জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৩টি বিভাগ, দুটি ইনস্টিটিউট, একটি ছাত্রীনিবাস এবং চারুকলা অনুষদের তিনটি বিভাগের সমন্বিত উদ্যোগে সরস্বতীপূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে ৩ ফেব্রুয়ারি। বিশ্ববিদ্যালয়টির ইংরেজি বিভাগের মণ্ডপে পৌরোহিত্য করেছেন সমাদৃতা ভৌমিক। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন রজত কান্তি রায়।
রজত কান্তি রায়
সরস্বতীপূজায় পৌরোহিত্য করলেন। অভিনন্দন। আপনাদের থিমে বেশ খানিক ভিন্নতা দেখা গেল।
দ্বিতীয়বারের মতো পৌরোহিত্য করলাম। পূজার থিমে এবার ভিন্নতা আনার চেষ্টা করেছি। আমাদের বিগ্রহগুলো আর্য বিগ্রহের আদলে বানানো হয়। সেই আদলের জায়গায় আদিবাসী মেয়েদের আদলে বিগ্রহ তৈরি করা হয়েছে। সেসব বিগ্রহে চাকমা নারীদের ব্যবহৃত গয়না এবং পোশাক পিনোন-হাদি আমরা ব্যবহার করে তাদের সম্মান জানানোর চেষ্টা করেছি। দেবী সরস্বতীর বাহন রাজহাঁস। কিন্তু সেখানে রাখা হয়েছে অতিথি পাখি। এটা করা হয়েছে অতিথি পাখি হত্যার বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরির জন্য।
পুরুষ পুরোহিতেরা বিষয়টি কীভাবে দেখছেন? কেউ ইতিবাচক বা নেতিবাচক কথা বলেছেন কি না।
অধিকাংশ মানুষই বিষয়টি ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখেছেন। তাঁদের অনেকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
পুরুষতান্ত্রিক সমাজ আপনার পৌরোহিত্য করার বিষয়টি কীভাবে দেখছে বলে মনে করেন?
আমাদের সমাজের অনেকে এখনো জানেন না, পৌরোহিত্যে নারী-পুরুষে ভেদাভেদ নেই। ব্রহ্মজ্ঞান থাকলে যে কেউ পৌরোহিত্য করতে পারেন। পৌরাণিক যুগ থেকে পূজায় পৌরোহিত্যের কাজটি কুক্ষিগত করে রেখেছেন ব্রাহ্মণ পুরুষেরা। মনুসংহিতায় আছে, ‘বেদঃ অখিলধর্মমূলম্’ অর্থাৎ বেদ সকল ধর্মের মূল। বৈদিক যুগে পৌরোহিত্যের দায়িত্ব পালনে নারীদের ক্ষেত্রে কোনো নিষেধের উল্লেখ পাওয়া যায় না। বেদের মন্ত্র রচনা এবং সংকলন করার অধিকার ও ক্ষমতা নারীদেরও ছিল। মন্ত্রদ্রষ্টা সাতজন ঋষি রমণীর নাম পাওয়া যায়। তাঁরা হলেন লোপামুদ্রা (১/১৭৯), বিশ্ববারা (৫/২৮), অপালা (৮/৯৬), ঘোষা (১০/৩৯-৪০), সূর্যা (১০/৮৫), বাক্ (১০/১২৫) এবং ইন্দ্রাণী (১০/১৪৫)। শাশ্বতী লোমশা (১/১২৬/৭) ছিলেন বৈদিক কবি। সমাজে নারী-পুরুষনির্বিশেষে সূক্তদ্রষ্টা ঋষিদের সম্ভ্রমের দৃষ্টিতে দেখা হতো। বৈদিক ঋষিরা সর্বত্র সম্মান ও প্রীতিপূর্ণভাবে নারী জাতির উল্লেখ করেছেন।
ভবিষ্যতে কাজটি চালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা আপনার আছে কি না?
হ্যাঁ। ভবিষ্যতে এই কাজ করার ইচ্ছা আছে এবং আমি চাই, আমার মতো করে আরও অনেক মেয়ে এগিয়ে আসুক।
সরস্বতীপূজায় পৌরোহিত্য করলেন। অভিনন্দন। আপনাদের থিমে বেশ খানিক ভিন্নতা দেখা গেল।
দ্বিতীয়বারের মতো পৌরোহিত্য করলাম। পূজার থিমে এবার ভিন্নতা আনার চেষ্টা করেছি। আমাদের বিগ্রহগুলো আর্য বিগ্রহের আদলে বানানো হয়। সেই আদলের জায়গায় আদিবাসী মেয়েদের আদলে বিগ্রহ তৈরি করা হয়েছে। সেসব বিগ্রহে চাকমা নারীদের ব্যবহৃত গয়না এবং পোশাক পিনোন-হাদি আমরা ব্যবহার করে তাদের সম্মান জানানোর চেষ্টা করেছি। দেবী সরস্বতীর বাহন রাজহাঁস। কিন্তু সেখানে রাখা হয়েছে অতিথি পাখি। এটা করা হয়েছে অতিথি পাখি হত্যার বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরির জন্য।
পুরুষ পুরোহিতেরা বিষয়টি কীভাবে দেখছেন? কেউ ইতিবাচক বা নেতিবাচক কথা বলেছেন কি না।
অধিকাংশ মানুষই বিষয়টি ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখেছেন। তাঁদের অনেকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
পুরুষতান্ত্রিক সমাজ আপনার পৌরোহিত্য করার বিষয়টি কীভাবে দেখছে বলে মনে করেন?
আমাদের সমাজের অনেকে এখনো জানেন না, পৌরোহিত্যে নারী-পুরুষে ভেদাভেদ নেই। ব্রহ্মজ্ঞান থাকলে যে কেউ পৌরোহিত্য করতে পারেন। পৌরাণিক যুগ থেকে পূজায় পৌরোহিত্যের কাজটি কুক্ষিগত করে রেখেছেন ব্রাহ্মণ পুরুষেরা। মনুসংহিতায় আছে, ‘বেদঃ অখিলধর্মমূলম্’ অর্থাৎ বেদ সকল ধর্মের মূল। বৈদিক যুগে পৌরোহিত্যের দায়িত্ব পালনে নারীদের ক্ষেত্রে কোনো নিষেধের উল্লেখ পাওয়া যায় না। বেদের মন্ত্র রচনা এবং সংকলন করার অধিকার ও ক্ষমতা নারীদেরও ছিল। মন্ত্রদ্রষ্টা সাতজন ঋষি রমণীর নাম পাওয়া যায়। তাঁরা হলেন লোপামুদ্রা (১/১৭৯), বিশ্ববারা (৫/২৮), অপালা (৮/৯৬), ঘোষা (১০/৩৯-৪০), সূর্যা (১০/৮৫), বাক্ (১০/১২৫) এবং ইন্দ্রাণী (১০/১৪৫)। শাশ্বতী লোমশা (১/১২৬/৭) ছিলেন বৈদিক কবি। সমাজে নারী-পুরুষনির্বিশেষে সূক্তদ্রষ্টা ঋষিদের সম্ভ্রমের দৃষ্টিতে দেখা হতো। বৈদিক ঋষিরা সর্বত্র সম্মান ও প্রীতিপূর্ণভাবে নারী জাতির উল্লেখ করেছেন।
ভবিষ্যতে কাজটি চালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা আপনার আছে কি না?
হ্যাঁ। ভবিষ্যতে এই কাজ করার ইচ্ছা আছে এবং আমি চাই, আমার মতো করে আরও অনেক মেয়ে এগিয়ে আসুক।
অক্সফাম বাংলাদেশ ও ওয়াটারএইড বাংলাদেশ যৌথভাবে শুরু করেছে ‘অনির্বাণ-রাইজ অ্যান্ড লিড’ নামের একটি বিশেষ কর্মসূচি। যা ক্যারিয়ারে বিরতি নেওয়া নারীদের পুনরায় কর্মক্ষেত্রে ফিরে আসার সুযোগ তৈরি করবে এবং নেতৃত্ব বিকাশে সহায়তা করবে।
২ দিন আগেবাড়িঘর ফেলে স্বজনদের সঙ্গে জীবন বাঁচাতে মানুষ ছুটছে আশ্রয়শিবিরে কিংবা নিরাপদ কোনো জায়গায়। এমনও হয়েছে, মসজিদে নামাজ আদায় করতে গিয়ে আর ফেরেনি বাড়ির সবচেয়ে ছোট ছেলেটি। খাবারের খোঁজে বাইরে বের হওয়া বাবা ফেরেননি সন্তানের কাছে। কয়েক দিন আগে এমনই ছিল ফিলিস্তিন নামের দেশটির গাজার অবস্থা।
৫ দিন আগেশিল্পী আলীর শিল্পকর্ম প্রদর্শনী হয়ে গেল সম্প্রতি গুলশানের আলোকি প্রদর্শনশালায়। তিনি শুধু শিল্পী নন, কবিও। ফলে তুলির আঁচড়ে অনুভূতি বাঙ্ময় করে তোলা তাঁর অনায়াস কাজ। নারী মনের অব্যক্ত অনুভূতি কীভাবে ব্যক্তিজীবনে প্রভাব ফেলে, তার শিল্পরূপ উপস্থাপনে আন্তরিকভাবে প্রচেষ্টা চালিয়েছেন শিল্পী।
৫ দিন আগেআপনার পরিস্থিতি পারিবারিক উত্তরাধিকার ও সম্পত্তি-সম্পর্কিত আইনের মধ্যে পড়ে। প্রথমত আপনার বাবার রেখে যাওয়া সম্পত্তি (দুটি ফ্ল্যাট) সম্পর্কে বলি। সেগুলো যদি হেবা (উপহার) করা হয়ে থাকে, তবে দেখতে হবে, হেবা আইনত বৈধভাবে সম্পন্ন হয়েছে কি না। হেবা যদি শুধু মৌখিকভাবে করা হয়, তবে তা আইনি ভিত্তিতে দুর্বল...
৫ দিন আগে