নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রতিবন্ধী নারীদের জন্য সহজলভ্য ও নিরাপদ স্যানিটারি পণ্য উদ্ভাবনে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্বের আহ্বান জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞ ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। আজ বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের মিলনায়তনে আয়োজিত ‘প্রতিবন্ধী নারীদের জন্য স্যানিটারি পণ্য উদ্ভাবন’ শীর্ষক প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তাঁরা এই আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, একজন নারী গড়ে জীবনের প্রায় তিন হাজার দিন মাসিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় কাটান। এই দীর্ঘ সময়ে নারী যদি অবহেলা ও বৈষম্যের শিকার হন, তবে শুধু শারীরিক নয়, মানসিক স্থিতিশীলতাও চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আর প্রতিবন্ধী নারীদের ক্ষেত্রে এই ক্ষতির মাত্রা আরও ভয়াবহ। এমন পরিস্থিতিতে প্রতিবন্ধী নারীবান্ধব স্যানিটারি পণ্য উদ্ভাবন প্রয়োজন।
প্রতিবন্ধী নারীদের জন্য মাসিকের সময় স্যানিটারি পণ্যের প্রয়োজনের ওপর ভিত্তি করে উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করতে আন্তর্জাতিক সংস্থা ওয়াটারএইড বাংলাদেশ এবং কিম্বার্লি ক্লার্কের সহযোগিতায় বাংলাদেশ সোসাইটি ফর দ্য চেঞ্জ অ্যান্ড অ্যাডভোকেসি নেক্সাস (বি-স্ক্যান) এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।
ওয়াটারএইড বাংলাদেশের পরিচালক ও এমএইচএম প্ল্যাটফর্মের সভাপতি হাসিন জাহান এতে সভাপতিত্ব করেন। প্রতিযোগিতার উদ্বোধন ঘোষণা করেন প্রধান অতিথি পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আশরাফী আহমদ। এ ছাড়া, অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. সাইদুর রহমান খান, মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক (উপসচিব) মো. মনির হোসেন প্রমুখ।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বি-স্ক্যানের সহযোগী সমন্বয়কারী শাওনি ইমাম। তিনি বলেন, প্রতিবন্ধী তথ্য পরিষেবার মতে, বাংলাদেশে ৩৫ লাখেরও বেশি প্রতিবন্ধী ব্যক্তি রয়েছে, যার মধ্যে ১৪ লাখেরও বেশি নারী। বি-স্ক্যান, ওয়াটারএইড বাংলাদেশ এবং কিম্বার্লি-ক্লার্কের সহযোগিতায়, প্রতিবন্ধী নারীদের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যের এবং ব্যাপকভাবে অ্যাক্সেসযোগ্য স্যানিটারি পণ্য ডিজাইনের উদ্ভাবনের ওপর জোর দিয়ে এই প্রতিযোগিতাটি শুরু করেছে।
তিনি জানান, প্রতিযোগিতাটি ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত আবেদনের জন্য উন্মুক্ত এবং তিনজন বিজয়ীকে তাঁদের পণ্য বিকাশ ও প্রচারের জন্য ৭৫ হাজার থেকে ৩ লাখ টাকার মধ্যে পুরস্কার দেওয়া হবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ডা. আশরাফী আহমেদ বলেন, ‘এই সৃজনশীল প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ভালো উদ্যোগগুলো তুলে আনা সম্ভব। এ জন্য বাজারে এই ধরনের পণ্য প্রবর্তনের জন্য বিভিন্ন কোম্পানির সহযোগিতা অপরিহার্য।’
মো. মনির হোসেন বলেন, ‘মাসিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা এখনো পর্যন্ত প্রতিবন্ধী নারীদের প্রেক্ষাপটে যথাযথভাবে আলোচিত। সরকারি ও বেসরকারি অংশীদারত্বের মাধ্যমে টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাধানে আসা সম্ভব—যেখানে কাউকে পেছনে ফেলে রাখা হবে না। বাজেট ও কর্মসূচির আলোকে, এই উদ্যোগ বাস্তবায়নে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’ এ ছাড়া তিনি বিদ্যমান কর্মসূচির মধ্যে এই প্রতিযোগিতাকে সম্পৃক্ত করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
মো. সাইদুর রহমান খান বলেন, ‘প্রতিবন্ধী নারীদের জন্য সহজলভ্য ও নিরাপদ পণ্য উদ্ভাবন প্রতিযোগিতা-২০২৫ একটি চমৎকার সুযোগ। যার মাধ্যমে প্রতিযোগিতার ভিত্তিতে আমরা সহজলভ্য, নিরাপদ ও সম্মানজনক মাসিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে পারি।’
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বি-স্ক্যানের সাধারণ সম্পাদক সালমা মাহবুব। এ ছাড়া সার্বিক পরিস্থিতি এবং প্রতিযোগিতার বিষয়সমূহ নিয়ে উপস্থাপনা করেন বি-স্ক্যানের সহযোগী সমন্বয়কারী শাওনি ইমাম। এর আগে একটি ভিডিও তথ্যচিত্র দেখানো হয়।
মুক্ত আলোচনায় অংশ নেওয়া প্রতিবন্ধী নারীরা বলেন, ঋতুকালীন তাঁদের জন্য উপযোগী, নিরাপদ ও সহজলভ্য পণ্যের এখনো ঘাটতি রয়েছে। তাঁরা জানান, মাসিককালীন স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় এখনো নানা প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হতে হয়।
অনুষ্ঠানে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী বুশরা বলেন, যেহেতু মাসিকের সময় তাঁর সাহায্যের প্রয়োজন হয়, তাই স্যানিটারি প্যাড আকারে বড় হলে এবং স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি সময় ধরে ব্যবহার করা গেলে তা সহায়ক হবে।
প্রতিবন্ধী নারীদের জন্য সহজলভ্য ও নিরাপদ স্যানিটারি পণ্য উদ্ভাবনে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্বের আহ্বান জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞ ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। আজ বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের মিলনায়তনে আয়োজিত ‘প্রতিবন্ধী নারীদের জন্য স্যানিটারি পণ্য উদ্ভাবন’ শীর্ষক প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তাঁরা এই আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, একজন নারী গড়ে জীবনের প্রায় তিন হাজার দিন মাসিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় কাটান। এই দীর্ঘ সময়ে নারী যদি অবহেলা ও বৈষম্যের শিকার হন, তবে শুধু শারীরিক নয়, মানসিক স্থিতিশীলতাও চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আর প্রতিবন্ধী নারীদের ক্ষেত্রে এই ক্ষতির মাত্রা আরও ভয়াবহ। এমন পরিস্থিতিতে প্রতিবন্ধী নারীবান্ধব স্যানিটারি পণ্য উদ্ভাবন প্রয়োজন।
প্রতিবন্ধী নারীদের জন্য মাসিকের সময় স্যানিটারি পণ্যের প্রয়োজনের ওপর ভিত্তি করে উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করতে আন্তর্জাতিক সংস্থা ওয়াটারএইড বাংলাদেশ এবং কিম্বার্লি ক্লার্কের সহযোগিতায় বাংলাদেশ সোসাইটি ফর দ্য চেঞ্জ অ্যান্ড অ্যাডভোকেসি নেক্সাস (বি-স্ক্যান) এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।
ওয়াটারএইড বাংলাদেশের পরিচালক ও এমএইচএম প্ল্যাটফর্মের সভাপতি হাসিন জাহান এতে সভাপতিত্ব করেন। প্রতিযোগিতার উদ্বোধন ঘোষণা করেন প্রধান অতিথি পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আশরাফী আহমদ। এ ছাড়া, অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. সাইদুর রহমান খান, মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক (উপসচিব) মো. মনির হোসেন প্রমুখ।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বি-স্ক্যানের সহযোগী সমন্বয়কারী শাওনি ইমাম। তিনি বলেন, প্রতিবন্ধী তথ্য পরিষেবার মতে, বাংলাদেশে ৩৫ লাখেরও বেশি প্রতিবন্ধী ব্যক্তি রয়েছে, যার মধ্যে ১৪ লাখেরও বেশি নারী। বি-স্ক্যান, ওয়াটারএইড বাংলাদেশ এবং কিম্বার্লি-ক্লার্কের সহযোগিতায়, প্রতিবন্ধী নারীদের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যের এবং ব্যাপকভাবে অ্যাক্সেসযোগ্য স্যানিটারি পণ্য ডিজাইনের উদ্ভাবনের ওপর জোর দিয়ে এই প্রতিযোগিতাটি শুরু করেছে।
তিনি জানান, প্রতিযোগিতাটি ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত আবেদনের জন্য উন্মুক্ত এবং তিনজন বিজয়ীকে তাঁদের পণ্য বিকাশ ও প্রচারের জন্য ৭৫ হাজার থেকে ৩ লাখ টাকার মধ্যে পুরস্কার দেওয়া হবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ডা. আশরাফী আহমেদ বলেন, ‘এই সৃজনশীল প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ভালো উদ্যোগগুলো তুলে আনা সম্ভব। এ জন্য বাজারে এই ধরনের পণ্য প্রবর্তনের জন্য বিভিন্ন কোম্পানির সহযোগিতা অপরিহার্য।’
মো. মনির হোসেন বলেন, ‘মাসিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা এখনো পর্যন্ত প্রতিবন্ধী নারীদের প্রেক্ষাপটে যথাযথভাবে আলোচিত। সরকারি ও বেসরকারি অংশীদারত্বের মাধ্যমে টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাধানে আসা সম্ভব—যেখানে কাউকে পেছনে ফেলে রাখা হবে না। বাজেট ও কর্মসূচির আলোকে, এই উদ্যোগ বাস্তবায়নে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’ এ ছাড়া তিনি বিদ্যমান কর্মসূচির মধ্যে এই প্রতিযোগিতাকে সম্পৃক্ত করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
মো. সাইদুর রহমান খান বলেন, ‘প্রতিবন্ধী নারীদের জন্য সহজলভ্য ও নিরাপদ পণ্য উদ্ভাবন প্রতিযোগিতা-২০২৫ একটি চমৎকার সুযোগ। যার মাধ্যমে প্রতিযোগিতার ভিত্তিতে আমরা সহজলভ্য, নিরাপদ ও সম্মানজনক মাসিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে পারি।’
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বি-স্ক্যানের সাধারণ সম্পাদক সালমা মাহবুব। এ ছাড়া সার্বিক পরিস্থিতি এবং প্রতিযোগিতার বিষয়সমূহ নিয়ে উপস্থাপনা করেন বি-স্ক্যানের সহযোগী সমন্বয়কারী শাওনি ইমাম। এর আগে একটি ভিডিও তথ্যচিত্র দেখানো হয়।
মুক্ত আলোচনায় অংশ নেওয়া প্রতিবন্ধী নারীরা বলেন, ঋতুকালীন তাঁদের জন্য উপযোগী, নিরাপদ ও সহজলভ্য পণ্যের এখনো ঘাটতি রয়েছে। তাঁরা জানান, মাসিককালীন স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় এখনো নানা প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হতে হয়।
অনুষ্ঠানে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী বুশরা বলেন, যেহেতু মাসিকের সময় তাঁর সাহায্যের প্রয়োজন হয়, তাই স্যানিটারি প্যাড আকারে বড় হলে এবং স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি সময় ধরে ব্যবহার করা গেলে তা সহায়ক হবে।
বান্দরবানের থানচিতে ৫ মে সকালে পাহাড়ের জুমখেতে ধান রোপণ করতে গিয়েছিলেন এক খেয়াং নারী। দুপুরে বাড়ি ফিরে ভাত খাওয়ার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু তিনি আর ফিরে না আসায় পরিবারের লোকজন ও প্রতিবেশীরা বিকেলে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। একপর্যায়ে নির্মাণাধীন থানচি-রেমাক্রি-লেইক্রি সড়কের পাশের একটি নালায় তাঁর লাশ খুঁজে
২ দিন আগেবাকি দুনিয়ার কাছে নাম না জানা কাবুলের এক সরু গলির ভেতর অখ্যাত এক স্কুলে সংগোপনে হয়ে গেল দুই দিনের এক প্রদর্শনী। কাবুল শুনেই বুঝতে পারছেন, সেখানে এসব প্রদর্শনী সরকারিভাবে নিষিদ্ধ। কিন্তু সেটি হয়ে গেল।
২ দিন আগেআমার মামারা মায়ের সম্পত্তি দিচ্ছেন না। দিই-দিচ্ছি করে ঘোরাচ্ছেন অনেক বছর ধরে। এই কাজ কীভাবে করা সম্ভব? মায়ের নামে জমি খারিজ করতে গেলে মামাদের এনআইডি লাগবে। কীভাবে সেটা বের করতে পারি?
২ দিন আগেশিশুরা ভালোভাবে তখন শেখে, যখন তথ্য দেওয়ার পাশাপাশি সেগুলোকে তাদের নিজস্ব ধারণার মাধ্যমে বুঝতে দেওয়া হয়। নিজস্ব ধারণা এবং আগ্রহ বিকাশের সুযোগ দেওয়া হলে শিশুরা কেবল জ্ঞান অর্জন করবে না, বরং সেই জ্ঞানকে ব্যবহার করাও শিখবে। এই পদ্ধতিতে শিক্ষা দেওয়ার জন্য ১৯১৫ সালে নিউইয়র্ক সিটিতে একটি স্কুল খোলা হয়।
২ দিন আগে