ফলে শরীরে চুলকানিযুক্ত ফুসকুড়ি দেখা দেয়।
ঘামাচি বা র্যাশ: উদ্বেগের ফলে ঘাম বেড়ে যায়। ফলে শরীরে ঘামাচি বা র্যাশ দেখা দেয়। এগুলো খুবই চুলকায় এবং ২ সপ্তাহ পর্যন্ত স্থায়ী হয়।
বিদ্যমান রোগ বাড়িয়ে দেওয়া: যাদের আগে থেকে একজিমা বা সোরিয়াসিসের মতো ত্বকের সমস্যা আছে, মানসিক চাপ ও উদ্বেগ তাদের এই রোগগুলো আরও বাড়িয়ে দেয়। ফলে চুলকানির মাত্রা বেড়ে যায়।
চুলকানির তীব্রতা বৃদ্ধি: মানসিক চাপ ও উদ্বেগ সামান্য চুলকানির তীব্রতাও বহুগুণে বাড়িয়ে দেয়, যা রোগীর কাছে অসহনীয় মনে হতে পারে।
অ্যাংজাইটি ইচিং নিয়ন্ত্রণের কিছু উপায়
অ্যাংজাইটি ইচিং নিয়ন্ত্রণ করতে হলে প্রথমে মানসিক চাপের কারণ বের করে তার সমাধান করতে হবে। পাশাপাশি কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করলে আরাম পাওয়া যেতে পারে। সেগুলো হলো—
কীভাবে অ্যাংজাইটি ইচিং নির্ণয় করা হয়
প্রথমে চিকিৎসক চুলকানির শারীরিক কারণ; যেমন পোকামাকড়ের কামড়, ত্বকের শুষ্কতা, একজিমা বা অ্যালার্জি আছে কি না, তা নির্ণয় করা হয়। তারপর ডায়াবেটিস, অ্যানিমিয়া বা থাইরয়েডের মতো রোগগুলোও খতিয়ে দেখা হয়। সঠিক সিদ্ধান্তে আসার জন্য রোগীর মানসিক স্বাস্থ্যসহ সম্পূর্ণ রোগের সব তথ্য চিকিৎসককে জানাতে হবে। এর ওপর ভিত্তি করে চিকিৎসক নিশ্চিত হবেন, চুলকানি মানসিক চাপের জন্য হচ্ছে, নাকি অন্য কোনো কারণে। মানসিক চাপের জন্য চুলকানি হচ্ছে নিশ্চিত হলে সেই অনুযায়ী চিকিৎসক উপযুক্ত চিকিৎসার ব্যবস্থা করবেন।
কখন চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন
কারণ ছাড়া অতিরিক্ত চুলকানি অনেক সময় কোনো অভ্যন্তরীণ স্বাস্থ্য সমস্যার কারণেও হতে পারে। মূল কারণ জানা এবং সঠিক চিকিৎসার জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। অ্যাংজাইটি ইচিং যদি আপনার দৈনন্দিন জীবনযাত্রা ব্যাহত করে, ত্বকে সংক্রমণ বা গুরুতর ক্ষতি করে বা দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে ঘরোয়া চিকিৎসায়ও না কমে, তবে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। এ ছাড়া চুলকানির সঙ্গে জ্বর, রাতে ঘাম হওয়া বা অস্বাভাবিক হারে ওজন কমার মতো লক্ষণ থাকলেও দেরি না করে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। মনে রাখবেন, সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমেই অ্যাংজাইটি ইচিংয়ের মতো সমস্যা কার্যকরভাবে মোকাবিলা করা সম্ভব।
সূত্র: স্টাইলক্রেজ ও অন্যান্য

আমাদের শরীর ও মন পরস্পর ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত। আমরা যখন দুশ্চিন্তা করি বা মানসিক চাপে থাকি, তখন শরীরে এর প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়; যা আমাদের স্নায়ুতন্ত্রকে প্রভাবিত করে এবং এর ফলে অনেক সময় শরীরে চুলকানি বা জ্বালাপোড়ার মতো হতে পারে। এই অবস্থাকেই বলে ‘অ্যাংজাইটি ইচিং’ বা উদ্বেগজনিত চুলকানি।
অতিরিক্ত উদ্বেগ থেকে হওয়া ‘সোমাটিক সিম্পটম’ বা শারীরিক প্রতিক্রিয়াগুলোর মধ্যে একটি হলো অ্যাংজাইটি ইচিং বা সাইকোজেনিক চুলকানি। উদ্বিগ্নতার তীব্রতা বেশি হলে করটিসল হরমোনের মাত্রা বেড়ে যায়। এর কারণে ত্বকে প্রদাহ সৃষ্টি হয়। পাশাপাশি সেরোটোনিন বা ডোপামিনের মতো নিউরোট্রান্সমিটারের ভারসাম্যহীনতার ফলেও অনেক সময় চুলকানি শুরু হয়। এই সমস্যা সাধারণত মাথার তালু, মুখ বা পিঠের উপরিভাগে বেশি দেখা যায়। তাই মানসিক চাপের কারণ খুঁজে বের করে চিকিৎসকের সহায়তা নিয়ে তা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। তা ছাড়া মেডিটেশন বা ইয়োগা করা যেতে পারে; পাশাপাশি চুলকানি কমাতে ভালো মানের ময়শ্চরাইজার ব্যবহার করতে হবে, পর্যাপ্ত পানি পান করাসহ অতিরিক্ত ঠান্ডা বা গরম পানি দিয়ে গোসল এড়াতে হবে। ডা. তাহরিয়াত আহমেদ শরীফ, সহকারী রেজিস্ট্রার, মেডিসিন বিভাগ, কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল, ঢাকা
মানসিক চাপের কারণে চুলকানি কেন হয়
উদ্বেগ ও চুলকানি আপাতদৃষ্টে সম্পর্কহীন মনে হলেও এই দুটি একে অপরের সঙ্গে বেশ কিছু বিষয়ে জড়িত। মানসিক চাপের প্রভাবে শরীরে কিছু সমস্যা দেখা দেয়, যেগুলোর ফলে চুলকানি হয়। যেমন—
স্ট্রেস হাইভস: মানসিক চাপের কারণে অনেক সময় শরীরের রোগ প্রতিরোধব্যবস্থার প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারে। ফলে শরীরে চুলকানিযুক্ত ফুসকুড়ি দেখা দেয়।
ঘামাচি বা র্যাশ: উদ্বেগের ফলে ঘাম বেড়ে যায়। ফলে শরীরে ঘামাচি বা র্যাশ দেখা দেয়। এগুলো খুবই চুলকায় এবং ২ সপ্তাহ পর্যন্ত স্থায়ী হয়।
বিদ্যমান রোগ বাড়িয়ে দেওয়া: যাদের আগে থেকে একজিমা বা সোরিয়াসিসের মতো ত্বকের সমস্যা আছে, মানসিক চাপ ও উদ্বেগ তাদের এই রোগগুলো আরও বাড়িয়ে দেয়। ফলে চুলকানির মাত্রা বেড়ে যায়।
চুলকানির তীব্রতা বৃদ্ধি: মানসিক চাপ ও উদ্বেগ সামান্য চুলকানির তীব্রতাও বহুগুণে বাড়িয়ে দেয়, যা রোগীর কাছে অসহনীয় মনে হতে পারে।
অ্যাংজাইটি ইচিং নিয়ন্ত্রণের কিছু উপায়
অ্যাংজাইটি ইচিং নিয়ন্ত্রণ করতে হলে প্রথমে মানসিক চাপের কারণ বের করে তার সমাধান করতে হবে। পাশাপাশি কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করলে আরাম পাওয়া যেতে পারে। সেগুলো হলো—
কীভাবে অ্যাংজাইটি ইচিং নির্ণয় করা হয়
প্রথমে চিকিৎসক চুলকানির শারীরিক কারণ; যেমন পোকামাকড়ের কামড়, ত্বকের শুষ্কতা, একজিমা বা অ্যালার্জি আছে কি না, তা নির্ণয় করা হয়। তারপর ডায়াবেটিস, অ্যানিমিয়া বা থাইরয়েডের মতো রোগগুলোও খতিয়ে দেখা হয়। সঠিক সিদ্ধান্তে আসার জন্য রোগীর মানসিক স্বাস্থ্যসহ সম্পূর্ণ রোগের সব তথ্য চিকিৎসককে জানাতে হবে। এর ওপর ভিত্তি করে চিকিৎসক নিশ্চিত হবেন, চুলকানি মানসিক চাপের জন্য হচ্ছে, নাকি অন্য কোনো কারণে। মানসিক চাপের জন্য চুলকানি হচ্ছে নিশ্চিত হলে সেই অনুযায়ী চিকিৎসক উপযুক্ত চিকিৎসার ব্যবস্থা করবেন।
কখন চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন
কারণ ছাড়া অতিরিক্ত চুলকানি অনেক সময় কোনো অভ্যন্তরীণ স্বাস্থ্য সমস্যার কারণেও হতে পারে। মূল কারণ জানা এবং সঠিক চিকিৎসার জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। অ্যাংজাইটি ইচিং যদি আপনার দৈনন্দিন জীবনযাত্রা ব্যাহত করে, ত্বকে সংক্রমণ বা গুরুতর ক্ষতি করে বা দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে ঘরোয়া চিকিৎসায়ও না কমে, তবে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। এ ছাড়া চুলকানির সঙ্গে জ্বর, রাতে ঘাম হওয়া বা অস্বাভাবিক হারে ওজন কমার মতো লক্ষণ থাকলেও দেরি না করে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। মনে রাখবেন, সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমেই অ্যাংজাইটি ইচিংয়ের মতো সমস্যা কার্যকরভাবে মোকাবিলা করা সম্ভব।
সূত্র: স্টাইলক্রেজ ও অন্যান্য

দার্জিলিং সব সময় বাংলাদেশের মানুষের প্রিয় ভ্রমণ গন্তব্যগুলোর একটি। সহজে ও কম খরচে যাতায়াতের পাশাপাশি বই, সিনেমার বদৌলতে আমরা ভালোই চিনি দার্জিলিংকে। আমার যেমন দার্জিলিংয়ের প্রতি ভালোবাসা ও দার্জিলিংকে চেনা শুরু ফেলুদার ‘দার্জিলিং জমজমাট’ বইটি দিয়ে। তারপর অঞ্জন দত্তের গানেসহ আরও কত ভাবে যে পেলাম দার্
১০ মার্চ ২০২৩
সুস্থ, সচেতন ও সক্রিয় নগরজীবন গঠনের বিভিন্ন আন্দোলন আছে ঢাকা শহরে। আছে তাদের নিয়মিত ইভেন্ট। এ ইতিহাসে যুক্ত হলো ‘ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে’ ম্যারাথন। এর আয়োজক ছিল ক্রীড়া প্রতিষ্ঠান ট্রায়াথলন ড্রিমার্স। আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, এটি ছিল ঢাকায় অনুষ্ঠিত দেশের প্রথম এআইএমএস সার্টিফায়েড ৩০ কিলোমিটার ম্যারাথন।...
৬ ঘণ্টা আগে
বিলাসিতা কেমন হতে পারে? এর উত্তর খুঁজতে গেলে আমাদের চোখ চলে যায় পৃথিবীর সেই সব বিরল উপাদানের দিকে, যেগুলোর মূল্য প্রায় আকাশছোঁয়া। এই উপাদানগুলোর দুর্লভতা এবং অনন্যতাই তাদের করে তুলেছে বিশেষ। যারা জীবনের সেরা জিনিসগুলোর খোঁজ করেন তাদের জন্য এই ধরনের খাবার উপভোগ করতে পারা একটি বিশেষ চাহিদা হতে পারে।
১৪ ঘণ্টা আগে
আপনি যদি ২৫ সালের শেষে এসে বারবার ভাবেন, "সময় কোথায় গেল? " তবে জেনে রাখুন, এই অনুভূতি কেবল আপনার একার নয়। সময় মুহূর্তের মধ্যে ফুরিয়ে যায় নদীর স্রোতের মতন। দেখতে দেখতে আমরা আরও একটি বছরের প্রায় শেষ প্রান্তে পৌঁছে গেছি। তবে চিন্তার কিছু নেই, কারণ নতুন বছর আমাদের জন্য নতুন করে ঘুরে দেখার আর
১৬ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

বিলাসিতা কেমন হতে পারে? এর উত্তর খুঁজতে গেলে আমাদের চোখ চলে যায় পৃথিবীর সেই সব বিরল উপাদানের দিকে, যেগুলোর মূল্য প্রায় আকাশছোঁয়া। এই উপাদানগুলোর দুর্লভতা এবং অনন্যতাই তাদের করে তুলেছে বিশেষ। যারা জীবনের সেরা জিনিসগুলোর খোঁজ করেন তাদের জন্য এই ধরনের খাবার উপভোগ করতে পারা একটি বিশেষ চাহিদা হতে পারে। এই খাবারগুলো কেবল খাদ্য নয় বরং শিল্পের এক একটি অংশ হয়ে উঠেছে। আর তাই এরা তাদের ক্রেতাদের কাছে ক্ষমতা, প্রাচুর্য এবং এক বিশেষ জীবনযাত্রার প্রতীক।
সবচেয়ে দামি খাবারের তালিকায় প্রথমে আসে সেই মাটির নিচের রহস্য। যা সোনার চেয়েও মূল্যবান। ইতালির পিডমন্ট অঞ্চলের স্থানীয় সাদা ট্রাফল এমনই এক ছত্রাক, যা অত্যন্ত দুর্লভ ও ব্যয়বহুল। একবার চীনের ম্যাকাও-এর এক ক্যাসিনো মালিক প্রায় দেড় কেজি ওজনের একটি ট্রাফল ৩,৩০, ০০০ ডলারে কিনেছিলেন। টাকায় হিসাব করলে যার দাম হয় ৪ কোটি ১ লাখ ৯৩ হাজার ৪০০ টাকা। অন্যদিকে, মসলার জগতে রাজা হলো জাফরান। যাকে ডাকা হয় ’লাল সোনা’ নামে। এক কেজি জাফরান তৈরি করতে হাজার হাজার ফুল লাগে। এ জন্য এর দাম পৃথিবীর সবচেয়ে দামি মসলার স্থানে নিয়ে গেছে। ফরাসি দ্বীপ নুয়ারমুতিয়ে-তে জন্মানো লা বোনোটে আলুর ক্ষেত্রেও সেই বিরলতা দেখা যায়। বিশেষ পরিবেশে ও শৈবালের কারণে এদের প্রতি কেজির দাম প্রায় ৬০০ ডলার বা ৭৩,১৭৮ টাকা।
মাংস এবং সামুদ্রিক খাবারের জগতেও রয়েছে মহাযজ্ঞের ছোঁয়া। জাপানের ওয়াগিউ বিফ কেবল সুস্বাদুই নয়, এর পেছনের প্রক্রিয়াটিও রাজকীয়। এই গরুগুলোকে বিশেষ খাবার দেওয়া হয়। এমনকি প্রতিদিন মালিশও করা হয়। যার ফলস্বরূপ এর ১০০ গ্রাম মাংসের দাম প্রায় ৫০ ডলার। অর্থাৎ ৬০৯৯ টাকা। আরও একধাপ এগিয়ে, ২০১৯ সালে জাপানে একটি স্নো ক্র্যাব। যা নিলামে বিক্রি হয়েছিল প্রায় ৪৬,০০০ ডলারে। তবে সামুদ্রিক খাবারের মুকুট হলো অ্যালমাস ক্যাভিয়ার। এই বিরল বেলুগা ক্যাভিয়ার প্রতি কেজি ৩৪,৫০০ ডলারে বিক্রি হয়ে থাকে। যার বাংলাদেশি মূল্য দাঁড়ায় ৪২,০৮৩১০ টাকা। যা সত্যিকারের বিলাসিতার প্রতিচ্ছবি। অন্যদিকে, স্পেনের ঐতিহ্যবাহী ইবেরিকো হ্যাম-এর এক পা বা লেগ ৪,৫০০ ডলারের মতো দামে বিক্রি হওয়ার বিশ্ব রেকর্ড গড়েছে।

রেস্টুরেন্টে গেলে ৮০০ টাকা থাকে শুরু করে ৩০০০ টাকায় পিৎজা পাওয়া যায়। তবে ১২,০০০ ডলার বা ১,৪৬৩, ৭৬০ টাকার পিৎজা কখনো শুনেছেন? আপনি না শুনে থাকলেও পৃথিবীতে তা আছে। পিৎজা নির্মাতা রেনাটো ভায়োলা তৈরি করেছিলেন লিউস XIII পিৎজা। যার উপাদানগুলোর মধ্যে ছিল তিন ধরনের ক্যাভিয়ার। আবার স্কটল্যান্ডের ডোমিনিকো ক্রলা-এর তৈরি পিৎজা রয়্যাল ০০৭ বিকোয় ৪,২০০ ডলারে। যেখানে কগনাক-এ ম্যারিনেট করা লবস্টার ও শ্যাম্পেনে ভেজানো ক্যাভিয়ার ব্যবহার করা হয়েছিল। মেক্সিকোর গ্র্যান্ড ভেলাস রিসোর্টে পাওয়া গ্র্যান্ড ভেলাস লস কাবোস টাকো। যার মূল্য ২৫,০০০ ডলার, যেখানে ছিল কোবে বিফ এবং সোনা-মিশ্রিত টর্টিলা। এমনকি নিউ ইয়র্কের একটি সাধারণ গ্রিলড চিজ স্যান্ডউইচও যখন শ্যাম্পেনে ভেজানো রুটি আর সোনার ফ্লেক্সের সঙ্গে আসে, তখন সেই কুইন্টেসেনশিয়াল গ্রিলড চিজ-এর দাম দাঁড়ায় ২১৪ ডলার।
মিষ্টি এবং পানীয়ের ক্ষেত্রেও বিলাসিতা তার ছাপ ফেলেছে। পেস্ট্রি শেফ জেওং হং-ইয়ংটো এক মাস সময় নিয়ে একটি ক্রিসমাস কেক তৈরি করেছিলেন, যাতে ছিল ২২৩টি হিরা, আর এর দাম ছিল অবিশ্বাস্য ১.৭ মিলিয়ন ডলার। অন্যদিকে, জাপানি ফলগুলোর মধ্যেও রয়েছে রাজকীয়তা। একটি ডেনসুকে ওয়াটারমেলন নিলামে ৬,১০০ ডলারে বিক্রি হয়েছিল এবং দুটি ইউবারি কিং মেলন ৪৫,০০০ ডলারের বেশি দামে বিক্রি হয়েছিল। পানীয়ের ক্ষেত্রে, ১৯৫২ সালের বিরল টুলিবার্ডিন হুইস্কির একটি বোতলের দাম ৪১,০০০ ডলার পর্যন্ত পৌঁছেছিল। তবে প্রকৃতির অদ্ভুত খেয়ালের ফল হলো কপি লুয়াক কফি। সিভেট ক্যাট বা গন্ধগোকুলের হজম প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তৈরি এই কফি প্রতি কেজি প্রায় ৭০০ ডলারে বিক্রি হয়।
সূত্র: স্টার্স ইনসাইডার

বিলাসিতা কেমন হতে পারে? এর উত্তর খুঁজতে গেলে আমাদের চোখ চলে যায় পৃথিবীর সেই সব বিরল উপাদানের দিকে, যেগুলোর মূল্য প্রায় আকাশছোঁয়া। এই উপাদানগুলোর দুর্লভতা এবং অনন্যতাই তাদের করে তুলেছে বিশেষ। যারা জীবনের সেরা জিনিসগুলোর খোঁজ করেন তাদের জন্য এই ধরনের খাবার উপভোগ করতে পারা একটি বিশেষ চাহিদা হতে পারে। এই খাবারগুলো কেবল খাদ্য নয় বরং শিল্পের এক একটি অংশ হয়ে উঠেছে। আর তাই এরা তাদের ক্রেতাদের কাছে ক্ষমতা, প্রাচুর্য এবং এক বিশেষ জীবনযাত্রার প্রতীক।
সবচেয়ে দামি খাবারের তালিকায় প্রথমে আসে সেই মাটির নিচের রহস্য। যা সোনার চেয়েও মূল্যবান। ইতালির পিডমন্ট অঞ্চলের স্থানীয় সাদা ট্রাফল এমনই এক ছত্রাক, যা অত্যন্ত দুর্লভ ও ব্যয়বহুল। একবার চীনের ম্যাকাও-এর এক ক্যাসিনো মালিক প্রায় দেড় কেজি ওজনের একটি ট্রাফল ৩,৩০, ০০০ ডলারে কিনেছিলেন। টাকায় হিসাব করলে যার দাম হয় ৪ কোটি ১ লাখ ৯৩ হাজার ৪০০ টাকা। অন্যদিকে, মসলার জগতে রাজা হলো জাফরান। যাকে ডাকা হয় ’লাল সোনা’ নামে। এক কেজি জাফরান তৈরি করতে হাজার হাজার ফুল লাগে। এ জন্য এর দাম পৃথিবীর সবচেয়ে দামি মসলার স্থানে নিয়ে গেছে। ফরাসি দ্বীপ নুয়ারমুতিয়ে-তে জন্মানো লা বোনোটে আলুর ক্ষেত্রেও সেই বিরলতা দেখা যায়। বিশেষ পরিবেশে ও শৈবালের কারণে এদের প্রতি কেজির দাম প্রায় ৬০০ ডলার বা ৭৩,১৭৮ টাকা।
মাংস এবং সামুদ্রিক খাবারের জগতেও রয়েছে মহাযজ্ঞের ছোঁয়া। জাপানের ওয়াগিউ বিফ কেবল সুস্বাদুই নয়, এর পেছনের প্রক্রিয়াটিও রাজকীয়। এই গরুগুলোকে বিশেষ খাবার দেওয়া হয়। এমনকি প্রতিদিন মালিশও করা হয়। যার ফলস্বরূপ এর ১০০ গ্রাম মাংসের দাম প্রায় ৫০ ডলার। অর্থাৎ ৬০৯৯ টাকা। আরও একধাপ এগিয়ে, ২০১৯ সালে জাপানে একটি স্নো ক্র্যাব। যা নিলামে বিক্রি হয়েছিল প্রায় ৪৬,০০০ ডলারে। তবে সামুদ্রিক খাবারের মুকুট হলো অ্যালমাস ক্যাভিয়ার। এই বিরল বেলুগা ক্যাভিয়ার প্রতি কেজি ৩৪,৫০০ ডলারে বিক্রি হয়ে থাকে। যার বাংলাদেশি মূল্য দাঁড়ায় ৪২,০৮৩১০ টাকা। যা সত্যিকারের বিলাসিতার প্রতিচ্ছবি। অন্যদিকে, স্পেনের ঐতিহ্যবাহী ইবেরিকো হ্যাম-এর এক পা বা লেগ ৪,৫০০ ডলারের মতো দামে বিক্রি হওয়ার বিশ্ব রেকর্ড গড়েছে।

রেস্টুরেন্টে গেলে ৮০০ টাকা থাকে শুরু করে ৩০০০ টাকায় পিৎজা পাওয়া যায়। তবে ১২,০০০ ডলার বা ১,৪৬৩, ৭৬০ টাকার পিৎজা কখনো শুনেছেন? আপনি না শুনে থাকলেও পৃথিবীতে তা আছে। পিৎজা নির্মাতা রেনাটো ভায়োলা তৈরি করেছিলেন লিউস XIII পিৎজা। যার উপাদানগুলোর মধ্যে ছিল তিন ধরনের ক্যাভিয়ার। আবার স্কটল্যান্ডের ডোমিনিকো ক্রলা-এর তৈরি পিৎজা রয়্যাল ০০৭ বিকোয় ৪,২০০ ডলারে। যেখানে কগনাক-এ ম্যারিনেট করা লবস্টার ও শ্যাম্পেনে ভেজানো ক্যাভিয়ার ব্যবহার করা হয়েছিল। মেক্সিকোর গ্র্যান্ড ভেলাস রিসোর্টে পাওয়া গ্র্যান্ড ভেলাস লস কাবোস টাকো। যার মূল্য ২৫,০০০ ডলার, যেখানে ছিল কোবে বিফ এবং সোনা-মিশ্রিত টর্টিলা। এমনকি নিউ ইয়র্কের একটি সাধারণ গ্রিলড চিজ স্যান্ডউইচও যখন শ্যাম্পেনে ভেজানো রুটি আর সোনার ফ্লেক্সের সঙ্গে আসে, তখন সেই কুইন্টেসেনশিয়াল গ্রিলড চিজ-এর দাম দাঁড়ায় ২১৪ ডলার।
মিষ্টি এবং পানীয়ের ক্ষেত্রেও বিলাসিতা তার ছাপ ফেলেছে। পেস্ট্রি শেফ জেওং হং-ইয়ংটো এক মাস সময় নিয়ে একটি ক্রিসমাস কেক তৈরি করেছিলেন, যাতে ছিল ২২৩টি হিরা, আর এর দাম ছিল অবিশ্বাস্য ১.৭ মিলিয়ন ডলার। অন্যদিকে, জাপানি ফলগুলোর মধ্যেও রয়েছে রাজকীয়তা। একটি ডেনসুকে ওয়াটারমেলন নিলামে ৬,১০০ ডলারে বিক্রি হয়েছিল এবং দুটি ইউবারি কিং মেলন ৪৫,০০০ ডলারের বেশি দামে বিক্রি হয়েছিল। পানীয়ের ক্ষেত্রে, ১৯৫২ সালের বিরল টুলিবার্ডিন হুইস্কির একটি বোতলের দাম ৪১,০০০ ডলার পর্যন্ত পৌঁছেছিল। তবে প্রকৃতির অদ্ভুত খেয়ালের ফল হলো কপি লুয়াক কফি। সিভেট ক্যাট বা গন্ধগোকুলের হজম প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তৈরি এই কফি প্রতি কেজি প্রায় ৭০০ ডলারে বিক্রি হয়।
সূত্র: স্টার্স ইনসাইডার

দার্জিলিং সব সময় বাংলাদেশের মানুষের প্রিয় ভ্রমণ গন্তব্যগুলোর একটি। সহজে ও কম খরচে যাতায়াতের পাশাপাশি বই, সিনেমার বদৌলতে আমরা ভালোই চিনি দার্জিলিংকে। আমার যেমন দার্জিলিংয়ের প্রতি ভালোবাসা ও দার্জিলিংকে চেনা শুরু ফেলুদার ‘দার্জিলিং জমজমাট’ বইটি দিয়ে। তারপর অঞ্জন দত্তের গানেসহ আরও কত ভাবে যে পেলাম দার্
১০ মার্চ ২০২৩
সুস্থ, সচেতন ও সক্রিয় নগরজীবন গঠনের বিভিন্ন আন্দোলন আছে ঢাকা শহরে। আছে তাদের নিয়মিত ইভেন্ট। এ ইতিহাসে যুক্ত হলো ‘ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে’ ম্যারাথন। এর আয়োজক ছিল ক্রীড়া প্রতিষ্ঠান ট্রায়াথলন ড্রিমার্স। আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, এটি ছিল ঢাকায় অনুষ্ঠিত দেশের প্রথম এআইএমএস সার্টিফায়েড ৩০ কিলোমিটার ম্যারাথন।...
৬ ঘণ্টা আগে
আমাদের শরীর ও মন পরস্পর ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত। আমরা যখন দুশ্চিন্তা করি বা মানসিক চাপে থাকি, তখন শরীরে এর প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়; যা আমাদের স্নায়ুতন্ত্রকে প্রভাবিত করে এবং এর ফলে অনেক সময় শরীরে চুলকানি বা জ্বালাপোড়ার মতো হতে পারে। এই অবস্থাকেই বলে ‘অ্যাংজাইটি ইচিং’ বা উদ্বেগজনিত চুলকানি।...
৮ ঘণ্টা আগে
আপনি যদি ২৫ সালের শেষে এসে বারবার ভাবেন, "সময় কোথায় গেল? " তবে জেনে রাখুন, এই অনুভূতি কেবল আপনার একার নয়। সময় মুহূর্তের মধ্যে ফুরিয়ে যায় নদীর স্রোতের মতন। দেখতে দেখতে আমরা আরও একটি বছরের প্রায় শেষ প্রান্তে পৌঁছে গেছি। তবে চিন্তার কিছু নেই, কারণ নতুন বছর আমাদের জন্য নতুন করে ঘুরে দেখার আর
১৬ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

আপনি যদি ২৫ সালের শেষে এসে বারবার ভাবেন, "সময় কোথায় গেল? " তবে জেনে রাখুন, এই অনুভূতি কেবল আপনার একার নয়। সময় মুহূর্তের মধ্যে ফুরিয়ে যায় নদীর স্রোতের মতন। দেখতে দেখতে আমরা আরও একটি বছরের প্রায় শেষ প্রান্তে পৌঁছে গেছি। তবে চিন্তার কিছু নেই, কারণ নতুন বছর আমাদের জন্য নতুন করে ঘুরে দেখার আর অ্যাডভেঞ্চারের সুযোগ নিয়ে আসছে। আর এই সুযোগগুলো কাজে লাগাতে সাহায্য করার জন্য এয়ারবিএনবি প্রকাশ করেছে ২০২৬ সালের জন্য তাদের ভ্রমণ প্রবণতা পূর্বাভাস।
এই হোম-শেয়ারিং প্ল্যাটফর্মটির বিশ্লেষণ অনুযায়ী, আগামী বছর ভ্রমণকারীরা তাদের ছুটি থেকে সর্বোচ্চ সুবিধা নিতে চাইবেন। যা হবে অভিজ্ঞতার কেন্দ্রিক। তাদের রিপোর্টে বেশ কয়েকটি মূল বিষয় উঠে এসেছে। যা আপনাকেও বিশ্ব ভ্রমণের ক্ষেত্রে এগিয়ে থাকতে সাহায্য করতে পারে। এখানে উল্লিখিত পূর্বাভাসগুলো ইঙ্গিত দেয় যে ২০২৬ সালে ভ্রমণ হবে আরও সংক্ষিপ্ত, প্রকৃতির কাছাকাছি, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ভরপুর এবং অবশ্যই খাদ্য-কেন্দ্রিক। আপনিও আপনার পরবর্তী ভ্রমণের জন্য এই নতুন ধারাগুলো বিবেচনা করতে পারেন।

জেনও জিদের আলট্রা-শর্ট আন্তর্জাতিক ট্রিপ
২০২৬ সালে ভ্রমণের সংজ্ঞাই পাল্টে দিচ্ছে জেনারেশন জি বা জেন জি। বিশাল, বহু-সপ্তাহব্যাপী ভ্রমণের পরিকল্পনাকে ভুলে যান। জেন জি আমাদের শেখাচ্ছে কীভাবে ৪৮ ঘণ্টা বা তারও কম সময়ে যেকোনো স্থানে উড়ে যাওয়া যায়। এয়ারবিএনবি-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, জেন জি রা ’কুইক ট্রিপ’-এর ধারণাটি নতুন করে সংজ্ঞায়িত করছে। দীর্ঘ অবকাশের তুলনায় তাদের ১-২ দিনের আন্তর্জাতিক যাত্রা দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে। টিকটক-এর ভাইরাল ডে-ট্রিপ ট্রেন্ড দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে, এই তরুণ প্রজন্ম সংস্কৃতি-সমৃদ্ধ, উচ্চ-শক্তির অভিজ্ঞতার জন্য মহাদেশ পাড়ি দিচ্ছে। এয়ারবিএনবি বলছে, জেন জি রা কর্মবিরতি সর্বাধিক ভাবে ব্যবহার করার এক নতুন কৌশল দেখাচ্ছে। তারা শান্ত সমুদ্র সৈকতের বদলে বেছে নিচ্ছে সংগীত, নৃত্য, ঐতিহাসিক স্থান এবং খাঁটি খাবারে পূর্ণ প্রাণবন্ত শহুরে অভিজ্ঞতা। এই প্রজন্মের পছন্দের গন্তব্যগুলোর মধ্যে রয়েছে বুয়েনোস আইরেস (আর্জেন্টিনা), বুসান (দক্ষিণ কোরিয়া), কো সামুই (থাইল্যান্ড), মারাকেশ (মরক্কো), মেক্সিকো সিটি (মেক্সিকো), সান জুয়ান (পুয়ের্তো রিকো) এবং স্টকহোম (সুইডেন)।
প্রকৃতির সঙ্গে আরও বেশি সময় কাটানো
প্রকৃতির সান্নিধ্য লাভ করা ২০২৫ সালেও একটি জনপ্রিয় প্রবণতা ছিল। আর ২০২৬ সালে এটি আরও বেগবান হবে। এয়ারবিএনবি জানিয়েছে যে বিশ্বজুড়ে জাতীয় উদ্যানগুলির প্রতি অনুসন্ধান এবং আগ্রহ উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, একটি জাতীয় উদ্যানের কাছাকাছি থাকার জায়গা খোঁজার হার আগামী বছরের জন্য ৩৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে গ্রেট স্মোকি মাউন্টেনস, শেনানডোহ এবং গ্র্যান্ড টেটনের মতো মার্কিন পার্কগুলোর শতবর্ষ উদ্যাপনের কারণে সেগুলোর প্রতি আগ্রহ আরও বাড়ছে। বৈশ্বিক গন্তব্যগুলোর মধ্যে স্যামারিয়া জর্জ ন্যাশনাল পার্কের কাছাকাছি গ্রিসের ক্রিট, ভিয়েনা, ইন্ডিয়ার গোয়া এবং ইতালির সার্ডিনিয়ার মতো স্থানগুলো ভ্রমণকারীদের নজরে রয়েছে।

বড় ইভেন্টগুলোর টানে ভিড় জমছে
২০২৬ সালে ভ্রমণকারীরা বড় ধরনের সাংস্কৃতিক, খেলাধুলা এবং সংগীত অনুষ্ঠানগুলোকে ঘিরে তাদের যাত্রা পরিকল্পনা করছেন। এয়ারবিএনবি-এর তথ্য অনুযায়ী, আগামী বছরের জন্য শীর্ষ-অনুসন্ধান করা তারিখ এবং শহরগুলোর ৬৫ শতাংশই প্রধান ইভেন্টগুলোর সঙ্গে মিলে যায়। যেমন ফিফা বিশ্বকাপ, কার্নিভাল বা কোচেলা। ভ্রমণকারীরা এই অভিজ্ঞতাগুলোকে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন, যেন টিকিটই তাদের পাসপোর্টে পরিণত হচ্ছে। কার্নিভালের জন্য রিউ দে জানেরো, কোচেলার জন্য ইন্ডিয়ো, মার্ডি গ্রাস-এর জন্য নিউ অর্লিন্স এবং ২০২৬ অলিম্পিক উইন্টার গেমসের জন্য ইতালির মিলান শীর্ষ অনুসন্ধান তালিকায় রয়েছে।
একক ভ্রমণের পুনরুত্থান
একাকী ভ্রমণ বা সোল ট্রাভেল আবার তার কৃতিত্ব ফিরে পাচ্ছে। স্ব-আবিষ্কারের অনলাইন আলোচনায় উৎসাহিত হয়ে, একক ভ্রমণকারীরা এখন কেবল পুরোনো জায়গায় ফিরে যাচ্ছেন না বরং নতুন হটস্পট আবিষ্কার করছেন। ক্যালিফোর্নিয়ার ইডিল্ডওয়াইল্ড, ডোমিনিকান রিপাবলিকের লা আলতাগ্রেসিয়া এবং নরওয়ের ট্রোমসো-এর মতো জায়গাগুলোতে অনুসন্ধান তিন অঙ্কের বৃদ্ধি দেখছে। অন্যান্য জনপ্রিয় একক ভ্রমণের গন্তব্যের মধ্যে রয়েছে পর্তুগালের আলগার্ভ অঞ্চল, স্পেনের কোস্টা দেল সল, ফ্লোরিডা কিস এবং স্কটল্যান্ডের ইনভারনেস।
রন্ধনশিল্পের প্রতি আকর্ষণ
২০২৬ সালের জন্য খাবার ও পানীয় সম্পর্কিত ভ্রমণ যেন একেবারে আগুন ঝরাচ্ছে। যেখানে বেকারি ক্লাস এবং ওয়াইন অঞ্চলগুলো শীর্ষে রয়েছে। প্যারিসে ক্রোসঁ তৈরির ক্লাস বা টোকিওতে মোচি বানানো শেখার মতন হাতে-কলমে অভিজ্ঞতার দিকে ভ্রমণকারীরা ঝুঁকছেন। ভাইরাল হওয়া টিকটক ফুড ভিডিওগুলো বিশ্বজুড়ে বেকারি এবং রান্নার ক্লাসের প্রতি আগ্রহ তৈরি করছে। ওয়াইন-প্রেমীরা বেঙ্গালুরু (ভারত), ফিঙ্গার লেকস (নিউ ইয়র্ক), মেলবোর্ন (অস্ট্রেলিয়া)-এর মতো উঠতি ওয়াইন অঞ্চলগুলিতে যাচ্ছেন। বেকারি-হটস্পটগুলোর মধ্যে ইস্তাম্বুল, লিসবন, প্যারিস, তাইপে এবং টোকিও বিশেষ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।
সূত্র: ট্রাভেল+লিজার

আপনি যদি ২৫ সালের শেষে এসে বারবার ভাবেন, "সময় কোথায় গেল? " তবে জেনে রাখুন, এই অনুভূতি কেবল আপনার একার নয়। সময় মুহূর্তের মধ্যে ফুরিয়ে যায় নদীর স্রোতের মতন। দেখতে দেখতে আমরা আরও একটি বছরের প্রায় শেষ প্রান্তে পৌঁছে গেছি। তবে চিন্তার কিছু নেই, কারণ নতুন বছর আমাদের জন্য নতুন করে ঘুরে দেখার আর অ্যাডভেঞ্চারের সুযোগ নিয়ে আসছে। আর এই সুযোগগুলো কাজে লাগাতে সাহায্য করার জন্য এয়ারবিএনবি প্রকাশ করেছে ২০২৬ সালের জন্য তাদের ভ্রমণ প্রবণতা পূর্বাভাস।
এই হোম-শেয়ারিং প্ল্যাটফর্মটির বিশ্লেষণ অনুযায়ী, আগামী বছর ভ্রমণকারীরা তাদের ছুটি থেকে সর্বোচ্চ সুবিধা নিতে চাইবেন। যা হবে অভিজ্ঞতার কেন্দ্রিক। তাদের রিপোর্টে বেশ কয়েকটি মূল বিষয় উঠে এসেছে। যা আপনাকেও বিশ্ব ভ্রমণের ক্ষেত্রে এগিয়ে থাকতে সাহায্য করতে পারে। এখানে উল্লিখিত পূর্বাভাসগুলো ইঙ্গিত দেয় যে ২০২৬ সালে ভ্রমণ হবে আরও সংক্ষিপ্ত, প্রকৃতির কাছাকাছি, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ভরপুর এবং অবশ্যই খাদ্য-কেন্দ্রিক। আপনিও আপনার পরবর্তী ভ্রমণের জন্য এই নতুন ধারাগুলো বিবেচনা করতে পারেন।

জেনও জিদের আলট্রা-শর্ট আন্তর্জাতিক ট্রিপ
২০২৬ সালে ভ্রমণের সংজ্ঞাই পাল্টে দিচ্ছে জেনারেশন জি বা জেন জি। বিশাল, বহু-সপ্তাহব্যাপী ভ্রমণের পরিকল্পনাকে ভুলে যান। জেন জি আমাদের শেখাচ্ছে কীভাবে ৪৮ ঘণ্টা বা তারও কম সময়ে যেকোনো স্থানে উড়ে যাওয়া যায়। এয়ারবিএনবি-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, জেন জি রা ’কুইক ট্রিপ’-এর ধারণাটি নতুন করে সংজ্ঞায়িত করছে। দীর্ঘ অবকাশের তুলনায় তাদের ১-২ দিনের আন্তর্জাতিক যাত্রা দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে। টিকটক-এর ভাইরাল ডে-ট্রিপ ট্রেন্ড দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে, এই তরুণ প্রজন্ম সংস্কৃতি-সমৃদ্ধ, উচ্চ-শক্তির অভিজ্ঞতার জন্য মহাদেশ পাড়ি দিচ্ছে। এয়ারবিএনবি বলছে, জেন জি রা কর্মবিরতি সর্বাধিক ভাবে ব্যবহার করার এক নতুন কৌশল দেখাচ্ছে। তারা শান্ত সমুদ্র সৈকতের বদলে বেছে নিচ্ছে সংগীত, নৃত্য, ঐতিহাসিক স্থান এবং খাঁটি খাবারে পূর্ণ প্রাণবন্ত শহুরে অভিজ্ঞতা। এই প্রজন্মের পছন্দের গন্তব্যগুলোর মধ্যে রয়েছে বুয়েনোস আইরেস (আর্জেন্টিনা), বুসান (দক্ষিণ কোরিয়া), কো সামুই (থাইল্যান্ড), মারাকেশ (মরক্কো), মেক্সিকো সিটি (মেক্সিকো), সান জুয়ান (পুয়ের্তো রিকো) এবং স্টকহোম (সুইডেন)।
প্রকৃতির সঙ্গে আরও বেশি সময় কাটানো
প্রকৃতির সান্নিধ্য লাভ করা ২০২৫ সালেও একটি জনপ্রিয় প্রবণতা ছিল। আর ২০২৬ সালে এটি আরও বেগবান হবে। এয়ারবিএনবি জানিয়েছে যে বিশ্বজুড়ে জাতীয় উদ্যানগুলির প্রতি অনুসন্ধান এবং আগ্রহ উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, একটি জাতীয় উদ্যানের কাছাকাছি থাকার জায়গা খোঁজার হার আগামী বছরের জন্য ৩৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে গ্রেট স্মোকি মাউন্টেনস, শেনানডোহ এবং গ্র্যান্ড টেটনের মতো মার্কিন পার্কগুলোর শতবর্ষ উদ্যাপনের কারণে সেগুলোর প্রতি আগ্রহ আরও বাড়ছে। বৈশ্বিক গন্তব্যগুলোর মধ্যে স্যামারিয়া জর্জ ন্যাশনাল পার্কের কাছাকাছি গ্রিসের ক্রিট, ভিয়েনা, ইন্ডিয়ার গোয়া এবং ইতালির সার্ডিনিয়ার মতো স্থানগুলো ভ্রমণকারীদের নজরে রয়েছে।

বড় ইভেন্টগুলোর টানে ভিড় জমছে
২০২৬ সালে ভ্রমণকারীরা বড় ধরনের সাংস্কৃতিক, খেলাধুলা এবং সংগীত অনুষ্ঠানগুলোকে ঘিরে তাদের যাত্রা পরিকল্পনা করছেন। এয়ারবিএনবি-এর তথ্য অনুযায়ী, আগামী বছরের জন্য শীর্ষ-অনুসন্ধান করা তারিখ এবং শহরগুলোর ৬৫ শতাংশই প্রধান ইভেন্টগুলোর সঙ্গে মিলে যায়। যেমন ফিফা বিশ্বকাপ, কার্নিভাল বা কোচেলা। ভ্রমণকারীরা এই অভিজ্ঞতাগুলোকে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন, যেন টিকিটই তাদের পাসপোর্টে পরিণত হচ্ছে। কার্নিভালের জন্য রিউ দে জানেরো, কোচেলার জন্য ইন্ডিয়ো, মার্ডি গ্রাস-এর জন্য নিউ অর্লিন্স এবং ২০২৬ অলিম্পিক উইন্টার গেমসের জন্য ইতালির মিলান শীর্ষ অনুসন্ধান তালিকায় রয়েছে।
একক ভ্রমণের পুনরুত্থান
একাকী ভ্রমণ বা সোল ট্রাভেল আবার তার কৃতিত্ব ফিরে পাচ্ছে। স্ব-আবিষ্কারের অনলাইন আলোচনায় উৎসাহিত হয়ে, একক ভ্রমণকারীরা এখন কেবল পুরোনো জায়গায় ফিরে যাচ্ছেন না বরং নতুন হটস্পট আবিষ্কার করছেন। ক্যালিফোর্নিয়ার ইডিল্ডওয়াইল্ড, ডোমিনিকান রিপাবলিকের লা আলতাগ্রেসিয়া এবং নরওয়ের ট্রোমসো-এর মতো জায়গাগুলোতে অনুসন্ধান তিন অঙ্কের বৃদ্ধি দেখছে। অন্যান্য জনপ্রিয় একক ভ্রমণের গন্তব্যের মধ্যে রয়েছে পর্তুগালের আলগার্ভ অঞ্চল, স্পেনের কোস্টা দেল সল, ফ্লোরিডা কিস এবং স্কটল্যান্ডের ইনভারনেস।
রন্ধনশিল্পের প্রতি আকর্ষণ
২০২৬ সালের জন্য খাবার ও পানীয় সম্পর্কিত ভ্রমণ যেন একেবারে আগুন ঝরাচ্ছে। যেখানে বেকারি ক্লাস এবং ওয়াইন অঞ্চলগুলো শীর্ষে রয়েছে। প্যারিসে ক্রোসঁ তৈরির ক্লাস বা টোকিওতে মোচি বানানো শেখার মতন হাতে-কলমে অভিজ্ঞতার দিকে ভ্রমণকারীরা ঝুঁকছেন। ভাইরাল হওয়া টিকটক ফুড ভিডিওগুলো বিশ্বজুড়ে বেকারি এবং রান্নার ক্লাসের প্রতি আগ্রহ তৈরি করছে। ওয়াইন-প্রেমীরা বেঙ্গালুরু (ভারত), ফিঙ্গার লেকস (নিউ ইয়র্ক), মেলবোর্ন (অস্ট্রেলিয়া)-এর মতো উঠতি ওয়াইন অঞ্চলগুলিতে যাচ্ছেন। বেকারি-হটস্পটগুলোর মধ্যে ইস্তাম্বুল, লিসবন, প্যারিস, তাইপে এবং টোকিও বিশেষ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।
সূত্র: ট্রাভেল+লিজার

দার্জিলিং সব সময় বাংলাদেশের মানুষের প্রিয় ভ্রমণ গন্তব্যগুলোর একটি। সহজে ও কম খরচে যাতায়াতের পাশাপাশি বই, সিনেমার বদৌলতে আমরা ভালোই চিনি দার্জিলিংকে। আমার যেমন দার্জিলিংয়ের প্রতি ভালোবাসা ও দার্জিলিংকে চেনা শুরু ফেলুদার ‘দার্জিলিং জমজমাট’ বইটি দিয়ে। তারপর অঞ্জন দত্তের গানেসহ আরও কত ভাবে যে পেলাম দার্
১০ মার্চ ২০২৩
সুস্থ, সচেতন ও সক্রিয় নগরজীবন গঠনের বিভিন্ন আন্দোলন আছে ঢাকা শহরে। আছে তাদের নিয়মিত ইভেন্ট। এ ইতিহাসে যুক্ত হলো ‘ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে’ ম্যারাথন। এর আয়োজক ছিল ক্রীড়া প্রতিষ্ঠান ট্রায়াথলন ড্রিমার্স। আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, এটি ছিল ঢাকায় অনুষ্ঠিত দেশের প্রথম এআইএমএস সার্টিফায়েড ৩০ কিলোমিটার ম্যারাথন।...
৬ ঘণ্টা আগে
আমাদের শরীর ও মন পরস্পর ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত। আমরা যখন দুশ্চিন্তা করি বা মানসিক চাপে থাকি, তখন শরীরে এর প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়; যা আমাদের স্নায়ুতন্ত্রকে প্রভাবিত করে এবং এর ফলে অনেক সময় শরীরে চুলকানি বা জ্বালাপোড়ার মতো হতে পারে। এই অবস্থাকেই বলে ‘অ্যাংজাইটি ইচিং’ বা উদ্বেগজনিত চুলকানি।...
৮ ঘণ্টা আগে
বিলাসিতা কেমন হতে পারে? এর উত্তর খুঁজতে গেলে আমাদের চোখ চলে যায় পৃথিবীর সেই সব বিরল উপাদানের দিকে, যেগুলোর মূল্য প্রায় আকাশছোঁয়া। এই উপাদানগুলোর দুর্লভতা এবং অনন্যতাই তাদের করে তুলেছে বিশেষ। যারা জীবনের সেরা জিনিসগুলোর খোঁজ করেন তাদের জন্য এই ধরনের খাবার উপভোগ করতে পারা একটি বিশেষ চাহিদা হতে পারে।
১৪ ঘণ্টা আগে