আজকের পত্রিকা ডেস্ক

সময়টা ১৮৫৯ সালের ১৭ সেপ্টেম্বরের সকাল। এক সুসজ্জিত ব্যক্তি সান ফ্রান্সিসকোর ‘দ্য সান ফ্রান্সিসকো ইভনিং বুলেটিনের’ কার্যালয়ে প্রবেশ করে একটি ঘোষণাপত্র জমা দেন, যেখানে নিজেকে ‘যুক্তরাষ্ট্রের সম্রাট’ বলে ঘোষণা করেন। ওই ব্যক্তি ছিলেন জোশুয়া নর্টন। দক্ষিণ আফ্রিকায় জন্মগ্রহণ করলেও নর্টন সান ফ্রান্সিসকোর বাসিন্দা ছিলেন। বেশ কয়েকবার ব্যবসায়িক ব্যর্থতা ও আর্থিক বিপর্যয়ের পর তিনি নিজেকে নতুনভাবে সমাজের সামনে তুলে ধরেন এবং ‘যুক্তরাষ্ট্রের সম্রাট, প্রথম নর্টন’ উপাধি গ্রহণ করেন।
নর্টন ১৮১৮ সালে দক্ষিণ-পূর্ব লন্ডনের ডেপটফোর্ডে জন্মগ্রহণ করেন। ১৮২০ সালে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক পুনর্বাসনের অংশ হিসেবে তিনি পরিবারের সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকায় চলে যান। তাঁর বাবা ছিলেন এক সাধারণ সফল কৃষক ও ব্যবসায়ী। ২৭ বছর বয়সে নর্টন যুক্তরাষ্ট্র চলে আসেন এবং ১৮৪৯ সালে ‘ক্যালিফোর্নিয়া গোল্ড রাশ’ চলাকালে সান ফ্রান্সিসকোয় পৌঁছান। সেখানে তিনি একজন ব্যবসায়ী ও রিয়েল এস্টেট দালাল হিসেবে অল্প সময়েই সফল হন এবং সান ফ্রান্সিসকোর ধনী ব্যবসায়ীদের সঙ্গে জীবনযাপন করেন। তবে, ১৮৫২ সালে চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে তাঁর প্রচেষ্টা ব্যর্থ। সে সময় নিম্নমানের চালে শহর প্লাবিত হয়ে গিয়েছিল। দীর্ঘ আইনি লড়াই ও সুপ্রিম কোর্টের রায়ও তাঁর বিরুদ্ধে যাওয়ার পর এবং নর্টন ১৮৫৬ সালে নিজকে দেউলিয়া ঘোষণা করেন এবং সবকিছু হারান।
কিছু সময়ের জন্য নর্টন জনজীবন থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেন। কিন্তু ১৮৫৯ সালে তিনি নিজেকে সম্রাট ঘোষণা করে পুনরায় আবির্ভূত হন। তাঁর এই দাবি সম্পূর্ণ প্রতীকী ছিল এবং এর কোনো আইনি ভিত্তি ছিল না। তবুও সান ফ্রান্সিসকোবাসী তাদের নতুন ‘সম্রাটকে’ ব্যাপক হাস্যরস ও আন্তরিকতার সঙ্গেই গ্রহণ করে। নীল রঙের ইউনিফর্ম, কাঁধে পিতলের প্রতীক এবং বীভার হ্যাট পরা নর্টন মানবাধিকার থেকে শুরু করে অবকাঠামো পর্যন্ত বিভিন্ন বিষয়ে ৪০০ টিরও বেশি ঘোষণা জারি করেন।
এর মধ্যে বেশ কয়েকটি ছিল হাস্যকর—যেমন আইস স্কেটিং রিঙ্কে তাঁকে স্কেট দিতে অস্বীকার করায় তাঁর ক্ষোভ। আবার কিছু ছিল লক্ষণীয়ভাবে প্রগতিশীল। তিনি আফ্রিকান আমেরিকান, আদিবাসী আমেরিকান, নারী এবং বিশেষ করে চীনা অভিবাসীদের অধিকারের পক্ষে কথা বলতেন। কারণ, সে সময় এসব জনগোষ্ঠীর লোকজন ক্যালিফোর্নিয়ায় ব্যাপক বৈষম্যের শিকার হতেন। নর্টন আইনের চোখে তাদের সমান অধিকার দাবি করেন এবং বর্ণবাদী সহিংসতার নিন্দা করেন।

তাঁর সবচেয়ে স্থায়ী উত্তরাধিকার সম্ভবত সান ফ্রান্সিসকো ও ওকল্যান্ডের মধ্যে একটি সেতু নির্মাণে তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি। ১৮৭২ সালে তিনটি পৃথক ঘোষণায় নর্টন একটি রেলওয়ে প্রস্তাবের বিরোধিতা করে ওকল্যান্ড পয়েন্ট থেকে গোট আইল্যান্ডের (বর্তমান ইয়েরবা বুয়েনা আইল্যান্ড) মাধ্যমে টেলিগ্রাফ হিল পর্যন্ত একটি সাসপেনশন সেতুর পক্ষে মত দেন। এই ধারণাটি শেষ পর্যন্ত বাস্তব রূপ পায় ১৯৩৬ সালে সান ফ্রান্সিসকো-ওকল্যান্ড বে ব্রিজ নির্মাণের মাধ্যমে। এই সেতু নির্মাণের ক্ষেত্রে নর্টনের প্রস্তাবিত পথ প্রায় হুবহু অনুসরণ করা হয়েছিল।
কোনো আনুষ্ঠানিক ক্ষমতা না থাকা সত্ত্বেও নর্টন ভালোবাসা ও শ্রদ্ধার পাত্র ছিলেন। দোকানদাররা তাঁর জারি করা ‘প্রমিসরি নোট’ গ্রহণ করত, ব্যাংকগুলো তাঁর নামাঙ্কিত মুদ্রা তৈরি করত এবং স্থানীয়রা তাঁকে বিনা মূল্যে খাবার ও থাকার জায়গা দিত। তিনি সান ফ্রান্সিসকোর প্রাণবন্ত সাংস্কৃতিক দৃশ্যের এক প্রিয় খেয়ালি ব্যক্তিত্বে পরিণত হন।
নর্টনের ঘোষণাগুলো প্রায়শই সংবাদপত্রে ছাপা হলেও সবগুলি আসল ছিল না। কিছু সম্পাদক প্রচার সংখ্যা বাড়াতে বা রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে ব্যঙ্গ করতে নকল ঘোষণা তৈরি করতেন। নর্টন এটি জানতেন এবং প্রায়শই নকল ঘোষণার নিন্দা করতেন। এমনকি ১৮৭০ সালে তিনি ‘দ্য প্যাসিফিক আপিল’ নামে আফ্রিকান আমেরিকান নাগরিক অধিকার বিষয়ক সংবাদমাধ্যমকে তাঁর সরকারি মুখপত্র হিসেবে ঘোষণা করেন।
জোশুয়া নর্টনের সাম্রাজ্য প্রায় ২০ বছর স্থায়ী ছিল। ১৮৮০ সালের ৮ই জানুয়ারি ৬১ বছর বয়সে সান ফ্রান্সিসকোর একটি রাস্তায় পড়ে গিয়ে তিনি মারা যান। যদিও তিনি প্রায় কপর্দকশূন্য অবস্থায় মারা যান, তাঁর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া ছিল জাঁকজমকপূর্ণ। আনুমানিক ১০ হাজার মানুষ শ্রদ্ধা জানাতে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়েছিল এবং তাকে একটি রোজউড কফিনে করে সমাহিত করা হয়। ধনী-গরিব নির্বিশেষে সবাই তাঁর স্মৃতিকে সম্মান জানান।
সম্রাট নর্টনের গল্প আজও। মার্ক টোয়েন এবং রবার্ট লুই স্টিভেনসনের মতো সাহিত্যিক ব্যক্তিত্বরা তাঁকে তাদের সাহিত্যে অমর করে রেখেছেন। বেশ কয়েকটি সংগঠন তখন থেকে তাঁকে তাদের পৃষ্ঠপোষক সাধু হিসেবে ঘোষণা করে। বে ব্রিজের একটি অংশের নাম তার নামে করার জন্য স্থানীয় প্রচেষ্টা এখনো চলছে।

সময়টা ১৮৫৯ সালের ১৭ সেপ্টেম্বরের সকাল। এক সুসজ্জিত ব্যক্তি সান ফ্রান্সিসকোর ‘দ্য সান ফ্রান্সিসকো ইভনিং বুলেটিনের’ কার্যালয়ে প্রবেশ করে একটি ঘোষণাপত্র জমা দেন, যেখানে নিজেকে ‘যুক্তরাষ্ট্রের সম্রাট’ বলে ঘোষণা করেন। ওই ব্যক্তি ছিলেন জোশুয়া নর্টন। দক্ষিণ আফ্রিকায় জন্মগ্রহণ করলেও নর্টন সান ফ্রান্সিসকোর বাসিন্দা ছিলেন। বেশ কয়েকবার ব্যবসায়িক ব্যর্থতা ও আর্থিক বিপর্যয়ের পর তিনি নিজেকে নতুনভাবে সমাজের সামনে তুলে ধরেন এবং ‘যুক্তরাষ্ট্রের সম্রাট, প্রথম নর্টন’ উপাধি গ্রহণ করেন।
নর্টন ১৮১৮ সালে দক্ষিণ-পূর্ব লন্ডনের ডেপটফোর্ডে জন্মগ্রহণ করেন। ১৮২০ সালে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক পুনর্বাসনের অংশ হিসেবে তিনি পরিবারের সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকায় চলে যান। তাঁর বাবা ছিলেন এক সাধারণ সফল কৃষক ও ব্যবসায়ী। ২৭ বছর বয়সে নর্টন যুক্তরাষ্ট্র চলে আসেন এবং ১৮৪৯ সালে ‘ক্যালিফোর্নিয়া গোল্ড রাশ’ চলাকালে সান ফ্রান্সিসকোয় পৌঁছান। সেখানে তিনি একজন ব্যবসায়ী ও রিয়েল এস্টেট দালাল হিসেবে অল্প সময়েই সফল হন এবং সান ফ্রান্সিসকোর ধনী ব্যবসায়ীদের সঙ্গে জীবনযাপন করেন। তবে, ১৮৫২ সালে চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে তাঁর প্রচেষ্টা ব্যর্থ। সে সময় নিম্নমানের চালে শহর প্লাবিত হয়ে গিয়েছিল। দীর্ঘ আইনি লড়াই ও সুপ্রিম কোর্টের রায়ও তাঁর বিরুদ্ধে যাওয়ার পর এবং নর্টন ১৮৫৬ সালে নিজকে দেউলিয়া ঘোষণা করেন এবং সবকিছু হারান।
কিছু সময়ের জন্য নর্টন জনজীবন থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেন। কিন্তু ১৮৫৯ সালে তিনি নিজেকে সম্রাট ঘোষণা করে পুনরায় আবির্ভূত হন। তাঁর এই দাবি সম্পূর্ণ প্রতীকী ছিল এবং এর কোনো আইনি ভিত্তি ছিল না। তবুও সান ফ্রান্সিসকোবাসী তাদের নতুন ‘সম্রাটকে’ ব্যাপক হাস্যরস ও আন্তরিকতার সঙ্গেই গ্রহণ করে। নীল রঙের ইউনিফর্ম, কাঁধে পিতলের প্রতীক এবং বীভার হ্যাট পরা নর্টন মানবাধিকার থেকে শুরু করে অবকাঠামো পর্যন্ত বিভিন্ন বিষয়ে ৪০০ টিরও বেশি ঘোষণা জারি করেন।
এর মধ্যে বেশ কয়েকটি ছিল হাস্যকর—যেমন আইস স্কেটিং রিঙ্কে তাঁকে স্কেট দিতে অস্বীকার করায় তাঁর ক্ষোভ। আবার কিছু ছিল লক্ষণীয়ভাবে প্রগতিশীল। তিনি আফ্রিকান আমেরিকান, আদিবাসী আমেরিকান, নারী এবং বিশেষ করে চীনা অভিবাসীদের অধিকারের পক্ষে কথা বলতেন। কারণ, সে সময় এসব জনগোষ্ঠীর লোকজন ক্যালিফোর্নিয়ায় ব্যাপক বৈষম্যের শিকার হতেন। নর্টন আইনের চোখে তাদের সমান অধিকার দাবি করেন এবং বর্ণবাদী সহিংসতার নিন্দা করেন।

তাঁর সবচেয়ে স্থায়ী উত্তরাধিকার সম্ভবত সান ফ্রান্সিসকো ও ওকল্যান্ডের মধ্যে একটি সেতু নির্মাণে তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি। ১৮৭২ সালে তিনটি পৃথক ঘোষণায় নর্টন একটি রেলওয়ে প্রস্তাবের বিরোধিতা করে ওকল্যান্ড পয়েন্ট থেকে গোট আইল্যান্ডের (বর্তমান ইয়েরবা বুয়েনা আইল্যান্ড) মাধ্যমে টেলিগ্রাফ হিল পর্যন্ত একটি সাসপেনশন সেতুর পক্ষে মত দেন। এই ধারণাটি শেষ পর্যন্ত বাস্তব রূপ পায় ১৯৩৬ সালে সান ফ্রান্সিসকো-ওকল্যান্ড বে ব্রিজ নির্মাণের মাধ্যমে। এই সেতু নির্মাণের ক্ষেত্রে নর্টনের প্রস্তাবিত পথ প্রায় হুবহু অনুসরণ করা হয়েছিল।
কোনো আনুষ্ঠানিক ক্ষমতা না থাকা সত্ত্বেও নর্টন ভালোবাসা ও শ্রদ্ধার পাত্র ছিলেন। দোকানদাররা তাঁর জারি করা ‘প্রমিসরি নোট’ গ্রহণ করত, ব্যাংকগুলো তাঁর নামাঙ্কিত মুদ্রা তৈরি করত এবং স্থানীয়রা তাঁকে বিনা মূল্যে খাবার ও থাকার জায়গা দিত। তিনি সান ফ্রান্সিসকোর প্রাণবন্ত সাংস্কৃতিক দৃশ্যের এক প্রিয় খেয়ালি ব্যক্তিত্বে পরিণত হন।
নর্টনের ঘোষণাগুলো প্রায়শই সংবাদপত্রে ছাপা হলেও সবগুলি আসল ছিল না। কিছু সম্পাদক প্রচার সংখ্যা বাড়াতে বা রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে ব্যঙ্গ করতে নকল ঘোষণা তৈরি করতেন। নর্টন এটি জানতেন এবং প্রায়শই নকল ঘোষণার নিন্দা করতেন। এমনকি ১৮৭০ সালে তিনি ‘দ্য প্যাসিফিক আপিল’ নামে আফ্রিকান আমেরিকান নাগরিক অধিকার বিষয়ক সংবাদমাধ্যমকে তাঁর সরকারি মুখপত্র হিসেবে ঘোষণা করেন।
জোশুয়া নর্টনের সাম্রাজ্য প্রায় ২০ বছর স্থায়ী ছিল। ১৮৮০ সালের ৮ই জানুয়ারি ৬১ বছর বয়সে সান ফ্রান্সিসকোর একটি রাস্তায় পড়ে গিয়ে তিনি মারা যান। যদিও তিনি প্রায় কপর্দকশূন্য অবস্থায় মারা যান, তাঁর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া ছিল জাঁকজমকপূর্ণ। আনুমানিক ১০ হাজার মানুষ শ্রদ্ধা জানাতে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়েছিল এবং তাকে একটি রোজউড কফিনে করে সমাহিত করা হয়। ধনী-গরিব নির্বিশেষে সবাই তাঁর স্মৃতিকে সম্মান জানান।
সম্রাট নর্টনের গল্প আজও। মার্ক টোয়েন এবং রবার্ট লুই স্টিভেনসনের মতো সাহিত্যিক ব্যক্তিত্বরা তাঁকে তাদের সাহিত্যে অমর করে রেখেছেন। বেশ কয়েকটি সংগঠন তখন থেকে তাঁকে তাদের পৃষ্ঠপোষক সাধু হিসেবে ঘোষণা করে। বে ব্রিজের একটি অংশের নাম তার নামে করার জন্য স্থানীয় প্রচেষ্টা এখনো চলছে।
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

সময়টা ১৮৫৯ সালের ১৭ সেপ্টেম্বরের সকাল। এক সুসজ্জিত ব্যক্তি সান ফ্রান্সিসকোর ‘দ্য সান ফ্রান্সিসকো ইভনিং বুলেটিনের’ কার্যালয়ে প্রবেশ করে একটি ঘোষণাপত্র জমা দেন, যেখানে নিজেকে ‘যুক্তরাষ্ট্রের সম্রাট’ বলে ঘোষণা করেন। ওই ব্যক্তি ছিলেন জোশুয়া নর্টন। দক্ষিণ আফ্রিকায় জন্মগ্রহণ করলেও নর্টন সান ফ্রান্সিসকোর বাসিন্দা ছিলেন। বেশ কয়েকবার ব্যবসায়িক ব্যর্থতা ও আর্থিক বিপর্যয়ের পর তিনি নিজেকে নতুনভাবে সমাজের সামনে তুলে ধরেন এবং ‘যুক্তরাষ্ট্রের সম্রাট, প্রথম নর্টন’ উপাধি গ্রহণ করেন।
নর্টন ১৮১৮ সালে দক্ষিণ-পূর্ব লন্ডনের ডেপটফোর্ডে জন্মগ্রহণ করেন। ১৮২০ সালে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক পুনর্বাসনের অংশ হিসেবে তিনি পরিবারের সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকায় চলে যান। তাঁর বাবা ছিলেন এক সাধারণ সফল কৃষক ও ব্যবসায়ী। ২৭ বছর বয়সে নর্টন যুক্তরাষ্ট্র চলে আসেন এবং ১৮৪৯ সালে ‘ক্যালিফোর্নিয়া গোল্ড রাশ’ চলাকালে সান ফ্রান্সিসকোয় পৌঁছান। সেখানে তিনি একজন ব্যবসায়ী ও রিয়েল এস্টেট দালাল হিসেবে অল্প সময়েই সফল হন এবং সান ফ্রান্সিসকোর ধনী ব্যবসায়ীদের সঙ্গে জীবনযাপন করেন। তবে, ১৮৫২ সালে চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে তাঁর প্রচেষ্টা ব্যর্থ। সে সময় নিম্নমানের চালে শহর প্লাবিত হয়ে গিয়েছিল। দীর্ঘ আইনি লড়াই ও সুপ্রিম কোর্টের রায়ও তাঁর বিরুদ্ধে যাওয়ার পর এবং নর্টন ১৮৫৬ সালে নিজকে দেউলিয়া ঘোষণা করেন এবং সবকিছু হারান।
কিছু সময়ের জন্য নর্টন জনজীবন থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেন। কিন্তু ১৮৫৯ সালে তিনি নিজেকে সম্রাট ঘোষণা করে পুনরায় আবির্ভূত হন। তাঁর এই দাবি সম্পূর্ণ প্রতীকী ছিল এবং এর কোনো আইনি ভিত্তি ছিল না। তবুও সান ফ্রান্সিসকোবাসী তাদের নতুন ‘সম্রাটকে’ ব্যাপক হাস্যরস ও আন্তরিকতার সঙ্গেই গ্রহণ করে। নীল রঙের ইউনিফর্ম, কাঁধে পিতলের প্রতীক এবং বীভার হ্যাট পরা নর্টন মানবাধিকার থেকে শুরু করে অবকাঠামো পর্যন্ত বিভিন্ন বিষয়ে ৪০০ টিরও বেশি ঘোষণা জারি করেন।
এর মধ্যে বেশ কয়েকটি ছিল হাস্যকর—যেমন আইস স্কেটিং রিঙ্কে তাঁকে স্কেট দিতে অস্বীকার করায় তাঁর ক্ষোভ। আবার কিছু ছিল লক্ষণীয়ভাবে প্রগতিশীল। তিনি আফ্রিকান আমেরিকান, আদিবাসী আমেরিকান, নারী এবং বিশেষ করে চীনা অভিবাসীদের অধিকারের পক্ষে কথা বলতেন। কারণ, সে সময় এসব জনগোষ্ঠীর লোকজন ক্যালিফোর্নিয়ায় ব্যাপক বৈষম্যের শিকার হতেন। নর্টন আইনের চোখে তাদের সমান অধিকার দাবি করেন এবং বর্ণবাদী সহিংসতার নিন্দা করেন।

তাঁর সবচেয়ে স্থায়ী উত্তরাধিকার সম্ভবত সান ফ্রান্সিসকো ও ওকল্যান্ডের মধ্যে একটি সেতু নির্মাণে তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি। ১৮৭২ সালে তিনটি পৃথক ঘোষণায় নর্টন একটি রেলওয়ে প্রস্তাবের বিরোধিতা করে ওকল্যান্ড পয়েন্ট থেকে গোট আইল্যান্ডের (বর্তমান ইয়েরবা বুয়েনা আইল্যান্ড) মাধ্যমে টেলিগ্রাফ হিল পর্যন্ত একটি সাসপেনশন সেতুর পক্ষে মত দেন। এই ধারণাটি শেষ পর্যন্ত বাস্তব রূপ পায় ১৯৩৬ সালে সান ফ্রান্সিসকো-ওকল্যান্ড বে ব্রিজ নির্মাণের মাধ্যমে। এই সেতু নির্মাণের ক্ষেত্রে নর্টনের প্রস্তাবিত পথ প্রায় হুবহু অনুসরণ করা হয়েছিল।
কোনো আনুষ্ঠানিক ক্ষমতা না থাকা সত্ত্বেও নর্টন ভালোবাসা ও শ্রদ্ধার পাত্র ছিলেন। দোকানদাররা তাঁর জারি করা ‘প্রমিসরি নোট’ গ্রহণ করত, ব্যাংকগুলো তাঁর নামাঙ্কিত মুদ্রা তৈরি করত এবং স্থানীয়রা তাঁকে বিনা মূল্যে খাবার ও থাকার জায়গা দিত। তিনি সান ফ্রান্সিসকোর প্রাণবন্ত সাংস্কৃতিক দৃশ্যের এক প্রিয় খেয়ালি ব্যক্তিত্বে পরিণত হন।
নর্টনের ঘোষণাগুলো প্রায়শই সংবাদপত্রে ছাপা হলেও সবগুলি আসল ছিল না। কিছু সম্পাদক প্রচার সংখ্যা বাড়াতে বা রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে ব্যঙ্গ করতে নকল ঘোষণা তৈরি করতেন। নর্টন এটি জানতেন এবং প্রায়শই নকল ঘোষণার নিন্দা করতেন। এমনকি ১৮৭০ সালে তিনি ‘দ্য প্যাসিফিক আপিল’ নামে আফ্রিকান আমেরিকান নাগরিক অধিকার বিষয়ক সংবাদমাধ্যমকে তাঁর সরকারি মুখপত্র হিসেবে ঘোষণা করেন।
জোশুয়া নর্টনের সাম্রাজ্য প্রায় ২০ বছর স্থায়ী ছিল। ১৮৮০ সালের ৮ই জানুয়ারি ৬১ বছর বয়সে সান ফ্রান্সিসকোর একটি রাস্তায় পড়ে গিয়ে তিনি মারা যান। যদিও তিনি প্রায় কপর্দকশূন্য অবস্থায় মারা যান, তাঁর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া ছিল জাঁকজমকপূর্ণ। আনুমানিক ১০ হাজার মানুষ শ্রদ্ধা জানাতে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়েছিল এবং তাকে একটি রোজউড কফিনে করে সমাহিত করা হয়। ধনী-গরিব নির্বিশেষে সবাই তাঁর স্মৃতিকে সম্মান জানান।
সম্রাট নর্টনের গল্প আজও। মার্ক টোয়েন এবং রবার্ট লুই স্টিভেনসনের মতো সাহিত্যিক ব্যক্তিত্বরা তাঁকে তাদের সাহিত্যে অমর করে রেখেছেন। বেশ কয়েকটি সংগঠন তখন থেকে তাঁকে তাদের পৃষ্ঠপোষক সাধু হিসেবে ঘোষণা করে। বে ব্রিজের একটি অংশের নাম তার নামে করার জন্য স্থানীয় প্রচেষ্টা এখনো চলছে।

সময়টা ১৮৫৯ সালের ১৭ সেপ্টেম্বরের সকাল। এক সুসজ্জিত ব্যক্তি সান ফ্রান্সিসকোর ‘দ্য সান ফ্রান্সিসকো ইভনিং বুলেটিনের’ কার্যালয়ে প্রবেশ করে একটি ঘোষণাপত্র জমা দেন, যেখানে নিজেকে ‘যুক্তরাষ্ট্রের সম্রাট’ বলে ঘোষণা করেন। ওই ব্যক্তি ছিলেন জোশুয়া নর্টন। দক্ষিণ আফ্রিকায় জন্মগ্রহণ করলেও নর্টন সান ফ্রান্সিসকোর বাসিন্দা ছিলেন। বেশ কয়েকবার ব্যবসায়িক ব্যর্থতা ও আর্থিক বিপর্যয়ের পর তিনি নিজেকে নতুনভাবে সমাজের সামনে তুলে ধরেন এবং ‘যুক্তরাষ্ট্রের সম্রাট, প্রথম নর্টন’ উপাধি গ্রহণ করেন।
নর্টন ১৮১৮ সালে দক্ষিণ-পূর্ব লন্ডনের ডেপটফোর্ডে জন্মগ্রহণ করেন। ১৮২০ সালে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক পুনর্বাসনের অংশ হিসেবে তিনি পরিবারের সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকায় চলে যান। তাঁর বাবা ছিলেন এক সাধারণ সফল কৃষক ও ব্যবসায়ী। ২৭ বছর বয়সে নর্টন যুক্তরাষ্ট্র চলে আসেন এবং ১৮৪৯ সালে ‘ক্যালিফোর্নিয়া গোল্ড রাশ’ চলাকালে সান ফ্রান্সিসকোয় পৌঁছান। সেখানে তিনি একজন ব্যবসায়ী ও রিয়েল এস্টেট দালাল হিসেবে অল্প সময়েই সফল হন এবং সান ফ্রান্সিসকোর ধনী ব্যবসায়ীদের সঙ্গে জীবনযাপন করেন। তবে, ১৮৫২ সালে চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে তাঁর প্রচেষ্টা ব্যর্থ। সে সময় নিম্নমানের চালে শহর প্লাবিত হয়ে গিয়েছিল। দীর্ঘ আইনি লড়াই ও সুপ্রিম কোর্টের রায়ও তাঁর বিরুদ্ধে যাওয়ার পর এবং নর্টন ১৮৫৬ সালে নিজকে দেউলিয়া ঘোষণা করেন এবং সবকিছু হারান।
কিছু সময়ের জন্য নর্টন জনজীবন থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেন। কিন্তু ১৮৫৯ সালে তিনি নিজেকে সম্রাট ঘোষণা করে পুনরায় আবির্ভূত হন। তাঁর এই দাবি সম্পূর্ণ প্রতীকী ছিল এবং এর কোনো আইনি ভিত্তি ছিল না। তবুও সান ফ্রান্সিসকোবাসী তাদের নতুন ‘সম্রাটকে’ ব্যাপক হাস্যরস ও আন্তরিকতার সঙ্গেই গ্রহণ করে। নীল রঙের ইউনিফর্ম, কাঁধে পিতলের প্রতীক এবং বীভার হ্যাট পরা নর্টন মানবাধিকার থেকে শুরু করে অবকাঠামো পর্যন্ত বিভিন্ন বিষয়ে ৪০০ টিরও বেশি ঘোষণা জারি করেন।
এর মধ্যে বেশ কয়েকটি ছিল হাস্যকর—যেমন আইস স্কেটিং রিঙ্কে তাঁকে স্কেট দিতে অস্বীকার করায় তাঁর ক্ষোভ। আবার কিছু ছিল লক্ষণীয়ভাবে প্রগতিশীল। তিনি আফ্রিকান আমেরিকান, আদিবাসী আমেরিকান, নারী এবং বিশেষ করে চীনা অভিবাসীদের অধিকারের পক্ষে কথা বলতেন। কারণ, সে সময় এসব জনগোষ্ঠীর লোকজন ক্যালিফোর্নিয়ায় ব্যাপক বৈষম্যের শিকার হতেন। নর্টন আইনের চোখে তাদের সমান অধিকার দাবি করেন এবং বর্ণবাদী সহিংসতার নিন্দা করেন।

তাঁর সবচেয়ে স্থায়ী উত্তরাধিকার সম্ভবত সান ফ্রান্সিসকো ও ওকল্যান্ডের মধ্যে একটি সেতু নির্মাণে তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি। ১৮৭২ সালে তিনটি পৃথক ঘোষণায় নর্টন একটি রেলওয়ে প্রস্তাবের বিরোধিতা করে ওকল্যান্ড পয়েন্ট থেকে গোট আইল্যান্ডের (বর্তমান ইয়েরবা বুয়েনা আইল্যান্ড) মাধ্যমে টেলিগ্রাফ হিল পর্যন্ত একটি সাসপেনশন সেতুর পক্ষে মত দেন। এই ধারণাটি শেষ পর্যন্ত বাস্তব রূপ পায় ১৯৩৬ সালে সান ফ্রান্সিসকো-ওকল্যান্ড বে ব্রিজ নির্মাণের মাধ্যমে। এই সেতু নির্মাণের ক্ষেত্রে নর্টনের প্রস্তাবিত পথ প্রায় হুবহু অনুসরণ করা হয়েছিল।
কোনো আনুষ্ঠানিক ক্ষমতা না থাকা সত্ত্বেও নর্টন ভালোবাসা ও শ্রদ্ধার পাত্র ছিলেন। দোকানদাররা তাঁর জারি করা ‘প্রমিসরি নোট’ গ্রহণ করত, ব্যাংকগুলো তাঁর নামাঙ্কিত মুদ্রা তৈরি করত এবং স্থানীয়রা তাঁকে বিনা মূল্যে খাবার ও থাকার জায়গা দিত। তিনি সান ফ্রান্সিসকোর প্রাণবন্ত সাংস্কৃতিক দৃশ্যের এক প্রিয় খেয়ালি ব্যক্তিত্বে পরিণত হন।
নর্টনের ঘোষণাগুলো প্রায়শই সংবাদপত্রে ছাপা হলেও সবগুলি আসল ছিল না। কিছু সম্পাদক প্রচার সংখ্যা বাড়াতে বা রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে ব্যঙ্গ করতে নকল ঘোষণা তৈরি করতেন। নর্টন এটি জানতেন এবং প্রায়শই নকল ঘোষণার নিন্দা করতেন। এমনকি ১৮৭০ সালে তিনি ‘দ্য প্যাসিফিক আপিল’ নামে আফ্রিকান আমেরিকান নাগরিক অধিকার বিষয়ক সংবাদমাধ্যমকে তাঁর সরকারি মুখপত্র হিসেবে ঘোষণা করেন।
জোশুয়া নর্টনের সাম্রাজ্য প্রায় ২০ বছর স্থায়ী ছিল। ১৮৮০ সালের ৮ই জানুয়ারি ৬১ বছর বয়সে সান ফ্রান্সিসকোর একটি রাস্তায় পড়ে গিয়ে তিনি মারা যান। যদিও তিনি প্রায় কপর্দকশূন্য অবস্থায় মারা যান, তাঁর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া ছিল জাঁকজমকপূর্ণ। আনুমানিক ১০ হাজার মানুষ শ্রদ্ধা জানাতে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়েছিল এবং তাকে একটি রোজউড কফিনে করে সমাহিত করা হয়। ধনী-গরিব নির্বিশেষে সবাই তাঁর স্মৃতিকে সম্মান জানান।
সম্রাট নর্টনের গল্প আজও। মার্ক টোয়েন এবং রবার্ট লুই স্টিভেনসনের মতো সাহিত্যিক ব্যক্তিত্বরা তাঁকে তাদের সাহিত্যে অমর করে রেখেছেন। বেশ কয়েকটি সংগঠন তখন থেকে তাঁকে তাদের পৃষ্ঠপোষক সাধু হিসেবে ঘোষণা করে। বে ব্রিজের একটি অংশের নাম তার নামে করার জন্য স্থানীয় প্রচেষ্টা এখনো চলছে।

এক চুরির ঘটনায় রীতিমতো হইচই পড়ে গেল নিউজিল্যান্ডে। এক ব্যক্তি একটি বহুমূল্য হীরকখচিত লকেট চুরি করতে গিয়ে তা গিলে ফেলেন। তবে অবশেষে সেই লকেটটি ‘স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায়’ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশের পক্ষ থেকে বিবিসিকে জানানো হয়েছে, লকেটটি উদ্ধার করতে ‘মেডিকেল হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হয়নি’।
৬ ঘণ্টা আগে
এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, গত শুক্রবার বিকেলে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলে পারট্রিজ জুয়েলার্সে পুলিশ ডাকা হলে ৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।
২ দিন আগে
১৫ বছর বয়সে জর্জিয়া এমন কিছু জানতে পারেন, যা কোনো অল্প বয়সী মেয়ে আশা করে না। তিনি জরায়ু ছাড়াই জন্মগ্রহণ করেছেন এবং কোনো দিন সন্তান ধারণ করতে পারবেন না।
৭ দিন আগে
জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ২০৫০ সালের মধ্যে বন্য বিড়াল বা মালিকহীন বিড়াল নির্মূলের ঘোষণা দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। দেশটির সংরক্ষণমন্ত্রী তামা পোতাকা গত শুক্রবার এই ঘোষণা দেন।
৮ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

এক চুরির ঘটনায় রীতিমতো হইচই পড়ে গেল নিউজিল্যান্ডে। এক ব্যক্তি একটি বহুমূল্য হীরকখচিত লকেট চুরি করতে গিয়ে তা গিলে ফেলেন। তবে অবশেষে সেই লকেটটি ‘স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায়’ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশের পক্ষ থেকে বিবিসিকে জানানো হয়েছে, লকেটটি উদ্ধার করতে ‘মেডিকেল হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হয়নি’।
৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত প্যারট্রিজ জুয়েলার্সের দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযোগ, লকেটটি গিলে ফেলার কয়েক মিনিটের মধ্যেই তাঁকে ধরা হয়। চুরির প্রায় এক সপ্তাহ পরে এই মূল্যবান জিনিসটি উদ্ধার করা সম্ভব হলো।
ফেবার্গে এগ-এর আদলে তৈরি এই লকেটটির মূল্য ৩৩ হাজার ৫৮৫ নিউজিল্যান্ড ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ২৩ লাখ টাকার বেশি)। জুয়েলারের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, গিলে ফেলা এই লকেটটিতে ৬০টি সাদা হিরা এবং ১৫টি নীলকান্তমণি বসানো রয়েছে। লকেটটি খুললে এর ভেতরে ১৮ ক্যারেট সোনার তৈরি একটি ছোট অক্টোপাস দেখা যায়। এই কারণে লকেটটির নাম দেওয়া হয়েছিল ‘অক্টোপাস ডিম’। ১৯৮৩ সালের জেমস বন্ড ছবি ‘অক্টোপাসি’ থেকে অনুপ্রাণিত।
চুরি করার পর থেকেই পুলিশ ওই ব্যক্তিকে নিজেদের হেফাজতে রেখে লাগাতার নজরদারি চালাচ্ছিল। নিউজিল্যান্ড পুলিশ এর আগে জানিয়েছিল, যেহেতু এই ব্যক্তি পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন, তাই যা ঘটেছে তার পরিপ্রেক্ষিতে তাকে পর্যবেক্ষণ করা আমাদের কর্তব্য।
ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ আনা হয়েছে এবং আগামী ৮ ডিসেম্বর তাঁকে ফের আদালতে হাজির হওয়ার কথা রয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুধু এই লকেট চুরিই নয়, ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে আরও বেশ কিছু অভিযোগ রয়েছে। ১২ নভেম্বর একই জুয়েলারি দোকান থেকে একটি আইপ্যাড চুরি করেছিলেন তিনি। এর একদিন পরে একটি ব্যক্তিগত ঠিকানা থেকে ১০০ নিউজিল্যান্ড ডলার মূল্যের বিড়ালের লিটার এবং ফ্লি কন্ট্রোল (মাছি নিয়ন্ত্রণ) পণ্য চুরি করেন।
প্যারট্রিজ জুয়েলার্স জানিয়েছে, উদ্ধার হওয়া এই বিরল ফেবার্গে লকেটটি নির্মাতাদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হবে।

এক চুরির ঘটনায় রীতিমতো হইচই পড়ে গেল নিউজিল্যান্ডে। এক ব্যক্তি একটি বহুমূল্য হীরকখচিত লকেট চুরি করতে গিয়ে তা গিলে ফেলেন। তবে অবশেষে সেই লকেটটি ‘স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায়’ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশের পক্ষ থেকে বিবিসিকে জানানো হয়েছে, লকেটটি উদ্ধার করতে ‘মেডিকেল হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হয়নি’।
৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত প্যারট্রিজ জুয়েলার্সের দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযোগ, লকেটটি গিলে ফেলার কয়েক মিনিটের মধ্যেই তাঁকে ধরা হয়। চুরির প্রায় এক সপ্তাহ পরে এই মূল্যবান জিনিসটি উদ্ধার করা সম্ভব হলো।
ফেবার্গে এগ-এর আদলে তৈরি এই লকেটটির মূল্য ৩৩ হাজার ৫৮৫ নিউজিল্যান্ড ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ২৩ লাখ টাকার বেশি)। জুয়েলারের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, গিলে ফেলা এই লকেটটিতে ৬০টি সাদা হিরা এবং ১৫টি নীলকান্তমণি বসানো রয়েছে। লকেটটি খুললে এর ভেতরে ১৮ ক্যারেট সোনার তৈরি একটি ছোট অক্টোপাস দেখা যায়। এই কারণে লকেটটির নাম দেওয়া হয়েছিল ‘অক্টোপাস ডিম’। ১৯৮৩ সালের জেমস বন্ড ছবি ‘অক্টোপাসি’ থেকে অনুপ্রাণিত।
চুরি করার পর থেকেই পুলিশ ওই ব্যক্তিকে নিজেদের হেফাজতে রেখে লাগাতার নজরদারি চালাচ্ছিল। নিউজিল্যান্ড পুলিশ এর আগে জানিয়েছিল, যেহেতু এই ব্যক্তি পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন, তাই যা ঘটেছে তার পরিপ্রেক্ষিতে তাকে পর্যবেক্ষণ করা আমাদের কর্তব্য।
ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ আনা হয়েছে এবং আগামী ৮ ডিসেম্বর তাঁকে ফের আদালতে হাজির হওয়ার কথা রয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুধু এই লকেট চুরিই নয়, ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে আরও বেশ কিছু অভিযোগ রয়েছে। ১২ নভেম্বর একই জুয়েলারি দোকান থেকে একটি আইপ্যাড চুরি করেছিলেন তিনি। এর একদিন পরে একটি ব্যক্তিগত ঠিকানা থেকে ১০০ নিউজিল্যান্ড ডলার মূল্যের বিড়ালের লিটার এবং ফ্লি কন্ট্রোল (মাছি নিয়ন্ত্রণ) পণ্য চুরি করেন।
প্যারট্রিজ জুয়েলার্স জানিয়েছে, উদ্ধার হওয়া এই বিরল ফেবার্গে লকেটটি নির্মাতাদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হবে।

সময়টা ১৮৫৯ সালের ১৭ সেপ্টেম্বরের সকাল। এক সুসজ্জিত ব্যক্তি সান ফ্রান্সিসকোর ‘দ্য সান ফ্রান্সিসকো ইভনিং বুলেটিনের’ কার্যালয়ে প্রবেশ করে একটি ঘোষণাপত্র জমা দেন, যেখানে নিজেকে ‘যুক্তরাষ্ট্রের সম্রাট’ বলে ঘোষণা করেন। ওই ব্যক্তি ছিলেন জোশুয়া নর্টন।
২২ এপ্রিল ২০২৫
এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, গত শুক্রবার বিকেলে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলে পারট্রিজ জুয়েলার্সে পুলিশ ডাকা হলে ৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।
২ দিন আগে
১৫ বছর বয়সে জর্জিয়া এমন কিছু জানতে পারেন, যা কোনো অল্প বয়সী মেয়ে আশা করে না। তিনি জরায়ু ছাড়াই জন্মগ্রহণ করেছেন এবং কোনো দিন সন্তান ধারণ করতে পারবেন না।
৭ দিন আগে
জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ২০৫০ সালের মধ্যে বন্য বিড়াল বা মালিকহীন বিড়াল নির্মূলের ঘোষণা দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। দেশটির সংরক্ষণমন্ত্রী তামা পোতাকা গত শুক্রবার এই ঘোষণা দেন।
৮ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

নিউজিল্যান্ডে এক ব্যক্তি হীরাখচিত লকেট চুরি করেছেন এমন এক উপায়ে, যা শুনলে সিনেমার দৃশ্যই মনে হয়। দোকানদারেরা টের পাওয়ার আগেই তিনি লকেটটি গিলে ফেলেন। পরে পুলিশ এসে তাঁকে হাতেনাতে ধরে ফেলে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে পুলিশ জানিয়েছে, গিলে ফেলা ফ্যাবারজে এগ লকেট, যার মূল্য ৩৩ হাজার ৫৮৫ নিউজিল্যান্ড ডলার (১৯ হাজার ৩০০ মার্কিন ডলার) এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, গত শুক্রবার বিকেলে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলে পারট্রিজ জুয়েলার্সে পুলিশ ডাকা হলে ৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।
জুয়েলারির ওয়েবসাইট অনুযায়ী, যে ফ্যাবারজে এগ চুরি করা হয়েছে, তাতে রয়েছে ৬০টি সাদা হীরা এবং ১৫টি নীল নীলা। ডিমটি খুললে দেখা যায়, ভেতরে ১৮ ক্যারেট সোনার একটি ছোট্ট অক্টোপাস।
ডিমটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘অক্টোপাসি এগ’, যা ১৯৮৩ সালের একই নামের জেমস বন্ড চলচ্চিত্র থেকে অনুপ্রাণিত; যার কাহিনির কেন্দ্রে রয়েছে এক জটিল ফ্যাবারজে এগ চুরির ঘটনা।
ফ্যাবারজে দুই শতাব্দীর বেশি আগে রাশিয়ায় প্রতিষ্ঠিত এক বিশ্বখ্যাত জুয়েলারি ব্র্যান্ড, যা রত্ন ও মূল্যবান ধাতু দিয়ে তৈরি ডিম-আকৃতির শিল্পকর্মের জন্য পরিচিত।
বিবিসি জানিয়েছে, ৮ ডিসেম্বর আদালতে হাজির হওয়ার কথা রয়েছে অভিযুক্ত ব্যক্তির। তিনি গত ১২ নভেম্বর একই জুয়েলারি দোকান থেকে একটি আইপ্যাড চুরির অভিযোগেও অভিযুক্ত। পরদিন ১০০ নিউজিল্যান্ড ডলার মূল্যের বিড়ালের বর্জ্য পরিষ্কারের সামগ্রী ও পিঁপড়া নিয়ন্ত্রণের পণ্য চুরির অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।

নিউজিল্যান্ডে এক ব্যক্তি হীরাখচিত লকেট চুরি করেছেন এমন এক উপায়ে, যা শুনলে সিনেমার দৃশ্যই মনে হয়। দোকানদারেরা টের পাওয়ার আগেই তিনি লকেটটি গিলে ফেলেন। পরে পুলিশ এসে তাঁকে হাতেনাতে ধরে ফেলে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে পুলিশ জানিয়েছে, গিলে ফেলা ফ্যাবারজে এগ লকেট, যার মূল্য ৩৩ হাজার ৫৮৫ নিউজিল্যান্ড ডলার (১৯ হাজার ৩০০ মার্কিন ডলার) এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, গত শুক্রবার বিকেলে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলে পারট্রিজ জুয়েলার্সে পুলিশ ডাকা হলে ৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।
জুয়েলারির ওয়েবসাইট অনুযায়ী, যে ফ্যাবারজে এগ চুরি করা হয়েছে, তাতে রয়েছে ৬০টি সাদা হীরা এবং ১৫টি নীল নীলা। ডিমটি খুললে দেখা যায়, ভেতরে ১৮ ক্যারেট সোনার একটি ছোট্ট অক্টোপাস।
ডিমটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘অক্টোপাসি এগ’, যা ১৯৮৩ সালের একই নামের জেমস বন্ড চলচ্চিত্র থেকে অনুপ্রাণিত; যার কাহিনির কেন্দ্রে রয়েছে এক জটিল ফ্যাবারজে এগ চুরির ঘটনা।
ফ্যাবারজে দুই শতাব্দীর বেশি আগে রাশিয়ায় প্রতিষ্ঠিত এক বিশ্বখ্যাত জুয়েলারি ব্র্যান্ড, যা রত্ন ও মূল্যবান ধাতু দিয়ে তৈরি ডিম-আকৃতির শিল্পকর্মের জন্য পরিচিত।
বিবিসি জানিয়েছে, ৮ ডিসেম্বর আদালতে হাজির হওয়ার কথা রয়েছে অভিযুক্ত ব্যক্তির। তিনি গত ১২ নভেম্বর একই জুয়েলারি দোকান থেকে একটি আইপ্যাড চুরির অভিযোগেও অভিযুক্ত। পরদিন ১০০ নিউজিল্যান্ড ডলার মূল্যের বিড়ালের বর্জ্য পরিষ্কারের সামগ্রী ও পিঁপড়া নিয়ন্ত্রণের পণ্য চুরির অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।

সময়টা ১৮৫৯ সালের ১৭ সেপ্টেম্বরের সকাল। এক সুসজ্জিত ব্যক্তি সান ফ্রান্সিসকোর ‘দ্য সান ফ্রান্সিসকো ইভনিং বুলেটিনের’ কার্যালয়ে প্রবেশ করে একটি ঘোষণাপত্র জমা দেন, যেখানে নিজেকে ‘যুক্তরাষ্ট্রের সম্রাট’ বলে ঘোষণা করেন। ওই ব্যক্তি ছিলেন জোশুয়া নর্টন।
২২ এপ্রিল ২০২৫
এক চুরির ঘটনায় রীতিমতো হইচই পড়ে গেল নিউজিল্যান্ডে। এক ব্যক্তি একটি বহুমূল্য হীরকখচিত লকেট চুরি করতে গিয়ে তা গিলে ফেলেন। তবে অবশেষে সেই লকেটটি ‘স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায়’ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশের পক্ষ থেকে বিবিসিকে জানানো হয়েছে, লকেটটি উদ্ধার করতে ‘মেডিকেল হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হয়নি’।
৬ ঘণ্টা আগে
১৫ বছর বয়সে জর্জিয়া এমন কিছু জানতে পারেন, যা কোনো অল্প বয়সী মেয়ে আশা করে না। তিনি জরায়ু ছাড়াই জন্মগ্রহণ করেছেন এবং কোনো দিন সন্তান ধারণ করতে পারবেন না।
৭ দিন আগে
জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ২০৫০ সালের মধ্যে বন্য বিড়াল বা মালিকহীন বিড়াল নির্মূলের ঘোষণা দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। দেশটির সংরক্ষণমন্ত্রী তামা পোতাকা গত শুক্রবার এই ঘোষণা দেন।
৮ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সদ্য মা হয়েছেন জর্জিয়া ব্যারিংটন। কিন্তু মেয়ে ওটিলিকে তিনি জন্ম দেননি। জন্ম দিয়েছেন তাঁর প্রিয় বন্ধু ডেইজি হোপ; যিনি কিশোর বয়সে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রাখতে জর্জিয়ার হয়ে সন্তানের জন্ম দেন।
দুই বন্ধু ছোটবেলা থেকেই অবিচ্ছেদ্য। তাঁরা নিজেদের ‘সোল সিস্টার্স’ বলে ডাকেন। একসঙ্গে বড় হয়েছেন। তাঁদের বাবারাও ঘনিষ্ঠ বন্ধু।
শৈশবের সেই বন্ধনই একদিন হয়ে ওঠে জীবন বদলে দেওয়া উদারতার ভিত্তি।
১৫ বছর বয়সে জর্জিয়া এমন কিছু জানতে পারেন, যা কোনো অল্প বয়সী মেয়ে আশা করে না। তিনি জরায়ু ছাড়াই জন্মগ্রহণ করেছেন এবং কোনো দিন সন্তান ধারণ করতে পারবেন না।
মেয়ার-রোকিটানস্কি-কুস্টার-হাউসার সিনড্রোম বিরল এক জন্মগত রোগ, যা প্রতি ৫ হাজার নারীর মধ্যে একজনের ক্ষেত্রে দেখা যায়। জর্জিয়ার মনে হয়েছিল, একমুহূর্তে তাঁর ভবিষ্যৎটা যেন বদলে গেল।
১৫ বছর বয়সকালের সেই ঘটনা মনে করে জর্জিয়া বলেন, ‘আমার গোটা পৃথিবীই ভেঙে পড়েছিল। আমি সব সময় ভেবে বড় হয়েছি, আমি একজন মা হব আর সেটা আমার কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হলো। আমি যা কিছু স্বপ্ন দেখেছিলাম, সবই শেষ হয়ে গেল।’
সে সময় ডেইজি খুব মাতৃত্বপ্রবণ ছিলেন না। কিন্তু তিনি বন্ধুর রোগ নির্ণয়ের কথা এখনো স্পষ্ট মনে করতে পারেন। তাঁর কাছে ‘অন্যায়’ মনে হয়েছিল—যে বন্ধু মাতৃত্বের স্বপ্ন দেখতেন, তিনি কিনা মা হতে পারবেন না!
এমা বার্নেটের সঙ্গে ‘রেডি টু টক’ অনুষ্ঠানে ডেইজি বলেন, ‘আমি তাঁকে ভরসা দিতে চেয়েছিলাম, বোঝাতে চেয়েছিলাম—পৃথিবী শেষ হয়ে যায়নি। তাই বলেছিলাম, একদিন আমি তাঁর হয়ে সন্তান ধারণ করব। তখন হয়তো বুঝিনি কথাটার গভীরতা কতটা। কিন্তু ভেতরে ভেতরে জানতাম, জর্জিয়ার জন্য আমি এটা করবই।’
১০ বছরের বেশি সময় পরে ডেইজি সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেন। ২০২৩ সালে দুই বন্ধু মিলে আইভিএফ প্রক্রিয়া শুরু করেন।
জর্জিয়া একজন ধাত্রী হিসেবে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। নিজেকে এমন এক জগতে নিমজ্জিত করেছিলেন, যে জগতে তিনি হয়তো কোনো দিন অংশ নিতে পারবেন না বলে ভয় পেয়েছিলেন।
জর্জিয়া বলেন, ‘একবার আমাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, এটা কি আমার জন্য সঠিক পেশা? কিন্তু আসলে এটা আমাকে সেরে উঠতে সাহায্য করেছে। আর অন্তর থেকে জানতাম—কোনো না কোনোভাবে আমি মা হবই।’
কয়েক বছর পরে ডেইজি তাঁর প্রথম সন্তানের জন্ম দেন। আর সেই প্রসবে ধাত্রী ছিলেন জর্জিয়াই।
ডেইজি বলেন, ‘আমার সন্তানের প্রতি যে ভালোবাসা অনুভব করেছি, তা ছিল অসাধারণ। তখন মনে হয়েছিল, প্রত্যেকেরই তো এই অনুভূতি পাওয়ার অধিকার আছে।’
তথ্যসূত্র: বিবিসি

সদ্য মা হয়েছেন জর্জিয়া ব্যারিংটন। কিন্তু মেয়ে ওটিলিকে তিনি জন্ম দেননি। জন্ম দিয়েছেন তাঁর প্রিয় বন্ধু ডেইজি হোপ; যিনি কিশোর বয়সে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রাখতে জর্জিয়ার হয়ে সন্তানের জন্ম দেন।
দুই বন্ধু ছোটবেলা থেকেই অবিচ্ছেদ্য। তাঁরা নিজেদের ‘সোল সিস্টার্স’ বলে ডাকেন। একসঙ্গে বড় হয়েছেন। তাঁদের বাবারাও ঘনিষ্ঠ বন্ধু।
শৈশবের সেই বন্ধনই একদিন হয়ে ওঠে জীবন বদলে দেওয়া উদারতার ভিত্তি।
১৫ বছর বয়সে জর্জিয়া এমন কিছু জানতে পারেন, যা কোনো অল্প বয়সী মেয়ে আশা করে না। তিনি জরায়ু ছাড়াই জন্মগ্রহণ করেছেন এবং কোনো দিন সন্তান ধারণ করতে পারবেন না।
মেয়ার-রোকিটানস্কি-কুস্টার-হাউসার সিনড্রোম বিরল এক জন্মগত রোগ, যা প্রতি ৫ হাজার নারীর মধ্যে একজনের ক্ষেত্রে দেখা যায়। জর্জিয়ার মনে হয়েছিল, একমুহূর্তে তাঁর ভবিষ্যৎটা যেন বদলে গেল।
১৫ বছর বয়সকালের সেই ঘটনা মনে করে জর্জিয়া বলেন, ‘আমার গোটা পৃথিবীই ভেঙে পড়েছিল। আমি সব সময় ভেবে বড় হয়েছি, আমি একজন মা হব আর সেটা আমার কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হলো। আমি যা কিছু স্বপ্ন দেখেছিলাম, সবই শেষ হয়ে গেল।’
সে সময় ডেইজি খুব মাতৃত্বপ্রবণ ছিলেন না। কিন্তু তিনি বন্ধুর রোগ নির্ণয়ের কথা এখনো স্পষ্ট মনে করতে পারেন। তাঁর কাছে ‘অন্যায়’ মনে হয়েছিল—যে বন্ধু মাতৃত্বের স্বপ্ন দেখতেন, তিনি কিনা মা হতে পারবেন না!
এমা বার্নেটের সঙ্গে ‘রেডি টু টক’ অনুষ্ঠানে ডেইজি বলেন, ‘আমি তাঁকে ভরসা দিতে চেয়েছিলাম, বোঝাতে চেয়েছিলাম—পৃথিবী শেষ হয়ে যায়নি। তাই বলেছিলাম, একদিন আমি তাঁর হয়ে সন্তান ধারণ করব। তখন হয়তো বুঝিনি কথাটার গভীরতা কতটা। কিন্তু ভেতরে ভেতরে জানতাম, জর্জিয়ার জন্য আমি এটা করবই।’
১০ বছরের বেশি সময় পরে ডেইজি সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেন। ২০২৩ সালে দুই বন্ধু মিলে আইভিএফ প্রক্রিয়া শুরু করেন।
জর্জিয়া একজন ধাত্রী হিসেবে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। নিজেকে এমন এক জগতে নিমজ্জিত করেছিলেন, যে জগতে তিনি হয়তো কোনো দিন অংশ নিতে পারবেন না বলে ভয় পেয়েছিলেন।
জর্জিয়া বলেন, ‘একবার আমাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, এটা কি আমার জন্য সঠিক পেশা? কিন্তু আসলে এটা আমাকে সেরে উঠতে সাহায্য করেছে। আর অন্তর থেকে জানতাম—কোনো না কোনোভাবে আমি মা হবই।’
কয়েক বছর পরে ডেইজি তাঁর প্রথম সন্তানের জন্ম দেন। আর সেই প্রসবে ধাত্রী ছিলেন জর্জিয়াই।
ডেইজি বলেন, ‘আমার সন্তানের প্রতি যে ভালোবাসা অনুভব করেছি, তা ছিল অসাধারণ। তখন মনে হয়েছিল, প্রত্যেকেরই তো এই অনুভূতি পাওয়ার অধিকার আছে।’
তথ্যসূত্র: বিবিসি

সময়টা ১৮৫৯ সালের ১৭ সেপ্টেম্বরের সকাল। এক সুসজ্জিত ব্যক্তি সান ফ্রান্সিসকোর ‘দ্য সান ফ্রান্সিসকো ইভনিং বুলেটিনের’ কার্যালয়ে প্রবেশ করে একটি ঘোষণাপত্র জমা দেন, যেখানে নিজেকে ‘যুক্তরাষ্ট্রের সম্রাট’ বলে ঘোষণা করেন। ওই ব্যক্তি ছিলেন জোশুয়া নর্টন।
২২ এপ্রিল ২০২৫
এক চুরির ঘটনায় রীতিমতো হইচই পড়ে গেল নিউজিল্যান্ডে। এক ব্যক্তি একটি বহুমূল্য হীরকখচিত লকেট চুরি করতে গিয়ে তা গিলে ফেলেন। তবে অবশেষে সেই লকেটটি ‘স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায়’ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশের পক্ষ থেকে বিবিসিকে জানানো হয়েছে, লকেটটি উদ্ধার করতে ‘মেডিকেল হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হয়নি’।
৬ ঘণ্টা আগে
এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, গত শুক্রবার বিকেলে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলে পারট্রিজ জুয়েলার্সে পুলিশ ডাকা হলে ৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।
২ দিন আগে
জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ২০৫০ সালের মধ্যে বন্য বিড়াল বা মালিকহীন বিড়াল নির্মূলের ঘোষণা দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। দেশটির সংরক্ষণমন্ত্রী তামা পোতাকা গত শুক্রবার এই ঘোষণা দেন।
৮ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ২০৫০ সালের মধ্যে বন্য বিড়াল বা মালিকহীন বিড়াল নির্মূলের ঘোষণা দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। দেশটির সংরক্ষণমন্ত্রী তামা পোতাকা গত শুক্রবার এই ঘোষণা দেন।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এবার বন্য বিড়ালকে নিউজিল্যান্ডের বিশ্বস্বীকৃত ‘প্রিডেটর-ফ্রি ২০৫০’ তালিকায় যুক্ত করা হয়েছে। এই তালিকায় কিছু শিকারি প্রাণীকে যুক্ত করা হয়েছে, যেগুলো জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকিস্বরূপ। ২০১৬ সালে এই উদ্যোগ চালু হওয়ার পর প্রথমবার কোনো নতুন শিকারিকে এ তালিকায় যুক্ত করা হলো।
দীর্ঘদিন ধরেই নিউজিল্যান্ডের বিভিন্ন এলাকায় বন্য বিড়াল ধরা ও মেরে ফেলা হচ্ছিল। তবে তালিকায় যুক্ত হওয়ায় এবার তাদের বিরুদ্ধে সমন্বিত জাতীয় পর্যায়ের অভিযানে নামবে সরকার—যার মধ্যে থাকবে বৃহৎ আকারের নির্মূল কর্মসূচি ও বিশেষ গবেষণা। এ বিষয়ে বিস্তারিত পরিকল্পনা প্রকাশ করা হবে ২০২৬ সালের মার্চ মাসে।
নিউজিল্যান্ডের বনভূমি ও উপকূলীয় দ্বীপগুলোতে বর্তমানে ২৫ লাখেরও বেশি বন্য বিড়াল ও মালিকহীন বিড়ালের বিচরণ। লেজসহ এসব বিড়ালের দৈর্ঘ্য এক মিটার এবং ওজন প্রায় সাত কেজি পর্যন্ত হতে পারে। এসব বন্য বিড়াল দেশটির দুর্লভ প্রাণিজগৎ ধ্বংসের মূল কারণগুলোর একটি হয়ে উঠেছে।
রাকিউরা স্টুয়ার্ট দ্বীপে এই বিড়াল পুকুনুই বা সাউদার্ন ডটারেল প্রজাতি নামে একধরনের পাখিকে প্রায় বিলুপ্তির মুখে ঠেলে দিয়েছে। মাউন্ট রুয়াপেহু এলাকায় তারা প্রতি সপ্তাহে প্রায় ১০০ বাদুড় শিকার করায় সে প্রজাতিও হুমকিতে।
রেডিও নিউজিল্যান্ডকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সংরক্ষণমন্ত্রী পোতাকা বন্য বিড়ালকে আখ্যা দেন ‘স্টোন-কোল্ড কিলার’ বা নির্দয় শিকারি হিসেবে। তিনি বলেন, ‘জীববৈচিত্র্য রক্ষা, বনভূমির সৌন্দর্য বজায় রাখা এবং আমাদের কাঙ্ক্ষিত পরিবেশ নিশ্চিত করতে হলে এসব হত্যাকারীকে সরিয়ে ফেলতেই হবে।’
বন্য বিড়ালকে তালিকায় যুক্ত করা নিয়ে বহু বছর ধরে প্রচারণা চললেও অতীতে বিষয়টি নিয়ে প্রবল জনমত-বিরোধিতা দেখা গেছে। পরিবেশবিদ গ্যারেথ মরগান ২০১৩ সালে ‘ক্যাটস টু গো’ প্রচারণা শুরু করলে দেশজুড়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়। তবে এবার সংরক্ষণ বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, খসড়া কৌশল নিয়ে জনমতের ৯০ শতাংশই বন্য বিড়াল নির্মূল করার পক্ষে মত দিয়েছে।
এদিকে, গৃহপালিত বিড়াল এ তালিকায় না থাকলেও সেগুলোও দেশটির জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকি বলে মনে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, গৃহপালিত প্রাণী হিসেবে বিড়াল পালনের দিক থেকে নিউজিল্যান্ড বিশ্বের শীর্ষ দেশগুলোর একটি।

জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ২০৫০ সালের মধ্যে বন্য বিড়াল বা মালিকহীন বিড়াল নির্মূলের ঘোষণা দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। দেশটির সংরক্ষণমন্ত্রী তামা পোতাকা গত শুক্রবার এই ঘোষণা দেন।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এবার বন্য বিড়ালকে নিউজিল্যান্ডের বিশ্বস্বীকৃত ‘প্রিডেটর-ফ্রি ২০৫০’ তালিকায় যুক্ত করা হয়েছে। এই তালিকায় কিছু শিকারি প্রাণীকে যুক্ত করা হয়েছে, যেগুলো জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকিস্বরূপ। ২০১৬ সালে এই উদ্যোগ চালু হওয়ার পর প্রথমবার কোনো নতুন শিকারিকে এ তালিকায় যুক্ত করা হলো।
দীর্ঘদিন ধরেই নিউজিল্যান্ডের বিভিন্ন এলাকায় বন্য বিড়াল ধরা ও মেরে ফেলা হচ্ছিল। তবে তালিকায় যুক্ত হওয়ায় এবার তাদের বিরুদ্ধে সমন্বিত জাতীয় পর্যায়ের অভিযানে নামবে সরকার—যার মধ্যে থাকবে বৃহৎ আকারের নির্মূল কর্মসূচি ও বিশেষ গবেষণা। এ বিষয়ে বিস্তারিত পরিকল্পনা প্রকাশ করা হবে ২০২৬ সালের মার্চ মাসে।
নিউজিল্যান্ডের বনভূমি ও উপকূলীয় দ্বীপগুলোতে বর্তমানে ২৫ লাখেরও বেশি বন্য বিড়াল ও মালিকহীন বিড়ালের বিচরণ। লেজসহ এসব বিড়ালের দৈর্ঘ্য এক মিটার এবং ওজন প্রায় সাত কেজি পর্যন্ত হতে পারে। এসব বন্য বিড়াল দেশটির দুর্লভ প্রাণিজগৎ ধ্বংসের মূল কারণগুলোর একটি হয়ে উঠেছে।
রাকিউরা স্টুয়ার্ট দ্বীপে এই বিড়াল পুকুনুই বা সাউদার্ন ডটারেল প্রজাতি নামে একধরনের পাখিকে প্রায় বিলুপ্তির মুখে ঠেলে দিয়েছে। মাউন্ট রুয়াপেহু এলাকায় তারা প্রতি সপ্তাহে প্রায় ১০০ বাদুড় শিকার করায় সে প্রজাতিও হুমকিতে।
রেডিও নিউজিল্যান্ডকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সংরক্ষণমন্ত্রী পোতাকা বন্য বিড়ালকে আখ্যা দেন ‘স্টোন-কোল্ড কিলার’ বা নির্দয় শিকারি হিসেবে। তিনি বলেন, ‘জীববৈচিত্র্য রক্ষা, বনভূমির সৌন্দর্য বজায় রাখা এবং আমাদের কাঙ্ক্ষিত পরিবেশ নিশ্চিত করতে হলে এসব হত্যাকারীকে সরিয়ে ফেলতেই হবে।’
বন্য বিড়ালকে তালিকায় যুক্ত করা নিয়ে বহু বছর ধরে প্রচারণা চললেও অতীতে বিষয়টি নিয়ে প্রবল জনমত-বিরোধিতা দেখা গেছে। পরিবেশবিদ গ্যারেথ মরগান ২০১৩ সালে ‘ক্যাটস টু গো’ প্রচারণা শুরু করলে দেশজুড়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়। তবে এবার সংরক্ষণ বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, খসড়া কৌশল নিয়ে জনমতের ৯০ শতাংশই বন্য বিড়াল নির্মূল করার পক্ষে মত দিয়েছে।
এদিকে, গৃহপালিত বিড়াল এ তালিকায় না থাকলেও সেগুলোও দেশটির জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকি বলে মনে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, গৃহপালিত প্রাণী হিসেবে বিড়াল পালনের দিক থেকে নিউজিল্যান্ড বিশ্বের শীর্ষ দেশগুলোর একটি।

সময়টা ১৮৫৯ সালের ১৭ সেপ্টেম্বরের সকাল। এক সুসজ্জিত ব্যক্তি সান ফ্রান্সিসকোর ‘দ্য সান ফ্রান্সিসকো ইভনিং বুলেটিনের’ কার্যালয়ে প্রবেশ করে একটি ঘোষণাপত্র জমা দেন, যেখানে নিজেকে ‘যুক্তরাষ্ট্রের সম্রাট’ বলে ঘোষণা করেন। ওই ব্যক্তি ছিলেন জোশুয়া নর্টন।
২২ এপ্রিল ২০২৫
এক চুরির ঘটনায় রীতিমতো হইচই পড়ে গেল নিউজিল্যান্ডে। এক ব্যক্তি একটি বহুমূল্য হীরকখচিত লকেট চুরি করতে গিয়ে তা গিলে ফেলেন। তবে অবশেষে সেই লকেটটি ‘স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায়’ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশের পক্ষ থেকে বিবিসিকে জানানো হয়েছে, লকেটটি উদ্ধার করতে ‘মেডিকেল হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হয়নি’।
৬ ঘণ্টা আগে
এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, গত শুক্রবার বিকেলে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলে পারট্রিজ জুয়েলার্সে পুলিশ ডাকা হলে ৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।
২ দিন আগে
১৫ বছর বয়সে জর্জিয়া এমন কিছু জানতে পারেন, যা কোনো অল্প বয়সী মেয়ে আশা করে না। তিনি জরায়ু ছাড়াই জন্মগ্রহণ করেছেন এবং কোনো দিন সন্তান ধারণ করতে পারবেন না।
৭ দিন আগে