কামরুল হাসান

ভোর হয়ে আসছে। নীরব চারদিক। ময়মনসিংহ শহরের চোখে ভোররাতের আদুরে ঘুম। এ রকম নীরবতা ভেঙে ঝড়ের গতিতে ছুটে চলেছে আটটি গাড়ির বহর। আকুয়াপাড়ার আঁকাবাঁকা পথ ধরে গাড়িগুলো এসে থেমে গেল শেষ মাথায়। ধূসর রঙের চারতলা সিকান্দার ভিলার সামনে।
কালো উর্দি পরা একজন গাড়ি থেকে নেমে এদিক-ওদিক তাকালেন। এরপর ডান হাত তুলে সঙ্গীদের ইশারা দিলেন। খুলে গেল আট গাড়ির দরজা। নেমে পড়লেন আরও ৪০ জন। ভারী বুটের আওয়াজে মাটি কেঁপে উঠল। দলের নেতাও কালো উর্দি পরা। কাঁধে লে. কর্নেলের ব্যাজ। বুকে নামফলকের জায়গাটা খালি। এক মিনিটেরও কম সময়। ততক্ষণে চারতলা ভবনের চারদিক নজরবন্দী। আশপাশের বাড়ির ছাদে উঠে পড়লেন কেউ কেউ। কয়েকজন দরজার সামনে।
নিচতলায় কলাপসিবল গেটে বড় তালা ঝুলছে। পাশে চারতলার চারটি কলবেল। কোনো কিছু না ভেবে একটি বেলে চাপ দিতেই পাখির কিচিরমিচির শব্দ। তৃতীয় তলা থেকে বারান্দায় এসে উঁকি দিল এক কিশোর, ঘুম জড়ানো চোখে জিজ্ঞেস করল, কে?
সকালের ঘুম ভাঙার বিরক্তি নিয়ে বারান্দায় আসা কিশোর উঁকি দিয়েই থমকে গেল। নিচের মানুষগুলোর দিকে তাকিয়ে উত্তরের অপেক্ষা করে না, নিচে নেমে এল।
একজন মেজর জানতে চাইলেন–এ বাড়িতে একটি শিশুর জন্ম হয়েছে?
কিশোরের ভয়ার্ত চোখ, মাথা নাড়িয়ে বলল, হ্যাঁ।
সে কোথায়? জানতে চাইলেন মেজর।
নিচতলার ভাড়াটের ঘর দেখিয়ে দিল কিশোর। মেজর সামনে দাঁড়ানো লে. কর্নেলের দিকে তাকালেন, মনে হলো শিকার মিলেছে। আর দেরি করার সময় নেই। একজন নিচের তলার দরজায় ঘা দিলেন। দুবার ঘা দিতেই ক্যাচক্যাচ শব্দে কে যেন দরজা খুলে দিলেন।
ঘরে মশারির ভেতরে বোরকা পরা দুই নারী। একজন বসে, আরেকজন শুয়ে। মনে হলো বসে থাকা নারী দরজা খুলে দিয়ে আবার বিছানায় উঠে বসেছেন। নিজের ঘরের বিছানায় বোরকা পরে শুয়ে থাকা দেখে কর্মকর্তারা হতবাক।
এক নারীকে জিজ্ঞেস করেন, ‘আপনি কি বাংলা ভাইয়ের স্ত্রী?’
নারী চমকে উঠে বললেন, ‘এ নামে তো কাউকে চিনি না।’
আপনার স্বামী কোথায়? প্রশ্ন করতেই ত্বরিত জবাব, ‘বিদেশে।’
পাশে আরেকটি ঘর, শুয়ে আছেন এক যুবক। তাকে টেনে তুলে আচমকা জিজ্ঞেস করা হলো, ‘এই, এখানে তোর বউ কোনটি?’
যুবক থতমত খেয়ে এক নারীকে দেখিয়ে বলল, ‘এইটা আমার বউ।’
কর্মকর্তার প্রশ্ন, ‘তাহলে ওই নারী কে?’
যুবক জড়ানো কণ্ঠে বলল, ‘উনি বাংলা ভাইয়ের স্ত্রী।’
এবার বল, বাংলা ভাই কোথায়? জানতে চান কর্মকর্তা। নারী বলেন, আমি জানি না। কর্মকর্তারা চাপ সৃষ্টি করতেই বলেন, মুক্তাগাছায় আছেন। মুক্তাগাছার কোথায় জানতে চাইলে জবাব আসে, ‘সেটা জানি না, কোনো দিন যাইনি।’
কর্মকর্তারা এবার সরাসরি যুবককে বলে বসেন, ‘এই, তুই জানিস। চল আমাদের সঙ্গে।’ যুবক উপায়ান্তর না দেখে হ্যাঁ–সূচক মাথা নেড়ে নিচে নেমে আসে।
যে দলটি এই অভিযান চালাচ্ছে, তাদের নেতা লে. কর্নেল গুলজার উদ্দিন আহমেদ। দলের বাকি সদস্যরা র্যাবের গোয়েন্দা বিভাগের সদস্য। এঁদের হাতে আছে ভারী অস্ত্র আর বুলেটরোধী পোশাক। কারও মুখে কোনো রা নেই। সবাই শুধু দলনেতার আদেশ ফলো করছেন।
গাড়িগুলো আবার ছুটতে শুরু করল। ময়মনসিংহ-টাঙ্গাইল হাইওয়ে ধরে পশ্চিমে, মুক্তাগাছার দিকে।
২০০৬ সালের ৬ মার্চের সকাল। জেএমবি নেতা সিদ্দিকুল ইসলাম বাংলা ভাইয়ের স্ত্রী ফাহিমা এবং তাঁকে শনাক্তকারী সেই যুবককে নিয়ে সকাল সোয়া ৬টায় শুরু হয় র্যাবের ‘অপারেশন মুক্তাগাছা’। মুক্তাগাছা থানা থেকে আট কিলোমিটার পশ্চিমে যাওয়ার পর শেষ হয়ে গেল পাকা রাস্তা। গাড়ি আর চলে না। এবার শুধু পায়ে হাঁটা।
সারা দেশে তখন জেএমবির সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় ব্র্যাক ও গ্রামীণ ব্যাংকে ডাকাতি করছে জেএমবি। ২০০১ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০০৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ২৬টি হামলায় ৭৩ জন নিহত আর প্রায় ৮০০ লোক আহত হয়েছে। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে সারা দেশে। দেশ-বিদেশের চাপের মুখে বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকার জেএমবিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। জঙ্গি নির্মূলের দায়িত্ব নিয়ে মাঠে নেমেছেন লে. কর্নেল গুলজার উদ্দিন আহমেদ। এর চার দিন আগে ২০০৬ সালের ২ মার্চ সিলেট থেকে আবদুর রহমানকে ধরতে ৩৩ ঘণ্টার এক শ্বাসরুদ্ধকর অভিযান হয়েছে।
সব জিজ্ঞাসাবাদেই আবদুর রহমানের কাছ থেকে জানতে চাওয়া হয়েছে বাংলাভাই কোথায়? কিন্তু শায়খ রহমান মুখ খুলতে নারাজ। ৬ ফেব্রুয়ারি রাতে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে ভেঙে পড়েন শায়খ রহমান। রাত পৌনে ১টার দিকে তিনি জানান, বাংলা ভাই ময়মনসিংহে অবস্থান করলেও তিনি তাঁর ঠিকানা জানেন না। ঠিকানা জানে রিমন। রিমন তাঁকে ময়মনসিংহে বাংলা ভাইয়ের আস্তানায় নিয়ে যেত। আমানুল্লাহ রিমন হলো কলেজছাত্র।
‘রিমন কোথায়?’
শায়খ বললেন, শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার জন্য সিলেটে গেছে। দক্ষিণ সুরমার একটি বাড়িতে আছে। রাতেই সে খবর সিলেটে র্যাব-৯কে জানানো হয়। অধিনায়ক তখন সিলেটে নেই। মেজর শিব্বির রাত সোয়া ২টায় রিমনকে আটক করেন।
সিলেটে রিমনকে জেরা চলছে আর ঢাকা থেকে ময়মনসিংহে রওনা হয়ে গেছেন র্যাবের কর্মকর্তারা। গুলজার উদ্দিন ছাড়াও দলে আছেন কমান্ডার মাসুক হাসান আহমেদ, মেজর জাভেদ, মেজর কোরবান, মেজর আতিক, মেজর ওয়াছি, ক্যাপ্টেন তানভিরসহ ১৫-২০ জন কর্মকর্তা। সঙ্গে নেওয়া হয়েছে সিলেটে শায়খ রহমানের সঙ্গে গ্রেপ্তার করা জঙ্গি হানিফকে।
সিলেটে রিমনকে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে সে আকুয়াপাড়ার উজ্জ্বল ভিলায় বাংলা ভাই আছেন বলে জানায়। আরও নিবিড় জিজ্ঞাসাবাদের পর সিকান্দার ভিলার নাম বলে। রিমন জানায়, ওই বাসায় কিছুদিন আগে একটি শিশুর জন্ম হয়েছে। সেই সূত্রই ছিল ‘অপারেশন মুক্তাগাছা’র সবচেয়ে বড় ক্লু।
জঙ্গিবিরোধী প্রতিটি অভিযানেই র্যাবের কর্মকর্তাদের অনুসরণ করেছি ছায়ার মতো। চাঞ্চল্যকর গোয়েন্দাকাহিনির মতোই সেই সব অভিযানের পরতে পরতে ছিল উত্তেজনায় ঠাসা। এসব অভিযানে কর্মকর্তারা যে সাহস দেখাতেন, তা ছিল শিউরে ওঠার মতো। এখনো মনে পড়লে গায়ে কাঁটা দিয়ে ওঠে।
মুক্তাগাছার রামপুর গ্রামে পৌঁছানোর আগে র্যাব সদস্যরা ৯টি দলে ভাগ হয়ে যান। একটি দল বাংলা ভাইয়ের স্ত্রী–পুত্র ও সেই লোকটির পাহারার দায়িত্ব নেয়। এরপর তাঁরা সবাই প্রায় পাঁচ কিলোমিটার মেঠো পথে হেঁটে চলে আসেন সেই বাড়ির সামনে, যেখানে বাংলা ভাই আছেন বলে জানিয়েছিল সেই যুবক।
বাংলা ভাইয়ের বউ–ছেলেকে পাশের বাড়িতে বসিয়ে রাখা হয়। র্যাব কর্মকর্তারা তখন চারদিক থেকে বাড়িটি ঘেরাও করে ফেলেন। লে. কর্নেল গুলজার হুংকার দিয়ে বলেন, ‘বাংলা, তোর দিন শেষ। তুই বেরিয়ে আয়।’ হঠাৎ বাড়ির ভেতর থেকে দাড়িওয়ালা এক লোক বেরিয়ে দৌড়াতে থাকে। তাকে বাংলা ভাই ভেবে ধাওয়া করেন কয়েকজন। বাড়ির সামনে র্যাব কর্মকর্তারা ভেতরে ঢুকবেন কি না, ইতস্তত করছেন। আশপাশে কেউ নেই। সব ঘরের দরজা বন্ধ।
এগিয়ে এলেন সার্জেন্ট রফিক। সজোরে দরজায় লাথি মারলেন। দরজা খুলে গেল। সার্জেন্ট রফিক ভেতরে মুখ বাড়াতেই লাঠির বাড়ি এসে পড়ল তাঁর মাথায়। হাতের পিস্তলটি পড়ে গেল। ভেতরে একটি গুলির শব্দ। সবার সন্দেহ, বাংলা ভাই ভেতরেই আছেন। গুলজার আবার চিৎকার দিলেন, ‘বাংলা, তুই আমার ফোর্সের গায়ে হাত তুলেছিস। তোকে আমি খুন করে ফেলব।’
হঠাৎ ঘরের ভেতরে প্রচণ্ড বিস্ফোরণ। পুরো বাড়ি আগুনে জ্বলে উঠল। ঘরের ভেতর থেকে এক লোক বের হয়ে আসতেই কনস্টেবল সাত্তার চিৎকার করে উঠলেন—স্যার, বাংলা ভাই।
ঘরের এক দিকে কর্নেল গুলজার, আরেক দিকে কমান্ডার মাশুক। মাঝখানে মেজর কোরবান আর ক্যাপ্টেন তানভির। বিস্ফোরণের সঙ্গে সঙ্গে ঘরের ভেতর থেকে একটি ক্ষতবিক্ষত দেহ ছিটকে বাইরে এল। সে মাটিতে পড়ে গড়াগড়ি খাচ্ছে। বাংলা ভাই তখনো ঘরের ভেতরে। তাঁর সাড়া নেই। হঠাৎ গায়ে কম্বল জড়িয়ে দরজার সামনে এলেন বিশালদেহী দাড়িওয়ালা লোক। তাঁকে দেখে কারও চিনতে বাকি থাকে না—বাংলা ভাই।
এতক্ষণে কেউ খেয়াল করেনি, সার্জেন্ট রফিক যে পিস্তলটি ফেলে এসেছেন, সেটা পড়ে আছে বাংলা ভাইয়ের পায়ের কাছে। গুলিভর্তি নাইন এমএম পিস্তল। বাংলা ভাইয়ের হাত খালি। তাঁর নিজের অস্ত্রটিও হাতে নেই।
র্যাবের হুংকারে কাজ হলো। বাংলা ভাই বলেন, ‘আল্লার দোহাই, আমাকে কিছু করবেন না।’
আবার হুংকার—`কথা কম, বেরিয়ে আয়।’
সারা মুখে ছাই মাখা অবস্থায় গায়ে কম্বল জড়িয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন বাংলা ভাই, দুই হাত মাথার ওপরে তুলে। র্যাব কর্মকর্তারা কম্বল খুলে হাঁটু গেড়ে বসতে বলেন, কিন্তু বাংলা ভাই অনড়, এভাবে বসবেনই না। এমন সময় র্যাব কর্মকর্তার মুখে `ফায়ার’ শুনে সুবোধ বালকের মতো হাঁটু গেড়ে মাটিতে বসেন সিদ্দিকুল ইসলাম ওরফে বাংলা ভাই। সঙ্গে সঙ্গে পাঁচজন র্যাব সদস্য তাঁকে কবজা করে ফেলেন।
এ সময় ঘটে এক মজার ঘটনা। বাংলা ভাইকে হ্যান্ডকাফ পরানো দরকার। কিন্তু হ্যান্ডকাফ পাওয়া যাচ্ছে না। যাঁর কাছে হ্যান্ডকাফ ছিল, তিনি গেছেন দৌড়ে পালানো লোকটার পিছে। পরে পাশের ঘর থেকে একটা ছেঁড়া শাড়ি জোগাড় করে এনে বাংলা ভাইয়ের হাত বাঁধা হয়। ঠিক তখনই পুরো ঘরটা দপ করে জ্বলে ওঠে।
বিস্ফোরণে আহত বাংলা ভাই কাতরাচ্ছেন আর শায়খ রহমানের নাম ধরে গালিগালাজ করছেন। র্যাবের একজন তাঁর কাছে যেতেই বাংলা ভাই বলেন, ‘ভাই, আমার স্ত্রীর পর্দা যেন ঠিক থাকে।’
র্যাবের দুজন সদস্য বাংলা ভাইকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন রিকশাভ্যানের ওপরে, কিন্তু এত ওজনের বাংলা ভাইকে দুজনে মিলে টেনে তোলা যায়? তাঁকে টেনে তুলতে ছয়-ছয়জন র্যাব সদস্যও হিমশিম খাচ্ছিলেন।
২০০৭ সালের ২৯ মার্চ দিবাগত রাতে অন্য পাঁচ জঙ্গির সঙ্গে বাংলা ভাইয়ের ফাঁসি কার্যকর হয়; ময়মনসিংহের কারাগারেই।
আরও পড়ুন

ভোর হয়ে আসছে। নীরব চারদিক। ময়মনসিংহ শহরের চোখে ভোররাতের আদুরে ঘুম। এ রকম নীরবতা ভেঙে ঝড়ের গতিতে ছুটে চলেছে আটটি গাড়ির বহর। আকুয়াপাড়ার আঁকাবাঁকা পথ ধরে গাড়িগুলো এসে থেমে গেল শেষ মাথায়। ধূসর রঙের চারতলা সিকান্দার ভিলার সামনে।
কালো উর্দি পরা একজন গাড়ি থেকে নেমে এদিক-ওদিক তাকালেন। এরপর ডান হাত তুলে সঙ্গীদের ইশারা দিলেন। খুলে গেল আট গাড়ির দরজা। নেমে পড়লেন আরও ৪০ জন। ভারী বুটের আওয়াজে মাটি কেঁপে উঠল। দলের নেতাও কালো উর্দি পরা। কাঁধে লে. কর্নেলের ব্যাজ। বুকে নামফলকের জায়গাটা খালি। এক মিনিটেরও কম সময়। ততক্ষণে চারতলা ভবনের চারদিক নজরবন্দী। আশপাশের বাড়ির ছাদে উঠে পড়লেন কেউ কেউ। কয়েকজন দরজার সামনে।
নিচতলায় কলাপসিবল গেটে বড় তালা ঝুলছে। পাশে চারতলার চারটি কলবেল। কোনো কিছু না ভেবে একটি বেলে চাপ দিতেই পাখির কিচিরমিচির শব্দ। তৃতীয় তলা থেকে বারান্দায় এসে উঁকি দিল এক কিশোর, ঘুম জড়ানো চোখে জিজ্ঞেস করল, কে?
সকালের ঘুম ভাঙার বিরক্তি নিয়ে বারান্দায় আসা কিশোর উঁকি দিয়েই থমকে গেল। নিচের মানুষগুলোর দিকে তাকিয়ে উত্তরের অপেক্ষা করে না, নিচে নেমে এল।
একজন মেজর জানতে চাইলেন–এ বাড়িতে একটি শিশুর জন্ম হয়েছে?
কিশোরের ভয়ার্ত চোখ, মাথা নাড়িয়ে বলল, হ্যাঁ।
সে কোথায়? জানতে চাইলেন মেজর।
নিচতলার ভাড়াটের ঘর দেখিয়ে দিল কিশোর। মেজর সামনে দাঁড়ানো লে. কর্নেলের দিকে তাকালেন, মনে হলো শিকার মিলেছে। আর দেরি করার সময় নেই। একজন নিচের তলার দরজায় ঘা দিলেন। দুবার ঘা দিতেই ক্যাচক্যাচ শব্দে কে যেন দরজা খুলে দিলেন।
ঘরে মশারির ভেতরে বোরকা পরা দুই নারী। একজন বসে, আরেকজন শুয়ে। মনে হলো বসে থাকা নারী দরজা খুলে দিয়ে আবার বিছানায় উঠে বসেছেন। নিজের ঘরের বিছানায় বোরকা পরে শুয়ে থাকা দেখে কর্মকর্তারা হতবাক।
এক নারীকে জিজ্ঞেস করেন, ‘আপনি কি বাংলা ভাইয়ের স্ত্রী?’
নারী চমকে উঠে বললেন, ‘এ নামে তো কাউকে চিনি না।’
আপনার স্বামী কোথায়? প্রশ্ন করতেই ত্বরিত জবাব, ‘বিদেশে।’
পাশে আরেকটি ঘর, শুয়ে আছেন এক যুবক। তাকে টেনে তুলে আচমকা জিজ্ঞেস করা হলো, ‘এই, এখানে তোর বউ কোনটি?’
যুবক থতমত খেয়ে এক নারীকে দেখিয়ে বলল, ‘এইটা আমার বউ।’
কর্মকর্তার প্রশ্ন, ‘তাহলে ওই নারী কে?’
যুবক জড়ানো কণ্ঠে বলল, ‘উনি বাংলা ভাইয়ের স্ত্রী।’
এবার বল, বাংলা ভাই কোথায়? জানতে চান কর্মকর্তা। নারী বলেন, আমি জানি না। কর্মকর্তারা চাপ সৃষ্টি করতেই বলেন, মুক্তাগাছায় আছেন। মুক্তাগাছার কোথায় জানতে চাইলে জবাব আসে, ‘সেটা জানি না, কোনো দিন যাইনি।’
কর্মকর্তারা এবার সরাসরি যুবককে বলে বসেন, ‘এই, তুই জানিস। চল আমাদের সঙ্গে।’ যুবক উপায়ান্তর না দেখে হ্যাঁ–সূচক মাথা নেড়ে নিচে নেমে আসে।
যে দলটি এই অভিযান চালাচ্ছে, তাদের নেতা লে. কর্নেল গুলজার উদ্দিন আহমেদ। দলের বাকি সদস্যরা র্যাবের গোয়েন্দা বিভাগের সদস্য। এঁদের হাতে আছে ভারী অস্ত্র আর বুলেটরোধী পোশাক। কারও মুখে কোনো রা নেই। সবাই শুধু দলনেতার আদেশ ফলো করছেন।
গাড়িগুলো আবার ছুটতে শুরু করল। ময়মনসিংহ-টাঙ্গাইল হাইওয়ে ধরে পশ্চিমে, মুক্তাগাছার দিকে।
২০০৬ সালের ৬ মার্চের সকাল। জেএমবি নেতা সিদ্দিকুল ইসলাম বাংলা ভাইয়ের স্ত্রী ফাহিমা এবং তাঁকে শনাক্তকারী সেই যুবককে নিয়ে সকাল সোয়া ৬টায় শুরু হয় র্যাবের ‘অপারেশন মুক্তাগাছা’। মুক্তাগাছা থানা থেকে আট কিলোমিটার পশ্চিমে যাওয়ার পর শেষ হয়ে গেল পাকা রাস্তা। গাড়ি আর চলে না। এবার শুধু পায়ে হাঁটা।
সারা দেশে তখন জেএমবির সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় ব্র্যাক ও গ্রামীণ ব্যাংকে ডাকাতি করছে জেএমবি। ২০০১ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০০৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ২৬টি হামলায় ৭৩ জন নিহত আর প্রায় ৮০০ লোক আহত হয়েছে। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে সারা দেশে। দেশ-বিদেশের চাপের মুখে বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকার জেএমবিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। জঙ্গি নির্মূলের দায়িত্ব নিয়ে মাঠে নেমেছেন লে. কর্নেল গুলজার উদ্দিন আহমেদ। এর চার দিন আগে ২০০৬ সালের ২ মার্চ সিলেট থেকে আবদুর রহমানকে ধরতে ৩৩ ঘণ্টার এক শ্বাসরুদ্ধকর অভিযান হয়েছে।
সব জিজ্ঞাসাবাদেই আবদুর রহমানের কাছ থেকে জানতে চাওয়া হয়েছে বাংলাভাই কোথায়? কিন্তু শায়খ রহমান মুখ খুলতে নারাজ। ৬ ফেব্রুয়ারি রাতে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে ভেঙে পড়েন শায়খ রহমান। রাত পৌনে ১টার দিকে তিনি জানান, বাংলা ভাই ময়মনসিংহে অবস্থান করলেও তিনি তাঁর ঠিকানা জানেন না। ঠিকানা জানে রিমন। রিমন তাঁকে ময়মনসিংহে বাংলা ভাইয়ের আস্তানায় নিয়ে যেত। আমানুল্লাহ রিমন হলো কলেজছাত্র।
‘রিমন কোথায়?’
শায়খ বললেন, শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার জন্য সিলেটে গেছে। দক্ষিণ সুরমার একটি বাড়িতে আছে। রাতেই সে খবর সিলেটে র্যাব-৯কে জানানো হয়। অধিনায়ক তখন সিলেটে নেই। মেজর শিব্বির রাত সোয়া ২টায় রিমনকে আটক করেন।
সিলেটে রিমনকে জেরা চলছে আর ঢাকা থেকে ময়মনসিংহে রওনা হয়ে গেছেন র্যাবের কর্মকর্তারা। গুলজার উদ্দিন ছাড়াও দলে আছেন কমান্ডার মাসুক হাসান আহমেদ, মেজর জাভেদ, মেজর কোরবান, মেজর আতিক, মেজর ওয়াছি, ক্যাপ্টেন তানভিরসহ ১৫-২০ জন কর্মকর্তা। সঙ্গে নেওয়া হয়েছে সিলেটে শায়খ রহমানের সঙ্গে গ্রেপ্তার করা জঙ্গি হানিফকে।
সিলেটে রিমনকে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে সে আকুয়াপাড়ার উজ্জ্বল ভিলায় বাংলা ভাই আছেন বলে জানায়। আরও নিবিড় জিজ্ঞাসাবাদের পর সিকান্দার ভিলার নাম বলে। রিমন জানায়, ওই বাসায় কিছুদিন আগে একটি শিশুর জন্ম হয়েছে। সেই সূত্রই ছিল ‘অপারেশন মুক্তাগাছা’র সবচেয়ে বড় ক্লু।
জঙ্গিবিরোধী প্রতিটি অভিযানেই র্যাবের কর্মকর্তাদের অনুসরণ করেছি ছায়ার মতো। চাঞ্চল্যকর গোয়েন্দাকাহিনির মতোই সেই সব অভিযানের পরতে পরতে ছিল উত্তেজনায় ঠাসা। এসব অভিযানে কর্মকর্তারা যে সাহস দেখাতেন, তা ছিল শিউরে ওঠার মতো। এখনো মনে পড়লে গায়ে কাঁটা দিয়ে ওঠে।
মুক্তাগাছার রামপুর গ্রামে পৌঁছানোর আগে র্যাব সদস্যরা ৯টি দলে ভাগ হয়ে যান। একটি দল বাংলা ভাইয়ের স্ত্রী–পুত্র ও সেই লোকটির পাহারার দায়িত্ব নেয়। এরপর তাঁরা সবাই প্রায় পাঁচ কিলোমিটার মেঠো পথে হেঁটে চলে আসেন সেই বাড়ির সামনে, যেখানে বাংলা ভাই আছেন বলে জানিয়েছিল সেই যুবক।
বাংলা ভাইয়ের বউ–ছেলেকে পাশের বাড়িতে বসিয়ে রাখা হয়। র্যাব কর্মকর্তারা তখন চারদিক থেকে বাড়িটি ঘেরাও করে ফেলেন। লে. কর্নেল গুলজার হুংকার দিয়ে বলেন, ‘বাংলা, তোর দিন শেষ। তুই বেরিয়ে আয়।’ হঠাৎ বাড়ির ভেতর থেকে দাড়িওয়ালা এক লোক বেরিয়ে দৌড়াতে থাকে। তাকে বাংলা ভাই ভেবে ধাওয়া করেন কয়েকজন। বাড়ির সামনে র্যাব কর্মকর্তারা ভেতরে ঢুকবেন কি না, ইতস্তত করছেন। আশপাশে কেউ নেই। সব ঘরের দরজা বন্ধ।
এগিয়ে এলেন সার্জেন্ট রফিক। সজোরে দরজায় লাথি মারলেন। দরজা খুলে গেল। সার্জেন্ট রফিক ভেতরে মুখ বাড়াতেই লাঠির বাড়ি এসে পড়ল তাঁর মাথায়। হাতের পিস্তলটি পড়ে গেল। ভেতরে একটি গুলির শব্দ। সবার সন্দেহ, বাংলা ভাই ভেতরেই আছেন। গুলজার আবার চিৎকার দিলেন, ‘বাংলা, তুই আমার ফোর্সের গায়ে হাত তুলেছিস। তোকে আমি খুন করে ফেলব।’
হঠাৎ ঘরের ভেতরে প্রচণ্ড বিস্ফোরণ। পুরো বাড়ি আগুনে জ্বলে উঠল। ঘরের ভেতর থেকে এক লোক বের হয়ে আসতেই কনস্টেবল সাত্তার চিৎকার করে উঠলেন—স্যার, বাংলা ভাই।
ঘরের এক দিকে কর্নেল গুলজার, আরেক দিকে কমান্ডার মাশুক। মাঝখানে মেজর কোরবান আর ক্যাপ্টেন তানভির। বিস্ফোরণের সঙ্গে সঙ্গে ঘরের ভেতর থেকে একটি ক্ষতবিক্ষত দেহ ছিটকে বাইরে এল। সে মাটিতে পড়ে গড়াগড়ি খাচ্ছে। বাংলা ভাই তখনো ঘরের ভেতরে। তাঁর সাড়া নেই। হঠাৎ গায়ে কম্বল জড়িয়ে দরজার সামনে এলেন বিশালদেহী দাড়িওয়ালা লোক। তাঁকে দেখে কারও চিনতে বাকি থাকে না—বাংলা ভাই।
এতক্ষণে কেউ খেয়াল করেনি, সার্জেন্ট রফিক যে পিস্তলটি ফেলে এসেছেন, সেটা পড়ে আছে বাংলা ভাইয়ের পায়ের কাছে। গুলিভর্তি নাইন এমএম পিস্তল। বাংলা ভাইয়ের হাত খালি। তাঁর নিজের অস্ত্রটিও হাতে নেই।
র্যাবের হুংকারে কাজ হলো। বাংলা ভাই বলেন, ‘আল্লার দোহাই, আমাকে কিছু করবেন না।’
আবার হুংকার—`কথা কম, বেরিয়ে আয়।’
সারা মুখে ছাই মাখা অবস্থায় গায়ে কম্বল জড়িয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন বাংলা ভাই, দুই হাত মাথার ওপরে তুলে। র্যাব কর্মকর্তারা কম্বল খুলে হাঁটু গেড়ে বসতে বলেন, কিন্তু বাংলা ভাই অনড়, এভাবে বসবেনই না। এমন সময় র্যাব কর্মকর্তার মুখে `ফায়ার’ শুনে সুবোধ বালকের মতো হাঁটু গেড়ে মাটিতে বসেন সিদ্দিকুল ইসলাম ওরফে বাংলা ভাই। সঙ্গে সঙ্গে পাঁচজন র্যাব সদস্য তাঁকে কবজা করে ফেলেন।
এ সময় ঘটে এক মজার ঘটনা। বাংলা ভাইকে হ্যান্ডকাফ পরানো দরকার। কিন্তু হ্যান্ডকাফ পাওয়া যাচ্ছে না। যাঁর কাছে হ্যান্ডকাফ ছিল, তিনি গেছেন দৌড়ে পালানো লোকটার পিছে। পরে পাশের ঘর থেকে একটা ছেঁড়া শাড়ি জোগাড় করে এনে বাংলা ভাইয়ের হাত বাঁধা হয়। ঠিক তখনই পুরো ঘরটা দপ করে জ্বলে ওঠে।
বিস্ফোরণে আহত বাংলা ভাই কাতরাচ্ছেন আর শায়খ রহমানের নাম ধরে গালিগালাজ করছেন। র্যাবের একজন তাঁর কাছে যেতেই বাংলা ভাই বলেন, ‘ভাই, আমার স্ত্রীর পর্দা যেন ঠিক থাকে।’
র্যাবের দুজন সদস্য বাংলা ভাইকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন রিকশাভ্যানের ওপরে, কিন্তু এত ওজনের বাংলা ভাইকে দুজনে মিলে টেনে তোলা যায়? তাঁকে টেনে তুলতে ছয়-ছয়জন র্যাব সদস্যও হিমশিম খাচ্ছিলেন।
২০০৭ সালের ২৯ মার্চ দিবাগত রাতে অন্য পাঁচ জঙ্গির সঙ্গে বাংলা ভাইয়ের ফাঁসি কার্যকর হয়; ময়মনসিংহের কারাগারেই।
আরও পড়ুন

ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ এলাকায় গত শুক্রবার সকালে একটি মাদ্রাসায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে নারী, শিশুসহ চারজন আহত হয়েছে। মাদ্রাসাটি শেখ আল আমিন নামের এক ব্যক্তি পরিচালনা করতেন। যিনি এর আগে নিষিদ্ধ উগ্রবাদী সংগঠনের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে দুবার গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। দেশের বিভিন্ন থানায়
৩ দিন আগে
অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২-এর বিশেষ অভিযানে এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৮ হাজার ৫৯৭ জনকে। গত ১৩ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই বিশেষ অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় ৮৫টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
৬ দিন আগে
অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২-এর বিশেষ অভিযানে গত রোববার বিকেল থেকে সোমবার বিকেল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৬৯৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় ১৪টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল রোববার রাতে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
৮ দিন আগে
জুলাই–আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আলোচিত মুখ ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান হাদিকে গুলি করার ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগে মাধ্যমে বহুল আলোচিত নাম ফয়সাল করিম মাসুদ কিংবা দাউদ খান। গতকাল শুক্রবার হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর থেকেই এই দুই নামে এক ব্যক্তির ছবি ফেসবুকে ভেসে বেড়াচ্ছে।
১৭ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ এলাকায় গত শুক্রবার সকালে একটি মাদ্রাসায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে নারী, শিশুসহ চারজন আহত হয়েছে। মাদ্রাসাটি শেখ আল আমিন নামের এক ব্যক্তি পরিচালনা করতেন। যিনি এর আগে নিষিদ্ধ উগ্রবাদী সংগঠনের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে দুবার গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। দেশের বিভিন্ন থানায় তাঁর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে সাতটি মামলা রয়েছে। পুলিশ বলছে, ভবনটি বিস্ফোরক তৈরিতে ব্যবহৃত হতো।
আজ শনিবার দুপুরে সরেজমিন দেখা গেছে, হাসনাবাদ বাজারের ফলপট্টি গলিতে উম্মাল কুরা ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসা। মাদ্রাসায় শিশুদের পাঠদান করা হয়। বিস্ফোরণে চার কক্ষের একতলা ভবনটির পশ্চিম পাশের দুটি কক্ষ সম্পূর্ণ ধসে পড়েছে, সিঁড়ির পাশের ছাদের একাংশ উড়ে গেছে এবং সব কটি কক্ষের পিলার ও দেয়ালে ফাটল ধরেছে। ঘটনাস্থলে ককটেল, রাসায়নিক দ্রব্য ও বোমা তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জাম ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ফরেনসিক বিভাগের ক্রাইম সিন ইউনিটের কর্মীরা আলামত সংগ্রহ করছেন। তাঁরা পুরো এলাকা ঘিরে রেখেছেন। ভবনের পাশের একটি ভবনের দোতলার দেয়ালে বিস্ফোরণে ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া বিস্ফোরণে পাশের একটি অটোরিকশার গ্যারেজের টিনের ছাউনি উড়ে গেছে। টিনের নিচে চাপা পড়েছিলেন গ্যারেজের ম্যানেজার আবুল কালাম।
আবুল কালাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এত বিকট শব্দ হয়েছে যে আমার কানে তব্দা লেগে যায়। আমি টিনের নিচে চাপা পড়ি। পরে হামাগুড়ি দিয়ে বের হই। এরপর দেখি মাদ্রাসার মধ্যে আগুন জ্বলছে। যারা ভেতরে ছিল, তারা দ্রুত বাচ্চাদের নিয়ে বের হয়ে চলে যায়।’
গ্যারেজের মালিক মোশাররফ হোসেন ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে বলেন, ‘বিস্ফোরণের পর পুরো এলাকা কেঁপে ওঠে। আমিও বাসা থেকে দৌড়ে আসি। আমার গ্যারেজের দুজন অটোচালক দুই শিশুকে ওই ভবন থেকে বের করেন। এক নারী আর এক শিশুকে নিয়ে চলে যায়। এ সময় আল আমিনও দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়। আধা ঘণ্টার মধ্যে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশের লোকজন এসে পুরো এলাকার নিয়ন্ত্রণ নেয়।’
মাদ্রাসার পাশের ৫ তলা বাড়ির বাসিন্দা মনোয়ার বলেন, ‘হঠাৎ বিকট শব্দ শুনতে পাই। মনে হয়েছিল ভূমিকম্প। কারণ, বিস্ফোরণে সব ভবনে কাঁপুনি লাগে। সবাই চিৎকার করেছিল।’
ওই বাসিন্দা আরও বলেন, ‘মাদ্রাসাটিতে ৩০-৩৫ শিক্ষার্থী পড়াশোনা করত। তবে শুক্রবার ছুটির দিন হওয়ায় মাদ্রাসা বন্ধ ছিল। এ কারণে বড় ধরনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি।’
ভবনটির পশ্চিম পাশের এক পাশে তিনটি কক্ষে মাদ্রাসার কার্যক্রম পরিচালিত হতো। অপর পাশের একটি কক্ষে পরিচালক শেখ আল আমিন (৩২), তাঁর স্ত্রী আছিয়া বেগম (২৮) এবং তাঁদের তিন সন্তান নিয়ে সেখানেই থাকতেন। বিস্ফোরণে দুই ছেলে উমায়েত (১০) ও আবদুল্লাহ (৭) আহত হয়। এর মধ্যে আছিয়া ও তাঁর দুই সন্তানকে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
পাশের ভবনের বাসিন্দা হুমায়ুন কবির বলেন, ‘বিস্ফোরণে আমাদের ভবনের কিছু অংশ ফেটে গেছে। ঘরের ভেতরের আসবাবও ভেঙে পড়েছে।’
ঘটনাস্থলেই পুলিশ হেফাজতে বসে ছিলেন ভবনমালিক পারভীন বেগম। ভবনের জমি তাঁর পৈতৃক সম্পত্তি। সেখানে লিবিয়ায় থাকা তাঁর দুই ছেলে এই ভবন ২০২২ সালে তৈরি করেন। এরপর হারুন অর রশীদ নামের এক ব্যক্তি এটি মাদ্রাসা করবেন বলে ১০ হাজার টাকায় ভাড়া নেন। পারভীন বেগম বলেন, ‘তিন বছর ধরে আমার বাড়ি ভাড়া নিয়ে মুফতি হারুন অর রশীদ মাদ্রাসা পরিচালনা করতেন। হারুন তাঁর শ্যালক আল আমিন ও শ্যালকের স্ত্রী আছিয়াকে মাদ্রাসা পরিচালনার দায়িত্ব দেন। তিনি মাঝেমধ্যে মাদ্রাসায় আসতেন। আমি নিয়মিত খোঁজখবর নিতাম। কিন্তু মাদ্রাসার আড়ালে কী কার্যক্রম চলছিল, তা বুঝতে পারিনি। আজ এসে দেখি, ভবনের চারপাশ উড়ে গেছে।’
পারভীন বেগমের পাশেই ছিলেন তাঁর ছোট মেয়ে সোহানা। তিনি বলেন, ‘ভাড়া নেওয়ার সময় শুধু হারুন অর রশীদ একাই এসেছিলেন। এরপর তাঁরা মাদ্রাসা পরিচালনা শুরু করেন। তবে তাঁরা আশপাশের কারও সঙ্গে তেমন মিশতেন না।’
পুলিশ ভবনের ভেতর থেকে কেমিক্যাল, ককটেল, ভেস্ট ও বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে। এ ছাড়া বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ডিভাইস, কম্পিউটার ও মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের ধারণা, কোনো বিস্ফোরক তৈরি করতে গিয়ে বিস্ফোরিত হয়েছে।
ঘটনার বিষয়ে গতকাল বিকেলে জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মিজানুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিস্ফোরণের ঘটনায় সংশ্লিষ্ট শেখ আল আমিন পলাতক রয়েছেন। তবে কেরানীগঞ্জ থেকে তাঁর স্ত্রী আছিয়া বেগম, আছিয়ার ভাই হারুনের স্ত্রী ইয়াছমিন আক্তার এবং ঢাকার বাসাবো থেকে আসমানী খাতুন নামের এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, আল আমিনের গ্রামের বাড়ি বাগেরহাটে। তাঁর বিরুদ্ধে এর আগে ২০১৭ ও ২০২০ সালে নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন জেএমবির সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে ঢাকা এবং আশপাশের বিভিন্ন থানায় অন্তত সাতটি মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তার আসমানী খাতুনের বিরুদ্ধেও বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা থাকার তথ্য পাওয়া গেছে।

ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ এলাকায় গত শুক্রবার সকালে একটি মাদ্রাসায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে নারী, শিশুসহ চারজন আহত হয়েছে। মাদ্রাসাটি শেখ আল আমিন নামের এক ব্যক্তি পরিচালনা করতেন। যিনি এর আগে নিষিদ্ধ উগ্রবাদী সংগঠনের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে দুবার গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। দেশের বিভিন্ন থানায় তাঁর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে সাতটি মামলা রয়েছে। পুলিশ বলছে, ভবনটি বিস্ফোরক তৈরিতে ব্যবহৃত হতো।
আজ শনিবার দুপুরে সরেজমিন দেখা গেছে, হাসনাবাদ বাজারের ফলপট্টি গলিতে উম্মাল কুরা ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসা। মাদ্রাসায় শিশুদের পাঠদান করা হয়। বিস্ফোরণে চার কক্ষের একতলা ভবনটির পশ্চিম পাশের দুটি কক্ষ সম্পূর্ণ ধসে পড়েছে, সিঁড়ির পাশের ছাদের একাংশ উড়ে গেছে এবং সব কটি কক্ষের পিলার ও দেয়ালে ফাটল ধরেছে। ঘটনাস্থলে ককটেল, রাসায়নিক দ্রব্য ও বোমা তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জাম ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ফরেনসিক বিভাগের ক্রাইম সিন ইউনিটের কর্মীরা আলামত সংগ্রহ করছেন। তাঁরা পুরো এলাকা ঘিরে রেখেছেন। ভবনের পাশের একটি ভবনের দোতলার দেয়ালে বিস্ফোরণে ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া বিস্ফোরণে পাশের একটি অটোরিকশার গ্যারেজের টিনের ছাউনি উড়ে গেছে। টিনের নিচে চাপা পড়েছিলেন গ্যারেজের ম্যানেজার আবুল কালাম।
আবুল কালাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এত বিকট শব্দ হয়েছে যে আমার কানে তব্দা লেগে যায়। আমি টিনের নিচে চাপা পড়ি। পরে হামাগুড়ি দিয়ে বের হই। এরপর দেখি মাদ্রাসার মধ্যে আগুন জ্বলছে। যারা ভেতরে ছিল, তারা দ্রুত বাচ্চাদের নিয়ে বের হয়ে চলে যায়।’
গ্যারেজের মালিক মোশাররফ হোসেন ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে বলেন, ‘বিস্ফোরণের পর পুরো এলাকা কেঁপে ওঠে। আমিও বাসা থেকে দৌড়ে আসি। আমার গ্যারেজের দুজন অটোচালক দুই শিশুকে ওই ভবন থেকে বের করেন। এক নারী আর এক শিশুকে নিয়ে চলে যায়। এ সময় আল আমিনও দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়। আধা ঘণ্টার মধ্যে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশের লোকজন এসে পুরো এলাকার নিয়ন্ত্রণ নেয়।’
মাদ্রাসার পাশের ৫ তলা বাড়ির বাসিন্দা মনোয়ার বলেন, ‘হঠাৎ বিকট শব্দ শুনতে পাই। মনে হয়েছিল ভূমিকম্প। কারণ, বিস্ফোরণে সব ভবনে কাঁপুনি লাগে। সবাই চিৎকার করেছিল।’
ওই বাসিন্দা আরও বলেন, ‘মাদ্রাসাটিতে ৩০-৩৫ শিক্ষার্থী পড়াশোনা করত। তবে শুক্রবার ছুটির দিন হওয়ায় মাদ্রাসা বন্ধ ছিল। এ কারণে বড় ধরনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি।’
ভবনটির পশ্চিম পাশের এক পাশে তিনটি কক্ষে মাদ্রাসার কার্যক্রম পরিচালিত হতো। অপর পাশের একটি কক্ষে পরিচালক শেখ আল আমিন (৩২), তাঁর স্ত্রী আছিয়া বেগম (২৮) এবং তাঁদের তিন সন্তান নিয়ে সেখানেই থাকতেন। বিস্ফোরণে দুই ছেলে উমায়েত (১০) ও আবদুল্লাহ (৭) আহত হয়। এর মধ্যে আছিয়া ও তাঁর দুই সন্তানকে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
পাশের ভবনের বাসিন্দা হুমায়ুন কবির বলেন, ‘বিস্ফোরণে আমাদের ভবনের কিছু অংশ ফেটে গেছে। ঘরের ভেতরের আসবাবও ভেঙে পড়েছে।’
ঘটনাস্থলেই পুলিশ হেফাজতে বসে ছিলেন ভবনমালিক পারভীন বেগম। ভবনের জমি তাঁর পৈতৃক সম্পত্তি। সেখানে লিবিয়ায় থাকা তাঁর দুই ছেলে এই ভবন ২০২২ সালে তৈরি করেন। এরপর হারুন অর রশীদ নামের এক ব্যক্তি এটি মাদ্রাসা করবেন বলে ১০ হাজার টাকায় ভাড়া নেন। পারভীন বেগম বলেন, ‘তিন বছর ধরে আমার বাড়ি ভাড়া নিয়ে মুফতি হারুন অর রশীদ মাদ্রাসা পরিচালনা করতেন। হারুন তাঁর শ্যালক আল আমিন ও শ্যালকের স্ত্রী আছিয়াকে মাদ্রাসা পরিচালনার দায়িত্ব দেন। তিনি মাঝেমধ্যে মাদ্রাসায় আসতেন। আমি নিয়মিত খোঁজখবর নিতাম। কিন্তু মাদ্রাসার আড়ালে কী কার্যক্রম চলছিল, তা বুঝতে পারিনি। আজ এসে দেখি, ভবনের চারপাশ উড়ে গেছে।’
পারভীন বেগমের পাশেই ছিলেন তাঁর ছোট মেয়ে সোহানা। তিনি বলেন, ‘ভাড়া নেওয়ার সময় শুধু হারুন অর রশীদ একাই এসেছিলেন। এরপর তাঁরা মাদ্রাসা পরিচালনা শুরু করেন। তবে তাঁরা আশপাশের কারও সঙ্গে তেমন মিশতেন না।’
পুলিশ ভবনের ভেতর থেকে কেমিক্যাল, ককটেল, ভেস্ট ও বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে। এ ছাড়া বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ডিভাইস, কম্পিউটার ও মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের ধারণা, কোনো বিস্ফোরক তৈরি করতে গিয়ে বিস্ফোরিত হয়েছে।
ঘটনার বিষয়ে গতকাল বিকেলে জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মিজানুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিস্ফোরণের ঘটনায় সংশ্লিষ্ট শেখ আল আমিন পলাতক রয়েছেন। তবে কেরানীগঞ্জ থেকে তাঁর স্ত্রী আছিয়া বেগম, আছিয়ার ভাই হারুনের স্ত্রী ইয়াছমিন আক্তার এবং ঢাকার বাসাবো থেকে আসমানী খাতুন নামের এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, আল আমিনের গ্রামের বাড়ি বাগেরহাটে। তাঁর বিরুদ্ধে এর আগে ২০১৭ ও ২০২০ সালে নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন জেএমবির সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে ঢাকা এবং আশপাশের বিভিন্ন থানায় অন্তত সাতটি মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তার আসমানী খাতুনের বিরুদ্ধেও বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা থাকার তথ্য পাওয়া গেছে।

ভোর হয়ে আসছে। নীরব চারদিক। ময়মনসিংহ শহরের চোখে ভোররাতের আদুরে ঘুম। এ রকম নীরবতা ভেঙে ঝড়ের গতিতে ছুটে চলেছে আটটি গাড়ির বহর। আকুয়াপাড়ার আঁকাবাঁকা পথ ধরে গাড়িগুলো এসে থেমে গেল শেষ মাথায়।
২৪ জুলাই ২০২১
অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২-এর বিশেষ অভিযানে এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৮ হাজার ৫৯৭ জনকে। গত ১৩ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই বিশেষ অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় ৮৫টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
৬ দিন আগে
অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২-এর বিশেষ অভিযানে গত রোববার বিকেল থেকে সোমবার বিকেল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৬৯৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় ১৪টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল রোববার রাতে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
৮ দিন আগে
জুলাই–আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আলোচিত মুখ ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান হাদিকে গুলি করার ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগে মাধ্যমে বহুল আলোচিত নাম ফয়সাল করিম মাসুদ কিংবা দাউদ খান। গতকাল শুক্রবার হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর থেকেই এই দুই নামে এক ব্যক্তির ছবি ফেসবুকে ভেসে বেড়াচ্ছে।
১৭ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২-এর বিশেষ অভিযানে এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৮ হাজার ৫৯৭ জনকে। গত ১৩ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই বিশেষ অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় ৮৫টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
আজ বুধবার সন্ধ্যায় পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
পুলিশ সদর দপ্তর জানায়, অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২-এ সারা দেশে ৮ হাজার ৫৯৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় ৮৫টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া পুলিশি কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ২ লাখ ৫৮ হাজার ১৬৮টি মোটরসাইকেল ও ২ লাখ ৬৪ হাজার ৪১১টি গাড়ি তল্লাশি করা হয়। তল্লাশিকালে ৩ হাজার ৩৯৪টি অবৈধ মোটরসাইকেল আটক করা হয়।
অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও ‘ফ্যাসিস্টদের’ দমনে ১৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যা থেকে দেশজুড়ে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২’ নামে বিশেষ অভিযান শুরু করে যৌথ বাহিনী।

অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২-এর বিশেষ অভিযানে এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৮ হাজার ৫৯৭ জনকে। গত ১৩ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই বিশেষ অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় ৮৫টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
আজ বুধবার সন্ধ্যায় পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
পুলিশ সদর দপ্তর জানায়, অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২-এ সারা দেশে ৮ হাজার ৫৯৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় ৮৫টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া পুলিশি কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ২ লাখ ৫৮ হাজার ১৬৮টি মোটরসাইকেল ও ২ লাখ ৬৪ হাজার ৪১১টি গাড়ি তল্লাশি করা হয়। তল্লাশিকালে ৩ হাজার ৩৯৪টি অবৈধ মোটরসাইকেল আটক করা হয়।
অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও ‘ফ্যাসিস্টদের’ দমনে ১৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যা থেকে দেশজুড়ে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২’ নামে বিশেষ অভিযান শুরু করে যৌথ বাহিনী।

ভোর হয়ে আসছে। নীরব চারদিক। ময়মনসিংহ শহরের চোখে ভোররাতের আদুরে ঘুম। এ রকম নীরবতা ভেঙে ঝড়ের গতিতে ছুটে চলেছে আটটি গাড়ির বহর। আকুয়াপাড়ার আঁকাবাঁকা পথ ধরে গাড়িগুলো এসে থেমে গেল শেষ মাথায়।
২৪ জুলাই ২০২১
ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ এলাকায় গত শুক্রবার সকালে একটি মাদ্রাসায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে নারী, শিশুসহ চারজন আহত হয়েছে। মাদ্রাসাটি শেখ আল আমিন নামের এক ব্যক্তি পরিচালনা করতেন। যিনি এর আগে নিষিদ্ধ উগ্রবাদী সংগঠনের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে দুবার গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। দেশের বিভিন্ন থানায়
৩ দিন আগে
অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২-এর বিশেষ অভিযানে গত রোববার বিকেল থেকে সোমবার বিকেল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৬৯৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় ১৪টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল রোববার রাতে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
৮ দিন আগে
জুলাই–আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আলোচিত মুখ ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান হাদিকে গুলি করার ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগে মাধ্যমে বহুল আলোচিত নাম ফয়সাল করিম মাসুদ কিংবা দাউদ খান। গতকাল শুক্রবার হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর থেকেই এই দুই নামে এক ব্যক্তির ছবি ফেসবুকে ভেসে বেড়াচ্ছে।
১৭ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২-এর বিশেষ অভিযানে গত রোববার বিকেল থেকে সোমবার বিকেল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৬৯৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় ১৪টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল রোববার রাতে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
পুলিশ সদর দপ্তর জানায়, ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৬৯৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় ১৪টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া পুলিশি কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ২৮ হাজার ৭৬৬টি মোটরসাইকেল ও ৪৩ হাজার ৩৫২টি গাড়ি তল্লাশি করা হয়। তল্লাশিকালে ২৯১টি অবৈধ মোটরসাইকেল আটক করা হয়।
অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও ‘ফ্যাসিস্টদের’ দমনে ১৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যা থেকে দেশজুড়ে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২’ নামে বিশেষ অভিযান শুরু করে যৌথ বাহিনী।

অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২-এর বিশেষ অভিযানে গত রোববার বিকেল থেকে সোমবার বিকেল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৬৯৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় ১৪টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল রোববার রাতে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
পুলিশ সদর দপ্তর জানায়, ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৬৯৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় ১৪টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া পুলিশি কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ২৮ হাজার ৭৬৬টি মোটরসাইকেল ও ৪৩ হাজার ৩৫২টি গাড়ি তল্লাশি করা হয়। তল্লাশিকালে ২৯১টি অবৈধ মোটরসাইকেল আটক করা হয়।
অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও ‘ফ্যাসিস্টদের’ দমনে ১৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যা থেকে দেশজুড়ে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২’ নামে বিশেষ অভিযান শুরু করে যৌথ বাহিনী।

ভোর হয়ে আসছে। নীরব চারদিক। ময়মনসিংহ শহরের চোখে ভোররাতের আদুরে ঘুম। এ রকম নীরবতা ভেঙে ঝড়ের গতিতে ছুটে চলেছে আটটি গাড়ির বহর। আকুয়াপাড়ার আঁকাবাঁকা পথ ধরে গাড়িগুলো এসে থেমে গেল শেষ মাথায়।
২৪ জুলাই ২০২১
ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ এলাকায় গত শুক্রবার সকালে একটি মাদ্রাসায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে নারী, শিশুসহ চারজন আহত হয়েছে। মাদ্রাসাটি শেখ আল আমিন নামের এক ব্যক্তি পরিচালনা করতেন। যিনি এর আগে নিষিদ্ধ উগ্রবাদী সংগঠনের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে দুবার গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। দেশের বিভিন্ন থানায়
৩ দিন আগে
অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২-এর বিশেষ অভিযানে এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৮ হাজার ৫৯৭ জনকে। গত ১৩ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই বিশেষ অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় ৮৫টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
৬ দিন আগে
জুলাই–আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আলোচিত মুখ ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান হাদিকে গুলি করার ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগে মাধ্যমে বহুল আলোচিত নাম ফয়সাল করিম মাসুদ কিংবা দাউদ খান। গতকাল শুক্রবার হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর থেকেই এই দুই নামে এক ব্যক্তির ছবি ফেসবুকে ভেসে বেড়াচ্ছে।
১৭ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুলাই–আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আলোচিত মুখ ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান হাদিকে গুলি করার ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগে মাধ্যমে বহুল আলোচিত নাম ফয়সাল করিম মাসুদ কিংবা দাউদ খান। গতকাল শুক্রবার হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর থেকেই এই দুই নামে এক ব্যক্তির ছবি ফেসবুকে ভেসে বেড়াচ্ছে।
হাদিকে গুলির ঘটনায় মাস্ক পরা দুই তরুণ জড়িত বলে তাঁর সহযোদ্ধাদের সন্দেহ। তাঁদের দাবি, কয়েকদিন ধরে দুই তরুণ মাস্ক পরে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী হাদির সঙ্গে গণসংযোগে অংশ নিচ্ছেন। বার বার তাঁদের মাস্ক খুলতে বলা হলেও তাঁরা রাজি হননি। হাদিঘনিষ্ঠদের সন্দেহ, এই তরুণরা হাদিকে হত্যার উদ্দেশ্যে তাঁর গতিবিধি বোঝার জন্য তাঁর সঙ্গে যুক্ত হন।
দুজনের মধ্যে মাস্ক পরা একজন হাদির পাশে বসে আছে— এমন একটি ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই তাকে ‘ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান’ হিসেবে দেখিয়েছেন। তবে মাস্ক করা এই তরুণই যে হাদিকে গুলি করেছেন, কিংবা এই তরুণই যে ফয়সাল, তা নিশ্চিত করে বলছে না আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে ‘সন্দেহভাজন’ হিসেবে শনাক্ত একজনের ছবি প্রকাশ করে ধরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
ডিএমপির বিবৃতিতে বলা হয়, ‘শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) রাজধানীর বিজয়নগর বক্স কালভার্ট এলাকায় মোটরসাইকেল আরোহী দুর্বৃত্তদের হামলায় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদি গুরুতর আহত হন। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ হামলাকারীদের গ্রেফতারে রাজধানীতে জোর অভিযান পরিচালনা করছে। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে ছবির ব্যক্তিকে প্রাথমিকভাবে সনাক্ত করা গেছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ তাকে হন্য হয়ে খুঁজছে। উক্ত ব্যক্তি সম্পর্কে কোন তথ্য থাকলে বা তার সন্ধান পেলে দ্রুত নিম্নলিখিত মোবাইল নম্বর অথবা ৯৯৯ এর মাধ্যমে পুলিশকে জানানোর জন্য বিনীত অনুরোধ করা হলো।’
পুলিশের বিবৃতিতে এই তরুণের নাম উল্লেখ করা না হলেও ছবি দেখে ‘ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান’ বলে আন্দাজ করা যায়। এই তরুণকেও আগে হাদীর সঙ্গে দেখা গেছে। তবে গত কয়েকদিন ধরে হাদির সঙ্গে গণসংযোগে থাকা মাস্ক পরা তরুণটিই ‘ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান’ এমন কোনো তথ্য পুলিশের কাছ থেকে পাওয়া যায়নি।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, গত ৯ ডিসেম্বর বাংলামোটর এলাকায় হাদির ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারে গিয়ে হাদির পাশে বসে আলোচনা শুনেছিলেন ফয়সাল করিম। সেই আলোচনার ছবিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
ফয়সাল করিম নামের তরুণ কার্যক্রমনিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধঘোষিত সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ২০১৯ সালের ১১ মে ঘোষিত কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে তিনি সদস্য হন। তাঁর পুরো নাম ফয়সাল করিম দাউদ খান।
নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিন গতকাল শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে গুলিবিদ্ধ হন ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা–৮ সংসদীয় আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী ওসমান হাদি। হাদিকে বহনকারী রিকশাকে অনুসরণ করে পেছন দিকে থেকে মোটরসাইকেলে এসে তাঁকে গুলি করে চলে যায় আততায়ীরা। হাদি রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
ইনকিলাব কালচারাল সেন্টার নামে ওসমান হাদির প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন জায়গায় তাঁর সঙ্গে ফয়সাল করিমের কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। সেই ছবিগুলোতে থাকা ফয়সাল করিমের সঙ্গে মাস্ক পরা ব্যক্তির চেহারার কিছুটা সাদৃশ্য আছে। সেকারণে গুলি ছোড়ার ঘটনায় তাঁকে সন্দেহ করা হচ্ছে।
এর মধ্যেই দুপুরে ডিএমপি সন্দেহভাজনকে শনাক্তের কথা জানায় এবং ওসমান হাদিকে গুলি করা ব্যক্তিকে ধরিয়ে দিতে পারলে ৫০ লাখ টাকা পুরস্কারের ঘোষণা দেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

পেশাদারদের যোগাযোগমাধ্যম লিংকডইনে ফয়সাল করিমের নামে প্রোফাইল আছে। সেখানে তিনি নিজেকে অ্যাপল সফট আইটি, ওয়াইসিইউ টেকনোলজি ও এনলিস্ট ওয়ার্ক নামে তিন প্রতিষ্ঠানের মালিক হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
লিংকডইন প্রোফাইলের তথ্য অনুযায়ী, ফয়সাল করিম ২০১৩ সালে ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটারবিজ্ঞানে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন। পরে আরেকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি এমবিএ করেছেন বলে সেখানে উল্লেখ রয়েছে।
২০২৪ সালে জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের সময় আন্দোলনকারীদের দমনে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতা–কর্মীদের সঙ্গে মাঠে ছিলেন বলে ছাত্রলীগের সূত্র জানিয়েছে।
ওসমান হাদিকে গুলির ঘটনায় নাম আসার পর ফয়সাল করিমের সঙ্গে আওয়ামী লীগ আমলে বাংলাদেশের দুইবারের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের কিছু নেতার ছবি ফেসবুকে প্রকাশিত হয়েছে। এ ছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে হাদির সঙ্গে ঢাকা–৮ আসনে গণসংযোগ এবং বাংলামোটরে হাদির প্রতিষ্ঠিত ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারের আড্ডায় ফয়সালের অংশ নেওয়ার ছবিও ভাইরাল হয়েছে। অনেকে ধারণা করছেন, ফয়সাল করিম ওসমান হাদিকে বেশ কিছুদিন ধরে অনুসরণ করছিলেন।
২০১৬ সালে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সহযোগিতা ও সরকারের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে ‘ব্যাটল অব ৭১’ নামে একটি কম্পিউটার গেম তৈরি করেছিল ফয়সাল করিমের মালিকানাধীন ওয়াইসিইউ টেকনোলজি লিমিটেড। সে বছরের নভেম্বরে ওই গেমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বেসিসের তৎকালীন সভাপতি এবং পরে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারও উপস্থিত ছিলেন।
২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ‘আসনভিত্তিক নির্বাচন পরিচালনা ও সমন্বয়ক কমিটি’ করেছিল কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। ঢাকা–১২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছিলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। এই আসনের সমন্বয়ক কমিটির সদস্য ছিলেন ফয়সাল করিম।
জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের পর গত বছরের ২৮ অক্টোবর ঢাকার আদাবরের বাইতুল আমান হাউজিং সোসাইটি এলাকায় ব্রিটিশ কলাম্বিয়া স্কুলের চতুর্থ তলায় অফিসে অস্ত্রের মুখে ১৭ লাখ টাকা লুটের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় আদাবর থানার মামলার প্রধান আসামি ছিলেন ফয়সাল করিম।
মামলা হওয়ার কিছুদিন পর ৭ নভেম্বর আদাবর এলাকা থেকে ফয়সাল করিমকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। তাঁর কাছ থেকে দুটি বিদেশি পিস্তল, দুটি ম্যাগাজিন ও পাঁচটি গুলিও উদ্ধার করা হয়। ওই মামলায় গত ১৬ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট থেকে জামিন পান ফয়সাল করিম। জামিনের সময়সীমা বাড়াতে গত ১২ আগস্ট আবারও আবেদন করলে হাইকোর্ট নতুন করে তাঁর এক বছরের জামিন মঞ্জুর করেন।
জামিনে থাকা অবস্থায় এবার তাঁর বিরুদ্ধে ওসমান হাদিকে গুলি করার অভিযোগ এল। এত অল্প সময়ের মধ্যে তিনি কীভাবে জামিন পেলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। কারণ, কোনো অপরাধমূলক কাজের প্রমাণ না থাকলেও অভ্যুত্থানের পর শুধু মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা নিয়ে আলোচনা সভা করায় গ্রেপ্তার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও সাংবাদিকের জামিন বারবার নাকচ করা হয়েছিল। আর এ রকম লুটের ঘটনায় দুটি অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিকে এতো দ্রুত জামিন দেওয়া হলো কীভাবে, সেই প্রশ্ন নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এখন আলোচনা–সমালোচনায় সরব।

জুলাই–আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আলোচিত মুখ ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান হাদিকে গুলি করার ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগে মাধ্যমে বহুল আলোচিত নাম ফয়সাল করিম মাসুদ কিংবা দাউদ খান। গতকাল শুক্রবার হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর থেকেই এই দুই নামে এক ব্যক্তির ছবি ফেসবুকে ভেসে বেড়াচ্ছে।
হাদিকে গুলির ঘটনায় মাস্ক পরা দুই তরুণ জড়িত বলে তাঁর সহযোদ্ধাদের সন্দেহ। তাঁদের দাবি, কয়েকদিন ধরে দুই তরুণ মাস্ক পরে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী হাদির সঙ্গে গণসংযোগে অংশ নিচ্ছেন। বার বার তাঁদের মাস্ক খুলতে বলা হলেও তাঁরা রাজি হননি। হাদিঘনিষ্ঠদের সন্দেহ, এই তরুণরা হাদিকে হত্যার উদ্দেশ্যে তাঁর গতিবিধি বোঝার জন্য তাঁর সঙ্গে যুক্ত হন।
দুজনের মধ্যে মাস্ক পরা একজন হাদির পাশে বসে আছে— এমন একটি ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই তাকে ‘ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান’ হিসেবে দেখিয়েছেন। তবে মাস্ক করা এই তরুণই যে হাদিকে গুলি করেছেন, কিংবা এই তরুণই যে ফয়সাল, তা নিশ্চিত করে বলছে না আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে ‘সন্দেহভাজন’ হিসেবে শনাক্ত একজনের ছবি প্রকাশ করে ধরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
ডিএমপির বিবৃতিতে বলা হয়, ‘শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) রাজধানীর বিজয়নগর বক্স কালভার্ট এলাকায় মোটরসাইকেল আরোহী দুর্বৃত্তদের হামলায় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদি গুরুতর আহত হন। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ হামলাকারীদের গ্রেফতারে রাজধানীতে জোর অভিযান পরিচালনা করছে। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে ছবির ব্যক্তিকে প্রাথমিকভাবে সনাক্ত করা গেছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ তাকে হন্য হয়ে খুঁজছে। উক্ত ব্যক্তি সম্পর্কে কোন তথ্য থাকলে বা তার সন্ধান পেলে দ্রুত নিম্নলিখিত মোবাইল নম্বর অথবা ৯৯৯ এর মাধ্যমে পুলিশকে জানানোর জন্য বিনীত অনুরোধ করা হলো।’
পুলিশের বিবৃতিতে এই তরুণের নাম উল্লেখ করা না হলেও ছবি দেখে ‘ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান’ বলে আন্দাজ করা যায়। এই তরুণকেও আগে হাদীর সঙ্গে দেখা গেছে। তবে গত কয়েকদিন ধরে হাদির সঙ্গে গণসংযোগে থাকা মাস্ক পরা তরুণটিই ‘ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান’ এমন কোনো তথ্য পুলিশের কাছ থেকে পাওয়া যায়নি।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, গত ৯ ডিসেম্বর বাংলামোটর এলাকায় হাদির ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারে গিয়ে হাদির পাশে বসে আলোচনা শুনেছিলেন ফয়সাল করিম। সেই আলোচনার ছবিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
ফয়সাল করিম নামের তরুণ কার্যক্রমনিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধঘোষিত সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ২০১৯ সালের ১১ মে ঘোষিত কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে তিনি সদস্য হন। তাঁর পুরো নাম ফয়সাল করিম দাউদ খান।
নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিন গতকাল শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে গুলিবিদ্ধ হন ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা–৮ সংসদীয় আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী ওসমান হাদি। হাদিকে বহনকারী রিকশাকে অনুসরণ করে পেছন দিকে থেকে মোটরসাইকেলে এসে তাঁকে গুলি করে চলে যায় আততায়ীরা। হাদি রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
ইনকিলাব কালচারাল সেন্টার নামে ওসমান হাদির প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন জায়গায় তাঁর সঙ্গে ফয়সাল করিমের কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। সেই ছবিগুলোতে থাকা ফয়সাল করিমের সঙ্গে মাস্ক পরা ব্যক্তির চেহারার কিছুটা সাদৃশ্য আছে। সেকারণে গুলি ছোড়ার ঘটনায় তাঁকে সন্দেহ করা হচ্ছে।
এর মধ্যেই দুপুরে ডিএমপি সন্দেহভাজনকে শনাক্তের কথা জানায় এবং ওসমান হাদিকে গুলি করা ব্যক্তিকে ধরিয়ে দিতে পারলে ৫০ লাখ টাকা পুরস্কারের ঘোষণা দেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

পেশাদারদের যোগাযোগমাধ্যম লিংকডইনে ফয়সাল করিমের নামে প্রোফাইল আছে। সেখানে তিনি নিজেকে অ্যাপল সফট আইটি, ওয়াইসিইউ টেকনোলজি ও এনলিস্ট ওয়ার্ক নামে তিন প্রতিষ্ঠানের মালিক হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
লিংকডইন প্রোফাইলের তথ্য অনুযায়ী, ফয়সাল করিম ২০১৩ সালে ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটারবিজ্ঞানে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন। পরে আরেকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি এমবিএ করেছেন বলে সেখানে উল্লেখ রয়েছে।
২০২৪ সালে জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের সময় আন্দোলনকারীদের দমনে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতা–কর্মীদের সঙ্গে মাঠে ছিলেন বলে ছাত্রলীগের সূত্র জানিয়েছে।
ওসমান হাদিকে গুলির ঘটনায় নাম আসার পর ফয়সাল করিমের সঙ্গে আওয়ামী লীগ আমলে বাংলাদেশের দুইবারের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের কিছু নেতার ছবি ফেসবুকে প্রকাশিত হয়েছে। এ ছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে হাদির সঙ্গে ঢাকা–৮ আসনে গণসংযোগ এবং বাংলামোটরে হাদির প্রতিষ্ঠিত ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারের আড্ডায় ফয়সালের অংশ নেওয়ার ছবিও ভাইরাল হয়েছে। অনেকে ধারণা করছেন, ফয়সাল করিম ওসমান হাদিকে বেশ কিছুদিন ধরে অনুসরণ করছিলেন।
২০১৬ সালে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সহযোগিতা ও সরকারের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে ‘ব্যাটল অব ৭১’ নামে একটি কম্পিউটার গেম তৈরি করেছিল ফয়সাল করিমের মালিকানাধীন ওয়াইসিইউ টেকনোলজি লিমিটেড। সে বছরের নভেম্বরে ওই গেমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বেসিসের তৎকালীন সভাপতি এবং পরে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারও উপস্থিত ছিলেন।
২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ‘আসনভিত্তিক নির্বাচন পরিচালনা ও সমন্বয়ক কমিটি’ করেছিল কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। ঢাকা–১২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছিলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। এই আসনের সমন্বয়ক কমিটির সদস্য ছিলেন ফয়সাল করিম।
জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের পর গত বছরের ২৮ অক্টোবর ঢাকার আদাবরের বাইতুল আমান হাউজিং সোসাইটি এলাকায় ব্রিটিশ কলাম্বিয়া স্কুলের চতুর্থ তলায় অফিসে অস্ত্রের মুখে ১৭ লাখ টাকা লুটের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় আদাবর থানার মামলার প্রধান আসামি ছিলেন ফয়সাল করিম।
মামলা হওয়ার কিছুদিন পর ৭ নভেম্বর আদাবর এলাকা থেকে ফয়সাল করিমকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। তাঁর কাছ থেকে দুটি বিদেশি পিস্তল, দুটি ম্যাগাজিন ও পাঁচটি গুলিও উদ্ধার করা হয়। ওই মামলায় গত ১৬ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট থেকে জামিন পান ফয়সাল করিম। জামিনের সময়সীমা বাড়াতে গত ১২ আগস্ট আবারও আবেদন করলে হাইকোর্ট নতুন করে তাঁর এক বছরের জামিন মঞ্জুর করেন।
জামিনে থাকা অবস্থায় এবার তাঁর বিরুদ্ধে ওসমান হাদিকে গুলি করার অভিযোগ এল। এত অল্প সময়ের মধ্যে তিনি কীভাবে জামিন পেলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। কারণ, কোনো অপরাধমূলক কাজের প্রমাণ না থাকলেও অভ্যুত্থানের পর শুধু মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা নিয়ে আলোচনা সভা করায় গ্রেপ্তার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও সাংবাদিকের জামিন বারবার নাকচ করা হয়েছিল। আর এ রকম লুটের ঘটনায় দুটি অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিকে এতো দ্রুত জামিন দেওয়া হলো কীভাবে, সেই প্রশ্ন নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এখন আলোচনা–সমালোচনায় সরব।

ভোর হয়ে আসছে। নীরব চারদিক। ময়মনসিংহ শহরের চোখে ভোররাতের আদুরে ঘুম। এ রকম নীরবতা ভেঙে ঝড়ের গতিতে ছুটে চলেছে আটটি গাড়ির বহর। আকুয়াপাড়ার আঁকাবাঁকা পথ ধরে গাড়িগুলো এসে থেমে গেল শেষ মাথায়।
২৪ জুলাই ২০২১
ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ এলাকায় গত শুক্রবার সকালে একটি মাদ্রাসায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে নারী, শিশুসহ চারজন আহত হয়েছে। মাদ্রাসাটি শেখ আল আমিন নামের এক ব্যক্তি পরিচালনা করতেন। যিনি এর আগে নিষিদ্ধ উগ্রবাদী সংগঠনের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে দুবার গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। দেশের বিভিন্ন থানায়
৩ দিন আগে
অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২-এর বিশেষ অভিযানে এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৮ হাজার ৫৯৭ জনকে। গত ১৩ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই বিশেষ অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় ৮৫টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
৬ দিন আগে
অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২-এর বিশেষ অভিযানে গত রোববার বিকেল থেকে সোমবার বিকেল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৬৯৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় ১৪টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল রোববার রাতে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
৮ দিন আগে