Ajker Patrika

বাংলাদেশের জয়

আপডেট : ৩০ অক্টোবর ২০২২, ১৩: ১৭
বাংলাদেশের জয়

অস্ট্রেলিয়াতে বাংলাদেশের  প্রথম
দলের সংগ্রহটা ছিল নিতান্তই মামুলি। সেই ১৪৪ রানের মাঝারি সংগ্রহ নিয়ে ডাচদের ১৩৫ রানে অল আউট করে জয় পেল বাংলাদেশ। ৯ রানের জয়টা অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের প্রথম। ২০০৭ সালের পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূল পর্বে দ্বিতীয় জয় পেল বাংলাদেশ। শেষ ওভারে জিততে ডাচদের প্রয়োজন ছিল ২৪ রান। সৌম্য সরকারের ওভারটা ব্যয়বহুল হলেও সেই রানটা টপকাতে পারেনি নেদারল্যান্ডস। শেষ বলে ফন মিকেরেনের উইকেট নিয়ে জয়টা এনে দিলেন সৌম্য। জয়ের পথটা মসৃন করেছেন তাসকিন আহমেদ। ২৫ রানে ৪ উইকেটে ম্যাচ সেরা হয়েছেন তিনি। ১৫ রানে ২ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সেরা বোলার হাসান মাহমুদ। 

আবারও তাসকিনের জোড়া আঘাত
প্রথম দুই বলে উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের শুরুটা মসৃণ করেছিলেন তাসকিন আহমেদ। শেষ দিকে যখন ডাচদের রান তোলার তাড়া তখন আবারও আঘাত ডানহাতি পেসারের। প্রথম বলে চার হজমের পর দ্বিতীয় বলে শারিজ আহমেদকে ফিরিয়েছেন তিনি। নিজের শেষ ওভারের পঞ্চম বলে তাসকিন ফিরিয়েছেন ডাচদের সেরা ব্যাটার অ্যাকারমানকে। চার ওভারে ২৫ রানে ৪ উইকেটে ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে বাংলাদেশের জয়টা হাতের মুঠোয় এনে দিয়েছেন তাসকিন। অ্যাকারমান ফিরেছেন ৪৮ বলে ৬২ রান করে। আর ১ উইকেট নিতে পারলেই অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে প্রথম জয় পাবে বাংলাদেশ এই সংস্করণে।

ফন বিককে ফেরালেন হাসান
বৃষ্টি পর আবারও সাফল্য পেলেন হাসান মাহমুদ। এর আগে ফিরিয়েছিলেন টিম প্রিঙ্গেলকে। এবার ফেরালেন লোগান ফন বিককে। হাসানের বলে ফাইন লেগে ২ রানে তাসকিনকে ক্যাচ দিয়েছেন ডাচ ব্যাটার।

বিপদ হয়ে ঝুলে আছেন অ্যাকারমান
সতীর্থদের আসা-যাওয়ার মাঝে দলের একটা প্রান্ত আগলে রেখেছেন অ্যাকারমান। বাংলাদেশের বড় মাথাব্যথার কারণ এখন তিনি। ৩৯ বলে ফিফটিও করেছেন তিনি। ১৪ ওভার শেষ নেদারল্যান্ডসের রান ৬ উইকেটে ৮০।

 আক্ষেপ বাড়তে দিলেন না হাসান
এক বল আগে তাঁর বলে ক্যাচ ছেড়েছিলেন নাজমুল হাসান শান্ত। এক বল বিরতি দিয়ে সেই আক্ষেপ বড় হতে দিলেন না হাসান মাহমুদ। সরাসরি বোল্ডে ১ রানে টিম পিঙ্গলকে সাজঘরে ফেরালেন হাসান। ১২.৫ ওভার শেষে ডাচদের রান ৬ উইকেটে ৬৬। এর মধ্যে হানা দিয়েছে বৃষ্টি। বৃষ্টি আইনে যথারীতি এগিয়ে বাংলাদেশ। এ সময় ডাচদের করতে হতো ৯৮ রান। ৩২ রানে এগিয়ে বাংলাদেশ।

অধিনায়ক ফেরালেন অধিনায়ককে
৪৪ রানের জুটিতে দলকে শক্ত অবস্থানে নিয়ে যাচ্ছিলেন কলিন অ্যাকারমান ও স্কট এডওয়ার্ডস। তবে জুটি বড় হওয়ার আগেই ডাচ অধিনায়ক এডওয়ার্ডসকে হাসান মাহমুদের ক্যাচ বানিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব। ২৪ বলে ১৬ রান করে ফিরেছেন এডওয়ার্ডস। ১২ ওভার শেষে ডাচদের রান ৫ উইকেটে ৬৬। 

ডিএলএস দিচ্ছে সুসংবাদ
হোবার্টের আকাশে মেঘ। যেকোনো সময় নামতে পারে বৃষ্টি। বৃষ্টি হলে যদি ম্যাচ পণ্ড হয় সেক্ষেত্রে এগিয়ে থাকবে বাংলাদেশ। পাওয়ার প্লেতে ডাচদের ৪ উইকেট নেওয়ায় বৃষ্টি আইনে এগিয়ে আছেন সাকিবরা। শুরুর ধাক্কা সামলে ১০ ওভার শেষে ডাচদের রান ৪ উইকেটে ৫১।

রান আউটে জোড়া সাফল্য বাংলাদেশের
সাকিবের প্রথম বলেই ছক্কা ম্যাক্স ওডাউডের। তবে পরের বলেই দুই রান নিতে গিয়ে রান আউট হয়েছেন এই ব্যাটার। মিড উইকেট থেকে আফিফের থ্রোতে স্টাম্প ভেঙ্গেছেন সাকিব। চতুর্থ বলে আবারও রান আউট। নাজমুল হোসেন শান্তর থ্রোতে এবার ফিরলেন টম কুপার। ১৫ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে কাঁপছে নেদারল্যান্ডস। ডাচদের প্রথম চার ব্যাটারের তিনজনেই ফিরেছেন গোল্ডেন ডাকে। পাওয়ার প্লের ৬ ওভার শেষে ডাচদের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ৩২ রান।

 প্রথম দুই বলে জোড়া আঘাত তাসকিনের
জিততে হলে ইনিংসের শুরুতেই উইকেট পেতে হতো বাংলাদেশকে। সেই শুরুটাই এনে দিলেন তাসকিন। প্রথম বলেই স্লিপে ইয়াসির আলীর ক্যাচ বানিয়েছেন ডাচ ওপেনার বিক্রমজিৎ সিংকে। ‘গোল্ডেন ডাক’ এ ফিরলেন এই ব্যাটার। পরের বলেই বিপৎজ্জনক বাস ডি লিডকে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেছেন তাসকিন। রান করার আগেই দুই উইকেট নেই ডাচদের। প্রথম ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ৩ রান নেদারল্যান্ডসের।

দেড়শোও হলো না বাংলাদেশের 
ফ্রেড ক্ল্যাসেনের করা ১৯ ওভারে মাত্র ৫ রান তুলেছিল বাংলাদেশ। ডি লিডের করা শেষ ওভারের প্রথম দুই বলে ডট খেলেছেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। পরের দুই বলে এক ছক্কা ও দুই রানে ৮ রান করেন সৈকত। পঞ্চম বলে আরেকটি ডট দিয়ে শেষ বলে ২ রান তোলেন সৈকত। প্রথমে ব্যাটিং করে বাংলাদেশ তুলেছে ৮ উইকেট ১৪৪ রান। জিততে হলে নেদারল্যান্ডসকে করতে হবে ১৪৫ রান। ২ চার ও এক ছক্কায় ১২ বলে অপরাজিত ২০ রান করেছেন সৈকত। ২টি করে উইকেট নিয়েছেন বাস ডি লিড ও ফন মিকেরেন। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৮ রানের ইনিংস আফিফের। 

রান তুলতে গিয়ে আউট সোহান-আফিফ
স্লগ ওভারে যখন রান তোলার তাড়া তখনই ফিরলেন নুরুল হাসান সোহান। ১৮ বলে ১৩ রান করে ফিরেছেন উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। বাস ডি লিডের করা ১৮ তম ওভারের প্রথম বলে ফাইন লেগে ক্যাচ হয়েছেন ফন মিকেরেনের। একই ওভারের শেষ বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন আফিফ। দুই সেট ব্যাটারকে হারিয়ে বাংলাদেশের রান ৭ উইকেটে ১২৯। 

 খোঁড়াতে খোঁড়াতে ১০০ রান বাংলাদেশের 
হালটা একাই ধরে আছেন আফিফ হোসেন ধ্রুব। ধ্রুবতারার মতো একাই জ্বলে দলকে শতরানের কোটা পার করে দিয়েছেন আফিফ। শারিজ আহমেদের করার ১৫ তম ওভারে পরপর দুই বলে ছক্কা ও চার হাঁকিয়েছেন আফিফ।  তবে পরের ওভারে অবশ্য জীবন পেয়েছেন। ২৮ রানের মাথায় তাঁর ক্যাচ ছেড়েছেন টিম প্রিঙ্গেল। ১৬ ওভার শেষে বাংলাদেশের রান ৫ উইকেটে ১১০। 

মিকেরেনের দ্বিতীয় শিকার ইয়াসির 
লিটন-সাকিবকে হারিয়ে কাঁপছিল বাংলাদেশ। একাদশ ওভারের শেষ বলে দলের বিপদ বাড়িয়ে ফিরেছেন ইয়াসির আলী রাব্বি। পল ফন মিকেরেনের সোজা বল স্টাম্প ভেঙেছে ৩ রান করা ইয়াসিরের। 

লিটন-সাকিব ফিরলেন পরপর 
ভালো শুরুর পর পুরোনো রোগে কাবু বাংলাদেশ। ষষ্ঠ ও সপ্তম ওভারে দুই ওপেনারকে হারানোর পর নবম ও দশম ওভারে লিটন দাস ও সাকিব আল হাসানকে হারিয়েছে বাংলাদেশ। ৯ রানে লিটনকে ফিরিয়েছেন ফন বিক। দশম ওভারের প্রথম বলে শারিজ আহমেদের শিকার ৭ রান করা সাকিব। বৃষ্টির পর আবারও শুরু হয়েছে খেলা। ১০ ওভার শেষে বাংলাদেশের রান ৪ উইকেটে ৭২। 

খেই হারালেন শান্তও 
পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে ফিরেছিলেন সৌম্য। সপ্তম ওভারে বোলিংয়ে এসেই প্রথম বলেই নাজমুল হোসেন শান্তকে ফিরিয়েছেন স্পিনার টিম প্রিঙ্গেল। ২০ বলে ২৫ রান করে ফন বিকের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন শান্ত। সপ্তম ওভার শেষে বাংলাদেশের রান ২ উইকেটে ৫১। 

 ওয়ার প্লেতে সৌম্যকে হারাল বাংলাদেশ 
প্রথম ওভারে  দুই চার মেরে ছন্দে ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন সৌম্য সরকার। বাকি বলগুলোতে খানিকটা নড়বড়ে থেকে শেষ পর্যন্ত ফিরেই গেলেন বাঁহাতি ওপেনার। পল ফন মিকেরেন করা ষষ্ঠ ওভারের প্রথম বলে ডি লিডের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন ১৪ রান করা সৌম্য। পাওয়ার প্লে শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১ উইকেটে ৪৭ রান। 

 নড়বড়ে শুরুর পর হাত খুলেছেন শান্ত 
পাওয়ার প্লের চতুর্থ ওভার শেষ। খানিকটা দেখেশুনে শুরুর পর ব্যাট চালাচ্ছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। বাস ডি লিডের করা ইনিংসের চতুর্থ ওভারে দুই চার মেরেছেন তিনি। তবে এই চার ওভারে ৯টি ডট বল খেলেছেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার। চতুর্থ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ কোনো উইকেট না হারিয়ে ৩৩। 

শান্ত-সৌম্যর ভালো শুরু 
ওপেনিংয়ে ডানহাতি-বাঁহাতি নিয়ে পরীক্ষায় না গিয়ে দুই বাঁহাতির ওপরই ভরসা রেখেছে বাংলাদেশ দল। প্রথম ওভারে শুরুটা ভালোই হয়েছে নাজমুল হোসেন শান্ত ও সৌম্য সরকারের। ফ্রেড ক্ল্যাসেনের প্রথম ওভারে দুই চার মেরেছেন সৌম্য। প্রথম ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১২ রান। 

 শুভ সকাল। বাছাইপর্ব থেকে উঠে আসা নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে আজ শুরু হচ্ছে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অভিযান। হোবার্টে টস হেরে আগে ব্যাট করবে বাংলাদেশ। আজকের পত্রিকার পক্ষ থেকে পাঠকদের স্বাগতম। 

বাংলাদেশ একাদশ:
সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), নুরুল হাসান, সৌম্য সরকার, লিটন দাস, আফিফ হোসেন, মোসাদ্দেক হোসেন, ইয়াসির আলী, মোস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদ ও নাজমুল হোসেন শান্ত।

নেদারল্যান্ডসের একাদশ:
স্কট এডওয়ার্ডস (অধিনায়ক), কলিন অ্যাকারমান, শারিজ আহমেদ, লোগান ফন বিক, টম কুপার, ফ্রেড ক্ল্যাসেন, বাস ডি লিড, পল ফন মিকেরেন, ম্যাক্স ও’ডাউড, টিম প্রিঙ্গল ও বিক্রমজিৎ সিং।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাশিয়াকে এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ফেরত নিতে বলছে তুরস্ক, কিন্তু কেন

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কলম্বিয়ায় ফুটবল ম্যাচে সহিংসতায় আহত ৫৯

ক্রীড়া ডেস্ক    
কোপা কলম্বিয়ার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে সংঘর্ষের ঘটনায় ৫৯ জন আহত হয়েছেন। ছবি: এএফপি
কোপা কলম্বিয়ার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে সংঘর্ষের ঘটনায় ৫৯ জন আহত হয়েছেন। ছবি: এএফপি

লাতিন আমেরিকার ফুটবলে সহিংসতা নতুন কিছু নয়। মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের টুর্নামেন্ট কোপা আমেরিকাতেই ঘটে মারামারির ঘটনা। স্থানীয় টুর্নামেন্টে সহিংসতার কারণে তো প্রায়ই খবরের শিরোনামে আসে লাতিন আমেরিকার ফুটবল। কলম্বিয়ায় এক ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনালে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

কলম্বিয়ার মেডেলিন শহরের আতানাসিও জিরারদোত স্টেডিয়ামে পরশু রাতে কোপা কলম্বিয়ার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে মুখোমুখি হয়েছিল দেপোর্তিভো ইন্দিপেন্দিয়েন্তে-আতলেতিকো ন্যাশনাল। ১-০ গোলে আতলেতিকো ন্যাশনাল জয়ের পরই ভক্ত-সমর্থকেরা মাঠে ঢুকে তাণ্ডব শুরু করেন। আতশবাজি-আগুন নিয়ে এমনভাবে হামলা চালিয়েছিলেন ভক্তরা, যেটা সামাল দিতে দাঙ্গা পুলিশ মোতায়েন করতে হয়েছে। সাত পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। কলম্বিয়ার স্থানীয় পত্রিকা ‘এল কলোম্বিয়ানো’র এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, মাঠের কিছু অংশে আগুন ধরানো হয়েছে। উপড়ে ফেলা হয়েছে অনেক আসন। গ্যালারিতে আতশবাজির ধোঁয়ার কারণে ম্যাচ শুরু হতেও দেরি হয় ১৪ মিনিট।

মেডেলিনের মেয়র ফেদেরিকো গুতিয়েরেস কোপা কলম্বিয়ার ফাইনালে সহিংস ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। গুতিয়েরেস বলেন, ‘যারা স্টেডিয়ামে হামলা, ধ্বংসযজ্ঞ বা ভীতি ছড়ানোর চেষ্টা করেছে, তাদের প্রত্যেককেই আইনের আওতায় আনা হবে। সবাই মাঠে বসে খেলা উপভোগ করতে পারবেন। হাতে গোনা কয়েকজনের জন্য পরিবেশ নষ্ট হবে, এমনটা তো হতে দেওয়া যাবে না। বছরের পর বছর ধরে আমরা পুরো লাতিন আমেরিকায় শান্তিপূর্ণ ফুটবলের মডেল হিসেবে পরিচিতি পেয়েছি।’ পুলিশ কমান্ডার উইলিয়াম কাস্তানো বলেন, ‘স্টেডিয়ামে দর্শকদের কাছ থেকে অস্ত্র, আতশবাজি জব্দ করা হয়েছে। ১২০ কেজিরও বেশি পাইরোটেকনিক (বিস্ফোরণের প্রভাব তৈরির মতো রাসায়নিক বস্তু) ছিল সেখানে।’

দেপোর্তিভো ইন্দিপেন্দিয়েন্তে-আতলেতিকো ন্যাশনাল কলম্বিয়া কাপ ফাইনালের প্রথম লেগ গোলশূন্য ড্র হয়েছে। পরশু রাতে দ্বিতীয় লেগটা হয়ে যায় শিরোপা নির্ধারণী। দুই লেগ মিলিয়ে ১-০ গোলে জিতে শিরোপা জিতেছে আতলেতিকো ন্যাশনাল। কিন্তু মেডেলিন শহরের আতানাসিও জিরারদোত স্টেডিয়ামে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনায় আতলেতিকো ন্যাশনালের ম্যাচ পরবর্তী পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান, শিরোপা নিয়ে উদযাপন-কিছুই করা সম্ভব হয়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাশিয়াকে এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ফেরত নিতে বলছে তুরস্ক, কিন্তু কেন

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আন্তর্জাতিক ব্যাডমিন্টনে সোনার লড়াইয়ে বাংলাদেশের জুমার-ঊর্মি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
মিশ্র দ্বৈতে ফাইনালে উঠেছেন জুমার-ঊর্মি। ছবি: ব্যাডমিন্টন ফেডারেশন
মিশ্র দ্বৈতে ফাইনালে উঠেছেন জুমার-ঊর্মি। ছবি: ব্যাডমিন্টন ফেডারেশন

ইউনেক্স-সানরাইজ বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল চ্যালেঞ্জ টুর্নামেন্টে মিশ্র দ্বৈত বিভাগে ফাইনালে উঠেছেন বাংলাদেশের আল আমিন জুমার ও ঊর্মি আক্তার। আজ সেমিফাইনালে থাইল্যান্ডের কুনলাপাথ লোথোং ও সারিসা জানপেং জুটিকে হারিয়েছেন ২১-১১ ও ২১-১৪ গেমে। পদক তো নিশ্চিত হয়েছে আগে, জুমার-ঊর্মি এবার দেখাচ্ছেন সোনা জয়ের ঝিলিকও। ফাইনালে কাল মালয়েশিয়ার দাতু আনিফ ইসাক দাতু আসরা ও ক্লারিসা সানের মুখোমুখি হবেন তারা।

পল্টনের শহীদ তাজউদ্দিন ইনডোর স্টেডিয়ামে সকালটাও অন্যরকম ছিল জুমার-ঊর্মির। কোয়ার্টার ফাইনালে ভারতের স্বস্তিক মাথারাসান-কীর্তি মাঞ্চালাকে তিন সেটের লড়াইয়ে হারিয়েছেন ২১-১৬, ১৯-২১ ও ২১-১৮ গেমে। প্রথম সেট খানিকটা সহজে জিতলেও দ্বিতীয় সেটে হারতে হয়। তৃতীয় সেটে দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতা শেষে নিশ্চিত করেন ব্রোঞ্জ পদক।

রাতে সেমিফাইনালে থাইল্যান্ডের জুটিকে পাত্তাই দিলেন না জুমার-ঊর্মি। প্রথম সেটে একটা সময় অবশ্য পিছিয়ে ছিলেন ৫-৩ পয়েন্টে। সেখান থেকে অনবরত পয়েন্ট তুলতে থাকেন জুমার। শেষ দিকে ঊর্মিও দেখান তাঁর দাপট। দ্বিতীয় সেটে শুরুতেই আধিপত্য দেখাতে থাকে বাংলাদেশের জুটি। নিয়ে নেন বড় ব্যবধানের লিড। যা পরে আর ছোট করতে পারেননি থাইল্যান্ডের শাটলাররা।

ফাইনালে উঠে জুমার বলেন, ‘ফাইনাল নিয়ে প্রত্যাশা অবশ্যই ভালো খেলার চেষ্টা করব। বাকিটা আল্লাহ ভরসা, জানিনা কি হবে। দেখা যাক। আগে যে রেজাল্টগুলো আমরা আশাও করতে পারতাম না, এখন বাংলাদেশ অন্যান্য বারের মতো হচ্ছে না যে মানে বাংলাদেশ আসছে আর হেরে যাচ্ছে—এরকম হচ্ছে না। প্রত্যেকটা টিমই আমাদের লড়াই করে হেরেছে।’

জুমারের সঙ্গে বোঝাপড়া নিয়ে ঊর্মি বলেন, ‘সকালেই আমি বলেছিলাম, আমরা চ্যাম্পিয়ন হতে চাই। সেই লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। ফাইনাল নিশ্চিত করেছি। এবার সোনা জিততে চাই। জুমারের সঙ্গে ছয়-সাত বছর ধরে জুটি বেঁধে খেলছি। যেহেতু অনেকদিন ধরে খেলছি, সেহেতু আমাদের মধ্যে বোঝাপড়াটা ভালো। আমরা এর আগেও আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে পদক জিতেছি।’

এর আগে একক ইভেন্টে কেবল হতাশাই উপহার দিয়েছেন বাংলাদেশের শাটলাররা। দ্বৈতে গতকাল কোয়ার্টার ফাইনালে কেউই জয়ের হাসি হাসতে পারেননি। মিশ্র দ্বৈতে জুমার-ঊর্মি ফুটলেন আশার আলো হয়ে। রুপা নিশ্চিত করে লক্ষ্য এবার সোনার পদক গলায় ঝুলানো।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাশিয়াকে এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ফেরত নিতে বলছে তুরস্ক, কিন্তু কেন

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

২৫৮ রান তাড়া করে জিতে ব্রিসবেনের ইতিহাস

ক্রীড়া ডেস্ক    
ম্যাট রেনশ ও জ্যাক উইলডারমুথের জোড়া সেঞ্চুরিতে ২৫৮ রান তাড়া করে জিতেছে ব্রিসবেন হিট। ছবি: ক্রিকইনফো
ম্যাট রেনশ ও জ্যাক উইলডারমুথের জোড়া সেঞ্চুরিতে ২৫৮ রান তাড়া করে জিতেছে ব্রিসবেন হিট। ছবি: ক্রিকইনফো

গায়ের জোরে জেতা যাকে বলে, ঠিক তেমনই এক ম্যাচ দেখা গেল আজ বিগ ব্যাশে। গ্যাবায় পার্থ স্কর্চার্সের দেওয়া ২৫৮ রানের লক্ষ্য এক বল হাতে রেখে তাড়া করে নতুন ইতিহাস গড়েছে ব্রিসবেন হিট। বিগ ব্যাশে এর চেয়ে বেশি রান তাড়া করার রেকর্ড নেই আর কারও।

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসে এই প্রথম কোনো রান তাড়ায় দুজন ব্যাটার সেঞ্চুরি করলেন। ম্যাট রেনশ ও জ্যাক উইল্ডারমুথ ২১২ রানের জুটি গড়ে হিটকে আট উইকেটের জয় এনে দেন। বিগব্যাশে এটাই সর্বোচ্চ রানের জুটি। টস হেরে আগে ব্যাটিং করা পার্থ স্করচার্স ৬ উইকেটে ২৫৭ রান তোলে। ফিন অ্যালেন (৩৮ বলে ৭৯) ও কুপার কনোলি (৩৭ বলে ৭৭) দুজনে মিলে ১৪টি ছক্কায় সাজানো ঝোড়ো ১৪২ রানের জুটি গড়েন।

শেষদিকে নিক হবসন অপরাজিত ৪৮ রান করে ইনিংসের ফলে হিটের সামনে দাঁড়ায় প্রায় অসম্ভব এক লক্ষ্য। রান তাড়ার প্রথম বলেই অধিনায়ক জাই রিচার্ডসনের বলে গোল্ডেন ডাক হয়ে ফিরলেও কলিন মনরোর দলটি বিচলিত হয়নি। রেনশ ৪৮ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। তাঁর ইনিংসে ছিল ৯টি বিশাল ছক্কা; ১০১ রানে তিনি রানআউট হন। উইল্ডারমুথ শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন। মাত্র ৫৪ বলে অপরাজিত ১১০ রানের এই ইনিংসে তিনি ছিলেন বিধ্বংসী। সব মিলিয়ে ৩৬ ছক্কার দেখা মিলেছে এই ম্যাচে; বিগ ব্যাশে আগে কখনো ঘটেনি তা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাশিয়াকে এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ফেরত নিতে বলছে তুরস্ক, কিন্তু কেন

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সেই দুবাইয়ে ফের ভারত-পাকিস্তান ফাইনাল

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১: ৩৪
২০২৫ অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ফাইনালে পরশু মুখোমুখি হবে ভারত-পাকিস্তান। ছবি: এসিসি
২০২৫ অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ফাইনালে পরশু মুখোমুখি হবে ভারত-পাকিস্তান। ছবি: এসিসি

খুব বেশি দিন আগের ঘটনা নয়। এ বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে পাকিস্তানকে ৫ উইকেটে হারিয়ে এশিয়া কাপের শিরোপা জিতেছিল ভারত। সেই দুবাইয়ের আরেক স্টেডিয়ামে আরেক ফাইনালে মুখোমুখি হচ্ছে ভারত-পাকিস্তান।

ভারত-পাকিস্তান এবারও মুখোমুখি হচ্ছে এশিয়া কাপ ফাইনালে। তবে মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের টুর্নামেন্টটা মূলত বয়সভিত্তিক। দুবাইয়ের আইসিসি একাডেমিতে পরশু হতে যাওয়া অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ ফাইনালে মুখোমুখি হবে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী। আজ দুবাইয়ের দ্য সেভেন্স স্টেডিয়ামে এক সেমিফাইনালে বাংলাদেশকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে পাকিস্তান। একই শহরের আরেক মাঠ আইসিসি একাডেমিতে আরেক সেমিফাইনালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হেসেখেলে জিতেছে ভারত।

বাংলাদেশ সময় সকাল ১১টায় দ্য সেভেন্স স্টেডিয়ামে শুরু হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ-পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সেমিফাইনাল। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে একই সময়ে আইসিসি একাডেমি মাঠে শুরু হতো ভারত-শ্রীলঙ্কা অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সেমিফাইনালও। কিন্তু দুবাইয়ে সাতসকালে বৃষ্টির কারণে কোনোটাই সময়মতো শুরু হয়নি। বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচ হয়েছে ২৭ ওভারে। অন্যদিকে ভারত-শ্রীলঙ্কা সেমিফাইনালটা হয়েছে টি-টোয়েন্টি সংস্করণে।

দুবাইয়ের আইসিসি একাডেমিতে আজ ২০ ওভারে ১৩৮ রানের লক্ষ্যে নেমে একটু চাপে পড়ে ভারত। ৩.৩ ওভারে ২ উইকেটে ২৫ রানে পরিণত হয় আয়ুশ মাত্রের নেতৃত্বাধীন ভারত। অধিনায়ক মাত্রে (৭) ও বৈভব সূর্যবংশী (৯) দুই ওপেনারই এক অঙ্কের ঘরে রান করে আউট হয়েছেন। শ্রীলঙ্কার বোলারদের সামনে এরপর ঢাল হয়ে দাঁড়ান অ্যারন জর্জ ও বিহান মালহোত্রা। তৃতীয় উইকেটে ৮৭ বলে ১১৪ রানের অবিচ্ছেদ্য জুটি গড়েন তাঁরা (জর্জ-মালহোত্রা)। ২ ওভার হাতে রেখে ৮ উইকেটের বিশাল জয়ে ফাইনালের টিকিট কেটেছে ভারত।

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৮ উইকেটের জয়ে দুই ভারতীয় জর্জ ও মালহোত্রা ম্যাচসেরার পুরস্কার পেয়েছেন। ৪৫ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৬১ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন মালহোত্রা। জর্জ ৪৯ বলে ৫৮ রান করে অপরাজিত থাকেন। শ্রীলঙ্কার দুটি উইকেটই নিয়েছেন রাসিত নিমসারা। ইনিংস সর্বোচ্চ ৪২ রান করেছেন চামিকা হিনাতিগালা। ভারতের হেনিল প্যাটেল ও কনিষ্ক চৌহান দুটি করে উইকেট নিয়েছেন। একটি করে উইকেট পেয়েছেন কিশান সিংহ, দিপেশ দেবেন্দ্রন ও খিলান প্যাটেল।

ভারত এর আগে আটবার অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের শিরোপা জিতেছে। পাকিস্তান জিতেছে একবার। সেটাও ভারতের বিপক্ষে। ২০১২ সালে ভারত-পাকিস্তান ফাইনাল টাই হলে যৌথভাবে তাদের চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হয়েছিল। বাংলাদেশ সময় পরশু বেলা ১১টায় অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ভারত-পাকিস্তান ফাইনাল শুরু হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাশিয়াকে এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ফেরত নিতে বলছে তুরস্ক, কিন্তু কেন

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত