
একটি কাউন্টার অ্যাটাক, একটি নিখুঁত অ্যাসিস্ট; আর একটি গোল। তাতে ২২ বছর পর ভারতকে হারানোর অনাবিল আনন্দে ভেসেছে বাংলাদেশ। গোল করে নায়ক শেখ মোরসালিন, তাঁকে নায়ক হওয়ার উপলক্ষ এনে দেন রাকিব হোসেন। আজকের পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রাকিব শোনালেন মাঠের গল্প, অনুভূতি ও দলের পরবর্তী পথচলার কথা। গতকাল ফোনে এই উইঙ্গারের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আনোয়ার সোহাগ—
আনোয়ার সোহাগ, ঢাকা

প্রশ্ন: গোল নিয়ে তো বটেই, আপনার অ্যাসিস্ট নিয়েও কম আলোচনা হচ্ছে না। কেমন লাগছে?
রাকিব: হ্যাঁ, ভালো লাগছে। কারণ উপভোগ করে খেলতে পেরেছি। বল নিয়ে এগোতেই প্রথমে গোলের ভাবনা আসে। কিন্তু যে পজিশনে ছিলাম, ওখান থেকে আর শুট করা যায় না। আমি মোরসালিনকে ফলো করি। সে দৌড়ে আসছিল। আর তখন আমি ওকে পাসটা দিয়ে দিই। এরপর তো...। পাল্টা আক্রমণ নিয়ে একটা বিশেষ পরিকল্পনা তো ছিলই। এটি অবশ্যই আমার ক্যারিয়ারে সবচেয়ে বড় জয়।
প্রশ্ন: ২২ বছর পর ভারতকে হারানোর পেছনে অবদান রাখতে পেরে কতটুকু খুশি?
রাকিব: এই জয় পুরো বাংলাদেশের জন্য অবশ্যই আনন্দের। ২২ বছর পর আমরা ওদের বিপক্ষে জিতেছি। ভালো লাগছে যে সবাই খুশি, কারণ বাংলাদেশের মানুষ সব সময় ভারতের বিপক্ষে জিততে চায়। আমরা জিততে পেরেছি, এ জন্য বেশি ভালো লাগতেছে। তাও ঘরের মাঠে। আসলে সবাই কিন্তু অনেক দূর থেকে আসে। সবাই কত কষ্ট করে। তো তারপর তারা খেলা দেখে। যদি খেলা দেখার মধ্যে আমরা ভালো রেজাল্ট না দিতে পারি, তখন আমাদের কাছেও খারাপ লাগে, তাদেরও খারাপ লাগে। শেষ দুটি ম্যাচে খুব কাছাকাছি গিয়েও আমরা তাদের খুশি করতে পারিনি। কিন্তু তারা মাঠে ৯০ মিনিট যেভাবে গলা ফাটিয়েছে, তা আসলে অবিশ্বাস্য।
প্রশ্ন: ম্যাচের আগে কী কথা হয়েছিল?
রাকিব: হামজা ভাই, শমিত ভাই সব খেলোয়াড়কে বলেছে, আমাদের যেকোনোভাবেই জিততে হবে। আমরা পরিশ্রম করব। আল্লাহ আমাদের দেবে। ঠিক আমরা মাঠে সবাই খেলেছি কিন্তু দলের জন্য। সবাই পারফর্ম করার কারণে আমরা ম্যাচটা জিততে পেরেছি। আমারও তাড়না ছিল, যেকোনোভাবে হোক দলের জন্য অবদান রাখব।
প্রশ্ন: ড্রেসিংরুমে অন্যরকম এক পরিবেশ দেখা গেল...
রাকিব: ক্রীড়া উপদেষ্টা আসছে, আমাদের প্রেসিডেন্ট আসছে। আমাদের বলা হয়েছে, সামনে আরও খেলা আছে। আমরা ভালো করতে চাই। এখন যে জায়গায় আছি, সে জায়গা থেকে আরও সামনে এগোচ্ছি এবং সাফে ভালো একটা রেজাল্ট করতে চাই। এরপর রাতে স্বাভাবিকভাবেই ঘুম আসেনি, যেহেতু এত বড় একটা ম্যাচ ছিল।
প্রশ্ন: ম্যাচের শেষ দিকে কেমন লাগছিল?
রাকিব: আসলে ৮০ মিনিট পার হওয়ার পর অনেক কষ্ট হচ্ছিল। কিন্তু চেষ্টা করছিলাম যে বাকি ১০ মিনিট যেভাবেই হোক খেলব। মাঠের ভেতরে কয়েকবারই আমিন বলছিলাম, আল্লাহ আল্লাহ করছিলাম আরকি। শেষ দুই-তিনটি ম্যাচে কিন্তু আমরা শেষের দিকে গোল হজম করছি। এটার জন্য ভয় লাগছিল। মাঠে নামলে কেউই গোল হজম করতে চায় না।
প্রশ্ন: মোরসালিনের সঙ্গে আপনার রসায়নটা কেমন?
রাকিব: আসলে এখন ভিন্ন ক্লাবে খেলি। আগে তো আমরা একসঙ্গে ছিলাম, তখন আমাদের মধ্যে দারুণ বোঝাপড়া ছিল। আর জাতীয় দলে তো একসঙ্গে খেলি। ও আমার মুভমেন্ট বোঝে, আমি ওর মুভমেন্ট বুঝি। মোরসালিনও অনেক গতিময় খেলোয়াড়। কারণ, যখন আমি বল ধরে রান করছি, সে কিন্তু আমার সঙ্গে সঙ্গে এসেছে।
প্রশ্ন: ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে জামাল ভূঁইয়া বলছিলেন আপনি দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে গতিময় খেলোয়াড়...
রাকিব: আসলে অধিনায়ক আমার ওপর ভরসা রেখেছেন। তিনি সব সময় এই কথাগুলো বলেন; তুমি খেলতে পারবা, তুমি পারফর্ম করবা। আমি তাঁর আস্থা রাখতে পেরেছি।
প্রশ্ন: সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্থানীয় ফুটবলারদের নিয়ে সমালোচনাটা বেশি হয়...
রাকিব: খারাপ খেললে সমালোচনা হবে, এটা স্বাভাবিক। ভালো খেললে তখন তো অন্তত বাহবা পাওয়া উচিত। তখনো যদি মানুষ সমালোচনা করে, অথবা খারাপ কিছু বলে, এই জিনিসটা খারাপ লাগে। আসলে সবাই কিন্তু একটা পতাকা অথবা একটা দেশের জন্যই খেলে। প্রবাসী খেলোয়াড়দের নিয়ে আমরা বিভাজন তৈরি করি না, কিন্তু বাইরের মানুষ যদি চায় তৈরি করতে, এটা তো খারাপ।
প্রশ্ন: আসলে কি বিভাজন আছে?
রাকিব: আমাদের মধ্যে এ রকম কোনো কিছুই নেই। কিউবা, শমিত, হামজা ভাই সবার সঙ্গে ভালো সম্পর্ক। আমাদের মধ্যে আমি মনে করি না কারোর সঙ্গে কিছু আছে। এমন না যে আমরা বাংলাদেশের জন্য খেলি, তারা ইতালি অথবা ইংল্যান্ডের জন্য খেলে। সবাই তো একটা দেশের জন্যই খেলে।
প্রশ্ন: জাতীয় দল নিয়ে সমর্থকদের যে আমেজ, তা ক্লাব ফুটবলে চোখে পড়ে না...
রাকিব: এখন ফেডারেশন যেভাবে জাতীয় দলকে উন্নত করেছে, আমি মনে করি এখন আমাদের বাংলাদেশ ফুটবল লিগকেও ভালো একটা শেপে নেওয়া উচিত। কারণ, জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের রুটি-রুজি কিন্তু ফুটবল লিগ। তাই আগের দুই মৌসুমে যেভাবে লিগ হয়েছে, এবার যেন আরও ভালোভাবে হয়।
প্রশ্ন: ভারতের বিপক্ষে জয়টা তো এলো, কিন্তু দিন শেষে এই দল নিয়েও এশিয়ান কাপে খেলতে না পারার আক্ষেপ নিশ্চয় আছে?
রাকিব: আক্ষেপ তো আছেই। আমাদের দল শক্তিশালী। প্রতিপক্ষগুলো কিন্তু আমাদের থেকেও শক্তিশালী ছিল, তাই না? ধীরে ধীরে কিন্তু আমরা অনেক উন্নতি করছি। একটু সময় লাগবে। একটু সময় দিলে এই দল অনেক ভালো কিছু করবে বলে আমার বিশ্বাস। আমরা কিন্তু ভালো ফুটবলই খেলছি প্রতি ম্যাচে। ফুটবলে এমন নিশ্চয়তা নেই যে ভালো দল হলেই আপনি কোয়ালিফাই করবেন। ইতালি কিন্তু এবারও বিশ্বকাপে কোয়ালিফাই করতে পারেনি সরাসরি। মাঝেমধ্যে ভাগ্যের দরকার হয়।
প্রশ্ন: গোল নিয়ে তো বটেই, আপনার অ্যাসিস্ট নিয়েও কম আলোচনা হচ্ছে না। কেমন লাগছে?
রাকিব: হ্যাঁ, ভালো লাগছে। কারণ উপভোগ করে খেলতে পেরেছি। বল নিয়ে এগোতেই প্রথমে গোলের ভাবনা আসে। কিন্তু যে পজিশনে ছিলাম, ওখান থেকে আর শুট করা যায় না। আমি মোরসালিনকে ফলো করি। সে দৌড়ে আসছিল। আর তখন আমি ওকে পাসটা দিয়ে দিই। এরপর তো...। পাল্টা আক্রমণ নিয়ে একটা বিশেষ পরিকল্পনা তো ছিলই। এটি অবশ্যই আমার ক্যারিয়ারে সবচেয়ে বড় জয়।
প্রশ্ন: ২২ বছর পর ভারতকে হারানোর পেছনে অবদান রাখতে পেরে কতটুকু খুশি?
রাকিব: এই জয় পুরো বাংলাদেশের জন্য অবশ্যই আনন্দের। ২২ বছর পর আমরা ওদের বিপক্ষে জিতেছি। ভালো লাগছে যে সবাই খুশি, কারণ বাংলাদেশের মানুষ সব সময় ভারতের বিপক্ষে জিততে চায়। আমরা জিততে পেরেছি, এ জন্য বেশি ভালো লাগতেছে। তাও ঘরের মাঠে। আসলে সবাই কিন্তু অনেক দূর থেকে আসে। সবাই কত কষ্ট করে। তো তারপর তারা খেলা দেখে। যদি খেলা দেখার মধ্যে আমরা ভালো রেজাল্ট না দিতে পারি, তখন আমাদের কাছেও খারাপ লাগে, তাদেরও খারাপ লাগে। শেষ দুটি ম্যাচে খুব কাছাকাছি গিয়েও আমরা তাদের খুশি করতে পারিনি। কিন্তু তারা মাঠে ৯০ মিনিট যেভাবে গলা ফাটিয়েছে, তা আসলে অবিশ্বাস্য।
প্রশ্ন: ম্যাচের আগে কী কথা হয়েছিল?
রাকিব: হামজা ভাই, শমিত ভাই সব খেলোয়াড়কে বলেছে, আমাদের যেকোনোভাবেই জিততে হবে। আমরা পরিশ্রম করব। আল্লাহ আমাদের দেবে। ঠিক আমরা মাঠে সবাই খেলেছি কিন্তু দলের জন্য। সবাই পারফর্ম করার কারণে আমরা ম্যাচটা জিততে পেরেছি। আমারও তাড়না ছিল, যেকোনোভাবে হোক দলের জন্য অবদান রাখব।
প্রশ্ন: ড্রেসিংরুমে অন্যরকম এক পরিবেশ দেখা গেল...
রাকিব: ক্রীড়া উপদেষ্টা আসছে, আমাদের প্রেসিডেন্ট আসছে। আমাদের বলা হয়েছে, সামনে আরও খেলা আছে। আমরা ভালো করতে চাই। এখন যে জায়গায় আছি, সে জায়গা থেকে আরও সামনে এগোচ্ছি এবং সাফে ভালো একটা রেজাল্ট করতে চাই। এরপর রাতে স্বাভাবিকভাবেই ঘুম আসেনি, যেহেতু এত বড় একটা ম্যাচ ছিল।
প্রশ্ন: ম্যাচের শেষ দিকে কেমন লাগছিল?
রাকিব: আসলে ৮০ মিনিট পার হওয়ার পর অনেক কষ্ট হচ্ছিল। কিন্তু চেষ্টা করছিলাম যে বাকি ১০ মিনিট যেভাবেই হোক খেলব। মাঠের ভেতরে কয়েকবারই আমিন বলছিলাম, আল্লাহ আল্লাহ করছিলাম আরকি। শেষ দুই-তিনটি ম্যাচে কিন্তু আমরা শেষের দিকে গোল হজম করছি। এটার জন্য ভয় লাগছিল। মাঠে নামলে কেউই গোল হজম করতে চায় না।
প্রশ্ন: মোরসালিনের সঙ্গে আপনার রসায়নটা কেমন?
রাকিব: আসলে এখন ভিন্ন ক্লাবে খেলি। আগে তো আমরা একসঙ্গে ছিলাম, তখন আমাদের মধ্যে দারুণ বোঝাপড়া ছিল। আর জাতীয় দলে তো একসঙ্গে খেলি। ও আমার মুভমেন্ট বোঝে, আমি ওর মুভমেন্ট বুঝি। মোরসালিনও অনেক গতিময় খেলোয়াড়। কারণ, যখন আমি বল ধরে রান করছি, সে কিন্তু আমার সঙ্গে সঙ্গে এসেছে।
প্রশ্ন: ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে জামাল ভূঁইয়া বলছিলেন আপনি দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে গতিময় খেলোয়াড়...
রাকিব: আসলে অধিনায়ক আমার ওপর ভরসা রেখেছেন। তিনি সব সময় এই কথাগুলো বলেন; তুমি খেলতে পারবা, তুমি পারফর্ম করবা। আমি তাঁর আস্থা রাখতে পেরেছি।
প্রশ্ন: সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্থানীয় ফুটবলারদের নিয়ে সমালোচনাটা বেশি হয়...
রাকিব: খারাপ খেললে সমালোচনা হবে, এটা স্বাভাবিক। ভালো খেললে তখন তো অন্তত বাহবা পাওয়া উচিত। তখনো যদি মানুষ সমালোচনা করে, অথবা খারাপ কিছু বলে, এই জিনিসটা খারাপ লাগে। আসলে সবাই কিন্তু একটা পতাকা অথবা একটা দেশের জন্যই খেলে। প্রবাসী খেলোয়াড়দের নিয়ে আমরা বিভাজন তৈরি করি না, কিন্তু বাইরের মানুষ যদি চায় তৈরি করতে, এটা তো খারাপ।
প্রশ্ন: আসলে কি বিভাজন আছে?
রাকিব: আমাদের মধ্যে এ রকম কোনো কিছুই নেই। কিউবা, শমিত, হামজা ভাই সবার সঙ্গে ভালো সম্পর্ক। আমাদের মধ্যে আমি মনে করি না কারোর সঙ্গে কিছু আছে। এমন না যে আমরা বাংলাদেশের জন্য খেলি, তারা ইতালি অথবা ইংল্যান্ডের জন্য খেলে। সবাই তো একটা দেশের জন্যই খেলে।
প্রশ্ন: জাতীয় দল নিয়ে সমর্থকদের যে আমেজ, তা ক্লাব ফুটবলে চোখে পড়ে না...
রাকিব: এখন ফেডারেশন যেভাবে জাতীয় দলকে উন্নত করেছে, আমি মনে করি এখন আমাদের বাংলাদেশ ফুটবল লিগকেও ভালো একটা শেপে নেওয়া উচিত। কারণ, জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের রুটি-রুজি কিন্তু ফুটবল লিগ। তাই আগের দুই মৌসুমে যেভাবে লিগ হয়েছে, এবার যেন আরও ভালোভাবে হয়।
প্রশ্ন: ভারতের বিপক্ষে জয়টা তো এলো, কিন্তু দিন শেষে এই দল নিয়েও এশিয়ান কাপে খেলতে না পারার আক্ষেপ নিশ্চয় আছে?
রাকিব: আক্ষেপ তো আছেই। আমাদের দল শক্তিশালী। প্রতিপক্ষগুলো কিন্তু আমাদের থেকেও শক্তিশালী ছিল, তাই না? ধীরে ধীরে কিন্তু আমরা অনেক উন্নতি করছি। একটু সময় লাগবে। একটু সময় দিলে এই দল অনেক ভালো কিছু করবে বলে আমার বিশ্বাস। আমরা কিন্তু ভালো ফুটবলই খেলছি প্রতি ম্যাচে। ফুটবলে এমন নিশ্চয়তা নেই যে ভালো দল হলেই আপনি কোয়ালিফাই করবেন। ইতালি কিন্তু এবারও বিশ্বকাপে কোয়ালিফাই করতে পারেনি সরাসরি। মাঝেমধ্যে ভাগ্যের দরকার হয়।

একটি কাউন্টার অ্যাটাক, একটি নিখুঁত অ্যাসিস্ট; আর একটি গোল। তাতে ২২ বছর পর ভারতকে হারানোর অনাবিল আনন্দে ভেসেছে বাংলাদেশ। গোল করে নায়ক শেখ মোরসালিন, তাঁকে নায়ক হওয়ার উপলক্ষ এনে দেন রাকিব হোসেন। আজকের পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রাকিব শোনালেন মাঠের গল্প, অনুভূতি ও দলের পরবর্তী পথচলার কথা। গতকাল ফোনে এই উইঙ্গারের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আনোয়ার সোহাগ—
আনোয়ার সোহাগ, ঢাকা

প্রশ্ন: গোল নিয়ে তো বটেই, আপনার অ্যাসিস্ট নিয়েও কম আলোচনা হচ্ছে না। কেমন লাগছে?
রাকিব: হ্যাঁ, ভালো লাগছে। কারণ উপভোগ করে খেলতে পেরেছি। বল নিয়ে এগোতেই প্রথমে গোলের ভাবনা আসে। কিন্তু যে পজিশনে ছিলাম, ওখান থেকে আর শুট করা যায় না। আমি মোরসালিনকে ফলো করি। সে দৌড়ে আসছিল। আর তখন আমি ওকে পাসটা দিয়ে দিই। এরপর তো...। পাল্টা আক্রমণ নিয়ে একটা বিশেষ পরিকল্পনা তো ছিলই। এটি অবশ্যই আমার ক্যারিয়ারে সবচেয়ে বড় জয়।
প্রশ্ন: ২২ বছর পর ভারতকে হারানোর পেছনে অবদান রাখতে পেরে কতটুকু খুশি?
রাকিব: এই জয় পুরো বাংলাদেশের জন্য অবশ্যই আনন্দের। ২২ বছর পর আমরা ওদের বিপক্ষে জিতেছি। ভালো লাগছে যে সবাই খুশি, কারণ বাংলাদেশের মানুষ সব সময় ভারতের বিপক্ষে জিততে চায়। আমরা জিততে পেরেছি, এ জন্য বেশি ভালো লাগতেছে। তাও ঘরের মাঠে। আসলে সবাই কিন্তু অনেক দূর থেকে আসে। সবাই কত কষ্ট করে। তো তারপর তারা খেলা দেখে। যদি খেলা দেখার মধ্যে আমরা ভালো রেজাল্ট না দিতে পারি, তখন আমাদের কাছেও খারাপ লাগে, তাদেরও খারাপ লাগে। শেষ দুটি ম্যাচে খুব কাছাকাছি গিয়েও আমরা তাদের খুশি করতে পারিনি। কিন্তু তারা মাঠে ৯০ মিনিট যেভাবে গলা ফাটিয়েছে, তা আসলে অবিশ্বাস্য।
প্রশ্ন: ম্যাচের আগে কী কথা হয়েছিল?
রাকিব: হামজা ভাই, শমিত ভাই সব খেলোয়াড়কে বলেছে, আমাদের যেকোনোভাবেই জিততে হবে। আমরা পরিশ্রম করব। আল্লাহ আমাদের দেবে। ঠিক আমরা মাঠে সবাই খেলেছি কিন্তু দলের জন্য। সবাই পারফর্ম করার কারণে আমরা ম্যাচটা জিততে পেরেছি। আমারও তাড়না ছিল, যেকোনোভাবে হোক দলের জন্য অবদান রাখব।
প্রশ্ন: ড্রেসিংরুমে অন্যরকম এক পরিবেশ দেখা গেল...
রাকিব: ক্রীড়া উপদেষ্টা আসছে, আমাদের প্রেসিডেন্ট আসছে। আমাদের বলা হয়েছে, সামনে আরও খেলা আছে। আমরা ভালো করতে চাই। এখন যে জায়গায় আছি, সে জায়গা থেকে আরও সামনে এগোচ্ছি এবং সাফে ভালো একটা রেজাল্ট করতে চাই। এরপর রাতে স্বাভাবিকভাবেই ঘুম আসেনি, যেহেতু এত বড় একটা ম্যাচ ছিল।
প্রশ্ন: ম্যাচের শেষ দিকে কেমন লাগছিল?
রাকিব: আসলে ৮০ মিনিট পার হওয়ার পর অনেক কষ্ট হচ্ছিল। কিন্তু চেষ্টা করছিলাম যে বাকি ১০ মিনিট যেভাবেই হোক খেলব। মাঠের ভেতরে কয়েকবারই আমিন বলছিলাম, আল্লাহ আল্লাহ করছিলাম আরকি। শেষ দুই-তিনটি ম্যাচে কিন্তু আমরা শেষের দিকে গোল হজম করছি। এটার জন্য ভয় লাগছিল। মাঠে নামলে কেউই গোল হজম করতে চায় না।
প্রশ্ন: মোরসালিনের সঙ্গে আপনার রসায়নটা কেমন?
রাকিব: আসলে এখন ভিন্ন ক্লাবে খেলি। আগে তো আমরা একসঙ্গে ছিলাম, তখন আমাদের মধ্যে দারুণ বোঝাপড়া ছিল। আর জাতীয় দলে তো একসঙ্গে খেলি। ও আমার মুভমেন্ট বোঝে, আমি ওর মুভমেন্ট বুঝি। মোরসালিনও অনেক গতিময় খেলোয়াড়। কারণ, যখন আমি বল ধরে রান করছি, সে কিন্তু আমার সঙ্গে সঙ্গে এসেছে।
প্রশ্ন: ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে জামাল ভূঁইয়া বলছিলেন আপনি দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে গতিময় খেলোয়াড়...
রাকিব: আসলে অধিনায়ক আমার ওপর ভরসা রেখেছেন। তিনি সব সময় এই কথাগুলো বলেন; তুমি খেলতে পারবা, তুমি পারফর্ম করবা। আমি তাঁর আস্থা রাখতে পেরেছি।
প্রশ্ন: সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্থানীয় ফুটবলারদের নিয়ে সমালোচনাটা বেশি হয়...
রাকিব: খারাপ খেললে সমালোচনা হবে, এটা স্বাভাবিক। ভালো খেললে তখন তো অন্তত বাহবা পাওয়া উচিত। তখনো যদি মানুষ সমালোচনা করে, অথবা খারাপ কিছু বলে, এই জিনিসটা খারাপ লাগে। আসলে সবাই কিন্তু একটা পতাকা অথবা একটা দেশের জন্যই খেলে। প্রবাসী খেলোয়াড়দের নিয়ে আমরা বিভাজন তৈরি করি না, কিন্তু বাইরের মানুষ যদি চায় তৈরি করতে, এটা তো খারাপ।
প্রশ্ন: আসলে কি বিভাজন আছে?
রাকিব: আমাদের মধ্যে এ রকম কোনো কিছুই নেই। কিউবা, শমিত, হামজা ভাই সবার সঙ্গে ভালো সম্পর্ক। আমাদের মধ্যে আমি মনে করি না কারোর সঙ্গে কিছু আছে। এমন না যে আমরা বাংলাদেশের জন্য খেলি, তারা ইতালি অথবা ইংল্যান্ডের জন্য খেলে। সবাই তো একটা দেশের জন্যই খেলে।
প্রশ্ন: জাতীয় দল নিয়ে সমর্থকদের যে আমেজ, তা ক্লাব ফুটবলে চোখে পড়ে না...
রাকিব: এখন ফেডারেশন যেভাবে জাতীয় দলকে উন্নত করেছে, আমি মনে করি এখন আমাদের বাংলাদেশ ফুটবল লিগকেও ভালো একটা শেপে নেওয়া উচিত। কারণ, জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের রুটি-রুজি কিন্তু ফুটবল লিগ। তাই আগের দুই মৌসুমে যেভাবে লিগ হয়েছে, এবার যেন আরও ভালোভাবে হয়।
প্রশ্ন: ভারতের বিপক্ষে জয়টা তো এলো, কিন্তু দিন শেষে এই দল নিয়েও এশিয়ান কাপে খেলতে না পারার আক্ষেপ নিশ্চয় আছে?
রাকিব: আক্ষেপ তো আছেই। আমাদের দল শক্তিশালী। প্রতিপক্ষগুলো কিন্তু আমাদের থেকেও শক্তিশালী ছিল, তাই না? ধীরে ধীরে কিন্তু আমরা অনেক উন্নতি করছি। একটু সময় লাগবে। একটু সময় দিলে এই দল অনেক ভালো কিছু করবে বলে আমার বিশ্বাস। আমরা কিন্তু ভালো ফুটবলই খেলছি প্রতি ম্যাচে। ফুটবলে এমন নিশ্চয়তা নেই যে ভালো দল হলেই আপনি কোয়ালিফাই করবেন। ইতালি কিন্তু এবারও বিশ্বকাপে কোয়ালিফাই করতে পারেনি সরাসরি। মাঝেমধ্যে ভাগ্যের দরকার হয়।
প্রশ্ন: গোল নিয়ে তো বটেই, আপনার অ্যাসিস্ট নিয়েও কম আলোচনা হচ্ছে না। কেমন লাগছে?
রাকিব: হ্যাঁ, ভালো লাগছে। কারণ উপভোগ করে খেলতে পেরেছি। বল নিয়ে এগোতেই প্রথমে গোলের ভাবনা আসে। কিন্তু যে পজিশনে ছিলাম, ওখান থেকে আর শুট করা যায় না। আমি মোরসালিনকে ফলো করি। সে দৌড়ে আসছিল। আর তখন আমি ওকে পাসটা দিয়ে দিই। এরপর তো...। পাল্টা আক্রমণ নিয়ে একটা বিশেষ পরিকল্পনা তো ছিলই। এটি অবশ্যই আমার ক্যারিয়ারে সবচেয়ে বড় জয়।
প্রশ্ন: ২২ বছর পর ভারতকে হারানোর পেছনে অবদান রাখতে পেরে কতটুকু খুশি?
রাকিব: এই জয় পুরো বাংলাদেশের জন্য অবশ্যই আনন্দের। ২২ বছর পর আমরা ওদের বিপক্ষে জিতেছি। ভালো লাগছে যে সবাই খুশি, কারণ বাংলাদেশের মানুষ সব সময় ভারতের বিপক্ষে জিততে চায়। আমরা জিততে পেরেছি, এ জন্য বেশি ভালো লাগতেছে। তাও ঘরের মাঠে। আসলে সবাই কিন্তু অনেক দূর থেকে আসে। সবাই কত কষ্ট করে। তো তারপর তারা খেলা দেখে। যদি খেলা দেখার মধ্যে আমরা ভালো রেজাল্ট না দিতে পারি, তখন আমাদের কাছেও খারাপ লাগে, তাদেরও খারাপ লাগে। শেষ দুটি ম্যাচে খুব কাছাকাছি গিয়েও আমরা তাদের খুশি করতে পারিনি। কিন্তু তারা মাঠে ৯০ মিনিট যেভাবে গলা ফাটিয়েছে, তা আসলে অবিশ্বাস্য।
প্রশ্ন: ম্যাচের আগে কী কথা হয়েছিল?
রাকিব: হামজা ভাই, শমিত ভাই সব খেলোয়াড়কে বলেছে, আমাদের যেকোনোভাবেই জিততে হবে। আমরা পরিশ্রম করব। আল্লাহ আমাদের দেবে। ঠিক আমরা মাঠে সবাই খেলেছি কিন্তু দলের জন্য। সবাই পারফর্ম করার কারণে আমরা ম্যাচটা জিততে পেরেছি। আমারও তাড়না ছিল, যেকোনোভাবে হোক দলের জন্য অবদান রাখব।
প্রশ্ন: ড্রেসিংরুমে অন্যরকম এক পরিবেশ দেখা গেল...
রাকিব: ক্রীড়া উপদেষ্টা আসছে, আমাদের প্রেসিডেন্ট আসছে। আমাদের বলা হয়েছে, সামনে আরও খেলা আছে। আমরা ভালো করতে চাই। এখন যে জায়গায় আছি, সে জায়গা থেকে আরও সামনে এগোচ্ছি এবং সাফে ভালো একটা রেজাল্ট করতে চাই। এরপর রাতে স্বাভাবিকভাবেই ঘুম আসেনি, যেহেতু এত বড় একটা ম্যাচ ছিল।
প্রশ্ন: ম্যাচের শেষ দিকে কেমন লাগছিল?
রাকিব: আসলে ৮০ মিনিট পার হওয়ার পর অনেক কষ্ট হচ্ছিল। কিন্তু চেষ্টা করছিলাম যে বাকি ১০ মিনিট যেভাবেই হোক খেলব। মাঠের ভেতরে কয়েকবারই আমিন বলছিলাম, আল্লাহ আল্লাহ করছিলাম আরকি। শেষ দুই-তিনটি ম্যাচে কিন্তু আমরা শেষের দিকে গোল হজম করছি। এটার জন্য ভয় লাগছিল। মাঠে নামলে কেউই গোল হজম করতে চায় না।
প্রশ্ন: মোরসালিনের সঙ্গে আপনার রসায়নটা কেমন?
রাকিব: আসলে এখন ভিন্ন ক্লাবে খেলি। আগে তো আমরা একসঙ্গে ছিলাম, তখন আমাদের মধ্যে দারুণ বোঝাপড়া ছিল। আর জাতীয় দলে তো একসঙ্গে খেলি। ও আমার মুভমেন্ট বোঝে, আমি ওর মুভমেন্ট বুঝি। মোরসালিনও অনেক গতিময় খেলোয়াড়। কারণ, যখন আমি বল ধরে রান করছি, সে কিন্তু আমার সঙ্গে সঙ্গে এসেছে।
প্রশ্ন: ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে জামাল ভূঁইয়া বলছিলেন আপনি দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে গতিময় খেলোয়াড়...
রাকিব: আসলে অধিনায়ক আমার ওপর ভরসা রেখেছেন। তিনি সব সময় এই কথাগুলো বলেন; তুমি খেলতে পারবা, তুমি পারফর্ম করবা। আমি তাঁর আস্থা রাখতে পেরেছি।
প্রশ্ন: সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্থানীয় ফুটবলারদের নিয়ে সমালোচনাটা বেশি হয়...
রাকিব: খারাপ খেললে সমালোচনা হবে, এটা স্বাভাবিক। ভালো খেললে তখন তো অন্তত বাহবা পাওয়া উচিত। তখনো যদি মানুষ সমালোচনা করে, অথবা খারাপ কিছু বলে, এই জিনিসটা খারাপ লাগে। আসলে সবাই কিন্তু একটা পতাকা অথবা একটা দেশের জন্যই খেলে। প্রবাসী খেলোয়াড়দের নিয়ে আমরা বিভাজন তৈরি করি না, কিন্তু বাইরের মানুষ যদি চায় তৈরি করতে, এটা তো খারাপ।
প্রশ্ন: আসলে কি বিভাজন আছে?
রাকিব: আমাদের মধ্যে এ রকম কোনো কিছুই নেই। কিউবা, শমিত, হামজা ভাই সবার সঙ্গে ভালো সম্পর্ক। আমাদের মধ্যে আমি মনে করি না কারোর সঙ্গে কিছু আছে। এমন না যে আমরা বাংলাদেশের জন্য খেলি, তারা ইতালি অথবা ইংল্যান্ডের জন্য খেলে। সবাই তো একটা দেশের জন্যই খেলে।
প্রশ্ন: জাতীয় দল নিয়ে সমর্থকদের যে আমেজ, তা ক্লাব ফুটবলে চোখে পড়ে না...
রাকিব: এখন ফেডারেশন যেভাবে জাতীয় দলকে উন্নত করেছে, আমি মনে করি এখন আমাদের বাংলাদেশ ফুটবল লিগকেও ভালো একটা শেপে নেওয়া উচিত। কারণ, জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের রুটি-রুজি কিন্তু ফুটবল লিগ। তাই আগের দুই মৌসুমে যেভাবে লিগ হয়েছে, এবার যেন আরও ভালোভাবে হয়।
প্রশ্ন: ভারতের বিপক্ষে জয়টা তো এলো, কিন্তু দিন শেষে এই দল নিয়েও এশিয়ান কাপে খেলতে না পারার আক্ষেপ নিশ্চয় আছে?
রাকিব: আক্ষেপ তো আছেই। আমাদের দল শক্তিশালী। প্রতিপক্ষগুলো কিন্তু আমাদের থেকেও শক্তিশালী ছিল, তাই না? ধীরে ধীরে কিন্তু আমরা অনেক উন্নতি করছি। একটু সময় লাগবে। একটু সময় দিলে এই দল অনেক ভালো কিছু করবে বলে আমার বিশ্বাস। আমরা কিন্তু ভালো ফুটবলই খেলছি প্রতি ম্যাচে। ফুটবলে এমন নিশ্চয়তা নেই যে ভালো দল হলেই আপনি কোয়ালিফাই করবেন। ইতালি কিন্তু এবারও বিশ্বকাপে কোয়ালিফাই করতে পারেনি সরাসরি। মাঝেমধ্যে ভাগ্যের দরকার হয়।

২০২৬ বিশ্বকাপ খেলতে চান লিওনেল মেসি। পারবেন কি না, সেটা এখনো নিশ্চিত নয়। বিশ্ব ফুটবলের ২৩তম আসরে আর্জেন্টিনা দলের জার্সিতে এই ফরোয়ার্ড মাঠ মাতাবেন কি না, সেটা সময়ই বলে দেবে। আপাতত মেসি জানালেন, বিশ্বকাপ খেলতে না পারলেও মাঠে বসে দলের খেলা দেখতে চান তিনি।
১১ ঘণ্টা আগে
প্রতিনিধি দলের সব সদস্য যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা না পাওয়ায় ২০২৬ বিশ্বকাপের ড্র বয়কট করেছিল ইরান। এক সপ্তাহের মাথায় নিজেদের অবস্থান থেকে সরে এল তারা। অর্থাৎ বিশ্ব ফুটবলের ২৩ তম আসরের ড্রতে উপস্থিত থাকবে ইরানের প্রতিনিধি দল।
১১ ঘণ্টা আগে
জাতীয় দলের কোচ হাভিয়ের কাবরেরাকে নিয়ে সমালোচনার শেষ নেই। চার বছরের বেশি বেশির ভাগ সমর্থকই তাঁকে আর বাংলাদেশের ডাগআউটে দেখতে চান না। বাফুফে অবশ্য এ ব্যাপারে বরাবর নীরবতা দেখিয়ে এসেছে। উন্নতমানের কোচ আনতে বাফুফের প্রতি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিতে রাজি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।
১২ ঘণ্টা আগে
সম্প্রতি শেষ হয়েছে বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড সিরিজ। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) আগে আপাতত কোনো ব্যস্ততা নেই ক্রিকেটারদের। অবসর থাকায় গতকাল রাজধানীর উত্তরার একটি স্কুলে অতিথি হয়ে যান লিটন দাস। ছোট বাচ্চাদের সঙ্গ পেয়ে যেন ছেলেবেলায় ফিরে গিয়েছিলেন উইকেটরক্ষক ব্যাটার। তবে ক্রিকেটের মানুষ বলে কথা।
১৩ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

২০২৬ বিশ্বকাপ খেলতে চান লিওনেল মেসি। পারবেন কি না, সেটা এখনো নিশ্চিত নয়। বিশ্ব ফুটবলের ২৩তম আসরে আর্জেন্টিনা দলের জার্সিতে এই ফরোয়ার্ড মাঠ মাতাবেন কি না, সেটা সময়ই বলে দেবে। আপাতত মেসি জানালেন, বিশ্বকাপ খেলতে না পারলেও মাঠে বসে দলের খেলা দেখতে চান তিনি।
ইচ্ছা থাকলেও আরও একটি বিশ্বকাপ মঞ্চে দেশের প্রতিনিধিত্ব করার বিষয়টি যে হাতে নেই, সেটা ভালোভাবেই জানেন মেসি। কিছুদিন আগে আটবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী জানিয়েছিলেন, শরীর সুস্থ থাকলে ও ফর্ম থাকলে কেবল ২০২৬ বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার হয়ে মাঠে নামবেন তিনি।
ইএসপিএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মেসি বলেন, ‘আশা করি, আমি বিশ্বকাপ খেলতে পারব। আগেই বলেছি যে, আমি আরও একটি বিশ্বকাপ খেলতে চাই। বিশ্বকাপ খেলতে না পারা আমার জন্য সবচেয়ে খারাপ হবে। তেমনটা হলে আমি মাঠে বসে দলের খেলা উপভোগ করব।’
লিওনেল স্কালোনির হাত ধরে গত সাড়ে চার বছরে একটি বিশ্বকাপের পাশাপাশি দুটি কোপা আমেরিকার শিরোপা জিতেছে আর্জেন্টিনা। দলের এমন সাফল্যে কোচের ভূমিকার কথা অকপটে স্বীকার করলেন মেসি, ‘বিশ্বকাপ সবার জন্য, যেকোনো দেশের জন্য বিশেষ; বিশেষ করে আমাদের জন্য। কারণ, আমরা সম্পূর্ণ ভিন্নভাবে এটা উপভোগ করি। সত্যি কথা হলো, আমাদের অসাধারণ সব খেলোয়াড় আছে। বছরের পর বছর ধরে এটা দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে, লিওনেল স্কালোনি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে আকাঙ্ক্ষা ও উত্তেজনা অনেকটাই বেড়ে গেছে।’
নিজেদের দল নিয়ে আত্মবিশ্বাসী মেসি, ‘প্রত্যেকেরই দারুণ মানসিকতা আছে। আমাদের এই দলে অনেক বিজয়ী আছে। যাদের শক্তিশালী মানসিকতা আছে, যারা আরও জিততে চায়। জয়ের ইচ্ছাটা প্রশিক্ষণে ও ম্যাচে দেখা যায়। আমাদের দলটি অসাধারণ। আমরা ভালোভাবে একত্রে কাজ করি। সবাই কঠোর পরিশ্রম করে। নিজ নিজ জায়গা থেকে সেরাটা ঢেলে দেয়। এটাই এই দলের একটি বিশাল শক্তি।’

২০২৬ বিশ্বকাপ খেলতে চান লিওনেল মেসি। পারবেন কি না, সেটা এখনো নিশ্চিত নয়। বিশ্ব ফুটবলের ২৩তম আসরে আর্জেন্টিনা দলের জার্সিতে এই ফরোয়ার্ড মাঠ মাতাবেন কি না, সেটা সময়ই বলে দেবে। আপাতত মেসি জানালেন, বিশ্বকাপ খেলতে না পারলেও মাঠে বসে দলের খেলা দেখতে চান তিনি।
ইচ্ছা থাকলেও আরও একটি বিশ্বকাপ মঞ্চে দেশের প্রতিনিধিত্ব করার বিষয়টি যে হাতে নেই, সেটা ভালোভাবেই জানেন মেসি। কিছুদিন আগে আটবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী জানিয়েছিলেন, শরীর সুস্থ থাকলে ও ফর্ম থাকলে কেবল ২০২৬ বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার হয়ে মাঠে নামবেন তিনি।
ইএসপিএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মেসি বলেন, ‘আশা করি, আমি বিশ্বকাপ খেলতে পারব। আগেই বলেছি যে, আমি আরও একটি বিশ্বকাপ খেলতে চাই। বিশ্বকাপ খেলতে না পারা আমার জন্য সবচেয়ে খারাপ হবে। তেমনটা হলে আমি মাঠে বসে দলের খেলা উপভোগ করব।’
লিওনেল স্কালোনির হাত ধরে গত সাড়ে চার বছরে একটি বিশ্বকাপের পাশাপাশি দুটি কোপা আমেরিকার শিরোপা জিতেছে আর্জেন্টিনা। দলের এমন সাফল্যে কোচের ভূমিকার কথা অকপটে স্বীকার করলেন মেসি, ‘বিশ্বকাপ সবার জন্য, যেকোনো দেশের জন্য বিশেষ; বিশেষ করে আমাদের জন্য। কারণ, আমরা সম্পূর্ণ ভিন্নভাবে এটা উপভোগ করি। সত্যি কথা হলো, আমাদের অসাধারণ সব খেলোয়াড় আছে। বছরের পর বছর ধরে এটা দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে, লিওনেল স্কালোনি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে আকাঙ্ক্ষা ও উত্তেজনা অনেকটাই বেড়ে গেছে।’
নিজেদের দল নিয়ে আত্মবিশ্বাসী মেসি, ‘প্রত্যেকেরই দারুণ মানসিকতা আছে। আমাদের এই দলে অনেক বিজয়ী আছে। যাদের শক্তিশালী মানসিকতা আছে, যারা আরও জিততে চায়। জয়ের ইচ্ছাটা প্রশিক্ষণে ও ম্যাচে দেখা যায়। আমাদের দলটি অসাধারণ। আমরা ভালোভাবে একত্রে কাজ করি। সবাই কঠোর পরিশ্রম করে। নিজ নিজ জায়গা থেকে সেরাটা ঢেলে দেয়। এটাই এই দলের একটি বিশাল শক্তি।’

একটি কাউন্টার অ্যাটাক, একটি নিখুঁত অ্যাসিস্ট; আর একটি গোল। তাতে ২২ বছর পর ভারতকে হারানোর অনাবিল আনন্দে ভেসেছে বাংলাদেশ। গোল করে নায়ক শেখ মোরসালিন, তাঁকে নায়ক হওয়ার উপলক্ষ এনে দেন রাকিব হোসেন। আজকের পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রাকিব শোনালেন মাঠের গল্প, অনুভূতি ও দলের পরবর্তী পথচলার কথা।
১৪ দিন আগে
প্রতিনিধি দলের সব সদস্য যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা না পাওয়ায় ২০২৬ বিশ্বকাপের ড্র বয়কট করেছিল ইরান। এক সপ্তাহের মাথায় নিজেদের অবস্থান থেকে সরে এল তারা। অর্থাৎ বিশ্ব ফুটবলের ২৩ তম আসরের ড্রতে উপস্থিত থাকবে ইরানের প্রতিনিধি দল।
১১ ঘণ্টা আগে
জাতীয় দলের কোচ হাভিয়ের কাবরেরাকে নিয়ে সমালোচনার শেষ নেই। চার বছরের বেশি বেশির ভাগ সমর্থকই তাঁকে আর বাংলাদেশের ডাগআউটে দেখতে চান না। বাফুফে অবশ্য এ ব্যাপারে বরাবর নীরবতা দেখিয়ে এসেছে। উন্নতমানের কোচ আনতে বাফুফের প্রতি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিতে রাজি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।
১২ ঘণ্টা আগে
সম্প্রতি শেষ হয়েছে বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড সিরিজ। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) আগে আপাতত কোনো ব্যস্ততা নেই ক্রিকেটারদের। অবসর থাকায় গতকাল রাজধানীর উত্তরার একটি স্কুলে অতিথি হয়ে যান লিটন দাস। ছোট বাচ্চাদের সঙ্গ পেয়ে যেন ছেলেবেলায় ফিরে গিয়েছিলেন উইকেটরক্ষক ব্যাটার। তবে ক্রিকেটের মানুষ বলে কথা।
১৩ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

প্রতিনিধি দলের সব সদস্য যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা না পাওয়ায় ২০২৬ বিশ্বকাপের ড্র বয়কট করেছিল ইরান। এক সপ্তাহের মাথায় নিজেদের অবস্থান থেকে সরে এল তারা। অর্থাৎ বিশ্ব ফুটবলের ২৩ তম আসরের ড্রতে উপস্থিত থাকবে ইরানের প্রতিনিধি দল।
বয়কট থেকে সরে এসে দুজনকে ড্র অনুষ্ঠানে পাঠাবে ইরান। দেশটির ক্রীড়া মন্ত্রী আহমাদ ডনজামালি সংবাদ সংস্থা ইরনাকে জানিয়েছেন, ড্র অনুষ্ঠানে উপস্থিত তাকবেন ইরানের প্রধান কোচ আমির গালেনোই। তাঁর সঙ্গী হবেন ইরান ফুটবল ফেডারেশনের (এফএফআইআরআই) আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের প্রধান ওমিদ জামালি–প্রতিবেদনে এমনটাই জানিয়েছে বিসিবি। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, তাঁদের দুজনের সঙ্গে কয়েকজন প্রতিনিধিও উপস্থিত থাকতে পারেন।
গত আগস্টে বিশ্বকাপের অন্যতম আয়োজক যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, ৫ ডিসেম্বর ওয়াশিংটনের কেনেডি সেন্টারে ড্র হবে। নিয়ম অনুযায়ী, বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী দল হিসেবে ড্রয়ে উপস্থিত থাকার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ভিসার জন্য আবেদন করেছিলেন ইরানি ফুটবল ফেডারেশনের ৯ জনের একটি প্রতিনিধি দল। এদের মধ্যে ভিসা পেয়েছেন মাত্র চারজন।
ভিসা না পাওয়ার তালিকায় আছেন ইরানি ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি মেহেদী তাজ। নিরাপত্তা ঝুঁকি থাকায় গত জুনে ১২ দেশের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। এই তালিকায় আছে ইরান। তবে অলিম্পিক ও বিশ্বকাপের মতো বৈশ্বিক টুর্নামেন্টের কথা ভেবে কোচ, অ্যাথলেট ও নির্বাহীদের এই নিষেধাজ্ঞার বাইরে রাখা হয়েছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যৌথভাবে ২০২৬ বিশ্বকাপ আয়োজন করবে কানাডা ও মেক্সিকো। গত মার্চ মাসে ২০২৬ বিশ্বকাপে জায়গা নিশ্চিত করে ইরান। সপ্তমবারের মতো দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থে অংশ নেবে এশিয়ার দেশটি। আগের ছয় আসরে একবারও নকআউট পর্বে পা রাখতে পারেনি তারা। কাতারে অনুষ্ঠিত ২০২২ বিশ্বকাপে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ১-০ গোলে হেরে যায় ইরান। এর আগে ১৯৯৮ বিশ্বকাপে দলটিকে হারিয়েছিল তারা। বিশ্বমঞ্চে সেটাই তাদের একমাত্র জয়।

প্রতিনিধি দলের সব সদস্য যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা না পাওয়ায় ২০২৬ বিশ্বকাপের ড্র বয়কট করেছিল ইরান। এক সপ্তাহের মাথায় নিজেদের অবস্থান থেকে সরে এল তারা। অর্থাৎ বিশ্ব ফুটবলের ২৩ তম আসরের ড্রতে উপস্থিত থাকবে ইরানের প্রতিনিধি দল।
বয়কট থেকে সরে এসে দুজনকে ড্র অনুষ্ঠানে পাঠাবে ইরান। দেশটির ক্রীড়া মন্ত্রী আহমাদ ডনজামালি সংবাদ সংস্থা ইরনাকে জানিয়েছেন, ড্র অনুষ্ঠানে উপস্থিত তাকবেন ইরানের প্রধান কোচ আমির গালেনোই। তাঁর সঙ্গী হবেন ইরান ফুটবল ফেডারেশনের (এফএফআইআরআই) আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের প্রধান ওমিদ জামালি–প্রতিবেদনে এমনটাই জানিয়েছে বিসিবি। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, তাঁদের দুজনের সঙ্গে কয়েকজন প্রতিনিধিও উপস্থিত থাকতে পারেন।
গত আগস্টে বিশ্বকাপের অন্যতম আয়োজক যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, ৫ ডিসেম্বর ওয়াশিংটনের কেনেডি সেন্টারে ড্র হবে। নিয়ম অনুযায়ী, বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী দল হিসেবে ড্রয়ে উপস্থিত থাকার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ভিসার জন্য আবেদন করেছিলেন ইরানি ফুটবল ফেডারেশনের ৯ জনের একটি প্রতিনিধি দল। এদের মধ্যে ভিসা পেয়েছেন মাত্র চারজন।
ভিসা না পাওয়ার তালিকায় আছেন ইরানি ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি মেহেদী তাজ। নিরাপত্তা ঝুঁকি থাকায় গত জুনে ১২ দেশের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। এই তালিকায় আছে ইরান। তবে অলিম্পিক ও বিশ্বকাপের মতো বৈশ্বিক টুর্নামেন্টের কথা ভেবে কোচ, অ্যাথলেট ও নির্বাহীদের এই নিষেধাজ্ঞার বাইরে রাখা হয়েছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যৌথভাবে ২০২৬ বিশ্বকাপ আয়োজন করবে কানাডা ও মেক্সিকো। গত মার্চ মাসে ২০২৬ বিশ্বকাপে জায়গা নিশ্চিত করে ইরান। সপ্তমবারের মতো দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থে অংশ নেবে এশিয়ার দেশটি। আগের ছয় আসরে একবারও নকআউট পর্বে পা রাখতে পারেনি তারা। কাতারে অনুষ্ঠিত ২০২২ বিশ্বকাপে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ১-০ গোলে হেরে যায় ইরান। এর আগে ১৯৯৮ বিশ্বকাপে দলটিকে হারিয়েছিল তারা। বিশ্বমঞ্চে সেটাই তাদের একমাত্র জয়।

একটি কাউন্টার অ্যাটাক, একটি নিখুঁত অ্যাসিস্ট; আর একটি গোল। তাতে ২২ বছর পর ভারতকে হারানোর অনাবিল আনন্দে ভেসেছে বাংলাদেশ। গোল করে নায়ক শেখ মোরসালিন, তাঁকে নায়ক হওয়ার উপলক্ষ এনে দেন রাকিব হোসেন। আজকের পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রাকিব শোনালেন মাঠের গল্প, অনুভূতি ও দলের পরবর্তী পথচলার কথা।
১৪ দিন আগে
২০২৬ বিশ্বকাপ খেলতে চান লিওনেল মেসি। পারবেন কি না, সেটা এখনো নিশ্চিত নয়। বিশ্ব ফুটবলের ২৩তম আসরে আর্জেন্টিনা দলের জার্সিতে এই ফরোয়ার্ড মাঠ মাতাবেন কি না, সেটা সময়ই বলে দেবে। আপাতত মেসি জানালেন, বিশ্বকাপ খেলতে না পারলেও মাঠে বসে দলের খেলা দেখতে চান তিনি।
১১ ঘণ্টা আগে
জাতীয় দলের কোচ হাভিয়ের কাবরেরাকে নিয়ে সমালোচনার শেষ নেই। চার বছরের বেশি বেশির ভাগ সমর্থকই তাঁকে আর বাংলাদেশের ডাগআউটে দেখতে চান না। বাফুফে অবশ্য এ ব্যাপারে বরাবর নীরবতা দেখিয়ে এসেছে। উন্নতমানের কোচ আনতে বাফুফের প্রতি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিতে রাজি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।
১২ ঘণ্টা আগে
সম্প্রতি শেষ হয়েছে বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড সিরিজ। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) আগে আপাতত কোনো ব্যস্ততা নেই ক্রিকেটারদের। অবসর থাকায় গতকাল রাজধানীর উত্তরার একটি স্কুলে অতিথি হয়ে যান লিটন দাস। ছোট বাচ্চাদের সঙ্গ পেয়ে যেন ছেলেবেলায় ফিরে গিয়েছিলেন উইকেটরক্ষক ব্যাটার। তবে ক্রিকেটের মানুষ বলে কথা।
১৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জাতীয় দলের কোচ হাভিয়ের কাবরেরাকে নিয়ে সমালোচনার শেষ নেই। চার বছরের বেশি বেশির ভাগ সমর্থকই তাঁকে আর বাংলাদেশের ডাগআউটে দেখতে চান না। বাফুফে অবশ্য এ ব্যাপারে বরাবর নীরবতা দেখিয়ে এসেছে। উন্নতমানের কোচ আনতে বাফুফের প্রতি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিতে রাজি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।
সচিবালয়ে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের আওতাধীন জেলা ও উপজেলাপর্যায়ে ক্রীড়া স্থাপনা উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আজ সাংবাদিকদের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, ‘বাফুফেকে উন্নতমানের ইউরোপীয় পর্যায়ের কোচ আনা এবং নারী খেলোয়াড়দের বেতন বৃদ্ধি—এই দুইটা খাতের জন্য আসলে কোথা থেকে অর্থের জোগাড় করা যায়, সেটা ভাবছি। হয় আমরা অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে নেব অথবা যে ফান্ড আছে, সেখান থেকে সোর্স করে বাফুফেকে একটা ফান্ড দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।’
তাহলে কি হাভিয়ের কাবরেরার পরিবর্তে আসতে যাচ্ছেন নতুন কেউ? উত্তরে উপদেষ্টা বলেন, ‘সেটা বাফুফের সিদ্ধান্ত। তবে ভালো কোচ আনতে গেলে একটা আর্থিক ব্যাপার আছে। আপনারা জানেন যে, ইউরোপের বড় বড় দলগুলো কোচদের যে টাকা দেয়, সেটা হয়তো আমাদের পুরো বাফুফের বার্ষিক বাজেটের সমান। আমরা এখনই ওই পর্যায়ে যেতে পারব না। তবে উন্নতমানের কোচ আনার ক্ষেত্রে অর্থ যেন একটা বাধা হয়ে না দাঁড়ায়, সেই জায়গা থেকে আমরা একটা সহযোগিতা করার বা একটা ফান্ড তাদের দেওয়ার চেষ্টা করছি।’

জাতীয় দলের কোচ হাভিয়ের কাবরেরাকে নিয়ে সমালোচনার শেষ নেই। চার বছরের বেশি বেশির ভাগ সমর্থকই তাঁকে আর বাংলাদেশের ডাগআউটে দেখতে চান না। বাফুফে অবশ্য এ ব্যাপারে বরাবর নীরবতা দেখিয়ে এসেছে। উন্নতমানের কোচ আনতে বাফুফের প্রতি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিতে রাজি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।
সচিবালয়ে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের আওতাধীন জেলা ও উপজেলাপর্যায়ে ক্রীড়া স্থাপনা উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আজ সাংবাদিকদের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, ‘বাফুফেকে উন্নতমানের ইউরোপীয় পর্যায়ের কোচ আনা এবং নারী খেলোয়াড়দের বেতন বৃদ্ধি—এই দুইটা খাতের জন্য আসলে কোথা থেকে অর্থের জোগাড় করা যায়, সেটা ভাবছি। হয় আমরা অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে নেব অথবা যে ফান্ড আছে, সেখান থেকে সোর্স করে বাফুফেকে একটা ফান্ড দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।’
তাহলে কি হাভিয়ের কাবরেরার পরিবর্তে আসতে যাচ্ছেন নতুন কেউ? উত্তরে উপদেষ্টা বলেন, ‘সেটা বাফুফের সিদ্ধান্ত। তবে ভালো কোচ আনতে গেলে একটা আর্থিক ব্যাপার আছে। আপনারা জানেন যে, ইউরোপের বড় বড় দলগুলো কোচদের যে টাকা দেয়, সেটা হয়তো আমাদের পুরো বাফুফের বার্ষিক বাজেটের সমান। আমরা এখনই ওই পর্যায়ে যেতে পারব না। তবে উন্নতমানের কোচ আনার ক্ষেত্রে অর্থ যেন একটা বাধা হয়ে না দাঁড়ায়, সেই জায়গা থেকে আমরা একটা সহযোগিতা করার বা একটা ফান্ড তাদের দেওয়ার চেষ্টা করছি।’

একটি কাউন্টার অ্যাটাক, একটি নিখুঁত অ্যাসিস্ট; আর একটি গোল। তাতে ২২ বছর পর ভারতকে হারানোর অনাবিল আনন্দে ভেসেছে বাংলাদেশ। গোল করে নায়ক শেখ মোরসালিন, তাঁকে নায়ক হওয়ার উপলক্ষ এনে দেন রাকিব হোসেন। আজকের পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রাকিব শোনালেন মাঠের গল্প, অনুভূতি ও দলের পরবর্তী পথচলার কথা।
১৪ দিন আগে
২০২৬ বিশ্বকাপ খেলতে চান লিওনেল মেসি। পারবেন কি না, সেটা এখনো নিশ্চিত নয়। বিশ্ব ফুটবলের ২৩তম আসরে আর্জেন্টিনা দলের জার্সিতে এই ফরোয়ার্ড মাঠ মাতাবেন কি না, সেটা সময়ই বলে দেবে। আপাতত মেসি জানালেন, বিশ্বকাপ খেলতে না পারলেও মাঠে বসে দলের খেলা দেখতে চান তিনি।
১১ ঘণ্টা আগে
প্রতিনিধি দলের সব সদস্য যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা না পাওয়ায় ২০২৬ বিশ্বকাপের ড্র বয়কট করেছিল ইরান। এক সপ্তাহের মাথায় নিজেদের অবস্থান থেকে সরে এল তারা। অর্থাৎ বিশ্ব ফুটবলের ২৩ তম আসরের ড্রতে উপস্থিত থাকবে ইরানের প্রতিনিধি দল।
১১ ঘণ্টা আগে
সম্প্রতি শেষ হয়েছে বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড সিরিজ। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) আগে আপাতত কোনো ব্যস্ততা নেই ক্রিকেটারদের। অবসর থাকায় গতকাল রাজধানীর উত্তরার একটি স্কুলে অতিথি হয়ে যান লিটন দাস। ছোট বাচ্চাদের সঙ্গ পেয়ে যেন ছেলেবেলায় ফিরে গিয়েছিলেন উইকেটরক্ষক ব্যাটার। তবে ক্রিকেটের মানুষ বলে কথা।
১৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড সিরিজ শেষে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) আগে আপাতত কোনো ব্যস্ততা নেই জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের। এই অবসরে আজ রাজধানীর উত্তরার একটি স্কুলে অতিথি হয়ে গেলেন লিটন দাস। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সময় কাটাতে গিয়ে যেন ছেলেবেলায় ফিরে গেলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। সেখানে স্বাভাবিকভাবেই সেখানে এল বাংলাদেশ দল-প্রসঙ্গ। সেখানে লিটন জানিয়েছেন, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দলে খুব বেশি পরিবর্তনের পক্ষে নন তিনি।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু হবে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি। তার আগে প্রস্তুতির দারুণ এক মঞ্চ হিসেবে বিপিএলে খেলার সুযোগ পাচ্ছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। দেশের সবচেয়ে বড় টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে ভালো করতে পারলে নতুন করে জাতীয় দলের দরজায় কড়া নাড়ার সুযোগ মেলে অনেক ক্রিকেটারের। গত এক বছরে জাতীয় দলে নেই কিন্তু বিপিএলে ভালো করে ফেলল, এমন কোনো ক্রিকেটারের সুযোগ কি মিলবে ২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে? লিটন হতাশ করছেন না। বিপিএলে ভালো করলে দরজা খোলাই থাকবে বলে মনে করেন তিনি। তবে জাতীয় দলে টানা খেলার মধ্যে থাকা ক্রিকেটারদের প্রাধান্যই বেশি তাঁর কাছে।
লিটন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘যাঁরা অনেকদিন ধরে এই সংস্করণে খেলে আসছে তাঁদের প্রাধান্যই বেশি। এই দলে যে বাড়তি কোনো খেলোয়াড় ঢুকবে না বিষয়টা তাও না। কিন্তু যাঁরা এতদিন ধরে এই সংস্করণে খেলছে, ভালো করছে, আমার কাছে মনে হয় অভিজ্ঞতা তাঁদেরই বেশি। তবু বিপিএল বাংলাদেশের অনেক বড় একটা টুর্নামেন্ট। যদি কোনো খেলোয়াড় ভালো করে, সেক্ষেত্রে নির্বাচক বা কোচ যদি মনে করে যে আমাদের ওই খেলোয়াড়কে দরকার তাহলে কেন নয়? বাংলাদেশের সবার জন্যই জায়গাটা খোলা আছে।’
বিশ্বকাপের আগে প্রস্তুতির শেষ মঞ্চ হওয়ায় বিপিএলে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের ভালো খেলার তাগিদ দিলেন লিটন, ‘অনেক দিন ধরেই তো এই খেলোয়াড়েরা ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে খেলছে। আমার মনে হয় চলতি বছর আমরা ১৮–১৯ জন খেলোয়াড় টি-টোয়েন্টি সংস্করণে খেলেছি। দল তো হয়ই ১৫-১৬ জনের। আমার মনে হয় যেসব খেলোয়াড় দলে ছিল, তারা পারফর্ম করেছে। তারা বিশ্বকাপ খেলার দাবিদার। নিকট অতীতে আমাদের মিডলঅর্ডার নিয়ে কিছুটা সমস্যা তৈরি হয়েছিল। আমি সেটা নিয়ে চিন্তিত ছিলাম না। কারণ আমাদের দুই-একটা খেলোয়াড় রানে ফিরেছে। এখন আমরা যদি বিপিএলে ভালো ক্রিকেট খেলতে পারি, খেলোয়াড়দের যে মানসিকতা থাকবে, বিশ্বকাপে সেটা কাজে দেবে।’

বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড সিরিজ শেষে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) আগে আপাতত কোনো ব্যস্ততা নেই জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের। এই অবসরে আজ রাজধানীর উত্তরার একটি স্কুলে অতিথি হয়ে গেলেন লিটন দাস। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সময় কাটাতে গিয়ে যেন ছেলেবেলায় ফিরে গেলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। সেখানে স্বাভাবিকভাবেই সেখানে এল বাংলাদেশ দল-প্রসঙ্গ। সেখানে লিটন জানিয়েছেন, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দলে খুব বেশি পরিবর্তনের পক্ষে নন তিনি।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু হবে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি। তার আগে প্রস্তুতির দারুণ এক মঞ্চ হিসেবে বিপিএলে খেলার সুযোগ পাচ্ছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। দেশের সবচেয়ে বড় টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে ভালো করতে পারলে নতুন করে জাতীয় দলের দরজায় কড়া নাড়ার সুযোগ মেলে অনেক ক্রিকেটারের। গত এক বছরে জাতীয় দলে নেই কিন্তু বিপিএলে ভালো করে ফেলল, এমন কোনো ক্রিকেটারের সুযোগ কি মিলবে ২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে? লিটন হতাশ করছেন না। বিপিএলে ভালো করলে দরজা খোলাই থাকবে বলে মনে করেন তিনি। তবে জাতীয় দলে টানা খেলার মধ্যে থাকা ক্রিকেটারদের প্রাধান্যই বেশি তাঁর কাছে।
লিটন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘যাঁরা অনেকদিন ধরে এই সংস্করণে খেলে আসছে তাঁদের প্রাধান্যই বেশি। এই দলে যে বাড়তি কোনো খেলোয়াড় ঢুকবে না বিষয়টা তাও না। কিন্তু যাঁরা এতদিন ধরে এই সংস্করণে খেলছে, ভালো করছে, আমার কাছে মনে হয় অভিজ্ঞতা তাঁদেরই বেশি। তবু বিপিএল বাংলাদেশের অনেক বড় একটা টুর্নামেন্ট। যদি কোনো খেলোয়াড় ভালো করে, সেক্ষেত্রে নির্বাচক বা কোচ যদি মনে করে যে আমাদের ওই খেলোয়াড়কে দরকার তাহলে কেন নয়? বাংলাদেশের সবার জন্যই জায়গাটা খোলা আছে।’
বিশ্বকাপের আগে প্রস্তুতির শেষ মঞ্চ হওয়ায় বিপিএলে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের ভালো খেলার তাগিদ দিলেন লিটন, ‘অনেক দিন ধরেই তো এই খেলোয়াড়েরা ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে খেলছে। আমার মনে হয় চলতি বছর আমরা ১৮–১৯ জন খেলোয়াড় টি-টোয়েন্টি সংস্করণে খেলেছি। দল তো হয়ই ১৫-১৬ জনের। আমার মনে হয় যেসব খেলোয়াড় দলে ছিল, তারা পারফর্ম করেছে। তারা বিশ্বকাপ খেলার দাবিদার। নিকট অতীতে আমাদের মিডলঅর্ডার নিয়ে কিছুটা সমস্যা তৈরি হয়েছিল। আমি সেটা নিয়ে চিন্তিত ছিলাম না। কারণ আমাদের দুই-একটা খেলোয়াড় রানে ফিরেছে। এখন আমরা যদি বিপিএলে ভালো ক্রিকেট খেলতে পারি, খেলোয়াড়দের যে মানসিকতা থাকবে, বিশ্বকাপে সেটা কাজে দেবে।’

একটি কাউন্টার অ্যাটাক, একটি নিখুঁত অ্যাসিস্ট; আর একটি গোল। তাতে ২২ বছর পর ভারতকে হারানোর অনাবিল আনন্দে ভেসেছে বাংলাদেশ। গোল করে নায়ক শেখ মোরসালিন, তাঁকে নায়ক হওয়ার উপলক্ষ এনে দেন রাকিব হোসেন। আজকের পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রাকিব শোনালেন মাঠের গল্প, অনুভূতি ও দলের পরবর্তী পথচলার কথা।
১৪ দিন আগে
২০২৬ বিশ্বকাপ খেলতে চান লিওনেল মেসি। পারবেন কি না, সেটা এখনো নিশ্চিত নয়। বিশ্ব ফুটবলের ২৩তম আসরে আর্জেন্টিনা দলের জার্সিতে এই ফরোয়ার্ড মাঠ মাতাবেন কি না, সেটা সময়ই বলে দেবে। আপাতত মেসি জানালেন, বিশ্বকাপ খেলতে না পারলেও মাঠে বসে দলের খেলা দেখতে চান তিনি।
১১ ঘণ্টা আগে
প্রতিনিধি দলের সব সদস্য যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা না পাওয়ায় ২০২৬ বিশ্বকাপের ড্র বয়কট করেছিল ইরান। এক সপ্তাহের মাথায় নিজেদের অবস্থান থেকে সরে এল তারা। অর্থাৎ বিশ্ব ফুটবলের ২৩ তম আসরের ড্রতে উপস্থিত থাকবে ইরানের প্রতিনিধি দল।
১১ ঘণ্টা আগে
জাতীয় দলের কোচ হাভিয়ের কাবরেরাকে নিয়ে সমালোচনার শেষ নেই। চার বছরের বেশি বেশির ভাগ সমর্থকই তাঁকে আর বাংলাদেশের ডাগআউটে দেখতে চান না। বাফুফে অবশ্য এ ব্যাপারে বরাবর নীরবতা দেখিয়ে এসেছে। উন্নতমানের কোচ আনতে বাফুফের প্রতি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিতে রাজি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।
১২ ঘণ্টা আগে