Ajker Patrika

মির্জা ফখরুল-আব্বাসসহ সাতজনের জামিন আবেদন

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১১ ডিসেম্বর ২০২২, ১১: ০৮
মির্জা ফখরুল-আব্বাসসহ সাতজনের জামিন আবেদন

রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গত বুধবার পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় করা মামলায় দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ সাতজনের জামিনের আবেদন করা হয়েছে। আজ রোববার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এই আবেদন দাখিল করা হয়।

অন্য যাঁদের আবেদন করা হয় তাঁরা হলেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক  মো. আব্দুস ছালাম, বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ও লক্ষ্মীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, গাজীপুর বিএনপির সভাপতি মো. ফজলুল হক মিলন, নরসিংদী বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় যুগ্ম-মহাসচিব খাইরুল কবির খোকন এবং বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সেলিম রেজা হাবিব।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের আইনজীবী জয়নাল আবেদীন মেজবাহ আজকের পত্রিকাকে জানান, তিনি এই জামিনের আবেদন করেছেন। চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রেজাউল করিম চৌধুরীর আদালতে বেলা ১১টায় আবেদনের ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

গত বৃহস্পতিবার দিনগত রাত তিনটায় মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে তাঁদের নিজ নিজ বাসা থেকে তুলে নেন গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা। পরদিন তাঁদের নয়াপল্টনের মামলায় গ্রেপ্তারের কথা সাংবাদিকদের জানান ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান হারুন অর রশীদ। পরে তাঁদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হলে আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। অন্য পাঁচজনকে বুধবার সংঘর্ষের পর নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় অফিস থেকে আটক করা হয়। তাঁদের বৃহস্পতিবারে আদালতে আনার পর জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয়। এই একই মামলায় রিজভী আহমেদসহ ৪৩৪ জনকে বৃহস্পতিবার কারাগারে পাঠানো হয়। রিমান্ডে নেওয়া হয় ১৪ জন নেতা-কর্মীকে।

গত বুধবার নয়াপল্টনে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় ৪৭৩ জনের নাম উল্লেখ করে পল্টন মডেল থানায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে। পুলিশের ওপর হামলা ও বিস্ফোরকদ্রব্য আইনে মামলা হয়। মামলায় ৪৭৩ জনের নামোল্লেখসহ বিএনপির অজ্ঞাত দেড় থেকে দুই হাজার নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়।

এজাহারে বলা হয়, গত বুধবার বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বেআইনি সমাবেশ করেন বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা। কোনো ধরনের পূর্বানুমতি ছাড়া অবৈধভাবে এই সমাবেশের ফলে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পুলিশ বাধা দিলে পুলিশের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে এবং বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তার করে। এ সময় বিএনপি কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে চাল, পানি, খিচুড়ি, নগদ টাকা ও বিস্ফোরকদ্রব্য পাওয়া যায়।

১০ ডিসেম্বর বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে গত বুধবার বিএনপি জড়ো হয়েছিল পার্টি অফিসের সামনে। পরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বেঁধে যাওয়ায় পল্টন, রমনা, শাহজাহানপুর ও মতিঝিল থানায় বেশ কয়েকটি মামলা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হাদি হত্যা: ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ

ফেনী প্রতিনিধি
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ বিক্ষোভকারীদের। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ বিক্ষোভকারীদের। ছবি: আজকের পত্রিকা

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যার বিচারের দাবিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন সাধারণ ছাত্র-জনতা। আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে মহাসড়কের ফেনী মহিপাল ফ্লাইওভারের দক্ষিণ দিকের অংশে অবস্থান নেন বিক্ষোভকারীরা। প্রায় আধা ঘণ্টা চলা অবরোধে ঢাকা-চট্টগ্রামমুখী উভয় লেনে যানজটের সৃষ্টি হয়।

সরেজমিন দেখা যায়, আন্দোলনকারীরা জুমার নামাজের পর শহরের জহিরিয়া মসজিদ থেকে একটি মিছিল নিয়ে শহীদ শহীদুল্লা সড়ক প্রদক্ষিণ করে মহাসড়কে এসে বিক্ষোভ শুরু করেন। এই সময় হাদি হত্যার বিচারের দাবিতে স্লোগান দেন তাঁরা।

রাশেদুল ইসলাম নামে এক আন্দোলনকারী বলেন, ‘জুলাইয়ের সম্মুখসারির এক যোদ্ধাকে গুলির ঘটনার এক সপ্তাহ পার হতে চললেও প্রশাসন দৃশ্যমান কোনো ভূমিকা নিতে পারেনি। এ সরকার আমাদের ভাইদের রক্তের ওপর দিয়ে চেয়ারে বসেও তাঁদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। এ ছাড়া মানুষকে কষ্ট দেওয়া আমাদের উদ্দেশ্য নয়। এ হত্যার বিচারের দাবিতে বাধ্য হয়ে আমরা প্রায় আধা ঘণ্টা সময়ের জন্য মহাসড়ক অবরোধ করেছি। শিগগিরই জড়িতদের আইনের আওতায় না আনলে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।’

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সাবেক জেলা সমন্বয়ক আবদুল আজিজ বলেন, ‘ভারতীয় আধিপত্যবাদবিরোধী আন্দোলনে হাদি আমাদের যে পথ দেখিয়েছেন, সেই পথে হাঁটতে আমরা লাখো হাদি প্রস্তুত। যত দিন এ দেশে ভারতীয় আধিপত্যবাদ থাকবে, তত দিন রাজপথে আমাদের লড়াই চলবে। হাদির খুনিরা যেখানেই থাকুক, অবিলম্বে তাদের গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।’

ফেনী মডেল থানা-পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) সজল কান্তি দাশ বলেন, ‘অবরোধের খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে যাই। এখন আন্দোলনকারীরা মহাসড়ক থেকে সরে দাঁড়িয়েছে। সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের নতুন কমিটি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের নতুন কমিটি

দেশের স্বাস্থ্যখাতের সাংবাদিকদের সংগঠন বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের কার্যনির্বাহী পরিষদ ২০২৬–২৭ এর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সভাপতি পদে প্রতীক ইজাজ (দেশ রূপান্তর) এবং সাধারণ সম্পাদক পদে মো. মোজাহিদুল ইসলাম শুভ (এখন টেলিভিশন) নির্বাচিত হয়েছেন।

শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর একটি রেস্টুরেন্টে সংগঠনের বার্ষিক সাধারণ সভা ও নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে বিএইচআরএফ নির্বাচন–২০২৬ এর চেয়ারম্যান আবুল খায়ের নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন। এবারের নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেন সংগঠনের জ্যেষ্ঠ সদস্য মনিরুজ্জামান উজ্জ্বল ও কবির আহমেদ খান। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী পরিষদ ২০২৬–২৭ আগামী দুই বছরের জন্য দায়িত্ব পালন করবে।

কমিটিতে সহসভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন—মোহাম্মদ আয়নাল হোসেন (সিটিজেন জার্নাল) ও মোহাম্মদ আল আমিন (ডেইলি সান)। যুগ্ম সম্পাদক হয়েছেন মাহমুদ কমল (মাছরাঙা টিভি)। অর্থ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন আজাদুল আদনান (আমার দেশ), সাংগঠনিক সম্পাদক তবিবুর রহমান (সমকাল), দপ্তর সম্পাদক তানভীরুল ইসলাম (ঢাকা পোস্ট) এবং প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন মাহমুদুল হাসান (কালবেলা)।

কার্যনির্বাহী সদস্য পদে নির্বাচিত হয়েছেন শামিমুজ্জামান চৌধুরী (মোহনা টিভি), বুদ্ধদেব কুন্ডু (ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভি), তাওসিয়া তাজমিম (দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড—টিবিএস) এবং নেসার উদ্দিন আহাম্মদ।

এর আগে, বিএইচআরএফের সদ্য বিদায়ী সভাপতি রাশেদ রাব্বির সভাপতিত্বে সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল ও সাবেক অর্থ সম্পাদক মো. বায়েজদী মুন্সী বার্ষিক প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

প্রথম আলোর কার্যালয়ের সামনে কর্মীদের মানববন্ধন

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭: ২৩
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে আজ শুক্রবার বিকেল পৌনে ৪টার দিকে মানববন্ধন শুরু হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে আজ শুক্রবার বিকেল পৌনে ৪টার দিকে মানববন্ধন শুরু হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পরপরই রাজধানীর কারওয়ান বাজারে দৈনিক প্রথম আলোর কার্যালয়ে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মানববন্ধন করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মীরা।

আজ শুক্রবার বিকেল পৌনে ৪টার দিকে কার্যালয়ের সামনে ‘প্রথম আলোর ওপর আক্রমণের প্রতিবাদ’ লেখা ব্যানার হাতে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।

এতে অংশ নেন প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক কথাসাহিত্যিক আনিসুল হকসহ সাংবাদিক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।

প্রথম আলোর ওপর হামলার নিন্দা ও সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে জড়িত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে এর নির্বাহী সম্পাদক সাজ্জাদ শরিফ বলেন, ‘গত ২৭ বছরে এই প্রথম আজকে আমাদের পত্রিকা প্রকাশিত হয়নি। পত্রিকার অনলাইন ভার্সনও বন্ধ রয়েছে। প্রথম আলোর ওপরে হামলাকে আমরা বাংলাদেশের বাক্‌স্বাধীনতা, ভিন্নমতের প্রকাশ ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপরে কঠিন আক্রমণ হিসেবেই দেখছি।’

সাজ্জাদ শরিফ বলেন, ‘আমরা স্পষ্ট করেই বলতে চাই, বাংলাদেশ, বাংলাদেশ সরকারের ভাবমূর্তি আন্তর্জাতিকভাবে নস্যাৎ ও ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্য এবং আগামী নির্বাচনকে পথভ্রষ্ট করার জন্য এই হামলা চালানো হয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত হোক। হামলায় জড়িতদের শনাক্ত করে খুঁজে বের করা হোক।’

মানববন্ধন কর্মসূচিতে সাজ্জাদ শরিফ বক্তব্য দেওয়ার সময় কয়েকজন ব্যক্তি হট্টগোল শুরু করেন। তাঁরা প্রথম আলোর উদ্দেশে গালিগালাজ করেন।

এ পরিস্থিতিতে কর্মসূচি দ্রুত শেষ করে প্রথম আলোর কর্মীরা বিক্ষোভস্থল থেকে চলে যান। এরপর পুলিশ হট্টগোলকারীদের কারওয়ান বাজারের কাঁচাবাজারের দিকে সরিয়ে দেয়।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার পরদিন ১২ ডিসেম্বর ঢাকার পুরানা পল্টনের বক্স-কালভার্ট রোডে শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করা হয়। প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে তাঁকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে ১৫ ডিসেম্বর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাঁকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

উপকূলীয় স্বাস্থ্যসেবায় ‘শহীদ ওসমান হাদি’ ওয়াটার অ্যাম্বুলেন্স

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
উপকূলীয় ও দুর্গম চরাঞ্চলবাসীর জরুরি স্বাস্থ্যসেবায় চালু হয়েছে ‘শহীদ ওসমান হাদি’ ওয়াটার অ্যাম্বুলেন্স। ছবি: নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়
উপকূলীয় ও দুর্গম চরাঞ্চলবাসীর জরুরি স্বাস্থ্যসেবায় চালু হয়েছে ‘শহীদ ওসমান হাদি’ ওয়াটার অ্যাম্বুলেন্স। ছবি: নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়

দেশের উপকূলীয় ও দুর্গম চরাঞ্চলবাসীর জরুরি স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় একটি আধুনিক ওয়াটার অ্যাম্বুলেন্স চালু করেছে। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেনের উদ্যোগে মনপুরা উপজেলা প্রশাসনের কাছে এটি হস্তান্তর করা হয়।

আজ শুক্রবার সকালে ভোলার মনপুরা উপজেলার রামনেওয়াজ লঞ্চঘাটে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ‘শহীদ ওসমান হাদি’ নামে ওয়াটার অ্যাম্বুলেন্সটি আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয়।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখসারির অকুতোভয় যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির স্মরণে ওয়াটার অ্যাম্বুলেন্সটির নামকরণ করা হয়েছে ‘শহীদ ওসমান হাদি ওয়াটার অ্যাম্বুলেন্স’। ওয়াটার অ্যাম্বুলেন্সটির মাধ্যমে নদী ও সাগরবেষ্টিত দুর্গম এলাকায় রোগী পরিবহন, জরুরি চিকিৎসা সহায়তা প্রদান এবং দ্রুত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

নৌপরিবহন উপদেষ্টা ওয়াটার অ্যাম্বুলেন্স হস্তান্তরের সময় শরিফ ওসমান হাদির বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।

উপদেষ্টা জানান, ওসমান হাদির নৃশংস হত্যাকাণ্ডে জড়িত অপরাধীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ কঠোর শাস্তি প্রদানে বর্তমান সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ।

অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা বলেন, শহীদ ওসমান হাদি ছিলেন অন্যায় ও অবিচারের বিরুদ্ধে একজন আপসহীন ও সাহসী কণ্ঠস্বর। তাঁর আত্মত্যাগ ও আদর্শ মানবিক সমাজ গঠনে আমাদের অনুপ্রেরণা জোগায়। উপকূলীয় মানুষের জীবন রক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতের মতো মানবিক উদ্যোগের সঙ্গে তাঁর নাম যুক্ত করতে পেরে আমরা গর্বিত।

তিনি আরও বলেন, সরকার উপকূলীয় ও দুর্গম অঞ্চলের জনগণের মৌলিক অধিকার, বিশেষ করে স্বাস্থ্যসেবাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে। নদী ও সাগরনির্ভর জনপদের বাস্তবতা বিবেচনায় রেখে ওয়াটার অ্যাম্বুলেন্সের মতো উদ্যোগ মানুষের জীবন বাঁচাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ভবিষ্যতেও এ ধরনের জনকল্যাণমূলক কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

এ সময় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ও মনপুরা উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত