
পৃথিবীতে এমন কিছু প্রাচীন স্থাপনার ধ্বংসাবশেষ রয়েছে, যেগুলো দেখলে ওই সময় মানব নির্মিত কোনো স্থাপনা বলে বিশ্বাস করা কঠিন! কারণ, এসব স্থাপনার নির্মাণশৈলী একই সঙ্গে জটিল ও বিশাল। ফলে অনেকেরই ধারণা, মিশরের পিরামিড, পেরুর নাজকা রেখা, ইংল্যান্ডের স্টোনহেঞ্জ–এর মতো স্থাপনাগুলো নির্মাণের পেছনে হাত রয়েছে বহির্জাগতিক শক্তি বা এলিয়েনের!
মহাকাশের অন্য কোথাও বুদ্ধিমান প্রাণীর অস্তিত্ব থাকার সম্ভাবনাকে বিজ্ঞানীরা একেবারে উড়িয়ে দেন না। অনেকে মনে করেন, এলিয়েনরা পৃথিবীতে এসেছিল, বা এখনো গোপনে এসে ঘুরে যায়!
তবে পৃথিবীতে এলিয়েনদের আগমন সম্পর্কে এখনো শক্ত কোনো তথ্য প্রমাণ নেই। এমন প্রেক্ষাপটে প্রাচীনকালে মানুষের হাতে গড়া স্থাপনার অতিপ্রাকৃত ব্যাখ্যা দাঁড় করানোর উদ্দেশ্য হচ্ছে, প্রাগৈতিহাসিক সভ্যতাগুলোর পৃথিবীর জটিল, রহস্যময় স্থাপনাগুলো নির্মাণে যেসব উপায় অনুসরণ করেছে, সেগুলো এড়িয়ে যাওয়া!
এমন সাতটি স্থাপনার বর্ণনা এখানে তুলে ধরা হলো, যেসব স্থাপনা নিয়ে মানুষের ধারণা যে, এগুলো এলিয়েনের হাতে তৈরি!
সাকসেহুয়ামান (Sacsayhuamán)
সাকসেহুয়ামান, প্রাচীন ইনকা সভ্যতার রাজধানী কুস্কোর বাইরে পেরুর আন্দিজ পর্বতমালায় অবস্থিত একটি দুর্গ। বিশাল বিশাল পাথর খোদাই করে এবং একত্রে স্তূপ করে জিগ’স পাজলের মতো জোড়া দিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে এই দুর্গ। দুর্গটির এমন নির্মাণশৈলীর কারণে অনেকের ধারণা, বহির্জাগতিক বন্ধু বা এলিয়েনের সহায়তায় প্রাচীন সভ্যতার লোকেরা এটি নির্মাণ করেছে। প্রায় হাজার বছরের পুরোনো অবিচ্ছেদ্য পাথুরে দেয়ালে গড়া এই দুর্গ নির্মাণে ব্যবহৃত প্রতিটি পাথরের আনুমানিক ওজন ৩৬০ টন। দুর্গটি নির্মাণে পাথরগুলোকে প্রায় ২০ মাইলেরও বেশি দূরে থেকে বয়ে আনা হয়েছে।
এই দুর্গের নির্মাণশৈলী এখনকার মানুষের মধ্যে বিস্ময় জাগালেও এর সমাধান আছে ইনকা সভ্যতার বসতবাড়ি ও নিজেদের সুরক্ষায় দুর্গ নির্মাণের কৌশলের মধ্যেই। প্রকৃতপক্ষে সাকসেহুয়ামান ইনকাদের জটিল নির্মাণশৈলীর একমাত্র উদাহরণ নয়; একই ধরনের গাঁথুনিতে গড়া দেয়াল ইনকা সাম্রাজ্যজুড়েই বিদ্যমান, যার একটি রয়েছে কুস্কোতে। সেখানে একটি ১২ কোণযুক্ত পাথর খুব সতর্কতার সঙ্গে স্থাপন করা হয়েছে। অতি সম্প্রতি প্রত্নতাত্ত্বিকেরা এই অঞ্চলে পাথরের খনি থেকে সেটি শহরে পরিবহন করতে ব্যবহার করা দড়ি ও লিভার (উত্তোলক) সমন্বয়ে গড়া একটি কৌশলের খোঁজ পেয়েছেন। যা প্রমাণ করে বহির্জাগতিক কোনো কিছু নয়, মানুষই শক্তি এবং দক্ষতার ওপর নির্ভর করে গড়ে তুলেছিল এই স্থাপনা।
পেরুর নাজকা রেখা
দক্ষিণ আমেরিকার দেশ পেরুর রাজধানী লিমার প্রায় ২০০ মাইল দক্ষিণ–পূর্বে একটি উচ্চ এবং শুষ্ক মালভূমিতে ৮ শতাধিক দীর্ঘ, সোজা সাদা রেখা এলোমেলোভাবে খোদাই করা। যেন কোনো শিল্পী বিস্তীর্ণ অঞ্চলের পাথুরে বুকে এঁকে রেখেছে কোনো এক প্রাচীন সংকেত। এসব রেখার মধ্যে ধরা পড়ে মাকড়সা, বানর এবং হামিংবার্ডসহ ৩০০টি জ্যামিতিক আকার এবং আরও ৭০টি প্রাণীর মূর্তি। সবচেয়ে বড় আকারগুলো প্রায় ১ হাজার ২০০ ফুট জুড়ে প্রসারিত এবং আকাশ থেকে সবচেয়ে ভালো দেখা যায়।
বিজ্ঞানীদের ধারণা, নাজকা রেখাগুলো প্রায় দুই সহস্রাব্দের পুরোনো। রেখাগুলোর বয়স, আকার, ওপর থেকে দৃশ্যময়তা এবং রহস্যময় প্রকৃতির কারণে এগুলোকে প্রায়শই পৃথিবীতে এলিয়েনদের অন্যতম সেরা কাজের উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। আসলেই কি এটি এলিয়েনের তৈরি না মানুষের? এই প্রশ্নের উত্তর খুব সহজ। নাজকা রেখাগুলো যে মালভূমিতে অবস্থিত, সেটি আয়রন অক্সাইড পাথরে আবৃত। এর নিচে রয়েছে চুনাপাথর সমৃদ্ধ মাটি। নাজকা লাইন তৈরি হয়েছে এই পাথুরে জমি খুঁড়ে। রেখাগুলো প্রায় চার থেকে ছয় ইঞ্চি গভীর।
নাজকা রেখাগুলো সম্পর্কে উনিশ শতকের শুরুর দিকে ধারণা ছিল, এসব নকশার সঙ্গে প্রাথমিকভাবে নক্ষত্রপুঞ্জের সংযুক্তি থাকতে পারে। তবে সাম্প্রতিক সময়ের বিভিন্ন গবেষণা থেকে জানা যায়, এই নকশাগুলো পানি ও উর্বরতা সম্পর্কিত ধর্মীয় আচার নির্দেশ করে। পানির সন্ধান পাওয়া যেতে পারে সেরকম স্থানগুলোকে সংযুক্ত করতেই নকশাগুলো আঁকা হয়। প্রাচীন রুক্ষ্ণ, শুষ্ক পেরু অঞ্চলের কথা ভাবলে এ রকম সম্ভাবনা একেবারেই উড়িয়ে দেওয়া যায় না। আর এই নকশাগুলো কেবল আকাশ থেকেই দেখা যায় তা নয়, বরং আশপাশের বিভিন্ন পাহাড়ের পাদদেশ থেকেও দেখা যায়।
মিশরের পিরামিড
মিশরের পিরামিড পৃথিবীর বিস্ময়কর স্থাপনাগুলোর একটি। দেশটির রাজধানী কায়রোর ঠিক বাইরে, গিজায়, মিশরের সবচেয়ে বিখ্যাত পিরামিডটি অবস্থিত। সাড়ে ৪ হাজার বছরেরও বেশি আগে নির্মিত, গিজার পিরামিডগুলো মূলত সমাধি, যেখানে রানি এবং ফারাওদের সমাধিস্থ করা হতো।
কিন্তু কীভাবে মিশরীয়রা এই স্থাপনাগুলো তৈরি করেছিল? পিরামিড লাখ লাখ পাথর কেটে তৈরি, যার প্রতিটির ওজন কমপক্ষে দুই টন। এমনকি আজকের ক্রেন এবং অন্যান্য নির্মাণ সরঞ্জাম দিয়েও ফারাও খুফুর পিরামিডের মতো বড় পিরামিড তৈরি করা কঠিন কাজ। আবার পিরামিডগুলোতে জ্যোতির্বিদ্যাগত আকৃতি–প্রকৃতিও দেখা যায়।
তাহলে কি মিশরের পিরামিডগুলো এলিয়েনদের নিদর্শন? ঠিক, তা নয়। এটা সত্য যে, প্রাচীন মিসরীয়রা কীভাবে পিরামিডগুলো তৈরি করেছিল এবং এত দ্রুত তা করেছিল, সে সম্পর্কে বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত নন। তবে এই সমাধিগুলো যে হাজার হাজার মানুষের হাতে তৈরি সেটির অনেক প্রমাণ আছে।
স্টোনহেঞ্জ
অনেকগুলো পাথর বিশাল বৃত্তাকারে সাজানো, এর মধ্যে কিছু পাথরের ওজন ৫০ টন পর্যন্ত, স্টোনহেঞ্জ নামের এমন এক স্থাপনা দাঁড়িয়ে আছে ইংল্যান্ডের উইল্টারশায়ারে। সুইস লেখক এরিখ ভন ডেনিকেন স্থাপনাটি সম্পর্কে বলেছেন, এটি সৌরজগতের একটি মডেল যা এলিয়েনদের ল্যান্ডিং প্যাড হিসেবেও কাজ করে! প্রশ্ন জাগে এই বিশাল পাথরগুলোকে কয়েকশ মাইল দূর থেকে এনে কীভাবে এখানে স্থাপন করা হয়েছে?
স্টোনহেঞ্জ স্থাপনাটি ঠিক কী অর্থ বহন করে তা এখনো পরিষ্কার নয়। স্টোনহেঞ্জের পাথরগুলো নক্ষত্রমণ্ডল এবং সূর্য ও চন্দ্রগ্রহণের সঙ্গে সম্পর্কিত। তবে এর সঙ্গে এলিয়েনের যে সম্পর্ক নেই সেটি নিশ্চিত। বিজ্ঞানীরা বলছেন, প্রায় ৫ হাজার বছর আগের এমন একটি স্থাপনা প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি করা আসলেই সম্ভব।
তিওতিহুয়াকান (Teotihuacán)
তিওতিহুয়াকান শব্দের অর্থ দেবতাদের শহর। এটি মেক্সিকোর বিস্তৃত প্রাচীন একটি শহর। শহরটি পিরামিড আকৃতির মন্দির এবং জ্যোতির্বিদ্যাগত কনফিগারেশনের জন্য সবচেয়ে বেশি পরিচিত। দুই হাজার বছরেরও বেশি আগে নির্মিত, তিওতিহুয়াকানের বয়স, আকার এবং নির্মাণশৈলীর কারণে এটিকে অনেকেই অন্য জগতের কারও নির্মিত বলে দাবি করে। আসলে এটি মানুষেরই কাজ।
বিজ্ঞানীদের ধারণা, শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে, মায়া, জাপোটেক এবং মিক্সটেকসহ বিভিন্ন সভ্যতার মিথস্ক্রিয়ায় এই শহর গড়ে ওঠে। যেখানে ১ লাখেরও বেশি লোক বসবাস করত। তিওতিহুয়াকানে পাওয়া ম্যুরাল, বিভিন্ন সরঞ্জাম, পরিবহন ব্যবস্থা এবং উন্নত কৃষি পদ্ধতির কারণে শহরটিকে প্রাক–আজটেক মেক্সিকোর চেয়ে প্রযুক্তিগতভাবে অনেক বেশি উন্নত বলে মনে করা হয়।
ইস্টার আইল্যান্ড
দক্ষিণ আমেরিকার আরেক দেশ চিলিতে অবস্থিত ইস্টার আইল্যান্ড আরেকটি স্থাপনা, যেটি ধারণা করা হয় এলিয়েনদের তৈরি। মৃত আগ্নেয়গিরির পাশে পাথর খোদাই করে বানানো প্রায় ৯০০টি মানবাকৃতির মূর্তি দাঁড়িয়ে আছে। মূর্তিগুলো গড়ে ১৩ ফুট লম্বা ও ১৪ টন ওজনের। এগুলো ছাড়াও ৪০০ টির বেশি মূর্তি নির্মাণের বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে।
ধারণা করা হয়, ধর্মীয় কারণে এই অঞ্চলের বাসিন্দারাই এসব ভাস্কর্য বানিয়েছিল।

পৃথিবীতে এমন কিছু প্রাচীন স্থাপনার ধ্বংসাবশেষ রয়েছে, যেগুলো দেখলে ওই সময় মানব নির্মিত কোনো স্থাপনা বলে বিশ্বাস করা কঠিন! কারণ, এসব স্থাপনার নির্মাণশৈলী একই সঙ্গে জটিল ও বিশাল। ফলে অনেকেরই ধারণা, মিশরের পিরামিড, পেরুর নাজকা রেখা, ইংল্যান্ডের স্টোনহেঞ্জ–এর মতো স্থাপনাগুলো নির্মাণের পেছনে হাত রয়েছে বহির্জাগতিক শক্তি বা এলিয়েনের!
মহাকাশের অন্য কোথাও বুদ্ধিমান প্রাণীর অস্তিত্ব থাকার সম্ভাবনাকে বিজ্ঞানীরা একেবারে উড়িয়ে দেন না। অনেকে মনে করেন, এলিয়েনরা পৃথিবীতে এসেছিল, বা এখনো গোপনে এসে ঘুরে যায়!
তবে পৃথিবীতে এলিয়েনদের আগমন সম্পর্কে এখনো শক্ত কোনো তথ্য প্রমাণ নেই। এমন প্রেক্ষাপটে প্রাচীনকালে মানুষের হাতে গড়া স্থাপনার অতিপ্রাকৃত ব্যাখ্যা দাঁড় করানোর উদ্দেশ্য হচ্ছে, প্রাগৈতিহাসিক সভ্যতাগুলোর পৃথিবীর জটিল, রহস্যময় স্থাপনাগুলো নির্মাণে যেসব উপায় অনুসরণ করেছে, সেগুলো এড়িয়ে যাওয়া!
এমন সাতটি স্থাপনার বর্ণনা এখানে তুলে ধরা হলো, যেসব স্থাপনা নিয়ে মানুষের ধারণা যে, এগুলো এলিয়েনের হাতে তৈরি!
সাকসেহুয়ামান (Sacsayhuamán)
সাকসেহুয়ামান, প্রাচীন ইনকা সভ্যতার রাজধানী কুস্কোর বাইরে পেরুর আন্দিজ পর্বতমালায় অবস্থিত একটি দুর্গ। বিশাল বিশাল পাথর খোদাই করে এবং একত্রে স্তূপ করে জিগ’স পাজলের মতো জোড়া দিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে এই দুর্গ। দুর্গটির এমন নির্মাণশৈলীর কারণে অনেকের ধারণা, বহির্জাগতিক বন্ধু বা এলিয়েনের সহায়তায় প্রাচীন সভ্যতার লোকেরা এটি নির্মাণ করেছে। প্রায় হাজার বছরের পুরোনো অবিচ্ছেদ্য পাথুরে দেয়ালে গড়া এই দুর্গ নির্মাণে ব্যবহৃত প্রতিটি পাথরের আনুমানিক ওজন ৩৬০ টন। দুর্গটি নির্মাণে পাথরগুলোকে প্রায় ২০ মাইলেরও বেশি দূরে থেকে বয়ে আনা হয়েছে।
এই দুর্গের নির্মাণশৈলী এখনকার মানুষের মধ্যে বিস্ময় জাগালেও এর সমাধান আছে ইনকা সভ্যতার বসতবাড়ি ও নিজেদের সুরক্ষায় দুর্গ নির্মাণের কৌশলের মধ্যেই। প্রকৃতপক্ষে সাকসেহুয়ামান ইনকাদের জটিল নির্মাণশৈলীর একমাত্র উদাহরণ নয়; একই ধরনের গাঁথুনিতে গড়া দেয়াল ইনকা সাম্রাজ্যজুড়েই বিদ্যমান, যার একটি রয়েছে কুস্কোতে। সেখানে একটি ১২ কোণযুক্ত পাথর খুব সতর্কতার সঙ্গে স্থাপন করা হয়েছে। অতি সম্প্রতি প্রত্নতাত্ত্বিকেরা এই অঞ্চলে পাথরের খনি থেকে সেটি শহরে পরিবহন করতে ব্যবহার করা দড়ি ও লিভার (উত্তোলক) সমন্বয়ে গড়া একটি কৌশলের খোঁজ পেয়েছেন। যা প্রমাণ করে বহির্জাগতিক কোনো কিছু নয়, মানুষই শক্তি এবং দক্ষতার ওপর নির্ভর করে গড়ে তুলেছিল এই স্থাপনা।
পেরুর নাজকা রেখা
দক্ষিণ আমেরিকার দেশ পেরুর রাজধানী লিমার প্রায় ২০০ মাইল দক্ষিণ–পূর্বে একটি উচ্চ এবং শুষ্ক মালভূমিতে ৮ শতাধিক দীর্ঘ, সোজা সাদা রেখা এলোমেলোভাবে খোদাই করা। যেন কোনো শিল্পী বিস্তীর্ণ অঞ্চলের পাথুরে বুকে এঁকে রেখেছে কোনো এক প্রাচীন সংকেত। এসব রেখার মধ্যে ধরা পড়ে মাকড়সা, বানর এবং হামিংবার্ডসহ ৩০০টি জ্যামিতিক আকার এবং আরও ৭০টি প্রাণীর মূর্তি। সবচেয়ে বড় আকারগুলো প্রায় ১ হাজার ২০০ ফুট জুড়ে প্রসারিত এবং আকাশ থেকে সবচেয়ে ভালো দেখা যায়।
বিজ্ঞানীদের ধারণা, নাজকা রেখাগুলো প্রায় দুই সহস্রাব্দের পুরোনো। রেখাগুলোর বয়স, আকার, ওপর থেকে দৃশ্যময়তা এবং রহস্যময় প্রকৃতির কারণে এগুলোকে প্রায়শই পৃথিবীতে এলিয়েনদের অন্যতম সেরা কাজের উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। আসলেই কি এটি এলিয়েনের তৈরি না মানুষের? এই প্রশ্নের উত্তর খুব সহজ। নাজকা রেখাগুলো যে মালভূমিতে অবস্থিত, সেটি আয়রন অক্সাইড পাথরে আবৃত। এর নিচে রয়েছে চুনাপাথর সমৃদ্ধ মাটি। নাজকা লাইন তৈরি হয়েছে এই পাথুরে জমি খুঁড়ে। রেখাগুলো প্রায় চার থেকে ছয় ইঞ্চি গভীর।
নাজকা রেখাগুলো সম্পর্কে উনিশ শতকের শুরুর দিকে ধারণা ছিল, এসব নকশার সঙ্গে প্রাথমিকভাবে নক্ষত্রপুঞ্জের সংযুক্তি থাকতে পারে। তবে সাম্প্রতিক সময়ের বিভিন্ন গবেষণা থেকে জানা যায়, এই নকশাগুলো পানি ও উর্বরতা সম্পর্কিত ধর্মীয় আচার নির্দেশ করে। পানির সন্ধান পাওয়া যেতে পারে সেরকম স্থানগুলোকে সংযুক্ত করতেই নকশাগুলো আঁকা হয়। প্রাচীন রুক্ষ্ণ, শুষ্ক পেরু অঞ্চলের কথা ভাবলে এ রকম সম্ভাবনা একেবারেই উড়িয়ে দেওয়া যায় না। আর এই নকশাগুলো কেবল আকাশ থেকেই দেখা যায় তা নয়, বরং আশপাশের বিভিন্ন পাহাড়ের পাদদেশ থেকেও দেখা যায়।
মিশরের পিরামিড
মিশরের পিরামিড পৃথিবীর বিস্ময়কর স্থাপনাগুলোর একটি। দেশটির রাজধানী কায়রোর ঠিক বাইরে, গিজায়, মিশরের সবচেয়ে বিখ্যাত পিরামিডটি অবস্থিত। সাড়ে ৪ হাজার বছরেরও বেশি আগে নির্মিত, গিজার পিরামিডগুলো মূলত সমাধি, যেখানে রানি এবং ফারাওদের সমাধিস্থ করা হতো।
কিন্তু কীভাবে মিশরীয়রা এই স্থাপনাগুলো তৈরি করেছিল? পিরামিড লাখ লাখ পাথর কেটে তৈরি, যার প্রতিটির ওজন কমপক্ষে দুই টন। এমনকি আজকের ক্রেন এবং অন্যান্য নির্মাণ সরঞ্জাম দিয়েও ফারাও খুফুর পিরামিডের মতো বড় পিরামিড তৈরি করা কঠিন কাজ। আবার পিরামিডগুলোতে জ্যোতির্বিদ্যাগত আকৃতি–প্রকৃতিও দেখা যায়।
তাহলে কি মিশরের পিরামিডগুলো এলিয়েনদের নিদর্শন? ঠিক, তা নয়। এটা সত্য যে, প্রাচীন মিসরীয়রা কীভাবে পিরামিডগুলো তৈরি করেছিল এবং এত দ্রুত তা করেছিল, সে সম্পর্কে বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত নন। তবে এই সমাধিগুলো যে হাজার হাজার মানুষের হাতে তৈরি সেটির অনেক প্রমাণ আছে।
স্টোনহেঞ্জ
অনেকগুলো পাথর বিশাল বৃত্তাকারে সাজানো, এর মধ্যে কিছু পাথরের ওজন ৫০ টন পর্যন্ত, স্টোনহেঞ্জ নামের এমন এক স্থাপনা দাঁড়িয়ে আছে ইংল্যান্ডের উইল্টারশায়ারে। সুইস লেখক এরিখ ভন ডেনিকেন স্থাপনাটি সম্পর্কে বলেছেন, এটি সৌরজগতের একটি মডেল যা এলিয়েনদের ল্যান্ডিং প্যাড হিসেবেও কাজ করে! প্রশ্ন জাগে এই বিশাল পাথরগুলোকে কয়েকশ মাইল দূর থেকে এনে কীভাবে এখানে স্থাপন করা হয়েছে?
স্টোনহেঞ্জ স্থাপনাটি ঠিক কী অর্থ বহন করে তা এখনো পরিষ্কার নয়। স্টোনহেঞ্জের পাথরগুলো নক্ষত্রমণ্ডল এবং সূর্য ও চন্দ্রগ্রহণের সঙ্গে সম্পর্কিত। তবে এর সঙ্গে এলিয়েনের যে সম্পর্ক নেই সেটি নিশ্চিত। বিজ্ঞানীরা বলছেন, প্রায় ৫ হাজার বছর আগের এমন একটি স্থাপনা প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি করা আসলেই সম্ভব।
তিওতিহুয়াকান (Teotihuacán)
তিওতিহুয়াকান শব্দের অর্থ দেবতাদের শহর। এটি মেক্সিকোর বিস্তৃত প্রাচীন একটি শহর। শহরটি পিরামিড আকৃতির মন্দির এবং জ্যোতির্বিদ্যাগত কনফিগারেশনের জন্য সবচেয়ে বেশি পরিচিত। দুই হাজার বছরেরও বেশি আগে নির্মিত, তিওতিহুয়াকানের বয়স, আকার এবং নির্মাণশৈলীর কারণে এটিকে অনেকেই অন্য জগতের কারও নির্মিত বলে দাবি করে। আসলে এটি মানুষেরই কাজ।
বিজ্ঞানীদের ধারণা, শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে, মায়া, জাপোটেক এবং মিক্সটেকসহ বিভিন্ন সভ্যতার মিথস্ক্রিয়ায় এই শহর গড়ে ওঠে। যেখানে ১ লাখেরও বেশি লোক বসবাস করত। তিওতিহুয়াকানে পাওয়া ম্যুরাল, বিভিন্ন সরঞ্জাম, পরিবহন ব্যবস্থা এবং উন্নত কৃষি পদ্ধতির কারণে শহরটিকে প্রাক–আজটেক মেক্সিকোর চেয়ে প্রযুক্তিগতভাবে অনেক বেশি উন্নত বলে মনে করা হয়।
ইস্টার আইল্যান্ড
দক্ষিণ আমেরিকার আরেক দেশ চিলিতে অবস্থিত ইস্টার আইল্যান্ড আরেকটি স্থাপনা, যেটি ধারণা করা হয় এলিয়েনদের তৈরি। মৃত আগ্নেয়গিরির পাশে পাথর খোদাই করে বানানো প্রায় ৯০০টি মানবাকৃতির মূর্তি দাঁড়িয়ে আছে। মূর্তিগুলো গড়ে ১৩ ফুট লম্বা ও ১৪ টন ওজনের। এগুলো ছাড়াও ৪০০ টির বেশি মূর্তি নির্মাণের বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে।
ধারণা করা হয়, ধর্মীয় কারণে এই অঞ্চলের বাসিন্দারাই এসব ভাস্কর্য বানিয়েছিল।

বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক থেকে শুরু করে স্বামী-স্ত্রীর ব্যক্তিগত ঝগড়া—সবকিছুতেই এখন থেকে গুনতে হবে মোটা অঙ্কের জরিমানা। চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় ইউনান প্রদেশের লিংক্যাং গ্রামের কমিটি এমন নিয়ম জারি করেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘গ্রামের নিয়মাবলি: সবাই সমান’ শিরোনামের একটি নোটিশ ভাইরাল হওয়ার...
১ দিন আগে
ইতালির আব্রুজ্জো অঞ্চলের মাউন্ট জিরিফালকোর পাদদেশে অবস্থিত এক প্রাচীন গ্রাম পালিয়ারা দে মার্সি। জনশূন্য এই গ্রামে মানুষের চেয়ে বিড়ালের সংখ্যাই বেশি। গত কয়েক দশক ধরে গ্রামটি নিস্তব্ধতায় ডুবে ছিল, কিন্তু গত মার্চ মাস থেকে সেখানে বইছে খুশির জোয়ার। কারণ, দীর্ঘ ৩০ বছর পর এই গ্রামে প্রথম কোনো শিশুর জন্ম
১ দিন আগে
ক্যালিফোর্নিয়ার সুজ লোপেজ যখন তাঁর ছোট ছেলে রিউকে কোলে নিয়ে বসেন, তখন এক অলৌকিক বিস্ময়ে স্তব্ধ হয়ে যান। কারণ, ছোট্ট রিউ তাঁর মায়ের জরায়ুর ভেতরে নয়, বেড়ে উঠেছিল পেটের ভেতরে একটি বিশাল আকৃতির ওভারিয়ান সিস্টের আড়ালে। চিকিৎসাবিজ্ঞানে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং বিরল এই ঘটনাকে ‘মিরাকল’ বা অলৌকিক বলছেন চিকিৎ
৩ দিন আগে
তুরস্কের একটি আদালত এক চাঞ্চল্যকর রায়ে জানিয়েছেন, স্ত্রী ছাড়া অন্য নারীদের অনলাইন পোস্টে স্বামীর বারবার ‘লাইক’ দেওয়া বৈবাহিক বিশ্বাস নষ্ট করতে পারে এবং তা বিবাহবিচ্ছেদের ভিত্তি হিসেবে গণ্য হতে পারে। মধ্যতুরস্কের কায়সেরি শহরের একটি মামলায় এই যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত এসেছে।
৪ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক থেকে শুরু করে স্বামী-স্ত্রীর ব্যক্তিগত ঝগড়া—সবকিছুতেই এখন থেকে গুনতে হবে মোটা অঙ্কের জরিমানা। চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় ইউনান প্রদেশের লিংক্যাং গ্রামের কমিটি এমন নিয়ম জারি করেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘গ্রামের নিয়মাবলি: সবাই সমান’ শিরোনামের একটি নোটিশ ভাইরাল হওয়ার পর শুরু হয়েছে তীব্র সমালোচনা ও বিতর্ক।
সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গ্রামের শৃঙ্খলা বজায় রাখার নামে ব্যক্তিগত স্বাধীনতার ওপর একাধিক বিধিনিষেধ আরোপ করেছে স্থানীয় গ্রাম কমিটি। ভাইরাল হওয়া ছবির ভিত্তিতে জরিমানার তালিকাটি নিচে দেওয়া হলো:
প্রাদেশিক বৈষম্য: ইউনান প্রদেশের বাইরের কাউকে বিয়ে করলে দম্পতিকে ১ হাজার ৫০০ ইউয়ান (প্রায় ২৩,০০০ টাকা) জরিমানা দিতে হবে।
বিয়ের আগে গর্ভধারণ: কোনো নারী বিয়ের আগে গর্ভবতী হলে তাঁকে ৩ হাজার ইউয়ান জরিমানার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
লিভ ইন রিলেশন: বিয়ে ছাড়াই কোনো যুগল একত্রে বসবাস করলে প্রতিবছর ৫০০ ইউয়ান জরিমানা দিতে হবে।
সন্তান জন্মের সময়: বিয়ের মাত্র ১০ মাসের মধ্যে কোনো দম্পতি সন্তান জন্ম দিলে তাঁকে ‘অকাল গর্ভধারণ’ হিসেবে গণ্য করে ৩ হাজার ইউয়ান জরিমানা করা হবে।
পারিবারিক কলহ: স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হলে এবং তা মেটাতে গ্রাম কর্তাদের ডাকলে উভয় পক্ষকে ৫০০ ইউয়ান করে জরিমানা দিতে হবে।
সামাজিক আচরণ: মদ্যপ অবস্থায় বিশৃঙ্খলা করলে ৩ হাজার থেকে ৫ হাজার ইউয়ান এবং গুজব ছড়ালে ১ হাজার ইউয়ান পর্যন্ত জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।
চীনের জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘উইবো’-তে এই নোটিশ শেয়ার হওয়ার পর নেটিজেনরা ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন। অনেক ব্যবহারকারী মন্তব্য করেছেন, ‘গ্রাম কমিটি কি এখন মানুষের শোবার ঘরের পাহারাদার হতে চায়?’ কেউ কেউ এটিকে মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছেন। সমালোচকদের মতে, আধুনিক চীনের আইনি কাঠামোয় এ ধরনের নিয়মাবলি সম্পূর্ণ অবৈধ এবং মধ্যযুগীয় বর্বরতার শামিল।
বিতর্ক তুঙ্গে উঠলে স্থানীয় মেংডিং টাউন সরকার দ্রুত পদক্ষেপ নেয়। ১৬ ডিসেম্বর রেড স্টার নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রশাসনের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জানান, নোটিশটি গ্রাম কমিটির নিজস্ব উদ্যোগে টাঙানো হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘এই নিয়মগুলো অত্যন্ত অস্বাভাবিক এবং ইউনিয়ন বা টাউন সরকারের কাছ থেকে কোনো প্রকার পূর্বানুমতি নেওয়া হয়নি। আমরা ইতিমধ্যেই নোটিশটি সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দিয়েছি এবং এটি এখন কার্যকর নেই।’
লিংক্যাং গ্রামটির জনসংখ্যা বা বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থা সম্পর্কে সঠিক তথ্য পাওয়া না গেলেও বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, চীনের অনেক প্রত্যন্ত অঞ্চলে গ্রাম কমিটিগুলো নিজেদের ছোটখাটো ‘রাজা’ মনে করে এ ধরনের অবৈধ নিয়ম জারি করে থাকে। এই ঘটনাটি চীনের গ্রামীণ স্বায়ত্তশাসনের সীমাবদ্ধতা এবং সাধারণ মানুষের আইনি অধিকার রক্ষার প্রয়োজনীয়তাকে আবারও সামনে নিয়ে এসেছে।

বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক থেকে শুরু করে স্বামী-স্ত্রীর ব্যক্তিগত ঝগড়া—সবকিছুতেই এখন থেকে গুনতে হবে মোটা অঙ্কের জরিমানা। চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় ইউনান প্রদেশের লিংক্যাং গ্রামের কমিটি এমন নিয়ম জারি করেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘গ্রামের নিয়মাবলি: সবাই সমান’ শিরোনামের একটি নোটিশ ভাইরাল হওয়ার পর শুরু হয়েছে তীব্র সমালোচনা ও বিতর্ক।
সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গ্রামের শৃঙ্খলা বজায় রাখার নামে ব্যক্তিগত স্বাধীনতার ওপর একাধিক বিধিনিষেধ আরোপ করেছে স্থানীয় গ্রাম কমিটি। ভাইরাল হওয়া ছবির ভিত্তিতে জরিমানার তালিকাটি নিচে দেওয়া হলো:
প্রাদেশিক বৈষম্য: ইউনান প্রদেশের বাইরের কাউকে বিয়ে করলে দম্পতিকে ১ হাজার ৫০০ ইউয়ান (প্রায় ২৩,০০০ টাকা) জরিমানা দিতে হবে।
বিয়ের আগে গর্ভধারণ: কোনো নারী বিয়ের আগে গর্ভবতী হলে তাঁকে ৩ হাজার ইউয়ান জরিমানার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
লিভ ইন রিলেশন: বিয়ে ছাড়াই কোনো যুগল একত্রে বসবাস করলে প্রতিবছর ৫০০ ইউয়ান জরিমানা দিতে হবে।
সন্তান জন্মের সময়: বিয়ের মাত্র ১০ মাসের মধ্যে কোনো দম্পতি সন্তান জন্ম দিলে তাঁকে ‘অকাল গর্ভধারণ’ হিসেবে গণ্য করে ৩ হাজার ইউয়ান জরিমানা করা হবে।
পারিবারিক কলহ: স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হলে এবং তা মেটাতে গ্রাম কর্তাদের ডাকলে উভয় পক্ষকে ৫০০ ইউয়ান করে জরিমানা দিতে হবে।
সামাজিক আচরণ: মদ্যপ অবস্থায় বিশৃঙ্খলা করলে ৩ হাজার থেকে ৫ হাজার ইউয়ান এবং গুজব ছড়ালে ১ হাজার ইউয়ান পর্যন্ত জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।
চীনের জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘উইবো’-তে এই নোটিশ শেয়ার হওয়ার পর নেটিজেনরা ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন। অনেক ব্যবহারকারী মন্তব্য করেছেন, ‘গ্রাম কমিটি কি এখন মানুষের শোবার ঘরের পাহারাদার হতে চায়?’ কেউ কেউ এটিকে মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছেন। সমালোচকদের মতে, আধুনিক চীনের আইনি কাঠামোয় এ ধরনের নিয়মাবলি সম্পূর্ণ অবৈধ এবং মধ্যযুগীয় বর্বরতার শামিল।
বিতর্ক তুঙ্গে উঠলে স্থানীয় মেংডিং টাউন সরকার দ্রুত পদক্ষেপ নেয়। ১৬ ডিসেম্বর রেড স্টার নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রশাসনের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জানান, নোটিশটি গ্রাম কমিটির নিজস্ব উদ্যোগে টাঙানো হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘এই নিয়মগুলো অত্যন্ত অস্বাভাবিক এবং ইউনিয়ন বা টাউন সরকারের কাছ থেকে কোনো প্রকার পূর্বানুমতি নেওয়া হয়নি। আমরা ইতিমধ্যেই নোটিশটি সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দিয়েছি এবং এটি এখন কার্যকর নেই।’
লিংক্যাং গ্রামটির জনসংখ্যা বা বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থা সম্পর্কে সঠিক তথ্য পাওয়া না গেলেও বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, চীনের অনেক প্রত্যন্ত অঞ্চলে গ্রাম কমিটিগুলো নিজেদের ছোটখাটো ‘রাজা’ মনে করে এ ধরনের অবৈধ নিয়ম জারি করে থাকে। এই ঘটনাটি চীনের গ্রামীণ স্বায়ত্তশাসনের সীমাবদ্ধতা এবং সাধারণ মানুষের আইনি অধিকার রক্ষার প্রয়োজনীয়তাকে আবারও সামনে নিয়ে এসেছে।

পৃথিবীতে এমন কিছু প্রাচীন স্থাপনার ধ্বংসাবশেষ রয়েছে, যেগুলো দেখলে ওই সময় মানব নির্মিত কোনো স্থাপনা বলে বিশ্বাস করা কঠিন! কারণ, এসব স্থাপনার নির্মাণশৈলী একই সঙ্গে জটিল ও বিশাল।
২২ অক্টোবর ২০২৪
ইতালির আব্রুজ্জো অঞ্চলের মাউন্ট জিরিফালকোর পাদদেশে অবস্থিত এক প্রাচীন গ্রাম পালিয়ারা দে মার্সি। জনশূন্য এই গ্রামে মানুষের চেয়ে বিড়ালের সংখ্যাই বেশি। গত কয়েক দশক ধরে গ্রামটি নিস্তব্ধতায় ডুবে ছিল, কিন্তু গত মার্চ মাস থেকে সেখানে বইছে খুশির জোয়ার। কারণ, দীর্ঘ ৩০ বছর পর এই গ্রামে প্রথম কোনো শিশুর জন্ম
১ দিন আগে
ক্যালিফোর্নিয়ার সুজ লোপেজ যখন তাঁর ছোট ছেলে রিউকে কোলে নিয়ে বসেন, তখন এক অলৌকিক বিস্ময়ে স্তব্ধ হয়ে যান। কারণ, ছোট্ট রিউ তাঁর মায়ের জরায়ুর ভেতরে নয়, বেড়ে উঠেছিল পেটের ভেতরে একটি বিশাল আকৃতির ওভারিয়ান সিস্টের আড়ালে। চিকিৎসাবিজ্ঞানে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং বিরল এই ঘটনাকে ‘মিরাকল’ বা অলৌকিক বলছেন চিকিৎ
৩ দিন আগে
তুরস্কের একটি আদালত এক চাঞ্চল্যকর রায়ে জানিয়েছেন, স্ত্রী ছাড়া অন্য নারীদের অনলাইন পোস্টে স্বামীর বারবার ‘লাইক’ দেওয়া বৈবাহিক বিশ্বাস নষ্ট করতে পারে এবং তা বিবাহবিচ্ছেদের ভিত্তি হিসেবে গণ্য হতে পারে। মধ্যতুরস্কের কায়সেরি শহরের একটি মামলায় এই যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত এসেছে।
৪ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইতালির আব্রুজ্জো অঞ্চলের মাউন্ট জিরিফালকোর পাদদেশে অবস্থিত এক প্রাচীন গ্রাম পালিয়ারা দে মার্সি। জনশূন্য এই গ্রামে মানুষের চেয়ে বিড়ালের সংখ্যাই বেশি। গত কয়েক দশক ধরে গ্রামটি নিস্তব্ধতায় ডুবে ছিল, কিন্তু গত মার্চ মাস থেকে সেখানে বইছে খুশির জোয়ার। কারণ, দীর্ঘ ৩০ বছর পর এই গ্রামে প্রথম কোনো শিশুর জন্ম হয়েছে।
লারা বুসি ত্রাবুক্কো নামের এই শিশুটির আগমনে গ্রামের জনসংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ জনে। তার খ্রিষ্টধর্মে দীক্ষাদান অনুষ্ঠানে পুরো গ্রাম ভেঙে পড়েছিল। এমনকি ৯ মাস বয়সী লারা এখন ওই অঞ্চলের প্রধান পর্যটন আকর্ষণে পরিণত হয়েছে। লারার মা সিনজিয়া ত্রাবুক্কো বলেন, ‘যারা আগে এই গ্রামের নামও জানত না, তারাও এখন লারাকে দেখতে আসছে।’
লারার জন্ম এক দিকে যেমন আশার প্রতীক, অন্য দিকে এটি ইতালির ভয়াবহ জনসংখ্যা হ্রাসের চিত্রকেও ফুটিয়ে তুলেছে।
ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালে ইতালিতে জন্মহার সর্বকালের সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছেছে (৩,৬৯,৯৪৪ জন)। প্রজনন হার প্রতি নারী পিছু মাত্র ১.১৮, যা ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে অন্যতম সর্বনিম্ন।
২০২৫ সালের প্রথম সাত মাসের উপাত্ত অনুযায়ী, আব্রুজ্জো অঞ্চলে জন্মহার গত বছরের তুলনায় আরও ১০.২ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।
বিশেষজ্ঞ ও স্থানীয় বাসিন্দারা এই পরিস্থিতির জন্য একাধিক কারণকে দায়ী করেছেন। এরমধ্যে রয়েছে—তরুণ প্রজন্মের মধ্যে কর্মসংস্থানের অভাব ও দেশত্যাগের প্রবণতা। কর্মজীবী মায়েদের জন্য ডে-কেয়ার বা নার্সারির অভাব। অনেক নারী মা হওয়ার পর আর কর্মক্ষেত্রে ফিরতে পারেন না। পুরুষদের মধ্যে ক্রমবর্ধমান বন্ধ্যাত্ব এবং অনেকের সন্তান না নেওয়ার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। ট্যাক্স বেশি হলেও সেই অনুযায়ী সামাজিক সেবা বা উন্নত জীবনযাত্রার অভাব।
জর্জিয়া মেলোনির সরকার এই পরিস্থিতিকে ‘জনসংখ্যার শীতকাল’ (Demographic Winter) হিসেবে অভিহিত করেছে। সংকট মোকাবিলায় ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে প্রতিটি শিশুর জন্মের পর এককালীন ১ হাজার ইউরো ‘বেবি বোনাস’ এবং প্রতি মাসে প্রায় ৩৭০ ইউরো শিশু ভাতা দেওয়ার নিয়ম চালু করা হয়েছে। তবে লারার মায়ের মতে, শুধু অর্থ দিয়ে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়; পুরো ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন প্রয়োজন।
এদিকে, জনসংখ্যা কমে যাওয়ায় অনেক শহরে প্রসূতি বিভাগ (Maternity Unit) বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। পালিয়ারা দে মার্সি থেকে এক ঘণ্টার দূরত্বে অবস্থিত সুলমোনা শহরের হাসপাতালটি এখন বন্ধের ঝুঁকিতে। নিয়ম অনুযায়ী বছরে অন্তত ৫০০ শিশুর জন্ম না হলে সেই ইউনিট চালু রাখা কঠিন। ২০২৪ সালে সেখানে মাত্র ১২০টি শিশুর জন্ম হয়েছে। এটি বন্ধ হয়ে গেলে গর্ভবতী নারীদের দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে অন্য শহরে যেতে হবে, যা জরুরি অবস্থায় অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।
গ্রামের মেয়র জিউসেপিনা পেরোজি আশা প্রকাশ করেন, লারার জন্ম অন্যদেরও পরিবার গঠনে অনুপ্রাণিত করবে। কিন্তু লারার ভবিষ্যৎ শিক্ষা নিয়ে দুশ্চিন্তা রয়েই গেছে। গ্রামটিতে কয়েক দশক ধরে কোনো শিক্ষক নেই, এবং পার্শ্ববর্তী গ্রামের স্কুলগুলোও শিক্ষার্থীর অভাবে বন্ধ হওয়ার পথে।

ইতালির আব্রুজ্জো অঞ্চলের মাউন্ট জিরিফালকোর পাদদেশে অবস্থিত এক প্রাচীন গ্রাম পালিয়ারা দে মার্সি। জনশূন্য এই গ্রামে মানুষের চেয়ে বিড়ালের সংখ্যাই বেশি। গত কয়েক দশক ধরে গ্রামটি নিস্তব্ধতায় ডুবে ছিল, কিন্তু গত মার্চ মাস থেকে সেখানে বইছে খুশির জোয়ার। কারণ, দীর্ঘ ৩০ বছর পর এই গ্রামে প্রথম কোনো শিশুর জন্ম হয়েছে।
লারা বুসি ত্রাবুক্কো নামের এই শিশুটির আগমনে গ্রামের জনসংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ জনে। তার খ্রিষ্টধর্মে দীক্ষাদান অনুষ্ঠানে পুরো গ্রাম ভেঙে পড়েছিল। এমনকি ৯ মাস বয়সী লারা এখন ওই অঞ্চলের প্রধান পর্যটন আকর্ষণে পরিণত হয়েছে। লারার মা সিনজিয়া ত্রাবুক্কো বলেন, ‘যারা আগে এই গ্রামের নামও জানত না, তারাও এখন লারাকে দেখতে আসছে।’
লারার জন্ম এক দিকে যেমন আশার প্রতীক, অন্য দিকে এটি ইতালির ভয়াবহ জনসংখ্যা হ্রাসের চিত্রকেও ফুটিয়ে তুলেছে।
ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালে ইতালিতে জন্মহার সর্বকালের সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছেছে (৩,৬৯,৯৪৪ জন)। প্রজনন হার প্রতি নারী পিছু মাত্র ১.১৮, যা ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে অন্যতম সর্বনিম্ন।
২০২৫ সালের প্রথম সাত মাসের উপাত্ত অনুযায়ী, আব্রুজ্জো অঞ্চলে জন্মহার গত বছরের তুলনায় আরও ১০.২ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।
বিশেষজ্ঞ ও স্থানীয় বাসিন্দারা এই পরিস্থিতির জন্য একাধিক কারণকে দায়ী করেছেন। এরমধ্যে রয়েছে—তরুণ প্রজন্মের মধ্যে কর্মসংস্থানের অভাব ও দেশত্যাগের প্রবণতা। কর্মজীবী মায়েদের জন্য ডে-কেয়ার বা নার্সারির অভাব। অনেক নারী মা হওয়ার পর আর কর্মক্ষেত্রে ফিরতে পারেন না। পুরুষদের মধ্যে ক্রমবর্ধমান বন্ধ্যাত্ব এবং অনেকের সন্তান না নেওয়ার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। ট্যাক্স বেশি হলেও সেই অনুযায়ী সামাজিক সেবা বা উন্নত জীবনযাত্রার অভাব।
জর্জিয়া মেলোনির সরকার এই পরিস্থিতিকে ‘জনসংখ্যার শীতকাল’ (Demographic Winter) হিসেবে অভিহিত করেছে। সংকট মোকাবিলায় ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে প্রতিটি শিশুর জন্মের পর এককালীন ১ হাজার ইউরো ‘বেবি বোনাস’ এবং প্রতি মাসে প্রায় ৩৭০ ইউরো শিশু ভাতা দেওয়ার নিয়ম চালু করা হয়েছে। তবে লারার মায়ের মতে, শুধু অর্থ দিয়ে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়; পুরো ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন প্রয়োজন।
এদিকে, জনসংখ্যা কমে যাওয়ায় অনেক শহরে প্রসূতি বিভাগ (Maternity Unit) বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। পালিয়ারা দে মার্সি থেকে এক ঘণ্টার দূরত্বে অবস্থিত সুলমোনা শহরের হাসপাতালটি এখন বন্ধের ঝুঁকিতে। নিয়ম অনুযায়ী বছরে অন্তত ৫০০ শিশুর জন্ম না হলে সেই ইউনিট চালু রাখা কঠিন। ২০২৪ সালে সেখানে মাত্র ১২০টি শিশুর জন্ম হয়েছে। এটি বন্ধ হয়ে গেলে গর্ভবতী নারীদের দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে অন্য শহরে যেতে হবে, যা জরুরি অবস্থায় অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।
গ্রামের মেয়র জিউসেপিনা পেরোজি আশা প্রকাশ করেন, লারার জন্ম অন্যদেরও পরিবার গঠনে অনুপ্রাণিত করবে। কিন্তু লারার ভবিষ্যৎ শিক্ষা নিয়ে দুশ্চিন্তা রয়েই গেছে। গ্রামটিতে কয়েক দশক ধরে কোনো শিক্ষক নেই, এবং পার্শ্ববর্তী গ্রামের স্কুলগুলোও শিক্ষার্থীর অভাবে বন্ধ হওয়ার পথে।

পৃথিবীতে এমন কিছু প্রাচীন স্থাপনার ধ্বংসাবশেষ রয়েছে, যেগুলো দেখলে ওই সময় মানব নির্মিত কোনো স্থাপনা বলে বিশ্বাস করা কঠিন! কারণ, এসব স্থাপনার নির্মাণশৈলী একই সঙ্গে জটিল ও বিশাল।
২২ অক্টোবর ২০২৪
বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক থেকে শুরু করে স্বামী-স্ত্রীর ব্যক্তিগত ঝগড়া—সবকিছুতেই এখন থেকে গুনতে হবে মোটা অঙ্কের জরিমানা। চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় ইউনান প্রদেশের লিংক্যাং গ্রামের কমিটি এমন নিয়ম জারি করেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘গ্রামের নিয়মাবলি: সবাই সমান’ শিরোনামের একটি নোটিশ ভাইরাল হওয়ার...
১ দিন আগে
ক্যালিফোর্নিয়ার সুজ লোপেজ যখন তাঁর ছোট ছেলে রিউকে কোলে নিয়ে বসেন, তখন এক অলৌকিক বিস্ময়ে স্তব্ধ হয়ে যান। কারণ, ছোট্ট রিউ তাঁর মায়ের জরায়ুর ভেতরে নয়, বেড়ে উঠেছিল পেটের ভেতরে একটি বিশাল আকৃতির ওভারিয়ান সিস্টের আড়ালে। চিকিৎসাবিজ্ঞানে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং বিরল এই ঘটনাকে ‘মিরাকল’ বা অলৌকিক বলছেন চিকিৎ
৩ দিন আগে
তুরস্কের একটি আদালত এক চাঞ্চল্যকর রায়ে জানিয়েছেন, স্ত্রী ছাড়া অন্য নারীদের অনলাইন পোস্টে স্বামীর বারবার ‘লাইক’ দেওয়া বৈবাহিক বিশ্বাস নষ্ট করতে পারে এবং তা বিবাহবিচ্ছেদের ভিত্তি হিসেবে গণ্য হতে পারে। মধ্যতুরস্কের কায়সেরি শহরের একটি মামলায় এই যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত এসেছে।
৪ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ক্যালিফোর্নিয়ার সুজ লোপেজ যখন তাঁর ছোট ছেলে রিউকে কোলে নিয়ে বসেন, তখন এক অলৌকিক বিস্ময়ে স্তব্ধ হয়ে যান। কারণ, ছোট্ট রিউ তাঁর মায়ের জরায়ুর ভেতরে নয়, বেড়ে উঠেছিল পেটের ভেতরে একটি বিশাল আকৃতির ওভারিয়ান সিস্টের আড়ালে। চিকিৎসাবিজ্ঞানে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং বিরল এই ঘটনাকে ‘মিরাকল’ বা অলৌকিক বলছেন চিকিৎসকেরা।
লস অ্যাঞ্জেলেসের সিডারস-সিনাই মেডিকেল সেন্টারের প্রসূতি ও প্রসব বিভাগের মেডিকেল ডিরেক্টর ড. জন ওজিমেক এপিকে বলেন, ‘প্রতি ৩০ হাজার গর্ভাবস্থার মধ্যে মাত্র একটি জরায়ুর বাইরে পেটের ভেতরে (Abdominal Pregnancy) ঘটে। আর পূর্ণ মেয়াদে সুস্থ শিশু জন্ম দেওয়ার ঘটনা ১ কোটিতে একজনের ক্ষেত্রেও দেখা যায় না। এটি সত্যিই অবিশ্বাস্য।’
৪১ বছর বয়সী সুজ লোপেজ পেশায় একজন নার্স। আশ্চর্যের বিষয় হলো, সন্তান জন্ম দেওয়ার মাত্র কয়েক দিন আগ পর্যন্ত তিনি জানতেনই না যে তিনি অন্তঃসত্ত্বা।
সুজ দীর্ঘদিন ধরে ওভারিয়ান সিস্টের সমস্যায় ভুগছিলেন। যখন তাঁর পেট বড় হতে শুরু করে, তিনি ভেবেছিলেন, এটি ২১ পাউন্ড ওজনের সেই সিস্টেরই বৃদ্ধি।
সাধারণ গর্ভাবস্থার কোনো লক্ষণ; যেমন সকালবেলায় অসুস্থতা বোধ করা (Morning Sickness) বা শিশুর নড়াচড়া—কিছুই তিনি অনুভব করেননি। অনিয়মিত পিরিয়ডের কারণে ঋতুস্রাব বন্ধ হওয়াকেও তিনি স্বাভাবিক ধরে নিয়েছিলেন।
অবশেষে পেটে অসহ্য ব্যথা শুরু হলে তিনি সিস্ট অপসারণের জন্য চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। সেখানে সিটি স্ক্যান করার আগে বাধ্যতামূলক গর্ভাবস্থা পরীক্ষায় ফল ‘পজিটিভ’ আসে।
হাসপাতালে আলট্রাসাউন্ড এবং এমআরআই স্ক্যানে দেখা যায়, সুজের জরায়ু সম্পূর্ণ খালি। অথচ একটি পূর্ণাঙ্গ ভ্রূণ তাঁর লিভারের কাছে পেটের এক কোণে অ্যামনিওটিক থ্যাকের ভেতরে বেড়ে উঠছে। ড. ওজিমেক জানান, ভ্রূণটি লিভারের মতো গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গকে সরাসরি আক্রান্ত করেনি, বরং পেলভিসের পাশের দেয়ালে গেঁথে ছিল। এটি অত্যন্ত বিপজ্জনক হলেও লিভারের তুলনায় কিছুটা নিয়ন্ত্রণযোগ্য ছিল।
গত ১৮ আগস্ট এক জটিল অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ৮ পাউন্ড (৩.৬ কেজি) ওজনের রিউকে পৃথিবীতে আনা হয়। অস্ত্রোপচারের সময় সুজের সেই বিশাল সিস্টটিও অপসারণ করা হয়। অত্যধিক রক্তক্ষরণ হলেও চিকিৎসকদের দক্ষতায় সুজ এবং তাঁর সন্তান দুজনেই সুস্থভাবে ফিরে আসেন।
সুজের স্বামী অ্যান্ড্রু লোপেজ বলেন, ‘বাইরে শান্ত থাকলেও আমি ভেতরে-ভেতরে প্রার্থনা করছিলাম। যেকোনো মুহূর্তে স্ত্রী বা সন্তানকে হারানোর ভয় আমাকে তাড়া করছিল।’
বর্তমানে রিউ সম্পূর্ণ সুস্থ এবং প্রাণচঞ্চল। নিজের ১৮ বছর বয়সী বড় বোন কাইলার সঙ্গে তার খুনসুটি লেগেই থাকে। সামনেই রিউয়ের প্রথম বড়দিন। সুজ লোপেজ আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, ‘আমি এখন অলৌকিক ঘটনায় বিশ্বাস করি। ঈশ্বর আমাদের জীবনের সেরা উপহারটি দিয়েছেন।’
চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, এই কেস এতই বিরল যে তাঁরা এটি একটি মেডিকেল জার্নালে প্রকাশের পরিকল্পনা করছেন।

ক্যালিফোর্নিয়ার সুজ লোপেজ যখন তাঁর ছোট ছেলে রিউকে কোলে নিয়ে বসেন, তখন এক অলৌকিক বিস্ময়ে স্তব্ধ হয়ে যান। কারণ, ছোট্ট রিউ তাঁর মায়ের জরায়ুর ভেতরে নয়, বেড়ে উঠেছিল পেটের ভেতরে একটি বিশাল আকৃতির ওভারিয়ান সিস্টের আড়ালে। চিকিৎসাবিজ্ঞানে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং বিরল এই ঘটনাকে ‘মিরাকল’ বা অলৌকিক বলছেন চিকিৎসকেরা।
লস অ্যাঞ্জেলেসের সিডারস-সিনাই মেডিকেল সেন্টারের প্রসূতি ও প্রসব বিভাগের মেডিকেল ডিরেক্টর ড. জন ওজিমেক এপিকে বলেন, ‘প্রতি ৩০ হাজার গর্ভাবস্থার মধ্যে মাত্র একটি জরায়ুর বাইরে পেটের ভেতরে (Abdominal Pregnancy) ঘটে। আর পূর্ণ মেয়াদে সুস্থ শিশু জন্ম দেওয়ার ঘটনা ১ কোটিতে একজনের ক্ষেত্রেও দেখা যায় না। এটি সত্যিই অবিশ্বাস্য।’
৪১ বছর বয়সী সুজ লোপেজ পেশায় একজন নার্স। আশ্চর্যের বিষয় হলো, সন্তান জন্ম দেওয়ার মাত্র কয়েক দিন আগ পর্যন্ত তিনি জানতেনই না যে তিনি অন্তঃসত্ত্বা।
সুজ দীর্ঘদিন ধরে ওভারিয়ান সিস্টের সমস্যায় ভুগছিলেন। যখন তাঁর পেট বড় হতে শুরু করে, তিনি ভেবেছিলেন, এটি ২১ পাউন্ড ওজনের সেই সিস্টেরই বৃদ্ধি।
সাধারণ গর্ভাবস্থার কোনো লক্ষণ; যেমন সকালবেলায় অসুস্থতা বোধ করা (Morning Sickness) বা শিশুর নড়াচড়া—কিছুই তিনি অনুভব করেননি। অনিয়মিত পিরিয়ডের কারণে ঋতুস্রাব বন্ধ হওয়াকেও তিনি স্বাভাবিক ধরে নিয়েছিলেন।
অবশেষে পেটে অসহ্য ব্যথা শুরু হলে তিনি সিস্ট অপসারণের জন্য চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। সেখানে সিটি স্ক্যান করার আগে বাধ্যতামূলক গর্ভাবস্থা পরীক্ষায় ফল ‘পজিটিভ’ আসে।
হাসপাতালে আলট্রাসাউন্ড এবং এমআরআই স্ক্যানে দেখা যায়, সুজের জরায়ু সম্পূর্ণ খালি। অথচ একটি পূর্ণাঙ্গ ভ্রূণ তাঁর লিভারের কাছে পেটের এক কোণে অ্যামনিওটিক থ্যাকের ভেতরে বেড়ে উঠছে। ড. ওজিমেক জানান, ভ্রূণটি লিভারের মতো গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গকে সরাসরি আক্রান্ত করেনি, বরং পেলভিসের পাশের দেয়ালে গেঁথে ছিল। এটি অত্যন্ত বিপজ্জনক হলেও লিভারের তুলনায় কিছুটা নিয়ন্ত্রণযোগ্য ছিল।
গত ১৮ আগস্ট এক জটিল অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ৮ পাউন্ড (৩.৬ কেজি) ওজনের রিউকে পৃথিবীতে আনা হয়। অস্ত্রোপচারের সময় সুজের সেই বিশাল সিস্টটিও অপসারণ করা হয়। অত্যধিক রক্তক্ষরণ হলেও চিকিৎসকদের দক্ষতায় সুজ এবং তাঁর সন্তান দুজনেই সুস্থভাবে ফিরে আসেন।
সুজের স্বামী অ্যান্ড্রু লোপেজ বলেন, ‘বাইরে শান্ত থাকলেও আমি ভেতরে-ভেতরে প্রার্থনা করছিলাম। যেকোনো মুহূর্তে স্ত্রী বা সন্তানকে হারানোর ভয় আমাকে তাড়া করছিল।’
বর্তমানে রিউ সম্পূর্ণ সুস্থ এবং প্রাণচঞ্চল। নিজের ১৮ বছর বয়সী বড় বোন কাইলার সঙ্গে তার খুনসুটি লেগেই থাকে। সামনেই রিউয়ের প্রথম বড়দিন। সুজ লোপেজ আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, ‘আমি এখন অলৌকিক ঘটনায় বিশ্বাস করি। ঈশ্বর আমাদের জীবনের সেরা উপহারটি দিয়েছেন।’
চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, এই কেস এতই বিরল যে তাঁরা এটি একটি মেডিকেল জার্নালে প্রকাশের পরিকল্পনা করছেন।

পৃথিবীতে এমন কিছু প্রাচীন স্থাপনার ধ্বংসাবশেষ রয়েছে, যেগুলো দেখলে ওই সময় মানব নির্মিত কোনো স্থাপনা বলে বিশ্বাস করা কঠিন! কারণ, এসব স্থাপনার নির্মাণশৈলী একই সঙ্গে জটিল ও বিশাল।
২২ অক্টোবর ২০২৪
বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক থেকে শুরু করে স্বামী-স্ত্রীর ব্যক্তিগত ঝগড়া—সবকিছুতেই এখন থেকে গুনতে হবে মোটা অঙ্কের জরিমানা। চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় ইউনান প্রদেশের লিংক্যাং গ্রামের কমিটি এমন নিয়ম জারি করেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘গ্রামের নিয়মাবলি: সবাই সমান’ শিরোনামের একটি নোটিশ ভাইরাল হওয়ার...
১ দিন আগে
ইতালির আব্রুজ্জো অঞ্চলের মাউন্ট জিরিফালকোর পাদদেশে অবস্থিত এক প্রাচীন গ্রাম পালিয়ারা দে মার্সি। জনশূন্য এই গ্রামে মানুষের চেয়ে বিড়ালের সংখ্যাই বেশি। গত কয়েক দশক ধরে গ্রামটি নিস্তব্ধতায় ডুবে ছিল, কিন্তু গত মার্চ মাস থেকে সেখানে বইছে খুশির জোয়ার। কারণ, দীর্ঘ ৩০ বছর পর এই গ্রামে প্রথম কোনো শিশুর জন্ম
১ দিন আগে
তুরস্কের একটি আদালত এক চাঞ্চল্যকর রায়ে জানিয়েছেন, স্ত্রী ছাড়া অন্য নারীদের অনলাইন পোস্টে স্বামীর বারবার ‘লাইক’ দেওয়া বৈবাহিক বিশ্বাস নষ্ট করতে পারে এবং তা বিবাহবিচ্ছেদের ভিত্তি হিসেবে গণ্য হতে পারে। মধ্যতুরস্কের কায়সেরি শহরের একটি মামলায় এই যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত এসেছে।
৪ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

তুরস্কের একটি আদালত এক চাঞ্চল্যকর রায়ে জানিয়েছেন, স্ত্রী ছাড়া অন্য নারীদের অনলাইন পোস্টে স্বামীর বারবার ‘লাইক’ দেওয়া বৈবাহিক বিশ্বাস নষ্ট করতে পারে এবং তা বিবাহবিচ্ছেদের ভিত্তি হিসেবে গণ্য হতে পারে। মধ্যতুরস্কের কায়সেরি শহরের একটি মামলায় এই যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত এসেছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম হাবারলারের বরাত দিয়ে হংকং থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এইচবি নামে এক নারী তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে মৌখিক অপমান এবং আর্থিক ভরণপোষণ না দেওয়ার অভিযোগ আনেন। ওই নারী আরও উল্লেখ করেন, তাঁর স্বামী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচুর সময় কাটাতেন এবং সেখানে নিয়মিত অন্য নারীদের ছবিতে, এমনকি প্রলুব্ধকর ছবিতেও ‘লাইক’ দিতেন। মাঝেমধ্যে তিনি ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্যও করতেন।
এইচবি যুক্তি দেন, এই আচরণ তাঁর স্বামীর দাম্পত্য আনুগত্যের পরিপন্থী। তিনি বিবাহবিচ্ছেদের পাশাপাশি খোরপোশ ও ক্ষতিপূরণ দাবি করে মামলা করেন। স্বামী এসবি অবশ্য সব অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনিও পাল্টা বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেন এবং দাবি করেন, তাঁর স্ত্রী তাঁর বাবাকে অপমান করেছেন এবং অতিরিক্ত ঈর্ষাপরায়ণ। স্ত্রীর এসব অভিযোগ তাঁর সুনাম ক্ষুণ্ন করেছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
আদালত এই মামলায় স্বামীকেই বেশি দোষী সাব্যস্ত করে রায় দেন। তাঁকে প্রতি মাসে ৭৫০ লিরা বা ২০ মার্কিন ডলার খোরপোশ এবং ৮০ হাজার লিরা ২ হাজার মার্কিন ডলার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। এসবি এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে দাবি করেন, এই পরিমাণ অনেক বেশি। কিন্তু আদালত তাঁর সেই আবেদন নাকচ করে দেন।
বিচারকেরা জানান, অন্য নারীদের ছবিতে ওই ব্যক্তির ‘লাইক’ দেওয়ার বিষয়টি বৈবাহিক বিশ্বাস ভেঙে দিয়েছে। তাঁরা মন্তব্য করেন, ‘অনলাইনে এই আপাত নিরীহ মিথস্ক্রিয়াগুলো মূলত মানসিক নিরাপত্তাহীনতা বাড়িয়ে তুলতে পারে এবং সম্পর্কের ভারসাম্য নষ্ট করে দিতে পারে।’
তুর্কি আইনজীবী ইমামোগ্লু স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেন, এই রায় একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকল যে অনলাইন কর্মকাণ্ড এখন বিবাহবিচ্ছেদের মামলায় শক্তিশালী প্রমাণ হিসেবে গণ্য হবে। তিনি বলেন, ‘এখন থেকে স্ক্রিনশট, মেসেজ এবং সব ধরনের ডিজিটাল কার্যক্রম উভয় পক্ষের দোষ নির্ধারণে বিবেচনায় নেওয়া হবে। নাগরিকদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের সময় বিষয়টি মাথায় রাখার পরামর্শ দিচ্ছি।’
এই মামলা অনলাইনে ব্যাপক বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। এক নেটিজেন লিখেছেন, ‘যদি একটি লাইক আপনার সম্পর্ক ধ্বংস করতে পারে, তবে আপনাদের বিয়ে কখনোই মজবুত ছিল না।’ অন্য একজন মন্তব্য করেছেন, ‘এখন পরিচয় লুকিয়ে লাইক দেওয়ার ফিচার চালু করার সময় এসেছে।’ তবে তৃতীয় একজন ভিন্নমত পোষণ করে বলেন, ‘যদি অনলাইনে প্রতিটি লাইক বা ভিউকে অবিশ্বস্ততা হিসেবে দেখা হয়, তবে মানুষ সারাক্ষণ ভয়ে থাকবে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম হওয়া উচিত মতপ্রকাশের মুক্ত জায়গা।’
তুরস্কের আদালতে অদ্ভুত কারণে বিবাহবিচ্ছেদের রায় দেওয়ার ঘটনা এটিই প্রথম নয়। এর আগে এক ব্যক্তিকে তাঁর সাবেক স্ত্রীকে ফোনের কন্টাক্ট লিস্টে ‘মোটু’ নামে সেভ করার জন্য ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, যা অসম্মানজনক হিসেবে বিবেচিত হয়।

তুরস্কের একটি আদালত এক চাঞ্চল্যকর রায়ে জানিয়েছেন, স্ত্রী ছাড়া অন্য নারীদের অনলাইন পোস্টে স্বামীর বারবার ‘লাইক’ দেওয়া বৈবাহিক বিশ্বাস নষ্ট করতে পারে এবং তা বিবাহবিচ্ছেদের ভিত্তি হিসেবে গণ্য হতে পারে। মধ্যতুরস্কের কায়সেরি শহরের একটি মামলায় এই যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত এসেছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম হাবারলারের বরাত দিয়ে হংকং থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এইচবি নামে এক নারী তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে মৌখিক অপমান এবং আর্থিক ভরণপোষণ না দেওয়ার অভিযোগ আনেন। ওই নারী আরও উল্লেখ করেন, তাঁর স্বামী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচুর সময় কাটাতেন এবং সেখানে নিয়মিত অন্য নারীদের ছবিতে, এমনকি প্রলুব্ধকর ছবিতেও ‘লাইক’ দিতেন। মাঝেমধ্যে তিনি ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্যও করতেন।
এইচবি যুক্তি দেন, এই আচরণ তাঁর স্বামীর দাম্পত্য আনুগত্যের পরিপন্থী। তিনি বিবাহবিচ্ছেদের পাশাপাশি খোরপোশ ও ক্ষতিপূরণ দাবি করে মামলা করেন। স্বামী এসবি অবশ্য সব অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনিও পাল্টা বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেন এবং দাবি করেন, তাঁর স্ত্রী তাঁর বাবাকে অপমান করেছেন এবং অতিরিক্ত ঈর্ষাপরায়ণ। স্ত্রীর এসব অভিযোগ তাঁর সুনাম ক্ষুণ্ন করেছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
আদালত এই মামলায় স্বামীকেই বেশি দোষী সাব্যস্ত করে রায় দেন। তাঁকে প্রতি মাসে ৭৫০ লিরা বা ২০ মার্কিন ডলার খোরপোশ এবং ৮০ হাজার লিরা ২ হাজার মার্কিন ডলার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। এসবি এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে দাবি করেন, এই পরিমাণ অনেক বেশি। কিন্তু আদালত তাঁর সেই আবেদন নাকচ করে দেন।
বিচারকেরা জানান, অন্য নারীদের ছবিতে ওই ব্যক্তির ‘লাইক’ দেওয়ার বিষয়টি বৈবাহিক বিশ্বাস ভেঙে দিয়েছে। তাঁরা মন্তব্য করেন, ‘অনলাইনে এই আপাত নিরীহ মিথস্ক্রিয়াগুলো মূলত মানসিক নিরাপত্তাহীনতা বাড়িয়ে তুলতে পারে এবং সম্পর্কের ভারসাম্য নষ্ট করে দিতে পারে।’
তুর্কি আইনজীবী ইমামোগ্লু স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেন, এই রায় একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকল যে অনলাইন কর্মকাণ্ড এখন বিবাহবিচ্ছেদের মামলায় শক্তিশালী প্রমাণ হিসেবে গণ্য হবে। তিনি বলেন, ‘এখন থেকে স্ক্রিনশট, মেসেজ এবং সব ধরনের ডিজিটাল কার্যক্রম উভয় পক্ষের দোষ নির্ধারণে বিবেচনায় নেওয়া হবে। নাগরিকদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের সময় বিষয়টি মাথায় রাখার পরামর্শ দিচ্ছি।’
এই মামলা অনলাইনে ব্যাপক বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। এক নেটিজেন লিখেছেন, ‘যদি একটি লাইক আপনার সম্পর্ক ধ্বংস করতে পারে, তবে আপনাদের বিয়ে কখনোই মজবুত ছিল না।’ অন্য একজন মন্তব্য করেছেন, ‘এখন পরিচয় লুকিয়ে লাইক দেওয়ার ফিচার চালু করার সময় এসেছে।’ তবে তৃতীয় একজন ভিন্নমত পোষণ করে বলেন, ‘যদি অনলাইনে প্রতিটি লাইক বা ভিউকে অবিশ্বস্ততা হিসেবে দেখা হয়, তবে মানুষ সারাক্ষণ ভয়ে থাকবে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম হওয়া উচিত মতপ্রকাশের মুক্ত জায়গা।’
তুরস্কের আদালতে অদ্ভুত কারণে বিবাহবিচ্ছেদের রায় দেওয়ার ঘটনা এটিই প্রথম নয়। এর আগে এক ব্যক্তিকে তাঁর সাবেক স্ত্রীকে ফোনের কন্টাক্ট লিস্টে ‘মোটু’ নামে সেভ করার জন্য ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, যা অসম্মানজনক হিসেবে বিবেচিত হয়।

পৃথিবীতে এমন কিছু প্রাচীন স্থাপনার ধ্বংসাবশেষ রয়েছে, যেগুলো দেখলে ওই সময় মানব নির্মিত কোনো স্থাপনা বলে বিশ্বাস করা কঠিন! কারণ, এসব স্থাপনার নির্মাণশৈলী একই সঙ্গে জটিল ও বিশাল।
২২ অক্টোবর ২০২৪
বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক থেকে শুরু করে স্বামী-স্ত্রীর ব্যক্তিগত ঝগড়া—সবকিছুতেই এখন থেকে গুনতে হবে মোটা অঙ্কের জরিমানা। চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় ইউনান প্রদেশের লিংক্যাং গ্রামের কমিটি এমন নিয়ম জারি করেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘গ্রামের নিয়মাবলি: সবাই সমান’ শিরোনামের একটি নোটিশ ভাইরাল হওয়ার...
১ দিন আগে
ইতালির আব্রুজ্জো অঞ্চলের মাউন্ট জিরিফালকোর পাদদেশে অবস্থিত এক প্রাচীন গ্রাম পালিয়ারা দে মার্সি। জনশূন্য এই গ্রামে মানুষের চেয়ে বিড়ালের সংখ্যাই বেশি। গত কয়েক দশক ধরে গ্রামটি নিস্তব্ধতায় ডুবে ছিল, কিন্তু গত মার্চ মাস থেকে সেখানে বইছে খুশির জোয়ার। কারণ, দীর্ঘ ৩০ বছর পর এই গ্রামে প্রথম কোনো শিশুর জন্ম
১ দিন আগে
ক্যালিফোর্নিয়ার সুজ লোপেজ যখন তাঁর ছোট ছেলে রিউকে কোলে নিয়ে বসেন, তখন এক অলৌকিক বিস্ময়ে স্তব্ধ হয়ে যান। কারণ, ছোট্ট রিউ তাঁর মায়ের জরায়ুর ভেতরে নয়, বেড়ে উঠেছিল পেটের ভেতরে একটি বিশাল আকৃতির ওভারিয়ান সিস্টের আড়ালে। চিকিৎসাবিজ্ঞানে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং বিরল এই ঘটনাকে ‘মিরাকল’ বা অলৌকিক বলছেন চিকিৎ
৩ দিন আগে