Ajker Patrika

বিএনপির পদযাত্রা: ঝালকাঠিতে পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে ১৬ নেতা-কর্মী আটক

ঝালকাঠি প্রতিনিধি
আপডেট : ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৫: ৫২
বিএনপির পদযাত্রা: ঝালকাঠিতে পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে  ১৬ নেতা-কর্মী আটক

ঝালকাঠিতে পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে বিএনপির ১৬ জন নেতা-কর্মীকে আটক করা হয়েছে। আজ শনিবার দুপুরে শহরের আমতলা সড়কে বিএনপির পদযাত্রার কর্মসূচি শেষে তাঁদের আটক করা হয়। পুলিশের দাবি, বিএনপির নেতা-কর্মীদের হামলায় ঝালকাঠি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) পুলিশের ছয় সদস্য আহত হয়েছেন। তবে জেলা বিএনপি বলছে, ছাত্রলীগ ও যুবলীগ এই হামলা চালিয়েছে। এতে বিএনপির আট নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। তবে ছাত্রলীগ ও যুবলীগ এই হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। 

ঝালকাঠি সদর থানার ওসি নাসির উদ্দিন সরকার পুলিশ আহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘কেন্দ্র ঘোষিত জেলা বিএনপির পদযাত্রার কর্মসূচি শেষে নেতা-কর্মীরা ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশের ওপরে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করেন। এতে পুলিশের ছয় সদস্য আহত হয়েছেন। পুলিশের ওপরে হামলার অভিযোগে জেলা যুবদলের সদস্যসচিব আনিসুর রহমান খানসহ ১৬ নেতা-কর্মীকে আটক করা হয়েছে।’

আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন ঝালকাঠি সদর থানার ওসি ফিরোজ কামাল, উপপরিদর্শক (এসআই) মো. শফিকুর রহমান, এসআই খোকন হাওলাদার, এসআই নজরুল ইসলাম এএসআই শিপন ও কনস্টবল মতিয়ার রহমান। এরা ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। 

বিএনপির নেতা-কর্মীদের দাবি, কর্মসূচি শেষে দলীয় কার্যালয়ে নেতা-কর্মীরা অবস্থান করছিলেন। এ সময় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীরা অফিসে হামলা চালান। এতে জেলা বিএনপির সদস্যসচিব শাহাদাৎ হোসেনসহ বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের আট নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। 

এ নিয়ে জেলা বিএনপির সদস্যসচিব শাহাদাৎ হোসেন বলেন, ‘ছাত্রলীগ-যুবলীগ আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা করেছে। আহত নেতা-কর্মীরা গ্রেপ্তারের আতঙ্কে চিকিৎসাও নিতে পারছেন না। পুলিশের ওপর হামলার মিথ্যা অভিযোগে আমাদের ১৬ জন নেতা-কর্মীকে আটক করা হয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।’ 

এই অভিযোগ অস্বীকার করে যুবলীগের আহ্বায়ক জাকির হোসেন বলেন, ‘বিএনপির কর্মসূচিতে আমরা কেন যাব! তারা আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ করছে।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হবিগঞ্জে ট্রাকচাপায় নারী নিহত

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

হবিগঞ্জ সদর উপজেলার পোদ্দারবাড়ি বাইপাস এলাকায় ট্রাকচাপায় সুজিনা আক্তার (২০) নামে এক নারী নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) রাত ৮টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত সুজিনা আক্তার হবিগঞ্জ সদর উপজেলার ৪ নম্বর পৈল ইউনিয়নের পৈল নাজিরপুর গ্রামের মো. মানিক মিয়ার মেয়ে।

হবিগঞ্জ সদর থানা-পুলিশ জানায়, ঢাকা মেট্রো-ট-২০-১৭২৮ নম্বরের একটি ট্রাক পোদ্দারবাড়ি বাইপাস এলাকায় সুজিনাকে চাপা দিলে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। দুর্ঘটনার পর চালক পালিয়ে যান।

হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম শাহাবুদ্দিন শাহিন জানান, মরদেহ উদ্ধার করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ট্রাকচালককে শনাক্তের চেষ্টা চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে শিক্ষককে গণপিটুনি

আক্কেলপুর (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি 
অভিযুক্ত শিক্ষক আল আমিন। ছবি: সংগৃহীত
অভিযুক্ত শিক্ষক আল আমিন। ছবি: সংগৃহীত

জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে শিক্ষককে গণপিটুনি দিয়েছেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ওই শিক্ষককে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় আক্কেলপুর দারুল কোরআন পৌর কওমি মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত শিক্ষক আল আমিন চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার বারইছা গ্রামের জাফর হোসেনের ছেলে।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মা বলেন, ‘ছেলেকে কোরআনের হাফেজ বানানোর জন্য ভর্তি করেছিলাম। রাতে আমার ছেলে মাদ্রাসায়ই থাকত। ১ ডিসেম্বর রাত ১০টার দিকে আল আমিন (শিক্ষক) আমার ছেলেকে ওই কাজ করেছে। এরপর থেকে ছেলের চলাফেরায় সন্দেহ হলে জিজ্ঞেস করি। ছেলে আমার কাছে ঘটনা খুলে বলে। এরপর মাদ্রাসায় গিয়ে ওই শিক্ষককে ধরি, তখন উপস্থিত লোকজনের সামনে ছেলেকে এই কাজ করার কথা স্বীকার করে আল আমিন।’

ধর্ষণের কথা স্বীকার করে অভিযুক্ত শিক্ষক আল আমিন বলেন, ‘আমি দোষ স্বীকার করছি। আল্লাহর কাছে তওবা করেছি। আমাকে ক্ষমা করে দেবেন।’

আক্কেলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের কথা অভিযুক্ত শিক্ষক স্বীকার করেছেন। তিনি ওই মাদ্রাসার হেফজখানার শিক্ষক ছিলেন। তাঁর (শিক্ষকের) বিরুদ্ধে মামলা করার প্রক্রিয়া চলছে। আইনিপ্রক্রিয়া শেষে শনিবার সকালে তাঁকে আদালতে পাঠানো হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মুন্সিগঞ্জে মনোনয়ন দ্বন্দ্বে বিএনপির দুই পক্ষে সংঘর্ষ, আহত ৭

মুন্সিগঞ্জ ও গজারিয়া প্রতিনিধি
সংঘর্ষের সময় ভাঙচুর হওয়া গাড়ি। ছবি: আজকের পত্রিকা
সংঘর্ষের সময় ভাঙচুর হওয়া গাড়ি। ছবি: আজকের পত্রিকা

মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় বিএনপির মনোনয়নকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার দিকে উপজেলার জামালদী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ সংঘর্ষ হয়। এ সময় ককটেল বিস্ফোরণ ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে। এতে অন্তত সাতজন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে দলীয় সূত্র।

আহত ব্যক্তিদের মধ্যে স্বাধীন (২৪), সাইদুল (২৫), দেলোয়ার হোসেন (৪৯), সাহিদা বেগম (৫৫), জাকির হোসেন (৪০) ও সিহাদের (১৭) নাম নিশ্চিত হওয়া গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মুন্সিগঞ্জ-৩ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন কেন্দ্রীয় কমিটির সমাজকল্যাণ সম্পাদক কামরুজ্জামান রতন। কিন্তু দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী সাবেক এমপি আব্দুল হাইয়ের ছোট ভাই জেলা বিএনপির সদস্যসচিব মো. মহিউদ্দিনের সমর্থকেরা এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ হয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় মশাল মিছিলের আয়োজন করেন। মিছিল শুরুর আগেই উভয় পক্ষের মধ্যে ঝামেলা বাধে। এরপর সংঘর্ষ, ককটেল বিস্ফোরণ এবং উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আলী হোসেনের গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।

হামদর্দ জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. আশরাফ হোসেন রাজু জানান, দুজন রোগী চিকিৎসার জন্য এসেছিলেন। তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। স্বাধীন নামের একজনের অবস্থা গুরুতর, তাঁর দুই হাত ও মাথায় আঘাত রয়েছে।

কামরুজ্জামান রতনের সমর্থক ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মাসুদ ফারুক বলেন, রতন গজারিয়ার সন্তান। তিনি দলীয় মনোনয়ন পাওয়ায় এলাকায় আনন্দের পরিবেশ ছিল। হামলার ঘটনা দুঃখজনক।

অন্যদিকে মো. মহিউদ্দিনের সমর্থক আলী হোসেন বলেন, ‘সন্ত্রাসীরা আমার অফিসে হামলা চালিয়েছে, গাড়ি ভেঙে চুরমার করেছে; এমনকি আমার বাড়িতেও হামলার চেষ্টা করেছে। আমার কয়েকজন সমর্থক আহত হয়েছেন, এখন তাঁদের নিয়ে হাসপাতালে আছি।’

বিএনপির মনোনীত প্রার্থী কামরুজ্জামান রতন বলেন, ‘হাসপাতালে থাকা অবস্থায় ঘটনাটি শুনলাম। অত্যন্ত দুঃখজনক। যারা জড়িত তাদের বিচার চাই। নেতা-কর্মীদের বলব, দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে ঐক্যবদ্ধ থাকুন।’

গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার আলম আজাদ বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। একটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। সেনাবাহিনীসহ আমরা ঘটনাস্থলে আছি, পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আমতলীতে ধান কাটতে বাধা দেওয়ায় চার নারীসহ পাঁচজনকে কুপিয়ে জখম

আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি 
আহতদের প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
আহতদের প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

বরগুনার আমতলীতে ধান কাটতে বাধা দেওয়ায় চার নারীসহ পাঁচজনকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে দক্ষিণ তক্তাবুনিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহতদের আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

স্থানীয় সূত্র ও ভুক্তভোগীদের বক্তব্যে জানা যায়, দক্ষিণ তক্তাবুনিয়া গ্রামের মন্নাফ হাওলাদার ও জামাল গাজীর মধ্যে ১৫ একর জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। গত ১১ নভেম্বর ঘাস কাটাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় উভয় পক্ষ আদালতে মামলা করে। জামাল গাজীর করা একটি মামলায় মন্নাফ হাওলাদারসহ ১২ জন কারাগারে রয়েছেন।

এদিকে আজ শুক্রবার বিকেলে ওই জমির ধান কাটতে যান জামাল গাজীর ভাই ও হলদিয়া ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আরিফ গাজীর নেতৃত্বে কয়েকজন। এ সময় মন্নাফ হাওলাদারের বাড়ির নারীরা বাধা দিলে তাঁদের ওপর হামলা চালানো হয়। ধারালো অস্ত্রের কোপে গুরুতর আহত হন কদভানু (৪৫), শেফালী (৪০), নুর নাহার (৩৫), মমতাজ (৭০) ও সাদ্দাম হোসেন (৩০)। ভুক্তভোগীরা জানান, ৯৯৯-এ ফোন দিলে পুলিশ গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। তাঁদের মধ্যে কদভানু ও নুর নাহারের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন।

মন্নাফ হাওলাদারের জামাতা শহীদুল ইসলাম অভিযোগ করেন, আহতদের বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে আসামাত্রই আরিফ গাজীর লোকজন তাঁদের বাধা দেয়। এ সময় তারা একজনকে মারধর করে। আহতদের আমতলী হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠান চিকিৎসকেরা। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ শুক্রবার রাত ৮টার দিকে জাকারিয়া, সগির ও লিপি বেগম নামের তিনজনকে আটক করেছে।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে আরিফ গাজী বলেন, ‘ঘটনাস্থলে আমি ছিলাম না। আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা।’

আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার রাশেদ মাহমুদ রোকনুজ্জামান জানান, গুরুতর আহত পাঁচজনকে বরিশালে পাঠানো হয়েছে। দুজনের অবস্থা গুরুতর।

আমতলী থানার ওসি দেওয়ান জগলুল হাসান জানান, ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত