ইশতিয়াক হাসান

রংধনুর সঙ্গে আমরা মোটামুটি সবাই পরিচিত। বৃষ্টির পর আকাশে এই আশ্চর্য সাত রঙের খেলায় মুগ্ধ হই আমরা। আর দিনের বেলায়ই এই সৌন্দর্য উপভোগের সৌভাগ্য হয় আমাদের। কিন্তু শুনে অবাক হবেন, এর ব্যাতিক্রমও আছে। রাতের বেলায়ও পৃথিবীর কোথাও কোথাও রংধনুর দেখা মেলে।
রাতের বেলায় দেখা যাওয়া এই রংধনু অবশ্য রেইনবোর বদলে মুনবো নামে পরিচিত। এক্ষেত্রে সরাসরি সূর্যের আলোর বদলে চাঁদের আলো রংধনুর রংগুলোর জোগান দেয়। এ কারণে এটি লুনার রেইনবো বা কোথাও কোথাও হোয়াইট রংধনু বা সাদা রেইনবো নামেও পরিচিত। তবে প্রকৃতিতে এ ধরনের রংধনু সাধারণত দিনের রংধনু বা রামধনুর তুলনায় বিরল। এ ধরনের রংধনু দেখা যাওয়ার জন্য যেসব জায়গা বিখ্যাত, তার উল্লেখযোগ্য জিম্বাবুয়ে ও জাম্বিয়ার ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাত।
এখন রংধনু সম্পর্কে মোটামুটি আমাদের সবার জানা থাকলেও দু-একটি বিষয়ে জ্ঞানটা একটু ঝালাই করে নেওয়া যাক। সূর্যের আলো পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশের সময় নানা পদার্থ যেমন—গ্যাস, ধুলোবালু অতিক্রম করে আসতে হয়। এতে আলো কিছুটা বেঁকে যায়। এই বেঁকে যাওয়াকে বলে আলোর প্রতিসরণ। বৃষ্টির কথা যদি বলি, বৃষ্টির পর আকাশ পরিষ্কার মনে হলেও কিছু কিছু পানির কণা ঠিকই বাতাসে ভাসতে থাকে। অর্থাৎ বৃষ্টির পর রোদ উঠলেও এ সময় আলো চলার পথে পানির ফোঁটা বা জলীয়বাষ্প থাকে অনেক বেশি। ফলে সূর্যের আলোর প্রতিসরণও বেশি হয়।
অন্য সময় বেঁকে যাওয়াটা খুব বেশি পরিমাণে হয় না বলে আলোর সব রং আলাদাভাবে দেখা যায় না। যে রংটা বেশি বাঁকে, সেটাই দেখতে পাই আমরা। কিন্তু বৃষ্টির পর প্রতিসরণ বেশি হওয়ায় সূর্যরশ্মিতে থাকা সাতটা রং বেগুনি, নীল, আসমানি, সবুজ, হলুদ, কমলা ও লালকে আলাদাভাবে দেখা যায়। অবশ্য রংধনুর জন্য সব সময় বৃষ্টি হওয়া জরুরি নয়, জলপ্রপাতের আশপাশেও পানির কণা ও জলীয় বাষ্পের বেশি উপস্থিতির কারণে রংধনু সৃষ্টি হতে পারে।
এখন মুনবো নামে পরিচিত রংধনুও জলপ্রপাতের জলে আলো পড়েই হয়, আর দিনে সৃষ্টি হওয়া রংধনুর তুলনায় এটি অনেক মৃদু। এর কারণ চাঁদ থেকে কম পরিমাণ আলো প্রতিফলিত হয়। তাই এতে রংগুলো হয় হালকা। এ কারণে রঙের পার্থক্য বোঝাটা দর্শকদের জন্য কঠিনই হয়। অনেক সময় সাদাটে দেখায় এই রং, তাই একে হোয়াইট রেইনবো বা সাদা রেইনবোও বলেন কেউ কেউ। সাধারত পূর্ণিমার আশপাশের সময়, আকাশ যখন মেঘমুক্ত থাকে তখন এই রংধনু বেশি দেখা যায়। সূর্যের বিপরীতে যেমন দিনের রংধনু দেখা যায়, তেমনি রাতের আকাশে চাঁদের বিপরীত দিকে জন্ম হয় এই রংধনুর।
স্বাভাবিকভাবেই জলপ্রপাতের কাছে এমন রংধনু দেখা সহজ। জলপ্রপাতের পানি কুয়াশার একটি পাতলা পরত তৈরি করে লুনার রংধনু সৃষ্টির পরিবেশ তৈরি করে। এ ধরনের রংধনু সাধারণ পর্যটক তো বটেই, আলোকচিত্রীদেরও খুব আরাধ্য জিনিস।
আগেই বলেছি, এমন রংধনু দেখার জন্য দারুণ এক জায়গা আফ্রিকা মহাদেশের ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাত। পূর্ণিমার সময় জিম্বাবুয়ে কিংবা জাম্বিয়ার বৃষ্টি অরণ্য বা রেইন ফরেস্ট ধরে পৌঁছে যেতে পারবেন জলপ্রপাতের কাছে। ওই সময় সন্ধ্যার পরে মুনবো দেখানোর জন্য ট্যুর কোম্পানিগুলো বিশেষ আয়োজন করে।
প্রায় ১ হাজার ৭০৮ মিটার চওড়া ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাত পৃথিবীর বিখ্যাত জলপ্রপাতগুলোর একটি। আর এতে পানির পতন ঘটে ১০৮ মিটার উচ্চতা থেকে। বুঝতেই পারছেন বিশাল জায়গা নিয়ে ছড়ানো জলপ্রপাতটি থেকে প্রচুর পরিমাণে পানি পড়ে। এতে জলকণার কারণে সব সময়ই প্রচুর কুয়াশা তৈরি হয়। আর এ কারণেই চন্দ্রালোকিত রাতে এখানে সহজেই জন্ম হয় অসাধারণ এক দৃশ্যের, রাতের রংধনু। মজার ঘটনা জলপ্রপাতটিতে ঘুরতে যাওয়া অনেক পর্যটকই এখানকার এই আশ্চর্য বিষয়টির কথা জানেনই না।
এখন আপনার মনে নিশ্চয় প্রশ্ন জাগছে, বছরের কোন সময়টা রাতের রংধনু দেখার জন্য উপযোগী? ফেব্রুয়ারি ও মার্চে প্রচুর পানি থাকলেও মেঘের আনাগোনা থাকে বেশি। এপ্রিল ও মেতে পানির প্রবাহ থাকে প্রচুর, এটা মুনবোর জন্য ভালো হওয়ার কথা। কিন্তু এ সময় জলকণার পরিমাণ অত্যধিক থাকায় যে ঘন কুয়াশার পর্দা তৈরি হয় তা কখনো কখনো চাঁদের আলো আসতেই বাধা দেয়। এদিকে শুকনো মৌসুম মানে সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বরে পানি কম থাকায় ভেসে বেড়ানো জলকণাও থাকে কম। ফলে নির্দিষ্ট দু-একটি ভিউ পয়েন্ট ছাড়া রংধনুর দেখা পাওয়া কঠিন।
মোটের ওপর, রাতের রংধনু সৃষ্টির সব শর্ত মেনে ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাতে এটি তৈরির আদর্শ সময় হলো জুন, জুলাই ও আগস্ট মাস। অর্থাৎ, এ সময় পূর্ণিমা ও এর ঠিক আগে-পড়ে জলপ্রপাত এলাকায় হাজির হয়ে গেলেই খুব ভালো সম্ভাবনা অসাধারণ সেই দৃশ্য, মানে মুনবো চাক্ষুষ করার।
রাতের কোন সময়টায় এর দেখা পাওয়া যাবে বলা মুশকিল। তবে সাধারণত সূর্যাস্তের কয়েক ঘণ্টা পর ও সূর্যোদয়ের দু-তিন ঘণ্টা আগে সম্ভাবনাটা থাকে বেশি।
একসময় নায়াগ্রা জলপ্রপাত এলাকায় এ ধরনের রংধনু দেখা ছিল নিয়মিত এক ব্যাপার। তবে এর আশপাশের এলাকায় উন্নয়নের কারণে কৃত্রিম আলো বেড়ে যাওয়ায় এখন এর দেখা পাওয়া ভার। তবে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার ইয়োসমাইট ফলস, হাওয়াইয়ের কিহেই জলপ্রপাত, কাম্বারল্যান্ড জলপ্রপাত ও ওয়াইমিয়া ক্যানিয়ন স্টেট পার্ক, আইসল্যান্ডের স্কোগাফসে চমৎকার মুনবোর দেখা মেলে।
আবার এ ধরনের মুনবো নিয়মিতই চোখে পড়ে কোস্টারিকার মেঘে ঢাকা অরণ্য ও মন্টেভার্দে কিংবা সান্তা এলেনার মতো পাহাড়ি শহরগুলোতে। ক্যারিবিয়ান সাগর থেকে ভেসে আসা কুয়াশার মেঘ এই মুনবো সৃষ্টিতে বড় ভূমিকা রাখে। চাঁদের আলোয় তখন আকাশে জন্ম হয় কিছুটা ভিন্ন ধরনের এক মুনবোর। এতে ডোরা ডোরা আলোকছটা ছড়িয়ে পড়ে আকাশে। স্প্যানিশে যা পরিচিত পেলো দে গেতে (বিড়ালের চুল) নামে। কোস্টারিকার এই অঞ্চলে ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রতিটি পূর্ণিমা এবং এর আশপাশের সময়ই এই রংধনুর দেখা পাবেন।
সূত্র: আউটলুক ইন্ডিয়া ডট কম, দ্য আফ্রিকা ইনসাইডার ডট কম, ডিসকভার ভিক্টোরিয়া ফলস ডট কম

রংধনুর সঙ্গে আমরা মোটামুটি সবাই পরিচিত। বৃষ্টির পর আকাশে এই আশ্চর্য সাত রঙের খেলায় মুগ্ধ হই আমরা। আর দিনের বেলায়ই এই সৌন্দর্য উপভোগের সৌভাগ্য হয় আমাদের। কিন্তু শুনে অবাক হবেন, এর ব্যাতিক্রমও আছে। রাতের বেলায়ও পৃথিবীর কোথাও কোথাও রংধনুর দেখা মেলে।
রাতের বেলায় দেখা যাওয়া এই রংধনু অবশ্য রেইনবোর বদলে মুনবো নামে পরিচিত। এক্ষেত্রে সরাসরি সূর্যের আলোর বদলে চাঁদের আলো রংধনুর রংগুলোর জোগান দেয়। এ কারণে এটি লুনার রেইনবো বা কোথাও কোথাও হোয়াইট রংধনু বা সাদা রেইনবো নামেও পরিচিত। তবে প্রকৃতিতে এ ধরনের রংধনু সাধারণত দিনের রংধনু বা রামধনুর তুলনায় বিরল। এ ধরনের রংধনু দেখা যাওয়ার জন্য যেসব জায়গা বিখ্যাত, তার উল্লেখযোগ্য জিম্বাবুয়ে ও জাম্বিয়ার ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাত।
এখন রংধনু সম্পর্কে মোটামুটি আমাদের সবার জানা থাকলেও দু-একটি বিষয়ে জ্ঞানটা একটু ঝালাই করে নেওয়া যাক। সূর্যের আলো পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশের সময় নানা পদার্থ যেমন—গ্যাস, ধুলোবালু অতিক্রম করে আসতে হয়। এতে আলো কিছুটা বেঁকে যায়। এই বেঁকে যাওয়াকে বলে আলোর প্রতিসরণ। বৃষ্টির কথা যদি বলি, বৃষ্টির পর আকাশ পরিষ্কার মনে হলেও কিছু কিছু পানির কণা ঠিকই বাতাসে ভাসতে থাকে। অর্থাৎ বৃষ্টির পর রোদ উঠলেও এ সময় আলো চলার পথে পানির ফোঁটা বা জলীয়বাষ্প থাকে অনেক বেশি। ফলে সূর্যের আলোর প্রতিসরণও বেশি হয়।
অন্য সময় বেঁকে যাওয়াটা খুব বেশি পরিমাণে হয় না বলে আলোর সব রং আলাদাভাবে দেখা যায় না। যে রংটা বেশি বাঁকে, সেটাই দেখতে পাই আমরা। কিন্তু বৃষ্টির পর প্রতিসরণ বেশি হওয়ায় সূর্যরশ্মিতে থাকা সাতটা রং বেগুনি, নীল, আসমানি, সবুজ, হলুদ, কমলা ও লালকে আলাদাভাবে দেখা যায়। অবশ্য রংধনুর জন্য সব সময় বৃষ্টি হওয়া জরুরি নয়, জলপ্রপাতের আশপাশেও পানির কণা ও জলীয় বাষ্পের বেশি উপস্থিতির কারণে রংধনু সৃষ্টি হতে পারে।
এখন মুনবো নামে পরিচিত রংধনুও জলপ্রপাতের জলে আলো পড়েই হয়, আর দিনে সৃষ্টি হওয়া রংধনুর তুলনায় এটি অনেক মৃদু। এর কারণ চাঁদ থেকে কম পরিমাণ আলো প্রতিফলিত হয়। তাই এতে রংগুলো হয় হালকা। এ কারণে রঙের পার্থক্য বোঝাটা দর্শকদের জন্য কঠিনই হয়। অনেক সময় সাদাটে দেখায় এই রং, তাই একে হোয়াইট রেইনবো বা সাদা রেইনবোও বলেন কেউ কেউ। সাধারত পূর্ণিমার আশপাশের সময়, আকাশ যখন মেঘমুক্ত থাকে তখন এই রংধনু বেশি দেখা যায়। সূর্যের বিপরীতে যেমন দিনের রংধনু দেখা যায়, তেমনি রাতের আকাশে চাঁদের বিপরীত দিকে জন্ম হয় এই রংধনুর।
স্বাভাবিকভাবেই জলপ্রপাতের কাছে এমন রংধনু দেখা সহজ। জলপ্রপাতের পানি কুয়াশার একটি পাতলা পরত তৈরি করে লুনার রংধনু সৃষ্টির পরিবেশ তৈরি করে। এ ধরনের রংধনু সাধারণ পর্যটক তো বটেই, আলোকচিত্রীদেরও খুব আরাধ্য জিনিস।
আগেই বলেছি, এমন রংধনু দেখার জন্য দারুণ এক জায়গা আফ্রিকা মহাদেশের ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাত। পূর্ণিমার সময় জিম্বাবুয়ে কিংবা জাম্বিয়ার বৃষ্টি অরণ্য বা রেইন ফরেস্ট ধরে পৌঁছে যেতে পারবেন জলপ্রপাতের কাছে। ওই সময় সন্ধ্যার পরে মুনবো দেখানোর জন্য ট্যুর কোম্পানিগুলো বিশেষ আয়োজন করে।
প্রায় ১ হাজার ৭০৮ মিটার চওড়া ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাত পৃথিবীর বিখ্যাত জলপ্রপাতগুলোর একটি। আর এতে পানির পতন ঘটে ১০৮ মিটার উচ্চতা থেকে। বুঝতেই পারছেন বিশাল জায়গা নিয়ে ছড়ানো জলপ্রপাতটি থেকে প্রচুর পরিমাণে পানি পড়ে। এতে জলকণার কারণে সব সময়ই প্রচুর কুয়াশা তৈরি হয়। আর এ কারণেই চন্দ্রালোকিত রাতে এখানে সহজেই জন্ম হয় অসাধারণ এক দৃশ্যের, রাতের রংধনু। মজার ঘটনা জলপ্রপাতটিতে ঘুরতে যাওয়া অনেক পর্যটকই এখানকার এই আশ্চর্য বিষয়টির কথা জানেনই না।
এখন আপনার মনে নিশ্চয় প্রশ্ন জাগছে, বছরের কোন সময়টা রাতের রংধনু দেখার জন্য উপযোগী? ফেব্রুয়ারি ও মার্চে প্রচুর পানি থাকলেও মেঘের আনাগোনা থাকে বেশি। এপ্রিল ও মেতে পানির প্রবাহ থাকে প্রচুর, এটা মুনবোর জন্য ভালো হওয়ার কথা। কিন্তু এ সময় জলকণার পরিমাণ অত্যধিক থাকায় যে ঘন কুয়াশার পর্দা তৈরি হয় তা কখনো কখনো চাঁদের আলো আসতেই বাধা দেয়। এদিকে শুকনো মৌসুম মানে সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বরে পানি কম থাকায় ভেসে বেড়ানো জলকণাও থাকে কম। ফলে নির্দিষ্ট দু-একটি ভিউ পয়েন্ট ছাড়া রংধনুর দেখা পাওয়া কঠিন।
মোটের ওপর, রাতের রংধনু সৃষ্টির সব শর্ত মেনে ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাতে এটি তৈরির আদর্শ সময় হলো জুন, জুলাই ও আগস্ট মাস। অর্থাৎ, এ সময় পূর্ণিমা ও এর ঠিক আগে-পড়ে জলপ্রপাত এলাকায় হাজির হয়ে গেলেই খুব ভালো সম্ভাবনা অসাধারণ সেই দৃশ্য, মানে মুনবো চাক্ষুষ করার।
রাতের কোন সময়টায় এর দেখা পাওয়া যাবে বলা মুশকিল। তবে সাধারণত সূর্যাস্তের কয়েক ঘণ্টা পর ও সূর্যোদয়ের দু-তিন ঘণ্টা আগে সম্ভাবনাটা থাকে বেশি।
একসময় নায়াগ্রা জলপ্রপাত এলাকায় এ ধরনের রংধনু দেখা ছিল নিয়মিত এক ব্যাপার। তবে এর আশপাশের এলাকায় উন্নয়নের কারণে কৃত্রিম আলো বেড়ে যাওয়ায় এখন এর দেখা পাওয়া ভার। তবে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার ইয়োসমাইট ফলস, হাওয়াইয়ের কিহেই জলপ্রপাত, কাম্বারল্যান্ড জলপ্রপাত ও ওয়াইমিয়া ক্যানিয়ন স্টেট পার্ক, আইসল্যান্ডের স্কোগাফসে চমৎকার মুনবোর দেখা মেলে।
আবার এ ধরনের মুনবো নিয়মিতই চোখে পড়ে কোস্টারিকার মেঘে ঢাকা অরণ্য ও মন্টেভার্দে কিংবা সান্তা এলেনার মতো পাহাড়ি শহরগুলোতে। ক্যারিবিয়ান সাগর থেকে ভেসে আসা কুয়াশার মেঘ এই মুনবো সৃষ্টিতে বড় ভূমিকা রাখে। চাঁদের আলোয় তখন আকাশে জন্ম হয় কিছুটা ভিন্ন ধরনের এক মুনবোর। এতে ডোরা ডোরা আলোকছটা ছড়িয়ে পড়ে আকাশে। স্প্যানিশে যা পরিচিত পেলো দে গেতে (বিড়ালের চুল) নামে। কোস্টারিকার এই অঞ্চলে ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রতিটি পূর্ণিমা এবং এর আশপাশের সময়ই এই রংধনুর দেখা পাবেন।
সূত্র: আউটলুক ইন্ডিয়া ডট কম, দ্য আফ্রিকা ইনসাইডার ডট কম, ডিসকভার ভিক্টোরিয়া ফলস ডট কম
ইশতিয়াক হাসান

রংধনুর সঙ্গে আমরা মোটামুটি সবাই পরিচিত। বৃষ্টির পর আকাশে এই আশ্চর্য সাত রঙের খেলায় মুগ্ধ হই আমরা। আর দিনের বেলায়ই এই সৌন্দর্য উপভোগের সৌভাগ্য হয় আমাদের। কিন্তু শুনে অবাক হবেন, এর ব্যাতিক্রমও আছে। রাতের বেলায়ও পৃথিবীর কোথাও কোথাও রংধনুর দেখা মেলে।
রাতের বেলায় দেখা যাওয়া এই রংধনু অবশ্য রেইনবোর বদলে মুনবো নামে পরিচিত। এক্ষেত্রে সরাসরি সূর্যের আলোর বদলে চাঁদের আলো রংধনুর রংগুলোর জোগান দেয়। এ কারণে এটি লুনার রেইনবো বা কোথাও কোথাও হোয়াইট রংধনু বা সাদা রেইনবো নামেও পরিচিত। তবে প্রকৃতিতে এ ধরনের রংধনু সাধারণত দিনের রংধনু বা রামধনুর তুলনায় বিরল। এ ধরনের রংধনু দেখা যাওয়ার জন্য যেসব জায়গা বিখ্যাত, তার উল্লেখযোগ্য জিম্বাবুয়ে ও জাম্বিয়ার ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাত।
এখন রংধনু সম্পর্কে মোটামুটি আমাদের সবার জানা থাকলেও দু-একটি বিষয়ে জ্ঞানটা একটু ঝালাই করে নেওয়া যাক। সূর্যের আলো পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশের সময় নানা পদার্থ যেমন—গ্যাস, ধুলোবালু অতিক্রম করে আসতে হয়। এতে আলো কিছুটা বেঁকে যায়। এই বেঁকে যাওয়াকে বলে আলোর প্রতিসরণ। বৃষ্টির কথা যদি বলি, বৃষ্টির পর আকাশ পরিষ্কার মনে হলেও কিছু কিছু পানির কণা ঠিকই বাতাসে ভাসতে থাকে। অর্থাৎ বৃষ্টির পর রোদ উঠলেও এ সময় আলো চলার পথে পানির ফোঁটা বা জলীয়বাষ্প থাকে অনেক বেশি। ফলে সূর্যের আলোর প্রতিসরণও বেশি হয়।
অন্য সময় বেঁকে যাওয়াটা খুব বেশি পরিমাণে হয় না বলে আলোর সব রং আলাদাভাবে দেখা যায় না। যে রংটা বেশি বাঁকে, সেটাই দেখতে পাই আমরা। কিন্তু বৃষ্টির পর প্রতিসরণ বেশি হওয়ায় সূর্যরশ্মিতে থাকা সাতটা রং বেগুনি, নীল, আসমানি, সবুজ, হলুদ, কমলা ও লালকে আলাদাভাবে দেখা যায়। অবশ্য রংধনুর জন্য সব সময় বৃষ্টি হওয়া জরুরি নয়, জলপ্রপাতের আশপাশেও পানির কণা ও জলীয় বাষ্পের বেশি উপস্থিতির কারণে রংধনু সৃষ্টি হতে পারে।
এখন মুনবো নামে পরিচিত রংধনুও জলপ্রপাতের জলে আলো পড়েই হয়, আর দিনে সৃষ্টি হওয়া রংধনুর তুলনায় এটি অনেক মৃদু। এর কারণ চাঁদ থেকে কম পরিমাণ আলো প্রতিফলিত হয়। তাই এতে রংগুলো হয় হালকা। এ কারণে রঙের পার্থক্য বোঝাটা দর্শকদের জন্য কঠিনই হয়। অনেক সময় সাদাটে দেখায় এই রং, তাই একে হোয়াইট রেইনবো বা সাদা রেইনবোও বলেন কেউ কেউ। সাধারত পূর্ণিমার আশপাশের সময়, আকাশ যখন মেঘমুক্ত থাকে তখন এই রংধনু বেশি দেখা যায়। সূর্যের বিপরীতে যেমন দিনের রংধনু দেখা যায়, তেমনি রাতের আকাশে চাঁদের বিপরীত দিকে জন্ম হয় এই রংধনুর।
স্বাভাবিকভাবেই জলপ্রপাতের কাছে এমন রংধনু দেখা সহজ। জলপ্রপাতের পানি কুয়াশার একটি পাতলা পরত তৈরি করে লুনার রংধনু সৃষ্টির পরিবেশ তৈরি করে। এ ধরনের রংধনু সাধারণ পর্যটক তো বটেই, আলোকচিত্রীদেরও খুব আরাধ্য জিনিস।
আগেই বলেছি, এমন রংধনু দেখার জন্য দারুণ এক জায়গা আফ্রিকা মহাদেশের ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাত। পূর্ণিমার সময় জিম্বাবুয়ে কিংবা জাম্বিয়ার বৃষ্টি অরণ্য বা রেইন ফরেস্ট ধরে পৌঁছে যেতে পারবেন জলপ্রপাতের কাছে। ওই সময় সন্ধ্যার পরে মুনবো দেখানোর জন্য ট্যুর কোম্পানিগুলো বিশেষ আয়োজন করে।
প্রায় ১ হাজার ৭০৮ মিটার চওড়া ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাত পৃথিবীর বিখ্যাত জলপ্রপাতগুলোর একটি। আর এতে পানির পতন ঘটে ১০৮ মিটার উচ্চতা থেকে। বুঝতেই পারছেন বিশাল জায়গা নিয়ে ছড়ানো জলপ্রপাতটি থেকে প্রচুর পরিমাণে পানি পড়ে। এতে জলকণার কারণে সব সময়ই প্রচুর কুয়াশা তৈরি হয়। আর এ কারণেই চন্দ্রালোকিত রাতে এখানে সহজেই জন্ম হয় অসাধারণ এক দৃশ্যের, রাতের রংধনু। মজার ঘটনা জলপ্রপাতটিতে ঘুরতে যাওয়া অনেক পর্যটকই এখানকার এই আশ্চর্য বিষয়টির কথা জানেনই না।
এখন আপনার মনে নিশ্চয় প্রশ্ন জাগছে, বছরের কোন সময়টা রাতের রংধনু দেখার জন্য উপযোগী? ফেব্রুয়ারি ও মার্চে প্রচুর পানি থাকলেও মেঘের আনাগোনা থাকে বেশি। এপ্রিল ও মেতে পানির প্রবাহ থাকে প্রচুর, এটা মুনবোর জন্য ভালো হওয়ার কথা। কিন্তু এ সময় জলকণার পরিমাণ অত্যধিক থাকায় যে ঘন কুয়াশার পর্দা তৈরি হয় তা কখনো কখনো চাঁদের আলো আসতেই বাধা দেয়। এদিকে শুকনো মৌসুম মানে সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বরে পানি কম থাকায় ভেসে বেড়ানো জলকণাও থাকে কম। ফলে নির্দিষ্ট দু-একটি ভিউ পয়েন্ট ছাড়া রংধনুর দেখা পাওয়া কঠিন।
মোটের ওপর, রাতের রংধনু সৃষ্টির সব শর্ত মেনে ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাতে এটি তৈরির আদর্শ সময় হলো জুন, জুলাই ও আগস্ট মাস। অর্থাৎ, এ সময় পূর্ণিমা ও এর ঠিক আগে-পড়ে জলপ্রপাত এলাকায় হাজির হয়ে গেলেই খুব ভালো সম্ভাবনা অসাধারণ সেই দৃশ্য, মানে মুনবো চাক্ষুষ করার।
রাতের কোন সময়টায় এর দেখা পাওয়া যাবে বলা মুশকিল। তবে সাধারণত সূর্যাস্তের কয়েক ঘণ্টা পর ও সূর্যোদয়ের দু-তিন ঘণ্টা আগে সম্ভাবনাটা থাকে বেশি।
একসময় নায়াগ্রা জলপ্রপাত এলাকায় এ ধরনের রংধনু দেখা ছিল নিয়মিত এক ব্যাপার। তবে এর আশপাশের এলাকায় উন্নয়নের কারণে কৃত্রিম আলো বেড়ে যাওয়ায় এখন এর দেখা পাওয়া ভার। তবে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার ইয়োসমাইট ফলস, হাওয়াইয়ের কিহেই জলপ্রপাত, কাম্বারল্যান্ড জলপ্রপাত ও ওয়াইমিয়া ক্যানিয়ন স্টেট পার্ক, আইসল্যান্ডের স্কোগাফসে চমৎকার মুনবোর দেখা মেলে।
আবার এ ধরনের মুনবো নিয়মিতই চোখে পড়ে কোস্টারিকার মেঘে ঢাকা অরণ্য ও মন্টেভার্দে কিংবা সান্তা এলেনার মতো পাহাড়ি শহরগুলোতে। ক্যারিবিয়ান সাগর থেকে ভেসে আসা কুয়াশার মেঘ এই মুনবো সৃষ্টিতে বড় ভূমিকা রাখে। চাঁদের আলোয় তখন আকাশে জন্ম হয় কিছুটা ভিন্ন ধরনের এক মুনবোর। এতে ডোরা ডোরা আলোকছটা ছড়িয়ে পড়ে আকাশে। স্প্যানিশে যা পরিচিত পেলো দে গেতে (বিড়ালের চুল) নামে। কোস্টারিকার এই অঞ্চলে ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রতিটি পূর্ণিমা এবং এর আশপাশের সময়ই এই রংধনুর দেখা পাবেন।
সূত্র: আউটলুক ইন্ডিয়া ডট কম, দ্য আফ্রিকা ইনসাইডার ডট কম, ডিসকভার ভিক্টোরিয়া ফলস ডট কম

রংধনুর সঙ্গে আমরা মোটামুটি সবাই পরিচিত। বৃষ্টির পর আকাশে এই আশ্চর্য সাত রঙের খেলায় মুগ্ধ হই আমরা। আর দিনের বেলায়ই এই সৌন্দর্য উপভোগের সৌভাগ্য হয় আমাদের। কিন্তু শুনে অবাক হবেন, এর ব্যাতিক্রমও আছে। রাতের বেলায়ও পৃথিবীর কোথাও কোথাও রংধনুর দেখা মেলে।
রাতের বেলায় দেখা যাওয়া এই রংধনু অবশ্য রেইনবোর বদলে মুনবো নামে পরিচিত। এক্ষেত্রে সরাসরি সূর্যের আলোর বদলে চাঁদের আলো রংধনুর রংগুলোর জোগান দেয়। এ কারণে এটি লুনার রেইনবো বা কোথাও কোথাও হোয়াইট রংধনু বা সাদা রেইনবো নামেও পরিচিত। তবে প্রকৃতিতে এ ধরনের রংধনু সাধারণত দিনের রংধনু বা রামধনুর তুলনায় বিরল। এ ধরনের রংধনু দেখা যাওয়ার জন্য যেসব জায়গা বিখ্যাত, তার উল্লেখযোগ্য জিম্বাবুয়ে ও জাম্বিয়ার ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাত।
এখন রংধনু সম্পর্কে মোটামুটি আমাদের সবার জানা থাকলেও দু-একটি বিষয়ে জ্ঞানটা একটু ঝালাই করে নেওয়া যাক। সূর্যের আলো পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশের সময় নানা পদার্থ যেমন—গ্যাস, ধুলোবালু অতিক্রম করে আসতে হয়। এতে আলো কিছুটা বেঁকে যায়। এই বেঁকে যাওয়াকে বলে আলোর প্রতিসরণ। বৃষ্টির কথা যদি বলি, বৃষ্টির পর আকাশ পরিষ্কার মনে হলেও কিছু কিছু পানির কণা ঠিকই বাতাসে ভাসতে থাকে। অর্থাৎ বৃষ্টির পর রোদ উঠলেও এ সময় আলো চলার পথে পানির ফোঁটা বা জলীয়বাষ্প থাকে অনেক বেশি। ফলে সূর্যের আলোর প্রতিসরণও বেশি হয়।
অন্য সময় বেঁকে যাওয়াটা খুব বেশি পরিমাণে হয় না বলে আলোর সব রং আলাদাভাবে দেখা যায় না। যে রংটা বেশি বাঁকে, সেটাই দেখতে পাই আমরা। কিন্তু বৃষ্টির পর প্রতিসরণ বেশি হওয়ায় সূর্যরশ্মিতে থাকা সাতটা রং বেগুনি, নীল, আসমানি, সবুজ, হলুদ, কমলা ও লালকে আলাদাভাবে দেখা যায়। অবশ্য রংধনুর জন্য সব সময় বৃষ্টি হওয়া জরুরি নয়, জলপ্রপাতের আশপাশেও পানির কণা ও জলীয় বাষ্পের বেশি উপস্থিতির কারণে রংধনু সৃষ্টি হতে পারে।
এখন মুনবো নামে পরিচিত রংধনুও জলপ্রপাতের জলে আলো পড়েই হয়, আর দিনে সৃষ্টি হওয়া রংধনুর তুলনায় এটি অনেক মৃদু। এর কারণ চাঁদ থেকে কম পরিমাণ আলো প্রতিফলিত হয়। তাই এতে রংগুলো হয় হালকা। এ কারণে রঙের পার্থক্য বোঝাটা দর্শকদের জন্য কঠিনই হয়। অনেক সময় সাদাটে দেখায় এই রং, তাই একে হোয়াইট রেইনবো বা সাদা রেইনবোও বলেন কেউ কেউ। সাধারত পূর্ণিমার আশপাশের সময়, আকাশ যখন মেঘমুক্ত থাকে তখন এই রংধনু বেশি দেখা যায়। সূর্যের বিপরীতে যেমন দিনের রংধনু দেখা যায়, তেমনি রাতের আকাশে চাঁদের বিপরীত দিকে জন্ম হয় এই রংধনুর।
স্বাভাবিকভাবেই জলপ্রপাতের কাছে এমন রংধনু দেখা সহজ। জলপ্রপাতের পানি কুয়াশার একটি পাতলা পরত তৈরি করে লুনার রংধনু সৃষ্টির পরিবেশ তৈরি করে। এ ধরনের রংধনু সাধারণ পর্যটক তো বটেই, আলোকচিত্রীদেরও খুব আরাধ্য জিনিস।
আগেই বলেছি, এমন রংধনু দেখার জন্য দারুণ এক জায়গা আফ্রিকা মহাদেশের ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাত। পূর্ণিমার সময় জিম্বাবুয়ে কিংবা জাম্বিয়ার বৃষ্টি অরণ্য বা রেইন ফরেস্ট ধরে পৌঁছে যেতে পারবেন জলপ্রপাতের কাছে। ওই সময় সন্ধ্যার পরে মুনবো দেখানোর জন্য ট্যুর কোম্পানিগুলো বিশেষ আয়োজন করে।
প্রায় ১ হাজার ৭০৮ মিটার চওড়া ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাত পৃথিবীর বিখ্যাত জলপ্রপাতগুলোর একটি। আর এতে পানির পতন ঘটে ১০৮ মিটার উচ্চতা থেকে। বুঝতেই পারছেন বিশাল জায়গা নিয়ে ছড়ানো জলপ্রপাতটি থেকে প্রচুর পরিমাণে পানি পড়ে। এতে জলকণার কারণে সব সময়ই প্রচুর কুয়াশা তৈরি হয়। আর এ কারণেই চন্দ্রালোকিত রাতে এখানে সহজেই জন্ম হয় অসাধারণ এক দৃশ্যের, রাতের রংধনু। মজার ঘটনা জলপ্রপাতটিতে ঘুরতে যাওয়া অনেক পর্যটকই এখানকার এই আশ্চর্য বিষয়টির কথা জানেনই না।
এখন আপনার মনে নিশ্চয় প্রশ্ন জাগছে, বছরের কোন সময়টা রাতের রংধনু দেখার জন্য উপযোগী? ফেব্রুয়ারি ও মার্চে প্রচুর পানি থাকলেও মেঘের আনাগোনা থাকে বেশি। এপ্রিল ও মেতে পানির প্রবাহ থাকে প্রচুর, এটা মুনবোর জন্য ভালো হওয়ার কথা। কিন্তু এ সময় জলকণার পরিমাণ অত্যধিক থাকায় যে ঘন কুয়াশার পর্দা তৈরি হয় তা কখনো কখনো চাঁদের আলো আসতেই বাধা দেয়। এদিকে শুকনো মৌসুম মানে সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বরে পানি কম থাকায় ভেসে বেড়ানো জলকণাও থাকে কম। ফলে নির্দিষ্ট দু-একটি ভিউ পয়েন্ট ছাড়া রংধনুর দেখা পাওয়া কঠিন।
মোটের ওপর, রাতের রংধনু সৃষ্টির সব শর্ত মেনে ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাতে এটি তৈরির আদর্শ সময় হলো জুন, জুলাই ও আগস্ট মাস। অর্থাৎ, এ সময় পূর্ণিমা ও এর ঠিক আগে-পড়ে জলপ্রপাত এলাকায় হাজির হয়ে গেলেই খুব ভালো সম্ভাবনা অসাধারণ সেই দৃশ্য, মানে মুনবো চাক্ষুষ করার।
রাতের কোন সময়টায় এর দেখা পাওয়া যাবে বলা মুশকিল। তবে সাধারণত সূর্যাস্তের কয়েক ঘণ্টা পর ও সূর্যোদয়ের দু-তিন ঘণ্টা আগে সম্ভাবনাটা থাকে বেশি।
একসময় নায়াগ্রা জলপ্রপাত এলাকায় এ ধরনের রংধনু দেখা ছিল নিয়মিত এক ব্যাপার। তবে এর আশপাশের এলাকায় উন্নয়নের কারণে কৃত্রিম আলো বেড়ে যাওয়ায় এখন এর দেখা পাওয়া ভার। তবে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার ইয়োসমাইট ফলস, হাওয়াইয়ের কিহেই জলপ্রপাত, কাম্বারল্যান্ড জলপ্রপাত ও ওয়াইমিয়া ক্যানিয়ন স্টেট পার্ক, আইসল্যান্ডের স্কোগাফসে চমৎকার মুনবোর দেখা মেলে।
আবার এ ধরনের মুনবো নিয়মিতই চোখে পড়ে কোস্টারিকার মেঘে ঢাকা অরণ্য ও মন্টেভার্দে কিংবা সান্তা এলেনার মতো পাহাড়ি শহরগুলোতে। ক্যারিবিয়ান সাগর থেকে ভেসে আসা কুয়াশার মেঘ এই মুনবো সৃষ্টিতে বড় ভূমিকা রাখে। চাঁদের আলোয় তখন আকাশে জন্ম হয় কিছুটা ভিন্ন ধরনের এক মুনবোর। এতে ডোরা ডোরা আলোকছটা ছড়িয়ে পড়ে আকাশে। স্প্যানিশে যা পরিচিত পেলো দে গেতে (বিড়ালের চুল) নামে। কোস্টারিকার এই অঞ্চলে ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রতিটি পূর্ণিমা এবং এর আশপাশের সময়ই এই রংধনুর দেখা পাবেন।
সূত্র: আউটলুক ইন্ডিয়া ডট কম, দ্য আফ্রিকা ইনসাইডার ডট কম, ডিসকভার ভিক্টোরিয়া ফলস ডট কম

ক্যালিফোর্নিয়ার সুজ লোপেজ যখন তাঁর ছোট ছেলে রিউকে কোলে নিয়ে বসেন, তখন এক অলৌকিক বিস্ময়ে স্তব্ধ হয়ে যান। কারণ, ছোট্ট রিউ তাঁর মায়ের জরায়ুর ভেতরে নয়, বেড়ে উঠেছিল পেটের ভেতরে একটি বিশাল আকৃতির ওভারিয়ান সিস্টের আড়ালে। চিকিৎসাবিজ্ঞানে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং বিরল এই ঘটনাকে ‘মিরাকল’ বা অলৌকিক বলছেন চিকিৎ
১ দিন আগে
তুরস্কের একটি আদালত এক চাঞ্চল্যকর রায়ে জানিয়েছেন, স্ত্রী ছাড়া অন্য নারীদের অনলাইন পোস্টে স্বামীর বারবার ‘লাইক’ দেওয়া বৈবাহিক বিশ্বাস নষ্ট করতে পারে এবং তা বিবাহবিচ্ছেদের ভিত্তি হিসেবে গণ্য হতে পারে। মধ্যতুরস্কের কায়সেরি শহরের একটি মামলায় এই যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত এসেছে।
১ দিন আগে
এক চীনা ব্যক্তি তাঁর প্রাক্তন বাগ্দত্তার বিরুদ্ধে মামলা করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন। ওই ব্যক্তির দাবি, তাঁর বাগ্দত্তা ‘খুব বেশি খাবার খেতেন।’ তাই সম্পর্কের পেছনে ব্যয় করা সব টাকা তাঁকে ফেরত দিতে হবে।
৪ দিন আগে
সকালে দোকানের শাটার খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার অ্যাশল্যান্ডের একটি সরকারি মদের দোকানের কর্মীদের। দোকানের মেঝেতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে শত শত ভাঙা কাচের টুকরা। মেঝে ভেসে গেছে দামি বিলেতি মদে!
৭ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ক্যালিফোর্নিয়ার সুজ লোপেজ যখন তাঁর ছোট ছেলে রিউকে কোলে নিয়ে বসেন, তখন এক অলৌকিক বিস্ময়ে স্তব্ধ হয়ে যান। কারণ, ছোট্ট রিউ তাঁর মায়ের জরায়ুর ভেতরে নয়, বেড়ে উঠেছিল পেটের ভেতরে একটি বিশাল আকৃতির ওভারিয়ান সিস্টের আড়ালে। চিকিৎসাবিজ্ঞানে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং বিরল এই ঘটনাকে ‘মিরাকল’ বা অলৌকিক বলছেন চিকিৎসকেরা।
লস অ্যাঞ্জেলেসের সিডারস-সিনাই মেডিকেল সেন্টারের প্রসূতি ও প্রসব বিভাগের মেডিকেল ডিরেক্টর ড. জন ওজিমেক এপিকে বলেন, ‘প্রতি ৩০ হাজার গর্ভাবস্থার মধ্যে মাত্র একটি জরায়ুর বাইরে পেটের ভেতরে (Abdominal Pregnancy) ঘটে। আর পূর্ণ মেয়াদে সুস্থ শিশু জন্ম দেওয়ার ঘটনা ১ কোটিতে একজনের ক্ষেত্রেও দেখা যায় না। এটি সত্যিই অবিশ্বাস্য।’
৪১ বছর বয়সী সুজ লোপেজ পেশায় একজন নার্স। আশ্চর্যের বিষয় হলো, সন্তান জন্ম দেওয়ার মাত্র কয়েক দিন আগ পর্যন্ত তিনি জানতেনই না যে তিনি অন্তঃসত্ত্বা।
সুজ দীর্ঘদিন ধরে ওভারিয়ান সিস্টের সমস্যায় ভুগছিলেন। যখন তাঁর পেট বড় হতে শুরু করে, তিনি ভেবেছিলেন, এটি ২১ পাউন্ড ওজনের সেই সিস্টেরই বৃদ্ধি।
সাধারণ গর্ভাবস্থার কোনো লক্ষণ; যেমন সকালবেলায় অসুস্থতা বোধ করা (Morning Sickness) বা শিশুর নড়াচড়া—কিছুই তিনি অনুভব করেননি। অনিয়মিত পিরিয়ডের কারণে ঋতুস্রাব বন্ধ হওয়াকেও তিনি স্বাভাবিক ধরে নিয়েছিলেন।
অবশেষে পেটে অসহ্য ব্যথা শুরু হলে তিনি সিস্ট অপসারণের জন্য চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। সেখানে সিটি স্ক্যান করার আগে বাধ্যতামূলক গর্ভাবস্থা পরীক্ষায় ফল ‘পজিটিভ’ আসে।
হাসপাতালে আলট্রাসাউন্ড এবং এমআরআই স্ক্যানে দেখা যায়, সুজের জরায়ু সম্পূর্ণ খালি। অথচ একটি পূর্ণাঙ্গ ভ্রূণ তাঁর লিভারের কাছে পেটের এক কোণে অ্যামনিওটিক থ্যাকের ভেতরে বেড়ে উঠছে। ড. ওজিমেক জানান, ভ্রূণটি লিভারের মতো গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গকে সরাসরি আক্রান্ত করেনি, বরং পেলভিসের পাশের দেয়ালে গেঁথে ছিল। এটি অত্যন্ত বিপজ্জনক হলেও লিভারের তুলনায় কিছুটা নিয়ন্ত্রণযোগ্য ছিল।
গত ১৮ আগস্ট এক জটিল অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ৮ পাউন্ড (৩.৬ কেজি) ওজনের রিউকে পৃথিবীতে আনা হয়। অস্ত্রোপচারের সময় সুজের সেই বিশাল সিস্টটিও অপসারণ করা হয়। অত্যধিক রক্তক্ষরণ হলেও চিকিৎসকদের দক্ষতায় সুজ এবং তাঁর সন্তান দুজনেই সুস্থভাবে ফিরে আসেন।
সুজের স্বামী অ্যান্ড্রু লোপেজ বলেন, ‘বাইরে শান্ত থাকলেও আমি ভেতরে-ভেতরে প্রার্থনা করছিলাম। যেকোনো মুহূর্তে স্ত্রী বা সন্তানকে হারানোর ভয় আমাকে তাড়া করছিল।’
বর্তমানে রিউ সম্পূর্ণ সুস্থ এবং প্রাণচঞ্চল। নিজের ১৮ বছর বয়সী বড় বোন কাইলার সঙ্গে তার খুনসুটি লেগেই থাকে। সামনেই রিউয়ের প্রথম বড়দিন। সুজ লোপেজ আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, ‘আমি এখন অলৌকিক ঘটনায় বিশ্বাস করি। ঈশ্বর আমাদের জীবনের সেরা উপহারটি দিয়েছেন।’
চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, এই কেস এতই বিরল যে তাঁরা এটি একটি মেডিকেল জার্নালে প্রকাশের পরিকল্পনা করছেন।

ক্যালিফোর্নিয়ার সুজ লোপেজ যখন তাঁর ছোট ছেলে রিউকে কোলে নিয়ে বসেন, তখন এক অলৌকিক বিস্ময়ে স্তব্ধ হয়ে যান। কারণ, ছোট্ট রিউ তাঁর মায়ের জরায়ুর ভেতরে নয়, বেড়ে উঠেছিল পেটের ভেতরে একটি বিশাল আকৃতির ওভারিয়ান সিস্টের আড়ালে। চিকিৎসাবিজ্ঞানে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং বিরল এই ঘটনাকে ‘মিরাকল’ বা অলৌকিক বলছেন চিকিৎসকেরা।
লস অ্যাঞ্জেলেসের সিডারস-সিনাই মেডিকেল সেন্টারের প্রসূতি ও প্রসব বিভাগের মেডিকেল ডিরেক্টর ড. জন ওজিমেক এপিকে বলেন, ‘প্রতি ৩০ হাজার গর্ভাবস্থার মধ্যে মাত্র একটি জরায়ুর বাইরে পেটের ভেতরে (Abdominal Pregnancy) ঘটে। আর পূর্ণ মেয়াদে সুস্থ শিশু জন্ম দেওয়ার ঘটনা ১ কোটিতে একজনের ক্ষেত্রেও দেখা যায় না। এটি সত্যিই অবিশ্বাস্য।’
৪১ বছর বয়সী সুজ লোপেজ পেশায় একজন নার্স। আশ্চর্যের বিষয় হলো, সন্তান জন্ম দেওয়ার মাত্র কয়েক দিন আগ পর্যন্ত তিনি জানতেনই না যে তিনি অন্তঃসত্ত্বা।
সুজ দীর্ঘদিন ধরে ওভারিয়ান সিস্টের সমস্যায় ভুগছিলেন। যখন তাঁর পেট বড় হতে শুরু করে, তিনি ভেবেছিলেন, এটি ২১ পাউন্ড ওজনের সেই সিস্টেরই বৃদ্ধি।
সাধারণ গর্ভাবস্থার কোনো লক্ষণ; যেমন সকালবেলায় অসুস্থতা বোধ করা (Morning Sickness) বা শিশুর নড়াচড়া—কিছুই তিনি অনুভব করেননি। অনিয়মিত পিরিয়ডের কারণে ঋতুস্রাব বন্ধ হওয়াকেও তিনি স্বাভাবিক ধরে নিয়েছিলেন।
অবশেষে পেটে অসহ্য ব্যথা শুরু হলে তিনি সিস্ট অপসারণের জন্য চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। সেখানে সিটি স্ক্যান করার আগে বাধ্যতামূলক গর্ভাবস্থা পরীক্ষায় ফল ‘পজিটিভ’ আসে।
হাসপাতালে আলট্রাসাউন্ড এবং এমআরআই স্ক্যানে দেখা যায়, সুজের জরায়ু সম্পূর্ণ খালি। অথচ একটি পূর্ণাঙ্গ ভ্রূণ তাঁর লিভারের কাছে পেটের এক কোণে অ্যামনিওটিক থ্যাকের ভেতরে বেড়ে উঠছে। ড. ওজিমেক জানান, ভ্রূণটি লিভারের মতো গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গকে সরাসরি আক্রান্ত করেনি, বরং পেলভিসের পাশের দেয়ালে গেঁথে ছিল। এটি অত্যন্ত বিপজ্জনক হলেও লিভারের তুলনায় কিছুটা নিয়ন্ত্রণযোগ্য ছিল।
গত ১৮ আগস্ট এক জটিল অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ৮ পাউন্ড (৩.৬ কেজি) ওজনের রিউকে পৃথিবীতে আনা হয়। অস্ত্রোপচারের সময় সুজের সেই বিশাল সিস্টটিও অপসারণ করা হয়। অত্যধিক রক্তক্ষরণ হলেও চিকিৎসকদের দক্ষতায় সুজ এবং তাঁর সন্তান দুজনেই সুস্থভাবে ফিরে আসেন।
সুজের স্বামী অ্যান্ড্রু লোপেজ বলেন, ‘বাইরে শান্ত থাকলেও আমি ভেতরে-ভেতরে প্রার্থনা করছিলাম। যেকোনো মুহূর্তে স্ত্রী বা সন্তানকে হারানোর ভয় আমাকে তাড়া করছিল।’
বর্তমানে রিউ সম্পূর্ণ সুস্থ এবং প্রাণচঞ্চল। নিজের ১৮ বছর বয়সী বড় বোন কাইলার সঙ্গে তার খুনসুটি লেগেই থাকে। সামনেই রিউয়ের প্রথম বড়দিন। সুজ লোপেজ আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, ‘আমি এখন অলৌকিক ঘটনায় বিশ্বাস করি। ঈশ্বর আমাদের জীবনের সেরা উপহারটি দিয়েছেন।’
চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, এই কেস এতই বিরল যে তাঁরা এটি একটি মেডিকেল জার্নালে প্রকাশের পরিকল্পনা করছেন।

বৃষ্টির পর আকাশে রংধনু দেখে মুগ্ধ হই আমরা। আর দিনের বেলায়ই আকাশে সাত রঙা এই সৌন্দর্য দেখার সৌভাগ্য হয় আমাদের। কিন্তু শুনে অবাক হবেন, এর ব্যাতিক্রমও আছে। রাতের বেলায়ও পৃথিবীর কোথাও কোথাও রংধনুর দেখা মেলে। এমন একটি জায়গা আফ্রিকার ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাত।
১৩ জুন ২০২৩
তুরস্কের একটি আদালত এক চাঞ্চল্যকর রায়ে জানিয়েছেন, স্ত্রী ছাড়া অন্য নারীদের অনলাইন পোস্টে স্বামীর বারবার ‘লাইক’ দেওয়া বৈবাহিক বিশ্বাস নষ্ট করতে পারে এবং তা বিবাহবিচ্ছেদের ভিত্তি হিসেবে গণ্য হতে পারে। মধ্যতুরস্কের কায়সেরি শহরের একটি মামলায় এই যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত এসেছে।
১ দিন আগে
এক চীনা ব্যক্তি তাঁর প্রাক্তন বাগ্দত্তার বিরুদ্ধে মামলা করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন। ওই ব্যক্তির দাবি, তাঁর বাগ্দত্তা ‘খুব বেশি খাবার খেতেন।’ তাই সম্পর্কের পেছনে ব্যয় করা সব টাকা তাঁকে ফেরত দিতে হবে।
৪ দিন আগে
সকালে দোকানের শাটার খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার অ্যাশল্যান্ডের একটি সরকারি মদের দোকানের কর্মীদের। দোকানের মেঝেতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে শত শত ভাঙা কাচের টুকরা। মেঝে ভেসে গেছে দামি বিলেতি মদে!
৭ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

তুরস্কের একটি আদালত এক চাঞ্চল্যকর রায়ে জানিয়েছেন, স্ত্রী ছাড়া অন্য নারীদের অনলাইন পোস্টে স্বামীর বারবার ‘লাইক’ দেওয়া বৈবাহিক বিশ্বাস নষ্ট করতে পারে এবং তা বিবাহবিচ্ছেদের ভিত্তি হিসেবে গণ্য হতে পারে। মধ্যতুরস্কের কায়সেরি শহরের একটি মামলায় এই যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত এসেছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম হাবারলারের বরাত দিয়ে হংকং থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এইচবি নামে এক নারী তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে মৌখিক অপমান এবং আর্থিক ভরণপোষণ না দেওয়ার অভিযোগ আনেন। ওই নারী আরও উল্লেখ করেন, তাঁর স্বামী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচুর সময় কাটাতেন এবং সেখানে নিয়মিত অন্য নারীদের ছবিতে, এমনকি প্রলুব্ধকর ছবিতেও ‘লাইক’ দিতেন। মাঝেমধ্যে তিনি ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্যও করতেন।
এইচবি যুক্তি দেন, এই আচরণ তাঁর স্বামীর দাম্পত্য আনুগত্যের পরিপন্থী। তিনি বিবাহবিচ্ছেদের পাশাপাশি খোরপোশ ও ক্ষতিপূরণ দাবি করে মামলা করেন। স্বামী এসবি অবশ্য সব অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনিও পাল্টা বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেন এবং দাবি করেন, তাঁর স্ত্রী তাঁর বাবাকে অপমান করেছেন এবং অতিরিক্ত ঈর্ষাপরায়ণ। স্ত্রীর এসব অভিযোগ তাঁর সুনাম ক্ষুণ্ন করেছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
আদালত এই মামলায় স্বামীকেই বেশি দোষী সাব্যস্ত করে রায় দেন। তাঁকে প্রতি মাসে ৭৫০ লিরা বা ২০ মার্কিন ডলার খোরপোশ এবং ৮০ হাজার লিরা ২ হাজার মার্কিন ডলার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। এসবি এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে দাবি করেন, এই পরিমাণ অনেক বেশি। কিন্তু আদালত তাঁর সেই আবেদন নাকচ করে দেন।
বিচারকেরা জানান, অন্য নারীদের ছবিতে ওই ব্যক্তির ‘লাইক’ দেওয়ার বিষয়টি বৈবাহিক বিশ্বাস ভেঙে দিয়েছে। তাঁরা মন্তব্য করেন, ‘অনলাইনে এই আপাত নিরীহ মিথস্ক্রিয়াগুলো মূলত মানসিক নিরাপত্তাহীনতা বাড়িয়ে তুলতে পারে এবং সম্পর্কের ভারসাম্য নষ্ট করে দিতে পারে।’
তুর্কি আইনজীবী ইমামোগ্লু স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেন, এই রায় একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকল যে অনলাইন কর্মকাণ্ড এখন বিবাহবিচ্ছেদের মামলায় শক্তিশালী প্রমাণ হিসেবে গণ্য হবে। তিনি বলেন, ‘এখন থেকে স্ক্রিনশট, মেসেজ এবং সব ধরনের ডিজিটাল কার্যক্রম উভয় পক্ষের দোষ নির্ধারণে বিবেচনায় নেওয়া হবে। নাগরিকদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের সময় বিষয়টি মাথায় রাখার পরামর্শ দিচ্ছি।’
এই মামলা অনলাইনে ব্যাপক বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। এক নেটিজেন লিখেছেন, ‘যদি একটি লাইক আপনার সম্পর্ক ধ্বংস করতে পারে, তবে আপনাদের বিয়ে কখনোই মজবুত ছিল না।’ অন্য একজন মন্তব্য করেছেন, ‘এখন পরিচয় লুকিয়ে লাইক দেওয়ার ফিচার চালু করার সময় এসেছে।’ তবে তৃতীয় একজন ভিন্নমত পোষণ করে বলেন, ‘যদি অনলাইনে প্রতিটি লাইক বা ভিউকে অবিশ্বস্ততা হিসেবে দেখা হয়, তবে মানুষ সারাক্ষণ ভয়ে থাকবে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম হওয়া উচিত মতপ্রকাশের মুক্ত জায়গা।’
তুরস্কের আদালতে অদ্ভুত কারণে বিবাহবিচ্ছেদের রায় দেওয়ার ঘটনা এটিই প্রথম নয়। এর আগে এক ব্যক্তিকে তাঁর সাবেক স্ত্রীকে ফোনের কন্টাক্ট লিস্টে ‘মোটু’ নামে সেভ করার জন্য ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, যা অসম্মানজনক হিসেবে বিবেচিত হয়।

তুরস্কের একটি আদালত এক চাঞ্চল্যকর রায়ে জানিয়েছেন, স্ত্রী ছাড়া অন্য নারীদের অনলাইন পোস্টে স্বামীর বারবার ‘লাইক’ দেওয়া বৈবাহিক বিশ্বাস নষ্ট করতে পারে এবং তা বিবাহবিচ্ছেদের ভিত্তি হিসেবে গণ্য হতে পারে। মধ্যতুরস্কের কায়সেরি শহরের একটি মামলায় এই যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত এসেছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম হাবারলারের বরাত দিয়ে হংকং থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এইচবি নামে এক নারী তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে মৌখিক অপমান এবং আর্থিক ভরণপোষণ না দেওয়ার অভিযোগ আনেন। ওই নারী আরও উল্লেখ করেন, তাঁর স্বামী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচুর সময় কাটাতেন এবং সেখানে নিয়মিত অন্য নারীদের ছবিতে, এমনকি প্রলুব্ধকর ছবিতেও ‘লাইক’ দিতেন। মাঝেমধ্যে তিনি ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্যও করতেন।
এইচবি যুক্তি দেন, এই আচরণ তাঁর স্বামীর দাম্পত্য আনুগত্যের পরিপন্থী। তিনি বিবাহবিচ্ছেদের পাশাপাশি খোরপোশ ও ক্ষতিপূরণ দাবি করে মামলা করেন। স্বামী এসবি অবশ্য সব অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনিও পাল্টা বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেন এবং দাবি করেন, তাঁর স্ত্রী তাঁর বাবাকে অপমান করেছেন এবং অতিরিক্ত ঈর্ষাপরায়ণ। স্ত্রীর এসব অভিযোগ তাঁর সুনাম ক্ষুণ্ন করেছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
আদালত এই মামলায় স্বামীকেই বেশি দোষী সাব্যস্ত করে রায় দেন। তাঁকে প্রতি মাসে ৭৫০ লিরা বা ২০ মার্কিন ডলার খোরপোশ এবং ৮০ হাজার লিরা ২ হাজার মার্কিন ডলার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। এসবি এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে দাবি করেন, এই পরিমাণ অনেক বেশি। কিন্তু আদালত তাঁর সেই আবেদন নাকচ করে দেন।
বিচারকেরা জানান, অন্য নারীদের ছবিতে ওই ব্যক্তির ‘লাইক’ দেওয়ার বিষয়টি বৈবাহিক বিশ্বাস ভেঙে দিয়েছে। তাঁরা মন্তব্য করেন, ‘অনলাইনে এই আপাত নিরীহ মিথস্ক্রিয়াগুলো মূলত মানসিক নিরাপত্তাহীনতা বাড়িয়ে তুলতে পারে এবং সম্পর্কের ভারসাম্য নষ্ট করে দিতে পারে।’
তুর্কি আইনজীবী ইমামোগ্লু স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেন, এই রায় একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকল যে অনলাইন কর্মকাণ্ড এখন বিবাহবিচ্ছেদের মামলায় শক্তিশালী প্রমাণ হিসেবে গণ্য হবে। তিনি বলেন, ‘এখন থেকে স্ক্রিনশট, মেসেজ এবং সব ধরনের ডিজিটাল কার্যক্রম উভয় পক্ষের দোষ নির্ধারণে বিবেচনায় নেওয়া হবে। নাগরিকদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের সময় বিষয়টি মাথায় রাখার পরামর্শ দিচ্ছি।’
এই মামলা অনলাইনে ব্যাপক বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। এক নেটিজেন লিখেছেন, ‘যদি একটি লাইক আপনার সম্পর্ক ধ্বংস করতে পারে, তবে আপনাদের বিয়ে কখনোই মজবুত ছিল না।’ অন্য একজন মন্তব্য করেছেন, ‘এখন পরিচয় লুকিয়ে লাইক দেওয়ার ফিচার চালু করার সময় এসেছে।’ তবে তৃতীয় একজন ভিন্নমত পোষণ করে বলেন, ‘যদি অনলাইনে প্রতিটি লাইক বা ভিউকে অবিশ্বস্ততা হিসেবে দেখা হয়, তবে মানুষ সারাক্ষণ ভয়ে থাকবে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম হওয়া উচিত মতপ্রকাশের মুক্ত জায়গা।’
তুরস্কের আদালতে অদ্ভুত কারণে বিবাহবিচ্ছেদের রায় দেওয়ার ঘটনা এটিই প্রথম নয়। এর আগে এক ব্যক্তিকে তাঁর সাবেক স্ত্রীকে ফোনের কন্টাক্ট লিস্টে ‘মোটু’ নামে সেভ করার জন্য ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, যা অসম্মানজনক হিসেবে বিবেচিত হয়।

বৃষ্টির পর আকাশে রংধনু দেখে মুগ্ধ হই আমরা। আর দিনের বেলায়ই আকাশে সাত রঙা এই সৌন্দর্য দেখার সৌভাগ্য হয় আমাদের। কিন্তু শুনে অবাক হবেন, এর ব্যাতিক্রমও আছে। রাতের বেলায়ও পৃথিবীর কোথাও কোথাও রংধনুর দেখা মেলে। এমন একটি জায়গা আফ্রিকার ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাত।
১৩ জুন ২০২৩
ক্যালিফোর্নিয়ার সুজ লোপেজ যখন তাঁর ছোট ছেলে রিউকে কোলে নিয়ে বসেন, তখন এক অলৌকিক বিস্ময়ে স্তব্ধ হয়ে যান। কারণ, ছোট্ট রিউ তাঁর মায়ের জরায়ুর ভেতরে নয়, বেড়ে উঠেছিল পেটের ভেতরে একটি বিশাল আকৃতির ওভারিয়ান সিস্টের আড়ালে। চিকিৎসাবিজ্ঞানে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং বিরল এই ঘটনাকে ‘মিরাকল’ বা অলৌকিক বলছেন চিকিৎ
১ দিন আগে
এক চীনা ব্যক্তি তাঁর প্রাক্তন বাগ্দত্তার বিরুদ্ধে মামলা করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন। ওই ব্যক্তির দাবি, তাঁর বাগ্দত্তা ‘খুব বেশি খাবার খেতেন।’ তাই সম্পর্কের পেছনে ব্যয় করা সব টাকা তাঁকে ফেরত দিতে হবে।
৪ দিন আগে
সকালে দোকানের শাটার খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার অ্যাশল্যান্ডের একটি সরকারি মদের দোকানের কর্মীদের। দোকানের মেঝেতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে শত শত ভাঙা কাচের টুকরা। মেঝে ভেসে গেছে দামি বিলেতি মদে!
৭ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

এক চীনা ব্যক্তি তাঁর প্রাক্তন বাগ্দত্তার বিরুদ্ধে মামলা করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন। ওই ব্যক্তির দাবি, তাঁর বাগ্দত্তা ‘খুব বেশি খাবার খেতেন।’ তাই সম্পর্কের পেছনে ব্যয় করা সব টাকা তাঁকে ফেরত দিতে হবে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জংলান নিউজের বরাত দিয়ে হংকং থেকে প্রকাশিত ইংরেজি দৈনিক সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট ৯ ডিসেম্বর এই যুগলকে নিয়ে আদালতের একটি শুনানি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। হে পদবির ওই ব্যক্তি তাঁর বান্ধবী ওয়াংয়ের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন। মামলায় হে দাবি করেন, তাঁর পরিবার কনেপক্ষকে অগ্রিম যৌতুক (ব্রাইড প্রাইস) হিসেবে যে ২০ হাজার ইউয়ান বা ২ হাজার ৮০০ মার্কিন ডলার দিয়েছিল, তা তিনি ফেরত পেতে চান।
শুধু তা-ই নয়, সম্পর্কের সময় ওয়াংয়ের পেছনে খরচ হওয়া আরও ৩০ হাজার ইউয়ানও (৪ হাজার ২০০ মার্কিন ডলার) দাবি করেন হে। এই খরচের তালিকায় তাঁর কেনা কালো টাইটস এবং অন্তর্বাসও অন্তর্ভুক্ত ছিল।
উত্তর-পূর্ব চীনের হেইলংজিয়াং প্রদেশের একই গ্রামের বাসিন্দা হে এবং ওয়াং। এক ঘটকের মাধ্যমে তাদের পরিচয় এবং পরে বাগ্দান সম্পন্ন হয়। বাগ্দানের পর তাঁরা উত্তর চীনের হেবেই প্রদেশে হের পরিবারের মালিকানাধীন একটি রেস্তোরাঁ চালাতে যান।
উল্লেখ্য, মালাতাং চীনের একটি জনপ্রিয় স্ট্রিট ফুড, যা মাংস, সবজি ও নুডলসের ঝাল ঝোলে তৈরি করা হয়। ওয়াং সেখানে ছয় মাস কাজ করেন। তবে হের অভিযোগ, ওয়াং ‘সহজ কাজগুলো’ করতেন। হেইলংজিয়াং টিভিকে হে বলেন, ‘সে প্রতিদিন আমাদের মালাতাং খেত। আমাদের বিক্রির জন্য যা থাকত, তা-ও তার খাওয়ার জন্য যথেষ্ট ছিল না।’ তিনি আরও যোগ করেন, তাঁর পরিবারও ওয়াংয়ের ওপর অসন্তুষ্ট ছিল। কারণ, তাদের মনে হয়েছে মেয়েটি বদলে গেছে।
আদালতে হে সেসব জিনিসের তালিকা পেশ করেন, যা তিনি ওয়াংয়ের জন্য কিনেছিলেন। জবাবে ওয়াং বলেন, ‘ও বড্ড বেশি হিসাবি। আমি তো ওর বান্ধবী ছিলাম।’ আদালতে তিনি হেকে প্রশ্ন করেন, ‘তুমি আমাকে যে টাইটস আর অন্তর্বাস কিনে দিয়েছিলে, সেগুলো কি তুমি নিজেও উপভোগ করনি?’
আদালত ৩০ হাজার ইউয়ান ফেরত দেওয়ার দাবিটি খারিজ করে দেন। বিচারক জানান, এগুলো ব্যক্তিগত জিনিস, যা উভয় পক্ষকেই আবেগীয় তৃপ্তি দিয়েছে। তবে অগ্রিম দেওয়া ২০ হাজার ইউয়ান যৌতুকের অর্ধেক টাকা ওয়াংকে ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। আদালতের এই রায়ে উভয় পক্ষই সন্তোষ প্রকাশ করেছে।
চীনে যৌতুক বা ‘ব্রাইড প্রাইস’ একটি প্রাচীন প্রথা। বিয়ের সময় বরের পরিবার কনের পরিবারকে উপহার হিসেবে এই টাকা দেয়, যা মূলত মেয়েটিকে পরিবারে স্বাগত জানানোর একটি আন্তরিক প্রথা। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এই প্রথা নিয়ে নানা বিতর্ক তৈরি হয়েছে। কেউ কেউ একে সেকেলে এবং নারীকে পণ্য হিসেবে বিবেচনা করার নামান্তর মনে করেন। আবার অনেকে একে বিয়ের পর নারীর ত্যাগের ক্ষতিপূরণ হিসেবে দেখেন।
২০২১ সালে কার্যকর হওয়া চীনের সিভিল কোড অনুযায়ী, যদি বিয়ে সম্পন্ন না হয় কিংবা বিয়ের পর স্বামী-স্ত্রী একত্রে বসবাস না করেন, তবে যৌতুকের টাকা ফেরত দেওয়ার দাবি আদালত সমর্থন করতে পারেন।
ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর ইন্টারনেটে সমালোচনার ঝড় বয়ে গেছে। একজন মন্তব্য করেছেন, ‘ও যদি এতই হিসাবি হয়, তবে কেন মেয়েটিকে বেতন দিল না?’ অন্য একজন লিখেছেন, ‘ওর বউ নয়, একজন আয়া দরকার ছিল।’ তৃতীয় আরেকজন লিখেছেন, ‘মেয়েটিকে অভিনন্দন যে সে এমন এক সংকীর্ণমনা মানুষের হাত থেকে মুক্তি পেয়েছে।’

এক চীনা ব্যক্তি তাঁর প্রাক্তন বাগ্দত্তার বিরুদ্ধে মামলা করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন। ওই ব্যক্তির দাবি, তাঁর বাগ্দত্তা ‘খুব বেশি খাবার খেতেন।’ তাই সম্পর্কের পেছনে ব্যয় করা সব টাকা তাঁকে ফেরত দিতে হবে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জংলান নিউজের বরাত দিয়ে হংকং থেকে প্রকাশিত ইংরেজি দৈনিক সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট ৯ ডিসেম্বর এই যুগলকে নিয়ে আদালতের একটি শুনানি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। হে পদবির ওই ব্যক্তি তাঁর বান্ধবী ওয়াংয়ের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন। মামলায় হে দাবি করেন, তাঁর পরিবার কনেপক্ষকে অগ্রিম যৌতুক (ব্রাইড প্রাইস) হিসেবে যে ২০ হাজার ইউয়ান বা ২ হাজার ৮০০ মার্কিন ডলার দিয়েছিল, তা তিনি ফেরত পেতে চান।
শুধু তা-ই নয়, সম্পর্কের সময় ওয়াংয়ের পেছনে খরচ হওয়া আরও ৩০ হাজার ইউয়ানও (৪ হাজার ২০০ মার্কিন ডলার) দাবি করেন হে। এই খরচের তালিকায় তাঁর কেনা কালো টাইটস এবং অন্তর্বাসও অন্তর্ভুক্ত ছিল।
উত্তর-পূর্ব চীনের হেইলংজিয়াং প্রদেশের একই গ্রামের বাসিন্দা হে এবং ওয়াং। এক ঘটকের মাধ্যমে তাদের পরিচয় এবং পরে বাগ্দান সম্পন্ন হয়। বাগ্দানের পর তাঁরা উত্তর চীনের হেবেই প্রদেশে হের পরিবারের মালিকানাধীন একটি রেস্তোরাঁ চালাতে যান।
উল্লেখ্য, মালাতাং চীনের একটি জনপ্রিয় স্ট্রিট ফুড, যা মাংস, সবজি ও নুডলসের ঝাল ঝোলে তৈরি করা হয়। ওয়াং সেখানে ছয় মাস কাজ করেন। তবে হের অভিযোগ, ওয়াং ‘সহজ কাজগুলো’ করতেন। হেইলংজিয়াং টিভিকে হে বলেন, ‘সে প্রতিদিন আমাদের মালাতাং খেত। আমাদের বিক্রির জন্য যা থাকত, তা-ও তার খাওয়ার জন্য যথেষ্ট ছিল না।’ তিনি আরও যোগ করেন, তাঁর পরিবারও ওয়াংয়ের ওপর অসন্তুষ্ট ছিল। কারণ, তাদের মনে হয়েছে মেয়েটি বদলে গেছে।
আদালতে হে সেসব জিনিসের তালিকা পেশ করেন, যা তিনি ওয়াংয়ের জন্য কিনেছিলেন। জবাবে ওয়াং বলেন, ‘ও বড্ড বেশি হিসাবি। আমি তো ওর বান্ধবী ছিলাম।’ আদালতে তিনি হেকে প্রশ্ন করেন, ‘তুমি আমাকে যে টাইটস আর অন্তর্বাস কিনে দিয়েছিলে, সেগুলো কি তুমি নিজেও উপভোগ করনি?’
আদালত ৩০ হাজার ইউয়ান ফেরত দেওয়ার দাবিটি খারিজ করে দেন। বিচারক জানান, এগুলো ব্যক্তিগত জিনিস, যা উভয় পক্ষকেই আবেগীয় তৃপ্তি দিয়েছে। তবে অগ্রিম দেওয়া ২০ হাজার ইউয়ান যৌতুকের অর্ধেক টাকা ওয়াংকে ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। আদালতের এই রায়ে উভয় পক্ষই সন্তোষ প্রকাশ করেছে।
চীনে যৌতুক বা ‘ব্রাইড প্রাইস’ একটি প্রাচীন প্রথা। বিয়ের সময় বরের পরিবার কনের পরিবারকে উপহার হিসেবে এই টাকা দেয়, যা মূলত মেয়েটিকে পরিবারে স্বাগত জানানোর একটি আন্তরিক প্রথা। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এই প্রথা নিয়ে নানা বিতর্ক তৈরি হয়েছে। কেউ কেউ একে সেকেলে এবং নারীকে পণ্য হিসেবে বিবেচনা করার নামান্তর মনে করেন। আবার অনেকে একে বিয়ের পর নারীর ত্যাগের ক্ষতিপূরণ হিসেবে দেখেন।
২০২১ সালে কার্যকর হওয়া চীনের সিভিল কোড অনুযায়ী, যদি বিয়ে সম্পন্ন না হয় কিংবা বিয়ের পর স্বামী-স্ত্রী একত্রে বসবাস না করেন, তবে যৌতুকের টাকা ফেরত দেওয়ার দাবি আদালত সমর্থন করতে পারেন।
ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর ইন্টারনেটে সমালোচনার ঝড় বয়ে গেছে। একজন মন্তব্য করেছেন, ‘ও যদি এতই হিসাবি হয়, তবে কেন মেয়েটিকে বেতন দিল না?’ অন্য একজন লিখেছেন, ‘ওর বউ নয়, একজন আয়া দরকার ছিল।’ তৃতীয় আরেকজন লিখেছেন, ‘মেয়েটিকে অভিনন্দন যে সে এমন এক সংকীর্ণমনা মানুষের হাত থেকে মুক্তি পেয়েছে।’

বৃষ্টির পর আকাশে রংধনু দেখে মুগ্ধ হই আমরা। আর দিনের বেলায়ই আকাশে সাত রঙা এই সৌন্দর্য দেখার সৌভাগ্য হয় আমাদের। কিন্তু শুনে অবাক হবেন, এর ব্যাতিক্রমও আছে। রাতের বেলায়ও পৃথিবীর কোথাও কোথাও রংধনুর দেখা মেলে। এমন একটি জায়গা আফ্রিকার ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাত।
১৩ জুন ২০২৩
ক্যালিফোর্নিয়ার সুজ লোপেজ যখন তাঁর ছোট ছেলে রিউকে কোলে নিয়ে বসেন, তখন এক অলৌকিক বিস্ময়ে স্তব্ধ হয়ে যান। কারণ, ছোট্ট রিউ তাঁর মায়ের জরায়ুর ভেতরে নয়, বেড়ে উঠেছিল পেটের ভেতরে একটি বিশাল আকৃতির ওভারিয়ান সিস্টের আড়ালে। চিকিৎসাবিজ্ঞানে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং বিরল এই ঘটনাকে ‘মিরাকল’ বা অলৌকিক বলছেন চিকিৎ
১ দিন আগে
তুরস্কের একটি আদালত এক চাঞ্চল্যকর রায়ে জানিয়েছেন, স্ত্রী ছাড়া অন্য নারীদের অনলাইন পোস্টে স্বামীর বারবার ‘লাইক’ দেওয়া বৈবাহিক বিশ্বাস নষ্ট করতে পারে এবং তা বিবাহবিচ্ছেদের ভিত্তি হিসেবে গণ্য হতে পারে। মধ্যতুরস্কের কায়সেরি শহরের একটি মামলায় এই যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত এসেছে।
১ দিন আগে
সকালে দোকানের শাটার খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার অ্যাশল্যান্ডের একটি সরকারি মদের দোকানের কর্মীদের। দোকানের মেঝেতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে শত শত ভাঙা কাচের টুকরা। মেঝে ভেসে গেছে দামি বিলেতি মদে!
৭ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সকালে দোকানের শাটার খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার অ্যাশল্যান্ডের একটি সরকারি মদের দোকানের কর্মীদের। দোকানের মেঝেতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে শত শত ভাঙা কাচের টুকরা। মেঝে ভেসে গেছে দামি বিলেতি মদে! প্রাথমিকভাবে সবাই বড় কোনো চুরির আশঙ্কা করলেও কোনো দামি জিনিস খোয়া যায়নি; বরং দোকানের বাথরুমের কমোড আর ডাস্টবিনের চিপায় উদ্ধার হলো আসল ‘অপরাধী’। সেখানে অঘোরে নাক ডেকে ঘুমাচ্ছিল এক বুনো র্যাকুন!
ঘটনার সূত্রপাত হয় থ্যাংকসগিভিংয়ের ছুটিতে। দোকান বন্ধ থাকার সুযোগে এই ‘মুখোশধারী ডাকাত’ সিলিংয়ের টাইলস ভেঙে দোকানের ভেতরে প্রবেশ করে। পশুপালন দপ্তরের কর্মকর্তা সামান্থা মার্টিন গণমাধ্যমকে জানান, ভেতরে ঢুকেই র্যাকুনটি পুরোদস্তুর তাণ্ডব শুরু করে। তবে তার প্রধান আকর্ষণ ছিল নিচের দিকের তাকগুলোতে সাজিয়ে রাখা স্কচ হুইস্কির বোতলগুলো। বেশ কয়েকটি বোতল ভেঙে, প্রচুর পরিমাণে স্কচ সাবাড় করে র্যাকুনটি মাতাল হয়ে পড়ে। একপর্যায়ে নেশার ঘোরে সে বাথরুমে আশ্রয় নেয় এবং সেখানেই জ্ঞান হারায়।
খবর পেয়ে সামান্থা মার্টিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে র্যাকুনটিকে উদ্ধার করেন। তিনি কৌতুক করে বলেন, ‘পশু সুরক্ষা ও নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তার জীবনে এটা আর দশটা দিনের মতোই একটি সাধারণ দিন!’

র্যাকুনটি এতটাই নেশাগ্রস্ত ছিল যে সেটিকে ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য’ হ্যানোভার কাউন্টি অ্যানিমেল প্রটেকশন শেল্টারে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে পুলিশি কাস্টডিতে নয়, বরং তার নেশা কাটানোর জন্যই এই ব্যবস্থা।
বেশ কয়েক ঘণ্টা একটানা ঘুমের পর যখন র্যাকুনটি হ্যাংওভার কাটে। শারীরিক কোনো চোট পাওয়া যায়নি। এটি নিশ্চিত হয়েই তাকে সসম্মানে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়।
দোকানের সিসিটিভি ফুটেজে এক রহস্যময় ছায়ামূর্তির তাণ্ডব দেখা গেলেও র্যাকুনটি ঠিক কতটা স্কচ হজম করেছিল, তা অজানাই রয়ে গেছে। দোকানের পক্ষ থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি মজার পোস্ট দিয়ে জানানো হয়, র্যাকুনটিকে নিরাপদে ‘সোবার রাইড’, অর্থাৎ নেশামুক্ত অবস্থায় বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার জন্য তারা প্রশাসনের কাছে কৃতজ্ঞ!

সকালে দোকানের শাটার খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার অ্যাশল্যান্ডের একটি সরকারি মদের দোকানের কর্মীদের। দোকানের মেঝেতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে শত শত ভাঙা কাচের টুকরা। মেঝে ভেসে গেছে দামি বিলেতি মদে! প্রাথমিকভাবে সবাই বড় কোনো চুরির আশঙ্কা করলেও কোনো দামি জিনিস খোয়া যায়নি; বরং দোকানের বাথরুমের কমোড আর ডাস্টবিনের চিপায় উদ্ধার হলো আসল ‘অপরাধী’। সেখানে অঘোরে নাক ডেকে ঘুমাচ্ছিল এক বুনো র্যাকুন!
ঘটনার সূত্রপাত হয় থ্যাংকসগিভিংয়ের ছুটিতে। দোকান বন্ধ থাকার সুযোগে এই ‘মুখোশধারী ডাকাত’ সিলিংয়ের টাইলস ভেঙে দোকানের ভেতরে প্রবেশ করে। পশুপালন দপ্তরের কর্মকর্তা সামান্থা মার্টিন গণমাধ্যমকে জানান, ভেতরে ঢুকেই র্যাকুনটি পুরোদস্তুর তাণ্ডব শুরু করে। তবে তার প্রধান আকর্ষণ ছিল নিচের দিকের তাকগুলোতে সাজিয়ে রাখা স্কচ হুইস্কির বোতলগুলো। বেশ কয়েকটি বোতল ভেঙে, প্রচুর পরিমাণে স্কচ সাবাড় করে র্যাকুনটি মাতাল হয়ে পড়ে। একপর্যায়ে নেশার ঘোরে সে বাথরুমে আশ্রয় নেয় এবং সেখানেই জ্ঞান হারায়।
খবর পেয়ে সামান্থা মার্টিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে র্যাকুনটিকে উদ্ধার করেন। তিনি কৌতুক করে বলেন, ‘পশু সুরক্ষা ও নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তার জীবনে এটা আর দশটা দিনের মতোই একটি সাধারণ দিন!’

র্যাকুনটি এতটাই নেশাগ্রস্ত ছিল যে সেটিকে ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য’ হ্যানোভার কাউন্টি অ্যানিমেল প্রটেকশন শেল্টারে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে পুলিশি কাস্টডিতে নয়, বরং তার নেশা কাটানোর জন্যই এই ব্যবস্থা।
বেশ কয়েক ঘণ্টা একটানা ঘুমের পর যখন র্যাকুনটি হ্যাংওভার কাটে। শারীরিক কোনো চোট পাওয়া যায়নি। এটি নিশ্চিত হয়েই তাকে সসম্মানে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়।
দোকানের সিসিটিভি ফুটেজে এক রহস্যময় ছায়ামূর্তির তাণ্ডব দেখা গেলেও র্যাকুনটি ঠিক কতটা স্কচ হজম করেছিল, তা অজানাই রয়ে গেছে। দোকানের পক্ষ থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি মজার পোস্ট দিয়ে জানানো হয়, র্যাকুনটিকে নিরাপদে ‘সোবার রাইড’, অর্থাৎ নেশামুক্ত অবস্থায় বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার জন্য তারা প্রশাসনের কাছে কৃতজ্ঞ!

বৃষ্টির পর আকাশে রংধনু দেখে মুগ্ধ হই আমরা। আর দিনের বেলায়ই আকাশে সাত রঙা এই সৌন্দর্য দেখার সৌভাগ্য হয় আমাদের। কিন্তু শুনে অবাক হবেন, এর ব্যাতিক্রমও আছে। রাতের বেলায়ও পৃথিবীর কোথাও কোথাও রংধনুর দেখা মেলে। এমন একটি জায়গা আফ্রিকার ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাত।
১৩ জুন ২০২৩
ক্যালিফোর্নিয়ার সুজ লোপেজ যখন তাঁর ছোট ছেলে রিউকে কোলে নিয়ে বসেন, তখন এক অলৌকিক বিস্ময়ে স্তব্ধ হয়ে যান। কারণ, ছোট্ট রিউ তাঁর মায়ের জরায়ুর ভেতরে নয়, বেড়ে উঠেছিল পেটের ভেতরে একটি বিশাল আকৃতির ওভারিয়ান সিস্টের আড়ালে। চিকিৎসাবিজ্ঞানে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং বিরল এই ঘটনাকে ‘মিরাকল’ বা অলৌকিক বলছেন চিকিৎ
১ দিন আগে
তুরস্কের একটি আদালত এক চাঞ্চল্যকর রায়ে জানিয়েছেন, স্ত্রী ছাড়া অন্য নারীদের অনলাইন পোস্টে স্বামীর বারবার ‘লাইক’ দেওয়া বৈবাহিক বিশ্বাস নষ্ট করতে পারে এবং তা বিবাহবিচ্ছেদের ভিত্তি হিসেবে গণ্য হতে পারে। মধ্যতুরস্কের কায়সেরি শহরের একটি মামলায় এই যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত এসেছে।
১ দিন আগে
এক চীনা ব্যক্তি তাঁর প্রাক্তন বাগ্দত্তার বিরুদ্ধে মামলা করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন। ওই ব্যক্তির দাবি, তাঁর বাগ্দত্তা ‘খুব বেশি খাবার খেতেন।’ তাই সম্পর্কের পেছনে ব্যয় করা সব টাকা তাঁকে ফেরত দিতে হবে।
৪ দিন আগে