Ajker Patrika

...আমি বোবা হয়ে গেছি!

রানা আব্বাস
আপডেট : ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১২: ১০
...আমি বোবা হয়ে গেছি!

১২ ম্যাচে ৪৫.৭৫ গড়ে ৩৬৬ রান, ৬.৮১ ইকোনমিতে ১৬ উইকেট—পরিসংখ্যানই বলছে, এবারের বিপিএলে নাসির হোসেন কতটা দুর্দান্ত ছিলেন। ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স অসাধারণ হলেও তাঁর দল ঢাকা ডমিনেটরস পারেনি প্লে অফে উঠতে। তবু এই বিপিএল বিশেষ স্মরণীয় হয়ে থাকছে নাসিরের কাছে। গতকাল সন্ধ্যায় আজকের পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ঢাকা অধিনায়ক বললেন নিজের ফেরা, দলের ব্যর্থতাসহ অনেক কিছুই। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন রানা আব্বাস

প্রশ্ন: যত বিপিএল খেলেছেন, এটাই কি আপনার সেরা? 
নাসির হোসেন: বিপিএল খেলছি আট-নয় বছর, একটা কি দুটো মিস গেছে। সব মিলিয়ে বলব, এমন মৌসুম আগে কখনো যায়নি। এটার কারণও আছে। সব সময় তো খেলেছি ভালো ভালো দলে। এর মধ্যে চ্যাম্পিয়ন, রানার্সআপ হওয়ার অভিজ্ঞতাও আছে। যখন আপনি চ্যাম্পিয়ন দলে খেলবেন, তখন ওই সুযোগটা কম আসে। এবার একটা চ্যাম্পিয়ন দলে খেললে হয়তো ছয়-সাতে ব্যাটিং করতাম। সাতে ব্যাটিং করলে আমি কী পারফর্ম করতাম? বোলিংয়েও একই বিষয় হতো। মূল বোলাররা থাকে, বোলিংয়ের সুযোগও ওভাবে আসত না। এ বছর আমাদের দল ওভাবে ভালো করতে পারেনি বা সেভাবে বোলারও ছিল না। খেয়াল করবেন, অফ স্পিনার বলতে শুধু আমিই ছিলাম। এ কারণে সুযোগ বেশি এসেছে, আমি শুধু সেটি কাজে লাগিয়েছি। এমন নয় যে আমি দিন-রাত অনুশীলন করে খেলেছি, এমন নয়। আগে একটু সুযোগ কম পেয়েছি, কাজে ওভাবে লাগত না। 

প্রশ্ন: আপনার একটা লম্বা বিরতি পড়েছিল। আপনি কি চ্যালেঞ্জ অনুভব করেছিলেন যে দুর্দান্তভাবে আপনাকে ফিরতে হবে? 
নাসির: অনেক দিন পর বিপিএলে ফিরেছি, আমার মধ্যে একটা রোমাঞ্চ কাজ করছিল। এমন কিছুই ছিল না যে পারফর্ম করে ফাটায়ে ফেলব—সেটা ব্যাটিং কিংবা বোলিংয়ে। যদি প্রস্তুতির কথা বলেন, এ বছর প্রস্তুতি সবচেয়ে খারাপ ছিল। আমরা চার দিনের ম্যাচ খেলার কদিন পরই খেলেছি বিপিএল। বিপিএলে শুরুতে নেটে এমনও হয়েছে, অফ স্টাম্পের বাইরের বল ব্যাট এমনিই ছেড়ে দেওয়ার ভঙ্গিতে চলে যাচ্ছে! আমরা যারা চার দিনের ম্যাচ খেলে বিপিএল শুরু করেছি, তাদের প্রস্তুতি ভালো ছিল না। একজন পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে এটাকে অজুহাত হিসেবে দেখলে চলবে না। আপনাকে মানসিক প্রস্তুতি থাকতে হবে ভালো খেলার। 

প্রশ্ন: আপনি দুর্দান্ত খেললেও আপনার দলের পারফরম্যান্স বলার মতো নয়। একজন অধিনায়ককে তো দিন শেষে দলের পারফরম্যান্স দিয়েই মূল্যায়ন করা হয়। এটা নিয়ে কি একটু আফসোস কাজ করছে? 
নাসির: ক্রিকেট তো গলফ, টেনিস, অ্যাথলেটিকসের মতো একক খেলোয়াড়ের খেলা নয়। এটা দলীয় খেলা, মানে অনেকটা পরিবারের মতো। খেলোয়াড়দের জেলিং (মিশ্রণ) যত ভালো থাকবে, নিজেদের মধ্যে যত ভালো বোঝাপোড়া থাকবে, ফল তত ভালো হবে। মাঠের পারফরম্যান্স পরের কথা। দলটা তাঁরা (স্বত্বাধিকারী) শেষের দিকে করেছেন। এতে হয়েছে কী, যদি আমাকে অধিনায়ক হিসেবে আগেই চিন্তা করতেন এবং সেভাবে আলোচনা করতেন, কেমন দেশি-বিদেশি খেলোয়াড় নেব। তাসকিন-সৌম্য ছিল। এরকম সিনিয়র খেলোয়াড়দের যদি কথাও বলত, তাহলে আমরা কিছু ভালো পরামর্শ বা দিকনির্দেশনা দিতে পারতাম। কিন্তু এরকম হয়নি। ওনারা যেটা মনে করেছেন, সেটাই করেছেন। যেহেতু তাঁরা প্রথমবারের মতো এসেছেন, কিছু জায়গায় ভুল হয়েছে। 

এবারের বিপিএলে ১২ ম্যাচে ৩৬৬ রানের সঙ্গে বোলিংয়ে ১৬ উইকেট নিয়েছেন নাসির হোসেনপ্রশ্ন: টুর্নামেন্ট চলার সময় ঢাকাকে ঘিরে অনেক আলোচনাই হয়েছে। বিশেষ করে পারিশ্রমিকের ইস্যু নিয়ে। এসব কি নিজেদের স্বাভাবিক খেলাটা খেলতে বাধাগ্রস্ত করেছে? 
নাসির: এসব কোনো ডিস্টার্বই না। আপনি যখন মাঠে বা ২২ গজে যাবেন, তখন কে টাকা পেয়েছে বা কী হয়েছে, এসব কিছুই মাথায় থাকে না। তখন সব মনোযোগ বলটার দিকেই থাকে। কেউ যদি বলে, পারিশ্রমিক পাইনি—এসব কিছুই তখন গুরুত্বপূর্ণ নয়। আপনি যখন মাঠে নেমে যাবেন, তখন আর কিছুই আপনার মাথায় আসে না। খারাপ খেললে তখন এসব অজুহাত হিসেবেই আসে। কেউ যদি বলে খেলব নাকি টাকার চিন্তা করব, এসব তখন অজুহাত। যখন বল হাতে নিই বা ব্যাটিংয়ে নামি তখন দুনিয়ার কিছুই মনে থাকে না। 

প্রশ্ন: এবারের বিপিএলে অধিনায়ক হিসেবে কোন কাজটা সবচেয়ে কঠিন মনে হয়েছে? 
নাসির: দল তো ভালো করেনি। দল ভালো করলে সত্যি খুব ভালো লাগত। যদি আমরা সেমিফাইনালও (প্লে অফ) খেলতাম, ভালো হতো। চ্যালেঞ্জিং তো ছিলই, চেষ্টা করেছি জিততে। তবে অবশ্যই উপভোগ করেছি। দল তো অনেকটা পরিবারের মতো। যদি মন মরা হয়ে থাকেন, উপভোগ করা বন্ধ করে দেন, তাহলে তো ওভাবে ভালো খেলতে পারবেন না। প্রতিটি মানুষ একেকভাবে জীবন উপভোগ করে। আমরা একসঙ্গে প্রায় দেড় মাস ছিলাম। উপভোগের বিষয়গুলো বন্ধ করে দিলে তখন দেড় মাস দেড় বছরের মতো মনে হবে। খেলা আর ভালো লাগবে না। 

প্রশ্ন: মাঝে একটা আপনার বিরতি ছিল, এটাই কি ক্যারিয়ারের সবচেয়ে কঠিন সময় মনে হয়েছে? 
নাসির: কঠিন সময় তো অবশ্যই ছিল। গত বছর আমি বিপিএল খেলিনি। চোটে পড়েছিলাম। অনেকে হাবিজাবিও ভেবেছে আমাকে নিয়ে। পারিবারিকভাবেও কিছু সমস্যা ছিল। সব মিলিয়ে আমার কঠিন সময়ই গেছে। কিন্তু এটা বলার সুযোগ নেই যে এসব কারণে ভালো খেলতে পারছি না। তাহলে মিথ্যা বলা হবে। মাঠে যখন নামি, তখন এসব কিছুই মাথায় থাকে না। 

প্রশ্ন: এই কঠিন সময়ে নিজেকে উদ্বুদ্ধ বা তৈরি করেছেন কীভাবে? 
নাসির: এখানে ভালো খেললে জাতীয় দলে সুযোগ পাব, এটা ভেবে কখনোই ক্রিকেট খেলিনি। এবার চেয়েছি অধিনায়ক হিসেবে ভালো খেলতে, যেন দলের উপকার হয়, দল যেন জেতে। বলেকয়ে ভালো করতে পারবেন না। যখন কিছুর আশায় ভালো করতে চাইবেন, তখনই কাজটা কঠিন হয়ে যাবে। এখানে ভালো করলে জাতীয় দলে সুযোগ পাবেন, ওখানে ডাক পাবেন—যখন এটা মাথায় ঢুকিয়ে ফেলবেন, কাজ কঠিন হয়ে যাবে। 

আবারো জাতীয় দলে ফেরার আশা দেখেন নাসির হোসেন।প্রশ্ন: তবু যদি জিজ্ঞেস করি, বিপিএলে দুর্দান্ত অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের পর বাংলাদেশ দলে ফেরার একটা আশা কি তৈরি হয়েছে মনে? 
নাসির: সব খেলোয়াড়েরই এই আশা, স্বপ্ন থাকেই। এমন নয়, আমার আশা বা ইচ্ছা নেই (জাতীয় দলে ফেরার)। কিন্তু এটা আমার হাতে নেই। আমার হাতে যেটা ছিল সে চেষ্টাই করেছি। আমার হাতে ১২টা ম্যাচ ছিল, ১২টিতেই চেষ্টা করেছি ভালো করার। কোনো ম্যাচে হয়েছে, কোনো ম্যাচে হয়নি। শতভাগ এফোর্ট দিয়ে ভালো করার বিষয়টি আমার হাতে। তবে জাতীয় দলে ফেরার বিষয়টি আমার হাতে নেই। ওটা নিয়ে এত চিন্তাও করতে চাই না। চিন্তা করা মানে সময় নষ্ট। 

প্রশ্ন: গত দুই-তিন বছরে আপনার জীবনে বেশ কিছু পরিবর্তন এসেছে। ব্যক্তিগত জীবনের এই পরিবর্তনের প্রভাব খেলায় কতটা পড়েছে? 
নাসির: বিষয়টা হচ্ছে, একটা সময় মানুষ আমাকে নিয়ে বলেছে, ও কত রিল্যাক্স, মাঠে শিস বাজায়, গান গায়, কত এনজয় করে খেলে বলেই পারফর্ম করে। আবার যখন ভালো খেলতে পারিনি, তখন বলেছে, ও খেলবে কী, মাঠেই তো সিরিয়াস না! গান গেয়ে বেড়ায়। হাসাহাসি, ফাজলামো করে বেড়ায়। আমি আসলে আগে যেমন ছিলাম, এখনো তেমনই আছি। 

প্রশ্ন: জীবনে কিছু পরিবর্তন তো এসেছেই, আপনি এখন সন্তানের বাবা...
নাসির: সে তো বটেই। এই যে আমার শরীর খারাপ, তবু সকালে টিম হোটেল থেকে বাসায় এসেছি শুধু বাচ্চাটাকে দেখতে। ওর সঙ্গে সময় কাটালাম, খেললাম। এখন (সন্ধ্যায়) যাচ্ছি রংপুরে। পরিবর্তন এতটুকুই। 

প্রশ্ন: আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের শুরুর তিন-চার বছর পরে আপনার এত উত্থান-পতন, এটা নিয়ে আফসোস কাজ করে না? 
নাসির: গাছে যেমন পানি দেবেন, যেমন পরিচর্যা করবেন, সেটা তেমনই ফল দেবে। গাছে সার-পানি দেবেন না, অথচ কচুগাছে খুঁজছেন আপেল! তাহলে তো সমস্যা। 

প্রশ্ন: জাতীয় দলের বাইরে পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা না পাওয়াটাই কি তবে মূল কারণ? 
নাসির: সুযোগ-সুবিধা আবার কী? এসবের কিছুই পাইনি। পাইনি বলতে, আমাদেরও কিছু সমস্যা আছে। ব্যক্তিগত কোচ নেই, এটা-ওটা নেই। জাতীয় দলের বাইরে চলে গেলে বিষয়টা পুরোই অন্যরকম হয়ে যায়। এমনই টিম বয়ের কথাই বলি, জাতীয় দলে থাকলে ওরা একভাবে দেখবে, না থাকলে আরেকভাবে। আর বাকি সব তো বাদই দিলাম। 

প্রশ্ন: চন্ডিকা হাথুরুসিংহে আসছেন, কী মনে হচ্ছে এবার, কেমন হতে পারেন তিনি? 
নাসির: তাঁর সময়েই আমি বাদ পড়েছি। তবে তাঁকে নিয়ে কোনো মন্তব্য নেই। বোবার কোনো শত্রু নেই। আমি বোবা হয়ে গেছি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

২৪৩ আসনে প্রার্থী দিল জি এম কাদেরের জাপা

‘অনলাইনে জুয়ার টাকা ভাগাভাগি’ নিয়ে খুন হন বগুড়ার সেই ব্যবসায়ী

সূর্যাস্তের আগে স্মৃতিসৌধে পৌঁছাতে পারলেন না তারেক রহমান, তাঁর পক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন কেন্দ্রীয় নেতাদের

ছাত্রশিবিরের নতুন সভাপতি সাদ্দাম, সাধারণ সম্পাদক সিবগাতুল্লাহ

ভেসে আসা কোরালে ‘কপাল খুলল’ আনোয়ারের

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নোয়াখালী এক্সপেসকে হারিয়ে জয়ে শুরু চট্টগ্রামের

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
মির্জা বেগের ৮০ রানের ইনিংসই
মির্জা বেগের ৮০ রানের ইনিংসই

বিপিএলের খেলোয়াড় নিলামে এবার সবচেয়ে বেশি ১ কোটি ১০ লাখ টাকা পেয়েছেন মোহাম্মদ নাঈম শেখ। কোটি টাকার ওপরে দাম পাওয়া একমাত্র ক্রিকেটারও তিনি। কিন্তু যে প্রত্যাশায় এই দামে তাঁকে কিনে নিয়েছিল চট্টগ্রাম রয়্যালস, দলের প্রথম ম্যাচে অন্তত সে প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছেন ২৬ বছর বয়সী এই ব্যাটার। করেছেন মাত্র ১১ রান। আর তাঁর দল বিপিএলে নবাগত নোয়াখালী এক্সপ্রেসের বিপক্ষে ৬ উইকেট হারিয়ে তুলেছে ১৭৪ রান। পরে ব্যাটিংয়ে নেমে ১০৯ রানে অলআউট হয়ে ৬৫ রানে হেরেছে নোয়াখালী এক্সপ্রেস।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বারবার ব্যর্থ হলেও ঘরোয়া ক্রিকেটে মোহাম্মদ নাঈমের ব্যাট বরাবরই চওড়া। সব সময়ই রান পান তিনি। ঘরোয়া ক্রিকেটে তাঁর ব্যাটিং ধারাবাহিকতার দিকে তাকিয়েই সম্ভবত সবচেয়ে বেশি দামে তাঁকে কিনে নিয়েছিল চট্টগ্রাম রয়্যালস। উইকেটে এসে ১১টি বল খেলেছেন। ২টি চারে ১১ রান করে মেহেদী হাসান রানার বলে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন সাব্বির হোসেনের হাতে। নাঈম আউট হয়ে গেলেও আরেক ওপেনার মির্জা বেগ এক প্রান্ত ধরে রেখে খেলতে থাকেন। আর তাতেই টস জিতে আগে ব্যাটিং বেছে নেওয়া চট্টগ্রামের স্কোর দাঁড়ায় ৬ উইকেটে ১৭৪ রান।

ওপেনিংয়ে ২৯ রানের জুটির পর মাহফিজুল ইসলামকে নিয়ে ২৫ বলে ৩৫ রান যোগ করেন মির্জা বেগ। দলের ৬৪ রানে ব্যক্তিগত ১৬ করে ফিরে যান মাহফিজুল। তবে এরপরই জাতীয় দলের টেস্ট ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়কে নিয়ে ৪১ বলে ৫৮ রানের বড় জুটিটি গড়েন পাকিস্তানি ব্যাটার মির্জা বেগ। মাহমুদুল হাসান জয়ও তেমন রান করতে পারেননি। নোয়াখালী এক্সপ্রেসের বোলারদের তৃতীয় শিকার হওয়ার আগে ১২ বলে করেন ১৭ রান। চট্টগ্রাম রয়্যালসের অধিনায়ক মেহেদী হাসান উইকেটে এসে অবশ্য রান তোলার গতি বাড়িয়ে নিতে মনোযোগী হন। সাব্বির হোসেনের শিকার হওয়ার আগে ১৩ বলে করেন ২৬ রান। ৩টি চার ও ১টি ছয়ে সাজানো তাঁর ইনিংস।

১৭৫ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ১৬.৫ ওভারেই অলআউট নোয়াখালী। ওপেনার মাজ সাদাকাত ২৭ বলে ইনিংস-সর্বোচ্চ ৩৮ রান করেন। হায়দার আলী ২৪ বলে করেন ২৮ রান। নোয়াখালী এক্সপ্রেসের ইনিংসে আর মাত্র একজনই—হাবিবুর রহমান সোহান রানের দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেন।

ইনিংসের শেষ বলে বোলার হাসান মাহমুদকে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে পরাস্ত হয়ে এলবিডব্লুর ফাঁদে পড়েন। শেষ পর্যন্ত ৬৯ বলে ৮০ রান করেন তিনি। ৭টি চার ও ২ ছয়ে সাজানো তাঁর ইনিংস। বল হাতে সবচেয়ে সফল তানভির ইসলাম; ৩৯ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট। ২টি করে উইকেট নিয়েছেন শরীফুল, মেহেদী হাসান ও মুকিদুল ইসলাম।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

২৪৩ আসনে প্রার্থী দিল জি এম কাদেরের জাপা

‘অনলাইনে জুয়ার টাকা ভাগাভাগি’ নিয়ে খুন হন বগুড়ার সেই ব্যবসায়ী

সূর্যাস্তের আগে স্মৃতিসৌধে পৌঁছাতে পারলেন না তারেক রহমান, তাঁর পক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন কেন্দ্রীয় নেতাদের

ছাত্রশিবিরের নতুন সভাপতি সাদ্দাম, সাধারণ সম্পাদক সিবগাতুল্লাহ

ভেসে আসা কোরালে ‘কপাল খুলল’ আনোয়ারের

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কোহলির বিশ্ব রেকর্ডের দিনে রোহিতের তেতো অভিজ্ঞতা

ক্রীড়া ডেস্ক    
বিজয় হাজারে ট্রফিতে খেলছেন এই দুই তারকা ব্যাটার। ফাইল ছবি।
বিজয় হাজারে ট্রফিতে খেলছেন এই দুই তারকা ব্যাটার। ফাইল ছবি।

বিজয় হাজারে ট্রফিতে আজকের দিনটা দুই রকমের হয়ে থাকল বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মার জন্য। দিল্লির হয়ে দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে এদিন বিশ্ব রেকর্ড গড়েছেন কোহলি। অন্যদিকে শূন্য রানে আউট হয়ে তেতো অভিজ্ঞতা নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন রোহিত।

বেঙ্গালুরুতে গুজরাটের বিপক্ষে ৬১ বলে ৭৭ রানের ইনিংস খেলেন কোহলি। এই ইনিংস খেলার পথে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে অন্তত ৫ হাজার রান করেছেন এমন ব্যাটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ গড়ের মালিক বনে গেছেন সাবেক এই অধিনায়ক। আগের রেকর্ডটি ছিল মাইকেল বেভানের দখলে। অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি ব্যাটারের গড় ৫৭.৮৬। ৫৭.৮৭ গড় নিয়ে তাঁকে পেছনে ফেললেন কোহলি।

তিনে আছেন স্যাম হেইন। এই ইংলিশ ব্যাটারের গড় ৫৭.৭৬। পরের স্থান দুটিতে আছেন চেতেশ্বর পূজারা (৫৭.০১) ও রুতুরাজ গায়কোয়াড় (৫৬.৬৮)। বিশ্ব রেকর্ডের ম্যাচে ৭৭ রানের ইনিংসের পাশাপাশি দুটি ক্যাচ নিয়ে ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতেন কোহলি। আগের ম্যাচে অন্ধ্রপ্রদেশের বিপক্ষে ১৩১ রানের ইনিংস খেলে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটের ইতিহাসে দ্রুততম ১৬ হাজারি রানের ক্লাবে প্রবেশ করেন তিনি। পেছনে ফেলেন ব্যাটিং মাস্টার শচীন টেন্ডুলকারকে।

একই দিন মুম্বাইয়ের হয়ে উত্তরখন্ডের বিপক্ষে মাঠে নামেন রোহিত। জয়পুরে ওপেনিং করতে নেমে পেসার দেবেন্দ্র বোরার বলে জগমোহন নগরকোটির হাতে ধরা পড়েন তিনি। তাতেই দীর্ঘ ১৩ বছর পর লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে প্রথম বলে আউট হলেন। এর আগে সবশেষ ২০১২ সালের জুলাইয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গোল্ডেন ডাক মারেন রোহিত।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

২৪৩ আসনে প্রার্থী দিল জি এম কাদেরের জাপা

‘অনলাইনে জুয়ার টাকা ভাগাভাগি’ নিয়ে খুন হন বগুড়ার সেই ব্যবসায়ী

সূর্যাস্তের আগে স্মৃতিসৌধে পৌঁছাতে পারলেন না তারেক রহমান, তাঁর পক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন কেন্দ্রীয় নেতাদের

ছাত্রশিবিরের নতুন সভাপতি সাদ্দাম, সাধারণ সম্পাদক সিবগাতুল্লাহ

ভেসে আসা কোরালে ‘কপাল খুলল’ আনোয়ারের

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ব্যর্থ কোটিপতি নাঈম শেখ

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২: ১৮
১৭৪ রান করেছে চট্টগ্রাম। ছবি: সংগৃহীত
১৭৪ রান করেছে চট্টগ্রাম। ছবি: সংগৃহীত

দলে ছিলেন নিলামে রেকর্ড দামে বিক্রি হওয়া নাঈম শেখ। ১ কোটি ১০ লাখ টাকায় এই ব্যাটারকে কিনেছিল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। কিন্তু প্রথম ম্যাচে ব্যাট হাতে চরমভাবে হতাশ করেছেন তিনি। নাঈম ব্যর্থ হলেও দলের হাল ধরেন আরেক ওপেনার মির্জা তাহির বেগ। তাঁর ফিফটিতে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে নোয়াখালী এক্সপ্রেসের বিপক্ষে ১৭৪ রানের পুঁজি পেয়েছে চট্টগ্রাম।

দেখেশুনেই ব্যাট চালাচ্ছিলেন দুই ওপেনার নাঈম ও তাহির। কখনো ধীরগতি আবার কখনো সুযোগ পেলে হাত খুলে খেলে ইনিংসের শেষ বলে আউট হন এই পাকিস্তান ক্রিকেটার। বিপরীত চিত্র নাঈমের। উইকেটে থিতু হতে পারেননি তিনি। টস জিতে আগে ব্যাট করতে নামা চট্টগ্রাম শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন মেহেদি হাসান রানা। তাঁর করা চতুর্থ ওভারের শেষ বলে সাব্বির হোসেনের হাতে ধরা পড়েন নাঈম। ১১ বলে ২ বাউন্ডারিতে সমান রান করেন এই ব্যাটার। বাকি ৩ রান দৌঁড়ে নেন।

এই পরিসংখ্যান নাঈমের চিরাচরিত দূর্বলতাই তুলে ধরছে। সিঙ্গেলে দুর্বল হওয়ায় শক্তিশালী বোলিং আক্রমণের বিপক্ষে সাবলীয় ব্যাটিং করতে বেগ পেতে হয় তাঁকে। আছে ফুটওয়ার্কের সমস্যা। বাউন্ডারি আদায় করে রানের চাকা সচল রাখার চেষ্টা করেন নাঈম। যেদিন বাউন্ডারি মারতে ব্যর্থ হন সেদিন বেশ ধুঁকতে দেখা যায় তাঁকে। কিংবা ফেরেন শুরুতেই। আজ তেমন অভিজ্ঞতার সাক্ষীই হলেন ২৬ বছর বয়সী এই ব্যাটার। নিলামে সিলেট টাইটান্স, নোয়াখালী এবং রংপুর রাইডার্সের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে নাঈমকে দলে ভেড়ায় চট্টগ্রাম। প্রথম ম্যাচে ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি কর্তৃপক্ষের চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ালেন নাঈম।

নাঈম প্যাভিলিয়নে বসে দেখেছেন তাহিরের দায়িত্বশীল ব্যাটিং। হাসান মাহমুদের করা ২০তম ওভারের শেষ বলে এলবিডব্লু হওয়ার আগে ৮০ রান করেন তাহির। ৬৯ বল খেললেও চট্টগ্রামের দুর্বল ব্যাটিং লাইনের বিবেচনায় তাঁর এই ইনিংসের গুরুত্ব অনেক। ১৩ বলে ২৬ রান এনে দেন শেখ মেহেদি হাসান। এছাড়া মাহমুদুল হাসান জয় ১৭ ও মাহফিজুল ইসলাম করেন ১৬ রান। নোয়াখালীর হয়ে ৯ রানে ২ উইকেট নেন সাব্বির। মাজ সাদাকাত, জহির খান, রানা ও মাহমুদ নেন একটি করে উইকেট।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

২৪৩ আসনে প্রার্থী দিল জি এম কাদেরের জাপা

‘অনলাইনে জুয়ার টাকা ভাগাভাগি’ নিয়ে খুন হন বগুড়ার সেই ব্যবসায়ী

সূর্যাস্তের আগে স্মৃতিসৌধে পৌঁছাতে পারলেন না তারেক রহমান, তাঁর পক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন কেন্দ্রীয় নেতাদের

ছাত্রশিবিরের নতুন সভাপতি সাদ্দাম, সাধারণ সম্পাদক সিবগাতুল্লাহ

ভেসে আসা কোরালে ‘কপাল খুলল’ আনোয়ারের

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পুরুষ দ্বৈতে চ্যাম্পিয়ন গৌরব-তানভীর জুটি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
গৌরব-তানভীর জুটি। ছবি: ব্যাডমিন্টন ফেডারেশন। ছবি: সংগৃহীত
গৌরব-তানভীর জুটি। ছবি: ব্যাডমিন্টন ফেডারেশন। ছবি: সংগৃহীত

ইউনেক্স-সানরাইজ বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল সিরিজের পুরুষ দ্বৈতে অল বাংলাদেশ ফাইনালে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে গৌরব সিংহ ও আবদুল জহির তানভীর জুটি। শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ ইনডোর স্টেডিয়ামে আজ পুরুষ দ্বৈতের ফাইনালে গৌরব-তানভীর জুটি ২১-১৯, ১৭-২১ ও ২২-২০ সেটে মিজানুর রহমান ও রাহাতুন নাঈম জুটিকে হারিয়ে সোনা জিতেছে।

তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ প্রথম সেটে গৌরব সিংহ ও আবদুল জহির তানভীর জুটি ২১-১৯ পয়েন্টে জেতে। দ্বিতীয় সেটে কোর্ট পরিবর্তন করার পর ভাগ্য বদলে যায় মিজানুর রহমান ও রাহাতুন নাঈম জুটির। টানা পয়েন্ট পেতে শুরু করেন তাঁরা। এই সেটে ৭-১ পয়েন্টে পিছিয়ে পড়েও ১৫-১৩ পয়েন্টে এগিয়ে যায় গৌরব-তানভীর জুটি। মিজান ও নাঈম জুটি ২১-১৭ পয়েন্টে জিতলে ১-১ সেটে ড্র হয় খেলা।

তৃতীয় সেটেও তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তোলে উভয় জুটি। ২০-২০ পয়েন্টে সমান ছিল দুই জুটিই। কিন্তু শেষপর্যন্ত টানা দুই পয়েন্ট পেয়ে ২২-২০ পয়েন্টে শেষ সেট জিতে ২-১ সেটে চ্যাম্পিয়ন হয় গৌরব-তানভীর জুটি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

২৪৩ আসনে প্রার্থী দিল জি এম কাদেরের জাপা

‘অনলাইনে জুয়ার টাকা ভাগাভাগি’ নিয়ে খুন হন বগুড়ার সেই ব্যবসায়ী

সূর্যাস্তের আগে স্মৃতিসৌধে পৌঁছাতে পারলেন না তারেক রহমান, তাঁর পক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন কেন্দ্রীয় নেতাদের

ছাত্রশিবিরের নতুন সভাপতি সাদ্দাম, সাধারণ সম্পাদক সিবগাতুল্লাহ

ভেসে আসা কোরালে ‘কপাল খুলল’ আনোয়ারের

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত