ইশতিয়াক হাসান

এমন একটি হীরার খনির কথা চিন্তা করুন তো, যেখানে চাইলেই বাচ্চাকাচ্চা নিয়ে হীরার সন্ধানে নেমে পড়তে পারবেন। এমনকি এখানে কোনো হীরা পেলে সেটা সঙ্গে করে নিয়েও যেতে পারবেন। কেমন অবিশ্বাস্য শোনালেও মার্কিন মুল্লুকে এমন একটি খনি সত্যি আছে।
খনিটির অবস্থান আরকানসাস রাজ্যের মারফ্রিজবোরো এলাকায়। এর বর্তমান নাম অবশ্য ক্রেটার অব ডায়মন্ডস স্টেট পার্ক।
জন ওয়েসলি হাডলস্টন নামের এক ব্যক্তি কীভাবে আগ্নেয়গিরির রত্ন-সমৃদ্ধ মৃত জ্বালামুখে প্রথম হীরা খুঁজে পান এবং ‘ডায়মন্ড কিং’ বা ‘হীরক রাজা’ নামে পরিচিতি পেয়ে যান তা নিয়ে নানা ধরনের গল্প প্রচলিত আছে। সবচেয়ে জনপ্রিয় সংস্করণটি বলছে, ঘটনার সূচনা ১৯০৬ সালে। মধ্যবয়সী, অশিক্ষিত কৃষক হাডলস্টন তাঁর ২৪৩ একরের খামারের শালগমখেতে কাজ করছিলেন। এ সময়ই দুটি অদ্ভুত ধরনের চকচকে হলুদ কিন্তু স্বচ্ছ পাথর খুঁজে পেলেন।
জিনিসগুলো আসলে কী সে সম্পর্কে নিশ্চিত না হওয়ায় গ্রাইন্ডিং হুইল দিয়ে পরীক্ষা করেন। তাঁকে বলা হয়েছিল এটি হীরা ছাড়া যেকোনো কিছুকে নির্দিষ্ট আকার দিতে পারে। তখনই খেয়াল করলেন পাথর দুটোর কিছু হয়নি, উল্টো এই চূর্ণ করার চাকার মধ্যে ক্ষত তৈরি করেছে। আর এ থেকে অনুমান করলেন হীরা পেয়ে গেছেন তিনি। এর দাম কেমন হতে পারে জানার জন্য কাছের শহর লিটল রকের এক স্বর্ণকারের কাছ পাঠালেন।
এখন তাঁর আবিষ্কারের জায়গাটি পৃথিবীর একমাত্র হীরার খনি, যেটি সাধারণ মানুষের জন্য উন্মুক্ত। আর এখানে যে রত্নই খুঁজে পান না কেন সঙ্গে নিয়ে যেতে পারবেন।
আনুমানিক ৩০০ কোটি বছর আগে শুরু হওয়া ধারাবাহিক ও নাটকীয় ভূতাত্ত্বিক পরিবর্তন এবং ভয়ংকর আগ্নেয় কার্যকলাপের ফলাফল হিসেবে হীরার খনিটির জন্ম। পৃথিবীর ভূত্বকের নিচে ৬০ থেকে ১০০ মাইলের মধ্যে উচ্চ তাপমাত্রা এবং চাপ কার্বনকে হীরাতে রূপ দেয়। তারপরে প্রেইরি ক্রিক নামে পরিচিত আগ্নেয়গিরির ছিদ্র গঠনের সময় গ্যাস এবং টুকরোসহ একটি প্রচণ্ড বিস্ফোরণ এই পাথর এবং খনিজগুলোকে পৃথিবীর গভীর থেকে ওপরে নিয়ে আসে।
আর এই হীরার খনি আবিষ্কারে বলা চলে গোটা দেশেই হাডলস্টন জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। এদিকে শহরের স্বর্ণকার তাঁকে জানান একটি হীরার ওজন ২ দশমিক ৬৩ ক্যারেট এবং অন্যটির ১ দশমিক ৩৮ ক্যারেট। যে জমিটি ১ হাজার ডলার ও একটি খচ্চরের বিনিময়ে কিনেছিলেন, লিটল রকের বিনিয়োগকারীদের কাছে ৩৬ হাজার ডলারে সেটা বেঁচে দিয়ে বেশ ভালো পরিমাণ লাভ হলো হাডলস্টনের। বিনিয়োগকারীরা একে একটি বাণিজ্যিক খনিতে পরিণত করলেন।
হীরার খনির খবর অনেক রত্নসন্ধানীকে মারফ্রিজবোরোতে নিয়ে আসে। সংবাদপত্রগুলোর প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, এলাকার হোটেলগুলোর কোনো কামরা খালি না থাকায় অনেককে ফিরিয়ে দিতে বাধ্য হয়।
পরবর্তী সময়ে ঐতিহাসিক অনেক হীরারই সন্ধান মেলে খনিটিতে। যেমন স্ট্রোন ওয়াগনার ডায়মন্ডটির ওজন মাত্র ১ দশমিক ০৯ ক্যারেট হলেও এটি ছিল সব দিক থেকেই নিখুঁত বা ট্রিপল জিরো গ্রেডের। ৪.২৫ ক্যারেটের বিখ্যাত কান কেনারি হীরাটিরও সন্ধান মেলে এই খনিতে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাওয়া সবচেয়ে বড় হীরা আংকেল স্যাম ডায়মন্ডটিও উত্তোলন করা হয় এই খনি থেকে। এটার ওজন ৪০.২৩ ক্যারেট। ২০১৫ সালে পার্কে খুঁজে পাওয়া যায় ৮.৫৩ ক্যারেটের এসপেরানজা নামের হীরাটি। এটাকে কেটে সুন্দর আকৃতি দেওয়ার পর ওজনে দাঁড়ায় ৪.৬ ক্যারেট। ধারণা করা হয় এর দাম আনুমানিক ৫ লাখ ডলার বা প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি টাকা। এ ছাড়া এখানে মেলে ১৬.৩৭ ক্যারেট ওজনের অ্যামারিল্লো স্টারলাইট এবং ১৫.৩৩ ক্যারেটের স্টার অব আরকানসাস।
কয়েকবার মালিকানা বদলের পর ১৯৭২ সালে আরকানসাস রাজ্যের পক্ষ থেকে হীরার খনিটি কিনে নেওয়া হয়। ৯১১ একর জায়গা নিয়ে গড়ে ওঠে ক্রেটার অব ডায়মন্ডস স্টেট পার্ক। এর মধ্যে দর্শনার্থীদের রত্ন অনুসন্ধানের জন্য উন্মুক্ত আছে ৩৭ একর এলাকা। আর ১৯৭২ সালের পর থেকে এই পার্কে মিলেছে ৩৫ হাজারের বেশি হীরা।
গড়ে প্রতিদিন পার্কটিতে খুঁজে পাওয়া যায় দুটি করে হীরা। বাচ্চাদের হীরার জন্য মাটি খোঁড়া এবং দর্শনার্থীদের মাটির মধ্যে ছাঁকনি দিয়ে কাজ করতে দেখা যাওয়া এখানে অতি সাধারণ ঘটনা। তবে পার্কে এমন কিছু হীরাও মেলে যেগুলোর হিসাব থাকে না। বাচ্চাদের এবং পর্যটকদের সঙ্গে স্থানীয় রত্ন শিকারিরাও কখনো কখনো হীরা অনুসন্ধানে নামেন। তবে তাঁরা হীরা খুঁজে পেলেও পার্ক কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে নথিবদ্ধ করেন না।
আবার হাডলস্টনের গল্পে ফিরে যাই। দ্রুতই সৌভাগ্য বিদায় নেয় তাঁর জীবন থেকে। অল্প সময়ের মধ্যে খনি বিক্রি করে পাওয়া টাকা উড়িয়ে দেন তিনি। ১৯৩৬ সালে মারা যান মোটামুটি কপর্দকহীন অবস্থায়। তবে তাঁকে স্মরণ করে যেখানে প্রথম হীরা খুঁজে পেয়েছিলেন হাডলস্টন, সে জায়গাটি চিহ্নিত করে রেখেছে পার্ক কর্তৃপক্ষ।
পার্কের দর্শনার্থী কেন্দ্র বা ভিজিটর সেন্টারে নানা ধরনের অকাটা হীরা সাজিয়ে রাখা হয়েছে দর্শনার্থীদের জন্য। পাশাপাশি এখনকার অনন্য ইতিহাস ও ভূতত্ত্বের গঠন তুলে ধরা ছবি দেখতে পাবেন। ডায়মন্ড ডিসকভারি সেন্টারে আপনি পার্কে পাওয়া পাথর এবং খনিজ সম্পর্কে জানার পাশাপাশি হীরা অনুসন্ধানের বিভিন্ন কলাকৌশলও শিখতে পারবেন। এমনিতে রংধনুর সাত রঙের হীরাই পাওয়া গেলে এই পার্ক বা খনি এলাকায় মেলে সাদা, বাদামি ও হলুদ রঙা হীরা। এ ছাড়া নীলকান্তমণি, পান্না, কোয়ার্টজ, আকিকসহ আরও নানা মূল্যবান রত্নপাথর পাওয়া যায় এই খনিতে।
পার্ক এলাকায় দর্শনার্থীদের জন্য নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা আছে। যেমন হাঁটার জন্য পথ, বনভোজন ও ক্যাম্পিং করার জায়গা, উপহারের দোকান, রেস্তোরাঁ। আবার এখানে ডায়মন্ড স্প্রিং ওয়াটার পার্ক নামের যে জায়গাটি আছে, সেখানে গ্রীষ্মের উত্তপ্ত দিনে হীরা খুঁজে ক্লান্ত শরীরটাকে একটু শীতল করে নেওয়া যায়।
চারদিকে কড়া নজর রেখে খনি এলাকাটিতে হাঁটা-চলা করলেও মাটির ওপরের দিকে থাকা হীরার খোঁজ পেয়ে যেতে পারেন। খোঁড়াখুঁড়ির জন্য বাড়ি থেকে যন্ত্রপাতি নিয়ে আসতে পারেন। তবে না আনলেও দোষ নেই, পার্ক থেকে বালতি, বেলচা, কোদালসহ রত্ন অনুসন্ধানের অন্যান্য যন্ত্রপাতি কিনতে বা ভাড়া নিতে পারবেন।
কোনো হীরা যদি খুঁজে পেয়েই যান, তবে এটি নথিবদ্ধ করে নিতে হবে। ও আরেকটা কথা, এখানে হীরা খুঁজতে কিন্তু টিকিট কাটতে হবে। টিকিটের দামটা খুব বেশি নয়। বড়দের জন্য ১০ ডলার, ছয় থেকে ১২ বছর যাদের বয়স তাদের জন্য ৬ ডলার আর বয়স ছয়ের নিচে হলে টিকিটই কাটতে হবে না। কাজেই ওয়েস্টার্ন বই পড়ে কিংবা সিনেমা দেখে যদি খোঁড়াখুঁড়ির একটা ভূত মাথায় চেপেই বসে, চলে যেতে পারেন আরকানসাসের এই হীরার খনিতে।
সূত্র: এটলাস অবসকিউরা, আরকানসাস স্টেট পার্কস

এমন একটি হীরার খনির কথা চিন্তা করুন তো, যেখানে চাইলেই বাচ্চাকাচ্চা নিয়ে হীরার সন্ধানে নেমে পড়তে পারবেন। এমনকি এখানে কোনো হীরা পেলে সেটা সঙ্গে করে নিয়েও যেতে পারবেন। কেমন অবিশ্বাস্য শোনালেও মার্কিন মুল্লুকে এমন একটি খনি সত্যি আছে।
খনিটির অবস্থান আরকানসাস রাজ্যের মারফ্রিজবোরো এলাকায়। এর বর্তমান নাম অবশ্য ক্রেটার অব ডায়মন্ডস স্টেট পার্ক।
জন ওয়েসলি হাডলস্টন নামের এক ব্যক্তি কীভাবে আগ্নেয়গিরির রত্ন-সমৃদ্ধ মৃত জ্বালামুখে প্রথম হীরা খুঁজে পান এবং ‘ডায়মন্ড কিং’ বা ‘হীরক রাজা’ নামে পরিচিতি পেয়ে যান তা নিয়ে নানা ধরনের গল্প প্রচলিত আছে। সবচেয়ে জনপ্রিয় সংস্করণটি বলছে, ঘটনার সূচনা ১৯০৬ সালে। মধ্যবয়সী, অশিক্ষিত কৃষক হাডলস্টন তাঁর ২৪৩ একরের খামারের শালগমখেতে কাজ করছিলেন। এ সময়ই দুটি অদ্ভুত ধরনের চকচকে হলুদ কিন্তু স্বচ্ছ পাথর খুঁজে পেলেন।
জিনিসগুলো আসলে কী সে সম্পর্কে নিশ্চিত না হওয়ায় গ্রাইন্ডিং হুইল দিয়ে পরীক্ষা করেন। তাঁকে বলা হয়েছিল এটি হীরা ছাড়া যেকোনো কিছুকে নির্দিষ্ট আকার দিতে পারে। তখনই খেয়াল করলেন পাথর দুটোর কিছু হয়নি, উল্টো এই চূর্ণ করার চাকার মধ্যে ক্ষত তৈরি করেছে। আর এ থেকে অনুমান করলেন হীরা পেয়ে গেছেন তিনি। এর দাম কেমন হতে পারে জানার জন্য কাছের শহর লিটল রকের এক স্বর্ণকারের কাছ পাঠালেন।
এখন তাঁর আবিষ্কারের জায়গাটি পৃথিবীর একমাত্র হীরার খনি, যেটি সাধারণ মানুষের জন্য উন্মুক্ত। আর এখানে যে রত্নই খুঁজে পান না কেন সঙ্গে নিয়ে যেতে পারবেন।
আনুমানিক ৩০০ কোটি বছর আগে শুরু হওয়া ধারাবাহিক ও নাটকীয় ভূতাত্ত্বিক পরিবর্তন এবং ভয়ংকর আগ্নেয় কার্যকলাপের ফলাফল হিসেবে হীরার খনিটির জন্ম। পৃথিবীর ভূত্বকের নিচে ৬০ থেকে ১০০ মাইলের মধ্যে উচ্চ তাপমাত্রা এবং চাপ কার্বনকে হীরাতে রূপ দেয়। তারপরে প্রেইরি ক্রিক নামে পরিচিত আগ্নেয়গিরির ছিদ্র গঠনের সময় গ্যাস এবং টুকরোসহ একটি প্রচণ্ড বিস্ফোরণ এই পাথর এবং খনিজগুলোকে পৃথিবীর গভীর থেকে ওপরে নিয়ে আসে।
আর এই হীরার খনি আবিষ্কারে বলা চলে গোটা দেশেই হাডলস্টন জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। এদিকে শহরের স্বর্ণকার তাঁকে জানান একটি হীরার ওজন ২ দশমিক ৬৩ ক্যারেট এবং অন্যটির ১ দশমিক ৩৮ ক্যারেট। যে জমিটি ১ হাজার ডলার ও একটি খচ্চরের বিনিময়ে কিনেছিলেন, লিটল রকের বিনিয়োগকারীদের কাছে ৩৬ হাজার ডলারে সেটা বেঁচে দিয়ে বেশ ভালো পরিমাণ লাভ হলো হাডলস্টনের। বিনিয়োগকারীরা একে একটি বাণিজ্যিক খনিতে পরিণত করলেন।
হীরার খনির খবর অনেক রত্নসন্ধানীকে মারফ্রিজবোরোতে নিয়ে আসে। সংবাদপত্রগুলোর প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, এলাকার হোটেলগুলোর কোনো কামরা খালি না থাকায় অনেককে ফিরিয়ে দিতে বাধ্য হয়।
পরবর্তী সময়ে ঐতিহাসিক অনেক হীরারই সন্ধান মেলে খনিটিতে। যেমন স্ট্রোন ওয়াগনার ডায়মন্ডটির ওজন মাত্র ১ দশমিক ০৯ ক্যারেট হলেও এটি ছিল সব দিক থেকেই নিখুঁত বা ট্রিপল জিরো গ্রেডের। ৪.২৫ ক্যারেটের বিখ্যাত কান কেনারি হীরাটিরও সন্ধান মেলে এই খনিতে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাওয়া সবচেয়ে বড় হীরা আংকেল স্যাম ডায়মন্ডটিও উত্তোলন করা হয় এই খনি থেকে। এটার ওজন ৪০.২৩ ক্যারেট। ২০১৫ সালে পার্কে খুঁজে পাওয়া যায় ৮.৫৩ ক্যারেটের এসপেরানজা নামের হীরাটি। এটাকে কেটে সুন্দর আকৃতি দেওয়ার পর ওজনে দাঁড়ায় ৪.৬ ক্যারেট। ধারণা করা হয় এর দাম আনুমানিক ৫ লাখ ডলার বা প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি টাকা। এ ছাড়া এখানে মেলে ১৬.৩৭ ক্যারেট ওজনের অ্যামারিল্লো স্টারলাইট এবং ১৫.৩৩ ক্যারেটের স্টার অব আরকানসাস।
কয়েকবার মালিকানা বদলের পর ১৯৭২ সালে আরকানসাস রাজ্যের পক্ষ থেকে হীরার খনিটি কিনে নেওয়া হয়। ৯১১ একর জায়গা নিয়ে গড়ে ওঠে ক্রেটার অব ডায়মন্ডস স্টেট পার্ক। এর মধ্যে দর্শনার্থীদের রত্ন অনুসন্ধানের জন্য উন্মুক্ত আছে ৩৭ একর এলাকা। আর ১৯৭২ সালের পর থেকে এই পার্কে মিলেছে ৩৫ হাজারের বেশি হীরা।
গড়ে প্রতিদিন পার্কটিতে খুঁজে পাওয়া যায় দুটি করে হীরা। বাচ্চাদের হীরার জন্য মাটি খোঁড়া এবং দর্শনার্থীদের মাটির মধ্যে ছাঁকনি দিয়ে কাজ করতে দেখা যাওয়া এখানে অতি সাধারণ ঘটনা। তবে পার্কে এমন কিছু হীরাও মেলে যেগুলোর হিসাব থাকে না। বাচ্চাদের এবং পর্যটকদের সঙ্গে স্থানীয় রত্ন শিকারিরাও কখনো কখনো হীরা অনুসন্ধানে নামেন। তবে তাঁরা হীরা খুঁজে পেলেও পার্ক কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে নথিবদ্ধ করেন না।
আবার হাডলস্টনের গল্পে ফিরে যাই। দ্রুতই সৌভাগ্য বিদায় নেয় তাঁর জীবন থেকে। অল্প সময়ের মধ্যে খনি বিক্রি করে পাওয়া টাকা উড়িয়ে দেন তিনি। ১৯৩৬ সালে মারা যান মোটামুটি কপর্দকহীন অবস্থায়। তবে তাঁকে স্মরণ করে যেখানে প্রথম হীরা খুঁজে পেয়েছিলেন হাডলস্টন, সে জায়গাটি চিহ্নিত করে রেখেছে পার্ক কর্তৃপক্ষ।
পার্কের দর্শনার্থী কেন্দ্র বা ভিজিটর সেন্টারে নানা ধরনের অকাটা হীরা সাজিয়ে রাখা হয়েছে দর্শনার্থীদের জন্য। পাশাপাশি এখনকার অনন্য ইতিহাস ও ভূতত্ত্বের গঠন তুলে ধরা ছবি দেখতে পাবেন। ডায়মন্ড ডিসকভারি সেন্টারে আপনি পার্কে পাওয়া পাথর এবং খনিজ সম্পর্কে জানার পাশাপাশি হীরা অনুসন্ধানের বিভিন্ন কলাকৌশলও শিখতে পারবেন। এমনিতে রংধনুর সাত রঙের হীরাই পাওয়া গেলে এই পার্ক বা খনি এলাকায় মেলে সাদা, বাদামি ও হলুদ রঙা হীরা। এ ছাড়া নীলকান্তমণি, পান্না, কোয়ার্টজ, আকিকসহ আরও নানা মূল্যবান রত্নপাথর পাওয়া যায় এই খনিতে।
পার্ক এলাকায় দর্শনার্থীদের জন্য নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা আছে। যেমন হাঁটার জন্য পথ, বনভোজন ও ক্যাম্পিং করার জায়গা, উপহারের দোকান, রেস্তোরাঁ। আবার এখানে ডায়মন্ড স্প্রিং ওয়াটার পার্ক নামের যে জায়গাটি আছে, সেখানে গ্রীষ্মের উত্তপ্ত দিনে হীরা খুঁজে ক্লান্ত শরীরটাকে একটু শীতল করে নেওয়া যায়।
চারদিকে কড়া নজর রেখে খনি এলাকাটিতে হাঁটা-চলা করলেও মাটির ওপরের দিকে থাকা হীরার খোঁজ পেয়ে যেতে পারেন। খোঁড়াখুঁড়ির জন্য বাড়ি থেকে যন্ত্রপাতি নিয়ে আসতে পারেন। তবে না আনলেও দোষ নেই, পার্ক থেকে বালতি, বেলচা, কোদালসহ রত্ন অনুসন্ধানের অন্যান্য যন্ত্রপাতি কিনতে বা ভাড়া নিতে পারবেন।
কোনো হীরা যদি খুঁজে পেয়েই যান, তবে এটি নথিবদ্ধ করে নিতে হবে। ও আরেকটা কথা, এখানে হীরা খুঁজতে কিন্তু টিকিট কাটতে হবে। টিকিটের দামটা খুব বেশি নয়। বড়দের জন্য ১০ ডলার, ছয় থেকে ১২ বছর যাদের বয়স তাদের জন্য ৬ ডলার আর বয়স ছয়ের নিচে হলে টিকিটই কাটতে হবে না। কাজেই ওয়েস্টার্ন বই পড়ে কিংবা সিনেমা দেখে যদি খোঁড়াখুঁড়ির একটা ভূত মাথায় চেপেই বসে, চলে যেতে পারেন আরকানসাসের এই হীরার খনিতে।
সূত্র: এটলাস অবসকিউরা, আরকানসাস স্টেট পার্কস

ক্যালিফোর্নিয়ার সুজ লোপেজ যখন তাঁর ছোট ছেলে রিউকে কোলে নিয়ে বসেন, তখন এক অলৌকিক বিস্ময়ে স্তব্ধ হয়ে যান। কারণ, ছোট্ট রিউ তাঁর মায়ের জরায়ুর ভেতরে নয়, বেড়ে উঠেছিল পেটের ভেতরে একটি বিশাল আকৃতির ওভারিয়ান সিস্টের আড়ালে। চিকিৎসাবিজ্ঞানে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং বিরল এই ঘটনাকে ‘মিরাকল’ বা অলৌকিক বলছেন চিকিৎ
১ দিন আগে
তুরস্কের একটি আদালত এক চাঞ্চল্যকর রায়ে জানিয়েছেন, স্ত্রী ছাড়া অন্য নারীদের অনলাইন পোস্টে স্বামীর বারবার ‘লাইক’ দেওয়া বৈবাহিক বিশ্বাস নষ্ট করতে পারে এবং তা বিবাহবিচ্ছেদের ভিত্তি হিসেবে গণ্য হতে পারে। মধ্যতুরস্কের কায়সেরি শহরের একটি মামলায় এই যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত এসেছে।
২ দিন আগে
এক চীনা ব্যক্তি তাঁর প্রাক্তন বাগ্দত্তার বিরুদ্ধে মামলা করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন। ওই ব্যক্তির দাবি, তাঁর বাগ্দত্তা ‘খুব বেশি খাবার খেতেন।’ তাই সম্পর্কের পেছনে ব্যয় করা সব টাকা তাঁকে ফেরত দিতে হবে।
৫ দিন আগে
সকালে দোকানের শাটার খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার অ্যাশল্যান্ডের একটি সরকারি মদের দোকানের কর্মীদের। দোকানের মেঝেতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে শত শত ভাঙা কাচের টুকরা। মেঝে ভেসে গেছে দামি বিলেতি মদে!
৮ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ক্যালিফোর্নিয়ার সুজ লোপেজ যখন তাঁর ছোট ছেলে রিউকে কোলে নিয়ে বসেন, তখন এক অলৌকিক বিস্ময়ে স্তব্ধ হয়ে যান। কারণ, ছোট্ট রিউ তাঁর মায়ের জরায়ুর ভেতরে নয়, বেড়ে উঠেছিল পেটের ভেতরে একটি বিশাল আকৃতির ওভারিয়ান সিস্টের আড়ালে। চিকিৎসাবিজ্ঞানে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং বিরল এই ঘটনাকে ‘মিরাকল’ বা অলৌকিক বলছেন চিকিৎসকেরা।
লস অ্যাঞ্জেলেসের সিডারস-সিনাই মেডিকেল সেন্টারের প্রসূতি ও প্রসব বিভাগের মেডিকেল ডিরেক্টর ড. জন ওজিমেক এপিকে বলেন, ‘প্রতি ৩০ হাজার গর্ভাবস্থার মধ্যে মাত্র একটি জরায়ুর বাইরে পেটের ভেতরে (Abdominal Pregnancy) ঘটে। আর পূর্ণ মেয়াদে সুস্থ শিশু জন্ম দেওয়ার ঘটনা ১ কোটিতে একজনের ক্ষেত্রেও দেখা যায় না। এটি সত্যিই অবিশ্বাস্য।’
৪১ বছর বয়সী সুজ লোপেজ পেশায় একজন নার্স। আশ্চর্যের বিষয় হলো, সন্তান জন্ম দেওয়ার মাত্র কয়েক দিন আগ পর্যন্ত তিনি জানতেনই না যে তিনি অন্তঃসত্ত্বা।
সুজ দীর্ঘদিন ধরে ওভারিয়ান সিস্টের সমস্যায় ভুগছিলেন। যখন তাঁর পেট বড় হতে শুরু করে, তিনি ভেবেছিলেন, এটি ২১ পাউন্ড ওজনের সেই সিস্টেরই বৃদ্ধি।
সাধারণ গর্ভাবস্থার কোনো লক্ষণ; যেমন সকালবেলায় অসুস্থতা বোধ করা (Morning Sickness) বা শিশুর নড়াচড়া—কিছুই তিনি অনুভব করেননি। অনিয়মিত পিরিয়ডের কারণে ঋতুস্রাব বন্ধ হওয়াকেও তিনি স্বাভাবিক ধরে নিয়েছিলেন।
অবশেষে পেটে অসহ্য ব্যথা শুরু হলে তিনি সিস্ট অপসারণের জন্য চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। সেখানে সিটি স্ক্যান করার আগে বাধ্যতামূলক গর্ভাবস্থা পরীক্ষায় ফল ‘পজিটিভ’ আসে।
হাসপাতালে আলট্রাসাউন্ড এবং এমআরআই স্ক্যানে দেখা যায়, সুজের জরায়ু সম্পূর্ণ খালি। অথচ একটি পূর্ণাঙ্গ ভ্রূণ তাঁর লিভারের কাছে পেটের এক কোণে অ্যামনিওটিক থ্যাকের ভেতরে বেড়ে উঠছে। ড. ওজিমেক জানান, ভ্রূণটি লিভারের মতো গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গকে সরাসরি আক্রান্ত করেনি, বরং পেলভিসের পাশের দেয়ালে গেঁথে ছিল। এটি অত্যন্ত বিপজ্জনক হলেও লিভারের তুলনায় কিছুটা নিয়ন্ত্রণযোগ্য ছিল।
গত ১৮ আগস্ট এক জটিল অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ৮ পাউন্ড (৩.৬ কেজি) ওজনের রিউকে পৃথিবীতে আনা হয়। অস্ত্রোপচারের সময় সুজের সেই বিশাল সিস্টটিও অপসারণ করা হয়। অত্যধিক রক্তক্ষরণ হলেও চিকিৎসকদের দক্ষতায় সুজ এবং তাঁর সন্তান দুজনেই সুস্থভাবে ফিরে আসেন।
সুজের স্বামী অ্যান্ড্রু লোপেজ বলেন, ‘বাইরে শান্ত থাকলেও আমি ভেতরে-ভেতরে প্রার্থনা করছিলাম। যেকোনো মুহূর্তে স্ত্রী বা সন্তানকে হারানোর ভয় আমাকে তাড়া করছিল।’
বর্তমানে রিউ সম্পূর্ণ সুস্থ এবং প্রাণচঞ্চল। নিজের ১৮ বছর বয়সী বড় বোন কাইলার সঙ্গে তার খুনসুটি লেগেই থাকে। সামনেই রিউয়ের প্রথম বড়দিন। সুজ লোপেজ আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, ‘আমি এখন অলৌকিক ঘটনায় বিশ্বাস করি। ঈশ্বর আমাদের জীবনের সেরা উপহারটি দিয়েছেন।’
চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, এই কেস এতই বিরল যে তাঁরা এটি একটি মেডিকেল জার্নালে প্রকাশের পরিকল্পনা করছেন।

ক্যালিফোর্নিয়ার সুজ লোপেজ যখন তাঁর ছোট ছেলে রিউকে কোলে নিয়ে বসেন, তখন এক অলৌকিক বিস্ময়ে স্তব্ধ হয়ে যান। কারণ, ছোট্ট রিউ তাঁর মায়ের জরায়ুর ভেতরে নয়, বেড়ে উঠেছিল পেটের ভেতরে একটি বিশাল আকৃতির ওভারিয়ান সিস্টের আড়ালে। চিকিৎসাবিজ্ঞানে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং বিরল এই ঘটনাকে ‘মিরাকল’ বা অলৌকিক বলছেন চিকিৎসকেরা।
লস অ্যাঞ্জেলেসের সিডারস-সিনাই মেডিকেল সেন্টারের প্রসূতি ও প্রসব বিভাগের মেডিকেল ডিরেক্টর ড. জন ওজিমেক এপিকে বলেন, ‘প্রতি ৩০ হাজার গর্ভাবস্থার মধ্যে মাত্র একটি জরায়ুর বাইরে পেটের ভেতরে (Abdominal Pregnancy) ঘটে। আর পূর্ণ মেয়াদে সুস্থ শিশু জন্ম দেওয়ার ঘটনা ১ কোটিতে একজনের ক্ষেত্রেও দেখা যায় না। এটি সত্যিই অবিশ্বাস্য।’
৪১ বছর বয়সী সুজ লোপেজ পেশায় একজন নার্স। আশ্চর্যের বিষয় হলো, সন্তান জন্ম দেওয়ার মাত্র কয়েক দিন আগ পর্যন্ত তিনি জানতেনই না যে তিনি অন্তঃসত্ত্বা।
সুজ দীর্ঘদিন ধরে ওভারিয়ান সিস্টের সমস্যায় ভুগছিলেন। যখন তাঁর পেট বড় হতে শুরু করে, তিনি ভেবেছিলেন, এটি ২১ পাউন্ড ওজনের সেই সিস্টেরই বৃদ্ধি।
সাধারণ গর্ভাবস্থার কোনো লক্ষণ; যেমন সকালবেলায় অসুস্থতা বোধ করা (Morning Sickness) বা শিশুর নড়াচড়া—কিছুই তিনি অনুভব করেননি। অনিয়মিত পিরিয়ডের কারণে ঋতুস্রাব বন্ধ হওয়াকেও তিনি স্বাভাবিক ধরে নিয়েছিলেন।
অবশেষে পেটে অসহ্য ব্যথা শুরু হলে তিনি সিস্ট অপসারণের জন্য চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। সেখানে সিটি স্ক্যান করার আগে বাধ্যতামূলক গর্ভাবস্থা পরীক্ষায় ফল ‘পজিটিভ’ আসে।
হাসপাতালে আলট্রাসাউন্ড এবং এমআরআই স্ক্যানে দেখা যায়, সুজের জরায়ু সম্পূর্ণ খালি। অথচ একটি পূর্ণাঙ্গ ভ্রূণ তাঁর লিভারের কাছে পেটের এক কোণে অ্যামনিওটিক থ্যাকের ভেতরে বেড়ে উঠছে। ড. ওজিমেক জানান, ভ্রূণটি লিভারের মতো গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গকে সরাসরি আক্রান্ত করেনি, বরং পেলভিসের পাশের দেয়ালে গেঁথে ছিল। এটি অত্যন্ত বিপজ্জনক হলেও লিভারের তুলনায় কিছুটা নিয়ন্ত্রণযোগ্য ছিল।
গত ১৮ আগস্ট এক জটিল অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ৮ পাউন্ড (৩.৬ কেজি) ওজনের রিউকে পৃথিবীতে আনা হয়। অস্ত্রোপচারের সময় সুজের সেই বিশাল সিস্টটিও অপসারণ করা হয়। অত্যধিক রক্তক্ষরণ হলেও চিকিৎসকদের দক্ষতায় সুজ এবং তাঁর সন্তান দুজনেই সুস্থভাবে ফিরে আসেন।
সুজের স্বামী অ্যান্ড্রু লোপেজ বলেন, ‘বাইরে শান্ত থাকলেও আমি ভেতরে-ভেতরে প্রার্থনা করছিলাম। যেকোনো মুহূর্তে স্ত্রী বা সন্তানকে হারানোর ভয় আমাকে তাড়া করছিল।’
বর্তমানে রিউ সম্পূর্ণ সুস্থ এবং প্রাণচঞ্চল। নিজের ১৮ বছর বয়সী বড় বোন কাইলার সঙ্গে তার খুনসুটি লেগেই থাকে। সামনেই রিউয়ের প্রথম বড়দিন। সুজ লোপেজ আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, ‘আমি এখন অলৌকিক ঘটনায় বিশ্বাস করি। ঈশ্বর আমাদের জীবনের সেরা উপহারটি দিয়েছেন।’
চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, এই কেস এতই বিরল যে তাঁরা এটি একটি মেডিকেল জার্নালে প্রকাশের পরিকল্পনা করছেন।

এমন একটি হীরার খনির কথা চিন্তা করুন তো, যেখানে চাইলেই বাচ্চা-কাচ্চা নিয়ে হীরার সন্ধানে নেমে পড়তে পারবেন। এমনকি এখানে কোনো হীরা পেলে সেটা সঙ্গে করে নিয়েও যেতে পারবেন। কেমন অবিশ্বাস্য শোনালেও মার্কিন মুল্লুকে এমন একটি খনি সত্যি আছে।
১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩
তুরস্কের একটি আদালত এক চাঞ্চল্যকর রায়ে জানিয়েছেন, স্ত্রী ছাড়া অন্য নারীদের অনলাইন পোস্টে স্বামীর বারবার ‘লাইক’ দেওয়া বৈবাহিক বিশ্বাস নষ্ট করতে পারে এবং তা বিবাহবিচ্ছেদের ভিত্তি হিসেবে গণ্য হতে পারে। মধ্যতুরস্কের কায়সেরি শহরের একটি মামলায় এই যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত এসেছে।
২ দিন আগে
এক চীনা ব্যক্তি তাঁর প্রাক্তন বাগ্দত্তার বিরুদ্ধে মামলা করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন। ওই ব্যক্তির দাবি, তাঁর বাগ্দত্তা ‘খুব বেশি খাবার খেতেন।’ তাই সম্পর্কের পেছনে ব্যয় করা সব টাকা তাঁকে ফেরত দিতে হবে।
৫ দিন আগে
সকালে দোকানের শাটার খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার অ্যাশল্যান্ডের একটি সরকারি মদের দোকানের কর্মীদের। দোকানের মেঝেতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে শত শত ভাঙা কাচের টুকরা। মেঝে ভেসে গেছে দামি বিলেতি মদে!
৮ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

তুরস্কের একটি আদালত এক চাঞ্চল্যকর রায়ে জানিয়েছেন, স্ত্রী ছাড়া অন্য নারীদের অনলাইন পোস্টে স্বামীর বারবার ‘লাইক’ দেওয়া বৈবাহিক বিশ্বাস নষ্ট করতে পারে এবং তা বিবাহবিচ্ছেদের ভিত্তি হিসেবে গণ্য হতে পারে। মধ্যতুরস্কের কায়সেরি শহরের একটি মামলায় এই যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত এসেছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম হাবারলারের বরাত দিয়ে হংকং থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এইচবি নামে এক নারী তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে মৌখিক অপমান এবং আর্থিক ভরণপোষণ না দেওয়ার অভিযোগ আনেন। ওই নারী আরও উল্লেখ করেন, তাঁর স্বামী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচুর সময় কাটাতেন এবং সেখানে নিয়মিত অন্য নারীদের ছবিতে, এমনকি প্রলুব্ধকর ছবিতেও ‘লাইক’ দিতেন। মাঝেমধ্যে তিনি ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্যও করতেন।
এইচবি যুক্তি দেন, এই আচরণ তাঁর স্বামীর দাম্পত্য আনুগত্যের পরিপন্থী। তিনি বিবাহবিচ্ছেদের পাশাপাশি খোরপোশ ও ক্ষতিপূরণ দাবি করে মামলা করেন। স্বামী এসবি অবশ্য সব অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনিও পাল্টা বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেন এবং দাবি করেন, তাঁর স্ত্রী তাঁর বাবাকে অপমান করেছেন এবং অতিরিক্ত ঈর্ষাপরায়ণ। স্ত্রীর এসব অভিযোগ তাঁর সুনাম ক্ষুণ্ন করেছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
আদালত এই মামলায় স্বামীকেই বেশি দোষী সাব্যস্ত করে রায় দেন। তাঁকে প্রতি মাসে ৭৫০ লিরা বা ২০ মার্কিন ডলার খোরপোশ এবং ৮০ হাজার লিরা ২ হাজার মার্কিন ডলার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। এসবি এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে দাবি করেন, এই পরিমাণ অনেক বেশি। কিন্তু আদালত তাঁর সেই আবেদন নাকচ করে দেন।
বিচারকেরা জানান, অন্য নারীদের ছবিতে ওই ব্যক্তির ‘লাইক’ দেওয়ার বিষয়টি বৈবাহিক বিশ্বাস ভেঙে দিয়েছে। তাঁরা মন্তব্য করেন, ‘অনলাইনে এই আপাত নিরীহ মিথস্ক্রিয়াগুলো মূলত মানসিক নিরাপত্তাহীনতা বাড়িয়ে তুলতে পারে এবং সম্পর্কের ভারসাম্য নষ্ট করে দিতে পারে।’
তুর্কি আইনজীবী ইমামোগ্লু স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেন, এই রায় একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকল যে অনলাইন কর্মকাণ্ড এখন বিবাহবিচ্ছেদের মামলায় শক্তিশালী প্রমাণ হিসেবে গণ্য হবে। তিনি বলেন, ‘এখন থেকে স্ক্রিনশট, মেসেজ এবং সব ধরনের ডিজিটাল কার্যক্রম উভয় পক্ষের দোষ নির্ধারণে বিবেচনায় নেওয়া হবে। নাগরিকদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের সময় বিষয়টি মাথায় রাখার পরামর্শ দিচ্ছি।’
এই মামলা অনলাইনে ব্যাপক বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। এক নেটিজেন লিখেছেন, ‘যদি একটি লাইক আপনার সম্পর্ক ধ্বংস করতে পারে, তবে আপনাদের বিয়ে কখনোই মজবুত ছিল না।’ অন্য একজন মন্তব্য করেছেন, ‘এখন পরিচয় লুকিয়ে লাইক দেওয়ার ফিচার চালু করার সময় এসেছে।’ তবে তৃতীয় একজন ভিন্নমত পোষণ করে বলেন, ‘যদি অনলাইনে প্রতিটি লাইক বা ভিউকে অবিশ্বস্ততা হিসেবে দেখা হয়, তবে মানুষ সারাক্ষণ ভয়ে থাকবে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম হওয়া উচিত মতপ্রকাশের মুক্ত জায়গা।’
তুরস্কের আদালতে অদ্ভুত কারণে বিবাহবিচ্ছেদের রায় দেওয়ার ঘটনা এটিই প্রথম নয়। এর আগে এক ব্যক্তিকে তাঁর সাবেক স্ত্রীকে ফোনের কন্টাক্ট লিস্টে ‘মোটু’ নামে সেভ করার জন্য ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, যা অসম্মানজনক হিসেবে বিবেচিত হয়।

তুরস্কের একটি আদালত এক চাঞ্চল্যকর রায়ে জানিয়েছেন, স্ত্রী ছাড়া অন্য নারীদের অনলাইন পোস্টে স্বামীর বারবার ‘লাইক’ দেওয়া বৈবাহিক বিশ্বাস নষ্ট করতে পারে এবং তা বিবাহবিচ্ছেদের ভিত্তি হিসেবে গণ্য হতে পারে। মধ্যতুরস্কের কায়সেরি শহরের একটি মামলায় এই যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত এসেছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম হাবারলারের বরাত দিয়ে হংকং থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এইচবি নামে এক নারী তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে মৌখিক অপমান এবং আর্থিক ভরণপোষণ না দেওয়ার অভিযোগ আনেন। ওই নারী আরও উল্লেখ করেন, তাঁর স্বামী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচুর সময় কাটাতেন এবং সেখানে নিয়মিত অন্য নারীদের ছবিতে, এমনকি প্রলুব্ধকর ছবিতেও ‘লাইক’ দিতেন। মাঝেমধ্যে তিনি ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্যও করতেন।
এইচবি যুক্তি দেন, এই আচরণ তাঁর স্বামীর দাম্পত্য আনুগত্যের পরিপন্থী। তিনি বিবাহবিচ্ছেদের পাশাপাশি খোরপোশ ও ক্ষতিপূরণ দাবি করে মামলা করেন। স্বামী এসবি অবশ্য সব অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনিও পাল্টা বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেন এবং দাবি করেন, তাঁর স্ত্রী তাঁর বাবাকে অপমান করেছেন এবং অতিরিক্ত ঈর্ষাপরায়ণ। স্ত্রীর এসব অভিযোগ তাঁর সুনাম ক্ষুণ্ন করেছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
আদালত এই মামলায় স্বামীকেই বেশি দোষী সাব্যস্ত করে রায় দেন। তাঁকে প্রতি মাসে ৭৫০ লিরা বা ২০ মার্কিন ডলার খোরপোশ এবং ৮০ হাজার লিরা ২ হাজার মার্কিন ডলার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। এসবি এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে দাবি করেন, এই পরিমাণ অনেক বেশি। কিন্তু আদালত তাঁর সেই আবেদন নাকচ করে দেন।
বিচারকেরা জানান, অন্য নারীদের ছবিতে ওই ব্যক্তির ‘লাইক’ দেওয়ার বিষয়টি বৈবাহিক বিশ্বাস ভেঙে দিয়েছে। তাঁরা মন্তব্য করেন, ‘অনলাইনে এই আপাত নিরীহ মিথস্ক্রিয়াগুলো মূলত মানসিক নিরাপত্তাহীনতা বাড়িয়ে তুলতে পারে এবং সম্পর্কের ভারসাম্য নষ্ট করে দিতে পারে।’
তুর্কি আইনজীবী ইমামোগ্লু স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেন, এই রায় একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকল যে অনলাইন কর্মকাণ্ড এখন বিবাহবিচ্ছেদের মামলায় শক্তিশালী প্রমাণ হিসেবে গণ্য হবে। তিনি বলেন, ‘এখন থেকে স্ক্রিনশট, মেসেজ এবং সব ধরনের ডিজিটাল কার্যক্রম উভয় পক্ষের দোষ নির্ধারণে বিবেচনায় নেওয়া হবে। নাগরিকদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের সময় বিষয়টি মাথায় রাখার পরামর্শ দিচ্ছি।’
এই মামলা অনলাইনে ব্যাপক বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। এক নেটিজেন লিখেছেন, ‘যদি একটি লাইক আপনার সম্পর্ক ধ্বংস করতে পারে, তবে আপনাদের বিয়ে কখনোই মজবুত ছিল না।’ অন্য একজন মন্তব্য করেছেন, ‘এখন পরিচয় লুকিয়ে লাইক দেওয়ার ফিচার চালু করার সময় এসেছে।’ তবে তৃতীয় একজন ভিন্নমত পোষণ করে বলেন, ‘যদি অনলাইনে প্রতিটি লাইক বা ভিউকে অবিশ্বস্ততা হিসেবে দেখা হয়, তবে মানুষ সারাক্ষণ ভয়ে থাকবে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম হওয়া উচিত মতপ্রকাশের মুক্ত জায়গা।’
তুরস্কের আদালতে অদ্ভুত কারণে বিবাহবিচ্ছেদের রায় দেওয়ার ঘটনা এটিই প্রথম নয়। এর আগে এক ব্যক্তিকে তাঁর সাবেক স্ত্রীকে ফোনের কন্টাক্ট লিস্টে ‘মোটু’ নামে সেভ করার জন্য ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, যা অসম্মানজনক হিসেবে বিবেচিত হয়।

এমন একটি হীরার খনির কথা চিন্তা করুন তো, যেখানে চাইলেই বাচ্চা-কাচ্চা নিয়ে হীরার সন্ধানে নেমে পড়তে পারবেন। এমনকি এখানে কোনো হীরা পেলে সেটা সঙ্গে করে নিয়েও যেতে পারবেন। কেমন অবিশ্বাস্য শোনালেও মার্কিন মুল্লুকে এমন একটি খনি সত্যি আছে।
১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩
ক্যালিফোর্নিয়ার সুজ লোপেজ যখন তাঁর ছোট ছেলে রিউকে কোলে নিয়ে বসেন, তখন এক অলৌকিক বিস্ময়ে স্তব্ধ হয়ে যান। কারণ, ছোট্ট রিউ তাঁর মায়ের জরায়ুর ভেতরে নয়, বেড়ে উঠেছিল পেটের ভেতরে একটি বিশাল আকৃতির ওভারিয়ান সিস্টের আড়ালে। চিকিৎসাবিজ্ঞানে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং বিরল এই ঘটনাকে ‘মিরাকল’ বা অলৌকিক বলছেন চিকিৎ
১ দিন আগে
এক চীনা ব্যক্তি তাঁর প্রাক্তন বাগ্দত্তার বিরুদ্ধে মামলা করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন। ওই ব্যক্তির দাবি, তাঁর বাগ্দত্তা ‘খুব বেশি খাবার খেতেন।’ তাই সম্পর্কের পেছনে ব্যয় করা সব টাকা তাঁকে ফেরত দিতে হবে।
৫ দিন আগে
সকালে দোকানের শাটার খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার অ্যাশল্যান্ডের একটি সরকারি মদের দোকানের কর্মীদের। দোকানের মেঝেতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে শত শত ভাঙা কাচের টুকরা। মেঝে ভেসে গেছে দামি বিলেতি মদে!
৮ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

এক চীনা ব্যক্তি তাঁর প্রাক্তন বাগ্দত্তার বিরুদ্ধে মামলা করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন। ওই ব্যক্তির দাবি, তাঁর বাগ্দত্তা ‘খুব বেশি খাবার খেতেন।’ তাই সম্পর্কের পেছনে ব্যয় করা সব টাকা তাঁকে ফেরত দিতে হবে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জংলান নিউজের বরাত দিয়ে হংকং থেকে প্রকাশিত ইংরেজি দৈনিক সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট ৯ ডিসেম্বর এই যুগলকে নিয়ে আদালতের একটি শুনানি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। হে পদবির ওই ব্যক্তি তাঁর বান্ধবী ওয়াংয়ের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন। মামলায় হে দাবি করেন, তাঁর পরিবার কনেপক্ষকে অগ্রিম যৌতুক (ব্রাইড প্রাইস) হিসেবে যে ২০ হাজার ইউয়ান বা ২ হাজার ৮০০ মার্কিন ডলার দিয়েছিল, তা তিনি ফেরত পেতে চান।
শুধু তা-ই নয়, সম্পর্কের সময় ওয়াংয়ের পেছনে খরচ হওয়া আরও ৩০ হাজার ইউয়ানও (৪ হাজার ২০০ মার্কিন ডলার) দাবি করেন হে। এই খরচের তালিকায় তাঁর কেনা কালো টাইটস এবং অন্তর্বাসও অন্তর্ভুক্ত ছিল।
উত্তর-পূর্ব চীনের হেইলংজিয়াং প্রদেশের একই গ্রামের বাসিন্দা হে এবং ওয়াং। এক ঘটকের মাধ্যমে তাদের পরিচয় এবং পরে বাগ্দান সম্পন্ন হয়। বাগ্দানের পর তাঁরা উত্তর চীনের হেবেই প্রদেশে হের পরিবারের মালিকানাধীন একটি রেস্তোরাঁ চালাতে যান।
উল্লেখ্য, মালাতাং চীনের একটি জনপ্রিয় স্ট্রিট ফুড, যা মাংস, সবজি ও নুডলসের ঝাল ঝোলে তৈরি করা হয়। ওয়াং সেখানে ছয় মাস কাজ করেন। তবে হের অভিযোগ, ওয়াং ‘সহজ কাজগুলো’ করতেন। হেইলংজিয়াং টিভিকে হে বলেন, ‘সে প্রতিদিন আমাদের মালাতাং খেত। আমাদের বিক্রির জন্য যা থাকত, তা-ও তার খাওয়ার জন্য যথেষ্ট ছিল না।’ তিনি আরও যোগ করেন, তাঁর পরিবারও ওয়াংয়ের ওপর অসন্তুষ্ট ছিল। কারণ, তাদের মনে হয়েছে মেয়েটি বদলে গেছে।
আদালতে হে সেসব জিনিসের তালিকা পেশ করেন, যা তিনি ওয়াংয়ের জন্য কিনেছিলেন। জবাবে ওয়াং বলেন, ‘ও বড্ড বেশি হিসাবি। আমি তো ওর বান্ধবী ছিলাম।’ আদালতে তিনি হেকে প্রশ্ন করেন, ‘তুমি আমাকে যে টাইটস আর অন্তর্বাস কিনে দিয়েছিলে, সেগুলো কি তুমি নিজেও উপভোগ করনি?’
আদালত ৩০ হাজার ইউয়ান ফেরত দেওয়ার দাবিটি খারিজ করে দেন। বিচারক জানান, এগুলো ব্যক্তিগত জিনিস, যা উভয় পক্ষকেই আবেগীয় তৃপ্তি দিয়েছে। তবে অগ্রিম দেওয়া ২০ হাজার ইউয়ান যৌতুকের অর্ধেক টাকা ওয়াংকে ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। আদালতের এই রায়ে উভয় পক্ষই সন্তোষ প্রকাশ করেছে।
চীনে যৌতুক বা ‘ব্রাইড প্রাইস’ একটি প্রাচীন প্রথা। বিয়ের সময় বরের পরিবার কনের পরিবারকে উপহার হিসেবে এই টাকা দেয়, যা মূলত মেয়েটিকে পরিবারে স্বাগত জানানোর একটি আন্তরিক প্রথা। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এই প্রথা নিয়ে নানা বিতর্ক তৈরি হয়েছে। কেউ কেউ একে সেকেলে এবং নারীকে পণ্য হিসেবে বিবেচনা করার নামান্তর মনে করেন। আবার অনেকে একে বিয়ের পর নারীর ত্যাগের ক্ষতিপূরণ হিসেবে দেখেন।
২০২১ সালে কার্যকর হওয়া চীনের সিভিল কোড অনুযায়ী, যদি বিয়ে সম্পন্ন না হয় কিংবা বিয়ের পর স্বামী-স্ত্রী একত্রে বসবাস না করেন, তবে যৌতুকের টাকা ফেরত দেওয়ার দাবি আদালত সমর্থন করতে পারেন।
ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর ইন্টারনেটে সমালোচনার ঝড় বয়ে গেছে। একজন মন্তব্য করেছেন, ‘ও যদি এতই হিসাবি হয়, তবে কেন মেয়েটিকে বেতন দিল না?’ অন্য একজন লিখেছেন, ‘ওর বউ নয়, একজন আয়া দরকার ছিল।’ তৃতীয় আরেকজন লিখেছেন, ‘মেয়েটিকে অভিনন্দন যে সে এমন এক সংকীর্ণমনা মানুষের হাত থেকে মুক্তি পেয়েছে।’

এক চীনা ব্যক্তি তাঁর প্রাক্তন বাগ্দত্তার বিরুদ্ধে মামলা করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন। ওই ব্যক্তির দাবি, তাঁর বাগ্দত্তা ‘খুব বেশি খাবার খেতেন।’ তাই সম্পর্কের পেছনে ব্যয় করা সব টাকা তাঁকে ফেরত দিতে হবে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জংলান নিউজের বরাত দিয়ে হংকং থেকে প্রকাশিত ইংরেজি দৈনিক সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট ৯ ডিসেম্বর এই যুগলকে নিয়ে আদালতের একটি শুনানি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। হে পদবির ওই ব্যক্তি তাঁর বান্ধবী ওয়াংয়ের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন। মামলায় হে দাবি করেন, তাঁর পরিবার কনেপক্ষকে অগ্রিম যৌতুক (ব্রাইড প্রাইস) হিসেবে যে ২০ হাজার ইউয়ান বা ২ হাজার ৮০০ মার্কিন ডলার দিয়েছিল, তা তিনি ফেরত পেতে চান।
শুধু তা-ই নয়, সম্পর্কের সময় ওয়াংয়ের পেছনে খরচ হওয়া আরও ৩০ হাজার ইউয়ানও (৪ হাজার ২০০ মার্কিন ডলার) দাবি করেন হে। এই খরচের তালিকায় তাঁর কেনা কালো টাইটস এবং অন্তর্বাসও অন্তর্ভুক্ত ছিল।
উত্তর-পূর্ব চীনের হেইলংজিয়াং প্রদেশের একই গ্রামের বাসিন্দা হে এবং ওয়াং। এক ঘটকের মাধ্যমে তাদের পরিচয় এবং পরে বাগ্দান সম্পন্ন হয়। বাগ্দানের পর তাঁরা উত্তর চীনের হেবেই প্রদেশে হের পরিবারের মালিকানাধীন একটি রেস্তোরাঁ চালাতে যান।
উল্লেখ্য, মালাতাং চীনের একটি জনপ্রিয় স্ট্রিট ফুড, যা মাংস, সবজি ও নুডলসের ঝাল ঝোলে তৈরি করা হয়। ওয়াং সেখানে ছয় মাস কাজ করেন। তবে হের অভিযোগ, ওয়াং ‘সহজ কাজগুলো’ করতেন। হেইলংজিয়াং টিভিকে হে বলেন, ‘সে প্রতিদিন আমাদের মালাতাং খেত। আমাদের বিক্রির জন্য যা থাকত, তা-ও তার খাওয়ার জন্য যথেষ্ট ছিল না।’ তিনি আরও যোগ করেন, তাঁর পরিবারও ওয়াংয়ের ওপর অসন্তুষ্ট ছিল। কারণ, তাদের মনে হয়েছে মেয়েটি বদলে গেছে।
আদালতে হে সেসব জিনিসের তালিকা পেশ করেন, যা তিনি ওয়াংয়ের জন্য কিনেছিলেন। জবাবে ওয়াং বলেন, ‘ও বড্ড বেশি হিসাবি। আমি তো ওর বান্ধবী ছিলাম।’ আদালতে তিনি হেকে প্রশ্ন করেন, ‘তুমি আমাকে যে টাইটস আর অন্তর্বাস কিনে দিয়েছিলে, সেগুলো কি তুমি নিজেও উপভোগ করনি?’
আদালত ৩০ হাজার ইউয়ান ফেরত দেওয়ার দাবিটি খারিজ করে দেন। বিচারক জানান, এগুলো ব্যক্তিগত জিনিস, যা উভয় পক্ষকেই আবেগীয় তৃপ্তি দিয়েছে। তবে অগ্রিম দেওয়া ২০ হাজার ইউয়ান যৌতুকের অর্ধেক টাকা ওয়াংকে ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। আদালতের এই রায়ে উভয় পক্ষই সন্তোষ প্রকাশ করেছে।
চীনে যৌতুক বা ‘ব্রাইড প্রাইস’ একটি প্রাচীন প্রথা। বিয়ের সময় বরের পরিবার কনের পরিবারকে উপহার হিসেবে এই টাকা দেয়, যা মূলত মেয়েটিকে পরিবারে স্বাগত জানানোর একটি আন্তরিক প্রথা। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এই প্রথা নিয়ে নানা বিতর্ক তৈরি হয়েছে। কেউ কেউ একে সেকেলে এবং নারীকে পণ্য হিসেবে বিবেচনা করার নামান্তর মনে করেন। আবার অনেকে একে বিয়ের পর নারীর ত্যাগের ক্ষতিপূরণ হিসেবে দেখেন।
২০২১ সালে কার্যকর হওয়া চীনের সিভিল কোড অনুযায়ী, যদি বিয়ে সম্পন্ন না হয় কিংবা বিয়ের পর স্বামী-স্ত্রী একত্রে বসবাস না করেন, তবে যৌতুকের টাকা ফেরত দেওয়ার দাবি আদালত সমর্থন করতে পারেন।
ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর ইন্টারনেটে সমালোচনার ঝড় বয়ে গেছে। একজন মন্তব্য করেছেন, ‘ও যদি এতই হিসাবি হয়, তবে কেন মেয়েটিকে বেতন দিল না?’ অন্য একজন লিখেছেন, ‘ওর বউ নয়, একজন আয়া দরকার ছিল।’ তৃতীয় আরেকজন লিখেছেন, ‘মেয়েটিকে অভিনন্দন যে সে এমন এক সংকীর্ণমনা মানুষের হাত থেকে মুক্তি পেয়েছে।’

এমন একটি হীরার খনির কথা চিন্তা করুন তো, যেখানে চাইলেই বাচ্চা-কাচ্চা নিয়ে হীরার সন্ধানে নেমে পড়তে পারবেন। এমনকি এখানে কোনো হীরা পেলে সেটা সঙ্গে করে নিয়েও যেতে পারবেন। কেমন অবিশ্বাস্য শোনালেও মার্কিন মুল্লুকে এমন একটি খনি সত্যি আছে।
১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩
ক্যালিফোর্নিয়ার সুজ লোপেজ যখন তাঁর ছোট ছেলে রিউকে কোলে নিয়ে বসেন, তখন এক অলৌকিক বিস্ময়ে স্তব্ধ হয়ে যান। কারণ, ছোট্ট রিউ তাঁর মায়ের জরায়ুর ভেতরে নয়, বেড়ে উঠেছিল পেটের ভেতরে একটি বিশাল আকৃতির ওভারিয়ান সিস্টের আড়ালে। চিকিৎসাবিজ্ঞানে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং বিরল এই ঘটনাকে ‘মিরাকল’ বা অলৌকিক বলছেন চিকিৎ
১ দিন আগে
তুরস্কের একটি আদালত এক চাঞ্চল্যকর রায়ে জানিয়েছেন, স্ত্রী ছাড়া অন্য নারীদের অনলাইন পোস্টে স্বামীর বারবার ‘লাইক’ দেওয়া বৈবাহিক বিশ্বাস নষ্ট করতে পারে এবং তা বিবাহবিচ্ছেদের ভিত্তি হিসেবে গণ্য হতে পারে। মধ্যতুরস্কের কায়সেরি শহরের একটি মামলায় এই যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত এসেছে।
২ দিন আগে
সকালে দোকানের শাটার খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার অ্যাশল্যান্ডের একটি সরকারি মদের দোকানের কর্মীদের। দোকানের মেঝেতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে শত শত ভাঙা কাচের টুকরা। মেঝে ভেসে গেছে দামি বিলেতি মদে!
৮ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সকালে দোকানের শাটার খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার অ্যাশল্যান্ডের একটি সরকারি মদের দোকানের কর্মীদের। দোকানের মেঝেতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে শত শত ভাঙা কাচের টুকরা। মেঝে ভেসে গেছে দামি বিলেতি মদে! প্রাথমিকভাবে সবাই বড় কোনো চুরির আশঙ্কা করলেও কোনো দামি জিনিস খোয়া যায়নি; বরং দোকানের বাথরুমের কমোড আর ডাস্টবিনের চিপায় উদ্ধার হলো আসল ‘অপরাধী’। সেখানে অঘোরে নাক ডেকে ঘুমাচ্ছিল এক বুনো র্যাকুন!
ঘটনার সূত্রপাত হয় থ্যাংকসগিভিংয়ের ছুটিতে। দোকান বন্ধ থাকার সুযোগে এই ‘মুখোশধারী ডাকাত’ সিলিংয়ের টাইলস ভেঙে দোকানের ভেতরে প্রবেশ করে। পশুপালন দপ্তরের কর্মকর্তা সামান্থা মার্টিন গণমাধ্যমকে জানান, ভেতরে ঢুকেই র্যাকুনটি পুরোদস্তুর তাণ্ডব শুরু করে। তবে তার প্রধান আকর্ষণ ছিল নিচের দিকের তাকগুলোতে সাজিয়ে রাখা স্কচ হুইস্কির বোতলগুলো। বেশ কয়েকটি বোতল ভেঙে, প্রচুর পরিমাণে স্কচ সাবাড় করে র্যাকুনটি মাতাল হয়ে পড়ে। একপর্যায়ে নেশার ঘোরে সে বাথরুমে আশ্রয় নেয় এবং সেখানেই জ্ঞান হারায়।
খবর পেয়ে সামান্থা মার্টিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে র্যাকুনটিকে উদ্ধার করেন। তিনি কৌতুক করে বলেন, ‘পশু সুরক্ষা ও নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তার জীবনে এটা আর দশটা দিনের মতোই একটি সাধারণ দিন!’

র্যাকুনটি এতটাই নেশাগ্রস্ত ছিল যে সেটিকে ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য’ হ্যানোভার কাউন্টি অ্যানিমেল প্রটেকশন শেল্টারে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে পুলিশি কাস্টডিতে নয়, বরং তার নেশা কাটানোর জন্যই এই ব্যবস্থা।
বেশ কয়েক ঘণ্টা একটানা ঘুমের পর যখন র্যাকুনটি হ্যাংওভার কাটে। শারীরিক কোনো চোট পাওয়া যায়নি। এটি নিশ্চিত হয়েই তাকে সসম্মানে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়।
দোকানের সিসিটিভি ফুটেজে এক রহস্যময় ছায়ামূর্তির তাণ্ডব দেখা গেলেও র্যাকুনটি ঠিক কতটা স্কচ হজম করেছিল, তা অজানাই রয়ে গেছে। দোকানের পক্ষ থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি মজার পোস্ট দিয়ে জানানো হয়, র্যাকুনটিকে নিরাপদে ‘সোবার রাইড’, অর্থাৎ নেশামুক্ত অবস্থায় বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার জন্য তারা প্রশাসনের কাছে কৃতজ্ঞ!

সকালে দোকানের শাটার খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার অ্যাশল্যান্ডের একটি সরকারি মদের দোকানের কর্মীদের। দোকানের মেঝেতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে শত শত ভাঙা কাচের টুকরা। মেঝে ভেসে গেছে দামি বিলেতি মদে! প্রাথমিকভাবে সবাই বড় কোনো চুরির আশঙ্কা করলেও কোনো দামি জিনিস খোয়া যায়নি; বরং দোকানের বাথরুমের কমোড আর ডাস্টবিনের চিপায় উদ্ধার হলো আসল ‘অপরাধী’। সেখানে অঘোরে নাক ডেকে ঘুমাচ্ছিল এক বুনো র্যাকুন!
ঘটনার সূত্রপাত হয় থ্যাংকসগিভিংয়ের ছুটিতে। দোকান বন্ধ থাকার সুযোগে এই ‘মুখোশধারী ডাকাত’ সিলিংয়ের টাইলস ভেঙে দোকানের ভেতরে প্রবেশ করে। পশুপালন দপ্তরের কর্মকর্তা সামান্থা মার্টিন গণমাধ্যমকে জানান, ভেতরে ঢুকেই র্যাকুনটি পুরোদস্তুর তাণ্ডব শুরু করে। তবে তার প্রধান আকর্ষণ ছিল নিচের দিকের তাকগুলোতে সাজিয়ে রাখা স্কচ হুইস্কির বোতলগুলো। বেশ কয়েকটি বোতল ভেঙে, প্রচুর পরিমাণে স্কচ সাবাড় করে র্যাকুনটি মাতাল হয়ে পড়ে। একপর্যায়ে নেশার ঘোরে সে বাথরুমে আশ্রয় নেয় এবং সেখানেই জ্ঞান হারায়।
খবর পেয়ে সামান্থা মার্টিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে র্যাকুনটিকে উদ্ধার করেন। তিনি কৌতুক করে বলেন, ‘পশু সুরক্ষা ও নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তার জীবনে এটা আর দশটা দিনের মতোই একটি সাধারণ দিন!’

র্যাকুনটি এতটাই নেশাগ্রস্ত ছিল যে সেটিকে ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য’ হ্যানোভার কাউন্টি অ্যানিমেল প্রটেকশন শেল্টারে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে পুলিশি কাস্টডিতে নয়, বরং তার নেশা কাটানোর জন্যই এই ব্যবস্থা।
বেশ কয়েক ঘণ্টা একটানা ঘুমের পর যখন র্যাকুনটি হ্যাংওভার কাটে। শারীরিক কোনো চোট পাওয়া যায়নি। এটি নিশ্চিত হয়েই তাকে সসম্মানে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়।
দোকানের সিসিটিভি ফুটেজে এক রহস্যময় ছায়ামূর্তির তাণ্ডব দেখা গেলেও র্যাকুনটি ঠিক কতটা স্কচ হজম করেছিল, তা অজানাই রয়ে গেছে। দোকানের পক্ষ থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি মজার পোস্ট দিয়ে জানানো হয়, র্যাকুনটিকে নিরাপদে ‘সোবার রাইড’, অর্থাৎ নেশামুক্ত অবস্থায় বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার জন্য তারা প্রশাসনের কাছে কৃতজ্ঞ!

এমন একটি হীরার খনির কথা চিন্তা করুন তো, যেখানে চাইলেই বাচ্চা-কাচ্চা নিয়ে হীরার সন্ধানে নেমে পড়তে পারবেন। এমনকি এখানে কোনো হীরা পেলে সেটা সঙ্গে করে নিয়েও যেতে পারবেন। কেমন অবিশ্বাস্য শোনালেও মার্কিন মুল্লুকে এমন একটি খনি সত্যি আছে।
১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩
ক্যালিফোর্নিয়ার সুজ লোপেজ যখন তাঁর ছোট ছেলে রিউকে কোলে নিয়ে বসেন, তখন এক অলৌকিক বিস্ময়ে স্তব্ধ হয়ে যান। কারণ, ছোট্ট রিউ তাঁর মায়ের জরায়ুর ভেতরে নয়, বেড়ে উঠেছিল পেটের ভেতরে একটি বিশাল আকৃতির ওভারিয়ান সিস্টের আড়ালে। চিকিৎসাবিজ্ঞানে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং বিরল এই ঘটনাকে ‘মিরাকল’ বা অলৌকিক বলছেন চিকিৎ
১ দিন আগে
তুরস্কের একটি আদালত এক চাঞ্চল্যকর রায়ে জানিয়েছেন, স্ত্রী ছাড়া অন্য নারীদের অনলাইন পোস্টে স্বামীর বারবার ‘লাইক’ দেওয়া বৈবাহিক বিশ্বাস নষ্ট করতে পারে এবং তা বিবাহবিচ্ছেদের ভিত্তি হিসেবে গণ্য হতে পারে। মধ্যতুরস্কের কায়সেরি শহরের একটি মামলায় এই যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত এসেছে।
২ দিন আগে
এক চীনা ব্যক্তি তাঁর প্রাক্তন বাগ্দত্তার বিরুদ্ধে মামলা করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন। ওই ব্যক্তির দাবি, তাঁর বাগ্দত্তা ‘খুব বেশি খাবার খেতেন।’ তাই সম্পর্কের পেছনে ব্যয় করা সব টাকা তাঁকে ফেরত দিতে হবে।
৫ দিন আগে