Ajker Patrika

অ্যাপল কেন চীনের বিকল্প খুঁজে পাচ্ছে না

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
বারবার চীনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা স্বীকার করেছেন অ্যাপলের সিইও টিম কুক। ছবি: টেক ভিশন ইউটিউব চ্যানেল
বারবার চীনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা স্বীকার করেছেন অ্যাপলের সিইও টিম কুক। ছবি: টেক ভিশন ইউটিউব চ্যানেল

আইফোনের সরবরাহ শৃঙ্খলে বৈচিত্র্য আনার চেষ্টা করলেও এখন পর্যন্ত চীনের বিকল্প হিসেবে উপযুক্ত কোনো দেশ খুঁজে পায়নি অ্যাপল। উৎপাদনের ক্ষেত্রে চীনের দক্ষ জনশক্তি, সুসংগঠিত অবকাঠামো এবং দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা অ্যাপলকে দেশটির ওপর নির্ভরশীল হতে বাধ্য করেছে। এমন বাস্তবতায় সম্প্রতি কিছু ইলেকট্রনিক পণ্য, বিশেষ করে স্মার্টফোন ও কম্পিউটারে নতুন করে আরোপিত শুল্ক অব্যাহতি দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। ইউএস কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার প্রটেকশনের এক ঘোষণায় জানানো হয়, এসব পণ্য ট্রাম্পের ঘোষিত বৈশ্বিক ১০ শতাংশ এবং চীনের ওপর আরোপিত ১২৫ শতাংশ শুল্ক থেকে মুক্ত থাকবে। এই অব্যাহতির ফলে অ্যাপলের ওপর আপাতত চাপ কিছুটা কমলেও, দীর্ঘ মেয়াদে চীনের বিকল্প খোঁজার প্রয়োজনীয়তা থেকেই যাচ্ছে।

চীনের ওপর অ্যাপল নির্ভরশীল হচ্ছে যে কারণে

অতুলনীয় উৎপাদন ব্যবস্থা: চীনের শিল্প অবকাঠামো অতুলনীয়। শেনজেন ও ঝেংঝোর মতো শহরে বিশাল কারখানা (যেমন: ফক্সকনের ‘আইফোন সিটি’) রয়েছে, যেখানে প্রতি বছর কয়েক শ মিলিয়ন ডিভাইস উৎপাদন করা যায়। এই ব্যবস্থায় হাজার হাজার বিশেষায়িত সরবরাহকারী রয়েছে, যারা ডিসপ্লে, ব্যাটারি, সেন্সর ইত্যাদি সরবরাহ করে এবং এরা সবাই একে অপরের কাছাকাছি অবস্থিত।

আইফোন লঞ্চের সময় ও দ্রুত উৎপাদন বাড়ানোর ক্ষমতা চীনের বিশাল দক্ষ শ্রমিক এবং দক্ষ লজিস্টিক নেটওয়ার্কের ওপর নির্ভর করে। অন্য কোনো দেশ এই দক্ষতা ও গতির সঙ্গে পাল্লা দিতে পারে না।

উদাহরণস্বরূপ, শুধু ফক্সকনই চীনে লাখ লাখ শ্রমিক নিয়োগ করে এবং ব্যস্ত মৌসুমে দ্রুত আরও লোক নিয়োগ করে থাকে। এমন দক্ষ ও গতিশীল শ্রমশক্তি এবং সংগঠিত উৎপাদন কাঠামো অন্য কোথাও গড়ে তোলা বড় চ্যালেঞ্জ।

খরচের দক্ষতা: চীনে মজুরি বেড়েছে। ২০২৪ সালে গড়ে প্রতি ঘণ্টায় ৫-১০ ডলার মজুরি দিতে হতো, যা এক দশক আগে ১-২ ডলার ছিল। তবে এরপরও উৎপাদন খরচ ভারত, ভিয়েতনাম বা মেক্সিকোর তুলনায় কম। এর কারণ হলো—চীনে বড় পরিসরে উৎপাদনে খরচ কম পড়ে এবং দীর্ঘদিন ধরে কাজ করার ফলে সরবরাহকারীদের সঙ্গে অ্যাপলের ভালো সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। সেই সঙ্গে চীন সরকার নানা ধরনের সুবিধা দেয়। যেমন: কর ছাড় ও সস্তা জমি।

উৎপাদন স্থানান্তরের জন্য নতুন কারখানা গড়তে, কর্মীদের প্রশিক্ষণ দিতে এবং সরবরাহ ব্যবস্থাকে নতুন করে সাজাতে বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগের প্রয়োজন হয়। উদাহরণস্বরূপ, ভারতে কারখানা স্থাপনে নানা আমলাতান্ত্রিক জটিলতা, অনিয়মিত বিদ্যুৎ সরবরাহ এবং দুর্বল পরিবহন অবকাঠামোর কারণে খরচ আরও বেড়ে যায়।

গভীরভাবে সংযুক্ত সরবরাহকারী নেটওয়ার্ক: অ্যাপলের সরবরাহ চেইনে ২০০ টির বেশি প্রধান সরবরাহকারী রয়েছে, যাদের মধ্যে অনেকে (যেমন, বিওই টেকনোলজি, লাক্সশেয়ার প্রিসিশন) চীনে অবস্থিত। এই সরবরাহকারীরা একে অপরের সঙ্গে সংযুক্ত, ছোট স্ক্রু থেকে উন্নত চিপ পর্যন্ত সবকিছু সরবরাহ করে। এই নেটওয়ার্ক ভেঙে পড়লে তা অ্যাপলের ডিভাইস উৎপাদনকে ব্যাহত করবে এবং বছরের পর বছর ধরে সমন্বয়ের মাধ্যমে এই নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে হবে।

এমনকি অ্যাপল কিছু কারখানা বা উৎপাদন ব্যবস্থা অন্য দেশে সরিয়ে নিলেও গুরুত্বপূর্ণ উপাদান (যেমন, বিওই থেকে ওএলইডি ডিসপ্লে বা চীনে প্যাকেজ করা টিএসএমসি চিপ) চীন থেকে আসে, যা সরবরাহ চেইনকে চীনের সঙ্গে বেঁধে রাখে।

বিশেষায়িত দক্ষতা

দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতার কারণে চীনের শ্রমিকেরা নির্ভুলভাবে পণ্য উৎপাদন করে থাকে, যা অ্যাপলের জটিল পণ্য তৈরির জন্য অপরিহার্য। এই অভিজ্ঞতা তাদের দ্রুত সমস্যা সমাধান এবং কম ত্রুটিযুক্ত পণ্য উৎপাদন করতে সাহায্য করে। তবে, ভারত বা ভিয়েতনামের মতো দেশে কিছুটা উন্নতি হলেও দক্ষতার অভাব এখনো রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, ২০১৭ সালে কম অভিজ্ঞ শ্রমিকদের কারণে আইফোনের প্রথম ধাপে সংযোজনের ক্ষেত্রে ত্রুটির সংখ্যা বেশি ছিল, তবে তা এখন আগের চেয়ে উন্নত হয়েছে।

ভূ-রাজনৈতিক ও কৌশলগত ভারসাম্য: মার্কিন-চীন বাণিজ্য উত্তেজনা, শুল্ক (যেমন, ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে ইলেকট্রনিকসে ১০-২৫ শতাংশ শুল্ক) এবং কোভিড-১৯ লকডাউন (যেমন, ২০২২ সালে সাংহাইয়ে উৎপাদনে ব্যাঘাত)–এর কারণে উৎপাদন বৈচিত্র্য আনতে চাচ্ছে অ্যাপল। তবে, চীন থেকে দ্রুত বেরিয়ে গেলে চীন সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হতে পারে, যা অ্যাপলের বিশাল বাজার (২০২৪ সালে বিশ্বব্যাপী বিক্রয়ের মধ্যে চীনে ২০ শতাংশ বা প্রায় ৭০ বিলিয়ন ডলার) ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।

তাই অ্যাপলের কৌশল হলো—ধীরে ধীরে বৈচিত্র্য আনা। ভারত এখন আইফোনের ১০-১৫ শতাংশ উৎপাদন করে (২০১৮ সালে যা ছিল ১ শতাংশ) এবং ফক্সকন ও উইস্ট্রন তামিলনাড়ুতে কারখানা চালাচ্ছে। ভিয়েতনামে এয়ারপড এবং কিছু ম্যাকবুক তৈরি হয়, আর থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়া ছোট ছোট উপাদান উৎপাদন করছে। তবে চীন এখনো আইফোন উৎপাদনের প্রায় ৮০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করে।

সময় ও বিনিয়োগের বাধা

উৎপাদন স্থানান্তরের জন্য বিলিয়ন ডলার ব্যয় এবং বছরের পর বছর পরিকল্পনা প্রয়োজন। উদাহরণস্বরূপ, ফক্সকন ২০১৭ সাল থেকে ভারতে ১০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে, যা আইফোন উৎপাদন কিছুটা বাড়িয়েছে। তবে শ্রমিকদের প্রশিক্ষণ, স্থিতিশীল বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা এবং স্থানীয় সরবরাহকারীদের নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা সময়সাপেক্ষ বিষয়।

এদিকে অ্যাপলের ‘জাস্ট-ইন-টাইম’ উৎপাদন মডেল চীনের জন্য তৈরি করা হয়েছে। এটি এমন এক পদ্ধতি, যেখানে উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় উপাদানগুলো শুধু তখনই আনা হয়, যখন তা প্রয়োজন। এর মাধ্যমে, অ্যাপল তাদের ইনভেনটরি বা মজুত কমিয়ে দক্ষতা বাড়ায় এবং উৎপাদন প্রক্রিয়াকে দ্রুত গতির হয় এবং খরচও কমে যায়।

এই মডেলটি চীনের অবকাঠামোর জন্য বিশেষভাবে তৈরি হয়েছে। কারণ চীনে রয়েছে অত্যন্ত উন্নত ও সুসংগঠিত সরবরাহ চেইন, দক্ষ শ্রমিক এবং দ্রুত সমন্বয়। তবে, যদি অ্যাপল অন্য কোনো দেশে উৎপাদন স্থানান্তর করতে চায়, তাহলে সেখানে এই একই মডেল কার্যকর করা কঠিন হতে পারে। কারণ, সেখানে অবকাঠামো, সরবরাহ চেইন এবং দক্ষ শ্রমিকের অভাব থাকতে পারে, যা উৎপাদন প্রক্রিয়ায় বিলম্ব বা গুণগত মানের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। বিকল্প অঞ্চল এই মডেল পুনর্গঠন করতে বিলম্ব বা গুণগত সমস্যার ঝুঁকি নিয়ে আসে।

বিকল্প খোঁজার বিষয়ে টিম কুক যা ভাবেন

এদিকে অ্যাপলের সিইও টিম কুক বারবার চীনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা স্বীকার করেছেন এবং বৈচিত্র্য আনার প্রচেষ্টার কথা বলেছেন। তিনি বলেন, ২০১৭ সালে ফরচুনের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে কুক বলেন, ‘চীনে উৎপাদনের জন্য একটি অবিশ্বাস্য ব্যবস্থা রয়েছে। এটি শুধু খরচ নয়; দক্ষতা এবং বিপুলসংখ্যক মানুষের সক্ষমতার বিষয়। এটি টুল, নির্ভুলতা, পেশাগত দক্ষতার একটি অনন্য সমন্বয়।’

২০১৯ সালে ব্লুমবার্গের সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমাদের পণ্যগুলোর জন্য উন্নত টুলের প্রয়োজন। এই টুলের পাশাপাশি আমরা যে উপকরণ ব্যবহার করি তা নির্ভুলতার বেশি ও অত্যাধুনিক। এই সক্ষমতা একমাত্র চীনে বিশেষভাবে রয়েছে।’

২০২২ সালের একটি আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশের সময় কুক বলেন, ‘আমরা সব সময় আমাদের সরবরাহ চেইনে বৈচিত্র্য আনার চেষ্টা করি। তাই আমরা ভারত, ভিয়েতনাম এবং এশিয়ার অন্যান্য অংশে উৎপাদন প্রসারিত করেছি। এটি চীন ছেড়ে যাওয়ার বিষয় নয়; এটি স্থিতিস্থাপকতা ও নমনীয়তা তৈরির বিষয়।’

২০২৩ সালে ভারতে একটি ইভেন্টে কুক মন্তব্য করেন, ‘ভারত একটি খুবই উত্তেজনাপূর্ণ বাজার এবং আমরা এখানে (আইফোন) উৎপাদন করছি এবং আমরা এটির সম্প্রসারণ চালিয়ে যাব।

২০২০ সালে মার্কিন-চীন বাণিজ্য উত্তেজনার মধ্যে ফক্স বিজনেসকে কুক বলেন, ‘আমরা একটি আন্তর্জাতিক কোম্পানি এবং আমরা কোনো এক জায়গার ওপর অতিরিক্ত নির্ভরশীল হতে চাই না। তবে সুইচ টিপে সরবরাহ চেইন সরানো যায় না—এটি একটি বহু বছরের যাত্রা।’

কুকের মন্তব্যগুলো একটি বাস্তববাদী দৃষ্টিভঙ্গি প্রতিফলিত করে। চীনের উৎপাদন আধিপত্য শুধুমাত্র খরচের কারণে নয়, বরং দক্ষতার ভিত্তিতেও প্রতিষ্ঠিত। যদিও অ্যাপল বিকল্পে বিনিয়োগ করছে, তবে পুরোপুরি উৎপাদন স্থানান্তর করা বাস্তবসম্মত বা তাৎক্ষণিকভাবে সম্ভব নয়।

বৈচিত্র্যের বর্তমান অবস্থা: ২০২৪ সাল পর্যন্ত চীনের ওপর নির্ভরতা কমাতে অগ্রগতি অর্জন করেছে অ্যাপল। তবে এর গতি ধীর।

ভারত: ভারতে ১০-১৫ শতাংশ আইফোন উৎপাদন হয়। যেমন: আইফোন ১৪, আইফোন ৫ মডেল। এ ছাড়া ফক্সকন, উইস্ট্রন এবং পেগাট্রন তামিলনাড়ুতে কারখানা পরিচালনা করছে। ভারত সরকারের ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ প্রণোদনা (৬ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারের ভর্তুকি) সাহায্য করেছে। তবে শ্রম বিরোধ এবং অবকাঠামোর ঘাটতি অ্যাপলের জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে‍।

ভিয়েতনাম: এয়ারপড, অ্যাপল ওয়াচ এবং কিছু ম্যাকবুক এখানে সংযোজন করা হয়। গোয়েরটেক এবং লাক্সশেয়ার মতো সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলো এখানে তাদের কার্যক্রম সম্প্রসারিত করেছে। তবে ভিয়েতনামের ছোট জনসংখ্যা (১০০ মিলিয়ন বনাম চীনের ১ দশমিক ৪ বিলিয়ন) উৎপাদন বাড়ানোর ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা সৃষ্টি করে।

অন্যান্য অঞ্চল: অন্যান্য অঞ্চল, যেমন মালয়েশিয়া এবং থাইল্যান্ড অ্যাপলের জন্য ছোট উপাদান উৎপাদন করে এবং ভবিষ্যতে মেক্সিকোতে সমাবেশের সম্ভাবনা পরীক্ষা করছে। তবে, এগুলো এখনো প্রাথমিক প্রচেষ্টা।

এসব পদক্ষেপ সত্ত্বেও অ্যাপলের উৎপাদনের মূল ভিত্তি চীন। উদাহরণস্বরূপ, ভারতে সংযোজন করা আইফোনগুলোও প্রায়শই চীন-নির্মিত উপাদান ব্যবহার করে এবং হাই-এন্ড মডেল (যেমন: আইফোন প্রো সিরিজ) এখনো প্রধানত চীনে তৈরি হয়। কারণ এগুলোর জটিলতা অনেক বেশি।

উৎপাদন ব্যবস্থা সম্পূর্ণ স্থানান্তরের জন্য প্রয়োজন

বিশাল বিনিয়োগ: চীনের মতো অবকাঠামো অন্যত্র তৈরি করতে এক দশকে ৫০-১০০ বিলিয়ন ডলার খরচ হতে পারে।

সময়: লাখ লাখ শ্রমিক প্রশিক্ষণ এবং স্থানীয় সরবরাহকারী স্থাপন করতে প্রতি অঞ্চলে ৫-১০ বছর লাগতে পারে।

বাজার ঝুঁকি: চীনের সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট করা অ্যাপলের সেখানকার বিক্রয় ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে, যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমান রাজস্ব দেয়।

গুণমান নিয়ন্ত্রণ: নতুন অঞ্চলগুলোকে চীনের মতো উচ্চ মান এবং সঠিকতা বজায় রাখতে হবে। যেমন চীনে আইফোন ডিসপ্লে তৈরি হলে ৯৯ শতাংশ নির্ভুলভাবে তৈরি হয়।

অ্যাপল চীনের বিকল্প খুঁজে পায়নি কারণ কোনো একক দেশ উৎপাদন ক্ষমতার তিনটি মূল উপাদান—পরিসর, দক্ষতা এবং গতি একসঙ্গে অর্জন করতে পারছে না। চীনের অনন্য সক্ষমতার গুরুত্ব তুলে ধরেছেন টিম কুক এবং ভারত, ভিয়েতনাম ও অন্যান্য অঞ্চলে সাবধানে প্রসারিত করে ঝুঁকি কমানোর চেষ্টা করছেন। তবে, বৈচিত্র্যকরণ একটি ধীর এবং ব্যয়বহুল প্রক্রিয়া, এবং চীনে দশকব্যাপী গড়ে ওঠা অ্যাপলের সরবরাহ চেইনের আধিপত্য ভূ-রাজনৈতিক চাপ সত্ত্বেও বছরের পর বছর ধরে অব্যাহত থাকবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

চট্টগ্রামের ১৬ আসনের ৭টিতে বিএনপির চ্যালেঞ্জ বিএনপিই

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক: উত্তেজনা বাড়ছে দ্রুত

আজকের রাশিফল: ফেসবুকে জ্ঞান ঝাড়বেন না— বন্ধুরা জানে আপনি কপি মাস্টার, স্ত্রীর কথা শুনুন

নেছারাবাদে ছিনতাইকারী সন্দেহে যুবক আটক, দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

প্রযুক্তির দখল কার হাতে

পল্লব শাহরিয়ার
প্রযুক্তির দখল কার হাতে

একসময় বিশ্বক্ষমতার হিসাব কষা হতো অস্ত্রের সংখ্যা কিংবা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পরিসংখ্যানে। কিন্তু ২০২৫ সালে এসে সেই সমীকরণ বদলে গেছে। এখন ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে আছে প্রযুক্তি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, চিপ, রোবট, মহাকাশ, বৈদ্যুতিক গাড়ি ও তথ্যের নিয়ন্ত্রণ। এই প্রযুক্তির ময়দানেই মুখোমুখি দাঁড়িয়ে আছে দুই পরাশক্তি—যুক্তরাষ্ট্র ও চীন।

যুক্তরাষ্ট্র প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের প্রতীক হয়ে উঠেছে বহু দশক ধরে। অন্যদিকে চীন দেখিয়ে দিয়েছে পরিকল্পনা আর গতির সমন্বয়ে কত দ্রুত প্রযুক্তিকে বাস্তব শক্তিতে রূপ দেওয়া যায়। ২০২৫ সালে দাঁড়িয়ে এই দুই দেশের প্রযুক্তি ব্যবসা আর উদ্ভাবনের চিত্র দেখলে পরিষ্কার বোঝা যায়, এটা কোনো একতরফা লড়াই নয়। যুক্তরাষ্ট্র এগিয়ে মৌলিক গবেষণা, এআই সফটওয়্যার ও স্টার্টআপ সংস্কৃতিতে। আবার চীন এগিয়ে রয়েছে উৎপাদন, বাস্তব প্রয়োগ এবং প্রযুক্তিকে জাতীয় কৌশলের অংশ বানানোয়।

এআই প্রযুক্তিতে এগিয়ে যুক্তরাষ্ট্র, পিছিয়ে থেকেও বিপজ্জনক চীন

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই এখন প্রযুক্তির বড় যুদ্ধক্ষেত্র। কে আগে ভালো এআই বানাবে, সেটা এখন আর শুধু ব্যবসার প্রশ্ন নয়; এটা ক্ষমতা, নিরাপত্তা আর ভবিষ্যৎ প্রভাবেরও প্রশ্ন। ২০২৫ সালে দাঁড়িয়ে যদি যুক্তরাষ্ট্র আর চীনের দিকে তাকাই, তাহলে একটা অদ্ভুত কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ বাস্তবতা চোখে পড়ে। আর তা হলো, যুক্তরাষ্ট্র স্পষ্টভাবে এআই প্রযুক্তিতে এগিয়ে রয়েছে।

এ ছাড়া চীন পিছিয়েও ভীষণভাবে বিপজ্জনক!এআই উদ্ভাবনের মূল শিকড় এখনো মূলত যুক্তরাষ্ট্রে। বড় ভাষা মডেল, জেনারেটিভ এআই, মাল্টিমোডাল সিস্টেম—এই ধারণাগুলোর জন্ম, বিকাশ আর পরিপক্বতা বেশির ভাগই যুক্তরাষ্ট্রে হয়েছে। শুধু প্রযুক্তি নয়, এর পেছনে আরও আছে গবেষণা, বিশ্ববিদ্যালয় ও শিল্পের সংযোগ, ঝুঁকি নেওয়ার সাহস এবং বিশাল বিনিয়োগ। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রে এআই দ্রুত গবেষণা থেকে পণ্যে রূপ নেয়। নতুন কোনো ধারণা জন্মানোর পর সেটাকে স্টার্টআপ, সফটওয়্যার বা প্ল্যাটফর্মে পরিণত করতে খুব বেশি সময় লাগে না।

এআই সফটওয়্যারগুলোর নিয়ন্ত্রণ, বিশ্বের প্রভাবশালী এআই প্ল্যাটফর্ম, ডেভেলপার টুলস আর ক্লাউড অবকাঠামোর বড় অংশই যুক্তরাষ্ট্রের হাতে। এর মানে শুধু ভালো এআই বানানো নয়, বরং বিশ্ব কীভাবে এআই ব্যবহার করবে, সেটার মানদণ্ডও তারা ঠিক করছে। কিন্তু চীনের এআই যাত্রা একেবারে ভিন্ন পথে। চীন হয়তো যুক্তরাষ্ট্রের মতো সবচেয়ে উন্নত কিংবা সৃজনশীল এআই এখনো বানাতে পারেনি। কিন্তু তারা যেটা করেছে, সেটাই তাদের সবচেয়ে বিপজ্জনক করে তুলেছে। এআই প্রযুক্তিকে তারা দ্রুত, ব্যাপক এবং রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে বাস্তবে নামিয়েছে।

চীনে এআই কোনো পরীক্ষাগারের বিষয় নয়; এটা শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থায়, কারখানায় উৎপাদনে, সরকারি প্রশাসনে, নজরদারি ব্যবস্থায় আর সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনে ঢুকে গেছে। বিশাল জনসংখ্যা আর ডেটার সুবিধা নিয়ে চীন এআই প্রশিক্ষণ ও প্রয়োগে এমন স্কেল তৈরি করেছে, যা যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে অনেক সময় সম্ভব হয় না।

গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, চীনে এআই প্রযুক্তির উন্নয়ন শুধু ব্যবসার হাতে নেই। রাষ্ট্র সরাসরি এই খেলায় আছে। এতে গতি বেড়েছে, সিদ্ধান্ত দ্রুত হয়েছে, আর প্রযুক্তি সরাসরি জাতীয় কৌশলের অংশ হয়ে উঠেছে। ঠিক এখানেই চীন পিছিয়ে থেকেও হয়ে গেছে বিপজ্জনক।

চিপ যুদ্ধ: এই লড়াই এআইয়ের ভবিষ্যৎ কেন ঠিক করবে

এআই নিয়ে সব কথা এসে ঠেকে যায় যে বিষয়ে, তার নাম চিপ। যত বুদ্ধিমান অ্যালগরিদমই বানানো হোক, শক্তিশালী চিপ ছাড়া এআই আসলে অচল। তাই যুক্তরাষ্ট্র আর চীনের প্রযুক্তি প্রতিযোগিতার গুরুত্বপূর্ণ এবং সংবেদনশীল যুদ্ধটা হচ্ছে এই সেমিকন্ডাক্টর কিংবা চিপ নিয়ে।

এ মুহূর্তে বাস্তবতা হলো, চিপের দুনিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র এগিয়ে আছে; বিশেষ করে এআইয়ের জন্য প্রয়োজনীয় উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন প্রসেসর, ডিজাইন সফটওয়্যার আর আর্কিটেকচারের বড় অংশ এখনো আমেরিকান প্রতিষ্ঠানগুলোর হাতে। ফলে বিশ্বজুড়ে যত আধুনিক এআই তৈরি হচ্ছে, তার মস্তিষ্কের বড় অংশই কোনো না কোনোভাবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তির ওপর নির্ভরশীল।

এই এগিয়ে থাকার কারণ শুধু প্রযুক্তি নয়, বরং একটি পূর্ণাঙ্গ ইকোসিস্টেম। গবেষণা, ডিজাইন, সফটওয়্যার টুল, ক্লাউড অবকাঠামো—দেশটিতে সব একসঙ্গে কাজ করছে। ফলে নতুন এআই মডেল তৈরি করতে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে আছে দ্রুততা ও স্থায়িত্ব—দুটোই।

চীনের সমস্যা শুরু এখানেই, আর তাই এখান থেকে তাদের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা। কারণ, চীন খুব ভালোভাবে বুঝে গেছে যে তারা যদি চিপের ক্ষেত্রে পিছিয়ে থাকে, তাহলে এআইতে সত্যিকারের স্বাধীনতা কখনোই আসবে না। তাই ২০২৫ সালে চীন যা করছে, সেটা হলো সরাসরি প্রযুক্তিগত বাধা ভাঙার চেষ্টা না করে; বরং বিকল্প পথ তৈরি করা।

চীন এখন চিপের ক্ষেত্রে ধাপে ধাপে স্বনির্ভর হওয়ার কৌশল নিয়েছে। উন্নত চিপে সীমাবদ্ধতা থাকলেও তারা মাঝারি ক্ষমতার চিপকে বড় পরিসরে ব্যবহার করে এআই চালানোর পদ্ধতি তৈরি করছে। এটা আপাতদৃষ্টে দুর্বলতা মনে হলেও আসলে এটা ভিন্নধর্মী শক্তি। এতে চীন এমন এআই সিস্টেম বানাতে শিখছে, যেগুলো কম খরচে, কম রিসোর্সে কাজ করতে পারে। ভবিষ্যতে এই দক্ষতাই বড় সুবিধা হয়ে উঠতে পারে; বিশেষ করে উন্নয়নশীল বাজারে।

আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগ। চীনে চিপ উন্নয়ন শুধু বেসরকারি খাতের হাতে ছেড়ে দেওয়া হয়নি। সরাসরি অর্থ, নীতি আর দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য নির্ধারণ করে দিয়েছে রাষ্ট্র। এতে ফল আসতে সময় লাগলেও ধারাবাহিকতা নষ্ট হচ্ছে না। এই চিপ যুদ্ধের প্রভাব সরাসরি এআইয়ের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করে দেবে। কারণ, যে দেশ বেশি শক্তিশালী ও সহজলভ্য চিপ বানাতে পারবে, সে দেশই বেশি এআই প্রশিক্ষণ চালাতে পারবে, দ্রুত নতুন মডেল আনতে পারবে এবং বিশ্ববাজারে নিজের মানদণ্ড চাপিয়ে দিতে পারবে।

ডিফেন্স টেক ও সাইবার নিরাপত্তা

প্রযুক্তির আরও একটি ক্ষেত্র আছে, যা সরাসরি জাতীয় নিরাপত্তা এবং বৈশ্বিক প্রভাবকে আঘাত বা শক্তি দিতে পারে। এটি হলো ডিফেন্স টেক ও সাইবার নিরাপত্তা। ২০২৫ সালে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের প্রতিযোগিতা এখানেও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের শক্তি এখানে এসেছে দুটো দিক থেকে। প্রথমত, উচ্চমানের গবেষণা এবং উদ্ভাবনের ওপর ভিত্তি করে। এআই-চালিত ড্রোন, নজরদারি প্রযুক্তি, আধুনিক স্যাটেলাইট সিস্টেম এবং প্রতিরক্ষা-সম্পর্কিত সেন্সর—এসব ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র এখনো বিশ্বনেতা। দ্বিতীয়ত হলো, অভিজ্ঞতা। দীর্ঘমেয়াদি প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের ইতিহাস এবং বহুজাতিক সহযোগিতা যুক্তরাষ্ট্রকে এগিয়ে রেখেছে; বিশেষ করে জটিল সাইবার ডিফেন্স এবং মহাকাশভিত্তিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রে।

অন্যদিকে চীনের কৌশল আলাদা। তারা এখানে দ্রুততা ও পরিসরকে অগ্রাধিকার দিয়েছে। রাষ্ট্রীয় পরিকল্পনা এবং বিনিয়োগের মাধ্যমে চীন দ্রুত নতুন প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। সাইবার নিরাপত্তায় চীন এখন বিভিন্ন ক্ষেত্রে কার্যকর কার্যক্রম চালাচ্ছে। এটি শুধু আক্রমণাত্মক নয়, প্রতিরক্ষা ও নজরদারিতেও সমানভাবে শক্তিশালী।

ভবিষ্যতের প্রযুক্তি দৌড়ে কারা এগিয়ে

২০২৫ সালে প্রযুক্তি লড়াই শুধু উদ্ভাবনের নয়; এটি ক্ষমতা, বাজার নিয়ন্ত্রণ এবং জাতীয় কৌশলের প্রতিফলন। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের প্রতিযোগিতা অনেকটা দুই ভিন্ন পথের গল্প—একটি দেশ স্বাধীন উদ্ভাবন ও স্টার্টআপের ওপর নির্ভরশীল, অন্যটি রাষ্ট্রীয় পরিকল্পনা ও দ্রুত বাস্তবায়নের কৌশলে এগিয়ে।

এই দ্বন্দ্ব একে অপরকে বাতিল করে না; বরং দুই দেশের প্রযুক্তি প্রতিযোগিতা আরও ধারালো ও বৈচিত্র্যপূর্ণ করে। ভবিষ্যতের প্রযুক্তিতে উদ্ভাবন + বাস্তবায়ন + নিরাপত্তা—এই তিনের সমন্বয় যে দেশ ভালো করতে পারবে, সেই দেশ আগামী দশকের প্রযুক্তিগত প্রভাব নির্ধারণ করবে। সংক্ষেপে, ২০২৫ সালের প্রযুক্তি মানচিত্র বলছে, উদ্ভাবনের দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্র, বাস্তব প্রয়োগের দিক থেকে চীন, আর বিশ্ব এই দুই শক্তির প্রতিযোগিতার মধ্যে টেকসই প্রযুক্তি ভবিষ্যতের দিকে এগোচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

চট্টগ্রামের ১৬ আসনের ৭টিতে বিএনপির চ্যালেঞ্জ বিএনপিই

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক: উত্তেজনা বাড়ছে দ্রুত

আজকের রাশিফল: ফেসবুকে জ্ঞান ঝাড়বেন না— বন্ধুরা জানে আপনি কপি মাস্টার, স্ত্রীর কথা শুনুন

নেছারাবাদে ছিনতাইকারী সন্দেহে যুবক আটক, দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

গুগলের নতুন এআই টুল

টি এইচ মাহির 
গুগলের নতুন এআই টুল

গুগল তাদের সফটওয়্যার ও ডিজিটাল সেবায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই ব্যবহারে আরও জোর দিচ্ছে। এরই মধ্যে গুগলের অনেক অ্যাপে এআই যুক্ত হয়েছে। এসব এআই টুলের কাজ আলাদা আলাদা। সম্প্রতি গুগল পরীক্ষামূলকভাবে কিছু নতুন এআই টুল চালু করেছে, যেগুলো এখনো সাধারণ ব্যবহারকারীদের জন্য পুরোপুরি উন্মুক্ত করা হয়নি।

google

ডিসকো

ওয়েব ব্রাউজারের জন্য গুগল সম্প্রতি পরীক্ষামূলকভাবে চালু করেছে নতুন এআই টুল ডিসকো। এই টুল মূলত ইন্টারনেট ব্রাউজিং সহজ করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। সাধারণত ইন্টারনেট ব্যবহার করার সময় একসঙ্গে অনেক ট্যাব খুলতে হয়। এতে কাজ এলোমেলো হয়ে যায়। ডিসকো এই সমস্যা কমাতে সাহায্য করবে। এটি একাধিক খোলা ট্যাবকে একসঙ্গে গুছিয়ে কাজ করার সুযোগ দেবে। এমনকি খোলা ট্যাবগুলো থেকে আলাদা ওয়েব অ্যাপও তৈরি করতে পারবে। ডিসকো গুগলের জেমিনি থ্রি এআই দিয়ে পরিচালিত।

এই টুল ট্যাবগুলোকে জেনট্যাবস নামে আলাদা ওয়েব অ্যাপে রূপান্তর করবে। গুগলের মতে, এতে ব্রাউজার ব্যবহারের অভিজ্ঞতা আরও সহজ ও কার্যকর হবে; বিশেষ করে শিক্ষার্থী, গবেষক ও পেশাজীবীদের জন্য এটি বেশ উপকারী হতে পারে। তবে টুলটি এখনো সবার জন্য উন্মুক্ত হয়নি।

ভাইব কোডিং

গুগল তাদের এআই স্টুডিওতে ভাইব কোডিং নামে নতুন একটি সুবিধা যুক্ত করেছে। এই টুলের মাধ্যমে কোডিং না জেনেও অ্যাপ তৈরি করা যাবে। ব্যবহারকারীকে শুধু সাধারণ ভাষায় বলতে হবে, তিনি কোন ধরনের অ্যাপ তৈরি করতে চান। এরপর গুগল এআই স্টুডিও নিজেই সেই ধারণা অনুযায়ী একটি সম্পূর্ণ অ্যাপ তৈরি করে দেবে। এই অ্যাপে থাকবে ডিজাইন, প্রয়োজনীয় ফিচার এবং কোড। ব্যবহারকারী চাইলে পরে কোড পরিবর্তন করতে পারবেন। অ্যাপ তৈরির সময় এআই থেকে বিভিন্ন পরামর্শও পাওয়া যাবে। কোডিং বা প্রযুক্তিগত জটিলতা ছাড়া সহজে অ্যাপ বানানো সম্ভব হবে। এতে সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট আরও সহজ হবে বলে ধারণা সংশ্লিষ্টদের।

mixboard

মিক্সবোর্ড

গুগলের জনপ্রিয় এআই টুলগুলোর একটি হলো ন্যানো বানানা। এই টুল ব্যবহার করে প্রতিদিন অনেক এআই ছবি তৈরি করা হচ্ছে। ছবি তৈরির ক্ষেত্রে এটি বেশ কার্যকর একটি টুল। ন্যানো বানানার ওপর ভিত্তি করেই গুগল চালু করেছে নতুন টুল মিক্সবোর্ড। এটি একটি পরীক্ষামূলক এআই-চালিত আইডিয়া প্ল্যাটফর্ম। এর মাধ্যমে চিন্তা, পরিকল্পনা

ও ধারণাগুলো সহজে সাজিয়ে উপস্থাপন করা যায়। মিক্সবোর্ডে পিডিএফ, ছবি ও ভিডিও আপলোড করা যাবে। এরপর একটি ছোট নির্দেশনা লিখতে হবে। এরপর এআই সেই বিষয় অনুযায়ী একটি ভিজ্যুয়াল প্রেজেন্টেশন কিংবা সাজানো রিপোর্ট তৈরি করে দেবে।

গবেষণা, পরিকল্পনা তৈরি অথবা উপস্থাপনার কাজে এই টুল ব্যবহার করা যায়। বর্তমানে গুগলের এই নতুন এআই টুল যুক্তরাষ্ট্রে বেটা সংস্করণে চালু রয়েছে।

সূত্র: গুগল ব্লগ

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

চট্টগ্রামের ১৬ আসনের ৭টিতে বিএনপির চ্যালেঞ্জ বিএনপিই

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক: উত্তেজনা বাড়ছে দ্রুত

আজকের রাশিফল: ফেসবুকে জ্ঞান ঝাড়বেন না— বন্ধুরা জানে আপনি কপি মাস্টার, স্ত্রীর কথা শুনুন

নেছারাবাদে ছিনতাইকারী সন্দেহে যুবক আটক, দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বৈদ্যুতিক জাহাজ নির্মাণশিল্পে চীনের আধিপত্য

ফিচার ডেস্ক
বৈদ্যুতিক জাহাজ নির্মাণশিল্পে চীনের আধিপত্য

বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যাটারি উৎপাদনে বিশ্বে নেতৃত্ব দিচ্ছে কনটেম্পরারি অ্যাম্পেরেক্স টেকনোলজি (সিএটিএল) এবং গোশন হাই টেক নামের চীনের দুই প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠান দুটি যৌথভাবে এবার জাহাজ নির্মাণে নামছে। ফলে সম্পূর্ণ বৈদ্যুতিক ও নতুন শক্তিচালিত জাহাজে বিনিয়োগ বাড়িয়ে চীন বৈশ্বিক জাহাজনির্মাণ শিল্পে নিজেদের আধিপত্য আরও শক্ত করছে বলে ধারণা বিশ্লেষকদের।

বিশ্বজুড়ে কার্বন নিঃসরণ কমানোর উদ্যোগ জোরদার হওয়ার কারণে সমুদ্রের জাহাজেও এখন পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ছে। এই পরিবর্তনের সুযোগ কাজে লাগাচ্ছে চীনের ব্যাটারি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো।

আগামী তিন বছরে সমুদ্রে নামবে বৈদ্যুতিক জাহাজ

বিশ্বের বড় ইভি ব্যাটারি নির্মাতা সিএটিএল জানিয়েছে, তাদের তৈরি সম্পূর্ণ বৈদ্যুতিক জাহাজ আগামী তিন বছরের মধ্যে সমুদ্রে চলাচল শুরু করবে। বর্তমানে বৈশ্বিক ইভি ব্যাটারি বাজারের প্রায় ৩৮ শতাংশ সিএটিএলের দখলে। প্রতিষ্ঠানটি ২০১৭ সাল থেকে জাহাজে ব্যাটারি ব্যবহারের প্রযুক্তি উন্নয়নে কাজ করছে। এ পর্যন্ত ৯০০টি নৌযানে ব্যাটারি সরবরাহ করেছে তারা। তাদের ব্যাটারি সংযুক্ত চীনের প্রথম সম্পূর্ণ বৈদ্যুতিক ক্রুজ জাহাজ ‘ইউজিয়ান ৭৭’ চলতি বছরের জুলাই থেকে চালু হয়েছে।

কনটেইনার জাহাজে গোশনের ব্যাটারি

গোশন হাই টেক জানিয়েছে, তাদের তৈরি ব্যাটারি প্যাক ব্যবহার করে ১৩২টি স্ট্যান্ডার্ড কনটেইনার বহনে সক্ষম একটি সম্পূর্ণ বৈদ্যুতিক জাহাজ সফলভাবে চালানো সম্ভব হয়েছে। ‘পাফার ফিশ ব্লু ০১’ নামের জাহাজটি যৌথভাবে তৈরি করেছে চীনের উহু শিপইয়ার্ড ও সানদিয়ানশুই নিউ এনার্জি টেকনোলজি। জাহাজটি এরই মধ্যে চায়না ক্ল্যাসিফিকেশন সোসাইটি থেকে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা এবং প্রযুক্তিগত সনদ পেয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, আগামী বছর এই জাহাজ বাণিজ্যিকভাবে চলাচল শুরু করবে।

বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা

২০২৩ সালের শেষে বিশ্বের প্রথম ৭০০ কনটেইনার বহনে সক্ষম সম্পূর্ণ বৈদ্যুতিক কনটেইনার জাহাজ সরবরাহ করে চীন। ক্লার্কসনের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের শেষের দিকে বৈশ্বিক জাহাজ নির্মাণ অর্ডারের ৬৫ শতাংশ ছিল চীনা প্রতিষ্ঠানের দখলে।

গভীর সমুদ্রের এখনো সম্পূর্ণ বৈদ্যুতিক জাহাজ চালু হয়নি। এর প্রধান কারণ হলো ব্যাটারির অতিরিক্ত ওজন, যা জাহাজের ধারণক্ষমতা ও কার্যকারিতায় প্রভাব ফেলে। পাশাপাশি গভীর সমুদ্রে চলাচল করার জন্য প্রয়োজনীয় পর্যাপ্ত চার্জিং অবকাঠামো এখনো গড়ে ওঠেনি। তবে আশা করা যাচ্ছে, ২০২৬ সালে চীন এই বাজারে সবার আগে প্রবেশ করবে।

সূত্র: সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

চট্টগ্রামের ১৬ আসনের ৭টিতে বিএনপির চ্যালেঞ্জ বিএনপিই

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক: উত্তেজনা বাড়ছে দ্রুত

আজকের রাশিফল: ফেসবুকে জ্ঞান ঝাড়বেন না— বন্ধুরা জানে আপনি কপি মাস্টার, স্ত্রীর কথা শুনুন

নেছারাবাদে ছিনতাইকারী সন্দেহে যুবক আটক, দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পাসওয়ার্ডের নিরাপত্তা কতটুক: জেনে নিন বিশ্বে সর্বাধিক ব্যবহৃত পাসওয়ার্ড

ফিচার ডেস্ক
আপডেট : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯: ৫৩
পাসওয়ার্ডের নিরাপত্তা কতটুক: জেনে নিন বিশ্বে সর্বাধিক ব্যবহৃত পাসওয়ার্ড

এক্সপ্রেস-ভিপিএন এবং পোলফিশের সমীক্ষা বলছে, একজন গড়পড়তা মানুষ ছয়টি ভিন্ন প্ল্যাটফর্মে একই পাসওয়ার্ড ব্যবহার করেন। আরও অবাক করার বিষয় হলো, ৪৩ শতাংশ মানুষ স্বীকার করেছেন, তাঁদের পাসওয়ার্ড তাঁদের প্রিয়জনেরা সহজে আন্দাজ করে ফেলতে পারবে। ৪২ শতাংশের বেশি মানুষ তাঁদের প্রথম নাম ব্যবহার করেন, আর প্রায় ৪৪ শতাংশ মানুষ তাঁদের পাসওয়ার্ডে পোষা প্রাণীর নাম অথবা জন্মতারিখ জুড়ে দেন। এমনকি ২৬ শতাংশ মানুষ তাঁদের প্রাক্তনের নামও পাসওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহার করছেন। অথচ ৮১ শতাংশ মানুষ বেশ আত্মবিশ্বাসী যে তাঁদের পাসওয়ার্ড খুব নিরাপদ। নর্ডপাসের ২ দশমিক ৫ টেরাবাইট লিক হওয়া ডেটা বলছে ভিন্ন কথা। তারা জানিয়েছে, বেশির ভাগ পাসওয়ার্ড ভাঙতে ১ সেকেন্ডও লাগে না।

মহাদেশভেদে মানুষের এই পাসওয়ার্ড নির্বাচনের অদ্ভুত খেয়ালগুলো দেখে নেওয়া যাক।

ইউরোপে ফুটবল, আভিজাত্য ও কি-বোর্ডের কারসাজি

ইউরোপীয়দের কাছে কি-বোর্ডের বিন্যাস আর ফুটবলপ্রেমই পাসওয়ার্ডের প্রধান উৎস। যুক্তরাজ্যে জনপ্রিয় পাসওয়ার্ডগুলোর মধ্যে password, ashley এবং ফুটবল ক্লাব liverpool তালিকায় বেশ ওপরের দিকে।

ফ্রান্সে কি-বোর্ড সাজানো থাকে azerty ঢঙে, তাই সেখানে 123456-এর পরেই এর রাজত্ব। পাশাপাশি doudou বা marseille-এর মতো ফরাসি শব্দও জনপ্রিয় পাসওয়ার্ড হিসেবে। জার্মানিতে passwort এবং dragon শব্দটি দেখা যায় পাসওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহার করতে।

ইতালিতে নিজের প্রিয় ফুটবল দলের প্রতি ভালোবাসা এতটাই যে Juventus শব্দটি সেখানে পাসওয়ার্ডের তালিকায় চতুর্থ। তবে তারা কিছুটা সৃজনশীলও বটে। অনেকে cambiami ব্যবহার করেন। এর অর্থ আমাকে পরিবর্তন করো।

স্পেনে দেশপ্রেম প্রবল। তাই পাসওয়ার্ড হিসেবে সেখানে España শব্দটি বেশ জনপ্রিয়। পর্তুগালে আবার ফুটবল ক্লাব benfica বা sporting শব্দ দুটি পাসওয়ার্ডের তালিকায় আধিপত্য বিস্তার করে আছে।

উত্তরের দেশগুলোর মধ্যে ডেনমার্কে webhompass বা hejmeddig (হ্যালো ইউ) এবং সুইডেনে hejsan শব্দগুলোর আধিপত্য আছে পাসওয়ার্ড হিসেবে। ফিনল্যান্ডে পাসওয়ার্ড হিসেবে জনপ্রিয় শব্দ salasana-এর ইংরেজে অর্থই হলো পাসওয়ার্ড। পোল্যান্ডে দেশপ্রেম ফুটে ওঠে polska শব্দে। এটি সে দেশে পাসওয়ার্ডের শব্দ হিসেবে জনপ্রিয়। সুইজারল্যান্ডে পর্তুগিজ অভিবাসীদের প্রভাবে Portugal শব্দটি পাসওয়ার্ড হিসেবে আছে ১৫ নম্বরে। এ ছাড়া অস্ট্রিয়ায় michael, বেলজিয়ামে azerty, নেদারল্যান্ডসে welkom01, আয়ারল্যান্ডে liverpool এবং চেক প্রজাতন্ত্রে martin কিংবা veronika-এর মতো সাধারণ শব্দগুলো পাসওয়ার্ড হিসেবে খুবই জনপ্রিয়।

আমেরিকায় যা গোপন কিন্তু প্রকাশ্য

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাসওয়ার্ডে ব্যবহৃত জনপ্রিয় শব্দ হলো secret। কী অদ্ভুত পরিহাস, যা গোপন করার কথা, তা-ই পাসওয়ার্ড! আমেরিকানরা baseball ও iloveyou শব্দ দুটি পাসওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহার করতে ভালোবাসে। কানাডায় আবার জাতীয় খেলা hockey-এর জয়জয়কার। মেক্সিকোতে alejandro বা carlos-এর মতো শব্দ এবং ব্রাজিলে brasil বা rental শব্দ দুটি পাসওয়ার্ড হিসেবে জনপ্রিয়। চিলিতে তাদের ফুটবল দল colocolo পাসওয়ার্ড হিসেবে জনপ্রিয়, আর কলম্বিয়ায় পাসওয়ার্ড হিসেবে দেশের নাম Colombia-ই শেষ কথা।

সংখ্যাতত্ত্ব ও সংস্কৃতির প্রভাব এশিয়া এবং ওশেনিয়ায়

এশিয়ায় পাসওয়ার্ড নির্বাচনে সংখ্যাতত্ত্বের প্রভাব স্পষ্ট। জাপানে 123456789 সংখ্যার এই সিরিজ পাসওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহারের শীর্ষে রয়েছে।

আর তারা কি-বোর্ড প্যাটার্ন 1qaz2wsx-ও পাসওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহার করতে পছন্দ করে। চীনে জনপ্রিয় wangyut2 আর হংকংয়ে 5201314। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় আবেগের ছোঁয়া বেশি। মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ায় sayang পাসওয়ার্ডটি বেশ ওপরের দিকে দেখা যায়।

এর অর্থ প্রিয়তম। ফিলিপাইনেও দেখা যায় iloveyou-এর আধিপত্য। থাইল্যান্ডে 221225-এর মতো সংখ্যা বেশ ব্যবহৃত হয় পাসওয়ার্ড হিসেবে।

ভারতে মানুষ সরলতা পছন্দ করে। তাই 123456 বা india123 এবং Indya123-ই মানুষের প্রথম পছন্দ। তুরস্কে এক অদ্ভুত ধরনের ঘটনা দেখা যায়। দেশটিতে ব্রিটিশ ব্যান্ড Anathema এতই জনপ্রিয় যে এটি পাসওয়ার্ডের শীর্ষ দশে জায়গা করে নিয়েছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতে অভিবাসীদের প্রভাবে pakistan শব্দটি পাসওয়ার্ড হিসেবে ১১ নম্বরে রয়েছে। ওশেনিয়া অঞ্চলে অস্ট্রেলিয়ায় পাসওয়ার্ড হিসেবে password শব্দটির ব্যবহারের চল বেশি। এর পাশাপাশি pokemon বা lizottes শব্দ দুটিও পাসওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।

আফ্রিকায় ভালোবাসার সহজ পাঠ

দক্ষিণ আফ্রিকায় পাসওয়ার্ড হিসেবে মানুষ 123456 এই সংখ্যার সেট থেকে বেরিয়ে কিছুটা রোমান্টিক হয়ে 123love ব্যবহার করতে পছন্দ করেন।

সূত্র: নর্ডপাস, ইভিএন এক্সপ্রেস

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

চট্টগ্রামের ১৬ আসনের ৭টিতে বিএনপির চ্যালেঞ্জ বিএনপিই

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক: উত্তেজনা বাড়ছে দ্রুত

আজকের রাশিফল: ফেসবুকে জ্ঞান ঝাড়বেন না— বন্ধুরা জানে আপনি কপি মাস্টার, স্ত্রীর কথা শুনুন

নেছারাবাদে ছিনতাইকারী সন্দেহে যুবক আটক, দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত