আন্তর্জাতিক নারী
ফিচার ডেস্ক

হতে চেয়েছিলেন বিজ্ঞানী। কিন্তু হলেন অনুসন্ধানী সাংবাদিক। নাম তাঁর ইডা টারবেল। উনিশ শতকে পৃথিবীময় তেল ব্যবসার ৯০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করত রকফেলারদের প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড অয়েল কোম্পানি। সেই প্রতিষ্ঠানের কালো দিক উন্মোচন করে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন ইডা। পত্রিকায় প্রকাশের পর সেই প্রতিবেদন নিয়ে লিখেছিলেন দুই খণ্ডের বই ‘দ্য হিস্ট্রি অব স্ট্যান্ডার্ড অয়েল কোম্পানি’। এর ফলে ধাক্কা লেগেছিল রকফেলারদের তেল সাম্রাজ্যে। এই সাহসিকতার জন্য এখনো অনেক অনুসন্ধানী সাংবাদিক আদর্শ মনে করেন ইডাকে।
মক্রেকিং মানে ময়লা খনন করা। এখান থেকে সাংবাদিকতার জগতে এসেছিল ‘মক্রেকার’ শব্দটি। মূলত এই মক্রেকাররা ছিলেন নির্ভীক অনুসন্ধানী সাংবাদিক। তাঁদের অনুসন্ধানের জগৎ ছিল রাজনীতি থেকে শুরু করে বৃহৎ ব্যবসা—সবখানে। এই অনুসন্ধানী লেখকদের মধ্যে জনপ্রিয়তম ছিলেন ইডা এম টারবেল।
জন ডি রকফেলার ১৮৬৩ সালে তাঁর প্রথম তেল শোধনাগার নির্মাণ করেন। ১৮৭৭ সালের মধ্যে তিনি আমেরিকান তেল শিল্পের ৯০ শতাংশের নিয়ন্ত্রণ নেন। এত বড় ব্যবসা পরিচালনায় রকফেলার ১৮৮২ সালে প্রথম একটি ট্রাস্ট গঠন করেন। এই ট্রাস্ট ছোট ব্যবসায়ী ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে দমিয়ে একচেটিয়া ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ শুরু করে। যদিও বেশির ভাগ মানুষ জানত, রকফেলার তাঁর তেল সাম্রাজ্য দিয়ে ছোট প্রতিষ্ঠানগুলোতে কর্মসংস্থান তৈরি করতেন।
কল্পনাই ভবিষ্যতের একমাত্র চাবিকাঠি। এটি ছাড়া কোনো কিছুরই অস্তিত্ব নেই। সবকিছু সম্ভব এর মাধ্যমে।
কিন্তু ১৯০২ সালের দিক থেকে রকফেলারদের এই ফাঁদের কথা বুঝে ফেলে ইডা সতর্কতার সঙ্গে স্ট্যান্ডার্ড অয়েলের আক্রমণাত্মক কৌশলগুলো নথিভুক্ত শুরু করেন। ইডার লেখায় উঠে আসে রেলপথের সঙ্গে রকফেলারের সম্পৃক্ততার কথা। তাঁর অনুসন্ধানী প্রতিবেদন সে সময়ের জনপ্রিয় ‘ম্যাকক্লুর’স ম্যাগাজিন’ এ ১৯০২ সালের নভেম্বর থেকে ১৯০৪ সালের অক্টোবর পর্যন্ত ১৯ পর্বে প্রকাশিত হয়। ১৯০৪ সালে সেই প্রতিবেদন ‘দ্য হিস্ট্রি অব দ্য স্ট্যান্ডার্ড অয়েল কোম্পানি’ শিরোনামে দুই খণ্ডের বই হিসেবে প্রকাশিত হয়।

ইডার বাবা ছিলেন একজন তেল উৎপাদনকারী। ফলে দুর্ভাগ্যজনকভাবে ১৮৭২ সালে ক্লিভল্যান্ডের তেল যুদ্ধের সাক্ষী হতে হয়েছিল ১৪ বছরের কিশোরী ইডাকে। সে যুদ্ধ যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও এবং পশ্চিম পেনসিলভানিয়ায় তাঁর বাবাসহ আরও কয়েক ডজন ছোট তেল উৎপাদনকারীকে নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছিল। সেই যুদ্ধে ক্লিভল্যান্ড শহরের ৮৫ শতাংশ ছোট তেল শোধনাগারের মালিক শহরটি ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন। সেই যুদ্ধের অভিঘাত পড়েছিল ইডার জীবনে। ফলে তিনি পরিণত বয়সে এই তেল যুদ্ধের কারণ খুঁজতে হয়ে গিয়েছিলেন অনুসন্ধানী সাংবাদিক। আর আবিষ্কার করেছিলেন স্ট্যান্ডার্ড অয়েল কোম্পানির তেল সাম্রাজ্যের পেছনের গল্প।
তবে ইডা কেবল যে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতাই করেছেন, তা নয়। তিনি নেপোলিয়ন বোনাপার্ট এবং আব্রাহাম লিংকনের জীবনীও লিখেছিলেন। ১৮৯০ সালের গোড়ার দিকে ইডা প্যারিসে চলে যান। তিনি ফরাসি বিপ্লবে অংশ নেওয়া নারীদের সম্পর্কে একটি সিরিজ নিবন্ধ লিখেছিলেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়ার এরি কাউন্টিতে ১৮৫৭ সালের ৫ নভেম্বর জন্মেছিলেন ইডা টারবেল।

হতে চেয়েছিলেন বিজ্ঞানী। কিন্তু হলেন অনুসন্ধানী সাংবাদিক। নাম তাঁর ইডা টারবেল। উনিশ শতকে পৃথিবীময় তেল ব্যবসার ৯০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করত রকফেলারদের প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড অয়েল কোম্পানি। সেই প্রতিষ্ঠানের কালো দিক উন্মোচন করে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন ইডা। পত্রিকায় প্রকাশের পর সেই প্রতিবেদন নিয়ে লিখেছিলেন দুই খণ্ডের বই ‘দ্য হিস্ট্রি অব স্ট্যান্ডার্ড অয়েল কোম্পানি’। এর ফলে ধাক্কা লেগেছিল রকফেলারদের তেল সাম্রাজ্যে। এই সাহসিকতার জন্য এখনো অনেক অনুসন্ধানী সাংবাদিক আদর্শ মনে করেন ইডাকে।
মক্রেকিং মানে ময়লা খনন করা। এখান থেকে সাংবাদিকতার জগতে এসেছিল ‘মক্রেকার’ শব্দটি। মূলত এই মক্রেকাররা ছিলেন নির্ভীক অনুসন্ধানী সাংবাদিক। তাঁদের অনুসন্ধানের জগৎ ছিল রাজনীতি থেকে শুরু করে বৃহৎ ব্যবসা—সবখানে। এই অনুসন্ধানী লেখকদের মধ্যে জনপ্রিয়তম ছিলেন ইডা এম টারবেল।
জন ডি রকফেলার ১৮৬৩ সালে তাঁর প্রথম তেল শোধনাগার নির্মাণ করেন। ১৮৭৭ সালের মধ্যে তিনি আমেরিকান তেল শিল্পের ৯০ শতাংশের নিয়ন্ত্রণ নেন। এত বড় ব্যবসা পরিচালনায় রকফেলার ১৮৮২ সালে প্রথম একটি ট্রাস্ট গঠন করেন। এই ট্রাস্ট ছোট ব্যবসায়ী ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে দমিয়ে একচেটিয়া ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ শুরু করে। যদিও বেশির ভাগ মানুষ জানত, রকফেলার তাঁর তেল সাম্রাজ্য দিয়ে ছোট প্রতিষ্ঠানগুলোতে কর্মসংস্থান তৈরি করতেন।
কল্পনাই ভবিষ্যতের একমাত্র চাবিকাঠি। এটি ছাড়া কোনো কিছুরই অস্তিত্ব নেই। সবকিছু সম্ভব এর মাধ্যমে।
কিন্তু ১৯০২ সালের দিক থেকে রকফেলারদের এই ফাঁদের কথা বুঝে ফেলে ইডা সতর্কতার সঙ্গে স্ট্যান্ডার্ড অয়েলের আক্রমণাত্মক কৌশলগুলো নথিভুক্ত শুরু করেন। ইডার লেখায় উঠে আসে রেলপথের সঙ্গে রকফেলারের সম্পৃক্ততার কথা। তাঁর অনুসন্ধানী প্রতিবেদন সে সময়ের জনপ্রিয় ‘ম্যাকক্লুর’স ম্যাগাজিন’ এ ১৯০২ সালের নভেম্বর থেকে ১৯০৪ সালের অক্টোবর পর্যন্ত ১৯ পর্বে প্রকাশিত হয়। ১৯০৪ সালে সেই প্রতিবেদন ‘দ্য হিস্ট্রি অব দ্য স্ট্যান্ডার্ড অয়েল কোম্পানি’ শিরোনামে দুই খণ্ডের বই হিসেবে প্রকাশিত হয়।

ইডার বাবা ছিলেন একজন তেল উৎপাদনকারী। ফলে দুর্ভাগ্যজনকভাবে ১৮৭২ সালে ক্লিভল্যান্ডের তেল যুদ্ধের সাক্ষী হতে হয়েছিল ১৪ বছরের কিশোরী ইডাকে। সে যুদ্ধ যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও এবং পশ্চিম পেনসিলভানিয়ায় তাঁর বাবাসহ আরও কয়েক ডজন ছোট তেল উৎপাদনকারীকে নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছিল। সেই যুদ্ধে ক্লিভল্যান্ড শহরের ৮৫ শতাংশ ছোট তেল শোধনাগারের মালিক শহরটি ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন। সেই যুদ্ধের অভিঘাত পড়েছিল ইডার জীবনে। ফলে তিনি পরিণত বয়সে এই তেল যুদ্ধের কারণ খুঁজতে হয়ে গিয়েছিলেন অনুসন্ধানী সাংবাদিক। আর আবিষ্কার করেছিলেন স্ট্যান্ডার্ড অয়েল কোম্পানির তেল সাম্রাজ্যের পেছনের গল্প।
তবে ইডা কেবল যে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতাই করেছেন, তা নয়। তিনি নেপোলিয়ন বোনাপার্ট এবং আব্রাহাম লিংকনের জীবনীও লিখেছিলেন। ১৮৯০ সালের গোড়ার দিকে ইডা প্যারিসে চলে যান। তিনি ফরাসি বিপ্লবে অংশ নেওয়া নারীদের সম্পর্কে একটি সিরিজ নিবন্ধ লিখেছিলেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়ার এরি কাউন্টিতে ১৮৫৭ সালের ৫ নভেম্বর জন্মেছিলেন ইডা টারবেল।

বই মানুষের জীবন বদলে দিতে পারে— এই সত্য স্পষ্টভাবে ধরা পড়ে নূজহাত নাছিম দিয়ার জীবনে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের একটি শান্ত, বইপ্রেমী পরিবেশে বেড়ে উঠেছেন দিয়া। পরিবারে মা-বাবা ও দুই ভাই সব সময় তাঁকে পড়াশোনা এবং সাহিত্যচর্চায় উৎসাহ দিয়ে এসেছেন।
১ ঘণ্টা আগে
ভোরের আলো ফোটার অপেক্ষায় থাকা নতুন বছরের সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আমরা। যুগে যুগে বছরের সঙ্গে তাল মিলিয়ে পাল্টেছে ট্রেন্ড। কিন্তু আজও যখন আমরা আধুনিক প্রসাধনশিল্পের দিকে তাকাই, তখন একটি নাম ধ্রুবতারার মতো উজ্জ্বল হয়ে ওঠে—এলিজাবেথ আরডেন। ১৮৭৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর কানাডার ওন্টারিওতে এক খামারে ফ্লোরেন্স...
১ ঘণ্টা আগে
খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের প্রধান উৎসব বড়দিনের কথা মনে হলে কিছু জনপ্রিয় গানের কথা সামনে আসে। জানেন কি, হিমেল হাওয়ার পরশ আর আলোকসজ্জার রোশনাইয়ের মধ্যে যে সুরগুলো আমাদের কানে বাজে, সেগুলো সৃষ্টির নেপথ্যে রয়েছে একদল নারী। তাঁদের লেখা, কণ্ঠ আর সুরের জাদুকরী মিশেলে বড়দিন পেয়েছে এক অনন্য রূপ।...
৬ দিন আগে
ঢাকা শহরে শুধু নয়, পুরো দেশে নারীরা ক্ষুদ্র থেকে মাঝারি অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে সরব অবদান রেখে চলেছেন। আমরা সেই সব নারীকে ‘উদ্যোক্তা’ হিসেবে দেখছি। এই নারী উদ্যোক্তাদের জন্য বছরজুড়ে অনুষ্ঠিত হতো বিভিন্ন ধরনের মেলা, সেটাও শুধু ঢাকায় নয়; বরং পুরো দেশে। সেই মেলাগুলো শুধু পণ্য বিক্রির জায়গা নয়...
৭ দিন আগেমুহাম্মদ শফিকুর রহমান

বই মানুষের জীবন বদলে দিতে পারে— এই সত্য স্পষ্টভাবে ধরা পড়ে নূজহাত নাছিম দিয়ার জীবনে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের একটি শান্ত, বইপ্রেমী পরিবেশে বেড়ে উঠেছেন দিয়া। পরিবারে মা-বাবা ও দুই ভাই সব সময় তাঁকে পড়াশোনা এবং সাহিত্যচর্চায় উৎসাহ দিয়ে এসেছেন। এই সমর্থন তাঁকে শক্তি জুগিয়েছে। বর্তমানে তিনি সোনারগাঁ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম বিভাগে অনার্সে পড়ছেন। পাশাপাশি নিজের ক্যারিয়ার গড়ার পথে নিয়মিত বই পড়া এবং রিভিউ করা চালিয়ে যাচ্ছেন।
বুক রিভিউ জগতে দিয়ার প্রথম পদক্ষেপ ছিল সমরেশ মজুমদারের বিখ্যাত উপন্যাস ‘সাতকাহন’ বইটি নিয়ে। বই নিয়ে কাজ করার সিদ্ধান্ত আসে নিজের বিষণ্নতা আর মানসিক চাপ থেকে। কারণ, তাঁর খারাপ সময়ে বই-ই তাঁকে সঙ্গ দিয়েছে, সাহস জুগিয়েছে। কাজ শুরু করার পর পাঠকদের কাছ থেকে পাওয়া ইতিবাচক সাড়া দিয়াকে সবচেয়ে বড় উৎসাহ দেয়। লেখা ও ভিডিও মিলিয়ে তিনি এরই মধ্যে ৮০টির বেশি বইয়ের রিভিউ করেছেন। তাঁর সবচেয়ে আলোচিত রিভিউগুলোর মধ্যে রয়েছে স্বপন মিয়ার গল্পকথায় বাংলা ব্যাকরণ এবং কথাসাহিত্যিক মোহিত কামালের পরাণচুল্লি। এ ছাড়া ‘ঈশ্বর, তুমি কি শুনছ? আমি মার্গারেট বলছি’, ‘সাতকাহন’, ‘টিউজডেজ উইদ মরি, অ্যাটমিক হ্যাবিটস এবং ডেইলি স্টোয়িক’, ‘মহৎ জীবন’ এমন অসংখ্য বই নিয়ে কাজ করেছেন তিনি। বুক রিভিউ করা দিয়া কারও কাছে প্রশিক্ষণ নিয়ে শেখেননি। নিজেই দেশি-বিদেশি বুক ইনফ্লুয়েন্সারদের রিভিউ দেখেছেন, সাহিত্যতত্ত্ব পড়েছেন এবং লেখালেখির চর্চা করেছেন। সময় ব্যবস্থাপনাই তাঁর বড় চ্যালেঞ্জ। কখনো বই সংগ্রহের সমস্যা, কখনো অনাকাঙ্ক্ষিত নেতিবাচক মন্তব্য—সবই তাঁকে আরও দৃঢ় করে তুলেছে। তবে তাঁর বুক রিভিউ যাত্রার সবচেয়ে আনন্দের মুহূর্ত ছিল যখন একজন পাঠক তাঁকে জানান, তাঁর রিভিউ দেখে তিনি আবার বই পড়ায় ফিরে এসেছেন।
২০২৪ সালে দিয়া সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে তাঁর বুকটক উইদ নূজহাত পেজটি চালু করেন। এখানে তিনি নিয়মিত রিভিউ, বইয়ের বিশ্লেষণ ও পাঠ-অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন। তিনি কবিতা, প্রবন্ধ, আত্মোন্নয়নমূলক লেখা ও পাঠ প্রতিক্রিয়া লিখে থাকেন। যার কিছু অনলাইন সাহিত্যমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। পাশাপাশি আরশিনগর সাহিত্য চক্রে তিনি বই আলোচনা এবং নতুন লেখক ও রিভিউয়ারদের উৎসাহিত করার কাজ করেন। দিয়া পেয়েছেন ‘ঐতিহ্য বুক ইনফ্লুয়েন্সার ২০২৫’ সম্মাননা, যা তাঁর কাজকে আরও মূল্যায়িত করেছে। ঐতিহ্যের আয়োজিত বুক ইনফ্লুয়েন্সার গেট টুগেদারে যোগ দিয়ে তিনি লেখক, পাঠক এবং বইপ্রেমীদের সঙ্গে মতবিনিময়ের বিশেষ সুযোগ পেয়েছেন। আগামী দিনে দিয়া আরও পেশাদারভাবে রিভিউ করতে চান, লেখালেখি বাড়াতে চান এবং শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন পূরণ করতে চান।
বই দান কার্যক্রম এবং শিক্ষাবঞ্চিত শিশুদের পড়াশোনায় সহায়তা করা তাঁর নিয়মিত অভ্যাস। এই যাত্রা সম্পর্কে দিয়া বলেন, বই মানুষকে বাঁচায়। ভেতরে ভেঙে যাওয়া মানুষেরাও বইয়ের কাছে ফিরে এলে আবার গড়ে উঠতে পারেন। তাঁর নিজের জীবনের মতো বই-ই তাঁর পুনর্জন্ম।

বই মানুষের জীবন বদলে দিতে পারে— এই সত্য স্পষ্টভাবে ধরা পড়ে নূজহাত নাছিম দিয়ার জীবনে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের একটি শান্ত, বইপ্রেমী পরিবেশে বেড়ে উঠেছেন দিয়া। পরিবারে মা-বাবা ও দুই ভাই সব সময় তাঁকে পড়াশোনা এবং সাহিত্যচর্চায় উৎসাহ দিয়ে এসেছেন। এই সমর্থন তাঁকে শক্তি জুগিয়েছে। বর্তমানে তিনি সোনারগাঁ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম বিভাগে অনার্সে পড়ছেন। পাশাপাশি নিজের ক্যারিয়ার গড়ার পথে নিয়মিত বই পড়া এবং রিভিউ করা চালিয়ে যাচ্ছেন।
বুক রিভিউ জগতে দিয়ার প্রথম পদক্ষেপ ছিল সমরেশ মজুমদারের বিখ্যাত উপন্যাস ‘সাতকাহন’ বইটি নিয়ে। বই নিয়ে কাজ করার সিদ্ধান্ত আসে নিজের বিষণ্নতা আর মানসিক চাপ থেকে। কারণ, তাঁর খারাপ সময়ে বই-ই তাঁকে সঙ্গ দিয়েছে, সাহস জুগিয়েছে। কাজ শুরু করার পর পাঠকদের কাছ থেকে পাওয়া ইতিবাচক সাড়া দিয়াকে সবচেয়ে বড় উৎসাহ দেয়। লেখা ও ভিডিও মিলিয়ে তিনি এরই মধ্যে ৮০টির বেশি বইয়ের রিভিউ করেছেন। তাঁর সবচেয়ে আলোচিত রিভিউগুলোর মধ্যে রয়েছে স্বপন মিয়ার গল্পকথায় বাংলা ব্যাকরণ এবং কথাসাহিত্যিক মোহিত কামালের পরাণচুল্লি। এ ছাড়া ‘ঈশ্বর, তুমি কি শুনছ? আমি মার্গারেট বলছি’, ‘সাতকাহন’, ‘টিউজডেজ উইদ মরি, অ্যাটমিক হ্যাবিটস এবং ডেইলি স্টোয়িক’, ‘মহৎ জীবন’ এমন অসংখ্য বই নিয়ে কাজ করেছেন তিনি। বুক রিভিউ করা দিয়া কারও কাছে প্রশিক্ষণ নিয়ে শেখেননি। নিজেই দেশি-বিদেশি বুক ইনফ্লুয়েন্সারদের রিভিউ দেখেছেন, সাহিত্যতত্ত্ব পড়েছেন এবং লেখালেখির চর্চা করেছেন। সময় ব্যবস্থাপনাই তাঁর বড় চ্যালেঞ্জ। কখনো বই সংগ্রহের সমস্যা, কখনো অনাকাঙ্ক্ষিত নেতিবাচক মন্তব্য—সবই তাঁকে আরও দৃঢ় করে তুলেছে। তবে তাঁর বুক রিভিউ যাত্রার সবচেয়ে আনন্দের মুহূর্ত ছিল যখন একজন পাঠক তাঁকে জানান, তাঁর রিভিউ দেখে তিনি আবার বই পড়ায় ফিরে এসেছেন।
২০২৪ সালে দিয়া সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে তাঁর বুকটক উইদ নূজহাত পেজটি চালু করেন। এখানে তিনি নিয়মিত রিভিউ, বইয়ের বিশ্লেষণ ও পাঠ-অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন। তিনি কবিতা, প্রবন্ধ, আত্মোন্নয়নমূলক লেখা ও পাঠ প্রতিক্রিয়া লিখে থাকেন। যার কিছু অনলাইন সাহিত্যমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। পাশাপাশি আরশিনগর সাহিত্য চক্রে তিনি বই আলোচনা এবং নতুন লেখক ও রিভিউয়ারদের উৎসাহিত করার কাজ করেন। দিয়া পেয়েছেন ‘ঐতিহ্য বুক ইনফ্লুয়েন্সার ২০২৫’ সম্মাননা, যা তাঁর কাজকে আরও মূল্যায়িত করেছে। ঐতিহ্যের আয়োজিত বুক ইনফ্লুয়েন্সার গেট টুগেদারে যোগ দিয়ে তিনি লেখক, পাঠক এবং বইপ্রেমীদের সঙ্গে মতবিনিময়ের বিশেষ সুযোগ পেয়েছেন। আগামী দিনে দিয়া আরও পেশাদারভাবে রিভিউ করতে চান, লেখালেখি বাড়াতে চান এবং শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন পূরণ করতে চান।
বই দান কার্যক্রম এবং শিক্ষাবঞ্চিত শিশুদের পড়াশোনায় সহায়তা করা তাঁর নিয়মিত অভ্যাস। এই যাত্রা সম্পর্কে দিয়া বলেন, বই মানুষকে বাঁচায়। ভেতরে ভেঙে যাওয়া মানুষেরাও বইয়ের কাছে ফিরে এলে আবার গড়ে উঠতে পারেন। তাঁর নিজের জীবনের মতো বই-ই তাঁর পুনর্জন্ম।

হতে চেয়েছিলেন বিজ্ঞানী। কিন্তু হলেন অনুসন্ধানী সাংবাদিক। নাম তাঁর ইডা টারবেল। উনিশ শতকে পৃথিবীময় তেল ব্যবসার ৯০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করত রকফেলারদের প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড অয়েল কোম্পানি। সেই প্রতিষ্ঠানের কালো দিক উন্মোচন করে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন ইডা।
৩০ অক্টোবর ২০২৪
ভোরের আলো ফোটার অপেক্ষায় থাকা নতুন বছরের সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আমরা। যুগে যুগে বছরের সঙ্গে তাল মিলিয়ে পাল্টেছে ট্রেন্ড। কিন্তু আজও যখন আমরা আধুনিক প্রসাধনশিল্পের দিকে তাকাই, তখন একটি নাম ধ্রুবতারার মতো উজ্জ্বল হয়ে ওঠে—এলিজাবেথ আরডেন। ১৮৭৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর কানাডার ওন্টারিওতে এক খামারে ফ্লোরেন্স...
১ ঘণ্টা আগে
খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের প্রধান উৎসব বড়দিনের কথা মনে হলে কিছু জনপ্রিয় গানের কথা সামনে আসে। জানেন কি, হিমেল হাওয়ার পরশ আর আলোকসজ্জার রোশনাইয়ের মধ্যে যে সুরগুলো আমাদের কানে বাজে, সেগুলো সৃষ্টির নেপথ্যে রয়েছে একদল নারী। তাঁদের লেখা, কণ্ঠ আর সুরের জাদুকরী মিশেলে বড়দিন পেয়েছে এক অনন্য রূপ।...
৬ দিন আগে
ঢাকা শহরে শুধু নয়, পুরো দেশে নারীরা ক্ষুদ্র থেকে মাঝারি অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে সরব অবদান রেখে চলেছেন। আমরা সেই সব নারীকে ‘উদ্যোক্তা’ হিসেবে দেখছি। এই নারী উদ্যোক্তাদের জন্য বছরজুড়ে অনুষ্ঠিত হতো বিভিন্ন ধরনের মেলা, সেটাও শুধু ঢাকায় নয়; বরং পুরো দেশে। সেই মেলাগুলো শুধু পণ্য বিক্রির জায়গা নয়...
৭ দিন আগেফিচার ডেস্ক

ভোরের আলো ফোটার অপেক্ষায় থাকা নতুন বছরের সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আমরা। যুগে যুগে বছরের সঙ্গে তাল মিলিয়ে পাল্টেছে ট্রেন্ড। কিন্তু আজও যখন আমরা আধুনিক প্রসাধনশিল্পের দিকে তাকাই, তখন একটি নাম ধ্রুবতারার মতো উজ্জ্বল হয়ে ওঠে—এলিজাবেথ আরডেন। ১৮৭৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর কানাডার ওন্টারিওতে এক খামারে ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল গ্রাহাম হিসেবে জন্ম নেওয়া এই নারীই মূলত আজকের বিলিয়ন ডলারের কসমেটিক ইন্ডাস্ট্রির রূপকার। তিনি এমন একজন মানুষ, যাঁর নাম আজ ব্র্যান্ড হয়ে কোটি নারীর অন্তর থেকে ড্রেসিং টেবিলের ড্রয়ারে পৌঁছে গেছে। তিনি নিছক প্রসাধনকে নারীর আত্মবিশ্বাস আর অধিকারের হাতিয়ারে রূপান্তর করেছিলেন।
বিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকেও সমাজে প্রসাধনী বা লিপস্টিকের ব্যবহার ছিল চরমভাবে বিতর্কিত। মেকআপকে তখন মনে করা হতো অশালীন এবং কেবল মঞ্চাভিনেত্রীদের সাজ। কিন্তু এলিজাবেথ আরডেন এই সামাজিক জড়তাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন। ১৯১০ সালে নিউইয়র্কের অভিজাত ফিফথ অ্যাভিনিউতে তাঁর প্রথম স্যালন উদ্বোধন করেন তিনি। সেই ‘রেড ডোর’ নামের প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তিনি প্রমাণ করেন, রূপচর্চা লুকানোর বিষয় নয়, বরং এটি আভিজাত্যের প্রতীক। তাঁর দর্শন ছিল, স্পষ্ট মেকআপ সৌন্দর্যকে আড়াল করার জন্য নয়, বরং প্রকৃতির দেওয়া স্বাভাবিক সৌন্দর্যকে আরও ফুটিয়ে তোলা। এলিজাবেথ আরডেন ছিলেন আধুনিক বিউটি ইন্ডাস্ট্রির প্রথম প্রকৃত উদ্ভাবক। বিজ্ঞানের সঙ্গে রূপচর্চাকে মিলিয়ে তিনি প্রথম ত্বকের যত্নে বৈজ্ঞানিক ফর্মুলা ব্যবহার শুরু করেন। ১৯৩০ সালে তাঁর হাত ধরে আসা ‘এইট আওয়ার ক্রিম’ আজ এক শতাব্দী পরও বিশ্বজুড়ে রূপসচেতন নারীদের কাছে আস্থার নাম। তিনিই প্রথম নারীদের জন্য আই মেকআপ এবং মেকওভার বা ভোল বদলে দেওয়ার ধারণাটি নিয়ে আসেন। আজকের দিনে আমরা যে ট্রাভেল সাইজ কিংবা ছোট প্যাকের প্রসাধনী দেখি, তার প্রবর্তকও ছিলেন আরডেন। তাঁর ব্যবসায়িক দূরদর্শিতা এতটাই প্রবল ছিল যে ১৯২৯ সালের চরম অর্থনৈতিক মন্দার সময়েও তিনি ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধি বজায় রেখেছিলেন। তিনি বলতেন, ‘নারীরা যখন আর্থিক ক্ষতির চাপে পিষ্ট, তখন সুগন্ধিযুক্ত পানিতে গোসল তাঁদের নতুন করে সজীবতা দেয়।’
এলিজাবেথ আরডেনের জীবন ছিল লড়াইয়ের গল্প। ১৯১২ সালে যখন নারীরা ভোটাধিকারের দাবিতে রাজপথে নেমেছিলেন, আরডেন তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন সংহতির প্রতীক হিসেবে ‘লাল লিপস্টিক’ হাতে নিয়ে। ভোটাধিকার পাওয়ার আগেই তিনি নিজেকে একজন সফল উদ্যোক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ১৯৪৬ সালে তিনি প্রথম নারী ব্যবসায়ী হিসেবে ‘টাইম’ ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদে জায়গা করে নিয়েছিলেন। এমনকি
নিজের বয়স নিয়েও তাঁর ছিল এক অদ্ভুত আভিজাত্য; ১৯৬৬ সালে ৮১ বছর বয়সে মৃত্যুর আগপর্যন্ত তিনি বিশ্বকে তাঁর প্রকৃত বয়স জানতে দেননি। কারণ, তিনি বিশ্বাস করতেন, বয়স শুধু সংখ্যামাত্র। বর্তমান সময়ে নারীদের প্রসাধনের সামগ্রী ব্যবহারের দিকে তাকালে এলিজাবেথ আরডেনের সেই দূরদর্শী ভাবনার প্রতিফলন স্পষ্টভাবে অনুভব করা যায়। আজকের আধুনিক নারী শুধু সুন্দর দেখানোর জন্য প্রসাধনী ব্যবহার করেন না, বরং এটি তাঁদের ব্যক্তিত্ব এবং সচেতনতার বহিঃপ্রকাশ। বর্তমান বিউটি প্রোডাক্টগুলো নিয়ে নারীরা এখন অনেক বেশি সচেতন। তাঁরা প্রসাধনী নির্বাচনে পণ্যের গুণমান এবং এটি তাঁদের ত্বকের সুস্থতায় কী ভূমিকা রাখছে, তা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করেন। আরডেনের সেই বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গিই আজ আধুনিক নারীদের গাইডলাইন হিসেবে কাজ করছে। আজকের নারীর সজ্জা শুধু অন্যের চোখে সুন্দর হওয়ার জন্য নয়, বরং নিজের আত্মবিশ্বাস সুসংহত করার একটি মাধ্যম। ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলারের এই বিশাল সাম্রাজ্য শুধু পণ্যের ওপর দাঁড়িয়ে নেই, বরং টিকে আছে আরডেনের সেই বিশ্বাসের ওপর। যেখানে বলা হয়েছে, ‘সামান্য উচ্চাকাঙ্ক্ষা থাকলে একজন নারী যা অর্জন করতে পারে, তা সত্যিই বিস্ময়কর।’ এলিজাবেথ আরডেন আজ নেই, কিন্তু তাঁর সেই ‘লাল দরজা’ আজও কোটি নারীর আভিজাত্য আর আত্মবিশ্বাসের প্রতীক হয়ে টিকে আছে।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান, টাইমস ম্যাগাজিন

ভোরের আলো ফোটার অপেক্ষায় থাকা নতুন বছরের সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আমরা। যুগে যুগে বছরের সঙ্গে তাল মিলিয়ে পাল্টেছে ট্রেন্ড। কিন্তু আজও যখন আমরা আধুনিক প্রসাধনশিল্পের দিকে তাকাই, তখন একটি নাম ধ্রুবতারার মতো উজ্জ্বল হয়ে ওঠে—এলিজাবেথ আরডেন। ১৮৭৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর কানাডার ওন্টারিওতে এক খামারে ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল গ্রাহাম হিসেবে জন্ম নেওয়া এই নারীই মূলত আজকের বিলিয়ন ডলারের কসমেটিক ইন্ডাস্ট্রির রূপকার। তিনি এমন একজন মানুষ, যাঁর নাম আজ ব্র্যান্ড হয়ে কোটি নারীর অন্তর থেকে ড্রেসিং টেবিলের ড্রয়ারে পৌঁছে গেছে। তিনি নিছক প্রসাধনকে নারীর আত্মবিশ্বাস আর অধিকারের হাতিয়ারে রূপান্তর করেছিলেন।
বিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকেও সমাজে প্রসাধনী বা লিপস্টিকের ব্যবহার ছিল চরমভাবে বিতর্কিত। মেকআপকে তখন মনে করা হতো অশালীন এবং কেবল মঞ্চাভিনেত্রীদের সাজ। কিন্তু এলিজাবেথ আরডেন এই সামাজিক জড়তাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন। ১৯১০ সালে নিউইয়র্কের অভিজাত ফিফথ অ্যাভিনিউতে তাঁর প্রথম স্যালন উদ্বোধন করেন তিনি। সেই ‘রেড ডোর’ নামের প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তিনি প্রমাণ করেন, রূপচর্চা লুকানোর বিষয় নয়, বরং এটি আভিজাত্যের প্রতীক। তাঁর দর্শন ছিল, স্পষ্ট মেকআপ সৌন্দর্যকে আড়াল করার জন্য নয়, বরং প্রকৃতির দেওয়া স্বাভাবিক সৌন্দর্যকে আরও ফুটিয়ে তোলা। এলিজাবেথ আরডেন ছিলেন আধুনিক বিউটি ইন্ডাস্ট্রির প্রথম প্রকৃত উদ্ভাবক। বিজ্ঞানের সঙ্গে রূপচর্চাকে মিলিয়ে তিনি প্রথম ত্বকের যত্নে বৈজ্ঞানিক ফর্মুলা ব্যবহার শুরু করেন। ১৯৩০ সালে তাঁর হাত ধরে আসা ‘এইট আওয়ার ক্রিম’ আজ এক শতাব্দী পরও বিশ্বজুড়ে রূপসচেতন নারীদের কাছে আস্থার নাম। তিনিই প্রথম নারীদের জন্য আই মেকআপ এবং মেকওভার বা ভোল বদলে দেওয়ার ধারণাটি নিয়ে আসেন। আজকের দিনে আমরা যে ট্রাভেল সাইজ কিংবা ছোট প্যাকের প্রসাধনী দেখি, তার প্রবর্তকও ছিলেন আরডেন। তাঁর ব্যবসায়িক দূরদর্শিতা এতটাই প্রবল ছিল যে ১৯২৯ সালের চরম অর্থনৈতিক মন্দার সময়েও তিনি ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধি বজায় রেখেছিলেন। তিনি বলতেন, ‘নারীরা যখন আর্থিক ক্ষতির চাপে পিষ্ট, তখন সুগন্ধিযুক্ত পানিতে গোসল তাঁদের নতুন করে সজীবতা দেয়।’
এলিজাবেথ আরডেনের জীবন ছিল লড়াইয়ের গল্প। ১৯১২ সালে যখন নারীরা ভোটাধিকারের দাবিতে রাজপথে নেমেছিলেন, আরডেন তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন সংহতির প্রতীক হিসেবে ‘লাল লিপস্টিক’ হাতে নিয়ে। ভোটাধিকার পাওয়ার আগেই তিনি নিজেকে একজন সফল উদ্যোক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ১৯৪৬ সালে তিনি প্রথম নারী ব্যবসায়ী হিসেবে ‘টাইম’ ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদে জায়গা করে নিয়েছিলেন। এমনকি
নিজের বয়স নিয়েও তাঁর ছিল এক অদ্ভুত আভিজাত্য; ১৯৬৬ সালে ৮১ বছর বয়সে মৃত্যুর আগপর্যন্ত তিনি বিশ্বকে তাঁর প্রকৃত বয়স জানতে দেননি। কারণ, তিনি বিশ্বাস করতেন, বয়স শুধু সংখ্যামাত্র। বর্তমান সময়ে নারীদের প্রসাধনের সামগ্রী ব্যবহারের দিকে তাকালে এলিজাবেথ আরডেনের সেই দূরদর্শী ভাবনার প্রতিফলন স্পষ্টভাবে অনুভব করা যায়। আজকের আধুনিক নারী শুধু সুন্দর দেখানোর জন্য প্রসাধনী ব্যবহার করেন না, বরং এটি তাঁদের ব্যক্তিত্ব এবং সচেতনতার বহিঃপ্রকাশ। বর্তমান বিউটি প্রোডাক্টগুলো নিয়ে নারীরা এখন অনেক বেশি সচেতন। তাঁরা প্রসাধনী নির্বাচনে পণ্যের গুণমান এবং এটি তাঁদের ত্বকের সুস্থতায় কী ভূমিকা রাখছে, তা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করেন। আরডেনের সেই বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গিই আজ আধুনিক নারীদের গাইডলাইন হিসেবে কাজ করছে। আজকের নারীর সজ্জা শুধু অন্যের চোখে সুন্দর হওয়ার জন্য নয়, বরং নিজের আত্মবিশ্বাস সুসংহত করার একটি মাধ্যম। ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলারের এই বিশাল সাম্রাজ্য শুধু পণ্যের ওপর দাঁড়িয়ে নেই, বরং টিকে আছে আরডেনের সেই বিশ্বাসের ওপর। যেখানে বলা হয়েছে, ‘সামান্য উচ্চাকাঙ্ক্ষা থাকলে একজন নারী যা অর্জন করতে পারে, তা সত্যিই বিস্ময়কর।’ এলিজাবেথ আরডেন আজ নেই, কিন্তু তাঁর সেই ‘লাল দরজা’ আজও কোটি নারীর আভিজাত্য আর আত্মবিশ্বাসের প্রতীক হয়ে টিকে আছে।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান, টাইমস ম্যাগাজিন

হতে চেয়েছিলেন বিজ্ঞানী। কিন্তু হলেন অনুসন্ধানী সাংবাদিক। নাম তাঁর ইডা টারবেল। উনিশ শতকে পৃথিবীময় তেল ব্যবসার ৯০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করত রকফেলারদের প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড অয়েল কোম্পানি। সেই প্রতিষ্ঠানের কালো দিক উন্মোচন করে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন ইডা।
৩০ অক্টোবর ২০২৪
বই মানুষের জীবন বদলে দিতে পারে— এই সত্য স্পষ্টভাবে ধরা পড়ে নূজহাত নাছিম দিয়ার জীবনে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের একটি শান্ত, বইপ্রেমী পরিবেশে বেড়ে উঠেছেন দিয়া। পরিবারে মা-বাবা ও দুই ভাই সব সময় তাঁকে পড়াশোনা এবং সাহিত্যচর্চায় উৎসাহ দিয়ে এসেছেন।
১ ঘণ্টা আগে
খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের প্রধান উৎসব বড়দিনের কথা মনে হলে কিছু জনপ্রিয় গানের কথা সামনে আসে। জানেন কি, হিমেল হাওয়ার পরশ আর আলোকসজ্জার রোশনাইয়ের মধ্যে যে সুরগুলো আমাদের কানে বাজে, সেগুলো সৃষ্টির নেপথ্যে রয়েছে একদল নারী। তাঁদের লেখা, কণ্ঠ আর সুরের জাদুকরী মিশেলে বড়দিন পেয়েছে এক অনন্য রূপ।...
৬ দিন আগে
ঢাকা শহরে শুধু নয়, পুরো দেশে নারীরা ক্ষুদ্র থেকে মাঝারি অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে সরব অবদান রেখে চলেছেন। আমরা সেই সব নারীকে ‘উদ্যোক্তা’ হিসেবে দেখছি। এই নারী উদ্যোক্তাদের জন্য বছরজুড়ে অনুষ্ঠিত হতো বিভিন্ন ধরনের মেলা, সেটাও শুধু ঢাকায় নয়; বরং পুরো দেশে। সেই মেলাগুলো শুধু পণ্য বিক্রির জায়গা নয়...
৭ দিন আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের প্রধান উৎসব বড়দিনের কথা মনে হলে কিছু জনপ্রিয় গানের কথা সামনে আসে। জানেন কি, হিমেল হাওয়ার পরশ আর আলোকসজ্জার রোশনাইয়ের মধ্যে যে সুরগুলো আমাদের কানে বাজে, সেগুলো সৃষ্টির নেপথ্যে রয়েছে একদল নারী। তাঁদের লেখা, কণ্ঠ আর সুরের জাদুকরী মিশেলে বড়দিন পেয়েছে এক অনন্য রূপ।
কুইন অব ক্রিসমাস মারায়া
বড়দিনের গানের কথা উঠলে যে নামটি সবার আগে স্মৃতির পাতায় ভেসে ওঠে, তিনি হলেন মারায়া কেরি। ১৯৯৪ সালে প্রকাশিত হয় বড়দিনের অলিখিত অ্যানথাম, ‘অল আই ওয়ান্ট ফর ক্রিসমাস ইজ ইউ...’ গানটি। এটি যৌথভাবে লিখেছিলেন মারায়া কেরি ও ওয়াল্টার এন আফানাসিফ। এর কণ্ঠশিল্পী ছিলেন মারায়া। এই গানের প্রতিটি ছত্রে মিশে রয়েছে এক চিরন্তন আর্তি। তাঁর গানের কথায় ফুটে ওঠে সেই সত্য, ‘বড়দিনে খুব বেশি কিছু চাওয়ার নেই আমার,/ শুধু একটি জিনিসেরই বড় প্রয়োজন... বড়দিনে শুধু তোমাকেই চাই আমি!’ এর অর্থ, উৎসবের জাঁকজমক বা দামি উপহারের চেয়ে প্রিয় মানুষের সান্নিধ্যই আসল।

মারায়া কেরি ও ওয়াল্টার এ গানটি লিখতে ও সুর করতে সময় নিয়েছিলেন মাত্র ১৫ মিনিট। গান লেখা ও কণ্ঠ দেওয়াই নয়, মারায়া ছিলেন এই গানের সুরকার। প্রতিবছরের ডিসেম্বরে বিলবোর্ড চার্টের শীর্ষে ফিরে আসা এই এক গান থেকে তিনি কোটি কোটি টাকা রয়্যালটি পান, যা তাঁকে এনে দিয়েছে কুইন অব ক্রিসমাস বা বড়দিনের রানি উপাধি।
ড্রামের শব্দে ধ্রুপদি সুর

এক দরিদ্র শিশু, যার কাছে যিশুর জন্মের আনন্দ উৎসবে দেওয়ার মতো কোনো দামি উপহার ছিল না। তাই সে তার ছোট্ট ড্রামটি বাজিয়ে সম্মান জানাতে চেয়েছিল। এমনই একটি ঘটনাকে সুরে-তালে মিলিয়েছিলেন আমেরিকান সংগীত শিক্ষক ক্যাথরিন কেনিকট ডেভিস। ১৯৪১ সালের অনন্য সৃষ্টি ‘দ্য লিটিল ড্রামার বয়’ গানটি। প্রথমে এর নাম ছিল ‘দ্য ক্যারল অব দ্য ড্রাম’। গানটি একটি চেক গানের অনুকরণে তৈরি বলে ধারণা করা হয়। তবে এর সুর এবং কথা দুটোরই মূল কারিগর ছিলেন ক্যাথরিন। গানের সেই বিখ্যাত ‘পা-রাম-পাম-পাম-পাম’ সুরটি মূলত ক্যাথরিনেরই করা। আজও বিশ্বের প্রতিটি প্রান্তে বড়দিনের ক্যারল হিসেবে এ সুরটি মানুষের হৃদয়ে অনুরণিত হয়।
চঞ্চলতা ও শাশ্বত আবেদন
বড়দিনের উৎসবে কেবল ভক্তি বা আবেগ নয়, মিশে থাকে কিছুটা চঞ্চলতা আর কৌতুকও। ১৯৫৩ সালে মুক্তি পাওয়া ‘স্যান্টা বেবি’ গানটি তারই প্রমাণ। এর নেপথ্যে ছিলেন প্রতিভাবান গীতিকার জোয়ান জাভিটস। তিনি ছিলেন বিখ্যাত মার্কিন সিনেটর জ্যাকব জাভিটসের ভাইয়ের মেয়ে। সে সময়ে দাঁড়িয়ে এক নারীর এমন চটুল ও আধুনিক কথার গান লেখা ছিল বেশ সাহসী পদক্ষেপ। ফিল স্প্রিংগার ও টনি স্প্রিংগারের সঙ্গে মিলে জোয়ান এ গানটি লিখেছিলেন। গানটি আর্থ কিটের কণ্ঠে অমর হয়ে আছে। দশকের পর দশক পার হলেও গানটির আবেদন একটুও কমেনি। ম্যাডোনা থেকে শুরু করে কাইলি মিনোগ, টেইলর সুইফট এবং আরিয়ানা গ্রান্দের মতো বর্তমান সময়ের পপতারকারাও এ গানটি নতুন করে গেয়েছেন।

কিংবদন্তির সুর ও আধুনিকতার ছোঁয়া
কান্ট্রি মিউজিকের কিংবদন্তি ডলি পার্টন বড়দিনের উৎসবকে রাঙিয়েছেন নিজের মেধা দিয়ে। তিনি বড়দিন উপলক্ষে একাধিক সফল অ্যালবাম প্রকাশ করেছেন, যেগুলোর অধিকাংশ গানই ছিল তাঁর নিজের লেখা। তাঁর অমর সৃষ্টি ‘হার্ড ক্যান্ডি ক্রিসমাস’ ও ‘ক্রিসমাস অব মেনি কালার্স’ গানগুলো আজও শ্রোতাদের মুগ্ধ করে।
সিয়ার কণ্ঠে বড়দিনের আনন্দের স্রোত

সময়ের স্রোতে বড়দিনের গানে যোগ হয়েছে আধুনিকতার নতুন মাত্রা। তরুণ প্রজন্মের কাছে বড়দিন মানেই যেন অস্ট্রেলিয়ান সংগীতশিল্পী ও গীতিকার সিয়া। ২০১৭ সালে তিনি প্রকাশ করেন ‘এভরিডে ইজ ক্রিসমাস’ অ্যালবামটি। সিয়া প্রমাণ করেছেন, বড়দিনের গানের জন্য কেবল পুরোনো ক্ল্যাসিকের ওপর নির্ভর করার প্রয়োজন নেই। তাঁর নিজের লেখা ‘স্নো ম্যান’ ও ‘স্যান্টা ইজ কামিং ফর আস’ গানগুলো এখনকার ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ও সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক জনপ্রিয়।
বড়দিনের সুরের মূর্ছনা কেবল সুর নয়; বরং এক অদৃশ্য মিলনমেলা। পর্দার আড়ালে থাকা এই নারী কারিগরদের লেখনী আর সুরের মায়ায় বড়দিন হয়ে ওঠে আরও মধুময়, আরও প্রাণবন্ত। প্রিয়জন আর আত্মীয়স্বজনের সে মিলনমেলায় এ গানগুলোই হয়ে থাকে আত্মার খোরাক।
সূত্র: বিবিসি, ওয়েব্যাক মেশিন, কনকর্ড ফ্রি পাবলিক লাইব্রেরি, ভ্যানিটি ফেয়ার

খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের প্রধান উৎসব বড়দিনের কথা মনে হলে কিছু জনপ্রিয় গানের কথা সামনে আসে। জানেন কি, হিমেল হাওয়ার পরশ আর আলোকসজ্জার রোশনাইয়ের মধ্যে যে সুরগুলো আমাদের কানে বাজে, সেগুলো সৃষ্টির নেপথ্যে রয়েছে একদল নারী। তাঁদের লেখা, কণ্ঠ আর সুরের জাদুকরী মিশেলে বড়দিন পেয়েছে এক অনন্য রূপ।
কুইন অব ক্রিসমাস মারায়া
বড়দিনের গানের কথা উঠলে যে নামটি সবার আগে স্মৃতির পাতায় ভেসে ওঠে, তিনি হলেন মারায়া কেরি। ১৯৯৪ সালে প্রকাশিত হয় বড়দিনের অলিখিত অ্যানথাম, ‘অল আই ওয়ান্ট ফর ক্রিসমাস ইজ ইউ...’ গানটি। এটি যৌথভাবে লিখেছিলেন মারায়া কেরি ও ওয়াল্টার এন আফানাসিফ। এর কণ্ঠশিল্পী ছিলেন মারায়া। এই গানের প্রতিটি ছত্রে মিশে রয়েছে এক চিরন্তন আর্তি। তাঁর গানের কথায় ফুটে ওঠে সেই সত্য, ‘বড়দিনে খুব বেশি কিছু চাওয়ার নেই আমার,/ শুধু একটি জিনিসেরই বড় প্রয়োজন... বড়দিনে শুধু তোমাকেই চাই আমি!’ এর অর্থ, উৎসবের জাঁকজমক বা দামি উপহারের চেয়ে প্রিয় মানুষের সান্নিধ্যই আসল।

মারায়া কেরি ও ওয়াল্টার এ গানটি লিখতে ও সুর করতে সময় নিয়েছিলেন মাত্র ১৫ মিনিট। গান লেখা ও কণ্ঠ দেওয়াই নয়, মারায়া ছিলেন এই গানের সুরকার। প্রতিবছরের ডিসেম্বরে বিলবোর্ড চার্টের শীর্ষে ফিরে আসা এই এক গান থেকে তিনি কোটি কোটি টাকা রয়্যালটি পান, যা তাঁকে এনে দিয়েছে কুইন অব ক্রিসমাস বা বড়দিনের রানি উপাধি।
ড্রামের শব্দে ধ্রুপদি সুর

এক দরিদ্র শিশু, যার কাছে যিশুর জন্মের আনন্দ উৎসবে দেওয়ার মতো কোনো দামি উপহার ছিল না। তাই সে তার ছোট্ট ড্রামটি বাজিয়ে সম্মান জানাতে চেয়েছিল। এমনই একটি ঘটনাকে সুরে-তালে মিলিয়েছিলেন আমেরিকান সংগীত শিক্ষক ক্যাথরিন কেনিকট ডেভিস। ১৯৪১ সালের অনন্য সৃষ্টি ‘দ্য লিটিল ড্রামার বয়’ গানটি। প্রথমে এর নাম ছিল ‘দ্য ক্যারল অব দ্য ড্রাম’। গানটি একটি চেক গানের অনুকরণে তৈরি বলে ধারণা করা হয়। তবে এর সুর এবং কথা দুটোরই মূল কারিগর ছিলেন ক্যাথরিন। গানের সেই বিখ্যাত ‘পা-রাম-পাম-পাম-পাম’ সুরটি মূলত ক্যাথরিনেরই করা। আজও বিশ্বের প্রতিটি প্রান্তে বড়দিনের ক্যারল হিসেবে এ সুরটি মানুষের হৃদয়ে অনুরণিত হয়।
চঞ্চলতা ও শাশ্বত আবেদন
বড়দিনের উৎসবে কেবল ভক্তি বা আবেগ নয়, মিশে থাকে কিছুটা চঞ্চলতা আর কৌতুকও। ১৯৫৩ সালে মুক্তি পাওয়া ‘স্যান্টা বেবি’ গানটি তারই প্রমাণ। এর নেপথ্যে ছিলেন প্রতিভাবান গীতিকার জোয়ান জাভিটস। তিনি ছিলেন বিখ্যাত মার্কিন সিনেটর জ্যাকব জাভিটসের ভাইয়ের মেয়ে। সে সময়ে দাঁড়িয়ে এক নারীর এমন চটুল ও আধুনিক কথার গান লেখা ছিল বেশ সাহসী পদক্ষেপ। ফিল স্প্রিংগার ও টনি স্প্রিংগারের সঙ্গে মিলে জোয়ান এ গানটি লিখেছিলেন। গানটি আর্থ কিটের কণ্ঠে অমর হয়ে আছে। দশকের পর দশক পার হলেও গানটির আবেদন একটুও কমেনি। ম্যাডোনা থেকে শুরু করে কাইলি মিনোগ, টেইলর সুইফট এবং আরিয়ানা গ্রান্দের মতো বর্তমান সময়ের পপতারকারাও এ গানটি নতুন করে গেয়েছেন।

কিংবদন্তির সুর ও আধুনিকতার ছোঁয়া
কান্ট্রি মিউজিকের কিংবদন্তি ডলি পার্টন বড়দিনের উৎসবকে রাঙিয়েছেন নিজের মেধা দিয়ে। তিনি বড়দিন উপলক্ষে একাধিক সফল অ্যালবাম প্রকাশ করেছেন, যেগুলোর অধিকাংশ গানই ছিল তাঁর নিজের লেখা। তাঁর অমর সৃষ্টি ‘হার্ড ক্যান্ডি ক্রিসমাস’ ও ‘ক্রিসমাস অব মেনি কালার্স’ গানগুলো আজও শ্রোতাদের মুগ্ধ করে।
সিয়ার কণ্ঠে বড়দিনের আনন্দের স্রোত

সময়ের স্রোতে বড়দিনের গানে যোগ হয়েছে আধুনিকতার নতুন মাত্রা। তরুণ প্রজন্মের কাছে বড়দিন মানেই যেন অস্ট্রেলিয়ান সংগীতশিল্পী ও গীতিকার সিয়া। ২০১৭ সালে তিনি প্রকাশ করেন ‘এভরিডে ইজ ক্রিসমাস’ অ্যালবামটি। সিয়া প্রমাণ করেছেন, বড়দিনের গানের জন্য কেবল পুরোনো ক্ল্যাসিকের ওপর নির্ভর করার প্রয়োজন নেই। তাঁর নিজের লেখা ‘স্নো ম্যান’ ও ‘স্যান্টা ইজ কামিং ফর আস’ গানগুলো এখনকার ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ও সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক জনপ্রিয়।
বড়দিনের সুরের মূর্ছনা কেবল সুর নয়; বরং এক অদৃশ্য মিলনমেলা। পর্দার আড়ালে থাকা এই নারী কারিগরদের লেখনী আর সুরের মায়ায় বড়দিন হয়ে ওঠে আরও মধুময়, আরও প্রাণবন্ত। প্রিয়জন আর আত্মীয়স্বজনের সে মিলনমেলায় এ গানগুলোই হয়ে থাকে আত্মার খোরাক।
সূত্র: বিবিসি, ওয়েব্যাক মেশিন, কনকর্ড ফ্রি পাবলিক লাইব্রেরি, ভ্যানিটি ফেয়ার

হতে চেয়েছিলেন বিজ্ঞানী। কিন্তু হলেন অনুসন্ধানী সাংবাদিক। নাম তাঁর ইডা টারবেল। উনিশ শতকে পৃথিবীময় তেল ব্যবসার ৯০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করত রকফেলারদের প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড অয়েল কোম্পানি। সেই প্রতিষ্ঠানের কালো দিক উন্মোচন করে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন ইডা।
৩০ অক্টোবর ২০২৪
বই মানুষের জীবন বদলে দিতে পারে— এই সত্য স্পষ্টভাবে ধরা পড়ে নূজহাত নাছিম দিয়ার জীবনে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের একটি শান্ত, বইপ্রেমী পরিবেশে বেড়ে উঠেছেন দিয়া। পরিবারে মা-বাবা ও দুই ভাই সব সময় তাঁকে পড়াশোনা এবং সাহিত্যচর্চায় উৎসাহ দিয়ে এসেছেন।
১ ঘণ্টা আগে
ভোরের আলো ফোটার অপেক্ষায় থাকা নতুন বছরের সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আমরা। যুগে যুগে বছরের সঙ্গে তাল মিলিয়ে পাল্টেছে ট্রেন্ড। কিন্তু আজও যখন আমরা আধুনিক প্রসাধনশিল্পের দিকে তাকাই, তখন একটি নাম ধ্রুবতারার মতো উজ্জ্বল হয়ে ওঠে—এলিজাবেথ আরডেন। ১৮৭৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর কানাডার ওন্টারিওতে এক খামারে ফ্লোরেন্স...
১ ঘণ্টা আগে
ঢাকা শহরে শুধু নয়, পুরো দেশে নারীরা ক্ষুদ্র থেকে মাঝারি অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে সরব অবদান রেখে চলেছেন। আমরা সেই সব নারীকে ‘উদ্যোক্তা’ হিসেবে দেখছি। এই নারী উদ্যোক্তাদের জন্য বছরজুড়ে অনুষ্ঠিত হতো বিভিন্ন ধরনের মেলা, সেটাও শুধু ঢাকায় নয়; বরং পুরো দেশে। সেই মেলাগুলো শুধু পণ্য বিক্রির জায়গা নয়...
৭ দিন আগেকাশফিয়া আলম ঝিলিক, ঢাকা

ঢাকা শহরে শুধু নয়, পুরো দেশে নারীরা ক্ষুদ্র থেকে মাঝারি অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে সরব অবদান রেখে চলেছেন। আমরা সেই সব নারীকে ‘উদ্যোক্তা’ হিসেবে দেখছি। এই নারী উদ্যোক্তাদের জন্য বছরজুড়ে অনুষ্ঠিত হতো বিভিন্ন ধরনের মেলা, সেটাও শুধু ঢাকায় নয়; বরং পুরো দেশে। সেই মেলাগুলো শুধু পণ্য বিক্রির জায়গা নয়; বরং নেটওয়ার্কিং, নতুন আইডিয়া বিনিময় এবং অভিজ্ঞতা অর্জনের বিশাল খোলা বই। তবে চলতি বছর সেই মেলাগুলোর চিত্রটা কিছুটা ভিন্ন; বিশেষ করে উদ্যোক্তা মেলার সংখ্যা কমে যাওয়া এবং এর প্রভাব নিয়ে তৈরি হয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
মেলার গুরুত্ব ও বর্তমান সংকট
এসএমই ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, নতুন উদ্যোক্তাদের ৬০ শতাংশ নারী। ফাউন্ডেশনটি এ পর্যন্ত ৫০ হাজারের বেশি উদ্যোক্তাকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে। আর্টেমিস লাইফস্টাইলের স্বত্বাধিকারী ফায়জা আহমেদ রাফা বলেন, ‘আমরা যারা অনলাইন বিজনেসের সঙ্গে জড়িত, তারা বছরে বেশ কিছু মেলায় অংশ নেওয়ার চেষ্টা করি, যাতে সরাসরি ভোক্তাদের সঙ্গে একটা সম্পর্ক তৈরি করা যায়।
এ ছাড়া উদ্যোক্তা মেলাগুলোতে পরিচিতি পাওয়ার সুযোগ থাকে। অনলাইন উদ্যোগ নিয়ে ভোক্তাদের অনেক সময় বিশ্বাস তৈরি করতে অসুবিধা হয়। মেলা করলে তাঁরা সরাসরি এসে পণ্য যাচাই করতে পারেন। এর ফলে অনেকে নিশ্চিন্তে অনলাইনে অর্ডার করেন।’ রাফা আরও জানান, সাধারণত ঈদ, ফাল্গুন, বৈশাখ বা দুর্গাপূজার মতো উৎসবগুলোকে কেন্দ্র করে মেলার আয়োজন করা হয়। তবে তাঁর পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, ‘লাস্ট দু-এক বছরে তুলনামূলক মেলার আয়োজন কিছুটা কম।’
কেন কমছে মেলার সংখ্যা
নারী উদ্যোক্তা ফোরামের সভাপতি রাফিয়া আক্তার, যিনি ক্ষুদ্র নারী উদ্যোক্তাদের ব্যবসা সম্প্রসারণে কাজ করছেন, তিনি এ বছর বড় কোনো মেলার আয়োজন করতে পারেননি। এর কারণ হিসেবে তিনি দেশের অস্থিতিশীল রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতিকে দায়ী করেছেন। রাফিয়া আক্তার বলেন, ‘আসলে দেশের পরিস্থিতির কারণে এ বছর মেলা আয়োজন করা হয়নি। যে কারণে অর্থনৈতিক দিকেও প্রভাব পড়েছে। এ মুহূর্তে ইনভেস্ট করে মেলায় কেউ অংশ নেবেন কি না, সেসব দিক বিবেচনা করে বড় কোনো মেলার আয়োজন করা হয়নি এবার।’
রাফিয়া আক্তার আরও যোগ করেন, ‘গত বছরের আগেও দেখা গেছে, সব সময় ফোন আসত, এখানে মেলা সেখানে মেলা। সেটা কমে গেছে। এটা আমার কাছে কম এসেছে কি না জানি না। মনে হয়, মেলার আয়োজন তুলনামূলক কমে গেছে।’
তবে এ বিষয়ে ভিন্ন মত পোষণ করেন
মাইসারার স্বত্বাধিকারী এলমা খন্দকার এষা। তিনি বলেন, ‘গত কয়েক বছর আমি মেলা করিনি। তবে চলতি বছর বেশ কিছু মেলা করেছি। সেটা যদি হিসাব করি, তাহলে আমার চোখে মেলা কম মনে হয়নি।’
অর্থনীতিতে নারীর অবদান ও আগামীর প্রত্যাশা অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০২৪ অনুযায়ী, দেশের ১ কোটি ১৮ লাখ এসএমইর মধ্যে মাত্র ৬ দশমিক ৪৭ শতাংশ নারী মালিকানাধীন হলেও উদ্যোক্তা হওয়ার হার দ্রুত বাড়ছে। বর্তমানে দেশের ৩ কোটি ৭ লাখ কর্মজীবীর মধ্যে ১৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ নারী। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) একটি চমকপ্রদ তথ্য হলো, ২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে দারিদ্র্যসীমায় নতুন করে কোনো নারী যুক্ত হননি, যেখানে ১ লাখ ৬০ হাজার পুরুষ নতুন করে দরিদ্র হয়েছেন।
সৌন্দর্যশিল্প, হস্তশিল্প, বুটিক ও ব্লক প্রিন্টের মতো খাতে নারীদের জয়জয়কার। এই অগ্রযাত্রা ধরে রাখতে মেলার মতো প্ল্যাটফর্মগুলো অপরিহার্য। এতে ঢাকাসহ বড় শহরের ভোক্তাদের সঙ্গে সারা দেশের নারী উদ্যোক্তাদের সরাসরি যোগাযোগ তৈরি হয়। এতে পণ্য ও ক্রয়বৈচিত্র্য বাড়ে, ভোক্তা এবং সরবরাহকারীদের মধ্যে পারস্পরিক আস্থা তৈরি
হয়। সর্বোপরি অর্থনৈতিক গতিশীলতা ঠিক থাকে। কিন্তু এ বছর দৃশ্যমানভাবে মেলার সংখ্যা কিছুটা কমে গেছে। তবু উদ্যোক্তারা অনেক আশাবাদী। এই আশাবাদ দেশের অর্থনীতির জন্যই।

ঢাকা শহরে শুধু নয়, পুরো দেশে নারীরা ক্ষুদ্র থেকে মাঝারি অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে সরব অবদান রেখে চলেছেন। আমরা সেই সব নারীকে ‘উদ্যোক্তা’ হিসেবে দেখছি। এই নারী উদ্যোক্তাদের জন্য বছরজুড়ে অনুষ্ঠিত হতো বিভিন্ন ধরনের মেলা, সেটাও শুধু ঢাকায় নয়; বরং পুরো দেশে। সেই মেলাগুলো শুধু পণ্য বিক্রির জায়গা নয়; বরং নেটওয়ার্কিং, নতুন আইডিয়া বিনিময় এবং অভিজ্ঞতা অর্জনের বিশাল খোলা বই। তবে চলতি বছর সেই মেলাগুলোর চিত্রটা কিছুটা ভিন্ন; বিশেষ করে উদ্যোক্তা মেলার সংখ্যা কমে যাওয়া এবং এর প্রভাব নিয়ে তৈরি হয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
মেলার গুরুত্ব ও বর্তমান সংকট
এসএমই ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, নতুন উদ্যোক্তাদের ৬০ শতাংশ নারী। ফাউন্ডেশনটি এ পর্যন্ত ৫০ হাজারের বেশি উদ্যোক্তাকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে। আর্টেমিস লাইফস্টাইলের স্বত্বাধিকারী ফায়জা আহমেদ রাফা বলেন, ‘আমরা যারা অনলাইন বিজনেসের সঙ্গে জড়িত, তারা বছরে বেশ কিছু মেলায় অংশ নেওয়ার চেষ্টা করি, যাতে সরাসরি ভোক্তাদের সঙ্গে একটা সম্পর্ক তৈরি করা যায়।
এ ছাড়া উদ্যোক্তা মেলাগুলোতে পরিচিতি পাওয়ার সুযোগ থাকে। অনলাইন উদ্যোগ নিয়ে ভোক্তাদের অনেক সময় বিশ্বাস তৈরি করতে অসুবিধা হয়। মেলা করলে তাঁরা সরাসরি এসে পণ্য যাচাই করতে পারেন। এর ফলে অনেকে নিশ্চিন্তে অনলাইনে অর্ডার করেন।’ রাফা আরও জানান, সাধারণত ঈদ, ফাল্গুন, বৈশাখ বা দুর্গাপূজার মতো উৎসবগুলোকে কেন্দ্র করে মেলার আয়োজন করা হয়। তবে তাঁর পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, ‘লাস্ট দু-এক বছরে তুলনামূলক মেলার আয়োজন কিছুটা কম।’
কেন কমছে মেলার সংখ্যা
নারী উদ্যোক্তা ফোরামের সভাপতি রাফিয়া আক্তার, যিনি ক্ষুদ্র নারী উদ্যোক্তাদের ব্যবসা সম্প্রসারণে কাজ করছেন, তিনি এ বছর বড় কোনো মেলার আয়োজন করতে পারেননি। এর কারণ হিসেবে তিনি দেশের অস্থিতিশীল রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতিকে দায়ী করেছেন। রাফিয়া আক্তার বলেন, ‘আসলে দেশের পরিস্থিতির কারণে এ বছর মেলা আয়োজন করা হয়নি। যে কারণে অর্থনৈতিক দিকেও প্রভাব পড়েছে। এ মুহূর্তে ইনভেস্ট করে মেলায় কেউ অংশ নেবেন কি না, সেসব দিক বিবেচনা করে বড় কোনো মেলার আয়োজন করা হয়নি এবার।’
রাফিয়া আক্তার আরও যোগ করেন, ‘গত বছরের আগেও দেখা গেছে, সব সময় ফোন আসত, এখানে মেলা সেখানে মেলা। সেটা কমে গেছে। এটা আমার কাছে কম এসেছে কি না জানি না। মনে হয়, মেলার আয়োজন তুলনামূলক কমে গেছে।’
তবে এ বিষয়ে ভিন্ন মত পোষণ করেন
মাইসারার স্বত্বাধিকারী এলমা খন্দকার এষা। তিনি বলেন, ‘গত কয়েক বছর আমি মেলা করিনি। তবে চলতি বছর বেশ কিছু মেলা করেছি। সেটা যদি হিসাব করি, তাহলে আমার চোখে মেলা কম মনে হয়নি।’
অর্থনীতিতে নারীর অবদান ও আগামীর প্রত্যাশা অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০২৪ অনুযায়ী, দেশের ১ কোটি ১৮ লাখ এসএমইর মধ্যে মাত্র ৬ দশমিক ৪৭ শতাংশ নারী মালিকানাধীন হলেও উদ্যোক্তা হওয়ার হার দ্রুত বাড়ছে। বর্তমানে দেশের ৩ কোটি ৭ লাখ কর্মজীবীর মধ্যে ১৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ নারী। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) একটি চমকপ্রদ তথ্য হলো, ২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে দারিদ্র্যসীমায় নতুন করে কোনো নারী যুক্ত হননি, যেখানে ১ লাখ ৬০ হাজার পুরুষ নতুন করে দরিদ্র হয়েছেন।
সৌন্দর্যশিল্প, হস্তশিল্প, বুটিক ও ব্লক প্রিন্টের মতো খাতে নারীদের জয়জয়কার। এই অগ্রযাত্রা ধরে রাখতে মেলার মতো প্ল্যাটফর্মগুলো অপরিহার্য। এতে ঢাকাসহ বড় শহরের ভোক্তাদের সঙ্গে সারা দেশের নারী উদ্যোক্তাদের সরাসরি যোগাযোগ তৈরি হয়। এতে পণ্য ও ক্রয়বৈচিত্র্য বাড়ে, ভোক্তা এবং সরবরাহকারীদের মধ্যে পারস্পরিক আস্থা তৈরি
হয়। সর্বোপরি অর্থনৈতিক গতিশীলতা ঠিক থাকে। কিন্তু এ বছর দৃশ্যমানভাবে মেলার সংখ্যা কিছুটা কমে গেছে। তবু উদ্যোক্তারা অনেক আশাবাদী। এই আশাবাদ দেশের অর্থনীতির জন্যই।

হতে চেয়েছিলেন বিজ্ঞানী। কিন্তু হলেন অনুসন্ধানী সাংবাদিক। নাম তাঁর ইডা টারবেল। উনিশ শতকে পৃথিবীময় তেল ব্যবসার ৯০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করত রকফেলারদের প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড অয়েল কোম্পানি। সেই প্রতিষ্ঠানের কালো দিক উন্মোচন করে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন ইডা।
৩০ অক্টোবর ২০২৪
বই মানুষের জীবন বদলে দিতে পারে— এই সত্য স্পষ্টভাবে ধরা পড়ে নূজহাত নাছিম দিয়ার জীবনে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের একটি শান্ত, বইপ্রেমী পরিবেশে বেড়ে উঠেছেন দিয়া। পরিবারে মা-বাবা ও দুই ভাই সব সময় তাঁকে পড়াশোনা এবং সাহিত্যচর্চায় উৎসাহ দিয়ে এসেছেন।
১ ঘণ্টা আগে
ভোরের আলো ফোটার অপেক্ষায় থাকা নতুন বছরের সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আমরা। যুগে যুগে বছরের সঙ্গে তাল মিলিয়ে পাল্টেছে ট্রেন্ড। কিন্তু আজও যখন আমরা আধুনিক প্রসাধনশিল্পের দিকে তাকাই, তখন একটি নাম ধ্রুবতারার মতো উজ্জ্বল হয়ে ওঠে—এলিজাবেথ আরডেন। ১৮৭৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর কানাডার ওন্টারিওতে এক খামারে ফ্লোরেন্স...
১ ঘণ্টা আগে
খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের প্রধান উৎসব বড়দিনের কথা মনে হলে কিছু জনপ্রিয় গানের কথা সামনে আসে। জানেন কি, হিমেল হাওয়ার পরশ আর আলোকসজ্জার রোশনাইয়ের মধ্যে যে সুরগুলো আমাদের কানে বাজে, সেগুলো সৃষ্টির নেপথ্যে রয়েছে একদল নারী। তাঁদের লেখা, কণ্ঠ আর সুরের জাদুকরী মিশেলে বড়দিন পেয়েছে এক অনন্য রূপ।...
৬ দিন আগে