বগুড়া শহীদ জিয়া মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শারীরিক প্রতিবন্ধী ওই যুবক গ্যাস ট্যাবলেট সেবনের পর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
গতকাল শনিবার গ্যাস ট্যাবলেট সেবনের আগে ওই যুবকের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে আত্মহত্যার ইঙ্গিতমূলক পোস্ট দেন। আজ রোববার সকাল ৮টার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
যুবকের নাম হৃদয় হাসান (১৮)। বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার সৈয়দপুর ইউনিয়নের কিশোরীপুর গ্রামের রুবেল মিয়ার ছেলে। হাসান পেশায় একজন অটো ভ্যানচালক ছিলেন।
পরিবার বলছে, গতকাল শনিবার রাতের খাবার খেয়ে নিজের শোয়ার ঘরে ঘুমাতে যান হাসান। সেখানে তিনি গ্যাস ট্যাবলেট সেবন করে চিৎকার করতে থাকেন। চিৎকার শুনে পরিবারের লোকজন তাকে নিয়ে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার সকাল ৮টায় তাঁর মৃত্যু হয়।
হৃদয় হাসানের বাবা রুবেল মিয়া আজকের পত্রিকাকে জানান, ‘হাসান ছোটবেলায় একটি দুর্ঘটনায় পায়ে আঘাত পায়। সেই থেকে সে খুঁড়িয়ে হাঁটতেন। খুব স্বাভাবিক জীবন যাপন করত আমার ছেলে। তাঁর সাথে কারও কোনো বিরোধ নাই। কী কারণে সে আত্মহত্যা করল, কিছু বলতে পারছি না।’
হাসানের স্থানীয় বন্ধুরা জানান, গতকাল রাতে হাসান ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন। তাঁর সেই ফেসবুক পোস্টে লেখা—আমার বন্ধুরা তোমাদের পায়ে ধরে বলছি, আমার পরিবারের দিকে একটু দেখবে। সবাই ভালো থাকবে, সুস্থ থাকবে। আর দেখা হবে না তোমাদের সাথে।’
রাজু হাসান নামের হৃদয় হাসানের এক বন্ধু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অনেক দিন থেকে হাসান বিরহ ও কষ্টের স্ট্যাটাস দিচ্ছিল ফেসবুকে। ওর ফেসবুক স্ট্যাটাস দেখে মনে হচ্ছে, প্রেমঘটিত কারণেই সে আত্মহত্যা করেছে।’
এ বিষয়ে মোকামতলা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আশিক ইকবাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হৃদয় হাসানের আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর কারণ জানা যায়নি। তবে মানসিক অবসাদ থেকে এমন ঘটনা ঘটতে পারে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে