
আচ্ছা, কোন প্রাণীর আক্রমণে কিংবা এর কারণে সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা যায়, বলুন তো? আপনি নিশ্চয় সিংহ, কুমির, বাঘ, হাতি, সাপ কিংবা বাঘের কথা ভেবে বসে আছেন। স্বাভাবিক; কারণ, এদের আক্রমণে কেউ মারা গেলে আমাদের চোখে পড়ে বেশি। যেমন শেরপুর-জামালপুর অঞ্চলে হাতির আক্রমণে মানুষ মারা যাওয়ার খবর আসছে (অবশ্য হাতিরও প্রাণ যাচ্ছে)। হলিউডের সিনেমাগুলোতেও আমরা বড় শত্রু হিসেবে দেখি হাঙর কিংবা অ্যানাকোন্ডার মতো প্রাণীগুলোকে।
কিন্তু শুনে অবাক হবেন, আপাতদৃষ্টে যাদের ভয়ংকর প্রাণী হিসেবে ভাবি আমরা, এদের অনেকগুলোর অবস্থান তালিকার নিচের দিকেই। আবার বাঘ কিংবা হাঙরের এই তালিকায় স্থানই হয়নি; কারণ, এদের আক্রমণে প্রাণ হারানো মানুষের সংখ্যা আদপে খুব একটি বেশি নয়। এ ক্ষেত্রে সবার ওপরে থাকা প্রাণীটি মোটেই এমন বিশাল কিছু নয়। সে হলো আমাদের অতি পরিচিত পুঁচকে মশা। এখন তাহলে কোন প্রাণীর কারণে কেমনসংখ্যক মানুষ মারা যায়, তা জেনে নেওয়া যাক। তবে আমরা তালিকাটি করেছি উল্টো দিক থেকে।
সিংহ
অনেকের হয়তো ধারণা ছিল, তালিকায় একেবারে ওপরের দিকে থাকবে আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ ও ভারতের জঙ্গলে বিচরণ করা প্রাণীটি। বিশেষ করে এর গর্জন শুনলে যে কারও অন্তরাত্মা কেঁপে উঠতে বাধ্য। সাভোর মানুষখেকোসহ কুখ্যাত কিছু মানুষখেকো সিংহের কথা শোনা গেলেও সিংহের আক্রমণে মানুষ মারা যাওয়ার সংখ্যা খুব বেশি নয়। বিবিসি সায়েন্স ফোকাসের হিসেবে বছরে সংখ্যাটি ২০০-এর আশপাশে। কোনো কোনো সূত্রের দাবি, সংখ্যাটি আরও অনেক কম।
এদের নখ খুব ধারালো। কামড়ে হাড় চূর্ণবিচূর্ণ করে ফেলা থেকে শুরু করে খুলি গুঁড়িয়ে দেওয়া সম্ভব। সাধারণত ছোট দলে ভাগ হয়ে শিকার করে এরা। কোনো দলের কাছাকাছি চলে গেলে আক্রমণ করতে পারে। সঙ্গে বাচ্চা থাকলে এরা খুব বিপজ্জনক হয়ে ওঠে।
জলহস্তী
জলহস্তীর আক্রমণে প্রতিবছর মারা যাওয়া মানুষের সংখ্যাটা একেবারে কম নয়, শ পাঁচেক মানুষকে প্রাণ হারাতে হয় এদের হাতে। একেকটি পুরুষ জলহস্তীর ওজন হতে পারে ১৫০০ কেজি। প্রায় আধা মিটার লম্বা ধারালো শ্বদন্তের একটি কামড়ে একজন মানুষের শরীর দুই টুকরো হয়ে যেতে পারে। বলা হয় একটি জলহস্তীর কামড়ের শক্তি সিংহের কামড়ের তিন গুণ।
জলহস্তীর এলাকায় কোনো মানুষ চলে এলে আক্রমণ করে বসা এদের জন্য খুব স্বাভাবিক। কখনো কখনো অন্য কোনো প্রাণী ভেবে নৌকা আক্রমণ ও উল্টে দেওয়ার অভ্যাস আছে এদের।
হাতি
হাতির আক্রমণে মৃত্যু হওয়া মানুষের সংখ্যা ৫০০ থেকে ৬০০। পা দিয়ে মাড়িয়ে, শুঁড় দিয়ে পেঁচিয়ে আছাড় মেরে কিংবা দাঁত দিয়ে খুঁচিয়ে মানুষ মারার রেকর্ড আছে হাতিদের। তেমনি মানুষের কারণে প্রাণ যায় হাতিদেরও। বুনো হাতির দেখা পাওয়া যায় আফ্রিকা ও এশিয়া মহাদেশের বিভিন্ন দেশে।
হাতি-মানুষ সংঘাতে দায় আছে মানুষেরও। হাতির বিচরণের জায়গাগুলোয় মানুষের বসতি ও চাষবাদের জন্য ব্যবহৃত হওয়ায় মানুষের সঙ্গে সংঘাত বাড়ছে এদের।
কুমির
প্রতিবছর কুমিরের আক্রমণে মারা যাওয়া মানুষের সংখ্যা নেহাতই কম নয়, হাজারের মতো। এদের দাঁতগুলোই জানিয়ে দেয়, কতটা বিপজ্জনক হতে পারে সরীসৃপটি। নীল ক্রোকোডাইলের কামড়কে ধরা হয় পৃথিবীর তাবৎ প্রাণীর মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী কামড় হিসেবে। তেমনি লোনাপানির কুমিরের কামড়ও প্রচণ্ড শক্তিশালী।
এসকারিস রাউন্ডওয়র্ম
এই গুবরে পোকারা সরাসরি মানুষ মারে না। তবে বহু মানুষের মৃত্যুর জন্য এরাই দায়ী। এটি অন্য প্রাণীর দেহে বাস করে তার ক্ষতি করে। কোনো মানুষ দুর্ঘটনাবশত তাদের ডিম খেয়ে ফেললে মানুষের শরীরের প্রবেশের সুযোগ পায়। এটি মানুষের শরীরের খাদ্যনালির নিচের অংশে অবস্থান করে খাবার খায় এবং নতুন প্রাণীর জন্ম দেয়। এতে যে রোগের সৃষ্টি হয়, তার নাম এসকারিয়াসিস। এই রোগে প্রতিবছর প্রায় আড়াই হাজার মানুষ মারা যান।
মাকড়সা
লেজ দিয়ে হুল ফুটিয়ে শিকারের শরীরে বিষ ঢুকিয়ে দেয় মাকড়সারা। অবশ্য এদের সবাই এমন ক্ষতিকর নয়। ২৬০০ প্রজাতির মাকড়সার মধ্যে কেবল ২৫ জাতের মাকড়সা মানুষকে মারার মতো বিষ থাকে। এদের মধ্যে সবচেয়ে ভয়ংকর বলা চলে ডেথস্টকারকে। উত্তর আমেরিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের মরু এলাকায় মৃত্যুর বার্তাবাহী এই হলুদ প্রাণীর দেখা মেলে। এদের শরীরে যে পরিমাণ বিষ থাকে, তা শিশু, বৃদ্ধ কিংবা শারীরিক জটিলতায় ভোগা মানুষদের মারার জন্য যথেষ্ট। প্রাপ্তবয়স্ক একজন মানুষও এদের হুলে মারা যেতে পারেন, তবে আশঙ্কা কম। মাকড়ার কামড়ে প্রতিবছর মারা যাওয়া মানুষের সংখ্যা ২৬০০ থেকে ৩৩০০।
গুপ্তঘাতক বাগ
অ্যাসাসিন বাগ বা গুপ্তঘাতক ছারপোকা ছাগাস রোগ ছড়ানোর জন্য দায়ী। রক্তচোষা এই কীট মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকায় বড় বিপদের কারণ। এ ধরনের পোকার কামড়ে কিংবা এদের দ্বারা সংক্রামিত কোনো খাবার খেলে এ রোগ হয়। প্যান আমেরিকান হেলথ অর্গানাইজেশনের দেওয়া তথ্যে জানা যায়, এ রোগে হার্ট, পরিপাকতন্ত্র ও স্নায়ুতন্ত্র আক্রান্ত হয়। ভয়ংকর ব্যাপার হলো, এ রোগ মাতৃগর্ভে মা থেকে শিশুর শরীরে সংক্রমিত হতে পারে। এ রোগে বছরে ১০ হাজারের মতো মানুষ মারা যান।
কুকুর
কুকুর মানুষের বড় বন্ধু হিসেবে পরিচিত। তবে এরা কখনো কখনো বড় শত্রুও হয়ে উঠতে পারে। সেটি র্যাবিস বা জলাতঙ্ক রোগ ছড়ানোর মাধ্যমে। এমনিতে সরাসরি কুকুরের আক্রমণে কারও মৃত্যুর খবর শোনা যায় না বললেই চলে, তবে কুকুরের কামড়ে হওয়া জলাতঙ্ক রোগে মারা যাওয়া মানুষের সংখ্যা কম নয়। সাধারণত এশিয়া ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে জলাতঙ্কজনিত মৃত্যুর হার বেশি। প্রতিবছর জলাতঙ্কে মৃত্যুর সংখ্যা ৫৯ হাজারের মতো।
ওয়ার্ল্ড হেথ অর্গানাইজেশনের দেওয়া তথ্যে জানা যায়, জলাতঙ্কের কারণে যত মানুষ মারা যান, তার বেশির ভাগই কুকুরের কারণে। মোট জলাতঙ্ক রোগের ৯৯ শতাংশ হয় কুকুরের কামড়ে।
সাপ
এই বিষধর সরীসৃপদের প্রতি ইন্ডিয়ানা জোনসের যে ভীতি ছিল, তা একেবারে অমূলক নয়। বিপজ্জনক সব সাপ আছে পৃথিবীর নানা প্রান্তে। বিভিন্নভাবে সাপের আক্রমণে মারা যেতে পারে মানুষ। উদাহরণ হিসেবে ব্ল্যাক মামবা এক কামড়ে শরীরে দুই ফোঁটা বিষ ঢুকিয়ে মারতে পারে মানুষকে, আবার খুব বড় আকারের অজগরের পক্ষে এমনকি প্রাপ্তবয়স্ক মানুষকে পর্যন্ত গিলে ফেলা সম্ভব। বছরে সাপের আক্রমণে মৃত্যু হওয়া মানুষের সংখ্যা ১ লাখ ৩৮ হাজার। এদের বেশির ভাগ মারা যায় বিষধর সাপের কামড়ে।
স্বাদুপানির শামুক
সিসটোসোমায়োসিস সিসটোসোমা ধরনের পরজীবী কৃমি দ্বারা সৃষ্টি রোগ। এটি স্নেইল ফিভাব নামেও পরিচিত। এটি মূত্রনালি অথবা অন্ত্রগুলোকে আক্রান্ত করতে পারে। পেটে ব্যথা, ডায়রিয়া, রক্ত পায়খানা অথবা মূত্রে রক্ত চিহ্ন অথবা উপসর্গ হিসেবে দেখা দিতে পারে। দীর্ঘ সময় ধরে সংক্রমিতরা যকৃতের ক্ষতি, কিডনি অকার্যকর, বন্ধ্যত্ব, মূত্রাশয় ক্যানসারে আক্রান্ত হতে পারে। সংক্রমিত মিঠাপানির শামুক দ্বারা এই পরজীবীগুলো ছড়ায়। ওয়ার্ল্ড হেথ অর্গানাইজেশনের দেওয়া তথ্যে জানা যায়, প্রতিবছর দুই লাখ মানুষ এর আক্রমণে মারা যায়।
মশা
মশাকে কারও পছন্দ করার কারণ নেই। মশা নানা ধরনের রোগ ছড়ায়, এটাও সত্যি। তবে আমরা যেটা কল্পনাও করতে পারি না, কোনো প্রাণী যদি আমাদের জন্য সবচেয়ে ক্ষতিকর হয়, সেটি মশা। খুদে এই উড়ুক্কু প্রাণী বছরজুড়ে সাড়ে সাত লাখ মানুষের মৃত্যুর জন্য দায়ী। আর এই মৃত্যুগুলোর বড় একটি অংশ আসে ম্যালেরিয়ার কারণে। এটির প্রভাব সবচেয়ে বেশি আফ্রিকায়। পৃথিবীর মোট ম্যালেরিয়া সংক্রমণের ৯৫ শতাংশ ও মৃত্যুর ৯৬ শতাংশ আফ্রিকায়। আরও যেসব বড় রোগের বাহক ছোট্ট এই প্রাণী, এর মধ্যে আছে ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, জিকা, ওয়েস্ট নাইল ভাইরাস ইত্যাদি। তবে সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে বড় বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ডেঙ্গু। এ বছর ইতিমধ্যে এডিস মশার কারণে সৃষ্টি হওয়া ডেঙ্গু জ্বরে বাংলাদেশে মারা যাওয়া মানুষের সংখ্যা ১০০-তে পৌঁছেছে।
সূত্র: বিবিসি সায়েন্স ফোকাস, বিবিসি ওয়াইল্ডলাইফ ম্যাগাজিন

আচ্ছা, কোন প্রাণীর আক্রমণে কিংবা এর কারণে সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা যায়, বলুন তো? আপনি নিশ্চয় সিংহ, কুমির, বাঘ, হাতি, সাপ কিংবা বাঘের কথা ভেবে বসে আছেন। স্বাভাবিক; কারণ, এদের আক্রমণে কেউ মারা গেলে আমাদের চোখে পড়ে বেশি। যেমন শেরপুর-জামালপুর অঞ্চলে হাতির আক্রমণে মানুষ মারা যাওয়ার খবর আসছে (অবশ্য হাতিরও প্রাণ যাচ্ছে)। হলিউডের সিনেমাগুলোতেও আমরা বড় শত্রু হিসেবে দেখি হাঙর কিংবা অ্যানাকোন্ডার মতো প্রাণীগুলোকে।
কিন্তু শুনে অবাক হবেন, আপাতদৃষ্টে যাদের ভয়ংকর প্রাণী হিসেবে ভাবি আমরা, এদের অনেকগুলোর অবস্থান তালিকার নিচের দিকেই। আবার বাঘ কিংবা হাঙরের এই তালিকায় স্থানই হয়নি; কারণ, এদের আক্রমণে প্রাণ হারানো মানুষের সংখ্যা আদপে খুব একটি বেশি নয়। এ ক্ষেত্রে সবার ওপরে থাকা প্রাণীটি মোটেই এমন বিশাল কিছু নয়। সে হলো আমাদের অতি পরিচিত পুঁচকে মশা। এখন তাহলে কোন প্রাণীর কারণে কেমনসংখ্যক মানুষ মারা যায়, তা জেনে নেওয়া যাক। তবে আমরা তালিকাটি করেছি উল্টো দিক থেকে।
সিংহ
অনেকের হয়তো ধারণা ছিল, তালিকায় একেবারে ওপরের দিকে থাকবে আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ ও ভারতের জঙ্গলে বিচরণ করা প্রাণীটি। বিশেষ করে এর গর্জন শুনলে যে কারও অন্তরাত্মা কেঁপে উঠতে বাধ্য। সাভোর মানুষখেকোসহ কুখ্যাত কিছু মানুষখেকো সিংহের কথা শোনা গেলেও সিংহের আক্রমণে মানুষ মারা যাওয়ার সংখ্যা খুব বেশি নয়। বিবিসি সায়েন্স ফোকাসের হিসেবে বছরে সংখ্যাটি ২০০-এর আশপাশে। কোনো কোনো সূত্রের দাবি, সংখ্যাটি আরও অনেক কম।
এদের নখ খুব ধারালো। কামড়ে হাড় চূর্ণবিচূর্ণ করে ফেলা থেকে শুরু করে খুলি গুঁড়িয়ে দেওয়া সম্ভব। সাধারণত ছোট দলে ভাগ হয়ে শিকার করে এরা। কোনো দলের কাছাকাছি চলে গেলে আক্রমণ করতে পারে। সঙ্গে বাচ্চা থাকলে এরা খুব বিপজ্জনক হয়ে ওঠে।
জলহস্তী
জলহস্তীর আক্রমণে প্রতিবছর মারা যাওয়া মানুষের সংখ্যাটা একেবারে কম নয়, শ পাঁচেক মানুষকে প্রাণ হারাতে হয় এদের হাতে। একেকটি পুরুষ জলহস্তীর ওজন হতে পারে ১৫০০ কেজি। প্রায় আধা মিটার লম্বা ধারালো শ্বদন্তের একটি কামড়ে একজন মানুষের শরীর দুই টুকরো হয়ে যেতে পারে। বলা হয় একটি জলহস্তীর কামড়ের শক্তি সিংহের কামড়ের তিন গুণ।
জলহস্তীর এলাকায় কোনো মানুষ চলে এলে আক্রমণ করে বসা এদের জন্য খুব স্বাভাবিক। কখনো কখনো অন্য কোনো প্রাণী ভেবে নৌকা আক্রমণ ও উল্টে দেওয়ার অভ্যাস আছে এদের।
হাতি
হাতির আক্রমণে মৃত্যু হওয়া মানুষের সংখ্যা ৫০০ থেকে ৬০০। পা দিয়ে মাড়িয়ে, শুঁড় দিয়ে পেঁচিয়ে আছাড় মেরে কিংবা দাঁত দিয়ে খুঁচিয়ে মানুষ মারার রেকর্ড আছে হাতিদের। তেমনি মানুষের কারণে প্রাণ যায় হাতিদেরও। বুনো হাতির দেখা পাওয়া যায় আফ্রিকা ও এশিয়া মহাদেশের বিভিন্ন দেশে।
হাতি-মানুষ সংঘাতে দায় আছে মানুষেরও। হাতির বিচরণের জায়গাগুলোয় মানুষের বসতি ও চাষবাদের জন্য ব্যবহৃত হওয়ায় মানুষের সঙ্গে সংঘাত বাড়ছে এদের।
কুমির
প্রতিবছর কুমিরের আক্রমণে মারা যাওয়া মানুষের সংখ্যা নেহাতই কম নয়, হাজারের মতো। এদের দাঁতগুলোই জানিয়ে দেয়, কতটা বিপজ্জনক হতে পারে সরীসৃপটি। নীল ক্রোকোডাইলের কামড়কে ধরা হয় পৃথিবীর তাবৎ প্রাণীর মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী কামড় হিসেবে। তেমনি লোনাপানির কুমিরের কামড়ও প্রচণ্ড শক্তিশালী।
এসকারিস রাউন্ডওয়র্ম
এই গুবরে পোকারা সরাসরি মানুষ মারে না। তবে বহু মানুষের মৃত্যুর জন্য এরাই দায়ী। এটি অন্য প্রাণীর দেহে বাস করে তার ক্ষতি করে। কোনো মানুষ দুর্ঘটনাবশত তাদের ডিম খেয়ে ফেললে মানুষের শরীরের প্রবেশের সুযোগ পায়। এটি মানুষের শরীরের খাদ্যনালির নিচের অংশে অবস্থান করে খাবার খায় এবং নতুন প্রাণীর জন্ম দেয়। এতে যে রোগের সৃষ্টি হয়, তার নাম এসকারিয়াসিস। এই রোগে প্রতিবছর প্রায় আড়াই হাজার মানুষ মারা যান।
মাকড়সা
লেজ দিয়ে হুল ফুটিয়ে শিকারের শরীরে বিষ ঢুকিয়ে দেয় মাকড়সারা। অবশ্য এদের সবাই এমন ক্ষতিকর নয়। ২৬০০ প্রজাতির মাকড়সার মধ্যে কেবল ২৫ জাতের মাকড়সা মানুষকে মারার মতো বিষ থাকে। এদের মধ্যে সবচেয়ে ভয়ংকর বলা চলে ডেথস্টকারকে। উত্তর আমেরিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের মরু এলাকায় মৃত্যুর বার্তাবাহী এই হলুদ প্রাণীর দেখা মেলে। এদের শরীরে যে পরিমাণ বিষ থাকে, তা শিশু, বৃদ্ধ কিংবা শারীরিক জটিলতায় ভোগা মানুষদের মারার জন্য যথেষ্ট। প্রাপ্তবয়স্ক একজন মানুষও এদের হুলে মারা যেতে পারেন, তবে আশঙ্কা কম। মাকড়ার কামড়ে প্রতিবছর মারা যাওয়া মানুষের সংখ্যা ২৬০০ থেকে ৩৩০০।
গুপ্তঘাতক বাগ
অ্যাসাসিন বাগ বা গুপ্তঘাতক ছারপোকা ছাগাস রোগ ছড়ানোর জন্য দায়ী। রক্তচোষা এই কীট মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকায় বড় বিপদের কারণ। এ ধরনের পোকার কামড়ে কিংবা এদের দ্বারা সংক্রামিত কোনো খাবার খেলে এ রোগ হয়। প্যান আমেরিকান হেলথ অর্গানাইজেশনের দেওয়া তথ্যে জানা যায়, এ রোগে হার্ট, পরিপাকতন্ত্র ও স্নায়ুতন্ত্র আক্রান্ত হয়। ভয়ংকর ব্যাপার হলো, এ রোগ মাতৃগর্ভে মা থেকে শিশুর শরীরে সংক্রমিত হতে পারে। এ রোগে বছরে ১০ হাজারের মতো মানুষ মারা যান।
কুকুর
কুকুর মানুষের বড় বন্ধু হিসেবে পরিচিত। তবে এরা কখনো কখনো বড় শত্রুও হয়ে উঠতে পারে। সেটি র্যাবিস বা জলাতঙ্ক রোগ ছড়ানোর মাধ্যমে। এমনিতে সরাসরি কুকুরের আক্রমণে কারও মৃত্যুর খবর শোনা যায় না বললেই চলে, তবে কুকুরের কামড়ে হওয়া জলাতঙ্ক রোগে মারা যাওয়া মানুষের সংখ্যা কম নয়। সাধারণত এশিয়া ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে জলাতঙ্কজনিত মৃত্যুর হার বেশি। প্রতিবছর জলাতঙ্কে মৃত্যুর সংখ্যা ৫৯ হাজারের মতো।
ওয়ার্ল্ড হেথ অর্গানাইজেশনের দেওয়া তথ্যে জানা যায়, জলাতঙ্কের কারণে যত মানুষ মারা যান, তার বেশির ভাগই কুকুরের কারণে। মোট জলাতঙ্ক রোগের ৯৯ শতাংশ হয় কুকুরের কামড়ে।
সাপ
এই বিষধর সরীসৃপদের প্রতি ইন্ডিয়ানা জোনসের যে ভীতি ছিল, তা একেবারে অমূলক নয়। বিপজ্জনক সব সাপ আছে পৃথিবীর নানা প্রান্তে। বিভিন্নভাবে সাপের আক্রমণে মারা যেতে পারে মানুষ। উদাহরণ হিসেবে ব্ল্যাক মামবা এক কামড়ে শরীরে দুই ফোঁটা বিষ ঢুকিয়ে মারতে পারে মানুষকে, আবার খুব বড় আকারের অজগরের পক্ষে এমনকি প্রাপ্তবয়স্ক মানুষকে পর্যন্ত গিলে ফেলা সম্ভব। বছরে সাপের আক্রমণে মৃত্যু হওয়া মানুষের সংখ্যা ১ লাখ ৩৮ হাজার। এদের বেশির ভাগ মারা যায় বিষধর সাপের কামড়ে।
স্বাদুপানির শামুক
সিসটোসোমায়োসিস সিসটোসোমা ধরনের পরজীবী কৃমি দ্বারা সৃষ্টি রোগ। এটি স্নেইল ফিভাব নামেও পরিচিত। এটি মূত্রনালি অথবা অন্ত্রগুলোকে আক্রান্ত করতে পারে। পেটে ব্যথা, ডায়রিয়া, রক্ত পায়খানা অথবা মূত্রে রক্ত চিহ্ন অথবা উপসর্গ হিসেবে দেখা দিতে পারে। দীর্ঘ সময় ধরে সংক্রমিতরা যকৃতের ক্ষতি, কিডনি অকার্যকর, বন্ধ্যত্ব, মূত্রাশয় ক্যানসারে আক্রান্ত হতে পারে। সংক্রমিত মিঠাপানির শামুক দ্বারা এই পরজীবীগুলো ছড়ায়। ওয়ার্ল্ড হেথ অর্গানাইজেশনের দেওয়া তথ্যে জানা যায়, প্রতিবছর দুই লাখ মানুষ এর আক্রমণে মারা যায়।
মশা
মশাকে কারও পছন্দ করার কারণ নেই। মশা নানা ধরনের রোগ ছড়ায়, এটাও সত্যি। তবে আমরা যেটা কল্পনাও করতে পারি না, কোনো প্রাণী যদি আমাদের জন্য সবচেয়ে ক্ষতিকর হয়, সেটি মশা। খুদে এই উড়ুক্কু প্রাণী বছরজুড়ে সাড়ে সাত লাখ মানুষের মৃত্যুর জন্য দায়ী। আর এই মৃত্যুগুলোর বড় একটি অংশ আসে ম্যালেরিয়ার কারণে। এটির প্রভাব সবচেয়ে বেশি আফ্রিকায়। পৃথিবীর মোট ম্যালেরিয়া সংক্রমণের ৯৫ শতাংশ ও মৃত্যুর ৯৬ শতাংশ আফ্রিকায়। আরও যেসব বড় রোগের বাহক ছোট্ট এই প্রাণী, এর মধ্যে আছে ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, জিকা, ওয়েস্ট নাইল ভাইরাস ইত্যাদি। তবে সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে বড় বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ডেঙ্গু। এ বছর ইতিমধ্যে এডিস মশার কারণে সৃষ্টি হওয়া ডেঙ্গু জ্বরে বাংলাদেশে মারা যাওয়া মানুষের সংখ্যা ১০০-তে পৌঁছেছে।
সূত্র: বিবিসি সায়েন্স ফোকাস, বিবিসি ওয়াইল্ডলাইফ ম্যাগাজিন

এক চুরির ঘটনায় রীতিমতো হইচই পড়ে গেল নিউজিল্যান্ডে। এক ব্যক্তি একটি বহুমূল্য হীরকখচিত লকেট চুরি করতে গিয়ে তা গিলে ফেলেন। তবে অবশেষে সেই লকেটটি ‘স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায়’ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশের পক্ষ থেকে বিবিসিকে জানানো হয়েছে, লকেটটি উদ্ধার করতে ‘মেডিকেল হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হয়নি’।
৬ ঘণ্টা আগে
এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, গত শুক্রবার বিকেলে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলে পারট্রিজ জুয়েলার্সে পুলিশ ডাকা হলে ৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।
২ দিন আগে
১৫ বছর বয়সে জর্জিয়া এমন কিছু জানতে পারেন, যা কোনো অল্প বয়সী মেয়ে আশা করে না। তিনি জরায়ু ছাড়াই জন্মগ্রহণ করেছেন এবং কোনো দিন সন্তান ধারণ করতে পারবেন না।
৭ দিন আগে
জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ২০৫০ সালের মধ্যে বন্য বিড়াল বা মালিকহীন বিড়াল নির্মূলের ঘোষণা দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। দেশটির সংরক্ষণমন্ত্রী তামা পোতাকা গত শুক্রবার এই ঘোষণা দেন।
৮ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

এক চুরির ঘটনায় রীতিমতো হইচই পড়ে গেল নিউজিল্যান্ডে। এক ব্যক্তি একটি বহুমূল্য হীরকখচিত লকেট চুরি করতে গিয়ে তা গিলে ফেলেন। তবে অবশেষে সেই লকেটটি ‘স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায়’ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশের পক্ষ থেকে বিবিসিকে জানানো হয়েছে, লকেটটি উদ্ধার করতে ‘মেডিকেল হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হয়নি’।
৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত প্যারট্রিজ জুয়েলার্সের দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযোগ, লকেটটি গিলে ফেলার কয়েক মিনিটের মধ্যেই তাঁকে ধরা হয়। চুরির প্রায় এক সপ্তাহ পরে এই মূল্যবান জিনিসটি উদ্ধার করা সম্ভব হলো।
ফেবার্গে এগ-এর আদলে তৈরি এই লকেটটির মূল্য ৩৩ হাজার ৫৮৫ নিউজিল্যান্ড ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ২৩ লাখ টাকার বেশি)। জুয়েলারের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, গিলে ফেলা এই লকেটটিতে ৬০টি সাদা হিরা এবং ১৫টি নীলকান্তমণি বসানো রয়েছে। লকেটটি খুললে এর ভেতরে ১৮ ক্যারেট সোনার তৈরি একটি ছোট অক্টোপাস দেখা যায়। এই কারণে লকেটটির নাম দেওয়া হয়েছিল ‘অক্টোপাস ডিম’। ১৯৮৩ সালের জেমস বন্ড ছবি ‘অক্টোপাসি’ থেকে অনুপ্রাণিত।
চুরি করার পর থেকেই পুলিশ ওই ব্যক্তিকে নিজেদের হেফাজতে রেখে লাগাতার নজরদারি চালাচ্ছিল। নিউজিল্যান্ড পুলিশ এর আগে জানিয়েছিল, যেহেতু এই ব্যক্তি পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন, তাই যা ঘটেছে তার পরিপ্রেক্ষিতে তাকে পর্যবেক্ষণ করা আমাদের কর্তব্য।
ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ আনা হয়েছে এবং আগামী ৮ ডিসেম্বর তাঁকে ফের আদালতে হাজির হওয়ার কথা রয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুধু এই লকেট চুরিই নয়, ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে আরও বেশ কিছু অভিযোগ রয়েছে। ১২ নভেম্বর একই জুয়েলারি দোকান থেকে একটি আইপ্যাড চুরি করেছিলেন তিনি। এর একদিন পরে একটি ব্যক্তিগত ঠিকানা থেকে ১০০ নিউজিল্যান্ড ডলার মূল্যের বিড়ালের লিটার এবং ফ্লি কন্ট্রোল (মাছি নিয়ন্ত্রণ) পণ্য চুরি করেন।
প্যারট্রিজ জুয়েলার্স জানিয়েছে, উদ্ধার হওয়া এই বিরল ফেবার্গে লকেটটি নির্মাতাদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হবে।

এক চুরির ঘটনায় রীতিমতো হইচই পড়ে গেল নিউজিল্যান্ডে। এক ব্যক্তি একটি বহুমূল্য হীরকখচিত লকেট চুরি করতে গিয়ে তা গিলে ফেলেন। তবে অবশেষে সেই লকেটটি ‘স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায়’ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশের পক্ষ থেকে বিবিসিকে জানানো হয়েছে, লকেটটি উদ্ধার করতে ‘মেডিকেল হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হয়নি’।
৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত প্যারট্রিজ জুয়েলার্সের দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযোগ, লকেটটি গিলে ফেলার কয়েক মিনিটের মধ্যেই তাঁকে ধরা হয়। চুরির প্রায় এক সপ্তাহ পরে এই মূল্যবান জিনিসটি উদ্ধার করা সম্ভব হলো।
ফেবার্গে এগ-এর আদলে তৈরি এই লকেটটির মূল্য ৩৩ হাজার ৫৮৫ নিউজিল্যান্ড ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ২৩ লাখ টাকার বেশি)। জুয়েলারের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, গিলে ফেলা এই লকেটটিতে ৬০টি সাদা হিরা এবং ১৫টি নীলকান্তমণি বসানো রয়েছে। লকেটটি খুললে এর ভেতরে ১৮ ক্যারেট সোনার তৈরি একটি ছোট অক্টোপাস দেখা যায়। এই কারণে লকেটটির নাম দেওয়া হয়েছিল ‘অক্টোপাস ডিম’। ১৯৮৩ সালের জেমস বন্ড ছবি ‘অক্টোপাসি’ থেকে অনুপ্রাণিত।
চুরি করার পর থেকেই পুলিশ ওই ব্যক্তিকে নিজেদের হেফাজতে রেখে লাগাতার নজরদারি চালাচ্ছিল। নিউজিল্যান্ড পুলিশ এর আগে জানিয়েছিল, যেহেতু এই ব্যক্তি পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন, তাই যা ঘটেছে তার পরিপ্রেক্ষিতে তাকে পর্যবেক্ষণ করা আমাদের কর্তব্য।
ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ আনা হয়েছে এবং আগামী ৮ ডিসেম্বর তাঁকে ফের আদালতে হাজির হওয়ার কথা রয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুধু এই লকেট চুরিই নয়, ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে আরও বেশ কিছু অভিযোগ রয়েছে। ১২ নভেম্বর একই জুয়েলারি দোকান থেকে একটি আইপ্যাড চুরি করেছিলেন তিনি। এর একদিন পরে একটি ব্যক্তিগত ঠিকানা থেকে ১০০ নিউজিল্যান্ড ডলার মূল্যের বিড়ালের লিটার এবং ফ্লি কন্ট্রোল (মাছি নিয়ন্ত্রণ) পণ্য চুরি করেন।
প্যারট্রিজ জুয়েলার্স জানিয়েছে, উদ্ধার হওয়া এই বিরল ফেবার্গে লকেটটি নির্মাতাদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হবে।

আচ্ছা, কোন প্রাণীর আক্রমণে কিংবা এর কারণে সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা যায়, বলুন তো? আপনি নিশ্চয় সিংহ, কুমির, হাতি, হাঙর কিংবা বাঘের কথা ভেবে বসে আছেন। কিন্তু শুনে অবাক হবেন, তালিকায় সবার ওপরে থাকা প্রাণীটি মোটেই এমন বিশাল কিছু নয়। সে হলো আমাদের অতি পরিচিত পুঁচকে মশা।
১৬ জুলাই ২০২৩
এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, গত শুক্রবার বিকেলে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলে পারট্রিজ জুয়েলার্সে পুলিশ ডাকা হলে ৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।
২ দিন আগে
১৫ বছর বয়সে জর্জিয়া এমন কিছু জানতে পারেন, যা কোনো অল্প বয়সী মেয়ে আশা করে না। তিনি জরায়ু ছাড়াই জন্মগ্রহণ করেছেন এবং কোনো দিন সন্তান ধারণ করতে পারবেন না।
৭ দিন আগে
জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ২০৫০ সালের মধ্যে বন্য বিড়াল বা মালিকহীন বিড়াল নির্মূলের ঘোষণা দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। দেশটির সংরক্ষণমন্ত্রী তামা পোতাকা গত শুক্রবার এই ঘোষণা দেন।
৮ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

নিউজিল্যান্ডে এক ব্যক্তি হীরাখচিত লকেট চুরি করেছেন এমন এক উপায়ে, যা শুনলে সিনেমার দৃশ্যই মনে হয়। দোকানদারেরা টের পাওয়ার আগেই তিনি লকেটটি গিলে ফেলেন। পরে পুলিশ এসে তাঁকে হাতেনাতে ধরে ফেলে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে পুলিশ জানিয়েছে, গিলে ফেলা ফ্যাবারজে এগ লকেট, যার মূল্য ৩৩ হাজার ৫৮৫ নিউজিল্যান্ড ডলার (১৯ হাজার ৩০০ মার্কিন ডলার) এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, গত শুক্রবার বিকেলে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলে পারট্রিজ জুয়েলার্সে পুলিশ ডাকা হলে ৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।
জুয়েলারির ওয়েবসাইট অনুযায়ী, যে ফ্যাবারজে এগ চুরি করা হয়েছে, তাতে রয়েছে ৬০টি সাদা হীরা এবং ১৫টি নীল নীলা। ডিমটি খুললে দেখা যায়, ভেতরে ১৮ ক্যারেট সোনার একটি ছোট্ট অক্টোপাস।
ডিমটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘অক্টোপাসি এগ’, যা ১৯৮৩ সালের একই নামের জেমস বন্ড চলচ্চিত্র থেকে অনুপ্রাণিত; যার কাহিনির কেন্দ্রে রয়েছে এক জটিল ফ্যাবারজে এগ চুরির ঘটনা।
ফ্যাবারজে দুই শতাব্দীর বেশি আগে রাশিয়ায় প্রতিষ্ঠিত এক বিশ্বখ্যাত জুয়েলারি ব্র্যান্ড, যা রত্ন ও মূল্যবান ধাতু দিয়ে তৈরি ডিম-আকৃতির শিল্পকর্মের জন্য পরিচিত।
বিবিসি জানিয়েছে, ৮ ডিসেম্বর আদালতে হাজির হওয়ার কথা রয়েছে অভিযুক্ত ব্যক্তির। তিনি গত ১২ নভেম্বর একই জুয়েলারি দোকান থেকে একটি আইপ্যাড চুরির অভিযোগেও অভিযুক্ত। পরদিন ১০০ নিউজিল্যান্ড ডলার মূল্যের বিড়ালের বর্জ্য পরিষ্কারের সামগ্রী ও পিঁপড়া নিয়ন্ত্রণের পণ্য চুরির অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।

নিউজিল্যান্ডে এক ব্যক্তি হীরাখচিত লকেট চুরি করেছেন এমন এক উপায়ে, যা শুনলে সিনেমার দৃশ্যই মনে হয়। দোকানদারেরা টের পাওয়ার আগেই তিনি লকেটটি গিলে ফেলেন। পরে পুলিশ এসে তাঁকে হাতেনাতে ধরে ফেলে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে পুলিশ জানিয়েছে, গিলে ফেলা ফ্যাবারজে এগ লকেট, যার মূল্য ৩৩ হাজার ৫৮৫ নিউজিল্যান্ড ডলার (১৯ হাজার ৩০০ মার্কিন ডলার) এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, গত শুক্রবার বিকেলে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলে পারট্রিজ জুয়েলার্সে পুলিশ ডাকা হলে ৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।
জুয়েলারির ওয়েবসাইট অনুযায়ী, যে ফ্যাবারজে এগ চুরি করা হয়েছে, তাতে রয়েছে ৬০টি সাদা হীরা এবং ১৫টি নীল নীলা। ডিমটি খুললে দেখা যায়, ভেতরে ১৮ ক্যারেট সোনার একটি ছোট্ট অক্টোপাস।
ডিমটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘অক্টোপাসি এগ’, যা ১৯৮৩ সালের একই নামের জেমস বন্ড চলচ্চিত্র থেকে অনুপ্রাণিত; যার কাহিনির কেন্দ্রে রয়েছে এক জটিল ফ্যাবারজে এগ চুরির ঘটনা।
ফ্যাবারজে দুই শতাব্দীর বেশি আগে রাশিয়ায় প্রতিষ্ঠিত এক বিশ্বখ্যাত জুয়েলারি ব্র্যান্ড, যা রত্ন ও মূল্যবান ধাতু দিয়ে তৈরি ডিম-আকৃতির শিল্পকর্মের জন্য পরিচিত।
বিবিসি জানিয়েছে, ৮ ডিসেম্বর আদালতে হাজির হওয়ার কথা রয়েছে অভিযুক্ত ব্যক্তির। তিনি গত ১২ নভেম্বর একই জুয়েলারি দোকান থেকে একটি আইপ্যাড চুরির অভিযোগেও অভিযুক্ত। পরদিন ১০০ নিউজিল্যান্ড ডলার মূল্যের বিড়ালের বর্জ্য পরিষ্কারের সামগ্রী ও পিঁপড়া নিয়ন্ত্রণের পণ্য চুরির অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।

আচ্ছা, কোন প্রাণীর আক্রমণে কিংবা এর কারণে সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা যায়, বলুন তো? আপনি নিশ্চয় সিংহ, কুমির, হাতি, হাঙর কিংবা বাঘের কথা ভেবে বসে আছেন। কিন্তু শুনে অবাক হবেন, তালিকায় সবার ওপরে থাকা প্রাণীটি মোটেই এমন বিশাল কিছু নয়। সে হলো আমাদের অতি পরিচিত পুঁচকে মশা।
১৬ জুলাই ২০২৩
এক চুরির ঘটনায় রীতিমতো হইচই পড়ে গেল নিউজিল্যান্ডে। এক ব্যক্তি একটি বহুমূল্য হীরকখচিত লকেট চুরি করতে গিয়ে তা গিলে ফেলেন। তবে অবশেষে সেই লকেটটি ‘স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায়’ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশের পক্ষ থেকে বিবিসিকে জানানো হয়েছে, লকেটটি উদ্ধার করতে ‘মেডিকেল হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হয়নি’।
৬ ঘণ্টা আগে
১৫ বছর বয়সে জর্জিয়া এমন কিছু জানতে পারেন, যা কোনো অল্প বয়সী মেয়ে আশা করে না। তিনি জরায়ু ছাড়াই জন্মগ্রহণ করেছেন এবং কোনো দিন সন্তান ধারণ করতে পারবেন না।
৭ দিন আগে
জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ২০৫০ সালের মধ্যে বন্য বিড়াল বা মালিকহীন বিড়াল নির্মূলের ঘোষণা দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। দেশটির সংরক্ষণমন্ত্রী তামা পোতাকা গত শুক্রবার এই ঘোষণা দেন।
৮ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সদ্য মা হয়েছেন জর্জিয়া ব্যারিংটন। কিন্তু মেয়ে ওটিলিকে তিনি জন্ম দেননি। জন্ম দিয়েছেন তাঁর প্রিয় বন্ধু ডেইজি হোপ; যিনি কিশোর বয়সে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রাখতে জর্জিয়ার হয়ে সন্তানের জন্ম দেন।
দুই বন্ধু ছোটবেলা থেকেই অবিচ্ছেদ্য। তাঁরা নিজেদের ‘সোল সিস্টার্স’ বলে ডাকেন। একসঙ্গে বড় হয়েছেন। তাঁদের বাবারাও ঘনিষ্ঠ বন্ধু।
শৈশবের সেই বন্ধনই একদিন হয়ে ওঠে জীবন বদলে দেওয়া উদারতার ভিত্তি।
১৫ বছর বয়সে জর্জিয়া এমন কিছু জানতে পারেন, যা কোনো অল্প বয়সী মেয়ে আশা করে না। তিনি জরায়ু ছাড়াই জন্মগ্রহণ করেছেন এবং কোনো দিন সন্তান ধারণ করতে পারবেন না।
মেয়ার-রোকিটানস্কি-কুস্টার-হাউসার সিনড্রোম বিরল এক জন্মগত রোগ, যা প্রতি ৫ হাজার নারীর মধ্যে একজনের ক্ষেত্রে দেখা যায়। জর্জিয়ার মনে হয়েছিল, একমুহূর্তে তাঁর ভবিষ্যৎটা যেন বদলে গেল।
১৫ বছর বয়সকালের সেই ঘটনা মনে করে জর্জিয়া বলেন, ‘আমার গোটা পৃথিবীই ভেঙে পড়েছিল। আমি সব সময় ভেবে বড় হয়েছি, আমি একজন মা হব আর সেটা আমার কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হলো। আমি যা কিছু স্বপ্ন দেখেছিলাম, সবই শেষ হয়ে গেল।’
সে সময় ডেইজি খুব মাতৃত্বপ্রবণ ছিলেন না। কিন্তু তিনি বন্ধুর রোগ নির্ণয়ের কথা এখনো স্পষ্ট মনে করতে পারেন। তাঁর কাছে ‘অন্যায়’ মনে হয়েছিল—যে বন্ধু মাতৃত্বের স্বপ্ন দেখতেন, তিনি কিনা মা হতে পারবেন না!
এমা বার্নেটের সঙ্গে ‘রেডি টু টক’ অনুষ্ঠানে ডেইজি বলেন, ‘আমি তাঁকে ভরসা দিতে চেয়েছিলাম, বোঝাতে চেয়েছিলাম—পৃথিবী শেষ হয়ে যায়নি। তাই বলেছিলাম, একদিন আমি তাঁর হয়ে সন্তান ধারণ করব। তখন হয়তো বুঝিনি কথাটার গভীরতা কতটা। কিন্তু ভেতরে ভেতরে জানতাম, জর্জিয়ার জন্য আমি এটা করবই।’
১০ বছরের বেশি সময় পরে ডেইজি সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেন। ২০২৩ সালে দুই বন্ধু মিলে আইভিএফ প্রক্রিয়া শুরু করেন।
জর্জিয়া একজন ধাত্রী হিসেবে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। নিজেকে এমন এক জগতে নিমজ্জিত করেছিলেন, যে জগতে তিনি হয়তো কোনো দিন অংশ নিতে পারবেন না বলে ভয় পেয়েছিলেন।
জর্জিয়া বলেন, ‘একবার আমাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, এটা কি আমার জন্য সঠিক পেশা? কিন্তু আসলে এটা আমাকে সেরে উঠতে সাহায্য করেছে। আর অন্তর থেকে জানতাম—কোনো না কোনোভাবে আমি মা হবই।’
কয়েক বছর পরে ডেইজি তাঁর প্রথম সন্তানের জন্ম দেন। আর সেই প্রসবে ধাত্রী ছিলেন জর্জিয়াই।
ডেইজি বলেন, ‘আমার সন্তানের প্রতি যে ভালোবাসা অনুভব করেছি, তা ছিল অসাধারণ। তখন মনে হয়েছিল, প্রত্যেকেরই তো এই অনুভূতি পাওয়ার অধিকার আছে।’
তথ্যসূত্র: বিবিসি

সদ্য মা হয়েছেন জর্জিয়া ব্যারিংটন। কিন্তু মেয়ে ওটিলিকে তিনি জন্ম দেননি। জন্ম দিয়েছেন তাঁর প্রিয় বন্ধু ডেইজি হোপ; যিনি কিশোর বয়সে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রাখতে জর্জিয়ার হয়ে সন্তানের জন্ম দেন।
দুই বন্ধু ছোটবেলা থেকেই অবিচ্ছেদ্য। তাঁরা নিজেদের ‘সোল সিস্টার্স’ বলে ডাকেন। একসঙ্গে বড় হয়েছেন। তাঁদের বাবারাও ঘনিষ্ঠ বন্ধু।
শৈশবের সেই বন্ধনই একদিন হয়ে ওঠে জীবন বদলে দেওয়া উদারতার ভিত্তি।
১৫ বছর বয়সে জর্জিয়া এমন কিছু জানতে পারেন, যা কোনো অল্প বয়সী মেয়ে আশা করে না। তিনি জরায়ু ছাড়াই জন্মগ্রহণ করেছেন এবং কোনো দিন সন্তান ধারণ করতে পারবেন না।
মেয়ার-রোকিটানস্কি-কুস্টার-হাউসার সিনড্রোম বিরল এক জন্মগত রোগ, যা প্রতি ৫ হাজার নারীর মধ্যে একজনের ক্ষেত্রে দেখা যায়। জর্জিয়ার মনে হয়েছিল, একমুহূর্তে তাঁর ভবিষ্যৎটা যেন বদলে গেল।
১৫ বছর বয়সকালের সেই ঘটনা মনে করে জর্জিয়া বলেন, ‘আমার গোটা পৃথিবীই ভেঙে পড়েছিল। আমি সব সময় ভেবে বড় হয়েছি, আমি একজন মা হব আর সেটা আমার কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হলো। আমি যা কিছু স্বপ্ন দেখেছিলাম, সবই শেষ হয়ে গেল।’
সে সময় ডেইজি খুব মাতৃত্বপ্রবণ ছিলেন না। কিন্তু তিনি বন্ধুর রোগ নির্ণয়ের কথা এখনো স্পষ্ট মনে করতে পারেন। তাঁর কাছে ‘অন্যায়’ মনে হয়েছিল—যে বন্ধু মাতৃত্বের স্বপ্ন দেখতেন, তিনি কিনা মা হতে পারবেন না!
এমা বার্নেটের সঙ্গে ‘রেডি টু টক’ অনুষ্ঠানে ডেইজি বলেন, ‘আমি তাঁকে ভরসা দিতে চেয়েছিলাম, বোঝাতে চেয়েছিলাম—পৃথিবী শেষ হয়ে যায়নি। তাই বলেছিলাম, একদিন আমি তাঁর হয়ে সন্তান ধারণ করব। তখন হয়তো বুঝিনি কথাটার গভীরতা কতটা। কিন্তু ভেতরে ভেতরে জানতাম, জর্জিয়ার জন্য আমি এটা করবই।’
১০ বছরের বেশি সময় পরে ডেইজি সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেন। ২০২৩ সালে দুই বন্ধু মিলে আইভিএফ প্রক্রিয়া শুরু করেন।
জর্জিয়া একজন ধাত্রী হিসেবে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। নিজেকে এমন এক জগতে নিমজ্জিত করেছিলেন, যে জগতে তিনি হয়তো কোনো দিন অংশ নিতে পারবেন না বলে ভয় পেয়েছিলেন।
জর্জিয়া বলেন, ‘একবার আমাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, এটা কি আমার জন্য সঠিক পেশা? কিন্তু আসলে এটা আমাকে সেরে উঠতে সাহায্য করেছে। আর অন্তর থেকে জানতাম—কোনো না কোনোভাবে আমি মা হবই।’
কয়েক বছর পরে ডেইজি তাঁর প্রথম সন্তানের জন্ম দেন। আর সেই প্রসবে ধাত্রী ছিলেন জর্জিয়াই।
ডেইজি বলেন, ‘আমার সন্তানের প্রতি যে ভালোবাসা অনুভব করেছি, তা ছিল অসাধারণ। তখন মনে হয়েছিল, প্রত্যেকেরই তো এই অনুভূতি পাওয়ার অধিকার আছে।’
তথ্যসূত্র: বিবিসি

আচ্ছা, কোন প্রাণীর আক্রমণে কিংবা এর কারণে সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা যায়, বলুন তো? আপনি নিশ্চয় সিংহ, কুমির, হাতি, হাঙর কিংবা বাঘের কথা ভেবে বসে আছেন। কিন্তু শুনে অবাক হবেন, তালিকায় সবার ওপরে থাকা প্রাণীটি মোটেই এমন বিশাল কিছু নয়। সে হলো আমাদের অতি পরিচিত পুঁচকে মশা।
১৬ জুলাই ২০২৩
এক চুরির ঘটনায় রীতিমতো হইচই পড়ে গেল নিউজিল্যান্ডে। এক ব্যক্তি একটি বহুমূল্য হীরকখচিত লকেট চুরি করতে গিয়ে তা গিলে ফেলেন। তবে অবশেষে সেই লকেটটি ‘স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায়’ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশের পক্ষ থেকে বিবিসিকে জানানো হয়েছে, লকেটটি উদ্ধার করতে ‘মেডিকেল হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হয়নি’।
৬ ঘণ্টা আগে
এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, গত শুক্রবার বিকেলে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলে পারট্রিজ জুয়েলার্সে পুলিশ ডাকা হলে ৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।
২ দিন আগে
জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ২০৫০ সালের মধ্যে বন্য বিড়াল বা মালিকহীন বিড়াল নির্মূলের ঘোষণা দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। দেশটির সংরক্ষণমন্ত্রী তামা পোতাকা গত শুক্রবার এই ঘোষণা দেন।
৮ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ২০৫০ সালের মধ্যে বন্য বিড়াল বা মালিকহীন বিড়াল নির্মূলের ঘোষণা দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। দেশটির সংরক্ষণমন্ত্রী তামা পোতাকা গত শুক্রবার এই ঘোষণা দেন।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এবার বন্য বিড়ালকে নিউজিল্যান্ডের বিশ্বস্বীকৃত ‘প্রিডেটর-ফ্রি ২০৫০’ তালিকায় যুক্ত করা হয়েছে। এই তালিকায় কিছু শিকারি প্রাণীকে যুক্ত করা হয়েছে, যেগুলো জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকিস্বরূপ। ২০১৬ সালে এই উদ্যোগ চালু হওয়ার পর প্রথমবার কোনো নতুন শিকারিকে এ তালিকায় যুক্ত করা হলো।
দীর্ঘদিন ধরেই নিউজিল্যান্ডের বিভিন্ন এলাকায় বন্য বিড়াল ধরা ও মেরে ফেলা হচ্ছিল। তবে তালিকায় যুক্ত হওয়ায় এবার তাদের বিরুদ্ধে সমন্বিত জাতীয় পর্যায়ের অভিযানে নামবে সরকার—যার মধ্যে থাকবে বৃহৎ আকারের নির্মূল কর্মসূচি ও বিশেষ গবেষণা। এ বিষয়ে বিস্তারিত পরিকল্পনা প্রকাশ করা হবে ২০২৬ সালের মার্চ মাসে।
নিউজিল্যান্ডের বনভূমি ও উপকূলীয় দ্বীপগুলোতে বর্তমানে ২৫ লাখেরও বেশি বন্য বিড়াল ও মালিকহীন বিড়ালের বিচরণ। লেজসহ এসব বিড়ালের দৈর্ঘ্য এক মিটার এবং ওজন প্রায় সাত কেজি পর্যন্ত হতে পারে। এসব বন্য বিড়াল দেশটির দুর্লভ প্রাণিজগৎ ধ্বংসের মূল কারণগুলোর একটি হয়ে উঠেছে।
রাকিউরা স্টুয়ার্ট দ্বীপে এই বিড়াল পুকুনুই বা সাউদার্ন ডটারেল প্রজাতি নামে একধরনের পাখিকে প্রায় বিলুপ্তির মুখে ঠেলে দিয়েছে। মাউন্ট রুয়াপেহু এলাকায় তারা প্রতি সপ্তাহে প্রায় ১০০ বাদুড় শিকার করায় সে প্রজাতিও হুমকিতে।
রেডিও নিউজিল্যান্ডকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সংরক্ষণমন্ত্রী পোতাকা বন্য বিড়ালকে আখ্যা দেন ‘স্টোন-কোল্ড কিলার’ বা নির্দয় শিকারি হিসেবে। তিনি বলেন, ‘জীববৈচিত্র্য রক্ষা, বনভূমির সৌন্দর্য বজায় রাখা এবং আমাদের কাঙ্ক্ষিত পরিবেশ নিশ্চিত করতে হলে এসব হত্যাকারীকে সরিয়ে ফেলতেই হবে।’
বন্য বিড়ালকে তালিকায় যুক্ত করা নিয়ে বহু বছর ধরে প্রচারণা চললেও অতীতে বিষয়টি নিয়ে প্রবল জনমত-বিরোধিতা দেখা গেছে। পরিবেশবিদ গ্যারেথ মরগান ২০১৩ সালে ‘ক্যাটস টু গো’ প্রচারণা শুরু করলে দেশজুড়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়। তবে এবার সংরক্ষণ বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, খসড়া কৌশল নিয়ে জনমতের ৯০ শতাংশই বন্য বিড়াল নির্মূল করার পক্ষে মত দিয়েছে।
এদিকে, গৃহপালিত বিড়াল এ তালিকায় না থাকলেও সেগুলোও দেশটির জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকি বলে মনে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, গৃহপালিত প্রাণী হিসেবে বিড়াল পালনের দিক থেকে নিউজিল্যান্ড বিশ্বের শীর্ষ দেশগুলোর একটি।

জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ২০৫০ সালের মধ্যে বন্য বিড়াল বা মালিকহীন বিড়াল নির্মূলের ঘোষণা দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। দেশটির সংরক্ষণমন্ত্রী তামা পোতাকা গত শুক্রবার এই ঘোষণা দেন।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এবার বন্য বিড়ালকে নিউজিল্যান্ডের বিশ্বস্বীকৃত ‘প্রিডেটর-ফ্রি ২০৫০’ তালিকায় যুক্ত করা হয়েছে। এই তালিকায় কিছু শিকারি প্রাণীকে যুক্ত করা হয়েছে, যেগুলো জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকিস্বরূপ। ২০১৬ সালে এই উদ্যোগ চালু হওয়ার পর প্রথমবার কোনো নতুন শিকারিকে এ তালিকায় যুক্ত করা হলো।
দীর্ঘদিন ধরেই নিউজিল্যান্ডের বিভিন্ন এলাকায় বন্য বিড়াল ধরা ও মেরে ফেলা হচ্ছিল। তবে তালিকায় যুক্ত হওয়ায় এবার তাদের বিরুদ্ধে সমন্বিত জাতীয় পর্যায়ের অভিযানে নামবে সরকার—যার মধ্যে থাকবে বৃহৎ আকারের নির্মূল কর্মসূচি ও বিশেষ গবেষণা। এ বিষয়ে বিস্তারিত পরিকল্পনা প্রকাশ করা হবে ২০২৬ সালের মার্চ মাসে।
নিউজিল্যান্ডের বনভূমি ও উপকূলীয় দ্বীপগুলোতে বর্তমানে ২৫ লাখেরও বেশি বন্য বিড়াল ও মালিকহীন বিড়ালের বিচরণ। লেজসহ এসব বিড়ালের দৈর্ঘ্য এক মিটার এবং ওজন প্রায় সাত কেজি পর্যন্ত হতে পারে। এসব বন্য বিড়াল দেশটির দুর্লভ প্রাণিজগৎ ধ্বংসের মূল কারণগুলোর একটি হয়ে উঠেছে।
রাকিউরা স্টুয়ার্ট দ্বীপে এই বিড়াল পুকুনুই বা সাউদার্ন ডটারেল প্রজাতি নামে একধরনের পাখিকে প্রায় বিলুপ্তির মুখে ঠেলে দিয়েছে। মাউন্ট রুয়াপেহু এলাকায় তারা প্রতি সপ্তাহে প্রায় ১০০ বাদুড় শিকার করায় সে প্রজাতিও হুমকিতে।
রেডিও নিউজিল্যান্ডকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সংরক্ষণমন্ত্রী পোতাকা বন্য বিড়ালকে আখ্যা দেন ‘স্টোন-কোল্ড কিলার’ বা নির্দয় শিকারি হিসেবে। তিনি বলেন, ‘জীববৈচিত্র্য রক্ষা, বনভূমির সৌন্দর্য বজায় রাখা এবং আমাদের কাঙ্ক্ষিত পরিবেশ নিশ্চিত করতে হলে এসব হত্যাকারীকে সরিয়ে ফেলতেই হবে।’
বন্য বিড়ালকে তালিকায় যুক্ত করা নিয়ে বহু বছর ধরে প্রচারণা চললেও অতীতে বিষয়টি নিয়ে প্রবল জনমত-বিরোধিতা দেখা গেছে। পরিবেশবিদ গ্যারেথ মরগান ২০১৩ সালে ‘ক্যাটস টু গো’ প্রচারণা শুরু করলে দেশজুড়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়। তবে এবার সংরক্ষণ বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, খসড়া কৌশল নিয়ে জনমতের ৯০ শতাংশই বন্য বিড়াল নির্মূল করার পক্ষে মত দিয়েছে।
এদিকে, গৃহপালিত বিড়াল এ তালিকায় না থাকলেও সেগুলোও দেশটির জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকি বলে মনে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, গৃহপালিত প্রাণী হিসেবে বিড়াল পালনের দিক থেকে নিউজিল্যান্ড বিশ্বের শীর্ষ দেশগুলোর একটি।

আচ্ছা, কোন প্রাণীর আক্রমণে কিংবা এর কারণে সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা যায়, বলুন তো? আপনি নিশ্চয় সিংহ, কুমির, হাতি, হাঙর কিংবা বাঘের কথা ভেবে বসে আছেন। কিন্তু শুনে অবাক হবেন, তালিকায় সবার ওপরে থাকা প্রাণীটি মোটেই এমন বিশাল কিছু নয়। সে হলো আমাদের অতি পরিচিত পুঁচকে মশা।
১৬ জুলাই ২০২৩
এক চুরির ঘটনায় রীতিমতো হইচই পড়ে গেল নিউজিল্যান্ডে। এক ব্যক্তি একটি বহুমূল্য হীরকখচিত লকেট চুরি করতে গিয়ে তা গিলে ফেলেন। তবে অবশেষে সেই লকেটটি ‘স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায়’ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশের পক্ষ থেকে বিবিসিকে জানানো হয়েছে, লকেটটি উদ্ধার করতে ‘মেডিকেল হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হয়নি’।
৬ ঘণ্টা আগে
এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, গত শুক্রবার বিকেলে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলে পারট্রিজ জুয়েলার্সে পুলিশ ডাকা হলে ৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।
২ দিন আগে
১৫ বছর বয়সে জর্জিয়া এমন কিছু জানতে পারেন, যা কোনো অল্প বয়সী মেয়ে আশা করে না। তিনি জরায়ু ছাড়াই জন্মগ্রহণ করেছেন এবং কোনো দিন সন্তান ধারণ করতে পারবেন না।
৭ দিন আগে