
নিষেধাজ্ঞা থাকায় এশিয়ান গেমস নারী ক্রিকেটের দুই ম্যাচ খেলতে পারেননি হারমানপ্রীত কৌর। কোয়ার্টার, সেমিফাইনালে ভারতকে নেতৃত্ব দিয়েছেন স্মৃতি মান্ধানা। আর ভারত ফাইনালে ওঠায় অধিনায়ক হয়েই ফিরেছেন হারমানপ্রীত। ফেরার ম্যাচটাই হয়ে থাকল স্মরণীয়। শ্রীলঙ্কাকে হেসেখেলে হারিয়ে এশিয়ান গেমস নারী ক্রিকেটের স্বর্ণ জিতল ভারতীয় দল।
হাংঝুর পিংফেং ক্যাম্পাস ক্রিকেট ফিল্ডে ফাইনালে আজ ভারতের দেওয়া ১১৭ রানের লক্ষ্যে শ্রীলঙ্কা শুরুতেই হোঁচট খায়। ৪.২ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে লঙ্কানদের স্কোর দাঁড়ায় ১৪ রান। অধিনায়ক চামারি আতাপাত্তু, উইকেটরক্ষক আনুস্কা সঞ্জীবনী, ভিশ্মি গুনারত্নে-লঙ্কার প্রথম ৩ উইকেটই নিয়েছেন ভারতের পেস বোলার তিতাস সাধু। এরপর ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন হাশিনি পেরেরা ও নিলাক্ষী ডি সিলভা। চতুর্থ উইকেটে ৩৩ বলে ৩৬ রানের জুটি গড়েন পেরেরা ও ডি সিলভা। দশম ওভারের পঞ্চম বলে পেরেরাকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন রাজেশ্বরী গায়কোয়াড। ২২ বলে ২৫ রান করেন পেরেরা।
পেরেরা ফেরার পর শ্রীলঙ্কার স্কোর দাঁড়ায় ৯.৫ ওভারে ৪ উইকেট ৫০ রান। এরপর উইকেটে আসেন ওশাদি রনসিঙ্গে। শেষ ৬১ বলে ৬ উইকেট হাতে নিয়ে দরকার ছিল ৬৭ রান। তবে ভারতীয় বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে জয়ের ধারেকাছেও যেতে পারেনি শ্রীলঙ্কা। ৪ উইকেট হারিয়ে লঙ্কানরা যোগ করেছে ৪৭ রান। ২০ ওভারে ৮ উইকেটে আটকে যায় লঙ্কানদের ইনিংস। অধিনায়ক হিসেবে শততম আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ১০০ ম্যাচ খেলার দিনই এশিয়ান গেমসে স্বর্ণ জিতেছেন হারমানপ্রীত। নারীদের আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে হারমানপ্রীত, মেগ ল্যানিং-এই দুই ক্রিকেটার অধিনায়ক হিসেবে ম্যাচের সেঞ্চুরি করেছেন।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ভারতের অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌর। প্রথমে ব্যাটিং নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই এগোতে থাকে ভারত। ১৪.৪ ওভারে ১ উইকেটে ৮৯ রান করে তারা। শ্রীলঙ্কার বোলারদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ভারতের ইনিংসের ধস নামে এখান থেকেই। শেষ ৩২ বলে ৬ উইকেট হারিয়ে ভারত যোগ করেছে ২৭ রান। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ভারতীয়রা করে ১১৬ রান। ভারতের ইনিংসে সর্বোচ্চ ৪৬ রান করেন স্মৃতি মান্ধানা। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪২ রান করেন জেমিমা রদ্রিগেজ। মান্ধানা, রদ্রিগেজ ছাড়া কেউই দুই অঙ্কের রান করতে পারেননি। লঙ্কান বোলারদের মধ্যে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন সুগন্দিকা কুমারী, আইনোকা রনবীরা ও উদেশিকা প্রবোধনি।

নিষেধাজ্ঞা থাকায় এশিয়ান গেমস নারী ক্রিকেটের দুই ম্যাচ খেলতে পারেননি হারমানপ্রীত কৌর। কোয়ার্টার, সেমিফাইনালে ভারতকে নেতৃত্ব দিয়েছেন স্মৃতি মান্ধানা। আর ভারত ফাইনালে ওঠায় অধিনায়ক হয়েই ফিরেছেন হারমানপ্রীত। ফেরার ম্যাচটাই হয়ে থাকল স্মরণীয়। শ্রীলঙ্কাকে হেসেখেলে হারিয়ে এশিয়ান গেমস নারী ক্রিকেটের স্বর্ণ জিতল ভারতীয় দল।
হাংঝুর পিংফেং ক্যাম্পাস ক্রিকেট ফিল্ডে ফাইনালে আজ ভারতের দেওয়া ১১৭ রানের লক্ষ্যে শ্রীলঙ্কা শুরুতেই হোঁচট খায়। ৪.২ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে লঙ্কানদের স্কোর দাঁড়ায় ১৪ রান। অধিনায়ক চামারি আতাপাত্তু, উইকেটরক্ষক আনুস্কা সঞ্জীবনী, ভিশ্মি গুনারত্নে-লঙ্কার প্রথম ৩ উইকেটই নিয়েছেন ভারতের পেস বোলার তিতাস সাধু। এরপর ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন হাশিনি পেরেরা ও নিলাক্ষী ডি সিলভা। চতুর্থ উইকেটে ৩৩ বলে ৩৬ রানের জুটি গড়েন পেরেরা ও ডি সিলভা। দশম ওভারের পঞ্চম বলে পেরেরাকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন রাজেশ্বরী গায়কোয়াড। ২২ বলে ২৫ রান করেন পেরেরা।
পেরেরা ফেরার পর শ্রীলঙ্কার স্কোর দাঁড়ায় ৯.৫ ওভারে ৪ উইকেট ৫০ রান। এরপর উইকেটে আসেন ওশাদি রনসিঙ্গে। শেষ ৬১ বলে ৬ উইকেট হাতে নিয়ে দরকার ছিল ৬৭ রান। তবে ভারতীয় বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে জয়ের ধারেকাছেও যেতে পারেনি শ্রীলঙ্কা। ৪ উইকেট হারিয়ে লঙ্কানরা যোগ করেছে ৪৭ রান। ২০ ওভারে ৮ উইকেটে আটকে যায় লঙ্কানদের ইনিংস। অধিনায়ক হিসেবে শততম আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ১০০ ম্যাচ খেলার দিনই এশিয়ান গেমসে স্বর্ণ জিতেছেন হারমানপ্রীত। নারীদের আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে হারমানপ্রীত, মেগ ল্যানিং-এই দুই ক্রিকেটার অধিনায়ক হিসেবে ম্যাচের সেঞ্চুরি করেছেন।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ভারতের অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌর। প্রথমে ব্যাটিং নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই এগোতে থাকে ভারত। ১৪.৪ ওভারে ১ উইকেটে ৮৯ রান করে তারা। শ্রীলঙ্কার বোলারদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ভারতের ইনিংসের ধস নামে এখান থেকেই। শেষ ৩২ বলে ৬ উইকেট হারিয়ে ভারত যোগ করেছে ২৭ রান। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ভারতীয়রা করে ১১৬ রান। ভারতের ইনিংসে সর্বোচ্চ ৪৬ রান করেন স্মৃতি মান্ধানা। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪২ রান করেন জেমিমা রদ্রিগেজ। মান্ধানা, রদ্রিগেজ ছাড়া কেউই দুই অঙ্কের রান করতে পারেননি। লঙ্কান বোলারদের মধ্যে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন সুগন্দিকা কুমারী, আইনোকা রনবীরা ও উদেশিকা প্রবোধনি।

অ্যাডিলেডের রোববারটা নানা প্রতীকে ভরা। ক্রিসমাসের ঠিক আগের এই রোববারে সেন্ট পিটার্স ক্যাথেড্রালে কোরাস দলের ঢিলেঢালা লাল পোশাকের সদস্যরা জড়ো হয়ে চ্যান্সেলে দাঁড়িয়ে নিজেদের মধ্যে আলাপ করছিলেন, খ্রিষ্টধর্মীয় ভোজনোৎসবের মহড়ার শুরুর অপেক্ষায়।
১৫ মিনিট আগে
১৩৫ রানের লক্ষ্য বর্তমানে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এমন কী! যেখানে আগে ব্যাটিং করে ২০০, ২৫০ রান করেও জয়ের ব্যাপারে নিশ্চিত থাকার কোনো উপায় নেই। তবে গৌরবময় অনিশ্চয়তার খেলা ক্রিকেটে কখন যে কী হয়, সেটা অনুমান করা মুশকিল।
৩৫ মিনিট আগে
জিম্বাবুয়ে-মিসর ফুটবল ম্যাচ ১-১ গোলে ড্র ছিল কেবল সময়ের অপেক্ষা। কিন্তু শেষ মুহূর্তের ‘ম্যাজিক’ বলেও তো একটা ব্যাপার আছে। মোহাম্মদ সালাহ ঠিক তা-ই করলেন। তাঁর শেষ মুহূর্তের গোলে মিসর জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
সংযুক্ত আরব আমিরাতের আইএল টি-টোয়েন্টিতে শারজা ওয়ারিয়র্সের একাদশে তাসকিন আহমেদ নিয়মিতই খেলছেন। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ব্রেকথ্রু এনে দিচ্ছেন। তবে নিয়মিত উইকেট পেলেও মুক্তহস্তে রান বিলিয়ে দিচ্ছেন বাংলাদেশের এই অভিজ্ঞ পেসার। আজ আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে ডেথ ওভারে বেধড়ক পিটুনি খেয়েছেন তাসকিন।
১৩ ঘণ্টা আগেঅলিভার হল্ট

অ্যাডিলেডের রোববারটা নানা প্রতীকে ভরা। ক্রিসমাসের ঠিক আগের এই রোববারে সেন্ট পিটার্স ক্যাথেড্রালে কোরাস দলের ঢিলেঢালা লাল পোশাকের সদস্যরা জড়ো হয়ে চ্যান্সেলে দাঁড়িয়ে নিজেদের মধ্যে আলাপ করছিলেন, খ্রিষ্টধর্মীয় ভোজনোৎসবের মহড়ার শুরুর অপেক্ষায়। ২০০১ সালে এখানেই হয়েছিল স্যার ডন ব্র্যাডম্যানের স্মরণসভা। অতীতে অ্যাডিলেড ওভালের এক প্রান্তের নাম যে উপাসনালয়ের নামে—কিং উইলিয়াম রোড ধরে কয়েক শ গজ দূরের সেই গির্জায় টেস্ট ক্রিকেটাররা কখনো কখনো খানিকটা মানসিক শান্তি খুঁজতে আশ্রয় নিতেন।
কিন্তু ক্রিসমাসের আগের শেষ সে রোববারে ইংল্যান্ড ক্রিকেটারদের কেউ ক্ষমা প্রার্থনা করতে আসেননি, কেউ প্রার্থনায় মুক্তি খোঁজেননি। টানা তৃতীয় টেস্টে বিধ্বস্ত হয়ে হারার আশঙ্কা আর মাত্র ১১ দিনের মধ্যেই ‘টাইটানিক লড়াই’ হিসেবে প্রচারিত সিরিজে অ্যাশেজ হারানোর ভয় থেকে বাঁচার আকুতি জানাতেও দেখা যায়নি দলের কাউকে।
তার বদলে তাঁরা আশ্রয় খুঁজেছেন ড্রেসিংরুমে; যেখানে কোচ ব্রেন্ডন ম্যাককালাম ও অধিনায়ক বেন স্টোকস গড়ে তুলেছেন ‘ভাইয়ের দল’সুলভ এক বন্ধন, যার উদ্দেশ্য বিপদের মুখে দাঁড়িয়ে হেসে ওঠা।
অ্যাডিলেড টেস্টের শেষ দিনটি ছিল কার্যত ‘বাজবল’-এর শেষকৃত্যের। অস্ট্রেলিয়ার দেওয়া রেকর্ড ৪৩৫ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ইংল্যান্ডের শুধু লোয়ার অর্ডার ব্যাটাররাই প্রশংসনীয় লড়াই করলেন। কিন্তু স্কট বোল্যান্ডের বল জশ টাংয়ের ব্যাটের কানা ছুঁয়ে স্লিপে যখন তালুবন্দী হলেন মার্নাস লাবুশেনের, তখনই অ্যাশেজ রোমাঞ্চের সমাপ্তি।
৮২ রানে হার ইংল্যান্ডের। পার্থ ও ব্রিসবেনের পর টানা তৃতীয় হার। সিরিজে ৩-০। মাত্র ১১ দিনের মধ্যেই অ্যাশেজ হাতছাড়া। অস্ট্রেলিয়া প্রতিটি বিভাগে শ্রেষ্ঠত্ব দেখিয়ে বুঝিয়ে দিল, টেস্ট ক্রিকেট মানে শৃঙ্খলা, নিরবচ্ছিন্ন চাপ আর নিষ্ঠুর বাস্তবতা। সেখানে ইংল্যান্ডের ‘বাজবল’ দর্শন নগ্ন হয়ে পড়ল—দায়িত্ব এড়িয়ে যাওয়ার এক আরামদায়ক অজুহাত হিসেবে।
এটা বুঝতে শুরু করেছিলেন খোদ বেন স্টোকস নিজেও। তিনি চেয়েছিলেন বাজবল বদলে যাক, বিকশিত হোক। খেলোয়াড়দের মধ্যে আরও ‘লড়াকু মানসিকতা দেখতে চেয়েছিলেন। অ্যাডিলেডে আসার আগেই বাজবল তার বিশুদ্ধ রূপ হারাতে বসেছিল। ম্যাচ শেষে স্টোকস বললেন, বাইরের চাপ কমানোই ছিল এই দর্শনের মূল লক্ষ্য। ভুল হলে তা থেকে শেখার কথাও বললেন তিনি। জ্যাক ক্রলির দ্বিতীয় ইনিংসের উদাহরণ টেনে জানালেন, পরিস্থিতি বুঝে খেলাটাই আসল।
তবু বাস্তবতা কঠিন। ইংল্যান্ড এখন মেলবোর্নে যাচ্ছে সিরিজ হারের যন্ত্রণা উপশমের প্রলেপের খোঁজে, নতুন করে ভাবতে—এরপর কী? নিছক আগ্রাসন নয়, চাই বাস্তববাদী ও দীপ্ত পথচলা; যেখানে শৈল্পিকতা থাকবে, কিন্তু সে শৈল্পিকতায় থাকবে দায়িত্ববোধও। আর যদি এর একটা নাম দিতেই হয়, তবে তার স্রষ্টার নামেই ডাকা যায়—‘বেনবল’।
অনেকে বাজবলের পতনে আনন্দ পাবে। তাদের চোখে এটি ছিল দায়িত্বজ্ঞানহীন সাহসিকতা, ক্রিকেটের মতো গম্ভীর খেলাকে হালকা করে দেখার এক দর্শন। আর বাজবল খেলাটাকে বদলাতে চেয়েছিল বলেও অনেকেই একে ঘৃণা করেছে। তবে অ্যাডিলেডে ‘পুরোনো ধাঁচে’ হেরে যাওয়াতেও বিশেষ সান্ত্বনা নেই।
আমিও বাজবলের ভক্ত। টেস্ট ক্রিকেটে যে দুঃসাহস, রোমাঞ্চ আর অনিশ্চয়তা নিয়ে এসেছে এই বাজবল, তা উপভোগ করেছি। কিন্তু এই সফরে ম্যাককালাম নিজের দর্শনের সঙ্গেই বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। প্রস্তুতি ও বাস্তবায়নে অতিরিক্ত ‘ফ্রিস্টাইল’ নীতি নিয়েছিলেন। এই অ্যাশেজ বিপর্যয়ের দায় যদি কারও কাঁধে পড়তেই হয়, তবে সেটি তাঁরই।
হ্যাঁ, এই নির্মম সিরিজে বাজবলকে সিংহাসনচ্যুত করা হয়েছে। হয়তো তাঁর সময় শেষ। কিন্তু তাঁর আগের যুগের নিরানন্দ, পরাজয় মানা ক্রিকেটে ফেরার আকাঙ্ক্ষা—সেটা যেন আর কখনো না ফিরে আসে।
লেখক: ডেইলি মেইলের প্রধান ক্রীড়া লেখক (ডেইলি মেইল থেকে সংক্ষেপিত)।
থাকতে চান ম্যাককালাম
অ্যাশেজে হতাশাজনক পরাজয়ের পরও নিজের দায়িত্বে অটল থাকতে চান ইংল্যান্ড কোচ ব্রেন্ডন ম্যাককালাম। তবে তিনি স্বীকার করেছেন, তাঁর ভবিষ্যৎ এখন নিজের হাতে নেই। পাঁচ ম্যাচের সিরিজে মাত্র ১১ দিনের মধ্যে ৩-০ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়েছে ইংল্যান্ড। পদত্যাগের প্রশ্নে ব্রিটিশ গণমাধ্যমকে ম্যাককালাম বলেন, ‘আমি শুধু আমার কাজটা করে যাওয়ার চেষ্টা করব। যেসব জায়গায় আমরা ঠিকভাবে কাজ করতে পারিনি, সেগুলো থেকে শিক্ষা নেওয়ার চেষ্টা করব এবং কিছু সমন্বয় আনার চেষ্টা করব।’

অ্যাডিলেডের রোববারটা নানা প্রতীকে ভরা। ক্রিসমাসের ঠিক আগের এই রোববারে সেন্ট পিটার্স ক্যাথেড্রালে কোরাস দলের ঢিলেঢালা লাল পোশাকের সদস্যরা জড়ো হয়ে চ্যান্সেলে দাঁড়িয়ে নিজেদের মধ্যে আলাপ করছিলেন, খ্রিষ্টধর্মীয় ভোজনোৎসবের মহড়ার শুরুর অপেক্ষায়। ২০০১ সালে এখানেই হয়েছিল স্যার ডন ব্র্যাডম্যানের স্মরণসভা। অতীতে অ্যাডিলেড ওভালের এক প্রান্তের নাম যে উপাসনালয়ের নামে—কিং উইলিয়াম রোড ধরে কয়েক শ গজ দূরের সেই গির্জায় টেস্ট ক্রিকেটাররা কখনো কখনো খানিকটা মানসিক শান্তি খুঁজতে আশ্রয় নিতেন।
কিন্তু ক্রিসমাসের আগের শেষ সে রোববারে ইংল্যান্ড ক্রিকেটারদের কেউ ক্ষমা প্রার্থনা করতে আসেননি, কেউ প্রার্থনায় মুক্তি খোঁজেননি। টানা তৃতীয় টেস্টে বিধ্বস্ত হয়ে হারার আশঙ্কা আর মাত্র ১১ দিনের মধ্যেই ‘টাইটানিক লড়াই’ হিসেবে প্রচারিত সিরিজে অ্যাশেজ হারানোর ভয় থেকে বাঁচার আকুতি জানাতেও দেখা যায়নি দলের কাউকে।
তার বদলে তাঁরা আশ্রয় খুঁজেছেন ড্রেসিংরুমে; যেখানে কোচ ব্রেন্ডন ম্যাককালাম ও অধিনায়ক বেন স্টোকস গড়ে তুলেছেন ‘ভাইয়ের দল’সুলভ এক বন্ধন, যার উদ্দেশ্য বিপদের মুখে দাঁড়িয়ে হেসে ওঠা।
অ্যাডিলেড টেস্টের শেষ দিনটি ছিল কার্যত ‘বাজবল’-এর শেষকৃত্যের। অস্ট্রেলিয়ার দেওয়া রেকর্ড ৪৩৫ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ইংল্যান্ডের শুধু লোয়ার অর্ডার ব্যাটাররাই প্রশংসনীয় লড়াই করলেন। কিন্তু স্কট বোল্যান্ডের বল জশ টাংয়ের ব্যাটের কানা ছুঁয়ে স্লিপে যখন তালুবন্দী হলেন মার্নাস লাবুশেনের, তখনই অ্যাশেজ রোমাঞ্চের সমাপ্তি।
৮২ রানে হার ইংল্যান্ডের। পার্থ ও ব্রিসবেনের পর টানা তৃতীয় হার। সিরিজে ৩-০। মাত্র ১১ দিনের মধ্যেই অ্যাশেজ হাতছাড়া। অস্ট্রেলিয়া প্রতিটি বিভাগে শ্রেষ্ঠত্ব দেখিয়ে বুঝিয়ে দিল, টেস্ট ক্রিকেট মানে শৃঙ্খলা, নিরবচ্ছিন্ন চাপ আর নিষ্ঠুর বাস্তবতা। সেখানে ইংল্যান্ডের ‘বাজবল’ দর্শন নগ্ন হয়ে পড়ল—দায়িত্ব এড়িয়ে যাওয়ার এক আরামদায়ক অজুহাত হিসেবে।
এটা বুঝতে শুরু করেছিলেন খোদ বেন স্টোকস নিজেও। তিনি চেয়েছিলেন বাজবল বদলে যাক, বিকশিত হোক। খেলোয়াড়দের মধ্যে আরও ‘লড়াকু মানসিকতা দেখতে চেয়েছিলেন। অ্যাডিলেডে আসার আগেই বাজবল তার বিশুদ্ধ রূপ হারাতে বসেছিল। ম্যাচ শেষে স্টোকস বললেন, বাইরের চাপ কমানোই ছিল এই দর্শনের মূল লক্ষ্য। ভুল হলে তা থেকে শেখার কথাও বললেন তিনি। জ্যাক ক্রলির দ্বিতীয় ইনিংসের উদাহরণ টেনে জানালেন, পরিস্থিতি বুঝে খেলাটাই আসল।
তবু বাস্তবতা কঠিন। ইংল্যান্ড এখন মেলবোর্নে যাচ্ছে সিরিজ হারের যন্ত্রণা উপশমের প্রলেপের খোঁজে, নতুন করে ভাবতে—এরপর কী? নিছক আগ্রাসন নয়, চাই বাস্তববাদী ও দীপ্ত পথচলা; যেখানে শৈল্পিকতা থাকবে, কিন্তু সে শৈল্পিকতায় থাকবে দায়িত্ববোধও। আর যদি এর একটা নাম দিতেই হয়, তবে তার স্রষ্টার নামেই ডাকা যায়—‘বেনবল’।
অনেকে বাজবলের পতনে আনন্দ পাবে। তাদের চোখে এটি ছিল দায়িত্বজ্ঞানহীন সাহসিকতা, ক্রিকেটের মতো গম্ভীর খেলাকে হালকা করে দেখার এক দর্শন। আর বাজবল খেলাটাকে বদলাতে চেয়েছিল বলেও অনেকেই একে ঘৃণা করেছে। তবে অ্যাডিলেডে ‘পুরোনো ধাঁচে’ হেরে যাওয়াতেও বিশেষ সান্ত্বনা নেই।
আমিও বাজবলের ভক্ত। টেস্ট ক্রিকেটে যে দুঃসাহস, রোমাঞ্চ আর অনিশ্চয়তা নিয়ে এসেছে এই বাজবল, তা উপভোগ করেছি। কিন্তু এই সফরে ম্যাককালাম নিজের দর্শনের সঙ্গেই বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। প্রস্তুতি ও বাস্তবায়নে অতিরিক্ত ‘ফ্রিস্টাইল’ নীতি নিয়েছিলেন। এই অ্যাশেজ বিপর্যয়ের দায় যদি কারও কাঁধে পড়তেই হয়, তবে সেটি তাঁরই।
হ্যাঁ, এই নির্মম সিরিজে বাজবলকে সিংহাসনচ্যুত করা হয়েছে। হয়তো তাঁর সময় শেষ। কিন্তু তাঁর আগের যুগের নিরানন্দ, পরাজয় মানা ক্রিকেটে ফেরার আকাঙ্ক্ষা—সেটা যেন আর কখনো না ফিরে আসে।
লেখক: ডেইলি মেইলের প্রধান ক্রীড়া লেখক (ডেইলি মেইল থেকে সংক্ষেপিত)।
থাকতে চান ম্যাককালাম
অ্যাশেজে হতাশাজনক পরাজয়ের পরও নিজের দায়িত্বে অটল থাকতে চান ইংল্যান্ড কোচ ব্রেন্ডন ম্যাককালাম। তবে তিনি স্বীকার করেছেন, তাঁর ভবিষ্যৎ এখন নিজের হাতে নেই। পাঁচ ম্যাচের সিরিজে মাত্র ১১ দিনের মধ্যে ৩-০ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়েছে ইংল্যান্ড। পদত্যাগের প্রশ্নে ব্রিটিশ গণমাধ্যমকে ম্যাককালাম বলেন, ‘আমি শুধু আমার কাজটা করে যাওয়ার চেষ্টা করব। যেসব জায়গায় আমরা ঠিকভাবে কাজ করতে পারিনি, সেগুলো থেকে শিক্ষা নেওয়ার চেষ্টা করব এবং কিছু সমন্বয় আনার চেষ্টা করব।’

নিষেধাজ্ঞা থাকায় এশিয়ান গেমস নারী ক্রিকেটের দুই ম্যাচ খেলতে পারেননি হারমানপ্রীত কৌর। কোয়ার্টার, সেমিফাইনালে ভারতকে নেতৃত্ব দিয়েছেন স্মৃতি মান্ধানা। আর ভারত ফাইনালে ওঠায় অধিনায়ক হয়েই ফিরেছেন হারমানপ্রীত। ফেরার ম্যাচটাই হয়ে থাকল স্মরণীয়। শ্রীলঙ্কাকে হেসেখেলে হারিয়ে এশিয়ান গেমস নারী ক্রিকেটের স্বর্ণ জি
২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩
১৩৫ রানের লক্ষ্য বর্তমানে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এমন কী! যেখানে আগে ব্যাটিং করে ২০০, ২৫০ রান করেও জয়ের ব্যাপারে নিশ্চিত থাকার কোনো উপায় নেই। তবে গৌরবময় অনিশ্চয়তার খেলা ক্রিকেটে কখন যে কী হয়, সেটা অনুমান করা মুশকিল।
৩৫ মিনিট আগে
জিম্বাবুয়ে-মিসর ফুটবল ম্যাচ ১-১ গোলে ড্র ছিল কেবল সময়ের অপেক্ষা। কিন্তু শেষ মুহূর্তের ‘ম্যাজিক’ বলেও তো একটা ব্যাপার আছে। মোহাম্মদ সালাহ ঠিক তা-ই করলেন। তাঁর শেষ মুহূর্তের গোলে মিসর জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
সংযুক্ত আরব আমিরাতের আইএল টি-টোয়েন্টিতে শারজা ওয়ারিয়র্সের একাদশে তাসকিন আহমেদ নিয়মিতই খেলছেন। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ব্রেকথ্রু এনে দিচ্ছেন। তবে নিয়মিত উইকেট পেলেও মুক্তহস্তে রান বিলিয়ে দিচ্ছেন বাংলাদেশের এই অভিজ্ঞ পেসার। আজ আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে ডেথ ওভারে বেধড়ক পিটুনি খেয়েছেন তাসকিন।
১৩ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

১৩৫ রানের লক্ষ্য বর্তমানে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এমন কী! যেখানে আগে ব্যাটিং করে ২০০, ২৫০ রান করেও জয়ের ব্যাপারে নিশ্চিত থাকার কোনো উপায় নেই। তবে গৌরবময় অনিশ্চয়তার খেলা ক্রিকেটে কখন যে কী হয়, সেটা অনুমান করা মুশকিল। গত রাতে তাসকিন আহমেদের শারজা ওয়ারিয়র্সের এমন মামুলি লক্ষ্য তাড়া করে জিততে শেষ বল পর্যন্ত খেলতে হয়েছে।
আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে গত রাতে আবুধাবি নাইট রাইডার্সের মুখোমুখি হয়েছে তাসকিনের শারজা ওয়ারিয়র্স। ৪ উইকেটের রোমাঞ্চকর জয়ে এখন শারজা ওয়ারিয়র্সের পয়েন্ট ৬। ৮ ম্যাচ খেলে তাসকিনের দল ৩ ম্যাচ জিতেছে ও হেরেছে ৫ ম্যাচ। শারজা ওয়ারিয়র্সের মতো আবুধাবি নাইট রাইডার্স, গালফ জায়ান্টসেরও পয়েন্ট ৬। তবে নেট রানরেটের মারপ্যাচে পয়েন্ট টেবিলে তাসকিনের দল অবস্থান করছে ৬ নম্বরে। শারজার নেট রানরেট -০.৯১০। চার ও পাঁচ নম্বরে থাকা গালফ জায়ান্টস ও আবুধাবি নাইট রাইডার্সের নেট রানরেট +০.০১৮ ও -০.৮০৫। ১৪ পয়েন্ট নিয়ে ছয় দলের মধ্যে সবার ওপরে ডেজার্ট ভাইপার্স। দুই ও তিনে থাকা এমআই এমিরেটস ও দুবাই ক্যাপিটালসের পয়েন্ট ১০ ও ৮।
আবুধাবির দেওয়া ১৩৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে গতকাল ১২.১ ওভারে ৪ উইকেটে ৬৫ রানে পরিণত হয় শারজা। এমন অবস্থায় শারজার ওপর রানরেটের চাপ বাড়তে থাকে। ৪৭ বলে ৭০ রানের সমীকরণের সামনে যখন শারজা, তখন ঢাল হয়ে দাঁড়ান অধিনায়ক সিকান্দার রাজা ও জেমস রিউ। পঞ্চম উইকেটে ৩৫ বলে ৫৭ রানের জুটি গড়েন রাজা-রিউ। ১৮তম ওভারের শেষ বলে রাজাকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন অজয় কুমার। ২৫ বলে একটি করে চার ও ছক্কায় ২৮ রান করেন রাজা। পরের ওভারের (১৯তম ওভার) শেষ বলে ডোয়াইন প্রিটোরিয়াসকে (০) যখন জেসন হোল্ডার ফিরিয়েছেন, তখন জয়ের সুযোগ তৈরি হয় আবুধাবি নাইট রাইডার্সের।
হাতে ৪ উইকেট নিয়ে শেষ ওভারে ১২ রানের সমীকরণের সামনে এসে পড়ে শারজা ওয়ারিয়র্স। ইনিংসের শেষ বলে আন্দ্রে রাসেলকে শর্ট কাভারে ঠেলে সিঙ্গেল নিয়ে শারজাকে রুদ্ধশ্বাস জয় এনে দেন আদিল রশিদ। শারজা ওয়ারিয়র্সের ইনিংস সর্বোচ্চ ৪২ রান করে অপরাজিত থাকেন রিউ। ২৯ বলের ইনিংসে ৪ চার ও ১ ছক্কা মারেন তিনি। আবুধাবির অজয় ও হোল্ডার নিয়েছেন একটি করে উইকেট। শারজার ৪ উইকেটের জয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন রশিদ। ৪ ওভারে ১৮ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট।
টস জিতে আগে ব্যাটিং নেওয়া আবুধাবি নাইট রাইডার্স ৩.৫ ওভারে ৪ উইকেটে ১০ রানে পরিণত হয়। ১০০-এর আগে অলআউট হওয়ার তুমুল শঙ্কা থাকলেও শেষের ঝড়ে সেটা এড়িয়েছে আবুধাবি। বিশেষ করে ১৯তম ওভারে বোলিংয়ে আসা তাসকিনের ওভারে তাণ্ডব চালিয়ে ২৫ রান নেয় আবুধাবি। সেই ওভারে দুটি করে ছক্কা মারেন হোল্ডার ও রাসেল। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৩৪ রান করে আবুধাবি। তাসকিন ৪ ওভারে ৪১ রানে নিয়েছেন ২ উইকেট। শারজা অধিনায়ক রাজা ৪ ওভারে ১৭ রানে নিয়েছেন এক উইকেট।

১৩৫ রানের লক্ষ্য বর্তমানে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এমন কী! যেখানে আগে ব্যাটিং করে ২০০, ২৫০ রান করেও জয়ের ব্যাপারে নিশ্চিত থাকার কোনো উপায় নেই। তবে গৌরবময় অনিশ্চয়তার খেলা ক্রিকেটে কখন যে কী হয়, সেটা অনুমান করা মুশকিল। গত রাতে তাসকিন আহমেদের শারজা ওয়ারিয়র্সের এমন মামুলি লক্ষ্য তাড়া করে জিততে শেষ বল পর্যন্ত খেলতে হয়েছে।
আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে গত রাতে আবুধাবি নাইট রাইডার্সের মুখোমুখি হয়েছে তাসকিনের শারজা ওয়ারিয়র্স। ৪ উইকেটের রোমাঞ্চকর জয়ে এখন শারজা ওয়ারিয়র্সের পয়েন্ট ৬। ৮ ম্যাচ খেলে তাসকিনের দল ৩ ম্যাচ জিতেছে ও হেরেছে ৫ ম্যাচ। শারজা ওয়ারিয়র্সের মতো আবুধাবি নাইট রাইডার্স, গালফ জায়ান্টসেরও পয়েন্ট ৬। তবে নেট রানরেটের মারপ্যাচে পয়েন্ট টেবিলে তাসকিনের দল অবস্থান করছে ৬ নম্বরে। শারজার নেট রানরেট -০.৯১০। চার ও পাঁচ নম্বরে থাকা গালফ জায়ান্টস ও আবুধাবি নাইট রাইডার্সের নেট রানরেট +০.০১৮ ও -০.৮০৫। ১৪ পয়েন্ট নিয়ে ছয় দলের মধ্যে সবার ওপরে ডেজার্ট ভাইপার্স। দুই ও তিনে থাকা এমআই এমিরেটস ও দুবাই ক্যাপিটালসের পয়েন্ট ১০ ও ৮।
আবুধাবির দেওয়া ১৩৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে গতকাল ১২.১ ওভারে ৪ উইকেটে ৬৫ রানে পরিণত হয় শারজা। এমন অবস্থায় শারজার ওপর রানরেটের চাপ বাড়তে থাকে। ৪৭ বলে ৭০ রানের সমীকরণের সামনে যখন শারজা, তখন ঢাল হয়ে দাঁড়ান অধিনায়ক সিকান্দার রাজা ও জেমস রিউ। পঞ্চম উইকেটে ৩৫ বলে ৫৭ রানের জুটি গড়েন রাজা-রিউ। ১৮তম ওভারের শেষ বলে রাজাকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন অজয় কুমার। ২৫ বলে একটি করে চার ও ছক্কায় ২৮ রান করেন রাজা। পরের ওভারের (১৯তম ওভার) শেষ বলে ডোয়াইন প্রিটোরিয়াসকে (০) যখন জেসন হোল্ডার ফিরিয়েছেন, তখন জয়ের সুযোগ তৈরি হয় আবুধাবি নাইট রাইডার্সের।
হাতে ৪ উইকেট নিয়ে শেষ ওভারে ১২ রানের সমীকরণের সামনে এসে পড়ে শারজা ওয়ারিয়র্স। ইনিংসের শেষ বলে আন্দ্রে রাসেলকে শর্ট কাভারে ঠেলে সিঙ্গেল নিয়ে শারজাকে রুদ্ধশ্বাস জয় এনে দেন আদিল রশিদ। শারজা ওয়ারিয়র্সের ইনিংস সর্বোচ্চ ৪২ রান করে অপরাজিত থাকেন রিউ। ২৯ বলের ইনিংসে ৪ চার ও ১ ছক্কা মারেন তিনি। আবুধাবির অজয় ও হোল্ডার নিয়েছেন একটি করে উইকেট। শারজার ৪ উইকেটের জয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন রশিদ। ৪ ওভারে ১৮ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট।
টস জিতে আগে ব্যাটিং নেওয়া আবুধাবি নাইট রাইডার্স ৩.৫ ওভারে ৪ উইকেটে ১০ রানে পরিণত হয়। ১০০-এর আগে অলআউট হওয়ার তুমুল শঙ্কা থাকলেও শেষের ঝড়ে সেটা এড়িয়েছে আবুধাবি। বিশেষ করে ১৯তম ওভারে বোলিংয়ে আসা তাসকিনের ওভারে তাণ্ডব চালিয়ে ২৫ রান নেয় আবুধাবি। সেই ওভারে দুটি করে ছক্কা মারেন হোল্ডার ও রাসেল। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৩৪ রান করে আবুধাবি। তাসকিন ৪ ওভারে ৪১ রানে নিয়েছেন ২ উইকেট। শারজা অধিনায়ক রাজা ৪ ওভারে ১৭ রানে নিয়েছেন এক উইকেট।

নিষেধাজ্ঞা থাকায় এশিয়ান গেমস নারী ক্রিকেটের দুই ম্যাচ খেলতে পারেননি হারমানপ্রীত কৌর। কোয়ার্টার, সেমিফাইনালে ভারতকে নেতৃত্ব দিয়েছেন স্মৃতি মান্ধানা। আর ভারত ফাইনালে ওঠায় অধিনায়ক হয়েই ফিরেছেন হারমানপ্রীত। ফেরার ম্যাচটাই হয়ে থাকল স্মরণীয়। শ্রীলঙ্কাকে হেসেখেলে হারিয়ে এশিয়ান গেমস নারী ক্রিকেটের স্বর্ণ জি
২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩
অ্যাডিলেডের রোববারটা নানা প্রতীকে ভরা। ক্রিসমাসের ঠিক আগের এই রোববারে সেন্ট পিটার্স ক্যাথেড্রালে কোরাস দলের ঢিলেঢালা লাল পোশাকের সদস্যরা জড়ো হয়ে চ্যান্সেলে দাঁড়িয়ে নিজেদের মধ্যে আলাপ করছিলেন, খ্রিষ্টধর্মীয় ভোজনোৎসবের মহড়ার শুরুর অপেক্ষায়।
১৫ মিনিট আগে
জিম্বাবুয়ে-মিসর ফুটবল ম্যাচ ১-১ গোলে ড্র ছিল কেবল সময়ের অপেক্ষা। কিন্তু শেষ মুহূর্তের ‘ম্যাজিক’ বলেও তো একটা ব্যাপার আছে। মোহাম্মদ সালাহ ঠিক তা-ই করলেন। তাঁর শেষ মুহূর্তের গোলে মিসর জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
সংযুক্ত আরব আমিরাতের আইএল টি-টোয়েন্টিতে শারজা ওয়ারিয়র্সের একাদশে তাসকিন আহমেদ নিয়মিতই খেলছেন। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ব্রেকথ্রু এনে দিচ্ছেন। তবে নিয়মিত উইকেট পেলেও মুক্তহস্তে রান বিলিয়ে দিচ্ছেন বাংলাদেশের এই অভিজ্ঞ পেসার। আজ আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে ডেথ ওভারে বেধড়ক পিটুনি খেয়েছেন তাসকিন।
১৩ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

জিম্বাবুয়ে-মিসর ফুটবল ম্যাচ ১-১ গোলে ড্র ছিল কেবল সময়ের অপেক্ষা। কিন্তু শেষ মুহূর্তের ‘ম্যাজিক’ বলেও তো একটা ব্যাপার আছে। মোহাম্মদ সালাহ ঠিক তা-ই করলেন। তাঁর শেষ মুহূর্তের গোলে মিসর জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে।
মরক্কোর আগাদির শহরের আদরার স্টেডিয়ামে ‘বি’ গ্রুপের ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে জিম্বাবুয়ে-মিসর। আফ্রিকা কাপ অব নেশনসে (আফকন) রেকর্ড সাতবারের চ্যাম্পিয়ন মিসর প্রথমেই গোল হজম করে বসে। পিছিয়ে পড়া মিসর উদ্ধার হয়েছে সালাহর শেষ মুহূর্তের গোলে। ‘বি’ গ্রুপের ম্যাচে জিম্বাবুয়েকে ২-১ গোলে হারিয়েছে মিসর।
মিসরের বিপক্ষে ২০ মিনিটে গোল করে জিম্বাবুয়েকে এগিয়ে দেন প্রিন্স দুবে। সাতবারের চ্যাম্পিয়নরা প্রথমার্ধ শেষ করে ১-০ গোলে পিছিয়ে থেকে। বিরতির পর সমতায় ফিরতে মিসরের লেগেছে ১৯ মিনিট। ৬৪ মিনিটে সমতাসূচক গোল করেন দলটির সিটি ফরোয়ার্ড ওমর মারমুশ। ম্যাচে অনেকবার গোলের সুযোগ মিস করে মিসর। গোলের সুযোগ নষ্ট করেন সালাহও। তবে সবকিছু যেন জমিয়ে রেখেছিলেন শেষ মুহূর্তের জন্য। ৯০ মিনিটের পর অতিরিক্ত ১ মিনিটে মিসরীয় এই ফরোয়ার্ড করেন জয়সূচক গোল। বাঁ পায়ের দারুণ এক শটে জিম্বাবুয়ের গোলরক্ষক ওয়াশিংটন আরুবিকে বোকা বানিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন সালাহ।
মারাক্কেশে ‘বি’ গ্রুপের অপর ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে অ্যাঙ্গোলা-দক্ষিণ আফ্রিকা। ২১ মিনিটে স্ট্রাইকার অসউইন অ্যাপোলিসের গোলে এগিয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথমার্ধেই সমতায় ফিরেছে অ্যাঙ্গোলা। ৩৫ মিনিটে সমতাসূচক গোল করেন দলটির মিডফিল্ডার শো। ১-১ সমতায় শেষ হয় প্রথমার্ধ। ৭৯ মিনিটে দক্ষিণ আফ্রিকাকে এগিয়ে দেন দলটির স্ট্রাইকার লিল ফস্টার। শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা।
লিভারপুলের হয়ে টানা পাঁচ ম্যাচে একাদশে জায়গা পাননি সালাহ। অলরেড কোচ আর্নে স্লটের সঙ্গে সালাহর বিরোধ সৃষ্টি হয়। যদিও সেই সমস্যা পুরোপুরি কাটেনি। তবে মাঠের পারফরম্যান্সে সেটার বিন্দুমাত্র প্রভাব পড়তে দেননি। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শেষ মুহূর্তের ভেলকিতে মিসরকে জেতানো সালাহ নিশ্চয়ই মিসরের হয়ে প্রথম কোনো শিরোপা জিততে চাইবেন। এর আগে ২০১৭, ২০২১ সালে আফকনের ফাইনালে উঠলেও দুইবারই রানার্সআপ হয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন তিনি।

জিম্বাবুয়ে-মিসর ফুটবল ম্যাচ ১-১ গোলে ড্র ছিল কেবল সময়ের অপেক্ষা। কিন্তু শেষ মুহূর্তের ‘ম্যাজিক’ বলেও তো একটা ব্যাপার আছে। মোহাম্মদ সালাহ ঠিক তা-ই করলেন। তাঁর শেষ মুহূর্তের গোলে মিসর জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে।
মরক্কোর আগাদির শহরের আদরার স্টেডিয়ামে ‘বি’ গ্রুপের ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে জিম্বাবুয়ে-মিসর। আফ্রিকা কাপ অব নেশনসে (আফকন) রেকর্ড সাতবারের চ্যাম্পিয়ন মিসর প্রথমেই গোল হজম করে বসে। পিছিয়ে পড়া মিসর উদ্ধার হয়েছে সালাহর শেষ মুহূর্তের গোলে। ‘বি’ গ্রুপের ম্যাচে জিম্বাবুয়েকে ২-১ গোলে হারিয়েছে মিসর।
মিসরের বিপক্ষে ২০ মিনিটে গোল করে জিম্বাবুয়েকে এগিয়ে দেন প্রিন্স দুবে। সাতবারের চ্যাম্পিয়নরা প্রথমার্ধ শেষ করে ১-০ গোলে পিছিয়ে থেকে। বিরতির পর সমতায় ফিরতে মিসরের লেগেছে ১৯ মিনিট। ৬৪ মিনিটে সমতাসূচক গোল করেন দলটির সিটি ফরোয়ার্ড ওমর মারমুশ। ম্যাচে অনেকবার গোলের সুযোগ মিস করে মিসর। গোলের সুযোগ নষ্ট করেন সালাহও। তবে সবকিছু যেন জমিয়ে রেখেছিলেন শেষ মুহূর্তের জন্য। ৯০ মিনিটের পর অতিরিক্ত ১ মিনিটে মিসরীয় এই ফরোয়ার্ড করেন জয়সূচক গোল। বাঁ পায়ের দারুণ এক শটে জিম্বাবুয়ের গোলরক্ষক ওয়াশিংটন আরুবিকে বোকা বানিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন সালাহ।
মারাক্কেশে ‘বি’ গ্রুপের অপর ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে অ্যাঙ্গোলা-দক্ষিণ আফ্রিকা। ২১ মিনিটে স্ট্রাইকার অসউইন অ্যাপোলিসের গোলে এগিয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথমার্ধেই সমতায় ফিরেছে অ্যাঙ্গোলা। ৩৫ মিনিটে সমতাসূচক গোল করেন দলটির মিডফিল্ডার শো। ১-১ সমতায় শেষ হয় প্রথমার্ধ। ৭৯ মিনিটে দক্ষিণ আফ্রিকাকে এগিয়ে দেন দলটির স্ট্রাইকার লিল ফস্টার। শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা।
লিভারপুলের হয়ে টানা পাঁচ ম্যাচে একাদশে জায়গা পাননি সালাহ। অলরেড কোচ আর্নে স্লটের সঙ্গে সালাহর বিরোধ সৃষ্টি হয়। যদিও সেই সমস্যা পুরোপুরি কাটেনি। তবে মাঠের পারফরম্যান্সে সেটার বিন্দুমাত্র প্রভাব পড়তে দেননি। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শেষ মুহূর্তের ভেলকিতে মিসরকে জেতানো সালাহ নিশ্চয়ই মিসরের হয়ে প্রথম কোনো শিরোপা জিততে চাইবেন। এর আগে ২০১৭, ২০২১ সালে আফকনের ফাইনালে উঠলেও দুইবারই রানার্সআপ হয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন তিনি।

নিষেধাজ্ঞা থাকায় এশিয়ান গেমস নারী ক্রিকেটের দুই ম্যাচ খেলতে পারেননি হারমানপ্রীত কৌর। কোয়ার্টার, সেমিফাইনালে ভারতকে নেতৃত্ব দিয়েছেন স্মৃতি মান্ধানা। আর ভারত ফাইনালে ওঠায় অধিনায়ক হয়েই ফিরেছেন হারমানপ্রীত। ফেরার ম্যাচটাই হয়ে থাকল স্মরণীয়। শ্রীলঙ্কাকে হেসেখেলে হারিয়ে এশিয়ান গেমস নারী ক্রিকেটের স্বর্ণ জি
২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩
অ্যাডিলেডের রোববারটা নানা প্রতীকে ভরা। ক্রিসমাসের ঠিক আগের এই রোববারে সেন্ট পিটার্স ক্যাথেড্রালে কোরাস দলের ঢিলেঢালা লাল পোশাকের সদস্যরা জড়ো হয়ে চ্যান্সেলে দাঁড়িয়ে নিজেদের মধ্যে আলাপ করছিলেন, খ্রিষ্টধর্মীয় ভোজনোৎসবের মহড়ার শুরুর অপেক্ষায়।
১৫ মিনিট আগে
১৩৫ রানের লক্ষ্য বর্তমানে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এমন কী! যেখানে আগে ব্যাটিং করে ২০০, ২৫০ রান করেও জয়ের ব্যাপারে নিশ্চিত থাকার কোনো উপায় নেই। তবে গৌরবময় অনিশ্চয়তার খেলা ক্রিকেটে কখন যে কী হয়, সেটা অনুমান করা মুশকিল।
৩৫ মিনিট আগে
সংযুক্ত আরব আমিরাতের আইএল টি-টোয়েন্টিতে শারজা ওয়ারিয়র্সের একাদশে তাসকিন আহমেদ নিয়মিতই খেলছেন। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ব্রেকথ্রু এনে দিচ্ছেন। তবে নিয়মিত উইকেট পেলেও মুক্তহস্তে রান বিলিয়ে দিচ্ছেন বাংলাদেশের এই অভিজ্ঞ পেসার। আজ আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে ডেথ ওভারে বেধড়ক পিটুনি খেয়েছেন তাসকিন।
১৩ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

সংযুক্ত আরব আমিরাতের আইএল টি-টোয়েন্টিতে শারজা ওয়ারিয়র্সের একাদশে তাসকিন আহমেদ নিয়মিতই খেলছেন। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ব্রেকথ্রু এনে দিচ্ছেন। তবে নিয়মিত উইকেট পেলেও মুক্তহস্তে রান বিলিয়ে দিচ্ছেন বাংলাদেশের এই অভিজ্ঞ পেসার। আজ আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে ডেথ ওভারে বেধড়ক পিটুনি খেয়েছেন তাসকিন।
দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে পরশু ডেজার্ট ভাইপার্সের বিপক্ষে ৪ ওভারে ২০ রানে ২ উইকেট নিয়েছিলেন তাসকিন। স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে ২০০তম ম্যাচে দুর্দান্ত বোলিংয়ের পরও ব্যাটারদের ব্যর্থতায় সেই ম্যাচটায় তিনি ছিলেন পরাজিত দলের সদস্য। এক দিন পর আজ আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে আবুধাবি নাইট রাইডার্সের মুখোমুখি হয়েছে তাসকিনের শারজা ওয়ারিয়র্স। বাংলাদেশের অভিজ্ঞ এই পেসার ৪ ওভারে ৪১ রানে নিয়েছেন ২ উইকেট। যার মধ্যে ১৯তম ওভারে তিনি দিয়েছেন ২৫ রান।
টস জিতে আগে ব্যাটিং নেওয়া আবুধাবি নাইট রাইডার্স ৩.৫ ওভারে ৪ উইকেটে ১০ রানে পরিণত হয়। এই চার উইকেটের দুটিই নিয়েছেন তাসকিন। প্রথম ওভারের শেষ বলে তাসকিনের শর্ট বলে পুল করতে যান আবুধাবি ওপেনার জেসন রয়। আকাশে ভেসে থাকা বল ধরতে আদিল রশিদ শর্ট কাভার এলাকায় দৌড়াতে থাকেন আদিল রশিদ। একই সময় তাঁরই আরেক সতীর্থ এক্সটা কাভার বরাবর আসতে থাকেন। তবে আদিল রশিদ বলের দিকে মনোযোগ রেখে ক্যাচটা ধরেন দারুণভাবে। ৬ বলে ১ চারে ৪ রান করেন সল্ট।
এক ওভার বিরতিতে ফের তাসকিনকে বোলিংয়ে আনেন শারজা ওয়ারিয়র্সের অধিনায়ক সিকান্দার রাজা। তৃতীয় ওভারের পঞ্চম বলে নাইট রাইডার্সের আরেক ওপেনার অ্যালেক্স হেলসকে (৫) ফেরান তাসকিন। পাওয়ার প্লের (প্রথম ৬ ওভার) মধ্যে তিন ওভারই করেন তাসকিন। এই সময়ে ১৬ রানে নিয়েছেন ২ উইকেট। তবে ১৯তম ওভারে বোলিংয়ে এসে গুবলেট পাকিয়ে ফেলেন বাংলাদেশের এই অভিজ্ঞ পেসার। আন্দ্রে রাসেল ও জেসন হোল্ডারের কাছে দুটি করে ছক্কা হজম করেছেন তাসকিন। ১০.২৫ ইকোনমিতে ৪ ওভারে ৪১ রানের বোলিংয়ে শেষ করেছেন তাসকিন।
শুরুর ধাক্কা সামলে আবুধাবি নাইট রাইডার্স নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৩৪ রানে শেষ করেছে। ইনিংস সর্বোচ্চ ৪৪ রান করেন শারফেন রাদারফোর্ড। শারজার আদিল রশিদ ৪ ওভারে ১৮ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট। দুটি করে উইকেট নিয়েছেন তাসকিন ও ওয়াসিম আকরাম। ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস, সিকান্দার রাজা পেয়েছেন একটি করে উইকেট। রাজা ৪ ওভারে খরচ করেন ১৭ রান।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের আইএল টি-টোয়েন্টিতে শারজা ওয়ারিয়র্সের একাদশে তাসকিন আহমেদ নিয়মিতই খেলছেন। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ব্রেকথ্রু এনে দিচ্ছেন। তবে নিয়মিত উইকেট পেলেও মুক্তহস্তে রান বিলিয়ে দিচ্ছেন বাংলাদেশের এই অভিজ্ঞ পেসার। আজ আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে ডেথ ওভারে বেধড়ক পিটুনি খেয়েছেন তাসকিন।
দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে পরশু ডেজার্ট ভাইপার্সের বিপক্ষে ৪ ওভারে ২০ রানে ২ উইকেট নিয়েছিলেন তাসকিন। স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে ২০০তম ম্যাচে দুর্দান্ত বোলিংয়ের পরও ব্যাটারদের ব্যর্থতায় সেই ম্যাচটায় তিনি ছিলেন পরাজিত দলের সদস্য। এক দিন পর আজ আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে আবুধাবি নাইট রাইডার্সের মুখোমুখি হয়েছে তাসকিনের শারজা ওয়ারিয়র্স। বাংলাদেশের অভিজ্ঞ এই পেসার ৪ ওভারে ৪১ রানে নিয়েছেন ২ উইকেট। যার মধ্যে ১৯তম ওভারে তিনি দিয়েছেন ২৫ রান।
টস জিতে আগে ব্যাটিং নেওয়া আবুধাবি নাইট রাইডার্স ৩.৫ ওভারে ৪ উইকেটে ১০ রানে পরিণত হয়। এই চার উইকেটের দুটিই নিয়েছেন তাসকিন। প্রথম ওভারের শেষ বলে তাসকিনের শর্ট বলে পুল করতে যান আবুধাবি ওপেনার জেসন রয়। আকাশে ভেসে থাকা বল ধরতে আদিল রশিদ শর্ট কাভার এলাকায় দৌড়াতে থাকেন আদিল রশিদ। একই সময় তাঁরই আরেক সতীর্থ এক্সটা কাভার বরাবর আসতে থাকেন। তবে আদিল রশিদ বলের দিকে মনোযোগ রেখে ক্যাচটা ধরেন দারুণভাবে। ৬ বলে ১ চারে ৪ রান করেন সল্ট।
এক ওভার বিরতিতে ফের তাসকিনকে বোলিংয়ে আনেন শারজা ওয়ারিয়র্সের অধিনায়ক সিকান্দার রাজা। তৃতীয় ওভারের পঞ্চম বলে নাইট রাইডার্সের আরেক ওপেনার অ্যালেক্স হেলসকে (৫) ফেরান তাসকিন। পাওয়ার প্লের (প্রথম ৬ ওভার) মধ্যে তিন ওভারই করেন তাসকিন। এই সময়ে ১৬ রানে নিয়েছেন ২ উইকেট। তবে ১৯তম ওভারে বোলিংয়ে এসে গুবলেট পাকিয়ে ফেলেন বাংলাদেশের এই অভিজ্ঞ পেসার। আন্দ্রে রাসেল ও জেসন হোল্ডারের কাছে দুটি করে ছক্কা হজম করেছেন তাসকিন। ১০.২৫ ইকোনমিতে ৪ ওভারে ৪১ রানের বোলিংয়ে শেষ করেছেন তাসকিন।
শুরুর ধাক্কা সামলে আবুধাবি নাইট রাইডার্স নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৩৪ রানে শেষ করেছে। ইনিংস সর্বোচ্চ ৪৪ রান করেন শারফেন রাদারফোর্ড। শারজার আদিল রশিদ ৪ ওভারে ১৮ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট। দুটি করে উইকেট নিয়েছেন তাসকিন ও ওয়াসিম আকরাম। ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস, সিকান্দার রাজা পেয়েছেন একটি করে উইকেট। রাজা ৪ ওভারে খরচ করেন ১৭ রান।

নিষেধাজ্ঞা থাকায় এশিয়ান গেমস নারী ক্রিকেটের দুই ম্যাচ খেলতে পারেননি হারমানপ্রীত কৌর। কোয়ার্টার, সেমিফাইনালে ভারতকে নেতৃত্ব দিয়েছেন স্মৃতি মান্ধানা। আর ভারত ফাইনালে ওঠায় অধিনায়ক হয়েই ফিরেছেন হারমানপ্রীত। ফেরার ম্যাচটাই হয়ে থাকল স্মরণীয়। শ্রীলঙ্কাকে হেসেখেলে হারিয়ে এশিয়ান গেমস নারী ক্রিকেটের স্বর্ণ জি
২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩
অ্যাডিলেডের রোববারটা নানা প্রতীকে ভরা। ক্রিসমাসের ঠিক আগের এই রোববারে সেন্ট পিটার্স ক্যাথেড্রালে কোরাস দলের ঢিলেঢালা লাল পোশাকের সদস্যরা জড়ো হয়ে চ্যান্সেলে দাঁড়িয়ে নিজেদের মধ্যে আলাপ করছিলেন, খ্রিষ্টধর্মীয় ভোজনোৎসবের মহড়ার শুরুর অপেক্ষায়।
১৫ মিনিট আগে
১৩৫ রানের লক্ষ্য বর্তমানে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এমন কী! যেখানে আগে ব্যাটিং করে ২০০, ২৫০ রান করেও জয়ের ব্যাপারে নিশ্চিত থাকার কোনো উপায় নেই। তবে গৌরবময় অনিশ্চয়তার খেলা ক্রিকেটে কখন যে কী হয়, সেটা অনুমান করা মুশকিল।
৩৫ মিনিট আগে
জিম্বাবুয়ে-মিসর ফুটবল ম্যাচ ১-১ গোলে ড্র ছিল কেবল সময়ের অপেক্ষা। কিন্তু শেষ মুহূর্তের ‘ম্যাজিক’ বলেও তো একটা ব্যাপার আছে। মোহাম্মদ সালাহ ঠিক তা-ই করলেন। তাঁর শেষ মুহূর্তের গোলে মিসর জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে।
১ ঘণ্টা আগে