Ajker Patrika

স্ত্রীর ‘দুই প্রেমিকের পরিকল্পনায়’ প্রাণ গেল স্বামীর

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২২ ডিসেম্বর ২০২২, ২৩: ৪৮
স্ত্রীর ‘দুই প্রেমিকের পরিকল্পনায়’ প্রাণ গেল স্বামীর

নওগাঁর মান্দা উপজেলায় স্ত্রীর দুই প্রেমিকের পরিকল্পনায় ব্যবসায়ী স্বামী মনসুর রহমানকে নির্মমভাবে পিটিয়ে ও ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করা হয়। এই ঘটনায় নিহতের স্ত্রীর দুই প্রেমিকের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। তাঁর নাম জাহাঙ্গীর আলম (২৯)। তিনি এই ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী।

গতকাল বুধবার রাতে সাভার থানার হেমায়েতপুর এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

র‍্যাব বলছে, নিহত মনসুর রহমানের প্রথম স্ত্রী হাসিনা একাধিক পরকীয়ার সঙ্গে জড়িত। জাহাঙ্গীর নামের স্থানীয় দুই যুবকের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ায় সে। তাঁর এই পরকীয়ায় বাধা দিলে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে দুই জাহাঙ্গীর মিলে মনসুরকে হত্যা করে। 

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র‍্যাব-৩ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ। 

লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ জানান, নওগাঁর মান্দা এলাকার বাসিন্দা নিহত মনসুর ও গ্রেপ্তার আসামি জাহাঙ্গীর পাশের গ্রামের বাসিন্দা। নিহত মনসুর বিভিন্ন দোকানে চানাচুর বিক্রি করত। সে দুটি বিয়ে করে স্ত্রীদের নিয়ে নিজ বাড়িতে বসবাস করত। প্রথম স্ত্রী হাসিনা ও দ্বিতীয় স্ত্রী মেঘনা। হাসিনা বিভিন্ন পুরুষের সঙ্গে পরকীয়া প্রেমে আসক্ত। প্রথমে হাসিনা সাহেব আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে পরকীয়া প্রেমে জড়ায়। এরপর মোজাহারের ছেলে জাহাঙ্গীরের সঙ্গেও প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে তাঁর। 

গত ১৫ নভেম্বর সন্ধ্যায় মনসুরের নিজ বাড়িতে সাহেব আলীর ছেলে জাহাঙ্গীরসহ তাঁর আরও কয়েকজন বন্ধু হাসিনার সঙ্গে দেখা করতে আসে। বন্ধুদের পাশের ঘরে বসিয়ে হাসিনা ও জাহাঙ্গীর মনসুরের রুমে অবস্থান করে। এ সময় আপত্তিকর অবস্থায় মনসুর তাঁর স্ত্রীকে দেখতে পায়। এই ঘটনায় জাহাঙ্গীরের সঙ্গে কাটাকাটি শুরু হয় মনসুরের। একপর্যায়ে তাঁদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এ সময় জাহাঙ্গীরের বন্ধুরা মনসুর ও জাহাঙ্গীরের মধ্যে বিবাদ মীমাংসার কথা বলে মনসুরকে বাড়ির পাশের একটি বাগানে নিয়ে যায়। এই ঘটনার সময় মনসুরের দ্বিতীয় স্ত্রী মেঘনা জাহাঙ্গীর এবং মনসুরকে বাড়ি থেকে বাগানের দিকে চলে যেতে দেখে। 

র‍্যাব-৩ অধিনায়ক আরও বলেন, ‘হাসিনা ও জাহাঙ্গীরের আপত্তিকর অবস্থাটি দেখে ফেলার ঘটনাটি ছিল পূর্বপরিকল্পিত। এ ঘটনার পেছনের মূল মাস্টারমাইন্ড ছিল নিহতের স্ত্রীর প্রেমিক ও একই এলাকার মোজাহারের ছেলে জাহাঙ্গীর। এক জাহাঙ্গীরের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেন সাহেব আলীর ছেলে ও হাসিনার আরেক প্রেমিক জাহাঙ্গীর। হত্যার পরিকল্পনা অনুযায়ী তাঁরা দুই-তিন দিন আগে থেকে মনসুরের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করে।’ 

মনসুরকে হত্যার মাস্টারমাইন্ড ও মূল পরিকল্পনাকারী জাহাঙ্গীর আগে থেকেই বাগানে অপেক্ষায় ছিল উল্লেখ করে আরিফ মহিউদ্দিন বলেন, ‘পরিকল্পনা অনুযায়ী মনসুরকে বাগানে নিয়ে যাওয়ার পর মোজাহারের ছেলে জাহাঙ্গীরের নেতৃত্বে সবাই মিলে বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। আহত মনসুরের হত্যা নিশ্চিত করতে গ্রেপ্তার জাহাঙ্গীর তাঁর মাফলার দিয়ে মনসুরের গলায় পেঁচিয়ে গাছের ডালের সঙ্গে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেয়।’ 

ঘটনার পরদিন সকালে মৃত মনসুরের দ্বিতীয় স্ত্রী মেঘনা খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে বাগানে ঝুলন্ত স্বামীর মরদেহ দেখতে পায়। স্বামীকে সাহেব আলীর ছেলে জাহাঙ্গীরের সঙ্গে বের হতে দেখেছিল মেঘনা। তাই এই জাহাঙ্গীরকে হত্যাকারী হিসেবে সন্দেহ করা হয়। পরবর্তীতে গত ১৭ নভেম্বর নিহতের বাবা বদের আলী ওরফে বুদু কবিরাজ বাদী হয়ে সাহেব আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর ও অজ্ঞাত ৪-৫ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। 

তবে হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী ও মোজাহারের ছেলে জাহাঙ্গীর আড়ালে থেকে যায়। গ্রেপ্তার জাহাঙ্গীর হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে অত্যন্ত সুকৌশলে সাভারের হেমায়েতপুর এলাকায় এসে আত্মগোপন করে। এখানে একটি গার্মেন্টসে চাকরি শুরু করে। তবে তাঁর সম্পৃক্ততার বিষয়টি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর গভীর তদন্তে সামনে আসে। পরবর্তীতে অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

গ্রেপ্তার জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান র‍্যাবের এ কর্মকর্তা। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

‘স্যাক্রোলাইটিস’ রোগে আক্রান্ত: মেধাবী ছাত্রী আসফির বাঁচার আকুতি

খুলনা প্রতিনিধি
আরিফা জান্নাত আসফি । ছবি: সংগৃহীত
আরিফা জান্নাত আসফি । ছবি: সংগৃহীত

খুলনা সরকারি মহিলা কলেজের একাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী আরিফা জান্নাত আসফি পিইসি পরীক্ষায় বৃত্তিসহ এ+ এবং জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষায় এ+ পেয়েছেন। অত্যন্ত মেধাবী এই ছাত্রী গত চার বছর ধরে দুরারোগ্য ব্যাধিতে ভুগছে।

চিকিৎসকের পরামর্শে এর আগে পরপর দুবার পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের চেন্নাইয়ের অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি। তবে এখনো শারীরিক অবস্থার আশানুরূপ উন্নতি না হওয়ায় পুনরায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া জরুরি হয়ে পড়েছে।

আসফির পরিবার জানায়, আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে তার চিকিৎসার ব্যয় বহন করতে তারা চরম সংকটে পড়েছে। ভারতে গিয়ে পুনরায় চিকিৎসা নিতে কমপক্ষে ১০ লাখ টাকার প্রয়োজন হলেও দরিদ্র পরিবারের পক্ষে এ অর্থ জোগাড় করা সম্ভব নয়।

এ অবস্থায় ‘স্যাক্রোলাইটিস’ রোগে আক্রান্ত মেধাবী ছাত্রী আরিফা জান্নাত আসফি নিজের জীবন রক্ষার্থে সমাজের বিত্তবান ও সহৃদয়বান ব্যক্তিদের কাছে আর্থিক সহায়তার আবেদন জানিয়েছেন। সামান্য সহযোগিতাই হয়তো তার চিকিৎসা অব্যাহত রাখতে এবং একটি সম্ভাবনাময় জীবন রক্ষা করতে পারে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নকলায় ৭ অবৈধ ইটভাটায় অভিযান, সাড়ে ২২ লাখ টাকা জরিমানা

নকলা (শেরপুর) প্রতিনিধি
অবৈধভাবে প্রস্তুত করা কাঁচা ইট বিনষ্ট করা হয় । ছবি: আজকের পত্রিকা
অবৈধভাবে প্রস্তুত করা কাঁচা ইট বিনষ্ট করা হয় । ছবি: আজকের পত্রিকা

শেরপুরের নকলায় অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছে জেলা প্রশাসন। রোববার (২১ ডিসেম্বর) জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে পরিবেশ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় দিনব্যাপী এ অভিযান পরিচালিত হয়।

অভিযানকালে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গড়ে ওঠা সাতটি অবৈধ ইটভাটায় ভ্রাম্যমাণ আদালত বসানো হয়। ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩-এর বিভিন্ন ধারায় ভাটামালিকদের মোট ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

এ সময় অবৈধভাবে প্রস্তুত করা কাঁচা ইট বিনষ্ট করা হয় এবং সংশ্লিষ্ট ইটভাটাগুলোর বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। পাশাপাশি অবৈধ ইটভাটার সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ রাখতে মালিকপক্ষকে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়।

জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, পরিবেশের ক্ষতি রোধ ও সরকারি আইন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযান নিয়মিতভাবে চলমান থাকবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

রাবিতে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টির ষড়যন্ত্র চলছে: ডিনদের পদত্যাগ ইস্যুতে ছাত্রদল

রাবি প্রতিনিধি 
রাবিতে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টির ষড়যন্ত্র চলছে: ডিনদের পদত্যাগ ইস্যুতে ছাত্রদল

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) আওয়ামীপন্থী ছয় ডিনের পদত্যাগের ঘটনাকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে শিক্ষকদের লাঞ্ছিত করার অপচেষ্টা হিসেবে আখ্যায়িত করেছে শাখা ছাত্রদল। রোববার (২১ ডিসেম্বর) রাতে এক বিবৃতিতে তাঁরা জানান ক্যাম্পাসে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টির লক্ষ্যে একটি কুচক্রী মহল ষড়যন্ত্র করছে।

বিবৃতিতে ছাত্রদল নেতারা বলেন, ‘রাকসুর জিএস সালাহউদ্দিন আম্মারের দেওয়া হুমকিমূলক বক্তব্য শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের প্রতি অশোভন এবং অছাত্রসুলভ আচরণের বহিঃপ্রকাশ। একজন ছাত্রনেতার কাছ থেকে এ ধরনের আচরণ জ্ঞানচর্চার পরিবেশের জন্য মারাত্মক হুমকি।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘শিক্ষকদের সঙ্গে বারবার মারমুখী ও অশালীন আচরণ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের শামিল। বিশ্ববিদ্যালয়ে তথাকথিত “তালা ঝোলানো” সংস্কৃতি ফ্যাসিবাদী মানসিকতারই প্রতিফলন। এর আগেও উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্যসহ একজন কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিত করা হয়েছিল, যা সারা দেশের শিক্ষক সমাজের কাছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একটি কালো অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত।’

ডিনদের পদত্যাগের বিষয়টি কেন্দ্র করে তারা বলেন, ‘এই ক্যাম্পাসে কোনো ধরনের মব-সন্ত্রাসী কার্যক্রম বরদাশত করা হবে না। সালাহউদ্দিন আম্মারের মতো কেউ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে শিক্ষকদের লাঞ্ছিত করার অপচেষ্টা চালালে ছাত্রদলের সকল স্তরের নেতা-কর্মীরা তা শক্ত হাতে প্রতিহত করবে।’

এ ছাড়া ফ্যাসিবাদের দোসর হিসেবে কারও বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণ থাকলে দেশের প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে দাবি জানান তারা। তবে তথ্য-উপাত্ত ছাড়া অহেতুক ট্যাগিং ও অপপ্রচারের মাধ্যমে ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করা হলে সংশ্লিষ্টদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনার দাবিও জানান তারা।

এদিকে ছাত্রদলের বিবৃতি প্রসঙ্গে রাকসুর জিএস সালাহউদ্দিন আম্মার তাঁর ফেসবুকে লেখেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের কিউট ছাত্রদল যেহেতু আমাকে নিয়ে বিবৃতি দিয়েছে সেহেতু আমি সঠিক পথেই আছি। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল স্তরের নেতা-কর্মী নাকি আমাকে শক্ত হাতে প্রতিহত করবে।’

তিনি আরও লেখেন, ‘মনোনয়নপত্র নেওয়ার দিন মনে আছে? বিশ্ববিদ্যালয়ের না, রাজশাহীর সর্বস্তরের কর্মী নিয়েও লাভ হয় নাই। সালাহউদ্দিন আম্মার একা দাঁড়াইয়া ছিল, ওই দিনও সব নেতা-কর্মীর স্লোগান, হুমকি-ধমকি দিয়ে একটা চুলও ছিঁড়তে পারে নাই। ডিনদের পদত্যাগ করাইলাম বাকি কাজও করে যাব।’

একই দিন রাতে জিএস আম্মারের বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এক বিবৃতিতে তাঁরা বলেন, ‘একজন নির্বাচিত ছাত্রপ্রতিনিধি হিসেবে রাকসুর সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বশীলতা, সংযম ও প্রাতিষ্ঠানিক আচরণ প্রদর্শনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট বক্তব্যে তার সম্পূর্ণ বিপরীত চিত্র ফুটে উঠেছে, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।’

তাঁরা আরও বলেন, ‘অনুষদ অধিকর্তাদের নির্বাচিত মেয়াদ সমাপ্তির পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য তাঁদের দায়িত্ব অব্যাহত রাখতে অনুরোধ জানিয়েছেন। এ ধরনের প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নিয়ে কারও ভিন্নমত বা আপত্তি থাকলে, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর ভেতরে আলোচনা, আবেদন কিংবা প্রতিবাদের সুযোগ রয়েছে। কিন্তু সেই পথ অনুসরণ না করে দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্য, কুরুচিপূর্ণ ভাষা প্রয়োগ এবং শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার হুমকি প্রদান আইনশৃঙ্খলা, শিষ্টাচার ও গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির পরিপন্থী।’

উল্লেখ্য, গতকাল সকাল থেকে আওয়ামীপন্থী ডিনদের পদত্যাগ দাবিতে আম্মারের নেতৃত্বে আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীদের একাংশ। এতে ডিনদের চেম্বারে তালা ঝোলানোর পাশাপাশি প্রশাসনের সকল দপ্তরে তালা দেন তাঁরা। পরে এদিন রাতে এক সভায় ছয় ডিন তাঁদের দায়িত্ব পালনে অপারগতা প্রকাশ করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

রিমান্ডে নেওয়ার সময় কাশিমপুর কারাগারে আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু

গাজীপুর প্রতিনিধি
ওয়াসিকুর রহমান বাবু। ছবি: সংগৃহীত
ওয়াসিকুর রহমান বাবু। ছবি: সংগৃহীত

গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে রিমান্ডে নেওয়ার সময় হৃদ্‌যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগের এক নেতার মৃত্যু হয়েছে। কারাগারের অফিস কক্ষে পুলিশের কাছে হস্তান্তরের সময় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হয়, সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

মারা যাওয়া নেতার নাম ওয়াসিকুর রহমান বাবু (৪৩)। তিনি গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার উত্তর বাঁশবাড়িয়া গ্রামের এনায়েতুর রহমানের ছেলে। বাবু রাজধানীর বাড্ডা থানা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এবং বাড্ডা থানা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।

কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এর সুপার আল মামুন মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই তার মৃত্যু হয়েছে।

কারাগার সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ সেপ্টেম্বর রাজধানীর পান্থপথ এলাকায় ঝটিকা মিছিল করার সময় সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় গ্রেপ্তার হন ওয়াসিকুর রহমান বাবু। পরে ২৭ সেপ্টেম্বর তাকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এ স্থানান্তর করা হয়। ওই মামলায় আদালত তার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

আদালতের নির্দেশে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রোববার (২১ ডিসেম্বর) বিকেলে পুলিশের একটি দল তাকে হেফাজতে নিতে কারাগারে আসে। কারাগারের নিয়ম অনুযায়ী হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলাকালে তাকে অফিস কক্ষের (ভর্তি শাখা) একটি চেয়ারে বসানো হয়। এ সময় তিনি হঠাৎ চেয়ার থেকে ঢলে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

কারা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই ঘটনায় পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত