ইশতিয়াক হাসান

রংধনুর সঙ্গে আমরা মোটামুটি সবাই পরিচিত। বৃষ্টির পর আকাশে এই আশ্চর্য সাত রঙের খেলায় মুগ্ধ হই আমরা। আর দিনের বেলায়ই এই সৌন্দর্য উপভোগের সৌভাগ্য হয় আমাদের। কিন্তু শুনে অবাক হবেন, এর ব্যাতিক্রমও আছে। রাতের বেলায়ও পৃথিবীর কোথাও কোথাও রংধনুর দেখা মেলে।
রাতের বেলায় দেখা যাওয়া এই রংধনু অবশ্য রেইনবোর বদলে মুনবো নামে পরিচিত। এক্ষেত্রে সরাসরি সূর্যের আলোর বদলে চাঁদের আলো রংধনুর রংগুলোর জোগান দেয়। এ কারণে এটি লুনার রেইনবো বা কোথাও কোথাও হোয়াইট রংধনু বা সাদা রেইনবো নামেও পরিচিত। তবে প্রকৃতিতে এ ধরনের রংধনু সাধারণত দিনের রংধনু বা রামধনুর তুলনায় বিরল। এ ধরনের রংধনু দেখা যাওয়ার জন্য যেসব জায়গা বিখ্যাত, তার উল্লেখযোগ্য জিম্বাবুয়ে ও জাম্বিয়ার ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাত।
এখন রংধনু সম্পর্কে মোটামুটি আমাদের সবার জানা থাকলেও দু-একটি বিষয়ে জ্ঞানটা একটু ঝালাই করে নেওয়া যাক। সূর্যের আলো পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশের সময় নানা পদার্থ যেমন—গ্যাস, ধুলোবালু অতিক্রম করে আসতে হয়। এতে আলো কিছুটা বেঁকে যায়। এই বেঁকে যাওয়াকে বলে আলোর প্রতিসরণ। বৃষ্টির কথা যদি বলি, বৃষ্টির পর আকাশ পরিষ্কার মনে হলেও কিছু কিছু পানির কণা ঠিকই বাতাসে ভাসতে থাকে। অর্থাৎ বৃষ্টির পর রোদ উঠলেও এ সময় আলো চলার পথে পানির ফোঁটা বা জলীয়বাষ্প থাকে অনেক বেশি। ফলে সূর্যের আলোর প্রতিসরণও বেশি হয়।
অন্য সময় বেঁকে যাওয়াটা খুব বেশি পরিমাণে হয় না বলে আলোর সব রং আলাদাভাবে দেখা যায় না। যে রংটা বেশি বাঁকে, সেটাই দেখতে পাই আমরা। কিন্তু বৃষ্টির পর প্রতিসরণ বেশি হওয়ায় সূর্যরশ্মিতে থাকা সাতটা রং বেগুনি, নীল, আসমানি, সবুজ, হলুদ, কমলা ও লালকে আলাদাভাবে দেখা যায়। অবশ্য রংধনুর জন্য সব সময় বৃষ্টি হওয়া জরুরি নয়, জলপ্রপাতের আশপাশেও পানির কণা ও জলীয় বাষ্পের বেশি উপস্থিতির কারণে রংধনু সৃষ্টি হতে পারে।
এখন মুনবো নামে পরিচিত রংধনুও জলপ্রপাতের জলে আলো পড়েই হয়, আর দিনে সৃষ্টি হওয়া রংধনুর তুলনায় এটি অনেক মৃদু। এর কারণ চাঁদ থেকে কম পরিমাণ আলো প্রতিফলিত হয়। তাই এতে রংগুলো হয় হালকা। এ কারণে রঙের পার্থক্য বোঝাটা দর্শকদের জন্য কঠিনই হয়। অনেক সময় সাদাটে দেখায় এই রং, তাই একে হোয়াইট রেইনবো বা সাদা রেইনবোও বলেন কেউ কেউ। সাধারত পূর্ণিমার আশপাশের সময়, আকাশ যখন মেঘমুক্ত থাকে তখন এই রংধনু বেশি দেখা যায়। সূর্যের বিপরীতে যেমন দিনের রংধনু দেখা যায়, তেমনি রাতের আকাশে চাঁদের বিপরীত দিকে জন্ম হয় এই রংধনুর।
স্বাভাবিকভাবেই জলপ্রপাতের কাছে এমন রংধনু দেখা সহজ। জলপ্রপাতের পানি কুয়াশার একটি পাতলা পরত তৈরি করে লুনার রংধনু সৃষ্টির পরিবেশ তৈরি করে। এ ধরনের রংধনু সাধারণ পর্যটক তো বটেই, আলোকচিত্রীদেরও খুব আরাধ্য জিনিস।
আগেই বলেছি, এমন রংধনু দেখার জন্য দারুণ এক জায়গা আফ্রিকা মহাদেশের ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাত। পূর্ণিমার সময় জিম্বাবুয়ে কিংবা জাম্বিয়ার বৃষ্টি অরণ্য বা রেইন ফরেস্ট ধরে পৌঁছে যেতে পারবেন জলপ্রপাতের কাছে। ওই সময় সন্ধ্যার পরে মুনবো দেখানোর জন্য ট্যুর কোম্পানিগুলো বিশেষ আয়োজন করে।
প্রায় ১ হাজার ৭০৮ মিটার চওড়া ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাত পৃথিবীর বিখ্যাত জলপ্রপাতগুলোর একটি। আর এতে পানির পতন ঘটে ১০৮ মিটার উচ্চতা থেকে। বুঝতেই পারছেন বিশাল জায়গা নিয়ে ছড়ানো জলপ্রপাতটি থেকে প্রচুর পরিমাণে পানি পড়ে। এতে জলকণার কারণে সব সময়ই প্রচুর কুয়াশা তৈরি হয়। আর এ কারণেই চন্দ্রালোকিত রাতে এখানে সহজেই জন্ম হয় অসাধারণ এক দৃশ্যের, রাতের রংধনু। মজার ঘটনা জলপ্রপাতটিতে ঘুরতে যাওয়া অনেক পর্যটকই এখানকার এই আশ্চর্য বিষয়টির কথা জানেনই না।
এখন আপনার মনে নিশ্চয় প্রশ্ন জাগছে, বছরের কোন সময়টা রাতের রংধনু দেখার জন্য উপযোগী? ফেব্রুয়ারি ও মার্চে প্রচুর পানি থাকলেও মেঘের আনাগোনা থাকে বেশি। এপ্রিল ও মেতে পানির প্রবাহ থাকে প্রচুর, এটা মুনবোর জন্য ভালো হওয়ার কথা। কিন্তু এ সময় জলকণার পরিমাণ অত্যধিক থাকায় যে ঘন কুয়াশার পর্দা তৈরি হয় তা কখনো কখনো চাঁদের আলো আসতেই বাধা দেয়। এদিকে শুকনো মৌসুম মানে সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বরে পানি কম থাকায় ভেসে বেড়ানো জলকণাও থাকে কম। ফলে নির্দিষ্ট দু-একটি ভিউ পয়েন্ট ছাড়া রংধনুর দেখা পাওয়া কঠিন।
মোটের ওপর, রাতের রংধনু সৃষ্টির সব শর্ত মেনে ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাতে এটি তৈরির আদর্শ সময় হলো জুন, জুলাই ও আগস্ট মাস। অর্থাৎ, এ সময় পূর্ণিমা ও এর ঠিক আগে-পড়ে জলপ্রপাত এলাকায় হাজির হয়ে গেলেই খুব ভালো সম্ভাবনা অসাধারণ সেই দৃশ্য, মানে মুনবো চাক্ষুষ করার।
রাতের কোন সময়টায় এর দেখা পাওয়া যাবে বলা মুশকিল। তবে সাধারণত সূর্যাস্তের কয়েক ঘণ্টা পর ও সূর্যোদয়ের দু-তিন ঘণ্টা আগে সম্ভাবনাটা থাকে বেশি।
একসময় নায়াগ্রা জলপ্রপাত এলাকায় এ ধরনের রংধনু দেখা ছিল নিয়মিত এক ব্যাপার। তবে এর আশপাশের এলাকায় উন্নয়নের কারণে কৃত্রিম আলো বেড়ে যাওয়ায় এখন এর দেখা পাওয়া ভার। তবে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার ইয়োসমাইট ফলস, হাওয়াইয়ের কিহেই জলপ্রপাত, কাম্বারল্যান্ড জলপ্রপাত ও ওয়াইমিয়া ক্যানিয়ন স্টেট পার্ক, আইসল্যান্ডের স্কোগাফসে চমৎকার মুনবোর দেখা মেলে।
আবার এ ধরনের মুনবো নিয়মিতই চোখে পড়ে কোস্টারিকার মেঘে ঢাকা অরণ্য ও মন্টেভার্দে কিংবা সান্তা এলেনার মতো পাহাড়ি শহরগুলোতে। ক্যারিবিয়ান সাগর থেকে ভেসে আসা কুয়াশার মেঘ এই মুনবো সৃষ্টিতে বড় ভূমিকা রাখে। চাঁদের আলোয় তখন আকাশে জন্ম হয় কিছুটা ভিন্ন ধরনের এক মুনবোর। এতে ডোরা ডোরা আলোকছটা ছড়িয়ে পড়ে আকাশে। স্প্যানিশে যা পরিচিত পেলো দে গেতে (বিড়ালের চুল) নামে। কোস্টারিকার এই অঞ্চলে ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রতিটি পূর্ণিমা এবং এর আশপাশের সময়ই এই রংধনুর দেখা পাবেন।
সূত্র: আউটলুক ইন্ডিয়া ডট কম, দ্য আফ্রিকা ইনসাইডার ডট কম, ডিসকভার ভিক্টোরিয়া ফলস ডট কম

রংধনুর সঙ্গে আমরা মোটামুটি সবাই পরিচিত। বৃষ্টির পর আকাশে এই আশ্চর্য সাত রঙের খেলায় মুগ্ধ হই আমরা। আর দিনের বেলায়ই এই সৌন্দর্য উপভোগের সৌভাগ্য হয় আমাদের। কিন্তু শুনে অবাক হবেন, এর ব্যাতিক্রমও আছে। রাতের বেলায়ও পৃথিবীর কোথাও কোথাও রংধনুর দেখা মেলে।
রাতের বেলায় দেখা যাওয়া এই রংধনু অবশ্য রেইনবোর বদলে মুনবো নামে পরিচিত। এক্ষেত্রে সরাসরি সূর্যের আলোর বদলে চাঁদের আলো রংধনুর রংগুলোর জোগান দেয়। এ কারণে এটি লুনার রেইনবো বা কোথাও কোথাও হোয়াইট রংধনু বা সাদা রেইনবো নামেও পরিচিত। তবে প্রকৃতিতে এ ধরনের রংধনু সাধারণত দিনের রংধনু বা রামধনুর তুলনায় বিরল। এ ধরনের রংধনু দেখা যাওয়ার জন্য যেসব জায়গা বিখ্যাত, তার উল্লেখযোগ্য জিম্বাবুয়ে ও জাম্বিয়ার ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাত।
এখন রংধনু সম্পর্কে মোটামুটি আমাদের সবার জানা থাকলেও দু-একটি বিষয়ে জ্ঞানটা একটু ঝালাই করে নেওয়া যাক। সূর্যের আলো পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশের সময় নানা পদার্থ যেমন—গ্যাস, ধুলোবালু অতিক্রম করে আসতে হয়। এতে আলো কিছুটা বেঁকে যায়। এই বেঁকে যাওয়াকে বলে আলোর প্রতিসরণ। বৃষ্টির কথা যদি বলি, বৃষ্টির পর আকাশ পরিষ্কার মনে হলেও কিছু কিছু পানির কণা ঠিকই বাতাসে ভাসতে থাকে। অর্থাৎ বৃষ্টির পর রোদ উঠলেও এ সময় আলো চলার পথে পানির ফোঁটা বা জলীয়বাষ্প থাকে অনেক বেশি। ফলে সূর্যের আলোর প্রতিসরণও বেশি হয়।
অন্য সময় বেঁকে যাওয়াটা খুব বেশি পরিমাণে হয় না বলে আলোর সব রং আলাদাভাবে দেখা যায় না। যে রংটা বেশি বাঁকে, সেটাই দেখতে পাই আমরা। কিন্তু বৃষ্টির পর প্রতিসরণ বেশি হওয়ায় সূর্যরশ্মিতে থাকা সাতটা রং বেগুনি, নীল, আসমানি, সবুজ, হলুদ, কমলা ও লালকে আলাদাভাবে দেখা যায়। অবশ্য রংধনুর জন্য সব সময় বৃষ্টি হওয়া জরুরি নয়, জলপ্রপাতের আশপাশেও পানির কণা ও জলীয় বাষ্পের বেশি উপস্থিতির কারণে রংধনু সৃষ্টি হতে পারে।
এখন মুনবো নামে পরিচিত রংধনুও জলপ্রপাতের জলে আলো পড়েই হয়, আর দিনে সৃষ্টি হওয়া রংধনুর তুলনায় এটি অনেক মৃদু। এর কারণ চাঁদ থেকে কম পরিমাণ আলো প্রতিফলিত হয়। তাই এতে রংগুলো হয় হালকা। এ কারণে রঙের পার্থক্য বোঝাটা দর্শকদের জন্য কঠিনই হয়। অনেক সময় সাদাটে দেখায় এই রং, তাই একে হোয়াইট রেইনবো বা সাদা রেইনবোও বলেন কেউ কেউ। সাধারত পূর্ণিমার আশপাশের সময়, আকাশ যখন মেঘমুক্ত থাকে তখন এই রংধনু বেশি দেখা যায়। সূর্যের বিপরীতে যেমন দিনের রংধনু দেখা যায়, তেমনি রাতের আকাশে চাঁদের বিপরীত দিকে জন্ম হয় এই রংধনুর।
স্বাভাবিকভাবেই জলপ্রপাতের কাছে এমন রংধনু দেখা সহজ। জলপ্রপাতের পানি কুয়াশার একটি পাতলা পরত তৈরি করে লুনার রংধনু সৃষ্টির পরিবেশ তৈরি করে। এ ধরনের রংধনু সাধারণ পর্যটক তো বটেই, আলোকচিত্রীদেরও খুব আরাধ্য জিনিস।
আগেই বলেছি, এমন রংধনু দেখার জন্য দারুণ এক জায়গা আফ্রিকা মহাদেশের ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাত। পূর্ণিমার সময় জিম্বাবুয়ে কিংবা জাম্বিয়ার বৃষ্টি অরণ্য বা রেইন ফরেস্ট ধরে পৌঁছে যেতে পারবেন জলপ্রপাতের কাছে। ওই সময় সন্ধ্যার পরে মুনবো দেখানোর জন্য ট্যুর কোম্পানিগুলো বিশেষ আয়োজন করে।
প্রায় ১ হাজার ৭০৮ মিটার চওড়া ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাত পৃথিবীর বিখ্যাত জলপ্রপাতগুলোর একটি। আর এতে পানির পতন ঘটে ১০৮ মিটার উচ্চতা থেকে। বুঝতেই পারছেন বিশাল জায়গা নিয়ে ছড়ানো জলপ্রপাতটি থেকে প্রচুর পরিমাণে পানি পড়ে। এতে জলকণার কারণে সব সময়ই প্রচুর কুয়াশা তৈরি হয়। আর এ কারণেই চন্দ্রালোকিত রাতে এখানে সহজেই জন্ম হয় অসাধারণ এক দৃশ্যের, রাতের রংধনু। মজার ঘটনা জলপ্রপাতটিতে ঘুরতে যাওয়া অনেক পর্যটকই এখানকার এই আশ্চর্য বিষয়টির কথা জানেনই না।
এখন আপনার মনে নিশ্চয় প্রশ্ন জাগছে, বছরের কোন সময়টা রাতের রংধনু দেখার জন্য উপযোগী? ফেব্রুয়ারি ও মার্চে প্রচুর পানি থাকলেও মেঘের আনাগোনা থাকে বেশি। এপ্রিল ও মেতে পানির প্রবাহ থাকে প্রচুর, এটা মুনবোর জন্য ভালো হওয়ার কথা। কিন্তু এ সময় জলকণার পরিমাণ অত্যধিক থাকায় যে ঘন কুয়াশার পর্দা তৈরি হয় তা কখনো কখনো চাঁদের আলো আসতেই বাধা দেয়। এদিকে শুকনো মৌসুম মানে সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বরে পানি কম থাকায় ভেসে বেড়ানো জলকণাও থাকে কম। ফলে নির্দিষ্ট দু-একটি ভিউ পয়েন্ট ছাড়া রংধনুর দেখা পাওয়া কঠিন।
মোটের ওপর, রাতের রংধনু সৃষ্টির সব শর্ত মেনে ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাতে এটি তৈরির আদর্শ সময় হলো জুন, জুলাই ও আগস্ট মাস। অর্থাৎ, এ সময় পূর্ণিমা ও এর ঠিক আগে-পড়ে জলপ্রপাত এলাকায় হাজির হয়ে গেলেই খুব ভালো সম্ভাবনা অসাধারণ সেই দৃশ্য, মানে মুনবো চাক্ষুষ করার।
রাতের কোন সময়টায় এর দেখা পাওয়া যাবে বলা মুশকিল। তবে সাধারণত সূর্যাস্তের কয়েক ঘণ্টা পর ও সূর্যোদয়ের দু-তিন ঘণ্টা আগে সম্ভাবনাটা থাকে বেশি।
একসময় নায়াগ্রা জলপ্রপাত এলাকায় এ ধরনের রংধনু দেখা ছিল নিয়মিত এক ব্যাপার। তবে এর আশপাশের এলাকায় উন্নয়নের কারণে কৃত্রিম আলো বেড়ে যাওয়ায় এখন এর দেখা পাওয়া ভার। তবে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার ইয়োসমাইট ফলস, হাওয়াইয়ের কিহেই জলপ্রপাত, কাম্বারল্যান্ড জলপ্রপাত ও ওয়াইমিয়া ক্যানিয়ন স্টেট পার্ক, আইসল্যান্ডের স্কোগাফসে চমৎকার মুনবোর দেখা মেলে।
আবার এ ধরনের মুনবো নিয়মিতই চোখে পড়ে কোস্টারিকার মেঘে ঢাকা অরণ্য ও মন্টেভার্দে কিংবা সান্তা এলেনার মতো পাহাড়ি শহরগুলোতে। ক্যারিবিয়ান সাগর থেকে ভেসে আসা কুয়াশার মেঘ এই মুনবো সৃষ্টিতে বড় ভূমিকা রাখে। চাঁদের আলোয় তখন আকাশে জন্ম হয় কিছুটা ভিন্ন ধরনের এক মুনবোর। এতে ডোরা ডোরা আলোকছটা ছড়িয়ে পড়ে আকাশে। স্প্যানিশে যা পরিচিত পেলো দে গেতে (বিড়ালের চুল) নামে। কোস্টারিকার এই অঞ্চলে ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রতিটি পূর্ণিমা এবং এর আশপাশের সময়ই এই রংধনুর দেখা পাবেন।
সূত্র: আউটলুক ইন্ডিয়া ডট কম, দ্য আফ্রিকা ইনসাইডার ডট কম, ডিসকভার ভিক্টোরিয়া ফলস ডট কম

এক চুরির ঘটনায় রীতিমতো হইচই পড়ে গেল নিউজিল্যান্ডে। এক ব্যক্তি একটি বহুমূল্য হীরকখচিত লকেট চুরি করতে গিয়ে তা গিলে ফেলেন। তবে অবশেষে সেই লকেটটি ‘স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায়’ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশের পক্ষ থেকে বিবিসিকে জানানো হয়েছে, লকেটটি উদ্ধার করতে ‘মেডিকেল হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হয়নি’।
৫ ঘণ্টা আগে
এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, গত শুক্রবার বিকেলে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলে পারট্রিজ জুয়েলার্সে পুলিশ ডাকা হলে ৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।
২ দিন আগে
১৫ বছর বয়সে জর্জিয়া এমন কিছু জানতে পারেন, যা কোনো অল্প বয়সী মেয়ে আশা করে না। তিনি জরায়ু ছাড়াই জন্মগ্রহণ করেছেন এবং কোনো দিন সন্তান ধারণ করতে পারবেন না।
৭ দিন আগে
জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ২০৫০ সালের মধ্যে বন্য বিড়াল বা মালিকহীন বিড়াল নির্মূলের ঘোষণা দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। দেশটির সংরক্ষণমন্ত্রী তামা পোতাকা গত শুক্রবার এই ঘোষণা দেন।
৮ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

এক চুরির ঘটনায় রীতিমতো হইচই পড়ে গেল নিউজিল্যান্ডে। এক ব্যক্তি একটি বহুমূল্য হীরকখচিত লকেট চুরি করতে গিয়ে তা গিলে ফেলেন। তবে অবশেষে সেই লকেটটি ‘স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায়’ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশের পক্ষ থেকে বিবিসিকে জানানো হয়েছে, লকেটটি উদ্ধার করতে ‘মেডিকেল হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হয়নি’।
৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত প্যারট্রিজ জুয়েলার্সের দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযোগ, লকেটটি গিলে ফেলার কয়েক মিনিটের মধ্যেই তাঁকে ধরা হয়। চুরির প্রায় এক সপ্তাহ পরে এই মূল্যবান জিনিসটি উদ্ধার করা সম্ভব হলো।
ফেবার্গে এগ-এর আদলে তৈরি এই লকেটটির মূল্য ৩৩ হাজার ৫৮৫ নিউজিল্যান্ড ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ২৩ লাখ টাকার বেশি)। জুয়েলারের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, গিলে ফেলা এই লকেটটিতে ৬০টি সাদা হিরা এবং ১৫টি নীলকান্তমণি বসানো রয়েছে। লকেটটি খুললে এর ভেতরে ১৮ ক্যারেট সোনার তৈরি একটি ছোট অক্টোপাস দেখা যায়। এই কারণে লকেটটির নাম দেওয়া হয়েছিল ‘অক্টোপাস ডিম’। ১৯৮৩ সালের জেমস বন্ড ছবি ‘অক্টোপাসি’ থেকে অনুপ্রাণিত।
চুরি করার পর থেকেই পুলিশ ওই ব্যক্তিকে নিজেদের হেফাজতে রেখে লাগাতার নজরদারি চালাচ্ছিল। নিউজিল্যান্ড পুলিশ এর আগে জানিয়েছিল, যেহেতু এই ব্যক্তি পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন, তাই যা ঘটেছে তার পরিপ্রেক্ষিতে তাকে পর্যবেক্ষণ করা আমাদের কর্তব্য।
ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ আনা হয়েছে এবং আগামী ৮ ডিসেম্বর তাঁকে ফের আদালতে হাজির হওয়ার কথা রয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুধু এই লকেট চুরিই নয়, ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে আরও বেশ কিছু অভিযোগ রয়েছে। ১২ নভেম্বর একই জুয়েলারি দোকান থেকে একটি আইপ্যাড চুরি করেছিলেন তিনি। এর একদিন পরে একটি ব্যক্তিগত ঠিকানা থেকে ১০০ নিউজিল্যান্ড ডলার মূল্যের বিড়ালের লিটার এবং ফ্লি কন্ট্রোল (মাছি নিয়ন্ত্রণ) পণ্য চুরি করেন।
প্যারট্রিজ জুয়েলার্স জানিয়েছে, উদ্ধার হওয়া এই বিরল ফেবার্গে লকেটটি নির্মাতাদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হবে।

এক চুরির ঘটনায় রীতিমতো হইচই পড়ে গেল নিউজিল্যান্ডে। এক ব্যক্তি একটি বহুমূল্য হীরকখচিত লকেট চুরি করতে গিয়ে তা গিলে ফেলেন। তবে অবশেষে সেই লকেটটি ‘স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায়’ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশের পক্ষ থেকে বিবিসিকে জানানো হয়েছে, লকেটটি উদ্ধার করতে ‘মেডিকেল হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হয়নি’।
৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত প্যারট্রিজ জুয়েলার্সের দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযোগ, লকেটটি গিলে ফেলার কয়েক মিনিটের মধ্যেই তাঁকে ধরা হয়। চুরির প্রায় এক সপ্তাহ পরে এই মূল্যবান জিনিসটি উদ্ধার করা সম্ভব হলো।
ফেবার্গে এগ-এর আদলে তৈরি এই লকেটটির মূল্য ৩৩ হাজার ৫৮৫ নিউজিল্যান্ড ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ২৩ লাখ টাকার বেশি)। জুয়েলারের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, গিলে ফেলা এই লকেটটিতে ৬০টি সাদা হিরা এবং ১৫টি নীলকান্তমণি বসানো রয়েছে। লকেটটি খুললে এর ভেতরে ১৮ ক্যারেট সোনার তৈরি একটি ছোট অক্টোপাস দেখা যায়। এই কারণে লকেটটির নাম দেওয়া হয়েছিল ‘অক্টোপাস ডিম’। ১৯৮৩ সালের জেমস বন্ড ছবি ‘অক্টোপাসি’ থেকে অনুপ্রাণিত।
চুরি করার পর থেকেই পুলিশ ওই ব্যক্তিকে নিজেদের হেফাজতে রেখে লাগাতার নজরদারি চালাচ্ছিল। নিউজিল্যান্ড পুলিশ এর আগে জানিয়েছিল, যেহেতু এই ব্যক্তি পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন, তাই যা ঘটেছে তার পরিপ্রেক্ষিতে তাকে পর্যবেক্ষণ করা আমাদের কর্তব্য।
ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ আনা হয়েছে এবং আগামী ৮ ডিসেম্বর তাঁকে ফের আদালতে হাজির হওয়ার কথা রয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুধু এই লকেট চুরিই নয়, ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে আরও বেশ কিছু অভিযোগ রয়েছে। ১২ নভেম্বর একই জুয়েলারি দোকান থেকে একটি আইপ্যাড চুরি করেছিলেন তিনি। এর একদিন পরে একটি ব্যক্তিগত ঠিকানা থেকে ১০০ নিউজিল্যান্ড ডলার মূল্যের বিড়ালের লিটার এবং ফ্লি কন্ট্রোল (মাছি নিয়ন্ত্রণ) পণ্য চুরি করেন।
প্যারট্রিজ জুয়েলার্স জানিয়েছে, উদ্ধার হওয়া এই বিরল ফেবার্গে লকেটটি নির্মাতাদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হবে।

বৃষ্টির পর আকাশে রংধনু দেখে মুগ্ধ হই আমরা। আর দিনের বেলায়ই আকাশে সাত রঙা এই সৌন্দর্য দেখার সৌভাগ্য হয় আমাদের। কিন্তু শুনে অবাক হবেন, এর ব্যাতিক্রমও আছে। রাতের বেলায়ও পৃথিবীর কোথাও কোথাও রংধনুর দেখা মেলে। এমন একটি জায়গা আফ্রিকার ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাত।
১৩ জুন ২০২৩
এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, গত শুক্রবার বিকেলে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলে পারট্রিজ জুয়েলার্সে পুলিশ ডাকা হলে ৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।
২ দিন আগে
১৫ বছর বয়সে জর্জিয়া এমন কিছু জানতে পারেন, যা কোনো অল্প বয়সী মেয়ে আশা করে না। তিনি জরায়ু ছাড়াই জন্মগ্রহণ করেছেন এবং কোনো দিন সন্তান ধারণ করতে পারবেন না।
৭ দিন আগে
জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ২০৫০ সালের মধ্যে বন্য বিড়াল বা মালিকহীন বিড়াল নির্মূলের ঘোষণা দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। দেশটির সংরক্ষণমন্ত্রী তামা পোতাকা গত শুক্রবার এই ঘোষণা দেন।
৮ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

নিউজিল্যান্ডে এক ব্যক্তি হীরাখচিত লকেট চুরি করেছেন এমন এক উপায়ে, যা শুনলে সিনেমার দৃশ্যই মনে হয়। দোকানদারেরা টের পাওয়ার আগেই তিনি লকেটটি গিলে ফেলেন। পরে পুলিশ এসে তাঁকে হাতেনাতে ধরে ফেলে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে পুলিশ জানিয়েছে, গিলে ফেলা ফ্যাবারজে এগ লকেট, যার মূল্য ৩৩ হাজার ৫৮৫ নিউজিল্যান্ড ডলার (১৯ হাজার ৩০০ মার্কিন ডলার) এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, গত শুক্রবার বিকেলে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলে পারট্রিজ জুয়েলার্সে পুলিশ ডাকা হলে ৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।
জুয়েলারির ওয়েবসাইট অনুযায়ী, যে ফ্যাবারজে এগ চুরি করা হয়েছে, তাতে রয়েছে ৬০টি সাদা হীরা এবং ১৫টি নীল নীলা। ডিমটি খুললে দেখা যায়, ভেতরে ১৮ ক্যারেট সোনার একটি ছোট্ট অক্টোপাস।
ডিমটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘অক্টোপাসি এগ’, যা ১৯৮৩ সালের একই নামের জেমস বন্ড চলচ্চিত্র থেকে অনুপ্রাণিত; যার কাহিনির কেন্দ্রে রয়েছে এক জটিল ফ্যাবারজে এগ চুরির ঘটনা।
ফ্যাবারজে দুই শতাব্দীর বেশি আগে রাশিয়ায় প্রতিষ্ঠিত এক বিশ্বখ্যাত জুয়েলারি ব্র্যান্ড, যা রত্ন ও মূল্যবান ধাতু দিয়ে তৈরি ডিম-আকৃতির শিল্পকর্মের জন্য পরিচিত।
বিবিসি জানিয়েছে, ৮ ডিসেম্বর আদালতে হাজির হওয়ার কথা রয়েছে অভিযুক্ত ব্যক্তির। তিনি গত ১২ নভেম্বর একই জুয়েলারি দোকান থেকে একটি আইপ্যাড চুরির অভিযোগেও অভিযুক্ত। পরদিন ১০০ নিউজিল্যান্ড ডলার মূল্যের বিড়ালের বর্জ্য পরিষ্কারের সামগ্রী ও পিঁপড়া নিয়ন্ত্রণের পণ্য চুরির অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।

নিউজিল্যান্ডে এক ব্যক্তি হীরাখচিত লকেট চুরি করেছেন এমন এক উপায়ে, যা শুনলে সিনেমার দৃশ্যই মনে হয়। দোকানদারেরা টের পাওয়ার আগেই তিনি লকেটটি গিলে ফেলেন। পরে পুলিশ এসে তাঁকে হাতেনাতে ধরে ফেলে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে পুলিশ জানিয়েছে, গিলে ফেলা ফ্যাবারজে এগ লকেট, যার মূল্য ৩৩ হাজার ৫৮৫ নিউজিল্যান্ড ডলার (১৯ হাজার ৩০০ মার্কিন ডলার) এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, গত শুক্রবার বিকেলে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলে পারট্রিজ জুয়েলার্সে পুলিশ ডাকা হলে ৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।
জুয়েলারির ওয়েবসাইট অনুযায়ী, যে ফ্যাবারজে এগ চুরি করা হয়েছে, তাতে রয়েছে ৬০টি সাদা হীরা এবং ১৫টি নীল নীলা। ডিমটি খুললে দেখা যায়, ভেতরে ১৮ ক্যারেট সোনার একটি ছোট্ট অক্টোপাস।
ডিমটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘অক্টোপাসি এগ’, যা ১৯৮৩ সালের একই নামের জেমস বন্ড চলচ্চিত্র থেকে অনুপ্রাণিত; যার কাহিনির কেন্দ্রে রয়েছে এক জটিল ফ্যাবারজে এগ চুরির ঘটনা।
ফ্যাবারজে দুই শতাব্দীর বেশি আগে রাশিয়ায় প্রতিষ্ঠিত এক বিশ্বখ্যাত জুয়েলারি ব্র্যান্ড, যা রত্ন ও মূল্যবান ধাতু দিয়ে তৈরি ডিম-আকৃতির শিল্পকর্মের জন্য পরিচিত।
বিবিসি জানিয়েছে, ৮ ডিসেম্বর আদালতে হাজির হওয়ার কথা রয়েছে অভিযুক্ত ব্যক্তির। তিনি গত ১২ নভেম্বর একই জুয়েলারি দোকান থেকে একটি আইপ্যাড চুরির অভিযোগেও অভিযুক্ত। পরদিন ১০০ নিউজিল্যান্ড ডলার মূল্যের বিড়ালের বর্জ্য পরিষ্কারের সামগ্রী ও পিঁপড়া নিয়ন্ত্রণের পণ্য চুরির অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।

বৃষ্টির পর আকাশে রংধনু দেখে মুগ্ধ হই আমরা। আর দিনের বেলায়ই আকাশে সাত রঙা এই সৌন্দর্য দেখার সৌভাগ্য হয় আমাদের। কিন্তু শুনে অবাক হবেন, এর ব্যাতিক্রমও আছে। রাতের বেলায়ও পৃথিবীর কোথাও কোথাও রংধনুর দেখা মেলে। এমন একটি জায়গা আফ্রিকার ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাত।
১৩ জুন ২০২৩
এক চুরির ঘটনায় রীতিমতো হইচই পড়ে গেল নিউজিল্যান্ডে। এক ব্যক্তি একটি বহুমূল্য হীরকখচিত লকেট চুরি করতে গিয়ে তা গিলে ফেলেন। তবে অবশেষে সেই লকেটটি ‘স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায়’ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশের পক্ষ থেকে বিবিসিকে জানানো হয়েছে, লকেটটি উদ্ধার করতে ‘মেডিকেল হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হয়নি’।
৫ ঘণ্টা আগে
১৫ বছর বয়সে জর্জিয়া এমন কিছু জানতে পারেন, যা কোনো অল্প বয়সী মেয়ে আশা করে না। তিনি জরায়ু ছাড়াই জন্মগ্রহণ করেছেন এবং কোনো দিন সন্তান ধারণ করতে পারবেন না।
৭ দিন আগে
জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ২০৫০ সালের মধ্যে বন্য বিড়াল বা মালিকহীন বিড়াল নির্মূলের ঘোষণা দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। দেশটির সংরক্ষণমন্ত্রী তামা পোতাকা গত শুক্রবার এই ঘোষণা দেন।
৮ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সদ্য মা হয়েছেন জর্জিয়া ব্যারিংটন। কিন্তু মেয়ে ওটিলিকে তিনি জন্ম দেননি। জন্ম দিয়েছেন তাঁর প্রিয় বন্ধু ডেইজি হোপ; যিনি কিশোর বয়সে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রাখতে জর্জিয়ার হয়ে সন্তানের জন্ম দেন।
দুই বন্ধু ছোটবেলা থেকেই অবিচ্ছেদ্য। তাঁরা নিজেদের ‘সোল সিস্টার্স’ বলে ডাকেন। একসঙ্গে বড় হয়েছেন। তাঁদের বাবারাও ঘনিষ্ঠ বন্ধু।
শৈশবের সেই বন্ধনই একদিন হয়ে ওঠে জীবন বদলে দেওয়া উদারতার ভিত্তি।
১৫ বছর বয়সে জর্জিয়া এমন কিছু জানতে পারেন, যা কোনো অল্প বয়সী মেয়ে আশা করে না। তিনি জরায়ু ছাড়াই জন্মগ্রহণ করেছেন এবং কোনো দিন সন্তান ধারণ করতে পারবেন না।
মেয়ার-রোকিটানস্কি-কুস্টার-হাউসার সিনড্রোম বিরল এক জন্মগত রোগ, যা প্রতি ৫ হাজার নারীর মধ্যে একজনের ক্ষেত্রে দেখা যায়। জর্জিয়ার মনে হয়েছিল, একমুহূর্তে তাঁর ভবিষ্যৎটা যেন বদলে গেল।
১৫ বছর বয়সকালের সেই ঘটনা মনে করে জর্জিয়া বলেন, ‘আমার গোটা পৃথিবীই ভেঙে পড়েছিল। আমি সব সময় ভেবে বড় হয়েছি, আমি একজন মা হব আর সেটা আমার কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হলো। আমি যা কিছু স্বপ্ন দেখেছিলাম, সবই শেষ হয়ে গেল।’
সে সময় ডেইজি খুব মাতৃত্বপ্রবণ ছিলেন না। কিন্তু তিনি বন্ধুর রোগ নির্ণয়ের কথা এখনো স্পষ্ট মনে করতে পারেন। তাঁর কাছে ‘অন্যায়’ মনে হয়েছিল—যে বন্ধু মাতৃত্বের স্বপ্ন দেখতেন, তিনি কিনা মা হতে পারবেন না!
এমা বার্নেটের সঙ্গে ‘রেডি টু টক’ অনুষ্ঠানে ডেইজি বলেন, ‘আমি তাঁকে ভরসা দিতে চেয়েছিলাম, বোঝাতে চেয়েছিলাম—পৃথিবী শেষ হয়ে যায়নি। তাই বলেছিলাম, একদিন আমি তাঁর হয়ে সন্তান ধারণ করব। তখন হয়তো বুঝিনি কথাটার গভীরতা কতটা। কিন্তু ভেতরে ভেতরে জানতাম, জর্জিয়ার জন্য আমি এটা করবই।’
১০ বছরের বেশি সময় পরে ডেইজি সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেন। ২০২৩ সালে দুই বন্ধু মিলে আইভিএফ প্রক্রিয়া শুরু করেন।
জর্জিয়া একজন ধাত্রী হিসেবে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। নিজেকে এমন এক জগতে নিমজ্জিত করেছিলেন, যে জগতে তিনি হয়তো কোনো দিন অংশ নিতে পারবেন না বলে ভয় পেয়েছিলেন।
জর্জিয়া বলেন, ‘একবার আমাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, এটা কি আমার জন্য সঠিক পেশা? কিন্তু আসলে এটা আমাকে সেরে উঠতে সাহায্য করেছে। আর অন্তর থেকে জানতাম—কোনো না কোনোভাবে আমি মা হবই।’
কয়েক বছর পরে ডেইজি তাঁর প্রথম সন্তানের জন্ম দেন। আর সেই প্রসবে ধাত্রী ছিলেন জর্জিয়াই।
ডেইজি বলেন, ‘আমার সন্তানের প্রতি যে ভালোবাসা অনুভব করেছি, তা ছিল অসাধারণ। তখন মনে হয়েছিল, প্রত্যেকেরই তো এই অনুভূতি পাওয়ার অধিকার আছে।’
তথ্যসূত্র: বিবিসি

সদ্য মা হয়েছেন জর্জিয়া ব্যারিংটন। কিন্তু মেয়ে ওটিলিকে তিনি জন্ম দেননি। জন্ম দিয়েছেন তাঁর প্রিয় বন্ধু ডেইজি হোপ; যিনি কিশোর বয়সে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রাখতে জর্জিয়ার হয়ে সন্তানের জন্ম দেন।
দুই বন্ধু ছোটবেলা থেকেই অবিচ্ছেদ্য। তাঁরা নিজেদের ‘সোল সিস্টার্স’ বলে ডাকেন। একসঙ্গে বড় হয়েছেন। তাঁদের বাবারাও ঘনিষ্ঠ বন্ধু।
শৈশবের সেই বন্ধনই একদিন হয়ে ওঠে জীবন বদলে দেওয়া উদারতার ভিত্তি।
১৫ বছর বয়সে জর্জিয়া এমন কিছু জানতে পারেন, যা কোনো অল্প বয়সী মেয়ে আশা করে না। তিনি জরায়ু ছাড়াই জন্মগ্রহণ করেছেন এবং কোনো দিন সন্তান ধারণ করতে পারবেন না।
মেয়ার-রোকিটানস্কি-কুস্টার-হাউসার সিনড্রোম বিরল এক জন্মগত রোগ, যা প্রতি ৫ হাজার নারীর মধ্যে একজনের ক্ষেত্রে দেখা যায়। জর্জিয়ার মনে হয়েছিল, একমুহূর্তে তাঁর ভবিষ্যৎটা যেন বদলে গেল।
১৫ বছর বয়সকালের সেই ঘটনা মনে করে জর্জিয়া বলেন, ‘আমার গোটা পৃথিবীই ভেঙে পড়েছিল। আমি সব সময় ভেবে বড় হয়েছি, আমি একজন মা হব আর সেটা আমার কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হলো। আমি যা কিছু স্বপ্ন দেখেছিলাম, সবই শেষ হয়ে গেল।’
সে সময় ডেইজি খুব মাতৃত্বপ্রবণ ছিলেন না। কিন্তু তিনি বন্ধুর রোগ নির্ণয়ের কথা এখনো স্পষ্ট মনে করতে পারেন। তাঁর কাছে ‘অন্যায়’ মনে হয়েছিল—যে বন্ধু মাতৃত্বের স্বপ্ন দেখতেন, তিনি কিনা মা হতে পারবেন না!
এমা বার্নেটের সঙ্গে ‘রেডি টু টক’ অনুষ্ঠানে ডেইজি বলেন, ‘আমি তাঁকে ভরসা দিতে চেয়েছিলাম, বোঝাতে চেয়েছিলাম—পৃথিবী শেষ হয়ে যায়নি। তাই বলেছিলাম, একদিন আমি তাঁর হয়ে সন্তান ধারণ করব। তখন হয়তো বুঝিনি কথাটার গভীরতা কতটা। কিন্তু ভেতরে ভেতরে জানতাম, জর্জিয়ার জন্য আমি এটা করবই।’
১০ বছরের বেশি সময় পরে ডেইজি সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেন। ২০২৩ সালে দুই বন্ধু মিলে আইভিএফ প্রক্রিয়া শুরু করেন।
জর্জিয়া একজন ধাত্রী হিসেবে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। নিজেকে এমন এক জগতে নিমজ্জিত করেছিলেন, যে জগতে তিনি হয়তো কোনো দিন অংশ নিতে পারবেন না বলে ভয় পেয়েছিলেন।
জর্জিয়া বলেন, ‘একবার আমাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, এটা কি আমার জন্য সঠিক পেশা? কিন্তু আসলে এটা আমাকে সেরে উঠতে সাহায্য করেছে। আর অন্তর থেকে জানতাম—কোনো না কোনোভাবে আমি মা হবই।’
কয়েক বছর পরে ডেইজি তাঁর প্রথম সন্তানের জন্ম দেন। আর সেই প্রসবে ধাত্রী ছিলেন জর্জিয়াই।
ডেইজি বলেন, ‘আমার সন্তানের প্রতি যে ভালোবাসা অনুভব করেছি, তা ছিল অসাধারণ। তখন মনে হয়েছিল, প্রত্যেকেরই তো এই অনুভূতি পাওয়ার অধিকার আছে।’
তথ্যসূত্র: বিবিসি

বৃষ্টির পর আকাশে রংধনু দেখে মুগ্ধ হই আমরা। আর দিনের বেলায়ই আকাশে সাত রঙা এই সৌন্দর্য দেখার সৌভাগ্য হয় আমাদের। কিন্তু শুনে অবাক হবেন, এর ব্যাতিক্রমও আছে। রাতের বেলায়ও পৃথিবীর কোথাও কোথাও রংধনুর দেখা মেলে। এমন একটি জায়গা আফ্রিকার ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাত।
১৩ জুন ২০২৩
এক চুরির ঘটনায় রীতিমতো হইচই পড়ে গেল নিউজিল্যান্ডে। এক ব্যক্তি একটি বহুমূল্য হীরকখচিত লকেট চুরি করতে গিয়ে তা গিলে ফেলেন। তবে অবশেষে সেই লকেটটি ‘স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায়’ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশের পক্ষ থেকে বিবিসিকে জানানো হয়েছে, লকেটটি উদ্ধার করতে ‘মেডিকেল হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হয়নি’।
৫ ঘণ্টা আগে
এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, গত শুক্রবার বিকেলে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলে পারট্রিজ জুয়েলার্সে পুলিশ ডাকা হলে ৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।
২ দিন আগে
জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ২০৫০ সালের মধ্যে বন্য বিড়াল বা মালিকহীন বিড়াল নির্মূলের ঘোষণা দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। দেশটির সংরক্ষণমন্ত্রী তামা পোতাকা গত শুক্রবার এই ঘোষণা দেন।
৮ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ২০৫০ সালের মধ্যে বন্য বিড়াল বা মালিকহীন বিড়াল নির্মূলের ঘোষণা দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। দেশটির সংরক্ষণমন্ত্রী তামা পোতাকা গত শুক্রবার এই ঘোষণা দেন।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এবার বন্য বিড়ালকে নিউজিল্যান্ডের বিশ্বস্বীকৃত ‘প্রিডেটর-ফ্রি ২০৫০’ তালিকায় যুক্ত করা হয়েছে। এই তালিকায় কিছু শিকারি প্রাণীকে যুক্ত করা হয়েছে, যেগুলো জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকিস্বরূপ। ২০১৬ সালে এই উদ্যোগ চালু হওয়ার পর প্রথমবার কোনো নতুন শিকারিকে এ তালিকায় যুক্ত করা হলো।
দীর্ঘদিন ধরেই নিউজিল্যান্ডের বিভিন্ন এলাকায় বন্য বিড়াল ধরা ও মেরে ফেলা হচ্ছিল। তবে তালিকায় যুক্ত হওয়ায় এবার তাদের বিরুদ্ধে সমন্বিত জাতীয় পর্যায়ের অভিযানে নামবে সরকার—যার মধ্যে থাকবে বৃহৎ আকারের নির্মূল কর্মসূচি ও বিশেষ গবেষণা। এ বিষয়ে বিস্তারিত পরিকল্পনা প্রকাশ করা হবে ২০২৬ সালের মার্চ মাসে।
নিউজিল্যান্ডের বনভূমি ও উপকূলীয় দ্বীপগুলোতে বর্তমানে ২৫ লাখেরও বেশি বন্য বিড়াল ও মালিকহীন বিড়ালের বিচরণ। লেজসহ এসব বিড়ালের দৈর্ঘ্য এক মিটার এবং ওজন প্রায় সাত কেজি পর্যন্ত হতে পারে। এসব বন্য বিড়াল দেশটির দুর্লভ প্রাণিজগৎ ধ্বংসের মূল কারণগুলোর একটি হয়ে উঠেছে।
রাকিউরা স্টুয়ার্ট দ্বীপে এই বিড়াল পুকুনুই বা সাউদার্ন ডটারেল প্রজাতি নামে একধরনের পাখিকে প্রায় বিলুপ্তির মুখে ঠেলে দিয়েছে। মাউন্ট রুয়াপেহু এলাকায় তারা প্রতি সপ্তাহে প্রায় ১০০ বাদুড় শিকার করায় সে প্রজাতিও হুমকিতে।
রেডিও নিউজিল্যান্ডকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সংরক্ষণমন্ত্রী পোতাকা বন্য বিড়ালকে আখ্যা দেন ‘স্টোন-কোল্ড কিলার’ বা নির্দয় শিকারি হিসেবে। তিনি বলেন, ‘জীববৈচিত্র্য রক্ষা, বনভূমির সৌন্দর্য বজায় রাখা এবং আমাদের কাঙ্ক্ষিত পরিবেশ নিশ্চিত করতে হলে এসব হত্যাকারীকে সরিয়ে ফেলতেই হবে।’
বন্য বিড়ালকে তালিকায় যুক্ত করা নিয়ে বহু বছর ধরে প্রচারণা চললেও অতীতে বিষয়টি নিয়ে প্রবল জনমত-বিরোধিতা দেখা গেছে। পরিবেশবিদ গ্যারেথ মরগান ২০১৩ সালে ‘ক্যাটস টু গো’ প্রচারণা শুরু করলে দেশজুড়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়। তবে এবার সংরক্ষণ বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, খসড়া কৌশল নিয়ে জনমতের ৯০ শতাংশই বন্য বিড়াল নির্মূল করার পক্ষে মত দিয়েছে।
এদিকে, গৃহপালিত বিড়াল এ তালিকায় না থাকলেও সেগুলোও দেশটির জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকি বলে মনে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, গৃহপালিত প্রাণী হিসেবে বিড়াল পালনের দিক থেকে নিউজিল্যান্ড বিশ্বের শীর্ষ দেশগুলোর একটি।

জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ২০৫০ সালের মধ্যে বন্য বিড়াল বা মালিকহীন বিড়াল নির্মূলের ঘোষণা দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। দেশটির সংরক্ষণমন্ত্রী তামা পোতাকা গত শুক্রবার এই ঘোষণা দেন।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এবার বন্য বিড়ালকে নিউজিল্যান্ডের বিশ্বস্বীকৃত ‘প্রিডেটর-ফ্রি ২০৫০’ তালিকায় যুক্ত করা হয়েছে। এই তালিকায় কিছু শিকারি প্রাণীকে যুক্ত করা হয়েছে, যেগুলো জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকিস্বরূপ। ২০১৬ সালে এই উদ্যোগ চালু হওয়ার পর প্রথমবার কোনো নতুন শিকারিকে এ তালিকায় যুক্ত করা হলো।
দীর্ঘদিন ধরেই নিউজিল্যান্ডের বিভিন্ন এলাকায় বন্য বিড়াল ধরা ও মেরে ফেলা হচ্ছিল। তবে তালিকায় যুক্ত হওয়ায় এবার তাদের বিরুদ্ধে সমন্বিত জাতীয় পর্যায়ের অভিযানে নামবে সরকার—যার মধ্যে থাকবে বৃহৎ আকারের নির্মূল কর্মসূচি ও বিশেষ গবেষণা। এ বিষয়ে বিস্তারিত পরিকল্পনা প্রকাশ করা হবে ২০২৬ সালের মার্চ মাসে।
নিউজিল্যান্ডের বনভূমি ও উপকূলীয় দ্বীপগুলোতে বর্তমানে ২৫ লাখেরও বেশি বন্য বিড়াল ও মালিকহীন বিড়ালের বিচরণ। লেজসহ এসব বিড়ালের দৈর্ঘ্য এক মিটার এবং ওজন প্রায় সাত কেজি পর্যন্ত হতে পারে। এসব বন্য বিড়াল দেশটির দুর্লভ প্রাণিজগৎ ধ্বংসের মূল কারণগুলোর একটি হয়ে উঠেছে।
রাকিউরা স্টুয়ার্ট দ্বীপে এই বিড়াল পুকুনুই বা সাউদার্ন ডটারেল প্রজাতি নামে একধরনের পাখিকে প্রায় বিলুপ্তির মুখে ঠেলে দিয়েছে। মাউন্ট রুয়াপেহু এলাকায় তারা প্রতি সপ্তাহে প্রায় ১০০ বাদুড় শিকার করায় সে প্রজাতিও হুমকিতে।
রেডিও নিউজিল্যান্ডকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সংরক্ষণমন্ত্রী পোতাকা বন্য বিড়ালকে আখ্যা দেন ‘স্টোন-কোল্ড কিলার’ বা নির্দয় শিকারি হিসেবে। তিনি বলেন, ‘জীববৈচিত্র্য রক্ষা, বনভূমির সৌন্দর্য বজায় রাখা এবং আমাদের কাঙ্ক্ষিত পরিবেশ নিশ্চিত করতে হলে এসব হত্যাকারীকে সরিয়ে ফেলতেই হবে।’
বন্য বিড়ালকে তালিকায় যুক্ত করা নিয়ে বহু বছর ধরে প্রচারণা চললেও অতীতে বিষয়টি নিয়ে প্রবল জনমত-বিরোধিতা দেখা গেছে। পরিবেশবিদ গ্যারেথ মরগান ২০১৩ সালে ‘ক্যাটস টু গো’ প্রচারণা শুরু করলে দেশজুড়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়। তবে এবার সংরক্ষণ বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, খসড়া কৌশল নিয়ে জনমতের ৯০ শতাংশই বন্য বিড়াল নির্মূল করার পক্ষে মত দিয়েছে।
এদিকে, গৃহপালিত বিড়াল এ তালিকায় না থাকলেও সেগুলোও দেশটির জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকি বলে মনে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, গৃহপালিত প্রাণী হিসেবে বিড়াল পালনের দিক থেকে নিউজিল্যান্ড বিশ্বের শীর্ষ দেশগুলোর একটি।

বৃষ্টির পর আকাশে রংধনু দেখে মুগ্ধ হই আমরা। আর দিনের বেলায়ই আকাশে সাত রঙা এই সৌন্দর্য দেখার সৌভাগ্য হয় আমাদের। কিন্তু শুনে অবাক হবেন, এর ব্যাতিক্রমও আছে। রাতের বেলায়ও পৃথিবীর কোথাও কোথাও রংধনুর দেখা মেলে। এমন একটি জায়গা আফ্রিকার ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাত।
১৩ জুন ২০২৩
এক চুরির ঘটনায় রীতিমতো হইচই পড়ে গেল নিউজিল্যান্ডে। এক ব্যক্তি একটি বহুমূল্য হীরকখচিত লকেট চুরি করতে গিয়ে তা গিলে ফেলেন। তবে অবশেষে সেই লকেটটি ‘স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায়’ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশের পক্ষ থেকে বিবিসিকে জানানো হয়েছে, লকেটটি উদ্ধার করতে ‘মেডিকেল হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হয়নি’।
৫ ঘণ্টা আগে
এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, গত শুক্রবার বিকেলে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলে পারট্রিজ জুয়েলার্সে পুলিশ ডাকা হলে ৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।
২ দিন আগে
১৫ বছর বয়সে জর্জিয়া এমন কিছু জানতে পারেন, যা কোনো অল্প বয়সী মেয়ে আশা করে না। তিনি জরায়ু ছাড়াই জন্মগ্রহণ করেছেন এবং কোনো দিন সন্তান ধারণ করতে পারবেন না।
৭ দিন আগে