রাজশাহী প্রতিনিধি

বহুকাল আগে রাজশাহীর বাঘা থেকে প্রচুর আম যেত কলকাতা। এই আমের ছবিই পোড়ামাটির টেরাকোটায় ফুটিয়ে তোলা হয়েছে ১৫২৩ সালে নির্মিত বাঘা শাহী মসজিদে। এই আমটিই এখন পরিচিত ‘ফজলি আম’ হিসেবে। গত বছর এই আমকে রাজশাহীর ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে জার্নাল প্রকাশ করে পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর।
কিন্তু এতে আপত্তি জানিয়েছে পাশের জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জ। রাজশাহীকে এই আমের স্বত্ব দেওয়ার নারাজি দিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি অ্যাসোসিয়েশন দাবি করে, এই আম চাঁপাইনবাবগঞ্জের। তবে গবেষকেরা বলছেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হিসেবেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ১৯৮৪ সালে। তার আগে ওই এলাকা ছিল বৃহত্তর রাজশাহীরই অন্তর্গত। তাই অতি পুরোনো ‘ফজলি আম’ নিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জের আলাদা স্বত্ব দাবি করা একেবারেই হাস্যকর। আর চাঁপাইনবাবগঞ্জের ফজলি ও রাজশাহীর ফজলি আমের মধ্যে আছে পার্থক্যও।
জানা গেছে, ২০১৭ সালের শুরু দিকে বাঘার ‘ফজলি আম’ রাজশাহীর জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতির জন্য আবেদন করে রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্র। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে যাচাই-বাছাই হয়। সবকিছু ঠিকঠাক থাকায় ২০২১ সালের ৬ অক্টোবর বাঘার ফজলি আমকে রাজশাহীর নিজস্ব পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে জার্নাল প্রকাশ করে পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর। কিন্তু চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি অ্যাসোসিয়েশনের আপত্তিতে জিআই সনদ আটকে যায় রাজশাহীর ফজলি আমের। আগামী মঙ্গলবার শুনানির মধ্য দিয়ে বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে চায় সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তর। সেদিনই সিদ্ধান্ত হবে ফজলি কোথাকার।
বাঘার ফজলি আমের ইতিহাস খুঁজে পাওয়া যায় ১৯১২ থেকে ১৯২২ সাল পর্যন্ত করা সার্ভে অ্যান্ড সেটেলমেন্ট অপারেশনস ইন দি ডিস্ট্রিক্ট অব রাজশাহীর চূড়ান্ত প্রতিবেদনে। প্রতিবেদনের ১৬ নম্বর পৃষ্ঠায় ইংরেজিতে স্পষ্টভাবে ‘দি বাঘা ম্যাঙ্গো’ বা বাঘার আম, যা কলকাতায় বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে বলে উল্লেখ রয়েছে। শুধু তাই নয়, গবেষক ও হেরিটেজ রাজশাহীর সভাপতি মাহবুব সিদ্দিকীর ‘আম’ বইটির অষ্টম অধ্যায়ে আমের জাত বিভাগে ৯৭ পৃষ্ঠার তথ্য অনুযায়ী বাঘার ফজলির পরিচিতি অন্তত ২০০ বছরের বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া প্রায় ৫০০ বছর আগে নির্মিত ঐতিহাসিক বাঘা শাহী মসজিদের টেরাকোটার কারুকাজেও দেখা মেলে এই আমের ছবি। গবেষকেরা বলছেন, কারুকাজ করা এই আম ফজলি আমের প্রতিচ্ছবি। জনপ্রিয়তার কারণেই আমটি মসজিদে স্থান পায়।
গবেষক মাহবুব সিদ্দিকী বলছেন, বাঘার মসজিদে যে আমের প্রতিচ্ছবি, তা ১০০ ভাগ ফজলি আমের। বাঘার ফজলি আমের ইতিহাস অতি প্রাচীন। একসময় এই আম প্রচুর পরিমাণে ‘নাটোর ম্যাঙ্গো’ নামে কলকাতায় যেত। চাঁপাইনবাবগঞ্জে যে ফজলি আছে, এটা তার চেয়ে আলাদা। চাঁপাইয়ের ফজলি আকারে বড়, স্বাদে কম। বাঘার ফজলি আকারে ছোট, কিন্তু স্বাদ বেশি। ইতিহাস না জেনে চাঁপাইনবাবগঞ্জ স্বত্ব নিয়ে দ্বন্দ্ব করছে বলে মনে করেন এই গবেষক।
মাহবুব সিদ্দিকী বলেন, ‘এটা সত্য যে চাঁপাইনবাবগঞ্জে প্রচুর ফজলি আমের গাছ আছে। কিন্তু ওই আম আর রাজশাহীর বাঘার আম আলাদা। চাঁপাইনবাবগঞ্জের ফজলিকে এখনো ‘‘মালদার ফজলি’’ হিসেবে এখনো ডাকা হয়। ভারতের মালদার ফজলি আর চাঁপাইনবাবগঞ্জের ফজলি একই। ওই আমের স্বাদ, আকার সবই রাজশাহীর থেকে আলাদা।’
ফজলির জিআই নিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি অ্যাসোসিয়েশনের ব্যানারে আপত্তি দেওয়া হলেও এর সঙ্গে আছেন ইসমাইল খান শামীম। তিনি শিবগঞ্জ ম্যাঙ্গো প্রোডিউসার কো-অপারেটিভ সোসাইটি নামের একটি সংগঠন চালান। শামীম বলছেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৩০ শতাংশ আমবাগান ফজলির। এখানে ২০০ বছরের পুরোনো বাগানও আছে। তাই তাদের দাবি, ফজলি আম চাঁপাইনবাবগঞ্জেরই।
তবে রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্রের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. হাসান ওয়ালিউল্লাহ বলেছেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে আমের যে জাতের কথা বলা হচ্ছে, তার সঙ্গে বাঘার ফজলির স্বাদ, আকার, ওজনসহ অনেক পার্থক্য রয়েছে। ওই আমটি আসলে ভারতের মালদার। আর ওই ফজলি ‘মালদার ফজলি’ হিসেবে আগেই জিআই পেয়েছে। এর ফলে তখনই চাঁপাইনবাবগঞ্জের ফজলি আমের স্বত্ব শেষ হয়ে গেছে।
রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আলীম উদ্দীন বলেন, ‘শুনানিতে জিততে দালিলিক প্রমাণপত্রের পাশাপাশি বাঘা ফজলির ভৌগোলিক পরিচয় নিশ্চিত করতে ডিএনএ পরীক্ষাও করা হয়েছে। রাজশাহীর ফজলি যে চাঁপাইনবাবগঞ্জের বা ভারতের মালদার ফজলির চেয়ে আলাদা, সেটি আমরা প্রমাণ করতে পারব। তাই আশা করছি, বাঘার ফজলিই ‘রাজশাহীর ফজলি আম’ ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পাবে।’

বহুকাল আগে রাজশাহীর বাঘা থেকে প্রচুর আম যেত কলকাতা। এই আমের ছবিই পোড়ামাটির টেরাকোটায় ফুটিয়ে তোলা হয়েছে ১৫২৩ সালে নির্মিত বাঘা শাহী মসজিদে। এই আমটিই এখন পরিচিত ‘ফজলি আম’ হিসেবে। গত বছর এই আমকে রাজশাহীর ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে জার্নাল প্রকাশ করে পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর।
কিন্তু এতে আপত্তি জানিয়েছে পাশের জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জ। রাজশাহীকে এই আমের স্বত্ব দেওয়ার নারাজি দিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি অ্যাসোসিয়েশন দাবি করে, এই আম চাঁপাইনবাবগঞ্জের। তবে গবেষকেরা বলছেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হিসেবেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ১৯৮৪ সালে। তার আগে ওই এলাকা ছিল বৃহত্তর রাজশাহীরই অন্তর্গত। তাই অতি পুরোনো ‘ফজলি আম’ নিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জের আলাদা স্বত্ব দাবি করা একেবারেই হাস্যকর। আর চাঁপাইনবাবগঞ্জের ফজলি ও রাজশাহীর ফজলি আমের মধ্যে আছে পার্থক্যও।
জানা গেছে, ২০১৭ সালের শুরু দিকে বাঘার ‘ফজলি আম’ রাজশাহীর জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতির জন্য আবেদন করে রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্র। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে যাচাই-বাছাই হয়। সবকিছু ঠিকঠাক থাকায় ২০২১ সালের ৬ অক্টোবর বাঘার ফজলি আমকে রাজশাহীর নিজস্ব পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে জার্নাল প্রকাশ করে পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর। কিন্তু চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি অ্যাসোসিয়েশনের আপত্তিতে জিআই সনদ আটকে যায় রাজশাহীর ফজলি আমের। আগামী মঙ্গলবার শুনানির মধ্য দিয়ে বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে চায় সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তর। সেদিনই সিদ্ধান্ত হবে ফজলি কোথাকার।
বাঘার ফজলি আমের ইতিহাস খুঁজে পাওয়া যায় ১৯১২ থেকে ১৯২২ সাল পর্যন্ত করা সার্ভে অ্যান্ড সেটেলমেন্ট অপারেশনস ইন দি ডিস্ট্রিক্ট অব রাজশাহীর চূড়ান্ত প্রতিবেদনে। প্রতিবেদনের ১৬ নম্বর পৃষ্ঠায় ইংরেজিতে স্পষ্টভাবে ‘দি বাঘা ম্যাঙ্গো’ বা বাঘার আম, যা কলকাতায় বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে বলে উল্লেখ রয়েছে। শুধু তাই নয়, গবেষক ও হেরিটেজ রাজশাহীর সভাপতি মাহবুব সিদ্দিকীর ‘আম’ বইটির অষ্টম অধ্যায়ে আমের জাত বিভাগে ৯৭ পৃষ্ঠার তথ্য অনুযায়ী বাঘার ফজলির পরিচিতি অন্তত ২০০ বছরের বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া প্রায় ৫০০ বছর আগে নির্মিত ঐতিহাসিক বাঘা শাহী মসজিদের টেরাকোটার কারুকাজেও দেখা মেলে এই আমের ছবি। গবেষকেরা বলছেন, কারুকাজ করা এই আম ফজলি আমের প্রতিচ্ছবি। জনপ্রিয়তার কারণেই আমটি মসজিদে স্থান পায়।
গবেষক মাহবুব সিদ্দিকী বলছেন, বাঘার মসজিদে যে আমের প্রতিচ্ছবি, তা ১০০ ভাগ ফজলি আমের। বাঘার ফজলি আমের ইতিহাস অতি প্রাচীন। একসময় এই আম প্রচুর পরিমাণে ‘নাটোর ম্যাঙ্গো’ নামে কলকাতায় যেত। চাঁপাইনবাবগঞ্জে যে ফজলি আছে, এটা তার চেয়ে আলাদা। চাঁপাইয়ের ফজলি আকারে বড়, স্বাদে কম। বাঘার ফজলি আকারে ছোট, কিন্তু স্বাদ বেশি। ইতিহাস না জেনে চাঁপাইনবাবগঞ্জ স্বত্ব নিয়ে দ্বন্দ্ব করছে বলে মনে করেন এই গবেষক।
মাহবুব সিদ্দিকী বলেন, ‘এটা সত্য যে চাঁপাইনবাবগঞ্জে প্রচুর ফজলি আমের গাছ আছে। কিন্তু ওই আম আর রাজশাহীর বাঘার আম আলাদা। চাঁপাইনবাবগঞ্জের ফজলিকে এখনো ‘‘মালদার ফজলি’’ হিসেবে এখনো ডাকা হয়। ভারতের মালদার ফজলি আর চাঁপাইনবাবগঞ্জের ফজলি একই। ওই আমের স্বাদ, আকার সবই রাজশাহীর থেকে আলাদা।’
ফজলির জিআই নিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি অ্যাসোসিয়েশনের ব্যানারে আপত্তি দেওয়া হলেও এর সঙ্গে আছেন ইসমাইল খান শামীম। তিনি শিবগঞ্জ ম্যাঙ্গো প্রোডিউসার কো-অপারেটিভ সোসাইটি নামের একটি সংগঠন চালান। শামীম বলছেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৩০ শতাংশ আমবাগান ফজলির। এখানে ২০০ বছরের পুরোনো বাগানও আছে। তাই তাদের দাবি, ফজলি আম চাঁপাইনবাবগঞ্জেরই।
তবে রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্রের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. হাসান ওয়ালিউল্লাহ বলেছেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে আমের যে জাতের কথা বলা হচ্ছে, তার সঙ্গে বাঘার ফজলির স্বাদ, আকার, ওজনসহ অনেক পার্থক্য রয়েছে। ওই আমটি আসলে ভারতের মালদার। আর ওই ফজলি ‘মালদার ফজলি’ হিসেবে আগেই জিআই পেয়েছে। এর ফলে তখনই চাঁপাইনবাবগঞ্জের ফজলি আমের স্বত্ব শেষ হয়ে গেছে।
রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আলীম উদ্দীন বলেন, ‘শুনানিতে জিততে দালিলিক প্রমাণপত্রের পাশাপাশি বাঘা ফজলির ভৌগোলিক পরিচয় নিশ্চিত করতে ডিএনএ পরীক্ষাও করা হয়েছে। রাজশাহীর ফজলি যে চাঁপাইনবাবগঞ্জের বা ভারতের মালদার ফজলির চেয়ে আলাদা, সেটি আমরা প্রমাণ করতে পারব। তাই আশা করছি, বাঘার ফজলিই ‘রাজশাহীর ফজলি আম’ ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পাবে।’
রাজশাহী প্রতিনিধি

বহুকাল আগে রাজশাহীর বাঘা থেকে প্রচুর আম যেত কলকাতা। এই আমের ছবিই পোড়ামাটির টেরাকোটায় ফুটিয়ে তোলা হয়েছে ১৫২৩ সালে নির্মিত বাঘা শাহী মসজিদে। এই আমটিই এখন পরিচিত ‘ফজলি আম’ হিসেবে। গত বছর এই আমকে রাজশাহীর ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে জার্নাল প্রকাশ করে পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর।
কিন্তু এতে আপত্তি জানিয়েছে পাশের জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জ। রাজশাহীকে এই আমের স্বত্ব দেওয়ার নারাজি দিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি অ্যাসোসিয়েশন দাবি করে, এই আম চাঁপাইনবাবগঞ্জের। তবে গবেষকেরা বলছেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হিসেবেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ১৯৮৪ সালে। তার আগে ওই এলাকা ছিল বৃহত্তর রাজশাহীরই অন্তর্গত। তাই অতি পুরোনো ‘ফজলি আম’ নিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জের আলাদা স্বত্ব দাবি করা একেবারেই হাস্যকর। আর চাঁপাইনবাবগঞ্জের ফজলি ও রাজশাহীর ফজলি আমের মধ্যে আছে পার্থক্যও।
জানা গেছে, ২০১৭ সালের শুরু দিকে বাঘার ‘ফজলি আম’ রাজশাহীর জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতির জন্য আবেদন করে রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্র। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে যাচাই-বাছাই হয়। সবকিছু ঠিকঠাক থাকায় ২০২১ সালের ৬ অক্টোবর বাঘার ফজলি আমকে রাজশাহীর নিজস্ব পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে জার্নাল প্রকাশ করে পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর। কিন্তু চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি অ্যাসোসিয়েশনের আপত্তিতে জিআই সনদ আটকে যায় রাজশাহীর ফজলি আমের। আগামী মঙ্গলবার শুনানির মধ্য দিয়ে বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে চায় সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তর। সেদিনই সিদ্ধান্ত হবে ফজলি কোথাকার।
বাঘার ফজলি আমের ইতিহাস খুঁজে পাওয়া যায় ১৯১২ থেকে ১৯২২ সাল পর্যন্ত করা সার্ভে অ্যান্ড সেটেলমেন্ট অপারেশনস ইন দি ডিস্ট্রিক্ট অব রাজশাহীর চূড়ান্ত প্রতিবেদনে। প্রতিবেদনের ১৬ নম্বর পৃষ্ঠায় ইংরেজিতে স্পষ্টভাবে ‘দি বাঘা ম্যাঙ্গো’ বা বাঘার আম, যা কলকাতায় বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে বলে উল্লেখ রয়েছে। শুধু তাই নয়, গবেষক ও হেরিটেজ রাজশাহীর সভাপতি মাহবুব সিদ্দিকীর ‘আম’ বইটির অষ্টম অধ্যায়ে আমের জাত বিভাগে ৯৭ পৃষ্ঠার তথ্য অনুযায়ী বাঘার ফজলির পরিচিতি অন্তত ২০০ বছরের বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া প্রায় ৫০০ বছর আগে নির্মিত ঐতিহাসিক বাঘা শাহী মসজিদের টেরাকোটার কারুকাজেও দেখা মেলে এই আমের ছবি। গবেষকেরা বলছেন, কারুকাজ করা এই আম ফজলি আমের প্রতিচ্ছবি। জনপ্রিয়তার কারণেই আমটি মসজিদে স্থান পায়।
গবেষক মাহবুব সিদ্দিকী বলছেন, বাঘার মসজিদে যে আমের প্রতিচ্ছবি, তা ১০০ ভাগ ফজলি আমের। বাঘার ফজলি আমের ইতিহাস অতি প্রাচীন। একসময় এই আম প্রচুর পরিমাণে ‘নাটোর ম্যাঙ্গো’ নামে কলকাতায় যেত। চাঁপাইনবাবগঞ্জে যে ফজলি আছে, এটা তার চেয়ে আলাদা। চাঁপাইয়ের ফজলি আকারে বড়, স্বাদে কম। বাঘার ফজলি আকারে ছোট, কিন্তু স্বাদ বেশি। ইতিহাস না জেনে চাঁপাইনবাবগঞ্জ স্বত্ব নিয়ে দ্বন্দ্ব করছে বলে মনে করেন এই গবেষক।
মাহবুব সিদ্দিকী বলেন, ‘এটা সত্য যে চাঁপাইনবাবগঞ্জে প্রচুর ফজলি আমের গাছ আছে। কিন্তু ওই আম আর রাজশাহীর বাঘার আম আলাদা। চাঁপাইনবাবগঞ্জের ফজলিকে এখনো ‘‘মালদার ফজলি’’ হিসেবে এখনো ডাকা হয়। ভারতের মালদার ফজলি আর চাঁপাইনবাবগঞ্জের ফজলি একই। ওই আমের স্বাদ, আকার সবই রাজশাহীর থেকে আলাদা।’
ফজলির জিআই নিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি অ্যাসোসিয়েশনের ব্যানারে আপত্তি দেওয়া হলেও এর সঙ্গে আছেন ইসমাইল খান শামীম। তিনি শিবগঞ্জ ম্যাঙ্গো প্রোডিউসার কো-অপারেটিভ সোসাইটি নামের একটি সংগঠন চালান। শামীম বলছেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৩০ শতাংশ আমবাগান ফজলির। এখানে ২০০ বছরের পুরোনো বাগানও আছে। তাই তাদের দাবি, ফজলি আম চাঁপাইনবাবগঞ্জেরই।
তবে রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্রের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. হাসান ওয়ালিউল্লাহ বলেছেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে আমের যে জাতের কথা বলা হচ্ছে, তার সঙ্গে বাঘার ফজলির স্বাদ, আকার, ওজনসহ অনেক পার্থক্য রয়েছে। ওই আমটি আসলে ভারতের মালদার। আর ওই ফজলি ‘মালদার ফজলি’ হিসেবে আগেই জিআই পেয়েছে। এর ফলে তখনই চাঁপাইনবাবগঞ্জের ফজলি আমের স্বত্ব শেষ হয়ে গেছে।
রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আলীম উদ্দীন বলেন, ‘শুনানিতে জিততে দালিলিক প্রমাণপত্রের পাশাপাশি বাঘা ফজলির ভৌগোলিক পরিচয় নিশ্চিত করতে ডিএনএ পরীক্ষাও করা হয়েছে। রাজশাহীর ফজলি যে চাঁপাইনবাবগঞ্জের বা ভারতের মালদার ফজলির চেয়ে আলাদা, সেটি আমরা প্রমাণ করতে পারব। তাই আশা করছি, বাঘার ফজলিই ‘রাজশাহীর ফজলি আম’ ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পাবে।’

বহুকাল আগে রাজশাহীর বাঘা থেকে প্রচুর আম যেত কলকাতা। এই আমের ছবিই পোড়ামাটির টেরাকোটায় ফুটিয়ে তোলা হয়েছে ১৫২৩ সালে নির্মিত বাঘা শাহী মসজিদে। এই আমটিই এখন পরিচিত ‘ফজলি আম’ হিসেবে। গত বছর এই আমকে রাজশাহীর ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে জার্নাল প্রকাশ করে পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর।
কিন্তু এতে আপত্তি জানিয়েছে পাশের জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জ। রাজশাহীকে এই আমের স্বত্ব দেওয়ার নারাজি দিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি অ্যাসোসিয়েশন দাবি করে, এই আম চাঁপাইনবাবগঞ্জের। তবে গবেষকেরা বলছেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হিসেবেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ১৯৮৪ সালে। তার আগে ওই এলাকা ছিল বৃহত্তর রাজশাহীরই অন্তর্গত। তাই অতি পুরোনো ‘ফজলি আম’ নিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জের আলাদা স্বত্ব দাবি করা একেবারেই হাস্যকর। আর চাঁপাইনবাবগঞ্জের ফজলি ও রাজশাহীর ফজলি আমের মধ্যে আছে পার্থক্যও।
জানা গেছে, ২০১৭ সালের শুরু দিকে বাঘার ‘ফজলি আম’ রাজশাহীর জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতির জন্য আবেদন করে রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্র। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে যাচাই-বাছাই হয়। সবকিছু ঠিকঠাক থাকায় ২০২১ সালের ৬ অক্টোবর বাঘার ফজলি আমকে রাজশাহীর নিজস্ব পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে জার্নাল প্রকাশ করে পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর। কিন্তু চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি অ্যাসোসিয়েশনের আপত্তিতে জিআই সনদ আটকে যায় রাজশাহীর ফজলি আমের। আগামী মঙ্গলবার শুনানির মধ্য দিয়ে বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে চায় সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তর। সেদিনই সিদ্ধান্ত হবে ফজলি কোথাকার।
বাঘার ফজলি আমের ইতিহাস খুঁজে পাওয়া যায় ১৯১২ থেকে ১৯২২ সাল পর্যন্ত করা সার্ভে অ্যান্ড সেটেলমেন্ট অপারেশনস ইন দি ডিস্ট্রিক্ট অব রাজশাহীর চূড়ান্ত প্রতিবেদনে। প্রতিবেদনের ১৬ নম্বর পৃষ্ঠায় ইংরেজিতে স্পষ্টভাবে ‘দি বাঘা ম্যাঙ্গো’ বা বাঘার আম, যা কলকাতায় বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে বলে উল্লেখ রয়েছে। শুধু তাই নয়, গবেষক ও হেরিটেজ রাজশাহীর সভাপতি মাহবুব সিদ্দিকীর ‘আম’ বইটির অষ্টম অধ্যায়ে আমের জাত বিভাগে ৯৭ পৃষ্ঠার তথ্য অনুযায়ী বাঘার ফজলির পরিচিতি অন্তত ২০০ বছরের বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া প্রায় ৫০০ বছর আগে নির্মিত ঐতিহাসিক বাঘা শাহী মসজিদের টেরাকোটার কারুকাজেও দেখা মেলে এই আমের ছবি। গবেষকেরা বলছেন, কারুকাজ করা এই আম ফজলি আমের প্রতিচ্ছবি। জনপ্রিয়তার কারণেই আমটি মসজিদে স্থান পায়।
গবেষক মাহবুব সিদ্দিকী বলছেন, বাঘার মসজিদে যে আমের প্রতিচ্ছবি, তা ১০০ ভাগ ফজলি আমের। বাঘার ফজলি আমের ইতিহাস অতি প্রাচীন। একসময় এই আম প্রচুর পরিমাণে ‘নাটোর ম্যাঙ্গো’ নামে কলকাতায় যেত। চাঁপাইনবাবগঞ্জে যে ফজলি আছে, এটা তার চেয়ে আলাদা। চাঁপাইয়ের ফজলি আকারে বড়, স্বাদে কম। বাঘার ফজলি আকারে ছোট, কিন্তু স্বাদ বেশি। ইতিহাস না জেনে চাঁপাইনবাবগঞ্জ স্বত্ব নিয়ে দ্বন্দ্ব করছে বলে মনে করেন এই গবেষক।
মাহবুব সিদ্দিকী বলেন, ‘এটা সত্য যে চাঁপাইনবাবগঞ্জে প্রচুর ফজলি আমের গাছ আছে। কিন্তু ওই আম আর রাজশাহীর বাঘার আম আলাদা। চাঁপাইনবাবগঞ্জের ফজলিকে এখনো ‘‘মালদার ফজলি’’ হিসেবে এখনো ডাকা হয়। ভারতের মালদার ফজলি আর চাঁপাইনবাবগঞ্জের ফজলি একই। ওই আমের স্বাদ, আকার সবই রাজশাহীর থেকে আলাদা।’
ফজলির জিআই নিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি অ্যাসোসিয়েশনের ব্যানারে আপত্তি দেওয়া হলেও এর সঙ্গে আছেন ইসমাইল খান শামীম। তিনি শিবগঞ্জ ম্যাঙ্গো প্রোডিউসার কো-অপারেটিভ সোসাইটি নামের একটি সংগঠন চালান। শামীম বলছেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৩০ শতাংশ আমবাগান ফজলির। এখানে ২০০ বছরের পুরোনো বাগানও আছে। তাই তাদের দাবি, ফজলি আম চাঁপাইনবাবগঞ্জেরই।
তবে রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্রের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. হাসান ওয়ালিউল্লাহ বলেছেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে আমের যে জাতের কথা বলা হচ্ছে, তার সঙ্গে বাঘার ফজলির স্বাদ, আকার, ওজনসহ অনেক পার্থক্য রয়েছে। ওই আমটি আসলে ভারতের মালদার। আর ওই ফজলি ‘মালদার ফজলি’ হিসেবে আগেই জিআই পেয়েছে। এর ফলে তখনই চাঁপাইনবাবগঞ্জের ফজলি আমের স্বত্ব শেষ হয়ে গেছে।
রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আলীম উদ্দীন বলেন, ‘শুনানিতে জিততে দালিলিক প্রমাণপত্রের পাশাপাশি বাঘা ফজলির ভৌগোলিক পরিচয় নিশ্চিত করতে ডিএনএ পরীক্ষাও করা হয়েছে। রাজশাহীর ফজলি যে চাঁপাইনবাবগঞ্জের বা ভারতের মালদার ফজলির চেয়ে আলাদা, সেটি আমরা প্রমাণ করতে পারব। তাই আশা করছি, বাঘার ফজলিই ‘রাজশাহীর ফজলি আম’ ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পাবে।’

পরিবারের সদস্যদের দাবি, মঙ্গলবার রাত আনুমানিক ২টার দিকে হঠাৎ শিশুটির খিঁচুনি শুরু হয়। বিষয়টি জানানো হলেও তখন কোনো চিকিৎসক শিশুটিকে দেখতে আসেননি। বুধবার সকাল ৮টার দিকে নার্স হেপি দাস শিশুটিকে একটি ইনজেকশন দেন। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই শিশুটির মৃত্যু হয়।
২ মিনিট আগে
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে নিষিদ্ধঘোষিত আওয়ামী লীগের পৌর শাখার সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন পাটোয়ারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার ভোরে উপজেলার পাঁচড়া এলাকার রাস্তার মাথা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২০ মিনিট আগে
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ‘মুক্তিযুদ্ধের গল্পে রাজাকারের পাঠ’ শীর্ষক নাটক মঞ্চায়ন নিয়ে তীব্র উত্তেজনা ছড়ালো লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলায়। নাটকে রাজাকারের চরিত্রে অভিনেতাদের পাঞ্জাবি ও টুপি পরিধান এবং নারী নির্যাতনের দৃশ্য প্রদর্শিত হওয়ায় জামায়াতে ইসলামীর স্থানীয় নেতারা বাধা দেন।
২৯ মিনিট আগে
কমলাচাষি খয়বর রহমান জানান, তাঁর বাগানের ১১টি গাছে বর্তমানে ১০০ কেজির বেশি কমলা রয়েছে। শুরুতে নিছক শখের বসে বাগান করলেও এখন এটি লাভজনক হবে বলে আশা করছেন তিনি। চলতি মৌসুমে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকার কমলা বিক্রি করতে পারবেন বলে ধারণা তাঁর। আগামী বছর পূর্ণমাত্রায় ফলন এলে বিক্রি ১ লাখ টাকার বেশি হবে বলে আশা
১ ঘণ্টা আগেজগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে নার্সের অবহেলায় এক নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। বুধবার সকাল ৮টার দিকে জগন্নাথপুর নগর মাতৃসদন ও নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় নবজাতকের বাবা জাকির হোসেন থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার পাটলী ইউনিয়নের সমশপুর গ্রামের জাকির হোসেন গত শনিবার রাতে তাঁর গর্ভবতী স্ত্রী মারজানা বেগমকে জগন্নাথপুর নগর মাতৃসদন ও নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করেন। পরদিন রোববার সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে একটি কন্যাশিশুর জন্ম হয়। জন্মের পর থেকে শিশুটি সুস্থ ছিল।
পরিবারের সদস্যদের দাবি, মঙ্গলবার রাত আনুমানিক ২টার দিকে হঠাৎ শিশুটির খিঁচুনি শুরু হয়। বিষয়টি জানানো হলেও তখন কোনো চিকিৎসক শিশুটিকে দেখতে আসেননি। বুধবার সকাল ৮টার দিকে নার্স হেপি দাস শিশুটিকে একটি ইনজেকশন দেন। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই শিশুটির মৃত্যু হয়।
নবজাতকের ফুফু তাসলিমা বেগম বলেন, জন্মের পর শিশুটি ভালোই ছিল। শিশুটির হাতে একটি ক্যানুলা লাগানো ছিল, যার কারণে হাত ফুলে যায়। রাতে খিঁচুনি শুরু হলে বারবার নার্সকে জানানো হলেও ক্যানুলাটি খোলা হয়নি। বরং নার্স তাঁদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন এবং কোনো চিকিৎসকও আসেননি। পরে সকালে ইনজেকশন দেওয়ার পর শিশুটি মারা যায়।
নবজাতকের বাবা জাকির হোসেন বলেন, ‘রাত ২টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত কোনো চিকিৎসক আসেননি। সকালে নার্স ইনজেকশন দেওয়ার পর আমার মেয়ে মারা যায়। আমার মেয়েকে ভুল চিকিৎসা দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আমি এর সঠিক বিচার চাই।’
জগন্নাথপুর নগর মাতৃসদন ও নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্রের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) মাহবুব আলম মিজু বলেন, জন্মের পর শিশুটি সুস্থ ছিল। হঠাৎ শিশুর অবস্থার অবনতি হয়েছে—এ বিষয়ে নার্স বা স্বজনদের কেউ তাঁকে অবহিত করেননি। তিনি বলেন, শিশুকে মায়ের দুধ খাওয়ানোর সময় কোনো ত্রুটি হলেও ঝুঁকি তৈরি হতে পারে। তবে নার্সের অবহেলার অভিযোগটি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নিয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
জগন্নাথপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক হাফিজুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে নার্সের অবহেলায় এক নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। বুধবার সকাল ৮টার দিকে জগন্নাথপুর নগর মাতৃসদন ও নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় নবজাতকের বাবা জাকির হোসেন থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার পাটলী ইউনিয়নের সমশপুর গ্রামের জাকির হোসেন গত শনিবার রাতে তাঁর গর্ভবতী স্ত্রী মারজানা বেগমকে জগন্নাথপুর নগর মাতৃসদন ও নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করেন। পরদিন রোববার সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে একটি কন্যাশিশুর জন্ম হয়। জন্মের পর থেকে শিশুটি সুস্থ ছিল।
পরিবারের সদস্যদের দাবি, মঙ্গলবার রাত আনুমানিক ২টার দিকে হঠাৎ শিশুটির খিঁচুনি শুরু হয়। বিষয়টি জানানো হলেও তখন কোনো চিকিৎসক শিশুটিকে দেখতে আসেননি। বুধবার সকাল ৮টার দিকে নার্স হেপি দাস শিশুটিকে একটি ইনজেকশন দেন। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই শিশুটির মৃত্যু হয়।
নবজাতকের ফুফু তাসলিমা বেগম বলেন, জন্মের পর শিশুটি ভালোই ছিল। শিশুটির হাতে একটি ক্যানুলা লাগানো ছিল, যার কারণে হাত ফুলে যায়। রাতে খিঁচুনি শুরু হলে বারবার নার্সকে জানানো হলেও ক্যানুলাটি খোলা হয়নি। বরং নার্স তাঁদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন এবং কোনো চিকিৎসকও আসেননি। পরে সকালে ইনজেকশন দেওয়ার পর শিশুটি মারা যায়।
নবজাতকের বাবা জাকির হোসেন বলেন, ‘রাত ২টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত কোনো চিকিৎসক আসেননি। সকালে নার্স ইনজেকশন দেওয়ার পর আমার মেয়ে মারা যায়। আমার মেয়েকে ভুল চিকিৎসা দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আমি এর সঠিক বিচার চাই।’
জগন্নাথপুর নগর মাতৃসদন ও নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্রের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) মাহবুব আলম মিজু বলেন, জন্মের পর শিশুটি সুস্থ ছিল। হঠাৎ শিশুর অবস্থার অবনতি হয়েছে—এ বিষয়ে নার্স বা স্বজনদের কেউ তাঁকে অবহিত করেননি। তিনি বলেন, শিশুকে মায়ের দুধ খাওয়ানোর সময় কোনো ত্রুটি হলেও ঝুঁকি তৈরি হতে পারে। তবে নার্সের অবহেলার অভিযোগটি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নিয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
জগন্নাথপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক হাফিজুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বহুকাল আগে রাজশাহীর বাঘা থেকে প্রচুর আম যেত কলকাতা। এই আমের ছবিই পোড়ামাটির টেরাকোটায় ফুটিয়ে তোলা হয়েছে ১৫২৩ সালে নির্মিত বাঘা শাহী মসজিদে। এই আমটিই এখন পরিচিত ‘ফজলি আম’ হিসেবে। গত বছর এই আমকে রাজশাহীর ভৌগোলিক নির্দেশক...
২২ মে ২০২২
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে নিষিদ্ধঘোষিত আওয়ামী লীগের পৌর শাখার সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন পাটোয়ারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার ভোরে উপজেলার পাঁচড়া এলাকার রাস্তার মাথা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২০ মিনিট আগে
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ‘মুক্তিযুদ্ধের গল্পে রাজাকারের পাঠ’ শীর্ষক নাটক মঞ্চায়ন নিয়ে তীব্র উত্তেজনা ছড়ালো লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলায়। নাটকে রাজাকারের চরিত্রে অভিনেতাদের পাঞ্জাবি ও টুপি পরিধান এবং নারী নির্যাতনের দৃশ্য প্রদর্শিত হওয়ায় জামায়াতে ইসলামীর স্থানীয় নেতারা বাধা দেন।
২৯ মিনিট আগে
কমলাচাষি খয়বর রহমান জানান, তাঁর বাগানের ১১টি গাছে বর্তমানে ১০০ কেজির বেশি কমলা রয়েছে। শুরুতে নিছক শখের বসে বাগান করলেও এখন এটি লাভজনক হবে বলে আশা করছেন তিনি। চলতি মৌসুমে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকার কমলা বিক্রি করতে পারবেন বলে ধারণা তাঁর। আগামী বছর পূর্ণমাত্রায় ফলন এলে বিক্রি ১ লাখ টাকার বেশি হবে বলে আশা
১ ঘণ্টা আগেচৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে নিষিদ্ধঘোষিত আওয়ামী লীগের পৌর শাখার সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন পাটোয়ারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার ভোরে উপজেলার পাঁচড়া এলাকার রাস্তার মাথা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জাকির হোসেন পাটোয়ারী পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের পাঁচড়া পাটোয়ারী বাড়ির মৃত হাফেজ মিয়ার ছেলে। বিষয়টি বুধবার সকালে চৌদ্দগ্রাম মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ছানাউল্লাহ নিশ্চিত করেন।
পুলিশ জানায়, জাকির হোসেন পাটোয়ারীর বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় তৎকালীন বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা ও মামলা দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর তিনি আত্মগোপনে চলে যান। তাঁর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা রয়েছে এবং দীর্ঘদিন তিনি পলাতক ছিলেন।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে আজ ভোরে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানায় পুলিশ। দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জাকির হোসেন পাটোয়ারীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে নিষিদ্ধঘোষিত আওয়ামী লীগের পৌর শাখার সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন পাটোয়ারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার ভোরে উপজেলার পাঁচড়া এলাকার রাস্তার মাথা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জাকির হোসেন পাটোয়ারী পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের পাঁচড়া পাটোয়ারী বাড়ির মৃত হাফেজ মিয়ার ছেলে। বিষয়টি বুধবার সকালে চৌদ্দগ্রাম মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ছানাউল্লাহ নিশ্চিত করেন।
পুলিশ জানায়, জাকির হোসেন পাটোয়ারীর বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় তৎকালীন বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা ও মামলা দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর তিনি আত্মগোপনে চলে যান। তাঁর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা রয়েছে এবং দীর্ঘদিন তিনি পলাতক ছিলেন।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে আজ ভোরে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানায় পুলিশ। দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জাকির হোসেন পাটোয়ারীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

বহুকাল আগে রাজশাহীর বাঘা থেকে প্রচুর আম যেত কলকাতা। এই আমের ছবিই পোড়ামাটির টেরাকোটায় ফুটিয়ে তোলা হয়েছে ১৫২৩ সালে নির্মিত বাঘা শাহী মসজিদে। এই আমটিই এখন পরিচিত ‘ফজলি আম’ হিসেবে। গত বছর এই আমকে রাজশাহীর ভৌগোলিক নির্দেশক...
২২ মে ২০২২
পরিবারের সদস্যদের দাবি, মঙ্গলবার রাত আনুমানিক ২টার দিকে হঠাৎ শিশুটির খিঁচুনি শুরু হয়। বিষয়টি জানানো হলেও তখন কোনো চিকিৎসক শিশুটিকে দেখতে আসেননি। বুধবার সকাল ৮টার দিকে নার্স হেপি দাস শিশুটিকে একটি ইনজেকশন দেন। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই শিশুটির মৃত্যু হয়।
২ মিনিট আগে
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ‘মুক্তিযুদ্ধের গল্পে রাজাকারের পাঠ’ শীর্ষক নাটক মঞ্চায়ন নিয়ে তীব্র উত্তেজনা ছড়ালো লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলায়। নাটকে রাজাকারের চরিত্রে অভিনেতাদের পাঞ্জাবি ও টুপি পরিধান এবং নারী নির্যাতনের দৃশ্য প্রদর্শিত হওয়ায় জামায়াতে ইসলামীর স্থানীয় নেতারা বাধা দেন।
২৯ মিনিট আগে
কমলাচাষি খয়বর রহমান জানান, তাঁর বাগানের ১১টি গাছে বর্তমানে ১০০ কেজির বেশি কমলা রয়েছে। শুরুতে নিছক শখের বসে বাগান করলেও এখন এটি লাভজনক হবে বলে আশা করছেন তিনি। চলতি মৌসুমে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকার কমলা বিক্রি করতে পারবেন বলে ধারণা তাঁর। আগামী বছর পূর্ণমাত্রায় ফলন এলে বিক্রি ১ লাখ টাকার বেশি হবে বলে আশা
১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ‘মুক্তিযুদ্ধের গল্পে রাজাকারের পাঠ’ শীর্ষক নাটক মঞ্চায়ন নিয়ে তীব্র উত্তেজনা ছড়ালো লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলায়। নাটকে রাজাকারের চরিত্রে অভিনেতাদের পাঞ্জাবি ও টুপি পরিধান এবং নারী নির্যাতনের দৃশ্য প্রদর্শিত হওয়ায় জামায়াতে ইসলামীর স্থানীয় নেতারা বাধা দেন। তাঁদের অভিযোগ, এই পোশাকে অভিনয় করা ‘মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত’ করেছে।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে উপজেলার আলেকজান্ডার আ স ম আবদুর রব সরকারি কলেজ মাঠে কুচকাওয়াজের পর এই ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরপরই এর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে তা ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়।
প্রত্যক্ষদর্শী এবং ভিডিও ফুটেজ সূত্রে জানা যায়, কলেজটির ১২ থেকে ১৫ জন শিক্ষার্থী নাটকটিতে অংশ নেন, যেখানে মুক্তিযোদ্ধা ও রাজাকারের মধ্যকার সংঘাতময় চিত্র তুলে ধরা হয়। রাজাকারের ভূমিকায় কয়েকজন শিক্ষার্থী পাঞ্জাবি-টুপি পরে অভিনয় করছিলেন। এই দৃশ্যে নারী নির্যাতনের অংশ থাকাকালীন উপজেলা জামায়াতের আমির আবদুর রহিম এবং পৌর আমির আবুল খায়ের মঞ্চে এসে আপত্তি তোলেন। তাঁরা দাবি করেন, এই পোশাকে রাজাকারের চরিত্র চিত্রায়ণ মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানছে। তাঁরা তাৎক্ষণিকভাবে কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মাদ আশরাফ উদ্দিনের কাছে এর ব্যাখ্যা দাবি করেন।
এতে দুই পক্ষের মধ্যে মঞ্চেই শুরু হয় তীব্র বাগ্বিতণ্ডা। পরিস্থিতি যখন উত্তপ্ত হয়ে উঠছিল, তখন ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিলুফা ইয়াসমিন এবং রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিটন দেওয়ানসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। দ্রুত তাঁরা হস্তক্ষেপে করলে পরিস্থিতি শান্ত হয় এবং বিষয়টি আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা হয়।
উপজেলা জামায়াতের আমির আবদুর রহিম তাঁর আপত্তির কারণ ব্যাখ্যা করে বলেন, ‘পাঞ্জাবি-টুপি পরে অভিনয় করায় একজন মুসলমান হিসেবে আমি এটি মেনে নিতে পারিনি। তাই আমরা প্রতিবাদ জানিয়ে এর ব্যাখ্যা জানতে চেয়েছিলাম। পরে ইউএনও ও ওসি সাহেবের মধ্যস্থতায় বিষয়টির সমাধান হয়েছে।’
কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মাদ আশরাফ উদ্দিন এই ঘটনাকে ‘ভুল–বোঝাবুঝি’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন। তিনি বলেন, পরে সংশ্লিষ্ট সবাই মিলে বিষয়টি সমাধান করা হয়েছে।
রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিটন দেওয়ান ঘটনাটি নিশ্চিত করে বলেন, অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে নাটক চলাকালে পাঞ্জাবি-টুপি ব্যবহার নিয়ে এক পক্ষ আপত্তি তোলায় কিছুটা কথা-কাটাকাটি হয়েছিল। তবে প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপে দ্রুতই বিষয়টির সমাধান করা হয় এবং কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ‘মুক্তিযুদ্ধের গল্পে রাজাকারের পাঠ’ শীর্ষক নাটক মঞ্চায়ন নিয়ে তীব্র উত্তেজনা ছড়ালো লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলায়। নাটকে রাজাকারের চরিত্রে অভিনেতাদের পাঞ্জাবি ও টুপি পরিধান এবং নারী নির্যাতনের দৃশ্য প্রদর্শিত হওয়ায় জামায়াতে ইসলামীর স্থানীয় নেতারা বাধা দেন। তাঁদের অভিযোগ, এই পোশাকে অভিনয় করা ‘মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত’ করেছে।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে উপজেলার আলেকজান্ডার আ স ম আবদুর রব সরকারি কলেজ মাঠে কুচকাওয়াজের পর এই ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরপরই এর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে তা ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়।
প্রত্যক্ষদর্শী এবং ভিডিও ফুটেজ সূত্রে জানা যায়, কলেজটির ১২ থেকে ১৫ জন শিক্ষার্থী নাটকটিতে অংশ নেন, যেখানে মুক্তিযোদ্ধা ও রাজাকারের মধ্যকার সংঘাতময় চিত্র তুলে ধরা হয়। রাজাকারের ভূমিকায় কয়েকজন শিক্ষার্থী পাঞ্জাবি-টুপি পরে অভিনয় করছিলেন। এই দৃশ্যে নারী নির্যাতনের অংশ থাকাকালীন উপজেলা জামায়াতের আমির আবদুর রহিম এবং পৌর আমির আবুল খায়ের মঞ্চে এসে আপত্তি তোলেন। তাঁরা দাবি করেন, এই পোশাকে রাজাকারের চরিত্র চিত্রায়ণ মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানছে। তাঁরা তাৎক্ষণিকভাবে কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মাদ আশরাফ উদ্দিনের কাছে এর ব্যাখ্যা দাবি করেন।
এতে দুই পক্ষের মধ্যে মঞ্চেই শুরু হয় তীব্র বাগ্বিতণ্ডা। পরিস্থিতি যখন উত্তপ্ত হয়ে উঠছিল, তখন ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিলুফা ইয়াসমিন এবং রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিটন দেওয়ানসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। দ্রুত তাঁরা হস্তক্ষেপে করলে পরিস্থিতি শান্ত হয় এবং বিষয়টি আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা হয়।
উপজেলা জামায়াতের আমির আবদুর রহিম তাঁর আপত্তির কারণ ব্যাখ্যা করে বলেন, ‘পাঞ্জাবি-টুপি পরে অভিনয় করায় একজন মুসলমান হিসেবে আমি এটি মেনে নিতে পারিনি। তাই আমরা প্রতিবাদ জানিয়ে এর ব্যাখ্যা জানতে চেয়েছিলাম। পরে ইউএনও ও ওসি সাহেবের মধ্যস্থতায় বিষয়টির সমাধান হয়েছে।’
কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মাদ আশরাফ উদ্দিন এই ঘটনাকে ‘ভুল–বোঝাবুঝি’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন। তিনি বলেন, পরে সংশ্লিষ্ট সবাই মিলে বিষয়টি সমাধান করা হয়েছে।
রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিটন দেওয়ান ঘটনাটি নিশ্চিত করে বলেন, অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে নাটক চলাকালে পাঞ্জাবি-টুপি ব্যবহার নিয়ে এক পক্ষ আপত্তি তোলায় কিছুটা কথা-কাটাকাটি হয়েছিল। তবে প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপে দ্রুতই বিষয়টির সমাধান করা হয় এবং কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

বহুকাল আগে রাজশাহীর বাঘা থেকে প্রচুর আম যেত কলকাতা। এই আমের ছবিই পোড়ামাটির টেরাকোটায় ফুটিয়ে তোলা হয়েছে ১৫২৩ সালে নির্মিত বাঘা শাহী মসজিদে। এই আমটিই এখন পরিচিত ‘ফজলি আম’ হিসেবে। গত বছর এই আমকে রাজশাহীর ভৌগোলিক নির্দেশক...
২২ মে ২০২২
পরিবারের সদস্যদের দাবি, মঙ্গলবার রাত আনুমানিক ২টার দিকে হঠাৎ শিশুটির খিঁচুনি শুরু হয়। বিষয়টি জানানো হলেও তখন কোনো চিকিৎসক শিশুটিকে দেখতে আসেননি। বুধবার সকাল ৮টার দিকে নার্স হেপি দাস শিশুটিকে একটি ইনজেকশন দেন। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই শিশুটির মৃত্যু হয়।
২ মিনিট আগে
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে নিষিদ্ধঘোষিত আওয়ামী লীগের পৌর শাখার সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন পাটোয়ারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার ভোরে উপজেলার পাঁচড়া এলাকার রাস্তার মাথা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২০ মিনিট আগে
কমলাচাষি খয়বর রহমান জানান, তাঁর বাগানের ১১টি গাছে বর্তমানে ১০০ কেজির বেশি কমলা রয়েছে। শুরুতে নিছক শখের বসে বাগান করলেও এখন এটি লাভজনক হবে বলে আশা করছেন তিনি। চলতি মৌসুমে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকার কমলা বিক্রি করতে পারবেন বলে ধারণা তাঁর। আগামী বছর পূর্ণমাত্রায় ফলন এলে বিক্রি ১ লাখ টাকার বেশি হবে বলে আশা
১ ঘণ্টা আগেচাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি

সমতল ভূমিতে কমলা চাষ সাধারণত অপ্রচলিত হলেও পাবনার চাটমোহরে এর বাণিজ্যিক চাষের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। শখের বসে করা কৃষক খয়বর রহমানের কমলাবাগান এখন বাণিজ্যিকভাবে কমলা চাষের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করছে। প্রথম বছরেই আশানুরূপ ফলন পাওয়ায় কৃষক যেমন সফলতার স্বপ্ন দেখছেন, তেমনি কৃষি বিভাগও আশা করছে তাঁর দেখানো পথে কমলা চাষের বিস্তার ঘটবে।
সাইট্রাসজাতীয় ফল মাল্টা ও কমলা মূলত পাহাড়ি অঞ্চলের হলেও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চাটমোহরে মাল্টা চাষের প্রসার ঘটেছে। তবে কমলা চাষ এত দিন শখের ছাদবাগানেই সীমাবদ্ধ ছিল। কাঙ্ক্ষিত সফলতা না পাওয়ায় বাণিজ্যিকভাবে কমলা চাষ তেমন বিস্তার লাভ করেনি। এই অবস্থায় কৃষক খয়বর রহমানের বাণিজ্যিক চাষে সফলতা অন্য কৃষকদের কমলা চাষে উদ্বুদ্ধ করবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের আগশোয়াইল গ্রামের কৃষক খয়বর রহমান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিও দেখে কমলা চাষে আগ্রহী হন। পরে কৃষি বিভাগের পরামর্শে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার এক কৃষকের কাছ থেকে চারা সংগ্রহ করে তিনি ২১ শতক জমিতে কমলার বাগান গড়ে তোলেন। ২০২২ সালে ৫০টি চারা দিয়ে বাগান শুরু করেন তিনি। উপজেলা কৃষি অফিসের তত্ত্বাবধান ও পরামর্শে চলতি মৌসুমে প্রথমবারের মতো তাঁর বাগানে ফুল আসে। পরীক্ষামূলকভাবে কিছু গাছে ফল রাখলে সেগুলো পরিপক্ব হয়।
কমলাচাষি খয়বর রহমান জানান, তাঁর বাগানের ১১টি গাছে বর্তমানে ১০০ কেজির বেশি কমলা রয়েছে। শুরুতে নিছক শখের বসে বাগান করলেও এখন এটি লাভজনক হবে বলে আশা করছেন তিনি। চলতি মৌসুমে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকার কমলা বিক্রি করতে পারবেন বলে ধারণা তাঁর। আগামী বছর পূর্ণমাত্রায় ফলন এলে বিক্রি ১ লাখ টাকার বেশি হবে বলে আশা করছেন।
উপজেলার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সাইদুর রহমান সাঈদ বলেন, চাটমোহরে কমলা চাষ একেবারেই নতুন উদ্যোগ। খয়বর রহমানের বাগানে উৎপাদিত কমলার মান ও গুণগত বৈশিষ্ট্য বাজারে পাওয়া কমলার মতোই ভালো। প্রতিটি গাছে যে পরিমাণ ফল এসেছে, তাতে বাগানটি লাভজনক হবে বলে মনে করছেন তিনি। এই সাফল্য অন্য কৃষকদেরও অনুপ্রাণিত করবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কুন্তলা ঘোষ বলেন, অপ্রচলিত কমলা প্রথমবারের মতো চাষ করে খয়বর রহমান যে সাফল্য পেয়েছেন, তা অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক। কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা দিয়ে কমলা চাষকে বাণিজ্যিকভাবে রূপ দিতে উদ্যোগ নেওয়া হবে। তাঁর সাফল্য দেখে আরও অনেক কৃষক কমলা চাষে আগ্রহী হবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

সমতল ভূমিতে কমলা চাষ সাধারণত অপ্রচলিত হলেও পাবনার চাটমোহরে এর বাণিজ্যিক চাষের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। শখের বসে করা কৃষক খয়বর রহমানের কমলাবাগান এখন বাণিজ্যিকভাবে কমলা চাষের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করছে। প্রথম বছরেই আশানুরূপ ফলন পাওয়ায় কৃষক যেমন সফলতার স্বপ্ন দেখছেন, তেমনি কৃষি বিভাগও আশা করছে তাঁর দেখানো পথে কমলা চাষের বিস্তার ঘটবে।
সাইট্রাসজাতীয় ফল মাল্টা ও কমলা মূলত পাহাড়ি অঞ্চলের হলেও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চাটমোহরে মাল্টা চাষের প্রসার ঘটেছে। তবে কমলা চাষ এত দিন শখের ছাদবাগানেই সীমাবদ্ধ ছিল। কাঙ্ক্ষিত সফলতা না পাওয়ায় বাণিজ্যিকভাবে কমলা চাষ তেমন বিস্তার লাভ করেনি। এই অবস্থায় কৃষক খয়বর রহমানের বাণিজ্যিক চাষে সফলতা অন্য কৃষকদের কমলা চাষে উদ্বুদ্ধ করবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের আগশোয়াইল গ্রামের কৃষক খয়বর রহমান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিও দেখে কমলা চাষে আগ্রহী হন। পরে কৃষি বিভাগের পরামর্শে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার এক কৃষকের কাছ থেকে চারা সংগ্রহ করে তিনি ২১ শতক জমিতে কমলার বাগান গড়ে তোলেন। ২০২২ সালে ৫০টি চারা দিয়ে বাগান শুরু করেন তিনি। উপজেলা কৃষি অফিসের তত্ত্বাবধান ও পরামর্শে চলতি মৌসুমে প্রথমবারের মতো তাঁর বাগানে ফুল আসে। পরীক্ষামূলকভাবে কিছু গাছে ফল রাখলে সেগুলো পরিপক্ব হয়।
কমলাচাষি খয়বর রহমান জানান, তাঁর বাগানের ১১টি গাছে বর্তমানে ১০০ কেজির বেশি কমলা রয়েছে। শুরুতে নিছক শখের বসে বাগান করলেও এখন এটি লাভজনক হবে বলে আশা করছেন তিনি। চলতি মৌসুমে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকার কমলা বিক্রি করতে পারবেন বলে ধারণা তাঁর। আগামী বছর পূর্ণমাত্রায় ফলন এলে বিক্রি ১ লাখ টাকার বেশি হবে বলে আশা করছেন।
উপজেলার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সাইদুর রহমান সাঈদ বলেন, চাটমোহরে কমলা চাষ একেবারেই নতুন উদ্যোগ। খয়বর রহমানের বাগানে উৎপাদিত কমলার মান ও গুণগত বৈশিষ্ট্য বাজারে পাওয়া কমলার মতোই ভালো। প্রতিটি গাছে যে পরিমাণ ফল এসেছে, তাতে বাগানটি লাভজনক হবে বলে মনে করছেন তিনি। এই সাফল্য অন্য কৃষকদেরও অনুপ্রাণিত করবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কুন্তলা ঘোষ বলেন, অপ্রচলিত কমলা প্রথমবারের মতো চাষ করে খয়বর রহমান যে সাফল্য পেয়েছেন, তা অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক। কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা দিয়ে কমলা চাষকে বাণিজ্যিকভাবে রূপ দিতে উদ্যোগ নেওয়া হবে। তাঁর সাফল্য দেখে আরও অনেক কৃষক কমলা চাষে আগ্রহী হবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

বহুকাল আগে রাজশাহীর বাঘা থেকে প্রচুর আম যেত কলকাতা। এই আমের ছবিই পোড়ামাটির টেরাকোটায় ফুটিয়ে তোলা হয়েছে ১৫২৩ সালে নির্মিত বাঘা শাহী মসজিদে। এই আমটিই এখন পরিচিত ‘ফজলি আম’ হিসেবে। গত বছর এই আমকে রাজশাহীর ভৌগোলিক নির্দেশক...
২২ মে ২০২২
পরিবারের সদস্যদের দাবি, মঙ্গলবার রাত আনুমানিক ২টার দিকে হঠাৎ শিশুটির খিঁচুনি শুরু হয়। বিষয়টি জানানো হলেও তখন কোনো চিকিৎসক শিশুটিকে দেখতে আসেননি। বুধবার সকাল ৮টার দিকে নার্স হেপি দাস শিশুটিকে একটি ইনজেকশন দেন। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই শিশুটির মৃত্যু হয়।
২ মিনিট আগে
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে নিষিদ্ধঘোষিত আওয়ামী লীগের পৌর শাখার সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন পাটোয়ারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার ভোরে উপজেলার পাঁচড়া এলাকার রাস্তার মাথা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২০ মিনিট আগে
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ‘মুক্তিযুদ্ধের গল্পে রাজাকারের পাঠ’ শীর্ষক নাটক মঞ্চায়ন নিয়ে তীব্র উত্তেজনা ছড়ালো লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলায়। নাটকে রাজাকারের চরিত্রে অভিনেতাদের পাঞ্জাবি ও টুপি পরিধান এবং নারী নির্যাতনের দৃশ্য প্রদর্শিত হওয়ায় জামায়াতে ইসলামীর স্থানীয় নেতারা বাধা দেন।
২৯ মিনিট আগে