কলারোয়া (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি

সাতক্ষীরার কলারোয়া থেকে মৌসুমের শুরুতে ২ হাজার কেজি হিমসাগর আম রপ্তানির কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার ৮ নম্বর কেরেলকাতা ইউনিয়ন ইলিশপুর গ্রামের কবিরুল ইসলাম ডবলুর আমবাগান থেকে এ কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়।
সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ নুরুল ইসলাম বলেন, জেলায় হিমসাগর ১ হাজার ৫৫০ হেক্টর, ল্যাংড়া ৫৬৪ হেক্টর, আম্রপালি ৮৯৯ হেক্টর, গোপালভোগ ২১৯ হেক্টর, গোবিন্দভোগ ৩৫২ হেক্টর, বোম্বাই ৫০ হেক্টর, লতা ১৫৩ হেক্টর, মল্লিকা ৮০ হেক্টর ও ২৩১ হেক্টর জমিতে অন্য জাতের আমের চাষ হয়েছে। আমের বাগান রয়েছে ৫ হাজার ২৯৯ টি। আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪০ হাজার টন। প্রতি হেক্টর জমিতে এ বছর আমের উৎপাদন হয়েছে ১০-১১ টন। জার্মানি, ইতালি, ইংল্যান্ড ও ফ্রান্সে সর্বমোট আম রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ৬০০ টন। ২০১৬ সাল থেকে সাতক্ষীরার আম প্রথম ইতালিতে রপ্তানি শুরু হয়। বর্তমানে জেলায় চাষির সংখ্যা রয়েছে ১৩ হাজার ১০০ জন।
সলিডারিডাড নেটওয়ার্ক এশিয়া যশোর ফ্রুটস অ্যান্ড ভেজিটেবল কমোডটি ম্যানেজার ড. নাজমুন নাহার বলেন, সলিডারিডাড নেটওয়ার্ক এশিয়া এবং এর সহযোগী সংস্থা উত্তরণ কর্তৃক বাস্তবায়িত সফল প্রকল্পটি নেদারল্যান্ড দূতাবাসের আর্থিক সহায়তায় উপজেলার মোট ৫০০ জন আমচাষি ২০১৩ সাল থেকে কৃষি চর্চার মাধ্যমে উৎপাদন ও বাজারজাতকরণে চাষিদের দক্ষতা উন্নয়নে কাজ করছে। সফল প্রকল্পের মাধ্যমে ২০১৬ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ৯৬ দশমিক ১ টন আম জার্মানি, ইতালি, ফ্রান্স ও বাহরাইনে রপ্তানি করা হয়েছে। যার বাজার মূল্য ৭০ লাখ ১৮ হাজার ২৫২ টাকা।
এ বছরও সলিডারিডাড নেটওয়ার্ক এশিয়া ও সহযোগী সংস্থা উত্তরণের বাস্তবায়নে সফল প্রকল্পের ৫০০ জন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত আমচাষির কাছ থেকে শুরু হয়েছে রপ্তানি কার্যক্রম। এ বছরের মে মাসের শুরুতে ১০০ কেজি গোবিন্দভোগ আম পরীক্ষামূলকভাবে হংকংয়ে এসিআই লজিস্টিক লিমিটেডের মাধ্যমে রপ্তানি করা হয়। গত ১৬ মে সাতক্ষীরা থেকে ৪০০ কেজি হিমসাগর আম জিএল ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের মাধ্যমে লন্ডনে রপ্তানি করা হয়। আজ কলারোয়া থেকে ২ হাজার কেজি আম লন্ডনে রপ্তানির জন্য শুভ উদ্বোধন করেছেন জেলা প্রশাসক হুমায়ূন কবির। প্রতি মণ আম ৩ হাজার ৫০০ টাকা দরে রপ্তানি করা হয়েছে।
সলিডারিডাড নেটওয়ার্ক এশিয়া সফল প্রকল্পের সাতক্ষীরার প্রোগ্রাম অফিসার ও সাপ্লাই চেইন মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, জেলার ৫০০ জন আমচাষির মধ্যে কলারোয়ার ২৩৯ জনকে নিরাপদ বিষ মুক্ত আম চাষের জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। বিশ্ব জুড়ে ভারত, পাকিস্তান ও মিসরের আমের থেকেও কলারোয়ার হিমসাগর আমের সুনাম রয়েছে। এ সকল আম লন্ডন, ইংল্যান্ড, জার্মানি, ইতালি, ফ্রান্স ও ডেনমার্কে যাবে।
কলারোয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা (ইউএনও) কৃষিবিদ রফিকুল ইসলাম বলেন, উপজেলার ৬২৫ হেক্টর জমিতে প্রায় ২৪৮ জনের মতো চাষি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতা ও পরামর্শে সুস্বাদু ও বিষমুক্ত আম চাষ করেছেন। গত বছর প্রতিমণ ৩ হাজার ২০০ টাকা দরে ৮৫ টন হিমসাগর আম উত্তরণ সলিডারিডাড নেটওয়ার্ক এশিয়ার ব্যবস্থাপনায় ইউরোপে রপ্তানি করা হয়েছিল। এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় প্রতিটি বাগানের আমের মুকুল ৫০ শতাংশ ঝরে পড়েছে। এ ক্ষেত্রে আমের উৎপাদন হ্রাস পাওয়ায় চাষিরাও অনেকটা ক্ষতির মুখে রয়েছে। ন্যায্যমূল্যে আম বিক্রি করতে পারলে চাষিরা ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারবেন।
এ বছর হিমসাগর আম বিদেশে রপ্তানির জন্য প্রতিমণ ৩ হাজার ৫০০ টাকা থেকে ৩ হাজার ৭০০ টাকা দরে বায়ার কোম্পানির মাধ্যমে বিক্রি করতে পারছে। এ বছর জেলায় ১০০ টন আম রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। পরে গোবিন্দভোগ, ল্যাংড়া ও আম্রপালি নির্দিষ্ট সময়ের পর বিক্রি করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুলী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক হুমায়ূন কবির। তিনি বিষমুক্ত নিরাপদ সুস্বাদু হিমসাগর আম জিয়েল ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড বায়ার কোম্পানির মাধ্যমে লন্ডনে রপ্তানি কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন। এ সময় তিনি বলেন, সাতক্ষীরার সুস্বাদু হিমসাগর আম এখন সাতক্ষীরা জেলার মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। অন্যান্য জেলার থেকে সাতক্ষীরা আমের ঘ্রাণ বেশি ও স্বাদ অতি সুস্বাদু। অপরদিকে, ফল নিরাপদ ও বিষমুক্ত হওয়ায় কয়েক বছরের ব্যবধানে বিভিন্ন দেশে সুনাম অর্জন করেছে। এ কারণে এখন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করা হচ্ছে।
জেলা প্রশাসক আরও বলেন, আমের সুনাম অক্ষুণ্ন রাখতে চাষি ও বায়ারদের ফরমালিন ব্যবহার না করে নিরাপদ ও বিষ মুক্তভাবেই চাষাবাদ এবং বাজারজাত করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধনের আগে হিমসাগর আমের বাগান ঘুরে দেখেন জেলা প্রশাসক। পরবর্তীতে আম কেটে পরীক্ষা করে চাষি ও বায়ারদের বাজারজাতকরণের অনুমতি দেন।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন-উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা, কলারোয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দীন মৃধা, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের জেলা মার্কেটিং অফিসার এসএম আব্দুল্লাহ, এনডিসি মহিউদ্দিন, অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট বাপ্পা দত্ত রনি, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সুলতানা জাহান, কেরেলকাতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোরশেদ আলী ভিপিসহ সলিডারিডাড নেটওয়ার্ক এশিয়া উত্তরণ সফল প্রকল্পের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও আমচাষিরা।

সাতক্ষীরার কলারোয়া থেকে মৌসুমের শুরুতে ২ হাজার কেজি হিমসাগর আম রপ্তানির কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার ৮ নম্বর কেরেলকাতা ইউনিয়ন ইলিশপুর গ্রামের কবিরুল ইসলাম ডবলুর আমবাগান থেকে এ কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়।
সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ নুরুল ইসলাম বলেন, জেলায় হিমসাগর ১ হাজার ৫৫০ হেক্টর, ল্যাংড়া ৫৬৪ হেক্টর, আম্রপালি ৮৯৯ হেক্টর, গোপালভোগ ২১৯ হেক্টর, গোবিন্দভোগ ৩৫২ হেক্টর, বোম্বাই ৫০ হেক্টর, লতা ১৫৩ হেক্টর, মল্লিকা ৮০ হেক্টর ও ২৩১ হেক্টর জমিতে অন্য জাতের আমের চাষ হয়েছে। আমের বাগান রয়েছে ৫ হাজার ২৯৯ টি। আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪০ হাজার টন। প্রতি হেক্টর জমিতে এ বছর আমের উৎপাদন হয়েছে ১০-১১ টন। জার্মানি, ইতালি, ইংল্যান্ড ও ফ্রান্সে সর্বমোট আম রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ৬০০ টন। ২০১৬ সাল থেকে সাতক্ষীরার আম প্রথম ইতালিতে রপ্তানি শুরু হয়। বর্তমানে জেলায় চাষির সংখ্যা রয়েছে ১৩ হাজার ১০০ জন।
সলিডারিডাড নেটওয়ার্ক এশিয়া যশোর ফ্রুটস অ্যান্ড ভেজিটেবল কমোডটি ম্যানেজার ড. নাজমুন নাহার বলেন, সলিডারিডাড নেটওয়ার্ক এশিয়া এবং এর সহযোগী সংস্থা উত্তরণ কর্তৃক বাস্তবায়িত সফল প্রকল্পটি নেদারল্যান্ড দূতাবাসের আর্থিক সহায়তায় উপজেলার মোট ৫০০ জন আমচাষি ২০১৩ সাল থেকে কৃষি চর্চার মাধ্যমে উৎপাদন ও বাজারজাতকরণে চাষিদের দক্ষতা উন্নয়নে কাজ করছে। সফল প্রকল্পের মাধ্যমে ২০১৬ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ৯৬ দশমিক ১ টন আম জার্মানি, ইতালি, ফ্রান্স ও বাহরাইনে রপ্তানি করা হয়েছে। যার বাজার মূল্য ৭০ লাখ ১৮ হাজার ২৫২ টাকা।
এ বছরও সলিডারিডাড নেটওয়ার্ক এশিয়া ও সহযোগী সংস্থা উত্তরণের বাস্তবায়নে সফল প্রকল্পের ৫০০ জন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত আমচাষির কাছ থেকে শুরু হয়েছে রপ্তানি কার্যক্রম। এ বছরের মে মাসের শুরুতে ১০০ কেজি গোবিন্দভোগ আম পরীক্ষামূলকভাবে হংকংয়ে এসিআই লজিস্টিক লিমিটেডের মাধ্যমে রপ্তানি করা হয়। গত ১৬ মে সাতক্ষীরা থেকে ৪০০ কেজি হিমসাগর আম জিএল ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের মাধ্যমে লন্ডনে রপ্তানি করা হয়। আজ কলারোয়া থেকে ২ হাজার কেজি আম লন্ডনে রপ্তানির জন্য শুভ উদ্বোধন করেছেন জেলা প্রশাসক হুমায়ূন কবির। প্রতি মণ আম ৩ হাজার ৫০০ টাকা দরে রপ্তানি করা হয়েছে।
সলিডারিডাড নেটওয়ার্ক এশিয়া সফল প্রকল্পের সাতক্ষীরার প্রোগ্রাম অফিসার ও সাপ্লাই চেইন মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, জেলার ৫০০ জন আমচাষির মধ্যে কলারোয়ার ২৩৯ জনকে নিরাপদ বিষ মুক্ত আম চাষের জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। বিশ্ব জুড়ে ভারত, পাকিস্তান ও মিসরের আমের থেকেও কলারোয়ার হিমসাগর আমের সুনাম রয়েছে। এ সকল আম লন্ডন, ইংল্যান্ড, জার্মানি, ইতালি, ফ্রান্স ও ডেনমার্কে যাবে।
কলারোয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা (ইউএনও) কৃষিবিদ রফিকুল ইসলাম বলেন, উপজেলার ৬২৫ হেক্টর জমিতে প্রায় ২৪৮ জনের মতো চাষি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতা ও পরামর্শে সুস্বাদু ও বিষমুক্ত আম চাষ করেছেন। গত বছর প্রতিমণ ৩ হাজার ২০০ টাকা দরে ৮৫ টন হিমসাগর আম উত্তরণ সলিডারিডাড নেটওয়ার্ক এশিয়ার ব্যবস্থাপনায় ইউরোপে রপ্তানি করা হয়েছিল। এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় প্রতিটি বাগানের আমের মুকুল ৫০ শতাংশ ঝরে পড়েছে। এ ক্ষেত্রে আমের উৎপাদন হ্রাস পাওয়ায় চাষিরাও অনেকটা ক্ষতির মুখে রয়েছে। ন্যায্যমূল্যে আম বিক্রি করতে পারলে চাষিরা ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারবেন।
এ বছর হিমসাগর আম বিদেশে রপ্তানির জন্য প্রতিমণ ৩ হাজার ৫০০ টাকা থেকে ৩ হাজার ৭০০ টাকা দরে বায়ার কোম্পানির মাধ্যমে বিক্রি করতে পারছে। এ বছর জেলায় ১০০ টন আম রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। পরে গোবিন্দভোগ, ল্যাংড়া ও আম্রপালি নির্দিষ্ট সময়ের পর বিক্রি করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুলী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক হুমায়ূন কবির। তিনি বিষমুক্ত নিরাপদ সুস্বাদু হিমসাগর আম জিয়েল ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড বায়ার কোম্পানির মাধ্যমে লন্ডনে রপ্তানি কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন। এ সময় তিনি বলেন, সাতক্ষীরার সুস্বাদু হিমসাগর আম এখন সাতক্ষীরা জেলার মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। অন্যান্য জেলার থেকে সাতক্ষীরা আমের ঘ্রাণ বেশি ও স্বাদ অতি সুস্বাদু। অপরদিকে, ফল নিরাপদ ও বিষমুক্ত হওয়ায় কয়েক বছরের ব্যবধানে বিভিন্ন দেশে সুনাম অর্জন করেছে। এ কারণে এখন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করা হচ্ছে।
জেলা প্রশাসক আরও বলেন, আমের সুনাম অক্ষুণ্ন রাখতে চাষি ও বায়ারদের ফরমালিন ব্যবহার না করে নিরাপদ ও বিষ মুক্তভাবেই চাষাবাদ এবং বাজারজাত করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধনের আগে হিমসাগর আমের বাগান ঘুরে দেখেন জেলা প্রশাসক। পরবর্তীতে আম কেটে পরীক্ষা করে চাষি ও বায়ারদের বাজারজাতকরণের অনুমতি দেন।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন-উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা, কলারোয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দীন মৃধা, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের জেলা মার্কেটিং অফিসার এসএম আব্দুল্লাহ, এনডিসি মহিউদ্দিন, অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট বাপ্পা দত্ত রনি, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সুলতানা জাহান, কেরেলকাতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোরশেদ আলী ভিপিসহ সলিডারিডাড নেটওয়ার্ক এশিয়া উত্তরণ সফল প্রকল্পের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও আমচাষিরা।
কলারোয়া (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি

সাতক্ষীরার কলারোয়া থেকে মৌসুমের শুরুতে ২ হাজার কেজি হিমসাগর আম রপ্তানির কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার ৮ নম্বর কেরেলকাতা ইউনিয়ন ইলিশপুর গ্রামের কবিরুল ইসলাম ডবলুর আমবাগান থেকে এ কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়।
সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ নুরুল ইসলাম বলেন, জেলায় হিমসাগর ১ হাজার ৫৫০ হেক্টর, ল্যাংড়া ৫৬৪ হেক্টর, আম্রপালি ৮৯৯ হেক্টর, গোপালভোগ ২১৯ হেক্টর, গোবিন্দভোগ ৩৫২ হেক্টর, বোম্বাই ৫০ হেক্টর, লতা ১৫৩ হেক্টর, মল্লিকা ৮০ হেক্টর ও ২৩১ হেক্টর জমিতে অন্য জাতের আমের চাষ হয়েছে। আমের বাগান রয়েছে ৫ হাজার ২৯৯ টি। আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪০ হাজার টন। প্রতি হেক্টর জমিতে এ বছর আমের উৎপাদন হয়েছে ১০-১১ টন। জার্মানি, ইতালি, ইংল্যান্ড ও ফ্রান্সে সর্বমোট আম রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ৬০০ টন। ২০১৬ সাল থেকে সাতক্ষীরার আম প্রথম ইতালিতে রপ্তানি শুরু হয়। বর্তমানে জেলায় চাষির সংখ্যা রয়েছে ১৩ হাজার ১০০ জন।
সলিডারিডাড নেটওয়ার্ক এশিয়া যশোর ফ্রুটস অ্যান্ড ভেজিটেবল কমোডটি ম্যানেজার ড. নাজমুন নাহার বলেন, সলিডারিডাড নেটওয়ার্ক এশিয়া এবং এর সহযোগী সংস্থা উত্তরণ কর্তৃক বাস্তবায়িত সফল প্রকল্পটি নেদারল্যান্ড দূতাবাসের আর্থিক সহায়তায় উপজেলার মোট ৫০০ জন আমচাষি ২০১৩ সাল থেকে কৃষি চর্চার মাধ্যমে উৎপাদন ও বাজারজাতকরণে চাষিদের দক্ষতা উন্নয়নে কাজ করছে। সফল প্রকল্পের মাধ্যমে ২০১৬ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ৯৬ দশমিক ১ টন আম জার্মানি, ইতালি, ফ্রান্স ও বাহরাইনে রপ্তানি করা হয়েছে। যার বাজার মূল্য ৭০ লাখ ১৮ হাজার ২৫২ টাকা।
এ বছরও সলিডারিডাড নেটওয়ার্ক এশিয়া ও সহযোগী সংস্থা উত্তরণের বাস্তবায়নে সফল প্রকল্পের ৫০০ জন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত আমচাষির কাছ থেকে শুরু হয়েছে রপ্তানি কার্যক্রম। এ বছরের মে মাসের শুরুতে ১০০ কেজি গোবিন্দভোগ আম পরীক্ষামূলকভাবে হংকংয়ে এসিআই লজিস্টিক লিমিটেডের মাধ্যমে রপ্তানি করা হয়। গত ১৬ মে সাতক্ষীরা থেকে ৪০০ কেজি হিমসাগর আম জিএল ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের মাধ্যমে লন্ডনে রপ্তানি করা হয়। আজ কলারোয়া থেকে ২ হাজার কেজি আম লন্ডনে রপ্তানির জন্য শুভ উদ্বোধন করেছেন জেলা প্রশাসক হুমায়ূন কবির। প্রতি মণ আম ৩ হাজার ৫০০ টাকা দরে রপ্তানি করা হয়েছে।
সলিডারিডাড নেটওয়ার্ক এশিয়া সফল প্রকল্পের সাতক্ষীরার প্রোগ্রাম অফিসার ও সাপ্লাই চেইন মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, জেলার ৫০০ জন আমচাষির মধ্যে কলারোয়ার ২৩৯ জনকে নিরাপদ বিষ মুক্ত আম চাষের জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। বিশ্ব জুড়ে ভারত, পাকিস্তান ও মিসরের আমের থেকেও কলারোয়ার হিমসাগর আমের সুনাম রয়েছে। এ সকল আম লন্ডন, ইংল্যান্ড, জার্মানি, ইতালি, ফ্রান্স ও ডেনমার্কে যাবে।
কলারোয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা (ইউএনও) কৃষিবিদ রফিকুল ইসলাম বলেন, উপজেলার ৬২৫ হেক্টর জমিতে প্রায় ২৪৮ জনের মতো চাষি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতা ও পরামর্শে সুস্বাদু ও বিষমুক্ত আম চাষ করেছেন। গত বছর প্রতিমণ ৩ হাজার ২০০ টাকা দরে ৮৫ টন হিমসাগর আম উত্তরণ সলিডারিডাড নেটওয়ার্ক এশিয়ার ব্যবস্থাপনায় ইউরোপে রপ্তানি করা হয়েছিল। এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় প্রতিটি বাগানের আমের মুকুল ৫০ শতাংশ ঝরে পড়েছে। এ ক্ষেত্রে আমের উৎপাদন হ্রাস পাওয়ায় চাষিরাও অনেকটা ক্ষতির মুখে রয়েছে। ন্যায্যমূল্যে আম বিক্রি করতে পারলে চাষিরা ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারবেন।
এ বছর হিমসাগর আম বিদেশে রপ্তানির জন্য প্রতিমণ ৩ হাজার ৫০০ টাকা থেকে ৩ হাজার ৭০০ টাকা দরে বায়ার কোম্পানির মাধ্যমে বিক্রি করতে পারছে। এ বছর জেলায় ১০০ টন আম রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। পরে গোবিন্দভোগ, ল্যাংড়া ও আম্রপালি নির্দিষ্ট সময়ের পর বিক্রি করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুলী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক হুমায়ূন কবির। তিনি বিষমুক্ত নিরাপদ সুস্বাদু হিমসাগর আম জিয়েল ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড বায়ার কোম্পানির মাধ্যমে লন্ডনে রপ্তানি কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন। এ সময় তিনি বলেন, সাতক্ষীরার সুস্বাদু হিমসাগর আম এখন সাতক্ষীরা জেলার মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। অন্যান্য জেলার থেকে সাতক্ষীরা আমের ঘ্রাণ বেশি ও স্বাদ অতি সুস্বাদু। অপরদিকে, ফল নিরাপদ ও বিষমুক্ত হওয়ায় কয়েক বছরের ব্যবধানে বিভিন্ন দেশে সুনাম অর্জন করেছে। এ কারণে এখন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করা হচ্ছে।
জেলা প্রশাসক আরও বলেন, আমের সুনাম অক্ষুণ্ন রাখতে চাষি ও বায়ারদের ফরমালিন ব্যবহার না করে নিরাপদ ও বিষ মুক্তভাবেই চাষাবাদ এবং বাজারজাত করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধনের আগে হিমসাগর আমের বাগান ঘুরে দেখেন জেলা প্রশাসক। পরবর্তীতে আম কেটে পরীক্ষা করে চাষি ও বায়ারদের বাজারজাতকরণের অনুমতি দেন।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন-উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা, কলারোয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দীন মৃধা, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের জেলা মার্কেটিং অফিসার এসএম আব্দুল্লাহ, এনডিসি মহিউদ্দিন, অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট বাপ্পা দত্ত রনি, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সুলতানা জাহান, কেরেলকাতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোরশেদ আলী ভিপিসহ সলিডারিডাড নেটওয়ার্ক এশিয়া উত্তরণ সফল প্রকল্পের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও আমচাষিরা।

সাতক্ষীরার কলারোয়া থেকে মৌসুমের শুরুতে ২ হাজার কেজি হিমসাগর আম রপ্তানির কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার ৮ নম্বর কেরেলকাতা ইউনিয়ন ইলিশপুর গ্রামের কবিরুল ইসলাম ডবলুর আমবাগান থেকে এ কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়।
সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ নুরুল ইসলাম বলেন, জেলায় হিমসাগর ১ হাজার ৫৫০ হেক্টর, ল্যাংড়া ৫৬৪ হেক্টর, আম্রপালি ৮৯৯ হেক্টর, গোপালভোগ ২১৯ হেক্টর, গোবিন্দভোগ ৩৫২ হেক্টর, বোম্বাই ৫০ হেক্টর, লতা ১৫৩ হেক্টর, মল্লিকা ৮০ হেক্টর ও ২৩১ হেক্টর জমিতে অন্য জাতের আমের চাষ হয়েছে। আমের বাগান রয়েছে ৫ হাজার ২৯৯ টি। আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪০ হাজার টন। প্রতি হেক্টর জমিতে এ বছর আমের উৎপাদন হয়েছে ১০-১১ টন। জার্মানি, ইতালি, ইংল্যান্ড ও ফ্রান্সে সর্বমোট আম রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ৬০০ টন। ২০১৬ সাল থেকে সাতক্ষীরার আম প্রথম ইতালিতে রপ্তানি শুরু হয়। বর্তমানে জেলায় চাষির সংখ্যা রয়েছে ১৩ হাজার ১০০ জন।
সলিডারিডাড নেটওয়ার্ক এশিয়া যশোর ফ্রুটস অ্যান্ড ভেজিটেবল কমোডটি ম্যানেজার ড. নাজমুন নাহার বলেন, সলিডারিডাড নেটওয়ার্ক এশিয়া এবং এর সহযোগী সংস্থা উত্তরণ কর্তৃক বাস্তবায়িত সফল প্রকল্পটি নেদারল্যান্ড দূতাবাসের আর্থিক সহায়তায় উপজেলার মোট ৫০০ জন আমচাষি ২০১৩ সাল থেকে কৃষি চর্চার মাধ্যমে উৎপাদন ও বাজারজাতকরণে চাষিদের দক্ষতা উন্নয়নে কাজ করছে। সফল প্রকল্পের মাধ্যমে ২০১৬ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ৯৬ দশমিক ১ টন আম জার্মানি, ইতালি, ফ্রান্স ও বাহরাইনে রপ্তানি করা হয়েছে। যার বাজার মূল্য ৭০ লাখ ১৮ হাজার ২৫২ টাকা।
এ বছরও সলিডারিডাড নেটওয়ার্ক এশিয়া ও সহযোগী সংস্থা উত্তরণের বাস্তবায়নে সফল প্রকল্পের ৫০০ জন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত আমচাষির কাছ থেকে শুরু হয়েছে রপ্তানি কার্যক্রম। এ বছরের মে মাসের শুরুতে ১০০ কেজি গোবিন্দভোগ আম পরীক্ষামূলকভাবে হংকংয়ে এসিআই লজিস্টিক লিমিটেডের মাধ্যমে রপ্তানি করা হয়। গত ১৬ মে সাতক্ষীরা থেকে ৪০০ কেজি হিমসাগর আম জিএল ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের মাধ্যমে লন্ডনে রপ্তানি করা হয়। আজ কলারোয়া থেকে ২ হাজার কেজি আম লন্ডনে রপ্তানির জন্য শুভ উদ্বোধন করেছেন জেলা প্রশাসক হুমায়ূন কবির। প্রতি মণ আম ৩ হাজার ৫০০ টাকা দরে রপ্তানি করা হয়েছে।
সলিডারিডাড নেটওয়ার্ক এশিয়া সফল প্রকল্পের সাতক্ষীরার প্রোগ্রাম অফিসার ও সাপ্লাই চেইন মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, জেলার ৫০০ জন আমচাষির মধ্যে কলারোয়ার ২৩৯ জনকে নিরাপদ বিষ মুক্ত আম চাষের জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। বিশ্ব জুড়ে ভারত, পাকিস্তান ও মিসরের আমের থেকেও কলারোয়ার হিমসাগর আমের সুনাম রয়েছে। এ সকল আম লন্ডন, ইংল্যান্ড, জার্মানি, ইতালি, ফ্রান্স ও ডেনমার্কে যাবে।
কলারোয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা (ইউএনও) কৃষিবিদ রফিকুল ইসলাম বলেন, উপজেলার ৬২৫ হেক্টর জমিতে প্রায় ২৪৮ জনের মতো চাষি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতা ও পরামর্শে সুস্বাদু ও বিষমুক্ত আম চাষ করেছেন। গত বছর প্রতিমণ ৩ হাজার ২০০ টাকা দরে ৮৫ টন হিমসাগর আম উত্তরণ সলিডারিডাড নেটওয়ার্ক এশিয়ার ব্যবস্থাপনায় ইউরোপে রপ্তানি করা হয়েছিল। এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় প্রতিটি বাগানের আমের মুকুল ৫০ শতাংশ ঝরে পড়েছে। এ ক্ষেত্রে আমের উৎপাদন হ্রাস পাওয়ায় চাষিরাও অনেকটা ক্ষতির মুখে রয়েছে। ন্যায্যমূল্যে আম বিক্রি করতে পারলে চাষিরা ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারবেন।
এ বছর হিমসাগর আম বিদেশে রপ্তানির জন্য প্রতিমণ ৩ হাজার ৫০০ টাকা থেকে ৩ হাজার ৭০০ টাকা দরে বায়ার কোম্পানির মাধ্যমে বিক্রি করতে পারছে। এ বছর জেলায় ১০০ টন আম রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। পরে গোবিন্দভোগ, ল্যাংড়া ও আম্রপালি নির্দিষ্ট সময়ের পর বিক্রি করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুলী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক হুমায়ূন কবির। তিনি বিষমুক্ত নিরাপদ সুস্বাদু হিমসাগর আম জিয়েল ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড বায়ার কোম্পানির মাধ্যমে লন্ডনে রপ্তানি কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন। এ সময় তিনি বলেন, সাতক্ষীরার সুস্বাদু হিমসাগর আম এখন সাতক্ষীরা জেলার মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। অন্যান্য জেলার থেকে সাতক্ষীরা আমের ঘ্রাণ বেশি ও স্বাদ অতি সুস্বাদু। অপরদিকে, ফল নিরাপদ ও বিষমুক্ত হওয়ায় কয়েক বছরের ব্যবধানে বিভিন্ন দেশে সুনাম অর্জন করেছে। এ কারণে এখন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করা হচ্ছে।
জেলা প্রশাসক আরও বলেন, আমের সুনাম অক্ষুণ্ন রাখতে চাষি ও বায়ারদের ফরমালিন ব্যবহার না করে নিরাপদ ও বিষ মুক্তভাবেই চাষাবাদ এবং বাজারজাত করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধনের আগে হিমসাগর আমের বাগান ঘুরে দেখেন জেলা প্রশাসক। পরবর্তীতে আম কেটে পরীক্ষা করে চাষি ও বায়ারদের বাজারজাতকরণের অনুমতি দেন।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন-উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা, কলারোয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দীন মৃধা, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের জেলা মার্কেটিং অফিসার এসএম আব্দুল্লাহ, এনডিসি মহিউদ্দিন, অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট বাপ্পা দত্ত রনি, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সুলতানা জাহান, কেরেলকাতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোরশেদ আলী ভিপিসহ সলিডারিডাড নেটওয়ার্ক এশিয়া উত্তরণ সফল প্রকল্পের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও আমচাষিরা।

পরিবারের সদস্যদের দাবি, মঙ্গলবার রাত আনুমানিক ২টার দিকে হঠাৎ শিশুটির খিঁচুনি শুরু হয়। বিষয়টি জানানো হলেও তখন কোনো চিকিৎসক শিশুটিকে দেখতে আসেননি। বুধবার সকাল ৮টার দিকে নার্স হেপি দাস শিশুটিকে একটি ইনজেকশন দেন। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই শিশুটির মৃত্যু হয়।
২ মিনিট আগে
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে নিষিদ্ধঘোষিত আওয়ামী লীগের পৌর শাখার সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন পাটোয়ারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার ভোরে উপজেলার পাঁচড়া এলাকার রাস্তার মাথা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২১ মিনিট আগে
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ‘মুক্তিযুদ্ধের গল্পে রাজাকারের পাঠ’ শীর্ষক নাটক মঞ্চায়ন নিয়ে তীব্র উত্তেজনা ছড়ালো লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলায়। নাটকে রাজাকারের চরিত্রে অভিনেতাদের পাঞ্জাবি ও টুপি পরিধান এবং নারী নির্যাতনের দৃশ্য প্রদর্শিত হওয়ায় জামায়াতে ইসলামীর স্থানীয় নেতারা বাধা দেন।
৩০ মিনিট আগে
কমলাচাষি খয়বর রহমান জানান, তাঁর বাগানের ১১টি গাছে বর্তমানে ১০০ কেজির বেশি কমলা রয়েছে। শুরুতে নিছক শখের বসে বাগান করলেও এখন এটি লাভজনক হবে বলে আশা করছেন তিনি। চলতি মৌসুমে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকার কমলা বিক্রি করতে পারবেন বলে ধারণা তাঁর। আগামী বছর পূর্ণমাত্রায় ফলন এলে বিক্রি ১ লাখ টাকার বেশি হবে বলে আশা
১ ঘণ্টা আগেজগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে নার্সের অবহেলায় এক নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। বুধবার সকাল ৮টার দিকে জগন্নাথপুর নগর মাতৃসদন ও নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় নবজাতকের বাবা জাকির হোসেন থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার পাটলী ইউনিয়নের সমশপুর গ্রামের জাকির হোসেন গত শনিবার রাতে তাঁর গর্ভবতী স্ত্রী মারজানা বেগমকে জগন্নাথপুর নগর মাতৃসদন ও নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করেন। পরদিন রোববার সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে একটি কন্যাশিশুর জন্ম হয়। জন্মের পর থেকে শিশুটি সুস্থ ছিল।
পরিবারের সদস্যদের দাবি, মঙ্গলবার রাত আনুমানিক ২টার দিকে হঠাৎ শিশুটির খিঁচুনি শুরু হয়। বিষয়টি জানানো হলেও তখন কোনো চিকিৎসক শিশুটিকে দেখতে আসেননি। বুধবার সকাল ৮টার দিকে নার্স হেপি দাস শিশুটিকে একটি ইনজেকশন দেন। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই শিশুটির মৃত্যু হয়।
নবজাতকের ফুফু তাসলিমা বেগম বলেন, জন্মের পর শিশুটি ভালোই ছিল। শিশুটির হাতে একটি ক্যানুলা লাগানো ছিল, যার কারণে হাত ফুলে যায়। রাতে খিঁচুনি শুরু হলে বারবার নার্সকে জানানো হলেও ক্যানুলাটি খোলা হয়নি। বরং নার্স তাঁদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন এবং কোনো চিকিৎসকও আসেননি। পরে সকালে ইনজেকশন দেওয়ার পর শিশুটি মারা যায়।
নবজাতকের বাবা জাকির হোসেন বলেন, ‘রাত ২টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত কোনো চিকিৎসক আসেননি। সকালে নার্স ইনজেকশন দেওয়ার পর আমার মেয়ে মারা যায়। আমার মেয়েকে ভুল চিকিৎসা দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আমি এর সঠিক বিচার চাই।’
জগন্নাথপুর নগর মাতৃসদন ও নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্রের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) মাহবুব আলম মিজু বলেন, জন্মের পর শিশুটি সুস্থ ছিল। হঠাৎ শিশুর অবস্থার অবনতি হয়েছে—এ বিষয়ে নার্স বা স্বজনদের কেউ তাঁকে অবহিত করেননি। তিনি বলেন, শিশুকে মায়ের দুধ খাওয়ানোর সময় কোনো ত্রুটি হলেও ঝুঁকি তৈরি হতে পারে। তবে নার্সের অবহেলার অভিযোগটি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নিয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
জগন্নাথপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক হাফিজুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে নার্সের অবহেলায় এক নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। বুধবার সকাল ৮টার দিকে জগন্নাথপুর নগর মাতৃসদন ও নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় নবজাতকের বাবা জাকির হোসেন থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার পাটলী ইউনিয়নের সমশপুর গ্রামের জাকির হোসেন গত শনিবার রাতে তাঁর গর্ভবতী স্ত্রী মারজানা বেগমকে জগন্নাথপুর নগর মাতৃসদন ও নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করেন। পরদিন রোববার সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে একটি কন্যাশিশুর জন্ম হয়। জন্মের পর থেকে শিশুটি সুস্থ ছিল।
পরিবারের সদস্যদের দাবি, মঙ্গলবার রাত আনুমানিক ২টার দিকে হঠাৎ শিশুটির খিঁচুনি শুরু হয়। বিষয়টি জানানো হলেও তখন কোনো চিকিৎসক শিশুটিকে দেখতে আসেননি। বুধবার সকাল ৮টার দিকে নার্স হেপি দাস শিশুটিকে একটি ইনজেকশন দেন। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই শিশুটির মৃত্যু হয়।
নবজাতকের ফুফু তাসলিমা বেগম বলেন, জন্মের পর শিশুটি ভালোই ছিল। শিশুটির হাতে একটি ক্যানুলা লাগানো ছিল, যার কারণে হাত ফুলে যায়। রাতে খিঁচুনি শুরু হলে বারবার নার্সকে জানানো হলেও ক্যানুলাটি খোলা হয়নি। বরং নার্স তাঁদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন এবং কোনো চিকিৎসকও আসেননি। পরে সকালে ইনজেকশন দেওয়ার পর শিশুটি মারা যায়।
নবজাতকের বাবা জাকির হোসেন বলেন, ‘রাত ২টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত কোনো চিকিৎসক আসেননি। সকালে নার্স ইনজেকশন দেওয়ার পর আমার মেয়ে মারা যায়। আমার মেয়েকে ভুল চিকিৎসা দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আমি এর সঠিক বিচার চাই।’
জগন্নাথপুর নগর মাতৃসদন ও নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্রের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) মাহবুব আলম মিজু বলেন, জন্মের পর শিশুটি সুস্থ ছিল। হঠাৎ শিশুর অবস্থার অবনতি হয়েছে—এ বিষয়ে নার্স বা স্বজনদের কেউ তাঁকে অবহিত করেননি। তিনি বলেন, শিশুকে মায়ের দুধ খাওয়ানোর সময় কোনো ত্রুটি হলেও ঝুঁকি তৈরি হতে পারে। তবে নার্সের অবহেলার অভিযোগটি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নিয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
জগন্নাথপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক হাফিজুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সাতক্ষীরার কলারোয়া থেকে মৌসুমের শুরুতে ২ হাজার কেজি হিমসাগর আম রপ্তানির কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার ৮ নম্বর কেরেলকাতা ইউনিয়ন ইলিশপুর গ্রামের কবিরুল ইসলাম
১৯ মে ২০২২
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে নিষিদ্ধঘোষিত আওয়ামী লীগের পৌর শাখার সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন পাটোয়ারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার ভোরে উপজেলার পাঁচড়া এলাকার রাস্তার মাথা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২১ মিনিট আগে
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ‘মুক্তিযুদ্ধের গল্পে রাজাকারের পাঠ’ শীর্ষক নাটক মঞ্চায়ন নিয়ে তীব্র উত্তেজনা ছড়ালো লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলায়। নাটকে রাজাকারের চরিত্রে অভিনেতাদের পাঞ্জাবি ও টুপি পরিধান এবং নারী নির্যাতনের দৃশ্য প্রদর্শিত হওয়ায় জামায়াতে ইসলামীর স্থানীয় নেতারা বাধা দেন।
৩০ মিনিট আগে
কমলাচাষি খয়বর রহমান জানান, তাঁর বাগানের ১১টি গাছে বর্তমানে ১০০ কেজির বেশি কমলা রয়েছে। শুরুতে নিছক শখের বসে বাগান করলেও এখন এটি লাভজনক হবে বলে আশা করছেন তিনি। চলতি মৌসুমে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকার কমলা বিক্রি করতে পারবেন বলে ধারণা তাঁর। আগামী বছর পূর্ণমাত্রায় ফলন এলে বিক্রি ১ লাখ টাকার বেশি হবে বলে আশা
১ ঘণ্টা আগেচৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে নিষিদ্ধঘোষিত আওয়ামী লীগের পৌর শাখার সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন পাটোয়ারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার ভোরে উপজেলার পাঁচড়া এলাকার রাস্তার মাথা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জাকির হোসেন পাটোয়ারী পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের পাঁচড়া পাটোয়ারী বাড়ির মৃত হাফেজ মিয়ার ছেলে। বিষয়টি বুধবার সকালে চৌদ্দগ্রাম মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ছানাউল্লাহ নিশ্চিত করেন।
পুলিশ জানায়, জাকির হোসেন পাটোয়ারীর বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় তৎকালীন বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা ও মামলা দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর তিনি আত্মগোপনে চলে যান। তাঁর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা রয়েছে এবং দীর্ঘদিন তিনি পলাতক ছিলেন।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে আজ ভোরে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানায় পুলিশ। দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জাকির হোসেন পাটোয়ারীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে নিষিদ্ধঘোষিত আওয়ামী লীগের পৌর শাখার সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন পাটোয়ারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার ভোরে উপজেলার পাঁচড়া এলাকার রাস্তার মাথা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জাকির হোসেন পাটোয়ারী পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের পাঁচড়া পাটোয়ারী বাড়ির মৃত হাফেজ মিয়ার ছেলে। বিষয়টি বুধবার সকালে চৌদ্দগ্রাম মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ছানাউল্লাহ নিশ্চিত করেন।
পুলিশ জানায়, জাকির হোসেন পাটোয়ারীর বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় তৎকালীন বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা ও মামলা দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর তিনি আত্মগোপনে চলে যান। তাঁর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা রয়েছে এবং দীর্ঘদিন তিনি পলাতক ছিলেন।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে আজ ভোরে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানায় পুলিশ। দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জাকির হোসেন পাটোয়ারীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

সাতক্ষীরার কলারোয়া থেকে মৌসুমের শুরুতে ২ হাজার কেজি হিমসাগর আম রপ্তানির কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার ৮ নম্বর কেরেলকাতা ইউনিয়ন ইলিশপুর গ্রামের কবিরুল ইসলাম
১৯ মে ২০২২
পরিবারের সদস্যদের দাবি, মঙ্গলবার রাত আনুমানিক ২টার দিকে হঠাৎ শিশুটির খিঁচুনি শুরু হয়। বিষয়টি জানানো হলেও তখন কোনো চিকিৎসক শিশুটিকে দেখতে আসেননি। বুধবার সকাল ৮টার দিকে নার্স হেপি দাস শিশুটিকে একটি ইনজেকশন দেন। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই শিশুটির মৃত্যু হয়।
২ মিনিট আগে
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ‘মুক্তিযুদ্ধের গল্পে রাজাকারের পাঠ’ শীর্ষক নাটক মঞ্চায়ন নিয়ে তীব্র উত্তেজনা ছড়ালো লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলায়। নাটকে রাজাকারের চরিত্রে অভিনেতাদের পাঞ্জাবি ও টুপি পরিধান এবং নারী নির্যাতনের দৃশ্য প্রদর্শিত হওয়ায় জামায়াতে ইসলামীর স্থানীয় নেতারা বাধা দেন।
৩০ মিনিট আগে
কমলাচাষি খয়বর রহমান জানান, তাঁর বাগানের ১১টি গাছে বর্তমানে ১০০ কেজির বেশি কমলা রয়েছে। শুরুতে নিছক শখের বসে বাগান করলেও এখন এটি লাভজনক হবে বলে আশা করছেন তিনি। চলতি মৌসুমে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকার কমলা বিক্রি করতে পারবেন বলে ধারণা তাঁর। আগামী বছর পূর্ণমাত্রায় ফলন এলে বিক্রি ১ লাখ টাকার বেশি হবে বলে আশা
১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ‘মুক্তিযুদ্ধের গল্পে রাজাকারের পাঠ’ শীর্ষক নাটক মঞ্চায়ন নিয়ে তীব্র উত্তেজনা ছড়ালো লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলায়। নাটকে রাজাকারের চরিত্রে অভিনেতাদের পাঞ্জাবি ও টুপি পরিধান এবং নারী নির্যাতনের দৃশ্য প্রদর্শিত হওয়ায় জামায়াতে ইসলামীর স্থানীয় নেতারা বাধা দেন। তাঁদের অভিযোগ, এই পোশাকে অভিনয় করা ‘মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত’ করেছে।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে উপজেলার আলেকজান্ডার আ স ম আবদুর রব সরকারি কলেজ মাঠে কুচকাওয়াজের পর এই ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরপরই এর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে তা ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়।
প্রত্যক্ষদর্শী এবং ভিডিও ফুটেজ সূত্রে জানা যায়, কলেজটির ১২ থেকে ১৫ জন শিক্ষার্থী নাটকটিতে অংশ নেন, যেখানে মুক্তিযোদ্ধা ও রাজাকারের মধ্যকার সংঘাতময় চিত্র তুলে ধরা হয়। রাজাকারের ভূমিকায় কয়েকজন শিক্ষার্থী পাঞ্জাবি-টুপি পরে অভিনয় করছিলেন। এই দৃশ্যে নারী নির্যাতনের অংশ থাকাকালীন উপজেলা জামায়াতের আমির আবদুর রহিম এবং পৌর আমির আবুল খায়ের মঞ্চে এসে আপত্তি তোলেন। তাঁরা দাবি করেন, এই পোশাকে রাজাকারের চরিত্র চিত্রায়ণ মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানছে। তাঁরা তাৎক্ষণিকভাবে কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মাদ আশরাফ উদ্দিনের কাছে এর ব্যাখ্যা দাবি করেন।
এতে দুই পক্ষের মধ্যে মঞ্চেই শুরু হয় তীব্র বাগ্বিতণ্ডা। পরিস্থিতি যখন উত্তপ্ত হয়ে উঠছিল, তখন ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিলুফা ইয়াসমিন এবং রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিটন দেওয়ানসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। দ্রুত তাঁরা হস্তক্ষেপে করলে পরিস্থিতি শান্ত হয় এবং বিষয়টি আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা হয়।
উপজেলা জামায়াতের আমির আবদুর রহিম তাঁর আপত্তির কারণ ব্যাখ্যা করে বলেন, ‘পাঞ্জাবি-টুপি পরে অভিনয় করায় একজন মুসলমান হিসেবে আমি এটি মেনে নিতে পারিনি। তাই আমরা প্রতিবাদ জানিয়ে এর ব্যাখ্যা জানতে চেয়েছিলাম। পরে ইউএনও ও ওসি সাহেবের মধ্যস্থতায় বিষয়টির সমাধান হয়েছে।’
কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মাদ আশরাফ উদ্দিন এই ঘটনাকে ‘ভুল–বোঝাবুঝি’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন। তিনি বলেন, পরে সংশ্লিষ্ট সবাই মিলে বিষয়টি সমাধান করা হয়েছে।
রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিটন দেওয়ান ঘটনাটি নিশ্চিত করে বলেন, অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে নাটক চলাকালে পাঞ্জাবি-টুপি ব্যবহার নিয়ে এক পক্ষ আপত্তি তোলায় কিছুটা কথা-কাটাকাটি হয়েছিল। তবে প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপে দ্রুতই বিষয়টির সমাধান করা হয় এবং কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ‘মুক্তিযুদ্ধের গল্পে রাজাকারের পাঠ’ শীর্ষক নাটক মঞ্চায়ন নিয়ে তীব্র উত্তেজনা ছড়ালো লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলায়। নাটকে রাজাকারের চরিত্রে অভিনেতাদের পাঞ্জাবি ও টুপি পরিধান এবং নারী নির্যাতনের দৃশ্য প্রদর্শিত হওয়ায় জামায়াতে ইসলামীর স্থানীয় নেতারা বাধা দেন। তাঁদের অভিযোগ, এই পোশাকে অভিনয় করা ‘মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত’ করেছে।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে উপজেলার আলেকজান্ডার আ স ম আবদুর রব সরকারি কলেজ মাঠে কুচকাওয়াজের পর এই ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরপরই এর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে তা ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়।
প্রত্যক্ষদর্শী এবং ভিডিও ফুটেজ সূত্রে জানা যায়, কলেজটির ১২ থেকে ১৫ জন শিক্ষার্থী নাটকটিতে অংশ নেন, যেখানে মুক্তিযোদ্ধা ও রাজাকারের মধ্যকার সংঘাতময় চিত্র তুলে ধরা হয়। রাজাকারের ভূমিকায় কয়েকজন শিক্ষার্থী পাঞ্জাবি-টুপি পরে অভিনয় করছিলেন। এই দৃশ্যে নারী নির্যাতনের অংশ থাকাকালীন উপজেলা জামায়াতের আমির আবদুর রহিম এবং পৌর আমির আবুল খায়ের মঞ্চে এসে আপত্তি তোলেন। তাঁরা দাবি করেন, এই পোশাকে রাজাকারের চরিত্র চিত্রায়ণ মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানছে। তাঁরা তাৎক্ষণিকভাবে কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মাদ আশরাফ উদ্দিনের কাছে এর ব্যাখ্যা দাবি করেন।
এতে দুই পক্ষের মধ্যে মঞ্চেই শুরু হয় তীব্র বাগ্বিতণ্ডা। পরিস্থিতি যখন উত্তপ্ত হয়ে উঠছিল, তখন ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিলুফা ইয়াসমিন এবং রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিটন দেওয়ানসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। দ্রুত তাঁরা হস্তক্ষেপে করলে পরিস্থিতি শান্ত হয় এবং বিষয়টি আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা হয়।
উপজেলা জামায়াতের আমির আবদুর রহিম তাঁর আপত্তির কারণ ব্যাখ্যা করে বলেন, ‘পাঞ্জাবি-টুপি পরে অভিনয় করায় একজন মুসলমান হিসেবে আমি এটি মেনে নিতে পারিনি। তাই আমরা প্রতিবাদ জানিয়ে এর ব্যাখ্যা জানতে চেয়েছিলাম। পরে ইউএনও ও ওসি সাহেবের মধ্যস্থতায় বিষয়টির সমাধান হয়েছে।’
কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মাদ আশরাফ উদ্দিন এই ঘটনাকে ‘ভুল–বোঝাবুঝি’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন। তিনি বলেন, পরে সংশ্লিষ্ট সবাই মিলে বিষয়টি সমাধান করা হয়েছে।
রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিটন দেওয়ান ঘটনাটি নিশ্চিত করে বলেন, অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে নাটক চলাকালে পাঞ্জাবি-টুপি ব্যবহার নিয়ে এক পক্ষ আপত্তি তোলায় কিছুটা কথা-কাটাকাটি হয়েছিল। তবে প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপে দ্রুতই বিষয়টির সমাধান করা হয় এবং কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

সাতক্ষীরার কলারোয়া থেকে মৌসুমের শুরুতে ২ হাজার কেজি হিমসাগর আম রপ্তানির কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার ৮ নম্বর কেরেলকাতা ইউনিয়ন ইলিশপুর গ্রামের কবিরুল ইসলাম
১৯ মে ২০২২
পরিবারের সদস্যদের দাবি, মঙ্গলবার রাত আনুমানিক ২টার দিকে হঠাৎ শিশুটির খিঁচুনি শুরু হয়। বিষয়টি জানানো হলেও তখন কোনো চিকিৎসক শিশুটিকে দেখতে আসেননি। বুধবার সকাল ৮টার দিকে নার্স হেপি দাস শিশুটিকে একটি ইনজেকশন দেন। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই শিশুটির মৃত্যু হয়।
২ মিনিট আগে
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে নিষিদ্ধঘোষিত আওয়ামী লীগের পৌর শাখার সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন পাটোয়ারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার ভোরে উপজেলার পাঁচড়া এলাকার রাস্তার মাথা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২১ মিনিট আগে
কমলাচাষি খয়বর রহমান জানান, তাঁর বাগানের ১১টি গাছে বর্তমানে ১০০ কেজির বেশি কমলা রয়েছে। শুরুতে নিছক শখের বসে বাগান করলেও এখন এটি লাভজনক হবে বলে আশা করছেন তিনি। চলতি মৌসুমে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকার কমলা বিক্রি করতে পারবেন বলে ধারণা তাঁর। আগামী বছর পূর্ণমাত্রায় ফলন এলে বিক্রি ১ লাখ টাকার বেশি হবে বলে আশা
১ ঘণ্টা আগেচাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি

সমতল ভূমিতে কমলা চাষ সাধারণত অপ্রচলিত হলেও পাবনার চাটমোহরে এর বাণিজ্যিক চাষের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। শখের বসে করা কৃষক খয়বর রহমানের কমলাবাগান এখন বাণিজ্যিকভাবে কমলা চাষের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করছে। প্রথম বছরেই আশানুরূপ ফলন পাওয়ায় কৃষক যেমন সফলতার স্বপ্ন দেখছেন, তেমনি কৃষি বিভাগও আশা করছে তাঁর দেখানো পথে কমলা চাষের বিস্তার ঘটবে।
সাইট্রাসজাতীয় ফল মাল্টা ও কমলা মূলত পাহাড়ি অঞ্চলের হলেও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চাটমোহরে মাল্টা চাষের প্রসার ঘটেছে। তবে কমলা চাষ এত দিন শখের ছাদবাগানেই সীমাবদ্ধ ছিল। কাঙ্ক্ষিত সফলতা না পাওয়ায় বাণিজ্যিকভাবে কমলা চাষ তেমন বিস্তার লাভ করেনি। এই অবস্থায় কৃষক খয়বর রহমানের বাণিজ্যিক চাষে সফলতা অন্য কৃষকদের কমলা চাষে উদ্বুদ্ধ করবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের আগশোয়াইল গ্রামের কৃষক খয়বর রহমান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিও দেখে কমলা চাষে আগ্রহী হন। পরে কৃষি বিভাগের পরামর্শে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার এক কৃষকের কাছ থেকে চারা সংগ্রহ করে তিনি ২১ শতক জমিতে কমলার বাগান গড়ে তোলেন। ২০২২ সালে ৫০টি চারা দিয়ে বাগান শুরু করেন তিনি। উপজেলা কৃষি অফিসের তত্ত্বাবধান ও পরামর্শে চলতি মৌসুমে প্রথমবারের মতো তাঁর বাগানে ফুল আসে। পরীক্ষামূলকভাবে কিছু গাছে ফল রাখলে সেগুলো পরিপক্ব হয়।
কমলাচাষি খয়বর রহমান জানান, তাঁর বাগানের ১১টি গাছে বর্তমানে ১০০ কেজির বেশি কমলা রয়েছে। শুরুতে নিছক শখের বসে বাগান করলেও এখন এটি লাভজনক হবে বলে আশা করছেন তিনি। চলতি মৌসুমে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকার কমলা বিক্রি করতে পারবেন বলে ধারণা তাঁর। আগামী বছর পূর্ণমাত্রায় ফলন এলে বিক্রি ১ লাখ টাকার বেশি হবে বলে আশা করছেন।
উপজেলার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সাইদুর রহমান সাঈদ বলেন, চাটমোহরে কমলা চাষ একেবারেই নতুন উদ্যোগ। খয়বর রহমানের বাগানে উৎপাদিত কমলার মান ও গুণগত বৈশিষ্ট্য বাজারে পাওয়া কমলার মতোই ভালো। প্রতিটি গাছে যে পরিমাণ ফল এসেছে, তাতে বাগানটি লাভজনক হবে বলে মনে করছেন তিনি। এই সাফল্য অন্য কৃষকদেরও অনুপ্রাণিত করবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কুন্তলা ঘোষ বলেন, অপ্রচলিত কমলা প্রথমবারের মতো চাষ করে খয়বর রহমান যে সাফল্য পেয়েছেন, তা অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক। কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা দিয়ে কমলা চাষকে বাণিজ্যিকভাবে রূপ দিতে উদ্যোগ নেওয়া হবে। তাঁর সাফল্য দেখে আরও অনেক কৃষক কমলা চাষে আগ্রহী হবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

সমতল ভূমিতে কমলা চাষ সাধারণত অপ্রচলিত হলেও পাবনার চাটমোহরে এর বাণিজ্যিক চাষের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। শখের বসে করা কৃষক খয়বর রহমানের কমলাবাগান এখন বাণিজ্যিকভাবে কমলা চাষের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করছে। প্রথম বছরেই আশানুরূপ ফলন পাওয়ায় কৃষক যেমন সফলতার স্বপ্ন দেখছেন, তেমনি কৃষি বিভাগও আশা করছে তাঁর দেখানো পথে কমলা চাষের বিস্তার ঘটবে।
সাইট্রাসজাতীয় ফল মাল্টা ও কমলা মূলত পাহাড়ি অঞ্চলের হলেও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চাটমোহরে মাল্টা চাষের প্রসার ঘটেছে। তবে কমলা চাষ এত দিন শখের ছাদবাগানেই সীমাবদ্ধ ছিল। কাঙ্ক্ষিত সফলতা না পাওয়ায় বাণিজ্যিকভাবে কমলা চাষ তেমন বিস্তার লাভ করেনি। এই অবস্থায় কৃষক খয়বর রহমানের বাণিজ্যিক চাষে সফলতা অন্য কৃষকদের কমলা চাষে উদ্বুদ্ধ করবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের আগশোয়াইল গ্রামের কৃষক খয়বর রহমান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিও দেখে কমলা চাষে আগ্রহী হন। পরে কৃষি বিভাগের পরামর্শে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার এক কৃষকের কাছ থেকে চারা সংগ্রহ করে তিনি ২১ শতক জমিতে কমলার বাগান গড়ে তোলেন। ২০২২ সালে ৫০টি চারা দিয়ে বাগান শুরু করেন তিনি। উপজেলা কৃষি অফিসের তত্ত্বাবধান ও পরামর্শে চলতি মৌসুমে প্রথমবারের মতো তাঁর বাগানে ফুল আসে। পরীক্ষামূলকভাবে কিছু গাছে ফল রাখলে সেগুলো পরিপক্ব হয়।
কমলাচাষি খয়বর রহমান জানান, তাঁর বাগানের ১১টি গাছে বর্তমানে ১০০ কেজির বেশি কমলা রয়েছে। শুরুতে নিছক শখের বসে বাগান করলেও এখন এটি লাভজনক হবে বলে আশা করছেন তিনি। চলতি মৌসুমে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকার কমলা বিক্রি করতে পারবেন বলে ধারণা তাঁর। আগামী বছর পূর্ণমাত্রায় ফলন এলে বিক্রি ১ লাখ টাকার বেশি হবে বলে আশা করছেন।
উপজেলার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সাইদুর রহমান সাঈদ বলেন, চাটমোহরে কমলা চাষ একেবারেই নতুন উদ্যোগ। খয়বর রহমানের বাগানে উৎপাদিত কমলার মান ও গুণগত বৈশিষ্ট্য বাজারে পাওয়া কমলার মতোই ভালো। প্রতিটি গাছে যে পরিমাণ ফল এসেছে, তাতে বাগানটি লাভজনক হবে বলে মনে করছেন তিনি। এই সাফল্য অন্য কৃষকদেরও অনুপ্রাণিত করবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কুন্তলা ঘোষ বলেন, অপ্রচলিত কমলা প্রথমবারের মতো চাষ করে খয়বর রহমান যে সাফল্য পেয়েছেন, তা অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক। কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা দিয়ে কমলা চাষকে বাণিজ্যিকভাবে রূপ দিতে উদ্যোগ নেওয়া হবে। তাঁর সাফল্য দেখে আরও অনেক কৃষক কমলা চাষে আগ্রহী হবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

সাতক্ষীরার কলারোয়া থেকে মৌসুমের শুরুতে ২ হাজার কেজি হিমসাগর আম রপ্তানির কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার ৮ নম্বর কেরেলকাতা ইউনিয়ন ইলিশপুর গ্রামের কবিরুল ইসলাম
১৯ মে ২০২২
পরিবারের সদস্যদের দাবি, মঙ্গলবার রাত আনুমানিক ২টার দিকে হঠাৎ শিশুটির খিঁচুনি শুরু হয়। বিষয়টি জানানো হলেও তখন কোনো চিকিৎসক শিশুটিকে দেখতে আসেননি। বুধবার সকাল ৮টার দিকে নার্স হেপি দাস শিশুটিকে একটি ইনজেকশন দেন। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই শিশুটির মৃত্যু হয়।
২ মিনিট আগে
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে নিষিদ্ধঘোষিত আওয়ামী লীগের পৌর শাখার সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন পাটোয়ারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার ভোরে উপজেলার পাঁচড়া এলাকার রাস্তার মাথা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২১ মিনিট আগে
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ‘মুক্তিযুদ্ধের গল্পে রাজাকারের পাঠ’ শীর্ষক নাটক মঞ্চায়ন নিয়ে তীব্র উত্তেজনা ছড়ালো লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলায়। নাটকে রাজাকারের চরিত্রে অভিনেতাদের পাঞ্জাবি ও টুপি পরিধান এবং নারী নির্যাতনের দৃশ্য প্রদর্শিত হওয়ায় জামায়াতে ইসলামীর স্থানীয় নেতারা বাধা দেন।
৩০ মিনিট আগে