আজকের পত্রিকা ডেস্ক

আগাগোড়াই স্মার্টফোনের সঙ্গে বড় হওয়া প্রথম প্রজন্ম জেনারেশন জেড বা জেন-জি। যাদের জন্ম ১৯৯৭ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে। নতুন এক গবেষণা বলছে, ভুল তথ্যে বিশ্বাস করার ক্ষেত্রে যেসব শ্রেণি বা গোষ্ঠীর মানুষেরা বেশি ঝুঁকিপূর্ণ তাদের মধ্যে প্রযুক্তির আশীর্বাদ নিয়ে জন্ম নেওয়া জেন-জি প্রজন্ম অন্যতম। সম্প্রতি কানাডার ইউনিভার্সিটি অব ব্রিটিশ কলাম্বিয়া (ইউবিসি) এবং যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব কেমব্রিজের গবেষকদের এক গবেষণা থেকে এই তথ্য উঠে এসেছে।
এই গবেষণার মূল উদ্দেশ্য ছিল—বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন জনগোষ্ঠী ও বিভিন্ন প্রজন্মের মানুষের মধ্যে ভুল তথ্য কীভাবে ছড়াচ্ছে তা জানা। গবেষকদের লক্ষ্য কোনো বিশেষ গোষ্ঠীকে অন্যদের চেয়ে বেশি বোকা প্রমাণ করা ছিল না, বরং ভুল তথ্যের বিপদ সম্পর্কে ভালোভাবে বোঝা ছিল তাঁদের উদ্দেশ্য। এই বিপদ জনস্বাস্থ্য, পৃথিবীর ভবিষ্যৎ এবং আধুনিক গণতন্ত্রের জন্য হুমকিস্বরূপ।
ইউনিভার্সিটি অব ব্রিটিশ কলাম্বিয়া মনোবিজ্ঞানী ফ্রেডরিখ গোয়েৎজ বলেন, ‘আমার মনে হয় না, সব গণতন্ত্র এই সমস্যা সমাধানে সত্যিকারের চেষ্টা করছে। আরও খারাপ বিষয় হলো, আমরা যে মেরুকরণকৃত পৃথিবীতে বাস করি সেখানে কিছু গোষ্ঠী, এমনকি রাজনীতিবিদরাও এটিকে জেনেশুনে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।’
ফ্রেডরিখ গোয়েৎজ আরও বলেন, ‘তবে, যদি কোনো সরকার সততার সঙ্গে এই সমস্যা সমাধান করতে চায়, তাহলে তারা এই গবেষণাটিকে সচেতনতা বাড়াতে এবং আরও বিস্তৃত গবেষণার দিকে যেতে ব্যবহার করতে পারে।’
গবেষকেরা ২৪টি দেশের ৬৬ হাজার ২৪২ জনের ওপর একটি অনলাইন পরীক্ষা চালান। মনোবিজ্ঞানীরা এটি তৈরি করেছেন। পরীক্ষাটির নাম ‘মিসইনফরমেশন সাসসেপটিবিলিটি টেস্ট (এমআইএসটি)। এই পরীক্ষাটি মাত্র কয়েক মিনিটেই শেষ করা যায়। এতে অংশগ্রহণকারীদের খবরের শিরোনাম আসল নাকি নকল, তা চিহ্নিত করতে বলা হয়। বয়স, শিক্ষা এবং দেশ সম্পর্কেও কিছু প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হয়। অংশগ্রহণকারীদের ভুল খবর বাছাই করার ক্ষেত্রে তাদের নিজস্ব ক্ষমতা কতটা, তাও জিজ্ঞাসা করা হয়।
বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে পার্থক্য খুব বেশি না হলেও, যাদের ‘আসল খবরকে নকল’ বা ‘নকল খবরকে আসল’ বলে চিহ্নিত করার আশঙ্কা বেশি ছিল তারা হলো—জেন-জি প্রজন্মের সদস্য। আবার যারা নিজেদের ‘অ-পুরুষ’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে এই গবেষণায়, যাদের শিক্ষা কম এবং যারা রাজনৈতিকভাবে বেশি রক্ষণশীল তাদের ক্ষেত্রেও এই আশঙ্কা বেশি।
প্রজন্মগত দিক থেকে জেন-জির লোকজনদের ভুল তথ্যে বিশ্বাস করার প্রবণতা বেশি। মিলেনিয়াল ও জেনারেশন এক্সের লোকজনের প্রবণতাও কাছাকাছি। তবে বেবি বুমার প্রজন্মের লোকজনদের ভুল তথ্যে বিশ্বাস করার প্রবণতা তুলনামূলক উল্লিখিত প্রজন্মের লোকদের চেয়ে কম।
আবার এখানে একটি উল্টো দিকও আছে। ভুল তথ্য শনাক্ত করার ক্ষেত্রে জেনারেশন জেডের সদস্যরা অন্যান্য গোষ্ঠী বা প্রজন্মের লোকের তুলনায় নিজেদের শক্তি এবং দুর্বলতা সম্পর্কে ভালোভাবে সচেতন বলে দেখা গেছে। রক্ষণশীলরাও তাদের নিজস্ব ক্ষমতা সম্পর্কে মোটামুটি সঠিক ধারণা রাখতেন। অন্যদিকে, উচ্চশিক্ষিত গোষ্ঠীগুলো আসল খবর থেকে নকল খবর আলাদা করার দক্ষতাকে অতিরিক্ত অনুমান করেছিল।
গোয়েৎজ বলেন, ‘এখনো একটি প্রচলিত ভুল ধারণা আছে যে, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে বেড়ে ওঠা প্রজন্ম এগুলো ভালোভাবে বোঝে।’ তিনি আরও বলেন, ‘একাডেমিক দুনিয়ায় এটি বেশ কয়েক বছর আগেই ভুল প্রমাণিত হয়েছে। তবে আমার মনে হয় না, এটি জনসাধারণের কাছে পরিচিত কোনো ধারণা।’
গবেষকেরা চান, ভুল তথ্য এবং এর মারাত্মক ক্ষতি সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে সরকার ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো আরও বেশি কাজ করুক। এই গবেষণা মনে করিয়ে দেয় যে, খবরের শিরোনাম পড়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে। এমনকি, আপনি যদি মনে করেন আপনি বোকা নন, তবুও সতর্ক থাকা জরুরি।
ফ্রেডরিখ গোয়েৎজ বলেন, ‘আপনি যেই হোন না কেন, আপনি যাই জানেন বলে মনে করুন না কেন, ভুল তথ্য থেকে আমরা কেউই সম্পূর্ণ সুরক্ষিত নই। মানুষের এটা উপলব্ধি করা উচিত যে, আমরা সবাই নিয়মিত ভুল তথ্যের সংস্পর্শে আসছি। এবং কোনো না কোনো সময়ে আমরা সবাই এর ফাঁদে পড়তে পারি।’

আগাগোড়াই স্মার্টফোনের সঙ্গে বড় হওয়া প্রথম প্রজন্ম জেনারেশন জেড বা জেন-জি। যাদের জন্ম ১৯৯৭ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে। নতুন এক গবেষণা বলছে, ভুল তথ্যে বিশ্বাস করার ক্ষেত্রে যেসব শ্রেণি বা গোষ্ঠীর মানুষেরা বেশি ঝুঁকিপূর্ণ তাদের মধ্যে প্রযুক্তির আশীর্বাদ নিয়ে জন্ম নেওয়া জেন-জি প্রজন্ম অন্যতম। সম্প্রতি কানাডার ইউনিভার্সিটি অব ব্রিটিশ কলাম্বিয়া (ইউবিসি) এবং যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব কেমব্রিজের গবেষকদের এক গবেষণা থেকে এই তথ্য উঠে এসেছে।
এই গবেষণার মূল উদ্দেশ্য ছিল—বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন জনগোষ্ঠী ও বিভিন্ন প্রজন্মের মানুষের মধ্যে ভুল তথ্য কীভাবে ছড়াচ্ছে তা জানা। গবেষকদের লক্ষ্য কোনো বিশেষ গোষ্ঠীকে অন্যদের চেয়ে বেশি বোকা প্রমাণ করা ছিল না, বরং ভুল তথ্যের বিপদ সম্পর্কে ভালোভাবে বোঝা ছিল তাঁদের উদ্দেশ্য। এই বিপদ জনস্বাস্থ্য, পৃথিবীর ভবিষ্যৎ এবং আধুনিক গণতন্ত্রের জন্য হুমকিস্বরূপ।
ইউনিভার্সিটি অব ব্রিটিশ কলাম্বিয়া মনোবিজ্ঞানী ফ্রেডরিখ গোয়েৎজ বলেন, ‘আমার মনে হয় না, সব গণতন্ত্র এই সমস্যা সমাধানে সত্যিকারের চেষ্টা করছে। আরও খারাপ বিষয় হলো, আমরা যে মেরুকরণকৃত পৃথিবীতে বাস করি সেখানে কিছু গোষ্ঠী, এমনকি রাজনীতিবিদরাও এটিকে জেনেশুনে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।’
ফ্রেডরিখ গোয়েৎজ আরও বলেন, ‘তবে, যদি কোনো সরকার সততার সঙ্গে এই সমস্যা সমাধান করতে চায়, তাহলে তারা এই গবেষণাটিকে সচেতনতা বাড়াতে এবং আরও বিস্তৃত গবেষণার দিকে যেতে ব্যবহার করতে পারে।’
গবেষকেরা ২৪টি দেশের ৬৬ হাজার ২৪২ জনের ওপর একটি অনলাইন পরীক্ষা চালান। মনোবিজ্ঞানীরা এটি তৈরি করেছেন। পরীক্ষাটির নাম ‘মিসইনফরমেশন সাসসেপটিবিলিটি টেস্ট (এমআইএসটি)। এই পরীক্ষাটি মাত্র কয়েক মিনিটেই শেষ করা যায়। এতে অংশগ্রহণকারীদের খবরের শিরোনাম আসল নাকি নকল, তা চিহ্নিত করতে বলা হয়। বয়স, শিক্ষা এবং দেশ সম্পর্কেও কিছু প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হয়। অংশগ্রহণকারীদের ভুল খবর বাছাই করার ক্ষেত্রে তাদের নিজস্ব ক্ষমতা কতটা, তাও জিজ্ঞাসা করা হয়।
বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে পার্থক্য খুব বেশি না হলেও, যাদের ‘আসল খবরকে নকল’ বা ‘নকল খবরকে আসল’ বলে চিহ্নিত করার আশঙ্কা বেশি ছিল তারা হলো—জেন-জি প্রজন্মের সদস্য। আবার যারা নিজেদের ‘অ-পুরুষ’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে এই গবেষণায়, যাদের শিক্ষা কম এবং যারা রাজনৈতিকভাবে বেশি রক্ষণশীল তাদের ক্ষেত্রেও এই আশঙ্কা বেশি।
প্রজন্মগত দিক থেকে জেন-জির লোকজনদের ভুল তথ্যে বিশ্বাস করার প্রবণতা বেশি। মিলেনিয়াল ও জেনারেশন এক্সের লোকজনের প্রবণতাও কাছাকাছি। তবে বেবি বুমার প্রজন্মের লোকজনদের ভুল তথ্যে বিশ্বাস করার প্রবণতা তুলনামূলক উল্লিখিত প্রজন্মের লোকদের চেয়ে কম।
আবার এখানে একটি উল্টো দিকও আছে। ভুল তথ্য শনাক্ত করার ক্ষেত্রে জেনারেশন জেডের সদস্যরা অন্যান্য গোষ্ঠী বা প্রজন্মের লোকের তুলনায় নিজেদের শক্তি এবং দুর্বলতা সম্পর্কে ভালোভাবে সচেতন বলে দেখা গেছে। রক্ষণশীলরাও তাদের নিজস্ব ক্ষমতা সম্পর্কে মোটামুটি সঠিক ধারণা রাখতেন। অন্যদিকে, উচ্চশিক্ষিত গোষ্ঠীগুলো আসল খবর থেকে নকল খবর আলাদা করার দক্ষতাকে অতিরিক্ত অনুমান করেছিল।
গোয়েৎজ বলেন, ‘এখনো একটি প্রচলিত ভুল ধারণা আছে যে, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে বেড়ে ওঠা প্রজন্ম এগুলো ভালোভাবে বোঝে।’ তিনি আরও বলেন, ‘একাডেমিক দুনিয়ায় এটি বেশ কয়েক বছর আগেই ভুল প্রমাণিত হয়েছে। তবে আমার মনে হয় না, এটি জনসাধারণের কাছে পরিচিত কোনো ধারণা।’
গবেষকেরা চান, ভুল তথ্য এবং এর মারাত্মক ক্ষতি সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে সরকার ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো আরও বেশি কাজ করুক। এই গবেষণা মনে করিয়ে দেয় যে, খবরের শিরোনাম পড়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে। এমনকি, আপনি যদি মনে করেন আপনি বোকা নন, তবুও সতর্ক থাকা জরুরি।
ফ্রেডরিখ গোয়েৎজ বলেন, ‘আপনি যেই হোন না কেন, আপনি যাই জানেন বলে মনে করুন না কেন, ভুল তথ্য থেকে আমরা কেউই সম্পূর্ণ সুরক্ষিত নই। মানুষের এটা উপলব্ধি করা উচিত যে, আমরা সবাই নিয়মিত ভুল তথ্যের সংস্পর্শে আসছি। এবং কোনো না কোনো সময়ে আমরা সবাই এর ফাঁদে পড়তে পারি।’

আপনি আজ নিজেকে মার্ভেল সিনেমার ‘সুপারম্যান’ মনে করবেন এবং কোনো অসাধ্যসাধনের চেষ্টা করবেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো, আপনার ল্যান্ডিংটা হবে পাড়ার মোড়ের খোলা ড্রেনে। অফিসের মিটিংয়ে বসের সামনে খুব বেশি ‘আইনস্টাইন’ সাজার চেষ্টা করবেন না;
৩২ মিনিট আগে
বড়দিনে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের খাবারের আলাদা এক ঐতিহ্য দেখা যায়। বিভিন্ন খাবারের সঙ্গে তাঁরা সেদিন অনেক স্বাদের কেক তৈরি করে থাকেন। বড় দিনে তৈরির জন্য দুটি কেকের রেসিপি রইল আপনাদের জন্য। রেসিপি ও ছবি দিয়েছেন ফুড কলামিস্ট ও রন্ধনশিল্পী ছন্দা ব্যানার্জি।
২ ঘণ্টা আগে
সব ঠিক চলছিল। কিন্তু যেই অনুষ্ঠানের তারিখ পড়ে গেল, উঠল মুখে ব্রণ কিংবা লাল হয়ে উঠল র্যাশ! মেজাজ হয়ে উঠল তিরিক্ষি। কিন্তু অনুষ্ঠানে তো যেতে হবে। এমন অবস্থায় যে সব সময় পারলারেই যেতে হয়, তা নয়। ঘরে বসেও এর বিরুদ্ধ ব্যবস্থা নিতে পারেন। ত্বকের ধরন অনুযায়ী যত্ন নিলে নির্দিষ্ট অনুষ্ঠানের দিন ত্বক...
২০ ঘণ্টা আগে
নাইজেরিয়ার বড় শহর লাগোস সারা বছর ব্যস্ত থাকে। তবে বছরের শেষ দিকে এই বিশাল শহর যেন রূপ বদলে আরও বেশি সরগরম হয়ে ওঠে। এর কারণ ডেটি ডিসেম্বর। এটি শহরের বার্ষিক উৎসব। একে ঘিরে পুরো শহর সেজে ওঠে ঝলমলে আলোয়। রাত হয়ে ওঠে সংগীতময়, রাস্তাজুড়ে থাকে উৎসবমুখর মানুষের ঢল। সংগীত, খাদ্য, পানীয় ডিসেম্বরে সব যেন...
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মেষ
আপনি আজ নিজেকে মার্ভেল সিনেমার ‘সুপারম্যান’ মনে করবেন এবং কোনো অসাধ্যসাধনের চেষ্টা করবেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো, আপনার ল্যান্ডিংটা হবে পাড়ার মোড়ের খোলা ড্রেনে। অফিসের মিটিংয়ে বসের সামনে খুব বেশি ‘আইনস্টাইন’ সাজার চেষ্টা করবেন না। মনে রাখবেন, বসের কাছে আপনার পণ্ডিতি আসলে ‘উলুবনে মুক্তা ছড়ানো’। আজ রাস্তায় কোনো পরিচিত পুরোনো শত্রু বা পাওনাদার দেখলে সরাসরি উল্টো দিকে স্প্রিন্ট দিন। টাকা ধার চাইলে ‘ভুলে গেছি’ বলার চেয়ে ‘আমি তো ফকির’ বলা বেশি কার্যকর।
বৃষ
আপনার অলসতা আজ হিমালয় পর্বতের উচ্চতাকে হেলায় হারিয়ে দেবে। বিছানা থেকে এক ইঞ্চি নড়তে গেলেই মনে হবে পৃথিবীটা গোল নয়, বরং চৌকো এবং আরামদায়ক একটা গদি। ফ্রিজ খোলার সময় চরম সাবধানতা অবলম্বন করুন। গত সপ্তাহের পচা তরকারি আজ ‘জম্বি’ হয়ে আপনাকে আক্রমণ করতে পারে। কেউ যদি বলে ‘একটু কাজ আছে’, তবে দেরি না করে তড়িৎ গতিতে কানে হেডফোন গুঁজে দিন এবং ধ্যান করার ভান করুন।
মিথুন
মনের ভেতর আজ একটা অদ্ভুত দুরু দুরু ভাব কাজ করবে। তবে ভুল করবেন না, ওটা প্রেমের হাওয়া নয়; ওটা হলো মাসের শেষের দিকে আপনার মানিব্যাগের অতল গহ্বর বা বিশাল ব্ল্যাকহোল দেখে তৈরি হওয়া আতঙ্ক। শ্বশুরবাড়ি থেকে বড় কোনো উপহার বা সাহায্যের আশা করছেন? সাবধান! তারা হয়তো আপনার কাছেই আজ এক লম্বা ফিরিস্তি বা সাহায্যের আবেদন পাঠিয়ে বসবে। আজ সোশ্যাল মিডিয়ায় ফিলোসফিক্যাল বা জ্ঞানী কথা কম পোস্ট করুন। ফ্রেন্ডলিস্টের সবাই জানে যে আপনি আসলে কপি-পেস্টের দোকান!
কর্কট
আপনি আজ কোনো কারণ ছাড়াই অতি আবেগপ্রবণ। ইউটিউবে বিড়ালের কান্নার ভিডিও দেখে বা রাস্তার কুকুরের লেজ নাড়া দেখেও দুই চোখ প্লাবিত হতে পারে। পুরোনো প্রেমিকের ‘হাই’ লেখা মেসেজ সিন করবেন না। ওটা আসলে মহাজাগতিক কোনো ফান বা ভুতুড়ে ফাঁদ ছাড়া আর কিছুই নয়। আজ বেশি হাসাহাসি করবেন না, বিশেষ করে একা একা। আশপাশের লোক আপনাকে এমনিতেই পাগল ভাবে, সেটা আবার প্রমাণ করে দেওয়ার দরকার নেই।
সিংহ
আপনার রাজকীয় গর্জন আজ কেবল বাথরুমের শাওয়ারের নিচে গান গাওয়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে। বাইরে বেরোলে আপনাকে পাড়ার নেড়ি কুকুরের চেয়েও বেশি নিরীহ দেখাবে। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে রূপচর্চা করতে গিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা নষ্ট করবেন না। আপনার রূপ কমেনি ঠিকই, কিন্তু মেকআপের খরচ বাজেটে আগুন লাগিয়ে দেবে। শেয়ারবাজারে বড় ইনভেস্টমেন্টের কথা ভাবছেন? ওটা স্বপ্নের মধ্যেই রাখুন, বাস্তবে আপনার পকেটে এখন শুধু বাস ভাড়ার টাকাই অবশিষ্ট আছে।
কন্যা
আপনার খুঁতখুঁতে স্বভাব আজ এভারেস্টের চূড়ায় উঠবে। ঘরের কোণে এক কণা ধুলা দেখলে বা চাদরে একটা ভাঁজ থাকলে আপনার হার্ট অ্যাটাক হওয়ার জোরালো সম্ভাবনা। রান্নাঘরে বেশি কারসাজি করতে যাবেন না। লবণের বদলে চিনি ঢেলে দিলে বাড়ির লোক আপনাকে আজ ‘উন্মাদ’ ঘোষণা করে দেবে। পৃথিবীটা আপনার পারফেকশন অনুযায়ী চলে না—এই তিতা সত্যটা আজ অন্তত মেনে নিন এবং একটু অগোছালো হয়ে বাঁচুন।
তুলা
আপনি আজ লাইফ ব্যালেন্স করতে গিয়ে সারা দিন শুধু ডিগবাজি খাবেন। শপিং মলে ঢুকলে আপনার মাসের বাজেটের দফারফা হওয়া নিশ্চিত। অজানা কারও সঙ্গে তর্কে জড়াবেন না, বিশেষ করে রিকশাওয়ালার সঙ্গে ১০ টাকা নিয়ে মারপিট করতে গেলে মানসম্মান প্লাস্টিকের মতো গলে যাবে। পকেটে টাকা না থাকলে আইফোন ১৬-এর স্বপ্ন দেখা বন্ধ করে সাধারণ অ্যান্ড্রয়েড দিয়ে ছবি তোলা প্র্যাকটিস করুন।
বৃশ্চিক
আপনার ভেতর আজ একটা ‘শার্লক হোমস’ সত্তা জেগে উঠবে। অকারণে বাড়ির লোকের ফোন চেক করা বা অন্যের গোপন কথা শোনার তীব্র ইচ্ছা হবে। সঙ্গী বা সঙ্গিনীর সঙ্গে খামখেয়ালি আচরণ করবেন না। ওনার মেজাজ আজ হাইড্রোজেনের বেলুন, একটু চিমটি কাটলেই প্রচণ্ড শব্দে ফেটে যাবে। অন্যের গোপন রহস্য ফাঁস করতে গিয়ে ভুলেও নিজের পাসওয়ার্ড বা ব্রাউজার হিস্ট্রি প্রকাশ করে দেবেন না।
ধনু
আপনি আজ বিশ্বভ্রমণে যেতে চাইবেন, ব্যাকপ্যাক গুছিয়েও ফেলবেন, কিন্তু শেষমেশ রেলওয়ের অ্যাপে ‘ওয়েটিং লিস্ট’ দেখে সোফায় এসে বসে পড়বেন। বাড়িতে স্ত্রীর সব কথা বিনা বাক্যে মেনে চলুন। ‘ওয়াইফ ইজ অলওয়েজ রাইট’ থিওরি আজ আপনার জন্য আইনত বাধ্যতামূলক। নতুন সাদা শার্ট পরে বাইরে বেরোবেন না। কারণ, পাশ দিয়ে যাওয়া বাইকের কাদা আজ আপনার শার্টেই ঠিকানার খোঁজ করবে।
মকর
আজ এতই গম্ভীর আর কাঠখোট্টা হয়ে থাকবেন যে পাড়ার ছোট শিশুরা আপনাকে ভুল করে পুলিশ বা ইনকাম ট্যাক্স অফিসার ভাবতে পারে। কাজের চাপে মাথা এত বেশি চুলকাবেন না যে দিনের শেষে আয়নায় শুধু টাক দেখা যায়। একটু রিলাক্স করুন। মাঝেমধ্যে ৩২ পাটি দাঁত বের করে হাসুন। হাসিটা ভুতুড়ে হলেও লোকে অন্তত আপনাকে মানুষ বলে বিশ্বাস করবে।
কুম্ভ
আপনার চিন্তাভাবনা আজ সরাসরি মঙ্গল গ্রহে পাড়ি দেবে। ইলন মাস্কের সঙ্গে মনে মনে কফি খেলেও বাস্তব দুনিয়ার ট্যাক্স ফাইল আপনাকে মাটিতে টেনে নামাবে। ছোট ভাই বা বন্ধুর সঙ্গে ঝগড়া হওয়ার চান্স ১০০ পারসেন্ট। সেই ঝগড়ায় জেতার জন্য পুরোনো কাসুন্দি না ঘাঁটাই ভালো। মন বড় করে আজ কাউকে কিছু দান করুন। অন্তত ওয়ার্ডরোবের সেই ছিদ্র হওয়া মোজাগুলো ডাস্টবিনে ফেলে বিশ্বকে রক্ষা করুন।
মীন
আজ কল্পনার রাজপ্রাসাদে রাজকীয় ডিনার করছেন। বাস্তবে মেনুতে মাছে-ভাতে দিন কাটানোর ইচ্ছা থাকলেও স্রেফ আলুভাত জুটলে সেটাকেই ভাগ্য মেনে নিন। সিঁড়ি দিয়ে নামার সময় ফোন টিপবেন না। মাধ্যাকর্ষণ শক্তি আজ আপনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে, নাক চ্যাপ্টা হওয়ার জোরালো সম্ভাবনা! কারও মিষ্টি কথায় গলে গিয়ে ক্রেডিট কার্ডের পিন বা ওটিপি দিয়ে দেবেন না। মনে রাখবেন, গ্রহের ফেরের চেয়ে হ্যাকারের ফের বেশি বিপজ্জনক।

মেষ
আপনি আজ নিজেকে মার্ভেল সিনেমার ‘সুপারম্যান’ মনে করবেন এবং কোনো অসাধ্যসাধনের চেষ্টা করবেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো, আপনার ল্যান্ডিংটা হবে পাড়ার মোড়ের খোলা ড্রেনে। অফিসের মিটিংয়ে বসের সামনে খুব বেশি ‘আইনস্টাইন’ সাজার চেষ্টা করবেন না। মনে রাখবেন, বসের কাছে আপনার পণ্ডিতি আসলে ‘উলুবনে মুক্তা ছড়ানো’। আজ রাস্তায় কোনো পরিচিত পুরোনো শত্রু বা পাওনাদার দেখলে সরাসরি উল্টো দিকে স্প্রিন্ট দিন। টাকা ধার চাইলে ‘ভুলে গেছি’ বলার চেয়ে ‘আমি তো ফকির’ বলা বেশি কার্যকর।
বৃষ
আপনার অলসতা আজ হিমালয় পর্বতের উচ্চতাকে হেলায় হারিয়ে দেবে। বিছানা থেকে এক ইঞ্চি নড়তে গেলেই মনে হবে পৃথিবীটা গোল নয়, বরং চৌকো এবং আরামদায়ক একটা গদি। ফ্রিজ খোলার সময় চরম সাবধানতা অবলম্বন করুন। গত সপ্তাহের পচা তরকারি আজ ‘জম্বি’ হয়ে আপনাকে আক্রমণ করতে পারে। কেউ যদি বলে ‘একটু কাজ আছে’, তবে দেরি না করে তড়িৎ গতিতে কানে হেডফোন গুঁজে দিন এবং ধ্যান করার ভান করুন।
মিথুন
মনের ভেতর আজ একটা অদ্ভুত দুরু দুরু ভাব কাজ করবে। তবে ভুল করবেন না, ওটা প্রেমের হাওয়া নয়; ওটা হলো মাসের শেষের দিকে আপনার মানিব্যাগের অতল গহ্বর বা বিশাল ব্ল্যাকহোল দেখে তৈরি হওয়া আতঙ্ক। শ্বশুরবাড়ি থেকে বড় কোনো উপহার বা সাহায্যের আশা করছেন? সাবধান! তারা হয়তো আপনার কাছেই আজ এক লম্বা ফিরিস্তি বা সাহায্যের আবেদন পাঠিয়ে বসবে। আজ সোশ্যাল মিডিয়ায় ফিলোসফিক্যাল বা জ্ঞানী কথা কম পোস্ট করুন। ফ্রেন্ডলিস্টের সবাই জানে যে আপনি আসলে কপি-পেস্টের দোকান!
কর্কট
আপনি আজ কোনো কারণ ছাড়াই অতি আবেগপ্রবণ। ইউটিউবে বিড়ালের কান্নার ভিডিও দেখে বা রাস্তার কুকুরের লেজ নাড়া দেখেও দুই চোখ প্লাবিত হতে পারে। পুরোনো প্রেমিকের ‘হাই’ লেখা মেসেজ সিন করবেন না। ওটা আসলে মহাজাগতিক কোনো ফান বা ভুতুড়ে ফাঁদ ছাড়া আর কিছুই নয়। আজ বেশি হাসাহাসি করবেন না, বিশেষ করে একা একা। আশপাশের লোক আপনাকে এমনিতেই পাগল ভাবে, সেটা আবার প্রমাণ করে দেওয়ার দরকার নেই।
সিংহ
আপনার রাজকীয় গর্জন আজ কেবল বাথরুমের শাওয়ারের নিচে গান গাওয়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে। বাইরে বেরোলে আপনাকে পাড়ার নেড়ি কুকুরের চেয়েও বেশি নিরীহ দেখাবে। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে রূপচর্চা করতে গিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা নষ্ট করবেন না। আপনার রূপ কমেনি ঠিকই, কিন্তু মেকআপের খরচ বাজেটে আগুন লাগিয়ে দেবে। শেয়ারবাজারে বড় ইনভেস্টমেন্টের কথা ভাবছেন? ওটা স্বপ্নের মধ্যেই রাখুন, বাস্তবে আপনার পকেটে এখন শুধু বাস ভাড়ার টাকাই অবশিষ্ট আছে।
কন্যা
আপনার খুঁতখুঁতে স্বভাব আজ এভারেস্টের চূড়ায় উঠবে। ঘরের কোণে এক কণা ধুলা দেখলে বা চাদরে একটা ভাঁজ থাকলে আপনার হার্ট অ্যাটাক হওয়ার জোরালো সম্ভাবনা। রান্নাঘরে বেশি কারসাজি করতে যাবেন না। লবণের বদলে চিনি ঢেলে দিলে বাড়ির লোক আপনাকে আজ ‘উন্মাদ’ ঘোষণা করে দেবে। পৃথিবীটা আপনার পারফেকশন অনুযায়ী চলে না—এই তিতা সত্যটা আজ অন্তত মেনে নিন এবং একটু অগোছালো হয়ে বাঁচুন।
তুলা
আপনি আজ লাইফ ব্যালেন্স করতে গিয়ে সারা দিন শুধু ডিগবাজি খাবেন। শপিং মলে ঢুকলে আপনার মাসের বাজেটের দফারফা হওয়া নিশ্চিত। অজানা কারও সঙ্গে তর্কে জড়াবেন না, বিশেষ করে রিকশাওয়ালার সঙ্গে ১০ টাকা নিয়ে মারপিট করতে গেলে মানসম্মান প্লাস্টিকের মতো গলে যাবে। পকেটে টাকা না থাকলে আইফোন ১৬-এর স্বপ্ন দেখা বন্ধ করে সাধারণ অ্যান্ড্রয়েড দিয়ে ছবি তোলা প্র্যাকটিস করুন।
বৃশ্চিক
আপনার ভেতর আজ একটা ‘শার্লক হোমস’ সত্তা জেগে উঠবে। অকারণে বাড়ির লোকের ফোন চেক করা বা অন্যের গোপন কথা শোনার তীব্র ইচ্ছা হবে। সঙ্গী বা সঙ্গিনীর সঙ্গে খামখেয়ালি আচরণ করবেন না। ওনার মেজাজ আজ হাইড্রোজেনের বেলুন, একটু চিমটি কাটলেই প্রচণ্ড শব্দে ফেটে যাবে। অন্যের গোপন রহস্য ফাঁস করতে গিয়ে ভুলেও নিজের পাসওয়ার্ড বা ব্রাউজার হিস্ট্রি প্রকাশ করে দেবেন না।
ধনু
আপনি আজ বিশ্বভ্রমণে যেতে চাইবেন, ব্যাকপ্যাক গুছিয়েও ফেলবেন, কিন্তু শেষমেশ রেলওয়ের অ্যাপে ‘ওয়েটিং লিস্ট’ দেখে সোফায় এসে বসে পড়বেন। বাড়িতে স্ত্রীর সব কথা বিনা বাক্যে মেনে চলুন। ‘ওয়াইফ ইজ অলওয়েজ রাইট’ থিওরি আজ আপনার জন্য আইনত বাধ্যতামূলক। নতুন সাদা শার্ট পরে বাইরে বেরোবেন না। কারণ, পাশ দিয়ে যাওয়া বাইকের কাদা আজ আপনার শার্টেই ঠিকানার খোঁজ করবে।
মকর
আজ এতই গম্ভীর আর কাঠখোট্টা হয়ে থাকবেন যে পাড়ার ছোট শিশুরা আপনাকে ভুল করে পুলিশ বা ইনকাম ট্যাক্স অফিসার ভাবতে পারে। কাজের চাপে মাথা এত বেশি চুলকাবেন না যে দিনের শেষে আয়নায় শুধু টাক দেখা যায়। একটু রিলাক্স করুন। মাঝেমধ্যে ৩২ পাটি দাঁত বের করে হাসুন। হাসিটা ভুতুড়ে হলেও লোকে অন্তত আপনাকে মানুষ বলে বিশ্বাস করবে।
কুম্ভ
আপনার চিন্তাভাবনা আজ সরাসরি মঙ্গল গ্রহে পাড়ি দেবে। ইলন মাস্কের সঙ্গে মনে মনে কফি খেলেও বাস্তব দুনিয়ার ট্যাক্স ফাইল আপনাকে মাটিতে টেনে নামাবে। ছোট ভাই বা বন্ধুর সঙ্গে ঝগড়া হওয়ার চান্স ১০০ পারসেন্ট। সেই ঝগড়ায় জেতার জন্য পুরোনো কাসুন্দি না ঘাঁটাই ভালো। মন বড় করে আজ কাউকে কিছু দান করুন। অন্তত ওয়ার্ডরোবের সেই ছিদ্র হওয়া মোজাগুলো ডাস্টবিনে ফেলে বিশ্বকে রক্ষা করুন।
মীন
আজ কল্পনার রাজপ্রাসাদে রাজকীয় ডিনার করছেন। বাস্তবে মেনুতে মাছে-ভাতে দিন কাটানোর ইচ্ছা থাকলেও স্রেফ আলুভাত জুটলে সেটাকেই ভাগ্য মেনে নিন। সিঁড়ি দিয়ে নামার সময় ফোন টিপবেন না। মাধ্যাকর্ষণ শক্তি আজ আপনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে, নাক চ্যাপ্টা হওয়ার জোরালো সম্ভাবনা! কারও মিষ্টি কথায় গলে গিয়ে ক্রেডিট কার্ডের পিন বা ওটিপি দিয়ে দেবেন না। মনে রাখবেন, গ্রহের ফেরের চেয়ে হ্যাকারের ফের বেশি বিপজ্জনক।

আগাগোড়াই স্মার্টফোনের সঙ্গে বড় হওয়া প্রথম প্রজন্ম জেনারেশন জেড বা জেন-জি। যাদের জন্ম ১৯৯৭ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে। নতুন এক গবেষণা বলছে, ভুল তথ্যে বিশ্বাস করার ক্ষেত্রে যেসব শ্রেণি বা গোষ্ঠীর মানুষেরা বেশি ঝুঁকিপূর্ণ তাদের মধ্যে প্রযুক্তির আশীর্বাদ নিয়ে জন্ম নেওয়া জেন-জি প্রজন্ম অন্যতম। সম্প্রতি কানাডা
১৯ এপ্রিল ২০২৫
বড়দিনে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের খাবারের আলাদা এক ঐতিহ্য দেখা যায়। বিভিন্ন খাবারের সঙ্গে তাঁরা সেদিন অনেক স্বাদের কেক তৈরি করে থাকেন। বড় দিনে তৈরির জন্য দুটি কেকের রেসিপি রইল আপনাদের জন্য। রেসিপি ও ছবি দিয়েছেন ফুড কলামিস্ট ও রন্ধনশিল্পী ছন্দা ব্যানার্জি।
২ ঘণ্টা আগে
সব ঠিক চলছিল। কিন্তু যেই অনুষ্ঠানের তারিখ পড়ে গেল, উঠল মুখে ব্রণ কিংবা লাল হয়ে উঠল র্যাশ! মেজাজ হয়ে উঠল তিরিক্ষি। কিন্তু অনুষ্ঠানে তো যেতে হবে। এমন অবস্থায় যে সব সময় পারলারেই যেতে হয়, তা নয়। ঘরে বসেও এর বিরুদ্ধ ব্যবস্থা নিতে পারেন। ত্বকের ধরন অনুযায়ী যত্ন নিলে নির্দিষ্ট অনুষ্ঠানের দিন ত্বক...
২০ ঘণ্টা আগে
নাইজেরিয়ার বড় শহর লাগোস সারা বছর ব্যস্ত থাকে। তবে বছরের শেষ দিকে এই বিশাল শহর যেন রূপ বদলে আরও বেশি সরগরম হয়ে ওঠে। এর কারণ ডেটি ডিসেম্বর। এটি শহরের বার্ষিক উৎসব। একে ঘিরে পুরো শহর সেজে ওঠে ঝলমলে আলোয়। রাত হয়ে ওঠে সংগীতময়, রাস্তাজুড়ে থাকে উৎসবমুখর মানুষের ঢল। সংগীত, খাদ্য, পানীয় ডিসেম্বরে সব যেন...
১ দিন আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

বড়দিনে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের খাবারের আলাদা এক ঐতিহ্য দেখা যায়। বিভিন্ন খাবারের সঙ্গে তাঁরা সেদিন অনেক স্বাদের কেক তৈরি করে থাকেন। বড় দিনে তৈরির জন্য দুটি কেকের রেসিপি রইল আপনাদের জন্য। রেসিপি ও ছবি দিয়েছেন ফুড কলামিস্ট ও রন্ধনশিল্পী ছন্দা ব্যানার্জি।
মাফিন কেক

উপকরণ
একটা ডিম, ২০০ গ্রাম গুঁড়া চিনি, ১২০ মিলিলিটার দুধ, ১২০ মিলিলিটার সাদা তেল, এক টেবিল চামচ সাদা ভিনেগার, এক কাপ ময়দা, পাঁচ গ্রাম বেকিং সোডা, এক চিমটি লবণ।
প্রণালি
প্রথমে একটা পাত্রে ডিম, চিনি, দুধ, সাদা তেল, ভিনেগার একসঙ্গে নিয়ে খুব ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে। মিশ্রণটা মসৃণ, ক্রিমি হওয়া পর্যন্ত ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে রেখা দিন। অন্য একটা পাত্রে ময়দা, বেকিং সোডা, লবণ ভালো করে ছেঁকে (যাতে ময়দার কোন লাম্প বা দলা না থাকে) মেশাতে হবে। এবার ধীরে ধীরে ডিম ফ্যাটানো পাত্রের মধ্যে এই শুকনো উপকরণগুলো ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। এবার কাপ কেক মোল্ডারের মধ্যে সমপরিমাণে ওই মিশ্রণ দিয়ে একটু ট্যাপ করে নিতে হবে; যাতে কোনো বাবল না থাকে।
ওভেন করে নিতে হবে ১৮০ ডিগ্রিতে। একই তাপে ২০ থেকে ২৫ মিনিট বেক করে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে মজাদার মাফিন কেক।
ড্রাই ফ্রুট কেক

উপকরণ
১০০ গ্রাম ময়দা, ১০০ গ্রাম চিনি, ১০০ গ্রাম বাটার, দুটি ডিম, বড় আকারের একটা কমলালেবু। ১ চা-চামচ ভ্যানিলা এসেন্স, ১ চা-চামচ বেকিং পাউডার, সামান্য লবণ, দেড় টেবিল চামচ ক্যারামেল সস, শুকনো কাজু, আমন্ড, কিশমিশ, ব্ল্যাক কিশমিশ, মোরব্বা, খেজুর, টুটি ফ্রুটি, চেরি, ১ চা-চামচ মসলা।
ক্যারামেল সস
একটা সস প্যান চুলায় বসিয়ে গরম করে তাতে আধা কাপ চিনি দিতে হবে। হালকা আঁচে চিনি গলিয়ে নিন। বাদামি রং হলে তাতে পরিমাণমতো পানি দিন। ভালোভাবে ফুটিয়ে ঠান্ডা করে নিন, যাতে এটি রঙের জন্য কেকে ব্যবহার করা যায়।
প্রণালি
প্রথমে কমলালেবুর ওপরের খোসা গ্রেটার দিয়ে ঘষে নিন। সাদা অংশ নেওয়া যাবে না। এরপর কমলালেবু থেকে রস বের করে নিতে হবে। এই রসে টুটি ফ্রুটি, কিশমিশ, ব্ল্যাক কিশমিশ ভিজিয়ে রাখতে হবে এক থেকে দেড় ঘণ্টা। ১০০ গ্রাম চিনি গুঁড়া করে নিয়ে তাতে ভ্যানিলা এসেন্স ও বাটার দিতে হবে। চিনি, এসেন্স আর বাটার বেলুন হুইক্স দিয়ে খুব ভালো করে বিট করে নিতে হবে। বাটারের কালার পুরো সাদা হয়ে যাবে। তখন এর মধ্যে দুটো ডিম দিয়ে ফেটিয়ে নিতে হবে। এরপর ১০০ গ্রাম ময়দা, এক চা-চামচ বেকিং পাউডার ও এক চিমটি লবণ এতে যোগ করতে হবে চালুনি দিয়ে চেলে। ময়দা দেওয়ার পর ভালো করে আবারও মিশিয়ে নিতে হবে। এবার এর মধ্যে দিতে হবে ক্যারামেল সস, কমলালেবুতে ভেজানো ফ্রুটসসহ লেবুর রস, গ্রেট করা কমলালেবুর খোসা এবং অন্যান্য শুকনো ফল। সবকিছু দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে। এবার আগে থেকে রেডি করে রাখা একটা ছয় ইঞ্চির বাটিতে কেকের ব্যাটার ঢেলে দিতে হবে। এই বাটিতে বাটার বা তেল মাখিয়ে তার ভেতরে বাটার পেপার দিয়ে রাখতে হবে। বাটিতে কেকের ব্যাটার ঢালার পর বাটি একটু ট্যাপ করে নিতে হবে। এরপর ওপরে ইচ্ছা অনুযায়ী শুকনো ফল সাজিয়ে দিতে হবে।
এবার মাইক্রোওভেন ১৮০ ডিগ্রি তাপে প্রি-হিট করে নিতে হবে ৫ মিনিট। এপর বাটিটা বসিয়ে বেক করতে দিতে হবে এক ঘণ্টা। অবশ্য বেকিং টাইম কখনো বেশিও লাগতে পারে।
তবে যদি ওভেন না থাকে, তাহলে এই কেক গ্যাসের তাপেও তৈরি করা যায়। এ ক্ষেত্রে একটি কড়াইতে ছোট স্ট্যান্ড বসিয়ে নিন। তারপর ভালো করে ঢাকনা দিয়ে পাঁচ থেকে সাত মিনিট প্রি-হিট করে নিতে হবে। এবার প্রি-হিট করা কড়াইয়ের মধ্যে বাটিটি বসিয়ে দিতে হবে। বসিয়ে আবারও ঢাকা দিয়ে মোটামুটি এক থেকে দেড় ঘণ্টা জ্বাল দিতে হবে ফ্রুট কেক তৈরি করতে।
নামাবার আগে কেকে টুথপিক ঢুকিয়ে দেখে নিতে হবে কেক বেক হয়েছে কি না। হয়ে গেলে গ্যাস বন্ধ করে ঢাকনা দিয়ে ১০ মিনিট রেখে তারপর কেকটা বের করে নিতে হবে।

বড়দিনে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের খাবারের আলাদা এক ঐতিহ্য দেখা যায়। বিভিন্ন খাবারের সঙ্গে তাঁরা সেদিন অনেক স্বাদের কেক তৈরি করে থাকেন। বড় দিনে তৈরির জন্য দুটি কেকের রেসিপি রইল আপনাদের জন্য। রেসিপি ও ছবি দিয়েছেন ফুড কলামিস্ট ও রন্ধনশিল্পী ছন্দা ব্যানার্জি।
মাফিন কেক

উপকরণ
একটা ডিম, ২০০ গ্রাম গুঁড়া চিনি, ১২০ মিলিলিটার দুধ, ১২০ মিলিলিটার সাদা তেল, এক টেবিল চামচ সাদা ভিনেগার, এক কাপ ময়দা, পাঁচ গ্রাম বেকিং সোডা, এক চিমটি লবণ।
প্রণালি
প্রথমে একটা পাত্রে ডিম, চিনি, দুধ, সাদা তেল, ভিনেগার একসঙ্গে নিয়ে খুব ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে। মিশ্রণটা মসৃণ, ক্রিমি হওয়া পর্যন্ত ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে রেখা দিন। অন্য একটা পাত্রে ময়দা, বেকিং সোডা, লবণ ভালো করে ছেঁকে (যাতে ময়দার কোন লাম্প বা দলা না থাকে) মেশাতে হবে। এবার ধীরে ধীরে ডিম ফ্যাটানো পাত্রের মধ্যে এই শুকনো উপকরণগুলো ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। এবার কাপ কেক মোল্ডারের মধ্যে সমপরিমাণে ওই মিশ্রণ দিয়ে একটু ট্যাপ করে নিতে হবে; যাতে কোনো বাবল না থাকে।
ওভেন করে নিতে হবে ১৮০ ডিগ্রিতে। একই তাপে ২০ থেকে ২৫ মিনিট বেক করে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে মজাদার মাফিন কেক।
ড্রাই ফ্রুট কেক

উপকরণ
১০০ গ্রাম ময়দা, ১০০ গ্রাম চিনি, ১০০ গ্রাম বাটার, দুটি ডিম, বড় আকারের একটা কমলালেবু। ১ চা-চামচ ভ্যানিলা এসেন্স, ১ চা-চামচ বেকিং পাউডার, সামান্য লবণ, দেড় টেবিল চামচ ক্যারামেল সস, শুকনো কাজু, আমন্ড, কিশমিশ, ব্ল্যাক কিশমিশ, মোরব্বা, খেজুর, টুটি ফ্রুটি, চেরি, ১ চা-চামচ মসলা।
ক্যারামেল সস
একটা সস প্যান চুলায় বসিয়ে গরম করে তাতে আধা কাপ চিনি দিতে হবে। হালকা আঁচে চিনি গলিয়ে নিন। বাদামি রং হলে তাতে পরিমাণমতো পানি দিন। ভালোভাবে ফুটিয়ে ঠান্ডা করে নিন, যাতে এটি রঙের জন্য কেকে ব্যবহার করা যায়।
প্রণালি
প্রথমে কমলালেবুর ওপরের খোসা গ্রেটার দিয়ে ঘষে নিন। সাদা অংশ নেওয়া যাবে না। এরপর কমলালেবু থেকে রস বের করে নিতে হবে। এই রসে টুটি ফ্রুটি, কিশমিশ, ব্ল্যাক কিশমিশ ভিজিয়ে রাখতে হবে এক থেকে দেড় ঘণ্টা। ১০০ গ্রাম চিনি গুঁড়া করে নিয়ে তাতে ভ্যানিলা এসেন্স ও বাটার দিতে হবে। চিনি, এসেন্স আর বাটার বেলুন হুইক্স দিয়ে খুব ভালো করে বিট করে নিতে হবে। বাটারের কালার পুরো সাদা হয়ে যাবে। তখন এর মধ্যে দুটো ডিম দিয়ে ফেটিয়ে নিতে হবে। এরপর ১০০ গ্রাম ময়দা, এক চা-চামচ বেকিং পাউডার ও এক চিমটি লবণ এতে যোগ করতে হবে চালুনি দিয়ে চেলে। ময়দা দেওয়ার পর ভালো করে আবারও মিশিয়ে নিতে হবে। এবার এর মধ্যে দিতে হবে ক্যারামেল সস, কমলালেবুতে ভেজানো ফ্রুটসসহ লেবুর রস, গ্রেট করা কমলালেবুর খোসা এবং অন্যান্য শুকনো ফল। সবকিছু দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে। এবার আগে থেকে রেডি করে রাখা একটা ছয় ইঞ্চির বাটিতে কেকের ব্যাটার ঢেলে দিতে হবে। এই বাটিতে বাটার বা তেল মাখিয়ে তার ভেতরে বাটার পেপার দিয়ে রাখতে হবে। বাটিতে কেকের ব্যাটার ঢালার পর বাটি একটু ট্যাপ করে নিতে হবে। এরপর ওপরে ইচ্ছা অনুযায়ী শুকনো ফল সাজিয়ে দিতে হবে।
এবার মাইক্রোওভেন ১৮০ ডিগ্রি তাপে প্রি-হিট করে নিতে হবে ৫ মিনিট। এপর বাটিটা বসিয়ে বেক করতে দিতে হবে এক ঘণ্টা। অবশ্য বেকিং টাইম কখনো বেশিও লাগতে পারে।
তবে যদি ওভেন না থাকে, তাহলে এই কেক গ্যাসের তাপেও তৈরি করা যায়। এ ক্ষেত্রে একটি কড়াইতে ছোট স্ট্যান্ড বসিয়ে নিন। তারপর ভালো করে ঢাকনা দিয়ে পাঁচ থেকে সাত মিনিট প্রি-হিট করে নিতে হবে। এবার প্রি-হিট করা কড়াইয়ের মধ্যে বাটিটি বসিয়ে দিতে হবে। বসিয়ে আবারও ঢাকা দিয়ে মোটামুটি এক থেকে দেড় ঘণ্টা জ্বাল দিতে হবে ফ্রুট কেক তৈরি করতে।
নামাবার আগে কেকে টুথপিক ঢুকিয়ে দেখে নিতে হবে কেক বেক হয়েছে কি না। হয়ে গেলে গ্যাস বন্ধ করে ঢাকনা দিয়ে ১০ মিনিট রেখে তারপর কেকটা বের করে নিতে হবে।

আগাগোড়াই স্মার্টফোনের সঙ্গে বড় হওয়া প্রথম প্রজন্ম জেনারেশন জেড বা জেন-জি। যাদের জন্ম ১৯৯৭ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে। নতুন এক গবেষণা বলছে, ভুল তথ্যে বিশ্বাস করার ক্ষেত্রে যেসব শ্রেণি বা গোষ্ঠীর মানুষেরা বেশি ঝুঁকিপূর্ণ তাদের মধ্যে প্রযুক্তির আশীর্বাদ নিয়ে জন্ম নেওয়া জেন-জি প্রজন্ম অন্যতম। সম্প্রতি কানাডা
১৯ এপ্রিল ২০২৫
আপনি আজ নিজেকে মার্ভেল সিনেমার ‘সুপারম্যান’ মনে করবেন এবং কোনো অসাধ্যসাধনের চেষ্টা করবেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো, আপনার ল্যান্ডিংটা হবে পাড়ার মোড়ের খোলা ড্রেনে। অফিসের মিটিংয়ে বসের সামনে খুব বেশি ‘আইনস্টাইন’ সাজার চেষ্টা করবেন না;
৩২ মিনিট আগে
সব ঠিক চলছিল। কিন্তু যেই অনুষ্ঠানের তারিখ পড়ে গেল, উঠল মুখে ব্রণ কিংবা লাল হয়ে উঠল র্যাশ! মেজাজ হয়ে উঠল তিরিক্ষি। কিন্তু অনুষ্ঠানে তো যেতে হবে। এমন অবস্থায় যে সব সময় পারলারেই যেতে হয়, তা নয়। ঘরে বসেও এর বিরুদ্ধ ব্যবস্থা নিতে পারেন। ত্বকের ধরন অনুযায়ী যত্ন নিলে নির্দিষ্ট অনুষ্ঠানের দিন ত্বক...
২০ ঘণ্টা আগে
নাইজেরিয়ার বড় শহর লাগোস সারা বছর ব্যস্ত থাকে। তবে বছরের শেষ দিকে এই বিশাল শহর যেন রূপ বদলে আরও বেশি সরগরম হয়ে ওঠে। এর কারণ ডেটি ডিসেম্বর। এটি শহরের বার্ষিক উৎসব। একে ঘিরে পুরো শহর সেজে ওঠে ঝলমলে আলোয়। রাত হয়ে ওঠে সংগীতময়, রাস্তাজুড়ে থাকে উৎসবমুখর মানুষের ঢল। সংগীত, খাদ্য, পানীয় ডিসেম্বরে সব যেন...
১ দিন আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

সব ঠিক চলছিল। কিন্তু যেই অনুষ্ঠানের তারিখ পড়ে গেল, উঠল মুখে ব্রণ কিংবা লাল হয়ে উঠল র্যাশ! মেজাজ হয়ে উঠল তিরিক্ষি। কিন্তু অনুষ্ঠানে তো যেতে হবে। এমন অবস্থায় যে সব সময় পারলারেই যেতে হয়, তা নয়। ঘরে বসেও এর বিরুদ্ধ ব্যবস্থা নিতে পারেন। ত্বকের ধরন অনুযায়ী যত্ন নিলে নির্দিষ্ট অনুষ্ঠানের দিন ত্বক অনেকটাই স্বাস্থ্য়োজ্জ্বল দেখাবে। অনুষ্ঠানের এক সপ্তাহ আগে থেকে যেভাবে ত্বকের যত্ন নিতে পারেন–
ত্বকের ধরন বুঝে ক্লিনজিং করুন

প্রতিদিন বাইরে থেকে ফিরে প্রথমে ভালো করে মুখ পরিষ্কার করে নিতে হবে। এরপর ত্বকের ধরন অনুযায়ী যত্ন নিন। যত্ন নেওয়ার আগে অবশ্যই নিজের ত্বকের ধরন কেমন, সেটি জানা জরুরি। যাঁদের ত্বক স্বাভাবিক, তাঁরা শীতে ত্বকের হারানো উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনতে এক চা-চামচ চালের গুঁড়া, এক চা-চামচ ময়দা, এক চা-চামচ অ্যালোভেরা জেল ভালো করে মিশিয়ে পুরো মুখে দু-তিন মিনিট ম্যাসাজ করে ধুয়ে ফেলতে পারেন। এরপর প্যাক ব্যবহার করতে হবে।
প্যাক তৈরিতে আপেল পেস্ট এক চা-চামচ, মসুরের ডালের বেসন এক চা-চামচ, অর্ধেক ডিমের কুসুম ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলতে হবে।
শীতকালে শুষ্ক ত্বকের বেশি যত্নের প্রয়োজন। এ ধরনের ত্বকের ক্ষেত্রে প্রাকৃতিক ক্লিনজার হিসেবে মসুর ডাল বাটার সঙ্গে এক টেবিল চামচ গরম দুধ মিশিয়ে কুসুম গরম অবস্থায় পুরো মুখে লাগাতে হবে। এতে ত্বকের মরা কোষ উঠে আসবে ও রোমকূপগুলো পরিষ্কার হয়ে যাবে। এটা ফেসওয়াশের মতো ব্যবহার করতে হবে। পরে পরিষ্কার পানি দিয়ে মুখ ধোয়ার পর প্যাক লাগাতে হবে। ত্বক তৈলাক্ত হলে এক চা-চামচ গ্রিন টি গুঁড়া নিয়ে এর সঙ্গে এক চা-চামচ টক দই মিশিয়ে পুরো মুখে দু-তিন মিনিট ম্যাসাজ করে ধুয়ে নিতে হবে। এ ছাড়া দারুচিনি গুঁড়া এক চা-চামচ, এক চা-চামচ মুলতানি মাটি, ডিমের সাদা অংশ এগুলো ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে ত্বকে ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলতে পারেন। এ প্যাক ব্যবহারের ফলে ময়শ্চারাইজারের ভারসাম্য ঠিক থাকবে।
ডিপ ক্লিনজিং
প্রথমে ক্লিনজার ব্যবহার করে ত্বক পরিষ্কার করে নিতে হবে। ত্বকের ধরন অনুযায়ী জেল, ফোম বা ক্রিম টাইপ ক্লিনজার বেছে নিতে পারেন। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য জেল বা ফোম ক্লিনজার বেছে নিন। শুষ্ক বা সংবেদনশীল ত্বকের জন্য হাইড্রেটিং ক্লিনজার উপযুক্ত। ত্বক ভেজানোর জন্য হালকা গরম পানি ব্যবহার করুন। এতে বন্ধ রোমকূপ খুলে যাবে। এক মিনিটের জন্য বৃত্তাকার গতিতে ক্লিনজার ঘষুন। হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ ভালো করে ঘষুন এবং পরিষ্কার তোয়ালে ব্যবহার করে শুকিয়ে নিন।
ব্যবহার করুন এক্সফোলিয়েটর। ঘষে ঘষে ত্বকে ব্যবহার করে ধুয়ে ফেলুন। এরপর স্টিম করুন। পরের ধাপে ত্বকের উপযোগী ফেস মাস্ক দিয়ে ডিপ ক্লিন করুন। এ ক্ষেত্রে ক্লে ব্ল্যাক মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন। মুখ ধুয়ে সব শেষে টোনার ও ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
স্কিন হোয়াইটনিং ট্রিটমেন্ট
মুখের ত্বকের সঙ্গে গলা, ঘাড়, হাত ও পুরো শরীরের রঙের সামঞ্জস্য বজায় রাখতে যত্ন নিতে হবে পুরো শরীরের ত্বকের। মসুর ডাল বাটা পরিমাণমতো নিয়ে এর সঙ্গে লেবুর খোসাবাটা, পরিমাণমতো টক দই ও নারকেল তেল মিশিয়ে পুরো শরীরে মেখে নিয়মিত ম্যাসাজ করে গোসল করে নিতে হবে। সপ্তাহে দুই দিন করতে হবে এটি। এতে করে ত্বকের মরা কোষ উঠে গিয়ে উজ্জ্বলতা বাড়বে। এ ছাড়া ত্বকের কোমলতা বজায় থাকবে।
হাত ও পায়ের যত্ন
সপ্তাহে অন্তত দুদিন বাড়িতে পেডিকিউর ও মেনিকিউর করতে হবে। অনুষ্ঠানের দিন পারলার থেকে একবার পেডিকিউর ও মেনিকিউর করিয়ে নিলে ভালো। কারণ, পারলারে ম্যাসাজ খুব ভালো হয়। ডিপ ক্লিনও করা সম্ভব।
সূত্র: স্টাইলক্রেজ ও স্কিনক্র্যাফট

সব ঠিক চলছিল। কিন্তু যেই অনুষ্ঠানের তারিখ পড়ে গেল, উঠল মুখে ব্রণ কিংবা লাল হয়ে উঠল র্যাশ! মেজাজ হয়ে উঠল তিরিক্ষি। কিন্তু অনুষ্ঠানে তো যেতে হবে। এমন অবস্থায় যে সব সময় পারলারেই যেতে হয়, তা নয়। ঘরে বসেও এর বিরুদ্ধ ব্যবস্থা নিতে পারেন। ত্বকের ধরন অনুযায়ী যত্ন নিলে নির্দিষ্ট অনুষ্ঠানের দিন ত্বক অনেকটাই স্বাস্থ্য়োজ্জ্বল দেখাবে। অনুষ্ঠানের এক সপ্তাহ আগে থেকে যেভাবে ত্বকের যত্ন নিতে পারেন–
ত্বকের ধরন বুঝে ক্লিনজিং করুন

প্রতিদিন বাইরে থেকে ফিরে প্রথমে ভালো করে মুখ পরিষ্কার করে নিতে হবে। এরপর ত্বকের ধরন অনুযায়ী যত্ন নিন। যত্ন নেওয়ার আগে অবশ্যই নিজের ত্বকের ধরন কেমন, সেটি জানা জরুরি। যাঁদের ত্বক স্বাভাবিক, তাঁরা শীতে ত্বকের হারানো উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনতে এক চা-চামচ চালের গুঁড়া, এক চা-চামচ ময়দা, এক চা-চামচ অ্যালোভেরা জেল ভালো করে মিশিয়ে পুরো মুখে দু-তিন মিনিট ম্যাসাজ করে ধুয়ে ফেলতে পারেন। এরপর প্যাক ব্যবহার করতে হবে।
প্যাক তৈরিতে আপেল পেস্ট এক চা-চামচ, মসুরের ডালের বেসন এক চা-চামচ, অর্ধেক ডিমের কুসুম ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলতে হবে।
শীতকালে শুষ্ক ত্বকের বেশি যত্নের প্রয়োজন। এ ধরনের ত্বকের ক্ষেত্রে প্রাকৃতিক ক্লিনজার হিসেবে মসুর ডাল বাটার সঙ্গে এক টেবিল চামচ গরম দুধ মিশিয়ে কুসুম গরম অবস্থায় পুরো মুখে লাগাতে হবে। এতে ত্বকের মরা কোষ উঠে আসবে ও রোমকূপগুলো পরিষ্কার হয়ে যাবে। এটা ফেসওয়াশের মতো ব্যবহার করতে হবে। পরে পরিষ্কার পানি দিয়ে মুখ ধোয়ার পর প্যাক লাগাতে হবে। ত্বক তৈলাক্ত হলে এক চা-চামচ গ্রিন টি গুঁড়া নিয়ে এর সঙ্গে এক চা-চামচ টক দই মিশিয়ে পুরো মুখে দু-তিন মিনিট ম্যাসাজ করে ধুয়ে নিতে হবে। এ ছাড়া দারুচিনি গুঁড়া এক চা-চামচ, এক চা-চামচ মুলতানি মাটি, ডিমের সাদা অংশ এগুলো ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে ত্বকে ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলতে পারেন। এ প্যাক ব্যবহারের ফলে ময়শ্চারাইজারের ভারসাম্য ঠিক থাকবে।
ডিপ ক্লিনজিং
প্রথমে ক্লিনজার ব্যবহার করে ত্বক পরিষ্কার করে নিতে হবে। ত্বকের ধরন অনুযায়ী জেল, ফোম বা ক্রিম টাইপ ক্লিনজার বেছে নিতে পারেন। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য জেল বা ফোম ক্লিনজার বেছে নিন। শুষ্ক বা সংবেদনশীল ত্বকের জন্য হাইড্রেটিং ক্লিনজার উপযুক্ত। ত্বক ভেজানোর জন্য হালকা গরম পানি ব্যবহার করুন। এতে বন্ধ রোমকূপ খুলে যাবে। এক মিনিটের জন্য বৃত্তাকার গতিতে ক্লিনজার ঘষুন। হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ ভালো করে ঘষুন এবং পরিষ্কার তোয়ালে ব্যবহার করে শুকিয়ে নিন।
ব্যবহার করুন এক্সফোলিয়েটর। ঘষে ঘষে ত্বকে ব্যবহার করে ধুয়ে ফেলুন। এরপর স্টিম করুন। পরের ধাপে ত্বকের উপযোগী ফেস মাস্ক দিয়ে ডিপ ক্লিন করুন। এ ক্ষেত্রে ক্লে ব্ল্যাক মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন। মুখ ধুয়ে সব শেষে টোনার ও ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
স্কিন হোয়াইটনিং ট্রিটমেন্ট
মুখের ত্বকের সঙ্গে গলা, ঘাড়, হাত ও পুরো শরীরের রঙের সামঞ্জস্য বজায় রাখতে যত্ন নিতে হবে পুরো শরীরের ত্বকের। মসুর ডাল বাটা পরিমাণমতো নিয়ে এর সঙ্গে লেবুর খোসাবাটা, পরিমাণমতো টক দই ও নারকেল তেল মিশিয়ে পুরো শরীরে মেখে নিয়মিত ম্যাসাজ করে গোসল করে নিতে হবে। সপ্তাহে দুই দিন করতে হবে এটি। এতে করে ত্বকের মরা কোষ উঠে গিয়ে উজ্জ্বলতা বাড়বে। এ ছাড়া ত্বকের কোমলতা বজায় থাকবে।
হাত ও পায়ের যত্ন
সপ্তাহে অন্তত দুদিন বাড়িতে পেডিকিউর ও মেনিকিউর করতে হবে। অনুষ্ঠানের দিন পারলার থেকে একবার পেডিকিউর ও মেনিকিউর করিয়ে নিলে ভালো। কারণ, পারলারে ম্যাসাজ খুব ভালো হয়। ডিপ ক্লিনও করা সম্ভব।
সূত্র: স্টাইলক্রেজ ও স্কিনক্র্যাফট

আগাগোড়াই স্মার্টফোনের সঙ্গে বড় হওয়া প্রথম প্রজন্ম জেনারেশন জেড বা জেন-জি। যাদের জন্ম ১৯৯৭ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে। নতুন এক গবেষণা বলছে, ভুল তথ্যে বিশ্বাস করার ক্ষেত্রে যেসব শ্রেণি বা গোষ্ঠীর মানুষেরা বেশি ঝুঁকিপূর্ণ তাদের মধ্যে প্রযুক্তির আশীর্বাদ নিয়ে জন্ম নেওয়া জেন-জি প্রজন্ম অন্যতম। সম্প্রতি কানাডা
১৯ এপ্রিল ২০২৫
আপনি আজ নিজেকে মার্ভেল সিনেমার ‘সুপারম্যান’ মনে করবেন এবং কোনো অসাধ্যসাধনের চেষ্টা করবেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো, আপনার ল্যান্ডিংটা হবে পাড়ার মোড়ের খোলা ড্রেনে। অফিসের মিটিংয়ে বসের সামনে খুব বেশি ‘আইনস্টাইন’ সাজার চেষ্টা করবেন না;
৩২ মিনিট আগে
বড়দিনে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের খাবারের আলাদা এক ঐতিহ্য দেখা যায়। বিভিন্ন খাবারের সঙ্গে তাঁরা সেদিন অনেক স্বাদের কেক তৈরি করে থাকেন। বড় দিনে তৈরির জন্য দুটি কেকের রেসিপি রইল আপনাদের জন্য। রেসিপি ও ছবি দিয়েছেন ফুড কলামিস্ট ও রন্ধনশিল্পী ছন্দা ব্যানার্জি।
২ ঘণ্টা আগে
নাইজেরিয়ার বড় শহর লাগোস সারা বছর ব্যস্ত থাকে। তবে বছরের শেষ দিকে এই বিশাল শহর যেন রূপ বদলে আরও বেশি সরগরম হয়ে ওঠে। এর কারণ ডেটি ডিসেম্বর। এটি শহরের বার্ষিক উৎসব। একে ঘিরে পুরো শহর সেজে ওঠে ঝলমলে আলোয়। রাত হয়ে ওঠে সংগীতময়, রাস্তাজুড়ে থাকে উৎসবমুখর মানুষের ঢল। সংগীত, খাদ্য, পানীয় ডিসেম্বরে সব যেন...
১ দিন আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

নাইজেরিয়ার বড় শহর লাগোস সারা বছর ব্যস্ত থাকে। তবে বছরের শেষ দিকে এই বিশাল শহর যেন রূপ বদলে আরও বেশি সরগরম হয়ে ওঠে। এর কারণ ডেটি ডিসেম্বর। এটি শহরের বার্ষিক উৎসব। একে ঘিরে পুরো শহর সেজে ওঠে ঝলমলে আলোয়। রাত হয়ে ওঠে সংগীতময়, রাস্তাজুড়ে থাকে উৎসবমুখর মানুষের ঢল। সংগীত, খাদ্য, পানীয় ডিসেম্বরে সব যেন ফোয়ারা ছোটায় লাগোসে। হবে নাই-বা কেন। এটি যে পৃথিবীর অন্যতম বড় উৎসব!
তবে এ বছরের উৎসবের আবহে আনন্দের পাশাপাশি রয়েছে একধরনের অস্বস্তিকর সুর। অর্থনৈতিক চাপ, নিরাপত্তাহীনতা—সব মিলিয়ে উৎসবের উচ্ছ্বাসে খানিক ছেদই পড়ছে।

সাধারণত ৬ থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলা ডেটি ডিসেম্বর কখনো কখনো গড়িয়ে যায় জানুয়ারি মাসেও। একটার পর একটা অনুষ্ঠান হয় দেশজুড়ে, যেখানে স্থানীয়রা তো বটেই, বিদেশি পর্যটকেরাও হাত খুলে খরচ করে।
এই সময় বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে দেশে ফেরেন নাইজেরিয়ার প্রবাসীরা। তাঁরা সঙ্গে নিয়ে আসেন মোটা অঙ্কের অর্থ। ফলে লাগোস পরিণত হয় এক বিশাল কার্নিভ্যালের নগরীতে। যেখানে রাস্তা থাকে যানজটে ঠাসা আর চলে রাতজুড়ে উচ্চ শব্দের গান।
‘ডেটি’ শব্দটির অর্থ ‘নোংরা’—অর্থাৎ সব নিয়ম ভেঙে মুক্তভাবে আনন্দ করা। আর ঠিক সেটাই ঘটে লাগোসে। উৎসব, কনসার্ট, পপ-আপ মার্কেট, সৈকত পার্টি আর বিয়ের অনুষ্ঠান সব একের পর এক চলতে থাকে। প্রতিটিই বড় ও জাঁকজমকপূর্ণ হওয়ার প্রতিযোগিতা।
২০২৪ সালে একের পর এক বড় আয়োজন ছিল। ছিল গ্র্যামি মনোনীত শিল্পী ডেভিডো ও ওলামিদেকে নিয়ে ফ্লাইটাইম ফেস্ট, সমুদ্রতীরে উইজকিডের ভাইবস অন দ্য বিচ এবং শহরজুড়ে ১৫টি আফ্রোবিটস পার্টি নিয়ে মাই আফ্রোবিটস ডেটি ডিসেম্বর উদ্যাপিত হয়।
এ বছরের আয়োজনও কম কিছু নয়। এবার আয়োজিত হচ্ছে পামওয়াইন মিউজিক ফেস্টিভ্যাল, পিক ডেটি ভাইবস, দ্য বনফায়ার এক্সপেরিয়েন্স, জুমা জুক্স লাইভ ইন লাগোস এবং ফুডি ইন লাগোস ফেস্টিভ্যাল।
সাংস্কৃতিক পুনর্জাগরণ

২০১৭ সালে পামওয়াইন মিউজিক ফেস্টিভ্যাল প্রতিষ্ঠা করেন ওয়ালে ডেভিস। তিনি বলেন, ‘ডেটি ডিসেম্বর নামটা আসার আগেও ডিসেম্বর আমাদের কাছে সব সময়ই ডেটি ছিল। এখন সেটা শুধু আরও বড় হয়েছে।’ দেশের ভেতর ও প্রবাস থেকে আসা দর্শনার্থীদের কারণে গত দুই বছর এই উৎসব আরও বড় হয়েছে। অনেক লাগোসবাসী সারা বছর পরিকল্পনা করেন এই সময়কে ঘিরে। ৩৫ বছর বয়সী উদ্যোক্তা ওমোটয়োসি আকিনকুয়াদে চীনে ব্যবসায়িক কাজে মাসের পর মাস ঘুরেছেন। তিনি বলেন, ‘ডেটি ডিসেম্বর মানেই কষ্টকর পরিশ্রম থেকে পুরোপুরি মুক্ত হওয়া।’
নিউইয়র্ক থেকে তৃতীয়বারের মতো আসা জনসংযোগ বিশেষজ্ঞ মিমি এগেসিওনু একে বলেন, ‘একটি অসাধারণ উৎসব এটি। প্রতিদিন যেন নতুন কোনো আন্তর্জাতিক তারকাকে দেখা যায়। এই অনুভূতি পৃথিবীর আর কোথাও নেই।’
বাড়ে মাছ আর পানীয়র দাম
ডেটি ডিসেম্বর নতুন কিছু নয়। দুই দশক ধরে নাইজেরিয়ার পূর্বাঞ্চলে কার্নিভ্যাল ক্যালাবার হয়ে আসছে। তবে বিশ্বজুড়ে আফ্রোবিটস সংগীতের জনপ্রিয়তার প্রভাব এই উৎসবে পড়েছে। পর্যটন বিশেষজ্ঞ ইকেচি উকোর মতে, প্রবাসীরা এই উৎসবে যোগ দিতে বড় অঙ্কের অর্থ খরচ করেন। ফলে এটি দিন দিন বিলাসবহুল হয়ে উঠছে।
এর প্রভাব পড়েছে দামে। আগস্ট থেকেই বিমানভাড়া বেড়ে যায়। নাইজেরিয়ার এয়ারলাইনসে ইকোনমি টিকিটের দাম দ্বিগুণ হয়ে ৩ লাখ ৫০ হাজার নাইরায় পৌঁছায়। পানীয়র দামও প্রায় দ্বিগুণ হয়ে যায়। চাহিদা শুধু নাইট লাইফেই সীমাবদ্ধ নয়। সেলুন, দরজির দোকান—সবখানেই চাপ। কুকুর হেয়ার সেলুন আগস্ট থেকেই বুকিং নেয় এবং ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পুরোপুরি পূর্ণ।
উৎসবের ছায়ায় অন্ধকার বাস্তবতা
২০২৪ সালের ডেটি ডিসেম্বর থেকে লাগোস রাজ্য সরকার পর্যটন ও বিনোদন খাত থেকে আয় করেছে ৭ কোটি ১৬ লাখ ডলারের বেশি। এদিকে প্রবাসীদের ওপর ৫০০ ডলারের ‘ট্যুরিজম ট্যাক্স’ আরোপের প্রস্তাব ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে বাতিল করা হয়। সরকারকে এখানে হস্তক্ষেপ না করে নিরাপত্তা এবং ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা উচিত বলে মনে করেন স্থানীয়রা।
তবে উৎসবের মধ্যেও অনেক অন্ধকার দিক রয়েছে। নাইজেরিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে সহিংসতা, অপহরণ ও নিরাপত্তাহীনতা নিত্যসঙ্গী। তবু জীবন থেমে থাকে না। পর্যটন বিশেষজ্ঞ উকো বলেন, ‘কয়েক দিনের জন্য হলেও যদি এই উৎসব আমাদের দুঃখ ভুলতে সাহায্য করে, তাহলে সেটাই যথেষ্ট। ডেটি ডিসেম্বর বন্ধ করলে সমস্যাগুলো এমনিতেই মিটে যাবে, এমন নয়।’

নাইজেরিয়ার বড় শহর লাগোস সারা বছর ব্যস্ত থাকে। তবে বছরের শেষ দিকে এই বিশাল শহর যেন রূপ বদলে আরও বেশি সরগরম হয়ে ওঠে। এর কারণ ডেটি ডিসেম্বর। এটি শহরের বার্ষিক উৎসব। একে ঘিরে পুরো শহর সেজে ওঠে ঝলমলে আলোয়। রাত হয়ে ওঠে সংগীতময়, রাস্তাজুড়ে থাকে উৎসবমুখর মানুষের ঢল। সংগীত, খাদ্য, পানীয় ডিসেম্বরে সব যেন ফোয়ারা ছোটায় লাগোসে। হবে নাই-বা কেন। এটি যে পৃথিবীর অন্যতম বড় উৎসব!
তবে এ বছরের উৎসবের আবহে আনন্দের পাশাপাশি রয়েছে একধরনের অস্বস্তিকর সুর। অর্থনৈতিক চাপ, নিরাপত্তাহীনতা—সব মিলিয়ে উৎসবের উচ্ছ্বাসে খানিক ছেদই পড়ছে।

সাধারণত ৬ থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলা ডেটি ডিসেম্বর কখনো কখনো গড়িয়ে যায় জানুয়ারি মাসেও। একটার পর একটা অনুষ্ঠান হয় দেশজুড়ে, যেখানে স্থানীয়রা তো বটেই, বিদেশি পর্যটকেরাও হাত খুলে খরচ করে।
এই সময় বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে দেশে ফেরেন নাইজেরিয়ার প্রবাসীরা। তাঁরা সঙ্গে নিয়ে আসেন মোটা অঙ্কের অর্থ। ফলে লাগোস পরিণত হয় এক বিশাল কার্নিভ্যালের নগরীতে। যেখানে রাস্তা থাকে যানজটে ঠাসা আর চলে রাতজুড়ে উচ্চ শব্দের গান।
‘ডেটি’ শব্দটির অর্থ ‘নোংরা’—অর্থাৎ সব নিয়ম ভেঙে মুক্তভাবে আনন্দ করা। আর ঠিক সেটাই ঘটে লাগোসে। উৎসব, কনসার্ট, পপ-আপ মার্কেট, সৈকত পার্টি আর বিয়ের অনুষ্ঠান সব একের পর এক চলতে থাকে। প্রতিটিই বড় ও জাঁকজমকপূর্ণ হওয়ার প্রতিযোগিতা।
২০২৪ সালে একের পর এক বড় আয়োজন ছিল। ছিল গ্র্যামি মনোনীত শিল্পী ডেভিডো ও ওলামিদেকে নিয়ে ফ্লাইটাইম ফেস্ট, সমুদ্রতীরে উইজকিডের ভাইবস অন দ্য বিচ এবং শহরজুড়ে ১৫টি আফ্রোবিটস পার্টি নিয়ে মাই আফ্রোবিটস ডেটি ডিসেম্বর উদ্যাপিত হয়।
এ বছরের আয়োজনও কম কিছু নয়। এবার আয়োজিত হচ্ছে পামওয়াইন মিউজিক ফেস্টিভ্যাল, পিক ডেটি ভাইবস, দ্য বনফায়ার এক্সপেরিয়েন্স, জুমা জুক্স লাইভ ইন লাগোস এবং ফুডি ইন লাগোস ফেস্টিভ্যাল।
সাংস্কৃতিক পুনর্জাগরণ

২০১৭ সালে পামওয়াইন মিউজিক ফেস্টিভ্যাল প্রতিষ্ঠা করেন ওয়ালে ডেভিস। তিনি বলেন, ‘ডেটি ডিসেম্বর নামটা আসার আগেও ডিসেম্বর আমাদের কাছে সব সময়ই ডেটি ছিল। এখন সেটা শুধু আরও বড় হয়েছে।’ দেশের ভেতর ও প্রবাস থেকে আসা দর্শনার্থীদের কারণে গত দুই বছর এই উৎসব আরও বড় হয়েছে। অনেক লাগোসবাসী সারা বছর পরিকল্পনা করেন এই সময়কে ঘিরে। ৩৫ বছর বয়সী উদ্যোক্তা ওমোটয়োসি আকিনকুয়াদে চীনে ব্যবসায়িক কাজে মাসের পর মাস ঘুরেছেন। তিনি বলেন, ‘ডেটি ডিসেম্বর মানেই কষ্টকর পরিশ্রম থেকে পুরোপুরি মুক্ত হওয়া।’
নিউইয়র্ক থেকে তৃতীয়বারের মতো আসা জনসংযোগ বিশেষজ্ঞ মিমি এগেসিওনু একে বলেন, ‘একটি অসাধারণ উৎসব এটি। প্রতিদিন যেন নতুন কোনো আন্তর্জাতিক তারকাকে দেখা যায়। এই অনুভূতি পৃথিবীর আর কোথাও নেই।’
বাড়ে মাছ আর পানীয়র দাম
ডেটি ডিসেম্বর নতুন কিছু নয়। দুই দশক ধরে নাইজেরিয়ার পূর্বাঞ্চলে কার্নিভ্যাল ক্যালাবার হয়ে আসছে। তবে বিশ্বজুড়ে আফ্রোবিটস সংগীতের জনপ্রিয়তার প্রভাব এই উৎসবে পড়েছে। পর্যটন বিশেষজ্ঞ ইকেচি উকোর মতে, প্রবাসীরা এই উৎসবে যোগ দিতে বড় অঙ্কের অর্থ খরচ করেন। ফলে এটি দিন দিন বিলাসবহুল হয়ে উঠছে।
এর প্রভাব পড়েছে দামে। আগস্ট থেকেই বিমানভাড়া বেড়ে যায়। নাইজেরিয়ার এয়ারলাইনসে ইকোনমি টিকিটের দাম দ্বিগুণ হয়ে ৩ লাখ ৫০ হাজার নাইরায় পৌঁছায়। পানীয়র দামও প্রায় দ্বিগুণ হয়ে যায়। চাহিদা শুধু নাইট লাইফেই সীমাবদ্ধ নয়। সেলুন, দরজির দোকান—সবখানেই চাপ। কুকুর হেয়ার সেলুন আগস্ট থেকেই বুকিং নেয় এবং ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পুরোপুরি পূর্ণ।
উৎসবের ছায়ায় অন্ধকার বাস্তবতা
২০২৪ সালের ডেটি ডিসেম্বর থেকে লাগোস রাজ্য সরকার পর্যটন ও বিনোদন খাত থেকে আয় করেছে ৭ কোটি ১৬ লাখ ডলারের বেশি। এদিকে প্রবাসীদের ওপর ৫০০ ডলারের ‘ট্যুরিজম ট্যাক্স’ আরোপের প্রস্তাব ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে বাতিল করা হয়। সরকারকে এখানে হস্তক্ষেপ না করে নিরাপত্তা এবং ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা উচিত বলে মনে করেন স্থানীয়রা।
তবে উৎসবের মধ্যেও অনেক অন্ধকার দিক রয়েছে। নাইজেরিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে সহিংসতা, অপহরণ ও নিরাপত্তাহীনতা নিত্যসঙ্গী। তবু জীবন থেমে থাকে না। পর্যটন বিশেষজ্ঞ উকো বলেন, ‘কয়েক দিনের জন্য হলেও যদি এই উৎসব আমাদের দুঃখ ভুলতে সাহায্য করে, তাহলে সেটাই যথেষ্ট। ডেটি ডিসেম্বর বন্ধ করলে সমস্যাগুলো এমনিতেই মিটে যাবে, এমন নয়।’

আগাগোড়াই স্মার্টফোনের সঙ্গে বড় হওয়া প্রথম প্রজন্ম জেনারেশন জেড বা জেন-জি। যাদের জন্ম ১৯৯৭ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে। নতুন এক গবেষণা বলছে, ভুল তথ্যে বিশ্বাস করার ক্ষেত্রে যেসব শ্রেণি বা গোষ্ঠীর মানুষেরা বেশি ঝুঁকিপূর্ণ তাদের মধ্যে প্রযুক্তির আশীর্বাদ নিয়ে জন্ম নেওয়া জেন-জি প্রজন্ম অন্যতম। সম্প্রতি কানাডা
১৯ এপ্রিল ২০২৫
আপনি আজ নিজেকে মার্ভেল সিনেমার ‘সুপারম্যান’ মনে করবেন এবং কোনো অসাধ্যসাধনের চেষ্টা করবেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো, আপনার ল্যান্ডিংটা হবে পাড়ার মোড়ের খোলা ড্রেনে। অফিসের মিটিংয়ে বসের সামনে খুব বেশি ‘আইনস্টাইন’ সাজার চেষ্টা করবেন না;
৩২ মিনিট আগে
বড়দিনে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের খাবারের আলাদা এক ঐতিহ্য দেখা যায়। বিভিন্ন খাবারের সঙ্গে তাঁরা সেদিন অনেক স্বাদের কেক তৈরি করে থাকেন। বড় দিনে তৈরির জন্য দুটি কেকের রেসিপি রইল আপনাদের জন্য। রেসিপি ও ছবি দিয়েছেন ফুড কলামিস্ট ও রন্ধনশিল্পী ছন্দা ব্যানার্জি।
২ ঘণ্টা আগে
সব ঠিক চলছিল। কিন্তু যেই অনুষ্ঠানের তারিখ পড়ে গেল, উঠল মুখে ব্রণ কিংবা লাল হয়ে উঠল র্যাশ! মেজাজ হয়ে উঠল তিরিক্ষি। কিন্তু অনুষ্ঠানে তো যেতে হবে। এমন অবস্থায় যে সব সময় পারলারেই যেতে হয়, তা নয়। ঘরে বসেও এর বিরুদ্ধ ব্যবস্থা নিতে পারেন। ত্বকের ধরন অনুযায়ী যত্ন নিলে নির্দিষ্ট অনুষ্ঠানের দিন ত্বক...
২০ ঘণ্টা আগে