Ajker Patrika

বিপিএলে শান্তর রেকর্ড ভাঙতে পারবেন কে, তামিম নাকি হৃদয়

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০১ মার্চ ২০২৪, ১৫: ১৯
বিপিএলে শান্তর রেকর্ড ভাঙতে পারবেন কে, তামিম নাকি হৃদয়

বছর ঘুরে ২০২৩ সালে ফিরে যাওয়া যাক। গত বছরের বিপিএলে সিলেট স্ট্রাইকার্সের হয়ে খেলেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও তাওহীদ হৃদয়। পাল্লা দিয়ে রান করেন এ দুই ব্যাটার। যদিও ফাইনালে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের কাছে হেরে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল মাশরাফি বিন মর্তুজার নেতৃত্বাধীন সিলেটের। 

সিলেট চ্যাম্পিয়ন না হলেও শান্ত ৫১৬ রান করে গত বিপিএলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হয়ে শেষ করেন টুর্নামেন্ট। বিপিএলের নির্দিষ্ট কোনো এক মৌসুমে বাংলাদেশিদের মধ্যে তা সর্বোচ্চ রান। এক বছর পর এবারের বিপিএলে সিলেটের হয়ে নিজের ছায়া হয়ে খেলেন তিনি। অন্যদিকে হৃদয় ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লার হয়ে খেলছেন। গত বছরের ফর্মটাই টেনে নিয়েছেন এবার। তাঁর (হৃদয়) সামনে রয়েছে শান্তর রেকর্ড ভাঙার হাতছানি। 

শুধু হৃদয়ই নন, শান্তর রেকর্ড ভাঙার দৌড়ে আছেন তামিম ইকবালও। এবারের বিপিএলে ফরচুন বরিশালকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তামিম। দলও উঠেছে ফাইনালে। মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আজ সন্ধ্যায় ফাইনালে মুখোমুখি হবে বরিশাল ও কুমিল্লা। দলীয় ও ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে এবারের বিপিএলে তামিম এতটাই দুর্দান্ত যে ‘ক্যাপ্টেইন লিডিং ফ্রম দ্য ফ্রন্ট’—বহু ক্লিশে এই প্রবাদ বললেও অত্যুক্তি হবে না। ১৪ ম্যাচে ৪৫৩ রান করে এবারের বিপিএলে এখনো পর্যন্ত সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক তিনি। করেছেন ৩ ফিফটি। দ্বিতীয় স্থানে থাকা হৃদয়ের স্কোর ৪৪৭ রান। এক সেঞ্চুরির পাশাপাশি করেন ২ ফিফটি। 

৪৫৩ রান করে এবারের বিপিএলে এখনো পর্যন্ত সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক তামিম ইকবালতামিম-হৃদয়ের মধ্যে রানের প্রতিযোগিতা জমে উঠেছে ২০২৪ বিপিএলের শেষ ভাগে এসে। টুর্নামেন্টের লিগ পর্ব শেষে ৩৯১ রান করে শীর্ষে ছিলেন তামিম। হৃদয়ের ছিল ৩৮৩ রান এবং চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের তানজিদ হাসান তামিমের ছিল ৩৮২ রান। যার মধ্যে এলিমিনেটরে বরিশালের কাছে হেরে বিদায় নেয় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। চট্টগ্রামের ছিটকে যাওয়ার ম্যাচে তানজিদ তামিম ২ রান করলে প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকেই যান। এরপর তামিম ইকবাল-হৃদয়ের মধ্যে পাল্লা চলছে সমান তালে। ২৬ ফেব্রুয়ারি বিকেলে এলিমিনেটরে ৫২ রান করলে তামিম ইকবালের টুর্নামেন্টে রান হয়েছে ৪৪৩। একই দিন সন্ধ্যায় প্রথম কোয়ালিফায়ারে রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে ৪৩ বলে ৬৪ রানের ইনিংস খেলেন হৃদয়। ৪৪৭ রান করে তখন তিনি হয়ে যান এবারের বিপিএলের সর্বোচ্চ স্কোরার। এরপর ২৮ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারের ম্যাচেই আবার সর্বোচ্চ রান স্কোরার হয়ে যান তামিম। রংপুরের বিপক্ষে ১০ রান করলে তামিমের স্কোর হয়ে যায় ৪৫৩। 

তামিম-হৃদয় যেমন ছন্দে আছেন, তাতে তাঁরা যদি শান্তর ৫১৬ রান টপকে যান, অবাক হওয়ার কিছুই থাকবে না। এছাড়া বিপিএলে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের সেরা পাঁচের চারজনই কুমিল্লা ও বরিশালের। ৩৭৫ রান করে চারে আছেন কুমিল্লার অধিনায়ক লিটন দাস। পাঁচে থাকা বরিশালের মুশফিকুর রহিম করেন ৩৬৭ রান। স্কোর দেখেই বোঝা যাচ্ছে, লিটন-মুশফিকের পক্ষে শান্তকে টপকানো একপ্রকার অসম্ভব। 

এবারের বিপিএলে প্রথম সেঞ্চুরি এসেছে তাওহীদ হৃদয়ের ব্যাটে। এরপর তার উদ্‌যাপন। ২৪ ছক্কা মেরে এবারের বিপিএলে এখনো পর্যন্ত সর্বোচ্চ ছক্কার রেকর্ড তাঁরঅন্যদিকে এবারের বিপিএলে ছক্কার রেকর্ডে শীর্ষে হৃদয়। টুর্নামেন্টে এখনো পর্যন্ত ২৪ ছক্কা মেরেছেন তিনি। ১৪৯.৪৯ স্ট্রাইকরেটই বুঝিয়ে দিচ্ছে ব্যাটিংয়ে কতটা ঝড় তিনি তুলতে পারেন। ছক্কায় তাঁকে (হৃদয়) ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনায় আছেন লিটন-তামিম-কাইল মায়ার্সরা। ১৭ ছক্কা মেরেছেন লিটন। বরিশালের হয়ে মায়ার্স ৫ ম্যাচেই মেরেছেন ১৬ ছক্কা। তামিম মেরেছেন ১৫ ছক্কা। 


বিপিএলে এক মৌসুমে স্থানীয় ব্যাটারদের মধ্যে সেরা পাঁচ 
রান                         ব্যাটার                                 দল                     মৌসুম 
 ৫১৬                নাজমুল হোসেন শান্ত        সিলেট স্ট্রাইকার্স             ২০২৩  
 ৪৯১                মুশফিকুর রহিম              খুলনা টাইগার্স                    ২০১৯-২০  
 ৪৭৬                তামিম ইকবাল              চট্টগ্রাম ভাইকিংস               ২০১৬  
 ৪৬৭                 তামিম ইকবাল              কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস         ২০১৯  
 ৪৫৫                 লিটন দাস                   রাজশাহী রয়্যালস                ২০১৯-২০  
 ৪৫৩                তামিম ইকবাল             ফরচুন বরিশাল                     ২০২৪  
 ৪৪৭                 তাওহীদ হৃদয়               কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস         ২০২৪  

* ২০২৪ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি রংপুর রাইডার্স-ফরচুন বরিশাল দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচ পর্যন্ত

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নোয়াখালী এক্সপ্রেসকে হারিয়ে জয়ে শুরু চট্টগ্রামের

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮: ৪১
মির্জা বেগের ৮০ রানের ইনিংসই
মির্জা বেগের ৮০ রানের ইনিংসই

বিপিএলের খেলোয়াড় নিলামে এবার সবচেয়ে বেশি ১ কোটি ১০ লাখ টাকা পেয়েছেন মোহাম্মদ নাঈম শেখ। কোটি টাকার ওপরে দাম পাওয়া একমাত্র ক্রিকেটারও তিনি। কিন্তু যে প্রত্যাশায় এই দামে তাঁকে কিনে নিয়েছিল চট্টগ্রাম রয়্যালস, দলের প্রথম ম্যাচে অন্তত সে প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছেন ২৬ বছর বয়সী এই ব্যাটার। করেছেন মাত্র ১১ রান। আর তাঁর দল বিপিএলে নবাগত নোয়াখালী এক্সপ্রেসের বিপক্ষে ৬ উইকেট হারিয়ে তুলেছে ১৭৪ রান। পরে ব্যাটিংয়ে নেমে ১০৯ রানে অলআউট হয়ে ৬৫ রানে হেরেছে নোয়াখালী এক্সপ্রেস।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বারবার ব্যর্থ হলেও ঘরোয়া ক্রিকেটে মোহাম্মদ নাঈমের ব্যাট বরাবরই চওড়া। সব সময়ই রান পান তিনি। ঘরোয়া ক্রিকেটে তাঁর ব্যাটিং ধারাবাহিকতার দিকে তাকিয়েই সম্ভবত সবচেয়ে বেশি দামে তাঁকে কিনে নিয়েছিল চট্টগ্রাম রয়্যালস। উইকেটে এসে ১১টি বল খেলেছেন। ২টি চারে ১১ রান করে মেহেদী হাসান রানার বলে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন সাব্বির হোসেনের হাতে। নাঈম আউট হয়ে গেলেও আরেক ওপেনার মির্জা বেগ এক প্রান্ত ধরে রেখে খেলতে থাকেন। আর তাতেই টস জিতে আগে ব্যাটিং বেছে নেওয়া চট্টগ্রামের স্কোর দাঁড়ায় ৬ উইকেটে ১৭৪ রান।

ওপেনিংয়ে ২৯ রানের জুটির পর মাহফিজুল ইসলামকে নিয়ে ২৫ বলে ৩৫ রান যোগ করেন মির্জা বেগ। দলের ৬৪ রানে ব্যক্তিগত ১৬ করে ফিরে যান মাহফিজুল। তবে এরপরই জাতীয় দলের টেস্ট ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়কে নিয়ে ৪১ বলে ৫৮ রানের বড় জুটিটি গড়েন পাকিস্তানি ব্যাটার মির্জা বেগ। মাহমুদুল হাসান জয়ও তেমন রান করতে পারেননি। নোয়াখালী এক্সপ্রেসের বোলারদের তৃতীয় শিকার হওয়ার আগে ১২ বলে করেন ১৭ রান। চট্টগ্রাম রয়্যালসের অধিনায়ক মেহেদী হাসান উইকেটে এসে অবশ্য রান তোলার গতি বাড়িয়ে নিতে মনোযোগী হন। সাব্বির হোসেনের শিকার হওয়ার আগে ১৩ বলে করেন ২৬ রান। ৩টি চার ও ১টি ছয়ে সাজানো তাঁর ইনিংস।

১৭৫ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ১৬.৫ ওভারেই অলআউট নোয়াখালী। ওপেনার মাজ সাদাকাত ২৭ বলে ইনিংস-সর্বোচ্চ ৩৮ রান করেন। হায়দার আলী ২৪ বলে করেন ২৮ রান। নোয়াখালী এক্সপ্রেসের ইনিংসে আর মাত্র একজনই—হাবিবুর রহমান সোহান রানের দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেন।

ইনিংসের শেষ বলে বোলার হাসান মাহমুদকে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে পরাস্ত হয়ে এলবিডব্লুর ফাঁদে পড়েন। শেষ পর্যন্ত ৬৯ বলে ৮০ রান করেন তিনি। ৭টি চার ও ২ ছয়ে সাজানো তাঁর ইনিংস। বল হাতে সবচেয়ে সফল তানভির ইসলাম; ৩৯ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট। ২টি করে উইকেট নিয়েছেন শরীফুল, মেহেদী হাসান ও মুকিদুল ইসলাম।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কোহলির বিশ্ব রেকর্ডের দিনে রোহিতের তেতো অভিজ্ঞতা

ক্রীড়া ডেস্ক    
বিজয় হাজারে ট্রফিতে খেলছেন এই দুই তারকা ব্যাটার। ফাইল ছবি।
বিজয় হাজারে ট্রফিতে খেলছেন এই দুই তারকা ব্যাটার। ফাইল ছবি।

বিজয় হাজারে ট্রফিতে আজকের দিনটা দুই রকমের হয়ে থাকল বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মার জন্য। দিল্লির হয়ে দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে এদিন বিশ্ব রেকর্ড গড়েছেন কোহলি। অন্যদিকে শূন্য রানে আউট হয়ে তেতো অভিজ্ঞতা নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন রোহিত।

বেঙ্গালুরুতে গুজরাটের বিপক্ষে ৬১ বলে ৭৭ রানের ইনিংস খেলেন কোহলি। এই ইনিংস খেলার পথে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে অন্তত ৫ হাজার রান করেছেন এমন ব্যাটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ গড়ের মালিক বনে গেছেন সাবেক এই অধিনায়ক। আগের রেকর্ডটি ছিল মাইকেল বেভানের দখলে। অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি ব্যাটারের গড় ৫৭.৮৬। ৫৭.৮৭ গড় নিয়ে তাঁকে পেছনে ফেললেন কোহলি।

তিনে আছেন স্যাম হেইন। এই ইংলিশ ব্যাটারের গড় ৫৭.৭৬। পরের স্থান দুটিতে আছেন চেতেশ্বর পূজারা (৫৭.০১) ও রুতুরাজ গায়কোয়াড় (৫৬.৬৮)। বিশ্ব রেকর্ডের ম্যাচে ৭৭ রানের ইনিংসের পাশাপাশি দুটি ক্যাচ নিয়ে ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতেন কোহলি। আগের ম্যাচে অন্ধ্রপ্রদেশের বিপক্ষে ১৩১ রানের ইনিংস খেলে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটের ইতিহাসে দ্রুততম ১৬ হাজারি রানের ক্লাবে প্রবেশ করেন তিনি। পেছনে ফেলেন ব্যাটিং মাস্টার শচীন টেন্ডুলকারকে।

একই দিন মুম্বাইয়ের হয়ে উত্তরখন্ডের বিপক্ষে মাঠে নামেন রোহিত। জয়পুরে ওপেনিং করতে নেমে পেসার দেবেন্দ্র বোরার বলে জগমোহন নগরকোটির হাতে ধরা পড়েন তিনি। তাতেই দীর্ঘ ১৩ বছর পর লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে প্রথম বলে আউট হলেন। এর আগে সবশেষ ২০১২ সালের জুলাইয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গোল্ডেন ডাক মারেন রোহিত।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ব্যর্থ কোটিপতি নাঈম শেখ

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২: ১৮
১৭৪ রান করেছে চট্টগ্রাম। ছবি: সংগৃহীত
১৭৪ রান করেছে চট্টগ্রাম। ছবি: সংগৃহীত

দলে ছিলেন নিলামে রেকর্ড দামে বিক্রি হওয়া নাঈম শেখ। ১ কোটি ১০ লাখ টাকায় এই ব্যাটারকে কিনেছিল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। কিন্তু প্রথম ম্যাচে ব্যাট হাতে চরমভাবে হতাশ করেছেন তিনি। নাঈম ব্যর্থ হলেও দলের হাল ধরেন আরেক ওপেনার মির্জা তাহির বেগ। তাঁর ফিফটিতে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে নোয়াখালী এক্সপ্রেসের বিপক্ষে ১৭৪ রানের পুঁজি পেয়েছে চট্টগ্রাম।

দেখেশুনেই ব্যাট চালাচ্ছিলেন দুই ওপেনার নাঈম ও তাহির। কখনো ধীরগতি আবার কখনো সুযোগ পেলে হাত খুলে খেলে ইনিংসের শেষ বলে আউট হন এই পাকিস্তান ক্রিকেটার। বিপরীত চিত্র নাঈমের। উইকেটে থিতু হতে পারেননি তিনি। টস জিতে আগে ব্যাট করতে নামা চট্টগ্রাম শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন মেহেদি হাসান রানা। তাঁর করা চতুর্থ ওভারের শেষ বলে সাব্বির হোসেনের হাতে ধরা পড়েন নাঈম। ১১ বলে ২ বাউন্ডারিতে সমান রান করেন এই ব্যাটার। বাকি ৩ রান দৌঁড়ে নেন।

এই পরিসংখ্যান নাঈমের চিরাচরিত দূর্বলতাই তুলে ধরছে। সিঙ্গেলে দুর্বল হওয়ায় শক্তিশালী বোলিং আক্রমণের বিপক্ষে সাবলীয় ব্যাটিং করতে বেগ পেতে হয় তাঁকে। আছে ফুটওয়ার্কের সমস্যা। বাউন্ডারি আদায় করে রানের চাকা সচল রাখার চেষ্টা করেন নাঈম। যেদিন বাউন্ডারি মারতে ব্যর্থ হন সেদিন বেশ ধুঁকতে দেখা যায় তাঁকে। কিংবা ফেরেন শুরুতেই। আজ তেমন অভিজ্ঞতার সাক্ষীই হলেন ২৬ বছর বয়সী এই ব্যাটার। নিলামে সিলেট টাইটান্স, নোয়াখালী এবং রংপুর রাইডার্সের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে নাঈমকে দলে ভেড়ায় চট্টগ্রাম। প্রথম ম্যাচে ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি কর্তৃপক্ষের চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ালেন নাঈম।

নাঈম প্যাভিলিয়নে বসে দেখেছেন তাহিরের দায়িত্বশীল ব্যাটিং। হাসান মাহমুদের করা ২০তম ওভারের শেষ বলে এলবিডব্লু হওয়ার আগে ৮০ রান করেন তাহির। ৬৯ বল খেললেও চট্টগ্রামের দুর্বল ব্যাটিং লাইনের বিবেচনায় তাঁর এই ইনিংসের গুরুত্ব অনেক। ১৩ বলে ২৬ রান এনে দেন শেখ মেহেদি হাসান। এছাড়া মাহমুদুল হাসান জয় ১৭ ও মাহফিজুল ইসলাম করেন ১৬ রান। নোয়াখালীর হয়ে ৯ রানে ২ উইকেট নেন সাব্বির। মাজ সাদাকাত, জহির খান, রানা ও মাহমুদ নেন একটি করে উইকেট।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পুরুষ দ্বৈতে চ্যাম্পিয়ন গৌরব-তানভীর জুটি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
গৌরব-তানভীর জুটি। ছবি: ব্যাডমিন্টন ফেডারেশন। ছবি: সংগৃহীত
গৌরব-তানভীর জুটি। ছবি: ব্যাডমিন্টন ফেডারেশন। ছবি: সংগৃহীত

ইউনেক্স-সানরাইজ বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল সিরিজের পুরুষ দ্বৈতে অল বাংলাদেশ ফাইনালে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে গৌরব সিংহ ও আবদুল জহির তানভীর জুটি। শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ ইনডোর স্টেডিয়ামে আজ পুরুষ দ্বৈতের ফাইনালে গৌরব-তানভীর জুটি ২১-১৯, ১৭-২১ ও ২২-২০ সেটে মিজানুর রহমান ও রাহাতুন নাঈম জুটিকে হারিয়ে সোনা জিতেছে।

তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ প্রথম সেটে গৌরব সিংহ ও আবদুল জহির তানভীর জুটি ২১-১৯ পয়েন্টে জেতে। দ্বিতীয় সেটে কোর্ট পরিবর্তন করার পর ভাগ্য বদলে যায় মিজানুর রহমান ও রাহাতুন নাঈম জুটির। টানা পয়েন্ট পেতে শুরু করেন তাঁরা। এই সেটে ৭-১ পয়েন্টে পিছিয়ে পড়েও ১৫-১৩ পয়েন্টে এগিয়ে যায় গৌরব-তানভীর জুটি। মিজান ও নাঈম জুটি ২১-১৭ পয়েন্টে জিতলে ১-১ সেটে ড্র হয় খেলা।

তৃতীয় সেটেও তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তোলে উভয় জুটি। ২০-২০ পয়েন্টে সমান ছিল দুই জুটিই। কিন্তু শেষপর্যন্ত টানা দুই পয়েন্ট পেয়ে ২২-২০ পয়েন্টে শেষ সেট জিতে ২-১ সেটে চ্যাম্পিয়ন হয় গৌরব-তানভীর জুটি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত