
বয়স তাঁর ২৩। এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আট বছর কাটিয়ে দেওয়া নাহিদা আক্তারের ২০২৩ সালটা গেল সোনার ফ্রেমে বাঁধিয়ে রাখার মতো। এ বছরই তিনি হয়েছেন বাংলাদেশ নারী ক্রিকেটে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি। বাংলাদেশের প্রথম নারী ক্রিকেটার হিসেবে নভেম্বরে আইসিসির মাসসেরা হয়েছেন তিনি। কিশোরগঞ্জের নাহিদা যেন গত দুই বছরে বদলে যাওয়া এক গল্প। দলের সহ-অধিনায়ক, সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি, মাসসেরা—সব মিলিয়ে ২০২৩ সালকে কোথায় রাখবেন তিনি, সেই সব গল্পই শোনালেন আজকের পত্রিকাকে। গতকাল তাঁর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন লাইছ ত্বোহা।

প্রশ্ন: ২৩ বছর বয়সেই বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি, ক্যারিয়ার শেষে কত উইকেট দেখতে চান নিজের নামের পাশে?
নাহিদা আক্তার: এটা এখন বলা কঠিন। সব সময় চেষ্টা করি দলে অবদান রাখতে। দলের হয়ে খেলতে পারছি, এটা আমার কাছে অনেক গর্বের ব্যাপার। আসলে ২০০-৩০০ উইকেট...এসব নিয়ে চিন্তা করি না। যতটুকু সম্ভব ক্যারিয়ারটা বড় করতে চাই, যেন ভালো খেলে যেতে পারি। দেশের হয়ে খেলার চেয়ে বড় গর্বের কিছু হতে পারে না।
প্রশ্ন: গত দুই বছরে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে নিয়েছেন ৭৪ উইকেট। এই পরিসংখ্যানে আপনার ধারেকাছেও বাংলাদেশের আর কোনো বোলার নেই। অথচ এর আগের ছয় বছরে উইকেট ছিল মাত্র ৬৩টি। নিজের কোথায় বেশি পরিবর্তন করেছেন এই সাফল্যে?
নাহিদা: আমাদের দল যখন আইসিসির এফটিপিতে ঢুকে যায়, তখন থেকে আমরা অনেক ম্যাচ খেলার সুযোগ পাচ্ছি। আগে এত ম্যাচ খেলার সুযোগ ছিল না। সেদিক থেকে চিন্তা করলে এটার একটা প্রভাব আছে। আর যদি পরিবর্তনের কথা বলেন, সবারই একটা লক্ষ্য থাকে—না, আরও যদি সিরিয়াস হওয়া যায়, বেশি ম্যাচ খেলা যায়, আমার পরিকল্পনা সেরকমই ছিল। নিজের বোলিং লাইন-লেংথ কতটুকু ভালো রাখা যায়, বোলিংয়ে কতটা উন্নতি করা যায়, এসব নিয়ে কাজ করেছি।
প্রশ্ন: এ বছর বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি হয়েছেন এবং বাংলাদেশের প্রথম নারী ক্রিকেটার হিসেবে আইসিসির মাসসেরা হয়েছেন। আপনার ক্যারিয়ারের ২০২৩ সালকে কোথায় রাখবেন?
নাহিদা: আমাদের অনেক ভালো একটা বছর কেটেছে। ২০২৩ সালটা আমার জন্য অনেক ভালো গেছে, দোয়া করবেন যেন প্রতিটি বছর এভাবে যায় (হাসি)। দেশের হয়ে খেলছি, আমার কাছে এটাই অনেক গর্বের ব্যাপার। আমাকে সিনিয়র ক্রিকেটার সালমা, রুমানা, জাহানারা আপু সব সময় সমর্থন করেছে। তাদের সমর্থনেই আজ এই জায়গায় আসতে পেরেছি। তাঁরা যদি আমাকে ভালো পরামর্শ না দিতেন, এই জায়গায় আসতে পারতাম না।
প্রশ্ন: এ বছর ধারাবাহিক সাফল্যের রহস্য কী?
নাহিদা: আপনি যত বেশি ম্যাচ খেলবেন, তত বেশি অভিজ্ঞ হবেন। বললেন না, আমি গত দুই বছর অনেক উইকেট পেয়েছি। কীভাবে? অবশ্যই আমি ম্যাচ বেশি খেলেছি, অভিজ্ঞতা বেড়েছে। ওটাই হচ্ছে, আমরা এখন ম্যাচ খেলছি, অভিজ্ঞতা বাড়ছে। জুনিয়র যারা আছে, তারাও ধীরে ধীরে ভালো করছে। এখান থেকেই আসলে আমদের পরিবর্তন। আরেকটা ব্যাপার, আমরা একজনের সাফল্যে আরেকজন উৎসাহিত হচ্ছি। আমাদের দলের বন্ধন আগের চেয়ে অনেক ভালো। দল হিসেবে পারফরম্যান্স করছে।
প্রশ্ন: বাংলাদেশ নারী দলের আইসিসির মাসসেরা প্রথম ক্রিকেটার হওয়ার আনন্দটা এখনো কি কাজ করছে মনে?
নাহিদা: এটা দারুণ অনুভূতি। একটা ভালো অর্জন সবারই ভালো লাগে। এই অর্জনের পেছনে আমার সতীর্থ-কোচদের অবদান আছে। সবার সমর্থনেই আমার এই অর্জন।
প্রশ্ন: বছরটা দারুণ কেটেছে দলের। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তাদের মাঠে প্রথমবারের মতো ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি জিতলেন। কিন্তু জয় দিয়ে শুরু করেও সিরিজ জেতা হলো না। কোথায় খেই হারিয়েছিল বাংলাদেশ?
নাহিদা: আমরা খুব ভালো খেলেছি। বিগত দিনে দেশের বাইরে রেকর্ড আমাদের অত ভালো ছিল না। আমাদের লক্ষ্য ছিল এবার যেন ভালো কিছু করতে পারি। ভালো ছন্দে ছিলাম, পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ জিতেছি, আমাদের ওই আত্মবিশ্বাস ছিল। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দল ভালো একটা অবস্থায় এসেছে। সবাই বলেছে, দলের রান বেশি হচ্ছে না, ফর্মে নেই। কিন্তু আমাদের ব্যাটাররা সেখানে ভালো করেছে, ফর্মে ফিরেছে। পিংকির সেঞ্চুরি, মুরশিদার ৯০ রানের একটা ইনিংস। অধিনায়কেরও ভালো অবদান ছিল। এটাও আমাদের একটা অর্জন। আমরা কিন্তু টি-টোয়েন্টি সিরিজ ১-১ সমতায় শেষ করেছি। প্রথম দুই ওয়ানডে অসাধারণ খেলেছি। শেষ ম্যাচ দ্রুত অলআউট হয়েছি, হতেই পারে। সব মিলিয়ে বলব, আমরা ভালো খেলেছি।
প্রশ্ন: দ্বিতীয় ওয়ানডেতে আর ২০-৩০ রান বেশি হলেই তো ম্যাচটা অন্যরকম হয়ে যেত। নারী দলের ব্যাটারদের সব সময় কম স্ট্রাইকরেটে ব্যাটিং নিয়ে সমালোচনা হয়। কেউ কেউ বলেন, এটা স্কিলের সমস্যা। এই সমস্যা কাটিয়ে উঠতে কী করণীয়?
নাহিদা: সবাই এ কথাটা বলে। আগে থেকে অনেক উন্নতি করেছি আমরা এই জায়গায়। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে আমরা প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে ২৫০ রান করেছি। তখন কিন্তু এ রকম কথা আসেনি। অনেক সময় উইকেটের আচরণও সেরকম থাকে। সে অনুযায়ী ব্যাটিং করতে হয়। সব সময় যে ২৪০-২৫০ রান হবে, সেটাও না। এসব বিবেচনায় এই সিরিজে আমাদের ব্যাটাররা অনেক ভালো খেলেছে।
প্রশ্ন: টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার তিন বছর হতে চলল। মেয়েদের টেস্ট ক্রিকেট শুরু করতে বিসিবি আরও সময় নেওয়ার পক্ষে। আপনিও তা-ই মনে করেন?
নাহিদা: সব ক্রিকেটারেরই স্বপ্ন থাকে টেস্ট ক্রিকেট খেলার। কিন্তু টেস্ট খেলার আগে নিজেদের প্রস্তুত করতে হবে। তা না হলে চার দিন খেলতে পারব না। এর জন্য ঘরোয়া লিগে ভালো খেলতে হবে। বিসিবি গত মৌসুমে আমাদের দুই দিনের ম্যাচ দিয়েছে। এভাবেই আমরা এগোচ্ছি। আমরা ফিট হয়ে তারপর টেস্ট খেলব।
প্রশ্ন: বাংলাদেশ দলে এখনো স্পিনারদেরই দাপট। পুরুষ দলের মতো নারী দলেও কবে দেখা যেতে পারে পেস বিপ্লব?
নাহিদা: অবশ্যই আমাদের পেসাররা ভালো করছে। একসঙ্গে এত উন্নতি চাইলে হবে না। ধীরে ধীরে আমাদের এগোতে হবে। এখন আগের চেয়ে ভালো ক্রিকেট খেলছি। ব্যাটাররা ভালো করছে, বোলাররা ভালো করছে। আমি বলব, স্পিনারদের সঙ্গে পেসাররা অনেক সাপোর্ট দিচ্ছে। পেসাররা অনেক দিন ধরে খুব ভালো পরিশ্রম করছে। আমি বিশ্বাস করি, আমাদের পেসাররা একদিন বাংলাদেশ ক্রিকেটে রাজত্ব করবে।
প্রশ্ন: অনেক দেশেই মেয়েদের টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট আছে। ভারতে মেয়েদের আইপিএল যথেষ্ট জমজমাট। টি-টোয়েন্টি সংস্করণে আরও উন্নতি করতে বিপিএল কিংবা এমন টুর্নামেন্টের প্রয়োজন কতটা অনুভব করেন?
নাহিদা: অবশ্যই এটা নিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) চিন্তা করছে। ভারতের ক্রিকেটের সঙ্গে আমাদের ক্রিকেটের তুলনা কখনো সম্ভব নয়। তবু বলব, ক্রিকেট বোর্ড যথেষ্ট চেষ্টা করছে, তারা আমাদের আশ্বাস দিয়েছে, সামনে হয়তো এ রকম কোনো টুর্নামেন্ট হতে পারে। আমরা আশাবাদী, আমরা এই টুর্নামেন্টটা খেলতে পারব। আমার বিশ্বাস, আমাদের দল এখন যেভাবে খেলছে, তখন হয়তো আরও ভালো ক্রিকেট খেলব।
প্রশ্ন: ধারাবাহিক সাফল্যের পরও মাঝে নারী দলের পাঁচ মাসের বেতন আটকে থাকল। এটা কতটা দুঃখজনক?
নাহিদা: এ ব্যাপারে কিছু বলতে চাই না। বোর্ড তো বেতন দিয়ে দিয়েছে পরে। কোনো না কোনো সমস্যা হয়তো হয়েছিল।
প্রশ্ন: উইমেন্স চ্যাম্পিয়নশিপে ভালো করে সরাসরি বিশ্বকাপ খেলতে কতটা আত্মবিশ্বাসী?
নাহিদা: আমাদের লক্ষ্য সরাসরি বিশ্বকাপ খেলতে চাই। ওভাবেই আমরা খেলছি। সবার চিন্তাভাবনা হচ্ছে, বাছাইপর্ব যেন না খেলা লাগে, সরাসরি যেন বিশ্বকাপ খেলতে পারি। আমাদের আরও অনেক সিরিজ আছে, আমরা চেষ্টা করব সিরিজ ধরে ধরে এগোতে।
প্রশ্ন: ২৩ বছর বয়সেই বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি, ক্যারিয়ার শেষে কত উইকেট দেখতে চান নিজের নামের পাশে?
নাহিদা আক্তার: এটা এখন বলা কঠিন। সব সময় চেষ্টা করি দলে অবদান রাখতে। দলের হয়ে খেলতে পারছি, এটা আমার কাছে অনেক গর্বের ব্যাপার। আসলে ২০০-৩০০ উইকেট...এসব নিয়ে চিন্তা করি না। যতটুকু সম্ভব ক্যারিয়ারটা বড় করতে চাই, যেন ভালো খেলে যেতে পারি। দেশের হয়ে খেলার চেয়ে বড় গর্বের কিছু হতে পারে না।
প্রশ্ন: গত দুই বছরে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে নিয়েছেন ৭৪ উইকেট। এই পরিসংখ্যানে আপনার ধারেকাছেও বাংলাদেশের আর কোনো বোলার নেই। অথচ এর আগের ছয় বছরে উইকেট ছিল মাত্র ৬৩টি। নিজের কোথায় বেশি পরিবর্তন করেছেন এই সাফল্যে?
নাহিদা: আমাদের দল যখন আইসিসির এফটিপিতে ঢুকে যায়, তখন থেকে আমরা অনেক ম্যাচ খেলার সুযোগ পাচ্ছি। আগে এত ম্যাচ খেলার সুযোগ ছিল না। সেদিক থেকে চিন্তা করলে এটার একটা প্রভাব আছে। আর যদি পরিবর্তনের কথা বলেন, সবারই একটা লক্ষ্য থাকে—না, আরও যদি সিরিয়াস হওয়া যায়, বেশি ম্যাচ খেলা যায়, আমার পরিকল্পনা সেরকমই ছিল। নিজের বোলিং লাইন-লেংথ কতটুকু ভালো রাখা যায়, বোলিংয়ে কতটা উন্নতি করা যায়, এসব নিয়ে কাজ করেছি।
প্রশ্ন: এ বছর বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি হয়েছেন এবং বাংলাদেশের প্রথম নারী ক্রিকেটার হিসেবে আইসিসির মাসসেরা হয়েছেন। আপনার ক্যারিয়ারের ২০২৩ সালকে কোথায় রাখবেন?
নাহিদা: আমাদের অনেক ভালো একটা বছর কেটেছে। ২০২৩ সালটা আমার জন্য অনেক ভালো গেছে, দোয়া করবেন যেন প্রতিটি বছর এভাবে যায় (হাসি)। দেশের হয়ে খেলছি, আমার কাছে এটাই অনেক গর্বের ব্যাপার। আমাকে সিনিয়র ক্রিকেটার সালমা, রুমানা, জাহানারা আপু সব সময় সমর্থন করেছে। তাদের সমর্থনেই আজ এই জায়গায় আসতে পেরেছি। তাঁরা যদি আমাকে ভালো পরামর্শ না দিতেন, এই জায়গায় আসতে পারতাম না।
প্রশ্ন: এ বছর ধারাবাহিক সাফল্যের রহস্য কী?
নাহিদা: আপনি যত বেশি ম্যাচ খেলবেন, তত বেশি অভিজ্ঞ হবেন। বললেন না, আমি গত দুই বছর অনেক উইকেট পেয়েছি। কীভাবে? অবশ্যই আমি ম্যাচ বেশি খেলেছি, অভিজ্ঞতা বেড়েছে। ওটাই হচ্ছে, আমরা এখন ম্যাচ খেলছি, অভিজ্ঞতা বাড়ছে। জুনিয়র যারা আছে, তারাও ধীরে ধীরে ভালো করছে। এখান থেকেই আসলে আমদের পরিবর্তন। আরেকটা ব্যাপার, আমরা একজনের সাফল্যে আরেকজন উৎসাহিত হচ্ছি। আমাদের দলের বন্ধন আগের চেয়ে অনেক ভালো। দল হিসেবে পারফরম্যান্স করছে।
প্রশ্ন: বাংলাদেশ নারী দলের আইসিসির মাসসেরা প্রথম ক্রিকেটার হওয়ার আনন্দটা এখনো কি কাজ করছে মনে?
নাহিদা: এটা দারুণ অনুভূতি। একটা ভালো অর্জন সবারই ভালো লাগে। এই অর্জনের পেছনে আমার সতীর্থ-কোচদের অবদান আছে। সবার সমর্থনেই আমার এই অর্জন।
প্রশ্ন: বছরটা দারুণ কেটেছে দলের। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তাদের মাঠে প্রথমবারের মতো ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি জিতলেন। কিন্তু জয় দিয়ে শুরু করেও সিরিজ জেতা হলো না। কোথায় খেই হারিয়েছিল বাংলাদেশ?
নাহিদা: আমরা খুব ভালো খেলেছি। বিগত দিনে দেশের বাইরে রেকর্ড আমাদের অত ভালো ছিল না। আমাদের লক্ষ্য ছিল এবার যেন ভালো কিছু করতে পারি। ভালো ছন্দে ছিলাম, পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ জিতেছি, আমাদের ওই আত্মবিশ্বাস ছিল। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দল ভালো একটা অবস্থায় এসেছে। সবাই বলেছে, দলের রান বেশি হচ্ছে না, ফর্মে নেই। কিন্তু আমাদের ব্যাটাররা সেখানে ভালো করেছে, ফর্মে ফিরেছে। পিংকির সেঞ্চুরি, মুরশিদার ৯০ রানের একটা ইনিংস। অধিনায়কেরও ভালো অবদান ছিল। এটাও আমাদের একটা অর্জন। আমরা কিন্তু টি-টোয়েন্টি সিরিজ ১-১ সমতায় শেষ করেছি। প্রথম দুই ওয়ানডে অসাধারণ খেলেছি। শেষ ম্যাচ দ্রুত অলআউট হয়েছি, হতেই পারে। সব মিলিয়ে বলব, আমরা ভালো খেলেছি।
প্রশ্ন: দ্বিতীয় ওয়ানডেতে আর ২০-৩০ রান বেশি হলেই তো ম্যাচটা অন্যরকম হয়ে যেত। নারী দলের ব্যাটারদের সব সময় কম স্ট্রাইকরেটে ব্যাটিং নিয়ে সমালোচনা হয়। কেউ কেউ বলেন, এটা স্কিলের সমস্যা। এই সমস্যা কাটিয়ে উঠতে কী করণীয়?
নাহিদা: সবাই এ কথাটা বলে। আগে থেকে অনেক উন্নতি করেছি আমরা এই জায়গায়। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে আমরা প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে ২৫০ রান করেছি। তখন কিন্তু এ রকম কথা আসেনি। অনেক সময় উইকেটের আচরণও সেরকম থাকে। সে অনুযায়ী ব্যাটিং করতে হয়। সব সময় যে ২৪০-২৫০ রান হবে, সেটাও না। এসব বিবেচনায় এই সিরিজে আমাদের ব্যাটাররা অনেক ভালো খেলেছে।
প্রশ্ন: টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার তিন বছর হতে চলল। মেয়েদের টেস্ট ক্রিকেট শুরু করতে বিসিবি আরও সময় নেওয়ার পক্ষে। আপনিও তা-ই মনে করেন?
নাহিদা: সব ক্রিকেটারেরই স্বপ্ন থাকে টেস্ট ক্রিকেট খেলার। কিন্তু টেস্ট খেলার আগে নিজেদের প্রস্তুত করতে হবে। তা না হলে চার দিন খেলতে পারব না। এর জন্য ঘরোয়া লিগে ভালো খেলতে হবে। বিসিবি গত মৌসুমে আমাদের দুই দিনের ম্যাচ দিয়েছে। এভাবেই আমরা এগোচ্ছি। আমরা ফিট হয়ে তারপর টেস্ট খেলব।
প্রশ্ন: বাংলাদেশ দলে এখনো স্পিনারদেরই দাপট। পুরুষ দলের মতো নারী দলেও কবে দেখা যেতে পারে পেস বিপ্লব?
নাহিদা: অবশ্যই আমাদের পেসাররা ভালো করছে। একসঙ্গে এত উন্নতি চাইলে হবে না। ধীরে ধীরে আমাদের এগোতে হবে। এখন আগের চেয়ে ভালো ক্রিকেট খেলছি। ব্যাটাররা ভালো করছে, বোলাররা ভালো করছে। আমি বলব, স্পিনারদের সঙ্গে পেসাররা অনেক সাপোর্ট দিচ্ছে। পেসাররা অনেক দিন ধরে খুব ভালো পরিশ্রম করছে। আমি বিশ্বাস করি, আমাদের পেসাররা একদিন বাংলাদেশ ক্রিকেটে রাজত্ব করবে।
প্রশ্ন: অনেক দেশেই মেয়েদের টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট আছে। ভারতে মেয়েদের আইপিএল যথেষ্ট জমজমাট। টি-টোয়েন্টি সংস্করণে আরও উন্নতি করতে বিপিএল কিংবা এমন টুর্নামেন্টের প্রয়োজন কতটা অনুভব করেন?
নাহিদা: অবশ্যই এটা নিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) চিন্তা করছে। ভারতের ক্রিকেটের সঙ্গে আমাদের ক্রিকেটের তুলনা কখনো সম্ভব নয়। তবু বলব, ক্রিকেট বোর্ড যথেষ্ট চেষ্টা করছে, তারা আমাদের আশ্বাস দিয়েছে, সামনে হয়তো এ রকম কোনো টুর্নামেন্ট হতে পারে। আমরা আশাবাদী, আমরা এই টুর্নামেন্টটা খেলতে পারব। আমার বিশ্বাস, আমাদের দল এখন যেভাবে খেলছে, তখন হয়তো আরও ভালো ক্রিকেট খেলব।
প্রশ্ন: ধারাবাহিক সাফল্যের পরও মাঝে নারী দলের পাঁচ মাসের বেতন আটকে থাকল। এটা কতটা দুঃখজনক?
নাহিদা: এ ব্যাপারে কিছু বলতে চাই না। বোর্ড তো বেতন দিয়ে দিয়েছে পরে। কোনো না কোনো সমস্যা হয়তো হয়েছিল।
প্রশ্ন: উইমেন্স চ্যাম্পিয়নশিপে ভালো করে সরাসরি বিশ্বকাপ খেলতে কতটা আত্মবিশ্বাসী?
নাহিদা: আমাদের লক্ষ্য সরাসরি বিশ্বকাপ খেলতে চাই। ওভাবেই আমরা খেলছি। সবার চিন্তাভাবনা হচ্ছে, বাছাইপর্ব যেন না খেলা লাগে, সরাসরি যেন বিশ্বকাপ খেলতে পারি। আমাদের আরও অনেক সিরিজ আছে, আমরা চেষ্টা করব সিরিজ ধরে ধরে এগোতে।

মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় টেস্টে ড্র করার দারুণ এক সম্ভাবনা ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের। হাতে ১০ উইকেট নিয়ে আজ শেষ দিনে পুরো ৯০ ওভার কাটিয়ে দিতে পারলেই হতো। কিন্তু ব্যাটারদের বাজে পারফরম্যান্সে ৩২৩ রানে হেরে যায় উইন্ডিজ। বিশাল এই জয়ের পর এগিয়েছে নিউজিল্যান্ড।
২৭ মিনিট আগে
টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নিয়ে এখন কেবল ভারতের হয়ে ওয়ানডে খেলছেন রোহিত শর্মা। এই সংস্করণ থেকে কবে অবসর নেবেন সেটা নিয়েও আলোচনার শেষ নেই। তবে তারকা ব্যাটার জানালেন, এখনই অবসরের পরিকল্পনা করছেন না তিনি।
১ ঘণ্টা আগে
ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ এখন নামেমাত্রই ‘হাইভোল্টেজ’ ম্যাচ। বেশির ভাগ ম্যাচই হয় একতরফা আর এসব পানসে ম্যাচগুলোতে ভারতের জয় একরকম অনুমিত। কিন্তু গতকাল দুবাইয়ের আইসিসি একাডেমিতে পাশার দান উল্টে দিল পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দল। দেশটির জুনিয়র ক্রিকেটাররা পাবেন মোটা অঙ্কের টাকা অর্থ পুরস্কার।
২ ঘণ্টা আগে
অ্যাশেজে মাঠের লড়াইয়ে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে পেরে উঠছে না ইংল্যান্ড। কিন্তু প্রায় দেড়শ বছর ব্যাপী এই টেস্ট সিরিজে আলাপ-আলোচনা না থেকে কি পারে! দুই দলের মাঠের পারফরম্যান্স ছাপিয়ে প্রশ্ন উঠেছে আম্পায়ারিং নিয়ে। অস্ট্রেলিয়ার বাঁহাতি পেসার মিচেল স্টার্ক আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থাকে (আইসিসি) খোঁচা মেরেছেন।
২ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় টেস্টে ড্র করার দারুণ এক সম্ভাবনা ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের। হাতে ১০ উইকেট নিয়ে আজ শেষ দিনে পুরো ৯০ ওভার কাটিয়ে দিতে পারলেই হতো। কিন্তু ব্যাটারদের বাজে পারফরম্যান্সে ৩২৩ রানে হেরে যায় উইন্ডিজ। বিশাল এই জয়ের পর এগিয়েছে নিউজিল্যান্ড।
রানের বিচারে মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে এবারের ৩২৩ রানের জয়টাই টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে নিউজিল্যান্ডের সর্বোচ্চ। রেকর্ড জয়ের পর ২০২৫-২৭ চক্রের পয়েন্ট টেবিলে দক্ষিণ আফ্রিকাকে টপকে পয়েন্ট টেবিলের দু্ইয়ে উঠে এল নিউজিল্যান্ড। কিউইদের সাফল্যের হার ৭৭.৭৮। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আজ শেষ হওয়া তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ২-০ ব্যবধানে জিতেছে ব্ল্যাকক্যাপসরা। তিনে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকার সাফল্যের হার ৭৫। গত মাসে ভারতকে তাদের মাঠে টেস্ট সিরিজে ২-০ ব্যবধানে ধবলধোলাই করে প্রোটিয়ারা। অক্টোবরে পাকিস্তানের বিপক্ষে ১-১ সমতায় টেস্ট সিরিজ ড্র করে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। ৯ দলের মধ্যে বাংলাদেশ অবস্থান করছে আট নম্বরে।
২০২৫-২৭ টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ চক্রে অস্ট্রেলিয়ার জয়রথ ছুটছে পাগলা ঘোড়ার মতো। এখন পর্যন্ত খেলা ছয় ম্যাচের ছয়টিতে জিতে শতভাগ সাফল্য নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে অজিরা। জুন-জুলাইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে টেস্ট সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে ধবলধোলাই করে অস্ট্রেলিয়া। এবার চলমান অ্যাশেজে তিন ম্যাচের তিনটিতেই জিতেছে অজিরা। পার্থ, ব্রিসবেন, অ্যাডিলেড—কোথাও অজিদের কাছে পাত্তা পায়নি ইংল্যান্ড। পয়েন্ট টেবিলে বাংলাদেশের নিচে অবস্থান করছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৯ দলের মধ্যে ৯ নম্বরে থাকা উইন্ডিজের সাফল্যের হার ৪.১৭। ক্রাইস্টচার্চে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে বীরত্বপূর্ণ ড্র ছাড়া আর কোনো অর্জন নেই ক্যারিবীয়দের।
চলমান টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ চক্রের চার থেকে ছয়ে অবস্থান করছে এশিয়ার তিন দল। চার, পাঁচ ও ছয়ে থাকা শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান ও ভারতের সাফল্যের হার ৬৬.৬৭, ৫০ ও ৪৮.১৫। ভারত ও বাংলাদেশের মাঝে অবস্থান করছে ইংল্যান্ড। সাত নম্বরে থাকা ইংল্যান্ডের সাফল্যের হার ২৭.০৮। ঘরের মাঠে এ বছরের জুন-আগস্টে ইংল্যান্ড ঘরের মাঠে পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ২-২ ব্যবধানে ড্র করে ভারতের বিপক্ষে। দুই ম্যাচ আগে অ্যাশেজ খোয়ানোর ফলে আরও বেকায়দায় পড়েছে ইংলিশরা।

বাংলাদেশ এ বছরের নভেম্বরে ঘরের মাঠে আয়ারল্যান্ডকে টেস্ট সিরিজে ২-০ ব্যবধানে ধবলধোলাই করে। মুশফিকুর রহিম তাঁর ক্যারিয়ারের শততম টেস্টে রেকর্ড সেঞ্চুরি করে ম্যাচসেরা হয়েছেন। তবে বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড টেস্ট সিরিজ টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অন্তর্ভুক্ত নয়। এই চক্রে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জুনে ২ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ বাংলাদেশ হেরেছে ১-০ ব্যবধানে। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ২০১৯-২১, ২০২১-২৩ চক্রে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া। এই দুইবারই রানার্সআপ হয়েছে। সবশেষ ২০২৩-২৫ চক্রে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় দক্ষিণ আফ্রিকা।
২০২৫-২৭ টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট টেবিল
সাফল্যের হার পয়েন্ট ম্যাচ
অস্ট্রেলিয়া ১০০ ৭২ ৬
নিউজিল্যান্ড ৭৭.৭৮ ২৮ ৩
দক্ষিণ আফ্রিকা ৭৫ ৩৬ ৪
শ্রীলঙ্কা ৬৬.৬৭ ১৬ ২
পাকিস্তান ৫০ ১২ ২
ভারত ৪৮.১৫ ৫২ ৯
ইংল্যান্ড ২৭.০৮ ২৬ ৮
বাংলাদেশ ১৬.৬৭ ৪ ২
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৪.১৭ ৪ ৮
*২০২৫-এর ২২ ডিসেম্বর নিউজিল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজ তৃতীয় টেস্ট পর্যন্ত

মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় টেস্টে ড্র করার দারুণ এক সম্ভাবনা ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের। হাতে ১০ উইকেট নিয়ে আজ শেষ দিনে পুরো ৯০ ওভার কাটিয়ে দিতে পারলেই হতো। কিন্তু ব্যাটারদের বাজে পারফরম্যান্সে ৩২৩ রানে হেরে যায় উইন্ডিজ। বিশাল এই জয়ের পর এগিয়েছে নিউজিল্যান্ড।
রানের বিচারে মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে এবারের ৩২৩ রানের জয়টাই টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে নিউজিল্যান্ডের সর্বোচ্চ। রেকর্ড জয়ের পর ২০২৫-২৭ চক্রের পয়েন্ট টেবিলে দক্ষিণ আফ্রিকাকে টপকে পয়েন্ট টেবিলের দু্ইয়ে উঠে এল নিউজিল্যান্ড। কিউইদের সাফল্যের হার ৭৭.৭৮। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আজ শেষ হওয়া তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ২-০ ব্যবধানে জিতেছে ব্ল্যাকক্যাপসরা। তিনে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকার সাফল্যের হার ৭৫। গত মাসে ভারতকে তাদের মাঠে টেস্ট সিরিজে ২-০ ব্যবধানে ধবলধোলাই করে প্রোটিয়ারা। অক্টোবরে পাকিস্তানের বিপক্ষে ১-১ সমতায় টেস্ট সিরিজ ড্র করে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। ৯ দলের মধ্যে বাংলাদেশ অবস্থান করছে আট নম্বরে।
২০২৫-২৭ টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ চক্রে অস্ট্রেলিয়ার জয়রথ ছুটছে পাগলা ঘোড়ার মতো। এখন পর্যন্ত খেলা ছয় ম্যাচের ছয়টিতে জিতে শতভাগ সাফল্য নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে অজিরা। জুন-জুলাইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে টেস্ট সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে ধবলধোলাই করে অস্ট্রেলিয়া। এবার চলমান অ্যাশেজে তিন ম্যাচের তিনটিতেই জিতেছে অজিরা। পার্থ, ব্রিসবেন, অ্যাডিলেড—কোথাও অজিদের কাছে পাত্তা পায়নি ইংল্যান্ড। পয়েন্ট টেবিলে বাংলাদেশের নিচে অবস্থান করছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৯ দলের মধ্যে ৯ নম্বরে থাকা উইন্ডিজের সাফল্যের হার ৪.১৭। ক্রাইস্টচার্চে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে বীরত্বপূর্ণ ড্র ছাড়া আর কোনো অর্জন নেই ক্যারিবীয়দের।
চলমান টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ চক্রের চার থেকে ছয়ে অবস্থান করছে এশিয়ার তিন দল। চার, পাঁচ ও ছয়ে থাকা শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান ও ভারতের সাফল্যের হার ৬৬.৬৭, ৫০ ও ৪৮.১৫। ভারত ও বাংলাদেশের মাঝে অবস্থান করছে ইংল্যান্ড। সাত নম্বরে থাকা ইংল্যান্ডের সাফল্যের হার ২৭.০৮। ঘরের মাঠে এ বছরের জুন-আগস্টে ইংল্যান্ড ঘরের মাঠে পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ২-২ ব্যবধানে ড্র করে ভারতের বিপক্ষে। দুই ম্যাচ আগে অ্যাশেজ খোয়ানোর ফলে আরও বেকায়দায় পড়েছে ইংলিশরা।

বাংলাদেশ এ বছরের নভেম্বরে ঘরের মাঠে আয়ারল্যান্ডকে টেস্ট সিরিজে ২-০ ব্যবধানে ধবলধোলাই করে। মুশফিকুর রহিম তাঁর ক্যারিয়ারের শততম টেস্টে রেকর্ড সেঞ্চুরি করে ম্যাচসেরা হয়েছেন। তবে বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড টেস্ট সিরিজ টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অন্তর্ভুক্ত নয়। এই চক্রে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জুনে ২ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ বাংলাদেশ হেরেছে ১-০ ব্যবধানে। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ২০১৯-২১, ২০২১-২৩ চক্রে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া। এই দুইবারই রানার্সআপ হয়েছে। সবশেষ ২০২৩-২৫ চক্রে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় দক্ষিণ আফ্রিকা।
২০২৫-২৭ টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট টেবিল
সাফল্যের হার পয়েন্ট ম্যাচ
অস্ট্রেলিয়া ১০০ ৭২ ৬
নিউজিল্যান্ড ৭৭.৭৮ ২৮ ৩
দক্ষিণ আফ্রিকা ৭৫ ৩৬ ৪
শ্রীলঙ্কা ৬৬.৬৭ ১৬ ২
পাকিস্তান ৫০ ১২ ২
ভারত ৪৮.১৫ ৫২ ৯
ইংল্যান্ড ২৭.০৮ ২৬ ৮
বাংলাদেশ ১৬.৬৭ ৪ ২
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৪.১৭ ৪ ৮
*২০২৫-এর ২২ ডিসেম্বর নিউজিল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজ তৃতীয় টেস্ট পর্যন্ত

বয়স তাঁর ২৩। এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আট বছর কাটিয়ে দেওয়া নাহিদা আক্তারের ২০২৩ সালটা গেল সোনার ফ্রেমে বাঁধিয়ে রাখার মতো। এ বছরই তিনি হয়েছেন বাংলাদেশ নারী ক্রিকেটে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি। বাংলাদেশের প্রথম নারী ক্রিকেটার হিসেবে নভেম্বরে আইসিসির মাসসেরা হয়েছেন তিনি। কিশোরগঞ্জের নাহিদা যেন গত দুই ব
২৭ ডিসেম্বর ২০২৩
টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নিয়ে এখন কেবল ভারতের হয়ে ওয়ানডে খেলছেন রোহিত শর্মা। এই সংস্করণ থেকে কবে অবসর নেবেন সেটা নিয়েও আলোচনার শেষ নেই। তবে তারকা ব্যাটার জানালেন, এখনই অবসরের পরিকল্পনা করছেন না তিনি।
১ ঘণ্টা আগে
ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ এখন নামেমাত্রই ‘হাইভোল্টেজ’ ম্যাচ। বেশির ভাগ ম্যাচই হয় একতরফা আর এসব পানসে ম্যাচগুলোতে ভারতের জয় একরকম অনুমিত। কিন্তু গতকাল দুবাইয়ের আইসিসি একাডেমিতে পাশার দান উল্টে দিল পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দল। দেশটির জুনিয়র ক্রিকেটাররা পাবেন মোটা অঙ্কের টাকা অর্থ পুরস্কার।
২ ঘণ্টা আগে
অ্যাশেজে মাঠের লড়াইয়ে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে পেরে উঠছে না ইংল্যান্ড। কিন্তু প্রায় দেড়শ বছর ব্যাপী এই টেস্ট সিরিজে আলাপ-আলোচনা না থেকে কি পারে! দুই দলের মাঠের পারফরম্যান্স ছাপিয়ে প্রশ্ন উঠেছে আম্পায়ারিং নিয়ে। অস্ট্রেলিয়ার বাঁহাতি পেসার মিচেল স্টার্ক আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থাকে (আইসিসি) খোঁচা মেরেছেন।
২ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নিয়ে এখন কেবল ভারতের হয়ে ওয়ানডে খেলছেন রোহিত শর্মা। এই সংস্করণ থেকে কবে অবসর নেবেন সেটা নিয়েও আলোচনার শেষ নেই। তবে তারকা ব্যাটার জানালেন, এখনই অবসরের পরিকল্পনা করছেন না তিনি।
ব্যাট হাতে ২০২৫ সালটা দারুণ গেছে রোহিতের। এই বছর ১৪ ম্যাচে দুটি সেঞ্চুরি ও চার ফিফটিতে করেন ৬৫০ রান। সবশেষ অস্ট্রেলিয়া সফরটা তো স্বপ্নের মতো গেছে তাঁর। ৩ ম্যাচে করেন ২০২ রান। একটি করে সেঞ্চুরি এবং ফিফটি আসে তাঁর ব্যাট থেকে। অজিদের বিপক্ষে এমন পারফরম্যান্সের পর প্রথমবারের মতো আইসিসি ওয়ানডে ব্যাটারদের র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে জায়গা করে নেন তিনি। এরপরও রোহিতের অবসর নিয়ে আলোচনার কমতি ছিল না। তবে সাবেক অধিনায়ক স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, এখনই থামতে চান না তিনি।
রোহিত বলেন, ‘আমার জীবনটা হলো অনেকটা উড়োজাহাজের মতো। শুরুটা কঠিন ছিল। কিন্তু একবার গতি পাওয়ার পর প্লেনটা যে উচ্চতায় উঠেছে সেখান থেকে আর নিচে নামেনি। প্লেনটা এখনই নিচে নামুক সেটা চাই না।’
অস্ট্রেলিয়ার কাছে ফাইনালে হেরে ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের শিরোপা হাতছাড়া করে ভারত। সে ম্যাচের পর মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন রোহিত। এমনকি ক্রিকেটই ছেড়ে দিতে চেয়েছিলেন। ধাক্কা সামলে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে বেশ সময় লেগেছে তাঁর।
এই প্রসঙ্গে রোহিত বলেন, ‘২০২৩ বিশ্বকাপ ফাইনালের পর, আমি পুরোপুরি হতাশ ছিলাম এবং অনুভব করছিলাম যে আমি আর ক্রিকেট খেলতে চাই না। কারণ এটা আমার মন ভেঙেছে এবং আমার মনে হয়েছিল আর কিছুই অবশিষ্ট নেই।’
অধিনায়ক হিসেবে এখনো বিশ্বকাপ না জেতার আফসোসে পুড়ছেন রোহিত, ‘আমার একমাত্র লক্ষ্য ছিল বিশ্বকাপ জেতা। সেটা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হোক বা ২০২৩ বিশ্বকাপ। সেটা না হওয়ায় আমি সম্পূর্ণরূপে ভেঙে পড়েছিলাম। আমার শরীরে কোনো শক্তি অবশিষ্ট ছিল না। নিজেকে সুস্থ করে তুলতে এবং আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে আমার কয়েক মাস সময় লেগেছে।’
২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনাল হেরে রোহিতের মতো দলের বাকি সদস্যরাও বেশ হতাশ হয়ে পড়েছিল। রোহিত বলেন, ‘সবাই অত্যন্ত হতাশ হয়ে পড়েছিল। আমরা বিশ্বাস করতে পারিনি যে কী হয়েছে। ব্যক্তিগতভাবে এটা ছিল আমার জন্য খুব কঠিন সময়। কারণ আমি বিশ্বকাপ জেতার জন্য আমার চেষ্টার কমতি ছিল না। ২০২২ সালে অধিনায়কত্ব গ্রহণের পর থেকেই আমি এই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছিলাম।’

টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নিয়ে এখন কেবল ভারতের হয়ে ওয়ানডে খেলছেন রোহিত শর্মা। এই সংস্করণ থেকে কবে অবসর নেবেন সেটা নিয়েও আলোচনার শেষ নেই। তবে তারকা ব্যাটার জানালেন, এখনই অবসরের পরিকল্পনা করছেন না তিনি।
ব্যাট হাতে ২০২৫ সালটা দারুণ গেছে রোহিতের। এই বছর ১৪ ম্যাচে দুটি সেঞ্চুরি ও চার ফিফটিতে করেন ৬৫০ রান। সবশেষ অস্ট্রেলিয়া সফরটা তো স্বপ্নের মতো গেছে তাঁর। ৩ ম্যাচে করেন ২০২ রান। একটি করে সেঞ্চুরি এবং ফিফটি আসে তাঁর ব্যাট থেকে। অজিদের বিপক্ষে এমন পারফরম্যান্সের পর প্রথমবারের মতো আইসিসি ওয়ানডে ব্যাটারদের র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে জায়গা করে নেন তিনি। এরপরও রোহিতের অবসর নিয়ে আলোচনার কমতি ছিল না। তবে সাবেক অধিনায়ক স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, এখনই থামতে চান না তিনি।
রোহিত বলেন, ‘আমার জীবনটা হলো অনেকটা উড়োজাহাজের মতো। শুরুটা কঠিন ছিল। কিন্তু একবার গতি পাওয়ার পর প্লেনটা যে উচ্চতায় উঠেছে সেখান থেকে আর নিচে নামেনি। প্লেনটা এখনই নিচে নামুক সেটা চাই না।’
অস্ট্রেলিয়ার কাছে ফাইনালে হেরে ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের শিরোপা হাতছাড়া করে ভারত। সে ম্যাচের পর মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন রোহিত। এমনকি ক্রিকেটই ছেড়ে দিতে চেয়েছিলেন। ধাক্কা সামলে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে বেশ সময় লেগেছে তাঁর।
এই প্রসঙ্গে রোহিত বলেন, ‘২০২৩ বিশ্বকাপ ফাইনালের পর, আমি পুরোপুরি হতাশ ছিলাম এবং অনুভব করছিলাম যে আমি আর ক্রিকেট খেলতে চাই না। কারণ এটা আমার মন ভেঙেছে এবং আমার মনে হয়েছিল আর কিছুই অবশিষ্ট নেই।’
অধিনায়ক হিসেবে এখনো বিশ্বকাপ না জেতার আফসোসে পুড়ছেন রোহিত, ‘আমার একমাত্র লক্ষ্য ছিল বিশ্বকাপ জেতা। সেটা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হোক বা ২০২৩ বিশ্বকাপ। সেটা না হওয়ায় আমি সম্পূর্ণরূপে ভেঙে পড়েছিলাম। আমার শরীরে কোনো শক্তি অবশিষ্ট ছিল না। নিজেকে সুস্থ করে তুলতে এবং আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে আমার কয়েক মাস সময় লেগেছে।’
২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনাল হেরে রোহিতের মতো দলের বাকি সদস্যরাও বেশ হতাশ হয়ে পড়েছিল। রোহিত বলেন, ‘সবাই অত্যন্ত হতাশ হয়ে পড়েছিল। আমরা বিশ্বাস করতে পারিনি যে কী হয়েছে। ব্যক্তিগতভাবে এটা ছিল আমার জন্য খুব কঠিন সময়। কারণ আমি বিশ্বকাপ জেতার জন্য আমার চেষ্টার কমতি ছিল না। ২০২২ সালে অধিনায়কত্ব গ্রহণের পর থেকেই আমি এই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছিলাম।’

বয়স তাঁর ২৩। এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আট বছর কাটিয়ে দেওয়া নাহিদা আক্তারের ২০২৩ সালটা গেল সোনার ফ্রেমে বাঁধিয়ে রাখার মতো। এ বছরই তিনি হয়েছেন বাংলাদেশ নারী ক্রিকেটে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি। বাংলাদেশের প্রথম নারী ক্রিকেটার হিসেবে নভেম্বরে আইসিসির মাসসেরা হয়েছেন তিনি। কিশোরগঞ্জের নাহিদা যেন গত দুই ব
২৭ ডিসেম্বর ২০২৩
মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় টেস্টে ড্র করার দারুণ এক সম্ভাবনা ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের। হাতে ১০ উইকেট নিয়ে আজ শেষ দিনে পুরো ৯০ ওভার কাটিয়ে দিতে পারলেই হতো। কিন্তু ব্যাটারদের বাজে পারফরম্যান্সে ৩২৩ রানে হেরে যায় উইন্ডিজ। বিশাল এই জয়ের পর এগিয়েছে নিউজিল্যান্ড।
২৭ মিনিট আগে
ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ এখন নামেমাত্রই ‘হাইভোল্টেজ’ ম্যাচ। বেশির ভাগ ম্যাচই হয় একতরফা আর এসব পানসে ম্যাচগুলোতে ভারতের জয় একরকম অনুমিত। কিন্তু গতকাল দুবাইয়ের আইসিসি একাডেমিতে পাশার দান উল্টে দিল পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দল। দেশটির জুনিয়র ক্রিকেটাররা পাবেন মোটা অঙ্কের টাকা অর্থ পুরস্কার।
২ ঘণ্টা আগে
অ্যাশেজে মাঠের লড়াইয়ে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে পেরে উঠছে না ইংল্যান্ড। কিন্তু প্রায় দেড়শ বছর ব্যাপী এই টেস্ট সিরিজে আলাপ-আলোচনা না থেকে কি পারে! দুই দলের মাঠের পারফরম্যান্স ছাপিয়ে প্রশ্ন উঠেছে আম্পায়ারিং নিয়ে। অস্ট্রেলিয়ার বাঁহাতি পেসার মিচেল স্টার্ক আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থাকে (আইসিসি) খোঁচা মেরেছেন।
২ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ এখন নামেমাত্রই ‘হাইভোল্টেজ’ ম্যাচ। বেশির ভাগ ম্যাচই হয় একতরফা আর এসব পানসে ম্যাচগুলোতে ভারতের জয় একরকম অনুমিত। কিন্তু গতকাল দুবাইয়ের আইসিসি একাডেমিতে পাশার দান উল্টে দিল পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দল। দেশটির জুনিয়র ক্রিকেটাররা পাবেন মোটা অঙ্কের টাকা অর্থ পুরস্কার।
দুবাই শেষে সামির মিনহাস, ফারহান ইউসাফ, হুসাইফা হাসানরা আজ বীরের বেশে দেশে ফিরেছেন। ইসলামাবাদ বিমানবন্দরে রাজকীয় বরণ করা হয়েছে পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের। সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে দেখা গেছে, অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ট্রফি হাতে বের হচ্ছেন পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা। ছাদখোলা বাসে যখন চ্যাম্পিয়ন পাকিস্তান দল ভ্রমণ করছে, তখন ভক্ত-সমর্থকেরা তাঁদের উদ্দেশে ফুল ছিটিয়েছেন। চ্যাম্পিয়ন ক্রিকেটারদের দেখতে অনেকে উট ভাড়া করে এসেছেন। শিরোপা জয়ের আনন্দে সানাই বাজিয়েছেন ভক্ত-সমর্থকেরা। হিন্দুস্তান টাইমস, টাইমস অব ইন্ডিয়া, এনডিটিভিসহ দেশটির বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) সভাপতি মহসিন নাকভি পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের প্রত্যেক ক্রিকেটারদের জন্য ৫০ লাখ পাকিস্তানি রুপি অর্থ পুরস্কার ঘোষণা করেছেন। বাংলাদেশি মুদ্রায় সেটা ২১ লাখ ৮৩ হাজার টাকা।
নাকভি একই সঙ্গে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) চেয়ারম্যানও। অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ জয়কে দেশটির ইতিহাসে অন্যতম সেরা জয় বলে ঘোষণা করেছেন। দেশটির বয়সভিত্তিক ক্রিকেট আড়ালে চলে গেলেও ভারতের বিপক্ষে জয়ের পর এক রকম পুনর্জন্ম হয়েছে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ চ্যাম্পিয়ন অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ক্রিকেটারদের জন্য বিশাল এক অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করবেন বলে ভারতের বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে জানা গেছে।
অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের শিরোপা পাকিস্তান এর আগে একবারই জিতেছিল। ২০১২ সালে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের বিপক্ষে যুগ্মভাবে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল পাকিস্তান। ১৩ বছর পর এবার আর শিরোপা ভাগাভাগি করতে হয়নি ভারত-পাকিস্তানকে। দুবাইয়ে আইসিসি একাডেমি মাঠে ভারতকে ১৯১ রানে হারিয়ে নিজেদের ইতিহাসে দ্বিতীয়বার অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের শিরোপা জিতল পাকিস্তান। ম্যাচসেরা, সিরিজসেরা দুটি পুরস্কারই পেয়েছেন সামির মিনহাস। শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে ১১৩ বলে ১৭ চার ও ৯ ছক্কায় করেছেন ১৭২ রান। ৫ ম্যাচে ২ সেঞ্চুরি ও ১ ফিফটিতে ৪৭১ রান করে ২০২৫ অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক তিনি।
দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে এ বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর পাকিস্তানকে ৫ উইকেটে হারিয়ে এশিয়া কাপের শিরোপা জিতেছিল ভারত। সেবার সূর্যকুমার যাদবের নেতৃত্বাধীন ভারত এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) প্রধান মহসিন নাকভির কাছ থেকে শিরোপা নেয়নি। প্রায় তিন মাস পর গতকাল দুবাইয়ের আইসিসি একাডেমিতে পরাজিত ভারতকে রানার্সআপ পদক দিতে যান নাকভি। ভারতীয় ক্রিকেটাররা তাঁর কাছ থেকে পদক গ্রহণ করেননি। বৈভব সূর্যবংশী, আয়ুশ মাত্রে, কিষাণ সিংরা রানার্সআপ পদক নিয়েছেন মুবাশশির উসমানির কাছ থেকে। উসমানি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থার (আইসিসি) সহযোগী সদস্য দেশগুলোর বোর্ড পরিচালক। একই সঙ্গে আমিরাত ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বেও আছেন তিনি।

ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ এখন নামেমাত্রই ‘হাইভোল্টেজ’ ম্যাচ। বেশির ভাগ ম্যাচই হয় একতরফা আর এসব পানসে ম্যাচগুলোতে ভারতের জয় একরকম অনুমিত। কিন্তু গতকাল দুবাইয়ের আইসিসি একাডেমিতে পাশার দান উল্টে দিল পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দল। দেশটির জুনিয়র ক্রিকেটাররা পাবেন মোটা অঙ্কের টাকা অর্থ পুরস্কার।
দুবাই শেষে সামির মিনহাস, ফারহান ইউসাফ, হুসাইফা হাসানরা আজ বীরের বেশে দেশে ফিরেছেন। ইসলামাবাদ বিমানবন্দরে রাজকীয় বরণ করা হয়েছে পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের। সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে দেখা গেছে, অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ট্রফি হাতে বের হচ্ছেন পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা। ছাদখোলা বাসে যখন চ্যাম্পিয়ন পাকিস্তান দল ভ্রমণ করছে, তখন ভক্ত-সমর্থকেরা তাঁদের উদ্দেশে ফুল ছিটিয়েছেন। চ্যাম্পিয়ন ক্রিকেটারদের দেখতে অনেকে উট ভাড়া করে এসেছেন। শিরোপা জয়ের আনন্দে সানাই বাজিয়েছেন ভক্ত-সমর্থকেরা। হিন্দুস্তান টাইমস, টাইমস অব ইন্ডিয়া, এনডিটিভিসহ দেশটির বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) সভাপতি মহসিন নাকভি পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের প্রত্যেক ক্রিকেটারদের জন্য ৫০ লাখ পাকিস্তানি রুপি অর্থ পুরস্কার ঘোষণা করেছেন। বাংলাদেশি মুদ্রায় সেটা ২১ লাখ ৮৩ হাজার টাকা।
নাকভি একই সঙ্গে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) চেয়ারম্যানও। অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ জয়কে দেশটির ইতিহাসে অন্যতম সেরা জয় বলে ঘোষণা করেছেন। দেশটির বয়সভিত্তিক ক্রিকেট আড়ালে চলে গেলেও ভারতের বিপক্ষে জয়ের পর এক রকম পুনর্জন্ম হয়েছে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ চ্যাম্পিয়ন অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ক্রিকেটারদের জন্য বিশাল এক অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করবেন বলে ভারতের বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে জানা গেছে।
অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের শিরোপা পাকিস্তান এর আগে একবারই জিতেছিল। ২০১২ সালে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের বিপক্ষে যুগ্মভাবে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল পাকিস্তান। ১৩ বছর পর এবার আর শিরোপা ভাগাভাগি করতে হয়নি ভারত-পাকিস্তানকে। দুবাইয়ে আইসিসি একাডেমি মাঠে ভারতকে ১৯১ রানে হারিয়ে নিজেদের ইতিহাসে দ্বিতীয়বার অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের শিরোপা জিতল পাকিস্তান। ম্যাচসেরা, সিরিজসেরা দুটি পুরস্কারই পেয়েছেন সামির মিনহাস। শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে ১১৩ বলে ১৭ চার ও ৯ ছক্কায় করেছেন ১৭২ রান। ৫ ম্যাচে ২ সেঞ্চুরি ও ১ ফিফটিতে ৪৭১ রান করে ২০২৫ অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক তিনি।
দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে এ বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর পাকিস্তানকে ৫ উইকেটে হারিয়ে এশিয়া কাপের শিরোপা জিতেছিল ভারত। সেবার সূর্যকুমার যাদবের নেতৃত্বাধীন ভারত এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) প্রধান মহসিন নাকভির কাছ থেকে শিরোপা নেয়নি। প্রায় তিন মাস পর গতকাল দুবাইয়ের আইসিসি একাডেমিতে পরাজিত ভারতকে রানার্সআপ পদক দিতে যান নাকভি। ভারতীয় ক্রিকেটাররা তাঁর কাছ থেকে পদক গ্রহণ করেননি। বৈভব সূর্যবংশী, আয়ুশ মাত্রে, কিষাণ সিংরা রানার্সআপ পদক নিয়েছেন মুবাশশির উসমানির কাছ থেকে। উসমানি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থার (আইসিসি) সহযোগী সদস্য দেশগুলোর বোর্ড পরিচালক। একই সঙ্গে আমিরাত ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বেও আছেন তিনি।

বয়স তাঁর ২৩। এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আট বছর কাটিয়ে দেওয়া নাহিদা আক্তারের ২০২৩ সালটা গেল সোনার ফ্রেমে বাঁধিয়ে রাখার মতো। এ বছরই তিনি হয়েছেন বাংলাদেশ নারী ক্রিকেটে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি। বাংলাদেশের প্রথম নারী ক্রিকেটার হিসেবে নভেম্বরে আইসিসির মাসসেরা হয়েছেন তিনি। কিশোরগঞ্জের নাহিদা যেন গত দুই ব
২৭ ডিসেম্বর ২০২৩
মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় টেস্টে ড্র করার দারুণ এক সম্ভাবনা ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের। হাতে ১০ উইকেট নিয়ে আজ শেষ দিনে পুরো ৯০ ওভার কাটিয়ে দিতে পারলেই হতো। কিন্তু ব্যাটারদের বাজে পারফরম্যান্সে ৩২৩ রানে হেরে যায় উইন্ডিজ। বিশাল এই জয়ের পর এগিয়েছে নিউজিল্যান্ড।
২৭ মিনিট আগে
টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নিয়ে এখন কেবল ভারতের হয়ে ওয়ানডে খেলছেন রোহিত শর্মা। এই সংস্করণ থেকে কবে অবসর নেবেন সেটা নিয়েও আলোচনার শেষ নেই। তবে তারকা ব্যাটার জানালেন, এখনই অবসরের পরিকল্পনা করছেন না তিনি।
১ ঘণ্টা আগে
অ্যাশেজে মাঠের লড়াইয়ে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে পেরে উঠছে না ইংল্যান্ড। কিন্তু প্রায় দেড়শ বছর ব্যাপী এই টেস্ট সিরিজে আলাপ-আলোচনা না থেকে কি পারে! দুই দলের মাঠের পারফরম্যান্স ছাপিয়ে প্রশ্ন উঠেছে আম্পায়ারিং নিয়ে। অস্ট্রেলিয়ার বাঁহাতি পেসার মিচেল স্টার্ক আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থাকে (আইসিসি) খোঁচা মেরেছেন।
২ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

অ্যাশেজে মাঠের লড়াইয়ে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে পেরে উঠছে না ইংল্যান্ড। কিন্তু প্রায় দেড়শ বছর ব্যাপী এই টেস্ট সিরিজে আলাপ-আলোচনা না থেকে কি পারে! দুই দলের মাঠের পারফরম্যান্স ছাপিয়ে প্রশ্ন উঠেছে আম্পায়ারিং নিয়ে। অস্ট্রেলিয়ার বাঁহাতি পেসার মিচেল স্টার্ক আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থাকে (আইসিসি) খোঁচা মেরেছেন।
আম্পায়ারের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানাতে ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম (ডিআরএস) চালু হয়েছে অনেক আগেই। ডিআরএসের এই সিস্টেমে স্নিকোমিটার, আল্ট্রা এজ নামে দুটি পদ্ধতি ব্যবহার করে থাকে আইসিসি। কোন সিরিজে কোনটি ব্যবহার করা হবে, আয়োজক ক্রিকেট বোর্ডের ওপর নির্ভর করে। ২০২৫-২৬ মৌসুমের অ্যাশেজে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া স্নিকোমিটার দিয়ে কাজ চালাচ্ছে। তবে অ্যাডিলেডে সিরিজের তৃতীয় টেস্টে স্নিকোমিটার বেশির ভাগ সময় ঠিকভাবে কাজ করেনি। সিস্টেমে গলদ থাকার কারণে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত উল্টাপাল্টা হয়েছে।
অ্যাডিলেডে গতকাল পাঁচ দিনে শেষ হওয়া অ্যাশেজের তৃতীয় টেস্টের পর স্নিকোমিটার প্রযুক্তির কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আইসিসির উদ্দেশে স্টার্ক বলেন, ‘সব দেশে একই ধরনের প্রযুক্তির ব্যবস্থা করা উচিত ও আইসিসি সেটা তত্ত্বাবধান করবে। স্নিকোর উল্টাপাল্টা আচরণ সত্যিই হতাশাজনক। দর্শক থেকে শুরু করে ম্যাচ কর্মকর্তা, সম্প্রচারক সবার জন্যই ঝামেলা। ম্যাচ কর্মকর্তারাও তো স্নিকোমিটার ব্যবহার করেন। এটার খরচ কেন আইসিসি বহন করবে না?’
অ্যাডিলেডে ক্যারি গত ১৭ ডিসেম্বর অ্যাডিলেড টেস্টের প্রথম দিনে ৭২ রানে আউট হতে পারতেন ক্যারি। ইনিংসের ৬৩তম ওভারের প্রথম বলে ক্যারির বিপক্ষে কট বিহাইন্ডের আবেদন করেন ইংলিশ পেসার জশ টাঙ। আম্পায়ার আউট না দেওয়ায় রিভিউ নেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক বেন স্টোকস। স্পাইক ধরা পড়ার পরও ক্যারিকে আউট ঘোষণা করা হয়নি। ৭২ রানে বেঁচে যাওয়া ক্যারি তৃতীয় টেস্ট সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন। ১৪৩ বলে ৮ চার ও ১ ছক্কায় অজি উইকেটরক্ষক ব্যাটার ১০৬ রান করেছেন। পরের দিন (দ্বিতীয় দিন) ইংল্যান্ডের উইকেটরক্ষক ব্যাটার জেমি স্মিথের বিপক্ষে ডিআরএস প্রযুক্তি দুইবার ভুল ডিসিশন দিয়েছে।
টানা দুই দিন স্নিকোমিটার প্রযুক্তি কাজ না করায় স্টার্ক তৎক্ষণাৎ ক্ষোভ ঝেড়েছিলেন। অস্ট্রেলিয়ার বাঁহাতি পেসার বলেছিলেন, ‘স্নিকোমিটার বাদ দেওয়া উচিত। সবচেয়ে বাজে প্রযুক্তি এটা। আগের দিনও তারা ভুল করেছে। আজ তারা আরেকটা ভুল করল।’ তাঁর এই কথা রেকর্ড হয়েছিল স্টাম্প মাইকে। টানা পাঁচবার আইসিসির বর্ষসেরা আম্পায়ারের পুরস্কার পাওয়া সাইমন টফেল তখন বলেছিলেন, ‘আম্পায়ারকে নিরপেক্ষ সিদ্ধান্ত নিতে দেখতে চাই। প্রযুক্তি অবশ্যই পাশে থাকবে। প্রযুক্তির মাধ্যমে তো সবকিছু বদলে ফেলা যাবে না।’ টফেলের মতে দুই বছর আগে আম্পায়ারের ‘সফট সিগনাল’-এর নিয়ম উঠিয়ে দিয়েই আইসিসি ভুলটা করেছে।
পার্থ, ব্রিসবেনে সিরিজের প্রথম দুই টেস্টেই ৮ উইকেটে হেরেছে ইংল্যান্ড। পার্থে সিরিজের প্রথম টেস্ট শেষ হয়েছে দুই দিনে। ব্রিসবেনে গোলাপি বলে হওয়া অ্যাশেজের দ্বিতীয় টেস্টের স্থায়িত্ব ছিল চার দিন। অ্যাডিলেডে সিরিজের তৃতীয় টেস্ট পাঁচ দিনে গড়িয়েছে ও অস্ট্রেলিয়া ৮২ রানে জিতে দুই ম্যাচ হাতে রেখেই অ্যাশেজ জিতেছে। ২৬ ডিসেম্বর মেলবোর্নে শুরু হবে চতুর্থ টেস্ট। এই টেস্ট বক্সিং ডে টেস্ট নামে পরিচিত। নতুন বছরের ৩ জানুয়ারি মাঠে গড়াবে অ্যাশেজের পঞ্চম তথা শেষ টেস্ট।

অ্যাশেজে মাঠের লড়াইয়ে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে পেরে উঠছে না ইংল্যান্ড। কিন্তু প্রায় দেড়শ বছর ব্যাপী এই টেস্ট সিরিজে আলাপ-আলোচনা না থেকে কি পারে! দুই দলের মাঠের পারফরম্যান্স ছাপিয়ে প্রশ্ন উঠেছে আম্পায়ারিং নিয়ে। অস্ট্রেলিয়ার বাঁহাতি পেসার মিচেল স্টার্ক আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থাকে (আইসিসি) খোঁচা মেরেছেন।
আম্পায়ারের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানাতে ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম (ডিআরএস) চালু হয়েছে অনেক আগেই। ডিআরএসের এই সিস্টেমে স্নিকোমিটার, আল্ট্রা এজ নামে দুটি পদ্ধতি ব্যবহার করে থাকে আইসিসি। কোন সিরিজে কোনটি ব্যবহার করা হবে, আয়োজক ক্রিকেট বোর্ডের ওপর নির্ভর করে। ২০২৫-২৬ মৌসুমের অ্যাশেজে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া স্নিকোমিটার দিয়ে কাজ চালাচ্ছে। তবে অ্যাডিলেডে সিরিজের তৃতীয় টেস্টে স্নিকোমিটার বেশির ভাগ সময় ঠিকভাবে কাজ করেনি। সিস্টেমে গলদ থাকার কারণে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত উল্টাপাল্টা হয়েছে।
অ্যাডিলেডে গতকাল পাঁচ দিনে শেষ হওয়া অ্যাশেজের তৃতীয় টেস্টের পর স্নিকোমিটার প্রযুক্তির কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আইসিসির উদ্দেশে স্টার্ক বলেন, ‘সব দেশে একই ধরনের প্রযুক্তির ব্যবস্থা করা উচিত ও আইসিসি সেটা তত্ত্বাবধান করবে। স্নিকোর উল্টাপাল্টা আচরণ সত্যিই হতাশাজনক। দর্শক থেকে শুরু করে ম্যাচ কর্মকর্তা, সম্প্রচারক সবার জন্যই ঝামেলা। ম্যাচ কর্মকর্তারাও তো স্নিকোমিটার ব্যবহার করেন। এটার খরচ কেন আইসিসি বহন করবে না?’
অ্যাডিলেডে ক্যারি গত ১৭ ডিসেম্বর অ্যাডিলেড টেস্টের প্রথম দিনে ৭২ রানে আউট হতে পারতেন ক্যারি। ইনিংসের ৬৩তম ওভারের প্রথম বলে ক্যারির বিপক্ষে কট বিহাইন্ডের আবেদন করেন ইংলিশ পেসার জশ টাঙ। আম্পায়ার আউট না দেওয়ায় রিভিউ নেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক বেন স্টোকস। স্পাইক ধরা পড়ার পরও ক্যারিকে আউট ঘোষণা করা হয়নি। ৭২ রানে বেঁচে যাওয়া ক্যারি তৃতীয় টেস্ট সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন। ১৪৩ বলে ৮ চার ও ১ ছক্কায় অজি উইকেটরক্ষক ব্যাটার ১০৬ রান করেছেন। পরের দিন (দ্বিতীয় দিন) ইংল্যান্ডের উইকেটরক্ষক ব্যাটার জেমি স্মিথের বিপক্ষে ডিআরএস প্রযুক্তি দুইবার ভুল ডিসিশন দিয়েছে।
টানা দুই দিন স্নিকোমিটার প্রযুক্তি কাজ না করায় স্টার্ক তৎক্ষণাৎ ক্ষোভ ঝেড়েছিলেন। অস্ট্রেলিয়ার বাঁহাতি পেসার বলেছিলেন, ‘স্নিকোমিটার বাদ দেওয়া উচিত। সবচেয়ে বাজে প্রযুক্তি এটা। আগের দিনও তারা ভুল করেছে। আজ তারা আরেকটা ভুল করল।’ তাঁর এই কথা রেকর্ড হয়েছিল স্টাম্প মাইকে। টানা পাঁচবার আইসিসির বর্ষসেরা আম্পায়ারের পুরস্কার পাওয়া সাইমন টফেল তখন বলেছিলেন, ‘আম্পায়ারকে নিরপেক্ষ সিদ্ধান্ত নিতে দেখতে চাই। প্রযুক্তি অবশ্যই পাশে থাকবে। প্রযুক্তির মাধ্যমে তো সবকিছু বদলে ফেলা যাবে না।’ টফেলের মতে দুই বছর আগে আম্পায়ারের ‘সফট সিগনাল’-এর নিয়ম উঠিয়ে দিয়েই আইসিসি ভুলটা করেছে।
পার্থ, ব্রিসবেনে সিরিজের প্রথম দুই টেস্টেই ৮ উইকেটে হেরেছে ইংল্যান্ড। পার্থে সিরিজের প্রথম টেস্ট শেষ হয়েছে দুই দিনে। ব্রিসবেনে গোলাপি বলে হওয়া অ্যাশেজের দ্বিতীয় টেস্টের স্থায়িত্ব ছিল চার দিন। অ্যাডিলেডে সিরিজের তৃতীয় টেস্ট পাঁচ দিনে গড়িয়েছে ও অস্ট্রেলিয়া ৮২ রানে জিতে দুই ম্যাচ হাতে রেখেই অ্যাশেজ জিতেছে। ২৬ ডিসেম্বর মেলবোর্নে শুরু হবে চতুর্থ টেস্ট। এই টেস্ট বক্সিং ডে টেস্ট নামে পরিচিত। নতুন বছরের ৩ জানুয়ারি মাঠে গড়াবে অ্যাশেজের পঞ্চম তথা শেষ টেস্ট।

বয়স তাঁর ২৩। এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আট বছর কাটিয়ে দেওয়া নাহিদা আক্তারের ২০২৩ সালটা গেল সোনার ফ্রেমে বাঁধিয়ে রাখার মতো। এ বছরই তিনি হয়েছেন বাংলাদেশ নারী ক্রিকেটে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি। বাংলাদেশের প্রথম নারী ক্রিকেটার হিসেবে নভেম্বরে আইসিসির মাসসেরা হয়েছেন তিনি। কিশোরগঞ্জের নাহিদা যেন গত দুই ব
২৭ ডিসেম্বর ২০২৩
মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় টেস্টে ড্র করার দারুণ এক সম্ভাবনা ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের। হাতে ১০ উইকেট নিয়ে আজ শেষ দিনে পুরো ৯০ ওভার কাটিয়ে দিতে পারলেই হতো। কিন্তু ব্যাটারদের বাজে পারফরম্যান্সে ৩২৩ রানে হেরে যায় উইন্ডিজ। বিশাল এই জয়ের পর এগিয়েছে নিউজিল্যান্ড।
২৭ মিনিট আগে
টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নিয়ে এখন কেবল ভারতের হয়ে ওয়ানডে খেলছেন রোহিত শর্মা। এই সংস্করণ থেকে কবে অবসর নেবেন সেটা নিয়েও আলোচনার শেষ নেই। তবে তারকা ব্যাটার জানালেন, এখনই অবসরের পরিকল্পনা করছেন না তিনি।
১ ঘণ্টা আগে
ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ এখন নামেমাত্রই ‘হাইভোল্টেজ’ ম্যাচ। বেশির ভাগ ম্যাচই হয় একতরফা আর এসব পানসে ম্যাচগুলোতে ভারতের জয় একরকম অনুমিত। কিন্তু গতকাল দুবাইয়ের আইসিসি একাডেমিতে পাশার দান উল্টে দিল পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দল। দেশটির জুনিয়র ক্রিকেটাররা পাবেন মোটা অঙ্কের টাকা অর্থ পুরস্কার।
২ ঘণ্টা আগে