প্রতিনিধি, বরিশাল

বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বাসভবনে বুধবার রাতে আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগ-যুবলীগের হামলা ও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের পর মুখোমুখি অবস্থানে চলে গেছে পুলিশ-প্রশাসন ও রাজনৈতিক নেতৃত্ব। এর জের ধরে রাজনৈতিক মদদে বাস-লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। আর নেতা-কর্মীদের নামে মামলা করেছে পুলিশ ও প্রশাসন।
পরিস্থিতি সামাল দিতে নগরে পুলিশ, র্যাবের টহল জোরদারের পাশাপাশি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যদের মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। কিন্তু পুলিশ প্রশাসন ও রাজনৈতিক নেতৃত্বের এই বিবাদে দিনভর ভোগান্তি পোহাতে হয় মানুষকে। বরিশালে ইউএনওর বাসভবনে হামলার ঘটনায় তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। গতকাল রাজধানীতে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, তদন্তের মাধ্যমে বেরিয়ে আসবে বরিশালে ঘটে যাওয়া ঘটনায় কার ভূমিকা কী ছিল। কেউ যদি ভুলভ্রান্তি করে থাকে, তাহলে তদন্ত শেষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ দিকে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে গতকাল রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বরিশালের মেয়র সেরনিবায়াত সাদিক আবদুল্লাহর গ্রেপ্তার দাবি করেছে বাংলাদেশ এ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস এসোসিয়েশন।
রাতে হামলা-সংঘর্ষ
জানা গেছে, বুধবার রাতে নগরীর সিঅ্যান্ডবি সড়কের সদর উপজেলা পরিষদ ভবনে ১৫ আগস্ট উপলক্ষে লাগানো ব্যানার-পোস্টার অপসারণ করতে যান ছাত্রলীগ যুবলীগের নেতা-কর্মীরা।
ওই ব্যানার-পোস্টার সদর আসনের সাংসদ ও পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক শামীমের পক্ষে লাগানো হয়েছিল। অনুমতি ছাড়া উপজেলা পরিষদ চত্বরে প্রবেশ করে ব্যানার-পোস্টার অপসারণ করতে বাধা দেন নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত আনসার সদস্যরা। একপর্যায়ে ইউএনও মুনিবর রহমান বাসভবন থেকে ঘটনাস্থলে এলে তাঁর সঙ্গে অসদাচরণ করেন ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীরা।
এর পরপরই আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগ-যুবলীগের কয়েক শ নেতা-কর্মী উপজেলা পরিষদে গিয়ে ইউএনওর বাসায় হামলা করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আনসার সদস্যরা ফাঁকা গুলি করেন। হামলাকারীদের পক্ষ থেকে গুলি করা হয়েছে বলে অসমর্থিত সূত্র জানিয়েছে। খবর পেয়ে র্যাব ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালালে তাদের সঙ্গে হামলাকারীরা পাল্টা ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও পুলিশের সঙ্গে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়। রাত ২টায় পর্যন্ত উপজেলা পরিষদ এলাকায় এমন পরিস্থিতি অব্যাহত ছিল। এরপর সিটি করপোরেশনের গাড়িতে কয়েক গাড়ি বর্জ্য এনে উপজেলা পরিষদের প্রধান ফটকসংলগ্ন সড়কের ওপর ঢেলে দেওয়া হয়।
ইউএনও মুনিবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার ওপর হামলা হচ্ছে বুঝতে পেরে আমি আনসার সদস্যদের অ্যাকশনে যাওয়ার নির্দেশ দিই। তার আগে আমাকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয়।’
তবে বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ বুধবার গণমাধ্যমকে জানান, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অংশ হিসেবে সিটি করপোরেশনের কর্মীরা রাতে উপজেলা পরিষদের গেলে ইউএনও বাধা দেন। খবর পেয়ে তিনিও ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। ইউএনওর নির্দেশে আনসাররা গুলি করলে জীবন রক্ষায় তিনি সেখান থেকে চলে আসেন। মেয়র দাবি করেন গুলিতে প্যানেল মেয়র গাজী নাইমুল ইসলাম লিটুসহ অনেক নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। ১০ জন শেরেবাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় হাসপাতালে আছেন।
রাত ২টার দিকে ইউএনওর বাসায় যান বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার সাইফুল হাসান বাদল, বরিশাল মেট্রোপলিটনের পুলিশ কমিশনার শাহাবুদ্দিন খান, র্যাব-৮-এর অধিনায়ক জামিল হোসেন, বরিশাল জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দারসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার বলেন, এ ঘটনা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যাঁরা অন্যায় করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দিনে বাস-লঞ্চ বন্ধ
রাতের ঘটনার জের ধরে মধ্যরাত থেকে গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত বরিশালে সড়ক যোগাযোগ অচল হয়ে পড়ে। ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের ওপর এলোপাতাড়িভাবে বাস-ট্রাক রেখে দেওয়া হয়। এতে বরিশালসহ পটুয়াখালী, বরগুনা ও ঝালকাঠি রুটের বাস ও পণ্যবাহী বাস ও ট্রাক চলাচল বুধবার মধ্যরাত থেকে বন্ধ ছিল। বাস শ্রমিকনেতারা দাবি করেন, মেয়র সাদিক আবদুল্লাহকে উদ্দেশ করে গুলি করার প্রতিবাদে ধর্মঘট ডাকা হয়। তবে সাড়ে ১২টার দিকে বাস চলাচল শুরু হয়। এর আগে নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা গেছে, ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক ধরে গড়িয়ার পাড় মোড় পর্যন্ত (প্রায় ৬ মাইল দূরে) সড়কের ওপর বাস-ট্রাক এলোপাতাড়িভাবে রেখে দেওয়া হয়েছে। একই অবস্থা নগরীর রূপাতলী বাস টার্মিনাল এলাকায়।
বরিশাল বাস মালিক গ্রুপের যুগ্ম সম্পাদক কিশোর কুমার দে বলেন, সাধারণ জনগণের দুর্ভোগ লাঘবে মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ তাঁদের বাস চালানোর নির্দেশ দেন। একই কথা জানান, বরিশাল-পটুয়াখালী মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কাওছার হোসেন শিপন।
অন্যদিকে বিআইডব্লিউটিএর নৌনিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিদর্শক কবির হোসেন বলেন, সকাল ৮টা থেকে বরিশাল নৌবন্দর থেকে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ করে দেন শ্রমিকনেতারা। পরে বেলা ১টার দিকে লঞ্চ চলাচল শুরু হয়।
সেরনিয়াবাত ভবন ঘিরে র্যাব-পুলিশ-ডিবি
এদিকে দুপুর ১২টার দিকে নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও মেয়র সাদিক আবদুল্লাহর বাসভবনে দলীয় সভা ডাকা হলে দুপুর পৌনে ১২টার দিকে সেরনিয়াবাত ভবন ঘিরে রাখে র্যাব, পুলিশ, ডিবি। এ সময় জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুব্রত দাসকে মেয়রের বাসার সামনে দেখা যায়। এ সময় আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতাকে মেয়রের বাসায় ঢোকার চেষ্টা করতে দেখা গেলেও তাঁরা ভেতরে ঢুকতে পারেননি। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তালুকদার মো. ইউনুস এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘মেয়রের বাসায় সভা ছিল। কেন এখানে প্রশাসন তৎপর তা তারা জানার চেস্টা করছেন।’
নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে পুলিশ-প্রশাসনের মামলা
বুধবার রাতের ঘটনায় কয়েক শ আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীকে আসামি করে সদর ইউএনও এবং পুলিশ বাদী হয়ে দুটি মামলা করেছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে ১৩ নেতা-কর্মীকে। বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নুরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর মধ্যে সংঘর্ষে আহত তিনজনকে বরিশাল শেরেবাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় গতকাল দুপুরে হাসপাতাল থেকে তুলে নিয়ে আসে গোয়েন্দা পুলিশ। এর আগে বুধবার রাতে ইউএনওর বাসায় হামলার সময় ঘটনাস্থল থেকে আটক করা হয় মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক হাসান মাহমুদ বাবুকে।
বিজিবি মোতায়েনের সিদ্ধান্ত
গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত বরিশাল নগর ছিল থমথমে। এই অবস্থায় নগরে পুলিশ, র্যাবের টহল জোরদারের পাশাপাশি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যদের মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। নগরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে প্রশাসন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, ১০ প্লাটুন বিজিবি সদস্য বরিশালের পথে রয়েছেন। রাতে তাঁরা বরিশালে পৌঁছাবেন। বিজিবির সঙ্গে সার্বক্ষণিক থাকবেন ১০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। এ জন্য বরিশালের বাইরের জেলা থেকে ১০ জন ম্যাজিস্ট্রেট চাওয়া হয়েছে। গতকাল বিকেলে জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বাসভবনে বুধবার রাতে আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগ-যুবলীগের হামলা ও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের পর মুখোমুখি অবস্থানে চলে গেছে পুলিশ-প্রশাসন ও রাজনৈতিক নেতৃত্ব। এর জের ধরে রাজনৈতিক মদদে বাস-লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। আর নেতা-কর্মীদের নামে মামলা করেছে পুলিশ ও প্রশাসন।
পরিস্থিতি সামাল দিতে নগরে পুলিশ, র্যাবের টহল জোরদারের পাশাপাশি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যদের মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। কিন্তু পুলিশ প্রশাসন ও রাজনৈতিক নেতৃত্বের এই বিবাদে দিনভর ভোগান্তি পোহাতে হয় মানুষকে। বরিশালে ইউএনওর বাসভবনে হামলার ঘটনায় তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। গতকাল রাজধানীতে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, তদন্তের মাধ্যমে বেরিয়ে আসবে বরিশালে ঘটে যাওয়া ঘটনায় কার ভূমিকা কী ছিল। কেউ যদি ভুলভ্রান্তি করে থাকে, তাহলে তদন্ত শেষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ দিকে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে গতকাল রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বরিশালের মেয়র সেরনিবায়াত সাদিক আবদুল্লাহর গ্রেপ্তার দাবি করেছে বাংলাদেশ এ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস এসোসিয়েশন।
রাতে হামলা-সংঘর্ষ
জানা গেছে, বুধবার রাতে নগরীর সিঅ্যান্ডবি সড়কের সদর উপজেলা পরিষদ ভবনে ১৫ আগস্ট উপলক্ষে লাগানো ব্যানার-পোস্টার অপসারণ করতে যান ছাত্রলীগ যুবলীগের নেতা-কর্মীরা।
ওই ব্যানার-পোস্টার সদর আসনের সাংসদ ও পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক শামীমের পক্ষে লাগানো হয়েছিল। অনুমতি ছাড়া উপজেলা পরিষদ চত্বরে প্রবেশ করে ব্যানার-পোস্টার অপসারণ করতে বাধা দেন নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত আনসার সদস্যরা। একপর্যায়ে ইউএনও মুনিবর রহমান বাসভবন থেকে ঘটনাস্থলে এলে তাঁর সঙ্গে অসদাচরণ করেন ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীরা।
এর পরপরই আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগ-যুবলীগের কয়েক শ নেতা-কর্মী উপজেলা পরিষদে গিয়ে ইউএনওর বাসায় হামলা করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আনসার সদস্যরা ফাঁকা গুলি করেন। হামলাকারীদের পক্ষ থেকে গুলি করা হয়েছে বলে অসমর্থিত সূত্র জানিয়েছে। খবর পেয়ে র্যাব ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালালে তাদের সঙ্গে হামলাকারীরা পাল্টা ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও পুলিশের সঙ্গে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়। রাত ২টায় পর্যন্ত উপজেলা পরিষদ এলাকায় এমন পরিস্থিতি অব্যাহত ছিল। এরপর সিটি করপোরেশনের গাড়িতে কয়েক গাড়ি বর্জ্য এনে উপজেলা পরিষদের প্রধান ফটকসংলগ্ন সড়কের ওপর ঢেলে দেওয়া হয়।
ইউএনও মুনিবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার ওপর হামলা হচ্ছে বুঝতে পেরে আমি আনসার সদস্যদের অ্যাকশনে যাওয়ার নির্দেশ দিই। তার আগে আমাকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয়।’
তবে বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ বুধবার গণমাধ্যমকে জানান, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অংশ হিসেবে সিটি করপোরেশনের কর্মীরা রাতে উপজেলা পরিষদের গেলে ইউএনও বাধা দেন। খবর পেয়ে তিনিও ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। ইউএনওর নির্দেশে আনসাররা গুলি করলে জীবন রক্ষায় তিনি সেখান থেকে চলে আসেন। মেয়র দাবি করেন গুলিতে প্যানেল মেয়র গাজী নাইমুল ইসলাম লিটুসহ অনেক নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। ১০ জন শেরেবাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় হাসপাতালে আছেন।
রাত ২টার দিকে ইউএনওর বাসায় যান বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার সাইফুল হাসান বাদল, বরিশাল মেট্রোপলিটনের পুলিশ কমিশনার শাহাবুদ্দিন খান, র্যাব-৮-এর অধিনায়ক জামিল হোসেন, বরিশাল জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দারসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার বলেন, এ ঘটনা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যাঁরা অন্যায় করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দিনে বাস-লঞ্চ বন্ধ
রাতের ঘটনার জের ধরে মধ্যরাত থেকে গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত বরিশালে সড়ক যোগাযোগ অচল হয়ে পড়ে। ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের ওপর এলোপাতাড়িভাবে বাস-ট্রাক রেখে দেওয়া হয়। এতে বরিশালসহ পটুয়াখালী, বরগুনা ও ঝালকাঠি রুটের বাস ও পণ্যবাহী বাস ও ট্রাক চলাচল বুধবার মধ্যরাত থেকে বন্ধ ছিল। বাস শ্রমিকনেতারা দাবি করেন, মেয়র সাদিক আবদুল্লাহকে উদ্দেশ করে গুলি করার প্রতিবাদে ধর্মঘট ডাকা হয়। তবে সাড়ে ১২টার দিকে বাস চলাচল শুরু হয়। এর আগে নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা গেছে, ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক ধরে গড়িয়ার পাড় মোড় পর্যন্ত (প্রায় ৬ মাইল দূরে) সড়কের ওপর বাস-ট্রাক এলোপাতাড়িভাবে রেখে দেওয়া হয়েছে। একই অবস্থা নগরীর রূপাতলী বাস টার্মিনাল এলাকায়।
বরিশাল বাস মালিক গ্রুপের যুগ্ম সম্পাদক কিশোর কুমার দে বলেন, সাধারণ জনগণের দুর্ভোগ লাঘবে মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ তাঁদের বাস চালানোর নির্দেশ দেন। একই কথা জানান, বরিশাল-পটুয়াখালী মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কাওছার হোসেন শিপন।
অন্যদিকে বিআইডব্লিউটিএর নৌনিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিদর্শক কবির হোসেন বলেন, সকাল ৮টা থেকে বরিশাল নৌবন্দর থেকে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ করে দেন শ্রমিকনেতারা। পরে বেলা ১টার দিকে লঞ্চ চলাচল শুরু হয়।
সেরনিয়াবাত ভবন ঘিরে র্যাব-পুলিশ-ডিবি
এদিকে দুপুর ১২টার দিকে নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও মেয়র সাদিক আবদুল্লাহর বাসভবনে দলীয় সভা ডাকা হলে দুপুর পৌনে ১২টার দিকে সেরনিয়াবাত ভবন ঘিরে রাখে র্যাব, পুলিশ, ডিবি। এ সময় জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুব্রত দাসকে মেয়রের বাসার সামনে দেখা যায়। এ সময় আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতাকে মেয়রের বাসায় ঢোকার চেষ্টা করতে দেখা গেলেও তাঁরা ভেতরে ঢুকতে পারেননি। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তালুকদার মো. ইউনুস এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘মেয়রের বাসায় সভা ছিল। কেন এখানে প্রশাসন তৎপর তা তারা জানার চেস্টা করছেন।’
নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে পুলিশ-প্রশাসনের মামলা
বুধবার রাতের ঘটনায় কয়েক শ আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীকে আসামি করে সদর ইউএনও এবং পুলিশ বাদী হয়ে দুটি মামলা করেছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে ১৩ নেতা-কর্মীকে। বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নুরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর মধ্যে সংঘর্ষে আহত তিনজনকে বরিশাল শেরেবাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় গতকাল দুপুরে হাসপাতাল থেকে তুলে নিয়ে আসে গোয়েন্দা পুলিশ। এর আগে বুধবার রাতে ইউএনওর বাসায় হামলার সময় ঘটনাস্থল থেকে আটক করা হয় মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক হাসান মাহমুদ বাবুকে।
বিজিবি মোতায়েনের সিদ্ধান্ত
গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত বরিশাল নগর ছিল থমথমে। এই অবস্থায় নগরে পুলিশ, র্যাবের টহল জোরদারের পাশাপাশি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যদের মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। নগরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে প্রশাসন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, ১০ প্লাটুন বিজিবি সদস্য বরিশালের পথে রয়েছেন। রাতে তাঁরা বরিশালে পৌঁছাবেন। বিজিবির সঙ্গে সার্বক্ষণিক থাকবেন ১০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। এ জন্য বরিশালের বাইরের জেলা থেকে ১০ জন ম্যাজিস্ট্রেট চাওয়া হয়েছে। গতকাল বিকেলে জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলায় পরিবেশ ধ্বংসের হিড়িক পড়েছে। চক্রের থাবা থেকে রেহাই পাচ্ছে না বনাঞ্চলের পাহাড়-টিলা, এমনকি কৃষিজমির উর্বর মাটিও। স্থানীয় প্রশাসনের অভিযান এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের মামলার পরও কোনো কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না মাটিখেকোদের দৌরাত্ম্য।
১০ মিনিট আগে
কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত শরীয়তপুরে এবার বদলে গেছে নির্বাচনী সমীকরণ। জুলাই অভ্যুত্থানের পর বিদ্যমান বাস্তবতায় জেলার তিনটি আসনই নিশ্চিত করতে চায় বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী। শরীয়তপুর-১ আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী সাঈদ আহমেদ আসলামের মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে দফায় দফায় সড়ক অবরোধ কর
১৫ মিনিট আগে
নদীতে আড়াআড়ি বাঁশ, বেড়া ও জাল দিয়ে ঘের তৈরি করা হয়েছে। সেখানে করা হচ্ছে মাছ চাষ। এমন ঘটনা ঘটছে কক্সবাজারের চকরিয়ায় মাতামুহুরী নদীতে। আর এর পেছনে রয়েছেন স্থানীয় বিএনপি নেতা। এর ফলে জেলে কিংবা স্থানীয়রা মাছ ধরতে পারছেন না। ব্যাহত হচ্ছে মাছের বংশবিস্তার।
১৮ মিনিট আগে
জুলাই আন্দোলনে একাধিক হত্যা মামলার আসামি জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি এ কে এম সেলিম ওসমানকে গ্রেপ্তারে তাঁর কারখানায় অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) রাত ১০টার দিকে ফতুল্লার উইজডম অ্যাটায়ার্স লিমিটেড কারখানায় অভিযান চালায় ফতুল্লা মডেল থানা-পুলিশের একটি টিম। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা পুলিশের
২ ঘণ্টা আগেফটিকছড়ি সংবাদদাতা

চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলায় পরিবেশ ধ্বংসের হিড়িক পড়েছে। চক্রের থাবা থেকে রেহাই পাচ্ছে না বনাঞ্চলের পাহাড়-টিলা, এমনকি কৃষিজমির উর্বর মাটিও। স্থানীয় প্রশাসনের অভিযান এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের মামলার পরও কোনো কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না মাটিখেকোদের দৌরাত্ম্য।
জানা গেছে, উপজেলার পাইন্দং, ভূজপুর, নারায়ণহাট, দাঁতমারা, বাগানবাজার, সুয়াবিল, হারুয়ালছড়ি ও কাঞ্চননগর ইউনিয়নসহ বিভিন্ন এলাকায় এসব মাটি কাটার ঘটনা ঘটছে। স্থানীয় প্রভাবশালীদের নেতৃত্বে চলছে এই কর্মকাণ্ড।
স্থানীয়রা বলেন, কৃষিজমি থেকে মাটি কাটা রোধে অভিযান চালাচ্ছে প্রশাসন। তবে কৌশল বদলে দিনের বেলার পরিবর্তে রাতে কাটা হচ্ছে মাটি। সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত চলে মাটি কাটা।
জানা গেছে, প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে উপজেলার ফসলি জমি ও টিলা থেকে মাটি কাটছে অর্ধশতাধিক চক্র। এক্সকাভেটর দিয়ে ফসলি জমির টপসয়েল কেটে ডাম্পট্রাক ও পিকআপ ভ্যানে করে ইটভাটা, পুকুর, ডোবা ও নতুন বাড়ির জায়গায় মাটি ভরাট করছে তাঁরা।
সরেজমিনে গত শনি ও রোববার দুই দিন উপজেলার পাইন্দং, ভূজপুর, বাগানবাজার ইউনিয়নের একাধিক এলাকা ঘুরে দেখা মেলে পরিবেশ ধ্বংসের এমন ভয়াবহতার চিত্র।
অনুসন্ধানে জানা যায়, পাইন্দংয়ের ফকিরাচাঁন আমতল এলাকায় রাতের আঁধারে কয়েকটি এক্সকাভেটর দিয়ে কাটা হচ্ছে কৃষিজমির মাটি। ভূজপুর ইউনিয়নের আন্ধারমানিক গলাচিপা এলাকায় স্থানীয় মো. রাশেদের নেতৃত্বে চার-পাঁচজনের একটি চক্র রাতের আঁধারে কেটে নিয়েছে বিশালাকার টিলার মাটি। এসব মাটি ডাম্পট্রাকে করে যাচ্ছে কাজীরহাট বাজারের একাধিক কৃষিজমি ভরাট কাজে। একই কায়দায় হারুয়ালছড়ি ইউনিয়নের আপন ব্রিকস ফিল্ডসংলগ্ন বাংলাবাজার সরকার বাড়ি এলাকায় কাটা হয়েছে টিলা। ভূজপুর ইউনিয়নের আছিয়া চা-বাগানসংলগ্ন মা আমেনা লেয়ার ফার্মের পাশে মো. আরিফ নামে এক ব্যক্তির মুরগির ফার্ম তৈরির জন্য কাটা হয়েছে বিশালাকার টিলা। একই দৃশ্য বাগানবাজার ইউনিয়নের লালমাই এলাকায়। যেখানে ভবন নির্মাণের জন্য দিনদুপুরে কাটা হচ্ছে উঁচু পাহাড়-টিলা। লালমাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে স্থানীয় মনির ও মফিজের নেতৃত্বে পেলোডার দিয়ে কেটে সাবাড় করা হয়েছে ব্যবসায়ী মো. হাসেমের টিলা।
মাটি কাটার বিষয়টি স্বীকার করেন হাসেমের ছেলে মাহবুব। তিনি বলেন, ‘আমরা যাদের দিয়ে মাটি কাটিয়েছি তারা প্রশাসনের কাছ থেকে অনুমতি নিয়েছে বলে আমাদের জানিয়েছে।’ তবে কাদের দিয়ে মাটি কাটিয়েছেন তাদের নাম বলেননি মাহবুব। একই ইউনিয়নের বাগমারা এলাকায় মাহবুবুল হকের বসত টিলা, গার্ডের দোকানে নবী মাস্টারের টিলা, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান একরামুল হক বাবুলের ভাই লায়েসের নেতৃত্বে কাটা হচ্ছে কৃষিজমি। তবে মাটি কাটার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন মো. লায়েস।
লালমাই এলাকার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, ‘যখন যে দল ক্ষমতায় আসে, সে দলের লোকেরাই পাহাড়-টিলা কর্তন করে। প্রভাবশালী হওয়ার ভয়ে কেউ তাদের বিরুদ্ধে কথা বলে না, প্রতিবাদ করে না।’
চট্টগ্রাম জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের রিসার্স অফিসার মো. আশরাফ উদ্দিন বলেন, কর্তনকৃত এসব স্থান পরিদর্শন করে শিগগিরই জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, ‘মাটি কাটার সংবাদ পেলে যত রাতই হোক অভিযান পরিচালনা করছি।’ তিনি বলেন, টিলা-পাহাড় ও কৃষিজমির টপসয়েল কাটা আমলযোগ্য অপরাধ। পুলিশ প্রশাসন চাইলে স্বপ্রণোদিত হয়ে ব্যবস্থা নিতে পারে।

চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলায় পরিবেশ ধ্বংসের হিড়িক পড়েছে। চক্রের থাবা থেকে রেহাই পাচ্ছে না বনাঞ্চলের পাহাড়-টিলা, এমনকি কৃষিজমির উর্বর মাটিও। স্থানীয় প্রশাসনের অভিযান এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের মামলার পরও কোনো কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না মাটিখেকোদের দৌরাত্ম্য।
জানা গেছে, উপজেলার পাইন্দং, ভূজপুর, নারায়ণহাট, দাঁতমারা, বাগানবাজার, সুয়াবিল, হারুয়ালছড়ি ও কাঞ্চননগর ইউনিয়নসহ বিভিন্ন এলাকায় এসব মাটি কাটার ঘটনা ঘটছে। স্থানীয় প্রভাবশালীদের নেতৃত্বে চলছে এই কর্মকাণ্ড।
স্থানীয়রা বলেন, কৃষিজমি থেকে মাটি কাটা রোধে অভিযান চালাচ্ছে প্রশাসন। তবে কৌশল বদলে দিনের বেলার পরিবর্তে রাতে কাটা হচ্ছে মাটি। সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত চলে মাটি কাটা।
জানা গেছে, প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে উপজেলার ফসলি জমি ও টিলা থেকে মাটি কাটছে অর্ধশতাধিক চক্র। এক্সকাভেটর দিয়ে ফসলি জমির টপসয়েল কেটে ডাম্পট্রাক ও পিকআপ ভ্যানে করে ইটভাটা, পুকুর, ডোবা ও নতুন বাড়ির জায়গায় মাটি ভরাট করছে তাঁরা।
সরেজমিনে গত শনি ও রোববার দুই দিন উপজেলার পাইন্দং, ভূজপুর, বাগানবাজার ইউনিয়নের একাধিক এলাকা ঘুরে দেখা মেলে পরিবেশ ধ্বংসের এমন ভয়াবহতার চিত্র।
অনুসন্ধানে জানা যায়, পাইন্দংয়ের ফকিরাচাঁন আমতল এলাকায় রাতের আঁধারে কয়েকটি এক্সকাভেটর দিয়ে কাটা হচ্ছে কৃষিজমির মাটি। ভূজপুর ইউনিয়নের আন্ধারমানিক গলাচিপা এলাকায় স্থানীয় মো. রাশেদের নেতৃত্বে চার-পাঁচজনের একটি চক্র রাতের আঁধারে কেটে নিয়েছে বিশালাকার টিলার মাটি। এসব মাটি ডাম্পট্রাকে করে যাচ্ছে কাজীরহাট বাজারের একাধিক কৃষিজমি ভরাট কাজে। একই কায়দায় হারুয়ালছড়ি ইউনিয়নের আপন ব্রিকস ফিল্ডসংলগ্ন বাংলাবাজার সরকার বাড়ি এলাকায় কাটা হয়েছে টিলা। ভূজপুর ইউনিয়নের আছিয়া চা-বাগানসংলগ্ন মা আমেনা লেয়ার ফার্মের পাশে মো. আরিফ নামে এক ব্যক্তির মুরগির ফার্ম তৈরির জন্য কাটা হয়েছে বিশালাকার টিলা। একই দৃশ্য বাগানবাজার ইউনিয়নের লালমাই এলাকায়। যেখানে ভবন নির্মাণের জন্য দিনদুপুরে কাটা হচ্ছে উঁচু পাহাড়-টিলা। লালমাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে স্থানীয় মনির ও মফিজের নেতৃত্বে পেলোডার দিয়ে কেটে সাবাড় করা হয়েছে ব্যবসায়ী মো. হাসেমের টিলা।
মাটি কাটার বিষয়টি স্বীকার করেন হাসেমের ছেলে মাহবুব। তিনি বলেন, ‘আমরা যাদের দিয়ে মাটি কাটিয়েছি তারা প্রশাসনের কাছ থেকে অনুমতি নিয়েছে বলে আমাদের জানিয়েছে।’ তবে কাদের দিয়ে মাটি কাটিয়েছেন তাদের নাম বলেননি মাহবুব। একই ইউনিয়নের বাগমারা এলাকায় মাহবুবুল হকের বসত টিলা, গার্ডের দোকানে নবী মাস্টারের টিলা, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান একরামুল হক বাবুলের ভাই লায়েসের নেতৃত্বে কাটা হচ্ছে কৃষিজমি। তবে মাটি কাটার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন মো. লায়েস।
লালমাই এলাকার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, ‘যখন যে দল ক্ষমতায় আসে, সে দলের লোকেরাই পাহাড়-টিলা কর্তন করে। প্রভাবশালী হওয়ার ভয়ে কেউ তাদের বিরুদ্ধে কথা বলে না, প্রতিবাদ করে না।’
চট্টগ্রাম জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের রিসার্স অফিসার মো. আশরাফ উদ্দিন বলেন, কর্তনকৃত এসব স্থান পরিদর্শন করে শিগগিরই জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, ‘মাটি কাটার সংবাদ পেলে যত রাতই হোক অভিযান পরিচালনা করছি।’ তিনি বলেন, টিলা-পাহাড় ও কৃষিজমির টপসয়েল কাটা আমলযোগ্য অপরাধ। পুলিশ প্রশাসন চাইলে স্বপ্রণোদিত হয়ে ব্যবস্থা নিতে পারে।

বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বাসভবনে বুধবার রাতে আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগ-যুবলীগের হামলা ও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের পর মুখোমুখি অবস্থানে চলে গেছে পুলিশ-প্রশাসন ও রাজনৈতিক নেতৃত্ব। এর জের ধরে রাজনৈতিক মদদে বাস-লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। আর নেতা-কর্মীদের নামে মামলা করেছে পুলিশ ও প্রশাসন।
২০ আগস্ট ২০২১
কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত শরীয়তপুরে এবার বদলে গেছে নির্বাচনী সমীকরণ। জুলাই অভ্যুত্থানের পর বিদ্যমান বাস্তবতায় জেলার তিনটি আসনই নিশ্চিত করতে চায় বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী। শরীয়তপুর-১ আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী সাঈদ আহমেদ আসলামের মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে দফায় দফায় সড়ক অবরোধ কর
১৫ মিনিট আগে
নদীতে আড়াআড়ি বাঁশ, বেড়া ও জাল দিয়ে ঘের তৈরি করা হয়েছে। সেখানে করা হচ্ছে মাছ চাষ। এমন ঘটনা ঘটছে কক্সবাজারের চকরিয়ায় মাতামুহুরী নদীতে। আর এর পেছনে রয়েছেন স্থানীয় বিএনপি নেতা। এর ফলে জেলে কিংবা স্থানীয়রা মাছ ধরতে পারছেন না। ব্যাহত হচ্ছে মাছের বংশবিস্তার।
১৮ মিনিট আগে
জুলাই আন্দোলনে একাধিক হত্যা মামলার আসামি জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি এ কে এম সেলিম ওসমানকে গ্রেপ্তারে তাঁর কারখানায় অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) রাত ১০টার দিকে ফতুল্লার উইজডম অ্যাটায়ার্স লিমিটেড কারখানায় অভিযান চালায় ফতুল্লা মডেল থানা-পুলিশের একটি টিম। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা পুলিশের
২ ঘণ্টা আগেশরীয়তপুর প্রতিনিধি

কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত শরীয়তপুরে এবার বদলে গেছে নির্বাচনী সমীকরণ। জুলাই অভ্যুত্থানের পর বিদ্যমান বাস্তবতায় জেলার তিনটি আসনই নিশ্চিত করতে চায় বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী। শরীয়তপুর-১ আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী সাঈদ আহমেদ আসলামের মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে দফায় দফায় সড়ক অবরোধ করেছে দলের অপর অংশ। তবে অন্য দুই আসনে এমন বিরোধ নেই। সবকটি আসনেই নেতা-কর্মীদের নিয়ে এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন বিএনপি ও জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থীরা।
শরীয়তপুর-১: স্বাধীনতার পর একবারই এখানে জয় পায় বিএনপি। সেটি ছিল ১৯৭৯ সালে। এর বাইরে বিভিন্ন সময়ে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর দখলে ছিল এটি। শরীয়তপুর সদর ও জাজিরা নিয়ে গঠিত আসনটিতে এবার বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী সাঈদ আহমেদ আসলাম। তিনি জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এবং শরীয়তপুর-৩ আসনের বাসিন্দা। তবে তাঁর প্রাথমিক মনোনয়ন মেনে নিতে নারাজ আরেক মনোনয়নপ্রত্যাশী জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি সরদার এ কে এম নাসির উদ্দীন কালুর অনুসারীরা। সাঈদ আহমেদ আসলামের মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে দফায় দফায় সড়ক অবরোধ করেছেন তাঁরা। দলীয়ভাবে মীমাংসা না হলে শেষ পর্যন্ত নাসির উদ্দীন কালু স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে পারেন।
জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী শিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি ড. মোশারফ হোসেন মাসুদ। সাঈদ আহমেদ আসলাম ও মোশারফ হোসেন মাসুদ দুজনই নেতা-কর্মীদের নিয়ে ব্যাপক প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস থেকে জালালুদ্দীন আহমদ, এনসিপি থেকে মো. আব্দুর রহমান, ইসলামী আন্দোলন থেকে মুফতি তোফায়েল আহমেদ কাসেমী, গণঅধিকার পরিষদ থেকে অ্যাডভোকেট খবির উদ্দিন মনোনয়ন পেতে পারেন।
শরীয়তপুর-২: নড়িয়া ও সখিপুর থানা নিয়ে গঠিত আসনটি বরাবরই আওয়ামী লীগের দখলে ছিল। শুধু ১৯৮৬ ও ১৯৮৮ সালে দুবার বিজয়ী হন জাতীয় পার্টির প্রার্থী। এবার এখানে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী দলের জেলা সভাপতি ও সাবেক এমপি শফিকুর রহমান কিরণ। জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরামের (এনডিএফ) সেক্রেটারি ডা. মাহমুদ হোসেন বকাউল। দুজনই এলাকায় গণসংযোগ ও পথসভাসহ নানাভাবে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস থেকে মো. দবির হোসেন শেখ, ইসলামী আন্দোলন থেকে মুফতি মো. ইমরান হোসাইন এবং গণঅধিকার পরিষদ থেকে আক্তারুজ্জামান সম্রাট মাঝি মনোনয়ন পেতে পারেন।
শরীয়তপুর-৩: স্বাধীনতার পর বেশির ভাগ সময়েই এখানে জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগ। শুধু ১৯৭৯ সালে একবার মুসলিম লীগ, ১৯৮৬ সালে একবার জাতীয় পার্টির প্রার্থী বিজয়ী হন। গোসাইরহাট, ডামুড্যা ও ভেদরগঞ্জ উপজেলার একাংশ নিয়ে গঠিত আসনটিতে এবার বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী তারেক রহমানের সাবেক একান্ত সচিব মিয়া নুরুদ্দিন আহাম্মেদ অপু। জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ আজহারুল ইসলাম। দুজনই নেতা-কর্মীদের নিয়ে ব্যাপক প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। খেলাফত মজলিস থেকে মুফতি খবির উদ্দিন এবং ইসলামী আন্দোলন থেকে অ্যাডভোকেট মো. হানিফ মিয়া মনোনয়ন পেতে পারেন।

কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত শরীয়তপুরে এবার বদলে গেছে নির্বাচনী সমীকরণ। জুলাই অভ্যুত্থানের পর বিদ্যমান বাস্তবতায় জেলার তিনটি আসনই নিশ্চিত করতে চায় বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী। শরীয়তপুর-১ আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী সাঈদ আহমেদ আসলামের মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে দফায় দফায় সড়ক অবরোধ করেছে দলের অপর অংশ। তবে অন্য দুই আসনে এমন বিরোধ নেই। সবকটি আসনেই নেতা-কর্মীদের নিয়ে এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন বিএনপি ও জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থীরা।
শরীয়তপুর-১: স্বাধীনতার পর একবারই এখানে জয় পায় বিএনপি। সেটি ছিল ১৯৭৯ সালে। এর বাইরে বিভিন্ন সময়ে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর দখলে ছিল এটি। শরীয়তপুর সদর ও জাজিরা নিয়ে গঠিত আসনটিতে এবার বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী সাঈদ আহমেদ আসলাম। তিনি জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এবং শরীয়তপুর-৩ আসনের বাসিন্দা। তবে তাঁর প্রাথমিক মনোনয়ন মেনে নিতে নারাজ আরেক মনোনয়নপ্রত্যাশী জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি সরদার এ কে এম নাসির উদ্দীন কালুর অনুসারীরা। সাঈদ আহমেদ আসলামের মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে দফায় দফায় সড়ক অবরোধ করেছেন তাঁরা। দলীয়ভাবে মীমাংসা না হলে শেষ পর্যন্ত নাসির উদ্দীন কালু স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে পারেন।
জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী শিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি ড. মোশারফ হোসেন মাসুদ। সাঈদ আহমেদ আসলাম ও মোশারফ হোসেন মাসুদ দুজনই নেতা-কর্মীদের নিয়ে ব্যাপক প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস থেকে জালালুদ্দীন আহমদ, এনসিপি থেকে মো. আব্দুর রহমান, ইসলামী আন্দোলন থেকে মুফতি তোফায়েল আহমেদ কাসেমী, গণঅধিকার পরিষদ থেকে অ্যাডভোকেট খবির উদ্দিন মনোনয়ন পেতে পারেন।
শরীয়তপুর-২: নড়িয়া ও সখিপুর থানা নিয়ে গঠিত আসনটি বরাবরই আওয়ামী লীগের দখলে ছিল। শুধু ১৯৮৬ ও ১৯৮৮ সালে দুবার বিজয়ী হন জাতীয় পার্টির প্রার্থী। এবার এখানে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী দলের জেলা সভাপতি ও সাবেক এমপি শফিকুর রহমান কিরণ। জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরামের (এনডিএফ) সেক্রেটারি ডা. মাহমুদ হোসেন বকাউল। দুজনই এলাকায় গণসংযোগ ও পথসভাসহ নানাভাবে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস থেকে মো. দবির হোসেন শেখ, ইসলামী আন্দোলন থেকে মুফতি মো. ইমরান হোসাইন এবং গণঅধিকার পরিষদ থেকে আক্তারুজ্জামান সম্রাট মাঝি মনোনয়ন পেতে পারেন।
শরীয়তপুর-৩: স্বাধীনতার পর বেশির ভাগ সময়েই এখানে জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগ। শুধু ১৯৭৯ সালে একবার মুসলিম লীগ, ১৯৮৬ সালে একবার জাতীয় পার্টির প্রার্থী বিজয়ী হন। গোসাইরহাট, ডামুড্যা ও ভেদরগঞ্জ উপজেলার একাংশ নিয়ে গঠিত আসনটিতে এবার বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী তারেক রহমানের সাবেক একান্ত সচিব মিয়া নুরুদ্দিন আহাম্মেদ অপু। জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ আজহারুল ইসলাম। দুজনই নেতা-কর্মীদের নিয়ে ব্যাপক প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। খেলাফত মজলিস থেকে মুফতি খবির উদ্দিন এবং ইসলামী আন্দোলন থেকে অ্যাডভোকেট মো. হানিফ মিয়া মনোনয়ন পেতে পারেন।

বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বাসভবনে বুধবার রাতে আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগ-যুবলীগের হামলা ও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের পর মুখোমুখি অবস্থানে চলে গেছে পুলিশ-প্রশাসন ও রাজনৈতিক নেতৃত্ব। এর জের ধরে রাজনৈতিক মদদে বাস-লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। আর নেতা-কর্মীদের নামে মামলা করেছে পুলিশ ও প্রশাসন।
২০ আগস্ট ২০২১
চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলায় পরিবেশ ধ্বংসের হিড়িক পড়েছে। চক্রের থাবা থেকে রেহাই পাচ্ছে না বনাঞ্চলের পাহাড়-টিলা, এমনকি কৃষিজমির উর্বর মাটিও। স্থানীয় প্রশাসনের অভিযান এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের মামলার পরও কোনো কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না মাটিখেকোদের দৌরাত্ম্য।
১০ মিনিট আগে
নদীতে আড়াআড়ি বাঁশ, বেড়া ও জাল দিয়ে ঘের তৈরি করা হয়েছে। সেখানে করা হচ্ছে মাছ চাষ। এমন ঘটনা ঘটছে কক্সবাজারের চকরিয়ায় মাতামুহুরী নদীতে। আর এর পেছনে রয়েছেন স্থানীয় বিএনপি নেতা। এর ফলে জেলে কিংবা স্থানীয়রা মাছ ধরতে পারছেন না। ব্যাহত হচ্ছে মাছের বংশবিস্তার।
১৮ মিনিট আগে
জুলাই আন্দোলনে একাধিক হত্যা মামলার আসামি জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি এ কে এম সেলিম ওসমানকে গ্রেপ্তারে তাঁর কারখানায় অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) রাত ১০টার দিকে ফতুল্লার উইজডম অ্যাটায়ার্স লিমিটেড কারখানায় অভিযান চালায় ফতুল্লা মডেল থানা-পুলিশের একটি টিম। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা পুলিশের
২ ঘণ্টা আগেবাপ্পী শাহরিয়ার, চকরিয়া (কক্সবাজার)

নদীতে আড়াআড়ি বাঁশ, বেড়া ও জাল দিয়ে ঘের তৈরি করা হয়েছে। সেখানে করা হচ্ছে মাছ চাষ। এমন ঘটনা ঘটছে কক্সবাজারের চকরিয়ায় মাতামুহুরী নদীতে। আর এর পেছনে রয়েছেন স্থানীয় বিএনপি নেতা। এর ফলে জেলে কিংবা স্থানীয়রা মাছ ধরতে পারছেন না। ব্যাহত হচ্ছে মাছের বংশবিস্তার।
চকরিয়া উপজেলার সাহারবিল ইউনিয়নের বাটাখালী সেতু এলাকায় ঘের তৈরি করার হয়েছে। এই উপজেলার বিভিন্ন স্থান দিয়ে বয়ে গেছে খরস্রোতা মাতামুহুরী নদী। নদীটি মাছ আহরণের জন্য উন্মুক্ত।
মিয়ানমার সীমান্তের মাইভার পর্বত থেকে মাতামুহুরীর উৎপত্তি। এরপর নদীটি বান্দরবানের আলীকদম, লামা ও কক্সবাজারের চকরিয়া, পেকুয়া হয়ে বঙ্গোপসাগরে মিশেছে। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তথ্যানুযায়ী নদীটির দৈর্ঘ্য ১৪৬ কিলোমিটার। চকরিয়া উপজেলায় নদীটির ৪০ কিলোমিটার পড়েছে।
বাটাখালী ও জলদাশপাড়ার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মাছ চাষ করার জন্য বাঁশের বেড়া দিয়ে নদী দখলে নিয়েছেন মাতামুহুরী সাংগঠনিক উপজেলা শ্রমিক দলের সাবেক সভাপতি ও সাবেক ইউপি সদস্য রেজাউল করিম। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন আনোয়ারুল হাসান, আবু জাফর, জামাল উদ্দিন, আরিফুল ইসলাম বাবুল, মোহাম্মদ মানিকসহ ৩২ জন। নদী দখলে জড়িত ৩২ জনের বেশির ভাগই বিএনপির ওয়ার্ড পর্যায়ের কর্মী ও সমর্থক।
সরেজমিনে দেখা গেছে, চকরিয়া-বদরখালী কে বি জালাল উদ্দিন সড়কের উপজেলার সাহারবিল এলাকায় মাতামুহুরী নদী দখল করে বাটাখালী সেতুর নিচে বাঁশের বেড়া দেওয়া হয়েছে। এই বেড়ার মধ্যে তাঁরা অবৈধভাবে মাছচাষ করবেন। বেড়া দিয়ে নদী দখলের কারণে স্বাভাবিক পানি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। সেখানে একটি খুপরিঘরও বানানো হয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, নদীর পাশে চকরিয়া পৌরসভা ও সাহারবিল জলদাশপাড়ার প্রায় ৪০০ জেলে পরিবার বাস করে। তারা মাতামুহুরী ও খাল থেকে মাছ আহরণ করে জীবিকা নির্বাহ করে। এখন রাজনৈতিক আশ্রয়ে নদীতে বেড়া দিয়ে দখল শুরু হয়েছে। তাই ভয়ে অনেকে নদীতে মাছ ধরতে যায় না। বাঁশের বেড়া দেওয়ার কারণে স্থানীয় বাসিন্দারা নদীতে গোসল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় কোনো কাজ করতে পারছে না।
এই বিষয়ে জেলে আলী আকবর বলেন, ‘৮-৯ দিন ধরে নদীর বুকে আড়াআড়িভাবে বাঁশের তৈরি বেড়া দিয়ে মাছ চাষ করতে একটি প্রভাবশালী চক্র দখল করেছে। এভাবে নদীতে বেড়া দেওয়া শুরু হলে মাতামুহুরীর কোনো অংশই বাদ যাবে না। আমরা জেলেরা মাছ আহরণ করতে পারব না।’
তবে নদী দখলকারীদের একজন আবু জাফর বলেন, ‘আমরা এলাকার বেকার যুবকদের নিয়ে মাছ চাষ করতে নদীর একপাশে বাঁশের বেড়া দিয়েছি। এখানে নদীর কোনো ক্ষতি হচ্ছে না, বাঁধও দিচ্ছি না। এ ব্যাপারে উপজেলার একজন কর্মচারী আমাদের মৌখিক অনুমতি দেন।’
আর দখলের অভিযোগ অস্বীকার করে মাতামুহুরী সাংগঠনিক উপজেলা শ্রমিক দলের সাবেক সভাপতি ও সাবেক ইউপি সদস্য রেজাউল করিম বলেন, ‘আগামী তিন মাসের জন্য মাতামুহুরী নদীতে রাবার ড্যাম ফোলানো হলে পানি বাড়বে। দলীয় পরিচয়ে নয়, এলাকার মুরব্বিরাসহ মিলেমিশে ৩২ জন মাছ চাষ করতে নদীতে বেড়া দিয়েছি। আমরা নদীও দখল করছি না, ব্যবসাও করছি না।’
চকরিয়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা আনোয়ারুল আমিন বলেন, ‘নদীতে বাঁশের বেড়া দিয়ে দখল করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। এ ব্যাপারে খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহীন দেলোয়ার বলেন, ‘এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে উপজেলা প্রশাসন থেকে লোক পাঠানো হবে।’

নদীতে আড়াআড়ি বাঁশ, বেড়া ও জাল দিয়ে ঘের তৈরি করা হয়েছে। সেখানে করা হচ্ছে মাছ চাষ। এমন ঘটনা ঘটছে কক্সবাজারের চকরিয়ায় মাতামুহুরী নদীতে। আর এর পেছনে রয়েছেন স্থানীয় বিএনপি নেতা। এর ফলে জেলে কিংবা স্থানীয়রা মাছ ধরতে পারছেন না। ব্যাহত হচ্ছে মাছের বংশবিস্তার।
চকরিয়া উপজেলার সাহারবিল ইউনিয়নের বাটাখালী সেতু এলাকায় ঘের তৈরি করার হয়েছে। এই উপজেলার বিভিন্ন স্থান দিয়ে বয়ে গেছে খরস্রোতা মাতামুহুরী নদী। নদীটি মাছ আহরণের জন্য উন্মুক্ত।
মিয়ানমার সীমান্তের মাইভার পর্বত থেকে মাতামুহুরীর উৎপত্তি। এরপর নদীটি বান্দরবানের আলীকদম, লামা ও কক্সবাজারের চকরিয়া, পেকুয়া হয়ে বঙ্গোপসাগরে মিশেছে। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তথ্যানুযায়ী নদীটির দৈর্ঘ্য ১৪৬ কিলোমিটার। চকরিয়া উপজেলায় নদীটির ৪০ কিলোমিটার পড়েছে।
বাটাখালী ও জলদাশপাড়ার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মাছ চাষ করার জন্য বাঁশের বেড়া দিয়ে নদী দখলে নিয়েছেন মাতামুহুরী সাংগঠনিক উপজেলা শ্রমিক দলের সাবেক সভাপতি ও সাবেক ইউপি সদস্য রেজাউল করিম। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন আনোয়ারুল হাসান, আবু জাফর, জামাল উদ্দিন, আরিফুল ইসলাম বাবুল, মোহাম্মদ মানিকসহ ৩২ জন। নদী দখলে জড়িত ৩২ জনের বেশির ভাগই বিএনপির ওয়ার্ড পর্যায়ের কর্মী ও সমর্থক।
সরেজমিনে দেখা গেছে, চকরিয়া-বদরখালী কে বি জালাল উদ্দিন সড়কের উপজেলার সাহারবিল এলাকায় মাতামুহুরী নদী দখল করে বাটাখালী সেতুর নিচে বাঁশের বেড়া দেওয়া হয়েছে। এই বেড়ার মধ্যে তাঁরা অবৈধভাবে মাছচাষ করবেন। বেড়া দিয়ে নদী দখলের কারণে স্বাভাবিক পানি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। সেখানে একটি খুপরিঘরও বানানো হয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, নদীর পাশে চকরিয়া পৌরসভা ও সাহারবিল জলদাশপাড়ার প্রায় ৪০০ জেলে পরিবার বাস করে। তারা মাতামুহুরী ও খাল থেকে মাছ আহরণ করে জীবিকা নির্বাহ করে। এখন রাজনৈতিক আশ্রয়ে নদীতে বেড়া দিয়ে দখল শুরু হয়েছে। তাই ভয়ে অনেকে নদীতে মাছ ধরতে যায় না। বাঁশের বেড়া দেওয়ার কারণে স্থানীয় বাসিন্দারা নদীতে গোসল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় কোনো কাজ করতে পারছে না।
এই বিষয়ে জেলে আলী আকবর বলেন, ‘৮-৯ দিন ধরে নদীর বুকে আড়াআড়িভাবে বাঁশের তৈরি বেড়া দিয়ে মাছ চাষ করতে একটি প্রভাবশালী চক্র দখল করেছে। এভাবে নদীতে বেড়া দেওয়া শুরু হলে মাতামুহুরীর কোনো অংশই বাদ যাবে না। আমরা জেলেরা মাছ আহরণ করতে পারব না।’
তবে নদী দখলকারীদের একজন আবু জাফর বলেন, ‘আমরা এলাকার বেকার যুবকদের নিয়ে মাছ চাষ করতে নদীর একপাশে বাঁশের বেড়া দিয়েছি। এখানে নদীর কোনো ক্ষতি হচ্ছে না, বাঁধও দিচ্ছি না। এ ব্যাপারে উপজেলার একজন কর্মচারী আমাদের মৌখিক অনুমতি দেন।’
আর দখলের অভিযোগ অস্বীকার করে মাতামুহুরী সাংগঠনিক উপজেলা শ্রমিক দলের সাবেক সভাপতি ও সাবেক ইউপি সদস্য রেজাউল করিম বলেন, ‘আগামী তিন মাসের জন্য মাতামুহুরী নদীতে রাবার ড্যাম ফোলানো হলে পানি বাড়বে। দলীয় পরিচয়ে নয়, এলাকার মুরব্বিরাসহ মিলেমিশে ৩২ জন মাছ চাষ করতে নদীতে বেড়া দিয়েছি। আমরা নদীও দখল করছি না, ব্যবসাও করছি না।’
চকরিয়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা আনোয়ারুল আমিন বলেন, ‘নদীতে বাঁশের বেড়া দিয়ে দখল করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। এ ব্যাপারে খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহীন দেলোয়ার বলেন, ‘এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে উপজেলা প্রশাসন থেকে লোক পাঠানো হবে।’

বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বাসভবনে বুধবার রাতে আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগ-যুবলীগের হামলা ও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের পর মুখোমুখি অবস্থানে চলে গেছে পুলিশ-প্রশাসন ও রাজনৈতিক নেতৃত্ব। এর জের ধরে রাজনৈতিক মদদে বাস-লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। আর নেতা-কর্মীদের নামে মামলা করেছে পুলিশ ও প্রশাসন।
২০ আগস্ট ২০২১
চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলায় পরিবেশ ধ্বংসের হিড়িক পড়েছে। চক্রের থাবা থেকে রেহাই পাচ্ছে না বনাঞ্চলের পাহাড়-টিলা, এমনকি কৃষিজমির উর্বর মাটিও। স্থানীয় প্রশাসনের অভিযান এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের মামলার পরও কোনো কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না মাটিখেকোদের দৌরাত্ম্য।
১০ মিনিট আগে
কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত শরীয়তপুরে এবার বদলে গেছে নির্বাচনী সমীকরণ। জুলাই অভ্যুত্থানের পর বিদ্যমান বাস্তবতায় জেলার তিনটি আসনই নিশ্চিত করতে চায় বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী। শরীয়তপুর-১ আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী সাঈদ আহমেদ আসলামের মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে দফায় দফায় সড়ক অবরোধ কর
১৫ মিনিট আগে
জুলাই আন্দোলনে একাধিক হত্যা মামলার আসামি জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি এ কে এম সেলিম ওসমানকে গ্রেপ্তারে তাঁর কারখানায় অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) রাত ১০টার দিকে ফতুল্লার উইজডম অ্যাটায়ার্স লিমিটেড কারখানায় অভিযান চালায় ফতুল্লা মডেল থানা-পুলিশের একটি টিম। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা পুলিশের
২ ঘণ্টা আগেনারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

জুলাই আন্দোলনে একাধিক হত্যা মামলার আসামি জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি এ কে এম সেলিম ওসমানকে গ্রেপ্তারে তাঁর কারখানায় অভিযান চালিয়েছে পুলিশ।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) রাত ১০টার দিকে ফতুল্লার উইজডম অ্যাটায়ার্স লিমিটেড কারখানায় অভিযান চালায় ফতুল্লা মডেল থানা-পুলিশের একটি টিম। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারেক আল মেহেদী। তবে সেখানে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাবেক এই সংসদ সদস্যকে পাওয়া যায়নি বলে জানান তিনি।
এর আগে, গত রোববার জেলা প্রশাসনের সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক নেতারা সেলিম ওসমানের অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। প্রায়ই তিনি গার্মেন্টসে অফিস করছেন, এমন গুঞ্জনের জবাবে তারেক আল মেহেদী জানান, সেলিম ওসমানকে গ্রেপ্তারে তাঁদের নজরদারি অব্যাহত রয়েছে।
সেই বৈঠকের পরদিন উইজডম অ্যাটায়ার্সে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। সেলিম ওসমান নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাবেক এমপি ও আলোচিত আওয়ামী লীগের এমপি শামীম ওসমানের বড় ভাই।

জুলাই আন্দোলনে একাধিক হত্যা মামলার আসামি জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি এ কে এম সেলিম ওসমানকে গ্রেপ্তারে তাঁর কারখানায় অভিযান চালিয়েছে পুলিশ।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) রাত ১০টার দিকে ফতুল্লার উইজডম অ্যাটায়ার্স লিমিটেড কারখানায় অভিযান চালায় ফতুল্লা মডেল থানা-পুলিশের একটি টিম। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারেক আল মেহেদী। তবে সেখানে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাবেক এই সংসদ সদস্যকে পাওয়া যায়নি বলে জানান তিনি।
এর আগে, গত রোববার জেলা প্রশাসনের সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক নেতারা সেলিম ওসমানের অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। প্রায়ই তিনি গার্মেন্টসে অফিস করছেন, এমন গুঞ্জনের জবাবে তারেক আল মেহেদী জানান, সেলিম ওসমানকে গ্রেপ্তারে তাঁদের নজরদারি অব্যাহত রয়েছে।
সেই বৈঠকের পরদিন উইজডম অ্যাটায়ার্সে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। সেলিম ওসমান নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাবেক এমপি ও আলোচিত আওয়ামী লীগের এমপি শামীম ওসমানের বড় ভাই।

বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বাসভবনে বুধবার রাতে আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগ-যুবলীগের হামলা ও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের পর মুখোমুখি অবস্থানে চলে গেছে পুলিশ-প্রশাসন ও রাজনৈতিক নেতৃত্ব। এর জের ধরে রাজনৈতিক মদদে বাস-লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। আর নেতা-কর্মীদের নামে মামলা করেছে পুলিশ ও প্রশাসন।
২০ আগস্ট ২০২১
চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলায় পরিবেশ ধ্বংসের হিড়িক পড়েছে। চক্রের থাবা থেকে রেহাই পাচ্ছে না বনাঞ্চলের পাহাড়-টিলা, এমনকি কৃষিজমির উর্বর মাটিও। স্থানীয় প্রশাসনের অভিযান এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের মামলার পরও কোনো কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না মাটিখেকোদের দৌরাত্ম্য।
১০ মিনিট আগে
কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত শরীয়তপুরে এবার বদলে গেছে নির্বাচনী সমীকরণ। জুলাই অভ্যুত্থানের পর বিদ্যমান বাস্তবতায় জেলার তিনটি আসনই নিশ্চিত করতে চায় বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী। শরীয়তপুর-১ আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী সাঈদ আহমেদ আসলামের মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে দফায় দফায় সড়ক অবরোধ কর
১৫ মিনিট আগে
নদীতে আড়াআড়ি বাঁশ, বেড়া ও জাল দিয়ে ঘের তৈরি করা হয়েছে। সেখানে করা হচ্ছে মাছ চাষ। এমন ঘটনা ঘটছে কক্সবাজারের চকরিয়ায় মাতামুহুরী নদীতে। আর এর পেছনে রয়েছেন স্থানীয় বিএনপি নেতা। এর ফলে জেলে কিংবা স্থানীয়রা মাছ ধরতে পারছেন না। ব্যাহত হচ্ছে মাছের বংশবিস্তার।
১৮ মিনিট আগে