Ajker Patrika

ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে খানাখন্দ, ঈদযাত্রায় ভোগান্তির আশঙ্কা

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
আপডেট : ২৩ এপ্রিল ২০২২, ১৯: ৫৪
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে খানাখন্দ, ঈদযাত্রায় ভোগান্তির আশঙ্কা

ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ময়মনসিংহ অংশের অনেক জায়গায় খানাখন্দের কারণে ঈদযাত্রায় তীব্র যানজটের আশঙ্কা রয়েছে। দ্রুত সমস্যার সমাধান না হলে বরাবরের ন্যায় এবারও মানুষকে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হবে। তবে সড়ক বিভাগ বলছে, ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

জানা যায়, ২০১৬ সালে ১ হাজার ৮১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ঢাকা-ময়মনসিংহ চার লেনের মহাসড়কের উদ্বোধন করা হয়। এরপর থেকে বৃহত্তর ময়মনসিংহের মানুষ এ মহাসড়ক দিয়ে স্বাচ্ছন্দ্যে চলাফেরা করছে। মাঝেমধ্যে মহাসড়কে খানাখন্দ হলেও তা নিয়মিত মেরামত করায় মানুষের ভোগান্তি তেমন হয়নি। সম্প্রতি ঈদকে ঘিরে এ মহাসড়কে ভোগান্তির আশঙ্কা করছে মানুষ। কারণ, মহাসড়কে সিডস্টোর, ভালুকা, ত্রিশাল, বইলর এবং শিকারীকান্দা বাইপাস মোড়ে দীর্ঘদিন ধরে খানাখন্দ হলেও তা মেরামত না করায় যানজটের শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

স্থানীয় রফিকুল ইসলাম বলেন, বাইপাসে এমন যানজট হয় যে দুই মিনিটের রাস্তা যেতে দুই ঘণ্টা সময় লাগে। আগে থেকেই রাস্তাঘাট ঠিক না করলে মানুষ কষ্টের মধ্যে পড়ে যাবে।

সালাউদ্দিন নামে ভালুকার আরেক বাসিন্দা বলেন, ১৫ থেকে ২০ দিন ধরে ভালুকা বাসস্ট্যান্ড ইউ টার্নে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক দেবে যাওয়ায় ঢালাইয়ের কাজ শুরু হয়েছে। এতে প্রতিদিন যানজট হচ্ছে। মনে হয় না ঈদের আগে কাজ শেষ হবে। আর কাজ শেষ না হলে ভোগান্তি চরমে পৌঁছাবে। 

ময়মনসিংহ থেকে ঢাকাগামী এনা পরিবহনের চালক আবদুস সাত্তার বলেন, ‘রাস্তা ভাঙার কারণে মাসকান্দা বাসস্ট্যান্ড থেকে গাড়ি নিয়ে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে উঠতেই তীব্র যানজটের মধ্যে পড়তে হয়। শুধু শিকারীকান্দা মোড় নয়, বইলর, ত্রিশাল, ভালুকা এবং সিড স্টোরসহ গাজীপুর চৌরাস্তা পর্যন্ত তো যানজট আছেই। ঈদের আগে রাস্তা মেরামত না করলে আমাদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হবে। সঙ্গে যাত্রীরাও কষ্টে পড়বে। দ্রুত রাস্তাটা মেরামত করা হলে সবার জন্য ভালো হবে।’ 

প্রাইভেট কারের চালক মশিউর রহমান রাসেল বলেন, ‘এ বছর ১৫ রোজা থেকেই বোঝা গেছে রাস্তায় ব্যাপক যানজট তৈরি হবে। কিন্তু ভাঙা রাস্তা মেরামতের জন্য আমরা কোনো উদ্যোগ দেখতে পারছি না। সড়ক ও জনপথ বিভাগের গাফিলতির কারণে মহাসড়ক খানাখন্দে ভরে যাচ্ছে। শুধু তা-ই নয়, যানজট নিরসনে ট্রাফিক বিভাগকেও বেগ পোহাতে হবে।’ 

ময়মনসিংহ ট্রাফিক পুলিশের সদস্য হারুন অর রশিদ বলেন, ‘শিকারীকান্দা বাইপাস মোড়ে মূলত যানজটের কারণ হচ্ছে রাস্তা ভাঙা। ঢাকাগামী ময়মনসিংহের সমস্ত গাড়ি বাইপাস দিয়ে যেতে হয়। এটি গুরুত্বপূর্ণ একটি পয়েন্ট। আমরাও চেষ্টা করি যানজট নিয়ন্ত্রণ করার জন্য। কিন্তু ভাঙা রাস্তার কারণে গাড়ির গতি কমে যাওয়ায় যানজট তীব্র আকার ধারণ করে।’ 

জেলা জন-উদ্যোগের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম চুন্নু বলেন, ‘ঈদ এলে রাস্তাঘাট মানুষের জন্য বিষফোড়া হয়ে যায়। কর্তৃপক্ষের উচিত ছিল রাস্তাঘাট আরও আগে মেরামত করা। সময়ের কাজ সময়ে না করলে অসময়ে গিয়ে কিছু হয় না। তবে এখনো যে সময় আছে এই সময়ের মধ্যে আমরা আশা করব যেন সমস্ত রাস্তা মেরামত শেষ করা হয়।’

এ বিষয়ে ময়মনসিংহ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, ‘বালুবাহী ও মাছভর্তি ওভারলোড ট্রাকের কারণে মহাসড়কের প্রায় অংশে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। তবে আমরা নিয়মিত মেরামত করছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে এরই মধ্যে মহাসড়ক মেরামতে কাজ শুরু হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, ঈদে ঘরমুখী মানুষের যাত্রা নিরাপদ হবে।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ঋত্বিক ঘটকের পৈতৃক ভিটা ভাঙচুরের সঙ্গে জড়িতদের শাস্তির দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
চলচ্চিত্রকার ঋত্বিক কুমার ঘটকের রাজশাহীর পৈতৃক বসতভিটা সংরক্ষণ ও ভাঙচুরের ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন। ছবি: আজকের পত্রিকা
চলচ্চিত্রকার ঋত্বিক কুমার ঘটকের রাজশাহীর পৈতৃক বসতভিটা সংরক্ষণ ও ভাঙচুরের ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন। ছবি: আজকের পত্রিকা

আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বাঙালি চলচ্চিত্রকার ঋত্বিক কুমার ঘটকের রাজশাহীর পৈতৃক বসতভিটা সংরক্ষণ ও ভাঙচুরের ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে। পরে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর একটি স্মারকলিপি দেওয়া হয়।

আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় নগরের সাহেববাজার জিরো পয়েন্টে রাজশাহীর সচেতন নাগরিকদের উদ্যোগে মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ঋত্বিক কুমার ঘটক ক্ষণজন্মা বাঙালি চলচ্চিত্রকারদের অন্যতম, যাঁর সৃষ্টিশীল হাত ধরে বাংলা চলচ্চিত্র আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সম্মানজনক অবস্থান লাভ করেছে। এমন একজন মহান চলচ্চিত্রকারের স্মৃতি বহনকারী বসতভিটা রাজশাহী শহরের মিঞাপাড়ায় অবস্থিত হলেও তা সংরক্ষণের পরিবর্তে ধ্বংসের মুখে। এটি জাতির জন্য লজ্জাজনক বলেও মন্তব্য করেন বক্তারা।

বক্তারা জানান, গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর ঋত্বিক ঘটকের ওই বসতভিটা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। ঘটনার পর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের (শিক্ষা ও আইসিটি) নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হলেও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, বিষয়টির চূড়ান্ত সমাধান না হওয়া পর্যন্ত বসতভিটাটি আগের অবস্থায় সংরক্ষিত থাকবে। অথচ সেই আশ্বাস উপেক্ষা করে ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের দিনে রাজশাহী হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ পুনরায় সেখানে থাকা ঋত্বিক ঘটকের শেষ স্মৃতিচিহ্ন মুছে ফেলার চেষ্টা চালায়।

বক্তারা জানান, বসতভিটার ঐতিহ্যবাহী ইটগুলো শহরের অদূরে খড়খড়ি বাইপাস এলাকায় শাহ মখদুম নার্সিং কলেজের পাশে একটি পুকুর ভরাটের কাজে ফেলে দেওয়া হয়। বক্তারা বলেন, একই সঙ্গে এখানে দুটি অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। একদিকে ঐতিহ্য ধ্বংস, অন্যদিকে পরিবেশবিরোধীভাবে পুকুর ভরাট। তাঁরা এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।

মানববন্ধনে রাজশাহীর চলচ্চিত্র সংসদকর্মী এবং সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও যুব সংগঠনের সদস্যরা বক্তব্য দেন। পরে পাঁচ দফা দাবি-সংবলিত স্মারকলিপি ও প্রস্তাবনা রাজশাহীর বিভাগীয় কমিশনারের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর পাঠানো হয়। একই দাবিগুলো উল্লেখ করে আরেকটি স্মারকলিপি রাজশাহীর জেলা প্রশাসকের কাছেও দেওয়া হয়। পাশাপাশি স্মারকলিপির অনুলিপি সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়, ভূমি মন্ত্রণালয়, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা, সচিবসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়।

এর আগে ঋত্বিক ঘটক ফিল্ম সোসাইটির নির্বাহী সদস্য মো. আতিকুর রহমান আতিকের সঞ্চালনায় ও সভাপতি আহসান কবীর লিটনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য দেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মো. মাহমুদ হোসেন, জাতীয় আদিবাসী পরিষদের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সূভাষ চন্দ্র হেমব্রম, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন রাজশাহীর সাধারণ সম্পাদক নাদিম সিনা, আদিবাসী যুব পরিষদ রাজশাহীর সভাপতি উপেন রবিদাস প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আরাকান আর্মির জন্য নেওয়া হচ্ছিল ১৬০০ বাউন্ডলি, গ্রেপ্তার ৩

কক্সবাজার প্রতিনিধিনাইক্ষ্যংছড়ি (বান্দরবান) প্রতিনিধি  
জব্দ বাউন্ডলিসহ গ্রেপ্তারকৃতরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
জব্দ বাউন্ডলিসহ গ্রেপ্তারকৃতরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

কক্সবাজারের রামুতে একটি মিনিট্রাকে তল্লাশি করে পুলিশ ১ হাজার ৬০০টি বাউন্ডলি (সামরিক পোশাকে ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্রের ম্যাগাজিন রাখার বেল্ট) উদ্ধার করেছে। এসব বাউন্ডলি বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমারে সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির জন্য নেওয়া হচ্ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া এ তথ্য জানান।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সদর ইউনিয়নের কম্বনিয়া এলাকার নুরুল আলমের ছেলে মো. শাহজাহান (২৫), একই ইউনিয়নের আশারতলী এলাকার মো. বদিউজ্জামানের ছেলে মো. ইলিয়াছ (১৯) ও ঘিলাতলী এলাকার এম এ সামাদের ছেলে আতিকুর রহমান (২৫)।

ওসি মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে রামু উপজেলার জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়নের চা-বাগান এলাকা দিয়ে যানবাহনে মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠীর কাছে সরবরাহের জন্য আগ্নেয়াস্ত্রের সরঞ্জাম পাচার করা হবে বলে খবর পায় পুলিশ। পরে চা-বাগান এলাকায় একটি রেস্তোরাঁর সামনে রামু-নাইক্ষ্যংছড়ি সড়কে পুলিশের একটি অস্থায়ী তল্লাশিচৌকি বসানো হয়। একপর্যায়ে চট্টগ্রাম দিক থেকে আসা নাইক্ষ্যংছড়িগামী একটি মিনিট্রাক সেখানে পৌঁছালে থামার সংকেত দেয় পুলিশ। এ সময় গাড়িতে থাকা সন্দেহজনক তিনজন দৌড়ে পালানোর চেষ্টা চালান। ধাওয়া দিয়ে পুলিশ তাঁদের আটক করতে সক্ষম হয়। পরে মিনিট্রাকটি তল্লাশি করে প্লাস্টিকের সাদা চটের ৩২টি ছোট বস্তা পাওয়া যায়। বস্তাগুলো খুলে ভারী আগ্নেয়াস্ত্রের ম্যাগাজিন রাখার ১ হাজার ৬০০টি বাউন্ডলি পাওয়া যায়। মিনিট্রাকটি জব্দ করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে ওসি বলেন, উদ্ধার করা ম্যাগাজিন রাখার বাউন্ডলিগুলো নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির কাছে পৌঁছে দিতে নিয়ে যাচ্ছিল। আটকদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে রামু থানায় মামলা করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক, পাশে দাঁড়িয়ে গার্মেন্টস শ্রমিকদের বিক্ষোভ

সিদ্ধিরগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

গার্মেন্টস বন্ধ ঘোষণা দেওয়ার প্রতিবাদে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ অংশে অবরোধ করেছেন একটি কারখানার শ্রমিকেরা। অবরোধের ফলে মহাসড়কের দুই পাশে ৪ কিলোমিটারজুড়ে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) বেলা দেড়টা থেকে ৩টা পর্যন্ত অবরোধ চলে। পরে পুলিশ তাঁদের বুঝিয়ে সড়কের পাশে সরিয়ে দেয়।

জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ‘KORES BANGLADESH PLC’ নামের একটি গার্মেন্টসের শ্রমিকদের বকেয়া বেতন পরিশোধ না করে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। এর প্রতিবাদে শ্রমিকেরা নিজেদের বকেয়া বেতন পাওয়ার জন্য এবং গার্মেন্টসটি খোলা রাখার দাবিতে মহাসড়কের মৌচাক অংশে প্রতিবাদে নামেন। তাঁদের বিক্ষোভের কারণে মহাসড়কের উভয় লেনের সাইনবোর্ড থেকে কাঁচপুর পর্যন্ত প্রায় ৪ কিলোমিটার তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। 

শ্রমিকদের ভাষ্য, কোনো নোটিশ ছাড়া এবং আগের পাওনা বেতন না দিয়ে প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে তাঁদের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। 

এ বিষয়ে বক্তব্যের জন্য শিমরাইল হাইওয়ে পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ জুলহাস উদ্দিনকে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আবদুল বারিক জানিয়েছেন, ‘শ্রমিকদের আমরা বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে দাঁড় করিয়েছি। তাঁরা যৌক্তিক আন্দোলন করছেন। আমরা মালিকপক্ষের জন্য অপেক্ষা করছি, তাদের সঙ্গে কথা বলে বিস্তারিত আপডেট দেওয়া যাবে। সড়কে এখন আর যানজট নেই।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

কোস্ট গার্ডের হাতে নিষিদ্ধ ট্রলিং জাল, বোটসহ ৫৩ জেলে আটক

কক্সবাজার প্রতিনিধি
কোস্ট গার্ডের হাতে আটক জেলে। ছবি: সংগৃহীত
কোস্ট গার্ডের হাতে আটক জেলে। ছবি: সংগৃহীত

বঙ্গোপসাগরে অভিযান চালিয়ে নিষিদ্ধঘোষিত তিনটি আর্টিসানাল ট্রলিং বোট, ৩০টি ট্রলিং জাল ও বিপুল পরিমাণ সামুদ্রিক মাছসহ ৫৩ জেলেকে আটক করেছে কোস্ট গার্ড। আজ বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে কোস্ট গার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল বুধবার রাতে কোস্ট গার্ডের টহল টিম কক্সবাজারের কুতুবদিয়া দ্বীপের অদূরে খাটখালী নদীর মোহনায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযান চলাকালীন ওই এলাকা থেকে একটি অবৈধ আর্টিসানাল ট্রলিং বোট জব্দ করে। পরবর্তীকালে জব্দকৃত বোটে তল্লাশি করে প্রায় ২৮ লাখ টাকা মূল্যের পাঁচটি নিষিদ্ধ ট্রলিং জাল ও ২ হাজার ৫০০ কেজি বিভিন্ন প্রজাতির সামুদ্রিক মাছসহ ১৬ জন জেলেকে আটক করা হয়।

অপর দিকে গতকাল বুধবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে কোস্ট গার্ড জাহাজ সবুজ বাংলা সেন্ট মার্টিনের ছেঁড়াদ্বীপসংলগ্ন উত্তর-পশ্চিম সমুদ্র এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। এ অভিযানে দুটি আর্টিসানাল ট্রলিং বোট জব্দ করা হয়। পরবর্তীকালে জব্দকৃত বোটে তল্লাশি করে প্রায় ৬ কোটি ২৮ লাখ টাকা মূল্যের ২৫টি নিষিদ্ধ ট্রলিং জাল ও তিন হাজার কেজি বিভিন্ন প্রজাতির সামুদ্রিক মাছসহ ৩৭ জন জেলেকে আটক করা হয়।

জব্দকৃত আর্টিসানাল ট্রলিং বোট, ট্রলিং জাল, সামুদ্রিক মাছ ও আটক জেলেদের আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত