Alexa
শুক্রবার, ৩১ মার্চ ২০২৩

সেকশন

epaper
 

আওয়ামী লীগে শৃঙ্খলাভঙ্গ

ক্ষমা পেলেও পদ পাচ্ছেন না

আপডেট : ৩১ জানুয়ারি ২০২৩, ০৮:৩৩

উপরে বাঁ থেকে ডা. মুরাদ হাসান, জাহাঙ্গীর আলম ও হুমায়ুন কবীর রুমান; নীচে বাঁ থেকে এ.ডি.এম শহিদুল ইসলাম, মশিউর রহমান মামুন ও মাহমুদুল হাসান মারুফ আগামী জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে ঘর গুছিয়ে নিচ্ছে আওয়ামী লীগ। এর অংশ হিসেবে বিভিন্ন সময় শৃঙ্খলা-ভঙ্গকারী নেতা-কর্মীদের প্রতি নমনীয় হয়েছে দলটি। সংগঠনবিরোধী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ স্বীকার করে যাঁরা ক্ষমা চেয়েছেন, এরই মধ্যে তাঁদের অনেককেই ক্ষমা করে দেওয়া হয়েছে। প্রত্যাহার করা হয়েছে বহিষ্কারাদেশ। তবে তাঁরা দলীয় কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের সুযোগ পেলেও আগের পদপদবি ফিরে পাচ্ছেন না।

আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, প্রায় প্রতিদিনই তৃণমূলের বহিষ্কৃত নেতারা ক্ষমা চেয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে চিঠি দিচ্ছেন। আবার অনেকে ক্ষমাপ্রাপ্তির চিঠি গ্রহণ করছেন। এটা চলমান প্রক্রিয়া হওয়ায় এখন পর্যন্ত ঠিক কতজনকে ক্ষমা করা হয়েছে, সেই তথ্য জানা যায়নি।যদিও সম্প্রতি শতাধিক নেতার ক্ষমার চিঠি প্রস্তুত বলে এক অনুষ্ঠানে জানিয়েছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

ক্ষমা চেয়ে দলে ফেরা নেতাদের অধিকাংশই স্থানীয় সরকার নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ার অপরাধে দল থেকে অব্যাহতি পেয়েছিলেন। এ ছাড়া বিভিন্ন সময় বিতর্কিত মন্তব্য করে শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে বাদ পড়া নেতারাও আছেন এই তালিকায়। তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন গাজীপুর সিটি করপোরেশনের বহিষ্কৃত মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম।

শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে অব্যাহতিপ্রাপ্ত সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানও ক্ষমা পেয়েছেন বলে জানা গেছে। এ ছাড়া বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টার  পদ থেকে অব্যাহতি পাওয়া সংসদ সদস্য পংকজ দেবনাথও চিঠি দিয়েছেন।

তবে তাঁর জবাব গৃহীত হয়েছে কি না জানা যায়নি। বিষয়টি সম্পর্কে জানতে পংকজ দেবনাথের ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। খুদে বার্তা পাঠানো হলেও উত্তর দেননি।

বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার হওয়া উল্লেখযোগ্য আরও কয়েকজন হলেন শেরপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির রুমান, শ্রীবরদী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ ডি এম শহিদুল ইসলাম, নকলা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহ মোহাম্মদ বোরহান উদ্দিন, নালিতাবাড়ী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোকলেছুর রহমান লেবু, টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি কাজী অলিদ ইসলাম, টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক দেলদুয়ার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান মারুফ, কালিহাতী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনছার আলী বিকম, টাঙ্গাইল সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট খোরশেদ আলম, হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন খান, মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলা চেয়ারম্যান মসিউর রহমান মামুন প্রমুখ।

জানা গেছে, বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের চিঠি হাতে পাওয়ার পর এখন পদ ফিরে পাওয়ার চেষ্টা করছেন অনেকে। তাঁরা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় প্রভাবশালী নেতাদের কাছে ধরনা দিচ্ছেন, যাতে তাঁরা বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকের কাছে সুপারিশ করেন। তবে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার হলেও এখন তাঁরা পদপদবি ফিরে পাচ্ছেন না বলে আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা জানিয়েছেন।

জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মুহাম্মদ ফারুক খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, শৃঙ্খলাভঙ্গকারী এবং নৌকার বিরুদ্ধে প্রার্থী হওয়ার অভিযোগে অভিযুক্তরা ক্ষমা চেয়ে চিঠি দিলে তখনই হয়তো সেটা বিবেচনায় নেওয়া হবে। তবে এ ক্ষেত্রে তাঁরা অতীতে যে পদে ছিলেন, সে পদে থাকবেন না।

একই কথা বলেছেন আওয়ামী লীগের বরিশাল বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেনও। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, যাঁদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার হয়েছে, তাঁদের আগের পদে ফিরে যাওয়ার সুযোগ নেই। তাঁরা নিজেদের ভুলের কথা স্বীকার করে দলীয় সভাপতির কাছে চিঠি দিয়েছেন।সেখানে কোথাও আগের পদ ফিরে পাওয়ার আবেদন ছিল না। নেত্রী ক্ষমা করে দিয়েছেন। এখন তাঁরা সাংগঠনিক দক্ষতা প্রমাণ করে সম্মেলনের মাধ্যমে তৃণমূলের মতামত নিয়ে নেতৃত্বে আসতে পারবেন।

প্রসঙ্গত, আওয়ামী লীগে বিদ্রোহী নেতার সংখ্যা বেড়ে যায় দলীয় প্রতীকে স্থানীয় সরকার নির্বাচন শুরুর পর থেকে। আইন সংশোধন করে ২০১৫ সালে প্রথম দলীয় প্রতীকে স্থানীয় সরকার নির্বাচন হয় দেশে। প্রথম নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থীতে নাকাল হতে হয়েছিল ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে। সেই সময় বিদ্রোহীদের সাময়িক বহিষ্কার করা হলেও পরে তা তুলে নেওয়া হয়। সর্বশেষ অনুষ্ঠিত দলীয় প্রতীকে উপজেলা ও ইউপি নির্বাচন বর্জন করে বিএনপি। এতে ৪৯২টি উপজেলার মধ্যে ১৬৮ থেকে ১৭০টি নৌকা পরাজিত হয় বিদ্রোহীদের কাছে। সাড়ে চার হাজার ইউপির মধ্যে দেড় হাজারের বেশি ইউপিতে বিদ্রোহীদের কাছে কুপোকাত হয় নৌকা। দলীয় ইমেজ রক্ষায় বিদ্রোহীদের দল থেকে অব্যাহতি দেয় দলটি।

মন্তব্য

আপনার পরিচয় গোপন রাখতে
আমি নীতিমালা মেনে মন্তব্য করছি।
Show
 
    সব মন্তব্য

    ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে

    এলাকার খবর

     
     
    ভোটের মাঠে

    কুমিল্লা-২: মেরীর মুখোমুখি খন্দকার মোশাররফ

    ফ্লাইটে প্রবাসীর মৃত্যু: বৈমানিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে বিমান

    চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়: অস্থিরতার মূলে স্বার্থ ও নিয়োগ-বাণিজ্য

    দ্বৈত নাগরিকত্ব: সহজ হচ্ছে আবেদন ও ফি প্রদান প্রক্রিয়া

    বিকেলের স্বাস্থ্যসেবায় কেউ খুশি, কেউ হতাশ

    ভোটের মাঠে

    নীলফামারী-২: আওয়ামী লীগে নূরের বিকল্প নেই

    দেশের মানুষ শান্তিতে খাদ্য গ্রহণ করে যাচ্ছে: সুজিত রায়

    শ্রীপুরে মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে চালকের মৃত্যু

    বান্দরবানে ভারতীয় নাগরিককে আটক করেছে বিজিবি

    পাকিস্তানে জাকাত বিতরণের সময় পদদলিত হয়ে ১১ নারী-শিশুর মৃত্যু

    মেয়েকে নিয়ে প্রথমবার ভারতে প্রিয়াঙ্কা

    এবার ভোট চুরি করতে দেবে না বিএনপি: আমীর খসরু