কামরুল হাসান

আমাদের আর তর সইছে না। সবাই অধীর অপেক্ষায়—কখন ফাটবে সেই বোমা। ঘণ্টা তিনেক অপেক্ষার পর নির্দেশ এল। দুই হাতে দুই কান ঢেকে নিচু হয়ে মাটিতে বসে পড়লাম। এরপর ‘ইয়েস রেডি, ইয়েস’ কমান্ড দিতে না দিতেই বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হলো বোমাটি। তাকিয়ে দেখলাম, স্প্লিন্টারগুলো শিলাবৃষ্টির মতো চারদিকে ছড়িয়ে পড়ছে। বিস্ফোরণের গগনবিদারী শব্দে কেঁপে উঠল পুরো ফায়ার রেঞ্জ। সেই কম্পন মিরপুর ক্যান্টনমেন্টের কয়েকটি আবাসিক ভবনেও অনুভূত হলো।
এবার বলি, সেই বোমা এল কোত্থেকে। আজ ৮ অক্টোবর শনিবার হলেও ২৩ বছর আগে ১৯৯৯ সালের ৮ অক্টোবর ছিল শুক্রবার। সকালের দিকে বেশ আরামেই ছিলাম। দুপুরের পর প্রধান প্রতিবেদক ফোন দিয়ে বললেন, খুলনার নিরালা আবাসিক এলাকার আহমদিয়া মসজিদে জুমার নামাজে বোমা ফেটেছে। তাতে ৬-৭ জন নিহত, জনা তিরিশেক আহত হয়েছে। ঢাকায় পুলিশের কোনো প্রস্তুতি আছে কি না, খোঁজ নাও। আরাম উবে গেল।
এ ওয়াই বি আই সিদ্দিকী তখন আইজিপি। ফোন দিলাম আইজিপির বাসার টিঅ্যান্ডটি নম্বরে। তিনি নিজেই ফোন ধরে বললেন, ‘আরে মিয়া, মিরপুর ২ নম্বরের জান্নাতুল ফেরদৌস মসজিদেও বোমা পাওয়া গেছে, আগে তার খোঁজ নাও।’ আইজিপির কাছে এর চেয়ে বেশি কিছু জানতে চাওয়া ঠিক হবে না। ফোন দিলাম মিরপুর থানায়। ডিউটি অফিসার বললেন, শিরনির প্যাকেটে করে কে বা কারা একটি বোমা মসজিদে রেখে গেছে। কপাল ভালো, বোমাটি ফাটেনি। ফোন রেখে ছুটলাম মিরপুরে। ততক্ষণে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর বিস্ফোরক দল এসে গেছে। মসজিদের গেটে পেয়ে গেলাম কমিটির সভাপতি আবুল কাশেমকে। তাঁর কাছ থেকে সব খোঁজখবর করে অফিসে ফিরতে সন্ধ্যা হয়ে গেল।
ইস্কাটনে জনকণ্ঠ অফিসে এসে দেখি হুলুস্থুল কাণ্ড। সহকর্মীরা সব নিচে; রাস্তায় দাঁড়িয়ে-বসে। সবার চোখে-মুখে উদ্বেগ। টেলিফোন অপারেটর লিজার স্বামী প্রশাসন বিভাগের কামাল হোসেন দৌড়াদৌড়ি করছেন। এক সহকর্মী বললেন, অফিসে একটি ব্রিফকেস বোমা পাওয়া গেছে। দুপুর ১২টার দিকে এক লোক ব্রিফকেসটি হাতে নিয়ে জনকণ্ঠ ভবনের নিচতলার অভ্যর্থনার সামনে রাখা সোফায় কিছুক্ষণ বসে ছিলেন। এরপর ‘একটু খেয়ে আসছি’ বলে ব্রিফকেসটি দেখার জন্য অভ্যর্থনার ছেলেটিকে অনুরোধ করে বেরিয়ে যান। ৫-৬ ঘণ্টা পরও সেই লোক ফিরে আসেননি। এতে সবার সন্দেহ হয়। কেউ একজন ব্রিফকেসটি হাতে তুলতে গিয়ে বুঝতে পারেন, অনেক ওজন। এতে সন্দেহ আরও জোরালো হয়। সম্পাদকের নির্দেশে ক্রাইম রিপোর্টার শংকর কুমার দে রমনা থানায় ফোন করে ঘটনাটি জানান। থানা থেকে বলা হয় সবাইকে নিরাপদ দূরত্বে সরে থাকতে। সম্পাদক, উপদেষ্টা সম্পাদকসহ জনকণ্ঠের সব কর্মী ভবন ছেড়ে নিচে নেমে আসেন।
আমি আসার মিনিট দশেক পর দলবল নিয়ে হাজির হন পুলিশ কমিশনার এ কে এম শামসুদ্দিন। পুলিশে তখন বোমা বিস্ফোরক ইউনিট ছিল না। কমিশনার একটু উঁকিঝুঁকি মেরে দেখে নিয়ে আইজিপিকে ফোন দিলেন। আমাদের বলা হলো, সেনাবাহিনীর বিস্ফোরক দল আসছে। আমরা নিচে অপেক্ষা করছি। ঘণ্টা দেড়েক পর মেজর আহসান উল্লাহ ও মেজর জসিমের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর বিস্ফোরক দলের সদস্যরা এলেন। তাঁরা সবাইকে সরিয়ে দিয়ে বোমাটি দেখলেন। কিছুক্ষণ পর বললেন, এটা শক্তিশালী স্থলমাইন। ম্যানুয়াল হলে ১২ ঘণ্টা পরে, আর ডিজিটাল হলে যেকোনো সময় ফাটতে পারে।
এবার তাহলে কী হবে! পত্রিকা বের হবে কী করে! শুরু হলো আলোচনা। কমিশনারসহ সবাই সিদ্ধান্ত নিলেন, বোমাটি অফিসের সামনের রাস্তায় এনে রাখা হবে।
জনকণ্ঠ ভবনের সামনে রাস্তায় বালুর বস্তা এনে বাংকার বানানো হলো। তার মধ্যে রাখা হলো বোমাটি। আপাতত আমরা বাঁচলাম। সবাই অফিসে উঠে গেলাম।
ততক্ষণে ঢাকার সব মিডিয়ায় বোমার খবর চাউর হয়ে গেছে। ইস্কাটনের রাস্তায় বোমা রাখার কারণে বাংলামোটর থেকে মগবাজার সড়ক বন্ধ। বোমা দেখার জন্য দুপাশে হাজারো উৎসুক মানুষ ভিড়। জনকণ্ঠ অফিস লোকে লোকারণ্য। রাজনৈতিক নেতারাও এলেন। অফিসে পা ফেলার জায়গা নেই। শহরে নানা গুজবও ছড়িয়ে পড়েছে। ফোনের পরে ফোন আসছে পিএবিএক্সে। সারা রাত রাস্তায় বোমা রেখে আমরা সবাই অফিসে বসে থাকলাম।
পরদিন শনিবারের সকাল। বাসায় গিয়ে একটু নাশতা করে আবার অফিসে এলাম। সেনাবাহিনী থেকে বোমা বহনের জন্য বিশেষ ধরনের গাড়ি আনা হচ্ছে। সেই গাড়ির জন্য আমরা অপেক্ষা করছি। দুপুরের দিকে গাড়ি এল আগেপিছে সাইরেন বাজিয়ে। গাড়িটিতে বোমা তুলে নিয়ে যাওয়া হবে মিরপুর ক্যান্টনমেন্টের ফায়ারিং রেঞ্জে। বায়না ধরলাম, বিস্ফোরণ দেখতে যাব। সেনা কর্মকর্তারা রাজি হলেন। অফিস থেকে একটা গাড়ি নিয়ে বহরের সঙ্গে চললাম।
বোমা বহনকারী গাড়িবহর যখন মিরপুর ক্যান্টনমেন্টে পৌঁছাল, তখন দুপুর গড়িয়ে গেছে। গাড়িবহরের সাইরেনের কারণে এমপি চেকপোস্টগুলো সচল হয়ে গেছে। আগেপিছে সেনাবাহিনীর চারটি গাড়ি, সঙ্গে রমনা থানার পুলিশের গাড়ি। আমরাও যাচ্ছি ফায়ার রেঞ্জ এলাকায়।
মিরপুর ক্যান্টনমেন্টের পেছনে পুরো ফাঁকা জলাশয়। ডিওএইচএস তখনো হয়নি। ক্যান্টনমেন্টের একেবারে শেষ মাথায় ফায়ারিং রেঞ্জ। রেঞ্জের নিরাপত্তার জন্য কংক্রিটের উঁচু দেয়াল। তার পাশে একটি টিনের ছাউনি। দূরে বিমানবন্দরের হ্যাঙ্গার দেখা যাচ্ছে। বিলের ধার ঘেঁষে পাকা রাস্তা। বোমা নিয়ে গাড়িবহর সেখানে এসে থামল। খুব সতর্কতার সঙ্গে গাড়ি থেকে নামানো হলো ভয়ংকর বোমাটি। এরপর নিয়ে যাওয়া হলো বিস্ফোরণ এলাকায়।
চকোলেট রঙের ব্রিফকেসটি মাটিতে রাখার পর সেনা কর্মকর্তারা উপুড় হয়ে শেষবারের মতো ভেতরের বস্তুটি দেখে নিলেন। আর কোনো সংশয় নেই। একটু পর এলেন ১৪ স্বতন্ত্র ইঞ্জিনিয়ারিং ব্রিগেডের কমান্ডার আবু হাশিম খান। তিনি আসার পর ১১ সদস্যের বিস্ফোরক দল ব্রিফকেসটি তুলে নিয়ে গেল জলাধারের কাছে। জল-জংলার পাশে লাউখেত। রাস্তায় কাদা। সিআইডির ফিঙ্গার প্রিন্টের ওসি ফরিদ আহমেদ, মিরপুর ও রমনা থানার পুলিশ, সঙ্গে বিভিন্ন সংস্থার ১০-১২ জন সদস্য নেমে গেলেন সেই পথে।
আমরা অপেক্ষা করছি কখন বোমাটি ফাটবে। একটু পর বলা হলো, মিরপুরে মসজিদ থেকে উদ্ধার করা বোমাটিও একই সঙ্গে ফাটানো হবে। গাড়িবহর আবার ছুটল নতুন বোমার খোঁজে। এক ঘণ্টা পর সেই বোমা এল। সিদ্ধান্ত হলো, আগে মিরপুরের বোমাটি ফাটানো হবে। এ সময় কী প্রস্তুতি নিতে হবে, তা আমাদের বুঝিয়ে দেওয়া হলো। লোক পাঠিয়ে ফায়ার রেঞ্জের পাশের সব ভবনের জানালা খোলার নির্দেশ দেওয়া হলো; যাতে শব্দে জানালার কাচ না ভাঙে।
মিরপুরের বোমাটি খোলা হলো সবার সামনে। ১০ ইঞ্চি লম্বা লালচে বোমাটির মুখে ঘড়ি ও দুটি অলিম্পিক পেনসিল ব্যাটারির সংযোগ। লম্বাটে বোমার গায়ে আতাফলের মতো খাঁচকাটা। সতর্কতার সঙ্গে বোমাটি রাখা হলো বিলের পানির কাছে স্যাঁতসেঁতে মাটিতে। তার সঙ্গে সংযুক্ত হলো দুটি ডেটোনেটর। তারের শেষ মাথায় ব্লাস্টিং মেশিন। তাতে বিদ্যুতের প্রবাহ দিতেই বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হলো বোমাটি।
এরপর শুরু হলো জনকণ্ঠে রাখা ব্রিফকেসের বোমা ফাটানোর কাজ। দূর থেকে প্রথমে বিশেষ কায়দায় খোলা হলো ব্রিফকেসের ওপরের ডালাটি। দেখা গেল, ভেতরে কাঠের ওপর বোমাটি বসানো; যাতে নড়াচড়া না হয়। বোমাটি যুক্ত রয়েছে ব্রিফকেসের নম্বর লকের সঙ্গে। সন্ধ্যা ৬টা ৫ মিনিটে বিস্ফোরণ ঘটানো হলো শেষ বোমাটি। বিস্ফোরণের শব্দ প্রতিধ্বনিত হলো ঝিলের পানিতে। ততক্ষণে সন্ধ্যা ঘনিয়ে এসেছে, অফিসে ফিরে এলাম।
অফিসে এসে শুনি, আইএসপিআর হ্যান্ডআউট দিয়ে বলেছে, বোমাটি বিস্ফোরিত হলে ১০০ মিটার এলাকার সবকিছু উড়ে যেত। স্বরাষ্ট্রসচিব সফিউর রহমান একটি তদন্ত কমিটি করে দিয়েছেন। জনকণ্ঠের প্রশাসনিক কর্মকর্তা খান মোহাম্মদ আবু সাঈদ বাদী হয়ে রমনা থানায় মামলা করলেন। এরপর এ ঘটনার অনেক ফলোআপ হয়েছিল। আবার অন্যান্য গণমাধ্যম থেকে রটানো হলো, কাটতি বাড়াতে এ ঘটনা সাজানো হয়েছে। কী কারণে যেন পুলিশি তদন্তও থেমে গেল। তারপর এত বছরে অনেক জঙ্গি ধরা পড়েছে, বিচারও হয়েছে। শুধু এ ঘটনার কোনো বিচার হলো না। বিষয়টা এখনো খুব অদ্ভুত মনে হয়।

আমাদের আর তর সইছে না। সবাই অধীর অপেক্ষায়—কখন ফাটবে সেই বোমা। ঘণ্টা তিনেক অপেক্ষার পর নির্দেশ এল। দুই হাতে দুই কান ঢেকে নিচু হয়ে মাটিতে বসে পড়লাম। এরপর ‘ইয়েস রেডি, ইয়েস’ কমান্ড দিতে না দিতেই বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হলো বোমাটি। তাকিয়ে দেখলাম, স্প্লিন্টারগুলো শিলাবৃষ্টির মতো চারদিকে ছড়িয়ে পড়ছে। বিস্ফোরণের গগনবিদারী শব্দে কেঁপে উঠল পুরো ফায়ার রেঞ্জ। সেই কম্পন মিরপুর ক্যান্টনমেন্টের কয়েকটি আবাসিক ভবনেও অনুভূত হলো।
এবার বলি, সেই বোমা এল কোত্থেকে। আজ ৮ অক্টোবর শনিবার হলেও ২৩ বছর আগে ১৯৯৯ সালের ৮ অক্টোবর ছিল শুক্রবার। সকালের দিকে বেশ আরামেই ছিলাম। দুপুরের পর প্রধান প্রতিবেদক ফোন দিয়ে বললেন, খুলনার নিরালা আবাসিক এলাকার আহমদিয়া মসজিদে জুমার নামাজে বোমা ফেটেছে। তাতে ৬-৭ জন নিহত, জনা তিরিশেক আহত হয়েছে। ঢাকায় পুলিশের কোনো প্রস্তুতি আছে কি না, খোঁজ নাও। আরাম উবে গেল।
এ ওয়াই বি আই সিদ্দিকী তখন আইজিপি। ফোন দিলাম আইজিপির বাসার টিঅ্যান্ডটি নম্বরে। তিনি নিজেই ফোন ধরে বললেন, ‘আরে মিয়া, মিরপুর ২ নম্বরের জান্নাতুল ফেরদৌস মসজিদেও বোমা পাওয়া গেছে, আগে তার খোঁজ নাও।’ আইজিপির কাছে এর চেয়ে বেশি কিছু জানতে চাওয়া ঠিক হবে না। ফোন দিলাম মিরপুর থানায়। ডিউটি অফিসার বললেন, শিরনির প্যাকেটে করে কে বা কারা একটি বোমা মসজিদে রেখে গেছে। কপাল ভালো, বোমাটি ফাটেনি। ফোন রেখে ছুটলাম মিরপুরে। ততক্ষণে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর বিস্ফোরক দল এসে গেছে। মসজিদের গেটে পেয়ে গেলাম কমিটির সভাপতি আবুল কাশেমকে। তাঁর কাছ থেকে সব খোঁজখবর করে অফিসে ফিরতে সন্ধ্যা হয়ে গেল।
ইস্কাটনে জনকণ্ঠ অফিসে এসে দেখি হুলুস্থুল কাণ্ড। সহকর্মীরা সব নিচে; রাস্তায় দাঁড়িয়ে-বসে। সবার চোখে-মুখে উদ্বেগ। টেলিফোন অপারেটর লিজার স্বামী প্রশাসন বিভাগের কামাল হোসেন দৌড়াদৌড়ি করছেন। এক সহকর্মী বললেন, অফিসে একটি ব্রিফকেস বোমা পাওয়া গেছে। দুপুর ১২টার দিকে এক লোক ব্রিফকেসটি হাতে নিয়ে জনকণ্ঠ ভবনের নিচতলার অভ্যর্থনার সামনে রাখা সোফায় কিছুক্ষণ বসে ছিলেন। এরপর ‘একটু খেয়ে আসছি’ বলে ব্রিফকেসটি দেখার জন্য অভ্যর্থনার ছেলেটিকে অনুরোধ করে বেরিয়ে যান। ৫-৬ ঘণ্টা পরও সেই লোক ফিরে আসেননি। এতে সবার সন্দেহ হয়। কেউ একজন ব্রিফকেসটি হাতে তুলতে গিয়ে বুঝতে পারেন, অনেক ওজন। এতে সন্দেহ আরও জোরালো হয়। সম্পাদকের নির্দেশে ক্রাইম রিপোর্টার শংকর কুমার দে রমনা থানায় ফোন করে ঘটনাটি জানান। থানা থেকে বলা হয় সবাইকে নিরাপদ দূরত্বে সরে থাকতে। সম্পাদক, উপদেষ্টা সম্পাদকসহ জনকণ্ঠের সব কর্মী ভবন ছেড়ে নিচে নেমে আসেন।
আমি আসার মিনিট দশেক পর দলবল নিয়ে হাজির হন পুলিশ কমিশনার এ কে এম শামসুদ্দিন। পুলিশে তখন বোমা বিস্ফোরক ইউনিট ছিল না। কমিশনার একটু উঁকিঝুঁকি মেরে দেখে নিয়ে আইজিপিকে ফোন দিলেন। আমাদের বলা হলো, সেনাবাহিনীর বিস্ফোরক দল আসছে। আমরা নিচে অপেক্ষা করছি। ঘণ্টা দেড়েক পর মেজর আহসান উল্লাহ ও মেজর জসিমের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর বিস্ফোরক দলের সদস্যরা এলেন। তাঁরা সবাইকে সরিয়ে দিয়ে বোমাটি দেখলেন। কিছুক্ষণ পর বললেন, এটা শক্তিশালী স্থলমাইন। ম্যানুয়াল হলে ১২ ঘণ্টা পরে, আর ডিজিটাল হলে যেকোনো সময় ফাটতে পারে।
এবার তাহলে কী হবে! পত্রিকা বের হবে কী করে! শুরু হলো আলোচনা। কমিশনারসহ সবাই সিদ্ধান্ত নিলেন, বোমাটি অফিসের সামনের রাস্তায় এনে রাখা হবে।
জনকণ্ঠ ভবনের সামনে রাস্তায় বালুর বস্তা এনে বাংকার বানানো হলো। তার মধ্যে রাখা হলো বোমাটি। আপাতত আমরা বাঁচলাম। সবাই অফিসে উঠে গেলাম।
ততক্ষণে ঢাকার সব মিডিয়ায় বোমার খবর চাউর হয়ে গেছে। ইস্কাটনের রাস্তায় বোমা রাখার কারণে বাংলামোটর থেকে মগবাজার সড়ক বন্ধ। বোমা দেখার জন্য দুপাশে হাজারো উৎসুক মানুষ ভিড়। জনকণ্ঠ অফিস লোকে লোকারণ্য। রাজনৈতিক নেতারাও এলেন। অফিসে পা ফেলার জায়গা নেই। শহরে নানা গুজবও ছড়িয়ে পড়েছে। ফোনের পরে ফোন আসছে পিএবিএক্সে। সারা রাত রাস্তায় বোমা রেখে আমরা সবাই অফিসে বসে থাকলাম।
পরদিন শনিবারের সকাল। বাসায় গিয়ে একটু নাশতা করে আবার অফিসে এলাম। সেনাবাহিনী থেকে বোমা বহনের জন্য বিশেষ ধরনের গাড়ি আনা হচ্ছে। সেই গাড়ির জন্য আমরা অপেক্ষা করছি। দুপুরের দিকে গাড়ি এল আগেপিছে সাইরেন বাজিয়ে। গাড়িটিতে বোমা তুলে নিয়ে যাওয়া হবে মিরপুর ক্যান্টনমেন্টের ফায়ারিং রেঞ্জে। বায়না ধরলাম, বিস্ফোরণ দেখতে যাব। সেনা কর্মকর্তারা রাজি হলেন। অফিস থেকে একটা গাড়ি নিয়ে বহরের সঙ্গে চললাম।
বোমা বহনকারী গাড়িবহর যখন মিরপুর ক্যান্টনমেন্টে পৌঁছাল, তখন দুপুর গড়িয়ে গেছে। গাড়িবহরের সাইরেনের কারণে এমপি চেকপোস্টগুলো সচল হয়ে গেছে। আগেপিছে সেনাবাহিনীর চারটি গাড়ি, সঙ্গে রমনা থানার পুলিশের গাড়ি। আমরাও যাচ্ছি ফায়ার রেঞ্জ এলাকায়।
মিরপুর ক্যান্টনমেন্টের পেছনে পুরো ফাঁকা জলাশয়। ডিওএইচএস তখনো হয়নি। ক্যান্টনমেন্টের একেবারে শেষ মাথায় ফায়ারিং রেঞ্জ। রেঞ্জের নিরাপত্তার জন্য কংক্রিটের উঁচু দেয়াল। তার পাশে একটি টিনের ছাউনি। দূরে বিমানবন্দরের হ্যাঙ্গার দেখা যাচ্ছে। বিলের ধার ঘেঁষে পাকা রাস্তা। বোমা নিয়ে গাড়িবহর সেখানে এসে থামল। খুব সতর্কতার সঙ্গে গাড়ি থেকে নামানো হলো ভয়ংকর বোমাটি। এরপর নিয়ে যাওয়া হলো বিস্ফোরণ এলাকায়।
চকোলেট রঙের ব্রিফকেসটি মাটিতে রাখার পর সেনা কর্মকর্তারা উপুড় হয়ে শেষবারের মতো ভেতরের বস্তুটি দেখে নিলেন। আর কোনো সংশয় নেই। একটু পর এলেন ১৪ স্বতন্ত্র ইঞ্জিনিয়ারিং ব্রিগেডের কমান্ডার আবু হাশিম খান। তিনি আসার পর ১১ সদস্যের বিস্ফোরক দল ব্রিফকেসটি তুলে নিয়ে গেল জলাধারের কাছে। জল-জংলার পাশে লাউখেত। রাস্তায় কাদা। সিআইডির ফিঙ্গার প্রিন্টের ওসি ফরিদ আহমেদ, মিরপুর ও রমনা থানার পুলিশ, সঙ্গে বিভিন্ন সংস্থার ১০-১২ জন সদস্য নেমে গেলেন সেই পথে।
আমরা অপেক্ষা করছি কখন বোমাটি ফাটবে। একটু পর বলা হলো, মিরপুরে মসজিদ থেকে উদ্ধার করা বোমাটিও একই সঙ্গে ফাটানো হবে। গাড়িবহর আবার ছুটল নতুন বোমার খোঁজে। এক ঘণ্টা পর সেই বোমা এল। সিদ্ধান্ত হলো, আগে মিরপুরের বোমাটি ফাটানো হবে। এ সময় কী প্রস্তুতি নিতে হবে, তা আমাদের বুঝিয়ে দেওয়া হলো। লোক পাঠিয়ে ফায়ার রেঞ্জের পাশের সব ভবনের জানালা খোলার নির্দেশ দেওয়া হলো; যাতে শব্দে জানালার কাচ না ভাঙে।
মিরপুরের বোমাটি খোলা হলো সবার সামনে। ১০ ইঞ্চি লম্বা লালচে বোমাটির মুখে ঘড়ি ও দুটি অলিম্পিক পেনসিল ব্যাটারির সংযোগ। লম্বাটে বোমার গায়ে আতাফলের মতো খাঁচকাটা। সতর্কতার সঙ্গে বোমাটি রাখা হলো বিলের পানির কাছে স্যাঁতসেঁতে মাটিতে। তার সঙ্গে সংযুক্ত হলো দুটি ডেটোনেটর। তারের শেষ মাথায় ব্লাস্টিং মেশিন। তাতে বিদ্যুতের প্রবাহ দিতেই বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হলো বোমাটি।
এরপর শুরু হলো জনকণ্ঠে রাখা ব্রিফকেসের বোমা ফাটানোর কাজ। দূর থেকে প্রথমে বিশেষ কায়দায় খোলা হলো ব্রিফকেসের ওপরের ডালাটি। দেখা গেল, ভেতরে কাঠের ওপর বোমাটি বসানো; যাতে নড়াচড়া না হয়। বোমাটি যুক্ত রয়েছে ব্রিফকেসের নম্বর লকের সঙ্গে। সন্ধ্যা ৬টা ৫ মিনিটে বিস্ফোরণ ঘটানো হলো শেষ বোমাটি। বিস্ফোরণের শব্দ প্রতিধ্বনিত হলো ঝিলের পানিতে। ততক্ষণে সন্ধ্যা ঘনিয়ে এসেছে, অফিসে ফিরে এলাম।
অফিসে এসে শুনি, আইএসপিআর হ্যান্ডআউট দিয়ে বলেছে, বোমাটি বিস্ফোরিত হলে ১০০ মিটার এলাকার সবকিছু উড়ে যেত। স্বরাষ্ট্রসচিব সফিউর রহমান একটি তদন্ত কমিটি করে দিয়েছেন। জনকণ্ঠের প্রশাসনিক কর্মকর্তা খান মোহাম্মদ আবু সাঈদ বাদী হয়ে রমনা থানায় মামলা করলেন। এরপর এ ঘটনার অনেক ফলোআপ হয়েছিল। আবার অন্যান্য গণমাধ্যম থেকে রটানো হলো, কাটতি বাড়াতে এ ঘটনা সাজানো হয়েছে। কী কারণে যেন পুলিশি তদন্তও থেমে গেল। তারপর এত বছরে অনেক জঙ্গি ধরা পড়েছে, বিচারও হয়েছে। শুধু এ ঘটনার কোনো বিচার হলো না। বিষয়টা এখনো খুব অদ্ভুত মনে হয়।

গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
১৫ দিন আগে
গুলির নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনা নয়, এটি দেশের আইন। আইন পুলিশ বানায় না, পার্লামেন্ট বানায়। আইন যা বলেছে, আমরা শুধু সেটাই অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছি।’
১৫ দিন আগে
প্রতি মাসে ১ লাখ টাকার বিপরীতে ২ হাজার টাকা লভ্যাংশ দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকদের টাকা নেয় ‘বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন’ নামের একটি এনজিও। এনজিওটির কার্যালয় নওগাঁ সদরের অফিসপাড়া এলাকায়। এর পরিচালক মো. নাজিম উদ্দিন তনু। প্রথম দিকে পরিচালকদের মনোনীত কিছু গ্রাহককে এই হারে লভ্যাংশ দেয় বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন।
১৫ দিন আগে
রাজধানীর অপরাধজগতে নতুন পর্দা নামিয়েছেন রনি নামের এক সন্ত্রাসী। দুই লাখ টাকায় খুনি ভাড়া দিয়ে তিনি শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাইফ মামুনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করিয়েছেন। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) বলছে, রনি সানজিদুল ইসলাম ইমনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। প্রথমে মুদিদোকানদার, পরে ডিশ ব্যবসায়ী।
২৩ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সৌদি আরবে এক প্রবাসী ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে বাংলাদেশে তাঁর পরিবারের কাছ থেকে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে একটি চক্র। না দিলে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়। পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন ব্যাংক হিসাব ও মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসে (এমএফএস) ধাপে ধাপে মোট ৩৫ লাখ টাকা পাঠালে সৌদি আরবের রিয়াদে অচেতন অবস্থায় তাঁকে ফেলে যায় অপহরণকারীরা।
গত মঙ্গলবার অপহরণকারী এই চক্রের বাংলাদেশি সদস্য মো. জিয়াউর রহমানকে (৪২) মাগুরার শালিখা থানার হরিপুর বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি।
গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি মো. রাসেল নামের ওই প্রবাসীকে অপহরণের পর সে মাসের ২১ তারিখে তাঁর শ্বশুর রাজধানীর খিলগাঁও থানায় মামলা করেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মামলাটি সিআইডির ঢাকা মেট্রো (পূর্ব) ইউনিট তদন্ত করছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, মো. রাসেল ২০ বছর ধরে রিয়াদে ব্যবসা করছেন। ১২ জানুয়ারি অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা তাঁকে অপহরণ করে তাঁর বড় ভাই সাইফুল ইসলামের কাছে ইমু ও ভিওআইপিতে ফোন করে মুক্তিপণ দাবি করে। টাকা না দিলে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়। কয়েক ধাপে টাকা পাঠানোর পর তাঁকে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে যায় অপহরণকারীরা।

সৌদি আরবে এক প্রবাসী ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে বাংলাদেশে তাঁর পরিবারের কাছ থেকে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে একটি চক্র। না দিলে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়। পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন ব্যাংক হিসাব ও মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসে (এমএফএস) ধাপে ধাপে মোট ৩৫ লাখ টাকা পাঠালে সৌদি আরবের রিয়াদে অচেতন অবস্থায় তাঁকে ফেলে যায় অপহরণকারীরা।
গত মঙ্গলবার অপহরণকারী এই চক্রের বাংলাদেশি সদস্য মো. জিয়াউর রহমানকে (৪২) মাগুরার শালিখা থানার হরিপুর বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি।
গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি মো. রাসেল নামের ওই প্রবাসীকে অপহরণের পর সে মাসের ২১ তারিখে তাঁর শ্বশুর রাজধানীর খিলগাঁও থানায় মামলা করেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মামলাটি সিআইডির ঢাকা মেট্রো (পূর্ব) ইউনিট তদন্ত করছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, মো. রাসেল ২০ বছর ধরে রিয়াদে ব্যবসা করছেন। ১২ জানুয়ারি অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা তাঁকে অপহরণ করে তাঁর বড় ভাই সাইফুল ইসলামের কাছে ইমু ও ভিওআইপিতে ফোন করে মুক্তিপণ দাবি করে। টাকা না দিলে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়। কয়েক ধাপে টাকা পাঠানোর পর তাঁকে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে যায় অপহরণকারীরা।

আমাদের আর তর সইছে না। সবাই অধীর অপেক্ষায়—কখন ফাটবে সেই বোমা। ঘণ্টা তিনেক অপেক্ষার পর নির্দেশ এল। দুই হাতে দুই কান ঢেকে নিচু হয়ে মাটিতে বসে পড়লাম।
০৮ অক্টোবর ২০২২
গুলির নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনা নয়, এটি দেশের আইন। আইন পুলিশ বানায় না, পার্লামেন্ট বানায়। আইন যা বলেছে, আমরা শুধু সেটাই অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছি।’
১৫ দিন আগে
প্রতি মাসে ১ লাখ টাকার বিপরীতে ২ হাজার টাকা লভ্যাংশ দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকদের টাকা নেয় ‘বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন’ নামের একটি এনজিও। এনজিওটির কার্যালয় নওগাঁ সদরের অফিসপাড়া এলাকায়। এর পরিচালক মো. নাজিম উদ্দিন তনু। প্রথম দিকে পরিচালকদের মনোনীত কিছু গ্রাহককে এই হারে লভ্যাংশ দেয় বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন।
১৫ দিন আগে
রাজধানীর অপরাধজগতে নতুন পর্দা নামিয়েছেন রনি নামের এক সন্ত্রাসী। দুই লাখ টাকায় খুনি ভাড়া দিয়ে তিনি শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাইফ মামুনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করিয়েছেন। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) বলছে, রনি সানজিদুল ইসলাম ইমনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। প্রথমে মুদিদোকানদার, পরে ডিশ ব্যবসায়ী।
২৩ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

অরাজকতা প্রতিহত করতে গেলে পুলিশের সঙ্গে অসদাচরণ করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ সাজ্জাত আলী। তিনি বলেছেন, পুলিশ যখন অরাজকতা ঠেকানোর চেষ্টা করছে, তখন তাদের সঙ্গে যে আচরণ করা হয়েছে, তা অত্যন্ত দুঃখজনক।
ডিএমপি কমিশনার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ‘আমার অফিসারদের সঙ্গে এ ধরনের আচরণ করবেন না।’
আজ বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার সাপোর্ট সেন্টার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
সাম্প্রতিক অরাজকতা প্রতিরোধের সময় পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণের বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, ‘পুলিশ যখন অরাজকতা প্রতিহত করার চেষ্টা করছিল, তখন আমার অফিসারদের সঙ্গে যে ধরনের ব্যবহার করা হয়েছে, তা অত্যন্ত হতাশাজনক। আমার অফিসারদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করবেন না। আমরা সংঘাতে জড়াতে চাই না; আমরা সেবা দিতে চাই। আপনারা যেটি করতে চাচ্ছিলেন, সেটি করলে সমাজে, ঢাকায় এবং পুরো দেশে অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো।’
কমিশনার জানান, একটি গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন হয়েছে। এখন যদি একই ধরনের কার্যকলাপ দেখা যায়, তাহলে সমাজে অস্থিরতা বাড়বে। এ জন্যই পুলিশের সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছিলেন। কিন্তু তাঁদের প্রতি এমন আচরণ কোনো শিক্ষিত ও সচেতন মানুষের কাছ থেকে প্রত্যাশিত নয়।
পল্লবী থানার সামনে ককটেল বিস্ফোরণে এক পুলিশ সদস্য আহত হওয়ার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘আমার নিরপরাধ অফিসারকে যেভাবে ককটেল মেরে আহত করা হয়েছে, তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এতে সদস্যদের মনোবল নষ্ট হয় এবং এর ক্ষতি সমাজকেই ভোগ করতে হয়। যদি পুলিশের মনোবল ভেঙে যায়, তবে ৫ আগস্টের পর যেভাবে ৮০ বছরের বৃদ্ধও লাঠি হাতে নিয়ে মহল্লা পাহারা দিয়েছেন, সেই পরিস্থিতি আবার তৈরি হতে পারে।’
যারা ককটেল ছোড়া বা এ ধরনের দুর্বৃত্তায়নের মাধ্যমে পুলিশ সদস্যদের মনোবল ভাঙার চেষ্টা করছে, তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন—‘এই কাজটি করবেন না।’
গুলির নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনা নয়, এটি দেশের আইন। আইন পুলিশ বানায় না, পার্লামেন্ট বানায়। আইন যা বলেছে, আমরা শুধু সেটাই অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছি।’
ডিএমপি কমিশনার জানান, দ্রুত পরিবর্তনশীল প্রযুক্তিনির্ভর অপরাধ মোকাবিলায় আধুনিক সক্ষমতা গড়ে তুলতেই ডিবির সাইবার সাপোর্ট সেন্টার উদ্বোধন করা হয়েছে। এখানে থাকবে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিযুক্ত ল্যাব, দক্ষ তদন্তকারী দল, ডিজিটাল ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ এবং ২৪ ঘণ্টার রেসপন্স টিম। ফেসবুক পেজ, ই-মেইল এবং ডিবির অনলাইন চ্যানেলের মাধ্যমে নাগরিকেরা সরাসরি অভিযোগ জানাতে পারবেন। প্রযুক্তিনির্ভর, সময়োপযোগী ও প্রমাণভিত্তিক পুলিশ সেবা নিশ্চিত করাই তাদের লক্ষ্য।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, বর্তমান সময়ে অনলাইন জালিয়াতি, প্রতারণা, ডিজিটাল হয়রানি, মানহানি, অনলাইন গ্যাম্বলিংসহ নানা অপরাধ মানুষের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ও আর্থিক সুরক্ষাকে হুমকির মুখে ফেলছে। তাই জনগণের নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে ডিএমপি তার সক্ষমতা বাড়িয়ে চলেছে।
নারী ও কিশোরদের সুরক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে সাইবার সাপোর্ট সেন্টার কাজ করবে উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নারী ও কিশোরদের ওপর হয়রানির অভিযোগ দ্রুত সমাধানের জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হবে। হয়রানির শিকার হলে দ্রুত সহায়তা নিশ্চিত করাই তাদের অন্যতম অঙ্গীকার।
সাইবার নিরাপত্তা শুধু পুলিশের দায়িত্ব নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, পরিবার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সমাজের সচেতনতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিরাপদ অনলাইন পরিবেশ গড়ে তুলতে তিনি সম্মিলিত উদ্যোগের ওপর গুরুত্ব দেন।

অরাজকতা প্রতিহত করতে গেলে পুলিশের সঙ্গে অসদাচরণ করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ সাজ্জাত আলী। তিনি বলেছেন, পুলিশ যখন অরাজকতা ঠেকানোর চেষ্টা করছে, তখন তাদের সঙ্গে যে আচরণ করা হয়েছে, তা অত্যন্ত দুঃখজনক।
ডিএমপি কমিশনার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ‘আমার অফিসারদের সঙ্গে এ ধরনের আচরণ করবেন না।’
আজ বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার সাপোর্ট সেন্টার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
সাম্প্রতিক অরাজকতা প্রতিরোধের সময় পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণের বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, ‘পুলিশ যখন অরাজকতা প্রতিহত করার চেষ্টা করছিল, তখন আমার অফিসারদের সঙ্গে যে ধরনের ব্যবহার করা হয়েছে, তা অত্যন্ত হতাশাজনক। আমার অফিসারদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করবেন না। আমরা সংঘাতে জড়াতে চাই না; আমরা সেবা দিতে চাই। আপনারা যেটি করতে চাচ্ছিলেন, সেটি করলে সমাজে, ঢাকায় এবং পুরো দেশে অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো।’
কমিশনার জানান, একটি গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন হয়েছে। এখন যদি একই ধরনের কার্যকলাপ দেখা যায়, তাহলে সমাজে অস্থিরতা বাড়বে। এ জন্যই পুলিশের সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছিলেন। কিন্তু তাঁদের প্রতি এমন আচরণ কোনো শিক্ষিত ও সচেতন মানুষের কাছ থেকে প্রত্যাশিত নয়।
পল্লবী থানার সামনে ককটেল বিস্ফোরণে এক পুলিশ সদস্য আহত হওয়ার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘আমার নিরপরাধ অফিসারকে যেভাবে ককটেল মেরে আহত করা হয়েছে, তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এতে সদস্যদের মনোবল নষ্ট হয় এবং এর ক্ষতি সমাজকেই ভোগ করতে হয়। যদি পুলিশের মনোবল ভেঙে যায়, তবে ৫ আগস্টের পর যেভাবে ৮০ বছরের বৃদ্ধও লাঠি হাতে নিয়ে মহল্লা পাহারা দিয়েছেন, সেই পরিস্থিতি আবার তৈরি হতে পারে।’
যারা ককটেল ছোড়া বা এ ধরনের দুর্বৃত্তায়নের মাধ্যমে পুলিশ সদস্যদের মনোবল ভাঙার চেষ্টা করছে, তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন—‘এই কাজটি করবেন না।’
গুলির নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনা নয়, এটি দেশের আইন। আইন পুলিশ বানায় না, পার্লামেন্ট বানায়। আইন যা বলেছে, আমরা শুধু সেটাই অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছি।’
ডিএমপি কমিশনার জানান, দ্রুত পরিবর্তনশীল প্রযুক্তিনির্ভর অপরাধ মোকাবিলায় আধুনিক সক্ষমতা গড়ে তুলতেই ডিবির সাইবার সাপোর্ট সেন্টার উদ্বোধন করা হয়েছে। এখানে থাকবে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিযুক্ত ল্যাব, দক্ষ তদন্তকারী দল, ডিজিটাল ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ এবং ২৪ ঘণ্টার রেসপন্স টিম। ফেসবুক পেজ, ই-মেইল এবং ডিবির অনলাইন চ্যানেলের মাধ্যমে নাগরিকেরা সরাসরি অভিযোগ জানাতে পারবেন। প্রযুক্তিনির্ভর, সময়োপযোগী ও প্রমাণভিত্তিক পুলিশ সেবা নিশ্চিত করাই তাদের লক্ষ্য।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, বর্তমান সময়ে অনলাইন জালিয়াতি, প্রতারণা, ডিজিটাল হয়রানি, মানহানি, অনলাইন গ্যাম্বলিংসহ নানা অপরাধ মানুষের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ও আর্থিক সুরক্ষাকে হুমকির মুখে ফেলছে। তাই জনগণের নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে ডিএমপি তার সক্ষমতা বাড়িয়ে চলেছে।
নারী ও কিশোরদের সুরক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে সাইবার সাপোর্ট সেন্টার কাজ করবে উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নারী ও কিশোরদের ওপর হয়রানির অভিযোগ দ্রুত সমাধানের জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হবে। হয়রানির শিকার হলে দ্রুত সহায়তা নিশ্চিত করাই তাদের অন্যতম অঙ্গীকার।
সাইবার নিরাপত্তা শুধু পুলিশের দায়িত্ব নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, পরিবার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সমাজের সচেতনতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিরাপদ অনলাইন পরিবেশ গড়ে তুলতে তিনি সম্মিলিত উদ্যোগের ওপর গুরুত্ব দেন।

আমাদের আর তর সইছে না। সবাই অধীর অপেক্ষায়—কখন ফাটবে সেই বোমা। ঘণ্টা তিনেক অপেক্ষার পর নির্দেশ এল। দুই হাতে দুই কান ঢেকে নিচু হয়ে মাটিতে বসে পড়লাম।
০৮ অক্টোবর ২০২২
গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
১৫ দিন আগে
প্রতি মাসে ১ লাখ টাকার বিপরীতে ২ হাজার টাকা লভ্যাংশ দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকদের টাকা নেয় ‘বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন’ নামের একটি এনজিও। এনজিওটির কার্যালয় নওগাঁ সদরের অফিসপাড়া এলাকায়। এর পরিচালক মো. নাজিম উদ্দিন তনু। প্রথম দিকে পরিচালকদের মনোনীত কিছু গ্রাহককে এই হারে লভ্যাংশ দেয় বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন।
১৫ দিন আগে
রাজধানীর অপরাধজগতে নতুন পর্দা নামিয়েছেন রনি নামের এক সন্ত্রাসী। দুই লাখ টাকায় খুনি ভাড়া দিয়ে তিনি শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাইফ মামুনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করিয়েছেন। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) বলছে, রনি সানজিদুল ইসলাম ইমনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। প্রথমে মুদিদোকানদার, পরে ডিশ ব্যবসায়ী।
২৩ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

‘অতি লোভে তাঁতি নষ্ট’— প্রচলিত প্রবাদ যে হুবহু বাস্তবে ঘটতে পারে, তার প্রমাণ মিলল উত্তরাঞ্চলের জেলা নওগাঁয়। এই জেলার ৮০০ জনের বেশি মানুষকে অতি মুনাফার ফাঁদে ফেলে ৬০০ কোটি টাকা আত্মসাতের চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে।
বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাতের অন্যতম হোতা মো. নাজিম উদ্দিন তনুকে (৩৭) গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ—সিআইডি। গতকাল বুধবার সকালে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় রাজধানী ঢাকার দক্ষিণখান এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সিআইডির পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রেপ্তার মো. নাজিম উদ্দিন তনুর বাড়ি নওগাঁ সদর উপজেলার জগৎসিংহপুরে। প্রায় এক বছর আগে ২০২৪ সালের ১২ নভেম্বর নওগাঁ সদর থানায় নাজিম উদ্দিনসহ কয়েকজনের নামে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের মামলা করেছিলেন এক ব্যক্তি। মামলাটি বর্তমানে সিআইডির নওগাঁ জেলা ইউনিট পরিচালনা করছে।
মামলার তদন্তে জানা যায়, প্রতি মাসে ১ লাখ টাকার বিপরীতে ২ হাজার টাকা লভ্যাংশ দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকদের টাকা নেয় ‘বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন’ নামের একটি এনজিও। এনজিওটির কার্যালয় নওগাঁ সদরের অফিসপাড়া এলাকায়। পরিচালক মো. নাজিম উদ্দিন তনু।
প্রথম দিকে পরিচালকদের মনোনীত কিছু গ্রাহককে এই হারে লভ্যাংশ দেয় বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন। পরে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালকেরা সুকৌশলে প্রচার করা শুরু করেন। তাঁদের এই ফাঁদে পড়ে বহু সাধারণ মানুষ বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশনে গ্রাহক হিসেবে বিনিয়োগে আগ্রহী হন। মামলার বাদী নিজেই ২০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেন। ২০২৪ সালের আগস্ট মাসের পর থেকে বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশনে আর্থিক লেনদেনে অস্বচ্ছতা দেখা দেয়। ভুক্তভোগী গ্রাহকেরা সে সময় থেকে তাঁদের জমাকৃত কিংবা ঋণের অর্থ ঠিকঠাক উত্তোলন করতে পারছিলেন না। বিষয়টি নিয়ে অভিযাগ জানালে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ হতে গ্রাহকদের কাছে কিছুটা সময় চেয়ে নেন পরিচালক তনু।
কিন্তু গত বছরের নভেম্বরে আও বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশনের কার্যালয়ে গিয়ে বাদীসহ অন্য ভুক্তভোগীরা নিজেদের অর্থ ফেরত চাইলে কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন টালবাহানা ও সময়ক্ষেপণ করতে থাকে। একপর্যায়ে গ্রাহকদের অর্থ দেওয়া হবে না মর্মে জানিয়ে সেখান থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়।
এই ঘটনার পর বাদী নওগাঁ সদর থানায় মামলা (মামলা নম্বর ২০, তারিখ ১২-১১-২০২৪, ধারা-৪০৬/৪২০ পেনাল কোড-১৮৬০) করেন। বাদী এজাহারে উল্লেখ করেন যে ভুক্তভোগীদের প্রায় ১৫০ কোটি টাকা প্রতিষ্ঠানে জমা ছিল।
তবে সিআইডি জানায়, এ পর্যন্ত আট শতাধিক ভুক্তভোগী ৬০০ কোটির বেশি টাকা বিনিয়োগ করে প্রতারিত হয়েছেন বলে প্রাথমিক তদন্তে তথ্য পাওয়া গেছে। তথ্য যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। এই ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকায় মো. নাজিম উদ্দিন তনুসহ মোট ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

‘অতি লোভে তাঁতি নষ্ট’— প্রচলিত প্রবাদ যে হুবহু বাস্তবে ঘটতে পারে, তার প্রমাণ মিলল উত্তরাঞ্চলের জেলা নওগাঁয়। এই জেলার ৮০০ জনের বেশি মানুষকে অতি মুনাফার ফাঁদে ফেলে ৬০০ কোটি টাকা আত্মসাতের চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে।
বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাতের অন্যতম হোতা মো. নাজিম উদ্দিন তনুকে (৩৭) গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ—সিআইডি। গতকাল বুধবার সকালে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় রাজধানী ঢাকার দক্ষিণখান এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সিআইডির পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রেপ্তার মো. নাজিম উদ্দিন তনুর বাড়ি নওগাঁ সদর উপজেলার জগৎসিংহপুরে। প্রায় এক বছর আগে ২০২৪ সালের ১২ নভেম্বর নওগাঁ সদর থানায় নাজিম উদ্দিনসহ কয়েকজনের নামে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের মামলা করেছিলেন এক ব্যক্তি। মামলাটি বর্তমানে সিআইডির নওগাঁ জেলা ইউনিট পরিচালনা করছে।
মামলার তদন্তে জানা যায়, প্রতি মাসে ১ লাখ টাকার বিপরীতে ২ হাজার টাকা লভ্যাংশ দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকদের টাকা নেয় ‘বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন’ নামের একটি এনজিও। এনজিওটির কার্যালয় নওগাঁ সদরের অফিসপাড়া এলাকায়। পরিচালক মো. নাজিম উদ্দিন তনু।
প্রথম দিকে পরিচালকদের মনোনীত কিছু গ্রাহককে এই হারে লভ্যাংশ দেয় বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন। পরে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালকেরা সুকৌশলে প্রচার করা শুরু করেন। তাঁদের এই ফাঁদে পড়ে বহু সাধারণ মানুষ বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশনে গ্রাহক হিসেবে বিনিয়োগে আগ্রহী হন। মামলার বাদী নিজেই ২০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেন। ২০২৪ সালের আগস্ট মাসের পর থেকে বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশনে আর্থিক লেনদেনে অস্বচ্ছতা দেখা দেয়। ভুক্তভোগী গ্রাহকেরা সে সময় থেকে তাঁদের জমাকৃত কিংবা ঋণের অর্থ ঠিকঠাক উত্তোলন করতে পারছিলেন না। বিষয়টি নিয়ে অভিযাগ জানালে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ হতে গ্রাহকদের কাছে কিছুটা সময় চেয়ে নেন পরিচালক তনু।
কিন্তু গত বছরের নভেম্বরে আও বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশনের কার্যালয়ে গিয়ে বাদীসহ অন্য ভুক্তভোগীরা নিজেদের অর্থ ফেরত চাইলে কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন টালবাহানা ও সময়ক্ষেপণ করতে থাকে। একপর্যায়ে গ্রাহকদের অর্থ দেওয়া হবে না মর্মে জানিয়ে সেখান থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়।
এই ঘটনার পর বাদী নওগাঁ সদর থানায় মামলা (মামলা নম্বর ২০, তারিখ ১২-১১-২০২৪, ধারা-৪০৬/৪২০ পেনাল কোড-১৮৬০) করেন। বাদী এজাহারে উল্লেখ করেন যে ভুক্তভোগীদের প্রায় ১৫০ কোটি টাকা প্রতিষ্ঠানে জমা ছিল।
তবে সিআইডি জানায়, এ পর্যন্ত আট শতাধিক ভুক্তভোগী ৬০০ কোটির বেশি টাকা বিনিয়োগ করে প্রতারিত হয়েছেন বলে প্রাথমিক তদন্তে তথ্য পাওয়া গেছে। তথ্য যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। এই ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকায় মো. নাজিম উদ্দিন তনুসহ মোট ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আমাদের আর তর সইছে না। সবাই অধীর অপেক্ষায়—কখন ফাটবে সেই বোমা। ঘণ্টা তিনেক অপেক্ষার পর নির্দেশ এল। দুই হাতে দুই কান ঢেকে নিচু হয়ে মাটিতে বসে পড়লাম।
০৮ অক্টোবর ২০২২
গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
১৫ দিন আগে
গুলির নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনা নয়, এটি দেশের আইন। আইন পুলিশ বানায় না, পার্লামেন্ট বানায়। আইন যা বলেছে, আমরা শুধু সেটাই অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছি।’
১৫ দিন আগে
রাজধানীর অপরাধজগতে নতুন পর্দা নামিয়েছেন রনি নামের এক সন্ত্রাসী। দুই লাখ টাকায় খুনি ভাড়া দিয়ে তিনি শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাইফ মামুনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করিয়েছেন। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) বলছে, রনি সানজিদুল ইসলাম ইমনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। প্রথমে মুদিদোকানদার, পরে ডিশ ব্যবসায়ী।
২৩ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর অপরাধজগতে নতুন পর্দা নামিয়েছেন রনি নামের এক সন্ত্রাসী। দুই লাখ টাকায় খুনি ভাড়া দিয়ে তিনি শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাইফ মামুনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করিয়েছেন। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) বলছে, রনি সানজিদুল ইসলাম ইমনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। প্রথমে মুদিদোকানদার, পরে ডিশ ব্যবসায়ী। এখন ঢাকার অপরাধজগতের নতুন নিয়ন্ত্রক হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন।
জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার শফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে জানান, রনি মূলত মুদিদোকানি ছিলেন। শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমন কারাগারে থাকাকালে রনির সঙ্গে পরিচয় হয়। ইমন তাঁর মাধ্যমে অপরাধ চক্রের একটি অংশ নিয়ন্ত্রণ করতেন। শুরুতে রাজধানীর হাজারীবাগ এলাকার ডিশ ব্যবসা দখল, চাঁদাবাজি ও হুমকি দেওয়ার মাধ্যমে অর্থ আদায় করে কারাগারে থাকা ইমনকে পাঠাতেন। পরে সন্ত্রাসী ইমনের শিষ্যদের ব্যবহার করে বড় বড় কাজ করতে থাকেন। মিরপুর এলাকায়ও ব্যবসা বড় করতে থাকেন। এভাবে রনি ধীরে ধীরে ঢাকার অপরাধজগতের পরিচিত মুখে পরিণত হন।
ডিবির সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুনকে হত্যা করার পরিকল্পনা ছিল ইমনের। সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে রনির নির্দেশে ফারুক হোসেন ফয়সাল ও রবিন আহম্মেদ পিয়াস গুলি করেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে দিকনির্দেশনা দিচ্ছিলেন তিনি। পুলিশ বলছে, এখন পর্যন্ত ফারুক রবিন, রুবেল, শামীম আহম্মেদ ও ইউসুফ ওরফে জীবনকে গ্রেপ্তার করতে পারলেও রনির খোঁজ মিলছে না।
ডিবির তথ্য অনুযায়ী, গতকাল মঙ্গলবার রাতে নরসিংদীর ভেলানগর থেকে ফারুক, রবিন, শামীম ও রুবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। হত্যার পর তাঁরা প্রথমে ঢাকা থেকে সিলেট হয়ে ভারতে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু ব্যর্থ হয়ে সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। গ্রেপ্তার হওয়ার আগে ফারুক ও রবিন ব্যবহৃত অস্ত্র ও অব্যবহৃত গুলি রনির নির্দেশে রুবেলের কাছে রেখে আসেন। পরে রুবেল পেশায় দরজি ইউসুফের কাছে অস্ত্রগুলো হস্তান্তর করেন।
পুলিশ জানিয়েছে, ইউসুফ মোহাম্মদপুরে তাঁর বাসায় অস্ত্র ও গুলি লুকিয়ে রেখেছিলেন। মোটরসাইকেল, অস্ত্র ও নগদ ১ লাখ ৫৩ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। রনি পারিশ্রমিক হিসেবে এই টাকা দুই ভাগে ভাগ করে দুই শুটারকে দেন।
ডিবি পুলিশ জানিয়েছে, জামিনে মুক্তির পর মামুন আবার অপরাধজগতে প্রভাব বিস্তার শুরু করেন। রনিকে পাত্তা না দিয়ে তাঁর এলাকা দখল করতে চান। তখনই শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের সঙ্গে পরার্মশ করে মামুনকে পথ থেকে সরানোর পরিকল্পনা করেন রনি। পরিকল্পনা অনুযায়ী দুই লাখ টাকায় ভাড়াটে খুনি ব্যবহার করেন।
পুলিশ ও ডিবি কর্মকর্তারা বলেন, এই হত্যাকাণ্ড আন্ডারওয়ার্ল্ডের পুরোনো দ্বন্দ্বের ধারাবাহিকতা। মামুন ও ইমন দুজনই ঢাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী, যাঁরা প্রভাব বিস্তার ও এলাকা দখল নিয়ে লড়াই করছিলেন। ইমনের সহযোগী হিসেবে রনি দ্রুত অপরাধজগতে পরিচিত হয়ে ওঠেন। সর্বশেষ মামুন হত্যার পর তিনি এখন ঢাকার অপরাধজগতে নতুন চরিত্র। ডিবি অভিযান চালিয়ে মূল পরিকল্পনাকারী রনি ও তাঁর সহযোগীদের ধরার চেষ্টা করছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলছে, এ ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড রোধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
পাঁচজন রিমান্ডে
মামুন হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার পাঁচজনকে গতকাল মোহাম্মদপুর থানার অস্ত্র আইনের মামলায় ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে ডিবি পুলিশ। আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে শুনানি করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট পার্থ ভদ্র প্রত্যেকের চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

রাজধানীর অপরাধজগতে নতুন পর্দা নামিয়েছেন রনি নামের এক সন্ত্রাসী। দুই লাখ টাকায় খুনি ভাড়া দিয়ে তিনি শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাইফ মামুনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করিয়েছেন। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) বলছে, রনি সানজিদুল ইসলাম ইমনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। প্রথমে মুদিদোকানদার, পরে ডিশ ব্যবসায়ী। এখন ঢাকার অপরাধজগতের নতুন নিয়ন্ত্রক হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন।
জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার শফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে জানান, রনি মূলত মুদিদোকানি ছিলেন। শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমন কারাগারে থাকাকালে রনির সঙ্গে পরিচয় হয়। ইমন তাঁর মাধ্যমে অপরাধ চক্রের একটি অংশ নিয়ন্ত্রণ করতেন। শুরুতে রাজধানীর হাজারীবাগ এলাকার ডিশ ব্যবসা দখল, চাঁদাবাজি ও হুমকি দেওয়ার মাধ্যমে অর্থ আদায় করে কারাগারে থাকা ইমনকে পাঠাতেন। পরে সন্ত্রাসী ইমনের শিষ্যদের ব্যবহার করে বড় বড় কাজ করতে থাকেন। মিরপুর এলাকায়ও ব্যবসা বড় করতে থাকেন। এভাবে রনি ধীরে ধীরে ঢাকার অপরাধজগতের পরিচিত মুখে পরিণত হন।
ডিবির সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুনকে হত্যা করার পরিকল্পনা ছিল ইমনের। সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে রনির নির্দেশে ফারুক হোসেন ফয়সাল ও রবিন আহম্মেদ পিয়াস গুলি করেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে দিকনির্দেশনা দিচ্ছিলেন তিনি। পুলিশ বলছে, এখন পর্যন্ত ফারুক রবিন, রুবেল, শামীম আহম্মেদ ও ইউসুফ ওরফে জীবনকে গ্রেপ্তার করতে পারলেও রনির খোঁজ মিলছে না।
ডিবির তথ্য অনুযায়ী, গতকাল মঙ্গলবার রাতে নরসিংদীর ভেলানগর থেকে ফারুক, রবিন, শামীম ও রুবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। হত্যার পর তাঁরা প্রথমে ঢাকা থেকে সিলেট হয়ে ভারতে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু ব্যর্থ হয়ে সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। গ্রেপ্তার হওয়ার আগে ফারুক ও রবিন ব্যবহৃত অস্ত্র ও অব্যবহৃত গুলি রনির নির্দেশে রুবেলের কাছে রেখে আসেন। পরে রুবেল পেশায় দরজি ইউসুফের কাছে অস্ত্রগুলো হস্তান্তর করেন।
পুলিশ জানিয়েছে, ইউসুফ মোহাম্মদপুরে তাঁর বাসায় অস্ত্র ও গুলি লুকিয়ে রেখেছিলেন। মোটরসাইকেল, অস্ত্র ও নগদ ১ লাখ ৫৩ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। রনি পারিশ্রমিক হিসেবে এই টাকা দুই ভাগে ভাগ করে দুই শুটারকে দেন।
ডিবি পুলিশ জানিয়েছে, জামিনে মুক্তির পর মামুন আবার অপরাধজগতে প্রভাব বিস্তার শুরু করেন। রনিকে পাত্তা না দিয়ে তাঁর এলাকা দখল করতে চান। তখনই শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের সঙ্গে পরার্মশ করে মামুনকে পথ থেকে সরানোর পরিকল্পনা করেন রনি। পরিকল্পনা অনুযায়ী দুই লাখ টাকায় ভাড়াটে খুনি ব্যবহার করেন।
পুলিশ ও ডিবি কর্মকর্তারা বলেন, এই হত্যাকাণ্ড আন্ডারওয়ার্ল্ডের পুরোনো দ্বন্দ্বের ধারাবাহিকতা। মামুন ও ইমন দুজনই ঢাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী, যাঁরা প্রভাব বিস্তার ও এলাকা দখল নিয়ে লড়াই করছিলেন। ইমনের সহযোগী হিসেবে রনি দ্রুত অপরাধজগতে পরিচিত হয়ে ওঠেন। সর্বশেষ মামুন হত্যার পর তিনি এখন ঢাকার অপরাধজগতে নতুন চরিত্র। ডিবি অভিযান চালিয়ে মূল পরিকল্পনাকারী রনি ও তাঁর সহযোগীদের ধরার চেষ্টা করছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলছে, এ ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড রোধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
পাঁচজন রিমান্ডে
মামুন হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার পাঁচজনকে গতকাল মোহাম্মদপুর থানার অস্ত্র আইনের মামলায় ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে ডিবি পুলিশ। আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে শুনানি করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট পার্থ ভদ্র প্রত্যেকের চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

আমাদের আর তর সইছে না। সবাই অধীর অপেক্ষায়—কখন ফাটবে সেই বোমা। ঘণ্টা তিনেক অপেক্ষার পর নির্দেশ এল। দুই হাতে দুই কান ঢেকে নিচু হয়ে মাটিতে বসে পড়লাম।
০৮ অক্টোবর ২০২২
গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
১৫ দিন আগে
গুলির নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনা নয়, এটি দেশের আইন। আইন পুলিশ বানায় না, পার্লামেন্ট বানায়। আইন যা বলেছে, আমরা শুধু সেটাই অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছি।’
১৫ দিন আগে
প্রতি মাসে ১ লাখ টাকার বিপরীতে ২ হাজার টাকা লভ্যাংশ দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকদের টাকা নেয় ‘বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন’ নামের একটি এনজিও। এনজিওটির কার্যালয় নওগাঁ সদরের অফিসপাড়া এলাকায়। এর পরিচালক মো. নাজিম উদ্দিন তনু। প্রথম দিকে পরিচালকদের মনোনীত কিছু গ্রাহককে এই হারে লভ্যাংশ দেয় বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন।
১৫ দিন আগে