Ajker Patrika

কোহলির সঙ্গে বাবরের তুলনা দ্রুত হচ্ছে জানালেন ওয়াসিম আকরাম

কোহলির সঙ্গে বাবরের তুলনা দ্রুত হচ্ছে জানালেন ওয়াসিম আকরাম

কিছুদিন আগেই বিরাট কোহলির সঙ্গে বাবর আজমের তুলনা নিয়ে কথা বলেছিলেন পাকিস্তানি ওপেনার ইমাম-উল-হক। তিনি জানিয়েছিলেন, দুজনের মধ্যে তুলনা টানা এখনই ঠিক হচ্ছে না। এবার পাকিস্তানের সাবেক পেসার ওয়াসিম আকরামও একই কথা বলেছেন। তিনি মনে করেন, দুজনের তুলনাটা একটু দ্রুতই হচ্ছে।

কোহলির সঙ্গে বাবরের এমন তুলনা যখন বারবার সামনে আসছে তখন আবার ভারতীয় ব্যাটারের সময়টা যাচ্ছে খারাপ। দীর্ঘদিন ধরেই ছন্দে নেই কোহলি। রানে ফিরতে সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। কিন্তু কোনোভাবেই সাফল্য পাচ্ছেন না। এখন ফর্মের সঙ্গে লড়লেও শুরুর দিকের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে নিজেকে কিংবদন্তিদের কাতারে নিয়ে গেছেন ভারতের এই সাবেক অধিনায়ক। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৪৬৩ ম্যাচে করেছেন ২৩৭২৬ রান। ১২২ ফিফটির বিপরীতে করেছেন ৭০ সেঞ্চুরি।

অন্যদিকে শুরু থেকে ধারাবাহিকভাবে রান করছেন বাবর। শেষ ১০ ইনিংসে পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংস খেলেছেন ৯টি। যার মধ্যে ৪টি সেঞ্চুরির সঙ্গে করেছেন ৫টি ফিফটি। আর এখন পর্যন্ত ২০৮ ম্যাচে রান করেছেন ১০৪৭২। পাকিস্তানি অধিনায়ক ২৫ সেঞ্চুরির সঙ্গে করেছেন ৭১টি ফিফটি। এই পর্যন্ত পরিসংখ্যানের বিচারে কোহলি অনেক এগিয়ে বাবরের থেকে।

ক্রিকেটারদের মধ্যে তুলনা টানা নতুন কিছু নয়। অতীতেও এমন তুলনা টানা হয়েছে একজনের সঙ্গে আরেকজনের। সবকিছু মিলিয়ে কোহলির সঙ্গে বাবরের তুলনাটা একটু দ্রুতই হচ্ছে মনে করছেন ওয়াসিম আকরাম। পাকিস্তানের হয়ে বিশ্বকাপজয়ী পেসার বলেছেন, ‘তুলনার বিষয়টা হচ্ছে সহজাত। আমাদের খেলার সময় শচীন টেন্ডুলকার ও রাহুল দ্রাবিড়ের সঙ্গে তুলনা করা হতো ইনজামাম উল হকের। তারও আগে সুনীল গাভাস্কার, জাভেদ মিঁয়াদাদ, গুন্ডাপ্পা বিশ্বনাথ ও জহির আব্বাসের তুলনা করা হতো। বাবর খুবই ধারাবাহিক। সে সঠিক কৌশলে রান করছে। রানের জন্য খুবই ক্ষুধার্ত ও সতেজ। সে সঠিক পথেই আছে, যেখানে বিরাট আগেই পৌঁছেছে। তাই এই মুহূর্তে কোহলির সঙ্গে বাবরের তুলনা দ্রুত হয়ে যাচ্ছে।’

কোহলির খারাপ ফর্ম নিয়েও কথা বলেছেন আকরাম। ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে ছন্দে না এসে এশিয়া কাপেই সে ফর্ম ফিরে পাক, এমনই আশা তাঁর। পাকিস্তানি কিংবদন্তি বলেন, ‘বিরাট শুধু এ যুগের নয়, সর্বকালের কিংবদন্তিদের একজন। তার ক্লাস চিরদিনের। আশা করি সে দ্রুত ছন্দ ফিরে পাবে। তবে এশিয়া কাপে যেন পাকিস্তানের বিপক্ষে তার আসল রূপ ফিরে না আসে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রিয়ালের সঙ্গে ব্যবধান বাড়িয়ে নতুন বছরের দিকে তাকিয়ে বার্সা কোচ

ক্রীড়া ডেস্ক    
ভিয়ারিয়ালকে ২-০ গোলে হারিয়েছে কাতালানরা। ছবি: সংগৃহীত
ভিয়ারিয়ালকে ২-০ গোলে হারিয়েছে কাতালানরা। ছবি: সংগৃহীত

সেভিয়াকে ২-০ গোলে হারিয়ে বার্সেলোনার সঙ্গে পয়েন্টের ব্যবধান ১-এ নামিয়ে এনেছিল রিয়াল মাদ্রিদ। কিন্তু এক দিন যেতেই লা লিগায় চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে ব্যবধান ফের চারে নিয়ে গেছে কাতালানরা। টেবিলের শীর্ষস্থান মজবুত করলেও হাওয়ায় গা ভাসানোর পক্ষে নন বার্সার প্রধান কোচ হান্সি ফ্লিক। নতুন বছরেও দলের কাছ থেকে ধারাবাহিক পারফরম্যান্স চান তিনি।

রিয়ালের সঙ্গে পয়েন্টের ব্যবধান বাড়ানোর পথে ভিয়ারিয়ালের মাঠ এস্তাদিও লা কেরামিকা থেকে ২-০ গোলের জয় নিয়ে ফিরেছে বার্সা। ১২ মিনিটে রাফিনহার স্পট কিক থেকে এগিয়ে যাওয়ার পর ৬৩ মিনিটে ব্যবধান বাড়ান লামিনে ইয়ামাল। ১৮ ম্যাচ শেষে বার্সার সংগ্রহ ৪৬ পয়েন্ট। সমান ম্যাচে ৪২ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে অবস্থান করছে রিয়াল। ৩৭ পয়েন্ট পাওয়া আতলেতিকো মাদ্রিদ আছে তিনে।

লিগ টেবিলের শীর্ষে থাকলেও চিন্তার শেষ নেই বার্সার। চলতি মৌসুমে ইনজুরি বেশ ভোগাচ্ছে তাদের। সবশেষ এই তালিকায় যুক্ত হয়েছে আন্দ্রেয়াস ক্রিস্টেনসেনের নাম। আগে থেকেই মাঠের বাইরে আছেন গাভি, দানি, পেদ্রি, আরাহোরা। নতুন বছরে সবাইকে সুস্থ দেখতে চান ফ্লিক। আপাতত ফুটবলকে দূরে রেখে শিষ্যদের বড়দিন উপভোগ করার পরামর্শ দিলেন তিনি।

ভিয়ারিয়ালের বিপক্ষে ম্যাচ শেষে ফ্লিক বলেন, ‘এই বছরটাতে আমরা বেশকিছু সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পেরেছি। দল কীভাবে অনুশীলন করে সেটাতে আমরা নজর দিতে পেরেছি। সবাই নিজেদের জায়গা থেকে সেরাটা দিচ্ছে। অনুশীলনে সেটার প্রমাণ পাচ্ছি। ছেলেদের এখন বিশ্রাম নেওয়া দরকার। সামনে বড়দিন। পরিবারের সঙ্গে নিজেদের মতো করে উদযাপন করা উচিত। যারা মাঠের বাইরে আছে তাদের কথাও ভাবছি। সবাইকে বড়দিনের শুভেচ্ছা।’

রাফিনহা-ইয়ামালরা গোল এনে দিলেও দলের জয়ে হুয়ান গার্সিয়ার অবদানও কোনো অংশে কম নয়। এদিন গোলপোস্টের নিচে রীতিমতো চীনের প্রাচীর হয়ে ছিলেন তিনি। দারুণ সব সেভে বেশ কয়েকবার সফরকারীদের বাঁচিয়েছেন এই গোলরক্ষক। তাই তাঁর প্রশংসা না করে থাকতে পারলেন না ফ্লিক।

তিনি বলেন, ‘গার্সিয়া আমাদের গোল হজম করা থেকে রক্ষা করেছে। পোস্টের নিচে দুর্দান্ত ছিল। সে আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়। তবে ভুলে গেলে চলবে না আমরা দল হিসেবে খেলি। সবাই মিলে রক্ষণ সামাল দেই। ম্যাচ জেতায় আমার খুব ভালো লেগেছে। এখন দলের সবাই ক্লান্ত। তবে সেটা মানসিকতায় প্রভাব পড়েনি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

অলরাউন্ড নৈপুণ্যে রশিদ-হেলসের পাশে সাকিব

ক্রীড়া ডেস্ক    
ডেজার্টের বিপক্ষে এমিরেটসের জয়ের নায়ক তারকা অলরাউন্ডার। ছবি: ক্রিকইনফো
ডেজার্টের বিপক্ষে এমিরেটসের জয়ের নায়ক তারকা অলরাউন্ডার। ছবি: ক্রিকইনফো

সাকিব আল হাসান প্রমাণ করলেন কেন তিনি সেরা অলরাউন্ডারদের একজন। ইন্টারন্যাশনাল লিগ টি-টোয়েন্টিতে (আইএল টি-টোয়েন্টি) এমআই এমিরেটসের হয়ে প্রথম দুই ম্যাচে বিবর্ণ ছিলেন। নিজের জাত চেনাতে বেশি সময় নিলেন না বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক। তাতেই একটি মাইলফলক স্পর্শ করেছেন সাকিব।

ডেজার্ট ভাইপার্সকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে এমিরেটস। তাদের এই জয়ের নায়ক সাকিব। দুর্দান্ত বোলিংয়ের পর ব্যাট হাতেও অবদান রেখেছেন এই ক্রিকেটার। আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১২৪ রান তোলে ডেজার্ট। তাদের হাতের নাগালে আটকে রাখতে ৪ ওভার বল করে ১৪ রানের বিনিময়ে ২ উইকেট নেন সাকিব। এদিন দলের সেরা বোলার তিনি। সমান ২ উইকেট নিলেও ২ ওভারে ১৭ রান দেন জহুর খান। এরপর ব্যাট করতে নেমে ১৭ রানে অপরাজিত ছিলেন সাকিব।

অলরাউন্ড পারফর্ম করে জিতেছেন ম্যাচসেরার পুরস্কার। টি-টোয়েন্টিতে এটা সাকিবের ৪৫ তম ম্যাচসেরার পুরস্কার। এই সংস্করণে ম্যাচসেরার তালিকায় যৌথভাবে তিনে উঠে এলেন সাকিব। সমান ৪৫ বার ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতে এই তালিকায় আগে থেকেই ছিলেন রশিদ খান ও অ্যালেক্স হেলস।

একটা জায়গায় এগিয়ে সাকিব। ৪৫ বার ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়ের স্বীকৃতি জিততে ৫০৪ ম্যাচ লেগেছে রশিদের। হেলসের লেগেছে আরও বেশি; ৫২৪ ম্যাচ। সেখানে ৪৬৫ তম ম্যাচে এসেই তাঁদের ছুঁয়ে দিলেন সাকিব। এখন বাকি দুজনকে ছাড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ তাঁর সামনে।

এই তালিকায় সবার ওপরে আছেন ক্রিস গেইল। টি-টোয়েন্টিতে ৬০ বার ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক সাবেক মারকুটে ব্যাটার। সমান ৪৮ বার করে ম্যাচসেরা হয়েছেন কাইরন পোলার্ড ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। যৌথভাবে তালিকার দুইয়ে আছেন তাঁরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রেকর্ড গড়া জয়ে সিরিজ জিতল নিউজিল্যান্ড

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১: ১৪
কিউইদের কাছে পাত্তা পায়নি সফরকারীরা। ছবি: ক্রিকইনফো
কিউইদের কাছে পাত্তা পায়নি সফরকারীরা। ছবি: ক্রিকইনফো

চতুর্থ দিন শেষে একটা বিষয় নিশ্চিত ছিল– মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্ট হারছে না নিউজিল্যান্ড। ওয়েস্ট ইন্ডিজের জন্য সর্বোচ্চ প্রাপ্তি হতে পারতো কেবল ড্র। এজন্য পুরো দিন উইকেটে টিকে থাকতে হতো। কিন্তু সেটাও হতে দিলেন না জ্যাকব ডাফি। এই পেসারের বোলিং তোপে ৩২৩ রানের বিশাল ব্যবধানে হেরে গেছে ক্যারিবীয়রা।

রানের হিসেবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এটাই নিউজিল্যান্ডের সবচেয়ে বড় জয়। আগের সবচেয়ে বড় জয়টি ছিল ২৪০ রানের। ২০১৭ সালে হ্যামিল্টনে দ্বীপ দেশটিকে এই ব্যবধানে হারিয়েছিল ব্ল্যাক ক্যাপসরা। মাউন্ট মঙ্গানুইতে জিতে ২-০ ব্যবধানে টেস্ট সিরিজ জিতে নিল নিউজিল্যান্ড। ড্র দিয়ে সিরিজ শুরুর পর দ্বিতীয় ম্যাচে ৯ উইকেটের জয় তুলে নেয় স্বাগতিকেরা।

৪৬২ রানের জবাবে চতুর্থ দিন শেষে বিনা উইকেটে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ ছিল ৪৩ রান। ব্র্যান্ডন কিং ৩৭ ও জন ক্যাম্পবেল ২ রান নিয়ে শেষ দিন ব্যাট করতে নামেন। জয়ের জন্য এদিন ৮৮ ওভারে ৪১৯ রান দরকার ছিল সফরকারীদের। বিশাল লক্ষ্যের পেছনে ছুঁটতে গিয়ে খেই হারিয়ে ফেলে তারা। এদিন আর মাত্র ৯৫ রান যোগ করে ১৩৮ রানে গুটিয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শেষ ৫১ রানে হারায় ১০ উইকেট।

দলটির হয়ে লড়াই করেছেন কেবল কিং। ৬৭ রান করেন এই ওপেনার। বাকিদের কেউই ২০ এর কোটায় যেতে পারেননি। জন ক্যাম্পবেল ১৬ ও টেভিন ইমলাচ করেন ১৫ রান। প্রথম ইনিংসে ৮৬ রানে ৪ উইকেট নিয়েছিলেন ডাফি। এবার আরও বিধ্বংসী এই পেসার। মাত্র ৪২ রানেই ৫ ব্যাটারকে ফেরান তিনি। দুই ইনিংস মিলিয়ে ৯ উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতেছেন ডাফি। ২৩ রানে ৩ উইকেট নেন এজাজ প্যাটেল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিকেলে কাঁপালেন মোস্তাফিজ, রাতে সাকিব

ক্রীড়া ডেস্ক    
মোস্তাফিজুর রহমান, সাকিব আল হাসান দুজনেই দুর্দান্ত বোলিং করেছেন আজ। ছবি: ক্রিকইনফো
মোস্তাফিজুর রহমান, সাকিব আল হাসান দুজনেই দুর্দান্ত বোলিং করেছেন আজ। ছবি: ক্রিকইনফো

সংযুক্ত আরব আমিরাতে আজ বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের জয়জয়কার। বিকেলে আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে গালফ জায়ান্টসকে কাঁপিয়ে দিয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান। ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতেছেন বাংলাদেশের এই বাঁহাতি পেসার। আবুধাবি থেকে ১৩৯ কিলোমিটার দূরে দু্বাইয়ে রাতে দুর্দান্ত বোলিং করেছেন সাকিব আল হাসান।

মোস্তাফিজ, সাকিব দুজনই এবারের আইএল টি-টোয়েন্টিতে প্রথমবারের মতো খেলছেন। সাকিব এই পর্যন্ত তিন ম্যাচ খেলেছেন। যার মধ্যে প্রথম দুই ম্যাচ ১০-এর বেশি ইকোনমিতে বোলিং করেছেন। মুক্ত হস্তে রান বিলিয়ে দিলেও পাননি কোনো উইকেট। তবে নামটা যে সাকিব আল হাসান, কখন যে ঘুরে দাঁড়াবেন সেটা আগে থেকে অনুমান করা কঠিন। দুবাইয়ে আজ ডেজার্ট ভাইপার্সের বিপক্ষে ৪ ওভারে ১৪ রানে নিয়েছেন ২ উইকেট।

দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এমআই এমিরেটসের অধিনায়ক কাইরন পোলার্ড। সাকিব আজ পাওয়ারপ্লের (প্রথম ৬ ওভার) শেষ হওয়ার ঠিক পরের ওভারেই বোলিংয়ে এসেছেন। ইনিংসের সপ্তম ওভারের শেষ বলে ফখর জামানকে স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে ফেলেন সাকিব। ১৩ বলে ১৩ রান করে আউট হয়েছেন ফখর। এক ওভার পরে এসে সাকিব তুলে নিয়েছেন স্যাম কারানের উইকেট। নবম ওভারের দ্বিতীয় বলে কারানকে কট এন্ড বোল্ড করেন সাকিব। বাংলাদেশের বাঁহাতি স্পিনিং অলরাউন্ডারকে দিয়ে ইনিংসের ১১তম ও ১৫তম ওভার করিয়ে নিয়েছেন পোলার্ড। ৪ ওভারে ১৪ রানে ২ উইকেট নেওয়া সাকিব আজ কোনো চার-ছক্কা হজম করেননি। এমনকি কোনো ওয়াইড, নো বলও দেননি।

সাকিবের দুর্দান্ত বোলিংয়ের রাতে ডেজার্ট ভাইপার্স ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১২৪ রান করেছে। ইনিংস সর্বোচ্চ ৩৫ রান করে অপরাজিত থাকেন ড্যান লরেন্স। এমআই এমিরেটসের সাকিব, জহুর খান নিয়েছেন দুটি করে উইকেট। একটি করে উইকেট পেয়েছেন মোহাম্মদ গজনফার ও আরব গুল। ভাইপার্সের ১৮ বলে ১৪ রান করা জেসন রায় হয়েছেন রানআউট।

বিকেলে গালফ জায়ান্টসের বিপক্ষে দুবাই ক্যাপিটালসের ৬ উইকেটের জয়ে মোস্তাফিজ হয়েছেন ম্যান অব দ্য ম্যাচ। ৩.৫ ওভারে ৩৪ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট। এবারের আইএল টি-টোয়েন্টিতে এখন পর্যন্ত ৭ ম্যাচে ৮.২৯ ইকোনমিতে নিয়েছেন ১৪ উইকেট। টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী বাংলাদেশের এই বাঁহাতি পেসার। ১৫ উইকেট নিয়ে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী মোস্তাফিজের দুবাই ক্যাপিটালসের সতীর্থ ওয়াকার সালামখেইল। ৮ ম্যাচে ৭.৪৯ ইকোনমিতে সালামখেইল বোলিং করেছেন।

গালফ জায়ান্টসের বিপক্ষে ৬ উইকেটে জেতার পর দুবাই ক্যাপিটালসের পয়েন্ট এখন ৮। সমান ৮ পয়েন্ট এমআই এমিরেটসও। এই দলে খেলছেন বাংলাদেশের তারকা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। তবে নেট রানরেটের কারণে এগিয়ে দুবাই ক্যাপিটালস। ‍+০.৮৩৬ নেট রানরেট নিয়ে দুইয়ে অবস্থান করছে মোস্তাফিজের দুবাই। তিন নম্বরে অবস্থান করা সাকিবের এমিরেটসের নেট রানরেট ‍+০.৩৪১।

দুবাই ক্যাপিটালস ও এমআই এমিরেটস আট ও সাত ম্যাচ খেলেছে এখন পর্যন্ত। চার ও পাঁচে থাকা গালফ জায়ান্টস, আবুধাবি নাইট রাইডার্স দুই দলেরই পয়েন্ট ৬। চার পয়েন্ট নিয়ে ছয় দলের মধ্যে ছয় নম্বরে অবস্থান করছে শারজা ওয়ারিয়র্স। এখন ভাইপার্সকে হারালে এমআই এমিরেটস দুই নম্বরে উঠে আসবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত