Ajker Patrika

অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির ডাক চা শ্রমিকদের

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
আপডেট : ১২ আগস্ট ২০২২, ২০: ২৩
অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির ডাক চা শ্রমিকদের

মজুরি বাড়ানোর দাবিতে প্রতিদিন দুই ঘণ্টা করে চার দিন কর্মবিরতি পালন করেছেন চা শ্রমিকেরা। কিন্তু দাবি আদায় না হওয়ায় আগামীকাল শনিবার থেকে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) নৃপেন পাল।

নৃপেন পাল বলেন, ‘প্রতিনিয়ত নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়লেও দীর্ঘদিন ধরে দেশের চা শ্রমিকেরা মাত্র ১২০ টাকা মজুরিতে কাজ করছেন। এছাড়া দুই বছর পর পর শ্রমিকদের সঙ্গে মালিক পক্ষের চুক্তি হয়। কিন্তু বিগত চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে ১৯ মাস অতিবাহিত হয়ে গেলেও নতুন চুক্তি করছে না মালিক পক্ষ।’ 

নৃপেন পাল আরও বলেন, ‘গত মাসে মালিক পক্ষ আমাদেরকে ১৪ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছিল। আমরা সেটি প্রত্যাখ্যান করে গত মঙ্গলবার থেকে প্রতিদিন দুই ঘণ্টা করে চার দিন কর্মবিরতি পালন করেছি। এতে মালিক পক্ষের কোনো সাড়া পাইনি। তাই আমরা অনির্দিষ্টকালের জন্য বাগানে কাজ করা বন্ধ ঘোষণা করেছি। দাবি না মানা পর্যন্ত শ্রমিকেরা বাগানে ফিরবে না। প্রয়োজনে আমরা আরও কঠোর কর্মসূচি দেব।’

হবিগঞ্জের ২৪টি বাগান নিয়ে লস্করপুর ভ্যালি। এখানে মোট চা শ্রমিক রয়েছেন ৩৫ হাজার। এর মধ্যে স্থায়ী শ্রমিক ২৭ হাজার এবং অস্থায়ী ৮ হাজার। 

আমু চা বাগানের শ্রমিক মিনতি সন্তুবায় বলেন, ‘আমরা সারা দিন চাবাগানে কাজ করে মাত্র ১২০ টাকা মজুরি পাই। যা দিয়ে দুই কেজি চালও কিনতে পারি না। এক লিটার তেলের দাম ২০০ টাকা। ছেলেমেয়ে সাধ-আহ্লাদও পূরণ করতে পারি না। মা বাবা হয়ে যদি ছেলে মেয়ের সাধ-আহ্লাদ পূরণ করতে না পারি তাহলে বেঁচে থেকে লাভ কী? এর চেয়ে মরে যাওয়াই ভালো।’

বাংলাদেশ চা কন্যা নারী সংগঠনের সভাপতি খায়রুন আক্তার বলেন, ‘দেশে সব জিনিসের দাম হু হু করে বাড়ছে। অথচ চা শ্রমিকেরা সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত কাজ করে ১২০ টাকা মজুরি পায়। দুই কেজি সবজি কিনতেই এই টাকা চলে যায়। তাই শ্রমিকদের বাঁচানোর স্বার্থে মজুরি ৩০০ টাকা করতে আমরা দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছি। কিন্তু মালিক পক্ষ কোনো সাড়া দিচ্ছে না।’

চান্দপুর বাগানের পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি সাধন সাওতাল বলেন, ‘চা শ্রমিকেরা দেশের ভোটার হয়েও অবহেলিত। মৌলিক অধিকারও তাঁদের ভাগ্যে জোটে না। এছাড়া রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে দিনে মজুরি মাত্র ১২০ টাকা। এভাবে আমরা চলতে পারছি না। আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। তাই আমরা বাধ্য হয়ে বাগান বন্ধ করে দিয়েছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত বাগানে ফিরব না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

গুলিবিদ্ধ হাদির মৃত্যু: গঙ্গাচড়ায় ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ মিছিল

 গঙ্গাচড়া (রংপুর) প্রতিনিধি
বিক্ষোভ মিছিল শেষে হাদির আত্মার মাগফিরাত কামনা করে সংক্ষিপ্ত দোয়া করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
বিক্ষোভ মিছিল শেষে হাদির আত্মার মাগফিরাত কামনা করে সংক্ষিপ্ত দোয়া করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর খবরে রংপুরের গঙ্গাচড়ায় শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ বিক্ষোভ মিছিল করেছেন। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে গঙ্গাচড়া বাজারের জিরো পয়েন্ট থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে আবার জিরো পয়েন্টে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়।

সমাবেশে অংশ নেওয়া বিক্ষোভকারীরা হাদির হত্যাকারীদের দ্রুত বিচারের দাবি জানান। পাশাপাশি আওয়ামী লীগের বিচার কার্যক্রম ত্বরান্বিত করা এবং ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেন তাঁরা। সমাবেশ শেষে হাদির আত্মার মাগফিরাত কামনা করে সংক্ষিপ্ত দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া পরিচালনা করেন উপজেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি সাহেব আলী।

বিক্ষোভ মিছিলে উপজেলা নাগরিক পার্টির প্রধান সমন্বয়কারী রিফাতুজ্জামান, উপজেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি সাহেব আলী, গঙ্গাচড়া পশ্চিম থানা ছাত্রশিবিরের সভাপতি শোয়াইবুর রহমান, উপজেলা সেক্রেটারি নাজমুল ইসলাম, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উপজেলা সংগঠক মোহাইমিনুল ইসলাম আহাদ, আলী আল রাদিত রেশান, সোহান, উপজেলা নাগরিক পার্টির যুগ্ম সমন্বয়কারী জাহানুরুর রহমান, জীবন মিয়া, তৈয়ব আলীসহ স্থানীয় শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, শরিফ ওসমান হাদি জুলাই অভ্যুত্থান ও আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে পরিচিতি লাভ করেন। তিনি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন।

গত শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় গণসংযোগের সময় হামলার শিকার হন হাদি। চলন্ত রিকশায় থাকা অবস্থায় একটি মোটরসাইকেল থেকে তাঁকে গুলি করা হয়। গুলিটি তাঁর মাথায় লাগে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয় এবং অস্ত্রোপচারের পর ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকেরা তখন তাঁর অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক বলে জানান।

পরে সোমবার দুপুরে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাঁকে সিঙ্গাপুর নেওয়া হয়। সেখানকার সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে তাঁর মৃত্যু হয়। মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

হাদির মৃত্যুতে গ্রামের বাড়িতে শোকের ছায়া, হত্যাকারীকে গ্রেপ্তারের দাবি

ঝালকাঠি প্রতিনিধি
মৃত্যুর খবর শোনামাত্রই আত্মীয়স্বজন, প্রতিবেশী ও শুভানুধ্যায়ীরা হাদির বাড়িতে ছুটে আসেন। ছবি: আজকের পত্রিকা
মৃত্যুর খবর শোনামাত্রই আত্মীয়স্বজন, প্রতিবেশী ও শুভানুধ্যায়ীরা হাদির বাড়িতে ছুটে আসেন। ছবি: আজকের পত্রিকা

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর তাঁর গ্রামের বাড়ি ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলা শহরের খাসমহল এলাকায় নেমে আসে শোকের ছায়া। খবর শোনামাত্রই আত্মীয়স্বজন, প্রতিবেশী ও শুভানুধ্যায়ীরা তাঁর বাড়িতে ছুটে আসেন। তবে নিরাপত্তার কারণে বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত পরিবারের কোনো সদস্য সাংবাদিক বা আগত ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলেননি। পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার সকালে পরিবারের সদস্যরা সাংবাদিক ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলবেন।

বর্তমানে হাদির বাসায় অবস্থান করছেন তাঁর বোন মাছুমা সুলতানা বিন হাদি ও ভগ্নিপতি আমির হোসেন।

হাদির মৃত্যুর ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তাঁর প্রতিবেশী, সহপাঠী ও স্থানীয় বাসিন্দারা। হাদির স্মৃতি স্মরণ করতে গিয়ে অনেকেই কান্নায় ভেঙে পড়েন।

স্থানীয় বাসিন্দারা প্রশ্ন তুলেছেন, জুলাই অভ্যুত্থানের পর হাদির মতো একজন সক্রিয় কর্মীকে কেন পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দেওয়া হয়নি। এ বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্ত ও দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তাঁরা।

এদিকে ঘটনার পর এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র হাদির মৃত্যুতে যবিপ্রবিতে বিক্ষোভ

­যশোর প্রতিনিধি
বিক্ষোভ মিছিল শেষে হাদির আত্মার মাগফিরাত কামনা করে সংক্ষিপ্ত দোয়া করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
বিক্ষোভ মিছিল শেষে হাদির আত্মার মাগফিরাত কামনা করে সংক্ষিপ্ত দোয়া করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর খবরে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) বিক্ষোভ মিছিল করেছেন শিক্ষার্থীরা। খবর পাওয়ার পরপরই বৃহস্পতিবার রাতে ক্যাম্পাসে এই বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়।

বিক্ষোভকারীরা ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে যশোর-চৌগাছা সড়কে অবস্থান নেন। এ সময় শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।

বিক্ষোভ চলাকালে শিক্ষার্থীরা ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’; ‘হাদি ভাই কবরে, খুনি কেন ভারতে?’; ‘যে ভারত খুনি পালে, সেই ভারত ভেঙে দাও’; ‘ভারতীয় আধিপত্য ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও’; ‘ছাত্রলীগের আস্তানা ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও’; ‘ইনকিলাব ইনকিলাব—জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ’; ‘আপস না সংগ্রাম—সংগ্রাম সংগ্রাম’ এবং ‘মুজিববাদ মুর্দাবাদ, ইনকিলাব জিন্দাবাদ’ এমন বিভিন্ন স্লোগান দেন।

প্রধান ফটকের সামনে বিক্ষোভ শেষে সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বক্তব্য দেন ইএসটি বিভাগের শিক্ষার্থী মো. ওসামা, জিইবিটি বিভাগের শিক্ষার্থী জালিস মাহমুদ, পিইএসএস বিভাগের শিক্ষার্থী মো. সাফি এবং আইপিই বিভাগের শিক্ষার্থী সিয়াম মিনহাজ।

সমাবেশে ইএসটি বিভাগের শিক্ষার্থী মো. ওসামা বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকেই ভারত পরিকল্পিতভাবে এই দেশের ওপর আগ্রাসন চালিয়ে আসছে। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান থেকে শুরু করে শরিফ ওসমান হাদিকেও পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, ‘আগামী দিনে কেউ যদি বাংলাদেশকে ভারতের কলোনি বানাতে চায়, তবে বাংলাদেশের যুবসমাজ তা মেনে নেবে না। আগামী দিনের বাংলাদেশ হবে বাংলাদেশিদের বাংলাদেশ।’

এর আগে বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি। এনসিপি স্বাস্থ্য সেলের প্রধান ও হাদির চিকিৎসায় নিয়োজিত ডা. আহাদ এক ভিডিও বার্তায় তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ওসমান হাদির খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে ফেনীতে বিক্ষোভ

ফেনী প্রতিনিধি
গতকাল রাত সাড়ে ১০টার দিকে ফেনী শহরের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ থেকে ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্য’-এর ব্যানারে মিছিল বের করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
গতকাল রাত সাড়ে ১০টার দিকে ফেনী শহরের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ থেকে ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্য’-এর ব্যানারে মিছিল বের করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর খবরে ফেনীতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন ছাত্র-জনতা। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে শহরের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ থেকে ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্য’-এর ব্যানারে মিছিলটি বের করা হয়। মিছিলটি শহীদ মিনার থেকে শুরু হয়ে ফেনী প্রেসক্লাব, কেন্দ্রীয় বড় মসজিদ, ট্যাংক রোড ও ফেনী মডেল থানা প্রদক্ষিণ করে খেজুর চত্বরে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়।

মিছিল চলাকালে বিক্ষোভকারীরা ‘আমি কে, তুমি কে? হাদি হাদি’; ‘আমরা সবাই হাদি হবো, গুলির মুখে কথা কবো’; ‘হাদি হত্যার বিচার চাই’; ‘শেম শেম, ইন্টেরিম ইন্টেরিম’; ‘ভারতীয় আগ্রাসন বন্ধ করতে হবে’; ‘আর নয় প্রতিরোধ, এবার হবে প্রতিশোধ’; ‘দিল্লি যাদের মামাবাড়ি, বাংলা ছাড়ো তাড়াতাড়ি’; ‘পেতে চাইলে মুক্তি, ছাড়ো ভারতভক্তি’; ‘সুশীলতার দিন শেষ, বিচার চাই বাংলাদেশ’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন।

সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সাবেক জেলা সমন্বয়ক আবদুল আজিজ বলেন, ‘ভারতীয় আধিপত্যবাদবিরোধী আন্দোলনে হাদি আমাদের যে পথ দেখিয়েছেন, সেই পথে হাঁটতে আমরা লাখো হাদি প্রস্তুত। যত দিন এ দেশে ভারতীয় আধিপত্য থাকবে, তত দিন রাজপথে আমাদের লড়াই চলবে। হাদির খুনিরা যেখানেই থাকুক, অবিলম্বে তাদের গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।’

স্বেচ্ছাসেবী সংগঠক ওসমান গনি রাসেল বলেন, ‘ওসমান হাদিকে প্রকাশ্যে গুলি করার এক সপ্তাহ পার হলেও প্রশাসন এখনো প্রধান সন্দেহভাজনদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি। জুলাইয়ের সম্মুখ যোদ্ধারা আজ জীবনের হুমকির মুখে। প্রশাসনের নির্লিপ্ততায় আওয়ামী সন্ত্রাসীরা এখনো আশপাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে। দ্রুত ফ্যাসিবাদের দোসরদের আইনের আওতায় না আনলে নির্বাচনের আগে আরও বহু “হাদি” হত্যার আশঙ্কা রয়েছে।’

সমাবেশে জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির মুফতি আবদুল হান্নান বলেন, ‘শরিফ ওসমান হাদির হত্যাকারীদের আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার করতে হবে। একই সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও প্রধান নির্বাচন কমিশনকে অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে।’

এর আগে বক্তারা অন্তর্বর্তী সরকারের কাঙ্ক্ষিত সংস্কার দাবি করেন এবং শরিফ ওসমান হাদি হত্যার দ্রুত বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।

এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, এনসিপি, জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী ও সাধারণ ছাত্র-জনতা উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত