রানা আব্বাস, আবুধাবি থেকে

ম্যাথু হেইডেনকে এমন প্রশ্নের মুখোমুখি হতেই হতো। সে প্রশ্নের মুখোমুখি তিনি গতকালই হয়ে গেলেন। অস্ট্রেলিয়ান সাবেক ওপেনার এখন পাকিস্তান ক্রিকেট দলের ব্যাটিং পরামর্শক। একজন অস্ট্রেলিয়ান হিসেবে হেইডেনকেই আজ অস্ট্রেলিয়াকে হারানোর ছক কষতে হচ্ছে।
পেশাদার জগতে অবশ্য আবেগের ঠাঁই নেই। তবু কি নিজের দেশের অমঙ্গল কেউ চাইতে পারে? হেইডেন এমনই এক বাস্তবতার সামনে। তিনি আজ মস্তিষ্কের খেলায় হারাতে চাইবেন তাঁরই সতীর্থ জাস্টিন ল্যাঙ্গারকে; যিনি অস্ট্রেলিয়া দলের প্রধান কোচ। এই ল্যাঙ্গারের সঙ্গে গড়েছেন টেস্টের অন্যতম সেরা ওপেনিং জুটি। অনুমিতভাবেই গতকাল সংবাদ সম্মেলনে হেইডেনকে এই প্রসঙ্গে উত্তর দিতে হয়েছে। সাবেক অস্ট্রেলীয় ওপেনার বড় উত্তরই দিয়েছেন। তাঁর মুখ থেকেই শোনা যাক উত্তরটা—
হেইডেন: এটা আসলেই একটু অন্য রকম অনুভূতি। আপনারা জানেন, প্রায় দুই দশক ধরে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটের যোদ্ধা ছিলাম। এতে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটের ভেতরের সংস্কৃতিটা বোঝার সুযোগ পেয়েছি।
আর এখন বিশ্বজুড়েই মেন্টর, কোচদের খুব ভালো কাজের জায়গা আছে। এখান থেকে অন্যান্য দেশগুলোও উপকৃত হতে পারে। আমরা দেখেছি আইপিএলে এটা কীভাবে কাজ করছে। আমার কাছে বিষয়টা হচ্ছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় যা ঘটতে যাচ্ছে সেটা আমার হৃদয়ের পরীক্ষা, মনের পরীক্ষা। গর্ব নিয়েই বলতে চাই, পাকিস্তান ক্রিকেটের সঙ্গে থাকাটা দারুণ এক ব্যাপার। আমাদের কয়েকজন অবিশ্বাস্য তরুণ খেলোয়াড় আছে! দারুণ কয়েকজন অভিজ্ঞ খেলোয়াড়ও আছে। দল প্রশংসা পাওয়ার মতোই খেলছে।
আর বন্ধু, পুরোনো ‘পার্টনার’ ল্যাঙ্গারকে নিয়ে কী বলবেন ১০৩ টেস্টে ৫০.৭৩ গড়ে ৮৬২৫ রান করা হেইডেন? সাবেক অস্ট্রেলিয়া ওপেনার ক্রিকেটের আপ্ত কথাটাই বলছেন, ‘জাতীয় দলের কোচ কিংবা ব্যাটিং কোচ হিসেবে জাস্টিন ল্যাঙ্গার ও আমার অবস্থান ঠিক একই জায়গায়—কেউ ম্যাচ জেতাতে পারে না। মাঠে নামা ১১ জন খেলোয়াড়ই দলকে জেতায়। আমরা শুধু পেছন থেকে সহায়তা করতে পারি। এই কাজটা গত মাস থেকেই উপভোগ করছি। সেমিফাইনালের চ্যালেঞ্জটা তরুণেরা কীভাবে নেয়, সেটাই দেখার অপেক্ষায় আছি।’
হেইডেনের কাছে যেটি হৃদয়ের পরীক্ষা, অস্ট্রেলিয়া দলের কাছে সেটি ‘ঘরের শত্রু বিভীষণ’-এর মতো। অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ যেমন বলছেন, ‘তাঁকে (হেইডেন) আশপাশে দেখে ভালো লাগছে। এটা দারুণ ব্যাপার অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট দেশের সীমানা পেরিয়ে অন্য দেশেও পৌঁছে যাচ্ছে। যতটা পারা যায় সহায়তা করছে। এটা দারুণ ব্যাপার।’
পাকিস্তান দলের সঙ্গে কাজ করে হেইডেন যে খুব আনন্দ পাচ্ছেন, গত কিছুদিনে তাঁকে দেখলেই বোঝা যাচ্ছে। অবশ্য এই টুর্নামেন্টে পাকিস্তানও আছে দুর্দান্ত ছন্দে। একমাত্র দল, যারা সুপার টুয়েলভে অপরাজিত থেকে উঠেছে শেষ চারে। দলে ম্যাচ জেতানো খেলোয়াড়ের অভাব নেই। অধিনায়ক বাবর আজম নেতৃত্ব দিচ্ছেন সামনে থেকে। আর আজ দুবাইয়ের আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের গ্যালারি পূর্ণ থাকবে নিজেদের সমর্থকেরাই। ২০০৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর আরেকবার ফাইনালে ওঠার দারুণ এক সুযোগ পাকিস্তানের সামনে।
পরিসংখ্যানও পাকিস্তানের পক্ষে আছে। টি-টোয়েন্টিতে দুই দলের ২৩ সাক্ষাতে ১২টিতেই জিতেছে পাকিস্তান, ৯টিতে অস্ট্রেলিয়া। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যে পাঁচবার তারা মুখোমুখি সেখানে স্কোরলাইনটা পাকিস্তান ৩: ২ অস্ট্রেলিয়া। তবে বাবরদের প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া দলটাই এমন; যারা বড় মঞ্চে, চাপের ম্যাচে ধারাবাহিক জ্বলে উঠতে পারে। পাঁচবারের ওয়ানডে বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন তারা তো এমনিই হয়নি! আর বড় মঞ্চে পাকিস্তানকে হারানোর অভিজ্ঞতাও আছে তাদের। অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক ফিঞ্চ অবশ্য অতীতে তাকাতে চান না। বলছেন, ‘দেখুন এই পাকিস্তান দলটা দুর্দান্ত ছন্দে আছে। এই টুর্নামেন্টে টানা পাঁচটি ম্যাচ জিতেছে। শুধু ওরা অসাধারণ ক্রিকেট খেলছে। আর এসব না ভাবাই ভালো।’
ফিঞ্চ অতীতের দিকে না তাকাতে চাইলেও অতীতই কিন্তু বলছে, ৫০ ওভারের বিশ্বকাপে যারা নিজেদের বারবার শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করেছে; ২০ ওভারের বিশ্বকাপে সেই অস্ট্রেলিয়াকেই চেনা যায় না। তারা কখনোই এই ট্রফিটা জিততে পারেনি। এবার এ মলিন রেকর্ডটা হলুদ রঙে রাঙানোর সুযোগ ফিঞ্চদের সামনে।

ম্যাথু হেইডেনকে এমন প্রশ্নের মুখোমুখি হতেই হতো। সে প্রশ্নের মুখোমুখি তিনি গতকালই হয়ে গেলেন। অস্ট্রেলিয়ান সাবেক ওপেনার এখন পাকিস্তান ক্রিকেট দলের ব্যাটিং পরামর্শক। একজন অস্ট্রেলিয়ান হিসেবে হেইডেনকেই আজ অস্ট্রেলিয়াকে হারানোর ছক কষতে হচ্ছে।
পেশাদার জগতে অবশ্য আবেগের ঠাঁই নেই। তবু কি নিজের দেশের অমঙ্গল কেউ চাইতে পারে? হেইডেন এমনই এক বাস্তবতার সামনে। তিনি আজ মস্তিষ্কের খেলায় হারাতে চাইবেন তাঁরই সতীর্থ জাস্টিন ল্যাঙ্গারকে; যিনি অস্ট্রেলিয়া দলের প্রধান কোচ। এই ল্যাঙ্গারের সঙ্গে গড়েছেন টেস্টের অন্যতম সেরা ওপেনিং জুটি। অনুমিতভাবেই গতকাল সংবাদ সম্মেলনে হেইডেনকে এই প্রসঙ্গে উত্তর দিতে হয়েছে। সাবেক অস্ট্রেলীয় ওপেনার বড় উত্তরই দিয়েছেন। তাঁর মুখ থেকেই শোনা যাক উত্তরটা—
হেইডেন: এটা আসলেই একটু অন্য রকম অনুভূতি। আপনারা জানেন, প্রায় দুই দশক ধরে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটের যোদ্ধা ছিলাম। এতে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটের ভেতরের সংস্কৃতিটা বোঝার সুযোগ পেয়েছি।
আর এখন বিশ্বজুড়েই মেন্টর, কোচদের খুব ভালো কাজের জায়গা আছে। এখান থেকে অন্যান্য দেশগুলোও উপকৃত হতে পারে। আমরা দেখেছি আইপিএলে এটা কীভাবে কাজ করছে। আমার কাছে বিষয়টা হচ্ছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় যা ঘটতে যাচ্ছে সেটা আমার হৃদয়ের পরীক্ষা, মনের পরীক্ষা। গর্ব নিয়েই বলতে চাই, পাকিস্তান ক্রিকেটের সঙ্গে থাকাটা দারুণ এক ব্যাপার। আমাদের কয়েকজন অবিশ্বাস্য তরুণ খেলোয়াড় আছে! দারুণ কয়েকজন অভিজ্ঞ খেলোয়াড়ও আছে। দল প্রশংসা পাওয়ার মতোই খেলছে।
আর বন্ধু, পুরোনো ‘পার্টনার’ ল্যাঙ্গারকে নিয়ে কী বলবেন ১০৩ টেস্টে ৫০.৭৩ গড়ে ৮৬২৫ রান করা হেইডেন? সাবেক অস্ট্রেলিয়া ওপেনার ক্রিকেটের আপ্ত কথাটাই বলছেন, ‘জাতীয় দলের কোচ কিংবা ব্যাটিং কোচ হিসেবে জাস্টিন ল্যাঙ্গার ও আমার অবস্থান ঠিক একই জায়গায়—কেউ ম্যাচ জেতাতে পারে না। মাঠে নামা ১১ জন খেলোয়াড়ই দলকে জেতায়। আমরা শুধু পেছন থেকে সহায়তা করতে পারি। এই কাজটা গত মাস থেকেই উপভোগ করছি। সেমিফাইনালের চ্যালেঞ্জটা তরুণেরা কীভাবে নেয়, সেটাই দেখার অপেক্ষায় আছি।’
হেইডেনের কাছে যেটি হৃদয়ের পরীক্ষা, অস্ট্রেলিয়া দলের কাছে সেটি ‘ঘরের শত্রু বিভীষণ’-এর মতো। অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ যেমন বলছেন, ‘তাঁকে (হেইডেন) আশপাশে দেখে ভালো লাগছে। এটা দারুণ ব্যাপার অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট দেশের সীমানা পেরিয়ে অন্য দেশেও পৌঁছে যাচ্ছে। যতটা পারা যায় সহায়তা করছে। এটা দারুণ ব্যাপার।’
পাকিস্তান দলের সঙ্গে কাজ করে হেইডেন যে খুব আনন্দ পাচ্ছেন, গত কিছুদিনে তাঁকে দেখলেই বোঝা যাচ্ছে। অবশ্য এই টুর্নামেন্টে পাকিস্তানও আছে দুর্দান্ত ছন্দে। একমাত্র দল, যারা সুপার টুয়েলভে অপরাজিত থেকে উঠেছে শেষ চারে। দলে ম্যাচ জেতানো খেলোয়াড়ের অভাব নেই। অধিনায়ক বাবর আজম নেতৃত্ব দিচ্ছেন সামনে থেকে। আর আজ দুবাইয়ের আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের গ্যালারি পূর্ণ থাকবে নিজেদের সমর্থকেরাই। ২০০৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর আরেকবার ফাইনালে ওঠার দারুণ এক সুযোগ পাকিস্তানের সামনে।
পরিসংখ্যানও পাকিস্তানের পক্ষে আছে। টি-টোয়েন্টিতে দুই দলের ২৩ সাক্ষাতে ১২টিতেই জিতেছে পাকিস্তান, ৯টিতে অস্ট্রেলিয়া। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যে পাঁচবার তারা মুখোমুখি সেখানে স্কোরলাইনটা পাকিস্তান ৩: ২ অস্ট্রেলিয়া। তবে বাবরদের প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া দলটাই এমন; যারা বড় মঞ্চে, চাপের ম্যাচে ধারাবাহিক জ্বলে উঠতে পারে। পাঁচবারের ওয়ানডে বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন তারা তো এমনিই হয়নি! আর বড় মঞ্চে পাকিস্তানকে হারানোর অভিজ্ঞতাও আছে তাদের। অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক ফিঞ্চ অবশ্য অতীতে তাকাতে চান না। বলছেন, ‘দেখুন এই পাকিস্তান দলটা দুর্দান্ত ছন্দে আছে। এই টুর্নামেন্টে টানা পাঁচটি ম্যাচ জিতেছে। শুধু ওরা অসাধারণ ক্রিকেট খেলছে। আর এসব না ভাবাই ভালো।’
ফিঞ্চ অতীতের দিকে না তাকাতে চাইলেও অতীতই কিন্তু বলছে, ৫০ ওভারের বিশ্বকাপে যারা নিজেদের বারবার শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করেছে; ২০ ওভারের বিশ্বকাপে সেই অস্ট্রেলিয়াকেই চেনা যায় না। তারা কখনোই এই ট্রফিটা জিততে পারেনি। এবার এ মলিন রেকর্ডটা হলুদ রঙে রাঙানোর সুযোগ ফিঞ্চদের সামনে।
রানা আব্বাস, আবুধাবি থেকে

ম্যাথু হেইডেনকে এমন প্রশ্নের মুখোমুখি হতেই হতো। সে প্রশ্নের মুখোমুখি তিনি গতকালই হয়ে গেলেন। অস্ট্রেলিয়ান সাবেক ওপেনার এখন পাকিস্তান ক্রিকেট দলের ব্যাটিং পরামর্শক। একজন অস্ট্রেলিয়ান হিসেবে হেইডেনকেই আজ অস্ট্রেলিয়াকে হারানোর ছক কষতে হচ্ছে।
পেশাদার জগতে অবশ্য আবেগের ঠাঁই নেই। তবু কি নিজের দেশের অমঙ্গল কেউ চাইতে পারে? হেইডেন এমনই এক বাস্তবতার সামনে। তিনি আজ মস্তিষ্কের খেলায় হারাতে চাইবেন তাঁরই সতীর্থ জাস্টিন ল্যাঙ্গারকে; যিনি অস্ট্রেলিয়া দলের প্রধান কোচ। এই ল্যাঙ্গারের সঙ্গে গড়েছেন টেস্টের অন্যতম সেরা ওপেনিং জুটি। অনুমিতভাবেই গতকাল সংবাদ সম্মেলনে হেইডেনকে এই প্রসঙ্গে উত্তর দিতে হয়েছে। সাবেক অস্ট্রেলীয় ওপেনার বড় উত্তরই দিয়েছেন। তাঁর মুখ থেকেই শোনা যাক উত্তরটা—
হেইডেন: এটা আসলেই একটু অন্য রকম অনুভূতি। আপনারা জানেন, প্রায় দুই দশক ধরে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটের যোদ্ধা ছিলাম। এতে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটের ভেতরের সংস্কৃতিটা বোঝার সুযোগ পেয়েছি।
আর এখন বিশ্বজুড়েই মেন্টর, কোচদের খুব ভালো কাজের জায়গা আছে। এখান থেকে অন্যান্য দেশগুলোও উপকৃত হতে পারে। আমরা দেখেছি আইপিএলে এটা কীভাবে কাজ করছে। আমার কাছে বিষয়টা হচ্ছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় যা ঘটতে যাচ্ছে সেটা আমার হৃদয়ের পরীক্ষা, মনের পরীক্ষা। গর্ব নিয়েই বলতে চাই, পাকিস্তান ক্রিকেটের সঙ্গে থাকাটা দারুণ এক ব্যাপার। আমাদের কয়েকজন অবিশ্বাস্য তরুণ খেলোয়াড় আছে! দারুণ কয়েকজন অভিজ্ঞ খেলোয়াড়ও আছে। দল প্রশংসা পাওয়ার মতোই খেলছে।
আর বন্ধু, পুরোনো ‘পার্টনার’ ল্যাঙ্গারকে নিয়ে কী বলবেন ১০৩ টেস্টে ৫০.৭৩ গড়ে ৮৬২৫ রান করা হেইডেন? সাবেক অস্ট্রেলিয়া ওপেনার ক্রিকেটের আপ্ত কথাটাই বলছেন, ‘জাতীয় দলের কোচ কিংবা ব্যাটিং কোচ হিসেবে জাস্টিন ল্যাঙ্গার ও আমার অবস্থান ঠিক একই জায়গায়—কেউ ম্যাচ জেতাতে পারে না। মাঠে নামা ১১ জন খেলোয়াড়ই দলকে জেতায়। আমরা শুধু পেছন থেকে সহায়তা করতে পারি। এই কাজটা গত মাস থেকেই উপভোগ করছি। সেমিফাইনালের চ্যালেঞ্জটা তরুণেরা কীভাবে নেয়, সেটাই দেখার অপেক্ষায় আছি।’
হেইডেনের কাছে যেটি হৃদয়ের পরীক্ষা, অস্ট্রেলিয়া দলের কাছে সেটি ‘ঘরের শত্রু বিভীষণ’-এর মতো। অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ যেমন বলছেন, ‘তাঁকে (হেইডেন) আশপাশে দেখে ভালো লাগছে। এটা দারুণ ব্যাপার অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট দেশের সীমানা পেরিয়ে অন্য দেশেও পৌঁছে যাচ্ছে। যতটা পারা যায় সহায়তা করছে। এটা দারুণ ব্যাপার।’
পাকিস্তান দলের সঙ্গে কাজ করে হেইডেন যে খুব আনন্দ পাচ্ছেন, গত কিছুদিনে তাঁকে দেখলেই বোঝা যাচ্ছে। অবশ্য এই টুর্নামেন্টে পাকিস্তানও আছে দুর্দান্ত ছন্দে। একমাত্র দল, যারা সুপার টুয়েলভে অপরাজিত থেকে উঠেছে শেষ চারে। দলে ম্যাচ জেতানো খেলোয়াড়ের অভাব নেই। অধিনায়ক বাবর আজম নেতৃত্ব দিচ্ছেন সামনে থেকে। আর আজ দুবাইয়ের আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের গ্যালারি পূর্ণ থাকবে নিজেদের সমর্থকেরাই। ২০০৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর আরেকবার ফাইনালে ওঠার দারুণ এক সুযোগ পাকিস্তানের সামনে।
পরিসংখ্যানও পাকিস্তানের পক্ষে আছে। টি-টোয়েন্টিতে দুই দলের ২৩ সাক্ষাতে ১২টিতেই জিতেছে পাকিস্তান, ৯টিতে অস্ট্রেলিয়া। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যে পাঁচবার তারা মুখোমুখি সেখানে স্কোরলাইনটা পাকিস্তান ৩: ২ অস্ট্রেলিয়া। তবে বাবরদের প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া দলটাই এমন; যারা বড় মঞ্চে, চাপের ম্যাচে ধারাবাহিক জ্বলে উঠতে পারে। পাঁচবারের ওয়ানডে বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন তারা তো এমনিই হয়নি! আর বড় মঞ্চে পাকিস্তানকে হারানোর অভিজ্ঞতাও আছে তাদের। অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক ফিঞ্চ অবশ্য অতীতে তাকাতে চান না। বলছেন, ‘দেখুন এই পাকিস্তান দলটা দুর্দান্ত ছন্দে আছে। এই টুর্নামেন্টে টানা পাঁচটি ম্যাচ জিতেছে। শুধু ওরা অসাধারণ ক্রিকেট খেলছে। আর এসব না ভাবাই ভালো।’
ফিঞ্চ অতীতের দিকে না তাকাতে চাইলেও অতীতই কিন্তু বলছে, ৫০ ওভারের বিশ্বকাপে যারা নিজেদের বারবার শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করেছে; ২০ ওভারের বিশ্বকাপে সেই অস্ট্রেলিয়াকেই চেনা যায় না। তারা কখনোই এই ট্রফিটা জিততে পারেনি। এবার এ মলিন রেকর্ডটা হলুদ রঙে রাঙানোর সুযোগ ফিঞ্চদের সামনে।

ম্যাথু হেইডেনকে এমন প্রশ্নের মুখোমুখি হতেই হতো। সে প্রশ্নের মুখোমুখি তিনি গতকালই হয়ে গেলেন। অস্ট্রেলিয়ান সাবেক ওপেনার এখন পাকিস্তান ক্রিকেট দলের ব্যাটিং পরামর্শক। একজন অস্ট্রেলিয়ান হিসেবে হেইডেনকেই আজ অস্ট্রেলিয়াকে হারানোর ছক কষতে হচ্ছে।
পেশাদার জগতে অবশ্য আবেগের ঠাঁই নেই। তবু কি নিজের দেশের অমঙ্গল কেউ চাইতে পারে? হেইডেন এমনই এক বাস্তবতার সামনে। তিনি আজ মস্তিষ্কের খেলায় হারাতে চাইবেন তাঁরই সতীর্থ জাস্টিন ল্যাঙ্গারকে; যিনি অস্ট্রেলিয়া দলের প্রধান কোচ। এই ল্যাঙ্গারের সঙ্গে গড়েছেন টেস্টের অন্যতম সেরা ওপেনিং জুটি। অনুমিতভাবেই গতকাল সংবাদ সম্মেলনে হেইডেনকে এই প্রসঙ্গে উত্তর দিতে হয়েছে। সাবেক অস্ট্রেলীয় ওপেনার বড় উত্তরই দিয়েছেন। তাঁর মুখ থেকেই শোনা যাক উত্তরটা—
হেইডেন: এটা আসলেই একটু অন্য রকম অনুভূতি। আপনারা জানেন, প্রায় দুই দশক ধরে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটের যোদ্ধা ছিলাম। এতে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটের ভেতরের সংস্কৃতিটা বোঝার সুযোগ পেয়েছি।
আর এখন বিশ্বজুড়েই মেন্টর, কোচদের খুব ভালো কাজের জায়গা আছে। এখান থেকে অন্যান্য দেশগুলোও উপকৃত হতে পারে। আমরা দেখেছি আইপিএলে এটা কীভাবে কাজ করছে। আমার কাছে বিষয়টা হচ্ছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় যা ঘটতে যাচ্ছে সেটা আমার হৃদয়ের পরীক্ষা, মনের পরীক্ষা। গর্ব নিয়েই বলতে চাই, পাকিস্তান ক্রিকেটের সঙ্গে থাকাটা দারুণ এক ব্যাপার। আমাদের কয়েকজন অবিশ্বাস্য তরুণ খেলোয়াড় আছে! দারুণ কয়েকজন অভিজ্ঞ খেলোয়াড়ও আছে। দল প্রশংসা পাওয়ার মতোই খেলছে।
আর বন্ধু, পুরোনো ‘পার্টনার’ ল্যাঙ্গারকে নিয়ে কী বলবেন ১০৩ টেস্টে ৫০.৭৩ গড়ে ৮৬২৫ রান করা হেইডেন? সাবেক অস্ট্রেলিয়া ওপেনার ক্রিকেটের আপ্ত কথাটাই বলছেন, ‘জাতীয় দলের কোচ কিংবা ব্যাটিং কোচ হিসেবে জাস্টিন ল্যাঙ্গার ও আমার অবস্থান ঠিক একই জায়গায়—কেউ ম্যাচ জেতাতে পারে না। মাঠে নামা ১১ জন খেলোয়াড়ই দলকে জেতায়। আমরা শুধু পেছন থেকে সহায়তা করতে পারি। এই কাজটা গত মাস থেকেই উপভোগ করছি। সেমিফাইনালের চ্যালেঞ্জটা তরুণেরা কীভাবে নেয়, সেটাই দেখার অপেক্ষায় আছি।’
হেইডেনের কাছে যেটি হৃদয়ের পরীক্ষা, অস্ট্রেলিয়া দলের কাছে সেটি ‘ঘরের শত্রু বিভীষণ’-এর মতো। অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ যেমন বলছেন, ‘তাঁকে (হেইডেন) আশপাশে দেখে ভালো লাগছে। এটা দারুণ ব্যাপার অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট দেশের সীমানা পেরিয়ে অন্য দেশেও পৌঁছে যাচ্ছে। যতটা পারা যায় সহায়তা করছে। এটা দারুণ ব্যাপার।’
পাকিস্তান দলের সঙ্গে কাজ করে হেইডেন যে খুব আনন্দ পাচ্ছেন, গত কিছুদিনে তাঁকে দেখলেই বোঝা যাচ্ছে। অবশ্য এই টুর্নামেন্টে পাকিস্তানও আছে দুর্দান্ত ছন্দে। একমাত্র দল, যারা সুপার টুয়েলভে অপরাজিত থেকে উঠেছে শেষ চারে। দলে ম্যাচ জেতানো খেলোয়াড়ের অভাব নেই। অধিনায়ক বাবর আজম নেতৃত্ব দিচ্ছেন সামনে থেকে। আর আজ দুবাইয়ের আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের গ্যালারি পূর্ণ থাকবে নিজেদের সমর্থকেরাই। ২০০৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর আরেকবার ফাইনালে ওঠার দারুণ এক সুযোগ পাকিস্তানের সামনে।
পরিসংখ্যানও পাকিস্তানের পক্ষে আছে। টি-টোয়েন্টিতে দুই দলের ২৩ সাক্ষাতে ১২টিতেই জিতেছে পাকিস্তান, ৯টিতে অস্ট্রেলিয়া। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যে পাঁচবার তারা মুখোমুখি সেখানে স্কোরলাইনটা পাকিস্তান ৩: ২ অস্ট্রেলিয়া। তবে বাবরদের প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া দলটাই এমন; যারা বড় মঞ্চে, চাপের ম্যাচে ধারাবাহিক জ্বলে উঠতে পারে। পাঁচবারের ওয়ানডে বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন তারা তো এমনিই হয়নি! আর বড় মঞ্চে পাকিস্তানকে হারানোর অভিজ্ঞতাও আছে তাদের। অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক ফিঞ্চ অবশ্য অতীতে তাকাতে চান না। বলছেন, ‘দেখুন এই পাকিস্তান দলটা দুর্দান্ত ছন্দে আছে। এই টুর্নামেন্টে টানা পাঁচটি ম্যাচ জিতেছে। শুধু ওরা অসাধারণ ক্রিকেট খেলছে। আর এসব না ভাবাই ভালো।’
ফিঞ্চ অতীতের দিকে না তাকাতে চাইলেও অতীতই কিন্তু বলছে, ৫০ ওভারের বিশ্বকাপে যারা নিজেদের বারবার শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করেছে; ২০ ওভারের বিশ্বকাপে সেই অস্ট্রেলিয়াকেই চেনা যায় না। তারা কখনোই এই ট্রফিটা জিততে পারেনি। এবার এ মলিন রেকর্ডটা হলুদ রঙে রাঙানোর সুযোগ ফিঞ্চদের সামনে।

এক কলকাতা পর্ব বাদ দিলে লিওনেল মেসির ভারত সফরটা হয়েছে মনে রাখার মতোই। হায়দরাবাদ, মুম্বাই, দিল্লি—সব জায়গাতেই আর্জেন্টাইন তারকা ফরোয়ার্ডকে রাজকীয়ভাবে বরণ করা হয়েছে। ভারত সফরে এসে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের টিকিটও পেয়ে গেলেন মেসি।
৪ ঘণ্টা আগে
২০১৪ সালের মিরপুরে সেই এশিয়া কাপে পাকিস্তানি বাঁহাতি স্পিনার আবদুর রেহমানের ‘বিশেষ’ সেই বোলিংয়ের ঘটনা হয়তো অনেকে ভুলেই গিয়েছিলেন। সেবার তিনটা বিমার ছোড়ার পর আর বোলিংই করতে পারেননি তিনি। ১১ বছর পর আজ অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া রাজ্যের জিলংয়ে সেই পুরোনো ঘটনাটা আবার মনে করিয়ে দিলেন।
৫ ঘণ্টা আগে
বোলিংয়ের পর ব্যাটারদের দিকে তেড়ে যাওয়া, স্লেজিংয়ে তাঁতিয়ে দেওয়া—আগুনের জবাব আগুনে দেওয়া বলতে তো এমনটাই বোঝায়। বর্তমান ক্রিকেটে পেসারদের এমন আগ্রাসন যে একেবারে দেখা যায় না, ব্যাপারটা তা নয়। কিন্তু আশি-নব্বইয়ের দশকের মতো অতটা আগুন দেখা যায় না বললেই চলে।
৫ ঘণ্টা আগে
প্রথমবার জুনিয়র হকি বিশ্বকাপে অংশ নিয়ে প্রত্যাশার চেয়েও বেশি কিছু উপহার দিয়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২১ দল। নভেম্বর-ডিসেম্বরে ভারতের চেন্নাই ও মাদুরাইয়ে অনুষ্ঠিত ২৪ দলের বিশ্বকাপে ১৭তম হয়ে জিতে নিয়েছে চ্যালেঞ্জার কাপ। অভাবনীয় সাফল্যের পরও পুরস্কারের ঘোষণা পেতে অপেক্ষা করা লাগল খানিকটা। আজ তাদের ৪০ লাখ
৬ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

এক কলকাতা পর্ব বাদ দিলে লিওনেল মেসির ভারত সফরটা হয়েছে মনে রাখার মতোই। হায়দরাবাদ, মুম্বাই, দিল্লি—সব জায়গাতেই আর্জেন্টাইন তারকা ফরোয়ার্ডকে রাজকীয়ভাবে বরণ করা হয়েছে। ভারত সফরে এসে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের টিকিটও পেয়ে গেলেন মেসি।
দিল্লি ভ্রমণ করে আজ ভারত সফর শেষ হলো মেসির। দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে আজ আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড মাঠে ঢুকতেই দর্শকেরা ‘মেসি, মেসি’ স্লোগান দিয়েছেন। আর্জেন্টাইন ফলোয়ার্ডের বরণ অনুষ্ঠানে আইসিসি চেয়ারম্যান জয় শাহ, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তা, দিল্লি ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রোহান জেটলি উপস্থিত ছিলেন। মেসিকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ভারত-যুক্তরাষ্ট্র ম্যাচের টিকিট উপহার দিয়েছেন। শুধু তা-ই নয়, মেসিকে একটা ক্রিকেট ব্যাট ও ভারতীয় দলের জার্সিও উপহার দেওয়া হয়েছে। এমন আপ্যায়নে মুগ্ধ আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড বলেন, ‘ভারতে এই কয় দিনে যে ভালোবাসা পেয়েছি, সেজন্য আপনাদের ধন্যবাদ। সত্যি বলতে এটা ছিল আমাদের জন্য ভিন্ন রকম এক অভিজ্ঞতা। যদিও অনেক সংক্ষিপ্ত সফর ছিল, তবে সবার ভালোবাসা পেয়ে ভালো লাগছে। প্রথমবারের মতো এমন অভিজ্ঞতা ছিল অসাধারণ।’
মুম্বাইয়ে গতকাল ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে শচীন টেন্ডুলকার, সুনীল ছেত্রী, মেসি—একসঙ্গে তিন কিংবদন্তিকে দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল ক্রীড়াপ্রেমীদের। শচীনের কাছ থেকে ১০ নম্বর জার্সি উপহার পেয়েছেন। সামাজিক মাধ্যমে অনেকেই তখন ব্যাপারটাকে ‘দুই নম্বর টেনের’ একসঙ্গে সাক্ষাৎ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। ওয়াংখেড়েতেও শোনা গেছে ‘মেসি, মেসি’ স্লোগান। ১৩ থেকে ১৫ ডিসেম্বর—এই তিন দিনে মেসি ভক্ত-সমর্থকসহ সবার কাছ থেকে যে ভালোবাসা পেয়েছেন, তাতে আবারও ভারত সফরের ইচ্ছা তাঁর অনেক বেড়ে গেল। এবার কোনো ম্যাচ না খেললেও সেবার একটা ফুটবল ম্যাচ খেলতে পারবেন বলে আশা ব্যক্ত করেছেন আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড। মেসি বলেন, ‘আপনারা এই কদিনে যারা করেছেন, সত্যি বলতে অসাধারণ। অসংখ্য ধন্যবাদ। কোনো না কোনোদিন অবশ্যই ফিরব। হয়তো একটা ম্যাচ খেলা হবে। তবে অবশ্যই ফিরছি। অসংখ্য ধন্যবাদ।’
মেসির আজ সকালে দিল্লিতে পৌঁছানোর কথা ছিল। কিন্তু ঘন কুয়াশার কারণে তাঁর চার্টার্ড ফ্লাইটের একটু দেরি হয়েছে। বিমানবন্দর থেকে সোজা দিল্লির লিলা প্যালেস হোটেলে চলে যান। মেসির এই সফরে পুরোটা জুড়েই ছিলেন রদ্রিগো দি পল ও লুইস সুয়ারেজ। মেসির মতো দি পল-সুয়ারেজকেও ফ্রেমে বাঁধানো ক্রিকেট ব্যাট ও ভারতীয় দলের জার্সি দেওয়া হয়েছে। ভারতের সাবেক গোলরক্ষক অদিতি চৌহান তাঁর স্বাক্ষরিত টি-শার্ট উপহার দিয়েছেন মেসি, সুয়ারেজ, দি পলকে। এর আগে সবশেষ ২০১১ সালে মেসি ভারত সফর করেছিলেন।

এক কলকাতা পর্ব বাদ দিলে লিওনেল মেসির ভারত সফরটা হয়েছে মনে রাখার মতোই। হায়দরাবাদ, মুম্বাই, দিল্লি—সব জায়গাতেই আর্জেন্টাইন তারকা ফরোয়ার্ডকে রাজকীয়ভাবে বরণ করা হয়েছে। ভারত সফরে এসে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের টিকিটও পেয়ে গেলেন মেসি।
দিল্লি ভ্রমণ করে আজ ভারত সফর শেষ হলো মেসির। দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে আজ আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড মাঠে ঢুকতেই দর্শকেরা ‘মেসি, মেসি’ স্লোগান দিয়েছেন। আর্জেন্টাইন ফলোয়ার্ডের বরণ অনুষ্ঠানে আইসিসি চেয়ারম্যান জয় শাহ, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তা, দিল্লি ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রোহান জেটলি উপস্থিত ছিলেন। মেসিকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ভারত-যুক্তরাষ্ট্র ম্যাচের টিকিট উপহার দিয়েছেন। শুধু তা-ই নয়, মেসিকে একটা ক্রিকেট ব্যাট ও ভারতীয় দলের জার্সিও উপহার দেওয়া হয়েছে। এমন আপ্যায়নে মুগ্ধ আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড বলেন, ‘ভারতে এই কয় দিনে যে ভালোবাসা পেয়েছি, সেজন্য আপনাদের ধন্যবাদ। সত্যি বলতে এটা ছিল আমাদের জন্য ভিন্ন রকম এক অভিজ্ঞতা। যদিও অনেক সংক্ষিপ্ত সফর ছিল, তবে সবার ভালোবাসা পেয়ে ভালো লাগছে। প্রথমবারের মতো এমন অভিজ্ঞতা ছিল অসাধারণ।’
মুম্বাইয়ে গতকাল ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে শচীন টেন্ডুলকার, সুনীল ছেত্রী, মেসি—একসঙ্গে তিন কিংবদন্তিকে দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল ক্রীড়াপ্রেমীদের। শচীনের কাছ থেকে ১০ নম্বর জার্সি উপহার পেয়েছেন। সামাজিক মাধ্যমে অনেকেই তখন ব্যাপারটাকে ‘দুই নম্বর টেনের’ একসঙ্গে সাক্ষাৎ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। ওয়াংখেড়েতেও শোনা গেছে ‘মেসি, মেসি’ স্লোগান। ১৩ থেকে ১৫ ডিসেম্বর—এই তিন দিনে মেসি ভক্ত-সমর্থকসহ সবার কাছ থেকে যে ভালোবাসা পেয়েছেন, তাতে আবারও ভারত সফরের ইচ্ছা তাঁর অনেক বেড়ে গেল। এবার কোনো ম্যাচ না খেললেও সেবার একটা ফুটবল ম্যাচ খেলতে পারবেন বলে আশা ব্যক্ত করেছেন আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড। মেসি বলেন, ‘আপনারা এই কদিনে যারা করেছেন, সত্যি বলতে অসাধারণ। অসংখ্য ধন্যবাদ। কোনো না কোনোদিন অবশ্যই ফিরব। হয়তো একটা ম্যাচ খেলা হবে। তবে অবশ্যই ফিরছি। অসংখ্য ধন্যবাদ।’
মেসির আজ সকালে দিল্লিতে পৌঁছানোর কথা ছিল। কিন্তু ঘন কুয়াশার কারণে তাঁর চার্টার্ড ফ্লাইটের একটু দেরি হয়েছে। বিমানবন্দর থেকে সোজা দিল্লির লিলা প্যালেস হোটেলে চলে যান। মেসির এই সফরে পুরোটা জুড়েই ছিলেন রদ্রিগো দি পল ও লুইস সুয়ারেজ। মেসির মতো দি পল-সুয়ারেজকেও ফ্রেমে বাঁধানো ক্রিকেট ব্যাট ও ভারতীয় দলের জার্সি দেওয়া হয়েছে। ভারতের সাবেক গোলরক্ষক অদিতি চৌহান তাঁর স্বাক্ষরিত টি-শার্ট উপহার দিয়েছেন মেসি, সুয়ারেজ, দি পলকে। এর আগে সবশেষ ২০১১ সালে মেসি ভারত সফর করেছিলেন।

ম্যাথু হেইডেনকে এমন প্রশ্নের মুখোমুখি হতেই হতো। সে প্রশ্নের মুখোমুখি তিনি গতকালই হয়ে গেলেন। অস্ট্রেলিয়ান সাবেক ওপেনার এখন পাকিস্তান ক্রিকেট দলের ব্যাটিং পরামর্শক। একজন অস্ট্রেলিয়ান হিসেবে হেইডেনকেই আজ অস্ট্রেলিয়াকে হারানোর ছক কষতে হচ্ছে।
১১ নভেম্বর ২০২১
২০১৪ সালের মিরপুরে সেই এশিয়া কাপে পাকিস্তানি বাঁহাতি স্পিনার আবদুর রেহমানের ‘বিশেষ’ সেই বোলিংয়ের ঘটনা হয়তো অনেকে ভুলেই গিয়েছিলেন। সেবার তিনটা বিমার ছোড়ার পর আর বোলিংই করতে পারেননি তিনি। ১১ বছর পর আজ অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া রাজ্যের জিলংয়ে সেই পুরোনো ঘটনাটা আবার মনে করিয়ে দিলেন।
৫ ঘণ্টা আগে
বোলিংয়ের পর ব্যাটারদের দিকে তেড়ে যাওয়া, স্লেজিংয়ে তাঁতিয়ে দেওয়া—আগুনের জবাব আগুনে দেওয়া বলতে তো এমনটাই বোঝায়। বর্তমান ক্রিকেটে পেসারদের এমন আগ্রাসন যে একেবারে দেখা যায় না, ব্যাপারটা তা নয়। কিন্তু আশি-নব্বইয়ের দশকের মতো অতটা আগুন দেখা যায় না বললেই চলে।
৫ ঘণ্টা আগে
প্রথমবার জুনিয়র হকি বিশ্বকাপে অংশ নিয়ে প্রত্যাশার চেয়েও বেশি কিছু উপহার দিয়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২১ দল। নভেম্বর-ডিসেম্বরে ভারতের চেন্নাই ও মাদুরাইয়ে অনুষ্ঠিত ২৪ দলের বিশ্বকাপে ১৭তম হয়ে জিতে নিয়েছে চ্যালেঞ্জার কাপ। অভাবনীয় সাফল্যের পরও পুরস্কারের ঘোষণা পেতে অপেক্ষা করা লাগল খানিকটা। আজ তাদের ৪০ লাখ
৬ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

২০১৪ সালের মিরপুরে সেই এশিয়া কাপে পাকিস্তানি বাঁহাতি স্পিনার আবদুর রেহমানের ‘বিশেষ’ সেই বোলিংয়ের ঘটনা হয়তো অনেকে ভুলেই গিয়েছিলেন। সেবার তিনটা বিমার ছোড়ার পর আর বোলিংই করতে পারেননি তিনি। ১১ বছর পর আজ অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া রাজ্যের জিলংয়ে সেই পুরোনো ঘটনাটা আবার মনে করিয়ে দিলেন।
বিগ ব্যাশে আজ মুখোমুখি হয়েছে মেলবোর্ন রেনেগেডস-ব্রিসবেন হিট। ব্রিসবেনের জার্সিতে খেলা শাহিন আজ বিগ ব্যাশে প্রথম কোনো ম্যাচ খেলতে নেমেছেন। তবে অস্ট্রেলিয়ার এই ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি লিগে তাঁর অভিষেকটা হলো ভুলে যাওয়ার মতোই। বিশেষ করে রেনেগেডসের ইনিংসে ১৮তম ওভারে তাঁর উল্টাপাল্টা বোলিংয়ের কারণে। ওভারের তৃতীয় বলে টিম সাইফার্টকে কোমরের ওপরের সমান ডেলিভারি করেছেন শাহিন আফ্রিদি। একই ওভারের পঞ্চম বলে আবারও একই রকম ডেলিভারি শাহিন আফ্রিদির। এবার ব্যাটার রেনেগেডসের ওলিভার পিক। এক ওভারে দুটো বিমার ছোড়ার কারণে আম্পায়ার শাহিনকে আর ওভারের বাকি অংশ করতে দেননি আম্পায়ার।
১৮তম ওভারে শাহিন বৈধ চার ডেলিভারি করেছেন। তবে তিন নো বলসহ করেছেন সাত বল। আরেকটা নো বল হয়েছে ফ্রন্ট ফুটের কারণে। সেই ওভারের শেষ দুই বলে নাথান ম্যাকসুইনি খরচ করেন ৫ রান। শাহিনের বোলিং শেষ করতে হয়েছে ২.৪ ওভারে ৪৩ রানে। কোনো উইকেট তিনি পাননি। শাহিনের এমন বোলিং নিয়ে অ্যাডাম গিলক্রিস্ট বলেন, ‘‘তার রাত এখানেই শেষ। সে একই ওভারে কোমরের সমান উচ্চতায় দুটি বল ছুড়ল। আম্পায়ার বললেন, ‘সরি, তুমি আর বোলিং করতে পারবে না।’’ মাইকেল ভন বলেন, ‘বলগুলো বিপজ্জনক হয়েছে।’
টস হেরে আগে ব্যাটিং পাওয়া মেলবোর্ন রেনেগেডস করেছে ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ২১২ রান। ৫৬ বলে ৯ চার ও ৬ ছক্কায় সাইফার্ট করেন ১০২ রান। জবাবে ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৯৮ রানে আটকে যায় ব্রিসবেন হিট। মেলবোর্নের ১৪ রানের জয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন সাইফার্ট। শাহিন পরাজিত হলেও ১১ বছর আগে আবদুর রেহমান বিজয়ীর বেশে মাঠ ছাড়তে পেরেছিলেন। ২০১৪ এশিয়া কাপে বাংলাদেশের দেওয়া ৩২৭ রানের লক্ষ্যে নেমে পাকিস্তান ১ বল হাতে রেখে ৩ উইকেটে জিতেছিল। সেবার রেহমান কোনো বল না করেই খরচ করেছিলেন ৮ রান।

২০১৪ সালের মিরপুরে সেই এশিয়া কাপে পাকিস্তানি বাঁহাতি স্পিনার আবদুর রেহমানের ‘বিশেষ’ সেই বোলিংয়ের ঘটনা হয়তো অনেকে ভুলেই গিয়েছিলেন। সেবার তিনটা বিমার ছোড়ার পর আর বোলিংই করতে পারেননি তিনি। ১১ বছর পর আজ অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া রাজ্যের জিলংয়ে সেই পুরোনো ঘটনাটা আবার মনে করিয়ে দিলেন।
বিগ ব্যাশে আজ মুখোমুখি হয়েছে মেলবোর্ন রেনেগেডস-ব্রিসবেন হিট। ব্রিসবেনের জার্সিতে খেলা শাহিন আজ বিগ ব্যাশে প্রথম কোনো ম্যাচ খেলতে নেমেছেন। তবে অস্ট্রেলিয়ার এই ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি লিগে তাঁর অভিষেকটা হলো ভুলে যাওয়ার মতোই। বিশেষ করে রেনেগেডসের ইনিংসে ১৮তম ওভারে তাঁর উল্টাপাল্টা বোলিংয়ের কারণে। ওভারের তৃতীয় বলে টিম সাইফার্টকে কোমরের ওপরের সমান ডেলিভারি করেছেন শাহিন আফ্রিদি। একই ওভারের পঞ্চম বলে আবারও একই রকম ডেলিভারি শাহিন আফ্রিদির। এবার ব্যাটার রেনেগেডসের ওলিভার পিক। এক ওভারে দুটো বিমার ছোড়ার কারণে আম্পায়ার শাহিনকে আর ওভারের বাকি অংশ করতে দেননি আম্পায়ার।
১৮তম ওভারে শাহিন বৈধ চার ডেলিভারি করেছেন। তবে তিন নো বলসহ করেছেন সাত বল। আরেকটা নো বল হয়েছে ফ্রন্ট ফুটের কারণে। সেই ওভারের শেষ দুই বলে নাথান ম্যাকসুইনি খরচ করেন ৫ রান। শাহিনের বোলিং শেষ করতে হয়েছে ২.৪ ওভারে ৪৩ রানে। কোনো উইকেট তিনি পাননি। শাহিনের এমন বোলিং নিয়ে অ্যাডাম গিলক্রিস্ট বলেন, ‘‘তার রাত এখানেই শেষ। সে একই ওভারে কোমরের সমান উচ্চতায় দুটি বল ছুড়ল। আম্পায়ার বললেন, ‘সরি, তুমি আর বোলিং করতে পারবে না।’’ মাইকেল ভন বলেন, ‘বলগুলো বিপজ্জনক হয়েছে।’
টস হেরে আগে ব্যাটিং পাওয়া মেলবোর্ন রেনেগেডস করেছে ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ২১২ রান। ৫৬ বলে ৯ চার ও ৬ ছক্কায় সাইফার্ট করেন ১০২ রান। জবাবে ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৯৮ রানে আটকে যায় ব্রিসবেন হিট। মেলবোর্নের ১৪ রানের জয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন সাইফার্ট। শাহিন পরাজিত হলেও ১১ বছর আগে আবদুর রেহমান বিজয়ীর বেশে মাঠ ছাড়তে পেরেছিলেন। ২০১৪ এশিয়া কাপে বাংলাদেশের দেওয়া ৩২৭ রানের লক্ষ্যে নেমে পাকিস্তান ১ বল হাতে রেখে ৩ উইকেটে জিতেছিল। সেবার রেহমান কোনো বল না করেই খরচ করেছিলেন ৮ রান।

ম্যাথু হেইডেনকে এমন প্রশ্নের মুখোমুখি হতেই হতো। সে প্রশ্নের মুখোমুখি তিনি গতকালই হয়ে গেলেন। অস্ট্রেলিয়ান সাবেক ওপেনার এখন পাকিস্তান ক্রিকেট দলের ব্যাটিং পরামর্শক। একজন অস্ট্রেলিয়ান হিসেবে হেইডেনকেই আজ অস্ট্রেলিয়াকে হারানোর ছক কষতে হচ্ছে।
১১ নভেম্বর ২০২১
এক কলকাতা পর্ব বাদ দিলে লিওনেল মেসির ভারত সফরটা হয়েছে মনে রাখার মতোই। হায়দরাবাদ, মুম্বাই, দিল্লি—সব জায়গাতেই আর্জেন্টাইন তারকা ফরোয়ার্ডকে রাজকীয়ভাবে বরণ করা হয়েছে। ভারত সফরে এসে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের টিকিটও পেয়ে গেলেন মেসি।
৪ ঘণ্টা আগে
বোলিংয়ের পর ব্যাটারদের দিকে তেড়ে যাওয়া, স্লেজিংয়ে তাঁতিয়ে দেওয়া—আগুনের জবাব আগুনে দেওয়া বলতে তো এমনটাই বোঝায়। বর্তমান ক্রিকেটে পেসারদের এমন আগ্রাসন যে একেবারে দেখা যায় না, ব্যাপারটা তা নয়। কিন্তু আশি-নব্বইয়ের দশকের মতো অতটা আগুন দেখা যায় না বললেই চলে।
৫ ঘণ্টা আগে
প্রথমবার জুনিয়র হকি বিশ্বকাপে অংশ নিয়ে প্রত্যাশার চেয়েও বেশি কিছু উপহার দিয়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২১ দল। নভেম্বর-ডিসেম্বরে ভারতের চেন্নাই ও মাদুরাইয়ে অনুষ্ঠিত ২৪ দলের বিশ্বকাপে ১৭তম হয়ে জিতে নিয়েছে চ্যালেঞ্জার কাপ। অভাবনীয় সাফল্যের পরও পুরস্কারের ঘোষণা পেতে অপেক্ষা করা লাগল খানিকটা। আজ তাদের ৪০ লাখ
৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বোলিংয়ের পর ব্যাটারদের দিকে তেড়ে যাওয়া, স্লেজিংয়ে তাঁতিয়ে দেওয়া—আগুনের জবাব আগুনে দেওয়া বলতে তো এমনটাই বোঝায়। বর্তমান ক্রিকেটে পেসারদের এমন আগ্রাসন যে একেবারে দেখা যায় না, ব্যাপারটা তা নয়। কিন্তু আশি-নব্বইয়ের দশকের মতো অতটা আগুন দেখা যায় না বললেই চলে।
পেশাদার ক্যারিয়ারে শোয়েব আখতার গতির ঝড়ে ব্যাটারদের কাবু করে দিতেন হরহামেশাই। কখনো ব্যাটারদের হেলমেটে, কখনোবা তাঁর আক্রমণাত্মক বোলিংয়ে হাঁটু-কব্জিসহ বিভিন্ন জায়গায় ব্যথা পেতেন ব্যাটাররা। বাউন্সার তো বটেই, মাঝেমধ্যে তাঁর গতিতে স্টাম্প উড়ে চলে যেত অনেক দূরে। তরুণ প্রজন্মের অনেক পেসারই আদর্শ মনে করেন পাকিস্তানি এই গতিতারকাকে। কিন্তু তাঁর সময়ের যে পেসারদের আগ্রাসন, সেটা এখন খুব একটা দেখা যায় না বলে আজ শেরাটনে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন তিনি। রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস বলেন, ‘বর্তমান প্রজন্মের ক্রিকেটারদের দোষ দিতে চাই না। তাঁদের জন্ম এই টি-টোয়েন্টি যুগে। অনেক ভ্রমণ করতে হয়।’
ব্যাঙের ছাতার মতো টি-টোয়েন্টি, টি-টেনসহ ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক ক্রিকেট লিগ। তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমানদের অনেকবার টানা ম্যাচ খেলতে হয়েছে। ধকল কাটিয়ে ওঠার জন্য পর্যাপ্ত সময় পান না। এমনকি চোটে পড়ে অনেক সময় ম্যাচও মিস করেন তাঁরা। এ কারণে বর্তমানের ক্রিকেটাররা অতটা আগ্রাহী হয়ে উঠতে পারেন না। ঢাকার শেরাটনে আজ সংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তানি গতিতারকা বলেন, ‘ম্যাচ খেলে পরদিন সকালে আবার খেলতে হচ্ছে। দ্রুত গতিতে বোলিং করতে দ্রুত ফিট হয়ে ওঠার সময় নেই। তবে ছয় মাস বিশ্রাম নিতে পারলে নিজেদের ভালোভাবে প্রস্তুত করতে পারত। যে মাত্রায় আগ্রাসন দেখতে চাই, সেটা এখন দেখতে পাই না।’
ঢাকা ক্যাপিটালসের পরামর্শক হিসেবে ২০২৬ বিপিএলে কাজ করবেন শোয়েব আখতার। ঢাকার শেরাটন হোটেলে আজ যখন সংবাদ সম্মেলনে তিনি এলেন, তাঁর পাশে ছিল কঠোর নিরাপত্তাবলয়। ক্যারিয়ার, পছন্দের ক্রিকেটার, বর্তমান ক্রিকেটারদের সঙ্গে তাঁর প্রজন্মের ক্রিকেটারদের মধ্যে পার্থক্য—এসব ব্যাপার নিয়েই শেরাটনে আলাপ-আলোচনা হয়েছে বেশি। শোয়েব আখতারও যে এই সংবাদ সম্মেলন উপভোগ করেছেন, সেটা তাঁর কথাবার্তা শুনেই বোঝা গেছে। মজার ছলে রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস বলেন, ‘আমার প্রিয় তিন ডেলিভারি হচ্ছে, শচীনকে প্রথম বলে আউট করা। দ্বিতীয়টা হলো ব্রায়ান লারার ঘাড়ে আঘাত করা। তিন নাম্বারটা হলো গ্যারি কারস্টেনের বুকে আঘাত করা। আরে না না। মজা করেছি আমি। আমার সেরা তিন ডেলিভারি হচ্ছে— ২০০২ সালে শচীন ও কলম্বোতে গিলক্রিস্টকে ইয়র্কারে আউট করা। তিন-চার নম্বরটা হলো টেস্টে দ্রুত গতির ডেলিভারিতে জ্যাক ক্যালিসের উইকেট নেওয়া।’
ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের যে চাপের কথা শোয়েব আখতার বলেছেন, সেটা একেবারে অযৌক্তিক নয়। তবে পেসাররা আগ্রাসী হতে গেলে কঠিন শাস্তি দিচ্ছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা (আইসিসি)। তানজিম হাসান সাকিব, মোহাম্মদ সিরাজরা আইসিসির থেকে তিরস্কারের পাশাপাশি জরিমানাও গুনেছেন। এ বছরের ২৬ ডিসেম্বর শুরু হবে ১২তম বিপিএল। সিলেটে হবে বিপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচ। ২৩ জানুয়ারি শিরোপা নির্ধারণী ফাইনাল মাঠে গড়াবে মিরপুর শেরেবাংলায়।

বোলিংয়ের পর ব্যাটারদের দিকে তেড়ে যাওয়া, স্লেজিংয়ে তাঁতিয়ে দেওয়া—আগুনের জবাব আগুনে দেওয়া বলতে তো এমনটাই বোঝায়। বর্তমান ক্রিকেটে পেসারদের এমন আগ্রাসন যে একেবারে দেখা যায় না, ব্যাপারটা তা নয়। কিন্তু আশি-নব্বইয়ের দশকের মতো অতটা আগুন দেখা যায় না বললেই চলে।
পেশাদার ক্যারিয়ারে শোয়েব আখতার গতির ঝড়ে ব্যাটারদের কাবু করে দিতেন হরহামেশাই। কখনো ব্যাটারদের হেলমেটে, কখনোবা তাঁর আক্রমণাত্মক বোলিংয়ে হাঁটু-কব্জিসহ বিভিন্ন জায়গায় ব্যথা পেতেন ব্যাটাররা। বাউন্সার তো বটেই, মাঝেমধ্যে তাঁর গতিতে স্টাম্প উড়ে চলে যেত অনেক দূরে। তরুণ প্রজন্মের অনেক পেসারই আদর্শ মনে করেন পাকিস্তানি এই গতিতারকাকে। কিন্তু তাঁর সময়ের যে পেসারদের আগ্রাসন, সেটা এখন খুব একটা দেখা যায় না বলে আজ শেরাটনে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন তিনি। রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস বলেন, ‘বর্তমান প্রজন্মের ক্রিকেটারদের দোষ দিতে চাই না। তাঁদের জন্ম এই টি-টোয়েন্টি যুগে। অনেক ভ্রমণ করতে হয়।’
ব্যাঙের ছাতার মতো টি-টোয়েন্টি, টি-টেনসহ ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক ক্রিকেট লিগ। তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমানদের অনেকবার টানা ম্যাচ খেলতে হয়েছে। ধকল কাটিয়ে ওঠার জন্য পর্যাপ্ত সময় পান না। এমনকি চোটে পড়ে অনেক সময় ম্যাচও মিস করেন তাঁরা। এ কারণে বর্তমানের ক্রিকেটাররা অতটা আগ্রাহী হয়ে উঠতে পারেন না। ঢাকার শেরাটনে আজ সংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তানি গতিতারকা বলেন, ‘ম্যাচ খেলে পরদিন সকালে আবার খেলতে হচ্ছে। দ্রুত গতিতে বোলিং করতে দ্রুত ফিট হয়ে ওঠার সময় নেই। তবে ছয় মাস বিশ্রাম নিতে পারলে নিজেদের ভালোভাবে প্রস্তুত করতে পারত। যে মাত্রায় আগ্রাসন দেখতে চাই, সেটা এখন দেখতে পাই না।’
ঢাকা ক্যাপিটালসের পরামর্শক হিসেবে ২০২৬ বিপিএলে কাজ করবেন শোয়েব আখতার। ঢাকার শেরাটন হোটেলে আজ যখন সংবাদ সম্মেলনে তিনি এলেন, তাঁর পাশে ছিল কঠোর নিরাপত্তাবলয়। ক্যারিয়ার, পছন্দের ক্রিকেটার, বর্তমান ক্রিকেটারদের সঙ্গে তাঁর প্রজন্মের ক্রিকেটারদের মধ্যে পার্থক্য—এসব ব্যাপার নিয়েই শেরাটনে আলাপ-আলোচনা হয়েছে বেশি। শোয়েব আখতারও যে এই সংবাদ সম্মেলন উপভোগ করেছেন, সেটা তাঁর কথাবার্তা শুনেই বোঝা গেছে। মজার ছলে রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস বলেন, ‘আমার প্রিয় তিন ডেলিভারি হচ্ছে, শচীনকে প্রথম বলে আউট করা। দ্বিতীয়টা হলো ব্রায়ান লারার ঘাড়ে আঘাত করা। তিন নাম্বারটা হলো গ্যারি কারস্টেনের বুকে আঘাত করা। আরে না না। মজা করেছি আমি। আমার সেরা তিন ডেলিভারি হচ্ছে— ২০০২ সালে শচীন ও কলম্বোতে গিলক্রিস্টকে ইয়র্কারে আউট করা। তিন-চার নম্বরটা হলো টেস্টে দ্রুত গতির ডেলিভারিতে জ্যাক ক্যালিসের উইকেট নেওয়া।’
ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের যে চাপের কথা শোয়েব আখতার বলেছেন, সেটা একেবারে অযৌক্তিক নয়। তবে পেসাররা আগ্রাসী হতে গেলে কঠিন শাস্তি দিচ্ছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা (আইসিসি)। তানজিম হাসান সাকিব, মোহাম্মদ সিরাজরা আইসিসির থেকে তিরস্কারের পাশাপাশি জরিমানাও গুনেছেন। এ বছরের ২৬ ডিসেম্বর শুরু হবে ১২তম বিপিএল। সিলেটে হবে বিপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচ। ২৩ জানুয়ারি শিরোপা নির্ধারণী ফাইনাল মাঠে গড়াবে মিরপুর শেরেবাংলায়।

ম্যাথু হেইডেনকে এমন প্রশ্নের মুখোমুখি হতেই হতো। সে প্রশ্নের মুখোমুখি তিনি গতকালই হয়ে গেলেন। অস্ট্রেলিয়ান সাবেক ওপেনার এখন পাকিস্তান ক্রিকেট দলের ব্যাটিং পরামর্শক। একজন অস্ট্রেলিয়ান হিসেবে হেইডেনকেই আজ অস্ট্রেলিয়াকে হারানোর ছক কষতে হচ্ছে।
১১ নভেম্বর ২০২১
এক কলকাতা পর্ব বাদ দিলে লিওনেল মেসির ভারত সফরটা হয়েছে মনে রাখার মতোই। হায়দরাবাদ, মুম্বাই, দিল্লি—সব জায়গাতেই আর্জেন্টাইন তারকা ফরোয়ার্ডকে রাজকীয়ভাবে বরণ করা হয়েছে। ভারত সফরে এসে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের টিকিটও পেয়ে গেলেন মেসি।
৪ ঘণ্টা আগে
২০১৪ সালের মিরপুরে সেই এশিয়া কাপে পাকিস্তানি বাঁহাতি স্পিনার আবদুর রেহমানের ‘বিশেষ’ সেই বোলিংয়ের ঘটনা হয়তো অনেকে ভুলেই গিয়েছিলেন। সেবার তিনটা বিমার ছোড়ার পর আর বোলিংই করতে পারেননি তিনি। ১১ বছর পর আজ অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া রাজ্যের জিলংয়ে সেই পুরোনো ঘটনাটা আবার মনে করিয়ে দিলেন।
৫ ঘণ্টা আগে
প্রথমবার জুনিয়র হকি বিশ্বকাপে অংশ নিয়ে প্রত্যাশার চেয়েও বেশি কিছু উপহার দিয়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২১ দল। নভেম্বর-ডিসেম্বরে ভারতের চেন্নাই ও মাদুরাইয়ে অনুষ্ঠিত ২৪ দলের বিশ্বকাপে ১৭তম হয়ে জিতে নিয়েছে চ্যালেঞ্জার কাপ। অভাবনীয় সাফল্যের পরও পুরস্কারের ঘোষণা পেতে অপেক্ষা করা লাগল খানিকটা। আজ তাদের ৪০ লাখ
৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রথমবার জুনিয়র হকি বিশ্বকাপে অংশ নিয়ে প্রত্যাশার চেয়েও বেশি কিছু উপহার দিয়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২১ দল। নভেম্বর-ডিসেম্বরে ভারতের চেন্নাই ও মাদুরাইয়ে অনুষ্ঠিত ২৪ দলের বিশ্বকাপে ১৭তম হয়ে জিতে নিয়েছে চ্যালেঞ্জার কাপ। অভাবনীয় সাফল্যের পরও পুরস্কারের ঘোষণা পেতে অপেক্ষা করা লাগল খানিকটা। আজ তাদের ৪০ লাখ টাকা বোনাস দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে হকি ফেডারেশন। বিমানবাহিনী দেবে ২০ লাখ টাকা।
৬০ লাখ টাকার বাইরে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতা আমিরুল ইসলাম আলাদা করে পাচ্ছেন ৫ লাখ টাকা। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর কুর্মিটোলা ঘাঁটির শাহিন দ্বীপে আজ অনূর্ধ্ব-২১ দল ব্যতিক্রমী সংবর্ধনা দিয়েছে হকি ফেডারেশন।
বিমানবাহিনী প্রধান ও ফেডারেশনের সভাপতি এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। খেলোয়াড়দের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘বিশ্বকাপে যাওয়ার আগে আমি সবাইকে বলেছিলাম মাঠে লড়াকু মানসিকতা দেখতে চাই। বলেছিলাম নির্ভয়ে মাথা উঁচু করে খেলতে। তোমাদের এখন থেকে ২০২৬ এশিয়ান গেমস ও পরের বিশ্বকাপের প্রস্তুতি শুরু করতে হবে। আমি নিশ্চয়তা দিচ্ছি, দেশের হকির উন্নয়নে আমরা আগের চেয়ে আরো বেশি বিস্তৃত ও বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করব।’
বোনাসে অঙ্ক শুনে বিশ্বকাপে ৬ ম্যাচে ৫ হ্যাটট্রিকে ১৮ গোল করা আমিরুল বলেন, সংবর্ধনা পেয়ে দলের সবচেয়ে বড় তারকা আমিরুল ইসলাম বলেছেন, ‘এই সংবর্ধনার পাওয়ায় আমাদের দায়িত্ব আরো বেড়ে গেলো। অন্যান্য খেলায় সাফল্য ফেলে সরকার থেকে অনেক পুরস্কার দেওয়া হয়। আমাদের বিষয়গুলোও যদি দেখা হয় তাহলে ভবিষ্যতের জন্য আরো ভালো হবে। পাশাপাশি আমাদের জন্য দীর্ঘমেয়াদী একটা পরিকল্পনা করা হয় তাহলে আগামীতে আমরা আরো ভালো করতে পারব।’
হকি সেভাবে তেমন কোনো কাঠামো গড়ে ওঠেনি। তাই যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চান আমিরুল, ‘আমরা যদি ক্রীড়া উপদেষ্টার সাথে দেখা করতে পারি তাহলে আমাদের সমস্যার কথাগুলো বলতে পারতাম।’
বিশ্বকাপ খেলে আসার পরও ঘরোয়া হকি মাঠে গড়ানোর ব্যাপারে এখনো কোনো সম্ভাবনা তৈরি হয়নি। ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক লে. কর্নেল (অব.) রিয়াজুল হাসান জানিয়েছেন, প্রথম বিভাগ লিগ চালু করার জন্য এই মাসেই ক্লাবগুলোকে চিঠি পাঠানো হবে।
বিশ্বকাপের দল ছাড়াও অনূর্ধ্ব-১৮ নারী দলকেও সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। গত জুলাইয়ে চীনের দাঝুতে অনুষ্ঠিত নারীদের অনূর্ধ্ব-১৮ এশিয়া কাপে প্রথমবার অংশ নেয় বাংলাদেশ। সেই টুর্নামন্টে কাজাখস্তানকে হারিয়ে ব্রোঞ্জপদক জেতেন মেয়েরা। সোমবারের সংবর্ধনায় দলকে ১০ লাখ টাকা বোনাসের ঘোষণা দেন ফেডারেশন সভাপতি।

প্রথমবার জুনিয়র হকি বিশ্বকাপে অংশ নিয়ে প্রত্যাশার চেয়েও বেশি কিছু উপহার দিয়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২১ দল। নভেম্বর-ডিসেম্বরে ভারতের চেন্নাই ও মাদুরাইয়ে অনুষ্ঠিত ২৪ দলের বিশ্বকাপে ১৭তম হয়ে জিতে নিয়েছে চ্যালেঞ্জার কাপ। অভাবনীয় সাফল্যের পরও পুরস্কারের ঘোষণা পেতে অপেক্ষা করা লাগল খানিকটা। আজ তাদের ৪০ লাখ টাকা বোনাস দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে হকি ফেডারেশন। বিমানবাহিনী দেবে ২০ লাখ টাকা।
৬০ লাখ টাকার বাইরে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতা আমিরুল ইসলাম আলাদা করে পাচ্ছেন ৫ লাখ টাকা। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর কুর্মিটোলা ঘাঁটির শাহিন দ্বীপে আজ অনূর্ধ্ব-২১ দল ব্যতিক্রমী সংবর্ধনা দিয়েছে হকি ফেডারেশন।
বিমানবাহিনী প্রধান ও ফেডারেশনের সভাপতি এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। খেলোয়াড়দের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘বিশ্বকাপে যাওয়ার আগে আমি সবাইকে বলেছিলাম মাঠে লড়াকু মানসিকতা দেখতে চাই। বলেছিলাম নির্ভয়ে মাথা উঁচু করে খেলতে। তোমাদের এখন থেকে ২০২৬ এশিয়ান গেমস ও পরের বিশ্বকাপের প্রস্তুতি শুরু করতে হবে। আমি নিশ্চয়তা দিচ্ছি, দেশের হকির উন্নয়নে আমরা আগের চেয়ে আরো বেশি বিস্তৃত ও বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করব।’
বোনাসে অঙ্ক শুনে বিশ্বকাপে ৬ ম্যাচে ৫ হ্যাটট্রিকে ১৮ গোল করা আমিরুল বলেন, সংবর্ধনা পেয়ে দলের সবচেয়ে বড় তারকা আমিরুল ইসলাম বলেছেন, ‘এই সংবর্ধনার পাওয়ায় আমাদের দায়িত্ব আরো বেড়ে গেলো। অন্যান্য খেলায় সাফল্য ফেলে সরকার থেকে অনেক পুরস্কার দেওয়া হয়। আমাদের বিষয়গুলোও যদি দেখা হয় তাহলে ভবিষ্যতের জন্য আরো ভালো হবে। পাশাপাশি আমাদের জন্য দীর্ঘমেয়াদী একটা পরিকল্পনা করা হয় তাহলে আগামীতে আমরা আরো ভালো করতে পারব।’
হকি সেভাবে তেমন কোনো কাঠামো গড়ে ওঠেনি। তাই যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চান আমিরুল, ‘আমরা যদি ক্রীড়া উপদেষ্টার সাথে দেখা করতে পারি তাহলে আমাদের সমস্যার কথাগুলো বলতে পারতাম।’
বিশ্বকাপ খেলে আসার পরও ঘরোয়া হকি মাঠে গড়ানোর ব্যাপারে এখনো কোনো সম্ভাবনা তৈরি হয়নি। ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক লে. কর্নেল (অব.) রিয়াজুল হাসান জানিয়েছেন, প্রথম বিভাগ লিগ চালু করার জন্য এই মাসেই ক্লাবগুলোকে চিঠি পাঠানো হবে।
বিশ্বকাপের দল ছাড়াও অনূর্ধ্ব-১৮ নারী দলকেও সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। গত জুলাইয়ে চীনের দাঝুতে অনুষ্ঠিত নারীদের অনূর্ধ্ব-১৮ এশিয়া কাপে প্রথমবার অংশ নেয় বাংলাদেশ। সেই টুর্নামন্টে কাজাখস্তানকে হারিয়ে ব্রোঞ্জপদক জেতেন মেয়েরা। সোমবারের সংবর্ধনায় দলকে ১০ লাখ টাকা বোনাসের ঘোষণা দেন ফেডারেশন সভাপতি।

ম্যাথু হেইডেনকে এমন প্রশ্নের মুখোমুখি হতেই হতো। সে প্রশ্নের মুখোমুখি তিনি গতকালই হয়ে গেলেন। অস্ট্রেলিয়ান সাবেক ওপেনার এখন পাকিস্তান ক্রিকেট দলের ব্যাটিং পরামর্শক। একজন অস্ট্রেলিয়ান হিসেবে হেইডেনকেই আজ অস্ট্রেলিয়াকে হারানোর ছক কষতে হচ্ছে।
১১ নভেম্বর ২০২১
এক কলকাতা পর্ব বাদ দিলে লিওনেল মেসির ভারত সফরটা হয়েছে মনে রাখার মতোই। হায়দরাবাদ, মুম্বাই, দিল্লি—সব জায়গাতেই আর্জেন্টাইন তারকা ফরোয়ার্ডকে রাজকীয়ভাবে বরণ করা হয়েছে। ভারত সফরে এসে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের টিকিটও পেয়ে গেলেন মেসি।
৪ ঘণ্টা আগে
২০১৪ সালের মিরপুরে সেই এশিয়া কাপে পাকিস্তানি বাঁহাতি স্পিনার আবদুর রেহমানের ‘বিশেষ’ সেই বোলিংয়ের ঘটনা হয়তো অনেকে ভুলেই গিয়েছিলেন। সেবার তিনটা বিমার ছোড়ার পর আর বোলিংই করতে পারেননি তিনি। ১১ বছর পর আজ অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া রাজ্যের জিলংয়ে সেই পুরোনো ঘটনাটা আবার মনে করিয়ে দিলেন।
৫ ঘণ্টা আগে
বোলিংয়ের পর ব্যাটারদের দিকে তেড়ে যাওয়া, স্লেজিংয়ে তাঁতিয়ে দেওয়া—আগুনের জবাব আগুনে দেওয়া বলতে তো এমনটাই বোঝায়। বর্তমান ক্রিকেটে পেসারদের এমন আগ্রাসন যে একেবারে দেখা যায় না, ব্যাপারটা তা নয়। কিন্তু আশি-নব্বইয়ের দশকের মতো অতটা আগুন দেখা যায় না বললেই চলে।
৫ ঘণ্টা আগে