Ajker Patrika
সাক্ষাৎকার

একসঙ্গে যদি সবকিছু চান, তাহলে সব আউলা-ঝাউলা হয়ে যাবে

একসঙ্গে যদি সবকিছু চান, তাহলে সব আউলা-ঝাউলা হয়ে যাবে

২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি রিশাদ হোসেনের বোলিং। ৭ ম্যাচে ১৪ উইকেট নিয়ে দলের সেরা বোলারই নন, গত সাত মাসে তরুণ লেগ স্পিনারের পারফরম্যান্স যথেষ্ট আশাব্যঞ্জক। ক্রিকেট, ক্রিকেটের বাইরের জীবন নিয়ে আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেছেন রিশাদ হোসেন। ফোনে গত পরশু তাঁর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন লাইছ ত্বোহা

লাইছ ত্বোহা
আপডেট : ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৫: ১৩

প্রশ্ন: ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ যেমন কেটেছে, নিজেও কি ভেবেছিলেন এত অসাধারণ যাবে? 
রিশাদ হোসেন: বিশ্বকাপে যাওয়ার আগে একটা বিষয়ে বলেছিলাম, আমি আমার সর্বোচ্চটা দিয়ে চেষ্টা করব। বাকিটা কী হয়, সেটা দেখা যাবে পরে। আমি শুধু আমার সামর্থ্য দিয়ে চেষ্টা করেছি, এই তো আলহামদুলিল্লাহ। 

প্রশ্ন: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এক টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি হয়ে অন্য রকম ভালো লাগা নিশ্চয়ই কাজ করে? 
রিশাদ: জি, অবশ্যই ভালো তো লাগেই (রেকর্ড)। দেশকে অনেক কিছু দিতে পারছি, ভালো লাগছে। চেষ্টা থাকবে বিশ্বকাপ শিরোপাটাই ঘরে নিয়ে আসার, শুধু ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স নয়। 

প্রশ্ন: যদি আত্মমূল্যায়ন করেন, গত কয়েক মাসে বোলিংয়ে সবচেয়ে বড় পরিবর্তন কোথায় এসেছে বলে মনে করেন? 
রিশাদ: গত কয়েক মাসে বেশি কিছু করার চেষ্টা করিনি, শুধু যেটা করে এসেছি এত দূর পর্যন্ত, সেটাতেই বেশি নজর দিয়েছি। আর যেটা করেছি, নিজের প্রতি বিশ্বাসটা হারাইনি। ভালো কিছু দেশকে দিতে গেলে আমাকেই ভালো করতে হবে, এ রকম তাড়া ছিল। 

প্রশ্ন: সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য হলেও মুশতাক আহমেদের সঙ্গে কোন জায়গাটা নিয়ে বেশি কাজ করেছেন? 
রিশাদ: কথাবার্তার ভিত্তিতে, কাজ তো বেশি করার সুযোগ পাইনি খেলার ব্যস্ততায়। তিনি শুধু তাঁর অভিজ্ঞতাগুলো ভাগাভাগি করেছেন আমার সঙ্গে। বড় মঞ্চে কীভাবে খেলতে হয়, আত্মবিশ্বাস কেমন রাখতে হয়—এসব আরকি। 

প্রশ্ন: আপনার গুগলি বেশ কার্যকর হচ্ছে। তবু কেউ কেউ মনে করেন, আপনার গুগলি নিয়ে আরও কাজ করার আছে। আপনিও কি তাই মনে করেন? 

রিশাদ: ভালোর তো শেষ নেই, একসঙ্গে যদি সবকিছু চান, তাহলে সব আউলা-ঝাউলা হয়ে যাবে! সবকিছু একটা প্রক্রিয়ার মধ্যে করি, মানুষ কী বলল, তা শুনি না। দিনে দিনে ১ পারসেন্ট, ২ পারসেন্ট করে উন্নতির চেষ্টা করি। আমি মনে করি, এটা আমার জন্য খুব ভালো। 

প্রশ্ন: ব্যাট হাতে সীমিত ওভারে আপনার হিটিং অ্যাবিলিটি দেখেছে সবাই। ব্যাটিংয়ে কি আরেকটু ওপরে খেললে আরও ব্যাটিং দক্ষতাও দেখাতে পারেন বলে মনে হয়? 
রিশাদ: দলে আমাকে যেখানে প্রয়োজন, সেখানেই নামানো হয়েছিল। আমি চেষ্টা করেছি। সব সময় বলব, দল যেখানে চাইবে, আমি সেখানেই খেলব ইনশা আল্লাহ। ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং—তিন বিভাগেই নিজের সেরাটা দিতে চাই। ব্যাটিংয়ে আমার আলাদা কিছু থাকবে না, আমি সাধারণভাবে বোলিংয়ের পাশাপাশি ব্যাটিং অলরাউন্ডার হিসেবে অনেক দূর যেতে চাই। 

প্রশ্ন: এবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে সবচেয়ে বড় শিক্ষাটা কী হলো? 
রিশাদ: বাংলাদেশ দলে এখন যে পর্যায়ে আছি আমরা, অনেক ভালো শেপে আছি সবাই। আত্মবিশ্বাসের দিক থেকে অনেক ভালো পর্যায়ে আছি। দু-একটা ভুলের জন্য হয়তো ভালো ফল অর্জন করতে পারিনি। এবারই হতে পারত বাংলাদেশের সর্বকালের সেরা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। অনেক কাছাকাছি গিয়ে আমরা ফিরে এসেছি। আমার মনে হয় বেশি দূর নেই, আমরা বিশ্বকাপ জিতব। 

প্রশ্ন: ঘরোয়া ক্রিকেটে বাংলাদেশের লেগ স্পিনাররা পর্যাপ্ত সুযোগ পান না। আপনিও এমন সময় পার করে এসেছেন। এখন হয়তো আপনাকে দেখে অনেকে অনুপ্রেরণা খুঁজে পাবে, কী বলেন? 
রিশাদ: অবশ্যই। গতবার যখন আবাহনীতে খেলি, প্রিমিয়ার লিগের সময় একটা কথা বলেছিলাম, এটা হচ্ছে আমাদেরই ব্যর্থতা। কারণ, আমাদের যে সুযোগ দেওয়া হয় দু-তিনটা ম্যাচ, কেউই চাইবে না যে কারও খারাপ হোক। আমাদের সুযোগগুলো কাজে লাগাতে হবে, সেটা আমি হই বা যে লেগ স্পিনারই হোক। সুযোগ তো ১০-১২টা আসে না, সুযোগ এক-দুইটাই আসে। অতটুকুর মধ্যেই আমাকে কাজে লাগাতে হবে, সেটা ব্যাটারদের ক্ষেত্রেও হতে পারে। অন্যদের তুলনায় আমাদের (লেগ স্পিনার) সুযোগ আরও কম। সীমিত সুযোগের মধ্যেই ভালো করতে হবে। বেশি কিছু না, শুধু প্রক্রিয়ার মধ্যে থাকলে এমনিই ভালো করা সহজ সবার জন্য। তাদের সুযোগ দেওয়া উচিত। কিন্তু সুযোগ সব সময় সীমিতই থাকে। 

প্রশ্ন: অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত বলেছেন, রিশাদ এখনই টেস্টের জন্য তৈরি নয়। আপনি আসলে লাল বলের সংস্করণ নিয়ে কী ভাবছেন? 
রিশাদ: আসলে এই মুহূর্তে কোনো কিছু ভাবছি না (টেস্ট নিয়ে), যেহেতু আমি এক সেটআপে আছি, জানি না ম্যানেজমেন্ট কী ভাবছে। শান্ত ভাই মনে করেছেন, যেটা বলা ভালো, বলছেন আরকি। আমারও মনে হয় না আমি এখনো প্রস্তুত। কারণ, টেস্ট ক্রিকেট অনেক লম্বা সময়ের খেলা। হঠাৎ করে এক সংস্করণে ভালো খেলে অন্য সংস্করণে যাওয়া কঠিন। প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে গেলে আমার মনে হয় ভালো। 

প্রশ্ন: কদিন আগে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সেরেছেন, জীবনের নতুন অধ্যায় কেমন কাটছে? 
রিশাদ: নতুন জীবন তো এক বছর আগে থেকেই শুরু করেছি। 

প্রশ্ন: স্ত্রীর কঠিন কোনো আবদার রাখতে কি গুগলি ব্যবহার করতে হয়? 
রিশাদ: (হাসি) নাহ্, এ রকম কিছুর মুখোমুখি হতে হয়নি। ওরকম কোনো আবদার করেনি, তাই ফেরাইনি। যা বলে, চেষ্টা করি পূরণ করার।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

১৫ উইকেট নিয়ে থামলেন মোস্তাফিজ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আইএল টি-টোয়েন্টিতে দারুণ বোলিং করেছেন কাটার মাস্টার। ছবি: সংগৃহীত
আইএল টি-টোয়েন্টিতে দারুণ বোলিং করেছেন কাটার মাস্টার। ছবি: সংগৃহীত

আইপিএলে কেন কলকাতা নাইট রাইডার্স এবার তাঁকে ১২ কোটি টাকায় নিয়েছে, সেটি খুব ভালোভাবেই আরব আমিরাতের আইএল টি-টোয়েন্টিতে বুঝিয়ে দিয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান। আজ একটা পর্যায়ে মোস্তাফিজের নামটা উইকেটশিকারির তালিকায় যৌথভাবে শীর্ষে ছিল।

শারজা ওয়ারিয়র্জের বিপক্ষে ম্যাচটি খেলে কাল দুপুরে ঢাকায় ফিরে আসার কথা মোস্তাফিজের। এসেই নেমে পড়তে হবে বিপিএল খেলতে। সিলেটে তাঁর দল রংপুর রাইডার্সের প্রথম ম্যাচ আগামী সোমবারে। ঢাকায় ফিরে দুদিনের সংক্ষিপ্ত বিরতিতে তিনি চলে যাবেন সাতক্ষীরায় গ্রামের বাড়িতে। সেখান থেকে ফিরে দলে যোগ দেবেন রোববার।

বিপিএলে যোগ দেওয়ার আগে একাধিক সুখবর পেলেন মোস্তাফিজ। আইপিএল নিলামে তিনি বিক্রি হয়েছেন রেকর্ড দামে। আরব আমিরাতে দুবাই ক্যাপিটালসের হয়ে আইএল টি-টোয়েন্টিতেও ধারাবাহিক ভালো খেলেছেন। ৮ ম্যাচে নিয়েছেন ১৫ উইকেট। আজ শারজার বিপক্ষে শীর্ষ উইকেটশিকারি হওয়ার প্রতিযোগিতায় নেমেছিলেন সতীর্থ ওয়াকার সালামখেইলের সঙ্গে। ওয়াকার ২ উইকেট নিয়ে টপকে যান মোস্তাফিজকে। তবু টুর্নামেন্টজুড়ে যে বোলিং করেছেন মোস্তাফিজ, আজ দেশে ফেরায় তাঁকে নিশ্চিতভাবেই মিস করবে দুবাই ক্যাপিটালস।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আসছে বিসিবির নতুন টুর্নামেন্ট

ক্রীড়া ডেস্ক    
পাইপলাইন সমৃদ্ধ করতে চায় বিসিবি। ফাইল ছবি
পাইপলাইন সমৃদ্ধ করতে চায় বিসিবি। ফাইল ছবি

বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে নতুন একটি টুর্নামেন্ট চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। যেটির নাম ‘রাইজিং স্টার অনূর্ধ্ব-২৩ ’। সংস্থাটির মিডিয়া কমিটির প্রধান আমজাদ হোসেন জানালেন, টুর্নামেন্টটি হবে অনেকটা বিসিএলের মতো। যেখানে অংশ নেবে চারটা দল। দলগুলো হলো–পূর্বাঞ্চল, মধ্যাঞ্চল, দক্ষিণাঞ্চল ও উত্তরাঞ্চল।

টুর্নামেন্ট হবে ডাবল লিগ পদ্ধতিতে। সেখান থেকে শীর্ষ দুই দল শিরোপার লড়াই করবে। অনূর্ধ্ব-২৩ পর্যায়ের এই টুর্নামেন্টে ম্যাচ হবে মোট ৩১ টি। মূলত পাইপলাইন সমৃদ্ধ করতেই এই উদ্যোগ নিয়েছে বিসিবি।

সংবাদমাধ্যমকে আমজাদ বলেন, ‘আমরা রাইজিং স্টার অনূর্ধ্ব ২৩ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট আয়োজন করব। এটা বিসিএলের মতই হবে। অনূর্ধ্ব ২৩ এর পর নির্দিষ্ট কোনো টুর্নামেন্ট ছিল না। কিন্তু এবার হচ্ছে। ইনশাআল্লাহ ফেব্রুয়ারিতে এই টুর্নামেন্ট করার পরিকল্পনা করছি আমরা।’

টুর্নামেন্টের ভেন্যু প্রসঙ্গে আমজাদ বলেন, ‘চট্টগ্রামে দুটো স্টেডিয়ামে হবে ম্যাচগুলো। ডাবল লিগ পদ্ধতিতে টুর্নামেন্ট আয়োজন করব। ফাইনাল ঢাকায় হবে। এগুলো ছিল আমাদের প্রধান কিছু সিদ্ধান্ত।’

আসন্ন নতুন বছরে বিসিবি সারা বাংলাদেশে ১০০ উইকেট বানাতে চায়, যেটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘১০০ উইকেটস ইন ২০২৬ ’। আমজাদ বলেন, ‘জেলা লিগগুলো সচল করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। গত বছর মাত্র ১২টি জেলায় লিগ হয়েছিল, নতুন বছরে আমাদের লক্ষ্য অন্তত ৪০টি জেলায় লিগ আয়োজন করা। আমাদের নতুন একটি থিম লঞ্চ করা হয়েছে ‘১০০ উইকেটস ইন ২০২৬ ’।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সারা দেশে ১ বছরে ১০০ উইকেট বানাবে বিসিবি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১: ৩৯
জেলা লিগগুলো সচল করতে চায় বিসিবি। ফাইল ছবি
জেলা লিগগুলো সচল করতে চায় বিসিবি। ফাইল ছবি

প্রায় দিনব্যাপী বোর্ড সভার পর সন্ধ্যা ৭টার দিকে সংবাদ সম্মেলন। লম্বা অপেক্ষায় থাকা সংবাদমাধ্যম কর্মীদের চমকে দেওয়া কোনো সিদ্ধান্তের কথা জানাননি সংবাদ সম্মেলনে আসা তিন পরিচালক। তবে বোর্ড মিটিংয়ে নেওয়া নতুন দুটি সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন বিসিবির মিডিয়া কমিটির প্রধান।

আসন্ন নতুন বছরে বিসিবি সারা বাংলাদেশে ১০০ উইকেট বানাতে চায়, যেটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘১০০ উইকেটস ইন ২০২৬ ’। আমজাদ বলেন, ‘জেলা লিগগুলো সচল করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। গত বছর মাত্র ১২টি জেলায় লিগ হয়েছিল, নতুন বছরে আমাদের লক্ষ্য অন্তত ৪০টি জেলায় লিগ আয়োজন করা। আমাদের নতুন একটি থিম লঞ্চ করা হয়েছে ‘১০০ উইকেটস ইন ২০২৬ ’।

সারা দেশে এক বছরে ১০০ উইকেট তৈরির পরিকল্পনা বিসিবির গ্রাউন্ডস বিভাগের প্রধান খালেদ মাসুদ পাইলট বলেন, ‘১০০ উইকেটের পরিকল্পনাটা হচ্ছে মাঠের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করা। মাঠ ছাড়া ক্রিকেটে এগোনো কঠিন। ফতুল্লা ইনসাইড এবং আউটার, সঙ্গে পূর্বাচলে যে মাঠটি আছে, সেগুলোর উন্নয়ন আমাদের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা। আমরা এই মৌসুমের মধ্যে ১০০টির বেশি উইকেট তৈরির চেষ্টা করছি। আমাদের বিভাগীয় ভেন্যু; যেমন বগুড়া, খুলনা, রাজশাহী—এগুলো ২০ বছর আগের মডেলে চলছে। সেন্টার উইকেটের পাশে আরও উইকেট বাড়িয়ে আমরা এগুলো আধুনিক করতে চাই। বরিশাল মাঠের কাজ ৬০ শতাংশ শেষ হয়েছে, বাকি কাজ দ্রুত শেষ করার চেষ্টা করছি। আমরা চাই আমাদের বিভাগীয় সদর দপ্তরগুলো একেকটি ‘হাব’ হিসেবে কাজ করুক, যাতে জেলা পর্যায়ের ক্রিকেটাররা ঠিকঠাক যন্ত্রপাতি এবং সুযোগ-সুবিধা পায়।’

১০০ উইকেট তৈরিতে নতুন কোনো মাঠ কেনা হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন পাইলট। বর্তমানে যে মাঠগুলো আছে, সেগুলোকে সচল করা এবং আধুনিক উইকেট তৈরি করাই তাঁদের লক্ষ্য।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাজশাহীর লক্ষ্য নিয়ে কী বললেন সন্দীপ লামিচানে

ক্রীড়া ডেস্ক    
অনুশীলনে বল হাতে তারকা লেগস্পিনার। ছবি: রাজশাহী ওয়ারিয়র্সের ফেসবুক পেজ।
অনুশীলনে বল হাতে তারকা লেগস্পিনার। ছবি: রাজশাহী ওয়ারিয়র্সের ফেসবুক পেজ।

নিলামের পর সন্দীপ লামিচানেকে দলে টেনেছে রাজশাহী ওয়ারিয়র্স। প্রধান কোচ হান্নান সরকারের ইচ্ছায় এই লেগস্পিনারকে নিয়েছে পদ্মাপাড়ের ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। ২০২৬ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) অংশ নিতে গতকাল রাজশাহী শিবিরে যোগ দিয়েছেন তিনি।

আজ দলীয় অনুশীলনেও দেখা গেল লামিচানেকে। এক দিন না যেতেই গোটা দলের মধ্যমণি এই নেপালি ক্রিকেটার। দলের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথাও বলেছেন। সেখানেই জানিয়েছেন, নিজেদের স্কোয়াডের গভীরতা কাজে লাগিয়ে শিরোপা জেতার লড়াই চালিয়ে যাবে রাজশাহী।

লামিচানে বলেন, ‘আমাদের দলে যে ধরণের সম্ভাবনা রয়েছে তা অসাধারণ। বিশেষ করে যখন আপনি কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলেন, তখন স্থানীয় খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। রাজশাহী ওয়ারিয়র্সে অনেক প্রতিভা আছে। আমি এদের অনেকের সাথেই আগে খেলেছি, তাই তাদের চিনি। আমরা সিলেটের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচের জন্য পুরো দল বেশ রোমাঞ্চিত। দলের ভেতরের পরিবেশও এখন খুব ইতিবাচক।’

নিজেদের স্কোয়াড নিয়ে সন্তুষ্ট লামিচানে। তিনি বলেন, ‘আমাদের টপ অর্ডার থেকে শুরু করে লোয়ার অর্ডার, সব জায়গাতেই ভারসাম্য আছে। স্পিনার, ফাস্ট বোলার-সব বিভাগে ভালো খেলোয়াড় আছে। শান্ত দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছে। মুশফিকুর রহিমের মতো অভিজ্ঞ খেলোয়াড় আছে। দলে ভালো বিদেশি ক্রিকেটারও আছে। সব মিলিয়ে আমাদের দলটা স্বয়ংসম্পূর্ণ। সবাই শিরোপার জন্য নিজেদের সেরাটা দিতে প্রস্তুত।’

দর্শকদের হতাশ করতে চান না লামিচানে, ‘আমাদের লক্ষ্য হলো ম্যাচ জেতা। এটিই সবচেয়ে সহজ লক্ষ্য। সেই সাথে দর্শকদের আনন্দ দেয়া এবং দলের জন্য পয়েন্ট অর্জন করা। সবার ভালোবাসার জন্য কৃতজ্ঞতা এবং আমরা দল হিসেবে ট্রফি জেতার চেষ্টা করব।’

কীভাবে রাজশাহীতে যোগ দিলেন সে অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে লামিচানে বলেন, ‘আমি নেপাল প্রিমিয়ার লিগের ফাইনাল দেখছিলাম। তখন আসাদের কোচ হান্নান সরকার মেসেজ করে জিজ্ঞেস করেন আমি রাজশাহী ওয়ারিয়র্সে খেলতে চাই কিনা। অল্প কয়েক মিনিটের মধ্যেই আমরা সবকিছু চূড়ান্ত করে ফেলি। তিনি যেভাবে পুরো বিষয়টি সহজ করেছেন, তার জন্য আমি তাঁর কাছে কৃতজ্ঞ।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত