নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) মিজমিজি পশ্চিমপাড়া, সাহেবপাড়া, কান্দাপাড়া, মৌচাক, চৌধুরীপাড়া ও সানারপাড় রহিম মার্কেট এলাকা নিয়ে ২ নম্বর ওয়ার্ড। আবাসিক এলাকা হিসেবে পরিচিত হলেও এখানে রয়েছে ১০-১২টি অবৈধ মশার কয়েল কারখানা, স মিলসসহ বিভিন্ন ব্যবসায়প্রতিষ্ঠান। বিগত দিনে সিটি করপোরেশনের অর্থায়নে এ ওয়ার্ডে উন্নয়ন হলেও রয়েছে মাদক ব্যবসা ও কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ম্য।
নাসিক নির্বাচনে এ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী হয়েছেন ৮ জন। তাঁদের মধ্যে মো. কামাল হোসেন পেয়েছেন ব্যাডমিন্টন র্যাকেট, মো. ইকবাল হোসেন পেয়েছেন লাটিম, মো. সামছুল ইসলাম পেয়েছেন করাত, শফিকুল ইসলাম পেয়েছেন ঝুড়ি, মো. সোহরাব হোসেন পেয়েছেন মিষ্টিকুমড়া, মো. আমিনুল হক ভূইয়া রাজু পেয়েছেন ঘুড়ি, মো. ইসমাইল পেয়েছেন রেডিও এবং মো. সুলতান গিয়াসউদ্দীন পেয়েছেন এয়ারকন্ডিশনার প্রতীক।
কাউন্সিলর প্রার্থীরা প্রতিশ্রুতির ফুলঝুরি নিয়ে গণসংযোগ চালাচ্ছেন। ভোটারদের সঙ্গে বেশি বেশি যোগাযোগ, কুশল বিনিময় আর ভোট প্রার্থনা করছেন। বর্তমান কাউন্সিলর ইকবাল হোসেন জানান, তিনি বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকার কারণে তাঁকে হেফাজতের মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। জনগণ যদি মনে করেন তিনি ভালো কাজ করেছেন, ঠিকমতো এলাকার উন্নয়ন করেছেন, জনগণের সঠিক সেবা দিতে পেরেছেন, তাহলে পুনরায় ওয়ার্ডবাসী তাঁকে নির্বাচিত করবেন সে বিশ্বাস তাঁর আছে।
আরেক কাউন্সিলর প্রার্থী শফিকুল ইসলাম শফিক জানান, তিনি এমন একটি ওয়ার্ড চান, যেখানে কোনো চাঁদাবাজ, মাদক, ভূমিদস্যু ও কিশোর গ্যাং থাকবে না।’ কাউন্সিলর ইকবালকে ইঙ্গিত করে শফিক বলেন, ‘তিনি সব সময় সরকারবিরোধী কার্যকলাপে লিপ্ত ছিলেন। তিনি নিজেই নিজের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত। সে জন্য এই ওয়ার্ডটি অবহেলিত ওয়ার্ডে পরিণত হয়েছে।’
কাউন্সিলর প্রার্থী আমিনুল হক ভূইয়া রাজু বলেন, ‘নির্বাচিত হলে আমার ২ নম্বর ওয়ার্ডকে আধুনিক ওয়ার্ড হিসেবে গড়ে তুলব। আমার প্রথম টার্গেটই থাকবে কিশোর গ্যাং নির্মূল করা।’
মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে