Ajker Patrika

তরমুজ তো নয় যেন ‘সোনার হরিণ’

আমিনুল ইসলাম নাবিল
তরমুজ তো নয় যেন ‘সোনার হরিণ’

ঢাকা: গ্রীষ্মের তাপদাহে অতিষ্ঠ নগরবাসী। একে তো রোজার মাস আরেকে তো গ্রীষ্মকাল। এই সময়ে বাজারে তরমুজের চাহিদা অনেক। করোনা পরিস্থিতিতে ভাজাপোড়ার পরিবর্তে অনেকেরই ইফতারে পছন্দের তালিকার শীর্ষে রয়েছে তরমুজ। তবে পাইকারি ও খুচরা সব জায়গাতেই এবার তরমুজের দাম আকাশচুম্বী, যা নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তের সাধ্যের বাইরে।

তরমুজের এই অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধি নিয়ে পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতারা একে অপরকে দুষছেন। ক্রেতাদের আক্ষেপ শোনার যেন কেউ নেই।

রাজধানীর রায়সাহেব বাজারে তরমুজ কিনতে এসেছিলেন এক সিএনজি অটোরিকশা চালক। তাঁর কাছে মাঝারি আকারের একটি তরমুজের দাম হাঁকানো হয়েছে ৫৫০ টাকা। কিন্তু এত দাম দিয়ে তরমুজ কেনার সামর্থ্য তাঁর নেই। দাম শুনেই তিনি চলে যান। আজকের পত্রিকার প্রতিবেদককে এই সিএনজি অটোরিকশাচালক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, `এই মৌসুমে এখনো তরমুজ কিনতে পারিনি। প্রতিদিনই রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় দাম জিজ্ঞাসা করি, কিন্তু শেষমেশ আর কেনা হয় না।'

একই বাজারে তরমুজ কিনতে এসেছিলেন সদরঘাটের কাপড় ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, ৫০০ টাকা দিয়ে মাঝারি সাইজের একটি তরমুজ কিনলাম। আগে এগুলো ২০০ থেকে ২২০ টাকায় কেনা যেত। সরকারের মনিটরিং বাড়ানো উচিত।

কেজি হিসেবে, নাকি পিস হিসেবে তরমুজ কিনতে সুবিধা—জানতে চাইলে দেলোয়ার বলেন, কেজি দরেই বলেন, আর পিস হিসেবেই বলেন ওই দাম তো বাড়তিই। দিন শেষে ভোক্তাদের জন্য কোনো সুবিধা নেই।

ছবি:  আজকের পত্রিকাসরেজমিনে আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর পাইকারি ফলের আড়ত বাদামতলীতে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে তরমুজের দাম চড়া। আগের যেকোনো বছরের চেয়ে এ বছর দাম বেশি। মাঝারি আকারের ১০০ তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৩৫ হাজার টাকায়। সেই হিসাবে প্রতি পিস তরমুজের দাম পড়ে ৩৫০ টাকা।

বাদামতলীর ফলের আড়তদার কামাল হোসেন বলেন, এ বছর খরার কারণে তরমুজ উৎপাদন কম হয়েছে। একদিকে উৎপাদন কম, আরেকদিকে চাহিদা বেশি। তাই এবার দাম বেড়েছে তরমুজের। বরিশাল-বরগুনার তরমুজ শেষ বললেই চলে। এখন বাজারে বেশির ভাগ খুলনার তরমুজ।

বাদামতলীর শাহজাদী এন্টারপ্রাইজের মালিক সাব্বির হোসেন বলেন, পাইকারিতে দাম একটু বেশি। তবে খুচরা পর্যায়ে জেনেছি, দাম একদম অসহনীয়। তাঁরা অধিক মুনাফার লোভে এমনটি করছেন।

খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ২০০ টাকার নিচে কোনো তরমুজ নেই। মাঝারি আকারের তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকায়। আর বড় আকারের তররমুজ বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ থেকে ৭০০ টাকায়।

রাজধানীর নবাবপুর রোডে তরমুজ বিক্রি করেন মো. পাপ্পু। পাইকারি পর্যায়ে পিস হিসেবে তরমুজ কিনলেও তিনি বিক্রি করছেন কেজি হিসেবে। এর কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, `শুধু তো এই বছর না, মেলা বছর ধরেই কেজিতে তরমুজ বিক্রি হচ্ছে। তরমুজের দাম বেশি। একটা ছোট তরমুজ আড়াই শ-তিন শ (টাকা) দাম চাইলে কাস্টমার দৌড় দেয়। তাই বুদ্ধি খাটায়া কেজিতে বেচি। এর মধ্যে পুলিশরে টাকা দেওন লাগে। পরিবহন খরচ আছে, চান্দা আছে, কুলি খরচ, ১০ শতাংশ আড়তদারি খরচ—সব মিলায়া অনেক খরচ। কত তরমুজ পইচ্চা যায়; আমাগো লস হয়। সব হিসাব মিলায়াই ৬০ টাকা কেজিতে বেচতেসি।'

রাজধানীর রায়সাহেব বাজারের তরমুজ ব্যবসায়ী মো. ইয়ামিন বলেন, `কেজিতে কিনলেই কাস্টমার জিতে। কারণ আমি ৬০ টাকা কেজিতে বেচতেসি; পাশের দোকানে কিন্তু ৬৫ টাকায় কেউ বেচতে পারব না। কাস্টমার এহন চালাক আছে। সব দোকানে খোঁজ নিয়াই কিনে। মানুষ ভাবতেসে আমরা খুচরা দোকানদারেরা খুব লাভ করতেসি। কিন্তু আমরাও ভালো নাই। আমরা পাইকারিতে বেশি দামে কিনতেসি। তাই বাধ্য হইয়াই বেশি দামে বেচতেসি। এখানে আমাদের দোষ নাই। পাইকারিওয়ালারাই দাম বাড়ায়া দিসে।'

এবার বেচাবিক্রি কেমন হচ্ছে জানতে চাইলে ইয়ামিন বলেন, বেচাবিক্রি নেই বললেই চলে। এত দাম দিয়ে কেনার সামর্থ্য অনেকেরই নেই। আর শুধু তো তরমুজ না, বাজারে সবকিছুর দামই বেশি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ঢাকার পথে ওসমান হাদির পরিবার

ঝালকাঠি প্রতিনিধি
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর পর ঢাকার পথে রওনা হন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। ছবি: সংগৃহীত
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর পর ঢাকার পথে রওনা হন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। ছবি: সংগৃহীত

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর পর ঢাকার উদ্দেশে গ্রামের বাড়ি ছেড়েছেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা।

শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) বেলা ১টা ২০ মিনিটে ওসমান হাদির ছোট বোন মাসুমা ও তাঁর স্বামী আমির হোসেন হাওলাদার ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার খাসমহল এলাকা থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেন।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, ওসমান হাদির বৃদ্ধ মা, স্ত্রী ও একমাত্র সন্তান দীর্ঘদিন ধরে ঢাকায় বসবাস করছে। হাদির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে শুক্রবার সকাল থেকে ঝালকাঠির নলছিটি শহরের খাসমহলের বাড়িতে আত্মীয়স্বজন ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা ভিড় করেন। পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানাতে ছুটে আসেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ আরও অনেকে।

হাদির স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে অনেকেই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। এ সময় তাঁরা হাদির হত্যাকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। এলাকাবাসী এই বিপ্লবীকে শেষবারের মতো দেখার দাবিও জানান।

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) রাজধানীর পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে রিকশাযোগে যাওয়ার সময় মোটরসাইকেলে আসা দুর্বৃত্তরা ওসমান হাদিকে গুলি করে পালিয়ে যায়। গুরুতর অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য সোমবার তাঁকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে তিনি মারা যান।

ওসমান হাদির মরদেহ নিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইট সিঙ্গাপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করেছে। ফ্লাইটটি আজ সন্ধ্যায় রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের ক্ষতিগ্রস্ত ভবন পরিদর্শন আইজিপির

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের ক্ষতিগ্রস্ত ভবন পরিদর্শন করে পুলিশের আইজি বাহারুল আলম। ছবি: আজকের পত্রিকা
প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের ক্ষতিগ্রস্ত ভবন পরিদর্শন করে পুলিশের আইজি বাহারুল আলম। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো ও ফার্মগেট এলাকায় দ্য ডেইলি স্টারের ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগে ক্ষতিগ্রস্ত ভবন পরিদর্শন করেছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম। আজ শুক্রবার দুপুরে এই ভবন দুটি পরিদর্শন করেন।

পরিদর্শনকালে পুলিশের এই শীর্ষ কর্মকর্তা ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের আশপাশে ঘুরে দেখেন। এ সময় তিনি দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের কাছ থেকে ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা শোনেন। তবে পরিদর্শনকালে এ বিষয়ে আইজিপিকে প্রশ্ন করা হলেও তিনি কোনো উত্তর দেননি।

এর আগে, গতকাল রাতে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদি গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। প্রতিবাদে বিক্ষোভ করে একদল বিক্ষুব্ধ ছাত্র–জনতা দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার ভবনে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এই ঘটনায় কেউ হতাহত হননি।

সরেজমিন দেখা গেছে, আগুনে ডেইলি স্টার ও প্রথম আলোর ভবন দুটি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বর্তমানে গণমাধ্যম দুটির সব কার্যক্রম সাময়িক বন্ধ।

উল্লেখ্য, গত ১২ ডিসেম্বর নির্বাচনী প্রচারণাকালে রিকশায় ফেরার পথে গুলিবিদ্ধ হন শরিফ ওসমান হাদি। প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে ওই দিনই এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয় তাঁকে। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ১৫ ডিসেম্বর তাঁকে সিঙ্গাপুর নেওয়া হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সিঙ্গাপুর থেকে ওসমান হাদির মরদেহ নিয়ে ঢাকার পথে বিমান বিজি ৫৮৫

বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫: ২৩
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদি। ফাইল ছবি
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদি। ফাইল ছবি

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির মরদেহ নিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইট বিজি ৫৮৫ সিঙ্গাপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করেছে। ফ্লাইটটি আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস সূত্র জানিয়েছে, সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা ৩ মিনিটে (ঢাকার সময় বেলা ২টা ৩ মিনিটে) ফ্লাইট বিজি ৫৮৫ উড্ডয়ন করে। নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী, বিমানটি সন্ধ্যা আনুমানিক ৫টা ৫০ মিনিটে ঢাকায় পৌঁছাবে।

বিমান বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শফিকুর রহমান বলেন, মরদেহটি মর্যাদা ও সম্মানের সঙ্গে দেশে ফিরিয়ে আনতে সব ধরনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

এদিকে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে রাজনৈতিক অঙ্গনসহ ইনকিলাব মঞ্চের নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে গভীর শোকের আবহ তৈরি হয়েছে।

আজ দুপুরে ইনকিলাব মঞ্চের ফেসবুক পেজে বলা হয়, ‘শহীদ ওসমান হাদিকে বহনকারী বিমানটি সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে। আমাদের জুলাই জজবার প্রাণ, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার অকুতোভয় বীরকে গ্রহণ করতে আমরা সবাই এয়ারপোর্ট থেকে শাহবাগগামী রাস্তার দুই পাশে সুশৃঙ্খলভাবে অবস্থান গ্রহণ করব। সেখান থেকে শহীদ ওসমান হাদিকে সর্বসাধারণের সাক্ষাতের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে আনা হবে।’

ইনকিলাব মঞ্চ জানিয়েছে, আগামীকাল শনিবার জোহর নামাজের পর রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে ওসমান হাদির জানাজা হবে।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার পরদিন ১২ ডিসেম্বর ঢাকার পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করা হয়। প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে তাঁকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে ১৫ ডিসেম্বর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাঁকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বিয়ের তিন বছরের মাথায় স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
হত্যায় অভিযুক্ত সাকিব মিয়া। ছবি: সংগৃহীত
হত্যায় অভিযুক্ত সাকিব মিয়া। ছবি: সংগৃহীত

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় বিয়ের তিন বছরের মাথায় স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। নিহত নারীর নাম ইভা (২০)। তিনি এক কন্যাসন্তানের জননী।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তিন বছর আগে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে ইভা ও সাকিব মিয়ার (২২) বিয়ে হয়। তাঁদের ছয় মাস বয়সী এক কন্যাসন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকে ইভা বাবার বাড়িতে বসবাস করতেন।

বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে সাকিব মিয়া শ্বশুরবাড়িতে যান। রাত ১১টার দিকে পারিবারিক বিষয় নিয়ে তাঁদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে সাকিব ধারালো অস্ত্র দিয়ে ইভাকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর আহত করে পালিয়ে যান বলে অভিযোগ ওঠে।

পরে স্বজন ও প্রতিবেশীরা ইভাকে উদ্ধার করে কিশোরগঞ্জের সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আরিফুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে রাখা হয়েছে। অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে আগরপাট্টা গ্রামের বোরহান উদ্দিনের বাড়িসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হয়েছে। তবে কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত