Ajker Patrika

ইংল্যান্ডকে ১০৬ রানে হারিয়ে হায়দরাবাদের প্রতিশোধ নিল ভারত

আপডেট : ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬: ২৫
ইংল্যান্ডকে ১০৬ রানে হারিয়ে হায়দরাবাদের প্রতিশোধ নিল ভারত

যশস্বী জয়সওয়ালের ডাবল সেঞ্চুরি, জসপ্রীত বুমরার বিধ্বংসী বোলিং, শুবমান গিলের সেঞ্চুরি—কী ছিল না বিশাখাপত্তনমে ভারত-ইংল্যান্ড দ্বিতীয় টেস্টে। ভারতীয় ক্রিকেটারদের এমন দাপুটে পারফরম্যান্সের বিপরীতে ইংল্যান্ড লড়াইয়ের আভাস দিয়েছিল ঠিকই। শেষ পর্যন্ত ইংল্যান্ড আর পেরে ওঠেনি। ১০৬ রানে জিতে পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ১-১ সমতা করল ভারত। একই সঙ্গে হায়দরাবাদ টেস্টে কাছাকাছি গিয়ে হারের প্রতিশোধও নিল ভারত।

 

 

 

৩৯৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নামা ইংল্যান্ড গতকাল তৃতীয় দিনে ব্যাটিংয়ে নেমেছিল। ১৪ ওভারে ১ উইকেটে  ৬৭ রানে শেষ করেছিল ইংল্যান্ড। সেখান থেকে আজ ইংল্যান্ডের ওপেনার জ্যাক ক্রলি ও নাইটওয়াচম্যান হিসেবে নামা রেহান আহমেদ এগোচ্ছিলেন সাবলীলভাবেই। ২২তম ওভারের পঞ্চম বলে রেহানকে এলবিডব্লুর ফাদে ফেলে জুটি ভাঙেন  অক্ষর প্যাটেল। তাতে ইংল্যান্ডের স্কোর হয়ে যায় ২১.৫ ওভারে  ২ উইকেটে  ৯৫ রান। দ্বিতীয় উইকেটে ক্রলি ও রেহানের জুটি ছিল ৬৬ বলে ৪৫ রানের।

২ উইকেটে ৯৫ রান হওয়ার পর ব্যাটিংয়ে নামেন  ওলি পোপ। ওপেনার ক্রলির সঙ্গে পোপের জুটিটা যখন বড় হওয়ার পথে এগোচ্ছিল, তখনই বাদ সাধেন অশ্বিন। ২৯তম ওভারের দ্বিতীয় বলে পোপকে ফেরান অশ্বিন। ২১ বলে ৫ চারে ২৩ রান করেন পোপ। এরপর পাঁচ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামা জো রুট উইকেটে এসেও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ১০ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় ১৬ রানের ছোট ইনিংসটিই প্রমাণ করে যে রুট টেস্টে বেশি বিধ্বংসী হতে গিয়েছেন। তাতেই নিজের উইকেট দিয়ে এসেছেন।  ৩১তম ওভারের শেষ বলে অশ্বিনকে মিড উইকেট দিয়ে তুলে মারতে যান রুট। এজ হওয়া বল ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে গেলে সহজে ক্যাচ ধরেন অক্ষর প্যাটেল। অশ্বিনের জোড়া আঘাতে মুহূর্তেই ইংল্যান্ডের স্কোর হয়ে যায় ২ উইকেটে ১৩২ রান থেকে ৪ উইকেটে ১৫৪ রান।

সতীর্থদের আসা-যাওয়ার মধ্যে খেলতে থাকেন ক্রলি। পঞ্চম উইকেটে জনি বেয়ারস্টোর সঙ্গে ৬৬ বলে ৪০ রানের আরও একটি জুটি গড়তে অবদান রাখেন ক্রলি। সেই ক্রলিকে ফিরিয়েই জুটি ভাঙেন কুলদীপ যাদব। ৪২তম ওভারের শেষ বলে ক্রলিকে এলবিডব্লুর ফাদে ফেলেন কুলদীপ। প্রথমে মাঠের আম্পায়ার আউট দেননি। এরপর রোহিত শর্মা রিভিউ নিয়ে ক্রলিকে আউট করেছেন। ইংল্যান্ডের ওপেনার  ১৩২ বলে করেন ৭৩ রান। যা ইংল্যান্ডের ইনিংসের সর্বোচ্চ রান।

ক্রলির বিদায়ে ইংল্যান্ডের স্কোর হয়ে যায় ৪২ ওভারে  ৫ উইকেটে  ১৯৪ রান। এরপর জনি বেয়ারস্টো ও ইংল্যান্ড অধিনায়ক বেন স্টোকস—দ্রুতই ড্রেসিংরুমের পথ ধরেছেন। যেখানে ৫৩তম ওভারের চতুর্থ বলে অশ্বিনকে মিড অনে ঠেলে সিঙ্গেল নিতে যান বেন ফোকস। অপরপ্রান্তে থাকা বেন স্টোকস কিছুটা দ্বিধাদ্বন্দ্ব নিয়ে দৌড় দেন। স্ট্রাইকপ্রান্তে শ্রেয়াস আয়ার দুর্দান্ত ডিরেক্ট থ্রোতে স্টাম্প ভেঙেছেন। তাতে আউট হয়েছেন স্টোকস এবং ইংল্যান্ডের স্কোর হয়ে যায় ৭ উইকেটে ২২০ রান। এরপর অষ্টম উইকেটে টম হার্টলি ও বেন ফোকসের ৭৪ বলে ৫৫ রানের জুটিটা শুধু ব্যবধানই কমিয়েছে। শেষ পর্যন্ত ইংল্যান্ড ২৯২ রানে অলআউট হয়েছে। যেখানে হার্টলিকে বোল্ড করে ইংল্যান্ডের ইনিংসের সমাপ্তি টেনেছেন জসপ্রীত বুমরা। ভারতীয় বোলারদের মধ্যে  সর্বোচ্চ ৩টি করে উইকেট নেন বুমরা ও অশ্বিন। টেস্টে অশ্বিনের ৫০০ উইকেট নেওয়ার অপেক্ষা থেকে গেল বিশাখাপত্তনমেও। ৯৭ টেস্ট ক্যারিয়ারে অশ্বিনের উইকেট ৪৯৯।

এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা। প্রথম ইনিংসে ৩৯৬ রানে অলআউট হয়েছে ভারতীয়রা। ইনিংস সর্বোচ্চ ২০৯ রান করেছিলেন যশস্বী জয়সওয়াল। ২৯০ বলের ইনিংসে ১৯ চার ও ৭ ছক্কা মারেন জয়সওয়াল। ইংল্যান্ডের বোলারদের মধ্যে  ৩টি করে উইকেট নেন জেমস অ্যান্ডারসন, শোয়েব বশির ও রেহান আহমেদ।  এরপর ইংল্যান্ড তাদের প্রথম ইনিংসে ২৫৩ রানে অলআউট হয়েছে।  ইনিংস সর্বোচ্চ  ৭৬ রান করেন ক্রলি। ভারতের বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৬ উইকেট নেন বুমরা। এরপর ভারত তাদের দ্বিতীয় ইনিংসে ২৫৫ রানে অলআউট হয়েছে। ভারতীয় ব্যাটারদের মধ্যে ইনিংস সর্বোচ্চ ১০৪ রান করেন গিল।

 

 

 

 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

ক্রীড়া ডেস্ক    
সেমিফাইনাল পরিত্যক্ত হলে বাংলাদেশ উঠে যাবে ফাইনালে। ছবি: এসিসি
সেমিফাইনাল পরিত্যক্ত হলে বাংলাদেশ উঠে যাবে ফাইনালে। ছবি: এসিসি

এতক্ষণে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের দুই সেমিফাইনালেরই প্রথম ইনিংসের খেলা শেষ হয়ে যেত। সেটা না হলেও কমপক্ষে ৪০ ওভার তো হতোই। কিন্তু দুবাইয়ে সাত সকালে বৃষ্টির বাগড়ায় ম্যাচ শুরু হওয়া তো দূরের কথা, টসই হতে পারেনি। আদৌ দুই সেমিফাইনাল মাঠে গড়ায় কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট শঙ্কা রয়েছে।

বাংলাদেশ সময় সকাল ১১টায় দ্য সেভেন্স স্টেডিয়ামে শুরু হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ-পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সেমিফাইনাল। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে একই সময়ে শুরু হতো ভারত-শ্রীলঙ্কা অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সেমিফাইনালও। কিন্তু সকালে বৃষ্টির পর আউটফিল্ড এতটাই অবস্থা যে ম্যাচ শুরুর মতো অবস্থা নেই। যদি বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়, তাহলে বাংলাদেশ উঠে যাবে ফাইনালে। কারণ, ‘বি’ গ্রুপ থেকে আজিজুল হাকিম তামিমের বাংলাদেশ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেমিফাইনালের টিকিট কেটেছে। একই কথা ভারত-শ্রীলঙ্কা ম্যাচের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। ভারত যেহেতু ‘এ’ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন, তাহলে সেমিফাইনাল পরিত্যক্ত হলে তারা শিরোপা নির্ধারণী ফাইনালে উঠে যাবে।

সেমিফাইনালের জন্য কোনো রিজার্ভ ডে রাখা হয়নি। ফল দেখার জন্য কমপক্ষে ২০ ওভারের ম্যাচ চালু হওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হবে, সেজন্য বাংলাদেশ সময় বিকাল ৪টা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। কখনো কখনো সুখবরের আভাস মিললেও দুই সেমিফাইনাল চালু করার মতো অবস্থা এখনো আসেনি। আউটফিল্ডে গর্ত সৃষ্টির কারণে খেলোয়াড়দের চোটে পড়ার ঝুঁকি বেশি। মূলত সেই কারণেই খেলা চালু করতে আম্পায়াররা অপেক্ষা করছেন।

আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৩ উইকেটের জয় দিয়ে এবারের এশিয়া কাপ মিশন শুরু করেছিল বাংলাদেশ। নেপালকে রীতিমতো উড়িয়ে দিয়েছিল তামিমের দল। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ব্যাটিং ব্যর্থতা বাংলাদেশ পুষিয়ে দিয়েছিল বোলিংয়ে। লঙ্কানদের ৩৯ রানে হারিয়েই মূলত ‘বি’ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে তামিমের দল সেমিতে উঠেছে। এর আগে বৃষ্টি হানা দিয়েছিল ভারত-পাকিস্তান ম্যাচেও। সেকারণে ৪৯ ওভারে খেলা নামানো হয়েছিল। সেই ম্যাচে পাকিস্তানকে ৯০ রানে হারিয়েছিল ভারত। ‘এ’ গ্রুপের অপর দুই দল সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া রীতিমতো অসহায় আত্মসমর্পণ করেছিল ভারত-পাকিস্তানের কাছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

হেডের সেঞ্চুরিতে বড় লিডের পথে অস্ট্রেলিয়া

ক্রীড়া ডেস্ক    
১৪২ রানে অপরাজিত আছেন হেড। ছবি: ক্রিকইনফো
১৪২ রানে অপরাজিত আছেন হেড। ছবি: ক্রিকইনফো

তৃতীয় দিনের খেলা শেষে বেশ হাসিমুখেই মাঠ ছাড়লেন ট্রাভিস হেড। সেঞ্চুরি করে অপরাজিত আছেন তিনি। তাঁর মুখে হাসি শোভা পাবে সেটাই তো স্বাভাবিক। হেডের সঙ্গী অ্যালেক্স ক্যারির মুখেও দেখা গেল চওড়া হাসি। দিনের খেলা শেষে এই দুই ব্যাটারের হাসি মুখই এখন অ্যাডিলেড টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিচ্ছবি। ইংল্যান্ডকে বড় লিড ছুঁড়ে দেওয়ার পথে স্বাগতিকেরা।

দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেট হারিয়ে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ২৭১ রান। প্রথম ইনিংসে ৮৫ রানে এগিয়ে থাকায় তাদের লিড দাঁড়িয়েছে ৩৫৬ রান। অতি নাটকীয় কিছু নাহলে ৬ উইকেট হাতে থাকায় ইংল্যান্ডের সামনে লিডটা বেশ বড়ই হবে সেটা বলা বাহুল্য।

প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া থামে ৩৭১ রানে। জবাবে দ্বিতীয় দিন শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ছিল ২১৩ রান। অধিনায়ক বেন স্টোকসের ৮৩ রান এবং জফরা আর্চারের ৫১ রানের ইনিংসের সুবাদে শেষ পর্যন্ত ২৮৬ রান করেছে সফরকারী দল। এগিয়ে থাকলেও দ্বিতীয় ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার শুরুটা ভালো হয়নি। দলীয় ৮ রানে জ্যাক ওয়েদারাল্ডকে হারায় তারা। মারনাস লাবুশেন ফিরলে ৫৩ রানে ২ উইকেটের দলে পরিণত হয় স্বাগতিকেরা।

শুরুর ধাক্কা সামলে হেডের সেঞ্চুরি ও ক্যারির ফিফটিতে ঘুরে দাঁড়িয়েছে অস্ট্রেলিয়া। তৃতীয় উইকেটে ৮৬ রান যোগ করেন উসমান খাজা ও হেড। ৪০ রান করে উইল জ্যাকসের শিকার হন খাজা। অল্প সময়ের ব্যবধানে ক্যামরুন গ্রিনও ফিরে যান।

অবিচ্ছিন্ন থেকে দিনের বাকিটা সময় পার করে দেন হেড ও ক্যারি। ১২২ রানের জুটি গড়েছেন তাঁরা। ১৩ চার ও ২ ছক্কায় ১৪২ রানে অপরাজিত আছেন খাজার চোটে ওপেনিংয়ে সুযোগ পাওয়া হেড। তাঁর সঙ্গী ক্যারি ৫২ রান নিয়ে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করবেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

লুসাইলে ফিরল আর্জেন্টিনার স্মৃতি, মরক্কোকে রাষ্ট্র প্রধানের অভিনন্দন

ক্রীড়া ডেস্ক    
অতিরিক্ত সময়ের গোলে বাজিমাত করেছে মরক্কানরা। ছবি: সংগৃহীত
অতিরিক্ত সময়ের গোলে বাজিমাত করেছে মরক্কানরা। ছবি: সংগৃহীত

কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে যেন ঠিক ৩ বছর আগের স্মৃতির পুনরাবৃত্তিই হলো। ২০২২ সালের ১৮ ডিসেম্বর এই ভেন্যুতে শ্বাসরুদ্ধকর লড়াই শেষে ফ্রান্সকে টাইব্রেকারে হারিয়ে তৃতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের সোনালী ট্রফি উঁচিয়ে ধরেছিল আর্জেন্টিনা। লিওনেল মেসিদের সেই স্মৃতি এবার ফিরে এল মরক্কোর হাত ধরে।

সবশেষ বিশ্বকাপের ফাইনালে নির্ধারিত এবং অতিরিক্ত সময়ের খেলা শেষে ৩-৩ সমতায় ছিল আর্জেন্টিনা ও ফ্রান্স। ভাগ্য নির্ধারণ প্রক্রিয়ায় এমিলিয়ানো মার্তিনেজের দুটি দারুণ সেভে বাজিমাত করে লা আলবিসেলেস্তেরা। ফিফা আরব কাপের ফাইনালে মরক্কো ও জর্ডানের ম্যাচ টাইব্রেকারে না গড়ালেও উত্তেজনার কোনো কমতি ছিল না। নাটকীয় লড়াই শেষে ৩-২ গোলে জিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে মরক্কো।

লুসাইল স্টেডিয়ামে শুরুতেই এগিয়ে যায় মরক্কো। চতুর্থ মিনিটে ৩৫ গজ দূর থেকে তান্নানের নেওয়া গতিময় শট জর্ডানের জাল খুঁজে নেয়। লিড নিয়ে বিরতিতে যায় মরক্কো। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই আলী ওলওয়ানের কল্যাণে ম্যাচে ফেরে জর্ডান। ৬৮ মিনিটে তাঁর স্পট কিক থেকে প্রথমবার এগিয়ে যায় দলটি। এই গোলে ভর দিয়ে প্রায় জিতেই যাচ্ছিল জর্ডান। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের ৩ মিনিট আগে আব্দেররাজ্জাক মরক্কোকে সমতায় ফেরান।

২-২ সমতায় নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষ হয়। অতিরিক্ত সময়ে মরক্কোর হয়ে ব্যবধান গড়ে দেওয়া গোলটি করেন আব্দেররাজ্জাক। বাকি সময়ে আর ম্যাচে ফেরা হয়নি জর্ডানের।

মরক্কোর জাতীয় ফুটবল দলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন মরক্কো রাজা ষষ্ঠ মোহাম্মদ। এই সাফল্য দেশের ফুটবলকে আন্তর্জাতিক স্তরে সম্মানজনক স্থানে নিয়ে গেছে বলে মনে করেন তিনি। খেলোয়াড়দের ধারাবাহিক পারফরম্যান্স খুশি ষষ্ঠ মোহাম্মদ। বিভিন্ন আঞ্চলিক, মহাদেশীয় এবং আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে জাতীয় পতাকাকে উঁচুতে তোলার জন্য খেলোয়াড়দের ধারাবাহিক এবং টেকসই প্রচেষ্টার প্রশংসা করেছেন। পাশাপাশি ফুটবলপ্রমীদের প্রত্যাশা পূরণের জন্য কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

কনওয়ের ডাবল সেঞ্চুরি, মাউন্ট মঙ্গানুইতে ব্যাটারদের দাপট

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩: ০৪
২২৭ রান করেছেন কনওয়ে। ছবি: ক্রিকইনফো
২২৭ রান করেছেন কনওয়ে। ছবি: ক্রিকইনফো

মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টের দ্বিতীয় দিনেও আধিপত্য দেখিয়েছে ব্যাটাররা। সবচেয়ে বেশি আলো কেড়েছেন ডেভন কনওয়ে। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন এই ওপেনার। তাঁর দ্বি-শতকে রান পাহাড় গড়ছে নিউজিল্যান্ড। জবাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শুরুটাও হয়েছে উড়ন্ত।

৫৭৫ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করেছে নিউজিল্যান্ড। প্রথম দিনের খেলা শেষে ১ উইকেট হারিয়ে স্বাগতিকেদের সংগ্রহ ছিল ৩৩৪ রান। ১৭৮ রানে অপরাজিত ছিলেন কনওয়ে। তাঁর সঙ্গী ডাফি ব্যাট করতে নামেন ৯ রান নিয়ে। আগের দিনের সঙ্গে আর মাত্র ৮ রান যোগ করে ফিরে যান ডাফি। তাঁর মতো বাজে অভিজ্ঞতা হয়নি কনওয়ের। প্রথম সেশনেই ডাবল সেঞ্চুরির দেখা পান তিনি। জাস্টিন গ্রিভসের করা ১২১ তম ওভারের শেষ বলে এলবিডব্লু হওয়ার আগে ক্যারিয়ারসেরা ২২৭ রান করেন এই ব্যাটার। ৩১ চারে সাজানো তাঁর ৩৬৭ বলের ইনিংস।

১৫ চার ও ১ ছক্কায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৩৭ রান এনে দেন টম লাথাম। রাচিন রবীন্দ্রর অবদান ৭২ রান। এছাড়া কেউন উইলিয়ামসন ৩১ ও এজাজ প্যাটেল করেন ৩০ রান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে জেডন সিলস, অ্যান্ডারসন ফিলিপ ও গ্রিভস দুটি করে উইকেট নেন।

রান তাড়া করতে নেমে বিনা উইকেটে ১১০ রান করে দিনের খেলা শেষ করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ব্র্যান্ডন কিং ৫৫ ও জন ক্যাম্পবেল ৪৫ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করবেন। এখনো ৪৬৫ রানে পিছিয়ে আছে সফরকারী দল। বে ওভালে প্রথম দিনের চেয়ে আজ আরও বেশি রান হয়েছে। এদিন দুই দল মিল করেছে ৩৫১ রান। প্রথম দুই দিনের পরিস্থিতিই বলে দিচ্ছে রান বন্যায় ভেসে যাবে মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্ট।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত